Author: নিমাই দে

  • Gambia: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, হু-এর সতর্কবার্তা জারির পরেই তদন্ত করতে বিশেষ প্যানেল গঠন কেন্দ্রের

    Gambia: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, হু-এর সতর্কবার্তা জারির পরেই তদন্ত করতে বিশেষ প্যানেল গঠন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাম্বিয়ায় (Gambia) ৬৬ জন শিশুমৃত্যুর কারণ হতে পারে ভারতীয় কাফ সিরাপ, এমনটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। এরপরেই কেন্দ্র সরকার থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পুরো তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। এবারে বুধবার অর্থাৎ গতকালই কেন্দ্রীয় সরকার চার বিশেষজ্ঞের একটি প্যানেল গঠন করেছে। ভারতে তৈরি চারটি কাফসিরাপের বিরুদ্ধে যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতার ভিত্তিতে পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করবে এই বিশেষ প্যানেলটি। তারপরে সেই রিপোর্ট ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে পাঠানো হবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

    এই কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা হলেন, প্রজ্ঞা যাদব, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি, পুনের বায়োসেফটি লেভেল ল্যাবের প্রধান, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের এপিডেমিওলজি বিভাগের আরতি বাহল এবং সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) এর জয়েন্ট ড্রাগ কন্ট্রোলার এ কে প্রধান। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন স্ট্যান্ডিং ন্যাশনাল কমিটির মেডিসিনস-এর ভাইস-চেয়ারপার্সন ওয়াইকে গুপ্ত।

    আরও পড়ুন: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, ৪টে কাশির সিরাপের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ হরিয়ানা সরকারের

    ইতিমধ্যেই হরিয়ানা সরকার মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের সোনিপাত ইউনিটে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। হুয়ের তরফে মনে করা হচ্ছে গাম্বিয়ার ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর কারণ ভারতে তৈরি চারটি কাশির ওষুধ। তাই অবিলম্বে কেন্দ্র থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ও গতকাল আবার কেন্দ্র সরকার প্যানেল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

    প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, এর আগেই হু-এর তরফে পাঠানো সতর্কতায় জানানো হয়েছিল, চারটি সিরাপ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেখানে অস্বাভাবিক বেশি মাত্রায় ইথিলিন গ্রাইকল এবং এথিলিন গ্লাইকল রয়েছে। হুয়ের তরফে বার্তা পাওয়ার পরেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন হরিয়ানার রেগুলেটরি অথরিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে। ও তারপরেই তদন্ত শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ১১ অক্টোবর হু সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনকে পণ্যের নুমনার পরীক্ষার ফলাফল বিস্তারিতভাবে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি হুয়ের তরফে জানানো হয়েছে, শিশু মৃত্যুর সঙ্গে চারটি সিরাপের সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে। অন্যদিকে হরিয়ানা সরকার ইতিমধ্যেই সংস্থাকে উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

  • Amit Shah: বাজেয়াপ্ত নয়, মাদক চক্র বিনাশ করাই লক্ষ্য, গুয়াহাটিতে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: বাজেয়াপ্ত নয়, মাদক চক্র বিনাশ করাই লক্ষ্য, গুয়াহাটিতে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে মাদকদ্রব্য পাচারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) তিনদিনের উত্তর-পূর্ব ভারত সফরে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে শনিবার “মাদক পাচার এবং জাতীয় নিরাপত্তা” বিষয়ক একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের মাদক পাচার পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য সমাধান পরীক্ষা করার লক্ষ্যেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি সেখানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য শুধু মাদক আটক করা নয়, মাদকের আতঙ্ককে উপড়ে ফেলা। তিনি উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির বর্তমান সরকারদের মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    অমিত শাহ (Amit Shah) গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিজিপিদের সঙ্গে ‘মাদক পাচার এবং জাতীয় নিরাপত্তা’ বিষয়ে একটি আঞ্চলিক বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, “মাদকদ্রব্য জব্দ করা আমাদের মিশন নয়। উপড়ে ফেলাই আমাদের লক্ষ্য।” তাঁর মতে, উত্তর-পূর্বের প্রতিটি রাজ্যের পুলিশকে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং প্রতিটি মাদক পাচারের পথ নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, “সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যের ডিজিপিদের একে অপরকে সাহায্য করা উচিত। মণিপুর থেকে মাদক বাজেয়াপ্ত করা হলে সেখানেই সেটি শেষ হয় না। আপনাদের দেখা উচিত যে, মাদকদ্রব্য কোথায় ও কার কাছে যাচ্ছে।“

    আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোর দিন কামাখ্যা মন্দিরে প্রার্থনা অমিত শাহের

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে এটি দ্বিতীয় সম্মেলন। প্রথমটি চণ্ডীগড়ে ছিল এবং আজ, কেন্দ্রের লক্ষ্যই ছিল উত্তর-পূর্বে মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং লড়াই করা। তিনি আরও বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে ৭৫,০০০ কেজি মাদক ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তিনি খুশি যে, ৭৫,০০০ কেজির পরিবর্তে, ১,৫০,০০০ কেজি মাদক ধ্বংস করা হয়েছে। এটা একটা বড় অর্জন।

    তাঁর তত্ত্বাবধানে সেদিন প্রায় ৪০,০০০ কেজি জব্দ করা মাদক নষ্ট করা হয়েছে। সেসময় ভার্চুয়ালি ভাবে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ। এছাড়াও গুয়াহাটিতে এনসিবি ১১,০০০ কেজি, আসাম পুলিশ প্রায় ৮০০০ কেজি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য নষ্ট করেছে। আবার ত্রিপুরায় সর্বোচ্চ ১২০০০ কেজি, অরুণাচল প্রদেশে ৪০০০ কেজি মাদকদ্রব্য, মেঘালয়ে ১৬০০ কেজি, মণিপুরে ১৯০০ কেজি, মিজোরামে ১৫০০ কেজি এবং নাগাল্যান্ডে ৩৯৬ কেজি মাদক পোড়ানো হয়েছে।

    সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংকে তার রাজ্যে পপি এবং গাঁজা চাষ রোধ করার প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “ভারতকে মাদক মুক্ত করা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন এবং আমাদের এটিকে বাস্তবে পরিণত করতে হবে।”

     

  • Neel Saraswati Puja: কথিত আছে, দেবী নীল সরস্বতীর আশীর্বাদে জন্ম তারাশঙ্করের, কথাসাহিত্যিক-এর পৈতৃক ভিটের পুজোর কথা জানুন

    Neel Saraswati Puja: কথিত আছে, দেবী নীল সরস্বতীর আশীর্বাদে জন্ম তারাশঙ্করের, কথাসাহিত্যিক-এর পৈতৃক ভিটের পুজোর কথা জানুন

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’, ‘গণদেবতা’ এর মতো জনপ্রিয় উপন্যাসগুলির লেখক তিনি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরে তিনিই এ বাংলার অন্যতম প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক। বীরভূম জেলার লাভপুরের এই প্রতিভাবান কথাসাহিত্যিক তাঁর ‘গণদেবতা’ উপন্যাসের জন্য ১৯৬২ সালে পেয়েছিলেন জ্ঞানপীঠ পুরস্কার।  তিনি ছিলেন মা তারার আটটি রূপের অন্যতম রূপ নীল সরস্বতীর (Neel Saraswati Puja) ভক্ত। মা তারা তাঁর গৃহের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তাইতো গণদেবতা, ধাত্রীদেবতা, কবি প্রভৃতি উপন্যাসে বারবার উঠে এসেছে মা তারার প্রসঙ্গ। কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (Tarasankar Bandyopadhyay) তখনও জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পাননি। সে সময় তাঁর গৃহের নীল সরস্বতী পূজা সম্পন্ন করতেন পুরোহিত গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য।

    কথিত আছে, লাভপুরের অদূরে কোতলঘোষা গ্রামের এই পূজারী ব্রাহ্মণ কে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জিজ্ঞাসা করেন , “ভচ্চার মশায় , পুরস্কার পাবো তো?” প্রত্যুত্তরে গৌরী বাবু বলেন, “হ্যাঁ , নিশ্চয়ই পাবে।”‌ একথা বলার কিছুদিনের মধ্যেই এই বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান। এমনটাই বললেন সুভাষ ভট্টাচার্য‌। গৌরীশঙ্কর বাবুর পুত্র। বর্তমানে কথাসাহিত্যিক-এর গৃহের নীল সরস্বতী (Neel Saraswati Puja) পূজার পুরোহিত। কিন্তু তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের গৃহে নীল সরস্বতীর পূজার প্রচলন কবে থেকে? কেনই বা তাঁর গৃহে নীল সরস্বতীর পূজা  শুরু হলো? এর উত্তর জানতে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে অনেকখানি।

    আজ থেকে ১২৬ বছর আগে। ১৮৯৭ সাল নাগাদ। তখন লাভপুরের জমিদার ছিলেন হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। সতীপীঠ ফুল্লরা তে এসময় সাধনা করতেন তান্ত্রিক রামজী গোঁসাই ওরফে বলভদ্র পান্ডে। তিনি হরিদাস বাবু ও তাঁর স্ত্রী প্রভাবতী দেবীকে আশ্বিন মাসে দুর্গাপুজোর অন্তে শুক্ল চতুর্দশীর রাতে মা তারার আরেক রূপ নীল সরস্বতী (Neel Saraswati Puja) পূজার পরামর্শ দেন। তাঁর কথামতো নীল সরস্বতী পুজো সম্পন্ন করার ঠিক দশমাস পরে ৮ই শ্রাবণ ১৩০৫ সালে জন্ম হয় তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মা তারার আশীর্বাদে তিনি ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন, এই বিশ্বাসের জন্যই তাঁর নাম তারাশঙ্কর রাখা হয়‌। তখন থেকেই নীলসরস্বতীর পুজোর প্রচলন হয়, এই কথাসাহিত্যিক এর  গৃহে। দুর্গাপূজার পরে শুক্লা চতুর্দশী যা কিনা মা তারার আবির্ভাব তিথি হিসেবে গণ্য হয় , এই তিথিতেই নীল সরস্বতীর পুজো হয় লাভপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে।

    দেবীর গাত্রবর্ণ নীল (Neel Saraswati Puja)। সমগ্র দেহে সাপ জড়ানো। ভীষণ দর্শনা এই দেবীর পায়ের নীচে জটাধারী শবরূপ মহাদেব থাকেন। দেবীর  গলায় মুন্ড মালা, হাতে নরমুন্ড ও পরনে বাঘছাল থাকে। শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে সন্ধ্যায় এই পুজো শুরু হয়, চলে মধ্যরাত্রি অবধি। যজ্ঞও হয়। অন্যতম সতীপীঠ ফুল্লরা তলাতে প্রথমে দেবীর পুজো হয় তারপর কথাসাহিত্যিক এর বাড়িতে পুজো হয়। প্রথমে গ্রামের দক্ষিণ প্রান্তে এক মন্দিরে এই পুজো সম্পন্ন হত। যা এলাকায় তারা মায়ের ডাঙ্গা নামেই প্রসিদ্ধ। পরে মন্দির বেহাল হয়ে গেলে, এই পুজো সম্পন্ন হতে থাকে কথাসাহিত্যিক এর পারিবারিক দুর্গা মন্দিরে। কথাসাহিত্যিক এর ভাইপো পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায় তারা মায়ের ডাঙ্গায় অবস্থিত মন্দিরটি সংস্কার করেন ২০১৩ সালে। তখন থেকে নীল সরস্বতীর পুজো আবার তারা মায়ের ডাঙ্গায় সম্পন্ন হয়, যেমনটা তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মের পরে হতো‌। এ প্রসঙ্গে কথিত আছে, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষজনকে এই পুজোতে তখন ফুল্লরা মন্দিরে যেতে দেওয়া হতো না। তখন দলিত সম্প্রদায়ের লোকেরা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের কাছে এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপর তাঁদের জন্য তৈরী হয় নবফুল্লরা তলা। যেটি বর্তমান তারাশঙ্কর ভবনের একেবারে পাশেই। লাভপুরের নীল সরস্বতীর পুজো সমগ্র গ্রামের মানুষজনের আস্থা, বিশ্বাস ও ভক্তির আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে আজ। আগে এই পুজোতে ছাগলবলি দেওয়া হতো। কিন্তু, এখন তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে তারামায়ের ভোগ হিসেবে খিচুড়ি, লুচি, সুজি থাকে। গ্রামের প্রায় সমস্ত মানুষ জন রাত্রিতে পাত পেড়ে মায়ের প্রসাদ গ্রহণ করেন।

  • Nobel Peace Prize 2022: নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া-ইউক্রেনের সংগঠন

    Nobel Peace Prize 2022: নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া-ইউক্রেনের সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর কাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার (Nobel Peace Prize 2022) দেওয়া হবে, তাঁর নাম ঘোষণা করা হল। এবার যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছেন বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী তথা আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি (Ales Bialiatski), রাশিয়ান মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল (Russian Human Rights organization Memorial) এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস (Center for Civil Liberties)। এবার ব্যক্তিদের সঙ্গে সংস্থাকেও শান্তি প্রচারে প্রচেষ্টার জন্য এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। শুক্রবার নোবেল কমিটির তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে।

    নাম ঘোষণা করতে গিয়ে এদিন নোবেল কমিটির তরফে বলা হয়েছে, “এই তিন পুরস্কার প্রাপক বিশ্বের দরবারে তাঁদের দেশের সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন করার অধিকারকে বারবার সমর্থন করেছেন এই তিন প্রাপক। সেই সঙ্গে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত করতেও লাগাতার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তাঁরা। যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা যথাযথভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। শান্তি ও গণতন্ত্র রক্ষায় সাধারণ মানুষের ভূমিকা অনস্বীকার্য, সেই বিষয়টি বারবার তুলে ধরেছেন তাঁরা।”

    আলেস বিলিয়াতস্কি বেলারুশে গণতন্ত্র আন্দোলনের অন্যতম সূচনাকারী ছিলেন। গণতন্ত্রের প্রচার, শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে তিনি তাঁর সারা জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। যার জন্য তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা ‘সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস’ ইউক্রেনে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। ইউক্রেনের নাগরিক সমাজকে শক্তিশালী করতে এই সংগঠনের অবদান অপরিসীম। ইউক্রেনকে একটি পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্রে পরিণত করার জন্য কাজও করে চলেছে এই সংগঠন। আবার নোবেল শান্তি পুরস্কারে বিজয়ী হয়েছে রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থাও। মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ১৯৮৭ সালে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের মানবাধিকার কর্মীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। ফলে এই মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠন দুটি নিজ নিজ দেশে বহু বছর ধরে ক্ষমতার সমালোচনা করার অধিকার এবং দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার প্রচার করার পাশাপাশি দেশের শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে চলেছে।

  • Cough Syrups: ‘হু’ থেকে নিষেধ করা কাশির সিরাপ বিক্রি হয়নি ভারতে, ঘোষণা কেন্দ্রের

    Cough Syrups: ‘হু’ থেকে নিষেধ করা কাশির সিরাপ বিক্রি হয়নি ভারতে, ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশু মৃত্যুর পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে যে কাশির সিরাপগুলোকে (Cough Syrups) নিষেধ করা হয়েছে, সেগুলো ভারতে বিক্রি হয়নি। হরিয়ানার ওষুধ প্রস্তুরকারী সংস্থার তৈরি করা কাশির সিরাপগুলোকে ‘হু’ থেকে নিষেধ করার পর থেকেই কেন্দ্র সরকার অবিলম্বে এই ওষুধগুলোকে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়ার পরেই এর উপর তদন্ত শুরু করেছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যানডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা সিডিএসসিও।

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, এই সিরাপগুলির (Cough Syrups) একটিও ভারতে বিক্রি হয় না। শুধুমাত্র রপ্তানির জন্যই এই ওষুধগুলি তৈরি করা হয়। এই চারটি ওষুধ, এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র গাম্বিয়াতে বিক্রি হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ওষুধগুলো ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফল আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অভিযোগের আধ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করেছে সিডিএসসিও। হরিয়ানার ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলার’-এর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, সংস্থাটি শুধুমাত্র গাম্বিয়াতেই ওষুধ (Cough Syrups) পাঠিয়েছে। ভারতের কোথাও এই চারটি কাশির ওষুধের (Cough Syrups) একটিও বিক্রি করা হয় না।

    আরও পড়ুন: ‘হু’-র সতর্কবার্তার জের! দেশে তৈরি ৪ কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র

    অন্যদিকে মেডেনের ডিরেক্টর নরেশ কুমার গয়াল বলেন, তাঁরা শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুর কথা শুনেছে এবং বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। আমরা এই ঘটনার আসল কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি কারণ এটি শুধুমাত্র আজই হয়েছে। আমরা ক্রেতাদের এবং ঠিক কী ঘটেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আমরা ভারতে কিছু বিক্রি করছি না।” এই সংস্থা থেকে আরও জানানো হয়েছে, তাদের সংস্থার তৈরি করা ওষুধ এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশে রপ্তানি করা হয়। যদিও তারা বর্তমানে ভারতে বিক্রি করছে না। আবার এই পরিস্থিতিতে মেডেনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সতর্কবার্তা দিয়েছেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল বিজ।

    প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই সংস্থার তৈরি প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন (Promethazine Oral Solution), কোফেক্সম্যালিন বেবি কাফ সিরাপ (Kofexmalin Baby Cough Syrup), ম্যাকফ বেবি সিরাপ ( Makoff Baby Cough Syrup) এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ (Magrip N Cold Syrup)-এই চারটি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। কারণ, এগুলিতে (Cough Syrups) রয়েছে ডাইইথিলিন গ্লাইসল ও ইথিলিন গ্লাইসল। যা শরীরে বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে, এমনকি কিডনিও বিকল হয়ে যেতে পারে। যার জন্য শিশু মৃত্যুর পেছনে এই ওষুধগুলো রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ‘হু’ (WHO)।

  • Cruise Missile: পরপর ৮৪টি মিসাইল হানা রাশিয়ার! ইউক্রেনকে উন্নত এয়ার ডিফেন্স দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাইডেনের

    Cruise Missile: পরপর ৮৪টি মিসাইল হানা রাশিয়ার! ইউক্রেনকে উন্নত এয়ার ডিফেন্স দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাইডেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিমিয়ায় (Crimea) ব্রিজ ভাঙার পর থেকেই আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে পড়েছে রাশিয়া (Russia)। ইউক্রেনের (Ukraine) রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল সকাল থেকেই পরপর মোট ৮৪ টি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। আর এই হামলায় মোট প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন আর আহত হয়েছেন ১২ জনেরও বেশি। অন্যদিকে রাশিয়ার এই হামলার পরই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) ইউক্রেনকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে ও উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

    গতকাল ইউক্রেনের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেন। এর পাশাপাশি হোয়াইট হাউস থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সহ আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।“ বাইডেন এই হামলায় নিহত ও আহতদের প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন। ক্রিমিয়ার ব্রিজ ভেঙে পড়ায় রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে প্রতিশোধ হিসেবেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে পুরো ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

    আরও পড়ুন: ক্রিমিয়ার সেতু রাশিয়ার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এর পিছনের আসল ঘটনা জানেন কি?

    ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিগালের মতে, এই হামলার ফলে আটটি অঞ্চল এবং কিয়েভ জুড়ে ১১টি “গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সুবিধা” ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, পরপর হামলা চালানোর পর এই বোঝা যাচ্ছে যে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর সাম্প্রতিক সাফল্যের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধক্ষেত্রে জয়ের জন্য কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের দাবি, রাশিয়া ইরানিয়ান ড্রোন ব্যবহার করেছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ফেসবুকে এক বিবৃতিতে বলেছে, “বেলারুশ থেকে শুরু করা হামলায় শত্রুরা ইরানী শাহেদ-১৩৬ ইউএভি ব্যবহার করছে।

    প্রসঙ্গত, শনিবারই রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়ায় ব্রিজের ওপর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই ব্রিজ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একমাত্র সংযোগকারী ব্রিজ। রাশিয়ার অভিযোগ ছিল, এই বিস্ফোরণ ইউক্রেনই ঘটিয়েছে। যার জেরে সেই দেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে রাশিয়া। আর তারপর থেকেই দফায় দফায় ইউক্রেনের বড় শহরগুলিতে টার্গেট করে হামলা শুরু করে রাশিয়া।

  • Uttar Pradesh Road: উত্তরপ্রদেশের রাস্তা হবে আমেরিকার থেকেও ভালো! কী বললেন কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রী?

    Uttar Pradesh Road: উত্তরপ্রদেশের রাস্তা হবে আমেরিকার থেকেও ভালো! কী বললেন কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে উত্তরপ্রদেশের রাস্তা (Uttar Pradesh Road) আরও উন্নতমানের করার জন্যে এক পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gaadkari)। উত্তরপ্রদেশের লখনউতে ইন্ডিয়া রোড কংগ্রেসের ৮১ তম অধিবেশনের প্রধান অতিথি ছিলেন নিতিন গড়করি। তিনি সেখানে বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের রাস্তাগুলি আমেরিকার রাস্তার মত ভালো ও সুন্দর করা হবে। তিন দিনের এই অধিবেশনে ভারত সহ বিভিন্ন দেশের ইঞ্জিনিয়ার, সড়ক বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও (Yogi Adityanath)।

    তিনি বলেন, “আমি যোগিজিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, ২০২৪ সাল শেষের আগেই উত্তরপ্রদেশের রাস্তাগুলোকে (Uttar Pradesh Road) আমেরিকার রাস্তার মত গড়ে তোলা হবে।” এই অনুষ্ঠান থেকেই তিনি উত্তর প্রদেশের সড়ক উন্নয়নের জন্য ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে উত্তর প্রদেশের সড়কগুলিকে আমেরিকার থেকে ভাল বানাতে হবে। এই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য মোদি সরকার আগামী দিনে ৫ লক্ষ কোটি টাকার অনুদান ঘোষণা করবে”। ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করে তিনি বলেন, “এই টাকা দিয়ে শাহবাদ-হরদোরহ বাইপাস, শাহজাহানপুর থেকে শাহবাদ অবধি বাইপাস, মোরাদাবাদ-ঠাকুরদ্বার-কাশিপুর বাইপাস ও গাজিপুর-বালিয়া বাইপাস তৈরি করা হবে। এছাড়াও ১৩টি সড়ক প্রকল্পে কাজ করার জন্য এই টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে”।

    তিনি অনুষ্ঠানেই ঘোষণা করেন যে, ভালো রাস্তা নির্মাণে সরকারের কাছে অর্থের কোনও অভাব নেই। তবে তিনি সেদিন শুধু রাস্তা নির্মাণের কথাই বলনেনি, রাস্তা নির্মাণের পাশাপাশি পরিবেশের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেছেন। এছাড়াও এই সড়ক নির্মাণের কাজে যারা থাকবেন, তাদের নিরাপত্তা নিয়েও বলেছেন তিনি। অন্যদিকে রাস্তা তৈরিতে উন্নত প্রযুক্তি, রাস্তা উন্নতমানের করা, দ্রুতগতিতে কাজ করার দিকেও বিশেষ নজর দিতে বলেছেন।

    আরও পড়ুন: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    অধিবেশনে নিতিন গড়করি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ তৈরি করার স্বপ্নকে সত্যি করতে ভালো ও টেকসই রাস্তা অত্যন্ত প্রয়োজন। আর এই স্বপ্নকে সত্যি করতে এটিই সুবর্ণ সুযোগ। এই অধিবেশনের পর কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি লখনউয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনে একটি বৈঠকও করেন।

  • Raiganj Carnival Cow Attack: কার্নিভালে বিপত্তি! গরুর গুঁতোয় মৃৃত্যু ১ জনের, আহত কমপক্ষে ৩০

    Raiganj Carnival Cow Attack: কার্নিভালে বিপত্তি! গরুর গুঁতোয় মৃৃত্যু ১ জনের, আহত কমপক্ষে ৩০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের নির্দেশে দুর্গাপুজো কার্নিভাল (Raiganj Carnival Cow Attack) হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। আর তার থেকে পিছিয়ে নেই রায়গঞ্জও৷ আর এই কার্নিভালকে ঘিরেই সৃষ্টি হয় ভয়াবহ পরিস্থিতির। কার্নিভালে গরুর গুঁতোয় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির৷ গরু শান্ত স্বভাবের প্রাণী হলেও ক্ষেপে গেলে কী তাণ্ডব ঘটাতে পারে, তার প্রত্যক্ষদর্শী থাকল পুরো রায়গঞ্জবাসী।

    জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজা কার্নিভালে (Raiganj Carnival Cow Attack) একটি পুজো কমিটি গরুর গাড়িতে করে প্রতিমা নিয়ে প্রদর্শন করছিল৷ আর সেই সময়ে গরুগুলি দড়ি ছিঁড়ে প্রতিমা ফেলে বেড়িয়ে আসে৷ শুধু তারা দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে যায়নি, আশেপাশের মানুষদের গুঁতিয়ে দেয়। ফলে গরু সিং দিয়ে গুঁতো মেরে আহত করে একাধিক ব্যক্তিকে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মৃত ব্যক্তির নাম সাধন কর্মকার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের একটি সিনেমা হলের কাছে। জলপাইগুড়ির মাল বাজারে প্রতিমা বিসর্জনের দিন মর্মান্তিক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রায়গঞ্জে এই দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ শহর জুড়ে।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত রায়গঞ্জের ভারত সেবক সমাজ ক্লাবের সভাপতি সাধন কর্মকার। সেদিন কার্নিভালে (Raiganj Carnival Cow Attack) মোট ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের তড়িঘড়ি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের দাবি, আহত হয়েছেন ৮ জন। আহতদের বেশিরভাগের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও তিন জন এখনও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি। দুই থেকে তিনজন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ছিলেন সাধন কর্মকার। এরপর গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ষাট বছর।

    উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ শহরের অনুশীলনী ক্লাব গরুর গাড়িতে প্রতিমা সাজিয়ে কার্নিভালে (Raiganj Carnival Cow Attack) অংশগ্রহণ করেছিল। প্রথমদিকে সবকিছু ঠিক থাকলেও পরবর্তী সময়ে মানুষের ভিড়, বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ ও লাইটের প্রভাবে দুটি গরু দড়ি ছিঁড়ে বেড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে জানা গিয়েছে। এরপর প্রতিমা উল্টে দিয়ে গরু দুটি এদিক-ওদিক দৌড়তে শুরু করে। জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা ও রায়গঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার সানা আখতার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান। পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাসও যান হাসপাতালে। আহতদের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।

     

  • Virat Kohli Restaurant: কিশোর কুমারের বাড়িতে বিরাটের রেস্তোরাঁ! দেখালেন অন্দরমহলের এক ঝলক

    Virat Kohli Restaurant: কিশোর কুমারের বাড়িতে বিরাটের রেস্তোরাঁ! দেখালেন অন্দরমহলের এক ঝলক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সুপারস্টার ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি (Virat Kohli) তাঁর ব্যাটিংয়ের জন্য বিখ্যাত। তবে আপনি জানেন কি বিরাট কোহলি ক্রিকেটের পাশাপাশি ব্যবসাতেও এগিয়ে রয়েছেন? বেশ কয়েকটি শহরে রয়েছে তাঁর ফুড চেইন ‘One8 Commune’। তবে মুম্বইতে তাঁর এই রেস্তোরাঁ ছিল না, তাই এবার মুম্বইতেও তাঁর রেস্তোরাঁ (Virat Kohli Restaurant) খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর রেস্তোরাঁর জন্য বেছে নিয়েছে কিশোর কুমারের বাংলো ‘গৌরী কুঞ্জ’-কে।

    আরব সাগরের তীরে প্রয়াত কিশোর কুমারের বাংলোতে (Kishore Kumar’s Bunglow) বিরাট খুলে ফেললেন ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁ (Virat Kohli Restaurant)। আবার এই রেস্তোরাঁর অন্দরমহলের দৃশ্য প্রথমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের ঘুরে দেখালেন কোহলি। এদিন এটি ঘুরে দেখানোর সময় উপস্থিত ছিলেন সঞ্চালক মনীশ পলও। বিখ্যাত গায়ক কিশোর কুমারের জুহুর পুরনো বাংলো একসময় ‘গৌরী কুঞ্জ’ নামে পরিচিত ছিল। জানা গিয়েছে, কোহলি জুহুতে অবস্থিত এই বাংলোর একটা অংশ ৫ বছরের জন্য লিজ নিয়েছেন। সেখানেই গড়ে উঠেছে এই রেস্তোরাঁ।

    আরও পড়ুন: সামনে এবার শুধুই ক্রিকেটের ঈশ্বর! সচিনকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করতে পারবেন বিরাট?

    এই রেস্তোরাঁ (Virat Kohli Restaurant) খোলার আগেই প্রথম ঝলক কোহলি তাঁর অনুরাগী সহ সকলকে দেখালেন। এদিন One8Commune-এর ইউটিউব ভিডিওতে, মণীশ পলকে সঙ্গে নিয়ে এই ট্যুর করেছেন। নিজেদের সাক্ষাৎকার পর্বে রেস্তোরাঁ সম্পর্কে বিরাট নিজের মনে কথা বলছেন। তিনি এদিন এই বাংলোর ব্যাপরে বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন যে, তিনি কতটা বড় ভক্ত কিশোর কুমারের। বিরাট এদিন কিশোর কুমারের ‘মেরে মেহবুব কেয়ামত হোগি’ গানের কিছু লাইনও গেয়েছিলেন। এছাড়াও বিরাট বলেন, “তাঁর গানগুলো সত্যিই আমাকে স্পর্শ করে। যখনই কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করতো, তুমি কার সঙ্গে দেখা করতে চাও, আমি সবসময় কিশোর দা-র নাম উল্লেখ করতাম। কারণ তিনি ক্যারিশম্যাটিক ছিলেন।”

    [insta]https://www.instagram.com/reel/CjU0G_yAPsK/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    এই রেস্তোরাঁ প্রথম নয়, কলকাতা, দিল্লি ও পুনে- তেও রয়েছে ফুড চেইন ‘One8 Commune’। এবারে তাই মুম্বইতেও খুলতে চলেছে এই রেস্তোরাঁ (Virat Kohli Restaurant)। এই নয়া রেস্তোরাঁটির উদ্বোধন হবে ৮ অক্টোবর।

  • Human Sacrifice: স্তন কেটে যৌন নির্যাতন, রক্ত নিয়ে উল্লাস মূল অভিযুক্ত শফির! নরবলিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

    Human Sacrifice: স্তন কেটে যৌন নির্যাতন, রক্ত নিয়ে উল্লাস মূল অভিযুক্ত শফির! নরবলিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের নরবলি কাণ্ড (Human Sacrifice) নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো দেশ জুড়ে। পুরো দেশবাসীর মধ্যে দিয়ে আতঙ্কের ঝড় বয়ে চলছে। তদন্ত যত এগোচ্ছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দম্পতি সহ এই ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী মহম্মদ শফি ওরফে রশিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এরপরেই গা শিউরে ওঠার মত কিছু তথ্য উঠে এসেছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত রোজলিন ও পদ্মা নামের দুই মহিলাকে শুধুমাত্র খুনই (Human Sacrifice) করা হয়নি। খুন করার আগে তাঁদের ওপর নৃশংসভাবে চালানো হয় যৌন নির্যাতন। পুলিশ জানিয়েছে, রশিদ একজন সাইকোপ্যাথ। বিকৃত যৌনকামের শিকার সে৷ এছাড়াও নিহতের মাংসও যে অভিযুক্ত দম্পতি খেয়েছে, তা আগেই স্বীকার করেছে লায়লা। জানা গিয়েছে, এর আগেও রশিদের বিরুদ্ধে এক ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধাকেও ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল। এখনও সেই মামলা চলছে।

    তবে কে এই রশিদ ও এই হত্যাকাণ্ডের (Human Sacrifice) শুরু কোথা থেকে, তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। কোচি সিটি পুলিশের কমিশনার নাগারাজু জানিয়েছেন, ‘রশিদ একজন সাইকোপ্যাথ। বিকৃত যৌনকামের শিকার সে৷ আর এর ফলেই খুন করেছে সে।’ জানা গেছে, এর্নাকুলাম জেলার পেরাম্বাভুর এলাকার বাসিন্দা রশিদ। ক্লাস সিক্স পর্যন্ত তার পড়াশোনা। এর পরে কখনও সে গাড়ি চালিয়েছে, কখনও সারাইকর্মী হিসেবে দোকানে কাজ করেছে। কোচিতে একটি হোটেলও চালাচ্ছিল সে। তার স্ত্রী এবং দুই মেয়েও রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে রশিদের৷ সে প্রোফাইলের নাম শ্রীদেবী। এরপর ফেসবুকেই ওই দম্পতি ভগবল সিং ও লায়লার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ও তাদের জীবনে ধনসম্পত্তি বাড়ানোর লোভ দেখিয়ে নরবলির মত ঘটনায় রাজি করায়।

    আরও পড়ুন: ধনী হতে নরবলি দিল কেরলের এক দম্পতি, খেয়েছে তাঁদের মাংসও!

    তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুই মহিলা রোজলিন এবং পদ্মাকে পর্নোগ্রাফি এবং টাকার লোভ দেখিয়ে তুলে নিয়ে এসেছিল শফি। তারপর সিং দম্পতির বাড়িতে তাঁদের আটকে রাখা হয়। এরপর সেখানেই রোজলিনকে প্রথমে বিছানায় বেঁধে রেখে তাঁর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয় ও গোপনাঙ্গে একটি ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এবং কয়েক মিনিট পরে তাঁর গলা কেটে দিলে সেখানেই মারা যান তিনি। এমনকি তাঁর স্তনও কেটে ফেলা হয় বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে পদ্মার সঙ্গেও এমনি ঘটনা (Human Sacrifice) ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁকেও পর্ন ছবিতে অভিনয় করার লোভ দেখিয়ে ১৫০০০টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ও তাঁর ওপরেও রোজলিনের মত যৌন নির্যাতন করা হয় ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এরপর তাঁদের দেহকে ৫৬ টি টুকরো করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গলগল করে রক্ত বেরিয়ে আসছে, এই দৃশ্য দেখেও প্রচণ্ড ‘উত্তেজিত’ ছিল সাইকোপ্যাথ রশিদ।

    এখানেই থেমে নয়, তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর খবর উঠে এসেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, লায়লা জেরায় জানিয়েছে, রশিদ তার সঙ্গেও যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল ব্ল্যাক ম্যাজিকের দোহাই দিয়ে৷ স্বামী ভগবলকে সামনে বেঁধে রাখত সেই সময়ে। ভগবলকে একথা শফি বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে, লায়লার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে তাঁদের ধনী হওয়ার পথ আরও সহজ হবে। এমনটাও জানা গিয়েছে রশিদ এই দম্পতির থেকে তিন লক্ষ টাকাও নিয়েছে। পুলিশ কমিশনার নাগারাজু এও বলেছিলেন যে এটি “নরবলি”-এর একটি মামলা ছিল, তবে এর সঙ্গে ‘ক্যানিব্যালিজম’ জড়িত ছিল কিনা তা এখনও প্রমাণিত হয়নি। ইতিমধ্যেই ডিএনএ পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে হত্যার (Human Sacrifice) তদন্ত করার জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।

    তবে রশিদের বিরুদ্ধে এই ঘটনাই (Human Sacrifice) প্রথম নয়। ২০২০ সালে ৭৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে৷ সেই মামলা এখনও চলছে৷ অভিযোগ, ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে তাঁর গোপনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছিল রশিদ। ২০২১ সাল থেকে সে জামিনে রয়েছে। সেই একইরকম ক্ষত মিলেছে সম্প্রতি নিহত রোজলিন ও পদ্মার দেহেও।

LinkedIn
Share