Author: নিমাই দে

  • Dengue: ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ল বিতর্ক 

    Dengue: ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ল বিতর্ক 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যের লুকোচুরির রোগ যেন কিছুতেই সারছে না। ডেঙ্গি আক্রান্ত আর ডেঙ্গি মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবে যেন বিস্তর গোলমাল। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, রাজ্য সরকারের তথ্য গোপনের রোগ মুক্তি না ঘটলে, রাজ্যবাসীর ডেঙ্গি থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল। 

    বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এ বছর ডেঙ্গিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর তাতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চলতি বছরে একাধিকবার স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুরসভার রিপোর্ট ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কমবেশি ৮০ জন মারা গিয়েছেন। কিন্তু বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ১১। তথ্যের এত ফারাক কেন? এ প্রশ্নের অবশ্য উত্তর নেই রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে। 

    স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ চলতি বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। পুজোর পরে ডেঙ্গির গ্রাফ মারাত্মক বাড়তে শুরু করে। প্রতি সপ্তাহে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, জলপাইগুড়ির মতো জেলাগুলোতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। কিন্তু এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলেননি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, শীত আসছে, ডেঙ্গি নিয়ে আর উদ্বেগ বিশেষ নেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাস পরের বছরের জন্য আরও বড় বিপদ তৈরি করবে না তো? 

    আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত সংক্রমক রোগের মোকাবিলা বছরভর করতে হবে। তাই শীতে ডেঙ্গির দাপট কিছুটা কমলেও প্রশাসনের কাজ থামালে চলবে না। ডেঙ্গি মোকাবিলায় এ বছরে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পুর কর্মীর অভাব। নজরদারি করার জন্য পর্যাপ্ত পুর কর্মী ছিল না। তাছাড়া, প্রশাসনের একাধিক বিভাগের সমন্বয়ের অভাব, একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে গেলে চলবে না। শীতের দাপটে ডেঙ্গির গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ডেঙ্গি কমার আশ্বাসে, সেই কাজে ভাটা পড়বে কিনা সে নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

    চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গির তথ্য গোপনের রোগ না সারলে রাজ্যবাসীর ডেঙ্গির থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। কারণ, ডেঙ্গির ভয়াবহতা মানুষকে বোঝাতে হলে, সচেতন করতে হলে সরকারকে স্বচ্ছ হতে হবে। ডেঙ্গি নিয়ে এই লুকোচুরির প্রবণতা থাকলে, সেই কাজ সম্ভব নয়। চিকিৎসক শারোৎদ্বত মুখোপাধ্যায় বলেন, “মানুষকে বোঝানোর আগে সরকারের বোঝা দরকার প্রত্যেক বছর রাজ্যের মানুষকে কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। অথচ, কয়েকটা কথা বলে দায় এড়াতে চাইছে প্রশাসন। ডেঙ্গি মোকাবিলার সদিচ্ছা আদৌও রাজ্য সরকারের আছে কি? ” 

    চিকিৎসক অরুণাচল দত্ত বলেন, “ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে সরকারের স্বচ্ছতার বড় অভাব। মানুষ ভুগছে, অথচ মানুষকে বুঝতে দেওয়া চলবে না। জানানো যাবে না। সত্যি এভাবে গোপন করা যায় না। এতে সমস্যা বাড়ে। জনস্বাস্থ্যের মতো বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করতে সরকারের নূন্যতম স্বচ্ছতা প্রয়োজন। ডেঙ্গির ক্ষেত্রে যে রাজ্য সরকারের তা নেই, সেটা প্রমাণিত।” বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজেদের আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। জল জমানো যাবে না। কোনও ভাবেই যাতে মশা জন্মাতে না পারে, সেটা সাধারণ মানুষকে দেখতে হবে। পাশপাশি পুরসভাকেও বারবার জানাতে হবে। যাতে ডেঙ্গি রোধে পুরসভা সক্রিয় থাকে, সে নিয়েও নাগরিক সমাজকেই সজাগ থাকতে হবে।

  • Anubrata Mondal: কেষ্ট, তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে ১০ কোটির লেনদেন! ব্যাঙ্ককর্মীকে জেরা সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: কেষ্ট, তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে ১০ কোটির লেনদেন! ব্যাঙ্ককর্মীকে জেরা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মাামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে ইডি। আর এরই মধ্যে ফের অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই-এর আধিকারিকরা। আর এই টাকার উৎসের সন্ধান করতে বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীদের ডেকে পাঠায় সিবিআই। অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টের নথিও চাওয়া হবে তাঁদের কাছে। অন্যদিকে গতকাল অনুব্রতের প্রাক্তন পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।

    ব্যাংকের কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকার সন্ধান করতে বুধবার সন্ধ্যায় বোলপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। এখানেই বোলপুরের এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর। কারা, কত টাকা, কার অ্যাকাউন্টে ও কীভাবে জমা দিয়েছিল তা জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি, আজও ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসবাদ করবে সিবিআই, এমনও জানা গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, সিবিআই দাবি করেছে যে, অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে। যার ফলে এই টাকা কার ও কীভাবে এল, আর এর উৎস কী তা জানতেই গতকাল ব্যাঙ্কের কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর গাড়িতে লালবাতি কেন? প্রশ্নের মুখে রাজ্য

    ইডির জেরার মুখে কেষ্টর প্রাক্তন পরিচারক মুন

    এর আগেও বিশ্বজ্যোতিকে তলব করেছিল ইডি। তবে এই প্রথম ইডির মুখোমুখি হয়েছেন বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলর মুন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ মুন পৌঁছান দিল্লিতে ইডির দফতরে। তার পর থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। গরু পাচার মামলায় সিবিআই আদালতে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, মুনের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকার। ইতিমধ্যেই বোলপুর পুরসভার ওই কাউন্সিলরের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যও সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে এ বার মুনকে দিল্লিতে নিজেদের দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।

    উল্লেখ্য, ২০১১ সালে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন বিশ্বজ্যোতি। মাসিক বেতন ছিল ৫ হাজার টাকা। বোলপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলরও হন বিশ্বজ্যোতি। এরপর গরুপাচার মামলায় তাঁর নাম উঠে আসে। সিবিআই দাবি করে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। মুনের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তাঁকে ডেকে জেরা করা হয়। আর এবার ইডির নজরে মুন।

  • West Bengal Weather: রেকর্ড পারদ পতন! আজ কলকাতার শীতলতম দিন, ঠান্ডা পড়বে আরও

    West Bengal Weather: রেকর্ড পারদ পতন! আজ কলকাতার শীতলতম দিন, ঠান্ডা পড়বে আরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা শহরে আজ আরও কমল তাপমাত্রা (West Bengal Weather)। গতকাল কলকাতায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি, আজ সেটাই আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ ডিগ্রির ঘরে। আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজই কলকাতার সবথেকে ঠান্ডা দিন আজ।

    রেকর্ড পারদ পতন…

    এই মরশুমের আজই কলকাতার শীতলতম দিন। গতকাল তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রিতে নামলে বলা হয়েছিল যে, গতকাল শীতলতম দিন এই মরশুমের। তবে গতকালের রেকর্ডকেও টপকে আজকে তাপমাত্রা কমে আসল ১৬-এর ঘরে। এবছরের নভেম্বরের মাঝ থেকেই শহরে শীত শীত ভাব অনুভূত হতে শুরু হয়েছে, যা সত্যিই বিরল ঘটনা। কারণ বিগত ৫ বছরে এমন ঘটনা মহানগরীতে ঘটেনি। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, এবছর শহরে শীত জাঁকিয়ে পড়তে চলেছে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন:আজ এই মরশুমের শীতলতম দিন, আগামী ৫ দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    কলকাতার আবহাওয়া

    সপ্তাহের শুরুতে পারদ ২০-এর ঘরে থাকলেও সপ্তাহের শেষে ১৬-তে এসে নেমেছে। আর আগামী কয়েকদিন ১৬-এর ঘরেই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কলকাতায় সোমবার তাপমাত্রা ছিল ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি, বুধবার ১৭ ডিগ্রি এবং বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন শীতের আমেজ বজায় থাকবে (West Bengal Weather)। অবাধ উত্তুরে হাওয়ায় সপ্তাহের শেষে আরও পারদ পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আর কিছু দিনই বাকি কনকনে ঠান্ডা পড়তে। এর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই।

    চলতি মাসে কতটা কমবে তাপমাত্রা?

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি রেকর্ড ঠান্ডা পড়তে পারে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও, যেমন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে। চলতি সপ্তাহের শেষে অন্তত তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এই জেলাগুলিতে শীতের প্রভাব বেশি থাকবে। আর দক্ষিণবঙ্গে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে (West Bengal Weather)।

    অন্যদিকে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে আবহবিদরা জানিয়েছেন, নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে আন্দামান সাগরে। আজ, ২৪ নভেম্বর ঘূর্ণাবর্ত তৈরী হতে পারে। যা পরবর্তীতে শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই নিম্নচাপ কোনদিকে যায় সেদিকে নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা (West Bengal Weather)।

  • FIFA World Cup: আর্জেন্টিনা বধ সৌদি আরবের! জয় উদযাপনে জাতীয় ছুটি ঘোষণা রাজা সলমনের

    FIFA World Cup: আর্জেন্টিনা বধ সৌদি আরবের! জয় উদযাপনে জাতীয় ছুটি ঘোষণা রাজা সলমনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপে (FIFA World Cup) আজেন্টিনার মত শক্তিশালী ফুটবল দেশকে হারিয়ে পুরো বিশ্ববাসীর তাক লাগিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব। কারোর কখনও কল্পনাতেই আসেনি যে, গতকাল মেসি তাঁর দলকে জয় এনে দিতে পারবেন না। ফুটবলপ্রেমীরা বলছেন, বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে অন‌্যতম সেরা অঘটন এটি। তবে অঘটন ঘটানো দেশ সৌদি আরবের জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছেন সেই দেশের জনগণ। আর এই ঐতিহাসিক জয় উদযাপন করতে বড় সিদ্ধান্ত নিল সৌদি আরব। জয়ের উপহার দিল জাতীয় ছুটি! অর্থাৎ আজ, ২৩ নভেম্বর সৌদি আরবে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছেন সৌদি আরবের রাজা সলমন।

    ছুটি ঘোষণা রাজার

    মেসিদের হারানোর (FIFA World Cup) পরই সেদেশের সাধারণ জনগণ সৌদির রাস্তায় নেমে তাঁদের জয় উদযাপন করছেন। আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেছে সেদেশের ছোট শিশু থেকে মধ্যবয়স্ক ফুটবলপ্রেমী সবাই। সবাই মেতেছেন আনন্দে। আর এই জয়ে সামিল হয়েছে সেদেশের রাজা মহম্মদ বিন সলমন। ফলে তিনি সারা দেশ জুড়ে জাতীয় ছুটির ঘোষণা করেছেন।

    শুধু সরকারি নয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও আজ ছুটি। সৌদির রাজা সলমন বলেছেন যে, স্কুলও বন্ধ থাকবে। এখন স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। অনেক স্কুলে আজকেও ছিল পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ যেন ওইদিনের পরীক্ষা অন্য কোনও দিন নিয়ে নেন (FIFA World Cup) ।

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে অঘটন, সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হারল মেসির আর্জেন্টিনা

    সৌদির জয় দেশজুড়ে উদযাপন

    সে দেশে বলা হচ্ছে, সৌদির ছেলেরা আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ইতিহাস লিখেছেন (FIFA World Cup)। তাই তার উদযাপনও হবে দেশজুড়ে। ম্যাচের শুরুতে বোঝা যায়নি যে, সৌদি ম্যাচের রং বদলে দেবে। আর এই জয়ের পরে উচ্ছাসে মেতে উঠেছে রাজধানী রিয়াদও। ম্যাচ শেষ হতেই সবাই নাচতে নেমে পড়েন রাস্তায়। গোল করে ঘুরে ঘুরে রাস্তায় নাচতে শুরু করেন। জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় সবাই নামেন। গাড়ি চড়ে সবাই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন জয় উদযাপন করতে।

    গতকালের ম্যাচ

    প্রথমের দিকে তেমন ভালো খেলতে শুরু না করলেও ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের সেরাটা দিয়ে এগিয়ে যায় সৌদি আরব। এক গোলের পরেই থমকে যায় আর্জেন্টিনা। এরপরেই ম্যাচের হাফটাইম থেকে দুটি গোল করেন সালেহ আল-শেহরি এবং আল-দাওয়াসারি। শেষে অবিশ্বাস্য ২-১ গোলে আর্জেন্টিনাকে হারায় সৌদি। 

  • West Bengal TET: পরের মাসেই টেট, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    West Bengal TET: পরের মাসেই টেট, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর হবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (West Bengal TET)। যে টেট পরীক্ষা ও নিয়োগ নিয়েই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ, সেই টেট পরীক্ষাই ফের এবছর হতে চলেছে। ফলে এবছরের পরীক্ষাতে স্বচ্ছতা থাকবে কিনা, তা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তবে এবারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দিয়েছেন যে, এবছরের টেট পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনার জন্য নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, এবছর রাজ্য জুড়ে প্রায় ১৫০০ কেন্দ্রে টেট দেবেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি প্রার্থী।

    হাইকোর্টের নির্দেশের পর অপসারিত মানিক ভট্টাচার্যের জায়গায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Primary Education Board) নতুন সভাপতি হন গৌতম পাল (West Bengal TET)। দায়িত্ব নিয়েই তিনি জানান, ‘এবার প্রতিবছর টেট পরীক্ষা হবে এবং এই ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে।’

    কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    ১) এবছর টেট পরীক্ষার জন্য এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে (West Bengal TET)। এবারে উত্তরপত্রের কার্বন কপি নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “প্রার্থী যে ওএমআর শিটে পরীক্ষা দেবেন, তার একটা কার্বন কপি নিয়ে যেতে পারবেন। টেটে এই ধরনের ব্যবস্থা আগে কখনও হয়নি।” এর আগে পরীক্ষার নম্বর নিয়ে এত কারচুপি হয়েছে ও ওএমআর শিটের নম্বর নিয়েও বদল করা হয়েছে, ফলে এবারে এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে পর্ষদ। যার ফলে পরীক্ষার্থীরা নিজেরাই নম্বর গুণে নিতে পারবেন যে, তাঁরা কত নম্বরের উত্তর ঠিক করে এসেছেন ও কত নম্বর পেতে পারেন।

    ২) জানা গিয়েছে, এবছরে পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান বা পরিদর্শকেরা আর ওএমআর শিট এবং প্রশ্নের সিল করা প্যাকেট খুলবেন না। পরীক্ষার্থীরাই তা খুলে নেবেন।

    ৩) এবারে কোনও বেসরকারি ডিএলএড কলেজে টেট পরীক্ষা হচ্ছে না। সমস্ত সরকারি ডিএলএড কলেজ, স্কুল ও অন্যান্য কলেজে এই পরীক্ষা হবে।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেটে সুযোগ পাবেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও, জানাল হাইকোর্ট

    ৪) আরও জানা গিয়েছে, এবছরের টেট পরীক্ষার জন্য যেসব কেন্দ্র নির্বাচন করা হয়েছে, পরীক্ষার দিন সেইসব এলাকায় জারি করা হবে ১৪৪ ধারা। শুধু তাই নয়, পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

    ৫) আবার পর্ষদ থেকে এও জানানো হয়েছে পরীক্ষার্থী, পর্যবেক্ষক, কারোরই পরীক্ষা হলে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। ঘড়িও পরতে পারবেন না প্রার্থীরা। সব ঘরে ঘড়ি থাকবে।

    ৬) পর্ষদের তরফে আগেই বলা হয়েছে, এনসিটিই-র গাইডলাইন ও আইন মেনে চলা হবে এই টেট পরীক্ষায়। এছাড়াও নির্বিঘ্নে যাতে টেট পরীক্ষা সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য জেলাশাসক অথবা মহকুমাশাসককে মাথায় রেখে সর্বত্র জেলাভিত্তিক কমিটি গড়া হবে।

    ৭) পর্ষদ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা দফতর থেকে একটি ১৬ দফা ‘গাইডলাইন’ বা নির্দেশিকা সব জেলায় পাঠানো হচ্ছে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩০০-র কিছু বেশি প্রার্থীরা বসবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে এক বা দু’জন পর্যবেক্ষক থাকবেন। পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার বলেন, “পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যে-স্কুল, কলেজ বা ডিএলএড কলেজে পরীক্ষা হবে, সেখানকার প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ হবেন সেন্টার ইনচার্জ। প্রতিটি কেন্দ্রে এক জন সরকারি অফিসারও ইনচার্জ হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।” ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষার পর যত দ্রুত সম্ভব ফল ঘোষণা করা হবে বলেও পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে (West Bengal TET)।

  • WB TET: জারি একাধিক বিধি, উচ্চপর্যায়ের বৈঠক নবান্নে, টেট নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে

    WB TET: জারি একাধিক বিধি, উচ্চপর্যায়ের বৈঠক নবান্নে, টেট নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান! দীর্ঘ ৬ বছর পর ফের টেট পরীক্ষা হতে চলেছে রাজ্যে। পরের মাসেই টেট। আর এই টেট নিয়েই প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু হয়েছে। টেটে কীভাবে স্বচ্ছতা আনা যায়, তা নিয়ে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ। আর এবারে টেট পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে করানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিল রাজ্য প্রশাসন। গতকাল টেট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করা হয়েছে।

    বৈঠকে কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি পরিবহণ দফতর, সব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary)। টেট সুষ্ঠুভাবে করানোর জন্য ২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি জেলা স্তরে আর একটি মহকুমা স্তরে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, টেট নিয়ে ডিএম এবং এসপিদের সঙ্গে একটি সমন্বয় কমিটি গড়ার কথা বলা হয়েছে। টেটের দিন যাতে কোনও রকম সমস্যা তৈরি না-হয়, সেই বিষয়ে হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। পরীক্ষা চলাকালীন নিরাপত্তায় জোর দেওয়ার কথাও বলে মুখ্যসচিব।

    আরও পড়ুন: পরের মাসেই টেট, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    আরও জানা গিয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। যেমন- কোনও গ্যাজেট, স্মার্ট ওয়াচ, মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকা যাবে না পরীক্ষা কেন্দ্রে। পরীক্ষা কেন্দ্রের চারপাশে জারি করতে হবে ১৪৪ ধারা। এমনকি গণ টোকাটুকি রুখতেও জেলা প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর রাখা হবে, এও বৈঠকে বলা হয়। আরও জানা গিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের জন্য হেল্পলাইন চালু করা হবে জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের দফতরে। পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশপথে এবং কন্ট্রোল রুমে সিসিটিভি রাখারও কথা বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, এবছর টেট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ, যা আগেরবারের তুলনায় তিনগুণ। ১১ ডিসেম্বর, বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। ১৫০ নম্বরের পরীক্ষার জন্য সময় আড়াই ঘণ্টা। পরীক্ষা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে রিপোর্ট করতে হবে। এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের গাইডলাইন থেকে জানা গিয়েছে, টেট উত্তীর্ণ সার্টিফিকেটের ‘লাইফ টাইম’ বৈধতা থাকবে। অর্থাৎ, টেট উত্তীর্ণ সার্টিফিকেট দিয়ে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরিপ্রার্থীরা যতবার খুশি নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও একজন পরীক্ষার্থী একাধিকবার টেটে বসতে পারবেন। এতকিছুর পরে শেষপর্যন্ত এই পরীক্ষা নির্বিঘ্নে হতে পারে কিনা সেদিকে তাকিয়েই রাজ্যবাসী।

  • DA Agitation: ডিএ-র দাবিতে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, সরকারি কর্মীদের বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

    DA Agitation: ডিএ-র দাবিতে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, সরকারি কর্মীদের বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ডিএ-র দাবিতে রাস্তায় সরকারি কর্মীরা (DA Agitation)। তাঁদের আন্দোলনে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ধর্মতলা চত্বর। আজ শুরু হয় বিধানসভা অভিযান। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের যৌথ মঞ্চের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

    ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন সরকারি কর্মীদের

    প্রায় কয়েক মাস ধরে চাকরির দাবিতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করতে দেখা যায় চাকরিপ্রার্থীদের। ফলে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে যখন উত্তাল পুরো রাজ্য, তারই মাঝে এবারে আন্দোলনে নামলেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা (DA Agitation)। তাঁদের বিধানসভা অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি ধর্মতলা চত্বর। ধর্মতলা থেকে মিছিল যায় বিধানসভার দিকে। আর সেই মুহূর্তেই পুলিশের সঙ্গে এবারে ধস্তাধস্তি শুরু হয় সরকারি প্রবীণ কর্মীদের। ফের অভিযোগ উঠেছে পুলিশি বর্বরতার। এবারও ঝরল রক্ত। পুলিশের হাত থেকে বাদ যায়নি প্রবীণ কর্মীরাও। তাঁদেরকেও জোর করে টেনে-হিঁচড়ে আন্দোলন থেকে সরানোর অভিযোগ উঠে এসেছে।  

    রাজ্যে চাকরিপ্রার্থীরা এর আগে আন্দোলনে নামলে তাঁদের কপালে জুটেছে পুলিশের মার, কামড়। আর এবারে পুলিশের লাঠিচার্জের মুখোমুখি হতে হয় প্রবীণ কর্মীদের (DA Agitation)। তাঁদের ঘুষি মারার ও মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আবার কিছু আন্দোলনকারীদের জোর করে টেনে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। মহিলারাও বাদ যায়নি এতে। আজ এই আন্দোলন রুখতে প্রথম থেকেই বড়সড় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল পুলিশ। ব্যারিকেডে ঢেকে গিয়েছিল ধর্মতলা চত্বর। এরপর আন্দোলনকারীরা বিধানসভার দিকে যেতে গেলে তখনই তাঁদের বাধা দেওয়া হয় ও শুরু হয় ধস্তাধস্তি। অনেকে বিধানসভা গেটের কাছে পৌঁছে গেলে তাঁদের চ্যাংদোলা করে তুলে গাড়িতে ঢোকায় পুলিশ (DA Agitation)।

    আবার বিধানসভার ২ নম্বর গেটের কাছে চলে আসেন বেশ কিছু সরকারি কর্মী। সেখানে দাঁড়িয়েই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়। এখন বিধানসভায় অধিবেশন চলছে। সাধারণভাবে বিধানসভায় অধিবেশন চললে ওই গেটে কখনওই বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হয় না। ফলে পুলিশ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভকারীদের তুলে লালবাজারে নিয়ে যায় (DA Agitation)।

    সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

    প্রসঙ্গত, বকেয়া ৩৫ শতাংশ ডিএ নিয়েই আজকের এই বিক্ষোভ সরকারি কর্মীদের (DA Agitation)। তাঁদের দাবি, ৩৫ শতাংশ ডিএ এখনও তাঁদের পাওনা আছে। ডিএ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হওয়ায় ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে। আবার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশ না মানায় সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাও দায়ের করা হয়। আর এই মামলায় আদালতকে হলফনামা দিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কোনও বকেয়া ডিএ নেই। আর এরপরেই কর্মীরা আজ আন্দোলনে নেমেছেন ও আর এতেও পুলিশি বর্বরতার অভিযোগ উঠে এসেছে। 

     

  • Recruitment Scam: ‘প্রভাবশালীদের হাত ধরে নিয়োগ?’ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি চাকরি হারানো কর্মীরা

    Recruitment Scam: ‘প্রভাবশালীদের হাত ধরে নিয়োগ?’ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি চাকরি হারানো কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআই-এর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন এসএসসি-র গ্রুপ ডি-র ৫০ জন কর্মী। সিবিআই- এর তরফে এদের তলব করা হলে তাঁরা আজ সকাল সকাল উপস্থিত হন নিজাম প্যালেসে। এই ৫০ জন কর্মীর চাকরি গিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশেই।

    সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি ৫০ কর্মী

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আজ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে চাকরি যাওয়া কর্মীদের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁদের আজ জিজ্ঞেস করা হয়, কীভাবে তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন? প্রভাবশালী-যোগ বা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন কি না? আজ এদের প্রত্যেককে মার্কশিট ও নিয়োগপত্রও আনতে বলা হয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এদিন নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছিল হাওড়ার আমতা ও বাগনান এলাকার বিভিন্ন স্কুলের এই ৫০ জন কর্মীদের। দুর্নীতি মামলায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই-এর আধিকারিকরা। আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকেই তাঁদের ধাপে ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাঁদের প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। আবার এই সমস্ত প্রার্থীদের নথির সঙ্গে এসএসসির তরফ থেকে দেওয়া মেধা তালিকা তথ্যে কোনও গরমিল রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন:মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

    সিবিআই তদন্তে অসন্তুষ্ট বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, এর আগেই এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) তদন্তের গতি বাড়ায় সিবিআই-এর আধিকারিকরা। এর আগে প্রশ্ন করেছিলেন যে, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের কেন তলব করা হচ্ছে না? এরপরেই সিবিআই তদন্তের গতি বাড়ায় ও হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েই চাকরি হারানো ও চাকরিরত কর্মীদের ধাপে ধাপে তলব করা হচ্ছে। এরপর এসএসসি-র গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে আজ চাকরি বাতিল হওয়া এমন প্রার্থীদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।

    আবার, মানিক মামলাতেও সিবিআই-এর ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। ‘”সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যর মামলায় অনুপস্থিত ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এটা খুব সন্তোষজনক পরিস্থিতি নয়। সিবিআই আধিকারিকদের বলুন এই মামলা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখতে।” সিবিআইয়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kolkata Weather: কলকাতার তাপমাত্রা বাড়ল দুই ডিগ্রিরও বেশি! আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    Kolkata Weather: কলকাতার তাপমাত্রা বাড়ল দুই ডিগ্রিরও বেশি! আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালের থেকে তাপমাত্রা একলাফে ২ ডিগ্রির বেশি বেড়ে গেল শহর কলকাতায় (Kolkata Weather)। ফলে কনকনে ঠান্ডা পড়তে এখনও বেশ দেরি। উত্তরবঙ্গে ক্রমশ তাপমাত্রা কমলেও দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বেড়েছে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সোমবারের থেকেও এই তাপমাত্রা প্রায় আড়াই ডিগ্রির মত বেড়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কলকাতায় শীত জাঁকিয়ে পড়তে চলেছে পরের মাসের মাঝে। তবে এই ক’দিন শীতের আমেজ বজায় থাকবে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    এদিন সকালে কলকাতা ও আশপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ পরিস্কার থাকাবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ও ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে বলে আবহাওয়া সূত্রে খবর। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৩ সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে আজ তাপমাত্রা একধাক্কায় আড়াই ডিগ্রির কাছাকাছি বেড়ে গিয়েছে। এদিন আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ (Kolkata Weather)।

    আরও পড়ুন:জেলায় জেলায় কনকনে শীত, কলকাতায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা কবে?

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    এদিন সকালে দেওয়া উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। কোথাও বৃষ্টির হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী ৪-৫ দিন হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের রাতের তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    আগামী দুদিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ারও কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানা গিয়েছে। তবে কোনও কোনও জায়গায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গের মত আগামী ১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না (Kolkata Weather)।

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়লেও কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে এখনই জমিয়ে ঠান্ডা পড়বে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Kolkata Weather)। জমিয়ে ঠান্ডা উপভোগ করার জন্য ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জেলায় জেলায় তাপমাত্রা বেশ নেমেছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতেও স্বাভাবিকের থেকে ২-৩ ডিগ্রি নিচে তাপমাত্রা থাকবে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড পারদ পতন! আজ কলকাতার শীতলতম দিন, ঠান্ডা পড়বে আরও

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Giriraj Singh: ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল খুবই প্রয়োজনীয়, দাবি গিরিরাজ সিংয়ের

    Giriraj Singh: ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল খুবই প্রয়োজনীয়, দাবি গিরিরাজ সিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জনসংখ্যা নিয়ে সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তিনি বলেন, ভারতের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সম্পদ সীমিত হওয়ায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল খুবই প্রয়োজনীয় হতে চলেছে বলে দাবি করেন বিজেপি-র দাপুটে নেতা-মন্ত্রী গিরিরাজ। ভারতের জনসংখ্যা যে কী হারে বেড়ে চলেছে, তা তিনি চিনের উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেন।  

    চিনের উদাহরণ দিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    বেগুসরাইয়ের বিজেপি সাংসদ-মন্ত্রী বললেন, “চিন এক সন্তান নীতি (One Child Policy) বাস্তবায়ন করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছে। চিনে যেখানে এখন মিনিটে দশজন শিশুর জন্ম হয়, সেখানে ভারতে প্রতি মিনিটে ৩০ জন শিশুর জন্ম হয়। এভাবে চললে আমরা কী করে চিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারব?”

    জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল খুবই প্রয়োজনীয়…

    তিনি (Giriraj Singh) গতকাল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরব হয়েছেন ও বলেছেন, “জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমাদের সম্পদ সীমিত”। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, এই বিলকে কড়াকড়ি করতে হবে। সব ধর্ম-জাতির মানুষকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল মেনে চলা উচিত। আর যাঁরা এই নিয়ম মানবেন না তাঁদের সরকারি সুবিধা দেওয়া হবে না ও তাঁদের ভোটাধিকারও কেড়ে নেওয়া দরকার। ইতিমধ্যেই একাধিক বিজেপি নেতা এই বিলের সপক্ষে মতামত দিয়েছেন। এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীন জানিয়েছিলেন, আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রায় ৫৬.৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার বরাদ্দ পেতে রাজ্যকে মানতে হচ্ছে কোন কোন শর্ত?

    গিরিরাজ সিং-এর ‘নই চেতনা’ ক্যাম্পেইন

    আবার তিনি (Giriraj Singh) বক্তব্য রাখতে গিয়ে সমাজের মেয়ে-নারীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সিং (Giriraj Singh) শুক্রবার নারী ও মেয়েদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে একটি মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন ‘নই চেতনা’ শুরু করেছেন, যাকে ‘জন আন্দোলন’ (জনগণের আন্দোলন) হিসাবে বলা হয়েছে।

    তিনি (Giriraj Singh) এক অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণে বলেন, “যে মহিলারা প্রায়শই সহিংসতার বিরুদ্ধে তাঁদের আওয়াজ তোলে না এবং শিকার হওয়ার পরেও চুপ থাকে কারণ তাঁরা ভয় পায় যে লোকেরা তাঁদের সম্পর্কে কী ভাববে।” মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করার উপর জোর দিয়ে, সিং মহিলাদের প্রতি সহিংসতা সহ্য না করার আহ্বান জানান। আবার তিনি নরেন্দ্র মোদির কথাও উল্লেখ করে বলেন যে, মোদি সরকার কীভাবে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এমনকি মোদি সরকারের অধীনেই নারীদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রী (Giriraj Singh) আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, আত্মরক্ষার জন্য মহিলাদের মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।

LinkedIn
Share