Author: নিমাই দে

  • Malaria In West Bengal: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের 

    Malaria In West Bengal: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্তা বাড়াচ্ছে মশাবাহিত আরেক রোগ। ডেঙ্গির পরে এবার ম্যালেরিয়া (Malaria In West Bengal) আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারকে পাঠানো তথ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ম্যালেরিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের প্রথম থেকেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। এপ্রিল মাসে দেড় হাজারের উপরে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। জুন মাসে সেই আক্রান্ত দ্বিগুণ হয়। আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে চার হাজার। অগাস্ট মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৮১২ জন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর ব্যোন ডিজিজ কন্ট্রোল-কে দেওয়া শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে রাজ্যের ১৯ হাজার মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেশি হবে। তবে, ম্যালেরিয়ার মৃত্যুর সংখ্যা কম হওয়ায় কিছুটা নিশ্চিন্ত থাকা যাচ্ছে বলে স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানালেও, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

    রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রমণ হাজার পেরিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ পরিস্থিতি আরও জটিল করছে বলেই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই একসঙ্গে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে, তাদের শারীরিক অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হচ্ছে। বিপদ আরও বাড়ছে। ফলে, ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় প্রশাসন সক্রিয় না হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে।

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ সাহা জানান, ২০২০ সালেই মৌসম ভবন থেকে জানিয়েছিল, জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে, আগামী কয়েক বছর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়বে। প্রশাসনকে সক্রিয় থাকতে হবে। মশাবাহিত রোগ কমাতে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের তরফে বিশেষ কোনও কাজ চোখে পড়েনি। যদিও ম্যালেরিয়া মানচিত্রে বরাবর গোটা দেশের মধ্যে কলকাতা সবসময় উল্লেখযোগ্য ভাবে উপস্থিত থাকে। তারপরেও মশাবাহিত এই রোগকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। ফলে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও, আক্রান্ত কত জানেন?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর হলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। ম্যালেরিয়ার উপসর্গ হল, জ্বর, সর্দি, বমি, মাথা যন্ত্রণা, পেশিতে টান লাগা, গলা ব্যথা। তাই এই ধরণের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই জ্বর হলেও রক্ত পরীক্ষা করাচ্ছেন না। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েও অনেকে প্রথমে টের পাচ্ছেন না। অবহেলার জেরে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। যখন হাসপাতালে রোগী পৌঁছোচ্ছেন, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই জ্বরকে কোনও ভাবেই অবহেলা করা উচিত নয় বলেই পরামর্শ চিকিৎসকদের। 

    তবে, মশাবাহিত এই রোগের দাপট কমাতে যেমন সাধারণ মানুষের সচেতনতা জরুরি, তেমনি প্রশাসনের সক্রিয়তাও প্রয়োজন, বলে মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। কারণ, প্রশাসনের নজরদারি না থাকলে এই ধরণের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা মুশকিল বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু অধিকাংশ পুরসভা ও পঞ্চায়েতের এই সব কাজে নিয়ম মাফিক সক্রিয়তার অভাব রয়েছে।

  • Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে বানচাল সন্ত্রাসী হামলার বড় ছক, জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে বানচাল সন্ত্রাসী হামলার বড় ছক, জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জোড়া এনকাউন্টারে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল, মঙ্গলবার কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও অবন্তিপোরা জেলায় যৌথ বাহিনীর এনকাউন্টারে ৪ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন লস্কর-ই-তৈবার (LeT Commander) কমান্ডার মুখতার ভাট, বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ (Kashmir Police)।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অবন্তিপোরার বিজবেহারা এলাকায় জঙ্গিদের ওই ডেরা ঘিরে ফেলে যৌথ বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। এরপরই গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় লাদারমুডের বাসিন্দা হাবিবুল্লাহর ছেলে শাকির আহমেদ নামে এক স্থানীয় সন্ত্রাসী। পুলিশের রেকর্ড অনুসারে, নিহত সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন এইচএম এর সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং পুলিশ/এসএফ এবং হামলা সহ বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী অপরাধের মামলায় জড়িত ছিল।

    আবার একইভাবে, অবন্তিপোরার খান্দিপোরা এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির বিষয়ে জানতে পেরে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালায়। এরপরে গুলির লড়াই শুরু হলে এনকাউন্টারে তিন জঙ্গিকে খতম করা হয়। এই তিন সন্ত্রাসীর মধ্যে একজন বিদেশি। বাকি দুজন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য বলে জানা গিয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের এডিজি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, সেনা শিবিরে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। এই খবর আগে জানতে পেরে যৌথ অভিযানে তা বানচাল করতে সমর্থ হয় নিরাপত্তা বাহিনী। আর এই অভিযানেই খতম হয়েছে লস্কর কমান্ডার মুখতার ভাট। এই তিন জেহাদি এক পুলিশকর্মী ও দুই আরপিএফ হত্যায় জড়িত ছিল। খতম হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে একে ৪৭ রাইফেল, একে ৫৬ রাইফেল ও একটি পিস্তল উদ্ধার হয়। তাদের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জম্মু এবং কাশ্মীরকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাব, রোজগার মেলায় ঘোষণা মোদির

  • Gujarat Bridge Collapsed: মাচ্ছু নদীতে গভীরতা কম, নেই জলের স্রোতও, তবে কীভাবে প্রাণ হারালেন শতাধিক মানুষ?

    Gujarat Bridge Collapsed: মাচ্ছু নদীতে গভীরতা কম, নেই জলের স্রোতও, তবে কীভাবে প্রাণ হারালেন শতাধিক মানুষ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোরবি সেতু ঘটনায় (Gujarat Bridge Collapsed) সারা দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৪১ জন। তবে কেন এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এর কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তারপরেই মোরবির এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট। তিনি জানালেন রবিবারের বিপর্যয়ের প্রধান কারণ মাচ্ছু নদীর নিম্ন জলস্তর ও পাথুরে তলদেশ। নদীর তল পাথরে পূর্ণ। এই কারণেই অনেক লোক আহত ও নিহত হয়েছে।

    জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট ভিভিএন প্রসন্ন কুমার জানিয়েছেন, গুজরাটের মোরবির মাচ্ছু নদীর জলের তেমন স্রোত নেই, আর এই নদীর জলস্তরও কম। মাত্র ১০ ফিট, যা একটি ছোট গাড়ির উচ্চতার সমান। ফলে নদীতে জলের জন্য এত জনের মৃত্যু হয়নি। নদীর তলদেশ পাথরে ভরা, তাই সেখানে ব্রিজ ভেঙে পড়লে তাঁরা নদীতে পড়ে তলদেশে পৌঁছে যায় ও সেখানকার পাথরে তাঁরা গুরুতর ভাবে আঘাত পায় ও মারা যান।

    আরও পড়ুন: কাউকে আড়াল করা হবে না! মোরবি সেতু বিপর্যয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্তের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    তিনি আরও জানিয়েছেন, মৃতদের দেহ উদ্ধার করতে ইতিমধ্যেই ডুবুরিরা নদীর তলদেশে পৌঁছেছে। নদীর মাঝে গভীরতা প্রায় ২০ ফিট ও স্রোতও না থাকায় কোনও দেহই ভেসে যায়নি। তবে মৃতদেহ কাদায় আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ফলে উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। এছাড়াও এই নদীর জল ঘোলা, তাই মৃতদেহ শনাক্ত করতে ক্যামেরা এবং সোনার ডিভাইস লাগানো একটি অতি আধুনিক রিমোট আন্ডারওয়াটার গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে।

    আবার দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই শোকপ্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল তিনি মোরবির আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান। উদ্ধারকাজ কতদূর এগিয়েছে, কেন এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল, তাও খতিয়ে দেখেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই মোরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ (Gujarat)। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা ‘ওরেভা’-র ২ জন ম্যানেজার। গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জন টিকিট বিক্রেতা, ২ জন কনট্রাক্টর এবং ৩ নিরাপত্তারক্ষীকেও। পুলিশ সূত্রে খবর, কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে এই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • Vitamin D Foods: শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি? এই ৫টি খাবারে দূর হবে বিভিন্ন সমস্যা

    Vitamin D Foods: শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি? এই ৫টি খাবারে দূর হবে বিভিন্ন সমস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন ভিটামিনের মত ভিটামিন ডিও আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত জরুরী। ভিটামিন ডি এর প্রধান কাজ হল রক্তে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখা, যা সুস্থ হাড় বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, গাঁটের ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পেশির যন্ত্রণা অর্থাৎ হাড় সংক্রান্ত যেকোনও সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি-এর অভাবে আর্থারাইটিস, রিকেটস, অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

    প্রসঙ্গত, প্রায় ৪০শতাংশ ভারতীয়দের পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে। ভিটামিন ডি-এর মূল উৎস হল সূর্য, এটা প্রায় সবারই জানা। তবে সূর্য ছাড়াও কিছু খাবার রয়েছে যা ভিটামিন ডি-এ সমৃদ্ধ। তাই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য আপনাকে নিয়মিত কোন কোন খাবার খেতে হবে দেখে নিন।

    চিজ- নিরামিষ খাবারের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর অন্যতম উৎস হল চিজ। আপনার ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণের সবচেয়ে সহজ এবং সুস্বাদু উপায় হল বেশি করে চিজ খাওয়া। রিকোটা চিজে যেকোনো ধরনের চিজের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর সর্বাধিক ঘনত্ব রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন? সাবধান! ডেকে আনছেন না তো বিপদ?

    ডিম- ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে। এটি ভিটামিন ডি-এর একটি অন্যতম ভালো উৎস। শুধু ভিটামিন ডি নয়, এতে আছে একাধিক পুষ্টিকর এবং জরুরি ফ্যাট, প্রোটিন। তাই ডিম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়।

    মাশরুম- এমনিতে মাশরুমে ভিটামিন ডি অত থাকে না। কিন্তু অতি বেগুনি রশ্মিতে রাখলে মাশরুম ভিটামিন ডি তৈরি করে। এটি একমাত্র অপ্রাণিজ খাদ্য যেখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি মেলে। ভিটামিন ডি ২ সরবরাহ করে মাশরুম, যা শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে।

    স্যালমন মাছ- ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করতে চাইলে আপনার ডায়েটে রাখুন স্যালমন মাছ। এই মাছ খুবই পুষ্টিকর কারণ এতে প্রোটিন এবং ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে।

    সয়া মিল্ক- সয়া মিল্কে গরুর দুধের মতো প্রায় একই প্রোটিন উপাদান রয়েছে, তবে এতে উচ্চ মাত্রায় আয়রন, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি রয়েছে।

  • SSC Scam: সুর বদল! ‘মানিকের কাছে না, টাকা যেত বোর্ডে’, আজ ফের ইডির জেরার মুখে বললেন তাপস মণ্ডল

    SSC Scam: সুর বদল! ‘মানিকের কাছে না, টাকা যেত বোর্ডে’, আজ ফের ইডির জেরার মুখে বললেন তাপস মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) গতকাল ইডির জেরা শেষে ফের আজ তাপস মণ্ডল পৌঁছে গিয়েছেন ইডির দফতরে। মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডলকে গতকাল সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল। আর এরপরেই বেরিয়ে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছিল তাঁর দেওয়া কিছু তথ্যে টাকার অমিল ছিল। ফলে তারই হিসেব দিতে তাঁকে বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছে। আর ইতিমধ্যেই তিনি সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। আর সেখানে গিয়েই দাবি করলেন, মানিক ভট্টাচার্য নয়, টাকা পাঠানো হত বোর্ডকে। ফলে এবারে মানিককে ফাঁসিয়ে দোষ চাপাল প্রাথমিক বোর্ডের উপর।

    এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) তাপস মণ্ডলকে তিন বার জেরা করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। গতকাল দুপুর প্রায় ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ইডির অফিসে হাজিরা দেন তাপস। এরপর চলে ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ। রাত্রি প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ ইডি অফিস থেকে বের হন তিনি। গতকাল ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার আগে বিস্ফোরক দাবি করেন তাপস মণ্ডল। তিনি বলেন, প্রতিটি ছাত্রের কাছ থেকে অফলাইনে ভর্তির নামে ৫,০০০ টাকা করে আদায় করেন মানিক। এভাবে ৫ হাজার ছাত্রের থেকে মোট ২১ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আর ডিএলএড প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে অফলাইনে ভর্তির নামে মানিক ভট্টাচার্য যে টাকা তুলেছিলেন তার হিসাব পেতেই আজ ফের তলব করা হয়েছে তাঁকে।

    আরও পড়ুন: লোক পাঠিয়ে ২১ কোটি টাকার তোলাবাজি করেছেন মানিক, বিস্ফোরক তাপস

    তিনি আরও জানান, টাকা নেওয়ার সেই লেনদেন হত মহিষবাথানে তাপসেরই একটি অফিসে। তবে ওই টাকা মানিকের কাছ থেকে কোথায় যেত, এই প্রশ্ন করতেই  তিনি বলেন, ‘অফিস থেকে লোক পাঠিয়েছিল। আমার স্টাফরা তাই বলেছে। স্টাফরা বলেছে, অফিস থেকেই ফাইল ও টাকা যেত।’ কার কাছে যেত সেই টাকা? প্রশ্ন করতেই তাপস জানান, ‘নিশ্চয়ই উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত।’ ফলে গতকালই ইডির দফতরে ঢোকার সময় বলেছিলেন, অফলাইনে ছাত্র ভর্তির জন্য টাকা নিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। আর, বৃহস্পতিবার ফের হাজিরা দিতে এসে বললেন, টাকা দেওয়া হত বোর্ডকে।

    উল্লেখ্য, তাপস গতকাল আরও বলেছিলেন, ‘‘ছাত্রের সঙ্গে ‘কালেকশনের’ ২১ কোটি টাকার অঙ্কটা মিলছে না। হিসাবের একটা গন্ডগোল আছে। আমি বলেছি, শরীরটা খারাপ আছে, আজ ছেড়ে দিন, কালকে এসে হিসাবটা দিয়ে দেব।’’ আর এরপরেই তিনি হাজির হয়েছেন ইডির দফতরে। চলছে জেরা। আর এরপরেই এমন দাবি করে বসলেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস।

  • West Bengal: প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা রাজ্যে অবহেলিত, সরকারি হাসপাতালে ফের মৃত্যু

    West Bengal: প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা রাজ্যে অবহেলিত, সরকারি হাসপাতালে ফের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দুয়েক আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা ফের প্রশ্নের মুখে ফেলে রাজ্যের প্রসব পরবর্তী চিকিৎসাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ রাজ্যে ৯০ শতাংশ মায়ের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে প্রসব হলেও প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা ১০ শতাংশ মায়েরাও পান না। যার জেরে সামগ্রিক ভাবে রাজ্যে মায়েদের স্বাস্থ্য অবহেলিত হয়। 

    স্ত্রীরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রসব পরবর্তীকালে মায়েদের শারীরিক খেয়াল রাখা বিশেষভাবে জরুরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মায়েদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়। শরীর দুর্বল থাকে। তার সঙ্গে থাকে মানসিক অবসাদ। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রসব পরবর্তী কালে মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা হয় না। 

    পোস্টপার্টোম ডিপ্রেশন (Postpartum Depression) কী? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সন্তান জন্মের পরে নতুন মায়েদের মধ্যে একটা মানসিক চাপ কাজ করে। তারা অনেক সময়েই নতুন ভূমিকায় মানিয়ে নিতে পারেন না। সেই থেকেই তৈরি হয় অবসাদ। 
    কী কী উপসর্গ রয়েছে?

    সন্তান জন্মের পরে মায়ের যদি অকারণে রাগ হয়, বিরক্তি তৈরি হয়, পেশির যন্ত্রণা, অস্থিরতার মতো লক্ষণ দেখা যায়, তাহলেই বোঝা যাবে এগুলো পোস্টপার্টোম ডিপ্রেশনের উপসর্গ। 

    স্ত্রীরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন,  রাজ্যের অধিকাংশ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসবের পরে কোনও রকম যত্ন মায়েরা পান না। অকারণে অস্ত্রোপচার করে প্রসব করানো এখন রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কার্যত কেন্দ্রের সিজার অডিটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সময় বাঁচাতেই দেদার সিজার হচ্ছে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে। কোনও রকম নজরদারিও করা হচ্ছে না। যার ফলে, প্রসূতিদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। আর অস্ত্রোপচারের জেরে যে বাড়তি শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিচ্ছে, তার জন্য কোনও রকম বাড়তি যত্ন সরকারি হাসপাতালে নেই। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের রোগী মৃত্যুর ঘটনা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই প্রসূতি আত্মহত্যা করেছেন। হাসপাতালের কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দিয়েই তার মৃত্যু বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে। আর এখানেই সরকারি হাসপাতালে প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

    একজন প্রসূতির পোস্টপার্টোম ডিপ্রেশন হয়েছিল কিনা, সে সম্পর্কে হাসপাতাল একেবারেই অন্ধকারে ছিল? অর্থাৎ, কোনও রকম যত্ন নেওয়া হয়নি। তাছাড়া, হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, অস্ত্রোপচার করে সন্তান জন্ম হয়েছিল। সিজারের পরে একজন রোগী কীভাবে একা একা শৌচাগার গিয়েছিলেন? কেন তার সঙ্গে কোনও স্বাস্থ্য কর্মী ছিলেন না? শৌচাগার থেকে তিনি কীভাবে ছাদে উঠলেন? কোনও নিরাপত্তা রক্ষীর কেন চোখে পড়ল না? তাহলে হাসপাতালের নিরাপত্তাও কি নেই? 

    যদিও এর কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই প্রশ্ন করলে তাদের উত্তর, “প্রত্যেক প্রসূতির খুঁটিনাটি দেখা সম্ভব নয়। এত রোগীর চাপে সেটা অসম্ভব। তবে, হাসপাতালের কোনও কর্মীর গাফিলতি প্রমাণ হলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। প্রসব পরবর্তী অবসাদ থেকে এর আগেও আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কিংবা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও হুশ ফেরেনি সরকারের। প্রসবের পরে মায়েদের যে যত্নের দরকার, এ যেন চোখ এড়িয়ে যায় সরকারের। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রচার সর্বস্ব হয়ে উঠেছে। সস্তার বিজ্ঞাপন ছাড়া, রোগী পরিষেবা নিয়ে প্রশাসন ভাবতে আগ্রহী নয়। আর তাই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসব যথেষ্ট নয়। সর্বাঙ্গীন পরিষেবার দিকে নজরদারি প্রয়োজন, যা এই রাজ্যে অনুপস্থিত।

  • Papaya Leaf For Dengue: ডেঙ্গি থেকে ম্যালেরিয়া, সারাতে পারে পেঁপে পাতার রস!

    Papaya Leaf For Dengue: ডেঙ্গি থেকে ম্যালেরিয়া, সারাতে পারে পেঁপে পাতার রস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ। এবছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক বছরের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে এই পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং খাবার ও পানীয়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।

    জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া উচিত। কারণ অনেক সময় জ্বর হলে মানুষ তা সাধারণ জ্বর ভেবেই ওষুধ খেয়ে নেয়। তবে আপনি যদি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন তবে চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিও বেছে নিতে পারেন। গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় পেঁপে পাতার রস বেশ কার্যকরী। পেঁপে পাতায় এমন কিছু উপাদান আছে, যা রক্তের প্লেটলেট দ্রুত বাড়াতে পারে। এছাড়াও ম্যালেরিয়া বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে এ পাতায়। সেইসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এই পাতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডেঙ্গি নিরাময়ে পেঁপের পাতার রস কীভাবে তৈরি করবেন।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের

    পেঁপে পাতার রস তৈরি করতে বিভিন্ন উপকরণ

    ৪-৫ টি পেঁপে পাতা, ৬-৭ গোলমরিচ, ৬-৭ তুলসী পাতা, ১/৪ গ্লাস জল, এক টুকরো সুতির কাপড় বা একটি রুমালও নিতে পারেন। 

    কীভাবে তৈরি করবেন?

    প্রথমে পেঁপে পাতা ভালো করে ধুয়ে কাপড় দিয়ে মুছে প্লেটে রেখে সব পাতার পেছন থেকে ডাঁটা কেটে নিন। এরপর পাতাগুলোর ছোট ছোট টুকরো কেটে প্লেটে রাখুন। এরপর রস তৈরি করতে, একটি মিক্সার জারে সমস্ত পাতা রেখে এর সঙ্গে কিছু জল, গোলমরিচ এবং তুলসী পাতা যোগ করুন। এবার মিক্সার জারটি ভালোভাবে বন্ধ করে পেঁপে পাতাগুলোকে ভালোভাবে পিষে নিন। এবার একটি গ্লাসে মিশ্রণটি বের করে নিন। এরপরে একটি বাটিতে পরিষ্কার সুতির কাপড়ের সাহায্যে, পিষে রাখা পাতাগুলিকে ছেঁকে নিন। এতে পাতার সব রস বাটিতে চলে আসবে। আর এভাবেই প্রস্তুত পেঁপে পাতার রস।

    তবে এতে কোনও চিনি বা লবণ দেওয়া যাবেনা। প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে দুবার ১০ মিলিলিটার পরিমাণ মত পেঁপে পাতার রস খাওয়া উচিত। পাঁচ থেকে বারো বছর বয়সের শিশুদের ৫ মিলিলিটার ও ৫ বছরের ছোটদের ২.৫ মিলিমিটার পেঁপে পাতার রস খাওয়া উচিত।

  • Hemant Soren: খনি দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী, ইডি দফতরে তলব হেমন্ত সোরেনকে

    Hemant Soren: খনি দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী, ইডি দফতরে তলব হেমন্ত সোরেনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে খনি দুর্নীতি মামলায় (Illegal Mining Case) সরাসরি ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ED)। আগামীকাল অর্থাৎ ৩ নভেম্বর রাঁচি শহরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট দফতরে সকাল ১১:৩০ মিনিটের মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে হেমন্তকে। ইতিমধ্যেই সমন পাঠানো হয়েছে তাঁকে।

    এর আগেই ঝাড়খন্ডে বেআইনি খনি খাদান ও আর্থিক তছরুপের মামলায় নাম জড়িয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর (Hemant Soren)। অভিযোগ ছিল নিয়ম ভেঙে নিজের নামে খনির লিজ নিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। আর এই ঘটনা ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর আসনও খোয়াতে বসেছিলেন তিনি। তবে কোনওমতে আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ বাঁচান সোরেন। কিন্তু প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর নজরে ছিলেন তিনি। আর এবারে সরাসরি তাঁকে তলবও করা হল।

    আরও পড়ুন: বিজেপির ওয়াক আউট, ঝাড়খণ্ডে আস্থাভোটে জয়ী হেমন্ত সোরেন

    এর আগে হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত পঙ্কজ মিশ্রকে এই মামলায় গ্রেফতার করেছিল ইডি। পঙ্কজের থেকেই হেমন্ত সোরেনের সই করা কতগুলি চেক এবং পাসবই পেয়েছেন বলে জানিয়েছে ইডি। এরপরেই গত ১৯ জুলাই বেআইনি আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গত মার্চ মাসে ঝাড়খণ্ডের সাহিবগঞ্জ জেলায় পঙ্কজ মিশ্র ও তাঁর সহকারীদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের হয়। আর এরপরই তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। আবার পঙ্কজ মিশ্রের পাশাপাশি তাঁর দুই সহকারী বাচ্চু যাদব ও প্রেম প্রকাশের নামও উল্লেখ করা হয়েছে এই মামলায়। গত ৪ ও ২৫ অগাস্ট ওই দুই অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করে ইডি। বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতেই রয়েছেন অভিযুক্তরা।

    ইডি সূত্রে খবর, তদন্ত চলাকালীন, ইডি ভারত জুড়ে ৪৭টি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। এর জেরে ৫.৩৪ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তাছাড়া একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৩.৩২ কোটি টাকার হদিশ পান তদন্তকারীরা। সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হয়। এছাড়া একটি MV Infralink-III নামক ছোট জাহাজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। পাঁচটি স্টোন ক্রাশার, দুটি হাইভা ট্রাক ছাড়াও অপরাধমূলক নথিপত্র এবং দুটি একে ৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। আর এই আবহেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে। ফলে আগামীকাল হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) ইডির তলবে সাড়া দেবেন কিনা সেটিই এখন দেখার।

  • Sukanya Mondal: পর পর তিন দিন! আজ ফের দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন কেষ্ট কন্যা

    Sukanya Mondal: পর পর তিন দিন! আজ ফের দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন কেষ্ট কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধ, বৃহস্পতিবারের পর এবার শুক্রবারেও! পর পর তিন দিন ইডির তলব কেষ্ট কন্যাকে (Sukanya Mondal)। গরু পাচার কাণ্ডে তিন দিন দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে হাজিরা দিলেন সুকন্যা মণ্ডল। বুধে আট ঘণ্টা ও বৃহস্পতিবারে সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের কন্যাকে। এর পর শুক্রবার আবার সকাল ১১টা নাগাদ ইডির তদন্তকারীদের মুখোমুখি হলেন তিনি।

    ইডি সূত্রে খবর, সামান্য প্রাথমিক শিক্ষক হয়েও কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি, এই নিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারায় তাঁকে বার বার ডাকা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জোর দেন সুকন্যার সংস্থার উপর। সুকন্যার সংস্থা ভোলে ব্যোম রাইস মিলের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, কোটি কোটি টাকার উৎস কী? কার টাকা, কোথা থেকে এল, কীভাবে এল এসব নিয়েই ফের আজকের জেরা। ইডির দাবি, ২০১৪ সালের আগেও সুকন্যার বছরে আয়ের পরিমাণ ছিল ৩ লক্ষ টাকার মতো। গত দু’বছরে তাঁর বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ফলে তদন্তকারীরা সন্দেহ করেছেন যে, গরু পাচারের অর্থ থেকেই সুকন্যার সম্পত্তির পরিমাণ ফুলেফেঁপে উঠেছে।

    আরও পড়ুন: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনের, নতুন ঠিকানা তিহার জেল

    উল্লেখ্য, গতকাল সুকন্যা ছাড়াও তলব করা হয়েছিল অনুব্রতের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি ও ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকেও। সূত্রের মতে, ৩ জনের কারও সঙ্গে কারও দেখা হয়নি ইডির দফতরে। সূত্রের খবর, রাজীবের কাছে ইডি জানতে চায়, তিনি মণীশকে চেনেন কি না? রাজীব জানান অনুব্রতর সিএ হিসাবে তিনি মণীশকে চেনেন। অন্যদিকে, মণীশকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তদন্তকারীরা জানতে চান, অনুব্রতর সঙ্গে তিনি কবে থেকে যুক্ত? কিন্তু মণীশের উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় আজ ফের তলব করেছে ইডি।

    আবার অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের লটারি জেতা নিয়ে তদন্তে আরও তৎপর হল সিবিআই৷ এবার বোলপুরের একটি লটারির দোকানে হানা দিলেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ মিনিট পাঁচেক ওই দোকানে ছিলেন তাঁরা৷ লটারির টিকিট কীভাবে ভাঙানো হয়েছিল, এর পেছনে কী রহস্য রয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে দোকানের কর্মীদের বোলপুরের সিবিআই ক্যাম্প অফিসে হাজিরা দেওয়া নির্দেশও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা৷

LinkedIn
Share