Author: নিমাই দে

  • CISF: ঝাড়খণ্ডে সিআইএসএফ-এর গুলিতে মৃত ৪ কয়লা চোর, আহত ২

    CISF: ঝাড়খণ্ডে সিআইএসএফ-এর গুলিতে মৃত ৪ কয়লা চোর, আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা চোরদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ সিআইএসএফ-এর (CISF)। প্রতিবেশি রাজ্যে কয়লা চোরদের সঙ্গে সিআইএসএফ-এর জওয়ানদের সংঘর্ষে নিহত হয় চার কয়লা চোর। আর দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের। শনিবার গভীর রাতে ধানবাদ জেলার বাগমারা থানার বিসিসিএল ব্লক-২ এলাকায় বেনিডিহ কেসিসি মেন সাইডিংয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছিল যে, কয়লা চুরি এবং জওয়ানদের উপর হামলা করার ফলেই গুলি চালানো হয়েছিল বলে খবর সিআইএসএফ সূত্রে।

    কী ঘটেছিল?

    সিআইএসএফ (CISF) সূত্রে খবর, ধানবাদের বাগমারা থানা এলাকায় বেনিডিহ কেসিসি মেন সাইডিং এলাকায় কয়লা চুরির খবর পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত সেখানে পৌঁছে যান তাঁরা। সিআইএসএফ জওয়ানদের আসতে দেখে তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে কয়লা চোররা। তাঁদের কয়লা চুরি করতে বাধা দেওয়ায় সিআইএসএফ-এর গাড়িতেও ভাঙচুর করে কয়লা চোররা। এমনকি এক জওয়ানের বন্দুক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, জওয়ানদের অপহরণের চেষ্টাও করা হয় বলে জানা যায়। এমন পরিস্থিতিতে সিআইএসএফ (CISF) জওয়ানরা নিজেদের আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো শুরু করেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: সিআইএসএফ নয়, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় এবার বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী!

    আর এরপর জওয়ানদের (CISF) গুলিতেই নিহত হয় ৪ কয়লা চোর। ২জন গুরতর আহত হওয়ায় তাদের রাঁচি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের নাম— প্রীতম চৌহান, সাহজাদা আনসারি, আলতাফ আনসারি, সুরজ চৌহান। ঘটনাস্থল থেকে ২১টি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী হাজির হয়। সিআইএসএফ জওয়ানদের বিশাল সংখ্যায় মোতায়েন করা হয়েছে।

    এই ঘটনার পর সিআইএসএফের ডিআইজি বিজয় কাজলা বলেন, ‘‘যে ৪ জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁরা রাতে আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালান। বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালাতে হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।’’ এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে, কী কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Spanish Village: এই দেশে বিক্রি হচ্ছে একটি পুরো গ্রাম, যার দাম শুনলে অবাক হবেন আপনিও!

    Spanish Village: এই দেশে বিক্রি হচ্ছে একটি পুরো গ্রাম, যার দাম শুনলে অবাক হবেন আপনিও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপানারা সাধারণত একটি বাড়ি বা ভিলা কেনার স্বপ্ন দেখে থাকেন, তবে কখনও ভেবেছেন কি যদি আপনি পুরো একটি গ্রাম কিনতে পারেন? পুরো গ্রাম, ভাবতেই অবাক লাগছে তো! কিন্তু এটিই সত্যি। স্পেনের একটি গ্রাম আছে যেটি বিক্রি করা হবে (Spanish Village)। স্পেনের এই গ্রাম ৩০ বছর ধরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। গ্রামটির নাম স্যালতো দে ক্যাস্ট্রো (Salto de Castro)।

    এই গ্রামটি জামোরা প্রদেশের পোতুর্গাল সীমান্তে অবস্থিত। স্পেনের মাদ্রিদ থেকে এই গ্রামে যেতে প্রায় তিন ঘন্টা সময় লাগে। প্রায় তিন দশক ধরে পোর্তুগাল সীমান্তের কাছে গ্রামটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। তাই গ্রামটি এখন বিক্রির জন্য ক্রেতা খুঁজছেন এর বর্তমান মালিক। এটির (Spanish Village) দাম রাখা হয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার ইউরো, যা ভারতীয় মুদ্রায় ২কোটি ১৬ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮৩১ টাকা।

    আরও পড়ুন: ইসলামিক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে খুলল হিন্দু মন্দিরের দরজা

    এই গ্রামে কী কী আছে?

    জামোরা প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামটিতে (Spanish Village) ৪৪টি বাড়ি, হোটেল, চার্চ, স্কুল, সুইমিং পুল রয়েছে। কিন্তু এখান থেকে বাসিন্দারা তিন দশক আগেই সরে গেছেন। এখানে শহরের মত পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই। ২০০০ সালের দিকে গ্রামটির বর্তমান মালিক এটি কেনেন। তিনি গ্রামটিকে পর্যটনকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে অর্থনৈতিক মন্দাসহ নানা কারণে তাঁর পরিকল্পনা সফল হয়নি। তিনি এখানে একটি হোটেলও করার কথা ভেবেছিল কিন্তু তা কিছুই করে ওঠা হয়নি।

    গ্রামটির (Spanish Village) মালিকানা সংস্থা রয়্যাল ইনভেস্টের কর্মকর্তা রনি রদ্রিগেজ বলেছেন, ‘মালিকের এখানে একটি হোটেল করার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এটি হয়নি।’ এই সম্পত্তির কথা Idealista নামক একটি স্প্যানিশ রিটেল ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে গ্রামটি বিক্রির কারণ হিসেবে এর মালিক বলেছেন, ‘আমি শহরে থাকি। গ্রামটি দেখাশোনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এটা বিক্রি করতে হচ্ছে।’

    আর এই রিটেল পেজটিতে বর্তমানে প্রায় ৫০হাজারের বেশি ভিউ এসেছে। এরই মধ্যে রাশিয়া, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ব্রিটেন সহ বেশ কিছু দেশ থেকে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ এই গ্রাম (Spanish Village) কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। একজন কিছু অর্থ অগ্রিম দিয়েও বুকিং করে রেখেছেন।

    প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের দিকে স্পেনের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা ইবারডুরো জলাধার তৈরি করা শ্রমিকদের পরিবারের জন্য এই গ্রাম তৈরি করা হয়েছিল। তবে ওই নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বাসিন্দারা এখান থেকে সরে যেতে থাকেন। এরপর ১৯৮০ সালের শেষ দিকে গ্রামটি (Spanish Village) পুরো খালি হয়ে যায়।

  • Dengue in West Bengal: পুর কর্মীর অভাবেই বাড়ছে ডেঙ্গি, জানাল স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট

    Dengue in West Bengal: পুর কর্মীর অভাবেই বাড়ছে ডেঙ্গি, জানাল স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue In West Bengal) সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর ডেঙ্গি সংক্রমণের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কলকাতা। শহরে লাগামহীন এই সংক্রমণের জন্য দায়ী নজরদারির অভাব। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে এমনি উল্লেখ করা হয়েছে। 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে কী জানা গিয়েছে?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার নজরদারি কর্মীর অভাব রয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় (Dengue In West Bengal) ওয়ার্ড ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হয়নি। আর তার জেরেই বিপত্তি। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতার সব ওয়ার্ডে জনসংখ্যা এক নয়। কিন্তু ডেঙ্গি মোকাবিলায় কর্মী সংখ্যা এক। অর্থাৎ, যেখানে নজরদারি বেশি প্রয়োজন, সেখানে পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব রয়েছে। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর কলকাতার তুলনায় দক্ষিণ কলকাতার ওয়ার্ডগুলোতে জনসংখ্যা বেশি। কিন্তু সেখানে অতিরিক্ত পুর কর্মী নেই। যেমন কোনও ওয়ার্ডে বাসিন্দা সংখ্যা ১০ হাজার, আবার কোথাও বাসিন্দা ২৫ হাজার। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ১০ হাজার মানুষের নজরদারির জন্য যত সংখ্যক পুর কর্মী নিযুক্ত হয়েছেন, ২৫ হাজারেও সংখ্যাটা এক। ফলে, কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। 

    সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী পুরসভার এই ঢিলেঢালা মনোভাবে অত্যন্ত বিরক্ত। তিনি বৈঠকে জানিয়েছেন, একাধিকবার ঠিক করা হয়েছে, দিনে দু’বার পুর কর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নজরদারি করবেন। জল জমা থেকে জ্বরের খবর, সবটাই পুরসভার কাছে থাকবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকতেই রোগ মোকাবিলা সহজ। কিন্তু বাস্তবে কলকাতার অধিকাংশ জায়গায় এই নজরদারি হয়নি (Dengue In West Bengal)। একটি বাড়িতে দু’বেলা যাওয়া তো দূর অস্ত। অনেক ওয়ার্ডে প্রত্যেক বাড়িতে দিনে একবার ও পুর কর্মী যাননি, এমন ঘটনাও ঘটেছে। ফলে, নজরদারির গাফিলতি স্পষ্ট। 

    জুলাই মাস থেকেই ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছিল (Dengue In West Bengal)। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুরসভাকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। এলাকা পরিষ্কার, জ্বর হলে দ্রুত রিপোর্ট পাওয়া, কোনও ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পেলে, সেখানে বিশেষ সক্রিয় থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ ঠিকমতো হয়নি। আর তার জেরেই কলকাতায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়ানক আকার নিয়েছে। দিনে দু’হাজারের কাছাকাছি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৭০ জনের বেশি ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে, কর্মীরা সক্রিয় আছেন। এলাকা পরিদর্শনের কাজ চলছে। যেখানে বাড়তি কর্মী প্রয়োজন, সেখানে অন্য জায়গা থেকে কর্মী পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টাও হচ্ছে। 

    তবে পুরসভার এই যুক্তিতে খুশি নয় স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, পুরসভাকে পাঠানো রিপোর্টে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, নজরদারির জন্য আলাদা কর্মী নিয়োগ না করলে ডেঙ্গি মোকাবিলা করা যাবে না। পরিস্থিতির ও উন্নতি হবে না (Dengue In West Bengal)। 

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, নজরদারিতে গাফিলতি অবশ্য শুধু কলকাতা নয়, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জায়গার পুরসভাতেই রয়েছে। বিশেষত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ওয়ার্ড ভিত্তিক নজরদারির বিশেষ অভাব রয়েছে। ফলে, সেখানে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে (Dengue In West Bengal)। 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছরের অর্ধেক সময় প্রশাসন, ডেঙ্গি হয়েছে, এটা মানতেই চায় না। আর তাতেই সমস্যা বাড়ে। পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন প্রশাসনের হুঁশ ফেরে। প্রত্যেক বছর ডেঙ্গিতে কয়েক’শ মানুষ মারা যাচ্ছেন (Dengue In West Bengal)। তারপরেও কেন রাজ্য সরকারের পরিকল্পনায় গাফিলতি থাকছে? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে পুর দফতর কোথাও পাওয়া যায়নি।

  • Artemis 1 Mission: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    Artemis 1 Mission: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক বাধা কাটিয়ে শেষপর্যন্ত চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়ে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১ মিশন’ (Artemis 1 Mission)। চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল যাত্রীবিহীন মহাকাশযান ‘ওরিয়ন’। চাঁদে ফের মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে আমেরিকার এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আর আজ তার প্রথম ধাপ সম্পন্ন হল। ভারতীয় সময় দুপুর ১২টা ১৭ নাগাদ ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে লঞ্চ হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’।

    বাধা কাটিয়ে সফল উৎক্ষেপণ

    আর্টেমিস-১-এর সফল উৎক্ষেপণের উপর নির্ভর করেই আগামী দিনে নাসা চন্দ্রাভিযান নিয়ে আরও বড় আকারের পরিকল্পনা করবে (Artemis 1 Mission)। এর আগে যান্ত্রিক কারণে দুবারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পরপর দুবার বাতিল করা হয়েছে উৎক্ষেপণ। একবার ইঞ্জিনে ত্রুটি, একবার হাইড্রোজেন গ্যাসের লিকের কারণে উৎক্ষেপণ করা হয়নি। কিন্তু এবার এই যানটি চাঁদের কক্ষপথে গিয়ে যানটিকে কক্ষপথে ছেড়ে দেবে। ক্যাপসুলের মতো খুলে যাবে ঢাকনা। বেরিয়ে আসবে যানটি। চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে অবতরণের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে আসবে ওরিয়ন। মহাকাশচারীদের জন্য লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছে কি না তা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে আসবে স্পেস রকেট।

    আরও পড়ুন: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    আর্টেমিস মিশনের তিনটি ধাপ

    দীর্ঘ ৫০ বছর পর চাঁদে মানুষ পাঠানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাই এর তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। এরই মধ্যে এক ধাপ সফল হয়েছে। নাসার চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশন সম্পন্ন হবে মোট ৩টি ধাপে। যার প্রথম ধাপ ‘আর্টেমিস ১’। এটি যাত্রীবিহীন অভিযান। যার মূল লক্ষ্য, চাঁদের মাটিতে নামার জন্য সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডিং সাইট’গুলি চিহ্নিত করা। অর্থাৎ কোথায় মহাকাশচারীরা অবতরণ করবেন তা চিহ্নিত করা। এরপর একই পরীক্ষা হবে মিশনের দ্বিতীয় ধাপেও। তা সফল হলে তৃতীয় ধাপের অভিযানে চাঁদে পাড়ি দেবে মানুষ (Artemis 1 Mission)।

    উল্লেখ্য, নাসার তরফে জানানো হয়েছে, এটি আবার পৃথিবীর দিকে ফিরে আসবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর। প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করার আগে ওরিয়ন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। অনুমান করা হয়েছে, এটি ২৫ থেকে ২৬ দিনের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করবে।  

  • Delhi-Mehrauli Murder: নম্র স্বভাবের ছিলেন ‘কিলার’ আফতাব! আর কী বললেন প্রতিবেশীরা?

    Delhi-Mehrauli Murder: নম্র স্বভাবের ছিলেন ‘কিলার’ আফতাব! আর কী বললেন প্রতিবেশীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে আফতাবের নৃশংসতায় গোটা দেশ শিউরে উঠেছে। মানুষ যে কতটা পাশবিক হয়ে উঠতে পারে তারই সাক্ষী থাকল পুরো দেশ (Delhi-Mehrauli Murder)। দিল্লিতে বান্ধবী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল আফতাব। প্রতিদিন মাঝরাতে সেই দেহাংশ ঝোপঝাড়ে গিয়ে ফেলে আসত, একথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে আফতাব। এরইমধ্যে এক নতুন তথ্যের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, কীভাবে রক্ত পরিষ্কার করতে হয়? নৃশংসভাবে খুনের পর সেটাই গুগলে সার্চ করেছিল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। দিল্লির ছত্তরপুর পাহাড়ি এলাকার আবাসনের বাসিন্দাদের চোখে-মুখেও এখন আতঙ্কের ছাপ। সেখানকার বাসিন্দারা কেই বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে, আফতাবের মত মানুষ এমন পাশবিক কাজ করতে পারে। কারণ তাদের কাছে আফতাব একজন ভালো মানুষ।  তবে জানেন কি কীভাবে সে ওই বাড়িতে শ্রদ্ধাকে খুন করে, নীচে প্রতিবেশী থাকা সত্ত্বেও কেউ কীভাবে টের পেলেন না, গন্ধ যাতে কেউ না পায় তার জন্যই বা সে কী করত? এই বিষয়ে বিশদে জানলে আরও বেশি শিউরে উঠবে মানুষ।

    কীভাবে খুন করল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধর্মীয় ব্যবধানের কারণে শ্রদ্ধার বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ককে মেনে না নিলে তাঁরা দিল্লিতে চলে আসেন ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চাইলেও আফতাব তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকত। সূত্রের খবর, গত ১৮ মে অভিযুক্ত আফতাব ও শ্রদ্ধার ঝগড়া চরমে পৌঁছয়। এই ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধা চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা যাতে তাঁদের ঝগড়া না শুনে ফেলে, সেই ভয়ে শ্রদ্ধাকে চুপ করাতে যায় আফতাব। শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরে। আর এতেই মৃত্যু হয় তরুণীর। কিন্তু এরপর এই কাণ্ড লুকোতে যা করল আফতাব তা আরও হাড় হিম করে দেওয়ার মত ঘটনা। এরপরেই একটি ফ্রিজ কিনে আনে ও শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরোয় কেটে ফ্রিজারে রেখে দেয়। শুধু তাই নয়, গন্ধ যাতে না বের হয় তার জন্য ব্যবহার করা হত আগরবাতি, ধূপ এবং রুম ফ্রেশনার (Delhi-Mehrauli Murder)।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পুরো একদিন লেগেছে শ্রদ্ধার দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরতে। আর এসব তার বাথরুমে করে। আবার তার ঘরের মেঝেও অনেকবার মুছেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার ২-৩ মাস পর্যন্ত তার কেটে রাখা মাথা রেখে দেয় ও তারপর ফেলে দেয়। রাত দুটো নাগাদ জঙ্গলে যেত। ঘণ্টাদুয়েক পরে ফিরে আসত। প্রায় ২০ দিন ধরে সেই কাজ করেছিল সে (Delhi-Mehrauli Murder)।

    প্রতিবেশীরা কী বলছেন?

    যেই বাড়িটি তারা ভাড়া নিয়েছিল, তার নীচের এক প্রতিবেশী বলেন, তারা কখনও বুঝতেই পারেনি (Delhi-Mehrauli Murder)। এই প্রতিবেশী আরও জানান, তিনি একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করেন এবং প্রায়ই তাঁর সেখানেই দিন কেটে যায়। তিনি বলেন, “আমরা জুলাই মাসে এখানে এসেছি। আমি এই মহিলাকে কখনও দেখিনি ও তার বিষয়ে শুনিনি। আমরা আফতাবকে কাজে যেতে দেখতাম বা ঘোরাঘুরি করতে দেখতাম, কিন্তু কোনওদিন সন্দেহজনক কিছু মনে হয়নি। নম্র স্বভাবের ছিল আফতাব।” প্রতিবেশীরা আরও জানিয়েছেন, দু’জনেই বাড়িওয়ালার কাছে তাদের আইডি কার্ড জমা দিয়েছিল। কিন্তু, বেশিরভাগ প্রতিবেশী কখনও শ্রদ্ধাকে দেখেননি। কারণ,খুন হওয়ার আগে মাত্র তিনদিনই সেখানে ছিল শ্রদ্ধা ।

    অন্য এক প্রতিবেশী কুসুম লতা বলেন, তিনি সম্ভবত শ্রদ্ধাকে একবার বা দু’বার দেখেছেন। মাঝে মাঝে আফতাব জোরে গান চালাতেন এবং কখনও কখনও ঝগড়া শোনা যেত, তবে এধরনের ঘটনা খুবই সাধারণ। এক দোকানদার জানান, তিনি আফতাবকে নিয়মিত দেখতেন কিন্তু তার সম্পর্কে সন্দেহজনক কিছু মনে হয়নি। আশেপাশের অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি একা থাকেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার তাকে গ্রেফতারের পর তারা ১৩ টি শরীরের অংশ মেহরুলি ফরেস্ট অঞ্চল থেকে খুঁজে পেয়েছে, যার বেশিরভাগই হাড় (Delhi-Mehrauli Murder)।

  • Meta & WhatsApp: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু, আরেক উচ্চপদস্থ কর্তার পদত্যাগ

    Meta & WhatsApp: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু, আরেক উচ্চপদস্থ কর্তার পদত্যাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের মাঝে এবারে দুই উচ্চপদস্থ কর্তা নিজেই নিজেদের জায়গা থেকে সরে দাঁড়ালেন (Meta & WhatsApp)। পদত্যাগ করলেন ভারতের হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু ও একই সঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন মেটা ইন্ডিয়ার পাবলিক পলিসির ডিরেক্টর রাজীব আগরওয়াল। ভারতে মেটার প্রধান অজিত মোহনের ইস্তফার দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই এই সংস্থা থেকে বেরিয়ে গেলেন এই সংস্থার পাবলিক পলিসির প্রধান রাজীব আগরওয়াল। মেটার দুই বড় কর্তাই মঙ্গলবার তাঁদের পদ ছেড়ে দিয়েছেন।

    কেন পদত্যাগ করলেন?

    ইনস্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ ভারত সহ গোটা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় (Meta & WhatsApp)। একদিন ভারতের হোয়াটসঅ্যাপের দায়ভার সম্পূর্ণ ছিল অভিজিৎ বসুর উপর। ফলে আচমকা তাঁর পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কেন তাঁর এই সিদ্ধান্ত তা বিষয়ে জানা যায়নি। লিঙ্কডইন-এ অভিজিৎ বসু জানিয়েছেন, তিনি ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রথম কান্ট্রি হেড ছিলেন। তিনি এবার কোন সংস্থায় যোগ দিচ্ছেন, তা অবশ্য জানাননি তিনি। তবে অভিজিৎ জানান, আপাতত ছোট্ট বিরতি নিচ্ছেন তিনি। এরপর, ফের এই প্রযুক্তির জগতে যোগদানের পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিষয়ে শীঘ্রই ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন। সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, খুব দ্রুত অভিজিতের জায়গায় অন্য কাউকে নিয়ে আসা হবে।

    অন্যদিকে ভারতে মেটার প্রধান অজিত মোহনের ইস্তফার ২ সপ্তাহের মধ্যেই রাজীব আগরওয়াল পদত্যাগ করলেন। অজিত মোহন বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা স্ন্যাপ-এ যোগ দেবেন। স্ন্যাপ-এ এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। আর এই সুযোগের জন্যই তিনি মেটা ছেড়েছেন। ফলে সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রাজীবও অন্য এক সংস্থায় যোগ দেবেন বলেই এই চাকরি ছাড়লেন তিনি। তবে তাঁর থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বর্তমানে আপাতত রাজীবের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের পাবলিক পলিসির ডিরেক্টর শিবনাথ ঠুকরালের উপর (Meta & WhatsApp)।

    হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান উইল ক্যাথকার্ট অভিজিৎকে পরবর্তী কাজের জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন (Meta & WhatsApp)। তাঁর হাত ধরেই যে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ নয়া উচ্চতা অর্জন করেছে, তা মেনে নিয়েছেন তিনি। অভিজিতের কাজের ধারাকেই ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই সংস্থার কর্তব্য বলেও অন্যান্য কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন উইল।

    উল্লেখ্য, ট্যুইটারের পর দিন কয়েক আগেই গণছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে মেটাও। একসঙ্গে ১১ হাজার কর্মীকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেন মার্ক জুকারবার্গ। ফলে মেটার খারাপ আর্থিক রিপোর্টের আবহে এই একের পর এক উচ্চপদস্থ পদত্যাগের ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ (Meta & WhatsApp)।

  • SSC Scam: ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে সুবীরেশের ‘নির্দেশেই’! একাধিক অযোগ্য প্রার্থীদের তলব করল সিবিআই

    SSC Scam: ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে সুবীরেশের ‘নির্দেশেই’! একাধিক অযোগ্য প্রার্থীদের তলব করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ওএমআর শিটে যাদের নম্বর বদল হয়েছিল এমন একাধিক চাকরিপ্রাপকদের তলব করল সিবিআই (CBI)। সিবিআই সূত্রে দাবি, ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে ৬৬৭ জন চাকরিপ্রার্থীর (SSC Scam)।

    সিবিআইয়ের তলব

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই চাকরিপ্রার্থীদের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উল্লেখ করেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক (SSC Scam)। ফলে এদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন, এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এরপরেই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তন হওয়া একাধিক চাকরিপ্রাপকদের তলব করেছে সিবিআই। আজ ও আগামীকাল পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের ২০ জন চাকরিপ্রাপকদের নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যে এসে হাজিরও হয়েছেন। তাঁদের বয়ানে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সেটাও রেকর্ড করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।

    ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছিল কার নির্দেশে?

    গতকাল সিবিআই আদাতে দাবি করেছে, ৬৬৭ জনের নম্বর বদলের পিছনে হাত রয়েছে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যর। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) অভিযুক্ত সুবীরেশই একসময় জানিয়েছিলেন যে, তাঁর সময়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু গতকাল সিবিআই আদালতে দাবি করেন, সুবীরেশের ‘নির্দেশে’ই অযোগ্য প্রার্থীদের নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। আর এই বিষয়ে আদালতে প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু নথিও পেশ করেছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    গতকাল, সোমবার এসএসসির নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে (SSC Scam)। সিবিআই সূত্রে খবর, সিবিআই-এর তরফে আগেই দাবি করা হয়েছিল যে, এসএসসি মামলায় বেআইনি ভাবে ৬৬৭ জন অযোগ্য প্রার্থীর নম্বর বাড়ানো হয়েছে। এরপর এই মামলার আরও তদন্ত করে এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ওই ৬৬৭ জনের তালিকা উদ্ধার করেছে সিবিআই। আর এরপরেই জানা গিয়েছে, ৬৬৭ জনের পরীক্ষার ওএমআর শিট বদলের পিছনের মূলচক্রী এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যই। তাঁর নির্দেশে এবং তাঁরই তত্ত্বাবধানেই অযোগ্য প্রার্থীর নম্বর টাকার বিনিময়ে বদল করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দেওয়া এই তথ্যই নির্দেশনামায় তুলে ধরেছেন সিবিআই আদালতের বিচারক শেখ কালামউদ্দিন।

    আদালতে বিচারকের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সিবিআই-এর উদ্দেশে গতকাল কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছুড়ে দেন আলিপুর কোর্টের বিচারক শেখ কালামুদ্দিন। তিনি প্রশ্ন করেন, যেসব অযোগ্য প্রার্থীরা টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়েছেন, তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? ৬৭৭ জনের মধ্যে কেন শুধু ৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে? বাকিদের কবে বয়ান রেকর্ড করা হবে? তদন্ত কি অনন্তকাল চলবে? আবার তদন্তের গতি বাড়ানোর নির্দেশও দেন বিচারক। আর এসবের পরেই সিবিআই-এর তলব অযোগ্য প্রার্থীদের।

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পেও দুর্নীতি! এমন অভিযোগ আগেই করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এবারে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকার কারচুপি করে টাকা নয়ছয় করেছে, এমনটা অভিযোগ এনে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। আর এবারে সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়েছেন ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি

    রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, এমন অভিযোগ আগেই উঠেছিল। আর এই নিয়ে অনেক সমালোচনারও সৃষ্টি হয়েছিল। আর এই নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি দাবি করেছেন যে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র থেকে যে টাকা রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়, সেই টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার। কোনও কাজ না দিয়েই অন্য জায়গায় টাকা খরচ করার পর দুর্নীতি লুকোতে মানুষকে ভুল শংসাপত্র দিয়েছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। আর এমনটাই জানানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো চিঠিতে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    এই ইস্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, তথ্যে কারচুপি করা হচ্ছে। টেন্ডার না হওয়া তথ্য তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এলাকায় প্রকৃত জনসংখ্যার থেকে বেশি সংখ্যক জব কার্ড হোল্ডার রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

    তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়ার আর্জি

    মামলা দায়ের করার পাশাপাশি বিষয়টির তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আর্জিও করেছেন তিনি (Suvendu Adhikari)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য প্রশাসনের! শুভেন্দুকে সভার অনুমতি আদালতের 

  • Honour Killing: ২১ বছরের মেয়েকে খুন করল বাবা, স্যুটকেসে ভরল মা! দিল্লিতে ফের নৃশংস খুন

    Honour Killing: ২১ বছরের মেয়েকে খুন করল বাবা, স্যুটকেসে ভরল মা! দিল্লিতে ফের নৃশংস খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডে যখন তোলপাড় গোটা দেশ, আর এরই মধ্যে ফের এক নৃশংস খুনের খবর সামনে এসেছে (Honour Killing)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবারে এক ২১ বছর বয়সী তরুণীকে গুলি করে খুন করেছে তরুণীর বাবা। আর মৃতদেহ প্লাস্টিকে মুড়ে স্যুটকেসে ভরতে সাহায্য করেছে মা। তারপর সেই স্যুটকেস ফেলে দিয়ে আসে এক রাস্তায়। হাড় হিম করা ঘটনা! ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তরুণীর নাম আয়ুষি যাদব। উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বালুনির বাসিন্দা আয়ুষির পরিবার ও পরে তাঁরা রাজধানী দিল্লিতে চলে এসেছেন। তবে কেন এই খুন, তার রহস্য বেরিয়ে আসতেই হতভম্ব সবাই।

    খুন করার কারণ কী?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘অনার কিলিং’য়ের শিকার আয়ুষি যাদব (Honour Killing)। আয়ুষি তাঁর বাবা-মা-এর সম্মতি ছাড়াই এক ভিন্ন ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করায় তাঁকে খুন করেছে তাঁর বাবা নীতেশ যাদব। পুলিশের দাবি, ছত্রপাল নামে অন্য জাতের এক তরুণকে বিয়ে করেছিলেন আয়ুষি এবং সেটা বাড়িতে না জানিয়েই। মেয়ের এই আচরণের ফলেই খুন করে তাঁর বাবা-মা। পরিবারের ‘সম্মানরক্ষায়’ ঘটেছে এই কাণ্ড, সূত্রের খবর।

    পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে আয়ুষির বাবা নীতেশ জানিয়েছেন, গত ১৭ নভেম্বর, দিল্লির বদরপুরের মদবন্দ গ্রামে তাঁদের বাড়িতে নিজের লাইসেন্সড বন্দুক দিয়েই আয়ুষিকে খুন করেছেন তিনি। তারপর দেহ প্লাস্টিকে মুড়ে স্যুটকেসে ভরতে সাহায্য করেছেন তাঁর স্ত্রী ব্রজবালা যাদব ও এরপর মৃতদেহ গাড়ি করে নিয়ে গিয়ে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের কাছে ফেলে আসেন (Honour Killing)।

    আরও পড়ুন: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    কী ঘটেছে?

    গত সপ্তাহেই মথুরা পুলিশ জানিয়েছিল, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে একটি স্যুটকেসবন্দি দেহ পেয়েছে তাঁরা। নিহতের পরিচয় জানতে তদন্ত করা হচ্ছিল। এরপর গতকাল, সোমবার সেই স্যুটকেসের সূত্র খুঁজতে গিয়ে তদন্তে উঠে আসে এই নৃশংস কাণ্ড। জানতে পারা যায়, তরুণীকে খুন করেছে তাঁর বাবা-মা। মৃতদেহের পরিচয় জানতে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি রাস্তায় পোস্টারও সাঁটানো হয়, সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হয়। এরপর রবিবার সকালে এক অজানা ব্যক্তির থেকে ফোন আসে ও তিনি নিহতের বিষয়ে তথ্য দেন। এরপর সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আয়ুষির মা এবং ভাই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। তাঁরা দেহ শনাক্ত করেন। এরপর যখন তাঁর দেহ শনাক্ত করতে তাঁর বাবা নীতেশ আসে, তখন তাঁদের প্রশ্ন করা হলে তাঁদের উত্তরে সন্দেহ হলে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকেই। এর পরে জেরায় বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, আয়ুশি যাদবের ভাইও এই খুনের বিষয়টি জানতেন। হত্যাকাণ্ডের অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ (Honour Killing)।

    সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ মার্তন্ড প্রকাশ সিং জানিয়েছেন, আয়ুশির বাবা নীতেশ যাদব ও মা ব্রজবালা যাদবকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৩০২ এবং ২০১ -এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। 

  • Delhi Murder: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    Delhi Murder: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম।’ আদালতে বিচারকের সামনে জানায় শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব। যত দিন যাচ্ছে, শ্রদ্ধা খুনের মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে জোরকদমে চলছে পুলিশি তদন্ত। এরই মাঝে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে যে, সেই তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। আফতাব আদালতে জানায়, যা হয়েছে, রাগের বশে হয়েছে।

    দিল্লির সাকেত আদালতে পেশ আফতাবকে

    আজ, মঙ্গলবার পাঁচদিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আফতাবকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সাকেত আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই সে এমন মন্তব্য করেছে। শুনানি শেষে অভিযুক্ত আফতাবকে ফের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আফতাব বিচারকের সামনে শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ও দেহের অংশ টুকরো টুকরো করে কাটার ঘটনাটিও স্বীকার করে নেয়। কিন্তু তিনি এমন এক মন্তব্য করে বসলেন, তা নিয়ে হতবাক সবাই। আফতাব বিচারকের সামনে বলেছে, ‘HEAT OF THE MOMENT’ হয়েছে সবকিছু। অর্থাৎ ‘মাথা গরম ছিল, তাই রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছি।’

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধার খুলি উদ্ধার, পাঠানো হল ডিএনএ পরীক্ষায়

    আদালতে কী কী বলল আফতাব?

    আফতাব আরও জানায় যে, সে তদন্তে সহযোগিতা করেছে। সে কীভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে, কীভাবে শ্রদ্ধার দেহের অংশ টুকরো টুকরো করেছে ও কোথায় সেগুলো ফেলেছে, সেসব বিষয়েই পুলিশকে তথ্য দিয়েছে। তবে সে বলেছে যে, ঘটনার অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় তিনি সবকিছু মনে করতে পারছে না।

    তবে পুলিশের তরফে অভিযোগ আসে যে, সে খুনের কথা স্বীকার করলেও কোনও কোনও প্রশ্নের উত্তর সঠিক দেয়নি। আদালতে পুলিশ তার নামে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানায় যে, আফতাব ভুল তথ্য দিয়েছে ও তদন্তকে বিভ্রান্ত করছে।

    নার্কো ও পলিগ্রাফ টেস্ট

    এর আগে বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশকে ৫ দিনের মধ্যে আফতাবের নার্কো টেস্ট করার নির্দেশ দেয় আদালত। এখন আবার পলিগ্রাফ টেস্ট করানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্তভার দিল্লি পুলিশের থেকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে মেহুরুলির জঙ্গলে ছড়িয়ে দিয়ে এসেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছিল আফতাব। দিল্লি পুলিশ তাঁর সেই স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জঙ্গলে তিন বার তল্লাশি চালায়। আর এরই মধ্যে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহের খুলির একাংশ, কাটা কব্জি, হাঁটুর অংশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহাংশগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ফলে পরবর্তীতে দিল্লি পুলিশের হাতে  আর কী কী তথ্য উঠে আসে সেটাই এখন দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share