Author: নিমাই দে

  • WHO Alert: ‘হু’-র সতর্কবার্তার জের! দেশে তৈরি ৪ কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র

    WHO Alert: ‘হু’-র সতর্কবার্তার জের! দেশে তৈরি ৪ কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে তৈরি কাফ সিরাপ নিয়ে সতর্কতা জারি করার পরেই কেন্দ্র থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ওষুধগুলো নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এই সিরাপগুলি তৈরি করেছে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড নামের হরিয়ানার সোনেপতের একটি ওষুধ নির্মাতা সংস্থা। আর এই ওষুধগুলোর জন্যই গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করায় বুধবার একটি নির্দেশিকা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, “দয়া করে এই ওষুধগুলি ব্যবহার করবেন না।” আর এরপরেই অবিলম্বে কেন্দ্র থেকে তদন্তের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই দেশে তৈরি কাফ সিরাপগুলি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের তরফে সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, হরিয়ানার সোনেপতের মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড নামক সংস্থার তৈরি কাফ সিরাপে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও অবধি পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সংস্থা থেকে একমাত্র গাম্বিয়াতেই ওষুধ রপ্তানি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ওষুধ অন্য কোনও দেশে পাঠানো হয়েছে কিনা, তাও তদন্ত করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের থেকে জানা গিয়েছে যে, হু ২৯ সেপ্টেম্বর কাশির সিরাপ সম্পর্কে ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) কে সতর্ক করেছিল। আর তারপরেই কেন্দ্রীয় ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন অবিলম্বে হরিয়ানার ওই সংস্থার ওপর নজর রাখতে এবং তদন্ত শুরু করেছে। হরিয়ানার ওই সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, এই ওষুধগুলো শুধুমাত্র গাম্বিয়াতেই পাঠানো হয়েছে, অন্য কোনও দেশে পাঠানো হয়েছে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ওষুধ তৈরির সংস্থাটি। 

    এরই মধ্যে চারটি সিরাপ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেগুলির মধ্যে অস্বাভাবিক মাত্রায় ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকল রয়েছে। যা মানবদেহে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। যে চারটি ওষুধ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেগুলো হল- ওরাল সলিউশন, কোফেক্সমালিন বেবি কাফ সিরাপ, মেকঅফ বেবি কাফ সিরাপ ও ম্যাগরিপ এন কোল্ড সিরাপ। এই ওষুধগুলোতে যে উপাদানগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো মানব শরীরে প্রবেশ করলে পেটব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, মূত্রত্যাগের সমস্যা ও কিডনির গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে এই ওষুধগুলির গুণমান ও সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই বলেই জানা গিয়েছে।

  • World Animal Day 2022: কেন ৪ অক্টোবর বিশ্ব প্রাণী দিবস পালিত হয় জানেন ?

    World Animal Day 2022: কেন ৪ অক্টোবর বিশ্ব প্রাণী দিবস পালিত হয় জানেন ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ৪ অক্টোবর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় World Animal Day। প্রাণীদের জন্য এই দিনটি পালন করা হয়। জানা যায়, সর্বপ্রথম হেনরিক জিম্মারমেন নামের এক জার্মান লেখক ও প্রকাশক মেন্স উন্ড হুন্দ নামের একটি ম্যাগাজিনে বিশ্ব প্রাণী দিবস প্রকাশ করেছিলেন। তিনি প্রথম ১৯২৫ সালের ২৪ মার্চ জার্মানির বার্লিন স্পোর্ট প্যালেসে এই দিবস উদযাপন করেন। এরপর ১৯২৯ সালে প্রথমবার এই দিবসটি ৪ অক্টোবর পালন করা হয়েছিল। এরপর ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রাণী সুরক্ষা কংগ্রেসে ৪ অক্টোবরকে বিশ্ব প্রাণী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

    এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো, পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে প্রাণীদের কল্যাণের মাধ্যমে এদের অবস্থার উন্নতি করা। প্রাণী কল্যাণ প্রসঙ্গে সকলকে সতর্ক করা। সাধারণত এই দিনে সকলকে পশু কল্যান প্রসঙ্গে সতর্ক করা হয়। পশু দিবস হল বিশ্বের সকল প্রাণীর অধিকার ও কল্যাণের জন্য পালিত হওয়া একটি আন্তর্জাতিক দিবস।  

    তবে এই প্রাণী দিবসের গুরুত্ব কী?

    প্রাণীদের সম্পর্কে সচেতন করার জন্যই এই দিনটি পালন করা হয়। এই জাতি, ধর্ম, বিশ্বাস বা রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে দিবসটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে প্রতিটি দেশে পালন করা হয়। তবে, সর্বত্র এই দিন পালনের উদ্দেশ্য একটাই। তা হল, প্রাণী কল্যাণ প্রসঙ্গে সকলকে সতর্ক করা।

    এই দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে প্রাণীরা কীভাবে আমাদের জীবনকে উন্নত করে তোলে। পশুদের প্রতি নৃশংস, নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ করাও হল এই দিনটির আরেকটি লক্ষ্য।

    প্রতি বছর এই বিশেষ দিনে একটি করে থিম গ্রহণ করা হয়। এবছরের থিম হল Shared Planet। এর ফলে বোঝা যায়, পৃথিবী শুধুমাত্র মানুষের নয়, প্রতিটি প্রাণীরও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্গা পুজোর (Durga Puja 2022) নিরঞ্জনের সময় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাল নদীতে (Mal River)। বিসর্জনের সময় আচমকাই ছুটে এল হড়পা বান। ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু। ১০ বছর বয়সী এক বালিকাও ভেসে যায় বলে খবর সংবাদমাধ্যম সূত্রে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু।

    প্রতিমা বিসর্জনের সময় কী ঘটেছিল?

    গতকাল রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ বাংলার মানুষ যখন শারদীয়া উৎসবে মেতে আছেন, সেইসময়েই ঘটে গেল এই ভয়াবহ ঘটনা। মালবাজার এলাকায় মাল নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নদীর ধারে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু মানুষ। প্রতিমা বিসর্জন যখন পুরোদমে চলছে তখনই আচমকা ধেয়ে আসে হড়পা বান। প্রতিমা বিসর্জনে যাঁরা নেমেছিলেন, তাঁদের প্রায় অনেকেই স্রোতের টানে ভেসে যান। তবে মাল নদীর মাঝে একটি চর রয়েছে। আর সেই চরে উঠেই প্রাণ বাঁচান অনেকে। চরে প্রায় ২০-৩০ জন আটকে ছিলেন। তাঁদের কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। দমকল এবং পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মালের বিধায়ক বুলু চিকবড়াইকও। পাশাপাশি, নামানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। গতকাল রাত পর্যন্ত সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর আজ সকালেই তা বেড়ে হয় ৮। আজও নদীর বিভিন্ন অংশে চালানো হবে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জনের পরই বিপর্যয় ঘটে। 

    আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    কেন আচমকা হড়পা বান?

    জানা গিয়েছে, সিকিমের দিকে বৃষ্টির জেরে এমনটা হয়েছে পাহাড়ি নদীতে। যে কারণে, অতর্কিতে হড়পা বান চলে আসে। আবার স্থানীয় সূত্রে দাবি, নদীখাতে আগেই বোল্ডার ফেলা হয়েছিল, যাতে যেদিকে বিসর্জন হবে, সেদিকে বেশি জল যায়। আর এর জেরেও নদীর জল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। মালের তৃণমূল বিধায়ক বুলুচিক বরাইক জানিয়েছেন, বিসর্জনের সময় নদীর কাছাকাছি এলাকায় প্রায় হাজার খানেক লোক উপস্থিত ছিলেন, যে সময় হড়পা বানে অনেকে ভেসে যান।

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা…

    প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মালবাজারের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে ট্যুইট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পুজোর মাঝে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মর্মাহত। যাঁরা তাঁদের কাছের মানুষদের হারালেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

    শোকজ্ঞাপন শুভেন্দু অধিকারীর…

    ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি লিখেছেন, “জলপাইগুড়ি থেকে দুঃখজনক খবর এসেছে। দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় মাল নদীতে হড়পা বানে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আমি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে অনুরোধ করছি, উদ্ধারকার্যকে দ্রুত আরও জোরদার করতে এবং দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্য করতে।”

  • JK DG Prisons Murder: জম্মু-কাশ্মীরে রহস্যজনক মৃত্যু পুলিশ আধিকারিকের! হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

    JK DG Prisons Murder: জম্মু-কাশ্মীরে রহস্যজনক মৃত্যু পুলিশ আধিকারিকের! হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। উদ্ধার করা হয় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল অফ প্রিজন (JK DG Prisons  Murder) হেমন্ত কুমার লোহিয়ার (Hemant Kumar Lohia) গলার নলি কাটা মৃতদেহ। আর এই ঘটনার কিছু ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযু্ক্ত, নিহতের পরিচারক ইয়াসির-কে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার গভীর রাতে জম্মু শহরের কাছে উদাইওয়ালায় বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই আধিকারিককে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান করেছিল কাশ্মীর পুলিশ। তাই এই রহস্যজনক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে উপত্যকা পুলিশ। অন্যদিকে, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) শাখা সংগঠন পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফোর্স (PAFF) এই খুনের দায় স্বীকার করেছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খুনের পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না নিহতের পরিচারক ইয়াসির-এর। পলাতক ওই ব্যক্তিই এই খুনে মূল অভিযুক্ত বলে ধারণা করেছিল পুলিশ। আর এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, রাতভর তল্লাশির পর ইয়াসিরকে জম্মুর কানহাচক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের পর ওই এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়েছিল রামবান জেলার বাসিন্দা ওই যুবক। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। পুলিশের দাবি, ডায়েরির লেখা দেখা মনে হচ্ছে অবসাদে ভুগছিলেন ডিজি -এর ওই পরিচারক। সেই কারণেই খুন করেছে অথবা এর পেছনে কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    ডিজিপি দিলবাগ সিং জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত হেমন্তর লোহিয়ার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কারণ মৃতের গায়ে পোড়ার চিহ্ন দেখা গিয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে লোহিয়ার শরীরে তেলও পাওয়া গিয়েছে। প্রথমে লোহিয়াকে খুন করা হয়। তাঁর গলা কাটার জন্য একটি কাচের বোতল ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে মৃতদেহে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

    এরই মধ্যে এই হত্যার দায় স্বীকার করে, লস্করের শাখা সংগঠন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের স্পেশাল স্কোয়াড হামলা চালিয়েছে লোহিয়ার উপরে। তিনি যে ওই জঙ্গী গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের ‘টার্গেট’ ছিলেন, সেকথাও জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছে, ‘সফরে আসার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এটা একটা ছোট্ট উপহার’।

    প্রসঙ্গত, হেমন্ত লোহিয়ার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। ১৯৫২ ব্যাচের আইপিএস অফিসার তিনি। চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই উপত্যকার ডিরেক্টর জেনারেল অফ প্রিজন পদে নিযুক্ত হন। সোমবার জম্মুর উদয়ওয়ালায় একটি বাড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

  • Indonesia Football Match Stampede: ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড! পদপিষ্ট হয়ে মৃত কমপক্ষে ১৭৪

    Indonesia Football Match Stampede: ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড! পদপিষ্ট হয়ে মৃত কমপক্ষে ১৭৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবল ম্যাচ (Football Match) নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড! এই ম্যাচকে ঘিরেই ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা। ঘটনাটি ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia)। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে জাভা প্রদেশের মালাং শহরের কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামে ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ লিগ বিআরআই লিগা ওয়ানের (BRI Liga 1) একটি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন রীতিমতো দাঙ্গা বেঁধে যায়। শুধু তাই নয়, এই দাঙ্গার ফলে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ১৭৪ জন, আহত হয়েছে ১৮০-এর বেশি। প্রথমে মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ১২৭, কিন্তু তা বেড়ে হয়েছে ১৭৪। এই সংখ্যা আরও বাড়তে বলে জানা গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে পুলিশ ও শিশু রয়েছে।

    কিন্তু কী এমন ঘটেছিল, যার জন্য এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল? সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে ইন্দোনেশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আরেমা ও পার্সিবায়া সুরাবায়ার (Arema FC and Persebaya Surabaya) ফুটবল ম্যাচে। এই ম্যাচে হেরে যায় আরেমা। আর হারের পরই ক্ষিপ্ত সমর্থকরা মাঠে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তখনই ঝামেলা শুরু হয়। পার্সিবায়ার ফুটবলাররা বিপদ বুঝে মাঠ ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। কিন্তু আরেমার বেশ কয়েক জন ফুটবলার মাঠ ছাড়তে পারেননি। ফলে তাঁদের উপরেও হামলা হয়। এরপরেই পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার পরেই আরও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

    অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া পুলিশ জানিয়েছে, আরেমা ম্যাচে হারার পরই গ্যালারি থেকে সমর্থকরা ঝামেলা শুরু করে দেয়। মুহূর্তে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় এই ম্যাচ ঘিরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়তে হয়। এতে বহু দর্শক আতঙ্কে স্টেডিয়াম ছাড়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দেয়। আর এর ফলেই পদপিষ্ট হয়ে এবং শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয় ও এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়। ইতিমধ্যেই এই হিংসার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। আপাতত আগামী এক সপ্তাহ ইন্দোনেশিয়া ফুটবল লিগ বন্ধ থাকবে বলেই খবর।

  • Kanpur Road Accidents: ভয়াবহ জোড়া গাড়ি দুর্ঘটনা উত্তরপ্রদেশে, নিহত কমপক্ষে ৩১, শোকপ্রকাশ মোদি – যোগীর

    Kanpur Road Accidents: ভয়াবহ জোড়া গাড়ি দুর্ঘটনা উত্তরপ্রদেশে, নিহত কমপক্ষে ৩১, শোকপ্রকাশ মোদি – যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব কম সময়ের ব্যবধানে উত্তর প্রদেশে (Uttarpradesh) ঘটে গেল একের পর এক পথ দুর্ঘটনা। দুটি ঘটনাই শনিবার মধ্যরাতে কানপুরে ঘটেছে। জোড়া দুর্ঘটনায় কানপুরে নিহত কমপক্ষে ৩১ (Kanpur Accidents)। গুরুতর আহত ২৭ জন। প্রথমের দুর্ঘটনায় পুণ্যার্থী বোঝাই একটি গাড়ি পুকুরে উল্টে যায়। আর সেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে ভয়াবহ ছবি সামনে এসেছে। আর দ্বিতীয় দুর্ঘটনায় দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা একটি লরি সজোরে একটি টেম্পোয় ধাক্কা মারে। প্রথমের ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনায় কমপক্ষে মৃত ২৬ জন পুণ্যার্থী। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা এবং শিশু রয়েছে বলে খবর। আর দ্বিতীয় ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ট্রাক্টর-ট্রলিতে মোট ৫০ জন পুণ্যার্থী ছিলেন। তাঁরা উন্নাও-এর চন্দ্রিকা দেবী মন্দির থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় কানপুরের ঘটামপুর এলাকায় ঘটে যায় দুর্ঘটনাটি। রাস্তায় পিছলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়িটি এবং পড়ে যায় পাশের পুকুরে। শনিবার সন্ধ্যায় এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাটি ঘটে। এরপরেই প্রায় ১১ জন শিশু-সহ ২৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার সেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৬। গুরুতর আহত হয়েছেন ২০ জন। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও বহু গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই তড়িঘড়ি উদ্ধারকার্যে নামেন। তার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে অনেক দেরিতে এসে পৌঁছয় বলে অভিযোগ। ফলে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রদধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, মৃতদের পরিবারকে মাথাপিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

    আবার অন্য দিকে, দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে এর কয়েক ঘণ্টা পরেই। আহিরওয়ান উড়ালপুলের কাছে দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা একটি লরি সজোরে একটি টেম্পোকে ধাক্কা মারে। এতে ৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    একের পর এক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। মৃতদের পরিবার-পরিজনকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। নিজের সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী রাকেশ সাচান এবং অজিত পালকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন ও পরিস্থিতি পরিদর্শন করে সবকরকম সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি যাতায়াতের জন্য ট্র্যাক্টর ট্রলির ব্যবহার বন্ধ করতেও সকলকে অনুরোধ করেছেন যোগী। তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র কৃষিকাজেই ট্র্যাক্টর ট্রলির ব্যবহার করা উচিত।

  • BJP Durga Puja: রাজ্য বিজেপির বিশেষ ‘চমক’! দলের দুর্গাপুজো করবেন এক মহিলা ‘অব্রাহ্মণ’ পুরোহিত

    BJP Durga Puja: রাজ্য বিজেপির বিশেষ ‘চমক’! দলের দুর্গাপুজো করবেন এক মহিলা ‘অব্রাহ্মণ’ পুরোহিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালে সল্টলেকের EZCC-তে দুর্গা পূজা শুরু করে বঙ্গ বিজেপি (BJP West Bengal))। প্রবল উৎসাহের সঙ্গে শুরু হয়েছে এই পূজা (Durga Puja 2022)। এবছরও রাজ্যের বিরোধী দল পিছিয়ে নেই। রাজ্য বিজেপির উদ্যোগে কলকাতায় দলীয় পুজো জাঁকজমকভাবেই করা হচ্ছে। তবে এবারে বিজেপির এই পুজোর এক চমক রয়েছে, কারণ এবারের তাঁদের পুজোর পুরোহিত হলেন, এক মহিলা। অর্থাৎ এবার এক নারীশক্তির আবাহন করবেন অন্য এক নারী। তাঁর নাম সুলতা মণ্ডল (Sulata Mondal)।

    তবে কে এই সুলতা মণ্ডল? জানা গিয়েছে, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ছাত্রী সুলতা মণ্ডল এবং তিনি সুকান্ত মজুমদারের জেলার মেয়ে। জানা গিয়েছে সুকান্ত যে গৌড়বঙ্গ বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন, সুলতা সেই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী। সুলতা পেশাদার মহিলা পুরোহিত। ‘অব্রাহ্মণ’ সুলতা দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার বাতাসকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। বয়স মাত্র ২৮। তবে এই বয়সে শাস্ত্রজ্ঞানে পারদর্শী মণ্ডল পরিবারের একমাত্র কন্যা। চণ্ডীপাঠেও একইভাবে দক্ষ সুলতা। আর এবার তাঁর হাতেই হবে বিজেপির ‘ দূ্র্গতিনাশিনী’র আবাহন। সুকান্ত বোটানির শিক্ষক হলেও বাংলার বিভাগের ছাত্রী সুলতা তাঁকে সুকান্তস্যার হিসাবেই চেনেন। সেই সুলতাই এবার পুজোর এক বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছেন। ফলে এবারের পুজোর এক উল্লেখযোগ্য বিষয়ই হল, এই প্রথমবার এখানে পুজো করবেন মহিলা পুরোহিত। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করলেন সুকান্ত মজুমদার, দেখুন ছবি.

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবার রাজ্য সভাপতি আগেই ঠিক করেছিলেন, কোনও মহিলা পুরোহিতই দলের হয়ে উমার আরাধনায় যোগ দেবেন। আর দলের পক্ষেও ঠিক হয়েছে, সুকান্তের সেই ছাত্রী সুলতাই হবেন পুরোহিত।

    আজ মহাষষ্ঠী, আর এরই মধ্যে পুজোর উদ্বোধন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঠিক ছিল উদ্বোধনে আসবেন অমিত শাহ কিংবা মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু পরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারই আদ পুজোর উদ্বোধন করেন। এনাকে আজ ঢাক বাজাতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। এবারের বিজেপির দুর্গাপুজোর থিম ‘দুর্গতিনাশিনী দশভূজা’। এই থিমে রাজ্যের দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।

  • Gaming App Scam: গেমিং অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে ফের টাকার হদিশ! প্রায় ১৩ কোটির ক্রিপটো ফ্রিজ করল ইডি

    Gaming App Scam: গেমিং অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে ফের টাকার হদিশ! প্রায় ১৩ কোটির ক্রিপটো ফ্রিজ করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপুল পরিমাণ টাকার সন্ধান! কলকাতা পুলিশের পর এবারে ই-নাগেটস অ্যাপ (E-Nuggets App) প্রতারণায় অভিযুক্ত আমির খানের আরও বিনিয়োগের খোঁজ পেল ইডি (ED)। এবারে গতকাল আমিরের ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং বিটকয়েন হিসেবে ব্যবহৃত ১২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ১৪ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল কলকাতা পুলিশ। আর এই টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়। ইডির গোয়েন্দারা বুধবার কলকাতায় ৩ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ১২.৮৩ কোটি টাকা মূল্যের ক্রিপটোকারেন্সি বাজেয়াপ্ত করেছে।

    আরও পড়ুন: খাটের তলায় মিলেছিল ১৭ কোটি, গাজিয়াবাদ থেকে ধৃত গার্ডেনরিচের আমির

    বুধবার দুপুর ১.৩০ মিনিট নাগাদ বিকে পাল অ্যাভিনিউয়ের জগদ্ধাত্রী ভিলায় যান ইডির ৭ আধিকারিক। তার মধ্যে ব্যাংকের আধিকারিকরাও ছিলেন। এরপর ১২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা মূল্যের ক্রিপটোকারেন্সি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। এই ই-নাগেটস(E-Nuggets)  নামক একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ দিয়ে লোক ঠকানোর কারবারে কোটি কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। ফলে শুধু  নগদ টাকা উদ্ধারই নয়, এই প্রতারণার সম্পত্তি আরও কোথায় কোথায় রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ইডির গোয়েন্দারা।

    প্রসঙ্গত, ১০ সেপ্টেম্বর, কলকাতার গার্ডেনরিচে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। সেই বাড়িতে খাটের তলা থেকে নোটের গাদা উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেদিন মোট ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার করেছিলেন গোয়েন্দারা। ফলে এবারে উদ্ধার হওয়া টাকা ব্যবসায়ীর ছেলে আমির খানের প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে ধারণা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সব মিলিয়ে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪৪ কোটিরও বেশি টাকা। তবে গোয়েন্দারা অনুমান করেছেন যে, এই প্রতারণা চক্রে আরও অনেক টাকা উদ্ধার করা যেতে পারে। ফলে এই প্রতারণার বিপুল টাকা আর কোথায় কোথায় রাখা আছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, এই চক্রে অভিযুক্ত আমির খান উত্তরপ্রদেশ থেকে ধরা পড়েছেন। শুক্রবার রাতে গাজিয়াবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

  • Belur Math Durga Puja: মহাষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো, ভোর থেকেই ভক্তদের ভিড় বেলুড় মঠে

    Belur Math Durga Puja: মহাষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো, ভোর থেকেই ভক্তদের ভিড় বেলুড় মঠে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহাষষ্ঠী (Mahashasthi)। শারোৎসবে মেতে উঠেছে পুরো বিশ্ববাসী, বিশেষ করে বাংলার মানুষ। আর এরই মধ্যে বেলুড় মঠেও শুরু হয়ে গেল দুর্গা পুজো (Belur Math Durga Puja)। মহাষষ্ঠীর পুণ্য লগ্নে ভোরবেলায় মণ্ডপে শুরু হয় নারায়ণ পুজো এবং ষষ্ঠীর কল্পারম্ভ। ভোরবেলায় গঙ্গাজলে দেবীর ঘট ধুয়ে তা স্থাপন করা হয়। দেবীর বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠান হবে সন্ধ্যাবেলায়। সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং সন্ধ্যায় ৬টা ২০ মিনিটে মহাষষ্ঠীর পুজো।

    বিগত দুবছর তেমন জাঁকজমকভাবে পুজো করা হয়নি। দর্শনার্থীদের প্রবেশেও বাধা ছিল বেলুড় মঠে (Belur Math)। তবে এবার আর প্রবেশে নিষেধ না থাকায় ফের আগের ছন্দে ফিরে এসেছে বাংলার মানুষ। ফলে এবছরের পুজোর উন্মাদনাই এক অন্য পর্যায়ে। তাই আজ সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অগণতি দর্শনার্থী আসতে শুরু করেছে। আর এর ফলেই মানুষের ভিড় উপচে পড়েছে বেলুড় মঠে।

    আরও পড়ুন: ষষ্ঠী থেকে দশমী, কী কী রীতি পালিত হয় দুর্গা পুজোয়? রইল পুরো তালিকা

    বেলুড় মঠে রীতিমতো জন্মাষ্টমী থেকেই পুজো শুরু হয়ে যায়। কারণ প্রথা মেনে প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর তিথিতে কাঠামো পুজো হয় বেলুড় মঠে। প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় প্রতিমা বিসর্জনের পর কাঠামো তুলে রাখা হয় এবং পরের বছর পুজো শুরুর আগে সেই কাঠামোই পুজো করা হয়। আর ওই দিন থেকেই মঠে দুর্গোৎসবের সূচনা হয়ে যায়। আর সেই সময় থেকেই মঠ প্রাঙ্গণে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজও শুরু হয়ে যায়। ফলে এবারও তেমনটাই হয়েছিল।

    তবে এবারে করোনার (Corona) জন্য অত বিধি-নিষেধ না থাকলেও বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। আবার এর পাশাপাশি রয়েছে ডেঙ্গিরও (Dengue) আতঙ্ক। ফলে বেলা যত বাড়বে, দর্শনার্থীদের ভিড়ও তত বাড়বে। আগের দুবছর করোনার প্রকোপের জন্য দুর্গাপুজোর সময় মঠে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ ছিল। তবে এবার পুজোয় দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বেলুড় মঠ। তাই ভিড় বাড়লে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞমহল। তাই উৎসবে মেতে ওঠার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকমহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mars Orbiter Mission: ৮ বছর পর থামল ইসরোর মঙ্গলযান, কতটা প্রাপ্তি হল ভারতের মহাকাশ গবেষণায়?

    Mars Orbiter Mission: ৮ বছর পর থামল ইসরোর মঙ্গলযান, কতটা প্রাপ্তি হল ভারতের মহাকাশ গবেষণায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় আট বছর পর সফর শেষ হল ইসরোর মঙ্গলযানের (Mars Orbiter Mission)। যদিও এই মঙ্গলযানটিকে মাত্র ছয়মাসের জন্য বানানো হয়েছিল। অর্থাৎ এর আয়ু ছিল মাত্র ছয় মাস। কিন্তু সেখানে এটি প্রায় আট বছর অতিক্রম করে দিয়েছে। মহাকাশে। জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি, মঙ্গলযানে থাকা জ্বালানি ও ব্যাটারি ইতিমধ্যেই নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। আর এর ফলেই মঙ্গলযান অর্থাৎ মার্স অরবিটার মিশন (Mars Orbiter Mission-MOM)-এর আট বছর আট দিনের যাত্রা শেষ হল।

    উল্লেখ্য যে, এই মিশনটি ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর শুরু হয়েছিল (Mars Orbiter Mission)। পাশাপাশি, এটি ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরে মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছে যায়। মূলত, এই মিশনের মাধ্যমে, ভারত প্রথম পদক্ষেপেই সরাসরি মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। বিশ্বের আর অন্য কোনও দেশের কাছে এই নজির নেই। মঙ্গলযান বানাতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার। ইসরো থেকে জানানো হয়েছে, যে এই যানটিকে তৈরি করা হয়েছিল মাত্র ছয়মাস মঙ্গলের কক্ষপথে চলার প্রদক্ষিণ করার জন্য। কিন্তু বিজ্ঞানীদের যে আশা ছিল, তাকেও ছাপিয়ে ছয়মাসের পরিবর্তে টানা আট বছর কাজ করেছে গিয়েছে ভারতের এই মঙ্গলযান।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর কেন্দ্রে মিলল বিশাল মহাসাগর

    ইসরো (ISRO) থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় মঙ্গলযানটিতে আর কোনও জ্বালানি অবশিষ্ট নেই। স্যাটেলাইটের ব্যাটারিও শেষ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে মঙ্গলযানের ব্যাটারিকে ফের জাগিয়ে তোলা যাচ্ছে না। এমনকি ইসরোর সঙ্গে মহাকাশযানটির সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে, মহাকাশযানটি মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথের মাত্র ছয় মাস ধরে চলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। সেই জায়গায় এটি আট বছরেরও বেশি সময় ধরে তার কাজ করে গিয়েছে। তাই এটি ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে বলেই মনে করা হয়। ২০১৩ সালে মঙ্গলযানটিকে একটি পিএসএলভি-সি২৫ রকেটের মাধ্যমে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। এটিই ছিল ভারতের প্রথম আন্তঃগ্রহের মহাকাশ অভিযান (Mars Orbiter Mission)।

    এটিকে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতও যে অন্য গ্রহে পাড়ি দিতে পারে, তা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্যই এই মঙ্গলযান তৈরি করা হয়েছিল (Mars Orbiter Mission)। এটির সাহায্য লাল গ্রহের পৃষ্ঠদেশের বৈশিষ্ট্য, বায়ুমণ্ডল এবং এক্সোস্ফিয়ার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও গ্রহের ধূলিকণা সম্পর্কে ধারণা করতে, মঙ্গল গ্রহে ভূমিধস অধ্যয়ন করতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করেছে। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, মহাকাশযানটিকে আর কোনওভাবেই পুনরুদ্ধার করা যাবে না। তবে এই মার্স অরবিটার মিশনটি পুরো বিশ্বে এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে (Mars Orbiter Mission)। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আরেকটি অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে ভারত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই মঙ্গলযান-২ (Mangalyaan 2) পাঠাতে চলেছে ইসরো।

     

LinkedIn
Share