Author: নিমাই দে

  • Kolkata Medical College: ভোগান্তি চলছেই, মেডিক্যালের অচলাবস্থার জন্য কাঠগড়ায় শাসক দলের ভূমিকা

    Kolkata Medical College: ভোগান্তি চলছেই, মেডিক্যালের অচলাবস্থার জন্য কাঠগড়ায় শাসক দলের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার অন্যতম বড় সরকারি হাসপাতাল। কলকাতা কিংবা আশপাশের জেলাই নয়, রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। আর প্রায় দু’দিন সেই হাসপাতালের রোগী পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু সে নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী কিংবা প্রশাসনিক প্রধানের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

    ছাত্র ভোটকে কেন্দ্র করে সোমবার থেকেই উত্তপ্ত হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না, জানার পরেই বিক্ষুব্ধ হয় পড়ুয়ারা। নির্দিষ্ট সময়ে ছাত্র নির্বাচনের দাবিতে তারা অবস্থান শুরু করেন। আর এরপরেই জটিলতা তৈরি হয়।

    কখনও অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-চিকিৎসককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা, আবার কখনও চিকিৎসক-পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অবস্থানে বসেন কর্মরত নার্সেরা। আবার পড়ুয়াদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় রোগীর পরিজনদের। কিন্তু তারপরেও প্রশাসন চুপ! দিনভর সাধারণ মানুষের ভোগান্তির পরেও প্রশাসনের তরফে কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। তাই অচলাবস্থা চলছেই মেডিক্যাল কলেজে। 

    কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের বিক্ষোভ চলাকালীন তৃণমূলের কিছু বহিরাগত নেতা হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে হুমকি দেয়। অভিযোগ, পড়ুয়াদের হোস্টেলে থাকতে দেওয়া হবে না, বিক্ষোভ করলে মারধর করা হবে এমন হুমকিও দেওয়া হয়। এরপরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। 

    মঙ্গলবার সকালে আউটডোর পরিষেবা শুরু হতেই পরিস্থিতি জটিল হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষেরা জানান, বিক্ষোভের জেরে তাদের পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে না। এমনকি জরুরি শারীরিক পরীক্ষাও করা যাচ্ছে না। রোগীর পরিজনদের একাংশ অবস্থানরত পড়ুয়াদের দরজার তালা ভাঙার চেষ্টা করলে পড়ুয়া ও রোগীর পরিজনদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। মঙ্গলবার সারাদিন মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে দফায় দফায় গোলমাল হয়। যার জেরে ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। 

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে জরুরি চিকিৎসার পাশাপাশি বিভিন্ন জটিল অস্ত্রোপচার হয়। এমনিই রোগীর চাপ মারাত্মক। তাই এক জন রোগী কয়েক মাস অপেক্ষার পরে অস্ত্রোপচারের দিন নির্ধারিত হয়। ফলে, একদিন কাজ পরিষেবা বন্ধ থাকার জেরে কয়েক হাজার মানুষের চিকিৎসা থমকে গেল। কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। স্বাস্থ্য ভবন থেকে কোনও রকম সমাধান সূত্র মেলেনি। 

    আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মেডিক্যাল কলেজের বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দাবি, নির্ধারিত সময়ে ছাত্র নির্বাচন না হলে আন্দোলন চলবে। তাদের অভিযোগ, তৃণমূলের দাদাগিরি বন্ধ করতে হবে। কলেজ চত্বরে বহিরাগত তৃণমূল নেতাদের যাতায়াত বন্ধ করতে হবে। তাদের সমস্যায় কেন তৃণমূলের বহিরাগত নেতারা মাথা গলাবে, এতে তাদের আপত্তি। স্বাস্থ্য ভবন থেকে ঠিকমত আশ্বাস না পেলে, তারা আন্দোলন চালাবেই। 

    যদিও কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। হাসপাতালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মতই কাজ হবে। তিনি আলাদা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। তবে, তৃণমূলের কোনও নেতা মেডিক্যাল কলেজের অচলাবস্থা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। 

    বিরোধীরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও নেই। আর স্বাস্থ্য মন্ত্রীও অনুপস্থিত। দিনভর হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, একটা মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসন কার্যত পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ, তারপরেও রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কী ভূমিকা কেউ জানতে পারল না। এতেই বোঝা যায়, এ রাজ্যের সরকারের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা কতখানি গুরুত্বহীন।

  • Cyclone Mandous: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’! জারি লাল সতর্কতা, কী ব্যবস্থা নিল তামিলনাড়ু সরকার?

    Cyclone Mandous: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’! জারি লাল সতর্কতা, কী ব্যবস্থা নিল তামিলনাড়ু সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’ (Cyclone Mandous)। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ধীরে ধীরে ঘনীভূত হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এই নাম দেওয়া হবে বলেই আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলায় তেমন না পড়লেও তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পুদুচেরির উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে প্রভাব বেশি পড়বে বলে আবহবিদরা জানিয়েছেন। যা নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া (Weather) দফতর। তামিলনাড়ুর ১৩ টি জেলায় ৭ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় ১৩ টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    নিম্নচাপের অবস্থান

    বর্তমানে নিম্নচাপ আকারে তা দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে। আবহাওয়া সূত্রে খবর, ৮ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Mandous) পরিণত হবে ও উত্তর তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং সংলগ্ন দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি হবে?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, তামিলনাড়ুর উত্তর উপকূলের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ উপকূলকেও প্রভাবিত করবে এই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Mandous)। অন্ধ্রপ্রদেশে ৭ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে বৃষ্টি শুরু হবে। এর পরবর্তী সময়ে বৃষ্টির বেগ বাড়বে। ৮-৯ ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের কোনও কোনও জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ঘন্টায় ৫৫-৬৫ কিমি বেগে হাওয়া বইতে পারে। ৮ ডিসেম্বর নাগাদ ঝড়ের বেগ সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৯০ কিমি পর্যন্ত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। চেন্নাইয়ের পাশাপাশি পুদুচেরিতেও মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের তরফে ৭-৯ ডিসেম্বরের মধ্যে পুদুচেরিতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    রেড অ্যালার্ট জারি ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনডিআরএফ

    তামিলনাড়ুর ১৩টি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চেন্নাই, নাগাপট্টিনাম, ভিলুপুরম, চেঙ্গলপাট্টু, কুড্ডালোর, কাঞ্চিপুরম, থিরুভাল্লুর, আরিয়ালুর, পেরাম্বলুর, কাল্লাকুরিচি, থাঞ্জাভুর, মায়িলাদুথুরাই, থিরুভারুর। ৮ ডিসেম্বর ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যার ফলে তামিলনাড়ুতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ছয়টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এনডিআরএফ-এর দলগুলিকে নাগাপট্টিনাম, থাঞ্জাভুর, তিরুভারুর, কুদ্দালোর, মায়িলদুথুরাই এবং চেন্নাইতে মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার এনডিআরএফ-এর কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তামিলনাড়ু সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে দেওয়া নির্দেশের পরেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।

    কোন দেশ এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে ও এর অর্থ কী?

    কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে কোনও না কোনও দেশ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। সেই পর্যায়ক্রমেই ‘মন্দৌস’ নামকরণটি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাশাহি। যদি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তবে তার নাম হবে ‘মন্দৌস’। আরবি ভাষায় এর অর্থ হল টাকা বা ধন-দৌলতের বাক্স।

  • FIFA World Cup: সাম্বা ঝড়ে উড়ে গেল কোরিয়ানরা! ৪-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল

    FIFA World Cup: সাম্বা ঝড়ে উড়ে গেল কোরিয়ানরা! ৪-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিটের লড়াইয়ে নেমেছিল ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেল ব্রাজিল। নেইমার ফিরে আসায় ব্রাজিল যেন তার ছন্দে ফিরে এসেছে। এদিনের ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে এক মুহূর্তও টিকতে পারেনি সাউথ কোরিয়া। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ব্রাজিলের চার গোল। ম্যাচ ছিল ৯০ মিনিটের। কিন্তু ৪৫ মিনিটেই শেষ করে দিলেন রিচার্লিসনরা। ফলে সাউথ কোরিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রবেশ করল ব্রাজিল। সাম্বা-ঝড়ে খুঁজেই পাওয়া গেল না কোরিয়ানদের।

    প্রথমার্ধেই চার গোল ব্রাজিলের

    প্রথম একাদশে খেলেছেন নেইমার। যা দেখে উচ্ছ্বসিত ব্রাজিল সমর্থকেরা। এদিন ব্রাজিলের হয়ে গোল করেছেন ভিনিসিয়াস, নেইমার, রিচার্লিসন, পাকুয়েতা। ম্যাচের শুরুর সাত মিনিটেই গোল দিয়ে শুরু করেন ভিনিসিয়াস। তিন মিনিট পরেই পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। আর পেনাল্টি থেকেই গোল করেন নেইমার। সাউথ কোরিয়ার সঙ্গে ব্যবধান বেড়ে হয় ২-০। নেইমারের দুরন্ত শট বাঁচানোর ক্ষমতা ছিল না কোরিয়ান কিপারের। ফলে ম্যাচের ১৩ মিনিটেই নেইমার গোল করেন। এরপর ২৯ মিনিটে গোল করেন রিচার্লিসন। ত্রিশ মিনিটের মধ্যে ৩-০ করে ফেলল ব্রাজিল। কোরিয়ানদের দেখে মনে হচ্ছিল, তাদের ম্যাচ বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক গোল করে চলেছে ব্রাজিল ব্রিগেড। এরপর পাকুয়েতার দুরন্ত একটি গোলে ৪-০ করল ব্রাজিল।

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি ফ্রান্স-ইংল্যান্ড, জানুন ম্যাচের দিনক্ষণ

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও নেইমারদের আক্রমণাত্মক মেজাজেই দেখাচ্ছিল। বেশ কিছু ভালো সুযোগও তৈরি করেছিল তাঁরা। তবে তা কার্যকরী হয়নি। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়াও চেষ্টা করে চলেছিল গোল করার। কিন্তু বিফলে যায়। এরপর ৭৬ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে উদ্বোধনী গোলটি করে পাইক সেউং-হো। ১-৪ করল দক্ষিণ কোরিয়া। শেষের দিকে হালকা মেজাজেই খেলতে যায় ব্রাজিলকে। আর তারই সুযোগ নিয়ে ফেল সাউথ কোরিয়া। তবে, শেষ পর্যন্ত শেষ আটে ব্রাজিলই পৌঁছে যায়। 

    নেইমারের রেকর্ড

    নেইমার এই গোলের হাত ধরেই ছুঁয়ে ফেললেন পেলেকে। সেই সঙ্গে ব্রাজিলের আরও এক কিংবদন্তি রোনাল্ডোর রেকর্ডও স্পর্শ করলেন তিনি। ব্রাজিলের তৃতীয় প্লেয়ার হিসেবে তিনটি আলাদা বিশ্বকাপে গোল করার নজির গড়লেন নেইমার। এত দিন এই নজির ছিল পেলে এবং রোনাল্ডোর। সেই তালিকায় এ বার নাম লেখালেন নেইমারও।

    মুখোমুখি ক্রোয়েশিয়া ও ব্রাজিল

    সাউথ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাজিলের এই চারজন ম্যাচের ভাগ্য রচনা করে দিলেন প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই। ফলে শেষ আটে পৌঁছে এবারে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় খেলবে ব্রাজিল৷ গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের কাছে হেরে যাওয়ায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল ব্রাজিল সমর্থকদের মনে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে সব চিন্তা দূর করে দিলেন নেইমাররা। তাদের আবার সেই পুরনো ছন্দেই দেখা যায়। এদিন ম্যাচ শেষে ফুটবল কিংবদন্তি পেলের সুস্থতা কামনা করেন ব্রাজিল দল। পেলের নাম লেখা ব্যানার নিয়ে দাঁড়ালেন সাম্বা বাহিনী।

  • FIFA World Cup: বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি ফ্রান্স-ইংল্যান্ড, জানুন ম্যাচের দিনক্ষণ

    FIFA World Cup: বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি ফ্রান্স-ইংল্যান্ড, জানুন ম্যাচের দিনক্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমে উঠেছে কাতার বিশ্বকাপের লড়াই। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এসেছে ফ্রান্স। অন্যদিকে সেনেগালকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টারে উঠেছে ইংল্যান্ড। এবার কোয়ার্টারে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই জায়ান্ট। কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই দেখার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা ফুটবল দুনিয়া।

    কবে, কখন, কোথায় খেলা হবে?

    আগামী ১০ ডিসেম্বর, শনিবার হবে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনাল। কাতারের আল বায়েত স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে এই দুই জায়ান্ট দল। ভারতীয় সময় রাত ১২ টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে খেলা। অর্থাৎ ইংরেজি সময় অনুসারে খেলা হবে রবিবার গভীর রাতে।

    ফ্রান্স ও পোল্যান্ডের ম্যাচ

    গতকাল, রবিবার সন্ধ্যায় ফ্রান্স বনাম পোল্যান্ড খেলা ৩-১ গোলে শেষ হয়৷ এই খেলা হয়েছিল কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে। সেদিন দুরন্ত ছিল ফ্রান্সের পারফরম্যান্স৷ গতকাল জোড়া গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপে (kylian mbappe)। একটি গোল অলিভিয়ের জিহুর (Olivier Giroud)। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মুখোমুখি সময়ে অর্থাৎ ম্যাচের ৪৪ মিনিটে গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন জিহু৷ আর দলের হয়ে ৭৪ মিনিটে প্রথম গোল করেন এমবাপে। এরপর খেলার অতিরিক্ত সময়ে আরও একটি গোল করেন তিনি। এ বারের বিশ্বকাপে মোট ৫টি গোল করলেন এমবাপে। আর তাতেই গড়লেন রেকর্ড। ২৩ বছর বয়সী এমবাপে এখন পর্যন্ত ৬৩টি খেলায় ৩৩টি গোল করেছেন। অন্যদিকে ২৪ বছর বয়সের আগে পেলের বিশ্বকাপের মোট গোলের সংখ্যা ৭ টি। এরপর ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে পোল্যান্ডের হয়ে একটি গোল শোধ করেন রবার্ট লেয়নডস্কি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: আজ খেলতে পারেন নেইমার! ব্রাজিলের সামনে দক্ষিণ কোরিয়া

    মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও সেনেগাল

    গতকাল, রবিবার অন্য একটি প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সেনেগালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিয়ে কোয়ার্টারে উঠে এসেছে ইংল্যান্ড। তাদের হয়ে গোল করেছেন জর্ডন হেন্ডারসন, হ্যারি কেন ও বুকায়ো সাকা। গতকাল ম্যাচের ৩৮ মিনিটে প্রথম গোল করেন হেন্ডারসন। এরপরেই গোল করেন অধিনায়ক কেন। এ বারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের জার্সিতে প্রথম গোল করলেন অধিনায়ক হ্যারি কেন। আর ৬৫ মিনিটে ইংল্যান্ডের হয়ে তিন নম্বর ও শেষ গোল করেন সাকা। পুরো ম্যাচে দাপট চলেছে শুধুই কেনদের।

    ফলে ফ্রান্স পোল্যান্ডকে ও ইংল্যান্ড সেনেগালকে হারিয়ে উঠে এসেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। আগামী রবিবার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড। হবে জোর টক্কর! কে শেষ পর্যন্ত মাঠে টিকে থাকতে পারে, তারই অপেক্ষায় বিশ্ববাসী।

  • FIFA World Cup: মেসির পায়ে মারাদোনার বুনন, শেষ আটে আর্জেন্টিনা

    FIFA World Cup: মেসির পায়ে মারাদোনার বুনন, শেষ আটে আর্জেন্টিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়া (FIFA World Cup)। টানটান উত্তেজনা। ১০০০ তম ম্যাচ মেসির। আর তাতেই বিশ্বের কাছে ফের সেরা হয়ে উঠলেন লিওনেল মেসি। ২-১ গোলে শেষ আটে জায়গা করে নিল আর্জেন্টিনা। আর অন্যদিকে নিজের ১০০০তম ম্যাচে খেলতে নেমেই করলেন গোল। আর তাতেই ফের দিয়েগো মারাদোনাকে টপকে গেলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে গোল সংখ্যায় দিয়েগো মারাদোনাকে টপকে গেলেন লিওনেল মেসি। ২১ টি ম্যাচে মারাদোনার গোল সংখ্যা ছিল ৮টি। মেসি ২৩ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত করেছেন ৯ টি গোল। বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা। মেসি ছাড়াও আর্জেন্টিনার হয়ে আরও একটি গোল করলেন জুলিয়ান আলভারেজ। 

  • NDA: দেশকে রক্ষা করার জন্য ছাড়লেন আইআইটি-র সুযোগ! জানুন গৌরব যাদবের স্বপ্নপূরণের কাহিনী

    NDA: দেশকে রক্ষা করার জন্য ছাড়লেন আইআইটি-র সুযোগ! জানুন গৌরব যাদবের স্বপ্নপূরণের কাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষ তাঁর স্বপ্ন পূরণ করার জন্য কত কিছুই না করতে পারে। আর তারই এক জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হল গৌরব যাদব। ছোট থেকেই স্বপ্ন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করার। দেশকে রক্ষা করার তীব্র বাসনার জন্য আইআইটির সুযোগও ছেড়ে দিলেন তিনি ও এমনকি বাড়িতেও বললেন মিথ্যা! তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (আইআইটি) এন্ট্রাস পরীক্ষায় পাশ করেও লুকিয়ে রেখেছিলেন পরিবারের থেকে। আর আজ শেষপর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিয়ে নিজের স্বপ্নপূরণ করলেন কৃষক পরিবারের ছেলে গৌরব যাদব। দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে অবশেষে এনডিএ (NDA) থেকে পাশ করলেন তিনি, তাও একেবারে সোনার মেডেল পেয়ে।

    গৌরবের স্বপ্নপূরণ…

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজস্থানের আলওয়ার জেলার জাজোর-বাস গ্রামের কৃষক পরিবারের ছেলে গৌরব। ছেলেবেলা থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো ছিলেন। হরিয়ানার রেওয়ারির কেরল পাবলিক স্কুল থেকে দশম শ্রেণিতে এ+ গ্রেড নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। তারপর দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটির এন্ট্রাস পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ছিল দেশকে রক্ষা করা।

    আরও পড়ুন: আইপিএলের মিনি নিলামে ৯৯১ জন ক্রিকেটারের নাম নথিভুক্ত 

    তাই তিনি বাড়িতে আইআইটি-এ পাশ করার বিষয়টি লুকিয়ে যান ও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন এনডিএ-র (NDA) এন্ট্রাস পরীক্ষার জন্য। প্রথম দু’বার এনডিএয়ের এন্ট্রাস পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন গৌরব। কিন্তু স্বপ্ন আটকে গিয়েছিল এসএসবি-এর ইন্টারভিউয়ে। কিন্তু তৃতীয়বারে সেই ধাপ পেরিয়ে নিজের স্বপ্নপূরণের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ফলে শেষ পর্যন্ত অ্যাকাডেমির সেরা ছাত্র হিসাবে পাশ করলেন তিনি। রাষ্ট্রপতির সোনার পদক পেয়ে এবার সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন তিনি।

    গৌরবের এই জীবনকাহিনী থেকেই বোঝা যায়, চেষ্টা থাকলে তাঁকে তাঁর লক্ষ্যপূরণ থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। গৌরবের এই স্বপ্নপূরণের দিনে তাঁর পরিবারের সদস্য বাবা-মা প্রত্যেকই তাঁর জন্য গর্বিত। তাঁদেরও দৃঢ়বিশ্বাস ছিল যে, তাঁদের ছেলে একদিন জীবনে সফল হবেই।

    আরও পড়ুন: ড্রোন শিকারে চিল! ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ‘অর্জুন’ নামক পাখিকে 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Allahabad High Court: কিউআর কোড স্ক্যান করে নেওয়া হচ্ছে ‘ঘুষ’! সাসপেন্ড হাইকোর্টের কর্মী

    Allahabad High Court: কিউআর কোড স্ক্যান করে নেওয়া হচ্ছে ‘ঘুষ’! সাসপেন্ড হাইকোর্টের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিআই কোড স্ক্যান করে টাকা দেওয়াটা এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে, এমনটা বলা যেতেই পারে। তবে এবারে এই কিউআর কোড স্ক্যান করেই ‘বকশিস’ বা ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক আদালত কর্মীর বিরুদ্ধে। এককথায় বলতে গেলে ঘুষ নেওয়ার আধুনিক পদ্ধতি হল এটি। তবে এই খবর জানাজানি হতেই ওই কর্মীর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সাসপেন্ড করা হল তাঁকে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে একটি ছবি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভাইরাল ছবিটি এলাহাবাদ হাইকোর্টের। আর এই ছবিতে দেখা যায়, আদালত কক্ষের ভেতরেই আদালত কর্মীর ইউনিফর্মের উপরে কোমরের দিকে সাঁটানো পেটিএম-এর কিউআর কোড। আর সেই কিউআর কোড স্ক্যান করে অনেক আইনজীবীকেও দেখা গেল টাকা দিতে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওই কর্মীকে গতকাল সাসপেন্ড করলেন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?

    জানা গিয়েছে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই কর্মচারীর নাম রাজেন্দ্র কুমার। কিউআর কোড স্ক্যান করে ঘুষ নেওয়ার ছবি ভাইরাল হতেই তুঙ্গে বিতর্ক। এরপর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। ওই কর্মচারীকে সাসপেনশনের নোটিশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও অভিযুক্ত কর্মীকে জানানো হয়েছে, সাসপেন্ড অবস্থায় তাঁকে হাইকোর্টের অ্যাকাউন্স ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। আবার পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত প্রয়াগরাজ ছাড়তেও পারবেন না তিনি।

    এলাহাবাদ হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর এই বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে এসেছিল। হাইকোর্টের বিচারপতি অজিত কুমার পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে চিঠি লেখেন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালকে। এরপরেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওই অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন ও তাঁকে সাসপেন্ড করেন।

    সরকারি দফতরে ঘুষ দেওয়া-নেওয়া আটকাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও ঘুষ আটকানো যায় না। নিত্যনতুন পদ্ধতিতে ঘুষ দেওয়া-নেওয়া চলতেই থাকে। এবার তারই প্রমাণ মিলল এই এলাহাবাদ হাইকোর্টে। তবে কেন তিনি অনলাইন ঘুষ নেওয়ার কথা ভাবলেন, এই নিয়েও জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেছেন, নগদ টাকা ঘুষ হিসেবে নিলে সম্ভবত ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই হয়ত তিনি এই অভিনব পন্থায় ঘুষ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাতেও লাভ হল না। শেষে বিচারপতির নজরে এসেই গেল তাঁর ‘বকশিস’ বা ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিনব পন্থা।

  • Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পাল্টে ‘আবাস প্লাস’! ফের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পাল্টে ‘আবাস প্লাস’! ফের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসার পরেও ৮ মাস পর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) রাজ্যকে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্র। কিন্তু এরপরও ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে নাম বদলের অভিযোগ আনলেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এই প্রকল্পের ফের নাম পরিবর্তনের বিস্ফোরক দাবি করে এবারে সোশ্যাল মিডিয়া ট্যুইটারে সরব হলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ শুভেন্দুর…

    তিনি (Suvendu Adhikari) এক পোস্টার শেয়ার করেছেন, যেখান দেখা যাচ্ছে, প্রকল্পের নতুন নামকরণ করা হয়েছে – “আবাস প্লাস প্রকল্প”। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, এবারে প্রকল্পে “প্রধানমন্ত্রী” আর “বাংলা” দুই শব্দই বাদ। আর সেখানে যাচ্ছে লেখা আবাস প্লাস প্রকল্প। সঙ্গে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও। শুধু এখানেই থেমে নেই তিনি, তিনি এই পোস্টারের সঙ্গে একাধিক শর্তের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন,

    “ মাননীয় যশস্বী প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির স্বপ্নের প্রকল্প – প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) বাস্তবায়িত করতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক উদ্যত হন একটাই মহৎ উদ্দেশ্যে; যাতে গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী সব গরীব ও প্রান্তিক মানুষের মাথার ওপর পাকা ছাদের ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২৪ সালের মার্চ মাস অবধি সারা দেশে এই প্রকল্পে মোট ২ কোটি ৯৫ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। উক্ত প্রকল্পের অধীনে ইতিপূর্বে রাজ্য সরকারকে নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুমোদন করা হয়নি কারণ এই প্রকল্প  রূপায়ণের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন অভিযোগ ও অসন্তোষজনক তথ্য জমা পড়ে এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের নাম বদলে “বাংলা আবাস যোজনা” করা হয়।

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে আশ্বস্ত করেছেন যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রালয়ের নির্দেশাবলী ও পরামর্শ অনুযায়ী রাজ্য জুড়ে প্রকল্পের সরকারি নাম তথা “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” ও লোগো প্রদর্শিত হবে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক তাই পশ্চিমবঙ্গকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য ১১,৩৬,৪৮৮ টি বাড়ি নির্মাণ করার অনুমোদন প্রদান করেছেন ও এই জন্যে ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।

    তবে বেশ কয়েকটি নিয়ম ও শর্ত মেনে চলতে হবে রাজ্য সরকারকে-

    ১) সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্য হল প্রকল্পের নাম ও লোগো। তাই প্রকল্পের আসল নাম; “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” ও লোগো, জনগণকে অবগত করানোর জন্য প্রকল্পের তথ্য সহ সাইনবোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে। কেন্দ্রীয় গাইডলাইন অনুসারে এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মিত প্রতিটি বাড়িতেই তা লাগাতে হবে। অন্য কোনো নাম, লোগো বা ব্রান্ডিং এই সকল বাড়িতে লাগানো যাবে না।

    ২) রাজ্য সরকার সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের যেন নির্দেশ জারি করেন, যে শুধুমাত্র সরকারি নিয়ম মেনে “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” প্রকল্পের যথাযথ রূপায়ণ করতে হবে এবং পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্ট এর মধ্যে থেকেই উপভোক্তাদের নাম নির্বাচন/চয়ন করতে হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ভবনগুলোতে পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্টে থাকা উপভোক্তাদের নামের তালিকা টাঙানো থাকবে, কোনোরকম কোন বিচ্যুতি ঘটলে তা সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শুধুমাত্র গরীব ও দুঃস্থদের জন্য এই প্রকল্প। চার চাকা গাড়ির মালিক অথবা বাড়িতে ‘এয়ার কন্ডিশনার’ মেশিন রয়েছে তাদের জন্য এই প্রকল্প নয়। অথবা আগে থেকেই পাকা বাড়ি রয়েছে কিন্তু বাড়তি জমি খালি পড়ে রয়েছে, তাই সখ করে বানিয়ে ফেলবো, তারাও যেনো এই প্রকল্পের উপভক্তাদের তালিকায় না আসে।

    ৩) প্রকল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্তাবলী হল যে এই প্রকল্পের অন্ততপক্ষে ৬০% উপভক্তা যেন তপশীলি জাতি ও উপজাতি জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিরা হন।

    ৪) যেহেতু ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে, তাই ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে উপভোক্তাদের বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে।

    ৫) বাড়ির অনুমোদন এবং বাড়ি বানানোর জন্য অর্থ প্রদান করা, নির্দিষ্ট সময় মেনে করতে হবে। যদি রাজ্য সরকার উপভোক্তাদের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাড়ির অনুমোদন দিতে এবং প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়তে ব্যর্থ হয়, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যাহার করে নেবে।

    ৬)”প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত “সিঙ্গেল নোডাল অ্যাকাউন্ট” এ কেন্দ্র ও রাজ্যের আনুপাতিক হারের অর্থ যথাযথ সময়মতো একসাথে ট্রেজারি থেকে জমা দিতে হবে।

    ৭) কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের গাইড লাইন অনুযায়ী Area Officers Mobile অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন আধিকারিকদের দিয়ে যথাযথ ভাবে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করাতে হবে।

    ৮) কোনোরকম দুর্নীতি বা আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে যেনো রাজ্যে, “জিরো টলারেন্স” নীতি গ্রহণ করে। সমস্ত জেলার সিনিয়ার অফিসার ও ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে ‘স্পেশাল টিম’ গঠন করতে হবে, যাতে এই ধরনের অভিযোগ উঠলে তা যথাযথ ভাবে যাচাই করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

    ৯) প্রতিটি ব্লক/গ্রাম পঞ্চায়েতের উপভোক্তাদের, তাঁদের অধিকার সম্বন্ধে সচেতন করাতে “উপভোক্তা সচেতনতা শিবির” অনুষ্ঠিত করতে হবে।

    ১০) রাজ্য সরকার যেন নির্দেশ জারি করে যে, অন্তত পক্ষে ১৫% নির্মিত বাড়ি ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরের আধিকারিকদের দিয়ে এবং নূন্যতম ২% বাড়ি জেলা শাসক এর দফতরের সিনিয়র আধিকারিকদের দিয়ে যথাযথ পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর থেকে সুনিশ্চিত করা যাবে যে বাড়ি গুলো নিয়ম মেনে তৈরি হচ্ছে।

    ১১) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) -এর বাস্তবায়নের জন্য যে কাঠামো কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করেছেন তা রাজ্য সরকারকে বিচক্ষণতার সাথে মেনে চলতে হবে ও সঠিক সময়ে নির্মিত বাড়ি গুলির সামাজিক নিরীক্ষণ করতে হবে।

    ১২) রাজ্যের সমস্ত জেলা, ব্লক ও গ্রাম পঞ্চয়েত গুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী জারি করতে হবে যাতে AwasSoft এর ব্যবহার বিধি অনুসারে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে যত জলদি সম্ভব এই বাড়ি গুলি অনুমোদন করতে হবে এবং সময়মত বাড়িগুলোর নির্মাণ কার্য শেষ করতে হবে অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। ত্রৈমাসিক সময়কালীন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কর্ম পরিকল্পনা বানিয়ে বাড়িগুলোর নির্মাণ কার্য শেষ করতে যাতে ১০০% লক্ষ্য পূরণ করা যায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে।

    আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই রাজ্য সরকার, বিশেষ করে নিচুতলার আধিকারিক ও গ্রাম স্তরের তৃণমূলের নেতারা এত নিয়মের বেড়া জালের মধ্যে আটকে থাকবেন না, কারণ এরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠ করতে সিদ্ধহস্ত ও অভ্যস্ত।

    ইতিমধ্যেই আমার এই আশঙ্কার প্রতিফলন চোখে পড়ছে। নিম্ন প্রকাশিত পোস্টারটি শাসকদলের নিযুক্ত একটি কর্পোরেট সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ ও প্রচার করানো হচ্ছে, যেখানে প্রকল্পের নতুন নামকরণ করা হয়েছে – “আবাস প্লাস প্রকল্প” !!!

    তাই আমি সকল সচেতন নাগরিক ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) প্রকল্পের উপভোক্তাদের আহ্বান জানাই যে নিজেরাই সতর্ক থাকুন। কোনওরকম বেচাল অথবা নিয়ম বহির্ভূত কাজ চোখে পড়লে তথ্য প্রমাণ (যতটা জোগাড় করতে পারেন) সহ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের এই ইমেল আইডিগুলিতে অভিযোগগুলো ইমেল মারফত পাঠান:-min-mopr@gov.inofficeministerahdf@gmail.comআপনারা আমার ইমেল আইডি তেও ইমেল পাঠাতে পারেন। আমার ইমেল আইডি হলো :-adhikarisuvenduwb1@gmail.com আপনাদের পাঠানো অভিযোগ সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমার রইল।”

  • Delhi Murder: ‘ফাঁসি হলেও আফসোস নেই, জন্নতে…’, পলিগ্রাফ টেস্টে কী বলল আফতাব?

    Delhi Murder: ‘ফাঁসি হলেও আফসোস নেই, জন্নতে…’, পলিগ্রাফ টেস্টে কী বলল আফতাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে (Delhi Murder)। শ্রদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুনের দায়ে বর্তমানে জেলবন্দী আফতাব। এরমধ্যেই তার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে পলিগ্রাফ টেস্ট চলাকালীন তাকে প্রায় ৪০টির মত প্রশ্ন করা হয়। আর প্রশ্নের উত্তরে যা যা উত্তর দিয়েছে, তা জানলে আপনার গা শিউরে উঠবে। আফতাব জানিয়েছে, ফাঁসিতে টাঙানো হলেও নাকি তার কোনও আফসোস থাকবে না, বরং সে জন্নতের হুর পাবে। আরও এমন এমন দাবি করেছে, যা শুনলে আপনি চমকে উঠবেন।

    শ্রদ্ধাকে খুন করে ‘জন্নত হাসিল’

    পলিগ্রাফ টেস্ট চলাকালীন শ্রদ্ধাকে খুন করার (Delhi Murder) বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলেছে, ‘ফাঁসি হলেও আফসোস নেই, জন্নতে হুর পাব।’  সে আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধার খুনে তাকে ফাঁসির সাজা দিলেও তাতে সে দুঃখিত হবে না, বরং সে যখন জন্নতে প্রবেশ করবে, তখন তাকে নায়ক হিসাবে স্মরণ করা হবে।

    আরও পড়ুন: আফতাবের উপর হামলা! ধৃত ২ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    পলিগ্রাফ টেস্ট আর কী কী বলল?

    আফতাব পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, সে শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন ২০টিরও বেশি হিন্দু মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। হিন্দু মহিলাদের টার্গেট করতে এবং তাদের ফাঁদে ফেলার জন্য বাম্বল (Bumble) অ্যাপ ব্যবহার করত সে। শ্রদ্ধাকে খুনের পর আফতাব তার অ্যাপার্টমেন্টে একজন সাইকোলজিস্টকেও নিয়ে এসেছিল। তিনিও হিন্দু নারী ছিলেন। আফতাব আরও জানিয়েছে, তাঁকে একটি আংটিও দিয়েছিল, যেটি শ্রদ্ধারই ছিল (Delhi Murder)। আফতাব আরও বলেছে, শ্রদ্ধাকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করতে তার একটুও খারাপ লাগেনি। তার পরিকল্পনা ছিল মুম্বইতেই শ্রদ্ধাকে খুন করে কেটে ফেলা (Delhi Murder)।

    এই নিয়ে মোট তিনবার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে আফতাবের। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আরও একবার ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চায় তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের দাবি, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আফতাব এমন কিছু সত্যি সামনে এনেছে যা তদন্তের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনেকটাই সাহায্য করছে। উল্লেখ্য, দিল্লির একটি আদালত পুলিশকে পাঁচ দিনের মধ্যে নারকো টেস্ট শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে এই পরীক্ষার পরে আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে, তারই অপেক্ষায় দেশবাসী। 

  • WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে দেওয়া যাবে ‘ভয়েস নোট’! কবে আসবে এই নয়া ফিচার?

    WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে দেওয়া যাবে ‘ভয়েস নোট’! কবে আসবে এই নয়া ফিচার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) খুব শীঘ্রই একটি মজাদার ফিচার আসতে চলেছে। যার ফলে আপনি আপনার হোয়াটসঅ্যাপের স্টেটাসেও দিতে পারবেন ভয়েস নোট। ইউজারদের সুবিধায় হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) কর্তৃপক্ষ প্রায়ই নতুন নতুন ফিচার লঞ্চ করে। এবার তারা এমন একটি ফিচার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেছে যার সাহায্যে ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে (Whatsapp Status) ভয়েস রেকর্ড (Voice Note) শেয়ার  করতে পারবেন।

    হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে ভয়েস নোট…

    বর্তমানে ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) স্টেটাসে ২৪ ঘণ্টার জন্য ছবি বা ভিডিও শেয়ার করতে পারেন। তবে নতুন ফিচার চালু হয়ে গেলে আগামী দিনে ইজাররা হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে ভয়েস নোটও শেয়ার করতে পারবেন। আর মনে করা হচ্ছে, এটি খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপে। বিটা ভার্সানে আপাতত ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ভয়েস রেকর্ড স্টেটাসে অ্যাড করা যাচ্ছে। এই বিষয়ে ট্যুইটও করেছে WABetaInfo। WABetaInfo-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, নতুন বৈশিষ্ট্যটি ইতিমধ্যে আইওএস বিটা ভার্সনে দেখা গেছে। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) কর্তৃপক্ষ এই ফিচারের টেস্টিং শুরু করেছে আইওএস বিটা ভার্সনে। আবার হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের ক্ষেত্রেও এই ফিচার নিয়ে কাজকর্ম চলছে। ফলে খুব শীঘ্রই ফাইনাল ভার্সনে আসতে পারে এই ভয়েস স্টেটাসের সুবিধা।

    আরও পড়ুন: একই অ্যাকাউন্ট দুটি ফোনে ব্যবহার করার সুবিধা পাবেন হোয়াটসঅ্যাপে, আসছে নয়া ফিচার ‘কম্প্যানিয়ন মোড’

    কীভাবে স্টেটাসে দেবেন ভয়েস নোট?

    WABetaInfo বিটা ভার্সনে স্টেটাসের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, টাইপ করার স্থানের ডানদিকে একটি নীল মাইক্রোফোন চিহ্ন রয়েছে। অর্থাৎ তাতে ট্যাপ করেই এই ভয়েস রেকর্ড স্টেটাসে দেওয়া যাবে। তবে জানা গিয়েছে, স্টেটাসে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ভয়েস নোট শেয়ারের সুযোগ পাবেন ইউজাররা। তার সঙ্গে আবার আপনারা টেক্সটও অ্যাড করার সুযোগ পাবেন।   

    তবে হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ভার্সনে সমস্ত ইউজারদের জন্য কবে এই ফিচার চালু হবে তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে অনুমান করা হচ্ছে, এই ফিচার চালু হতে হয়ত আর বেশি দেরি নেই।

    আরও পড়ুন: ভিডিও কলে একসঙ্গে ৩২ জন, গ্রুপে হাজারের বেশি লোক দেখুন হোয়াইসঅ্যাপের নতুন ফিচার

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share