Author: নিমাই দে

  • Delhi-Mehrauli Murder: নম্র স্বভাবের ছিলেন ‘কিলার’ আফতাব! আর কী বললেন প্রতিবেশীরা?

    Delhi-Mehrauli Murder: নম্র স্বভাবের ছিলেন ‘কিলার’ আফতাব! আর কী বললেন প্রতিবেশীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে আফতাবের নৃশংসতায় গোটা দেশ শিউরে উঠেছে। মানুষ যে কতটা পাশবিক হয়ে উঠতে পারে তারই সাক্ষী থাকল পুরো দেশ (Delhi-Mehrauli Murder)। দিল্লিতে বান্ধবী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল আফতাব। প্রতিদিন মাঝরাতে সেই দেহাংশ ঝোপঝাড়ে গিয়ে ফেলে আসত, একথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে আফতাব। এরইমধ্যে এক নতুন তথ্যের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, কীভাবে রক্ত পরিষ্কার করতে হয়? নৃশংসভাবে খুনের পর সেটাই গুগলে সার্চ করেছিল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। দিল্লির ছত্তরপুর পাহাড়ি এলাকার আবাসনের বাসিন্দাদের চোখে-মুখেও এখন আতঙ্কের ছাপ। সেখানকার বাসিন্দারা কেই বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে, আফতাবের মত মানুষ এমন পাশবিক কাজ করতে পারে। কারণ তাদের কাছে আফতাব একজন ভালো মানুষ।  তবে জানেন কি কীভাবে সে ওই বাড়িতে শ্রদ্ধাকে খুন করে, নীচে প্রতিবেশী থাকা সত্ত্বেও কেউ কীভাবে টের পেলেন না, গন্ধ যাতে কেউ না পায় তার জন্যই বা সে কী করত? এই বিষয়ে বিশদে জানলে আরও বেশি শিউরে উঠবে মানুষ।

    কীভাবে খুন করল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধর্মীয় ব্যবধানের কারণে শ্রদ্ধার বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ককে মেনে না নিলে তাঁরা দিল্লিতে চলে আসেন ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চাইলেও আফতাব তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকত। সূত্রের খবর, গত ১৮ মে অভিযুক্ত আফতাব ও শ্রদ্ধার ঝগড়া চরমে পৌঁছয়। এই ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধা চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা যাতে তাঁদের ঝগড়া না শুনে ফেলে, সেই ভয়ে শ্রদ্ধাকে চুপ করাতে যায় আফতাব। শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরে। আর এতেই মৃত্যু হয় তরুণীর। কিন্তু এরপর এই কাণ্ড লুকোতে যা করল আফতাব তা আরও হাড় হিম করে দেওয়ার মত ঘটনা। এরপরেই একটি ফ্রিজ কিনে আনে ও শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরোয় কেটে ফ্রিজারে রেখে দেয়। শুধু তাই নয়, গন্ধ যাতে না বের হয় তার জন্য ব্যবহার করা হত আগরবাতি, ধূপ এবং রুম ফ্রেশনার (Delhi-Mehrauli Murder)।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পুরো একদিন লেগেছে শ্রদ্ধার দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরতে। আর এসব তার বাথরুমে করে। আবার তার ঘরের মেঝেও অনেকবার মুছেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার ২-৩ মাস পর্যন্ত তার কেটে রাখা মাথা রেখে দেয় ও তারপর ফেলে দেয়। রাত দুটো নাগাদ জঙ্গলে যেত। ঘণ্টাদুয়েক পরে ফিরে আসত। প্রায় ২০ দিন ধরে সেই কাজ করেছিল সে (Delhi-Mehrauli Murder)।

    প্রতিবেশীরা কী বলছেন?

    যেই বাড়িটি তারা ভাড়া নিয়েছিল, তার নীচের এক প্রতিবেশী বলেন, তারা কখনও বুঝতেই পারেনি (Delhi-Mehrauli Murder)। এই প্রতিবেশী আরও জানান, তিনি একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করেন এবং প্রায়ই তাঁর সেখানেই দিন কেটে যায়। তিনি বলেন, “আমরা জুলাই মাসে এখানে এসেছি। আমি এই মহিলাকে কখনও দেখিনি ও তার বিষয়ে শুনিনি। আমরা আফতাবকে কাজে যেতে দেখতাম বা ঘোরাঘুরি করতে দেখতাম, কিন্তু কোনওদিন সন্দেহজনক কিছু মনে হয়নি। নম্র স্বভাবের ছিল আফতাব।” প্রতিবেশীরা আরও জানিয়েছেন, দু’জনেই বাড়িওয়ালার কাছে তাদের আইডি কার্ড জমা দিয়েছিল। কিন্তু, বেশিরভাগ প্রতিবেশী কখনও শ্রদ্ধাকে দেখেননি। কারণ,খুন হওয়ার আগে মাত্র তিনদিনই সেখানে ছিল শ্রদ্ধা ।

    অন্য এক প্রতিবেশী কুসুম লতা বলেন, তিনি সম্ভবত শ্রদ্ধাকে একবার বা দু’বার দেখেছেন। মাঝে মাঝে আফতাব জোরে গান চালাতেন এবং কখনও কখনও ঝগড়া শোনা যেত, তবে এধরনের ঘটনা খুবই সাধারণ। এক দোকানদার জানান, তিনি আফতাবকে নিয়মিত দেখতেন কিন্তু তার সম্পর্কে সন্দেহজনক কিছু মনে হয়নি। আশেপাশের অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি একা থাকেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার তাকে গ্রেফতারের পর তারা ১৩ টি শরীরের অংশ মেহরুলি ফরেস্ট অঞ্চল থেকে খুঁজে পেয়েছে, যার বেশিরভাগই হাড় (Delhi-Mehrauli Murder)।

  • Meta & WhatsApp: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু, আরেক উচ্চপদস্থ কর্তার পদত্যাগ

    Meta & WhatsApp: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু, আরেক উচ্চপদস্থ কর্তার পদত্যাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের মাঝে এবারে দুই উচ্চপদস্থ কর্তা নিজেই নিজেদের জায়গা থেকে সরে দাঁড়ালেন (Meta & WhatsApp)। পদত্যাগ করলেন ভারতের হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু ও একই সঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন মেটা ইন্ডিয়ার পাবলিক পলিসির ডিরেক্টর রাজীব আগরওয়াল। ভারতে মেটার প্রধান অজিত মোহনের ইস্তফার দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই এই সংস্থা থেকে বেরিয়ে গেলেন এই সংস্থার পাবলিক পলিসির প্রধান রাজীব আগরওয়াল। মেটার দুই বড় কর্তাই মঙ্গলবার তাঁদের পদ ছেড়ে দিয়েছেন।

    কেন পদত্যাগ করলেন?

    ইনস্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ ভারত সহ গোটা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় (Meta & WhatsApp)। একদিন ভারতের হোয়াটসঅ্যাপের দায়ভার সম্পূর্ণ ছিল অভিজিৎ বসুর উপর। ফলে আচমকা তাঁর পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কেন তাঁর এই সিদ্ধান্ত তা বিষয়ে জানা যায়নি। লিঙ্কডইন-এ অভিজিৎ বসু জানিয়েছেন, তিনি ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রথম কান্ট্রি হেড ছিলেন। তিনি এবার কোন সংস্থায় যোগ দিচ্ছেন, তা অবশ্য জানাননি তিনি। তবে অভিজিৎ জানান, আপাতত ছোট্ট বিরতি নিচ্ছেন তিনি। এরপর, ফের এই প্রযুক্তির জগতে যোগদানের পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিষয়ে শীঘ্রই ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন। সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, খুব দ্রুত অভিজিতের জায়গায় অন্য কাউকে নিয়ে আসা হবে।

    অন্যদিকে ভারতে মেটার প্রধান অজিত মোহনের ইস্তফার ২ সপ্তাহের মধ্যেই রাজীব আগরওয়াল পদত্যাগ করলেন। অজিত মোহন বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা স্ন্যাপ-এ যোগ দেবেন। স্ন্যাপ-এ এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। আর এই সুযোগের জন্যই তিনি মেটা ছেড়েছেন। ফলে সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রাজীবও অন্য এক সংস্থায় যোগ দেবেন বলেই এই চাকরি ছাড়লেন তিনি। তবে তাঁর থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বর্তমানে আপাতত রাজীবের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের পাবলিক পলিসির ডিরেক্টর শিবনাথ ঠুকরালের উপর (Meta & WhatsApp)।

    হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান উইল ক্যাথকার্ট অভিজিৎকে পরবর্তী কাজের জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন (Meta & WhatsApp)। তাঁর হাত ধরেই যে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ নয়া উচ্চতা অর্জন করেছে, তা মেনে নিয়েছেন তিনি। অভিজিতের কাজের ধারাকেই ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই সংস্থার কর্তব্য বলেও অন্যান্য কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন উইল।

    উল্লেখ্য, ট্যুইটারের পর দিন কয়েক আগেই গণছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে মেটাও। একসঙ্গে ১১ হাজার কর্মীকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেন মার্ক জুকারবার্গ। ফলে মেটার খারাপ আর্থিক রিপোর্টের আবহে এই একের পর এক উচ্চপদস্থ পদত্যাগের ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ (Meta & WhatsApp)।

  • SSC Scam: ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে সুবীরেশের ‘নির্দেশেই’! একাধিক অযোগ্য প্রার্থীদের তলব করল সিবিআই

    SSC Scam: ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে সুবীরেশের ‘নির্দেশেই’! একাধিক অযোগ্য প্রার্থীদের তলব করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ওএমআর শিটে যাদের নম্বর বদল হয়েছিল এমন একাধিক চাকরিপ্রাপকদের তলব করল সিবিআই (CBI)। সিবিআই সূত্রে দাবি, ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে ৬৬৭ জন চাকরিপ্রার্থীর (SSC Scam)।

    সিবিআইয়ের তলব

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই চাকরিপ্রার্থীদের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উল্লেখ করেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক (SSC Scam)। ফলে এদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন, এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এরপরেই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তন হওয়া একাধিক চাকরিপ্রাপকদের তলব করেছে সিবিআই। আজ ও আগামীকাল পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের ২০ জন চাকরিপ্রাপকদের নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যে এসে হাজিরও হয়েছেন। তাঁদের বয়ানে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সেটাও রেকর্ড করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।

    ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছিল কার নির্দেশে?

    গতকাল সিবিআই আদাতে দাবি করেছে, ৬৬৭ জনের নম্বর বদলের পিছনে হাত রয়েছে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যর। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) অভিযুক্ত সুবীরেশই একসময় জানিয়েছিলেন যে, তাঁর সময়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু গতকাল সিবিআই আদালতে দাবি করেন, সুবীরেশের ‘নির্দেশে’ই অযোগ্য প্রার্থীদের নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। আর এই বিষয়ে আদালতে প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু নথিও পেশ করেছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    গতকাল, সোমবার এসএসসির নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে (SSC Scam)। সিবিআই সূত্রে খবর, সিবিআই-এর তরফে আগেই দাবি করা হয়েছিল যে, এসএসসি মামলায় বেআইনি ভাবে ৬৬৭ জন অযোগ্য প্রার্থীর নম্বর বাড়ানো হয়েছে। এরপর এই মামলার আরও তদন্ত করে এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ওই ৬৬৭ জনের তালিকা উদ্ধার করেছে সিবিআই। আর এরপরেই জানা গিয়েছে, ৬৬৭ জনের পরীক্ষার ওএমআর শিট বদলের পিছনের মূলচক্রী এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যই। তাঁর নির্দেশে এবং তাঁরই তত্ত্বাবধানেই অযোগ্য প্রার্থীর নম্বর টাকার বিনিময়ে বদল করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দেওয়া এই তথ্যই নির্দেশনামায় তুলে ধরেছেন সিবিআই আদালতের বিচারক শেখ কালামউদ্দিন।

    আদালতে বিচারকের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সিবিআই-এর উদ্দেশে গতকাল কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছুড়ে দেন আলিপুর কোর্টের বিচারক শেখ কালামুদ্দিন। তিনি প্রশ্ন করেন, যেসব অযোগ্য প্রার্থীরা টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়েছেন, তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? ৬৭৭ জনের মধ্যে কেন শুধু ৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে? বাকিদের কবে বয়ান রেকর্ড করা হবে? তদন্ত কি অনন্তকাল চলবে? আবার তদন্তের গতি বাড়ানোর নির্দেশও দেন বিচারক। আর এসবের পরেই সিবিআই-এর তলব অযোগ্য প্রার্থীদের।

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পেও দুর্নীতি! এমন অভিযোগ আগেই করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এবারে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকার কারচুপি করে টাকা নয়ছয় করেছে, এমনটা অভিযোগ এনে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। আর এবারে সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়েছেন ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি

    রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, এমন অভিযোগ আগেই উঠেছিল। আর এই নিয়ে অনেক সমালোচনারও সৃষ্টি হয়েছিল। আর এই নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি দাবি করেছেন যে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র থেকে যে টাকা রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়, সেই টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার। কোনও কাজ না দিয়েই অন্য জায়গায় টাকা খরচ করার পর দুর্নীতি লুকোতে মানুষকে ভুল শংসাপত্র দিয়েছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। আর এমনটাই জানানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো চিঠিতে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    এই ইস্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, তথ্যে কারচুপি করা হচ্ছে। টেন্ডার না হওয়া তথ্য তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এলাকায় প্রকৃত জনসংখ্যার থেকে বেশি সংখ্যক জব কার্ড হোল্ডার রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

    তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়ার আর্জি

    মামলা দায়ের করার পাশাপাশি বিষয়টির তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আর্জিও করেছেন তিনি (Suvendu Adhikari)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য প্রশাসনের! শুভেন্দুকে সভার অনুমতি আদালতের 

  • Honour Killing: ২১ বছরের মেয়েকে খুন করল বাবা, স্যুটকেসে ভরল মা! দিল্লিতে ফের নৃশংস খুন

    Honour Killing: ২১ বছরের মেয়েকে খুন করল বাবা, স্যুটকেসে ভরল মা! দিল্লিতে ফের নৃশংস খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডে যখন তোলপাড় গোটা দেশ, আর এরই মধ্যে ফের এক নৃশংস খুনের খবর সামনে এসেছে (Honour Killing)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবারে এক ২১ বছর বয়সী তরুণীকে গুলি করে খুন করেছে তরুণীর বাবা। আর মৃতদেহ প্লাস্টিকে মুড়ে স্যুটকেসে ভরতে সাহায্য করেছে মা। তারপর সেই স্যুটকেস ফেলে দিয়ে আসে এক রাস্তায়। হাড় হিম করা ঘটনা! ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তরুণীর নাম আয়ুষি যাদব। উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বালুনির বাসিন্দা আয়ুষির পরিবার ও পরে তাঁরা রাজধানী দিল্লিতে চলে এসেছেন। তবে কেন এই খুন, তার রহস্য বেরিয়ে আসতেই হতভম্ব সবাই।

    খুন করার কারণ কী?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘অনার কিলিং’য়ের শিকার আয়ুষি যাদব (Honour Killing)। আয়ুষি তাঁর বাবা-মা-এর সম্মতি ছাড়াই এক ভিন্ন ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করায় তাঁকে খুন করেছে তাঁর বাবা নীতেশ যাদব। পুলিশের দাবি, ছত্রপাল নামে অন্য জাতের এক তরুণকে বিয়ে করেছিলেন আয়ুষি এবং সেটা বাড়িতে না জানিয়েই। মেয়ের এই আচরণের ফলেই খুন করে তাঁর বাবা-মা। পরিবারের ‘সম্মানরক্ষায়’ ঘটেছে এই কাণ্ড, সূত্রের খবর।

    পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে আয়ুষির বাবা নীতেশ জানিয়েছেন, গত ১৭ নভেম্বর, দিল্লির বদরপুরের মদবন্দ গ্রামে তাঁদের বাড়িতে নিজের লাইসেন্সড বন্দুক দিয়েই আয়ুষিকে খুন করেছেন তিনি। তারপর দেহ প্লাস্টিকে মুড়ে স্যুটকেসে ভরতে সাহায্য করেছেন তাঁর স্ত্রী ব্রজবালা যাদব ও এরপর মৃতদেহ গাড়ি করে নিয়ে গিয়ে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের কাছে ফেলে আসেন (Honour Killing)।

    আরও পড়ুন: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    কী ঘটেছে?

    গত সপ্তাহেই মথুরা পুলিশ জানিয়েছিল, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে একটি স্যুটকেসবন্দি দেহ পেয়েছে তাঁরা। নিহতের পরিচয় জানতে তদন্ত করা হচ্ছিল। এরপর গতকাল, সোমবার সেই স্যুটকেসের সূত্র খুঁজতে গিয়ে তদন্তে উঠে আসে এই নৃশংস কাণ্ড। জানতে পারা যায়, তরুণীকে খুন করেছে তাঁর বাবা-মা। মৃতদেহের পরিচয় জানতে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি রাস্তায় পোস্টারও সাঁটানো হয়, সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হয়। এরপর রবিবার সকালে এক অজানা ব্যক্তির থেকে ফোন আসে ও তিনি নিহতের বিষয়ে তথ্য দেন। এরপর সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আয়ুষির মা এবং ভাই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। তাঁরা দেহ শনাক্ত করেন। এরপর যখন তাঁর দেহ শনাক্ত করতে তাঁর বাবা নীতেশ আসে, তখন তাঁদের প্রশ্ন করা হলে তাঁদের উত্তরে সন্দেহ হলে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকেই। এর পরে জেরায় বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, আয়ুশি যাদবের ভাইও এই খুনের বিষয়টি জানতেন। হত্যাকাণ্ডের অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ (Honour Killing)।

    সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ মার্তন্ড প্রকাশ সিং জানিয়েছেন, আয়ুশির বাবা নীতেশ যাদব ও মা ব্রজবালা যাদবকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৩০২ এবং ২০১ -এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। 

  • Delhi Murder: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    Delhi Murder: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম।’ আদালতে বিচারকের সামনে জানায় শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব। যত দিন যাচ্ছে, শ্রদ্ধা খুনের মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে জোরকদমে চলছে পুলিশি তদন্ত। এরই মাঝে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে যে, সেই তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। আফতাব আদালতে জানায়, যা হয়েছে, রাগের বশে হয়েছে।

    দিল্লির সাকেত আদালতে পেশ আফতাবকে

    আজ, মঙ্গলবার পাঁচদিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আফতাবকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সাকেত আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই সে এমন মন্তব্য করেছে। শুনানি শেষে অভিযুক্ত আফতাবকে ফের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আফতাব বিচারকের সামনে শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ও দেহের অংশ টুকরো টুকরো করে কাটার ঘটনাটিও স্বীকার করে নেয়। কিন্তু তিনি এমন এক মন্তব্য করে বসলেন, তা নিয়ে হতবাক সবাই। আফতাব বিচারকের সামনে বলেছে, ‘HEAT OF THE MOMENT’ হয়েছে সবকিছু। অর্থাৎ ‘মাথা গরম ছিল, তাই রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছি।’

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধার খুলি উদ্ধার, পাঠানো হল ডিএনএ পরীক্ষায়

    আদালতে কী কী বলল আফতাব?

    আফতাব আরও জানায় যে, সে তদন্তে সহযোগিতা করেছে। সে কীভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে, কীভাবে শ্রদ্ধার দেহের অংশ টুকরো টুকরো করেছে ও কোথায় সেগুলো ফেলেছে, সেসব বিষয়েই পুলিশকে তথ্য দিয়েছে। তবে সে বলেছে যে, ঘটনার অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় তিনি সবকিছু মনে করতে পারছে না।

    তবে পুলিশের তরফে অভিযোগ আসে যে, সে খুনের কথা স্বীকার করলেও কোনও কোনও প্রশ্নের উত্তর সঠিক দেয়নি। আদালতে পুলিশ তার নামে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানায় যে, আফতাব ভুল তথ্য দিয়েছে ও তদন্তকে বিভ্রান্ত করছে।

    নার্কো ও পলিগ্রাফ টেস্ট

    এর আগে বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশকে ৫ দিনের মধ্যে আফতাবের নার্কো টেস্ট করার নির্দেশ দেয় আদালত। এখন আবার পলিগ্রাফ টেস্ট করানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্তভার দিল্লি পুলিশের থেকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে মেহুরুলির জঙ্গলে ছড়িয়ে দিয়ে এসেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছিল আফতাব। দিল্লি পুলিশ তাঁর সেই স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জঙ্গলে তিন বার তল্লাশি চালায়। আর এরই মধ্যে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহের খুলির একাংশ, কাটা কব্জি, হাঁটুর অংশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহাংশগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ফলে পরবর্তীতে দিল্লি পুলিশের হাতে  আর কী কী তথ্য উঠে আসে সেটাই এখন দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohit Gupta Zomato: ৩% কর্মী ছাঁটাই জোম্যাটোর, সংস্থা ছাড়লেন সহপ্রতিষ্ঠাতা

    Mohit Gupta Zomato: ৩% কর্মী ছাঁটাই জোম্যাটোর, সংস্থা ছাড়লেন সহপ্রতিষ্ঠাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছেন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ জোম্যাটো (Zomato)। বিভিন্ন বিভাগ থেকে ছাঁটাই (Zomato Layoffs) করা হচ্ছে কর্মীদের। বহু কর্মীকে তারা ইস্তফা দিতে বলেছে। জানা গিয়েছে, যে এই পর্বে প্রায় ৩ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় দেড়শো কর্মীর চাকরি যাবে। উচ্চ পদস্থ কর্মীরাও প্রভাবিত হবে এই ছাঁটাইয়ে। প্রযুক্তি, পণ্য এবং বিপণন-সহ অন্য বিভাগগুলি এই কর্মী ছাঁটাইয়ে প্রভাবিত হয়েছে। কোম্পানির মুখপাত্র জানিয়েছেন এটি নিয়মিত মূল্যায়নের একটি অংশ মাত্র। তিনি বলেন, “আমাদের কর্মশক্তি ৩ শতাংশের নিচে ছাঁটাই করা হচ্ছে। এটি একটি নিয়মিত পারফরম্যান্স-ভিত্তিক প্রক্রিয়া। এর বেশি কিছু নয়।” 

    পদত্যাগ সহপ্রতিষ্ঠাতার       

    সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা মোহিত গুপ্ত (Mohit Gupta Zomato)। স্টক এক্সচেঞ্জের রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থা। গত সাড়ে চার বছর ধরে জোম্যাটোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মোহিত। তবে এই প্রথম নয়, মোহিত গুপ্তর পদত্যাগের আগে প্রাক্তন আধিকারিক রাহুল গাঞ্জু ও সিদ্ধার্থ ঝাওয়ার কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। মোহিত গুপ্ত ২০১৮ সালে এই সংস্থায় যোগ দেন। ২০২১ সালে তিনি সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসাবে সংস্থার দায়িত্ব নেন। জোম্যাটোতে যোগ দেওয়ার আগে মোহিত গুপ্ত ভ্রমণ পোর্টাল মেক মাই ট্রিপ-এর চিফ  অপারেটিং অফিসার (COO) ছিলেন।

    আরও পড়ুন: জেলেই স্নানের সময় ড্রাম থেকে জল তুলে গায়ে ঢেলে দেওয়ার লোকের বায়না ধরলেন পার্থ

    মোহিত গুপ্ত তার বিদায়ী নোটে বলেছেন, ”সাড়ে চার বছর আগে আমি সেরা ফুডটেক কোম্পানি তৈরি করতে দীপেন্দর গোয়েলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলাম। আমি শুধু বলতে পারি যে, মহামারী ও কঠিন প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও আমরা একটি বড় ও লাভজনক কোম্পানি তৈরি করতে পেরেছি।” মোহিতের উদ্দেশ্যে দীপেন্দ্র গোয়েল প্রশংসা করে বলেন, “আপনি এখানে একটি দুর্দান্ত কাজ করেছেন, কোম্পানিকে লাভের নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আমি গুপ্তকে মিস করব।” 

    ২০২০ সালের মে মাসে করোনা ভাইরাস মহামারীর পরে ব্যবসায় মন্দার কারণে ফুড ডেলিভারি অ্যাপটি প্রায় ৫২০ জন কর্মী ছাঁটাই করেছিল। যা ছিল মোট কর্মী সংখ্যার ১৩%। এই মুহূর্তে শেষ ছাঁটাইয়ের পরে ৩,৮০০ কর্মী রয়েছে সংস্থাটির। 

    স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি শিল্প করোনার পরে উভয়ই আর্থিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমাজন, মেটা এবং ট্যুইটার-সহ বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলি বিশ্বব্যাপী কয়েক হাজার কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে। ট্যুইটারের নতুন ইলন মাস্ক আরও কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Twitter Layoffs: অর্ধেক কর্মী ছাঁটাইয়ের পর এবারে ৪৪০০ ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মী’ বরখাস্ত করল ট্যুইটার

    Twitter Layoffs: অর্ধেক কর্মী ছাঁটাইয়ের পর এবারে ৪৪০০ ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মী’ বরখাস্ত করল ট্যুইটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেসলার মালিক ইলন মাস্ক (Elon Musk) ট্যুইটার কেনার পর থেকেই শুরু করেছে গণছাঁটাই (Twitter Layoffs)। ক্ষমতা হাতে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে একের পর এক কর্মী ছাঁটাই। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩,৭০০ জন কর্মী অর্থাৎ সংস্থার প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। আর এই কর্মী ছাঁটাইয়ের আঁচ এসে পড়ল চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের উপরেও। কারণ সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সংস্থার স্থায়ী কর্মীদের ছাঁটাই করার পর এবারে প্রায় ৪,৪০০ অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন ট্যুইটারের অস্থায়ী কর্মীরা।

    চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছাঁটাই

    রিপোর্ট অনুযায়ী, মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এবার চুক্তিতে থাকা কর্মচারীদের ছাঁটাই করেছে (Twitter Layoffs)। এই প্রসঙ্গে ট্যুইট করেছেন প্ল্যাটফর্মারের কেসি নিউটন। তিনি লিখেছেন, ‘অস্থায়ী কর্মীদের নোটিশও দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র ই-মেল পাঠিয়ে ৫৫০০ জনের মধ্যে ৪৪০০ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ম্যানেজাররাও বিষয়টা জানতেন না। সিস্টেমে কর্মীদের না পেয়ে তাঁরা ছাঁটাইয়ের ব্যাপারটা বুঝতে পারেন’। অন্যদিকে চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও আচমকা বুঝতে পারেন, ট্যুইটারের সিস্টেমে অ্যাক্সেস নেই তাঁদের। এরপর জানতে পারেন, তাঁরা আর কোম্পানির হয়ে কাজ করবেন না।

    আরও পড়ুন: ট্যুইটার দেউলিয়ার পথে! নয়া আশঙ্কার মাঝে ‘সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা’ কাজের আদেশ ইলনের

    সম্প্রতি ৪৪ বিলিয়ন ডলারে ট্যুইটার কেনেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। কোম্পানির সিইও পরাগ আগরওয়াল সহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন তিনি (Twitter Layoffs)। ট্যুইটার অধিগ্রহণ করতেই প্রথমে সরিয়ে ফেলা হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ট্যুইটারের শীর্ষ কর্তাদের, আর তারপর ভারতে কর্মীদেরও সরিয়ে ফেলা হয়েছে (Twitter Layoffs)। গণছাঁটাইয়ের মাঝেই সংস্থার কর্মীদরে উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছেন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, কর্মীদের সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে, বিনামূল্যে খাবার দেওয়া আর হবে না। এমনকি কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমও সম্পূর্ণভাবে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ট্যুইটার কর্তা। আবার এসবের মধ্যেই ইলন নিজেই ট্যুইটার দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাই এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সংস্থার কর্মীদের আরও বেশি করে কাজ করারও নির্দেশ দিয়েছেন।

    এত কর্মী ছাঁটাইয়ের পর ইলন মাস্ককে এর আগেই সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আর এবারে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ছাঁটাইয়ের কথা ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে (Twitter Layoffs)। পরবর্তীতে আর কী কী করতে চলেছেন ইলন মাস্ক, সেটাই এখন দেখার।

  • Nalini Sriharan: ‘নতুন জীবন পেলাম…’ দীর্ঘ ৩১ বছর পর জেলের বাইরে এসে কী বললেন নলিনী শ্রীহরণ?

    Nalini Sriharan: ‘নতুন জীবন পেলাম…’ দীর্ঘ ৩১ বছর পর জেলের বাইরে এসে কী বললেন নলিনী শ্রীহরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় অবশেষে মুক্তি পেল নলিনী শ্রীহরণ। দীর্ঘ ৩১ বছর পর ফের একবার খোলা আকাশের নীচে। তাঁর সঙ্গে মুক্তি পেয়েছে তাঁর স্বামী মুরুগান শ্রীহরণও। শুক্রবারই সু্প্রিম কোর্টের নির্দেশে তিন দশক অবশেষে জেলের বাইরে পা রাখলেন রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত নলিনী শ্রীহরণ (Nalini Sriharan) ও তাঁর স্বামী। এছাড়াও দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর(Rajiv Gandhi) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত নলিনী ও তাঁর স্বামী সহ ৬জনকেই মুক্তির আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ১১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর গতকাল তামিলনাড়ুর ভেলোর জেল থেকে মুক্তি পান নলিনী।

    সংবাদমাধ্যমে কী বললেন নলিনী?

    ‘নতুন জীবন পেলাম’। শনিবার জেল থেকে বেরিয়ে এটাই ছিল রাজীব হত্যায় দোষী নলিনী শ্রীহরণের প্রথম প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, “আমার স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে এটি আমার নতুন জীবন।” এছাড়াও তিনি বলেন, “আমাকে সমর্থন করার জন্য আমি তামিল জনগণকে ধন্যবাদ জানাই।” তাঁর মুক্তির জন্য তিনি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় মুক্ত ৬ বন্দির জীবন এবার কোন পথে?

    এরপর সাংবাদিকরা গান্ধী পরিবারের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, “আমি গান্ধী পরিবারের জন্য খুব দুঃখিত, আমরা বহু বছর ধরে এটি নিয়ে চিন্তা করেছি এবং তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইতে চাই, আমরা সত্যি অনুতপ্ত।” এরপর প্রয়াত রাজীব গান্ধীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়েও জবাব দেন তিনি। তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন যে, তিনি কোনওমতেই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাননা। তিনি বলেন, ‘গান্ধী পরিবারের কারও সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা আমার নেই।’ তিনি এরপর কোথায় থাকবেন অর্থাৎ তিনি চেন্নাইয়ে নাকি লন্ডনে মেয়ের সঙ্গে থাকবেন, তা স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী যেখানে থাকবেন, তিনিও সেখানেই থাকবেন।

    সাজা মকুব

    উল্লেখ্য, আসামীদের প্রত্যেকেই তিন দশকের বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। সেই সময়ে তাদের আচার-আচরণ ভাল ছিল এবং তারা সকলেই জেলে বসে বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আসামীদের মধ্যে কয়েকজন শারীরিক সমস্যাতেও ভুগছেন। সবদিক বিবেচনা করেই তাঁদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এছাড়া এর আগেও শ্রীপেরুমবুদুরে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার পর রাজ্য সরকারের সুপারিশ এবং সোনিয়া গান্ধীর আপিলের ভিত্তিতে তামিলনাড়ুর গর্ভনর ২০০০ সালে নলিনীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা থেকে রেহাই দিয়েছিলেন। তার অন্য তিনটি সাজার মেয়াদও ২০১৪ সালে কমিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে গতকাল পুরোপুরিভাবে মুক্তি দেওয়া হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Sainthia: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    Sainthia: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাঁইথিয়া (Sainthia) বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারের সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে। জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী ঘটেছিল?

    গত ১৪ নভেম্বর, সাঁইথিয়ায় (Sainthia) শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর (tmc inner clash) মধ্যে তুমুল মারামারি হয়। বোমাবাজির ঘটনায় রক্তাক্ত হয় বীরভূমের সাঁইথিয়ার বহড়াপুর গ্রাম। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জন্য দুই জন গুরুতর আহতও হয়। অভিযোগ উঠেছিল এই ঘটনার মূলে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বোমার ফলে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবকের ডান পা এবং হাত উড়ে গিয়েছে ও আহত হয়েছে ১৪ বছরের বালক মুজফ্ফর। আর তারপরের দিন ফের ওই এলাকা থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু এবার এই বোমা বিস্ফোরণের তদন্তের ভার কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-এর হাতে তোলার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।

    জনস্বার্থ মামলা আইনজীবীর

    এরপরই এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আবেদন করে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। আর এই মামলারই আজ শুনানি ছিল। এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হবে কি না, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রই নেবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও আদালতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ইতিমধ্যে ঘটনার (Sainthia) রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। সেই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো হবে।

    সাঁইথিয়া ঘটনায় (Sainthia) গ্রামবাসীর অভিযোগ, এই ঘটনার মূলে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই ঘটনার পরের দিনেও একাধিক বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বিরোধীদের অভিযোগ যে, গোটা বীরভূম জেলাই এখন বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। জেলার বিভিন্ন অংশে প্রায় রোজই বোমা উদ্ধার হচ্ছে, পাওয়া যাচ্ছে অস্ত্রশস্ত্রও। পাশাপাশি শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষও প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। যদিও তৃণমূলের তরফে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য।

    তবে শেষপর্যন্ত সাঁইথিয়ার (Sainthia) বিস্ফোরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার এর তদন্তভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয় কিনা, সেটাই দেখার।

LinkedIn
Share