Author: নিমাই দে

  • Solar Eclipse 2022: আজ বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ, কখন শুরু হবে ও কোথায় দেখা যাবে?

    Solar Eclipse 2022: আজ বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ, কখন শুরু হবে ও কোথায় দেখা যাবে?

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ ঘটতে চলেছে আজ, ২৫ অক্টোবর ২০২২ তারিখে। এটি একটি আংশিক সূর্যগ্রহণ হবে। আজকের সূর্যগ্রহণ নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়ে মানুষের কৌতূহল দেখা যাচ্ছে। কারণ এটি বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ। আর দীর্ঘ ২৭ বছর পর দীপাবলির সময় সূর্যগ্রহণ হবে। এছাড়াও ধর্মীয় মতে ও জোত্যিষষাস্ত্রেও সূর্যগ্রহণের বিশেষ প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়। এছাড়াও এই সূর্যগ্রহণটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর সুতক দীপাবলির রাত থেকে দেখা যাচ্ছে।

    কবে হবে বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ?  

    ভারতীয় সময় অনুযায়ী, এই সূর্যগ্রহণ চলবে দুপুর ২টা ২৯ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬.৩২ মিনিট পর্যন্ত। প্রায় চার ঘণ্টার এই সূর্যগ্রহণ। ভারতে, এটি শুরু হবে বিকেল ০৪.২২ এ এবং এখানে এটি সূর্যাস্তের সাথে শেষ হবে।

    আরও পড়ুন: ২৫ শে অক্টোবর ভারতে দেখা যাবে আংশিক সূর্যগ্রহণ

    সূর্যগ্রহণ কী?

    একটি সূর্যগ্রহণ ঘটে যখন সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী একটি সরল রেখায় থাকে এবং চাঁদ সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে আসে।

    কোথায় কোথায় দেখা যাবে সূর্যগ্রহণ?

    মূলত, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, উত্তর পূর্ব আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরের উত্তর অংশে দেখা যাবে এই বিশেষ সূর্যগ্রহণ। এই সূর্যগ্রহণ ভারতের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে ভালোভাবে দেখা যাবে অর্থাৎ এটি নয়া দিল্লি, বেঙ্গালুররু, কলকাতা, চেন্নাই, উজ্জয়িনী, বারাণসী, মথুরা, জয়পুর, ইন্দোর, থানে, ভোপাল, লুধিয়ানা, আগ্রা, চণ্ডীগড় থেকে দেখা যাবে। ভারতের বাকি শহরের তুলনায় সূর্যগ্রহণ সবচেয়ে বেশি স্থায়ী হবে গুজরাটের দ্বারকায়। সবচেয়ে কম স্থায়ী হবে কলকাতায়। এই সূর্যগ্রহণটি উত্তর-পূর্ব ভারতে দেখা যাবে না অর্থাৎ মেঘালয়ের ডানদিকে এবং আসাম রাজ্যের বাম অংশ গুয়াহাটির চারপাশে দেখা যাবে না। কারণ এই অঞ্চলে সূর্যাস্তের পর এই সূর্যগ্রহণ ঘটবে।

    ফের কবে দীপাবলির পরের দিন দেখা যাবে গ্রহণ?

    ২৭ বছর আগে ২৪ অক্টোবর ১৯৯৫ সালে সূর্যগ্রহণ হয়েছিল দীপাবলির পরের দিন। আগামী ১০ বছর পর ২০৩২ সালের ২ নভেম্বর  দীপাবলির পরের দিন সূর্যগ্রহণের পরিস্থিতি তৈরি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T20 World Cup: দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় বাংলাদেশের, নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারাল টাইগাররা

    T20 World Cup: দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় বাংলাদেশের, নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারাল টাইগাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ ঘিরেও ছিল টানটান উত্তেজনা। আজ এক ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। টি-২০ বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) মূলপর্বে উঠে এই প্রথমবার কোনও ম্যাচ জিতল শাকিব আলা হাসানের দল। অবশেষে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করল বাংলাদেশ। টানা চারটি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয় পেল বাংলা টাইগার্সরা। এদিন ৯ রানে ডাচদের হারাল বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে শাকিব আল হাসানের দল। এর উত্তরে ১৩৫ রানে শেষ হয় নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। তবে আজকের ম্যাচের সেরা ছিল তাসকিন আহমেদ।

    আজকের ম্যাচে (T-20 World Cup) প্রথমেই টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে তেমন কোনও রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। আট উইকেটে ১৪৪ রান তোলে তারা। তবে পরে বোলিং করে সেই খামতিটা কিছুটা হলেও পূরণ করতে পেরেছে তাঁরা। আর এই জয়ের ক্ষেত্রে অনেকটাই কৃতিত্ব রয়েছে তাসকিনের। আজকের ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাজিমুল হোসেন। প্রথম ওভারে ২টি চার মারেন সৌম্য। ওভারে মোট ১২ রান ওঠে। ৯ রান করেছেন সৌম্য। জুটিতে মোট ৪৩ রান করেন তাঁরা। অন্যদিকে, অধিনায়ক শাকি আল হাসান, লিটন দাস, সৌম্য সরকাররা বড় রান করতে ব্যর্থ হন। লিটন দাস ও অধিনায়ক শাকিব আল হাসান যথাক্রমে ৯ ও ৭ রান করেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন। এছাড়া ২৫ রান করেন নাজিমুল ও ২০ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানই করতে সক্ষম হয় শাকিব আল হাসানের দল।

    আরও পড়ুন: গাভাসকর নাচলেন, জড়িয়ে ধরলেন দ্রাবিড়! কোহলিয়ানায় ভাসলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা

    এরপর ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে নেদারল্যান্ডস। ইনিংসের প্রথম ২ বলেই পরপর ২ উইকেট নিয়ে নেন তাসকিন। এবং এরপরেও আরও দুই উইকেট হারান তাসকিনের জন্যই। দলের হয়ে অর্ধশতরান করেন কলিন আকারম্যান। ৬২ রানের ইনিংস খেললেও তিনি তাঁর দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। ১৪ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের রানের কাছাকাছি নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারের শেষ দলের ১৩৫ রানে আউট হন মিকেন। আর ৯ রানে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। তবে আজ তাসকিন বল হাতে দুরন্ত থাকলেও ব্যাটারদের ব্যাটিং নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে (T-20 World Cup) । আর নেদারল্যান্ডস ভারতের বিপক্ষে খেলবে।

  • Anubrata Mondal: ‘কেষ্ট’ গারদে, কালীপুজোয় নেই জাঁকজমক, কমল প্রতিমার গয়নাও!

    Anubrata Mondal: ‘কেষ্ট’ গারদে, কালীপুজোয় নেই জাঁকজমক, কমল প্রতিমার গয়নাও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট (Anubrata Mondal) রয়েছে গারদে। দুর্গাপুজো কেটেছে আসালসোলের সংশোধনাগারে। আর এবার কালীপুজোও কাটছে সেখানেই। প্রতিবছর বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ে যে কালীপুজোর আয়োজন করা হয় তা কেষ্টর কালীপুজো নামে পরিচিত এলাকায়। কোনও বছরেই সেই পুজোয় এতটুকু কমতি হয়নি। প্রত্যেক বছর জাঁকজমকভাবে সেই পুজো করা হত। আর মায়ের গায়েও থাকত ভরি ভরি গয়না। কিন্তু এবছর গরুপাচারে কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) হাজতবাস করছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ৷ তাই তাঁর অনুপস্থিতিতে জৌলুস হারাল তাঁর কালী পুজো, আর কমল প্রতিমার গয়নার পরিমাণও।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, যে প্রতিমা গতবছর সেজে উঠেছিল ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায়, এবার সেজেছে মাত্র ৪০ ভরিতে। ২০১৮ সালে কালী প্রতিমা সাজানো হয়েছিল ১৮০ ভরি সোনার গয়নায়। ২০১৯ সালে গয়নার পরিমাণ বেড়ে হয়েছিল ২৬০ ভরি। ২০২০ সালে সেই প্রতিমা সাজানো হয়েছিল প্রায় ৩০০ ভরি গয়না দিয়ে। আর ২০২১-এ তার পরিমাণ বেড়ে হয়েছিল ৫৭০ ভরি। মাথায় ছিল সোনার মুকুট। এছাড়াও ছিল সীতাহার, চেন, গলার চিক, চূড়, রতনচূড়, মান্তাসা, বাজুবন্ধ, টায়রা-টিকলিও ইত্যাদি। কিন্তু এবছর এর একেবারে বিপরীত দৃশ্য। মাথায় সোনার মুকুট নেই, কানের দু পাশে কান বালা উধাও, বাজুবন্ধ মানতাসা কিছু পড়ানো হয়নি মাকে। কিছু সীতাহার, সোনার চেন, চারহাতে চারটি বালা, টিকলি,টায়রা পড়িয়ে পুজো করা হল কেষ্টর কালীকে।

    আরও পড়ুন: উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম

    এবছর কেষ্ট (Anubrata Mondal) জেলে থাকায় কেষ্টর কালীপুজো কে করবে? কে পরাবে প্রতিমার অলঙ্কার? জাঁকজমকেরই বা কী হবে? প্রশ্ন ছিল একাধিক। শেষে জানা গিয়েছে, কালী মূর্তিকে সোনার গয়নায় সাজালেন পুরোহিত রেবতীরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সহকারী। অফিসের দোতলায় কালী মন্দিরে বিকেলেই মাকে সাজানো হল। একে একে হাজির হলেন কর্মীরা। গেটের বাইরে এলইডি আলোর গেট।

    এবারে অতিথিদের খাবারেও কাটছাঁট করা হয়েছে। অতিথিদের খাওয়ার জন্য রাত্রে প্রসাদ হিসাবে খিচুড়ি, পাঁঠার মাংস, ভাজা, তরকারি, চাটনি, পাঁপড় মিষ্টি রয়েছে। তবে বেশ কিছু পদ কমেছে। আবার ভয়ে অনেক নেতা-নেত্রীদের নিমন্ত্রনও করা হয়নি। আবার আসতে চায়নি অনেকে।  অন্যদিকে দলীয় স্তরে জেলা কমিটির সদস্যদের এক হাজার টাকা করে চাঁদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু তাকে সামনে রেখে বেশ কিছু নেতা ও অন্যান্যদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে জেলা নেতাদের কাছে।

  • UK Prime Minister: ইতিহাস তৈরি করলেন ঋষি সুনক! ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    UK Prime Minister: ইতিহাস তৈরি করলেন ঋষি সুনক! ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। সোমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুনকের নামই চূড়ান্ত করে ফেলল কনজারভেটিভ পার্টি। সোমবার দীপাবলির রাতে এল এই সুখবর। ২৮ অক্টোবর তিনি শপথ গ্রহণ করবেন। ভারতের জামাই ঋষি আজকে এক ইতিহাস তৈরি করলেন। ১৯১ জনের বেশি সাংসদ তাঁকে সমর্থন করেছেন।  ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হবেন ঋষি। আর এই প্রথমবার ব্রিটেনের মসনদে কোনও ভারতীয় বসতে চলেছে।

    ঋষি সুনক আগেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য লড়াই করেছিলেন৷ কিন্তু সেবার তিনি পরাজিত হন৷ আগেরবার লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু এবার লিজ ট্রাস দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরে ঋষির প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য ফের আশার আলো দেখা যায়। যদিও বরিস জনসন তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে তিনিও সে জায়গা থেকে সরে আসেন ও ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডেন্টও তাঁর ধারের কাছে যেতে পারেননি। ফলে ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়। পেনি এদিন ১০০ জনেরও সমর্থন পাননি। ফলে অবশেষে জয়লাভ করলেন ঋষি।

    আরও পড়ুন: সরে দাঁড়ালেন বরিস, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঋষিই?

    কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ঋষি, বরিস জনসন মন্ত্রিসভার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীও ছিলেন। ব্রিটেনের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকটে তিনিই যোগ্য প্রার্থী হতে পারেন, এ দাবি করেছিলেন তিনি। ফলে ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এখন তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ব্রিটেনের অর্থনীতির পরিস্থিতি ঠিক করা। বর্তমানে দেশের আর্থিক যে পরিস্থিতি তাতে কনজারভেটিভ পার্টি ঋষিকেই যোগ্য বলে মনে করছে। এছাড়াও ঋষিও তাই মনে করেন। প্রসঙ্গত, লিজ ট্রাসের পদত্যাগের কারণও দেশের আর্থিক অবস্থাই ছিল। তিনি আসার পরেও ব্রিটেনে কোনও পরিবর্তন আসেনি। ফলে এই পরিস্থিতিতে দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঋষির ওপরেই ভরসা করেছেন কনজারভেটিভ পার্টি সহ ব্রিটেনের জনতা। তবে তিনি কতটা সফল হতে পারেন সেদিকেই তাকিয়ে পুরো বিশ্ববাসী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • ISRO LVM3 Launch: “আমাদের দিওয়ালি শুরু হয়ে গিয়েছে…” কেন এমন বললেন ইসরোর চেয়ারম্যান?

    ISRO LVM3 Launch: “আমাদের দিওয়ালি শুরু হয়ে গিয়েছে…” কেন এমন বললেন ইসরোর চেয়ারম্যান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে আরও এক খুশির খবর। ইসরোর মুকুটে জুড়ল আরও এক নয়া পালক। ইতিহাস গড়ল আত্মনির্ভর ভারত। একসঙ্গে ৩৬টি উপগ্রহ নিয়ে সবচেয়ে ভারী রকেট LVM3-M2 মহাকাশে (ISRO LVM3 Launch) পাঠাল ইসরো। পাঁচ হাজার সাতশো ছিনানব্বই কেজি পেলোড নিয়ে একসঙ্গে ৩৬টি উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপনে দীপাবলির আগেই দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসব। সফল উৎক্ষেপণের পর ইসরোর চেয়ারম্যান ডাঃ এস সোমানাথ বলেছেন, “আমাদের দিওয়ালি শুরু হয়ে গিয়েছে…।”

    ঘড়িতে রাত বারোটা বেজে সাত মিনিট। আর সেসময় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ব্রিটেনের ওয়ানওয়েব-এর (OneWeb) ৩৬টি উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেয় ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) LVM3-M3 রকেট (ISRO LVM3 Launch)। ভারতীয় মহাকাশ গবষেণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) তরফে রবিবার রাত ১.৪২ মিনিটে ঘোষণা করা হয়, LVM3-M2 পাঠানোর মিশন (ISRO LVM3 Launch) সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ৩৬টি উপগ্রহকে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইসরো ও লন্ডনের একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন কোম্পানি ‘ওয়ানওয়েব’-এর যৌথ উদ্যোগে এই মিশনটি করা হয়েছে। আর এই মিশনের বেশিরভাগ বিনিয়োগ রয়েছে ইন্ডিয়া ভারতী গ্লোবালের। OneWeb, হল ভারতী গ্লোবাল এবং ব্রিটেন সরকারের যৌথ উদ্যোগে তৈরি উপগ্রহ ব্যবস্থা। ইসরোর রকেটের মাধ্যমে উপগ্রহ পাঠানোর চুক্তিটি লন্ডন ভিত্তিক সংস্থা ওয়ানওয়েব এবং নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড, বা এনএসআইএল, একটি কেন্দ্রীয় সরকারী সংস্থার মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: আজই প্রথম বাণিজ্যিক রকেট উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত ইসরো

    এই মিশনটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি LVM3-এর প্রথম বাণিজ্যিক মিশন (ISRO LVM3 Launch) এবং লঞ্চ ভেহিকেল সহ NSIL-এর প্রথম মিশন। ISRO-এর মতে, মিশনে ৫,৭৯৬ কেজি ওজনের OneWeb-এর ৩৬টি স্যাটেলাইট নিয়ে মহাকাশে যাওয়া প্রথম ভারতীয় রকেট হয়ে উঠেছে।  LVM3  নামক রকেটটির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৪৩ মিটার। এর ওজন ৬৪৪ টন, যা দেশের সবচেয়ে ভারী রকেট। এই রকেটটি জিওসিঙ্ক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিটে(GTO) চার টন ওজনের স্যাটেলাইট স্থাপন করতে সক্ষম। লো আর্থ অরবিটে(LEO) আট টন পেলোড বহনের ক্ষমতা রয়েছে এই রকেটের।

    এনএসআইএল-এর তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বছরের প্রথমের দিকেই LVM3 রকেটের মাধ্যমেই OneWeb-এৎ ৩৬টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো মহাকাশে উপগ্রহ উৎক্ষেপন করেছে। তবে এতদিন হালকা রকেট উৎক্ষেপন করেছে ভারত। তবে এবার সবচেয়ে ভারী রকেটে উপগ্রহ (ISRO LVM3 Launch) পাঠিয়ে আত্মনির্ভর ভারতের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এই সফল উৎক্ষেপণে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • Bhatpara: ভাটপাড়ায় বোমা ফেটে মৃত্যু ছয় বছরের শিশুর, বল ভেবে খেলতে গিয়েই হল বিপত্তি

    Bhatpara: ভাটপাড়ায় বোমা ফেটে মৃত্যু ছয় বছরের শিশুর, বল ভেবে খেলতে গিয়েই হল বিপত্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই ফের দুঃখের খবর। বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে মৃত্যু হল ছয় বছরের শিশুর। বোমা ফেটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। গুরুতর জখম হয়েছে তার বাকি দুই খেলার সঙ্গীও। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে, ভাটপাড়া থানার প্রেমচাঁদ নগরে রেললাইনের ধারে। মৃত শিশুর নাম চিকু পাসোয়ান। জানা গিয়েছে, ভাটপাড়ার ২৮ নম্বর রেলগেটের কাছে রেললাইনের ধারে বোমাগুলি রাখা ছিল।  ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিশ এবং ভাটপাড়া থানার পুলিশ।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ ভাটপাড়া পুরসভার প্রেমচাঁদ নগর এলাকায় বোমা ফাটে। গুরুতর জখম ১১ বছরের মহেশ সাউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয়রা জানান, ঘুম থেকে উঠে ওই দুজন বাড়ির কাছেই রেল লাইনের ধারে খেলা করছিল। ২৮ ও ২৯ নম্বর রেলগেটের মাঝে কাঁকিনাড়া স্টেশন সন্নিহিত রেল ধারে ওরা একটি বোমা কুড়িয়ে পায়। বল ভেবে নাড়াচাড়া করতে গিয়েই বোমা ফেটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চিকুর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহেশকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে কল্যাণী ইএসআই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর সেখান থেকে ওকে কলকাতার মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। আর সেখান থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নৈহাটির জিআরপি–আরপিএফ এবং ভাটপাড়া থানার পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁকিনাড়া স্টেশনের কাছে বোমাটি কেউ ফেলে রেখেছিল। সেটাকেই বল ভেবে খেলতে গিয়ে মৃত্যু হয় চিকুর। বোমাটি হাতে নিতেই বিকট শব্দে ফেটে যায়। আর রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার জন্য ফের এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    অন্যদিকে, সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, ওখানে উকিল নামে এক দুষ্কৃতীর দাপটে তটস্থ এলাকার মানুষ জন। জুয়ার ঠেকে যাবার আগে ওরা বোমা আশেপাশে লুকিয়ে রাখে। জুয়ায় হেরে যাবার পর বোমা নিতে ভুলে যায়। সেই লুকিয়ে রাখা বোমা কুঁড়িয়ে পেয়ে খেলতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটে। কে বা কারা রেললাইনের ধারে বোমা লুকিয়ে রেখেছিল, তা খতিয়ে দেখছে নৈহাটি জিআরপি থানা ও ভাটপাড়া থানার পুলিশ।

     

  • Kerala Governor: “২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে…”, ৯ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নির্দেশ কেরল রাজ্যপালের

    Kerala Governor: “২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে…”, ৯ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নির্দেশ কেরল রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে কেরলের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান (Kerala Governor)। রবিবার তাঁর দফতরের তরফে একটি ট্যুইট করে পদত্যাগের কথা জানানো হয়। ট্যুইটে লেখা হয়েছে, দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের রায় বহাল রেখে রাজ্যপাল শ্রী আরিফ মহম্মদ খান ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরকে সরাসরি এই নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও ট্যুইটারে দিয়েছে রাজভবন। গতকাল জানানো হয়েছিল, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভাইস-চ্যান্সেলরদের পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। অন্যদিকে এই নির্দেশকে অমান্য করার পরামর্শ দিয়েছেন কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার।  

    রাজভবন সূত্রের দাবি, ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম মেনে হয়নি। তাই সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে তাঁদের ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তাঁর এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে রাজভবন ঘেরাও অভিযানের কর্মসূচি নিয়েছে শাসক ফ্রন্ট এলডিএফ। রাজ্যপালের (Kerala Governor) বিরুদ্ধে গিয়ে শাসক দল এলডিএফ-এর তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, সমস্ত ভাইস-চ্যান্সেলরকে নিজেদের পদে থাকতে এবং গভর্নরের আদেশ অমান্য করতে।

    রাজ্যপাল (Kerala Governor) যে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরকে পদত্যাগ করতে বলেছেন, তাঁদের মধ্যে কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভিপি মহাদেবন পিল্লাইয়ের আগামী ২৪ অক্টোবর অবসর নেওয়ার কথা। অন্যদিকে, এপিজে আব্দুল কালাম টেকনোলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমএস রাজশ্রীর নিয়োগ বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, শীর্ষ আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল,  ভাইস-চ্যান্সেলর পদের জন্য যথাযথভাবে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়নি। প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য চ্যান্সেলারের কাছে কেবলমাত্র একটিই নাম ছিল, যা ইউজিসি-র নিয়মবিরুদ্ধ। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩ জনের নাম লাগে।

    কেরালা বিশ্ববিদ্যালয় ও এপিজে আব্দুল কালাম টেকনোলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি মহাত্মা গান্ধী ইউনিভার্সিটি, কোচিন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, কেরালা ইউনিভার্সিটি অফ ফিশারিজ অ্যান্ড ওশান স্টাডিজ, কান্নুর ইউনিভার্সিটি, শ্রী শঙ্করাচার্য ইউনিভার্সিটি অফ সংস্কৃত, কালিকট ইউনিভার্সিটি এবং থুনচথ এজুথাচান মালয়ালম ইউনিভার্সিটির অন্যান্য উপাচার্যদেরও পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের (Kerala Governor) নির্দেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপীনাথ রবীন্দ্রন। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘‘আমি পদত্যাগ করব না। দেখি ওরা কী ব্যবস্থা নেয়!’’ সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বর রাজভবনের সামনে এবং জেলা কেন্দ্রগুলিতে বিক্ষোভের আয়োজন করা হবে।

  • Ind vs Bang: দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলাদেশ সফরে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট টিম, দেখে নিন সূচি

    Ind vs Bang: দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলাদেশ সফরে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট টিম, দেখে নিন সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ সাত বছর পর চলতি বছরেই প্রতিবেশী রাজ্য বাংলাদেশ সফরে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট টিম (Indian Cricket Team)। চলতি বছরের শেষের দিকে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে ভারতীয় ক্রিকেট টিম যাবে বাংলাদেশে (Ind vs Bang)। বাংলাদেশ সফরে টিম ইন্ডিয়া ৩টি ওডিআই ম্যাচ ও ২টি টেস্ট ম্যাচের সিরিজ (Ind vs Bang) খেলবে। বৃহস্পতিবার ভারতের এই সফরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB)। এর আগে শেষবার ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিল ভারতীয় দল।

    গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB) এবং বিসিসিআই (BCCI) পারস্পারিক আলোচনার পর এই সিরিজের সূচিও চূড়ান্ত করে ফেলেছে। সিরিজের তিনটি ওয়ানডেই হবে মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। তারপর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাবে দুই দল। সেখানে খেলা হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। কিন্তু আবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট হবে মিরপুরেই। ফলে তাঁদের আবার মিরপুরে ফিরে আসতে হবে। টি-২০ বিশ্বকাপ শেষে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩টি ওয়ানডে এবং ৩টি টি-২০ খেলার কথা ভারতের। এরপরই বাংলাদেশে চলে যাবে টিম ইন্ডিয়া (Ind vs Bang)। ফলে টি-২০ বিশ্বকাপের পরে বিশ্রাম নেই মেন ইন ব্লু-দের।

    আরও পড়ুন: সব ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ! পাকিস্তানকে হারিয়ে দিওয়ালিতে দেশবাসীকে জয় উপহার দিতে চান রোহিত

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, ‘অতীতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনেক স্মরণীয় ম্যাচ হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দুই দেশের ক্রিকেট ভক্তরা এই সিরিজের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।’ আবার বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেছেন, “ভারতের সঙ্গে আসন্ন দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে আমার শুভেচ্ছা জানাই। ভারত-বাংলাদেশ প্রতিযোগীতা ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করে, এটি উভয় দলের সমর্থকদের জন্য উপভোগ করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ হবে।”

    ওয়ান ডে সিরিজের সূচি

    প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচ, ৪ ডিসেম্বর, মিরপুর

    দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ, ৭ ডিসেম্বর, মিরপুর

    তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ, ১০ ডিসেম্বর, মিরপুর

    টেস্ট সিরিজের সূচি

    প্রথম টেস্ট ম্যাচ, ১৪-১৮ ডিসেম্বর, চট্টগ্রাম

    দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ, ২২-২৬ ডিসেম্বর, মিরপুর

    এরপর ২৭ ডিসেম্বর সফর শেষ করে দেশে ফিরবে ভারতীয় দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Agitation: “মাঝরাতে মহিলাদের আটক করা যায়?” প্রশ্নের মুখে পুলিশ প্রশাসন

    TET Agitation: “মাঝরাতে মহিলাদের আটক করা যায়?” প্রশ্নের মুখে পুলিশ প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝরাতে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল করুণাময়ী (TET Agitation)। হঠাৎ পুলিশি অভিযানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। মধ্যরাতে রাত ১২টা বেজে ১৬ মিনিট নাগাদ বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি ঘোষণা করলেন, এই জমায়েত আইনি নয়, বেআইনি। অভিযোগ, এরপরই সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনকারীদের তুলতে সক্রিয় হয়ে পড়ল কলকাতা পুলিশ। এদিন ছেলেদের পাশাপাশি মহিলাদেরও আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এর ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, কীভাবে পুলিশ মাঝরাতে মহিলাদের বিনা অনুমতিতে আটক করেত পারে? কারণ আইনে আছে, সূর্যাস্তের পর মেয়েদের গ্রেফতার বা আটক করা যায় না।

    ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণদের প্রায় ৯০ ঘণ্টার ধর্নাকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বলপ্রয়োগ করে পুলিশ সরিয়ে দিল। কার্যত টেনে-হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছিল বহু মহিলাও। ফলে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে চ্যাংদোলা করে, জোর করে আন্দোলন থেকে তোলা হয় ও কিছু মহিলা-পুরুষদের আটকও করা হয় ও বিধাননগর উত্তর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, কী করে সূ্র্যাস্তের পর অনুমতি ছাড়া মহিলাদের গ্রেফতার বা আটক করা হয়?

    আরও পড়ুন: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    অন্যদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল দশটার সময়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। কিন্তু সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারল না প্রশাসন। অভিযোগ তুললেন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী। আন্দোলনকারীদের কেন ই-মেলে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী। মামলাকারীদের আইনজীবী প্রশাসনকে তোপ দেগে বলেছেন, রাজ্যে যদি সৎ পথে নিয়োগ করা হত, তবে রাস্তায় কেও বসতেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যশত তাঁদের হকের চাকরি চুরি করা হয়েছে। তাই চোরেরা যাতে জনসম্মুখে না আসে তার জন্যই এই পদক্ষেপ।

    তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, “এই পর্ষদ কেন স্পষ্ট করে বলছে না, চাকরিপ্রার্থীদের দাবিগুলিকে আমরা মান্যতা দিচ্ছি। এই কথাটা স্পষ্ট করে বলতে পারছে না? আলোচনা করার দায়িত্ব কার? মাথা ঝুকানোর দায়িত্ব কার? আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আপনি মামলা করছেন? রাস্তা কারোর বাবার নয়? অনুমতি নিতে হয় না আন্দোলন করতে গেলে…।” পর্ষদের মামলা সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়েরের অনুমতি চান টেট উত্তীর্ণরা। শুক্রবার দশটায় ছিল শুনানি। কিন্তু তার আগেই মধ্যরাতেই পুলিশের এমন পদক্ষেপে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন আন্দোলনকারীরা।  

  • TET Agitation: মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, জোর করে টেট উত্তীর্ণদের তুলল পুলিশ

    TET Agitation: মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, জোর করে টেট উত্তীর্ণদের তুলল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যরাতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি করুণাময়ীতে (Tet Agitation)। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সক্রিয়তাও বেড়েছিল। টেট উত্তীর্ণদের বলপ্রয়োগ করে জোর করে তুলে নেওয়া হল। সোমবার থেকে চলছিল অবস্থান বিক্ষোভ৷ আমরণ অনশনও শুরু করেছিলেন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী৷ তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শুরু হল পুলিশি অভিযান৷ কাউকে চ্যাংদোলা, কাউকে রাস্তার উপর দিয়ে টেনে, হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যান এবং বাসে তুলল পুলিশ৷ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ভয়াবহ দৃশ্যেরই সাক্ষী থাকল সল্টলেকের করুণাময়ী সহ পুরো রাজ্য। ফলে মধ্যরাতে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি (TET Protest by BJP)। বিজেপির তরফে বেলা ১টার সময় হেডকোয়ার্টারে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে পর্ষদ চত্বের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আর এরপরেই বাড়তে থাকে পুলিশের সক্রিয়তা। সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশের সংখ্যা বাড়তে থাকে অনশন স্থলে। আন্দোলনকারীদের সরাতে প্রচুর পুলিশ জমায়েত হতে থাকে। এরপর আন্দোলনকারীদের জমায়েতকে বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয় প্রথমে। তারপর তাঁদের সরে যাওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয় দুই মিনিট। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবি ও আন্দোলনে অনড় থাকে। ফলে আন্দোলনকারীরা না সরলে কার্যত তাঁদের জোর করে টেনে-হিঁচড়ে জায়গা থেকে সরানো হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে আবার ২০ জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় নিউটাউন থানায়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে বহু মহিলাও ছিলেন৷ তাই তাঁদের সরানোর জন্য মহিলা পুলিশও নিয়ে আসা হয়েছিল৷ কান্নায় ভেঙে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তিন দিন ধরে অনশনে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা এই ধস্তাধস্তির মধ্যে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ কেউ কেউ সংজ্ঞা হারান৷

    আরও পড়ুন: ২০১৪ বনাম ২০১৭! দুই আন্দোলনের বিক্ষোভে উত্তাল করুণাময়ী, পর্ষদ চত্বরে জারি ১৪৪ ধারা

    জানা গিয়েছে, ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণরা প্রায় ৯০ঘণ্টা ধরে আমরণ অনশন ও আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। ফলে তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত-অবসন্ন ছিলনে। সেসময় হঠাৎ করে পুলিশ এসে ১৪৪ ধারার কথা জানালে তাঁরা আন্দোলনে অনড় থাকে। কিন্তু তাঁদের আন্দোলন থেকে সরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে পুলিশ। এর ফলে প্রায় কিছু সময়ের মধ্যেই তাঁদের ওপর জোর খাটিয়ে কাউকে চ্যাংদোলা করে, কাউকে টানতে টানতেই প্রিজন ভ্যানে তুললেন। এরপরে মধ্যরাতে ২০১৭-র চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভও তুলে দেয় পুলিশ। প্রথমে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের আলোচনা চলে কয়েক মিনিট। তার পরে সেখানেও গায়ের জোর প্রয়োগ করেই তোলা হয় সবাইকে। ফলে মাঝরাতে পুলিশের এমন পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

    অন্যদিকে রাতে এমন রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হলে পৌঁছে যান বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। ছিলেন বিজেপি-র প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, অগ্নিমিত্রা পালরা। শুক্রবার থেকে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস এবং বামেরাও আন্দোলনে নামার ঘোষণা করেছে রাতেই। তাই শুক্রবার থেকে এই ঘটনা কোন নতুন দিকে মোড় নেবে সেটাই এখন দেখার।

LinkedIn
Share