Author: নিমাই দে

  • UIDAI: আপনার কি দশ বছর পুরনো আধার কার্ড? আজই আপডেট করুন, নয়তো পাবেন না এই সুবিধাগুলো

    UIDAI: আপনার কি দশ বছর পুরনো আধার কার্ড? আজই আপডেট করুন, নয়তো পাবেন না এই সুবিধাগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনার কি দশ বছর পুরনো আধার? তবে আজই আধারের তথ্যকে আপডেট করে নিন। নয়তো পরে হতে পারে সমস্যা। UIDAI -এর তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, যে সব ব্যক্তির আধার নম্বর ১০ বছর পুরনো অথবা তারও আগে ইস্যু করেছে তাঁদের সেই নথি আপডেট করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। UIDAI জানিয়েছে, My Aadhaar পোর্টাল থেকে এই কাজ করা যাবে। অথবা নিকটবর্তী আধার সেন্টারে গিয়েও নথি আপডেট করতে পারবেন।

    তবে কেন আধার আপডেট প্রয়োজন?

    আধার নম্বর দিয়ে ব্যক্তির পরিচয়ের প্রমাণ ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে ব্যবহার করা হয়। তাই UIDAI থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের বিভিন্ন সুবিধা ও প্রকল্পের সুবিধা পেতে আধারের তথ্য আপডেটেড রাখতে হবে যাতে আধারের প্রমাণ ও যাচাইয়ের সময় কোনও অসুবিধা না হয়। চলতি বছর অগাস্টে UIDAI ঘোষণা করেছিল আধার নম্বর না থাকলে অথবা এনরোলমেন্ট স্লিপ না থাকলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন নাগরিকরা। তাই আপডেটেড আধার প্রয়োজন। তবে UIDAI থেকে জানানো হয়নি যে, এই আপডেট করা বাধ্যতামূলক কিনা।

    কীভাবে অনলাইনে আপডেট করবেন?

    প্রথমে UIDAI -এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লগ ইন করুন। ওয়েবসাইটে হোমপেজে My Aadhaar অপশন সিলেক্ট করুন। এবার Update Your Aadhaar বিভাগে Update Address in Your Aadhaar অপশনে ক্লিক করুন। এবার একটি লগ ইন পেজ খুলে যাবে, এখানে নিজের আধার নম্বর দিয়ে ক্যাপচা ভেরিফাই করুন। আধারের সঙ্গে লিংক থাকা মোবাইল নম্বরে একটি OTP আসবে। UIDAI ওয়েবসাইটে এই OTP দিয়ে দিন। এখানে Aadhaar data filed(s) to update এর অধীনে Address সিলেক্ট করুন। Update Aadhaar অপশন সিলেক্ট করুন। এখানে নতুন ঠিকানার প্রমাণপত্র আপলোড করে Proceed to update Aadhaar সিলেক্ট করুন। যে কোন বদলের প্রিভিউ এখানে দেখতে পাবেন। স্থানীয় ভাষার সঙ্গেই ইংরাজিতে সব তথ্য টাইপ করে Submit সিলেক্ট করুন। এই কাজ শেষ হওয়ার পরে পেমেন্ট পোর্টালে পৌঁছে যাবেন। ৫০ টাকা দিতে হবে। UPI, নেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যাবে। পেমেন্ট সফল হবে আপনার কাছে আপডেটেড রিকুয়েস্ট নম্বর (URN) আসবে। পরে আপডেটের স্ট্যাটাস দেখার জন্য URN ব্যবহার করা যাবে। পেমেন্টের অ্যাকনলেজমেন্টের কপি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে রাখতে পারেন।

  • Primary TET: টেট নিয়োগ ঘিরে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, আইনি জটিলতায় থেমে যাবে না তো প্রক্রিয়া?

    Primary TET: টেট নিয়োগ ঘিরে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, আইনি জটিলতায় থেমে যাবে না তো প্রক্রিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:প্রাথমিক নিয়োগের (Primary TET) বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। গত মাসের ২৯ তারিখ এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। আর সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। একাধিক চাকরিপ্রার্থী এই মামলা করেছে বলে জানা যাচ্ছে। মামলাকারীদের দাবি, বিজ্ঞপ্তির যে অংশে উল্লেখ রয়েছে যে,  প্রশিক্ষণরতরা টেট দিতে পারবে, তা খারিজ করতে হবে।

    এর আগেই বৃহস্পতিবার বিএড ডিগ্রিধারীদের টেট-এ (Primary TET) বসতে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। ফলে পর্ষদের নানা সিদ্ধান্ত বা বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে একের পর এক মামলা দায়ের করায় ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঠিকভাবে হবে তো? বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরে গতকাল যে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষকের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ডিএলএড-এর পাশাপাশি বিএড যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। আর এই নিয়েই আপত্তি তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েক জন টেট পরীক্ষার্থীরা।

    আরও পড়ুন: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    আর আজ যেকারণে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা হল প্রশিক্ষণরতরা কেন টেটে বসার সুযোগ পাবেন, এই দাবি নিয়েই নতুন মামলা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Primary TET) অংশগ্রহণ করতে পারবেন ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ডিএলএড বা ডিএড এবং বিএড-এর পার্ট- ১ পরীক্ষা যারা দিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তির এই অংশকেই চ্যালেঞ্জ করেই নতুন মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, যেখানে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী রয়েছে, সেখানে কেন প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হবে?

    আগামী সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে। ফলে মামলা (Primary TET) কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই নজর সবার। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে একের পর এক মামলাতে জটিলতা আরও বেশি বাড়ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এমনকি ফের আটকে যাবে না তো নিয়োগ? তা নিয়েও আশঙ্কা ঘনিয়ে আসছে।  

  • Manik Bhattacharya: ৫৩০টি বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে প্রতিমাসে ‘হফতা’ যেত মানিক-পুত্রের কাছে! আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    Manik Bhattacharya: ৫৩০টি বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে প্রতিমাসে ‘হফতা’ যেত মানিক-পুত্রের কাছে! আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) সোমবার রাতেই ইডির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এরপরে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকাল ব্যাংকশাল আদালতে হাজির করানোর সময় সেখানেই তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার হদিস পাওয়ার তথ্য আদালতে জানায় ইডি।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মানিক (Manik Bhattacharya)পু্ত্র শৌভিকের রয়েছে একটি কোম্পানি, আর সেই কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই এই টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মানিকের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের (Souvik Bhattacharya) নামে একটি প্রোপ্রাইটরশিপ তথা ব্যক্তি মালিকানার কোম্পানি ছিল। তার নাম ছিল অ্যাকুয়ার কনসালটেন্সি (Acuere Consultancy)। নামে বোঝা যাচ্ছে এই সংস্থা ম্যানেজমেন্ট ও কনসালটেন্সি পরিষেবা দিত কিন্তু আদতে কি তাই ছিল?

    ইডির দাবি, এটি একটি কনসালটেন্সি কোম্পানি হলেও পশ্চিমবঙ্গের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডি.এল.ইডি (D. El. Ed) কলেজ থেকে পরামর্শ দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা করে নিত এই সংস্থা। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস তথা ৭ মাসের মধ্যে ওই সংস্থা এইভাবে মোট তুলেছে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা।

    আরও পড়ুন: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    প্রাইমারি চাকরিতে উত্তীর্ণ হতে প্রয়োজন প্রার্থীর প্রশিক্ষণ। ফলে পশ্চিমবঙ্গের এই বেসরকারি কলেজগুলোর সঙ্গে মানিকের (Manik Bhattacharya) সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। এছাড়াও তারা অনুমান করেছে যে, হয়তো এইসব কলেজ থেকেই এক দুজন প্রার্থীকে টাকার পরিবর্তে চাকরিও দেওয়া হয়েছে। ফলে মানিকের ছেলের এই কোম্পানির সঙ্গে মানিকের সম্পর্ক ও টাকার এই লেনদেনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ইডি।

    তবে এখানেই থেমে নয়, গতকাল আদালতে আরও অনেক তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, তল্লাশিতে একটি সিডি পাওয়া গিয়েছে, যাতে দুটি ফোল্ডার আছে। মানিকের (Manik Bhattacharya) কম্পিউটারের ২টি ফোল্ডারে ৬১ জনের নাম পাওয়া গেছে। ৬১ জনের মধ্যে ৫৫ জনের থেকে চাকরির জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা ঘুষ দিয়েছে, তাঁরাই চাকরি পেয়েছে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে ইডির তরফে।

    এও দাবি করা হয়েছে যে, মানিক ভট্টাচার্যর বাড়ি থেকে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। যে চিঠি মানিক ভট্টাচার্য ও মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল। মাথাপিছু ৭ লক্ষ টাকা করে নিয়ে ৪৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, এমনও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। তাই ইডি সূত্রে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, প্রাইমারিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: মোমিনপুর নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ হাইকোর্টের, দেওয়া হল মামলা দায়ের করার অনুমতি

    Calcutta High Court: মোমিনপুর নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ হাইকোর্টের, দেওয়া হল মামলা দায়ের করার অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে মোমিনপুর-একবালপুরের ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন থেকে একবালপুর ও মোমিনপুর জুড়ে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী সু্স্মিতা দত্ত। আবার এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবারই এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আদালতে শুনানির আর্জি জানানো হয়। যদিও এদিনই শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তবে বুধবার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর। এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে বারবার। কলকাতা পুলিশ এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে গতকাল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় সেনা মোতায়েনের দাবি করেছিলেন। আর তারপরেই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার (Calcutta High Court) খবর শোনা যায়। এরপর আজ আবার এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    একবালপুর-মোমিনপুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পর থেকেই রাজ্য বিজেপি ট্যুইটারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন ও এর পাশাপাশি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গতকাল উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার আগে চিংড়িহাটায় তাঁকে আটকও করা হয়। সন্ধ্যার পর লালবাজার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় সুকান্তকে। ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

    অন্যদিকে জানা গিয়েছে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে একবালপুর থানা এলাকায় তিনদিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এলাকায় আর যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি না হয় তাই বাড়তি বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে এলাকায়। এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুলিশ৷ শেষমেশ জারি হল ১৪৪ ধারা। তবে ঘটনার এতদিন পর এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরে কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে প্রশাসন সহ পুলিশকে। এলাকার মানুষ থানায় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কেন পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, এই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এতকিছুর পরে একবালপুর-মোমিনপুরের কাণ্ড শেষ পর্যন্ত গড়াল আদালত (Calcutta High Court) পর্যন্ত।

  • Body Toxin: শরীরকে টক্সিন মুক্ত রাখার কিছু সহজ উপায় জেনে নিন

    Body Toxin: শরীরকে টক্সিন মুক্ত রাখার কিছু সহজ উপায় জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়েটিশিয়ানরা সবসময় শরীর ডিটক্স করার কথা বলে থাকেন। তবে কী এই ডিটক্স? অনেকেরই এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই। টক্সিন ( Body Toxin) ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ, যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। প্রতিদিনই পরিবেশ, খাবার থেকে কিছু বিষাক্ত পদার্থ আমাদের শরীরে পৌঁছয়, আর এগুলোই টক্সিন। সুস্থ থাকার জন্য এইসব টক্সিন শরীর থেকে দূর করা খুবই প্রয়োজন। অর্থাৎ, শরীরকে ডিটক্স (Detox) করা প্রয়োজন। তা না হলে শরীরে ঘটতে পারে রোগ জীবাণুর সংক্রমণ। আর এর ফলে শারীরিক অসুস্থতা বড় আকারে দেখা দিতে পারে। তাই সহজ উপায়ে শরীর থেকে টক্সিন বের করার উপায় জেনে নিন।

    পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া

    জল শরীরের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। জলই শরীরের ভেতরটা ধুয়ে পরিস্কার করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কিডনির জন্য পরিমিত পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে অর্থাৎ শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে খান জল।

    পুষ্টিকর খাবার খান

    আপনি যাই খান না কেন, তার প্রভাব শরীর, বিশেষ করে লিভারের ওপর পড়ে। তাই ডায়েটে সবসময় পুষ্টিকর খাবারই রাখা উচিত, নয়তো অন্যান্য খাবারের মাধ্যমে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ প্রবেশ করে। আর এর ফলে শরীরে রোগ সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পায়।

    আরও পড়ুন: হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণের উপযুক্ত খাদ্য

    ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

    অতিরিক্ত চর্বি লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। ওজন বৃদ্ধির ফলেও শরীরে নানারকমের ব্যাধি দেখা যায়। ফলে অপুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ও এর ফলে শরীরে টক্সিনও প্রবেশ করার সম্ভাবনা কম।

    পর্যাপ্ত ঘুম

    বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে কমপক্ষে ৭ ঘন্টা ঘুম স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। আর ঘুম শরীরকে সু্স্থ রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের সঙ্গে পরোক্ষভাবে লিভারের স্বাস্থ্যও জুড়ে রয়েছে। তাই লিভার ভালো থাকলে বোঝা যাবে যে, শরীরও টক্সিন মুক্ত।

    পর্যাপ্ত ব্যায়াম করা

    নিয়মিত ব্যায়াম করাও স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। আর এর ফলেও দেহকে টক্সিন মুক্ত রাখা যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Mominpur: ৪ ঘণ্টা পর মুক্তি পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, লালবাজার থেকে সরাসরি গেলেন সিএমআরআই-এ

    Mominpur: ৪ ঘণ্টা পর মুক্তি পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, লালবাজার থেকে সরাসরি গেলেন সিএমআরআই-এ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুরের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু চিংড়িঘাটার কাছে আটক করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল লালবাজারে। তারপর সন্ধ্যাবেলায় ছাড়া পেলেন তিনি। এরপরেই তিনি সরাসরি চলে যান সিএমআরআই-এ। সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন কয়েকজন। আর তাঁদের দেখতেই পৌঁছে যান সুকান্ত মজুমদার। চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য লালবাজার থেকে সরাসরি যান হাসপাতালে। অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারের আগেই হাসপাতালে পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    আরও পড়ুন: মোমিনপুর যাওয়ার পথে চিংড়িঘাটায় গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার, নিয়ে আসা হল লালবাজার

    এদিন সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোমিনপুরের ঘটনা নিয়ে তোপ দাগেন। এমনকি মমতার পদত্যাগের দাবি তুলে সরব হন তিনি। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। রাজ্য পুলিশকে ‘অপদার্থ’ বলে আখ্যা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এরাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়?” তিনি রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, গত ২ দিন ধরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে মাত্র ৩ কিমি দূরে খিদিরপুর সংলগ্ন এলাকায় দুষ্কৃতি দ্বারা তাণ্ডব চলেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সাধারণ মানুষ। ফলে এরাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়? মহিলাদের সুরক্ষা কোথায়? ফলে প্রথম থেকেই রাজ্যের বিরোধী দল মোমিনপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ও এই পরিস্থিতির জন্য শাসক দলকেই কটাক্ষ করেছেন।

    অন্যদিকে আজ সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে শহরের পাশাপাশি জেলায় জেলায় বিক্ষোভে নামেন বিজেপির কর্মীরা। মুরলীধর সেন লেন, এমজি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভে রাস্তায় নামেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। গ্রেফতারির প্রতিবাদ ও রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগে মুরলীধর সেন লেন থেকে বিজেপির মিছিল বের হয়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন কাউন্সিলর সজল ঘোষও। এদিকে মোমিনপুরের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন রাজভবনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্যরা। সেখান থেকে ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হন তাঁরা। এরপর লালবাজারে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে উত্তপ্ত মোমিনপুর। আজ সেখানেই যাচ্ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। যাওয়ার পথেই আটক করা হয়েছিল তাঁকে ও লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও পরে তাঁকে সন্ধ্যাবেলায় ছেঁড়ে দেওয়া হয়। আবার মোমিনপুরের ঘটনার পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে, এর ফলে রাজ্যপাল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Mominpur Ekbalpur: মোমিনপুর-একবালপুর কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

    Mominpur Ekbalpur: মোমিনপুর-একবালপুর কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর ও একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ সংক্রান্ত মামলায় (Ekbalpur Mominpur Case) বেলা ২টোর মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দল। এবারে বুধবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতিও। এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনায় এনআইএ-কে (NIA) কেন জানানো হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

    মোমিনপুর-একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) ঘটনার জেরে গতকাল আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। এর পাশাপাশি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়। ফলে এইসব মামলার শুনানি হয় আজ। তখনই মোমিনপুর সংঘর্ষ সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। প্রথমেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এদিন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে কটাক্ষ করে বলেন, এলাকা থেকে যে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, রাজ্য পুলিশ সে ব্যাপারে কী তদন্ত করেছে বা অন্যান্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা জানাতে হবে আদালতকে। এর পাশাপাশি প্রশ্ন করা হয়েছে, বোমাবাজি হওয়া সত্ত্বেও কেন এখনও পর্যন্ত এনআইএ-র ধারায় মামলা রুজু করা হয়নি? ফলে এইসব প্রশ্ন করে পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের থেকে জবাব চায় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আজ বেলা ২টোর সময়।

    এই ঘটনার জল (Mominpur Ekbalpur) আদালত পর্যন্ত গড়ালে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। এই রিপোর্টে জানাতে হবে, জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী চিন্তাভাবনা করেছে রাজ্য এবং সেই এলাকার শান্তি, সম্প্রীতি ফেরাতে কী করা হচ্ছে? এখানেই শেষ নয়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে তলবেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত। নির্দেশ না মানলে ডাকা হতে পারে তাঁকেও, এমনই তথ্য জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    প্রসঙ্গত, মোমিনপুর-একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) ঘটনায় জোড়া মামলা দায়ের করা হয়। এক হলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দও ও অপরজন নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালতে আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত বলেন, “৮ তারিখ থেকে ঝামেলা শুরু হয়েছে। বস্তিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ঘটনার দিন গিয়েছিলাম আক্রান্ত এলাকায়। ময়ুরভঞ্জ এলাকায় যে বস্তি রয়েছে, সেখানে কোনও পুলিশের নিরাপত্তা ছিল না। শুধুমাত্র কয়েকজন লাঠি হাতে পুলিশ সেখানে ছিলেন।” অপর পিটিশনার নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, “কার্নিভালের জন্য রেড রোডে বিরাট আয়োজন করা হল কার্নিভালের। তারই পাশে এই পরিস্থিতি, তবুও পুলিশ কিছু করতে পারল না?”

    এছাড়াও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনায় এপর্যন্ত ৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আরও ৩৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নোটিস পাঠিয়ে ৪১ জনকে সতর্ক করা হয়েছে। অশান্তির ছবি ছড়ানোর জন্য ৮০টি ভিন্ন ভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারাও। ফলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে বলে দাবি করেছে প্রশাসন।

  • India Australia: টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু ভারতের, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী রোহিতরা

    India Australia: টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু ভারতের, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী রোহিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) প্রস্তুতি শুরু করতে ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া। আজ, সোমবার রোহিত শর্মার দলের প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া একাদশ টিম। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে রোহিত শর্মারা করলেন ৬ উইকেটে ১৫৮ রান। প্রথম প্র্যাকটিস ম্যাচেই ১৩ রানে জয়ী হলেন রোহিতরা। বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুলকে ছাড়াই প্র্যাকটিস ম্যাচে নামলেন ভারতীয় ক্রিকেট টিম (Indian Cricket Team)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অনেকগুলোই ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলবে ভারত। ফলে ভারতীয় ক্রিকেট টিম বেশ জোরকদমেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। আজকেরটি প্র্যাকটিস ম্যাচের প্রথম ছিল।

    আরও পড়ুন: বুমরাহকে নিয়ে আশার আলো দেখালেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

    আজকের ম্যাচটি পারথের ওয়াকা গ্রাউন্ডে ভারতীয় সময় অনুসারে, বেলা ১১টায় শুরু হয়েছিল। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু ওপেন করতে নেমে ব্যর্থ হলেন তিনি। রান পেলেন না। ৩ রান করে আউট হয়ে যান রোহিত। তিন নম্বরে নেমে দীপক হুডা করেন ২২ রান। তবে ভারতীয় দলের হয়ে ভাল ব্যাটিং করলেন সূর্যকুমার যাদব এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া। টি-২০ ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার সূর্যকুমার করলেন ৩৫ বলে ৫২ রান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে তিনটি করে চার এবং ছয়। দুর্দান্ত ফর্মে দেখা গেল হার্দিককেও। ২০ বলে ২৯ রান করলেন তিনি। এরপর তিনি আউট হয়ে যান। ১৪তম ওভারে একশো রান পূর্ণ হয় ভারতের। ১৫ ওভারের শেষে ভারতের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১০৮। সেখান থেকে ২০ ওভারে রোহিত শর্মার দল পৌঁছে যায় ১৫৮ রানে।

    ২৩ অক্টোবর বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ভারতকে আরও প্র্যাকটিস ম্যাচ ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলতে দেখা যাবে। ১৩ অক্টোবর ফের ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া একাদশ টিমের সঙ্গে প্র্যাকটিস ম্যাচ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেই ম্যাচে রাহুল ও বিরাটকে খেলতে দেখা যাবে। এরপর ১৭ ও ১৯ অক্টোবর ভারত ওয়ার্ম-আপ বা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ১৭ অক্টোবরের ম্যাচটি শুরু হবে ভারতীয় সময়ে সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ ও ১৯ অক্টোবরের ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১টা ৩০মিনিটে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hemkund Sahib: তুষারপাতের পর বরফের চাদরে ঢাকা হেমকুন্ড সাহিব ও কেদারনাথ, সৌন্দর্যে মুগ্ধ নেটিজেন

    Hemkund Sahib: তুষারপাতের পর বরফের চাদরে ঢাকা হেমকুন্ড সাহিব ও কেদারনাথ, সৌন্দর্যে মুগ্ধ নেটিজেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন তীর্থস্থানগুলোতে একসঙ্গে তুষারপাত শুরু হয়েছে। সাদা বরফে ঢেকে রয়েছে বিখ্যাত তীর্থস্থানগুলো। আর সাদা বরফের চাদরে ঢাকা মন্দিরগুলোর সৌন্দর্য দেখে নেটিজেনরা মুগ্ধ। গাড়ওয়াল হিমালয়ের হেমকুন্ড সাহিব-এর (Hemkund Sahib) দৃশ্য যেমন সবাইকে মুগ্ধ করেছে, তেমনি অন্য জায়গায় তীর্থযাত্রীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কেদারনাথ, উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে তুষারপাত হওয়ায় বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে। তুষারপাতের ফলে কোথায় কেমন পরিস্থিতি, জেনে নিন।

    হেমকুন্ড সাহিব

    উত্তর ভারতের হিমালয় পর্বতশৃঙ্গে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত হেমকুন্ড সাহিব (Hemkund Sahib)। এটি শিখদের তীর্থস্থান। প্রতি গ্রীষ্মে, সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার ভক্ত সেখানে ভ্রমণ করে। গতকালই নতুন করে তুষারপাতের ফলে, পবিত্র স্থানটির তীর্থযাত্রা বন্ধ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে, তুষার আবরণে আবৃত মন্দিরের একটি অপূর্ব দৃশ্য৷ ২২ মে এর দরজা খোলার পর থেকে প্রায় দুই লক্ষ ভক্ত পরিদর্শন করতে এসেছিলেন। গুরুদ্বারটি একটি হ্রদের পাশে অবস্থিত এবং বলা হয় ১০তম শিখ গুরু, গোবিন্দ সিং সেখানে ধ্যান করেছিলেন। এখানে ২ ফুটেরও বেশি তুষারপাত হওয়ায় হিমালয় অঞ্চলের উপত্যকা গ্রামে তীব্র শীত পড়েছে৷

    কেদারনাথ

    রুদ্রপ্রয়াগ এবং আশেপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় রবিবার কেদারনাথের শিখরে নতুন করে তুষারপাত হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার থেকে কেদারনাথ ধামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) কেদারনাথে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা সহ মেঘলা আকাশের পূর্বাভাস দিয়েছে। রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে এলাকায় আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের পাশাপাশি, আগামী দিনে পারদের মাত্রা আরও কমতে পারে বলে আশা করা হয়েছে। কিন্তু তাপমাত্রা কমলেও কেদারনাথ যাত্রায় মন্দিরের বাইরে ভক্তদের ভিড় বিন্দুমাত্র কমেনি। তাঁরা সব বাধা পেরিয়েই তাঁদের যাত্রা সম্পূর্ণ করছেন।

    আরও পড়ুন: দ্রৌপদী কা ডান্ডা পর্বতে তুষারপাতের বিভীষিকা

    পিথোরাগড়

    কেদারনাথ ও হেমকুন্ড সাহিব-এর (Hemkund Sahib) পাশাপাশি ভারী তুষারপাত হয়েছে পিথোরাগড়েও। এছাড়া পিথোরাগড়ের ধারচুলা শহরের বেশ কয়েকটি এলাকাতেও ভারী তুষারপাত হয়েছে। এর ফলে রবিবার নেপাল সীমান্তের কাছে প্রধান রাস্তাগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, সেখানে ২ ফুটের মত বরফ পড়েছিল। সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) কর্মকর্তারা বলেছেন যে, ক্রমাগত তুষারপাতের পরে কিছু রাস্তা অবরুদ্ধ করা হয়েছে যার কারণে স্থানীয়রা এবং নিরাপত্তা কর্মীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা জানান, মাল্লা ঘাটের কাছে লিপুলেখ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পিথোরাগড় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিস চৌহান বলেছেন, তারা ক্রমাগত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

    প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যের উচ্চতর অঞ্চলে মাঝে মাঝে তুষারপাত হচ্ছে। ১৭,৫০০ ফুট উচ্চতায় দারমা উপত্যকায়, চীন সীমান্তের কাছে শেষ ফাঁড়ি-তে চার ফুটেরও বেশি তুষারপাত হয়েছে। এই চরম পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা কর্মীদের এলাকায় বিশেষ নজর রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

  • Guhyakalika Temple: বীরভূমের নলহাটিতে পূজিতা হন দেবী গুহ্যকালী, জানুন ভীষণ দর্শনা এই দেবী সম্পর্কে

    Guhyakalika Temple: বীরভূমের নলহাটিতে পূজিতা হন দেবী গুহ্যকালী, জানুন ভীষণ দর্শনা এই দেবী সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তন্ত্র সাধনার পীঠস্থান হলো বীরভূম জেলা। এই জেলার তারাপীঠ, ফুল্লরা তলা সমেত সর্বত্র মাতৃসাধনার রীতি রয়েছে। এমনই এক মাতৃ আরাধনা সম্পন্ন হয় নলহাটি শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আকালীপুরে। ভীষণ দর্শনা এই দেবী গুহ্য কালিকা ( গোপন কালী) নামে পরিচিত। আকালীপুরের মন্দিরে (Guhyakalika Temple) গুহ্য কালী হলেন অধিষ্ঠাত্রী দেবী। যে মন্দির ৩০০ বছরের অধিক প্রাচীন বলেই মনে করা হয়। মহারাজা নন্দকুমার এই মন্দির স্থাপন করেছিলেন বলেই জানা যায়। গুহ্যকালী, দেবী কালীর একটি বিশেষ রূপ। দেবীভাগবত পুরাণ মতে, তিনি দেবী শতাক্ষীর শরীর থেকে উৎপন্না অন্যতমা মহাশক্তি। কোনও কোনও সাধক বা তান্ত্রিক এই রূপে কালীর আরাধনা করে থাকেন, তবে গৃহস্থের নিকট এই রূপ “অপ্রকাশ্য”। গুহ্যকালী দ্বিভুজা, সর্পভূষিতা ও খড়্গহস্তা। তাকে সূর্যকালী নামেও অভিহিত করা হয়। যে কোন কালী মূর্তির সাথে আমরা শায়িত অবস্থায় দেবাদিদেব মহাদেব কে দেখতে পাই‌। কিন্তু গুহ্য কালীর মূর্তির সাথে শিব শায়িত অবস্থায় থাকে না‌।

    দেবী গুহ্যকালীর ধ্যানমন্ত্র অনুযায়ী দেবীর গাত্রবর্ণ গাঢ় মেঘের ন্যায়; তিনি লোলজিহ্বা ও দ্বিভুজা; গলায় পঞ্চাশটি নরমুণ্ডের মালা; কটিতে ক্ষুদ্র কৃষ্ণবস্ত্র; স্কন্ধে নাগযজ্ঞোপবীত; মস্তকে জটা ও অর্ধচন্দ্র; কর্ণে শবদেহরূপী অলংকার; হাস্যযুক্তা, চতুর্দিকে নাগফণা দ্বারা বেষ্টিতা ও নাগাসনে উপবিষ্টা; বামকঙ্কণে তক্ষক সর্পরাজ ও দক্ষিণকঙ্কণে অনন্ত নাগরাজ; বামে বৎসরূপী শিব; তিনি নবরত্নভূষিতা; নারদাদিঋষিগণ শিবমোহিনী গুহ্যকালীর সেবা করেন; তিনি অট্টহাস্যকারিণী, মহাভীমা ও সাধকের অভিষ্ট ফলপ্রদায়িনী। গুহ্যকালী নিয়মিত শবমাংস ভক্ষণে অভ্যস্তা। প্রতিবছর কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন গুহ্য কালীর পুজোকে কেন্দ্র করে উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হয় আকালীপুরে। সাধারণত  কালীপুজো রাত্রিতে হলেও গুহ্য কালী পুজো রাত্রে হয় না। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে গুহ্য কালীমাতা রাত্রিতে লীলা করতে বের হন। তাই রাত্রিতে মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখার রীতি দেখা যায়। কালী পুজোতেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়না‌‌। 

    আরও পড়ুন: কথিত আছে, দেবী নীল সরস্বতীর আশীর্বাদে জন্ম তারাশঙ্করের, কথাসাহিত্যিক-এর পৈতৃক ভিটের পুজোর কথা জানুন

    মহারাজা নন্দকুমার মন্দির স্থাপন করলেও এই বিচিত্র কালীমূর্তিটি তাঁর দ্বারা নির্মিত হয়নি বলেই কথিত আছে। জনপ্রিয় জনশ্রুতি হলো, মগধরাজ জরাসন্ধ এই মূর্তিটি নির্মাণ করেছিলেন। কালক্রমে বিভিন্ন রাজার হাতে পূজিত হওয়ার পর কাশীরাজ চৈত সিংহের রাজ্যের এক কৃষক তার জমিতে মূর্তিটি খুঁজে পান। সংবাদ পেয়ে চৈত সিংহ মন্দির প্রতিষ্ঠা করে দেবী গুহ্যকালিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান। এদিকে ওয়ারেন হেস্টিংসও এই মূর্তির সন্ধান পেয়ে এটিকে লন্ডনের জাদুঘরে প্রেরণে উদ্যোগী হন। মূর্তিটি হেস্টিংসের হাত থেকে রক্ষা করতে, চৈত সিংহ সেটিকে গঙ্গাবক্ষে লুকিয়ে রাখেন। মহারাজা নন্দকুমার স্বপ্নাদেশ পেয়ে সেটিকে কাশী থেকে নিজ জন্মস্থান বীরভূমের ভদ্রপুর গ্রামে নিয়ে আসেন। নন্দকুমার নিজে ছিলেন পরম শাক্ত ও দেবী মহাকালীর ভক্ত। ১৭৭৫ সালের গোড়ায় তিনি মুর্শিদাবাদ-বীরভূমের সীমান্তবর্তী আকালীপুর গ্রামে দেবী গুহ্যকালীর মন্দির নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু ওই বছর জুন মাসে তিনি ইংরেজের হাতে বন্দী হলে, মন্দির নির্মাণে ছেদ পড়ে। ফাঁসির পূর্বে তিনি পুত্র গুরুদাসকে তান্ত্রিক মতে দেবী গুহ্যকালীর প্রতিষ্ঠা সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়ে যান। লোকশ্রুতি, ওই বছর ১৫ জুলাই মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছিল।

    মন্দিরের দক্ষিণে “পঞ্চমুণ্ডী” নামে পরিচিত একটি সিদ্ধাসন রয়েছে। আকালীপুরের দেবী গুহ্যকালীকে ভক্তেরা অতিশয় “জাগ্রত” দেবী মনে করেন। দূর-দূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা এই মন্দিরে “মানসিক” করে পূজা দেন।

LinkedIn
Share