Author: নিমাই দে

  • Ind vs Bang: দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলাদেশ সফরে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট টিম, দেখে নিন সূচি

    Ind vs Bang: দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলাদেশ সফরে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট টিম, দেখে নিন সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ সাত বছর পর চলতি বছরেই প্রতিবেশী রাজ্য বাংলাদেশ সফরে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট টিম (Indian Cricket Team)। চলতি বছরের শেষের দিকে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে ভারতীয় ক্রিকেট টিম যাবে বাংলাদেশে (Ind vs Bang)। বাংলাদেশ সফরে টিম ইন্ডিয়া ৩টি ওডিআই ম্যাচ ও ২টি টেস্ট ম্যাচের সিরিজ (Ind vs Bang) খেলবে। বৃহস্পতিবার ভারতের এই সফরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB)। এর আগে শেষবার ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিল ভারতীয় দল।

    গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB) এবং বিসিসিআই (BCCI) পারস্পারিক আলোচনার পর এই সিরিজের সূচিও চূড়ান্ত করে ফেলেছে। সিরিজের তিনটি ওয়ানডেই হবে মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। তারপর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাবে দুই দল। সেখানে খেলা হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। কিন্তু আবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট হবে মিরপুরেই। ফলে তাঁদের আবার মিরপুরে ফিরে আসতে হবে। টি-২০ বিশ্বকাপ শেষে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩টি ওয়ানডে এবং ৩টি টি-২০ খেলার কথা ভারতের। এরপরই বাংলাদেশে চলে যাবে টিম ইন্ডিয়া (Ind vs Bang)। ফলে টি-২০ বিশ্বকাপের পরে বিশ্রাম নেই মেন ইন ব্লু-দের।

    আরও পড়ুন: সব ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ! পাকিস্তানকে হারিয়ে দিওয়ালিতে দেশবাসীকে জয় উপহার দিতে চান রোহিত

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, ‘অতীতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনেক স্মরণীয় ম্যাচ হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দুই দেশের ক্রিকেট ভক্তরা এই সিরিজের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।’ আবার বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেছেন, “ভারতের সঙ্গে আসন্ন দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে আমার শুভেচ্ছা জানাই। ভারত-বাংলাদেশ প্রতিযোগীতা ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করে, এটি উভয় দলের সমর্থকদের জন্য উপভোগ করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ হবে।”

    ওয়ান ডে সিরিজের সূচি

    প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচ, ৪ ডিসেম্বর, মিরপুর

    দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ, ৭ ডিসেম্বর, মিরপুর

    তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ, ১০ ডিসেম্বর, মিরপুর

    টেস্ট সিরিজের সূচি

    প্রথম টেস্ট ম্যাচ, ১৪-১৮ ডিসেম্বর, চট্টগ্রাম

    দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ, ২২-২৬ ডিসেম্বর, মিরপুর

    এরপর ২৭ ডিসেম্বর সফর শেষ করে দেশে ফিরবে ভারতীয় দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Agitation: “মাঝরাতে মহিলাদের আটক করা যায়?” প্রশ্নের মুখে পুলিশ প্রশাসন

    TET Agitation: “মাঝরাতে মহিলাদের আটক করা যায়?” প্রশ্নের মুখে পুলিশ প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝরাতে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল করুণাময়ী (TET Agitation)। হঠাৎ পুলিশি অভিযানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। মধ্যরাতে রাত ১২টা বেজে ১৬ মিনিট নাগাদ বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি ঘোষণা করলেন, এই জমায়েত আইনি নয়, বেআইনি। অভিযোগ, এরপরই সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনকারীদের তুলতে সক্রিয় হয়ে পড়ল কলকাতা পুলিশ। এদিন ছেলেদের পাশাপাশি মহিলাদেরও আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এর ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, কীভাবে পুলিশ মাঝরাতে মহিলাদের বিনা অনুমতিতে আটক করেত পারে? কারণ আইনে আছে, সূর্যাস্তের পর মেয়েদের গ্রেফতার বা আটক করা যায় না।

    ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণদের প্রায় ৯০ ঘণ্টার ধর্নাকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বলপ্রয়োগ করে পুলিশ সরিয়ে দিল। কার্যত টেনে-হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছিল বহু মহিলাও। ফলে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে চ্যাংদোলা করে, জোর করে আন্দোলন থেকে তোলা হয় ও কিছু মহিলা-পুরুষদের আটকও করা হয় ও বিধাননগর উত্তর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, কী করে সূ্র্যাস্তের পর অনুমতি ছাড়া মহিলাদের গ্রেফতার বা আটক করা হয়?

    আরও পড়ুন: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    অন্যদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল দশটার সময়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। কিন্তু সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারল না প্রশাসন। অভিযোগ তুললেন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী। আন্দোলনকারীদের কেন ই-মেলে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী। মামলাকারীদের আইনজীবী প্রশাসনকে তোপ দেগে বলেছেন, রাজ্যে যদি সৎ পথে নিয়োগ করা হত, তবে রাস্তায় কেও বসতেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যশত তাঁদের হকের চাকরি চুরি করা হয়েছে। তাই চোরেরা যাতে জনসম্মুখে না আসে তার জন্যই এই পদক্ষেপ।

    তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, “এই পর্ষদ কেন স্পষ্ট করে বলছে না, চাকরিপ্রার্থীদের দাবিগুলিকে আমরা মান্যতা দিচ্ছি। এই কথাটা স্পষ্ট করে বলতে পারছে না? আলোচনা করার দায়িত্ব কার? মাথা ঝুকানোর দায়িত্ব কার? আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আপনি মামলা করছেন? রাস্তা কারোর বাবার নয়? অনুমতি নিতে হয় না আন্দোলন করতে গেলে…।” পর্ষদের মামলা সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়েরের অনুমতি চান টেট উত্তীর্ণরা। শুক্রবার দশটায় ছিল শুনানি। কিন্তু তার আগেই মধ্যরাতেই পুলিশের এমন পদক্ষেপে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন আন্দোলনকারীরা।  

  • TET Agitation: মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, জোর করে টেট উত্তীর্ণদের তুলল পুলিশ

    TET Agitation: মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, জোর করে টেট উত্তীর্ণদের তুলল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যরাতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি করুণাময়ীতে (Tet Agitation)। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সক্রিয়তাও বেড়েছিল। টেট উত্তীর্ণদের বলপ্রয়োগ করে জোর করে তুলে নেওয়া হল। সোমবার থেকে চলছিল অবস্থান বিক্ষোভ৷ আমরণ অনশনও শুরু করেছিলেন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী৷ তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শুরু হল পুলিশি অভিযান৷ কাউকে চ্যাংদোলা, কাউকে রাস্তার উপর দিয়ে টেনে, হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যান এবং বাসে তুলল পুলিশ৷ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ভয়াবহ দৃশ্যেরই সাক্ষী থাকল সল্টলেকের করুণাময়ী সহ পুরো রাজ্য। ফলে মধ্যরাতে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি (TET Protest by BJP)। বিজেপির তরফে বেলা ১টার সময় হেডকোয়ার্টারে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে পর্ষদ চত্বের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আর এরপরেই বাড়তে থাকে পুলিশের সক্রিয়তা। সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশের সংখ্যা বাড়তে থাকে অনশন স্থলে। আন্দোলনকারীদের সরাতে প্রচুর পুলিশ জমায়েত হতে থাকে। এরপর আন্দোলনকারীদের জমায়েতকে বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয় প্রথমে। তারপর তাঁদের সরে যাওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয় দুই মিনিট। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবি ও আন্দোলনে অনড় থাকে। ফলে আন্দোলনকারীরা না সরলে কার্যত তাঁদের জোর করে টেনে-হিঁচড়ে জায়গা থেকে সরানো হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে আবার ২০ জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় নিউটাউন থানায়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে বহু মহিলাও ছিলেন৷ তাই তাঁদের সরানোর জন্য মহিলা পুলিশও নিয়ে আসা হয়েছিল৷ কান্নায় ভেঙে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তিন দিন ধরে অনশনে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা এই ধস্তাধস্তির মধ্যে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ কেউ কেউ সংজ্ঞা হারান৷

    আরও পড়ুন: ২০১৪ বনাম ২০১৭! দুই আন্দোলনের বিক্ষোভে উত্তাল করুণাময়ী, পর্ষদ চত্বরে জারি ১৪৪ ধারা

    জানা গিয়েছে, ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণরা প্রায় ৯০ঘণ্টা ধরে আমরণ অনশন ও আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। ফলে তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত-অবসন্ন ছিলনে। সেসময় হঠাৎ করে পুলিশ এসে ১৪৪ ধারার কথা জানালে তাঁরা আন্দোলনে অনড় থাকে। কিন্তু তাঁদের আন্দোলন থেকে সরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে পুলিশ। এর ফলে প্রায় কিছু সময়ের মধ্যেই তাঁদের ওপর জোর খাটিয়ে কাউকে চ্যাংদোলা করে, কাউকে টানতে টানতেই প্রিজন ভ্যানে তুললেন। এরপরে মধ্যরাতে ২০১৭-র চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভও তুলে দেয় পুলিশ। প্রথমে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের আলোচনা চলে কয়েক মিনিট। তার পরে সেখানেও গায়ের জোর প্রয়োগ করেই তোলা হয় সবাইকে। ফলে মাঝরাতে পুলিশের এমন পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

    অন্যদিকে রাতে এমন রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হলে পৌঁছে যান বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। ছিলেন বিজেপি-র প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, অগ্নিমিত্রা পালরা। শুক্রবার থেকে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস এবং বামেরাও আন্দোলনে নামার ঘোষণা করেছে রাতেই। তাই শুক্রবার থেকে এই ঘটনা কোন নতুন দিকে মোড় নেবে সেটাই এখন দেখার।

  • Mission LiFE: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ! ‘মিশন লাইফ’-এর জন্য শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রনেতারা

    Mission LiFE: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ! ‘মিশন লাইফ’-এর জন্য শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রনেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে গতকাল দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সূচনা করলেন ‘মিশন লাইফ’ (Mission LiFE)প্রকল্পের। এদিন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের (Antonio Guterres) উপস্থিতিতে গুজরাটের একতা নগরের স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে ‘মিশন লাইফ’ লঞ্চ করেন। মিশন লাইফ-এর সূচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মিশন লাইফ’ জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে’।

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের জন্য শুধুমাত্র দেশবাসীরাই তাঁর প্রশংসা করেননি। বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতারা তাঁর এই প্রকল্পে (Mission LiFE) সম্মতি দিয়েছেন ও নরেন্দ্র মোদি-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এছাড়া মোদির ‘মিশন লাইফ’ প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতারা। ফ্রান্স, ব্রিটেন, আর্জেন্টিনা, জর্জিয়া, নেপাল, মালদ্বীপের রাষ্ট্রনেতারা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। তাঁরা মনে করছেন ভারতের মিশন লাইফ প্রকল্প পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য এক বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে।

    ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ (Emmanuel Macron) একটি ভিডিও-এর মাধ্যমে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ফ্রান্স এই প্রকল্পটিকে (Mission LiFE) সফল করতে আগামী বছর জি-২০-এ ভারতের সঙ্গে কাজ করার জন্য আগ্রহী হয়ে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষায় নতুন প্রকল্প ভারত সরকারের, গুজরাটে ‘মিশন লাইফ’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস একটি ভিডিও-এর মাধ্যমে মোদিকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, “লাইফ মিশন (Mission LiFE) চালু করার ক্ষেত্রে আমি ভারতের নেতৃত্বের প্রশংসা করি।”

    মাদাগাস্কারের রাষ্ট্রপতি অ্যান্ড্রি রাজোয়েলিনা (Andry Rajoelina) বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত যে জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠতে পারে LIFE। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’

    জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলি (Irakli Garibashvili) জানিয়েছেন, ‘জর্জিয়া বিশ্বব্যাপী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায় এবং সম্পূর্ণ সমর্থন করে।’

    মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ও এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী, কাজা ক্যালাস এই প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তাঁরাও পাশে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

    অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব গুতেরেস ‘মিশন লাইফ’-এর সূচনাতে বলেছেন, ‘জি-২০ দেশগুলি বিশ্বব্যাপী গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের ৮০ শতাংশের জন্য দায়ী। তবে এটি বৈশ্বিক GDP-র ৮০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে’। রাষ্ট্রসংঘের প্রধানের বক্তব্য, ভারত উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশগুলির মধ্যে আস্থা তৈরিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ফলে বিশ্বের প্রায় সমস্ত রাষ্ট্রনেতারাই হাত বাড়িয়েছেন মোদির এই প্রকল্পে (Mission LiFE) কাজ করার জন্য। তাই এখন শুধুমাত্র ‘মিশন লাইফ’ কতটা সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারে, সেটির অপেক্ষায় বিশ্ববাসী।

  • West Bengal Medical Council: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    West Bengal Medical Council: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনভর দফায় দফায় ‘উচ্চস্তরের কর্তৃপক্ষের’ সঙ্গে আলোচনা করেও সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল (West Bengal Medical Council) নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার। তাই সমস্যার রফা সূত্র বেরোলো না। তাই মেডিক্যাল কাউন্সিল কার দখলে সেই প্রশ্ন অমীমাংসিত থাকলো।

    রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হতেই বারবার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল পরিচ্ছন্ন নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। শাসক দলের সেই দাদাগিরি ভোট গণনার দিনও অব্যহত রয়েছে। অভিযোগ, বিরোধী শিবির গণনায় এগিয়ে যেতেই রিটার্নিং অফিসার গণনা বন্ধ করে দেন। ‘চোখে-মুখে জল দেওয়ার’ কথা বলে প্রায় চল্লিশ মিনিট তিনি উধাও হয়ে যান। বিরোধীরা কারচুপির একাধিক অভিযোগ করলেও তিনি সে নিয়ে স্পষ্ট মতামত জানাননি।

    গত এক মাস ধরে পোস্টাল ব্যালটে চিকিৎসক ও চিকিৎসক-শিক্ষকেরা রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল (West Bengal Medical Council) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ভোট গণনার সময় ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: দীপাবলির উপহার! ২২ অক্টোবর ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    বিরোধীদের অভিযোগ, অশিক্ষক চিকিৎসকদের ভোট দেওয়ার জন্য যে গোলাপি ব্যালট দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো অধিকাংশ জাল। ব্যালটের রং আলাদা। তেমনি বিরোধী প্রার্থীদের নাম নেই। বরং শাসক দলের একই প্রার্থীর নাম একাধিক বার রয়েছে। বিরোধী শিবিরের প্রার্থী চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত অভিযোগ করেন, একাধিক ব্যালটে তার নাম নেই। অভিযোগ শুনে প্রাথমিকভাবে রিটার্নিং অফিসার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কিছুই করেননি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

    আদালতের নির্দেশে অবিচ্ছেদ্য ভাবে গণনা হওয়ার কথা থাকলেও, অভিযোগ, বিরোধী শিবিরের ভোট বাড়তে থাকলেই গণনা বন্ধ করে দেন রিটার্নিং অফিসার। কতক্ষণ পরে ফের গণনা চালু হবে, সে বিষয়েও কিছু জানান না।

    এরপরেই বিরোধী শিবিরের চিকিৎসকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। মেডিক্যাল কাউন্সিলের অফিসের সামনেই শুরু হয় প্রতিবাদ।

    যদিও শাসক দল পাল্টা জানান, যে চিকিৎসক ব্যালটে নিজের নাম না থাকার অভিযোগ এনেছেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যালটের ছবি আপলোড করেছেন। তাই তিনি নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাকে প্রার্থী হিসেবে যেন আর গণ্য করা না হয়।

    বিরোধীরা অবশ্য বলছেন, ছাপ্পা আর ভয় দেখানোকে হাতিয়ার করেই নির্বাচন লড়ে তৃণমূল। সেটা পঞ্চায়েত হোক কিংবা চিকিৎসক নির্বাচন তৃণমূলের একটাই স্ট্র্যাটেজি। সেটা হল গণতন্ত্রকে লঙ্ঘন করে ছাপ্পা দেওয়া।

  • TET Scam: ২০১৪ বনাম ২০১৭! দুই আন্দোলনের বিক্ষোভে উত্তাল করুণাময়ী, পর্ষদ চত্বরে জারি ১৪৪ ধারা

    TET Scam: ২০১৪ বনাম ২০১৭! দুই আন্দোলনের বিক্ষোভে উত্তাল করুণাময়ী, পর্ষদ চত্বরে জারি ১৪৪ ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মাঝেই (TET Scam) প্রাথমিক পর্ষদ চত্বরে পুলিশকে ১৪৪ ধারা কার্যকরের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত হাইকোর্টের অন্তর্বতী নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে আদালতের তরফে। বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাথমিক পর্ষদ অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মীদের অফিসে নিরাপদে ঢোকা-বেরোনো নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    অন্যদিকে সল্টলেকের করুণাময়ীতে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের (TET Scam) আজ চতুর্থ দিন। অনশনের ৫৬ ঘণ্টা, ধর্নার ৭৭ ঘণ্টা পার। কিন্তু এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। আবার এদিন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পাশাপাশি বিক্ষোভে বসেছেন ২০১৭-র প্রাথমিক টেট চাকরিপ্রার্থীরাও। তাঁরা আজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে যেতে চাইলে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ ও তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও শুরু হয়। ফলে করুণাময়ী যাওয়ার রাস্তায় বসে পড়েই বিক্ষোভ শুরু করেন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা।

    আরও পড়ুন: ইডির তলবে শেষ পর্যন্ত হাজিরা দিতেই হল তাপস মণ্ডলকে, চলছে জেরা

    এর আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন অবৈধ। তাঁদের আবার পদ্ধতি মেনে আবেদন ও ইন্টারভিউয়ে বসতে হবে। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন, ফের ইন্টারভিউ দিতে নারাজ। ফলে এই দাবি নিয়েই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় তিনদিন ধরে তাঁরা অনশনে বসায় একাধিক আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবুও তাঁরা তাঁদের দাবিতে অনড়। তবে আজ আন্দোলনের এক অন্য দৃশ্যই দেখা গেল। দুদিন ধরে তাঁরা মুখে কিছু তোলেননি, আবার আজ তাঁদের রাস্তায় লাশের মত সাদা চাদরে ঢেকে শুয়ে থাকতে দেখা গেল। সাদা কাপড় গায়ে দিয়ে শুয়ে নিজেরাই বলছেন, তাঁরা জীবন্ত লাশ!

    আবার ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণ ও প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত প্রার্থীরা ২০১৪-এর উত্তীর্ণদের আন্দোলনের বিরোধিতা করে দাবি করেছেন, তাঁদের সঙ্গে ২০১৪ সালের চাকরিপ্রার্থীদের একসঙ্গে পরীক্ষা হলে তাঁরা বঞ্চিত হবেন। ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের যুক্তি, ২০১৪-র টেট প্রার্থীরা দু’বার ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাহলে ফের কেন তাদের সুযোগ দেওয়া হবে?  ফলে এই দুপক্ষের আন্দোলনের জেরে করুণাময়ী সহ পুরো রাজ্য উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আবার এই দুই আন্দোলনের ফলে যাতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মীদের কাজকর্মে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করতেই নির্দিষ্ট এলাকায় বহাল থাকা ১৪৪ ধারা কার্যকরে পুলিশকে ছাড় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

  • Mission LiFE: পরিবেশ রক্ষায় নতুন প্রকল্প ভারত সরকারের, গুজরাটে ‘মিশন লাইফ’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    Mission LiFE: পরিবেশ রক্ষায় নতুন প্রকল্প ভারত সরকারের, গুজরাটে ‘মিশন লাইফ’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনকে রোধ করতে এবারে পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার। গোটা বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ আবহাওয়া বদলাচ্ছে। ফলে এর প্রভাবে নাজেহাল বিশ্ববাসী। আর এর থেকেই রক্ষা পেতে আজ উদ্বোধন করা হল ‘মিশন লাইফ’ (Mission LiFE)। এই গ্রহের পরিবেশকে বাঁচাতে আন্তর্জাতিক পরিকল্পনায় মিশন লাইফের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের (UN) মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে (Antonio Guterres) পাশে বসিয়ে গুজরাটের একতা নগরে ‘মিশন লাইফ’ (Mission LiFE) প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন তিনি। তিনদিনের সফরে বুধবার তিনি ভারতে এসেছেন ও আজ গুতেরেস গুজরাটে যান। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীও দুদিনের সফরে গিয়েছেন গুজরাট। আর তারপরেই এই প্রকল্পের সূচনা করলেন আজ। আজ এই প্রকল্পের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় উঠে এসেছে পুরো বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা করা যায়। তিনি পুরো বিশ্ববাসীকে নতুন করে আশা দেখিয়েছেন যে, জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই জলবায়ু পরিবর্তনের মত সমস্যার সমাধান করা যায়।

    তিনি আজ বলেন, “ধরুন, অনেকেই এসির (AC) তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখেন। তাতে পরিবেশে কুপ্রভাব পড়ে। জিম বা কাছাকাছি কোথাও যেতে হলে সাইকেল ব্যবহার করুন। দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সামান্য বদল আনতে পারলেই অনেকটা ঠেকানো যাবে আসন্ন বিপদ। এই যে হিমবাহ গলছে, নদী শুকিয়ে যাচ্ছে, এসবের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে। আর ‘মিশন লাইফ’ সেই লড়াইয়ে অনেকটা সাহায্য করবে।” এছাড়াও তিনি দৈনন্দিন জীবনে পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রীর ব্যবহার আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।

    এছাড়াও এদিন গুজরাটে ‘মিশন লাইফ’ সূচনামঞ্চে উপস্থিত রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস (UN Secretary-General Antonio Guterres) পরিবেশ রক্ষায় (Mission LiFE) ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।

  • Tapas Mondal: ইডির তলবে শেষ পর্যন্ত হাজিরা দিতেই হল তাপস মণ্ডলকে, চলছে জেরা

    Tapas Mondal: ইডির তলবে শেষ পর্যন্ত হাজিরা দিতেই হল তাপস মণ্ডলকে, চলছে জেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। চলছে জেরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যান তাপস। দুর্নীতি-কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার তলব করেছিল ইডি। প্রথমে জানা গিয়েছিল যে, তিনি আজ ইডির দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না। কিন্তু তাঁকে পরে সময় মত উপস্থিত হতে দেখা যায়। তিনি রাজ্যের বাইরে ছিলেন বলে ইডির কাছে ই-মেল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অবশেষে তাঁকে হাজিরা দিতে আসতেই হয়।

    গত শনিবার তাপসবাবুর বারাসতের বাড়ি সহ একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালান ইডির গোয়েন্দারা। তাঁর (Tapas Mondal) একাধিক শিক্ষক ট্রেনিং সংস্থার নামও সামনে এসেছে ও এই সংস্থা গুলোর মাধ্যমে চাকরি বিক্রির কারবার চালানো হত বলে দাবি করেছে ইডির তদন্তকারীরা। আর এই চাকরি বিক্রির মামলায় মানিক ভট্টাচার্যেরও হাত ছিল বলে দানি করেছে ইডি। ফলে এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে আজ ইডির দফতের তলব করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: হাজিরার বদলে পাঠালেন ই-মেল! আজ ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ তাঁর (Tapas Mondal) হাজিরা দিতে আসার কথা ছিল না। তাই তিনি ইডির কাছে ই-মেলও করেন। কিন্তু তাপসবাবুর বক্তব্য গ্রহণ করেননি ইডির গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবারই তাঁকে হাজিরা দিতে হবে বলে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এদিন বেলা ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন তাপসবাবু। ইডি সূত্রের খবর, বিভিন্ন নথি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। আরও জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিকের তাপসের সংস্থার একটি চুক্তি হয়েছিল। পরে অভিযোগ ওঠে, ২.৬৪ কোটি টাকার চুক্তি হলেও, তার ভিত্তিতে কোনও পরিষেবাই দেওয়া হয়নি। তবে এই চুক্তি কোন কারণে, সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আর এবিষয়েও তাঁকে জিজ্ঞসাবাদ করা হবে জানা গিয়েছে। কীভাবে তাঁর ট্রেনিং সংস্থাগুলো থেকে ছেলেমেয়েদের চাকরি লোভ দেখিয়ে টাকা নেওয়া হত, সেবিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, সূত্রের খবর।

    আবার অন্যদিকে দাবি করা হয়েছে যে, ২০১১ সালের পর থেকে তাঁর (Tapas Mondal) সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠে। গত কয়েক বছরে কীভাবে এত টাকা রোজগার, বিপুল সম্পত্তি, তার উৎসের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাই এদিকেও বিশেষ তদন্ত চালানো হচ্ছে ও এ নিয়েও জেরা করা হবে তাঁকে।

  • Suvendu Adhikari: “পুলিশও তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না”, বিজয়া সম্মিলনী থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari: “পুলিশও তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না”, বিজয়া সম্মিলনী থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুলিশও তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না।” বুধবার কাঁথিতে (Kanthi) বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে গিয়ে এবার পুলিশ ও শাসক দলকে একহাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঞ্চ থেকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানালেন, “ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হবে।” এদিন কাঁথিতে সাংগঠনিক জেলা বিজেপির উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি মঞ্চে উঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তোপ দাগলেন শাসকদল ও রাজ্য পুলিশকে।

    রাজ্য পুলিশকে তিনি (Suvendu Adhikari) এদিন ‘মমতার পুলিশ’, ‘চটি চাটা পুলিশ’ ও ‘দলদাস’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “পুলিশ, মমতার পুলিশ। চটি চাটা পুলিশ। দলদাসে পরিণত হওয়া পুলিশ। তারাই ঠিকা নিয়েছে, তারাই দায়িত্ব নিয়েছে, এই তোলামূল নামক পার্টি টাকে টিকিয়ে রাখার বা বাঁচিয়ে রাখার। কিন্তু তারা আর বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা কার্যত গুছিয়ে নিয়ে এসেছি। আর কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারবেন, এদের অবস্থাটা কী হবে। লড়াই করুন। সিপিএমকে কী করে উৎখাত করেছি, আমি জানি। একেও কী করে উৎখাত করতে হয় আমি জানি। শুধু সঙ্গে থাকুন।”  

    আরও পড়ুন: অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার! মোমিনপুর-কাণ্ডের সমস্ত নথি কলকাতা পুলিশের থেকে চাইল এনআইএ

    ফলে মঞ্চ থেকেই তিনি (Suvendu Adhikari) তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যতবাণী করেছেন ও তাদের বিদায় খুব শীঘ্রই হতে চলেছে, এবিষয়ে বলেন। তিনি এদিন অনুষ্ঠানের যোগ দেওয়ার পর থেকই সুর চড়িয়েছেন শাসক দলের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, “আমরা উপরের চোরগুলোকে ধরার চেষ্টা করছি। আপনারা নিচ তলার চোর গুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করুন।” আবারা এদিন পরিবারতন্ত্র নিয়েও তিনি কটাক্ষ করেন কংগ্রেস ও তৃণমূলকে।

    অন্যদিকে এদিন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও এখনই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার দায়িত্বে যদি রাজ্য পুলিশ থাকে, তবে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন৷ পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেছেন, ”এখন থেকেই বুথকে দুর্গে পরিণত করতে হবে। লড়াই করতে হবে, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হবে। এতটুকু ছেড়ে দেওয়ার জায়গা নেই। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে সম্মিলনের মধ্যে দিয়ে প্রতিটি গ্রামাঞ্চলের জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে হবে। কার্যকর্তাদের এই বিষয়ে দায়িত্ব নিতে হবে।”

  • Cattle Smuggling Case: সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা সায়গলের, দিল্লিতে জেরা করার অনুমতি পেল ইডি

    Cattle Smuggling Case: সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা সায়গলের, দিল্লিতে জেরা করার অনুমতি পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টেও বড়সড় ধাক্কা খেল গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ধৃত সায়গল হোসেন। অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, এমনটাই অনুমতি পাওয়া গেল সুপ্রিম কোর্টের তরফে। তাঁকে গরুপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে দিল্লি হাইকোর্ট আগেই ইডিকে অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সায়গল হোসেন। তবে তাঁর আবেদন খারিজ  করল শীর্ষ আদালত।

    সব মিলিয়ে গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সায়গলের অস্বস্তি আরও বাড়ল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে, তাঁরা সায়গলকে এই মামলার জন্য দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করবে। কিন্তু ইডি যাতে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যেতে না পারেন তার জন্য ইডির বিরুদ্ধে প্রথমে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করেন সায়গলের আইনজীবী। আদালত সায়গলের আবেদনে সাড়া দেয়নি। এরপর দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সায়গল হোসেন। হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখে। এরপর দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন সায়গল হোসেনের আইনজীবী। তবে এদিন শুনানি শেষে তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ইউ ইউ ললিত।  শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও স্বস্তি পেলেন না সায়গল।

    আরও পড়ুন: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্তে নেমে সায়গলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বর্তমানে আসানসোল সংশোধনাগারে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেই ছিলেন সায়গল হোসেন। তবে ইডিও তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুপুর তিনটের সময় সায়গলকে বের করা হয়েছে আসানসোল জেল থেকে। আসানসোল স্টেশন থেকে তাঁকে নিয়ে ট্রেনে উঠবে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সূত্রে খবর, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়েই সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। যাত্রাপথে সায়গলকে ঘিরে থাকবে সিআরপিএফ।

    সম্প্রতি সায়গলের মা ও স্ত্রী-কেও এই মামলায় তলব করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবারই ইডি দফতরে হাজিরা দেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) যে সায়গলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, তা জানা সবারই। ইডি-র নজরে রয়েছে সায়গলের বিপুল সম্পত্তি। বাড়ি, জমি মিলিয়ে সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ফলে একজন দেহরক্ষী হয়ে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। আর এসবেরই তদন্ত করতে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার জন্য তৎপর ইডি।  

LinkedIn
Share