Author: নিমাই দে

  • UP Gang Rape: ঘুষ নেওয়ার জের! ডিএসপি থেকে সাব-ইন্সপেক্টর বানিয়ে শাস্তি দিল যোগী সরকার

    UP Gang Rape: ঘুষ নেওয়ার জের! ডিএসপি থেকে সাব-ইন্সপেক্টর বানিয়ে শাস্তি দিল যোগী সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক বড় পদক্ষেপ নিলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশ আধিকারিককে ঘুষ নেওয়ার অপরাধে তার পদের অবনতি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এক ধর্ষণের মামলাকে ভেস্তে দেওয়ার জন্য তিনি প্রায় ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই যোগী সরকার তাকে পদ অবনতি করিয়ে সাব-ইন্সপেক্টর করলেন। ১ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ট্যুইট করে এই ঘোষণা করা হয়।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ডিএসপি বিদ্যা কিশোর শর্মা রামপুরে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই ঘুষ নেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত হন। আর এই ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারটি প্রমাণিত হওয়ার পরেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, বিদ্যা কিশোর শর্মার চাকরি জীবন শুরু হয় একজন কন্সস্টেবল হিসাবেই। ধীরে ধীরে পদোন্নতি করতে করতে আজ ডিএসপি পদে বসেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষিত, ভোট হবে দুই দফায়

    আসল ঘটনাটি কী? বছর খানেক আগে বিদ্যা কিশোর শর্মার উপর দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠে আসে। এছাড়াও একজন মহিলা অভিযোগ করেছিলেন যে একজন সাব-ইন্সপেক্টর রামবীর যাদব এবং একজন হাসপাতালের ম্যানেজার বিনোদ যাদব সহ দু’জন পুরুষ তাঁকে গণধর্ষণ করেছিল। এবং পুলিশ ঘুষ নেওয়ার পরেই কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি তার টাকার ব্যাগ নেওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ধর্ষণ কাণ্ডে কোনও পদক্ষেপ যাতে না নেওয়া হয় তার জন্য শর্মার ব্যাগে ৫ লক্ষ টাকা ছিল বলে অভিযোগ। পরে মুখ্যমন্ত্রীর আদেশে একটি তদন্তকারী কমিটি তৈরি হয়। তদন্তের রিপোর্টে বলা হয় ওই মহিলার অভিযোগ সত্য এবং ঘুষ নেওয়ার অপরাধে শাস্তি দিল যোগী সরকার। ইতিমধ্যেই ২ অভিযুক্তর নামে এফআইআর দায়ের করা হয় ও সাসপেন্ড করা হয়েছে বিদ্যা কিশোর শর্মাকে।

    প্রসঙ্গত, শর্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনে দায়ের করেছিলেন আরটিআই কর্মী দানিশ খান। তিনি সিভিল লাইন কোতোয়ালি এলাকার অন্তর্গত মডেল কলোনির বাসিন্দা। তারপর থেকেই খবরের শিরোনামে রয়েছেন বিদ্যা কিশোর শর্মা। আরও জানা যায়, শর্মা দুই বছর ধরে রামপুর সিও থাকার সময় একই ধরনের বেশ কয়েকটি অপরাধ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও ২০২১ সালে তার সাসপেন্ড সম্পর্কে ট্যুইট করেছিলেন আর এবারে এই শাস্তি দিলেন।

  • Afghanistan: শিক্ষার অধিকার চাওয়ায় শাস্তি! ছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করল তালিবানরা

    Afghanistan: শিক্ষার অধিকার চাওয়ায় শাস্তি! ছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করল তালিবানরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তালিবানরা আফগানিস্তান (Afghanistan) দখলের পর থেকে সেখানকার অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। তালিবানরা একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেখানকার নাগরিকদের উপর, বিশেষ করে মহিলাদের উপর। তাঁদের জীবনে দুর্দিন নেমে এসেছে। এবারে তালিবানদের আফগানিস্তানের কিছু ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মারধর করতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও ঝড়ের বেগে ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই ভিডিও-তেই উঠে এসেছে তালিবানিদের বর্বরতা। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার।

    জানা গিয়েছে, কিছু ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে শিক্ষার অধিকারের দাবি জানাচ্ছিলেন। কিছুদিন আগেই বোরখা না পরে থাকায় তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে তাঁরা। তা নিয়ে আফিগানিস্তানের (Afghanistan) উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বাদাখশান বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে অবস্থান করেছিলেন। সেখানেই শুরু হয় তালিবানি অত্যাচার। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তালিবরা কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে জমায়েত করা ছাত্রীদের মারছে। ফলে ইরানের পর এবারে ফের বোরখা পরা নিয়ে আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছে। আর এই বোরখার জন্যই এবারে বেধড়ক মারধর করতেও দেখা গেল তালিবানদের।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ দিয়ে শুরু হয়েছে বোরখার প্রতিবাদে আন্দোলন। ট্যুইটারেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে নেটিজেনরা। ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। তাঁরা সকলেই বোরখা পরে রয়েছেন। তবুও সে সময় তালিবান সরকারের কয়েক জন সেখানে উপস্থিত হয়। এরপর তারা হাতে লাঠি, বন্দুকের বাঁট নিয়ে মারতে থাকেন সেখানে উপস্থিত ছাত্রীদের। পরে ছাত্রীরা সেখান থেকে পালানোর জন্য ছুটতে থাকেন।

    এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নাকিবুল্লা কাজিজাদা সে দেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের উদ্দেশে হিংসাত্মক হামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রসঙ্গত, গত বছরের অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানের দখল চলে যায় তালিবানদের হাতে। তারপর থেকেই মহিলাদের উপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ চাপানো হয়েছে। মহিলাদের চলাফেরার স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ, কর্মক্ষেত্র, পোশাকবিধি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এমনকি ষষ্ঠ শ্রেণীর পর মেয়েদের স্কুল যাওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

  • Kerala High Court: স্বামীর সম্মতি ছাড়াই মুসলিম মহিলারা ডিভোর্স চাইতে পারেন, সাফ জানাল কেরল হাইকোর্ট

    Kerala High Court: স্বামীর সম্মতি ছাড়াই মুসলিম মহিলারা ডিভোর্স চাইতে পারেন, সাফ জানাল কেরল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহ বিচ্ছেদ (Divorce) নিয়ে এক বড় সিদ্ধান্ত নিল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। ইসলাম ধর্মের আইন অনুযায়ী, একজন মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদের দাবি জানাতেই পারেন। আর এই ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের দাবি করার জন্য স্বামীর অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই। মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই মন্তব্য করল কেরল হাইকোর্ট।

    উল্লেখ্য, একজন মুসলিম নারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত রায় দিয়েছিল, মুসলিম নারীদের বিচ্ছেদের দাবি জানানোর অধিকার রয়েছে। এরপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কেরল হাইকোর্টে (Kerala High Court) মামলা হয়েছিল। আবেদনকারীর দাবি ছিল, যদি কোনও মুসলিম মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদ করতে চান, তাহলে তাঁকে তাঁর স্বামীর থেকে ‘তালাক’ চাইতে হবে। এরপরেই বিচারপতি মহম্মদ মুস্তাক এবং বিচারপতি এস ডিয়াসের ডিভিশন বেঞ্চ বলে যে, মহিলাদের বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য স্বামীর অনুমতি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন: অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিত এসসিও বৈঠকে চিনকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    আদালত আরও জানান, এই আবেদনের মাধ্যমে এটাই মনে হচ্ছে, মুসলিম মহিলারা তাঁর স্বামীর অধীনে রয়েছে। এই ধারণার পিছনে মুসলিম ধর্মগুরু ও ওই সম্প্রদায়ের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব রয়েছে বলে মনে হয়। ফলে মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনও আইনের প্রকৃত ব্যাখ্যা জানার জন্য আদালত এমন কোনও ধর্ম প্রচারকের ওপর নির্ভর করতে পারে না, যার আইন সম্পর্কে জ্ঞান নেই।

    গতকাল আদালত থেকে এও বলা হয়েছে যে, মুসলিম মহিলাদের বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জানানোর ক্ষমতা দেয় পবিত্র কোরান। এটা কোনও ভাবেই স্বামীর ইচ্ছে বা অনুমতির ওপর নির্ভর করে না। এমনকি আদালত এদিন ‘খুলা’ পদ্ধতিকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। ‘খুলা’ হল মুসলিম সমাজের এমন একটি প্রথা যেখানে স্বামী বা স্ত্রী নিজের ইচ্ছেতে বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারেন। ফলে সেই মহিলা খুলার মাধ্যমে তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স দিলে স্বামী সেটি অমান্য করে ও দাবি করে, বিশ্বে কোথাও মুসলিম মহিলারা নিজেদের ইচ্ছেতে ‘খুলা’র মাধ্যমে বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারে না। কিন্তু আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কোরানেই বলা হয়েছে যে একজন মুসলিম মহিলা ‘খুলা’র মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারেন। 

  • Malaria In West Bengal: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের 

    Malaria In West Bengal: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্তা বাড়াচ্ছে মশাবাহিত আরেক রোগ। ডেঙ্গির পরে এবার ম্যালেরিয়া (Malaria In West Bengal) আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারকে পাঠানো তথ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ম্যালেরিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের প্রথম থেকেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। এপ্রিল মাসে দেড় হাজারের উপরে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। জুন মাসে সেই আক্রান্ত দ্বিগুণ হয়। আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে চার হাজার। অগাস্ট মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৮১২ জন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর ব্যোন ডিজিজ কন্ট্রোল-কে দেওয়া শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে রাজ্যের ১৯ হাজার মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেশি হবে। তবে, ম্যালেরিয়ার মৃত্যুর সংখ্যা কম হওয়ায় কিছুটা নিশ্চিন্ত থাকা যাচ্ছে বলে স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানালেও, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

    রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রমণ হাজার পেরিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ পরিস্থিতি আরও জটিল করছে বলেই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই একসঙ্গে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে, তাদের শারীরিক অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হচ্ছে। বিপদ আরও বাড়ছে। ফলে, ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় প্রশাসন সক্রিয় না হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে।

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ সাহা জানান, ২০২০ সালেই মৌসম ভবন থেকে জানিয়েছিল, জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে, আগামী কয়েক বছর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়বে। প্রশাসনকে সক্রিয় থাকতে হবে। মশাবাহিত রোগ কমাতে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের তরফে বিশেষ কোনও কাজ চোখে পড়েনি। যদিও ম্যালেরিয়া মানচিত্রে বরাবর গোটা দেশের মধ্যে কলকাতা সবসময় উল্লেখযোগ্য ভাবে উপস্থিত থাকে। তারপরেও মশাবাহিত এই রোগকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। ফলে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও, আক্রান্ত কত জানেন?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর হলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। ম্যালেরিয়ার উপসর্গ হল, জ্বর, সর্দি, বমি, মাথা যন্ত্রণা, পেশিতে টান লাগা, গলা ব্যথা। তাই এই ধরণের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই জ্বর হলেও রক্ত পরীক্ষা করাচ্ছেন না। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েও অনেকে প্রথমে টের পাচ্ছেন না। অবহেলার জেরে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। যখন হাসপাতালে রোগী পৌঁছোচ্ছেন, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই জ্বরকে কোনও ভাবেই অবহেলা করা উচিত নয় বলেই পরামর্শ চিকিৎসকদের। 

    তবে, মশাবাহিত এই রোগের দাপট কমাতে যেমন সাধারণ মানুষের সচেতনতা জরুরি, তেমনি প্রশাসনের সক্রিয়তাও প্রয়োজন, বলে মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। কারণ, প্রশাসনের নজরদারি না থাকলে এই ধরণের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা মুশকিল বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু অধিকাংশ পুরসভা ও পঞ্চায়েতের এই সব কাজে নিয়ম মাফিক সক্রিয়তার অভাব রয়েছে।

  • Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে বানচাল সন্ত্রাসী হামলার বড় ছক, জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে বানচাল সন্ত্রাসী হামলার বড় ছক, জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জোড়া এনকাউন্টারে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল, মঙ্গলবার কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও অবন্তিপোরা জেলায় যৌথ বাহিনীর এনকাউন্টারে ৪ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন লস্কর-ই-তৈবার (LeT Commander) কমান্ডার মুখতার ভাট, বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ (Kashmir Police)।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অবন্তিপোরার বিজবেহারা এলাকায় জঙ্গিদের ওই ডেরা ঘিরে ফেলে যৌথ বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। এরপরই গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় লাদারমুডের বাসিন্দা হাবিবুল্লাহর ছেলে শাকির আহমেদ নামে এক স্থানীয় সন্ত্রাসী। পুলিশের রেকর্ড অনুসারে, নিহত সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন এইচএম এর সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং পুলিশ/এসএফ এবং হামলা সহ বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী অপরাধের মামলায় জড়িত ছিল।

    আবার একইভাবে, অবন্তিপোরার খান্দিপোরা এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির বিষয়ে জানতে পেরে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালায়। এরপরে গুলির লড়াই শুরু হলে এনকাউন্টারে তিন জঙ্গিকে খতম করা হয়। এই তিন সন্ত্রাসীর মধ্যে একজন বিদেশি। বাকি দুজন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য বলে জানা গিয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের এডিজি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, সেনা শিবিরে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। এই খবর আগে জানতে পেরে যৌথ অভিযানে তা বানচাল করতে সমর্থ হয় নিরাপত্তা বাহিনী। আর এই অভিযানেই খতম হয়েছে লস্কর কমান্ডার মুখতার ভাট। এই তিন জেহাদি এক পুলিশকর্মী ও দুই আরপিএফ হত্যায় জড়িত ছিল। খতম হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে একে ৪৭ রাইফেল, একে ৫৬ রাইফেল ও একটি পিস্তল উদ্ধার হয়। তাদের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জম্মু এবং কাশ্মীরকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাব, রোজগার মেলায় ঘোষণা মোদির

  • Gujarat Bridge Collapsed: মাচ্ছু নদীতে গভীরতা কম, নেই জলের স্রোতও, তবে কীভাবে প্রাণ হারালেন শতাধিক মানুষ?

    Gujarat Bridge Collapsed: মাচ্ছু নদীতে গভীরতা কম, নেই জলের স্রোতও, তবে কীভাবে প্রাণ হারালেন শতাধিক মানুষ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোরবি সেতু ঘটনায় (Gujarat Bridge Collapsed) সারা দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৪১ জন। তবে কেন এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এর কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তারপরেই মোরবির এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট। তিনি জানালেন রবিবারের বিপর্যয়ের প্রধান কারণ মাচ্ছু নদীর নিম্ন জলস্তর ও পাথুরে তলদেশ। নদীর তল পাথরে পূর্ণ। এই কারণেই অনেক লোক আহত ও নিহত হয়েছে।

    জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট ভিভিএন প্রসন্ন কুমার জানিয়েছেন, গুজরাটের মোরবির মাচ্ছু নদীর জলের তেমন স্রোত নেই, আর এই নদীর জলস্তরও কম। মাত্র ১০ ফিট, যা একটি ছোট গাড়ির উচ্চতার সমান। ফলে নদীতে জলের জন্য এত জনের মৃত্যু হয়নি। নদীর তলদেশ পাথরে ভরা, তাই সেখানে ব্রিজ ভেঙে পড়লে তাঁরা নদীতে পড়ে তলদেশে পৌঁছে যায় ও সেখানকার পাথরে তাঁরা গুরুতর ভাবে আঘাত পায় ও মারা যান।

    আরও পড়ুন: কাউকে আড়াল করা হবে না! মোরবি সেতু বিপর্যয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্তের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    তিনি আরও জানিয়েছেন, মৃতদের দেহ উদ্ধার করতে ইতিমধ্যেই ডুবুরিরা নদীর তলদেশে পৌঁছেছে। নদীর মাঝে গভীরতা প্রায় ২০ ফিট ও স্রোতও না থাকায় কোনও দেহই ভেসে যায়নি। তবে মৃতদেহ কাদায় আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ফলে উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। এছাড়াও এই নদীর জল ঘোলা, তাই মৃতদেহ শনাক্ত করতে ক্যামেরা এবং সোনার ডিভাইস লাগানো একটি অতি আধুনিক রিমোট আন্ডারওয়াটার গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে।

    আবার দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই শোকপ্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল তিনি মোরবির আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান। উদ্ধারকাজ কতদূর এগিয়েছে, কেন এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল, তাও খতিয়ে দেখেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই মোরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ (Gujarat)। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা ‘ওরেভা’-র ২ জন ম্যানেজার। গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জন টিকিট বিক্রেতা, ২ জন কনট্রাক্টর এবং ৩ নিরাপত্তারক্ষীকেও। পুলিশ সূত্রে খবর, কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে এই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • Vitamin D Foods: শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি? এই ৫টি খাবারে দূর হবে বিভিন্ন সমস্যা

    Vitamin D Foods: শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি? এই ৫টি খাবারে দূর হবে বিভিন্ন সমস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন ভিটামিনের মত ভিটামিন ডিও আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত জরুরী। ভিটামিন ডি এর প্রধান কাজ হল রক্তে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখা, যা সুস্থ হাড় বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, গাঁটের ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পেশির যন্ত্রণা অর্থাৎ হাড় সংক্রান্ত যেকোনও সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি-এর অভাবে আর্থারাইটিস, রিকেটস, অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

    প্রসঙ্গত, প্রায় ৪০শতাংশ ভারতীয়দের পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে। ভিটামিন ডি-এর মূল উৎস হল সূর্য, এটা প্রায় সবারই জানা। তবে সূর্য ছাড়াও কিছু খাবার রয়েছে যা ভিটামিন ডি-এ সমৃদ্ধ। তাই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য আপনাকে নিয়মিত কোন কোন খাবার খেতে হবে দেখে নিন।

    চিজ- নিরামিষ খাবারের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর অন্যতম উৎস হল চিজ। আপনার ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণের সবচেয়ে সহজ এবং সুস্বাদু উপায় হল বেশি করে চিজ খাওয়া। রিকোটা চিজে যেকোনো ধরনের চিজের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর সর্বাধিক ঘনত্ব রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন? সাবধান! ডেকে আনছেন না তো বিপদ?

    ডিম- ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে। এটি ভিটামিন ডি-এর একটি অন্যতম ভালো উৎস। শুধু ভিটামিন ডি নয়, এতে আছে একাধিক পুষ্টিকর এবং জরুরি ফ্যাট, প্রোটিন। তাই ডিম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়।

    মাশরুম- এমনিতে মাশরুমে ভিটামিন ডি অত থাকে না। কিন্তু অতি বেগুনি রশ্মিতে রাখলে মাশরুম ভিটামিন ডি তৈরি করে। এটি একমাত্র অপ্রাণিজ খাদ্য যেখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি মেলে। ভিটামিন ডি ২ সরবরাহ করে মাশরুম, যা শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে।

    স্যালমন মাছ- ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করতে চাইলে আপনার ডায়েটে রাখুন স্যালমন মাছ। এই মাছ খুবই পুষ্টিকর কারণ এতে প্রোটিন এবং ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে।

    সয়া মিল্ক- সয়া মিল্কে গরুর দুধের মতো প্রায় একই প্রোটিন উপাদান রয়েছে, তবে এতে উচ্চ মাত্রায় আয়রন, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি রয়েছে।

  • SSC Scam: সুর বদল! ‘মানিকের কাছে না, টাকা যেত বোর্ডে’, আজ ফের ইডির জেরার মুখে বললেন তাপস মণ্ডল

    SSC Scam: সুর বদল! ‘মানিকের কাছে না, টাকা যেত বোর্ডে’, আজ ফের ইডির জেরার মুখে বললেন তাপস মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) গতকাল ইডির জেরা শেষে ফের আজ তাপস মণ্ডল পৌঁছে গিয়েছেন ইডির দফতরে। মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডলকে গতকাল সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল। আর এরপরেই বেরিয়ে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছিল তাঁর দেওয়া কিছু তথ্যে টাকার অমিল ছিল। ফলে তারই হিসেব দিতে তাঁকে বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছে। আর ইতিমধ্যেই তিনি সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। আর সেখানে গিয়েই দাবি করলেন, মানিক ভট্টাচার্য নয়, টাকা পাঠানো হত বোর্ডকে। ফলে এবারে মানিককে ফাঁসিয়ে দোষ চাপাল প্রাথমিক বোর্ডের উপর।

    এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) তাপস মণ্ডলকে তিন বার জেরা করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। গতকাল দুপুর প্রায় ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ইডির অফিসে হাজিরা দেন তাপস। এরপর চলে ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ। রাত্রি প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ ইডি অফিস থেকে বের হন তিনি। গতকাল ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার আগে বিস্ফোরক দাবি করেন তাপস মণ্ডল। তিনি বলেন, প্রতিটি ছাত্রের কাছ থেকে অফলাইনে ভর্তির নামে ৫,০০০ টাকা করে আদায় করেন মানিক। এভাবে ৫ হাজার ছাত্রের থেকে মোট ২১ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আর ডিএলএড প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে অফলাইনে ভর্তির নামে মানিক ভট্টাচার্য যে টাকা তুলেছিলেন তার হিসাব পেতেই আজ ফের তলব করা হয়েছে তাঁকে।

    আরও পড়ুন: লোক পাঠিয়ে ২১ কোটি টাকার তোলাবাজি করেছেন মানিক, বিস্ফোরক তাপস

    তিনি আরও জানান, টাকা নেওয়ার সেই লেনদেন হত মহিষবাথানে তাপসেরই একটি অফিসে। তবে ওই টাকা মানিকের কাছ থেকে কোথায় যেত, এই প্রশ্ন করতেই  তিনি বলেন, ‘অফিস থেকে লোক পাঠিয়েছিল। আমার স্টাফরা তাই বলেছে। স্টাফরা বলেছে, অফিস থেকেই ফাইল ও টাকা যেত।’ কার কাছে যেত সেই টাকা? প্রশ্ন করতেই তাপস জানান, ‘নিশ্চয়ই উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত।’ ফলে গতকালই ইডির দফতরে ঢোকার সময় বলেছিলেন, অফলাইনে ছাত্র ভর্তির জন্য টাকা নিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। আর, বৃহস্পতিবার ফের হাজিরা দিতে এসে বললেন, টাকা দেওয়া হত বোর্ডকে।

    উল্লেখ্য, তাপস গতকাল আরও বলেছিলেন, ‘‘ছাত্রের সঙ্গে ‘কালেকশনের’ ২১ কোটি টাকার অঙ্কটা মিলছে না। হিসাবের একটা গন্ডগোল আছে। আমি বলেছি, শরীরটা খারাপ আছে, আজ ছেড়ে দিন, কালকে এসে হিসাবটা দিয়ে দেব।’’ আর এরপরেই তিনি হাজির হয়েছেন ইডির দফতরে। চলছে জেরা। আর এরপরেই এমন দাবি করে বসলেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস।

  • West Bengal: প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা রাজ্যে অবহেলিত, সরকারি হাসপাতালে ফের মৃত্যু

    West Bengal: প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা রাজ্যে অবহেলিত, সরকারি হাসপাতালে ফের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দুয়েক আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা ফের প্রশ্নের মুখে ফেলে রাজ্যের প্রসব পরবর্তী চিকিৎসাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ রাজ্যে ৯০ শতাংশ মায়ের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে প্রসব হলেও প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা ১০ শতাংশ মায়েরাও পান না। যার জেরে সামগ্রিক ভাবে রাজ্যে মায়েদের স্বাস্থ্য অবহেলিত হয়। 

    স্ত্রীরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রসব পরবর্তীকালে মায়েদের শারীরিক খেয়াল রাখা বিশেষভাবে জরুরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মায়েদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়। শরীর দুর্বল থাকে। তার সঙ্গে থাকে মানসিক অবসাদ। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রসব পরবর্তী কালে মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা হয় না। 

    পোস্টপার্টোম ডিপ্রেশন (Postpartum Depression) কী? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সন্তান জন্মের পরে নতুন মায়েদের মধ্যে একটা মানসিক চাপ কাজ করে। তারা অনেক সময়েই নতুন ভূমিকায় মানিয়ে নিতে পারেন না। সেই থেকেই তৈরি হয় অবসাদ। 
    কী কী উপসর্গ রয়েছে?

    সন্তান জন্মের পরে মায়ের যদি অকারণে রাগ হয়, বিরক্তি তৈরি হয়, পেশির যন্ত্রণা, অস্থিরতার মতো লক্ষণ দেখা যায়, তাহলেই বোঝা যাবে এগুলো পোস্টপার্টোম ডিপ্রেশনের উপসর্গ। 

    স্ত্রীরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন,  রাজ্যের অধিকাংশ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসবের পরে কোনও রকম যত্ন মায়েরা পান না। অকারণে অস্ত্রোপচার করে প্রসব করানো এখন রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কার্যত কেন্দ্রের সিজার অডিটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সময় বাঁচাতেই দেদার সিজার হচ্ছে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে। কোনও রকম নজরদারিও করা হচ্ছে না। যার ফলে, প্রসূতিদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। আর অস্ত্রোপচারের জেরে যে বাড়তি শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিচ্ছে, তার জন্য কোনও রকম বাড়তি যত্ন সরকারি হাসপাতালে নেই। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের রোগী মৃত্যুর ঘটনা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই প্রসূতি আত্মহত্যা করেছেন। হাসপাতালের কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দিয়েই তার মৃত্যু বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে। আর এখানেই সরকারি হাসপাতালে প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

    একজন প্রসূতির পোস্টপার্টোম ডিপ্রেশন হয়েছিল কিনা, সে সম্পর্কে হাসপাতাল একেবারেই অন্ধকারে ছিল? অর্থাৎ, কোনও রকম যত্ন নেওয়া হয়নি। তাছাড়া, হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, অস্ত্রোপচার করে সন্তান জন্ম হয়েছিল। সিজারের পরে একজন রোগী কীভাবে একা একা শৌচাগার গিয়েছিলেন? কেন তার সঙ্গে কোনও স্বাস্থ্য কর্মী ছিলেন না? শৌচাগার থেকে তিনি কীভাবে ছাদে উঠলেন? কোনও নিরাপত্তা রক্ষীর কেন চোখে পড়ল না? তাহলে হাসপাতালের নিরাপত্তাও কি নেই? 

    যদিও এর কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই প্রশ্ন করলে তাদের উত্তর, “প্রত্যেক প্রসূতির খুঁটিনাটি দেখা সম্ভব নয়। এত রোগীর চাপে সেটা অসম্ভব। তবে, হাসপাতালের কোনও কর্মীর গাফিলতি প্রমাণ হলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। প্রসব পরবর্তী অবসাদ থেকে এর আগেও আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কিংবা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও হুশ ফেরেনি সরকারের। প্রসবের পরে মায়েদের যে যত্নের দরকার, এ যেন চোখ এড়িয়ে যায় সরকারের। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রচার সর্বস্ব হয়ে উঠেছে। সস্তার বিজ্ঞাপন ছাড়া, রোগী পরিষেবা নিয়ে প্রশাসন ভাবতে আগ্রহী নয়। আর তাই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসব যথেষ্ট নয়। সর্বাঙ্গীন পরিষেবার দিকে নজরদারি প্রয়োজন, যা এই রাজ্যে অনুপস্থিত।

LinkedIn
Share