Author: নিমাই দে

  • Web Series XXX: ওয়েব সিরিজ নিয়ে একতা কাপুরকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট, কী আছে XXX-এ?

    Web Series XXX: ওয়েব সিরিজ নিয়ে একতা কাপুরকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট, কী আছে XXX-এ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় বেশ কিছুদিন ধরেই একতা কাপুরের (Ekta Kapoor) ওয়েব সিরিজ (Web Series) ‘এক্স এক্স এক্স’কে (Web Series XXX) ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ওয়েব সিরিজে আপত্তিকর দৃশ্য দেখানোর জন্য নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল আগেই। এছাড়াও ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অপমানের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর এইসব বিতর্কের জল এবার গড়াল আদালত পর্যন্ত। অবশেষে সেই মামলায় নিজের মত জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার শুনানিতে ওয়েব সিরিজ ‘এক্স এক্স এক্স’-এর নির্মাতা একতা কাপুরকে চরম ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত।

    প্রসঙ্গত, ‘এক্স এক্স এক্স’ -এর (Web Series XXX) কনটেন্ট নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন বেগুসরাইয়ের এক বাসিন্দা। তাঁর নাম শম্ভু কুমার ও তিনি একজন প্রাক্তন সেনাকর্মী ছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, এই ওয়েব সিরিজে ভারতীয় সেনা আধিকারিকদের স্ত্রী-দের নিয়ে অসম্মানজনক দৃশ্য দেখানো হয়েছে। যা সকলের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। আর এর ফলেই বিহারের বেগুসারাই আদালত থেকে একতা কাপুর ও তাঁর মা তথা প্রযোজক শোভা কাপুরের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছিল যে, এই সিরিজ নিয়ে অভিযোগ ওঠার পরেই সিরিজ থেকে ওই দৃশ্যগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে মামলা শেষ হয়ে যায়নি। এরপরেই তাদের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

    আর এই গ্রেফতারির পরোয়ানার পালটা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একতা। আর এই মামলার আবেদন করতে এসেই আর ফেঁসে গেলেন তিনি। গত ১৪ অক্টোবর অর্থাৎ শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয়। আর সেখানেই একতা কাপুরকে চরম ভর্ৎসনা করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম বিচারপতি অজয় রোস্তাগি ও সিটি রবিকুমারের ডিভিশন বেঞ্চ তিরস্কারের সুরে জানায়, ‘কিছু একটা করা দরকার। আপনারা দেশের তরুণ প্রজন্মের মন কলুষিত করছেন। এটা তো সবার কাছেই উপলব্ধ। ওটিটি কনটেন্ট তো সবাই দেখতে পায়। আপনারা ঠিক কোন ধরণের চয়েসের কথা বলছেন? …. অন্যদিকে আপনারা তরুণ প্রজন্মকে নষ্ট করছেন’।

    অন্যদিকে একতার পক্ষ রেখে তাঁর আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বলেন, এই দেশে প্রত্যেকের ‘ফ্রিডম অফ চয়েস’ রয়েছে। অর্থাৎ কে কী দেখবেন তার স্বাধীনতা রয়েছে। পাশাপাশি ওই বিতর্কিত ভিডিও যে প্ল্যাটফর্মে দেখা গেছে তা সাবস্ক্রিবশন নির্ভর। ফ্রি-টু এয়ার নয়।

    আবার এর উত্তরে আরও ক্ষোভ উগরে দেয় বিচারপতি, আর জানান, শুধুমাত্র বেশি টাকা দিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করার ক্ষমতা রাখলেই আদালত তার হয়ে কথা বলবে না। ভবিষ্যতে এই ধরণের পিটিশন দাখিলের জন্য আদালত একতার বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা আরোপ করবে বলে সাফ জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত।

  • RSS: প্রয়াগরাজে শুরু আরএসএস–এর অখিল ভারতীয় কার্যকরী মন্ডলের বৈঠক

    RSS: প্রয়াগরাজে শুরু আরএসএস–এর অখিল ভারতীয় কার্যকরী মন্ডলের বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ অক্টোবর, আজ থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)–এর (RSS) অখিল ভারতীয় কার্যকরী মন্ডল বৈঠক বসবে প্রয়াগরাজে। প্রত্যেকবার দীপাবলির আগে আরএসএস-এর বার্ষিক বৈঠক হয়। এবছরেও ১৬ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত প্রয়াগরাজে হতে চলেছে সেই বার্ষিক বৈঠক। ৪৫ টি প্রান্তের সংঘচালক, প্রান্ত কার্যবাহ এবং প্রান্ত প্রচারক এবং সেইসঙ্গে সহ প্রান্ত সংঘচালক, সহ প্রান্ত কার্যবাহ এবং সহ প্রান্ত প্রচারক এই সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যমুনা নদীর তীরে প্রয়াগরাজের  গৌহনিয়ায় অবস্থিত বাৎসল্য ইনস্টিটিউটে অখিল ভারতীয় কর্মকারী মণ্ডল সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    আরএসএসের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রধান সুনীল আম্বেকর শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি জানিয়েছেন এই সভায় উপস্থিত থাকবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, দত্তাত্রেয় হোসাবলে ও জাতীয় স্তরের অন্যান্য কর্মীরা এবং কার্যকারী মণ্ডলের সদস্যরা। এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যে সংঘের সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট নেওয়া হয়।

    সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, এই বৈঠকে চলতি বছরের মার্চ মাসে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় প্রণীত বার্ষিক কার্য পরিকল্পনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। বৈঠকে সাংগঠনিক কাজ সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা হবে। এর পাশাপাশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও আরএসএস প্রধান বিজয়াদশমী বক্তৃতায় যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে নিয়ে আলোচনা করেছিলেন, সেগুলোর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করা হবে বৈঠকে। আরএসএস (RSS) থেকে দাবি করা হয়েছে, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যে লাফিয়ে বেড়েছে আরএসএসের শাখা সংখ্যা। সংঘের অভ্যন্তরীন রিপোর্টে উঠে এল এই তথ্য। ফলে এই নিয়েও খুশি তাঁরা। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আরএসএস।

    সুনীল আম্বেকর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আরএসএস (RSS) ২০২৫ সালে তার শত বছর পূর্ণ করবে এবং সেইজন্য সারা দেশে  শাখার সংখ্যা প্রসারিত করা হবে। তিনি জানান যে বর্তমানে ৫৫০০০ শাখা রয়েছে এবং আরএসএস এর লক্ষ্য ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে এই সংখ্যা এক লাখে নিয়ে যাওয়া। বৈঠকে সংঘ শিক্ষা ভার্গ (Sangh Shiksha Varg (Third Year) নিয়েও আলোচনা করা হবে যা ১৪ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত হবে। এটি নাগপুরে অনুষ্ঠিত হবে। আগে সংঘ শিক্ষা ভার্গ অনুষ্ঠানগুলি শুধুমাত্র মে মাসে অনুষ্ঠিত হত।

    প্রসঙ্গত, এবছরের বিজয়াদশমী উপলক্ষে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের বক্তৃতায় মাতৃভাষায় শিক্ষা, সামাজিক সমতা, সমাজের সকল শ্রেণীর সমতা নিয়ে বলেছিলেন। আবার বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা বাতিলের পক্ষে সরব হয়েছিলেন। অন্যদিকে নারী স্বাধীনতা, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়েও সওয়াল করেছিলেন। ফলে এসব বিষয় নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে।

  • Assembly Elections 2022: ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন, ঘোষণা করা হয়নি গুজরাটের নির্ঘণ্ট

    Assembly Elections 2022: ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন, ঘোষণা করা হয়নি গুজরাটের নির্ঘণ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা করা হল হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections 2022) দিনক্ষণ। ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ৮ ডিসেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা ভোটের গণনা। ভারতের নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) শুক্রবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। বছরের শেষে হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে সঙ্গে গুজরাটেও বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে, এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সাংবাদিক সম্মেলনে গুজরাট নির্বাচনের দিনক্ষণ জানানো হয়নি।

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন (Assembly Elections 2022) হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন প্রকাশেরও চেষ্টা করা হচ্ছে। সূচি অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে, ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করার সময় দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী কাণ্ডে কার্বন ডেটিংয়ের আবেদন খারিজ করে দিল বারাণসী আদালত

    বর্তমান হিমাচল বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩-এর ৮ জানুয়ারি। ২০১৭ সালে ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল সর্বশেষ হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections)। ৪৪টি আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস পার্টি ২১টি আসন জিতেছিল। বর্তমানে, হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় বিজেপির ৪৫ জন বিধায়ক রয়েছে, যেখানে কংগ্রেসের ২২ এবং সিপিআইএমের ১জন বিধায়ক রয়েছে।

    অন্যদিকে গুজরাট বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ১৮২ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপির ১১১ জন এবং কংগ্রেসের ৬২ জন বিধায়ক আছেন। গুজরাটে শেষবার বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালের ৯ ও ১৪ ডিসেম্বর। আর ভোট গণনা হয়েছিল ১৮ ডিসেম্বর। ১৮২ টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৯৯টি আসন, কংগ্রেস জিতেছে ৭৭টি, ১টি আসন এনসিপি ও ভারতীয় উপজাতি পার্টি ২ আসনে জয়ী হয়েছিল। এবছরের নির্বাচন (Assembly Elections 2022) নিয়ে আজ ঘোষণা করা হয়নি। তবে অবশ্য গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে বিজেপি-কংগ্রেসের দ্বিপাক্ষিক দ্বন্দ্বে, তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ভাগ বসাতে চলাতে বসেছে অরবিন্দ কেজরিবালের আম আদমি পার্টি।

    সম্প্রতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডে নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে সফর করেছিলেন।

  • Digital Banking Unit: ডিবিইউ-এর মাধ্যমে কী কী সুবিধা পাবেন, জানালেন আরবিআই গভর্নর

    Digital Banking Unit: ডিবিইউ-এর মাধ্যমে কী কী সুবিধা পাবেন, জানালেন আরবিআই গভর্নর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ব্যাংকিং পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে স্থাপন করা হল ডিজিটাল ব্যাংকিং ইউনিট (Digital Banking Unit)। ভারতের ডিজিটাল ব্যবস্থাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পদক্ষেপ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা উদযাপনের অংশ হিসাবে এই ডিবিইউগুলি খোলা হয়েছে। এই ডিজিটাল ব্যাংকিং ইউনিটগুলি দেশের ডিজিটাল পরিকাঠামো আরও জোরদার করবে বলে জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস

    উল্লেখ্য, গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৭৫টি জেলাতে ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাংকিং ইউনিট (Digital Banking Unit)-এর ব্যবস্থা করেছেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করা এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও।

    শক্তিকান্ত দাস জানান, ডিবিইউগুলি (Digital Banking Unit) ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে আরও বেশি সক্রিয় করে তুলবে। এর পাশাপাশি কোনও অসুবিধা ছাড়াই ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুবিধা পাওয়ায় গ্রাহকরা উন্নত পরিষেবা উপভোগ করতে পারবেন। ব্যাংকিং পরিষেবাকে কাগজহীন, দ্রুত ও নিরাপদ করার জন্যই এই পদক্ষেপ। তিনি আরও জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাংকের ব্যাংকিং পরিষেবার জন্যই ডিজিটাল পরিকাঠামোকে আরও বেশি উন্নত করার পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার। তিনি উল্লেখ করেছেন, সরকারের এই পদক্ষেপের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক উভয় থেকেই ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গিয়েছে ও ছ’মাস সময়ের মধ্যে দেশের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপনের জন্য ৭৫টি জেলায় ৭৫ টি ডিবিইউ স্থাপন করে রেকর্ড গড়ে তোলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার অমৃতকালে ৭৫ জেলায় ৭৫ ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের উদ্বোধন মোদির

    এছাড়াও ব্যাংকগুলি তাদের ব্যবসার প্রসারে ডিজিটাল বিজনেস ফেসিলিটেটরস এবং বিজনেস করেসপন্ডেন্ট নিয়োগ করতে পারে বলেও শক্তিকান্ত জানান। এই ডিবিইউগুলিতে (Digital Banking Unit) সঞ্চয়, ঋণ, বিনিয়োগ এবং বিমার পরিষেবা পাওয়া যাবে। এ প্রসঙ্গে আরবিআই গভর্নর বলেন, “ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিবিইউগুলি প্রাথমিক ভাবে ছোট অংকের খুচরো এবং এমএসএমই ঋণের সুবিধা সরাসরি উপভোক্তার কাছে পৌঁছে দেবে। অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া থেকে ঋণের টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া, পুরোটাই ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় হবে।” সেদিন জানানো হয়েছে যে, ২০২২-২৩ কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার সময় ৭৫টি ডিবিইউ তৈরির কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্ডিয়ান ব্যাংকস অ্যাসোসিয়েশন এবং এই ক্ষেত্রের অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর একটি নির্দেশিকা জারি করে আরবিআই।

    এছাড়াও এই ডিবিইউ-এর (Digital Banking Unit) মাধ্যমে গ্রাহকরা সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা, তাদের অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স খুঁজে বের করা, পাসবুক প্রিন্ট করা, টাকা পাঠানো, ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করা ছাড়াও ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড এবং ঋণের জন্য সহজেই আবেদন করতে পারবেন। গ্রাহকদের সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করে তোলার জন্যও এই ইউনিটগুলো কাজ করবে।

  • Rana Ayyub: বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের

    Rana Ayyub: বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ মামলায় এবারে বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের (Rana Ayyub) বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল ইডি (ED)। ইডি সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। পিএমএলএ বা (প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট) এর আওতায় এই চার্জশিটে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে। গাজিয়াবাদের স্পেশ্যাল কোর্টে এই আবেদন করা হয়েছে। তবে তিনি কীভাবে টাকা সাধারণ জনগণের থেকে সংগ্রহ করেছেন, তা জানলে অবাক হবেন আপনি।

    ইডি সূত্রে খবর, অনলাইন ক্রাউড ফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ‘কেট্টো’র হাত ধরে রানা আয়ুব প্রচুর পরিমাণ অর্থ জনসাধারণের থেকে অবৈধ ভাবে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই, চার্জশিট গঠন করা হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, রানা আয়ুব সাহায্যের নাম করে ওই টাকা অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছে, চ্যারিটির নাম করে শুধুমাত্র প্রতারণার জন্যই রানা আয়ুব ওই টাকা নিতে অবৈধ পথ অবলম্বন করেছিলেন। এক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও এফডি সংক্রান্ত নানান বিষয় তুলে ধরে মানুষের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ ইডির। সেই অভিযোগের নিরিখেই রানা আয়ুবের (Rana Ayyub) বিরুদ্ধে ইডির চার্জশিটে উঠে এসেছে নানান তথ্য।  

    আরও পড়ুন:ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বেআইনিভাবে সংগ্রহ করা অর্থ তাঁর অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকত না। জনসাধারণের টাকা প্রথমে রানা আয়ুবের (Rana Ayyub) বাবা ও বোনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যেত, তারপর সেখান থেকে টাকা নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা হত। ইডি দাবি করেছে, রানা তিনটি ক্যাম্পেইন চালিয়ে মোট ২.৬৯ কোটি টাকা জনসাধারণের থেকে পেয়েছেন। এর মধ্যে ৮০.৪৮ লক্ষ টাকা বৈদেশিক মুদ্রায় পেয়েছেন।

    ইডি আরও দাবি করেছে, সংগৃহীত অর্থের ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে তিনি (Rana Ayyub) একটি ফিক্সড ডিপোজিট খুলেছিলেন। আরও ৫০ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন একটি নতুন অ্যাকাউন্টে। আর মাত্র ২৯ লক্ষ টাকা ব্যবহার করেছিলেন সামাজিক কাজে। এর আগে ইডি জানিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এবং পিএমকেয়ার্স তহবিলে রানা আয়ুব ৭৪.৫০ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।

    উল্লেখ্য, এই গোটা মামলা উত্তরপ্রদেশে গত বছর দায়ের হওয়া একটি মামলা ঘিরে শুরু হয়। পরবর্তীকালে ফেব্রুয়ারি মাসে ১.৭৭ কোটি টাকা আয়ুবের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে তারপরেই এই মামলা নজরে এসেছে। এরপরেই অভিযোগ ওঠে যে, ত্রাণ বা চ্যারিটির নাম করে টাকা আত্মসাৎ করতেন রানা। অন্যদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রানা (Rana Ayyub)। তিনি বলেন এই অভিযোগগুলো সব অযৌক্তিক।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর বাড়ির পরিচারক থেকে কাউন্সিলর! তাঁর ব্যাংক থেকেও হত কোটি টাকার লেনদেন! কী বলছে সিবিআই?

    Anubrata Mondal: কেষ্টর বাড়ির পরিচারক থেকে কাউন্সিলর! তাঁর ব্যাংক থেকেও হত কোটি টাকার লেনদেন! কী বলছে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্টর বাড়ির পরিচারকই এখন কাউন্সিলর! এমনকি এই পরিচারকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও হত কোটি কোটি টাকার লেনদেন। এমনটাই দাবি করল সিবিআই। গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে আসছে। ফলে ততই জোরালো হচ্ছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে মামলা। এই মামলায় সিবিআই চার্জশিটে দাবি করেছে যে, কেষ্টর বাড়ির পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেও বিশাল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর যার পরিমাণ দেখে চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দা অফিসারদের।

    তবে কে এই বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২০১১ সালে মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়িতে পরিচারক হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। কিন্তু সেই বিশ্বজ্যোতির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে প্রায় ৪৬ লক্ষ নগদ টাকা। ফলে একজন পাঁচ হাজার টাকা মাইনের পরিচারকের অ্যাকাউন্টে কীভাবে এত টাকা জমা পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। তবে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বজ্যোতি বোলপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। চার্জশিটে সিবিআই আরও দাবি করেছে, এখন বেতন হিসেবে অনুব্রতের পরিবারের থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা পান তিনি। এছাড়া তাঁর আয়ের অন্য কোনও উৎসের প্রমাণ মেলেনি। তবুও তদন্তে উঠে এসেছে, একটি ব্যাংকের বোলপুর শাখায় বিশ্বজ্যোতির নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ৪৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬০৪ টাকা নগদ জমা করা হয়েছে। এছাড়াও পরে জমা করা হয় ৬২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৪৫ টাকা। ফলে সব মিলিয়ে কোটি টাকার মালিক অনুব্রতর বাড়ির কাজের লোক। গোয়েন্দাদের দাবি, ওই অ্যাকাউন্টে যা লেনদেন হয়েছে, সবই অনুব্রত অথবা তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নির্দেশে।

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন শতাব্দী?

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মুনকে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ও বয়ান রেকর্ডও করা হয়েছে৷ তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় মুন জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় লেনদেন হয়েছে ‘মালিকে’র (Anubrata Mondal) নির্দেশে৷ সেখান থেকেই তাঁদের অনুমান, তাঁর নামে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করত অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)৷

    সিবিআই তরফে অভিযাগ উঠেছে যে, গরুপাচারের টাকা একাধিক প্রভাবশালীকে দেওয়া এবং বিভিন্ন ব্যবসায় খাটানোর জন্যই সেভ অডিটর হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়ির পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল ও এর মাধ্যেমেই লেনদেন করা হত। গোয়েন্দারা আরও দাবি করেছেন, শুধুমাত্র বিশ্বজ্যোতি নয়, অনুব্রতর বাড়ির অন্যান্য পরিচারকের নামেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বর্তমানে গরুপাচার-কাণ্ডের বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ঘটনার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা।

  • Adipurush: আরও বিপাকে প্রভাস-কৃতি-সইফ! ‘আদিপুরুষ’ ছবির টিমকে আইনি নোটিশ সংগঠনের

    Adipurush: আরও বিপাকে প্রভাস-কৃতি-সইফ! ‘আদিপুরুষ’ ছবির টিমকে আইনি নোটিশ সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘আদিপুরুষ‘- (Adipurush) এর প্রথম টিজার। কিন্তু টিজার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বিতর্কের ঝড় বয়ে চলেছে। নেটিজেনদের ট্রোলিং এবং কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে ছবির পরিচালক সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও। ছবিতে দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ‘বাহুবলি'(Bahubali) খ্যাত প্রভাস (Prabhas) রামের চরিত্রে,  কৃতি স্যানন সীতার চরিত্রে ও সইফ আলি খান রাবণের চরিত্রে অভিনয় করবেন।

    প্রথমে ছবির (Adipurush) ভিএফএক্স ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। এবার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে ‘আদিপুরুষ’- এর নির্মাতাদের বিরুদ্ধে। ফলে এবারে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক সংগঠন ও সিনেমাটির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে আদিপুরুষ-এর টিমকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। ন্যাশনাল সিনে ওয়াকার্স ইউনিয়ন (The National Cine Workers Union) নামের সংগঠনটি এই নোটিশ পাঠায়।

    আরও পড়ুন: ‘আদিপুরুষ’- এ হিন্দু সংস্কৃতি নিয়ে উপহাস করা হয়েছে, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    প্রসঙ্গত, এর আগেই সিনেমাটি (Adipurush) নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে ধর্মীয় হিন্দু সংগঠনগুলি। হিন্দু সমাজ, হিন্দু সংস্কৃতি, হিন্দু ধর্মকে উপহাস করার অভিযোগ তুলেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদও (Viswa Hindu Parishad)। এবারে সরাসরি আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হল আদিপুরুষ-এর পরিচালক ওম রাউত, প্রযোজক ভূষণ কুমার সহ অভিনেতা প্রভাস, সইফ ও অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নোটিশটি জারি করেছেন আশিষ রাই নামে একজন আইনজীবী। হিন্দু সভ্যতার রামায়ণকে অপমান করা হয়েছে এই ছবিতে বলে সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে।

    এই ছবির (Adipurush) টিজার মু্ক্তির প্রথম থেকেই প্রথমে ভিএফএক্স নিয়ে ট্রোলিং হতে শুরু হয়। এরপরে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগেও এই ছবি ঘিরে শুরু হয় নানা বিতর্ক। অনেকেই রাবণ হিসেবে সইফের দাঁড়িওয়ালা লুক মেনে নিতে পারছেন না। অভিযোগ উঠেছে যে, সইফকে রাবণের বদলে আলাউদ্দিন খিলজি বা বাবর বেশি মনে হচ্ছে। আবার অনেকেই হনুমানের দাঁড়িওয়ালা লুক দেখেও আপত্তি প্রকাশ করেছেন। ফলে অনেকেরই মতে, এমন ধরণের সাজ দিয়ে ছবির নির্মাতা ইসলাম ধর্মকে বেশি করে ফুটিয়ে তুলছে।

    অন্যদিকে এত কিছুর পর শেষে মুখ খুলেছেন ছবির (Adipurush) পরিচালক ওম রাউত। তিনি বলেন, “আমাদের আজকের রাবণ শয়তানের প্রতিরূপ, সে নিষ্ঠুর। যে সীতাকে অপহরণ করেছে, তাকে এখনকার সময়ে একটা চেহারা দেওয়ার কথা ভেবেছি আমরা। এটা শুধু একটা ছবি বা প্রজেক্ট নয়, আমাদের কাছে এটা একটা চ্যালেঞ্জ।” উল্লেখ্য, ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে।

  • SSC Scam: সুবীরেশের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বদল! ফের জেল হেফাজত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের

    SSC Scam: সুবীরেশের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বদল! ফের জেল হেফাজত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আরও এক অভিযোগ উঠে আসল। এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের মার্কশিটের নম্বর বদল করা হয়েছে, সোমবার এই অভিযোগ তোলা হয়েছে সিবিআই-এর তরফে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে ভার্চুয়ালি আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। গতকাল মেয়াদ শেষে আলিপুর আদালতে ভার্চুয়ালি শুনানি হয়। সেখানেই এই অভিযোগ তোলেন সিবিআই-এর আইনজীবী। শুধু তাই নয়, অভিযোগের পাশাপাশি তাঁর হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনও করছিলেন তিনি। অন্যদিকে সুবীরেশের জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল আদালতে। কিন্তু তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করা হয় ও তাঁকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুরের আদালতের বিচারক।

    আদালত সূত্রে খবর, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায়ের তরফে সুবীরেশের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। মূলত তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথাকেই তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী। বলা হয়, সুবীরেশের ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, সুবীরেশ জেলের খাবার খেতে পারছেন না- এ সব দিক বিচার করে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। একইসঙ্গে তাঁর আইনজীবী বলেন, জেলের খাবার খেতে না পারায় তাঁকে ডায়েট চার্ট মেনে খাবার দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    অন্যদিকে, সিবিআই-এর আইনজীবী এই শুনানি চলাকালীন অভিযোগ করেন যে, এসএসসি পরীক্ষায় চাকরীপ্রার্থীদের মার্কশিটের নম্বর তাঁর নির্দেশেই পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে এই ঘটনার পেছনে তিনিই মূল ষড়যন্ত্রকারী। বিভিন্ন ‘ডকুমেন্ট’ পরীক্ষা করাও বাকি আছে। তাই এই পর্যায়ে জামিন সম্ভব না বলে জানিয়েছেন সিবিআই।

    এছাড়াও সিবিআইয়ের আইনজীবী সাফ দাবি করেছেন, এই এসএসসি কেলেঙ্কারির ব্যাপারে পুরোপুরি জানতেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাঁর কথাতেই সবকিছু করা হত। ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী সুবীরেশের জামিনের বিরোধিতা করে সুবীরেশের জেল হেফাজত বাড়ানোর আবেদন করেছেন। কারণ তাঁদের মতে, সুবীরেশ বৃহত্তর ষড়যন্ত্রকারী। তিনি প্রভাবশালী। জামিনের আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতে পাঠানো হোক তাঁকে। বিভিন্ন তথ্য যাচাই করা বাকি আছে। তাই এই পর্যায়ে জামিন সম্ভব না। এরপর দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখেন বিচারক ও সিদ্ধান্ত নেন যে, এখনই জামিন দেওয়া হবে না এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে। তাই আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের বিচারক আমান সিংহাল।

    প্রসঙ্গত, গত ১৯ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subirtesh Bhattacharya)। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮-র মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

  • Manik Bhattacharya: শিক্ষক বদলিতে রয়েছে মানিকের হাত, সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য পেশ, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Manik Bhattacharya: শিক্ষক বদলিতে রয়েছে মানিকের হাত, সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য পেশ, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসল। ইডির দাবি, শিক্ষক বদলিতেও রয়েছে মানিকের হাত। টাকার বিনিময়ে পছন্দের স্কুলে শিক্ষক বদলি হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের হাত ধরেই। এর পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে যে, নিজের সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য, এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি।

    নিজের সম্পত্তি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য এবার পেশ করল ইডি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তা সম্পূর্ণ ভুল। অর্থাৎ নদিয়ার পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে যখন তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন তখন তিনি কমিশনকে যে সম্পত্তি সংক্রান্ত যে তথ্য দিয়েছিলেন তা ভুল বলে মনে করে ইডি। এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সামনে এই তথ্য এসেছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্য তাঁর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি- সব মিলিয়ে সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি টাকার কিছু বেশি ছিল বলে জানিয়েছিলেন হলফনামায়। কিন্তু একটি সংবাদ সংস্থাকে ইডির এক আধিকারিক বলেন, “তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই পরিস্কার হচ্ছে যে মানিক ভট্টাচার্য তাঁর হলফনামায় সম্পত্তির পরিমাণ কমিয়ে দেখিয়েছেন। তাঁর সম্পত্তি অনেক বেশি।”

    অন্যদিকে আরও জানা গিয়েছে, মানিকের (Manik Bhattacharya)বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির নথি থেকেই মিলেছে শিক্ষক বদলির সুপারিশ, যা মানিক ভট্টাচার্যের নামে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। আর এই শিক্ষক বদলিতে মাথাপিছু আর্থিক লেনদেন হয়েছে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই সেই টাকা এখন কোথায়? তারই তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে মমতার নাম ইডির নথিতে, সব জানতেন মুখ্যমন্ত্রী

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকার বদলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। এছাড়াও কয়েকদিন আগেই তাঁর ছেলের সংস্থার সঙ্গেও মানিকের যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, মানিক পুত্র শৌভিকের কনসালটেন্সি কোম্পানি হলেও এটি পশ্চিমবঙ্গের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডি.এল.ইডি (D. El. Ed) কলেজ থেকে পরামর্শ দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে এই সংস্থা। ফলে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস তথা ৭ মাসের মধ্যে ওই সংস্থা এইভাবে মোট তুলেছে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা। এই টাকার কথাও তিনি তাঁর সম্পত্তির পরিমাণে উল্লেখ করেননি। এছাড়াও তদন্ত করতে গিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য সামনে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ ও টেক্সট মেসেজে। এবং এই অভিযোগগুলির পাশাপাশি এবার যুক্ত হল টাকার বিনিময়ে শিক্ষক বদলির অভিযোগও।

    ইডি সূত্রে খবর, যে সমস্ত নথি সামনে এসেছে তাতে বদলি সংক্রান্ত সুপারিশ মিলেছে। এগুলোতে কয়েকজন শিক্ষকের নাম পাওয়া গিয়েছে, যারা পছন্দের স্কুলে বা বাড়ির কাছে স্কুলে বদলির জন্য আবেদন করেছে ও তাদের জন্য সুপারিশ এসেছে মানিকের (Manik Bhattacharya) কাছে। এই শিক্ষকদের পছন্দ মত স্কুলে ট্রান্সফার করানোর জন্য মাথাপিছু নিত ৬-৭ লক্ষ টাকাও। তবে কে এই সুপারিশ করত, কে নির্দেশ দিত, তা নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে ইডি।

  • Indian Army Dog: লড়েছিল বীরের মত, অবশেষে মৃত্যু হল ভারতীয় সেনবাহিনীর কুকুর ‘জুম’-এর

    Indian Army Dog: লড়েছিল বীরের মত, অবশেষে মৃত্যু হল ভারতীয় সেনবাহিনীর কুকুর ‘জুম’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ রক্ষা আর হল না। দুদিনের লড়াই শেষ। লড়েছিল বীর সৈনিকের মত। গুলিবিদ্ধ হয়েও নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে যে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করে চলছিল, আজ তারই মৃত্যু হল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গি (terrorist) দমনে অংশ নিয়ে গুলিতে (bullet) গুরুতর জখম হয়েছিল সেনাবাহিনীর কুকুর ‘জুম’ ( Army Dog Zoom)। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার মৃত্যু হল জুমের (Indian Army Dog)।

    সেনা আধিকারিকদের মতে, জুম প্রায় বেলা ১১.৪৫ মিনিট অবধি চিকিৎসায় ভাল সাড়া দিচ্ছিল। কিন্তু আচমকা হাঁপাতে শুরু করে সে। তখনই প্রাণ হারায় সে। বেলা ১২টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়৷ শ্রীনগরের আর্মি ভেটেরিনারি হাসপাতালে একটি মেডিকেল টিমের কড়া পর্যবেক্ষণে ছিল জুম (Indian Army Dog)।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে আহত হয়েও যোদ্ধার মত লড়াই করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুকুর ‘জুম’

    প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) অনন্তনাগে সোমবার ভোরে সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে যায় ‘জুম’ (Indian Army Dog)। তারই সহায়তায় এনকাউন্টারে লস্কর -ই – তৈবার দুই সন্ত্রাসবাদীকে খতম করতে সক্ষম হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু সংঘর্ষে জঙ্গিদের ছোঁড়া দু’টি গুলি এসে লাগে তার গায়ে। তারপরেও জঙ্গিদের কামড়ে ধরে লড়াই চালিয়ে যায় সে। এরপর পশু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হাসপাতালেই মৃত্যু হল ‘জুম’-এর।

    আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনার কর্পসের তরফে ট্যুইট করে তাঁর (Indian Army Dog) মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে এদিন জুম-এর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে।

LinkedIn
Share