Author: নিমাই দে

  • Manish Sisodia: মণীশকে ৭ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ, জামিনের আর্জির মামলার শুনানি ২১ মার্চ

    Manish Sisodia: মণীশকে ৭ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ, জামিনের আর্জির মামলার শুনানি ২১ মার্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হেফাজতে পাঠানো হল আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia)। সাত দিনের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। শুক্রবার দিল্লি কোর্টে মণীশের জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে ১০ দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে ১০ দিনের পরিবর্তে তাঁকে ৭ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    ইডির হেফাজতে মণীশ সিসোদিয়া

    আবগারি নীতি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীকে (Manish Sisodia) ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সিবিআই হেফাজতে থাকার পর ৬ মার্চ জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন থেকেই তিনি তিহার জেলে ছিলেন। সিবিআইয়ের গ্রেফতারি মামলায় এদিন সিবিআইয়ের স্পেশাল আদালতে মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। যদিও সেই আবেদন এদিন শোনা হয়নি, আগামী ২১ মার্চ এই মামলার শুনানি হবে বলে আদালত জানিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুন:গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    তবে অন্যদিকে বৃহস্পতিবার এই একই মামলায় জেলে গিয়ে দফায় দফায় জেরা করে ইডি। তারপরই বিকেলের দিকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দিল্লির বিশেষ আদালতে মণীশের (Manish Sisodia) মামলার শুনানিতে ইডি জানায়, এই দুর্নীতিতে নতুন অনেক তথ্য মিলেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে। আরও জানায়, প্রায় ২৯২ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ ঘটেছে এই দুর্নীতিতে। ইডির আইনজীবী বলেন, “আমরা একাধিক অফিসারকে ডেকে পাঠিয়েছি। সিসোদিয়াকে হেফাজতে নিয়ে মুখোমুখি তাঁদের বসিয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই।” শুধু তাই নয়, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে আদালতে জানিয়েছে ইডি।

    যদিও এদিন আদালতে মণীশের পক্ষের আইনজীবী জানান, বেআইনিভাবে তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ফলে দু’পক্ষের জওয়াল জবাব শেষে বিচারক ৭ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Bomb Blast: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে ফের বোমা বিস্ফোরণ! মৃত ১, গুরুতর জখম ৩

    Bomb Blast: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে ফের বোমা বিস্ফোরণ! মৃত ১, গুরুতর জখম ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। আবারও বোমা বিস্ফোরণ মুর্শিদাবাদের নওদায় (Bomb Blast)। বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন অন্তত তিন জন। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের নওদা থানার মধুপুর পঞ্চায়েতের এলাকার ডাঙ্গাপাড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় মৃতের নাম মেজবুল শেখ। আহত এক ব্যক্তির নাম কাবিজুল শেখ। বোমা বাঁধতে গিয়েই এই বিপত্তি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, রাতে মধুপুরের কাবিজুল শেখের বাড়ির পাশে বোমা বাঁধছিলেন কয়েক জন যুবক। সে সময়েই আচমকা বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় আহত হয়ে ছিটকে পড়েন ৩ জন। আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসা চলাকালীন এক জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নওদা থানার পুলিশ। তবে কে বা কারা বোমা মজুত করেছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি স্থানীয় বাসিন্দারা।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মৃতের পরিবারের দাবি

    অন্যদিকে মৃতের পরিবারের দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়ে নয়, বোমা ছুঁড়ে খুন করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির ছেলে বকুল শেখ বলেন, “এটা কোনও বোমা বিস্ফোরণ নয়। মধুপুরের এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর গুন্ডাবাহিনী আমার বাবাকে বোমা মেরে খুন করেছে। ওরা এর আগের পঞ্চায়েতে ছাপ্পা ভোট করেছিল। আমাদের ভোট দিতে দেয়নি।” এ ব্যাপারে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল বলেন, “বোমা বাঁধতে দিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ নাকি বোমা ছোঁড়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এছাড়াও সেই জায়গায় আরও বোমা পড়ে রয়েছে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তবে স্থানীয়দের দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়েই তাঁদের এই অবস্থা। এর পর ঘটনাস্থলে নওদা থানার পুলিশ পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নওদার আমতলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। তার পর সেখানেই মেজবুলকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “ওখানে বিধায়ক গোষ্ঠী ও সাংসদ গোষ্ঠী দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাদমান। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কে প্রধান হবেন আর কে টিকিট পাবেন, সেই নিলাম নিয়ে গন্ডগোলের দু’চারটে মরছে। কী আর করা যাবে!”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Bonny Sengupta: ‘পারিশ্রমিক’ হিসেবে গাড়ি নিয়েছিলেন বনি, কিন্তু কুন্তলের উল্টো বক্তব্য! কী বললেন তিনি?

    Bonny Sengupta: ‘পারিশ্রমিক’ হিসেবে গাড়ি নিয়েছিলেন বনি, কিন্তু কুন্তলের উল্টো বক্তব্য! কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে প্রায় ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতর থেকে বেরোন টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের সূত্রে টলিপাড়ার বনিকে শুক্রবার তলব করেছিল ইডি। তবে তার এক দিন আগে বৃহস্পতিবার সকালেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যান বনি। এর পরই প্রকাশ্যে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি জেরার মাঝেই বিরতির সময়ে বনি সংবাদমাধ্যমে বলেন যে, কীভাবে তাঁর সঙ্গে কুন্তলের সম্পর্ক ও  গাড়ি কেনার জন্য তাঁকে ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কোনও টলি অভিনেতাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন তদন্তকারীরা।

    কুন্তল ও বনির আর্থিক লেনদেন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    প্রথমত, নিয়োগ দুর্নীতিতে বনির নাম জড়ানোর ফলে প্রশ্ন ওঠে যে, তবে কি টালিগঞ্জেও নিয়োগ দুর্নীতির ছায়া? দ্বিতীয়ত, অভিনেতা বলেন, “অনেক সময়ে হয় না, আমাদের পরিচিতরা কিছু দিতে চান, তেমনই হয়েছিল এক্ষেত্রে।” আর কোনও লেনদেন? তখন বনি জানিয়েছেন, আর কোনও লেনদেন তাঁর সঙ্গে কুন্তলের হয়নি। তবে কি ব্যক্তিগত সম্পর্কের জন্যই কুন্তল বনিকে টাকা দিয়েছিলেন? যদিও বনি এই গাড়ি নেওয়ার ব্যাপারে বলেন, “কিছু ইভেন্ট করে দেওয়ার কথা ছিল। আমি তখন গাড়ির প্রয়োজনীয়তার কথা বলি।” ফলে বনি জানান যে, গাড়ির বিষয়টি আসলে বিনিময় প্রথার কাজ করেছিল। তিনি কাজ করে দিয়েছিলেন, তার বদলে গাড়ি নিয়েছিলেন। বনি সেনগুপ্তের দাবি, কুন্তলের সঙ্গে লেনদেনের বিষয়ে তাঁর কোনও লিখিত চুক্তি হয়নি। সূত্রের দাবি, এখানেই ইডির তদন্তকারীদের প্রশ্ন, চুক্তি ছাড়া এত টাকা কিসের জন্য নিলেন বনি সেনগুপ্ত? তাঁর দাবির পক্ষে কি কোনও প্রমাণ আছে?

    আরও পড়ুন: ধর্মঘট রুখতে কড়া অবস্থান রাজ্যের, উপস্থিতির হার কত, নজর রাখবেন মমতা

    কুন্তলের উল্টো বক্তব্য

    কুন্তলের থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি বনি (Bonny Sengupta) ‘পারিশ্রমিক’ বলে উল্লেখ করলেও অন্যদিকে কুন্তল উল্টো কথাই বলেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমার ইভেন্টের টাকা নিয়ে উনি কী করেছেন আমি কী করে বলব?”

    অন্যদিকে বনির (Bonny Sengupta) ঘনিষ্ঠ বান্ধবী কৌশানি জানিয়েছেন, ধৃত যুব তৃণমূল নেতার সঙ্গে বনির আর্থিক সম্পর্ক নিয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। তিনি বলেন, “এগুলো অনেক আগের, বনি জানে, বনিই বলতে পারবে। বনির সঙ্গে কৌশানির ব্যক্তিগত সম্পর্ক, আমি বাড়ির চার দেওয়ার মধ্যে রাখি। বাড়ির বাইরে যায় না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই”, বনি প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই”, বনি প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়াল টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta)। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে তলব করেছিল ইডি। তবে তলবের একদিন আগেই হাজিরা দিলেন তিনি। তলব করা হয়েছিল শুক্রবার। তার একদিন আগেই ইডির দফতরে হাজির হলেন বাংলা সিনেমার অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। তলবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরেই তিনি পৌঁছলেন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে। আর বনির প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সাফ জানালেন, ভোটের সময় বিজেপিতে এসেছিলেন বনি সেনগুপ্ত। গত দুবছর পার্টির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁর। তিনি যদি টাকা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকেই এটা দেখতে হবে। এরসঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।

    কী সম্পর্ক রয়েছে বিজেপির সঙ্গে বনির?

    ২০২১-এ রাজ্যের ‘হাই ভোল্টেজ’ বিধানসভা নির্বাচনের আগে টলিপাড়ার অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীকে রাজনৈতিক দলের পতাকা হাতে নিয়ে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। মা পিয়া সেনগুপ্ত তৃণমূলের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন বনি। উল্লেখ্য, ২০২১-এ বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনি, দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার কথা তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন ২০২২-সালেই। তাঁর বক্তব্য ছিল, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি, তাই এক বছরেই মোহভঙ্গ। এবারে বিজেপির সঙ্গে অভিনেতার আর কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) ।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত, তলবের একদিন আগেই ইডি দফতরে হাজিরা

    বিরোধী দলনেতা কী বললেন?

    এদিন যখন সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেও গিয়েছেন বনি, অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সংবাদমাধ্যমে বনিকে নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “বনি যদি টাকা নিয়ে থাকেন তাহলে তাকেই ব্যক্তিগতভাবে তার জবাব দিতে হবে। বিজেপি এইসব ‘অ্যালাউ’ করে না। ভোটের সময় ওরকম অনেক তারকারাই দলে যোগ দেন। ২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই।”

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের দেওয়া নথিতে বনি সেনগুপ্তের নামও রয়েছে। সে বিষয় নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে বনিকে ডেকে পাঠিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। বনির কয়েকজন এজেন্টকেও তলব করা হয়েছে বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar PAN Linking: আজই করে নিন প্যান-আধার লিঙ্ক, নয়তো দিতে হবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা!

    Aadhaar PAN Linking: আজই করে নিন প্যান-আধার লিঙ্ক, নয়তো দিতে হবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগিয়ে আসছে আধার-প্যান লিঙ্ক করার ডেডলাইন (Aadhaar PAN Linking)। প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে তা না করলে প্যান কার্ড অকেজো হয়ে যাবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। বেশ কিছু পরিষেবা পাওয়ার জন্য এই প্যান-আধার লিঙ্কিং বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। সম্প্রতি আয়কর দফতর ঘোষণা করেছে, প্যানের সঙ্গে আধারের লিঙ্ক বাধ্যতামূলক। যারা এখনও তা করেননি তা তাঁরা করে ফেলুন। আগামী ৩১ মার্চের আগে ওই কাজ শেষ না করলে ১ এপ্রিল থেকে প্যান কার্ড অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।

    লিঙ্ক করতে দিতে হবে টাকা!

    প্রসঙ্গত, এর আগে আধার-প্যান লিঙ্কিংয়ের ডেডলাইন ছিল ২০২২ সালের ৩১ মার্চ। পরে তা বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ করা হল। তবে এখন আধার ও প্যান লিঙ্ক করাতে হলে ১০০০ টাকা ফি জমা দিতে হচ্ছে জনগণকে। প্যান কার্ড ও আধার কার্ড লিঙ্ক না হলে আয়কর রিটার্ন ফাইল করা যাবে না। আর এই সময়েও যাঁরা আধার ও প্যান লিঙ্ক করবেন না তাঁদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।

    কীভাবে প্যান-আধার লিঙ্ক করবেন?

    আয়কর দফতরের ওয়েবসাইট incometaxindiaefiling.gov.in-এ যেতে হবে।

    হোম পেজে ‘Link Aadhaar’ সেকশনে যেতে হবে।

    একটি নতুন উইন্ডো আসবে, আপনার আধার বিবরণ, প্যান এবং মোবাইল নম্বর লিখুন।

    ‘I validate my Aadhar details’ অপশনটি বেছে নিন।

    আপনি আপনার নিবন্ধিত ফোন নম্বরে একটি OTP পাবেন।

    এটি পূরণ করুন এবং ‘Validate’ এ ক্লিক করুন।

    জরিমানা দেওয়ার পরে আপনার প্যান আপনার আধারের সঙ্গে লিঙ্ক করা হবে।

    আরও পড়ুন: ‘সীমান্তে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে যোগ্য জবাব দেবে মোদির ভারত’, দাবি মার্কিন রিপোর্ট

    প্যান-আধার লিঙ্ক না করলে কী হবে?

    ১)আধার কার্ডের সঙ্গে প্যান কার্ড লিঙ্ক না করলে আপনি ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন (ITR) ফাইল করতে পারবেন না।

    ২) আপনার প্যান কার্ডের সঙ্গে যদি আধার কার্ড লিঙ্ক না করা থাকে, তাহলে আপনি একাধিক সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভর্তুকি পাওয়া, পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা এবং সর্বোপরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা।

    ৩) আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা না থাকলে আপনি নতুন প্যান কার্ডও পাবেন না।

    ৪) প্যান কার্ডের সঙ্গে যদি আধার কার্ড লিঙ্ক না করা থাকে, তাহলে আপনাকে ইনকাম ট্যাক্স আইন অনুযায়ী ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hong Kong Flu: কোভিডের পর নয়া আতঙ্ক হংকং ফ্লু! কী এর উপসর্গ? কী জানাল আইসিএমআর?

    Hong Kong Flu: কোভিডের পর নয়া আতঙ্ক হংকং ফ্লু! কী এর উপসর্গ? কী জানাল আইসিএমআর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের পর এবারে নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে হংকং ফ্লু (Hong Kong Flu)। দেশ জুড়ে এই ভাইরাসের দাপট বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের এই উপরূপ এইচ৩এন২ (H3N2)। এই ভাইরাসের সংক্রমণে যে জ্বর হচ্ছে তার নামই হংকং ফ্লু। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই দেশ জুড়ে বেড়েছে ভাইরাল ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্যা। জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছেন অনেকে। জ্বর সারলেও কাশি, গলা খুসখুস থেকেই যাচ্ছে। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর ভিড়। এই ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় অনেক বেশি।

    কী এই হংকং ফ্লু?

    ইনফ্লুয়েঞ্জা এ সাবটাইপ এইচ৩এন২ কে ‘হংকং ফ্লু’ (Hong Kong Flu) বলা হয়। এই ভাইরাস আক্রান্তের শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। সাধারণভাবে ইনফ্লুয়েঞ্জাকে এ, বি, সি, ডি এই চারভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ও বি সাধারণভাবে এর জন্য দায়ী। এইচ৩এন২ হল ইনফ্লুয়েঞ্জা এ-এর একটি সাবটাইপ। এই ভাইরাসের প্রভাবে যে ফ্লু হয়, তাকে বলা হয় ‘হংকং ফ্লু’।

    কী এর উপসর্গ?

    গলা ব্যথা, কাশি, জ্বর, সর্দি কিংবা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা ব্যথা, মাথা ব্যথার ক্লান্তি অনুভূত হওয়া এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির বমি কিংবা ডায়েরিয়াও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণভাবে একসপ্তাহ সময় লাগে এর থেকে সুস্থ হতে। অন্যান্য উপসর্গ ৩ দিনের মাথায় কমতে শুরু করলেও কাশির সমস্যা কমতে ১৫ দিনের বেশি লেগে যাচ্ছে। তবে কারও কারও এর থেকে বেশিই সময় লাগছে।

    আরও পড়ুন: অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই ফের ৩ শিশুর মৃত্যু, বিসি রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ

    আইসিএমআর-এর তরফে কী বলা হল?

    এই ভাইরাস (Hong Kong Flu) নিয়ে সতর্ক করল আইসিএমআর। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, জ্বর, কাশি, শ্বাসের সমস্যা হচ্ছে এই ভাইরাসের প্রভাবে। অন্তত মাস দুয়েক থাকছে উপসর্গ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের এইচ৩এন২-এর প্রকোপে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এই ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবে, তা হল- বারে বারে হাত ধুতে হবে, সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখতেই হবে। ফেস মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোবেন না। বারে বারে নাকে ও মুখে হাত দেবেন না। হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে নিন। ধূম জ্বর, শুকনো কাশি, গায়ে ব্যথা বা হাল্কা শ্বাসকষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট করিয়ে নিতে হবে।

    আবার হাত মিলিয়ে হ্যান্ডশেক করা বা কোলাকুলি করবেন না। জনবহুল জায়গায় থুতু ফেলবেন না। নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না, উপসর্গ বুঝলে ডাক্তার দেখিয়ে সঠিক চিকিৎসায় থাকুন। বেশি ভিড়ে যাবেন না, বাসে বা গণপরিবহনে ঘেঁষাঘেঁষি করে বসা বা রেস্তোরাঁ ভিড় থাকলে সেখানে গিয়ে খাওয়া ঠিক হবে না।

    শিশু না বড়রা, কাদের জন্যবেশি ক্ষতিকারক এই ভাইরাস?

    ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয় শিশুদের ক্ষেত্রে। বড়রা নানা রকম সাবধানতা অবলম্বন করতে পারলেও ছোটদের এই সব নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য করানো খুব কঠিন। তার উপর অপুষ্টিজনিত সমস্যা থাকলে এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করা মুশকিল হয়। চিকিৎসকদের মতে, কোভিড পরবর্তী সময়ে শিশুদের ফ্লুয়ে আক্রান্তের হার প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এ সময়ে শিশুদের প্রতি বাড়তি নজর রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adenovirus: অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই ফের ৩ শিশুর মৃত্যু, বিসি রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ

    Adenovirus: অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই ফের ৩ শিশুর মৃত্যু, বিসি রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) ফলে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। রাজ্যে ফের তিন শিশুর মৃত্যু হল। এর মধ্যে কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল দুই শিশু। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। অন্য শিশুটি মারা যায় সকালে। শিশু দু’টির মৃত্যুর শংসাপত্রে কারণ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে নিউমোনিয়ার। শিশু দু’টি অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল কিনা, এখনও তা জানা যায়নি। কারণ এখনও পর্যন্ত অ্যাডিনো রিপোর্ট আসেনি। আর এক জন মারা গিয়েছে কলকাতা মেডিক্যালে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই শিশুরও মৃত্যুর কারণ জানতে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

    মেডিক্যাল কলেজ ও বিসি রায় হাসপাতালে শিশুমৃত্যু

    মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, বুধবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, তার বয়স এক বছর দু’মাস। বাড়ি ফুলিয়ায়। কৃষ্ণনগর থেকে তাকে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। শিশুটির নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ ছিল (Adenovirus)।

    আরও পড়ুন: ক্রিকেটীয় পিচে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করার পথ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    অন্য দিকে, বিসি রায় হাসপাতালের শিশুটির বয়স ছিল ৯ মাস। তারও জ্বর-সর্দিকাশি ছিল। রাজারহাটের বাসিন্দা এই শিশুটির মৃত্যুর কারণও অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ কি না জানা যায়নি। আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার এই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফুলবাগান এলাকার বাসিন্দা সে। বয়স ছিল মাত্র ন’মাস। শিশুটির জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রেখে চলছিল চিকিৎসা। তার ফুসফুসের অবস্থা খারাপ ছিল। ছিল নিউমোনিয়াও। এখনও অ্যাডিনো পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ মারা যায় শিশুটি (Adenovirus)।

    বিসি রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে দু’মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১২৯ জন শিশুর। অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) আতঙ্কের মধ্যেই হাওড়ার শ্যামপুরের একটি পরিবারের অভিযোগ, ১০ ঘণ্টা কার্যত বিনা চিকিৎসায় পড়েছিল তাদের চার বছরের শিশু। প্রথমে আইসিইউ নেই বলে বন্ডে সই করানো হয়। অভিযোগ, এরপর শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভর্তি করা হয় আইসিইউ-তে। তাঁরা প্রশ্ন করেন, আইসিইউ খালি থাকা সত্ত্বেও প্রথমে বন্ড সই করানো হল কেন? একইসঙ্গে শিশুর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে থার্মোমিটারও কিনে আনতে বলা হয়। বিসি রায় হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শিশুর পরিবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Capt Shiva Chauhan: সিয়াচেনের দায়িত্বে প্রথম মহিলা অফিসার! কে এই ক্যাপ্টেন শিবা চৌহান?

    Capt Shiva Chauhan: সিয়াচেনের দায়িত্বে প্রথম মহিলা অফিসার! কে এই ক্যাপ্টেন শিবা চৌহান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। গোটা দেশের নজরে সিয়াচেন হিমবাহের (Siachen) সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে নিযুক্ত ক্যাপ্টেন শিবা চৌহান (Capt Shiva Chauhan)। সিয়াচেনের কুমার পোস্টের দায়িত্বে রয়েছেন শিবা। এই কুমার পোস্ট সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার ৬০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত। এই অঞ্চলের তাপমাত্রা মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাঁর নেতৃত্বে একটি সেনাদল যুদ্ধের প্রযুক্তিগত কৌশলের উপর কাজ করবে। আপাতত তিন মাসের জন্য কুমার পোস্টে মোতায়েন থাকবেন শিবা এবং তাঁর দল।

    কে এই শিবা?

    রাজস্থানের উদয়পুরে জন্ম হয়েছে শিবা চৌহানের (Capt Shiva Chauhan)। মাত্র ১১ বছর বয়সে বাবাকে হারান তিনি। উদয়পুরের একটি স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে রাজস্থানের এনজিআর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। ছোট থেকেই সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন শিবা। তাই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেই প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হন চেন্নাইয়ের অফিসারর্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে। প্রশিক্ষণ শেষ করে ২০২১ সালে ভারতীয় সেনার ইঞ্জিনিয়ারিং রেজিমেন্টে যোগ দেন। ২০২২ সালে কার্গিল দিবস উপলক্ষে সোই সাইক্লিং অভিযানের নেতৃত্ব দেন শিবা। সোই ইঞ্জিনিয়াদের নেতৃত্বের ভার তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। তাঁর অভূতপূর্ব প্রদর্শনের জন্য সিয়াচেনের ব্যাটল স্কুলে প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত হন তিনি। এর পর পুরো এক মাস ধরে কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন শিবা।

    এর আগেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস তাদের অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ক্যাপ্টেন শিবা চৌহানের (Capt Shiva Chauhan) এই সাফল্যের কথা গোটা দেশবাসীকে জানিয়েছে। সেখানে লেখা ছিল, “শিবা চৌহান বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহে কুমার পোস্টে কর্মরত প্রথম মহিলা অফিসার হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন।” দুটি ছবিও শেয়ার করেছে ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘ব্রেকিং দ্য গ্লাস সিলিং’। আর এবারে ক্যাপ্টেন চৌহানের (Capt Shiva Chauhan) কঠোর প্রশিক্ষণের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টকে জেরা করতে গঠন ৬ সদস্যের বিশেষ দল! কী কী প্রশ্ন করবে ইডি?

    Anubrata Mondal: কেষ্টকে জেরা করতে গঠন ৬ সদস্যের বিশেষ দল! কী কী প্রশ্ন করবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে অনুব্রত মণ্ডলকে ইডি হেফাজতে নেওয়ার পরই আজ সকাল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে জেরা। আবার সেই জেরার মাঝেই তাঁকে আজ আধ ঘণ্টার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সরকারি হাসপাতালে। এর পর ফের শুরু হয়েছে জেরা। সূত্রের খবর, কেষ্টকে জেরায় এবার বিশেষ দল গড়েছে ইডি। ৬ সদস্যের বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দলের নেতৃত্বে দুঁদে আইপিএস, ইডির স্পেশাল ডিরেক্টর সনিয়া নারাং। তবে সরকারিভাবে কেউই এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেননি। দিল্লি অফিসে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করবেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, অনুব্রতর জন্য প্রশ্নবাণ তৈরি করেছে ইডি। 

    কী কী প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হবে অনুব্রতকে?

    জানা গিয়েছে, তাঁকে জিজ্ঞেস করা হবে এনামুল হকের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে? গরু পাচারে প্রোটেকশন মানি পেয়েছেন কি না? আয়ের উত্‍স কী? একাধিক রাইস মিল কার টাকায় কেনা? বিরাট অঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের উত্‍স কী ইত্যাদি। জানা যাচ্ছে, গোটা জেরাপর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে। এছাড়াও এনামুল হক, সায়গল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি ও আরও বেশ কয়েকজন সাক্ষীর বক্তব্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে প্রশ্ন করবে ইডি। সবথেকে প্রথমে যে প্রশ্নটা করা হতে পারে, তা হল এনামুল হককে কীভাবে চেনেন অনুব্রত? সিবিআইও আগে এই প্রশ্ন করেছিল। দ্বিতীয় প্রশ্নটি সায়গল হোসেনের কল রেকর্ড নিয়ে। দেখা গিয়েছে, এনামুল হকের সঙ্গে ২০১৭-১৮ সালে সায়গল হোসেনের ৭৫ বার কথা হয়েছে। সায়গলের মোবাইল ব্যবহার করে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে একাধিকবার এনামুল হকের কথা হয়েছে। ফলে প্রশ্ন, এতবার কী নিয়ে কথা হয়েছে? এরপর অনুব্রত মণ্ডলের কাছ থেকে তাঁর গত পাঁচ বছরের আয়করের হিসাব চেয়ে ছিলেন তদন্তকারীরা। সেই থেকে তাঁর আয়বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হবে তাঁকে। এছাড়াও অন্যের পাওয়া লটারিও নিজে মোটা টাকায় কিনে নিয়েছেন অনুব্রত, সেটা জানতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।পাশাপাশিই রাইস মিল-সহ বিভিন্ন সম্পত্তি নিয়েও জেরা করা হবে অনুব্রতকে।  

    আরও পড়ুন: ভেঙে পড়ছে সাম্রাজ্য! অনুব্রত প্রসঙ্গে মমতাকে খোঁচা অমিত মালব্যর

    হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কেষ্টকে

    বুধবার ‘হোলি’ তথা ছুটির দিন হলেও ইডির অফিসারেরা অনুব্রতকে তাঁদের সদর দফতরে জেরা করা শুরু করেছেন। তবে বিচারক অনুব্রতের দৈনিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাই সকালের কিছু পরে তাঁকে রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে আধঘণ্টা ধরে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরে আবার অনুব্রতকে ইডির সদর দফতরে এনে জেরা করা শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sevoke-Rangpo Rail Line: এবারে রেলপথেই যাওয়া যাবে সিকিম! সেবক থেকে রংপো রেলপথ পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী

    Sevoke-Rangpo Rail Line: এবারে রেলপথেই যাওয়া যাবে সিকিম! সেবক থেকে রংপো রেলপথ পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সুখবর! খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে সেবক-রংপো রেলপথ (Sevoke-Rangpo Rail Line)৷ এবারে রেলপথেই সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে সিকিম। নরেন্দ্র মোদি সরকারের উদ্যোগে সেবক-রংপো রেললাইনের কাজ ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এবার সেই কাজ পরিদর্শনে গেলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রবিবার তিনি সরাসরি সেবকে যান এবং সেখানে জংশন রেলস্টেশনের কাজের অগ্রগতি কতদূর হল, তা খতিয়ে দেখেন। সেবকের ওই জংশন স্টেশনকেই সিকিমের গেটওয়ে করার ব্যাপারেও আধিকারিকদের নির্দেশ দেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। এর পাশাপাশি এই রেলপথে জুড়তে চলেছে ইন্দো-চিন নাথুলা সীমান্ত। রবিবার শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সেটাই স্পষ্ট করেছেন দেশের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    সেবক-রংপো রেললাইন পরিদর্শনে অশ্বিনী বৈষ্ণব

    সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য রেলে এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছেন।” মন্ত্রী জানান, সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেল সুড়ঙ্গ (Sevoke-Rangpo Rail Line) প্রায় তৈরি। সেখান থেকে গ্যাংটক এবং গ্যাংটক থেকে নাথুলা পর্যন্ত যাতায়াত শুরু করবে রেল দফতর। 

    বাংলার সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ রেলপথে

    বর্তমানে সরাসরি সিকিম যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। ৩১এ জাতীয় সড়ক দিয়েই বাংলার সঙ্গে সিকিমের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু, বর্ষার সময় এই জাতীয় সড়কের বেহাল দশা হয়। ফলে পর্যটক থেকে স্থানীয়দের চরম সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই বাংলা-সিকিমের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই রেলপথ (Sevoke-Rangpo Rail Line) চালু হলে ইতিহাসে প্রথম সিকিমের সঙ্গে গোটা দেশের রেল যোগাযোগ শুরু হয়ে যাবে। সূত্রের খবর, ২০২৪-এর শুরুতেই সিকিমের সঙ্গে সংযোগকারী সেবক-রংপো রেলপথের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরই এই রেলপথ রেল মন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, মোট ৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দে সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত মোট ৪৪.৯৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে।

    রেলপথেই যাওয়া যাবে নাথুলায়!

    এই রেলপথের মাধ্যমে সরাসরি গ্যাংটকের সঙ্গে যেমন যোগাযোগ করা যাবে, তেমনই ভারত-চিন সীমান্ত নাথুলা পাসেও পৌঁছে যাওয়া যাবে। ফলে যে কোনও পরিস্থিতিতে সহজেই সেনাদের কাছে রসদ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। রেলমন্ত্রী বলেন, “দেশের সামরিক সুরক্ষার স্বার্থে নাথুলার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও আগে উন্নত করা জরুরি ছিল৷ প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সেটা হতে চলেছে৷ নাথুলা পর্যন্ত এই রেলপথ যুক্ত হলে সেনাবাহিনীর রসদ সংগ্রহে অত্যন্ত সুবিধা হবে।”

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ রেলমন্ত্রীর

    একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বাংলার সরকারের তীব্র সমালোচনা করে রেলমন্ত্রী বলেন, “বাংলার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে মোদিজি বিপুল বরাদ্দ করেছেন৷ কিন্তু বাংলার আইন শৃঙ্খার সমস্যা, কোথাও জবর দখল- এই সব কারণে আটকে রয়েছে রেলের বহু প্রকল্পের কাজ৷”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share