Author: নিমাই দে

  • Elon Musk: ট্যুইটার দেউলিয়ার পথে! নয়া আশঙ্কার মাঝে ‘সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা’ কাজের আদেশ ইলনের

    Elon Musk: ট্যুইটার দেউলিয়ার পথে! নয়া আশঙ্কার মাঝে ‘সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা’ কাজের আদেশ ইলনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটারে ফের নতুন সংকট! ৪৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ট্যুইটার কেনার পর থেকেই একের পর এক নয়া সিদ্ধান্তের ঘোষণা করছে ইলন মাস্ক (Elon Musk)। আর এসব সিদ্ধান্তের জেরে একাধিক সমালোচনার সম্মুখীনও হতে হয়েছে টেসলা কর্তা-কে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে আরও অর্থ জেনারেট করতে না পারলে দেউলিয়া হতে পারে কোম্পানি, বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ট্যুইটারের নয়া মালিক ইলন মাস্ক। ইতিমধ্যেই দুই সপ্তাহে ট্যুইটারের দায়িত্ব নিতেই অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই করে ফেলেছেন তিনি। এবার ফের তিনি এই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করে কর্মীদের জন্য আরও একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইলন (Elon Musk)।

    ঋণের বোঝা ট্যুইটারের উপর

    আবার ট্যুইটারের গণছাঁটাইয়ের পরিস্থিতি দেখে অনেক ট্যুইটারের দুই উচ্চপদস্থ কর্তা স্বেচ্ছায় ট্যুইটার থেকে পদত্যাগ করেছেন। যার মধ্যে আছেন এক্সিকিউটিভ ইয়োয়েল রোথ, রবিন হুইলার। কিন্তু মাস্ক তাঁকে কোম্পানিতে কাজ করার জন্য পরে রাজি করেছেন। মাস্কের (Elon Musk) কোম্পানিকে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছেন, যা এখন সাতটি ওয়াল স্ট্রিট ব্যাংকের হাতে রয়েছে। কোম্পানির প্রতি আস্থা এতটাই কমে গেছে যে, ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে যে, মাস্কের দেউলিয়া হওয়ার মন্তব্যের আগেও কিছু তহবিল ডলারে ৬০ সেন্টের মতো ঋণ কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল। সাধারণত এই অফারটি আর্থিক সংকটে বলে মনে করা কোম্পানিগুলির জন্য তৈরি করা হয়।

    আরও পড়ুন: ভারতের প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করল ট্যুইটার

    কর্মীদের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা

    এরপরেই মাস্ক (Elon Musk) তাঁর বক্তব্যে এই কোম্পানির দেউলিয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ও বেশ কিছু সতর্কতা জারি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কর্মীদের সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে, বিনামূল্যে খাবার দেওয়া আর হবে না এবং বাড়ি থেকে কাজ করার প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতে হবে। অর্থাৎ যেসকল কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ (work from home) করার সুযোগ পেতেন, তাঁদেরকেও অফিসে আসতে হবে। কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম সম্পূর্ণভাবে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ইলন। আবার কর্মীদের রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে ইলন মেলে লিখেছেন, “আপনারা যদি অফিসে ফিরে আসতে না চান, তবে আপনাদের ইস্তফাপত্র আমি গ্রহণ করছি।”

    এরপর ইলন (Elon Musk) আরও জানিয়েছেন, কোম্পানির প্রয়োজনের ভিত্তিতে ট্যুইটার ব্লু-টিকের পরিষেবা দ্রুত শুরু করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আরও অর্থ উপার্জন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ট্যুইটার-কর্তা। ফলে কীভাবে কোম্পানির এই পরিস্থিতির মধ্যে ইলন মাস্ক ফের ট্যুইটারকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষায়।

  • Twitter Layoffs: নোটিশ-ইমেল নয়, ট্যুইট করেই ছাঁটাই কর্মী, কেন এমন করলেন ইলন মাস্ক?

    Twitter Layoffs: নোটিশ-ইমেল নয়, ট্যুইট করেই ছাঁটাই কর্মী, কেন এমন করলেন ইলন মাস্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণছাঁটাই, নোটিশ না দিয়ে চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছাঁটাইয়ের পর এবারে ট্যুইট করেই আরও এক কর্মীকে ছাঁটাই করলেন নয়া কর্তা ইলন মাস্ক (Twitter Layoffs)। ট্যুইটার কেনার পর থেকেই নিজের ইচ্ছে মত কর্মীদের ছাঁটাই করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ট্যুইটার তাঁর অধীনে আসার পরেই কখনও সংস্থার প্রায় অর্ধেক কর্মী বরখাস্ত করেছেন, কখনও আবার অস্থায়ী কর্মীদের ছাঁটাই করেছেন, কখনও আবার সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর এরপরেই নোটিশ-মেল তো দূর, মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মেই কর্মী ছাঁটাই করলেন। তবে কেন এই পদক্ষেপ?

    নোটিশ-ইমেল ছাড়া শুধুমাত্র ট্যুইট করেই কর্মী ছাঁটাই!

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ট্যুইটারের এক কর্মী এই প্ল্যাটফর্মেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সংস্থার মালিক ইলনের সঙ্গে (Twitter Layoffs)। আর যার জেরে খোয়াতে হয় চাকরি। সম্প্রতি, একাধিক দেশে মাইক্রোব্লগিং সাইটের গতি অত্যন্ত ধীর হওয়ার কারণে একাধিক অভিযোগ উঠে আসছিল, আর যার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন ইলন মাস্ক। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, “একাধিক দেশে ট্যুইটারের পরিষেবা অত্যন্ত ধীর হওয়ায় ক্ষমা চাইছি।”

    আর এরপরেই এর উত্তরে ট্যুইটারের অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার এরিক ফ্রনহোফার ট্যুইট করে জানান যে, তিনি ৬ বছর ধরে কাজ করছেন এই সংস্থায় ও যেটি হচ্ছে সেটি ভুল। এরপরেই আবার ইলন পাল্টা প্রশ্ন করেন, “তাহলে দয়া করে আমাকে সংশোধন করুন। সঠিক সংখ্যাটি কী?” এবং এটাও জিজ্ঞেস করেছেন, “অ্যানড্রয়েডে-এ ট্যুইটার খুবই স্লো। এটা ঠিক করার জন্য আপনি কি করেছেন?” আর এইভাবেই দুজনে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মেই বাক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। মাস্কের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন করার জেরেই এরিককে বরখাস্ত করল ট্যুইটার মালিক (Twitter Layoffs)।

    আরও পড়ুন: অর্ধেক কর্মী ছাঁটাইয়ের পর এবারে ৪৪০০ ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মী’ বরখাস্ত করল ট্যুইটার

    এই বিতর্কের মাঝে এক ইউজার বলেন যে, এরিক যেটা করেছেন সেটা ভুল করেছেন, যা সমস্যা রয়েছে তা ব্যক্তিগতভাবে মেল করে মাস্ককে বলা উচিত ছিল। আবার অন্য এক ইউজার মাস্ককে ট্যুইটারে জিজ্ঞেস করেন যে, এমন ধরণের কর্মীকে কি রাখতে চান তাঁর সংস্থায়? আর এরপরেই ইলনের তরফে এক ট্যুইট আসে, যেখানে লেখা আছে, এরিককে সংস্থা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে এরিকও বিষয়টি নিশ্চিত করলেন, যখন তিনি দেখতে পেলেন যে, ট্যুইটে তার অ্যাকাউন্ট লক করা। আর সেই ছবিও তিনি ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন (Twitter Layoffs)।

    ট্যুইটারের এই পরিস্থিতিতে (Twitter Layoffs) এক নতুন পরিষেবা, ট্যুইটার ব্লু টিক শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মাসিক ৮ ডলারের বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট অথেনটিকেশন বা ব্লু টিক মিলবে বলেই জানিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। তবে কবে থেকে এই পরিষেবা ফের চালু হবে, সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।

  • Justice DY Chandrachud: “দেশের সমস্ত নাগরিকদের রক্ষা করব…”, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়

    Justice DY Chandrachud: “দেশের সমস্ত নাগরিকদের রক্ষা করব…”, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার দেশের সুপ্রিম কোর্টের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় (Justice DY Chandrachud)। আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন উদয় উমেশ ললিত৷ তাঁর মেয়াদকাল শেষ হওয়ার পরেই দায়িত্ব নিলেন চন্দ্রচূড়৷ আগামী ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন তিনি।

    বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের শপথগ্রহণ

    শপথ নেওয়ার পর বিচারপতি চন্দ্রচূড় (Justice DY Chandrachud) সুপ্রিম কোর্টে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বলেন যে দেশের সেবা করা তাঁর কর্তব্য। তিনি বলেন, “জাতির সেবা করা আমার কর্তব্য। আমরা ভারতের সমস্ত নাগরিককে রক্ষা করব।” নতুন প্রধান বিচারপতি ২০১৬ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হওয়ার আগে ২০১৩ সালে, এলাহাবাদ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০০০ সালে, বম্বে হাইকোর্টের বিচারক ছিলেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে বম্বে এইচসি দ্বারা সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসাবে মনোনীত হন ও তিনি ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসেবেও নিযুক্ত হন।

    আরও পড়ুন: ছেলেকে অন্যায় ‘সুবিধা’ পাইয়ে দিতেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়! অভিযোগ খারিজ বার কাউন্সিলের

    প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের প্রস্তাব

    প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার অবসরের পর গত ২৭ আগস্ট দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন বিচারপতি ললিত। নিয়ম অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিচারপতি অবসরগ্রহণের আগে পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নাম সুপারিশ করে যাবেন। সেই প্রথা মেনে গত ১১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতিকে নিয়ে বৈঠকে বসে কেন্দ্রের হাতে চিঠি তুলে দেন প্রধান বিচারপতি ললিত। ফলে দেশের প্রাাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতই (Justice U U Lalit) তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ((Justice DY Chandrachud)) নাম প্রস্তাব করেছিলেন ও তাঁর প্রস্তাবে মান্যতা দেন ও তাঁকে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

    উল্লেখ্য, ৪৪ বছর আগে দেশের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন ধনঞ্জয়ের বাবা যশবন্ত বিষ্ণু চন্দ্রচূড়। ১৯৭৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৫ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ বছর প্রধান বিচারপতি পদে ছিলেন তিনি। আর আজ তাঁরই ছেলে (Justice DY Chandrachud) প্রধান বিচারপতির আসনে বসবেন।

  • T20 World Cup: আসছে লগান ২! ইন্ডিয়া-ইংল্যান্ড সেমিফাইনালকে ঘিরে মিমের বন্যা সোশ্যাল মিডিয়ায়

    T20 World Cup: আসছে লগান ২! ইন্ডিয়া-ইংল্যান্ড সেমিফাইনালকে ঘিরে মিমের বন্যা সোশ্যাল মিডিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সেমিফাইনালে ইন্ডিয়া ও ইংল্যান্ডের ম্যাচ নিয়ে চরম উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে। ইংল্যান্ড ও ইন্ডিয়ার ম্যাচকে নেটিজেনরা লগান সিনেমার সঙ্গে তুলনা করছেন। ফলে ম্যাচ আগামীকাল হলেও এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা ভেসে চলেছে।

    চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) আর মাত্র তিনটি ম্যাচ বাকি। তার মধ্যে আজ, বুধবার প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড ও বাবর আজমের পাকিস্তান। ইতিমধ্যে খেলা শুরুও হয়ে গিয়েছে। গ্রুপ পর্ব, সুপার-১২ পর্বের শেষে গ্রুপ-১ থেকে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। গ্রুপ-২ থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে ভারত ও পাকিস্তান। এরপর আগামীকাল, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও ইংল্যান্ড। ফলে আগামীকাল খেলা থাকলেও প্রায় কয়েকদিন ধরেই ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনার শেষ নেই। সেই সঙ্গে রয়েছে মিম শেয়ারিং।

    নেটিজেনদের অনেকে আবার আগামীকালের ম্যাচকে (T20 World Cup) ‘লগান ২’ (Lagaan 2) বলেও উল্লেখ করছেন। শুধুমাত্র নেটিজেনরাই নয়, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া-ও এক ট্যুইটে লিখেছে, ‘ভারত সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার পর তাদের লগান সিনেমার কথাই মনে হচ্ছে। লগানের রিমেক দেখার সুযোগ হবে এবার!’

    আসলে ম্যাচ নিয়ে এবার উত্তেজনা এতটাই তুমুল যে ক্রিকেট ভক্তরা লগানের উদাহরণ টেনে আনছেন। বলিউড স্টার আমির খান অভিনীত লগান সিনেমাটি বলিউডের অন্যতম আইকনিক সিনেমা। সিনেমাতেও ইন্ডিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে হয়েছিল ক্রিকেট ম্যাচ। পরে ব্রিটিশদের ক্রিকেট খেলায় ধূলিসাৎ করে দেয় ভারতীয়রা। সিনেমার মত এবার বাস্তবেও তাই হবে বলে আশায় বুক বেঁধেছেন দেশবাসী।

    একনজরে সেই মজাদার মিমগুলো দেখে নিন

  • Manik Bhattacharya: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    Manik Bhattacharya: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন যত এগোচ্ছে তত নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক চাঞ্ল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এবারে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার বিনিময়ে ৩২৫ জনের নিয়োগ হয়েছিল প্রাথমিকে (Primary Recruitment), আর এর নেপথ্যেও ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। গতকাল আদালতে চাঞ্চল্যকর এই দাবি করল ইডি (ED)। আবার এই মামলায় এখন শুধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক নেই, ইডির স্ক্যানারে রয়েছে তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্যও।

    জামিনের আবেদন খারিজ

    অন্যদিকে ফের জামিনের আবেদন করেছিল মানিকের আইনজীবী (Manik Bhattacharya)। কিন্তু গতকাল দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক মানিকের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে ফের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন। আাগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইডির বিশেষ আদালত। ফলে তিনি আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই থাকবেন।

    আরও পড়ুন: “যা বলার সব ইডিকে বলেছি…”, কী বললেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    ইডির কী দাবি?

    বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) আদালতে পেশ করে ইডি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে যে, টাকার বিনিময়ে ৩২৫ জনকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের, যার পেছনে হাত রয়েছে মানিকের। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এদিন আদালতে জানান, এই ৩২৫ জন ২০১৪ সালে টেট দেন। তদন্তে উঠে এসেছে যে, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ওই চাকরিপ্রার্থীদের পাশ করাতে সাহায্য করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই মধ্যস্থতাকারীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে।

    ইডির স্ক্যানারে মানিকের পরিবারের সদস্যও

    নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই নাম উঠে এসেছিল মানিকের (Manik Bhattacharya) ছেলে সৌভিকের। এবারে নাম উঠে এসেছে মানিকের ভাই, জামাই ও জামাইয়ের বাবারও। শুনানিতে ইডি দাবি করে, মানিকের জামাই ও ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন হওয়ার পাশাপাশি আরও একাধিক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে। তাই এ নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।

    কিন্তু অন্যদিকে আদালতে মানিকের আইনজীবী দাবি করেন, মানিককে নিয়ে ইডি যে তদন্ত করছে তা সব বেআইনি। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছে বা এফআইআরে মানিকের (Manik Bhattacharya) নাম নেই। আর এসব শোনার পর গতকাল তাঁর জামিনের আবেদন ফের খারিজ করে দেয় ও ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

     

  • Tiger 3: ‘টাইগার ৩’-তে ফের একসঙ্গে ‘করণ-অর্জুন’! কবে শ্যুটিং শুরু করবেন বাদশা?

    Tiger 3: ‘টাইগার ৩’-তে ফের একসঙ্গে ‘করণ-অর্জুন’! কবে শ্যুটিং শুরু করবেন বাদশা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় পর্দায় ফের একসঙ্গে দেখা যাবে করণ-অর্জুনকে! অর্থাৎ একই ছবিতে বলিউডের কিং খানভাইজানকে দেখা যাবে, এমনটাই জানা গিয়েছে। এমনিতেই শাহরুখ-সলমনের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে বলিপাড়ায় চর্চার শেষ নেই। তার মধ্যে এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই শাহরুখ-সলমনপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে। বড় পর্দায় হেভিওয়েট দুই খানকে একসঙ্গে দেখতে মুখিয়ে আছেন ভক্তরা।

    প্রায় অনেক দিন থেকেই গুঞ্জন রটেছিল যে, তাঁদের একসঙ্গে বড় পর্দায় দেখা যাবে কোনও এক ছবিতে। আর সেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন তাঁদের অনুরাগীরাও। আর এবারে সেই আশাই সত্যি হল বলে! তবে কোন ছবিতে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যাবে, এই নিয়েও কৌতুহলের শেষ ছিল না। এরপরেই জানা গেল, দুজনেই দুজনের ছবিতে ক্যামিও রোলে দর্শকদের নজর কাড়তে চলেছেন। অর্থাৎ সলমন খানকে ক্যামিও রোলে শাহরুখের ছবি ‘পাঠান’-এ দেখা যাবে ও শাহরুখকে ভাইজানের ‘টাইগার ৩’-তে দেখা যাবে। আরও জানা গিয়েছে, ‘পাঠান’-এ জাসুস টাইগার চরিত্রে দেখা যাবে সলমন খানকে। আবার ‘টাইগার ৩’-তে পাঠানের চরিত্রে দেখা যাবে শাহরুখকে।

    আরও পড়ুন: অ্যাকশনে ভরপুর সিনেমা দিয়ে প্রত্যাবর্তন বলিউড বাদশার, মুক্তি পেল ‘পাঠান’- এর টিজার

    ‘টাইগার ৩’-এর শ্যুটিং কবে শুরু করবেন শাহরুখ ?

    সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ‘পাঠান’ ছবি মুক্তি পাওয়ার পরেই ‘টাইগার ৩’ -এর শ্যুটিং শুরু করবেন কিং খান। একদিকে অ্যাটলি কুমারের ছবি জওয়ান, অন্যদিকে রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ডাঙ্কি, দুটি ছবির শ্যুটিংয়েই দারুণ ব্যস্ত রয়েছেন শাহরুখ। অন্যদিকে চলছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি পাঠান-এর প্রোমোশন। ফলে বাদশার ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ‘পাঠান’ মুক্তি পাওয়ার পরপরই ‘টাইগার ৩’তে নিজের ক্যামিও রোলের শ্যুটিং সেরে ফেলবেন শাহরুখ। অন্যদিকে বহুদিন আগেই ‘পাঠান’-এর শ্যুটিং সেরে ফেলেছেন সলমন।

    কবে মুক্তি পাবে ‘পাঠান’ ও ‘টাইগার ৩’ ?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শাহরুখের ‘পাঠান’ ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে। এতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন দীপিকা পাডুকোন ও জন আব্রাহাম। সদ্য মুক্তি পেয়েছে পাঠানের টিজারও। ছবি নিয়ে বেড়েছে দর্শকের প্রত্যাশা। অন্যদিকে ‘টাইগার ৩’ ২০২৩-এর দিওয়ালিতে রিলিজ হবে। সলমন খান ছাড়াও ‘টাইগার ৩’-তে মুখ্য চরিত্রে থাকছেন ক্যাটরিনা কইফ এবং ইমরান হাশমি। প্রথমে ঠিক ছিল, ঈদেই এই ছবি মুক্তি পাবে। কিন্তু শাহরুখের জন্য অপেক্ষা করেই এই ছবির মুক্তির দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে বেশ ভালো অ্যাকশন সিন রয়েছে বাদশার। যা শ্যুট করতে সময় লাগবে খানিকটা। তবে খুব শীঘ্রই বাদশা শ্যুটিং শুরু করতে চলেছেন। তাই এবার শুধু পর্দায় এক সঙ্গে শাহরুখ-সলমনকে দেখার অপেক্ষা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue New Variant: রাজ্যে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্টের জোড়া হানা! এর উপসর্গ কী কী?

    Dengue New Variant: রাজ্যে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্টের জোড়া হানা! এর উপসর্গ কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশ ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ বেড়েই চলেছে। তবে এবারে আরও উদ্বেগজনক তথ্য নাইসেডের (National Institute of Cholera and Enteric Diseases/NICED) রিপোর্টে উঠে এসেছে। রাজ্যে ডেঙ্গির দুরকম ভ্যারিয়েন্ট দেখা গিয়েছে (Dengue New Variant)। যা সাধারণ ডেঙ্গির থেকে বেশি বিপজ্জনক বলে জানা গিয়েছে। নাইসেডের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যে হানা দিয়েছে ডেঙ্গির নতুন দুটি প্রজাতি, ‘ডেঙ্গি-২’ বা ‘ডেঙ্গ-২’ (DENG-2) এবং ‘ডেঙ্গি ৩’-এর (DENG-3) সেরো টাইপ।

    নাইসেড সূত্রে খবর, প্রত্যেক মাসে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে ৪০০টি করে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়। সেই নমুনা বিশ্লেষণ করেই দেখা গিয়েছে, অক্টোবরে ৬০ শতাংশ রক্তের নমুনাতে ডেঙ্গি ৩-এর সেরো টাইপ পাওয়া গিয়েছে। আর ডেঙ্গি-২-এর সেরো টাইপ ধরা পড়েছে ৪০ শতাংশ। আবার গত সেপ্টেম্বর মাসে, যে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে, তাতে ডেঙ্গি-৩-এর সেরো টাইপ দেখা গিয়েছে ৩৭ শতাংশ। পাশাপাশি ডেঙ্গি ২-এর সেরো টাইপ ছিল ২৭ শতাংশ। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ডেঙ্গির দুই ভ্যারিয়েন্ট ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে (Dengue New Variant)। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গি টাইপ ৩-এর তুলনায় ডেঙ্গি টাইপ ২ মানুষের দেহের পক্ষে আরও বেশি ক্ষতিকর।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ, এর থেকে রেহাই পেতে কী করবেন ও কী করবেন না?

    আর এই প্রজাতির ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গও (Dengue New Variant) সাধারণ ডেঙ্গির তুলনায় আলাদা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই দুই ডেঙ্গির ভ্যারিয়েন্টে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও, ফের হঠাৎ কমে যাচ্ছে প্লেটলেটের সংখ্যা। মূলত উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিতে কিছু সংখ্যক রোগীর মধ্যে বর্তমানে ডেঙ্গ-২-এর উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, ডেঙ্গির এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে রোগীদের প্রথম দুই দিন জ্বর থাকছে। তৃতীয় দিন থেকে কমতে শুরু করছে জ্বর। এরপর রোগী যখন সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ করছেন, সেই সময়ই হঠাৎ প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে শুরু করছে। ফলে প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্ট।

    সাধারণ ডেঙ্গি ও ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেঙ্গ-২-এর উপসর্গের মধ্যে পার্থক্য কী?

    সাধারণ ডেঙ্গি হলে জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, মাথা ব্যথা, চোখের পিছনে, পেশি, হাঁটুতে ব্যথা, দুর্বল বোধ করা ও খিদে কমে যাওয়া, মাথাঘোরা, গলা ব্যথা, শরীরে র‌্যাশ বেরোনো ইত্যাদির মত উপসর্গ দেখা যায়। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডি-২ বা ডেঙ্গ-২-এর ক্ষেত্রে নাক ও মাড়ি থেকে রক্তপাত, বমির সঙ্গে রক্তপাত, গায়ে গাঢ় নীল বা কালো দাগ-এমন উপসর্গ দেখা যায়।

  • Twitter Layoffs: ভারতের প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করল ট্যুইটার

    Twitter Layoffs: ভারতের প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করল ট্যুইটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেসলার মালিক ইলন মাস্ক ট্যুইটার কেনার পর থেকেই শুরু করেছে গণছাঁটাই (Twitter Layoffs)। ক্ষমতা হাতে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে একের পর এক কর্মী ছাঁটাই। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩,৭০০ জন কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। আর এবারে এই কর্মী ছাঁটাইয়ের আঁচ এসে পড়ল ভারতেও। কারণ একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ভারতে কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যে ৯০ শতাংশকে সরিয়ে ফেলেছে ইলন মাস্কের নিয়ন্ত্রণাধীন ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। কর্মী ছাঁটাই-এর প্রভাব ভারতে পড়ায় পুরো দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ব বিখ্যাত সংস্থা ব্লুমবার্গের (Bloomberg) তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, ট্যুইটারে প্রায় ২০০ কর্মী ভারতে কাজ করছিলেন, যার মধ্যে ৯০ শতাংশ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে (Twitter Layoffs)। এই ছাঁটাইয়ের পরে, ভারতে মাত্র কিছু কর্মচারীই অবশিষ্ট রয়েছে। ভারতে ট্যুইটার যে কর্মচারীদের বরখাস্ত করেছে তাঁদের প্রায় ৭০ শতাংশ প্রোডাক্ট ও বাকিরা ইঞ্জিনিয়ারিং টিমে ছিলেন। এছাড়াও মার্কেটিং, পাবলিক পলিসি ও কর্পোরেট কমিউনিকেশন টিম থেকেও অনেককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ট্যুইটারের পথে মেটা! বড় কর্মী-ছাঁটাইয়ের পথে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা?

    সম্প্রতি ৪৪ বিলিয়ন ডলারে ট্যুইটার কেনেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। কোম্পানির সিইও পরাগ আগরওয়াল সহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন তিনি (Twitter Layoffs)। এদের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূতও ছিলেন। ট্যুইটার অধিগ্রহণ করতেই প্রথমে সরিয়ে ফেলা হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ট্যুইটারের শীর্ষ কর্তাদের, আর এবারে ভারতে কর্মীদের সরিয়ে ফেলা হল।

    কোম্পানি কেনার আগে থেকেই গুঞ্জন রটেছিল যে, ইলন ট্যুইটারে কর্মরত প্রায় অর্ধেক কর্মীদের ছাঁটাই করবে (Twitter Layoffs)। আর এটাই এখন সত্যি হল। ক্ষমতা পেতেই বিশ্বব্যাপী কর্মীদের ছাঁটাই করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন ট্যুইটারের নতুন মালিক। এমনকি যাদের বরখাস্ত করা হয়েছে, তাদের ইমেলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেওয়া হয়। আবার কিছু কর্মীদের অফিসে ফিরে আসার ইমেলও পাঠানো হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভুলবশত কিছু কর্মীদের সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। ফলে এই কর্মী ছাঁটাই নিয়ে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, কোম্পানি চালাতে ঠিক কত কর্মীর প্রয়োজন, সে বিষয়ে হিসেব করেই বিশ্বব্যাপী কর্মী সংখ্যা কমানোর কঠিন প্রক্রিয়াকে বেছে নিয়েছে তারা।

  • Al Qaeda: রাজ্যে ফের আল কায়দার জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার যুবক

    Al Qaeda: রাজ্যে ফের আল কায়দার জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশ জঙ্গিদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। কারণ ফের জঙ্গি সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ। ধৃতের নাম মনিরুদ্দিন খান (২০)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। সূত্রের খবর অনুযায়ী ধৃত জঙ্গি আল কায়দা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এর আগেও ফয়জল নামে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর কাছে থেকেই মেলে একটি পেন ড্রাইভ। আর সেই পেন ড্রাইভের সূত্রেই আরও কয়েকজনের হদিশ মেলে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মনিরুদ্দিনকে নিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করল এসটিএফ।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মনিরুদ্দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারাসাতের ধ্রবচাঁদ হালদার কলেজের, ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। অভিযোগ উঠেছে, সে আল কায়দার শাখা সংগঠন ‘আলকায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট’ (একিউআইএস)-এর সঙ্গে যুক্ত। এসটিএফ সূত্রের মাধ্যমে আরও জানা গিয়েছে, মনিরুদ্দিন আল কায়দা, এবিটি (ABT), একিউআইএস (AQIS) সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে লজিস্টিকের কাজ করত। জঙ্গিদের জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে তা ব্যবহার করে একাধিক সিম কার্ড জোগাড় করা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে ওস্তাদ এই যুবক। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় আল কায়দার স্লিপার সেল তৈরি করা এবং সংগঠনটির হয়ে প্রচার করার কাজে জঙ্গি নেতাদের সে সাহায্য করত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

    পুলিশরা তদন্ত শুরু করেছে যে, কীভাবে মনিরুদ্দিনের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ হল, কীভাবে সে বাংলাদেশ থেকে আসা জঙ্গিদের সাহায্য করছে, সবকিছু বিশদে জানতে তার মোবাইলও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত শুক্রবার মথুরাপুর থানার পুলিশের সহযোগিতায় মনিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর ধৃতকে কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করানো হয়।বিচারক ওই যুবককে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশের ব্লগার খুনের সঙ্গে জড়িত ফয়জল নামে এক যুবককে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর গত শনিবার মথুরাপুরেরই বাসিন্দা আজিজুল হক নামে এক যুবককে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত অগাস্টেই গ্রেফতার করা হয় ২ সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গি। সেপ্টেম্বরেও রাজ্যে ৪ আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ডায়মন্ডহারবার থেকে গ্রেফতার করা হয় আল কায়দা জঙ্গি সমীর হোসেন খানকে। মুম্বই থেকেও সাদ্দাম হোসেন শেখ নামে এক জঙ্গি গ্রেফতার হয়। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় মালদার হাসনাত শেখকে। ফলে একের পর এক জঙ্গি গ্রেফতারি থেকে বোঝাই যাচ্ছে, রাজ্যে আল কায়দা জঙ্গি সংগঠন পায়ের তলার মাটি শক্ত করে চলেছে। তবে কি বাংলাকে নিরাপদ মনে করছে জঙ্গিরা? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। 

  • Maldives Fire Incident: মালদ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! ১১ জন মৃতের মধ্যে ৯ জনই ভারতীয়

    Maldives Fire Incident: মালদ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! ১১ জন মৃতের মধ্যে ৯ জনই ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদ্বীপে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড (Maldives Fire Incident)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল ১১ জনের, আর এর মধ্যে ৯ জনই ছিলেন ভারতের নাগরিক। অন্যজন বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে। এই ঘটনায় মালদ্বীপে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে।

    মালদ্বীপে অগ্নিকাণ্ড

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মালদ্বীপের মালের এম.নিরুফেহিগের একটি গ্যারেজ থেকেই এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে (Maldives Fire Incident)। এরপরেই আগুন গ্যারেজের উপরের বহুতলেও লেগে যায়। আর সেখানেই ছিলেন ভিনদেশের শ্রমিকরা। উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, ওই বহুতলে বিদেশ থেকে যাওয়া শ্রমিকরাই থাকতেন। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে মালদ্বীপের দমকলবাহিনী। পরে ওই বহুতলের একেবারের উপরের তলার ঘর থেকে একে একে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: মালদ্বীপে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেন আদতে মিথ্যে প্রচারের ফল, মত ভারতের বিদেশমন্ত্রকের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় সময় অনুসারে রাত ১২টা ১৭ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের খবর জানা যায়, এরপর ফায়ার ও রেসকিউ টিম ১২টা ৩৩ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ও ৪টা ৩৪ মিনিট নাগাদ আগুন সম্পূর্ণভাবে  নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি (Maldives Fire Incident)।

    কর্তৃপক্ষের মতে, আগুনের ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে (Maldives Fire Incident)। এভিএএস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে নয়জন ভারতীয় নাগরিক এবং একজন বাংলাদেশের নাগরিক। নিহত অন্যজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আহতদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মালদ্বীপের ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের (এমএনডিএফ) ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস কমান্ডার ইব্রাহিম রশিদ বলেছেন যে, ঘটনাটি একটি বিল্ডিংয়ে ঘটেছে যেখানে প্রচুর সংখ্যক ভারতীয়, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশি পরিযায়ী শ্রমিকরা বাস করতেন। এমএনডিএফ নিশ্চিত করেছে যে, ১১ জনের মধ্যে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইব্রাহিম রশিদ আরও জানান, নিহতের মধ্যে কতজন পুরুষ ও মহিলা রয়েছেন তা জানা যায়নি।

    শোকপ্রকাশ ভারতীয় হাইকমিশনের

    এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় (Maldives Fire Incident) মালদ্বীপে ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে ও হাইকমিশনের তরফে ট্যুইটারে বলা হয়েছে, “মালেতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ভারতীয় নাগরিকদেরও মৃত্যু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মালদ্বীপের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলেছি।”

LinkedIn
Share