Author: নিমাই দে

  • Digital Banking Unit: ডিবিইউ-এর মাধ্যমে কী কী সুবিধা পাবেন, জানালেন আরবিআই গভর্নর

    Digital Banking Unit: ডিবিইউ-এর মাধ্যমে কী কী সুবিধা পাবেন, জানালেন আরবিআই গভর্নর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ব্যাংকিং পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে স্থাপন করা হল ডিজিটাল ব্যাংকিং ইউনিট (Digital Banking Unit)। ভারতের ডিজিটাল ব্যবস্থাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পদক্ষেপ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা উদযাপনের অংশ হিসাবে এই ডিবিইউগুলি খোলা হয়েছে। এই ডিজিটাল ব্যাংকিং ইউনিটগুলি দেশের ডিজিটাল পরিকাঠামো আরও জোরদার করবে বলে জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস

    উল্লেখ্য, গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৭৫টি জেলাতে ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাংকিং ইউনিট (Digital Banking Unit)-এর ব্যবস্থা করেছেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করা এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও।

    শক্তিকান্ত দাস জানান, ডিবিইউগুলি (Digital Banking Unit) ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে আরও বেশি সক্রিয় করে তুলবে। এর পাশাপাশি কোনও অসুবিধা ছাড়াই ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুবিধা পাওয়ায় গ্রাহকরা উন্নত পরিষেবা উপভোগ করতে পারবেন। ব্যাংকিং পরিষেবাকে কাগজহীন, দ্রুত ও নিরাপদ করার জন্যই এই পদক্ষেপ। তিনি আরও জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাংকের ব্যাংকিং পরিষেবার জন্যই ডিজিটাল পরিকাঠামোকে আরও বেশি উন্নত করার পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার। তিনি উল্লেখ করেছেন, সরকারের এই পদক্ষেপের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক উভয় থেকেই ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গিয়েছে ও ছ’মাস সময়ের মধ্যে দেশের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপনের জন্য ৭৫টি জেলায় ৭৫ টি ডিবিইউ স্থাপন করে রেকর্ড গড়ে তোলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার অমৃতকালে ৭৫ জেলায় ৭৫ ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের উদ্বোধন মোদির

    এছাড়াও ব্যাংকগুলি তাদের ব্যবসার প্রসারে ডিজিটাল বিজনেস ফেসিলিটেটরস এবং বিজনেস করেসপন্ডেন্ট নিয়োগ করতে পারে বলেও শক্তিকান্ত জানান। এই ডিবিইউগুলিতে (Digital Banking Unit) সঞ্চয়, ঋণ, বিনিয়োগ এবং বিমার পরিষেবা পাওয়া যাবে। এ প্রসঙ্গে আরবিআই গভর্নর বলেন, “ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিবিইউগুলি প্রাথমিক ভাবে ছোট অংকের খুচরো এবং এমএসএমই ঋণের সুবিধা সরাসরি উপভোক্তার কাছে পৌঁছে দেবে। অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া থেকে ঋণের টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া, পুরোটাই ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় হবে।” সেদিন জানানো হয়েছে যে, ২০২২-২৩ কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার সময় ৭৫টি ডিবিইউ তৈরির কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্ডিয়ান ব্যাংকস অ্যাসোসিয়েশন এবং এই ক্ষেত্রের অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর একটি নির্দেশিকা জারি করে আরবিআই।

    এছাড়াও এই ডিবিইউ-এর (Digital Banking Unit) মাধ্যমে গ্রাহকরা সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা, তাদের অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স খুঁজে বের করা, পাসবুক প্রিন্ট করা, টাকা পাঠানো, ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করা ছাড়াও ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড এবং ঋণের জন্য সহজেই আবেদন করতে পারবেন। গ্রাহকদের সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করে তোলার জন্যও এই ইউনিটগুলো কাজ করবে।

  • Rana Ayyub: বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের

    Rana Ayyub: বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ মামলায় এবারে বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের (Rana Ayyub) বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল ইডি (ED)। ইডি সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। পিএমএলএ বা (প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট) এর আওতায় এই চার্জশিটে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে। গাজিয়াবাদের স্পেশ্যাল কোর্টে এই আবেদন করা হয়েছে। তবে তিনি কীভাবে টাকা সাধারণ জনগণের থেকে সংগ্রহ করেছেন, তা জানলে অবাক হবেন আপনি।

    ইডি সূত্রে খবর, অনলাইন ক্রাউড ফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ‘কেট্টো’র হাত ধরে রানা আয়ুব প্রচুর পরিমাণ অর্থ জনসাধারণের থেকে অবৈধ ভাবে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই, চার্জশিট গঠন করা হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, রানা আয়ুব সাহায্যের নাম করে ওই টাকা অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছে, চ্যারিটির নাম করে শুধুমাত্র প্রতারণার জন্যই রানা আয়ুব ওই টাকা নিতে অবৈধ পথ অবলম্বন করেছিলেন। এক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও এফডি সংক্রান্ত নানান বিষয় তুলে ধরে মানুষের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ ইডির। সেই অভিযোগের নিরিখেই রানা আয়ুবের (Rana Ayyub) বিরুদ্ধে ইডির চার্জশিটে উঠে এসেছে নানান তথ্য।  

    আরও পড়ুন:ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বেআইনিভাবে সংগ্রহ করা অর্থ তাঁর অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকত না। জনসাধারণের টাকা প্রথমে রানা আয়ুবের (Rana Ayyub) বাবা ও বোনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যেত, তারপর সেখান থেকে টাকা নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা হত। ইডি দাবি করেছে, রানা তিনটি ক্যাম্পেইন চালিয়ে মোট ২.৬৯ কোটি টাকা জনসাধারণের থেকে পেয়েছেন। এর মধ্যে ৮০.৪৮ লক্ষ টাকা বৈদেশিক মুদ্রায় পেয়েছেন।

    ইডি আরও দাবি করেছে, সংগৃহীত অর্থের ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে তিনি (Rana Ayyub) একটি ফিক্সড ডিপোজিট খুলেছিলেন। আরও ৫০ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন একটি নতুন অ্যাকাউন্টে। আর মাত্র ২৯ লক্ষ টাকা ব্যবহার করেছিলেন সামাজিক কাজে। এর আগে ইডি জানিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এবং পিএমকেয়ার্স তহবিলে রানা আয়ুব ৭৪.৫০ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।

    উল্লেখ্য, এই গোটা মামলা উত্তরপ্রদেশে গত বছর দায়ের হওয়া একটি মামলা ঘিরে শুরু হয়। পরবর্তীকালে ফেব্রুয়ারি মাসে ১.৭৭ কোটি টাকা আয়ুবের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে তারপরেই এই মামলা নজরে এসেছে। এরপরেই অভিযোগ ওঠে যে, ত্রাণ বা চ্যারিটির নাম করে টাকা আত্মসাৎ করতেন রানা। অন্যদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রানা (Rana Ayyub)। তিনি বলেন এই অভিযোগগুলো সব অযৌক্তিক।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর বাড়ির পরিচারক থেকে কাউন্সিলর! তাঁর ব্যাংক থেকেও হত কোটি টাকার লেনদেন! কী বলছে সিবিআই?

    Anubrata Mondal: কেষ্টর বাড়ির পরিচারক থেকে কাউন্সিলর! তাঁর ব্যাংক থেকেও হত কোটি টাকার লেনদেন! কী বলছে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্টর বাড়ির পরিচারকই এখন কাউন্সিলর! এমনকি এই পরিচারকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও হত কোটি কোটি টাকার লেনদেন। এমনটাই দাবি করল সিবিআই। গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে আসছে। ফলে ততই জোরালো হচ্ছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে মামলা। এই মামলায় সিবিআই চার্জশিটে দাবি করেছে যে, কেষ্টর বাড়ির পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেও বিশাল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর যার পরিমাণ দেখে চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দা অফিসারদের।

    তবে কে এই বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২০১১ সালে মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়িতে পরিচারক হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। কিন্তু সেই বিশ্বজ্যোতির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে প্রায় ৪৬ লক্ষ নগদ টাকা। ফলে একজন পাঁচ হাজার টাকা মাইনের পরিচারকের অ্যাকাউন্টে কীভাবে এত টাকা জমা পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। তবে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বজ্যোতি বোলপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। চার্জশিটে সিবিআই আরও দাবি করেছে, এখন বেতন হিসেবে অনুব্রতের পরিবারের থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা পান তিনি। এছাড়া তাঁর আয়ের অন্য কোনও উৎসের প্রমাণ মেলেনি। তবুও তদন্তে উঠে এসেছে, একটি ব্যাংকের বোলপুর শাখায় বিশ্বজ্যোতির নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ৪৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬০৪ টাকা নগদ জমা করা হয়েছে। এছাড়াও পরে জমা করা হয় ৬২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৪৫ টাকা। ফলে সব মিলিয়ে কোটি টাকার মালিক অনুব্রতর বাড়ির কাজের লোক। গোয়েন্দাদের দাবি, ওই অ্যাকাউন্টে যা লেনদেন হয়েছে, সবই অনুব্রত অথবা তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নির্দেশে।

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন শতাব্দী?

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মুনকে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ও বয়ান রেকর্ডও করা হয়েছে৷ তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় মুন জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় লেনদেন হয়েছে ‘মালিকে’র (Anubrata Mondal) নির্দেশে৷ সেখান থেকেই তাঁদের অনুমান, তাঁর নামে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করত অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)৷

    সিবিআই তরফে অভিযাগ উঠেছে যে, গরুপাচারের টাকা একাধিক প্রভাবশালীকে দেওয়া এবং বিভিন্ন ব্যবসায় খাটানোর জন্যই সেভ অডিটর হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়ির পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল ও এর মাধ্যেমেই লেনদেন করা হত। গোয়েন্দারা আরও দাবি করেছেন, শুধুমাত্র বিশ্বজ্যোতি নয়, অনুব্রতর বাড়ির অন্যান্য পরিচারকের নামেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বর্তমানে গরুপাচার-কাণ্ডের বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ঘটনার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা।

  • Adipurush: আরও বিপাকে প্রভাস-কৃতি-সইফ! ‘আদিপুরুষ’ ছবির টিমকে আইনি নোটিশ সংগঠনের

    Adipurush: আরও বিপাকে প্রভাস-কৃতি-সইফ! ‘আদিপুরুষ’ ছবির টিমকে আইনি নোটিশ সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘আদিপুরুষ‘- (Adipurush) এর প্রথম টিজার। কিন্তু টিজার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বিতর্কের ঝড় বয়ে চলেছে। নেটিজেনদের ট্রোলিং এবং কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে ছবির পরিচালক সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও। ছবিতে দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ‘বাহুবলি'(Bahubali) খ্যাত প্রভাস (Prabhas) রামের চরিত্রে,  কৃতি স্যানন সীতার চরিত্রে ও সইফ আলি খান রাবণের চরিত্রে অভিনয় করবেন।

    প্রথমে ছবির (Adipurush) ভিএফএক্স ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। এবার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে ‘আদিপুরুষ’- এর নির্মাতাদের বিরুদ্ধে। ফলে এবারে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক সংগঠন ও সিনেমাটির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে আদিপুরুষ-এর টিমকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। ন্যাশনাল সিনে ওয়াকার্স ইউনিয়ন (The National Cine Workers Union) নামের সংগঠনটি এই নোটিশ পাঠায়।

    আরও পড়ুন: ‘আদিপুরুষ’- এ হিন্দু সংস্কৃতি নিয়ে উপহাস করা হয়েছে, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    প্রসঙ্গত, এর আগেই সিনেমাটি (Adipurush) নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে ধর্মীয় হিন্দু সংগঠনগুলি। হিন্দু সমাজ, হিন্দু সংস্কৃতি, হিন্দু ধর্মকে উপহাস করার অভিযোগ তুলেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদও (Viswa Hindu Parishad)। এবারে সরাসরি আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হল আদিপুরুষ-এর পরিচালক ওম রাউত, প্রযোজক ভূষণ কুমার সহ অভিনেতা প্রভাস, সইফ ও অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নোটিশটি জারি করেছেন আশিষ রাই নামে একজন আইনজীবী। হিন্দু সভ্যতার রামায়ণকে অপমান করা হয়েছে এই ছবিতে বলে সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে।

    এই ছবির (Adipurush) টিজার মু্ক্তির প্রথম থেকেই প্রথমে ভিএফএক্স নিয়ে ট্রোলিং হতে শুরু হয়। এরপরে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগেও এই ছবি ঘিরে শুরু হয় নানা বিতর্ক। অনেকেই রাবণ হিসেবে সইফের দাঁড়িওয়ালা লুক মেনে নিতে পারছেন না। অভিযোগ উঠেছে যে, সইফকে রাবণের বদলে আলাউদ্দিন খিলজি বা বাবর বেশি মনে হচ্ছে। আবার অনেকেই হনুমানের দাঁড়িওয়ালা লুক দেখেও আপত্তি প্রকাশ করেছেন। ফলে অনেকেরই মতে, এমন ধরণের সাজ দিয়ে ছবির নির্মাতা ইসলাম ধর্মকে বেশি করে ফুটিয়ে তুলছে।

    অন্যদিকে এত কিছুর পর শেষে মুখ খুলেছেন ছবির (Adipurush) পরিচালক ওম রাউত। তিনি বলেন, “আমাদের আজকের রাবণ শয়তানের প্রতিরূপ, সে নিষ্ঠুর। যে সীতাকে অপহরণ করেছে, তাকে এখনকার সময়ে একটা চেহারা দেওয়ার কথা ভেবেছি আমরা। এটা শুধু একটা ছবি বা প্রজেক্ট নয়, আমাদের কাছে এটা একটা চ্যালেঞ্জ।” উল্লেখ্য, ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে।

  • SSC Scam: সুবীরেশের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বদল! ফের জেল হেফাজত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের

    SSC Scam: সুবীরেশের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বদল! ফের জেল হেফাজত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আরও এক অভিযোগ উঠে আসল। এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের মার্কশিটের নম্বর বদল করা হয়েছে, সোমবার এই অভিযোগ তোলা হয়েছে সিবিআই-এর তরফে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে ভার্চুয়ালি আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। গতকাল মেয়াদ শেষে আলিপুর আদালতে ভার্চুয়ালি শুনানি হয়। সেখানেই এই অভিযোগ তোলেন সিবিআই-এর আইনজীবী। শুধু তাই নয়, অভিযোগের পাশাপাশি তাঁর হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনও করছিলেন তিনি। অন্যদিকে সুবীরেশের জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল আদালতে। কিন্তু তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করা হয় ও তাঁকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুরের আদালতের বিচারক।

    আদালত সূত্রে খবর, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায়ের তরফে সুবীরেশের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। মূলত তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথাকেই তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী। বলা হয়, সুবীরেশের ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, সুবীরেশ জেলের খাবার খেতে পারছেন না- এ সব দিক বিচার করে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। একইসঙ্গে তাঁর আইনজীবী বলেন, জেলের খাবার খেতে না পারায় তাঁকে ডায়েট চার্ট মেনে খাবার দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    অন্যদিকে, সিবিআই-এর আইনজীবী এই শুনানি চলাকালীন অভিযোগ করেন যে, এসএসসি পরীক্ষায় চাকরীপ্রার্থীদের মার্কশিটের নম্বর তাঁর নির্দেশেই পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে এই ঘটনার পেছনে তিনিই মূল ষড়যন্ত্রকারী। বিভিন্ন ‘ডকুমেন্ট’ পরীক্ষা করাও বাকি আছে। তাই এই পর্যায়ে জামিন সম্ভব না বলে জানিয়েছেন সিবিআই।

    এছাড়াও সিবিআইয়ের আইনজীবী সাফ দাবি করেছেন, এই এসএসসি কেলেঙ্কারির ব্যাপারে পুরোপুরি জানতেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাঁর কথাতেই সবকিছু করা হত। ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী সুবীরেশের জামিনের বিরোধিতা করে সুবীরেশের জেল হেফাজত বাড়ানোর আবেদন করেছেন। কারণ তাঁদের মতে, সুবীরেশ বৃহত্তর ষড়যন্ত্রকারী। তিনি প্রভাবশালী। জামিনের আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতে পাঠানো হোক তাঁকে। বিভিন্ন তথ্য যাচাই করা বাকি আছে। তাই এই পর্যায়ে জামিন সম্ভব না। এরপর দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখেন বিচারক ও সিদ্ধান্ত নেন যে, এখনই জামিন দেওয়া হবে না এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে। তাই আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের বিচারক আমান সিংহাল।

    প্রসঙ্গত, গত ১৯ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subirtesh Bhattacharya)। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮-র মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

  • Manik Bhattacharya: শিক্ষক বদলিতে রয়েছে মানিকের হাত, সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য পেশ, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Manik Bhattacharya: শিক্ষক বদলিতে রয়েছে মানিকের হাত, সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য পেশ, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসল। ইডির দাবি, শিক্ষক বদলিতেও রয়েছে মানিকের হাত। টাকার বিনিময়ে পছন্দের স্কুলে শিক্ষক বদলি হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের হাত ধরেই। এর পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে যে, নিজের সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য, এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি।

    নিজের সম্পত্তি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য এবার পেশ করল ইডি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তা সম্পূর্ণ ভুল। অর্থাৎ নদিয়ার পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে যখন তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন তখন তিনি কমিশনকে যে সম্পত্তি সংক্রান্ত যে তথ্য দিয়েছিলেন তা ভুল বলে মনে করে ইডি। এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সামনে এই তথ্য এসেছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্য তাঁর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি- সব মিলিয়ে সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি টাকার কিছু বেশি ছিল বলে জানিয়েছিলেন হলফনামায়। কিন্তু একটি সংবাদ সংস্থাকে ইডির এক আধিকারিক বলেন, “তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই পরিস্কার হচ্ছে যে মানিক ভট্টাচার্য তাঁর হলফনামায় সম্পত্তির পরিমাণ কমিয়ে দেখিয়েছেন। তাঁর সম্পত্তি অনেক বেশি।”

    অন্যদিকে আরও জানা গিয়েছে, মানিকের (Manik Bhattacharya)বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির নথি থেকেই মিলেছে শিক্ষক বদলির সুপারিশ, যা মানিক ভট্টাচার্যের নামে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। আর এই শিক্ষক বদলিতে মাথাপিছু আর্থিক লেনদেন হয়েছে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই সেই টাকা এখন কোথায়? তারই তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে মমতার নাম ইডির নথিতে, সব জানতেন মুখ্যমন্ত্রী

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকার বদলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। এছাড়াও কয়েকদিন আগেই তাঁর ছেলের সংস্থার সঙ্গেও মানিকের যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, মানিক পুত্র শৌভিকের কনসালটেন্সি কোম্পানি হলেও এটি পশ্চিমবঙ্গের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডি.এল.ইডি (D. El. Ed) কলেজ থেকে পরামর্শ দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে এই সংস্থা। ফলে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস তথা ৭ মাসের মধ্যে ওই সংস্থা এইভাবে মোট তুলেছে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা। এই টাকার কথাও তিনি তাঁর সম্পত্তির পরিমাণে উল্লেখ করেননি। এছাড়াও তদন্ত করতে গিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য সামনে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ ও টেক্সট মেসেজে। এবং এই অভিযোগগুলির পাশাপাশি এবার যুক্ত হল টাকার বিনিময়ে শিক্ষক বদলির অভিযোগও।

    ইডি সূত্রে খবর, যে সমস্ত নথি সামনে এসেছে তাতে বদলি সংক্রান্ত সুপারিশ মিলেছে। এগুলোতে কয়েকজন শিক্ষকের নাম পাওয়া গিয়েছে, যারা পছন্দের স্কুলে বা বাড়ির কাছে স্কুলে বদলির জন্য আবেদন করেছে ও তাদের জন্য সুপারিশ এসেছে মানিকের (Manik Bhattacharya) কাছে। এই শিক্ষকদের পছন্দ মত স্কুলে ট্রান্সফার করানোর জন্য মাথাপিছু নিত ৬-৭ লক্ষ টাকাও। তবে কে এই সুপারিশ করত, কে নির্দেশ দিত, তা নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে ইডি।

  • Indian Army Dog: লড়েছিল বীরের মত, অবশেষে মৃত্যু হল ভারতীয় সেনবাহিনীর কুকুর ‘জুম’-এর

    Indian Army Dog: লড়েছিল বীরের মত, অবশেষে মৃত্যু হল ভারতীয় সেনবাহিনীর কুকুর ‘জুম’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ রক্ষা আর হল না। দুদিনের লড়াই শেষ। লড়েছিল বীর সৈনিকের মত। গুলিবিদ্ধ হয়েও নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে যে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করে চলছিল, আজ তারই মৃত্যু হল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গি (terrorist) দমনে অংশ নিয়ে গুলিতে (bullet) গুরুতর জখম হয়েছিল সেনাবাহিনীর কুকুর ‘জুম’ ( Army Dog Zoom)। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার মৃত্যু হল জুমের (Indian Army Dog)।

    সেনা আধিকারিকদের মতে, জুম প্রায় বেলা ১১.৪৫ মিনিট অবধি চিকিৎসায় ভাল সাড়া দিচ্ছিল। কিন্তু আচমকা হাঁপাতে শুরু করে সে। তখনই প্রাণ হারায় সে। বেলা ১২টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়৷ শ্রীনগরের আর্মি ভেটেরিনারি হাসপাতালে একটি মেডিকেল টিমের কড়া পর্যবেক্ষণে ছিল জুম (Indian Army Dog)।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে আহত হয়েও যোদ্ধার মত লড়াই করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুকুর ‘জুম’

    প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) অনন্তনাগে সোমবার ভোরে সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে যায় ‘জুম’ (Indian Army Dog)। তারই সহায়তায় এনকাউন্টারে লস্কর -ই – তৈবার দুই সন্ত্রাসবাদীকে খতম করতে সক্ষম হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু সংঘর্ষে জঙ্গিদের ছোঁড়া দু’টি গুলি এসে লাগে তার গায়ে। তারপরেও জঙ্গিদের কামড়ে ধরে লড়াই চালিয়ে যায় সে। এরপর পশু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হাসপাতালেই মৃত্যু হল ‘জুম’-এর।

    আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনার কর্পসের তরফে ট্যুইট করে তাঁর (Indian Army Dog) মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে এদিন জুম-এর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে।

  • Gambia: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, হু-এর সতর্কবার্তা জারির পরেই তদন্ত করতে বিশেষ প্যানেল গঠন কেন্দ্রের

    Gambia: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, হু-এর সতর্কবার্তা জারির পরেই তদন্ত করতে বিশেষ প্যানেল গঠন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাম্বিয়ায় (Gambia) ৬৬ জন শিশুমৃত্যুর কারণ হতে পারে ভারতীয় কাফ সিরাপ, এমনটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। এরপরেই কেন্দ্র সরকার থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পুরো তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। এবারে বুধবার অর্থাৎ গতকালই কেন্দ্রীয় সরকার চার বিশেষজ্ঞের একটি প্যানেল গঠন করেছে। ভারতে তৈরি চারটি কাফসিরাপের বিরুদ্ধে যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতার ভিত্তিতে পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করবে এই বিশেষ প্যানেলটি। তারপরে সেই রিপোর্ট ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে পাঠানো হবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

    এই কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা হলেন, প্রজ্ঞা যাদব, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি, পুনের বায়োসেফটি লেভেল ল্যাবের প্রধান, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের এপিডেমিওলজি বিভাগের আরতি বাহল এবং সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) এর জয়েন্ট ড্রাগ কন্ট্রোলার এ কে প্রধান। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন স্ট্যান্ডিং ন্যাশনাল কমিটির মেডিসিনস-এর ভাইস-চেয়ারপার্সন ওয়াইকে গুপ্ত।

    আরও পড়ুন: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, ৪টে কাশির সিরাপের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ হরিয়ানা সরকারের

    ইতিমধ্যেই হরিয়ানা সরকার মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের সোনিপাত ইউনিটে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। হুয়ের তরফে মনে করা হচ্ছে গাম্বিয়ার ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর কারণ ভারতে তৈরি চারটি কাশির ওষুধ। তাই অবিলম্বে কেন্দ্র থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ও গতকাল আবার কেন্দ্র সরকার প্যানেল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

    প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, এর আগেই হু-এর তরফে পাঠানো সতর্কতায় জানানো হয়েছিল, চারটি সিরাপ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেখানে অস্বাভাবিক বেশি মাত্রায় ইথিলিন গ্রাইকল এবং এথিলিন গ্লাইকল রয়েছে। হুয়ের তরফে বার্তা পাওয়ার পরেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন হরিয়ানার রেগুলেটরি অথরিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে। ও তারপরেই তদন্ত শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ১১ অক্টোবর হু সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনকে পণ্যের নুমনার পরীক্ষার ফলাফল বিস্তারিতভাবে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি হুয়ের তরফে জানানো হয়েছে, শিশু মৃত্যুর সঙ্গে চারটি সিরাপের সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে। অন্যদিকে হরিয়ানা সরকার ইতিমধ্যেই সংস্থাকে উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

  • Amit Shah: বাজেয়াপ্ত নয়, মাদক চক্র বিনাশ করাই লক্ষ্য, গুয়াহাটিতে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: বাজেয়াপ্ত নয়, মাদক চক্র বিনাশ করাই লক্ষ্য, গুয়াহাটিতে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে মাদকদ্রব্য পাচারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) তিনদিনের উত্তর-পূর্ব ভারত সফরে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে শনিবার “মাদক পাচার এবং জাতীয় নিরাপত্তা” বিষয়ক একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের মাদক পাচার পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য সমাধান পরীক্ষা করার লক্ষ্যেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি সেখানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য শুধু মাদক আটক করা নয়, মাদকের আতঙ্ককে উপড়ে ফেলা। তিনি উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির বর্তমান সরকারদের মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    অমিত শাহ (Amit Shah) গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিজিপিদের সঙ্গে ‘মাদক পাচার এবং জাতীয় নিরাপত্তা’ বিষয়ে একটি আঞ্চলিক বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, “মাদকদ্রব্য জব্দ করা আমাদের মিশন নয়। উপড়ে ফেলাই আমাদের লক্ষ্য।” তাঁর মতে, উত্তর-পূর্বের প্রতিটি রাজ্যের পুলিশকে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং প্রতিটি মাদক পাচারের পথ নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, “সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যের ডিজিপিদের একে অপরকে সাহায্য করা উচিত। মণিপুর থেকে মাদক বাজেয়াপ্ত করা হলে সেখানেই সেটি শেষ হয় না। আপনাদের দেখা উচিত যে, মাদকদ্রব্য কোথায় ও কার কাছে যাচ্ছে।“

    আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোর দিন কামাখ্যা মন্দিরে প্রার্থনা অমিত শাহের

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে এটি দ্বিতীয় সম্মেলন। প্রথমটি চণ্ডীগড়ে ছিল এবং আজ, কেন্দ্রের লক্ষ্যই ছিল উত্তর-পূর্বে মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং লড়াই করা। তিনি আরও বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে ৭৫,০০০ কেজি মাদক ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তিনি খুশি যে, ৭৫,০০০ কেজির পরিবর্তে, ১,৫০,০০০ কেজি মাদক ধ্বংস করা হয়েছে। এটা একটা বড় অর্জন।

    তাঁর তত্ত্বাবধানে সেদিন প্রায় ৪০,০০০ কেজি জব্দ করা মাদক নষ্ট করা হয়েছে। সেসময় ভার্চুয়ালি ভাবে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ। এছাড়াও গুয়াহাটিতে এনসিবি ১১,০০০ কেজি, আসাম পুলিশ প্রায় ৮০০০ কেজি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য নষ্ট করেছে। আবার ত্রিপুরায় সর্বোচ্চ ১২০০০ কেজি, অরুণাচল প্রদেশে ৪০০০ কেজি মাদকদ্রব্য, মেঘালয়ে ১৬০০ কেজি, মণিপুরে ১৯০০ কেজি, মিজোরামে ১৫০০ কেজি এবং নাগাল্যান্ডে ৩৯৬ কেজি মাদক পোড়ানো হয়েছে।

    সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংকে তার রাজ্যে পপি এবং গাঁজা চাষ রোধ করার প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “ভারতকে মাদক মুক্ত করা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন এবং আমাদের এটিকে বাস্তবে পরিণত করতে হবে।”

     

  • Neel Saraswati Puja: কথিত আছে, দেবী নীল সরস্বতীর আশীর্বাদে জন্ম তারাশঙ্করের, কথাসাহিত্যিক-এর পৈতৃক ভিটের পুজোর কথা জানুন

    Neel Saraswati Puja: কথিত আছে, দেবী নীল সরস্বতীর আশীর্বাদে জন্ম তারাশঙ্করের, কথাসাহিত্যিক-এর পৈতৃক ভিটের পুজোর কথা জানুন

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’, ‘গণদেবতা’ এর মতো জনপ্রিয় উপন্যাসগুলির লেখক তিনি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরে তিনিই এ বাংলার অন্যতম প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক। বীরভূম জেলার লাভপুরের এই প্রতিভাবান কথাসাহিত্যিক তাঁর ‘গণদেবতা’ উপন্যাসের জন্য ১৯৬২ সালে পেয়েছিলেন জ্ঞানপীঠ পুরস্কার।  তিনি ছিলেন মা তারার আটটি রূপের অন্যতম রূপ নীল সরস্বতীর (Neel Saraswati Puja) ভক্ত। মা তারা তাঁর গৃহের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তাইতো গণদেবতা, ধাত্রীদেবতা, কবি প্রভৃতি উপন্যাসে বারবার উঠে এসেছে মা তারার প্রসঙ্গ। কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (Tarasankar Bandyopadhyay) তখনও জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পাননি। সে সময় তাঁর গৃহের নীল সরস্বতী পূজা সম্পন্ন করতেন পুরোহিত গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য।

    কথিত আছে, লাভপুরের অদূরে কোতলঘোষা গ্রামের এই পূজারী ব্রাহ্মণ কে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জিজ্ঞাসা করেন , “ভচ্চার মশায় , পুরস্কার পাবো তো?” প্রত্যুত্তরে গৌরী বাবু বলেন, “হ্যাঁ , নিশ্চয়ই পাবে।”‌ একথা বলার কিছুদিনের মধ্যেই এই বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান। এমনটাই বললেন সুভাষ ভট্টাচার্য‌। গৌরীশঙ্কর বাবুর পুত্র। বর্তমানে কথাসাহিত্যিক-এর গৃহের নীল সরস্বতী (Neel Saraswati Puja) পূজার পুরোহিত। কিন্তু তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের গৃহে নীল সরস্বতীর পূজার প্রচলন কবে থেকে? কেনই বা তাঁর গৃহে নীল সরস্বতীর পূজা  শুরু হলো? এর উত্তর জানতে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে অনেকখানি।

    আজ থেকে ১২৬ বছর আগে। ১৮৯৭ সাল নাগাদ। তখন লাভপুরের জমিদার ছিলেন হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। সতীপীঠ ফুল্লরা তে এসময় সাধনা করতেন তান্ত্রিক রামজী গোঁসাই ওরফে বলভদ্র পান্ডে। তিনি হরিদাস বাবু ও তাঁর স্ত্রী প্রভাবতী দেবীকে আশ্বিন মাসে দুর্গাপুজোর অন্তে শুক্ল চতুর্দশীর রাতে মা তারার আরেক রূপ নীল সরস্বতী (Neel Saraswati Puja) পূজার পরামর্শ দেন। তাঁর কথামতো নীল সরস্বতী পুজো সম্পন্ন করার ঠিক দশমাস পরে ৮ই শ্রাবণ ১৩০৫ সালে জন্ম হয় তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মা তারার আশীর্বাদে তিনি ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন, এই বিশ্বাসের জন্যই তাঁর নাম তারাশঙ্কর রাখা হয়‌। তখন থেকেই নীলসরস্বতীর পুজোর প্রচলন হয়, এই কথাসাহিত্যিক এর  গৃহে। দুর্গাপূজার পরে শুক্লা চতুর্দশী যা কিনা মা তারার আবির্ভাব তিথি হিসেবে গণ্য হয় , এই তিথিতেই নীল সরস্বতীর পুজো হয় লাভপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে।

    দেবীর গাত্রবর্ণ নীল (Neel Saraswati Puja)। সমগ্র দেহে সাপ জড়ানো। ভীষণ দর্শনা এই দেবীর পায়ের নীচে জটাধারী শবরূপ মহাদেব থাকেন। দেবীর  গলায় মুন্ড মালা, হাতে নরমুন্ড ও পরনে বাঘছাল থাকে। শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে সন্ধ্যায় এই পুজো শুরু হয়, চলে মধ্যরাত্রি অবধি। যজ্ঞও হয়। অন্যতম সতীপীঠ ফুল্লরা তলাতে প্রথমে দেবীর পুজো হয় তারপর কথাসাহিত্যিক এর বাড়িতে পুজো হয়। প্রথমে গ্রামের দক্ষিণ প্রান্তে এক মন্দিরে এই পুজো সম্পন্ন হত। যা এলাকায় তারা মায়ের ডাঙ্গা নামেই প্রসিদ্ধ। পরে মন্দির বেহাল হয়ে গেলে, এই পুজো সম্পন্ন হতে থাকে কথাসাহিত্যিক এর পারিবারিক দুর্গা মন্দিরে। কথাসাহিত্যিক এর ভাইপো পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায় তারা মায়ের ডাঙ্গায় অবস্থিত মন্দিরটি সংস্কার করেন ২০১৩ সালে। তখন থেকে নীল সরস্বতীর পুজো আবার তারা মায়ের ডাঙ্গায় সম্পন্ন হয়, যেমনটা তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মের পরে হতো‌। এ প্রসঙ্গে কথিত আছে, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষজনকে এই পুজোতে তখন ফুল্লরা মন্দিরে যেতে দেওয়া হতো না। তখন দলিত সম্প্রদায়ের লোকেরা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের কাছে এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপর তাঁদের জন্য তৈরী হয় নবফুল্লরা তলা। যেটি বর্তমান তারাশঙ্কর ভবনের একেবারে পাশেই। লাভপুরের নীল সরস্বতীর পুজো সমগ্র গ্রামের মানুষজনের আস্থা, বিশ্বাস ও ভক্তির আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে আজ। আগে এই পুজোতে ছাগলবলি দেওয়া হতো। কিন্তু, এখন তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে তারামায়ের ভোগ হিসেবে খিচুড়ি, লুচি, সুজি থাকে। গ্রামের প্রায় সমস্ত মানুষ জন রাত্রিতে পাত পেড়ে মায়ের প্রসাদ গ্রহণ করেন।

LinkedIn
Share