Author: নিমাই দে

  • Suvendu Adhikari: বিধানসভার সচিবের নিয়োগ ইচ্ছে করে করছে না রাজ্য সরকার, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari: বিধানসভার সচিবের নিয়োগ ইচ্ছে করে করছে না রাজ্য সরকার, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় প্রথমবার ঘটল এমন ঘটনা। আর যে ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে কী এমন ঘটল? জানা গিয়েছে, রাজ্য বিধানসভার এক অনুষ্ঠানে এই প্রথম কোনও বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এর পাশাপাশি তিনি আজ রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিধানসভা সচিবের নিয়োগ নিয়েও। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিধানসভার সচিবের নিয়োগে বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

    বিধানসভা সচিব নিয়োগের দাবিতে সরব হলেন শুভেন্দু

    আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সাংবাদিক বৈঠক করে ফের রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন। আগেও একাধিক বিষয়ে শাসকদলের বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। আর এবার তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিধানসভা সচিব পদে স্থায়ী নিয়োগ করছে না রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাইলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি বিরোধীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে এমন করছে রাজ্য সরকার।

    তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, রাজ্য বিধানসভার সচিব পদে নিয়োগ করে হাইকোর্ট। সেই পদে ২ মাস আগে ভাস্কর ভট্টাচার্যের নাম সুপারিশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তর। কিন্তু আজও ভাস্করবাবুকে নিয়োগ দেয়নি রাজ্য। তিনি আরও বলেন, বিধানসভায় কোনও পক্ষপাতিত্ব হলেই বিরোধীরা অভিযোগ জানাতে পারে সচিবের কাছে। কিন্তু এই সচিবের পদেই নিয়োগ করা হচ্ছে না। তাই তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন (Suvendu Adhikari)।

    বিধানসভার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিরোধী দলনেতাকে…

    আবার আজ তিনি বিধানসভার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পাওয়ার জন্য তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার চত্বরে আগামী শুক্রবার একটি নতুন ভবনের উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। সেটি উদ্বোধন করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার ওই নতুন ভবনে থাকবে মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি। ভবনটির নাম মিলেনিয়াম বিল্ডিং। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রয়েছে। আর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই ডাকা হয়নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। রাজ্য বিধানসভার সব অনুষ্ঠানেই কার্ডে বিরোধী দলনেতার নাম থাকার রীতি রয়েছে, তবে এবারে এই তৃণমূল সরকার সেই রীতি লঙ্ঘন করায় ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। তিনি দাবি করেন, বিধানসভায় এই ঘটনা প্রথমবার ঘটল।

    অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্রে যে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নাম নেই, সেই বিষয়ে প্রথমে জানায় বিজেপি পরিষদীয় দলের সদস্যরা। প্রথমত তাঁরাই দাবি করেন, ওই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই শুভেন্দুর। তারপর এই বিষয়ে শুভেন্দুকে জানানো হলে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন। আবার এদিন বিজেপি বিধায়করা জানিয়েছেন, আমন্ত্রণপত্রে শুভেন্দুর নাম না থাকায় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না তাঁদের দাবি, রীতি অনুযায়ী বিধানসভার কোনও অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, পরিষদীয় মন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার। এ ক্ষেত্রে আমন্ত্রণপত্রে শুধু মাত্র নাম রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকারের।

  • West Bengal Weather: কলকাতা সহ রাজ্যে আবহাওয়া কেমন থাকবে? কী বলছেন আবহবিদরা?

    West Bengal Weather: কলকাতা সহ রাজ্যে আবহাওয়া কেমন থাকবে? কী বলছেন আবহবিদরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাতাসে শীতের আমেজ, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া ক্রমাগত শীতল হয়েই চলেছে। আজও তাপমাত্রা ১৭-এর ঘরেই। তবে কলকাতায় কি আদেও শীত পড়েছে, কী বলছেন আবহবিদরা (West Bengal Weather)?

    কলকাতার আবহাওয়া

    কলকাতায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর আজকের তাপমাত্রা ১৭.৬। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। ফলে গতকালের থেকে সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেও আগামী কয়েক দিন এমনই তাপমাত্রা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯৩ শতাংশ। বুধবার দিনের বেলা আকাশ রৌদ্রজ্জ্বল থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ও ১৮ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন:সকাল-সন্ধে বাতাসে হিমেল ভাব, নভেম্বরেই কি শীতের প্রবেশ রাজ্যে?

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    এই মুহূর্তে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আগামী চার থেকে পাঁচ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে ও বেলা বাড়তেই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় চলে আসবে। ফলে কলকাতায় শীত আসতে এখনও মাসখানেক রয়েছে বলে মনে করেছেন আবহবিদরা। সাধারণত তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নিচে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামলে এবং তা কয়েক দিন স্থায়ী হলেই শীত পড়েছে বলা হয়। বিভিন্ন জেলায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও অর্থাৎ অনেক জেলাতেই তাপমাত্রা ১৫-এর নীচে নেমেছে, ফলে সেই জায়গায় শীত পড়েছে বলে মনে করা হয়। তবে কলকাতার ক্ষেত্রে তা হয়নি। আবহবিদরা জানিয়েছেন, রাতের তাপমাত্রা অন্যান্য বছরে এই সময় যা থাকে তার থেকে ৪ ডিগ্রি কম রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে (West Bengal Weather)।

    আবহাওয়া অফিসের আবহবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এই মুহূর্তে ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপের কোনও ইঙ্গিত না থাকায় আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক ও পরিষ্কার থাকবে। তবে ১৮ থেকে ২০ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই (West Bengal Weather)।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের মত উত্তরবঙ্গেও আগামী চার থেকে পাঁচ দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে (West Bengal Weather)। বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে উপরের জেলাগুলোর মধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিম সংলগ্ন উঁচু এলাকায় সামান্য তুষারপাতও হতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গের আর বাকি জেলায় কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রায় কোনও পরিবর্তন হবে না।      

  • Short Term Course: ভালো কেরিয়ার গড়তে ১০টি স্বল্পমেয়াদি কোর্স সম্পর্কে জানুন

    Short Term Course: ভালো কেরিয়ার গড়তে ১০টি স্বল্পমেয়াদি কোর্স সম্পর্কে জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে, সঠিক কেরিয়ার নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। আজকের দিনে বিভিন্ন কর্মমুখী স্বল্প মেয়াদী কোর্স (Short term Course) করানো হয় সারা দেশব্যাপী অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। টেকনোলজি, ডিজাইন ,ম্যানুফ্যাকচারিং ইত্যাদি নানা রকম কোর্স চালু রয়েছে। স্বল্পমেয়াদি কোর্স (Short term Course) করে স্বনির্ভর হওয়া সম্ভব। আজকে আমরা আলোচনা করব এমনই ১০টি স্বল্প মেয়াদী কোর্স (Short Term Course) সম্পর্কে। প্রথাগত কোর্সের বাইরে, ভিন্ন ধর্মী এই কোর্সগুলি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ভালো কেরিয়ার অপশন। 

    ১) গেম ডিজাইন

    প্রথমেই বলা যাক এই  স্বল্পমেয়াদী কোর্সটির (Short term Course) বিষয়ে। মোবাইল গেম খেলতে কার না আবার ভালো লাগে। আজকের কৈশোর তো বলতে গেলে আউটডোর গেমস এর থেকে মোবাইল গেম বেশি পছন্দ করে। যদি আপনারও ভিডিও গেমে আগ্রহ থাকে তাহলে এই আগ্রহকেই পেশা বানিয়ে নিতে আর দেরি করবেন না। ভিডিও গেমের ডিজাইন, গ্রাফিক্স , ইত্যাদি বানানো এই কোর্সে শেখানো হয়। গেম ডিজাইনিং কোর্সের উপর ডিপ্লোমা করানো হয় ভারতবর্ষের বিভিন্ন কলেজে। এই স্বল্প মেয়াদী কোর্সটি (Short term Course) করে আপনি কেরিয়ার নির্বাচন করতে পারেন নিম্নলিখিত পেশাদার কর্মী হিসেবে।

    1. Multimedia Artists and Animators

    2. Software Developers

    3. Art Directors

    4. Graphic Designers

    5. Web Developers

    6. Final Thoughts

    ২) ডেটা সায়েন্স

    US Bureau of Labor Statistics এর সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২৬ এর মধ্যে ২৭% চাকরি বুস্ট করবে ডেটা সায়েন্স। ভবিষ্যতের সেরা চাকরি বেছে নিতে ডেটা সায়েন্স কোর্সের জুড়ি মেলা ভার। কম্পিউটার ,অংক, স্ট্যাটিসটিক্স, ডেটা অ্যানালিসিস এগুলোতে যদি আগ্রহ থাকে তাহলে বেছে নিতে পারেন এই কোর্সটি। প্রতিটি শিল্প ক্ষেত্রে এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ডেটা সায়েন্স কোর্স পাশ দের। তাদের কাজ হল, বিগ ডেটা অ্যানালাইস করা এবং ব্যবসার উন্নতিতে কাজ করা। সফল পেশাদার হিসেবে বেছে নিতে পারেন নিম্নলিখিত কেরিয়ার গুলি-
    1. Data Scientist

    2. Machine Learning Engineer

    3. Machine Learning Scientist

    4. Applications Architect

    5. Enterprise Architect

    ৩) সাইবার সিকিউরিটি

    একবিংশ শতকে এটা ইনফরমেশন টেকনোলজির যুগ চলছে। টাকা লেনদেন থেকে যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য আদান-প্রদান সবকিছুই অনলাইনে করতে হয়। তাই সাইবার সিকিউরিটি নামের এই স্বল্প মেয়াদী কোর্সের (Short term Course) চাহিদা এখন তুঙ্গে। কম্পিউটার সায়েন্স বা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন এই ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্ররা এই স্বল্প মেয়াদী কোর্স  (Short term Course) নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই স্বল্পমেয়াদি কোর্সের (Short term Course) মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। ‌ কর্মমুখী এই স্বল্প মেয়াদী কোর্সের (Short term Course) মাধ্যমে আপনারা যে কেরিয়ারগুলিকে অপশন হিসেবে বেছে নিতে পারেন সেগুলি হল-

    1. Cybersecurity Analyst

    2. Cybersecurity Consultant

    3. Cyber Security Manager/Administrator

    4. Software Developer/Engineer

    5. Systems Engineer

    ৪) ফার্মাকোলজি

    এই স্বল্পমেয়াদি কোর্স (Short term Course) করে মোটা মাইনের সরকারি বা বেসরকারি কাজের সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন রিসার্চ ইনস্টিটিউশন ,হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যান্ড বায়োটেক ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদিতে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে এই স্বল্প মেয়াদী কোর্সের (Short term Course)। আসুন এবার দেখে নিই, পেশাদার কর্মী হিসেবে কোন কোন কেরিয়ার অপশন আপনি পাবেন এই স্বল্পমেয়াদি কোর্স (Short term Course) করে। 

    1. Pharmacist

    2. Pharmacologist

    3. Pharmaceutical Sales Representative

    4. Pharmaceutical Marketing Manager

    5. Medical Writer

    ৫ ) কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট

    প্রতিটি দেশের অর্থনীতি যত এগোচ্ছে তত বেশি কনস্ট্রাকশন এর কাজ হচ্ছে। সরকারি স্তরে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গৃহ নির্মাণ, শহুরে এলাকায় ফ্ল্যাট তৈরি এগুলো চলছে। তাই কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট এই স্বল্প মেয়াদী কোর্সটি (Short term Course) সময়োপযোগী এতে কোন সন্দেহ নেই। বৃহৎ কনস্ট্রাকশন গুলিতে প্রয়োজন হয় কনস্ট্রাকশন ম্যানেজারের। সার্বিক পরিকল্পনা থেকে , কন্ট্রাক্টর হায়ার করা সমেত সমস্ত খুঁটিনাটি কাজ দেখে নিতে হয় কনস্ট্রাকশন ম্যানেজারদের। এই স্বল্পমেয়াদি কোর্সে (Short term Course) করে একটি ভালো কেরিয়ার অপশন তৈরি করা যায়। কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট এই স্বল্পমেয়াদি কোর্স  (Short term Course)করে আপনি বেছে নিতে পারেন নিচের যে কোন একটি কেরিয়ার অপশন।

    1. Construction Manager

    2. Project Engineer

    3. Estimator

    4. Construction Inspector

    5. Civil Engineer

    আরও পড়ুন: পড়ুন ডেটা সায়েন্স, মাইনে মিলবে মোটা অঙ্কের

    ৬) হিউম্যান রিসোর্স

    প্রথমে খোঁজ নিতে হবে যে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ বিভাগ রয়েছে। সাধারণত বড় বড় দেশি এবং বহুজাতিক সংস্থাগুলিতে এই বিভাগ থাকে। গার্মেন্টস, ফ্যাক্টরি ,মিডিয়া হাউজ, প্রকাশনা সংস্থা, টেলি কমিউনিকেশন এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ রয়েছে এই স্বল্প মেয়াদী কোর্স   (Short term Course) করে। নিম্নলিখিত পদগুলিতে নিয়োগ করা হয় এই স্বল্পমেয়াদী কোর্স (Short term Course) যারা করে থাকেন।

    1. HR Officer

    2. Human Resources Manager

    3. HR Consultant

    4. Executive Recruiter

    5. Compensation and Benefits Manager

    ৭) নার্সিং

    এই কর্মমুখী কোর্সের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকেই আছে যারা বেঙ্গালুরুতে নার্সিং পড়তে যায়। স্বাস্থ্য বিষয়ক এই কোর্স করে বিভিন্ন ছোট বড় বেসরকারি হাসপাতালে অথবা সরকারি হাসপাতালে কাজের সুযোগ রয়েছে। এই কোর্স করে নিম্নলিখিত পেশাগুলিকে বেছে নেওয়া যায়।

    1. Registered Nurse (RN)

    2. Certified Registered Nurse Anesthetist (CRNA)

    3. Cardiac Nurse

    4. Critical Care Nurse and ER Nurse

    5. Family Nurse Practitioner (FNP)

    ৮) ব্যবসা বিষয়ক কোর্স

    ফাইন্যান্স ,মার্কেটিং, একাউন্টেন্ট ইত্যাদি বিভিন্ন স্বল্প মেয়াদী কোর্স (Short term Course) রয়েছে, যেগুলোই ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত। ছোট বড়ো বিভিন্ন বাণিজ্য সংস্থায় এই স্বল্পমেয়াদী কোর্স (Short term Course) পাশ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়োগ করা হয়। নিম্নলিখিত পেশা গুলিকে বেছে নিতে পারেন ব্যবসা বিষয়ক নানা রকম কোর্স করে।

    1. Accountant

    2. Management Consultant

    3. Financial Analyst

    4. Actuary

    5. Corporate Attorney (also requires a law degree)

    ৯) বিজ্ঞাপন ও মার্কেটিং বিষয়ক কোর্স

    এই যুগ বিজ্ঞাপনের যুগ। বিভিন্ন ছোট বড় সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, সরকারি হোক বা বেসরকারি, বিজ্ঞাপন দিতেই হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এর ক্ষেত্র আরো অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজ্ঞাপন এবং মার্কেটিং বিষয়ে বিভিন্ন স্বল্প মেয়াদী কোর্স (Short term Course) পাশ করে নিম্নলিখিত পেশাগুলিকে বেছে নিতে পারেন।

    1. Marketing Manager

    2. SEO Manager

    3. Fundraising Manager

    4. Event Planner

    5. Social Media Manager

    ১০) অর্থনীতি বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স

    অর্থনৈতিক বিষয়ক বিভিন্ন স্বল্প মেয়াদী কোর্স (Short term Course) পাশ করলে পাবলিক পলিসি, হেলথ কেয়ার রিফর্ম ,আরবান প্ল্যানিং সমেত অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। স্বল্প মেয়াদি কোর্সগুলি (Short term Course)পাশ করার পরে যে যে পেশাগুলিতে কেরিয়ার তৈরি করা যায় সেগুলি হল-

    1. Economist

    2. Financial risk analyst

    3. Data analyst

    4. Financial planner

    5. Accountant

  • Temperature in Kolkata: সকাল-সন্ধে বাতাসে হিমেল  ভাব, নভেম্বরেই কি শীতের প্রবেশ রাজ্যে?

    Temperature in Kolkata: সকাল-সন্ধে বাতাসে হিমেল ভাব, নভেম্বরেই কি শীতের প্রবেশ রাজ্যে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমাগত নেমেই চলেছে পারদ। নভেম্বরেই শীতের আমেজ বহু বছর পর পেল কলকাতাবাসী। আজ, মঙ্গলবার নিয়ে টানা তিন দিন ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামল পারদ। রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  সোমবার তাপমাত্রা কমে চলে আসে ১৭’র ঘরে। ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল গতকালের তাপমাত্রা।  মঙ্গলবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।

    কী বলছেন আবহাওয়াবিদরা?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা সহ আশেপাশের এলাকায় ভোর ও রাতের দিকে ভালই শীতের আমেজ। তবে এদিন পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। এদিন জেলায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে আবহবিদরা জানিয়েছেন, এই ঠান্ডাকেই কেউ যেন শীত পড়ে গিয়েছে বলে মনে না করে, কারণ ভোরে ও রাতের দিকে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব থাকলেও দিনের বেলায় সূর্যের তেজ ভালই রয়েছে। ফলে শীত আসলেই একমাত্র দিনে নামবে পারদ। আর শীত আসতে এখনও মাসখানেক দেরি রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আরও ২-৩ দিন এই ঠান্ডার আমেজ বজায় থাকবে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে কলকাতায় শীত পড়বে মনে করেছে আবহাওয়া দফতর। আর একমাত্র তখনই প্রকৃতপক্ষে শীতকালের মজা চুটিয়ে উপভোগ করতে পারবে কলকাতাবাসী।

    কলকাতার আজকের আবহাওয়া

    এদিন সকালে কলকাতা ও আশেপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আপাতত পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের পারদ পতন! একনজরে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    এদিন সকালে দেওয়া উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৭ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিম সংলগ্ন উঁচু এলাকায় সামান্য তুষারপাত হতে পারে। তবে বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকারই সম্ভাবনা। এই সপ্তাহে আর তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    নিম্নচাপের ভ্রুকুটি

    তবে শীতের মধ্যেই ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নতুন করে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে।  বুধবারে আন্দামান সাগরে এর অবস্থান থাকবে। সেই নিম্নচাপের অভিমুখ কোনদিকে হয়, সেদিকেই নজর রাখছেন আবহাওয়া দফতর।

  • SSC Scam: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    SSC Scam: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জামিনের আর্জি খারিজ করা হল। এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) জামিন হল না কারোরই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharyya) সহ এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) ধৃত ৭ জনেরই ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল। 

    জামিনের আবেদন খারিজ

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার ফের রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি আদালতে তোলা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসপি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, প্রদীপ সিং ও প্রসন্ন রায়কেও। আর আদালতে পুনরায় তোলার পরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তরফে জামিনের আবেদন করে তাঁর আইনজীবীরা। কিন্তু পার্থ-সুবীরেশ-কল্যাণময়-শান্তিপ্রসাদদের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করা হল। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকার নির্দেশ দিল পার্থ, কল্যাণময়, সুবীরেশদের।

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাতর আর্জি

    শীত আসছে, তাই জামিন চেয়ে কাতর আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর কাতর আবেদনেও কাজ হল না। সেই জেলেই যেতে হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এদিন তাঁর আইনজীবী আদালতে বলেন, পার্থবাবুর বয়স হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে। শীত পড়লে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। তাই যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক তাঁকে। হাতজোড় করে পার্থবাবু নিজেও বিচারককে বলেন, ”আমার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ।” কিন্তু কিছু করেই জামিন আর হল না (SSC Scam) ।

    আরও পড়ুন: তদন্ত কবে শেষ হবে? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    অন্যদিকে আদালত তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ  করে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলে পার্থর তরফে উল্টে প্রশ্ন করা হয়, “অনন্তকাল ধরে জেলে থাকব নাকি?” যদিও এই প্রশ্ন তিনি নিজে করেননি, তাঁর আইনজীবী সেলিম রহমান করেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “শেষ ১৪ দিনে তদন্তের কী অগ্রগতি হয়েছে যে তাঁকে হেফাজতে রাখতে হবে? কেনই বা সিবিআই-এর তদন্তকারীরা আবার পার্থকে হেফাজতে পাঠাতে চাইছে?” কিন্তু এত কিছু করেও কোনও লাভ হয়নি। তাঁকে আবার ২৮ নভেম্বর পর্যন্তই জেলে থাকার নির্দেশ দিল (SSC Scam) ।

    বাকি অভিযুক্তদের আইনজীবীরা কী বললেন?

    অন্যদিকে সোমবার জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে পার্থর পাশাপাশি আদালতে তোলা হয়েছিল শান্তিপ্রসাদ, সুবীরেশদেরও (SSC Scam) । শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত আদালতকে প্রশ্ন করে, দক্ষ এজেন্সি তদন্ত করার পরও কেন এত দিন লাগছে? সিবিআই-এর কতদিন লাগবে এই মামলায় সেটিও জানাতে বলেন তিনি। আবার অভিযুক্তদের শারীরিক অবস্থা এবং বয়সের কথাও ভেবে জামিনের আবেদনও করেন শান্তিপ্রসাদরে আইনজীবী।

    সুবীরেশের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “তদন্তের কোনও অগ্রগতি হচ্ছে কি? সিবিআই শুধু মুখেই বৃহৎ ষড়যন্ত্রের কথা বলছে, কিন্তু তার প্রমাণ দিতে পাচ্ছে না।’’ ফলে প্রত্যেক অভিযুক্তের আইনজীবীরা নিজেদের বক্তব্য রেখে জামিনের আবেদন করলে আদালত শেষ পর্যন্ত কারোরই আবেদন মঞ্জুর করেনি। এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) অভিযুক্ত প্রত্যেককে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

  • Jorasanko: রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে ভাঙতে হবে তৃণমূলের কার্যালয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Jorasanko: রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে ভাঙতে হবে তৃণমূলের কার্যালয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো (Jorasanko) ঠাকুরবাড়ির ক্যাম্পাসে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কার্যালয় নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে অবৈধভাবে যে তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয় তৈরি করা হচ্ছে, তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা পুরসভাকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশকে কার্যকর করার জন্যে।

    মামলাটি কী?

    রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো (Jorasanko) ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবন ভেঙে বানানো হচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয়। আর এই অভিযোগে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন স্বদেশ মজুমদার নামের এক ব্যক্তি। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই আজ এমন নির্দেশ দিল আদালত। মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজিব চক্রবর্তীর অভিযোগ, জোড়াসাঁকোর বাড়িতে যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে প্রথমবার বঙ্কিমচন্দ্র চটোপাধ্যায়ের দেখা হয়েছিল, সেই ঘরে এখন তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয় তৈরি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এটি ‘গ্রেড ওয়ান’ হেরিটেজ। আর এই ভবনেরই দুটি ঘর ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

    তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, জোড়াসাঁকোর (Jorasanko) সেই ঘরে এখন রবি ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটিও ছবি নেই। তাঁদের বদলে সেখানে টাঙানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ছবি।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা শাসক শিবিরে, হাতছাড়া হল ঝালদা পুরসভা

    তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙার নির্দেশ

    আর এসব অভিযোগ উঠে আসায় হেরিটেজ ভবনে আর ভাঙচুর করা যাবে না বলে এর আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আর এরপর এদিন সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও কড়া নির্দেশ দিয়ে বলল যে তৃণমূলের পার্টি অফিস (Jorasanko) ভেঙে ফেলতে হবে। আজ মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘হেরিটেজ ভবন না হলেও ইচ্ছে মতো যে কোনও জায়গায় এভাবে পার্টি অফিস তৈরি করা যায় কি?’

    জোড়াসাঁকো (Jorasanko) ক্যাম্পাসে শাসকদলের কার্যালয় তৈরি হওয়া নিয়ে শোরগোল পড়ে গেলে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আর এরপরেই মামলার শুনানিতে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ হাইকোর্টের তরফে আরও বলা হয়েছে যে, ক্যাম্পাসে যে অংশে নতুন নির্মাণ করা হয়েছে তা ভেঙে ফেলে জায়গাটিকে ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে ও এটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হেরিটেজ বিভাগকে। এছাড়াও পুনরুদ্ধারের পর হেরিটেজ ভবন বলে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে ওই জায়গাকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ ডিসেম্বর।

     

  • CISF: ঝাড়খণ্ডে সিআইএসএফ-এর গুলিতে মৃত ৪ কয়লা চোর, আহত ২

    CISF: ঝাড়খণ্ডে সিআইএসএফ-এর গুলিতে মৃত ৪ কয়লা চোর, আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা চোরদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ সিআইএসএফ-এর (CISF)। প্রতিবেশি রাজ্যে কয়লা চোরদের সঙ্গে সিআইএসএফ-এর জওয়ানদের সংঘর্ষে নিহত হয় চার কয়লা চোর। আর দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের। শনিবার গভীর রাতে ধানবাদ জেলার বাগমারা থানার বিসিসিএল ব্লক-২ এলাকায় বেনিডিহ কেসিসি মেন সাইডিংয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছিল যে, কয়লা চুরি এবং জওয়ানদের উপর হামলা করার ফলেই গুলি চালানো হয়েছিল বলে খবর সিআইএসএফ সূত্রে।

    কী ঘটেছিল?

    সিআইএসএফ (CISF) সূত্রে খবর, ধানবাদের বাগমারা থানা এলাকায় বেনিডিহ কেসিসি মেন সাইডিং এলাকায় কয়লা চুরির খবর পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত সেখানে পৌঁছে যান তাঁরা। সিআইএসএফ জওয়ানদের আসতে দেখে তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে কয়লা চোররা। তাঁদের কয়লা চুরি করতে বাধা দেওয়ায় সিআইএসএফ-এর গাড়িতেও ভাঙচুর করে কয়লা চোররা। এমনকি এক জওয়ানের বন্দুক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, জওয়ানদের অপহরণের চেষ্টাও করা হয় বলে জানা যায়। এমন পরিস্থিতিতে সিআইএসএফ (CISF) জওয়ানরা নিজেদের আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো শুরু করেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: সিআইএসএফ নয়, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় এবার বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী!

    আর এরপর জওয়ানদের (CISF) গুলিতেই নিহত হয় ৪ কয়লা চোর। ২জন গুরতর আহত হওয়ায় তাদের রাঁচি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের নাম— প্রীতম চৌহান, সাহজাদা আনসারি, আলতাফ আনসারি, সুরজ চৌহান। ঘটনাস্থল থেকে ২১টি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী হাজির হয়। সিআইএসএফ জওয়ানদের বিশাল সংখ্যায় মোতায়েন করা হয়েছে।

    এই ঘটনার পর সিআইএসএফের ডিআইজি বিজয় কাজলা বলেন, ‘‘যে ৪ জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁরা রাতে আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালান। বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালাতে হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।’’ এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে, কী কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Spanish Village: এই দেশে বিক্রি হচ্ছে একটি পুরো গ্রাম, যার দাম শুনলে অবাক হবেন আপনিও!

    Spanish Village: এই দেশে বিক্রি হচ্ছে একটি পুরো গ্রাম, যার দাম শুনলে অবাক হবেন আপনিও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপানারা সাধারণত একটি বাড়ি বা ভিলা কেনার স্বপ্ন দেখে থাকেন, তবে কখনও ভেবেছেন কি যদি আপনি পুরো একটি গ্রাম কিনতে পারেন? পুরো গ্রাম, ভাবতেই অবাক লাগছে তো! কিন্তু এটিই সত্যি। স্পেনের একটি গ্রাম আছে যেটি বিক্রি করা হবে (Spanish Village)। স্পেনের এই গ্রাম ৩০ বছর ধরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। গ্রামটির নাম স্যালতো দে ক্যাস্ট্রো (Salto de Castro)।

    এই গ্রামটি জামোরা প্রদেশের পোতুর্গাল সীমান্তে অবস্থিত। স্পেনের মাদ্রিদ থেকে এই গ্রামে যেতে প্রায় তিন ঘন্টা সময় লাগে। প্রায় তিন দশক ধরে পোর্তুগাল সীমান্তের কাছে গ্রামটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। তাই গ্রামটি এখন বিক্রির জন্য ক্রেতা খুঁজছেন এর বর্তমান মালিক। এটির (Spanish Village) দাম রাখা হয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার ইউরো, যা ভারতীয় মুদ্রায় ২কোটি ১৬ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮৩১ টাকা।

    আরও পড়ুন: ইসলামিক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে খুলল হিন্দু মন্দিরের দরজা

    এই গ্রামে কী কী আছে?

    জামোরা প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামটিতে (Spanish Village) ৪৪টি বাড়ি, হোটেল, চার্চ, স্কুল, সুইমিং পুল রয়েছে। কিন্তু এখান থেকে বাসিন্দারা তিন দশক আগেই সরে গেছেন। এখানে শহরের মত পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই। ২০০০ সালের দিকে গ্রামটির বর্তমান মালিক এটি কেনেন। তিনি গ্রামটিকে পর্যটনকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে অর্থনৈতিক মন্দাসহ নানা কারণে তাঁর পরিকল্পনা সফল হয়নি। তিনি এখানে একটি হোটেলও করার কথা ভেবেছিল কিন্তু তা কিছুই করে ওঠা হয়নি।

    গ্রামটির (Spanish Village) মালিকানা সংস্থা রয়্যাল ইনভেস্টের কর্মকর্তা রনি রদ্রিগেজ বলেছেন, ‘মালিকের এখানে একটি হোটেল করার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এটি হয়নি।’ এই সম্পত্তির কথা Idealista নামক একটি স্প্যানিশ রিটেল ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে গ্রামটি বিক্রির কারণ হিসেবে এর মালিক বলেছেন, ‘আমি শহরে থাকি। গ্রামটি দেখাশোনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এটা বিক্রি করতে হচ্ছে।’

    আর এই রিটেল পেজটিতে বর্তমানে প্রায় ৫০হাজারের বেশি ভিউ এসেছে। এরই মধ্যে রাশিয়া, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ব্রিটেন সহ বেশ কিছু দেশ থেকে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ এই গ্রাম (Spanish Village) কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। একজন কিছু অর্থ অগ্রিম দিয়েও বুকিং করে রেখেছেন।

    প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের দিকে স্পেনের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা ইবারডুরো জলাধার তৈরি করা শ্রমিকদের পরিবারের জন্য এই গ্রাম তৈরি করা হয়েছিল। তবে ওই নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বাসিন্দারা এখান থেকে সরে যেতে থাকেন। এরপর ১৯৮০ সালের শেষ দিকে গ্রামটি (Spanish Village) পুরো খালি হয়ে যায়।

  • Dengue in West Bengal: পুর কর্মীর অভাবেই বাড়ছে ডেঙ্গি, জানাল স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট

    Dengue in West Bengal: পুর কর্মীর অভাবেই বাড়ছে ডেঙ্গি, জানাল স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue In West Bengal) সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর ডেঙ্গি সংক্রমণের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কলকাতা। শহরে লাগামহীন এই সংক্রমণের জন্য দায়ী নজরদারির অভাব। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে এমনি উল্লেখ করা হয়েছে। 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে কী জানা গিয়েছে?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার নজরদারি কর্মীর অভাব রয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় (Dengue In West Bengal) ওয়ার্ড ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হয়নি। আর তার জেরেই বিপত্তি। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতার সব ওয়ার্ডে জনসংখ্যা এক নয়। কিন্তু ডেঙ্গি মোকাবিলায় কর্মী সংখ্যা এক। অর্থাৎ, যেখানে নজরদারি বেশি প্রয়োজন, সেখানে পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব রয়েছে। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর কলকাতার তুলনায় দক্ষিণ কলকাতার ওয়ার্ডগুলোতে জনসংখ্যা বেশি। কিন্তু সেখানে অতিরিক্ত পুর কর্মী নেই। যেমন কোনও ওয়ার্ডে বাসিন্দা সংখ্যা ১০ হাজার, আবার কোথাও বাসিন্দা ২৫ হাজার। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ১০ হাজার মানুষের নজরদারির জন্য যত সংখ্যক পুর কর্মী নিযুক্ত হয়েছেন, ২৫ হাজারেও সংখ্যাটা এক। ফলে, কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। 

    সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী পুরসভার এই ঢিলেঢালা মনোভাবে অত্যন্ত বিরক্ত। তিনি বৈঠকে জানিয়েছেন, একাধিকবার ঠিক করা হয়েছে, দিনে দু’বার পুর কর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নজরদারি করবেন। জল জমা থেকে জ্বরের খবর, সবটাই পুরসভার কাছে থাকবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকতেই রোগ মোকাবিলা সহজ। কিন্তু বাস্তবে কলকাতার অধিকাংশ জায়গায় এই নজরদারি হয়নি (Dengue In West Bengal)। একটি বাড়িতে দু’বেলা যাওয়া তো দূর অস্ত। অনেক ওয়ার্ডে প্রত্যেক বাড়িতে দিনে একবার ও পুর কর্মী যাননি, এমন ঘটনাও ঘটেছে। ফলে, নজরদারির গাফিলতি স্পষ্ট। 

    জুলাই মাস থেকেই ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছিল (Dengue In West Bengal)। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুরসভাকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। এলাকা পরিষ্কার, জ্বর হলে দ্রুত রিপোর্ট পাওয়া, কোনও ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পেলে, সেখানে বিশেষ সক্রিয় থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ ঠিকমতো হয়নি। আর তার জেরেই কলকাতায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়ানক আকার নিয়েছে। দিনে দু’হাজারের কাছাকাছি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৭০ জনের বেশি ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে, কর্মীরা সক্রিয় আছেন। এলাকা পরিদর্শনের কাজ চলছে। যেখানে বাড়তি কর্মী প্রয়োজন, সেখানে অন্য জায়গা থেকে কর্মী পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টাও হচ্ছে। 

    তবে পুরসভার এই যুক্তিতে খুশি নয় স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, পুরসভাকে পাঠানো রিপোর্টে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, নজরদারির জন্য আলাদা কর্মী নিয়োগ না করলে ডেঙ্গি মোকাবিলা করা যাবে না। পরিস্থিতির ও উন্নতি হবে না (Dengue In West Bengal)। 

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, নজরদারিতে গাফিলতি অবশ্য শুধু কলকাতা নয়, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জায়গার পুরসভাতেই রয়েছে। বিশেষত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ওয়ার্ড ভিত্তিক নজরদারির বিশেষ অভাব রয়েছে। ফলে, সেখানে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে (Dengue In West Bengal)। 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছরের অর্ধেক সময় প্রশাসন, ডেঙ্গি হয়েছে, এটা মানতেই চায় না। আর তাতেই সমস্যা বাড়ে। পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন প্রশাসনের হুঁশ ফেরে। প্রত্যেক বছর ডেঙ্গিতে কয়েক’শ মানুষ মারা যাচ্ছেন (Dengue In West Bengal)। তারপরেও কেন রাজ্য সরকারের পরিকল্পনায় গাফিলতি থাকছে? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে পুর দফতর কোথাও পাওয়া যায়নি।

  • Artemis 1 Mission: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    Artemis 1 Mission: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক বাধা কাটিয়ে শেষপর্যন্ত চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়ে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১ মিশন’ (Artemis 1 Mission)। চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল যাত্রীবিহীন মহাকাশযান ‘ওরিয়ন’। চাঁদে ফের মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে আমেরিকার এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আর আজ তার প্রথম ধাপ সম্পন্ন হল। ভারতীয় সময় দুপুর ১২টা ১৭ নাগাদ ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে লঞ্চ হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’।

    বাধা কাটিয়ে সফল উৎক্ষেপণ

    আর্টেমিস-১-এর সফল উৎক্ষেপণের উপর নির্ভর করেই আগামী দিনে নাসা চন্দ্রাভিযান নিয়ে আরও বড় আকারের পরিকল্পনা করবে (Artemis 1 Mission)। এর আগে যান্ত্রিক কারণে দুবারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পরপর দুবার বাতিল করা হয়েছে উৎক্ষেপণ। একবার ইঞ্জিনে ত্রুটি, একবার হাইড্রোজেন গ্যাসের লিকের কারণে উৎক্ষেপণ করা হয়নি। কিন্তু এবার এই যানটি চাঁদের কক্ষপথে গিয়ে যানটিকে কক্ষপথে ছেড়ে দেবে। ক্যাপসুলের মতো খুলে যাবে ঢাকনা। বেরিয়ে আসবে যানটি। চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে অবতরণের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে আসবে ওরিয়ন। মহাকাশচারীদের জন্য লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছে কি না তা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে আসবে স্পেস রকেট।

    আরও পড়ুন: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    আর্টেমিস মিশনের তিনটি ধাপ

    দীর্ঘ ৫০ বছর পর চাঁদে মানুষ পাঠানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাই এর তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। এরই মধ্যে এক ধাপ সফল হয়েছে। নাসার চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশন সম্পন্ন হবে মোট ৩টি ধাপে। যার প্রথম ধাপ ‘আর্টেমিস ১’। এটি যাত্রীবিহীন অভিযান। যার মূল লক্ষ্য, চাঁদের মাটিতে নামার জন্য সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডিং সাইট’গুলি চিহ্নিত করা। অর্থাৎ কোথায় মহাকাশচারীরা অবতরণ করবেন তা চিহ্নিত করা। এরপর একই পরীক্ষা হবে মিশনের দ্বিতীয় ধাপেও। তা সফল হলে তৃতীয় ধাপের অভিযানে চাঁদে পাড়ি দেবে মানুষ (Artemis 1 Mission)।

    উল্লেখ্য, নাসার তরফে জানানো হয়েছে, এটি আবার পৃথিবীর দিকে ফিরে আসবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর। প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করার আগে ওরিয়ন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। অনুমান করা হয়েছে, এটি ২৫ থেকে ২৬ দিনের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করবে।  

LinkedIn
Share