Author: নিমাই দে

  • Arunachal Pradesh Earthquake: ফের ভূমিকম্প! কেঁপে উঠল অরুণাচল প্রদেশ, কম্পনের তীব্রতা ৫.৭

    Arunachal Pradesh Earthquake: ফের ভূমিকম্প! কেঁপে উঠল অরুণাচল প্রদেশ, কম্পনের তীব্রতা ৫.৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল ভূমিকম্পের পর ফের আজ কেঁপে উঠল ভারতের অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh Earthquake)। গতকাল নেপালে ভূমিকম্পের মাত্রা তীব্র ছিল, যার প্রভাব রাজধানী দিল্লি সহ আরও বেশ কয়েক জায়গায় পড়েছিল। আবার গতকাল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়েও ভূমিকম্প হয়েছিল, যদিও এর তীব্রতা কম ছিল। আর আজ কেঁপে উঠল অরুণাচল প্রদেশ। এত বার ঘন ঘন ভূমিকম্প হওয়ার ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আজকের ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৭। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    অরুণাচল প্রদেশে ভূমিকম্প

    আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ভূমিকম্প অনুভূত হল উত্তর পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমের সিয়াং এলাকায় (Arunachal Pradesh Earthquake)। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় এই রাজ্যে। শুধুমাত্র সিয়াং নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন এলাকায় অনুভূত হয়েছে জোরালো কম্পন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (National Center for Seismology) -এর থেকে জানা গিয়েছে, আজ ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৫.৭। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে। জানা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের বাসা এলাকা থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার উত্তর ও উত্তর পশ্চিমের সিয়াং এলাকা এর উৎপত্তিস্থল। অরুণাচলের পাশাপাশি কম্পন অনুভূত হয়েছে আশেপাশের এলাকা এবং পড়শি রাজ্য অসমেও। অসমের তিনসুকিয়া এবং ডিব্রুগড়েও অনুভূত হয়েছে কম্পন।

    আরও পড়ুন: একদিনে চারবার ভূমিকম্প নেপালে! কম্পন অনুভূত দিল্লিতে, সকালে ফের কাঁপল উত্তরাখণ্ডও

    [tw]


    [/tw]

    নেপালেও আজ ফের ভূমিকম্প

    একদিন পর আবারও ভূমিকম্প হল নেপালে। আজ, পশ্চিম নেপালে ভোর ৫.১৩ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৪.১। এর উৎপত্তিস্থল ছিল কাঠমান্ডু থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দূরে বাজুরা জেলার কাদা অঞ্চলে। এখন পর্যন্ত কোনও ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে গতকালের মাত্রা ছিল ৬.৬। তাতে ছ’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। কম্পনের জেরে বেশ কিছু বাড়িঘরও ভেঙে পড়েছে সেখানে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস, বিপুল অস্ত্র সহ ধৃত ৩ জইশ জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস, বিপুল অস্ত্র সহ ধৃত ৩ জইশ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস করা হল। গতকাল গভীর রাতে ৩ জনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের সঙ্গে বিপুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। এদের জইশ-ই মহম্মদ সংগঠনের জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্তদের থেকে অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি গোলাবারুদও উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পাকিস্তান থেকে ওই জঙ্গি সংগঠনের কোনও হ্যান্ডলার অস্ত্রশস্ত্রগুলি পাঠিয়েছিল। সেগুলি তার নির্দেশেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল কাশ্মীরে। ফলে কাশ্মীর সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ধৃত তিন জনের। ধৃতদের এক জন তেলের ট্যাঙ্কারের চালক। নাম মহম্মদ ইয়াসিন। বাকি দুজনের নাম ফারহান ফারুখ এবং ফারুখ আহমেদ।

    আরও পড়ুন: উত্তাল ভূস্বর্গ নিকেশ ৪ আতঙ্কবাদী জঙ্গি

    কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার গভীর রাতে জম্মুতে (Jammu & Kashmir) জাতীয় সড়কের কাছাকাছি নরওয়াল এলাকায় ত্রিকুটা নগর থানার পুলিশ একটি রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিল। তখনই একটি তেলের ট্যাঙ্কারে থাকা ৩ জনকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তারা প্রথমত ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে। ফলে প্রথমে তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়, কিন্তু কিছু দূরে গিয়ে ফের ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করে তারা। এবার পুলিশ তাদের আটকায় ও জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর তাদের উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় তল্লাশির কথা বললে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। এরপর তাদের জইশ জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর গাড়িতে তল্লাশির পরেই একাধিক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে দু’জন জঙ্গিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করত বলে জানিয়েছে পুলিশ। জইশের সঙ্গে জড়িত বলেও দাবি করে পুলিশ।

    কী বলল ধৃত?

    পরে দীর্ঘক্ষণ জেরা করার পর ধৃত মহম্মদ ইয়াসিন পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে, শাহবাজ নামে পাকিস্তানের এক হ্যান্ডলারের নির্দেশেই সে অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে এসেছিল। কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) এক জঙ্গির হাতে ওই অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। ট্যাঙ্কারে যে অস্ত্রশস্ত্র আছে সে বিষয়েও জানায় ধৃত ইয়াসিন। এরপর ট্যাঙ্কার থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি একে ৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি পিস্তল এবং ৯টি ম্যাগাজিন, ১৯১ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ছয়টি গ্রেনেড। এই জঙ্গি মডিউলে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গুলিবিদ্ধ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক, এনকাউন্টারে খতম ২ জইশ জঙ্গি

  • TET Agitation: ‘হয় নিয়োগ দিন, নয়…’, টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে এক্সাইড মোড়ে ধুন্ধুমার, ঝরল রক্ত

    TET Agitation: ‘হয় নিয়োগ দিন, নয়…’, টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে এক্সাইড মোড়ে ধুন্ধুমার, ঝরল রক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে কলকাতা (TET Agitation)। নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এক্সাইড মোড় এবং রবীন্দ্রসদন চত্বর। এক্সাইড মোড়ে (Exide Crossing) ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে রক্তও ঝরল চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁদের এখন একটাই দাবি, ‘আমাদের হয় নিয়োগ দিন, নয় মৃত্যু দিন।’

    এদিন হঠাৎ দুপুর থেকেই রবীন্দ্র সদনের কাছে এক্সাইড মোড়ে জড়ো হতে থাকেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা (TET Agitation)৷ আগে থেকে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়নি৷ আচমকাই সেই জায়গায় জমা হতে থাকে চাকরিপ্রার্থীরা। অনেকে আবার মেট্রো করে এসে রবীন্দ্রসদন স্টেশনে নেমে জমায়েতে অংশ নেন। পরে ধীরে ধীরে সেখানে ভিড় বাড়তে থাকলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

    আরও পড়ুন: বরখাস্ত শিক্ষকেরা চাইলে চাকরিতে যোগ দিতে পারেন, জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

    রক্তারক্তি কাণ্ড

    এই গোলমালের মধ্যে মাথা ফাটল এক চাকরিপ্রার্থীর। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ ফলে আজ বিক্ষোভে রক্তাক্ত হওয়ার ছবিও সামনে এসেছে। আবার কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থও হয়ে পড়েন। কিছু চাকরিপ্রার্থীদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এক মহিলা আন্দোলনকারীকে (TET Agitation) অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা যায়।

    প্রিজন ভ্যানের তলায় শুয়ে বিক্ষোভ

    এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ৷ অনেককে চ্যাংদোলা করে, টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়৷ আবার বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী প্রিজন ভ্যানের চাকার সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ (TET Agitation) দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা দাবি তোলেন, ‘হয় নিয়োগ দিন, নয় মৃত্যু৷’ কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীদের চ্যাংদোলা করে সেই জায়গা থেকে সরানোর চেষ্টা করেছে পুলিশ। এরপর প্রিজন ভ্যান ছাড়া, বাস থামিয়ে আন্দোলনকারীদের তুলে দিতে দেখা যায় পুলিশকে।

    যান চালাচল অবরুদ্ধ

    আর এই ধুন্ধুমার (TET Agitation), রক্তারক্তি কাণ্ডের মধ্যে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে রয়েছে আশুতোষ মুখার্জি রোড, এজেসি বোস রোড, জওহরলাল নেহেরু রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা৷ ফলে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে রয়েছে। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। এদিন দ্রুত নিয়োগের দাবিতে শিয়ালদা থেকে বিক্ষোভ মিছিল করার কথা ছিল তাঁদের, কিন্তু পুলিশ তা বানচাল করতে পরিকল্পনায় বদল আনেন চাকরি প্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: সকালে গরম, বিকেলে নরম…! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা বিচারপতির

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Cyrus Mistry: ‘বেপরোয়া’ গাড়ি চালানোর ফলেই দুর্ঘটনা! সাইরাসের মৃত্যুতে অভিযুক্ত চালক ডা. অনাহিতা

    Cyrus Mistry: ‘বেপরোয়া’ গাড়ি চালানোর ফলেই দুর্ঘটনা! সাইরাসের মৃত্যুতে অভিযুক্ত চালক ডা. অনাহিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির (Cyrus Mistry) প্রাণহানির পরে কেটে গিয়েছে দু’মাস। দুর্ঘটনার সময় সাইরাসের মার্সিডিজ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বিখ্যাত গাইনোকোলজিস্ট অনাহিতা পান্ডোলে। আর এবার তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল পালঘর থানার পুলিশ।

    উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও শিল্পপতি সাইরাস মিস্ত্রি (Cyrus Mistry)। ঘটনাটি ঘটেছিল মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার মুম্বই-আমেদাবাদ হাইওয়েতে। দুর্ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। এবারে এই দুর্ঘটনার জন্য অবশেষে অভিযুক্ত করা হল অনাহিতা পান্ডোলেকে। এই দুর্ঘটনায় শুধুমাত্র সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যু হয়নি। প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর বন্ধু জাহাঙ্গীর বিনশাহ পান্ডোলে। আর গুরুতর আহত হয়েছিলেন অনাহিতা ও ড্যারিয়াস পান্ডোলে।

    আরও পড়ুন: তীব্র গতি কাড়ল প্রাণ, গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    সাইরাসের (Cyrus Mistry) মৃত্যুর পরেই পুলিশের হাতে এসেছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল যে, অতিরিক্ত গতির জেরেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারে রিপোর্ট ও তদন্তের ভিত্তিতেই জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো প্রবল বেগে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাই অনাহিতা পান্ডোলের বিরুদ্ধে ৩০৪ এ (অবহেলার কারণে মৃত্যু ঘটানো), ২৭৯ (র‍্যাশ ড্রাইভিং), ৩৩৬ (জীবন বা অন্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিপন্ন করার কাজ) এবং মোটর গাড়ি আইনের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারাগুলিতে মামলা করা হয়েছে।

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অনাহিতার স্বামী ড্যারিয়াস পান্ডোলের বয়ান রেকর্ড করেই মামলাটি নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া ড্যারিয়াস পান্ডোলেকে গত মাসের শেষের দিকে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, যখন তাঁরা মুম্বাইয়ে ফিরছিলেন, তখন তাঁর স্ত্রী অনাহিতা মার্সিডিজ-বেঞ্জ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। তাঁদের গাড়ির আগে একটি গাড়ি তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় লেনে চলে গিয়েছিল এবং অনাহিতাও তাঁকে অনুসরণ করার চেষ্টা করেন। ফলে ঘটে এই দুর্ঘটনা। তবে অনাহিতার তরফ থেকে এই অভিযোগের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তিনি এখনও সুস্থ না হওয়ায় তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি, সিট বেল্ট না পরায় প্রাণ গেল সাইরাসের?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SSC Scam: সিবিআই তদন্তের মাঝেই এবারে ইডির জেরার মুখোমুখি পরেশ অধিকারী

    SSC Scam: সিবিআই তদন্তের মাঝেই এবারে ইডির জেরার মুখোমুখি পরেশ অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) এবারে ইডির জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। গতকাল, সোমবার বেলা ১২ টা নাগাদ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে যেতে দেখা যায়। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তিনি ইডি দফতরের বাইরে বেরলে তাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তখন তিনি জানান, কিছু নথিপত্র ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁকে ডেকেছিল ইডি। তবে সেগুলি কী ধরনের নথি, তা জানাননি তিনি। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, এসএসসি-তে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

    গতকাল তিনি ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বেরিয়ে আসেন। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে পরেশ বলেন, ‘‘কিছু নথি নিতে আজ এসেছিলাম। যে নথিপত্র আমার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, সেগুলি ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে চিঠি দেওয়া হয়। তাই এসেছি।’’ এদিকে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ফের চিঠি দিয়ে পরেশ অধিকারীকে তলব করা হতে পারে ইডির অফিসে। কিন্তু তাঁকে ফের কবে আসতে হবে তা এখনও জানানো হয়নি। পরবর্তী হাজিরার তারিখ চিঠি দিয়েই জানানো হবে।

    আরও পড়ুন: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    প্রসঙ্গত, পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) নিয়োগে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে। জুলাই মাসে বাড়িতে তল্লাশির পর বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই নথি খতিয়ে দেখেই এদিন তাঁকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের সময় এসএসসি মেধাতালিকায় বেআইনিভাবে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার নাম ঢোকানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ববিতা সরকার নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলা করার পরই এসব তথ্য প্রকাশ্যে আসে।

    এরপর অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ববিতাকে সেই চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয় ও যতদিন অঙ্কিতা শিক্ষিকা ছিলেন, ততদিনের বেতন দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি দুর্নীতি-কা‌ণ্ডের তদন্ত করেছে সিবিআই। সেই সূত্রে এর আগে পরেশকে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। এই প্রথম আরও এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-র জেরার মুখে পড়তে হল পরেশকে। ইডি সূত্রের খবর, মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য কোনও টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, ও কীভাবে সেই টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে তা জানতেই পরবর্তীতে ফের তলব করা হবে পরেশ অধিকারীকে।

  • Anubrata Mondal: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Anubrata Mondal: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) লটারির মাধ্যমে এক কোটি টাকা পাওয়ার বিষয়টিতে তদন্ত করতে নেমে আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন। সেই লটারির টাকা দুবার সুকন্যার অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা। আর একবার কেষ্টর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। ২০১৯ সালে অনুব্রতর অ্য়াকাউন্টে এই লটারির ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল বলে দাবি করলেন তদন্তকারীরা। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে!

    যেখানে একবারই লটারি জিততে পারে না মানুষ, সেখানে অনুব্রত মণ্ডল কীভাবে বার বার লক্ষ লক্ষ টাকা লটারি জিতে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনুব্রত মণ্ডলের এক কোটি টাকা লটারিতে পাওয়ার রহস্যভেদ করতে বার বার জেরার মুখে পড়তে হয়েছে কেষ্ট-কন্যাকেও। আর এরই মধ্যে এত পরিমাণে লটারি জেতার খবর সামনে আসতেই সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেহ করছেন যে, লটারি জয়ের নামে অনুব্রত আসলে গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করেছেন না তো? বারবার একই পরিবার লটারি পাচ্ছে, তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে, তাহলে কি এভাবেই গরুপাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে? আর কোনও লটারি অনুব্রতর আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠদের নামে কেনা হয়েছিল? এসবই খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম, সিবিআই তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। আর এবারে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা আসার তথ্য সিবিআই-এর হাতে এসেছে। এক বার ঢোকে ২৫ লক্ষ টাকা, আর এক বার ২৬ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ ৫১ লক্ষ টাকা। লটারির ১ কোটি টাকার তদন্ত করতে আসানসোল জেলে গিয়েও জেরা করা হয়েছে কেষ্টকে। আবার বারবার তলব করা হয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যাকেও।

    আবার গত সপ্তাহে বোলপুরে লটারির দোকানে হানাও দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপর গতকাল বোলপুরের লটারি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। লটারির টিকিট বিক্রেতা মুন্না শেখ সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন। সেখানে প্রায় একঘণ্টা ছিলেন তিনি। সিবিআই ক্যাম্প থেকে মুন্না বেরিয়ে এলে তাঁকে অনুব্রতর লটারি জয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, অনুব্রতকে কখনও লটারি বিক্রি করেননি তিনি। লটারি জয়ের নামে অনুব্রত বা সুকন্যার অ্যাকাউন্টে আরও কোনও টাকা ঢুকেছে কি না, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ পরবর্তীতে লটারির রহস্যভেদে আর কী কী তথ্য উঠে আসে সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।

  • Equatorial Guinea: গিনি নৌসেনার হাতে আটক বাংলার যুবক সহ ১৬ ভারতীয়, সাহায্যের আবেদন ভারত সরকারের কাছে

    Equatorial Guinea: গিনি নৌসেনার হাতে আটক বাংলার যুবক সহ ১৬ ভারতীয়, সাহায্যের আবেদন ভারত সরকারের কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্য আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত গিনিতে পশ্চিমবঙ্গের এক বাসিন্দা সহ ১৬ জন ভারতীয়কে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাঁদের প্রায় ৮০ দিনের বেশি সময় ধরে সেখানে আটক করে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফলে একটি ভিডিও-র মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধারের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। এই ভারতীয়দের গিনি নৌসেনার কর্মীরা গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। ভিডিওতে, ভারতীয়রা বলেছেন যে ভারতীয় নরওয়েজিয়ান পতাকাবাহী এমটি হিরোইক ইডুনকে নিরক্ষীয় গিনি নৌ জাহাজ দ্বারা ১২ অগাস্ট ২০২২-এ আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    আরও জানা গিয়েছে, তাঁদের গ্রেফতারের পর গিনি নেভাল এসকর্টে আনা হয় এবং আদেশ না মানলে তাঁদের জাহাজ এবং ক্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ভিডিওটি প্রকাশ করার সময়, তাঁদের মধ্যে একজন বলেন যে, ‘আমরা এমটি হিরোইক ইডুনের ক্রু সদস্য, আমরা অনুরোধ করছি আমাদের এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে ভারতে ফিরিয়ে নেওয়া হোক। ১৪ই অগাস্ট ২০২২ থেকে আমাদের এখানে অবৈধভাবে রাখা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ক্রুতে ১৬ জন ভারতীয় ছাড়াও ৮ জন শ্রীলঙ্কার, পোল্যান্ড ও ফিলিপিন্সের ১ জন নাগরিক সহ মোট ২৬ জন সদস্য ছিলেন এবং তাঁদের সবাইকেই আটক করা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, তাঁরা সকলে মুম্বাইয়ে একটি সংস্থার হয়ে কাজ করেন। মুম্বাইয়ের একটি সংস্থার জাহাজে কর্মরত ওই ১৬ জন ভারতীয় গত ৮ অগাস্ট নাইজেরিয়ার একেপিও টার্মিনালে পৌঁছয়। সেখানে তাঁরা অপরিশোধিত তেল নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জাহাজে তেল ভর্তি করে টার্মিনাল থেকে বেরোনোর পরে নাইজেরিয়ার তেল চুরির অভিযোগ করা হয় কর্মীদের বিরুদ্ধে। সংস্থার ওই কর্মী জানিয়েছেন, জাহাজ গিনির সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করতে নাইজেরিয়ার নির্দেশে সে দেশের নৌসেনা তাঁদের আটকে দেয় ও সেই সঙ্গে জাহাজের উপস্থিত সকল ভারতীয় সহ বাকিদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের জানানো হয়েছে, ওই জাহাজের কর্মীরা নিয়ম ভেঙেছেন, তাই তাঁদের আটক করা হয়েছে।

    এই পুরো বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরন বলেছেন যে তিনি এটি সম্পর্কে অবগত আছেন। তিনি আরও বলেছেন যে তিনি ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৪ অগাস্ট থেকে মালাবোতে ৯ ভারতীয় সহ ১৫ জন ক্রু সদস্যকে আটক করে রাখা হয়েছে। ৬ ভারতীয় সহ বাকি ১১ জন ক্রু সদস্যকে জাহাজে পরিত্যক্ত করা হয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, জাহাজের মালিক, ম্যানেজার এবং ক্রু সদস্যরা তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। ফলে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে দেশবাসী কেন্দ্র সরকারের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন।

  • Supreme Court: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    Supreme Court: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া দলিতদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়া হবে না। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা জমা দিয়ে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুসলিম এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া ব্যক্তিদের সংরক্ষণের আওতায় আনার জন্য জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামালার শুনানির দিন কেন্দ্র এমন কথা জানিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি চলতি নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল তাঁদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়েই স্পষ্ট জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা পেশ করে এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বলে, ‘খ্রিস্টধর্ম ও ইসলামে কোনও অস্পৃশ্যতা নেই’। তার ফলেই তাদের সংরক্ষণের আওতায় ধরা হবে না।

    দলিত খ্রিস্টানদের জাতীয় পরিষদ এবং অন্যান্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্ট জানাতে বলেছিল। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল হলফনামা পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    আরও পড়ুন: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    সুপ্রিম কোর্টে কী জানাল কেন্দ্র

    কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court) হলফনামা পেশ করে জানিয়েছে, ১৯৫০ সালের সাংবিধানিক আদেশ অনুসারে তফসিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছিল। আর ইসলাম বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের তফসিলি জাতিভুক্তরা কখনও অন্যায়ের শিকার হননি। অন্যায়ের শিকার যাতে না হন, তার জন্যই তাঁরা ইসলাম বা খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন বলে মনে করছে কেন্দ্র। এছাড়াও অস্পৃশ্যতার মত নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা খ্রিস্টান বা ইসলামি সমাজে প্রচলিত ছিল না বলেই এই দুই ধর্মকে সংরক্ষণের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।

    উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের সাংবিধানিক আদেশ অনুসারে, শুধুমাত্র হিন্দু, শিখ বা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তফসিলি জাতিদের জন্য চাকরি এবং শিক্ষায় সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, সমস্ত ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের তাঁদের সামাজিক দিক না দেখেই যদি সবাইকে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হয়, তবে এটি আইনের বিরুদ্ধে হবে ও আইনের অপব্যবহারও করা হবে। এতে তফসিলি উপজাতির অধিকারও কমে যাবে বলে কেন্দ্রের পক্ষে জানানো হয় (Supreme Court) ।

    সরকারের তরফে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সামাজিক-রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে ১৯৫৬ সালে বি আর আম্বেদকর স্বেচ্ছায় বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই ক্ষেত্রেও সংরক্ষণের আওতায় আনার অধিকার রয়েছে। তবে খ্রিস্টান এবং মুসলিমদের ক্ষেত্রে একই কথা বলা যায় না, কারণ এরা অন্য কারণেও তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করতে পারেন।

  • TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন দিল আদালত

    TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চেয়ে পুলিশের কামড় খাওয়া চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল সহ সব আন্দোলনকারী টেট চাকরিপ্রার্থী গতকাল অবশেষে জামিন পেল (TET Agitation)। পুলিশের এমন আচরণে সারা রাজ্যবাসী স্তম্ভিত। এমন নৃশংসতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্য পুলিশকে ধিক্কার না করেও কেউ ছাড়েনি। কোনও অপরাধ না করেই এক রাত জেলে কাটিয়ে অবশেষে আন্দোলনকারীরা জামিন পেলে বাকি আন্দোলনকারী চাকরীপ্রার্থীরা উচ্ছাসে ফেটে পড়েন। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ বলে ওঠেন, ‘মজবুত হলাম। মানসিকভাবে আমরা তৈরি হয়েছি। আরও আমরা গর্জে উঠে সাহস এবং সুযোগ পেলাম।’

    কী ঘটেছিল?

    গত বুধবার এক্সাইড মোড়ে চাকরির জন্য আন্দোলনে নামেন ২০১৪-এর টেটে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা (TET Agitation)। আর তখই তাঁদের সেখান থেকে সরাতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল। অনেকে আবার প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়েও বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। আবার পুলিশের বিরুদ্ধে কয়েকজন আন্দোলনকারীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এরই মধ্যে অভিযোগ ওঠে, যে এক মহিলা পুলিশকর্মী অরুণিমার হতে কামড়ে দেয়।

    চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে (TET Agitation)। কিন্তু উল্টে সেই চাকরিপ্রার্থীকেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে শুধুমাত্র গ্রেফতারি নয়, টেট বিক্ষোভে আক্রান্ত অরুণিমা পাল-সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছিল। এরপর গতকাল ধৃতদের পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তারপর দুপক্ষের সওয়াল-জবাবের পর ওই ৩০ জন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের জামিন দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: টেট বিক্ষোভকারীর হাতে কামড় পুলিশের! জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার আক্রান্তই

    আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া

    বৃহস্পতিবার রাতে জামিনের পরেই উঠল স্লোগান (TET Agitation)। ‘লড়াই চলছে, চলবে।’ এক আন্দোলনকারী বললেন, ‘সরকার তো মুখ থুবড়েছে। ওদের কোনও লজ্জা নেই। আমরা অপরাধী নই। আমাদের পাঁচটা জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে ধরতে চেয়েছিল।’ আরও এক এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ১৪ সাল থেকে বঞ্চিত হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। আর তাঁদেরকেই আসামী বানানো হচ্ছে। তাঁরা কী অন্যায় করেছিল? তাঁদের যে ধারা দেওয়া হয়েছিল, জামিন অযোগ্য ধারা, কেন কী অন্যায় করেছিল? জামিন অযোগ্য ধারা দিতে হয়েছিল?’

    অরুণিমা কী বললেন?

    অরুণিমা বলেন, জামিনে মুক্তি পেয়ে অত্যন্ত খুশি তাঁরা (TET Agitation)। তবে থানায় থাকার সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এখনও ভুলতে পারছেন না তাঁরা। মুক্তি পেয়ে অরুণিমা বলেন, ‘এটা সার্বিক জয়। আমরা ক্রিমিনাল নই। সেটা প্রমাণ হল। এতদিনে কোর্টের বিচারে তো প্রমাণ হয়েই গিয়েছে আমাদের চাকরি চুরি গিয়েছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, হাতে যেখানে কামড় দিয়েছে সেখানে ব্যথা রয়েছে। চিকিৎসা করাতে হবে। অঝোর ধারায় রক্ত ঝড়ছিল।

    পুলিশের আচরণে উঠছে প্রশ্ন

    আবার এরই মধ্যে এক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে পুলিশকে বলতে শোনা যাচ্ছে, মৃত্যু হলে তার দায় নেবে পুলিশ। একেতেই এরূপ আচরণে হতবাক বঙ্গবাসী। তারপর আবার এই কথা, সবমিলিয়ে রাজ্যে পুলিশের কাজ নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এরপর আন্দোলনকারীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগের ফলে ফের প্রশ্ন উঠছে যে, পুলিশের এমন আচরণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে, নাকি সেই পুলিশকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে (TET Agitation)?

  • Information and Broadcasting Ministry: রোজ ৩০ মিনিট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখাতেই হবে, টিভি চ্যানেলগুলোকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    Information and Broadcasting Ministry: রোজ ৩০ মিনিট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখাতেই হবে, টিভি চ্যানেলগুলোকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের টিভি চ্যানেলগুলির জন্য এক নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। এবারে জাতীয় গুরুত্বের বিষয় সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের সম্প্রচার (‘National Interest’ Content) করতে হবে বলে নির্দেশ দিল কেন্দ্র। জনসেবামূলক কনটেন্ট দেখানোর জন্য প্রতিটি চ্যানেলকে (Channel) দিতে হবে ৩০ মিনিট, এমনটাই নির্দেশ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (Information and Broadcasting Ministry)। গতকাল, ‘গাইডলাইন্স ফর আপলিঙ্কিং অ্যান্ড ডাউনলিঙ্কিং অফ টেলিভিশন চ্যানেল ইন ইন্ডিয়া ২০২২’ সংশোধিত আইনে এই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

    নয়া নির্দেশিকায় কী বলা হল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৯ নভেম্বর থেকেই দেশের সর্বত্র এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (Information and Broadcasting Ministry) সচিব অপূর্ব চন্দ্র জানান, বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পরে, কী ধরণের অনুষ্ঠান করা যেতে পারে সে সম্পর্কে একটি পৃথক পরামর্শ জারি করা হবে। বিষয়বস্তু চ্যানেলের হবে, সরকারের নয়, এবং তাঁরা কেবল সেগুলি সম্প্রচার করা হচ্ছে কিনা তা দেখবেন। এই অনুষ্ঠানগুলি জাতীয় গুরুত্বের উপর ভিত্তি করেই হতে হবে। আরও জানানো হয়েছে, কীভাবে নির্দেশিকা মানা হবে এবং সেই অনুযায়ী কার্য সম্পাদন করা হবে, তার জন্য টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে কিছুদিন সময় দেওয়া হবে। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩০ মিনিট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে।

    আরও পড়ুন: ভুয়ো খবর ঠেকাতে ফেসবুকের গ্রুপ অ্যাডমিনদের জন্য নতুন ফিচার

    কী কী বিষয়ে দেখানো হবে?

    এই নির্দেশিকার ফলে টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে আট ধরনের বিষয়বস্তু বেছে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্র (Information and Broadcasting Ministry)। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের জন্য যে জনস্বার্থমূলক কনটেন্ট সম্প্রচারিত করা হবে, তার মধ্যে কোন কোন বিষয় দেখানো যেতে পারে, তার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা ও সাক্ষরতা, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, নারীকল্যাণ, অনগ্রসর শ্রেণির কল্যাণ, পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিরাপত্তা এবং জাতীয় অখণ্ডতার মত বিষয়কে রাখতে হবে ওই কনটেন্টে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (Information and Broadcasting Ministry) মতে, টিভি চ্যানেলগুলি জনগণের সম্পত্তি। তাই এগুলিকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করা উচিত। তাই এমন নিয়ম জারি করা হয়েছে। এছাড়াও জানানো হয়েছে, কোথাও কোনও রকমের নিয়ম লঙ্ঘন চোখে পড়লে সেই চ্যানেলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

LinkedIn
Share