Author: নিমাই দে

  • Kolkata Dengue: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু রাজ্যে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ১০৯১ জন

    Kolkata Dengue: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু রাজ্যে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ১০৯১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে হু হু করে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা (Kolkata Dengue)। ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে একদিনে মৃত্যু হল ২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ডেঙ্গিতে সংক্রমিত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯১ জন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের। উল্লেখ্য, গত সোমবারই ৬৪৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু পরের দিনই একলাফে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেলে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি ২৪ পরগনায়। কলকাতার পরিস্থিতিও বেশ উদ্বেগজনক।

    রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডেঙ্গি সংক্রমণের নিরিখে গত ছয় বছরের মধ্যে ২০২২-এর সংক্রমণ সর্বাধিক। এবারের ডেঙ্গি সংক্রমণ ইতিমধ্যে ২০১৯-এর রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রত্যেক দিনই ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর আসছে ও ডেঙ্গি সংক্রমণ কমার জায়গায় ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি থেকে মুক্তি পেতে এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ফাতিমা বিবির ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের আনন্দ নস্করের। গত কয়েক দিন ধরে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে নিত্যদিনই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। আবার ডেঙ্গিতে আক্রান্তের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কলকাতার (Kolkata Dengue) বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে প্রায় ৩০০ জনেরও বেশি। তার ওপর এবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গির উপসর্গে পরিবর্তন। জানা গিয়েছে, ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্লেটলেট ঠিক থাকলেও অক্সিজেনের মাত্রা হু হু করে নেমে যাচ্ছে। ফলে উদ্বিগ্ন চিকিত্‍সকরাও।  

    অন্যদিকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Kolkata Dengue) নিয়ে চিন্তিত রাজ্য প্রশাসনও। জেলায় জেলায় প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে। ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য এলাকায় এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। কোথাও যাতে জল জমে না থাকে, সেই দিকে নজর রাখতে বলা হচ্ছে। এছাড়াও জ্বর হলে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির জন্যও একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছিল ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আনার জন্য। কিন্তু তারপরও ডেঙ্গি পরিস্থিতি কিছুতেই সামাল দিয়ে উঠতে পারছে না প্রশাসন। পুজোর আগে থেকেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আর এখন দীপাবলিতেও ডেঙ্গির দাপট থাকবে বলে অনুমান করেছে স্বাস্থ্য দফতর আধিকারিকরা।

  • PMAY: ২২ অক্টোবর মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান, ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী

    PMAY: ২২ অক্টোবর মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান, ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে ফের উপহার দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ক্ষমতায় এসেই সাধারণ মানুষের বাড়ি তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PMAY) প্রকল্পে জোড় দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গরিব মানুষদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে। ফলে মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান হতে চলেছে ২২ অক্টোবর। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, ধনতেরাসের দিন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠানটি সাতনা জেলার বিটিআই গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে ও এদিন ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে, রাজ্যের ৪.৫০ লক্ষ মানুষ দীপাবলি উপলক্ষে তাদের নিজস্ব বাড়ি পাবেন।” এই যোজনার সুবিধাভোগীদের মধ্যে সাতনা জেলার বাসিন্দা, জনপদ এবং গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীরাও।

    মুখ্যমন্ত্রী চৌহান আরও জানিয়েছন, এর আগে PMAY-এর অধীনে মধ্যপ্রদেশে প্রতি মাসে ২০,০০০-২৫,০০০ বাড়ি তৈরি করা হত কিন্তু সংখ্যাটি এখন প্রতি মাসে এক লাখে পৌঁছেছে। এই প্রকল্পটির জন্য ১০,০০০ কোটি টাকার আর্থিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পিএমএওয়াই বাড়িগুলি নির্মাণের জন্য ৯০০০ মহিলা সহ ৫১,০০০ রাজমিস্ত্রীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শহরে নিখরচায় বাড়ি গরিবদের! প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ পর্যন্ত বাড়াল কেন্দ্র

    এছাড়াও এই অনুষ্ঠান (PMAY) দীপাবলিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য সবাার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজনের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এছাড়াও কর্মকর্তাদের মধ্যপ্রদেশের গ্রামবাসীদের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করানোর জন্য এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে সচেতন করার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান।

    উল্লেখ্য, উৎসবের মরশুমে ব্যস্ত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীপাবলির আগেই গুজরাট, উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশ সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তারই মাঝে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। এর আগেই ১৭ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশে তিনি এসেছিলেন। সেসময় নামিবিয়া থেকে আনা চিতা মুক্ত করেন কুনো জাতীয় উদ্যানে। এবং ১১ অক্টোবর উজ্জ্বয়িনে “মহাকাল লোক” প্রকল্পের প্রথম পর্ব উদ্বোধন করেন। আর এরপর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) মত প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশের বসবাসকারীদের জন্য।

  • TET Agitation: ‘চাকরি দিক নয়ত লাশ তুলে নিয়ে যাক’, ৪৮ ঘণ্টা পেরোল টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন

    TET Agitation: ‘চাকরি দিক নয়ত লাশ তুলে নিয়ে যাক’, ৪৮ ঘণ্টা পেরোল টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও এক রাত কাটল রাস্তায় শুয়ে। দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা পার। এখনও সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে বিক্ষোভ চলছে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের (TET Agitation)। সোমবার দুপুর থেকে ২০১৪-র প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন। চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের এখন একটাই কথা, ‘সরকার চাকরি দিক নয়তো লাশ তুলে নিয়ে যাক।’ আমরণ অনশন আন্দোলন চালাচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার থেকে চলছে অনশন (TET Hunger Strike)। জল, খাবার ছুঁচ্ছেন না বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনের তিনদিন হতে চললে, এখনও সরকার থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে বিক্ষোভকারীরা এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

    আজ, বুধবার থেকে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন (TET Agitation) আরও চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপের দাবি করার পাশাপাশি তাঁরা ওএমআর শিট সামনে আনার দাবি করেছেন। এক্ষেত্রে পর্ষদ রাজ্য সরকারের কোর্টে বল ঠেলেছে। আবার রাজ্য সরকার বল ঠেলছে আদালতের দিকে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছে, ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছে তাঁরা। তারপরেও তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি। টানা ৮ বছর ধরে তাঁরা অপেক্ষা করেছেন। তাঁদের নিয়োগ না করেই নতুন করে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি রাখেননি বলে দাবি করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন:‘চুরি যাওয়া চাকরি ফেরত দাও’! রাতভর রাস্তায় শুয়ে দাবি টেট উত্তীর্ণদের

    টেট উত্তীর্ণরা আরও দাবি করেছেন, নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নিতে চান না। তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। কারণ তাঁরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন। এমনকী দু’বার ইন্টারভিউও দিয়েছেন। অথচ তাঁদের হাতে এখনও নিয়োগপত্র আসেনি। ফলে তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন। আর চাকরি নিয়েই বাড়ি ফিরবেন।

    অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, চাকরি নেই কেন তা আদালতের কাছে জিজ্ঞেস করতে। ফলে টেট উত্তীর্ণরা আন্দোলনে অনড় হয়ে রয়েছেন। আর তাঁরা চাকরি না নিয়ে বাড়ি ফিরবে না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দাবি, আন্দোলনকারীদের দাবি অনায্য। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘পরপর দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েও, প্যানেলভূক্ত হননি ২০১৪- এর এই চাকরিপ্রার্থীরা। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়েও কিছু করার নেই আমাদের। বয়সের ঊর্ধ্বসীমার সিদ্ধান্ত সরকারের। এর পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে।’

    এদিকে নতুন করে আমরণ অনশন শুরু করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই অনেক আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারপরেও আন্দোলনে (TET Agitation) অনড় রয়েছেন তাঁরা। ফলে এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।

  • Debi Chaudhurani Kali Puja: ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী কাল্পনিক নয় বরং ঐতিহাসিক চরিত্র, জানুন তাঁদের কালী পুজোর কথা

    Debi Chaudhurani Kali Puja: ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী কাল্পনিক নয় বরং ঐতিহাসিক চরিত্র, জানুন তাঁদের কালী পুজোর কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আনন্দ মঠের পর এটাই ছিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত দ্বিতীয় কোনও উপন্যাস, যেখানে ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রাম এবং চরমপন্থী জাতীয়তাবাদ স্থান পেয়েছিল। ইতিমধ্যে পাঠক হয়তো বুঝতে পেরেছেন, এখানে ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাসের কথাই বলা হচ্ছে। ১৮৮৪ খ্রীস্টাব্দে লিখিত এই উপন্যাসের চরিত্র হরবল্লভের পুত্রবধূ মানে ব্রজেশ্বর এর স্ত্রী প্রফুল্লর শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হওয়া এবং জঙ্গল মধ্যে ডাকাত দলের সর্দার ভবানী পাঠকের সুনিপুণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ‘দেবী চৌধুরানী’ হয়ে ওঠার গল্প প্রত্যেক বাঙালির কাছেই এভারগ্রীন। কখনো পুরোনো হয়না‌। শার্লক হোমসের ঠিকানায় (২২১/বি বেকার স্ট্রিট, লন্ডন) একসময় প্রচুর চিঠি পাঠাতেন পাঠকরা। তাঁরা ভাবতেন আর্থার কোনান ডায়েল সৃষ্ট এই চরিত্র কাল্পনিক নয় বরং বাস্তবিক। শার্লক হোমস তো কাল্পনিক ছিল কিন্তু জানেন কি ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানী সত্যিই ঐতিহাসিক চরিত্র ছিলেন এবং তাঁরা মা কালীর আরাধনা করতেন। তাঁদের প্রচলিত কালী পুজো (Debi Chaudhurani Kali Puja) আজও ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে। শুধু তাই নয় জলপাইগুড়ি তে রয়েছে একটি মন্দির যেখানে ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর মূর্তি রয়েছে।

    জলপাইগুড়ি জেলার শিকারপুর চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রামে ঐতিহাসিক দেবী চৌধুরানী মন্দির। পাশাপাশি দুটি মন্দির রয়েছে এখানে। তার মধ্যে একটি মা কালীর মন্দির (Debi Chaudhurani Kali Puja)। কালী মন্দিরের পাশের মন্দিরে একটি পুরুষ ও নারী মূর্তি রয়েছে। পাশাপাশি বাঘ, শিয়াল ও আরও কিছু বিগ্রহ আছে। অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন এটি শিব-পার্বতীর মন্দির। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, বিগ্রহটি ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর। মূলত দেবী চৌধুরানীর মন্দিরের খ্যাতিতেই বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকরা এখানে আসেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে এটি বাড়তি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তবে এখানকার কালীমন্দিরও জাগ্রত ও প্রসিদ্ধ বলেই স্থানীয় ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে। এই মন্দিরে রীতিমতো নিয়ম ও নিষ্ঠার সাথে বছরে দুবার কালীপুজো হয়। একবার আষাঢ় মাসে, আরেকবার কার্তিক মাসে।  বরং এখানকার কালীপূজার আলাদা রোমাঞ্চ রয়েছে ভক্তদের কাছে। ঝোপ জঙ্গলে ভরা, অরণ্য মাঝে এই কালী মন্দিরের অবস্থান। শহরের কোলাহল থেকে নির্জন বনে দেবীর উপাসনা ভক্তদের মধ্যে ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাস কে জীবন্ত করে তোলে‌। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ সারারাত জেগে এই পুজো দেখতে যান।

    অন্যদিকে মালদহের রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের গোবরজনা গ্রামের কালী মাতা ঠাকুরানি মন্দির (Debi Chaudhurani Kali Puja) । প্রচলিত বিশ্বাস মতে, ঘন অরণ্যে ঘেরা ছিল গোবরজনা গ্রাম। পাশেই বয়ে চলেছে কালিন্দ্রী নদী। একবার ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানী বজরা নিয়ে যাচ্ছিলেন কালিন্দ্রী নদী বেয়ে। তাঁদের গন্তব্য বঙ্গের উত্তরে। কিন্তু তাঁদের বজরা মাঝ পথেই থেমে গেছিল নদীর এক বালিয়াড়িতে। দেবী চৌধুরানী স্বপ্নাদেশ পেলেন মা কালীর। তিনি সেখানে তাঁদের পুজো নিতে চান। ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানী সেখানেই মায়ের মূর্তি তৈরি করে পুজো সম্পন্ন করলেন। এই পুজোয় আজও লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়‌। যদিও, ধুমধাম করে সম্পন্ন হওয়া গোবরজনার এই কালীপুজো দেবী চৌধুরানী চালু করেছিলেন বলে অনেকেই মানতে চাননা‌। ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রিক ছিলনা‌। রাঢ় বঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের সাথেও জড়িয়ে রয়েছে এই দুই গুরু শিষ্যার নাম। গবেষকরা মনে করেন, দেবী চৌধুরানি যে বজরা নিয়ে ডাকাতি করতে যেতেন, সেই বজরা নিয়ে ভেসে এসে দামোদরের পারে গভীর জঙ্গলে আস্তানা গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই জায়গা থেকেই নিজের কাজ চালিয়ে যেতেন ঐতিহাসিক দুই চরিত্র ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানি। বর্তমান দুর্গাপুরের অম্বুজা কলোনিতে রয়েছে ভবানী মাতার মন্দির। এই মন্দিরটি ভবানী পাঠকের মন্দির বলে জনশ্রুতি রয়েছে। একটা সময় এই মন্দিরে এসে আত্মগোপন করেছেন বহু বিপ্লবী। এমনকি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর এখানে এসে রাত্রিযাপনের কথাও প্রচলিত রয়েছে। দুর্গাপুরের এই এলাকায়  জঙ্গল ঘেরা পরিবেশের এই মন্দিরে অনেক ভক্ত আসেন ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর মন্দির দর্শন করতে। তারাপীঠের মায়ের রীতি মেনে শ্যামাকালী পুজোর আগের নিশিরাতে ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী আরাধিত এই মা কালীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এই পুজোর বিশেষ রীতি হলো ‘বন্দেমাতরম’ ধ্বনি উচ্চারণ।

  • Manik Bhattacharya: টেট পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পৌঁছে যেত ট্রেনিং সেন্টারে! বিস্ফোরক তথ্য ইডি-র হাতে

    Manik Bhattacharya: টেট পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পৌঁছে যেত ট্রেনিং সেন্টারে! বিস্ফোরক তথ্য ইডি-র হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় (Primary Tet Recruitment Scam) ফের এক পর্দা ফাঁস হল মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সামনে এল টেটের (TET) ‘প্রশ্নফাঁস’-এর কথা। এই দুর্নীতি কাণ্ডে আগেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। আর গ্রেফতারের পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসে চলেছে। আর এর মধ্যেই এবার আরও একটি তথ্য এল ইডির হাতে, যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ। পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র কয়েকটি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে চলে আসত বলে তথ্য পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। আর এই তথ্যেই ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে।  

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝে রাজ্যে একাধিক টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার (Teachers Training Centre) গজিয়ে উঠেছিল, আর পরীক্ষার আগেই টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌঁছে যেত এই ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে। আর এতে পুরো হাত ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। এমনটাই অভিযোগই উঠে আসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) কাছে। ফলে এমন বিস্ফোরক অভিযোগের খবর সামনে উঠে আসতেই তদন্ত শুরু করেছে ইডির অফিসাররা।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব সিবিআইয়ের, দু ঘণ্টা জেরা তৃণমূলের দেবরাজকে

    এই প্রশ্ন ফাঁস-এর কাণ্ডে শুধুমাত্র মানিক (Manik Bhattacharya) নয়, এনার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলেরও হাত রয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে। তাই তাপসের ৩৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের উপর ক্রমাগত নজর রেখে চলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে তাপস মণ্ডলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের কি সম্পর্ক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

    সম্প্রতি তদন্ত চলাকালীন ইডি আধিকারিকদের কাছে খবর আসে যে, টেট পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁস হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে যে, মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) সম্মতিতেই তাঁর ঘনিষ্ঠদের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই পৌঁছে যেত প্রশ্ন ও উত্তরপত্র। তার আগে ওই কেন্দ্রের কর্মকর্তারা প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিতেন। তার বদলে ওএমআর শিটগুলি সঠিক উত্তর লিখে ভরাট করানোর ব‌্যবস্থা করা হত। আর এই তথ‌্যগুলিই ইডি যাচাই করছে এখন। তার জন‌্য যে ‘ভুয়ো’ শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাঁদের জেরা করাও শুরু করছেন ইডির গোয়েন্দারা।

  • Howrah: বাড়িতেই না, ব্যাংকেও হয়েছে ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন! হাওড়া কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

    Howrah: বাড়িতেই না, ব্যাংকেও হয়েছে ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন! হাওড়া কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শুধুই টাকার পাহাড়! গতকালই উদ্ধার হয়েছে ২৮ কোটি টাকা সহ সোনা রুপো এমনকি হিরের গয়নাও। কিন্তু এবার কোনও হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর বাড়ি থেকে নয় বরং এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং গয়না। ব্যবসায়ীর নাম শৈলেশ পাণ্ডে। পুলিশের অভিযানের আগে থেকেই খোঁজ নেই হাওড়ার পাণ্ডে ব্রাদার্সের। হাওড়ার শিবপুর টাকা উদ্ধার কাণ্ডে এবারে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আরও টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। শুধুমাত্র নগদ অর্থই নয়, ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্টে প্রায় ৭৭ কোটি টাকার লেনদেনের খবর সামনে এসেছে। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, এত টাকার উৎস কী?

    এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানিয়েছে যে, লোক ঠকানোর কারবারের জন্য খোলা হয়েছিল আইএক্স গ্লোবাল নামক অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে বিদেশ থেকে অনলাইনে টাকা রোজগারের ব‌্যাপারে প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা দেওয়া হত। এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ৮০ ডলার থেকে শুরু করে ১২৫ ডলার নেওয়া হত আর এরই মাধ্যমে অনেক বেশি টাকা রোজগার করা হত। এখানেই শেষ নয়, যারা ট্রেনিং নিত তাদের লোভ দেখানো হত যে, এই অ্যাপে আরও বেশি লোক নিয়ে আসলে তাদের কমিশন দেওয়া হবে। এরপর তাদের প্রথম কমিশন দেওয়া হলেও সেটি দশ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেলেই তাদের অ‌্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হত। আর এভাবেই পাণ্ডে ব্রাদার্সের অ্যাকাউন্টে জমা হত টাকা।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে ক্লাবকে, জেলাশাসকদের নির্দেশ নিয়ে সরব শুভেন্দু

    আরও জানা গিয়েছে, এভাবে মোট ৩৪টি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ‌্যাপ থেকে টাকা আসতে শুরু করে আইএক্স গ্লোবাল অ‌্যাপে, যা নিয়ন্ত্রণ করত টি পি গ্লোবাল নামে একটি সংস্থা। এরপর এই নিয়ে প্রথম অভিযোগ জমা পড়েছিল চলতি বছরের অগাস্ট মাসে। অভিযোগ জানিয়েছিল একটি রাষ্টায়ত্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ১৬, স্ট্র্যান্ড রোডের ঠিকানা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। দুটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল অগাস্টে।

    চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেখা যায় বিশাল পরিমাণে টাকার লেনদেন হয়েছে ওই অ্যাকাউন্টে। এক মাসে প্রায় ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন। আর এত টাকার লেনদেনের ফলেই সেটির উপর বিশেষ নজর রাখা হয়। ওই সংস্থা থেকে আরও কয়েকটি সংস্থায় ভাগ হয়ে টাকা জমা পড়ছে দু’টি অ‌্যাকাউন্টে। এক মাসে ওই দুই অ‌্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন হওয়ায় গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়। এরপর পুলিশ সূত্র ধরে সেই জায়গায় পৌঁছলে শৈলেশ পাণ্ডের নাম সামনে আসে। আরও জানা গিয়েছে, শৈলেশ চার্টার্ড অ‌্যাকাউন্ট‌্যান্টও ছিলেন ও এর সুযোগ নিয়ে বহু মানুষের পরিচয়পত্রের কপি ও ছবি জোগাড় করে ভুয়ো অ‌্যাকাউন্টও খুলতেন। আর এভাবেই চিট ফান্ডের মতই প্রতারণা করে এত পরিমাণের সম্পত্তি বানিয়েছে তারা।

  • Car Accident: ভবিষ্যতবাণীই হল সত্যি! বিএমডব্লিউ-তে ৩০০ কিমির গতি তুলতে গিয়ে হল মর্মান্তিক মৃত্যু

    Car Accident: ভবিষ্যতবাণীই হল সত্যি! বিএমডব্লিউ-তে ৩০০ কিমির গতি তুলতে গিয়ে হল মর্মান্তিক মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতবাণীই হল সত্যি! মৃত্যুর আগেই ফেসবুকে লাইফে বলেছিল “চারজনই মরব”, আর তারপরেই ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা (Car Accident)। বিএমডব্লিউ-এর গতি সর্বোচ্চ কত হয়, তা দেখতেই এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হল চার ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের সুলতানপুরে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে। গত শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর গাড়ির দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের। দুঃখের বিষয় যে, মৃত্যুর আগেই তাঁদের ফেসবুক লাইফে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, “চারো মারেঙ্গে (আমরা চারজনই মারা যাব)”। আর এটিই সত্যি হয়ে যায়।

    সম্প্রতি, সাইরাস মিস্ত্রির ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা (Car Accident) হওয়ার পরেও যে মানুষ শিক্ষা পায়নি, তা এই ঘটনা দেখলেই বোঝা যায়। জানা যায়, গত শুক্রবার, পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে বিএমডব্লিউ গাড়িটি চলছিল ২৩০কিমি গতিতে। আর গাড়িতে উপস্থিত চার বন্ধু সুলতানপুর থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন আবার ফেসবুক লাইফ করছিলেন ও ভিডিও-তে তাঁরা বিএমডব্লিউ গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন। তাঁরা প্রতি ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার বেগ তুলেছিলেন। তবে, তাঁদের মধ্যে একজন ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগ তুলতে চেয়েছিলেন। তখনই তাঁকে চারজনের মরার কথাটি বলতে শোনা যায় ভিডিওতে। আর এরপরে সত্যিই এই ঘটনাটি ঘটে। একটি কন্টেইনার ট্রাক ধাক্কা দেয় বিএমডব্লিউ গাড়িটিকে, আর তারপরেই মৃত্যু হয় তাঁদের।

    আরও পড়ুন: বিয়েবাড়ির যাত্রী বোঝাই বাস পড়ল উত্তরাখন্ডের খাদে 

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিহারের রোহতাসের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৩৫ বছর বয়সী অধ্যাপক ডাঃ আনন্দ প্রকাশ বিএমডব্লিউ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। ফেসবুক লাইভে তাঁদের একজনকে এও বলতে শোনা গেছে, স্পিডোমিটার পরবর্তীতে এই গানটিতে ৩০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ছুঁতে পারে। আপনার সিট বেল্ট বেঁধে রাখুন। (“ইয়ে গান পে ৩০০ পাহুচা দেগা। থোড়া কানেক্ট তোহ কর, সিট বেল্ট লাগা লিজিয়ে”)। আর এর কিছুক্ষণ পরই দ্রুতগামী গাড়িটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকে ধাক্কা দেয়। ফলে তাঁরা চারজনই ছিটকে বেরিয়ে যায় গাড়ি থেকে, আর সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁদের। মৃতদের নাম আনন্দ প্রকাশ (৩৫), অখিলেশ সিং (৩৫) এবং দীপক কুমার (৩৭), চতুর্থ মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে, ডিএম জানিয়েছেন।

    অন্যদিকে, সুলতানপুরের এসপি সোমেন বর্মা জানিয়েছেন, ট্রাকচালক এই ঘটনার পরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছে ও তার নামে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। ফরেন্সিক স্টেট ল্যাবরেটরির সহায়তায় বিএমডব্লিউ এবং কন্টেইনার ট্রাককে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Web Series XXX: ওয়েব সিরিজ নিয়ে একতা কাপুরকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট, কী আছে XXX-এ?

    Web Series XXX: ওয়েব সিরিজ নিয়ে একতা কাপুরকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট, কী আছে XXX-এ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় বেশ কিছুদিন ধরেই একতা কাপুরের (Ekta Kapoor) ওয়েব সিরিজ (Web Series) ‘এক্স এক্স এক্স’কে (Web Series XXX) ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ওয়েব সিরিজে আপত্তিকর দৃশ্য দেখানোর জন্য নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল আগেই। এছাড়াও ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অপমানের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর এইসব বিতর্কের জল এবার গড়াল আদালত পর্যন্ত। অবশেষে সেই মামলায় নিজের মত জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার শুনানিতে ওয়েব সিরিজ ‘এক্স এক্স এক্স’-এর নির্মাতা একতা কাপুরকে চরম ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত।

    প্রসঙ্গত, ‘এক্স এক্স এক্স’ -এর (Web Series XXX) কনটেন্ট নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন বেগুসরাইয়ের এক বাসিন্দা। তাঁর নাম শম্ভু কুমার ও তিনি একজন প্রাক্তন সেনাকর্মী ছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, এই ওয়েব সিরিজে ভারতীয় সেনা আধিকারিকদের স্ত্রী-দের নিয়ে অসম্মানজনক দৃশ্য দেখানো হয়েছে। যা সকলের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। আর এর ফলেই বিহারের বেগুসারাই আদালত থেকে একতা কাপুর ও তাঁর মা তথা প্রযোজক শোভা কাপুরের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছিল যে, এই সিরিজ নিয়ে অভিযোগ ওঠার পরেই সিরিজ থেকে ওই দৃশ্যগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে মামলা শেষ হয়ে যায়নি। এরপরেই তাদের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

    আর এই গ্রেফতারির পরোয়ানার পালটা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একতা। আর এই মামলার আবেদন করতে এসেই আর ফেঁসে গেলেন তিনি। গত ১৪ অক্টোবর অর্থাৎ শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয়। আর সেখানেই একতা কাপুরকে চরম ভর্ৎসনা করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম বিচারপতি অজয় রোস্তাগি ও সিটি রবিকুমারের ডিভিশন বেঞ্চ তিরস্কারের সুরে জানায়, ‘কিছু একটা করা দরকার। আপনারা দেশের তরুণ প্রজন্মের মন কলুষিত করছেন। এটা তো সবার কাছেই উপলব্ধ। ওটিটি কনটেন্ট তো সবাই দেখতে পায়। আপনারা ঠিক কোন ধরণের চয়েসের কথা বলছেন? …. অন্যদিকে আপনারা তরুণ প্রজন্মকে নষ্ট করছেন’।

    অন্যদিকে একতার পক্ষ রেখে তাঁর আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বলেন, এই দেশে প্রত্যেকের ‘ফ্রিডম অফ চয়েস’ রয়েছে। অর্থাৎ কে কী দেখবেন তার স্বাধীনতা রয়েছে। পাশাপাশি ওই বিতর্কিত ভিডিও যে প্ল্যাটফর্মে দেখা গেছে তা সাবস্ক্রিবশন নির্ভর। ফ্রি-টু এয়ার নয়।

    আবার এর উত্তরে আরও ক্ষোভ উগরে দেয় বিচারপতি, আর জানান, শুধুমাত্র বেশি টাকা দিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করার ক্ষমতা রাখলেই আদালত তার হয়ে কথা বলবে না। ভবিষ্যতে এই ধরণের পিটিশন দাখিলের জন্য আদালত একতার বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা আরোপ করবে বলে সাফ জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত।

  • RSS: প্রয়াগরাজে শুরু আরএসএস–এর অখিল ভারতীয় কার্যকরী মন্ডলের বৈঠক

    RSS: প্রয়াগরাজে শুরু আরএসএস–এর অখিল ভারতীয় কার্যকরী মন্ডলের বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ অক্টোবর, আজ থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)–এর (RSS) অখিল ভারতীয় কার্যকরী মন্ডল বৈঠক বসবে প্রয়াগরাজে। প্রত্যেকবার দীপাবলির আগে আরএসএস-এর বার্ষিক বৈঠক হয়। এবছরেও ১৬ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত প্রয়াগরাজে হতে চলেছে সেই বার্ষিক বৈঠক। ৪৫ টি প্রান্তের সংঘচালক, প্রান্ত কার্যবাহ এবং প্রান্ত প্রচারক এবং সেইসঙ্গে সহ প্রান্ত সংঘচালক, সহ প্রান্ত কার্যবাহ এবং সহ প্রান্ত প্রচারক এই সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যমুনা নদীর তীরে প্রয়াগরাজের  গৌহনিয়ায় অবস্থিত বাৎসল্য ইনস্টিটিউটে অখিল ভারতীয় কর্মকারী মণ্ডল সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    আরএসএসের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রধান সুনীল আম্বেকর শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি জানিয়েছেন এই সভায় উপস্থিত থাকবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, দত্তাত্রেয় হোসাবলে ও জাতীয় স্তরের অন্যান্য কর্মীরা এবং কার্যকারী মণ্ডলের সদস্যরা। এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যে সংঘের সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট নেওয়া হয়।

    সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, এই বৈঠকে চলতি বছরের মার্চ মাসে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় প্রণীত বার্ষিক কার্য পরিকল্পনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। বৈঠকে সাংগঠনিক কাজ সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা হবে। এর পাশাপাশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও আরএসএস প্রধান বিজয়াদশমী বক্তৃতায় যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে নিয়ে আলোচনা করেছিলেন, সেগুলোর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করা হবে বৈঠকে। আরএসএস (RSS) থেকে দাবি করা হয়েছে, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যে লাফিয়ে বেড়েছে আরএসএসের শাখা সংখ্যা। সংঘের অভ্যন্তরীন রিপোর্টে উঠে এল এই তথ্য। ফলে এই নিয়েও খুশি তাঁরা। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আরএসএস।

    সুনীল আম্বেকর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আরএসএস (RSS) ২০২৫ সালে তার শত বছর পূর্ণ করবে এবং সেইজন্য সারা দেশে  শাখার সংখ্যা প্রসারিত করা হবে। তিনি জানান যে বর্তমানে ৫৫০০০ শাখা রয়েছে এবং আরএসএস এর লক্ষ্য ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে এই সংখ্যা এক লাখে নিয়ে যাওয়া। বৈঠকে সংঘ শিক্ষা ভার্গ (Sangh Shiksha Varg (Third Year) নিয়েও আলোচনা করা হবে যা ১৪ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত হবে। এটি নাগপুরে অনুষ্ঠিত হবে। আগে সংঘ শিক্ষা ভার্গ অনুষ্ঠানগুলি শুধুমাত্র মে মাসে অনুষ্ঠিত হত।

    প্রসঙ্গত, এবছরের বিজয়াদশমী উপলক্ষে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের বক্তৃতায় মাতৃভাষায় শিক্ষা, সামাজিক সমতা, সমাজের সকল শ্রেণীর সমতা নিয়ে বলেছিলেন। আবার বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা বাতিলের পক্ষে সরব হয়েছিলেন। অন্যদিকে নারী স্বাধীনতা, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়েও সওয়াল করেছিলেন। ফলে এসব বিষয় নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে।

  • Assembly Elections 2022: ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন, ঘোষণা করা হয়নি গুজরাটের নির্ঘণ্ট

    Assembly Elections 2022: ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন, ঘোষণা করা হয়নি গুজরাটের নির্ঘণ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা করা হল হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections 2022) দিনক্ষণ। ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ৮ ডিসেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা ভোটের গণনা। ভারতের নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) শুক্রবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। বছরের শেষে হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে সঙ্গে গুজরাটেও বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে, এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সাংবাদিক সম্মেলনে গুজরাট নির্বাচনের দিনক্ষণ জানানো হয়নি।

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন (Assembly Elections 2022) হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন প্রকাশেরও চেষ্টা করা হচ্ছে। সূচি অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে, ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করার সময় দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী কাণ্ডে কার্বন ডেটিংয়ের আবেদন খারিজ করে দিল বারাণসী আদালত

    বর্তমান হিমাচল বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩-এর ৮ জানুয়ারি। ২০১৭ সালে ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল সর্বশেষ হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections)। ৪৪টি আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস পার্টি ২১টি আসন জিতেছিল। বর্তমানে, হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় বিজেপির ৪৫ জন বিধায়ক রয়েছে, যেখানে কংগ্রেসের ২২ এবং সিপিআইএমের ১জন বিধায়ক রয়েছে।

    অন্যদিকে গুজরাট বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ১৮২ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপির ১১১ জন এবং কংগ্রেসের ৬২ জন বিধায়ক আছেন। গুজরাটে শেষবার বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালের ৯ ও ১৪ ডিসেম্বর। আর ভোট গণনা হয়েছিল ১৮ ডিসেম্বর। ১৮২ টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৯৯টি আসন, কংগ্রেস জিতেছে ৭৭টি, ১টি আসন এনসিপি ও ভারতীয় উপজাতি পার্টি ২ আসনে জয়ী হয়েছিল। এবছরের নির্বাচন (Assembly Elections 2022) নিয়ে আজ ঘোষণা করা হয়নি। তবে অবশ্য গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে বিজেপি-কংগ্রেসের দ্বিপাক্ষিক দ্বন্দ্বে, তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ভাগ বসাতে চলাতে বসেছে অরবিন্দ কেজরিবালের আম আদমি পার্টি।

    সম্প্রতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডে নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে সফর করেছিলেন।

LinkedIn
Share