Author: নিমাই দে

  • Mangaluru: কোয়েম্বাতুর ও মেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের মধ্যে রয়েছে যোগসূত্র? মূল অভিযুক্ত শরীকের বাড়িতে পুলিশ

    Mangaluru: কোয়েম্বাতুর ও মেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের মধ্যে রয়েছে যোগসূত্র? মূল অভিযুক্ত শরীকের বাড়িতে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঙ্গালুরুর (Mangaluru) অটো বিস্ফোরণের (Blast) ঘটনায় ক্রমেই বাড়ছে রহস্য। উঠে আসছে একাধিক তথ্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে কোয়েম্বাতুর ঘটনার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশরা অনুমান করেছেন যে, এই ঘটনায় হাত থাকতে পারে আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গিদের। সূত্রের খবর, রবিবার মূল অভিযুক্ত শরীকের বাড়িতে হানা দিয়েছে পুলিশ। সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয় ও একাধিক তথ্য উঠে আসে।

    কী কী তথ্য উঠে এসেছে?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবিবার ওই ঘটনায় (Mangaluru) মূল অভিযুক্তের মাইসুরের ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এলাকায় বোমা স্কোয়াডও মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের মতে, শরীক গত একমাস ধরে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ছিল। বাড়ির মালিককে সে ভাড়া নেওয়ার সময় জানিয়েছিল, সে মোবাইল রিপেয়ার ট্রেনিং-এর জন্য শহরে থাকছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, শরীক একটি আধার কার্ড ব্যবহার করছিল যেটি তার নয়। এরপর কার্ডের মালিকের সন্ধানও পাওয়া গেছে। তিনি কর্ণাটকের হুব্বলি জেলার বাসিন্দা প্রেমরাজ হুতাগি। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর আধার কার্ডটি হারিয়ে গিয়েছিল ও এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই।

    উল্লেখ্য, শনিবারের ঘটনার পর কর্ণাটক (Karnataka) পুলিশের ডিজি নিশ্চিতভাবে জানিয়ে দেন, এই বিস্ফোরণ কোনও দুর্ঘটনা নয়। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির উদ্দেশ্য নিয়ে ঘটানো হয়েছে এই বিস্ফোরণ। আর এর পিছনে রয়েছে নাশকতার ছক। সেদিন বিস্ফোরণের পর একটি ব্যাগের ভিতরে ব্যাটারি ও বিস্ফোরকে ঠাসা প্রেশার কুকার উদ্ধার করা হয়েছিল। এই ঘটনার মূল অভিযুক্তর থেকে এখনও কোনও বয়ান নেওয়া যায়নি। এছাড়াও অটোচালক ও এক যাত্রীও বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    আরও পড়ুন: মেঙ্গালুরুতে যাত্রিবাহী অটোরিক্সায় বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলা!

    কোয়েম্বাতুর ও মেঙ্গালুরুর ঘটনার যোগসূত্র

    রাজ্যের পুলিশ প্রধান প্রবীন সুদ বলেছেন, “আমরা সাম্প্রতিক কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণের সঙ্গে তার যোগসূত্র উড়িয়ে দিচ্ছি না।” এর আগে খবরে উঠে এসেছিল যে, চলতি বছরের ৩ অক্টোবর কোয়েম্বাতুরের বিস্ফোরণে নিহত জামেজা মুবিন আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ফলে এই মেঙ্গালুরুর (Mangaluru) ঘটনার মূল অভিযুক্ত শরীকের সঙ্গে মুবিনের সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। ফলে এতেও যে জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে, তাও সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে যে, মহম্মদ শরীক সেপ্টেম্বরে কোয়েম্বাতুরের সিঙ্গানাল্লুর পাড়ায় গিয়েছিল ও সেখানে এক শিক্ষকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেই তাঁর নামে সিম কার্ড নিয়েছিল। এই ২৮ বছর বয়সী শিক্ষক নীলগিরি জেলার থুমানাট্টির বাসিন্দা, যাঁকে ইতিমধ্যে কর্ণাটক পু্লিশ জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করেছে।

    পুলিশ জানিয়েছে যে, এটি একটি কাকতালীয় ঘটনা হতে পারে না যে, কোয়েম্বাতুরে গাড়ি বিস্ফোরণের কয়েক দিন আগেই শরীক সেখানে গিয়েছিল। তাই পুলিশ জানিয়েছে, শরীক ও মুবিনের মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কিনা ও তারা আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে (Mangaluru)।

  • Calcutta HC on SSC: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    Calcutta HC on SSC: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HC on SSC)। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হাইকোর্টের নির্দেশ, যাঁরা সুপারিশ পত্র পেয়েছেন তাঁদের নিয়োগ পত্র দিতে নিষেধ করল আদালত। এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে পিছু হটল স্কুল সার্ভিস কমিশন। রাতারাতি ভোল বদলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানিয়ে দিল, বেআইনিভাবে যাঁরা বিভিন্ন স্কুলে (School) নিয়োগ হয়েছিলেন, তাঁদের কখনওই শূন্য পদে নিয়োগ করা যাবে না।

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের আবেদন প্রত্যাহার

    এদিন আদালতে মামলার শুনানিতে (Calcutta HC on SSC) কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র জানান, অবৈধভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের শূন্যপদে নিয়োগ করার যে আবেদন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিত নির্দেশিকা এসেছে। 

    সম্প্রতি আদালতে দাখিল করা নতুন চারটি হলফনামায় কমিশনের আবেদন ছিল যে রাজ্যের তৈরি করা শূন্যপদে যেন চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর অন্যদিকে কমিশনের এই অবস্থানের উল্টো পথে হেঁটে রাজ্য জানায় তারা এই অবস্থানের বিপক্ষে, অযোগ্যদের নিয়োগের পক্ষে তারা নয়। আর এরপরেই কমিশন ও রাজ্যের আলাদা অবস্থানে আদালতে বিচারক বিশ্বজিৎ বসুর কাছে প্রশ্নের মুখে রাজ্য। বিচারপতি জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কমিশনের প্রতি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেই কেন? কমিশন ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এরপর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের জন্য কমিশনের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য, সেই বিষয়ে আজ জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta HC on SSC)।

    আরও পড়ুন: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    আদালতে কী জানাল পর্ষদ?

    বিচারপতি কমিশনকে প্রশ্ন করেন (Calcutta HC on SSC), ‘সবাইকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে?’ এর উত্তরে কমিশন জানায়, ‘হ্যাঁ, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার ক্ষেত্রে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে। কর্ম শিক্ষায় ৫৮৫ শূন্যপদের মধ্যে ৫১৪ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে এবং শারীরশিক্ষায় ৮২৪ শূন্যপদের মধ্যে  ৭৬৬ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে।’ এরপর বিচারপতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কি নিয়োগ পত্র দিয়েছেন?’ এর উত্তরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কোয়েলি ভট্টাচার্য বলেন,  ‘না, আপনি মৌখিক নির্দেশে নিয়োগপত্র দিতে বারণ করেছিলেন, তাই পর্ষদ কোনও নিয়োগপত্র দেয়নি।’

    আজ আদালতে (Calcutta HC on SSC) মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করার অধিকার রাজ্যের নেই। এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন, প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলে রাজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে পারে। এতে রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন ‘আপনাদের যা ইচ্ছা করুন, আমি শুধু ছাত্রদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত।’ এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন যে ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক জমানাতে শিক্ষার অবক্ষয় হয়েছে। একটা সরকার ইংরেজি বন্ধ করে দিয়েছিল, এটা খুব বড় ভুল ছিল।’ আর এই কথাতে সহমত প্রকাশ করে জানালেন বিচারপতি বসু, ‘হ্যাঁ, এটা বড় ভুল।’

    এরপর শূন্যপদ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। আগামী ২৮ শে নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও ৩০ নভেম্বর হবে এই মামলার  পরবর্তী শুনানি হবে জানানো হয়।

  • Anubrata Mondal: অ্যারেস্ট মেমোয় সই করছেন না কেষ্ট, ওয়ারেন্ট আনতে দিল্লিতে ইডি

    Anubrata Mondal: অ্যারেস্ট মেমোয় সই করছেন না কেষ্ট, ওয়ারেন্ট আনতে দিল্লিতে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) গ্রেফতার করে জেলবন্দী অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। ৫ ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতকে হেফাজতে নেয় ইডি। খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, অনুব্রতকে আজ আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজির করানো হবে। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, ‘অ্যারেস্ট মেমো’-তে সই করেননি গরুপাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। এর ফলে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আনার জন্য সরাসরি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, দিল্লির ইডি আদালত থেকে কোর্টে হাজির করানোর ওয়ারেন্ট জারি করেই অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে।

    অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি কেষ্ট

    অনুব্রত (Anubrata Mondal) যেহেতু সই করেননি, তাই তাঁকে আসানসোল আদালতে পেশ না করে, ইডির আধিকারিকরা অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আনতে দিল্লি যাচ্ছেন। গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের পর যা জানা গিয়েছে, তা হল, আজ সকালের মধ্যে ইডির আধিকারিকরা আদালতে পৌঁছে রিপোর্ট জমা দেবেন এবং তার ভিত্তিতেই দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হবে। আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষই যাতে অনুব্রতকে দিল্লি পৌঁছে দেন, সেই আবেদন করবেন ইডির আইনজীবী। অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লির আদালতে হাজির করানোর জন্য জারি করা হতে পারে “প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট।” তিনি গতকাল সই করে দিলেই এত কিছু করতে হত না ইডির আধিকারিকদের। তাঁরা সরাসরি দিল্লিতে জেরা করার জন্য নিয়ে যেতে পারতেন।

    আরও পড়ুন: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    গতকালের জেরার মুখে কী বললেন অনুব্রত?

    গরু পাচার মামলায় টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে ইডি-র কাছে দাবি করলেন বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি (Anubrata Mondal)। আর তিনি এসবের সব দায়ভার চাপিয়ে দিলেন তাঁর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারির উপর। গতকাল একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও টাকার হিসেব নিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে গিয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। জমি সংক্রান্ত নথি নিয়েও জেরা করা হয়। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর উত্তরে তিনি বললেন, টাকা লেনদেনের বিষয়ে কিছুই জানেন না। সব জানেন মণীশ কোঠারি। তাঁর মেয়ে সুকন্যার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কথা জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি এর দায়ও মণীশ কোঠারিরি ঘাড়ে চাপিয়ে দেন।

    ইতিমধ্যেই মণীশের আয় ব্যয়ের ওপর নজর রেখেছেন তদন্তকারীরা। হিসাবরক্ষকের কোম্পানির নথি তলব করে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে মণীশকে। তদন্তকারীর সংস্থার দাবি, কোম্পানির ব্যালান্সশিট সার্টিফায়েড নয়। নথি জমা দিতে বোলপুর থেকে দিল্লি পৌঁছে যান মনীশের সহকর্মী। এবার অনুব্রতর (Anubrata Mondal) এই বয়ান মণীশের ওপর আরও চাপ বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞরা।

  • Bengal Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ! ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের

    Bengal Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ! ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক (Bengal Dengue)। ডেঙ্গির দাপট বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যাও। ফলে রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। আর এই পরিস্থিতিতে ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এই নির্দেশিকা নিয়ে বৈঠকও হয়েছে নবান্নে।

    ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি

    রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তার জন্য প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলিতে ‘ফিভার ক্লিনিক’ পুরোদমে সচল রাখতে হবে (Bengal Dengue)। যাঁরা জ্বর নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসবেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে। পরে যাতে তাঁদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায়।

    হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গি রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা ল্যাব পরিষেবা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তাদের রক্ত পরীক্ষা করার পর ওই দিনই রিপোর্ট দিতে হবে ল্যাব কর্তৃপক্ষকে। যাতে চিকিৎসা যথাযথভাবে করা যায়। এর পাশাপাশি সহকারি সুপার পদমর্যাদার একজন স্বাস্থ্য আধিকারিককে ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য নিযুক্ত থাকতে হবে। আবার কোনও ব্যক্তি যদি ডেঙ্গি সন্দেহে ভর্তি হন, তাঁকেও পরীক্ষার দিনই রিপোর্ট দিতে হবে (Bengal Dengue)।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি পরীক্ষাগারে গেলেই ধরা পড়ছে ডেঙ্গি! আর সরকারি কেন্দ্রে?

    স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, রক্তের রিপোর্ট দেখে যদি কিছু সংকটজনক মনে হয় ও রক্তে অস্বাভাবিক কিছু থাকলে দ্রুত সতর্ক করতে হবে চিকিৎসকদের। ডেঙ্গি (Bengal Dengue) নিয়ে যাবতীয় বিষয় পর্যালোচনার জন্য নিযুক্ত থাকতে হবে এক জন সহকারী সুপার।

    দেখা গিয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় নার্সিং পরিষেবার উপর বিশেষ জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর (Bengal Dengue)। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে। নার্সিং পরিষেবা যাতে যথাযথ থাকে সেটা বার বার পর্যালোচনা করতে হবে। ডেঙ্গি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হবে।

    যেসব নার্সিং সুপাররা ডিউটিতে থাকবেন, তাঁদের ডেঙ্গি রোগীদের অবস্থা পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট সুপারিনটেন্ডেন্টকে জানাতে হবে (Bengal Dengue)। রোগীদের শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য বারবার পর্যালোচনা করতে হবে।

    এছাড়া, প্রতি সপ্তাহে হাসপাতালে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে হবে কর্তৃপক্ষকে (Bengal Dengue)। হাসপাতাল চত্বরে বাধ্যতামূলক ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে।

    নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে যে, হাসপাতালের দেওয়ালে ডেঙ্গি সচেতনতামূলক পোস্টার রাখতে হবে (Bengal Dengue)। এছাড়া, হাসপাতালে পতঙ্গবিদদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। ব্লাড ব্যাংকে যথেষ্ট প্লেটলেট মজুত আছে কি না, তা-ও নজরে রাখার নির্দেশ দিয়েছে দফতর।

    এই সব নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। আর বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব, এই ১৪ দফা নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সরকারি হাসপাতালগুলিকে (Bengal Dengue)।

  • Jhalda: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা শাসক শিবিরে, হাতছাড়া হল ঝালদা পুরসভা

    Jhalda: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা শাসক শিবিরে, হাতছাড়া হল ঝালদা পুরসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুমানই হল সত্যি! শাসকদলকে খোয়াতে হল ঝালদা পুরসভা (Jhalda)। শেষপর্যন্ত ২ নির্দল কাউন্সিলর কংগ্রেসকে সমর্থন করায় ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের। এখন কংগ্রেস শিবিরে রইল ৭ কাউন্সিলর। অন্যদিকে, তৃণমূলের হাতে রইল ৫ কাউন্সিলর। আজ তলবি সভা ছিল। তাতে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের কাউন্সিলররা। নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় হাত শিবির। এদিন জয়ের পর ঝালদা শহরে তপন কান্দুর স্লোগান দিয়ে বিজয় মিছিল করে কংগ্রেস।

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় আজ ছিল আস্থা ভোট। ঝালদা শহরজুড়ে জারি হয়েছিল ১৪৪ ধারা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদলের কাছে এটি একটি মর্যাদার লড়াই ছিল। আজকের আস্থাভোট ঘিরে ছিল টানটান উত্তেজনা। নির্দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাউন্সিলররা শাসক দলের হাত ছাড়ার পরেই শাসকদলকে বেকায়দায় পড়তে হয়। এরপর এই মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ালে শেষপর্যন্ত আস্থাভোটের নির্দেশ দেয় আদালত। আর আজই ঠিক হয়ে হয়ে গেল যে, শেষপর্যন্ত কংগ্রেসের দখলে হল ঝালদা পুরসভা (Jhalda) ।

    কেন এই আস্থাভোট?

    পুরভোটের পর থেকেই ঝালদা (Jhalda) নিয়ে অস্বস্তি বেড়েই চলেছিল শাসক শিবিরের। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর হত্যাকাণ্ড আরও সংকট বাড়িয়েছিল। শেষে উপনির্বাচনের পর নির্দল কাউন্সিলর শীলা চ্যাটার্জি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় বোর্ড গঠন করে শাসক দল। ফলে ৬ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে বোর্ড দখল করে নেয় তৃণমূল। কিন্তু সেই বোর্ড বেশিদিন স্থায়ী হতে পারল না। ৭ মাস কাটতে না কাটতেই নির্দল কাউন্সিলর শীলা চ্যাটার্জি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। যার ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছে। শেষে চাপে পড়েই আস্থাভোট নির্দেশ দেয় আদালত ।

    কী পরিস্থিতিতে ছিল পুরবোর্ড?

    ঝালদা (Jhalda) পুরসভার মোট ১২টি আসন। পুরসভা ভোটের পর ত্রিশঙ্কু হয়েছিল ফলাফল। তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেস উভয়ই ৫টি করে আসন পেয়েছিল। ২টি আসনে জিতেছিল নির্দল। তারমধ্যে একজন সোমনাথ কর্মকার ছিলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। পুরভোটে টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। এরই মধ্যে নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে শাসক শিবির পুরবোর্ড গঠন করেছিল। তবে বর্তমানে কংগ্রেসে রইল ৭ কাউন্সিলর।

    বোর্ড দখলে আত্মবিশ্বাসী ছিল কংগ্রেস

    কংগ্রেস থেকে দাবি করা হয়েছিল যে (Jhalda), তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ২ নির্দল প্রার্থী। ফলে বোর্ড দখলে আত্মবিশ্বাসী হাত শিবির। ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস নেত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, ‘আমরা আশাবাদী। কারণ সংখ্যা গরিষ্ঠতা আমাদেরই বেশি। তাই জয় আমাদেরই হবে।’

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঝালদা পুরসভার এই আস্থাভোট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পুরুলিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ব্যাংক অনেকটাই নির্ভর করে এই আস্থাভোটের উপরে। সেকারণেই এদিকে তাকিয়ে ছিল পুরো রাজনৈতিক মহল। শেষ পর্যন্ত ঝালদাবাসীর (Jhalda) অপেক্ষার অবসান হল। কংগ্রেসের হাতেই গেল ক্ষমতা।

  • Saradha Scam: সারদা কাণ্ডে ফের তৎপর ইডি, জেরার মুখে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি

    Saradha Scam: সারদা কাণ্ডে ফের তৎপর ইডি, জেরার মুখে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার, গরু পাচারের পর এবারে সারদা চিটফান্ড মামলায় (Saradha Scam) তৎপর ইডি বা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সারদা চিটফান্ড মামলায় প্রাক্তন পুলিশকর্তা রজত মজুমদারকে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি ফ্রিজ করা হয়েছে রজতবাবুর ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। প্রায় ৮ বছর আগে সারদা কাণ্ড নিয়ে সিবিআই-ইডির তদন্ত শুরু হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন দুর্নীতির মামলার তদন্ত শুরু হতেই সারদা মামলার তদন্ত পিছিয়ে গিয়েছিল। ফলে এবারে ফের তৎপর হয়ে উঠেছে ইডি। তাই এবারে ইডির স্ক্যানারে রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি।

    ইডির নজরে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি

    সম্প্রতি সারদা মামলায় (Saradha Scam) নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন পুলিশকর্তা রজত মজুমদারের। ফলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠায় ইডির আধিকারিকরা। একসময় রজতবাবু রাজ্য পুলিশের ডিজি ছিলেন। এরপর পরবর্তীতে রজত মজুমদার সারদায় যোগ দেন ও তাঁকে সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়। এমনকি তিনি পরে রাজনীতিতেও সরাসরি প্রবেশ করেন। এরপর এই প্রাক্তন পুলিশ কর্তা নাম লেখান বাংলা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসেও।

    সারদা মামলায় (Saradha Scam) এর আগেও গ্রেফতার হতে হয়েছে রজত মজুমদারকে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআই। পরে তিনি জামিনও পেয়ে যান। কিন্তু রেহাই হল না। ফের ইডির নজরে এসেছেন তিনি। তাই তাঁকে ইডির বিধান নগরের কার্যালয়ে ডেকে পাঠিয়ে শনিবার পর্যন্ত দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁকে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয় ও তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয় বলে সূত্রের দাবি।

    আরও পড়ুন: আদালতে স্বস্তি শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, সারদা মামলা (Saradha Scam) নিয়ে তদন্ত শুরু করা হলে সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয় ও তারা আজও সংশোধনাগারে বন্দী। সারদা চিটফান্ড মামলায় ২০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। আজও সেই টাকা সম্পূর্ণভাবে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ইডির তৎপরতায় জল্পনা

    তবে আট বছর ধরে সারদা মামলার তদন্ত যেখানে পিছিয়ে গেছে, সেখানে হঠাৎ পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগেই আবারও সারদা নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের তৎপরতা শুরু হওয়ায় জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বাংলার শাসক শিবিরের অভিযোগ ভোটের আগে তাদের বেকায়দা ফেলতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যদিকে এই যুক্তি খারিজ করে দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে যে, আদালতের নির্দেশেই সারদা কাণ্ডে (Saradha Scam) সিবিআই ও ইডির তদন্ত চলছে। বিপুল টাকা এখনও উদ্ধার হয়নি। ফলে বাকি টাকা উদ্ধারের জন্যই তদন্তকারী সংস্থা ফের তৎপর হয়ে উঠেছে।  

    সূত্রের খবর অনযায়ী, আগামী দিনে এই ঘটনায় (Saradha Scam) আরও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইডির জেরার মুখে পড়তে হবে বলে জানা গিয়েছে। যেসব প্রভাবশালীরা সারদা থেকে লাভবান হয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের খুব শীঘ্রই তলব করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: রবিবার সরকারি অফিসে চলছে গোপনে জমির পাট্টা বিতরণ? বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রবিবার সরকারি অফিসে চলছে গোপনে জমির পাট্টা বিতরণ? বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গেছে রাজ্যজুড়ে। আর এবার তাকে ঘিরেই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে এক বড়সড় অভিযোগ আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ এনে লেখেন, রবিবার ছুটির দিনে রাতের অন্ধকারে সরকারি অফিস খোলা। এর আগেও ছুটির দিনে রাতের অন্ধকারে সরকারি অফিস খোলা থাকা নিয়ে শুভেন্দুকে একাধিক অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে। আর এবারও একই দাবিতে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

    ট্যুইট করে কী লিখলেন?

    তিনি (Suvendu Adhikari) গতকাল ট্যুইট করে লিখেছেন, “রবিবার, ছুটির দিনের সন্ধ্যায়, রাজ্য সরকারের নির্দেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভোটারদের প্রলুব্ধ করার জন্য লুকিয়ে জমির পাট্টা বিতরণ করতে রাজ্য জুড়ে বিএলআরও অফিসগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে।” তিনি অফিস খোলা থাকার ভিডিও পোস্ট করে আরও লিখেছেন, “অতি দ্রুততার সঙ্গে, গোপনে জমিগুলির পাট্টা সংক্রান্ত নথিপত্র প্রস্তুত করার উদ্দেশে কোনওরকম সমীক্ষা, মাঠ খসড়া, জরিপ ছাড়াই জমিগুলির কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছে। এই সকল জমির মধ্যে শ্মশান, কবরস্থান, চা বাগান, বনভূমি, সমাধিস্থল, জনজাতিদের স্বতন্ত্র ব্যবহার্য জমি ইত্যাদি রয়েছে। কারোর সম্পত্তি অথবা ব্যবহারের অধিকার কেড়ে নিয়ে অন্য কাউকে এভাবে দেওয়া যায় না। এটাই ক্ষমতার অপব্যবহার। এর ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে।” 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বরাদ্দ পেলেও জুটছে না খাবার, মানসিক রোগীদের পরিষেবার উন্নতি নেই রাজ্যে

    তিনি (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে প্রশ্ন করেছেন, ‘এত তাড়া কিসের? কেন এত লুকোচুরি? ছুটির দিন, রাতের অন্ধকারে এই বিশেষ কাজ করে কিসের বিনিময়ে, কাদের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে?” তাই তিনি সবাইকে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ করছেন। আর এধরণের চক্রান্ত থেকে দূরে থাকতে স্থানীয় ভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য বলেছেন।   

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ

    এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) শাসকদলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন যে, সরকারের ৮০ শতাংশ লোকই নাকি তৃণমূল কে রাজ্য থেকে সরাতে তাঁকে সাহায্য করছেন। তাঁদের বক্তব্য যে, “এই সরকারকে সরান, আর পারছি না।” এছাড়াও শুভেন্দু গত শুক্রবার আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনে বলেন যে, কয়লা পাচার কাণ্ডে যুক্ত আছেন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাও। ২৪০০ কোটি টাকা কয়লা কাণ্ডে কেলেঙ্কারির হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা গিয়েছে এক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর কাছে। আর সেই প্রভাবশালীই এ রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এই সব অভিযোগের পরে শাসক দলের বিরুদ্ধে পাট্টা বিতরণের এমন অভিযোগ আনায় ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে।

  • Aamir Khan: অভিনয় থেকে দীর্ঘ বিরতি নিলেন আমির খান! কী এমন হল?

    Aamir Khan: অভিনয় থেকে দীর্ঘ বিরতি নিলেন আমির খান! কী এমন হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমির (Aamir Khan) অনুরাগীদের জন্য মন খারাপের খবর! জানা গিয়েছে, বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান কিছুদিনের জন্য অভিনয় থেকে বিরতি নিতে চাইছেন। তবে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। সম্প্রতি বহুদিন পর তাঁকে দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে, আর সেখানেই তিনি সংবাদমাধ্যমে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

    অভিনয় জগত থেকে বিরতি নেওয়ার কারণ কী?

    আমির (Aamir Khan) সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমি যখন অভিনেতা হিসেবে কোনও ছবিতে কাজ করি, আমি তখন সম্পূর্ণভাবে জীবনের বাকি সব কিছু ভুলে যাই। আমার লাল সিং চাড্ডার পর আরও একটি ছবি ‘চ্যাম্পিয়ন’ করার কথা ছিল। ওটার স্ক্রিপট খুবই ভাল। গল্পও খুব সুন্দর। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আমার কিছুদিন বিরতি নেওয়া উচিত। আমার মা, পরিবার, সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত।”

    তিনি তাঁর এই ৩৫ বছরের কেরিয়ারে এই প্রথমবার বিরতি নিতে চলেছেন। এই বিষয়ে বিশদে তিনি (Aamir Khan) বলেন, ‘আমার মনে হয় আমি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে কাজ করছি, এবং ভীষণভাবে আমার কাজে ডুবে থেকেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এটি অন্যায় করেছি, আমার নিকটজনেদের সঙ্গে ঠিক করিনি। এবার প্রথমবার মনে হচ্ছে কিছু সময় বিরতি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত, জীবনটাকে অন্যভাবে উপভোগ করা উচিত। ফলে এক-দেড় বছর আমি অভিনেতা হিসেবে কোনও কাজ করব না।”

    আরও পড়ুন: ঘর আলো করে এসেছে কন্যা সন্তান, মেয়ের কী নাম দিলেন বিপাশা?

    তবে বেশিরভাগ লোকেদের মনে হয়েছে, তাঁর আগের ছবিগুলো বক্স অফিসে তেমন ভাল ব্যবসা করতে পারেনি। ফলে তাঁর বিরতি নেওয়ার পিছনে এটিই আসল কারণ। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ‘ঠাগস অফ হিন্দুস্তান’। এরপর তাঁর একমাত্র ভরসা ছিল হলিউড ক্লাসিক ‘ফরেস্ট গাম্প’ ছবির অফিশিয়াল রিমেক ‘লাল সিং চড্ডা’। কিন্তু সে ছবিও দর্শকদের মনে তেমনভাবে দাগ কাটতে পারেনি। আর এরইমধ্যে আমিরের (Aamir Khan) এই বক্তব্য শোনা গেল।

    তবে এর আগে সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছিল যে, অভিনেতাকে দেখা যাবে ‘চ্যাম্পিয়ন’ ছবিতে। পরিচালক আর এস প্রসন্ন-র এই ছবি স্প্যানিশ ‘চ্যাম্পিয়ন’ ছবির রিমেক বলেই শোনা যাচ্ছিল। তবে তিনি এখন জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এই ছবিতে নায়কের চরিত্রে থাকছেন না। তবে চ্যাম্পিয়ন ছবিতে আমির খান প্রযোজক হিসেবে অবশ্যই থাকবেন। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমি অভিনেতা হিসেবে কাজ করব না, কিন্তু প্রযোজক হিসেবে কাজ করব। তাই আমি চ্যাম্পিয়ন ছবির প্রযোজনা অবশ্যই করব। আশা করছি সব ভালোই হবে।” এবারে আমিরকে (Aamir Khan) ফের বড় পর্দায় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকবেন আমির অনুরাগীরা।

  • Amazon Job: ট্যুইটার-মেটার পর এবারে কর্মী ছাঁটাই অ্যামাজনেও! কাজ হারাতে পারেন কত জন কর্মী?

    Amazon Job: ট্যুইটার-মেটার পর এবারে কর্মী ছাঁটাই অ্যামাজনেও! কাজ হারাতে পারেন কত জন কর্মী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটার, ফেসবুকের গণছাঁটাইয়ের পর এবারে অ্যামাজনেও হবে কর্মী ছাঁটাই (Amazon Job)। এমনটাই খবরে উঠে এসেছে, ইলন মাস্ক ও মার্ক জুকারবার্গের দেখানো পথেই হাঁটতে চলেছেন অ্যামজনের মালিক জেফ বেজোসও । সূত্রের খবর অনুযায়ী, অ্যামাজন লোকসানে চলছে, আর তার ফলেই এমন পদক্ষেপ নিতে চলেছে। প্রায় ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে পারে এই সংস্থা। আর এই সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে ছাঁটাই।

    ইলন মাস্ক ট্যুইটার অধিগ্রহণ করলে কর্মী ছাঁটাই করবেন এই খবর আগের থেকেই শোনা গিয়েছিল। কিন্তু অ্যামাজনের কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর আচমকা উঠে আসায় টেক মহলে ফের আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে (Amazon Job)। আরও জানা গিয়েছে, যদি অনুমান মত অ্যামাজনে ১০ হাজার কর্মীই ছাঁটাই করা হয়, তবে এটি এই সংস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণছাঁটাই হতে চলেছে। বিশ্বজুড়ে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১৬ লক্ষ। ফলে এই পরিমাণ ছাঁটাইয়ে ১৬ লক্ষ কর্মীর মাত্র ১ শতাংশই ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করছে অ্যামাজন।

    কর্মী ছাঁটাইয়ের পিছনে কারণ কী?

    কয়েকদিন আগেই অ্যামাজনের তরফে জানানো হয়েছিল যে, চলতি বছরে উৎসবের মরশুমে (বড়দিন এবং নববর্ষ) সংস্থার ব্যবসার পরিমাণ আগের তুলনায় হ্রাস পাবে (Amazon Job)। যেখানেই এই সময়কালেই সংস্থার সবথেকে বেশি আয় হত আগের বছরগুলিতে। কিন্তু এবছর তার উল্টো হতে চলেছে। আর এই পরিস্থিতিতে সংস্থার আয় কমার সতর্কবার্তার পরই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে অ্যামাজন। অ্যামাজনের থেকে আরও জানানো হয়েছে, আমেরিকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। গ্রাহকদের কাছে খরচ করার মত টাকাও নেই। উল্লেখ্য, এই বছরে অ্যামাজনের শেয়ারের মূল্য এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এরপর অ্যামাজনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অ্যান্ডি জ্যাসি জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বাণিজ্যিক মন্দার ফলেই অ্যামাজনে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে।

    কোন বিভাগ থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হবে বলে অনুমান করা হয়েছে?

    জানা গিয়েছে, বেশিরভাগই ই-কমার্স সংস্থার ডিভাইস ইউনিটের কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে (Amazon Job)। এই ইউনিটেরই ‘প্রোডাক্ট’ ভয়েস অ্যাসিস্টেন্ট অ্যালেক্সা। এছাড়া সংস্থার রিটেল বিভাগ এবং হিউম্যান রিসোর্স বিভাগেও কর্মী ছাঁটাই করা হবে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগের সপ্তাহে ট্যুইটার প্রায় ৫০ শতাংশ ও মেটা প্রায় ১১০০০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। অর্থাৎ ১৩ শতাংশ কর্মী সরানো হয়েছে ফেসবুক থেকে। তবে অ্যামাজন সেই পরিমাণ ছাঁটাই না করলেও একটি বড় অংশ বাদ যাবে, সূত্রের খবর।

  • West Bengal Weather: জেলায় জেলায় তাপমাত্রা নামল ১৫ ডিগ্রিতে, কলকাতায় কেমন ঠান্ডা?

    West Bengal Weather: জেলায় জেলায় তাপমাত্রা নামল ১৫ ডিগ্রিতে, কলকাতায় কেমন ঠান্ডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের আমেজ বজায় রয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে। কলকাতায় আজও পারদ ১৮-এর নীচে। আগের থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও পারদ ১৮-এর নীচেই রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতায় শীতের আমেজ থাকলেও তীব্র ঠান্ডা পড়তে এখনও মাসখানেক দেরি। তবে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে পারদ পতন জারি থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গতকাল তাপমাত্রা বেড়ে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল ১৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। আজও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম রয়েছে (West Bengal Weather)।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    দক্ষিণবঙ্গে এখন সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি ও ২০ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হলেও তার প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে বৃষ্টিপাতেরও কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে দু-একদিন আকাশ মেঘলা থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত আগামী পাঁচদিনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে ভোরের দিকে কুয়াশা থাকবে ও বেলা বাড়তেই রৌদজ্জ্বল আকাশ থাকবে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন: কলকাতা সহ রাজ্যে আবহাওয়া কেমন থাকবে? কী বলছেন আবহবিদরা?

    উত্তরবঙ্গের আহাওয়া

    দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে ঠান্ডা স্বাভাবিকভাবেই বেশি। সেখানে শীত জাঁকিয়ে বসেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল সামান্য বৃষ্টি হলেও উত্তরবঙ্গের অন্য জেলায় শুষ্ক ও পরিস্কার আবহাওয়া থাকবে। কোথাও কোথাও সকালের দিকে কুয়াশা এবং শিশির পড়বে। উঁচু এলাকাগুলিতে রয়েছে তুষারপাতের পূর্বাভাস। এমনই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় জমিয়ে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই আরও পতন শুরু হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস (West Bengal Weather)।

    জেলার আবহাওয়া

    কলকাতায় সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেও জেলায় জেলায় তাপমাত্রা কমের দিকেই থাকবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ঠান্ডার দাপট বজায় থাকবে (West Bengal Weather)। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে তাপমাত্রা অন্যান্য জেলার তুলনায় কম থাকবে। ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রির আশে পাশে থাকবে পশ্চিমের জেলার তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবারও জেলায় জেলায় ভোরের দিকে ছিল ঘন কুয়াশা। ফলে ৩ মাসের জন্য অর্থাৎ আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩-এর ২ মার্চ পর্যন্ত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।  

LinkedIn
Share