Author: নিমাই দে

  • Weight Loss Tips: পুজোর আগে ওজন কমাতে চান? খাবারের সঙ্গে রাখুন এই ড্রিঙ্কসগুলো

    Weight Loss Tips: পুজোর আগে ওজন কমাতে চান? খাবারের সঙ্গে রাখুন এই ড্রিঙ্কসগুলো

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ওজন কমানোর জন্য বর্তমানে সবাই ব্যস্ত। আর সামনেই পুজো আসছে যার জন্য ছোট থেকে বড় সবাই ওজন কমাতে মরিয়া। ফলে ওজন কমানোর জন্য অনেকেই না খেয়ে থাকেন, বা দিনের একবেলার খাবার স্কিপ করে দেন। আর সবথেকে বড় ভুল করে বসে সবাই। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, দিনের তিন বেলার খাবারের সঙ্গে কিছু ড্রিঙ্কস খাওয়া উচিত যেগুলো পুষ্টিকর তো বটেই, তবে খাবার হজমে এমনকি ওজন কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করে থাকে।

    সকালের খাবার (ডিম ও ব্ল্যাক কফি)- ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফির জুড়ি মেলা ভার। ডিম প্রোটিন যুক্ত খাবার ও স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী, অন্যদিকে ব্ল্যাক কফি মেটাবলিজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ওজন কমাতেও কফি বেশ সাহায্য করে। তবে দুধ, চিনি দেওয়া কফি নয় ওজন কমে ব্ল্যাক কফিতে। এছাড়াও আমাদের শরীরের শক্তির জোগান দেয় কফি।

    আরও পড়ুন: বর্ষায় বদহজম! জানেন এই মরসুমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন

    দুপুরের খাবার (মাছ ও গ্রিন টি)- ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মাছ ও গ্রিন টি-এর এই জুটি বিশেষ উপকারী। ডিমের মত মাছও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ও মেটাবলিজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে ড্রিঙ্কস হিসেবে খান গ্রিন টি। গ্রিন টি র মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত গ্রিন টি খেলে হজম ভালো হয় সেই সঙ্গে ওজনও কমে।

    রাতের খাবার (বাদাম, বীজ, কালো মটরশুটি, এবং ছোলা দিয়ে স্যালাড ও আদা দিয়ে চা)- প্রোটিনে ভরপুর এই স্যালাডের সঙ্গে আদা চা, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। এই স্যালাড খুব দ্রুত বিপাকের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায় এবং আমাদের শরীরে শক্তির জোগান দেয়। ফলে খিদেও কমায়। পুষ্টিবিদদের মতে, এই স্যালাডের সঙ্গে আদা চা জুটি হিসেবে উপযুক্ত। আদাও মেটাবলিজম বাড়ায় ও খিদে কমায়।

    স্ন্যাকস (প্লেইন গ্রীক দইয়ের সঙ্গে বেরি ও জল)- গ্রীক দই প্রোটিনে ভরপুর ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো, আর ওজন কমাতেও সাহায্য করে।। অন্যদিকে বেরিও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। ফলে এই খাবারের সঙ্গে জল খেলে ওজন কমার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য হয়। জলে কিছু ফ্লেভার অ্যাড করতে শশা বা পুদিনা পাতা দিতে পারেন।

     

  • Supertech Twin Tower: চোখের পলকে ধূলিসাৎ! ১০০ মিটার উচ্চতার ‘সুপারটেক টুইন টাওয়ার’ ভেঙে ফেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Supertech Twin Tower: চোখের পলকে ধূলিসাৎ! ১০০ মিটার উচ্চতার ‘সুপারটেক টুইন টাওয়ার’ ভেঙে ফেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়ডা সেক্টর ৯৩এ-তে (Noida Sector 93-A) অবস্থিত ‘সুপারটেক টুইন টাওয়ার’ (Supertech twin Tower) ভেঙে ফেলার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিক করা হয়েছে, ২৮ অগাস্ট দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ও়ড়ানো হবে ‘সুপারটেক টুইন টাওয়ার’। এটি একটি গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ৪০ তলা উঁচু জোড়া বহুতল। ইতিমধ্যই টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার প্রাথমিক কাজগুলো সেরে ফেলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে ২৮ অগাস্ট এই টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে টাওয়ার ধ্বংস করা হবে

    জানা গিয়েছে, ১০০ মিটার লম্বা টুইন টাওয়ার ভাঙার জন্য ব্যবহার করা হবে ৩৫০০ কেজি বিস্ফোরক। এই বিল্ডিংয়ে প্রায় ৯৪০০ টি জায়গায় গর্ত করে সেখানে ওই বিস্ফোরক ভরে দেওয়া হবে। তারপর এক ঝটকায় এটিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলা হবে। ইতিমধ্যেই সেই বিস্ফোরক পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: হাইড্রোজেনে চলবে বাস! লঞ্চ করা হল ভারতের প্রথম হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল বাস

    কেন ভেঙে ফেলা হচ্ছে

    সুপারটেকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। গ্রেটার নয়ডায় নির্মাণ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করে ওই বিশালাকৃতির জোড়া টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। ফলে গত বছরেই টাওয়ার দুটি গুঁড়িয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

    এছাড়াও জানা গিয়েছে, সেক্টর ৯৩এ-তে অবস্থিত টাওয়ারটির কাছাকাছি বসবাসকারী প্রায় ৫ হাজার বাসিন্দাদের সকাল ৭টার দিকেই তাদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। এরপর তারা বিকেল ৪ টের পরেই সেই জায়গায় যেতে পারবেন। ২ হাজার ৫০০ টি যানবাহন সেই জায়গা থেকে সরানো হবে। নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে দুপুর ২টা ১৫ থেকে ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে। সেখানে নিরাপত্তা কর্মীও ওই দিন প্রচুর পরিমাণে এলাকায় মোতায়েন করা থাকবে। জরুরি পরিষেবার মধ্যে ফায়ার টেন্ডার এবং অ্যাম্বুলেন্স সেখানে রাখা হবে। এর পাশাপাশি, কাছাকাছি এলাকায় মানুষ, যানবাহন এবং এমনকি পশুদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হবে। 

  • Viral Video: জাগুয়ার ও কুমিরের ভয়ঙ্কর লড়াই! জিতল কে?

    Viral Video: জাগুয়ার ও কুমিরের ভয়ঙ্কর লড়াই! জিতল কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ! ডাঙায় হিংস্র প্রাণীদের মধ্যে, সিংহ, বাঘ, চিতাকে ভয়ঙ্কর শিকারী হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যারা মুহূর্তের মধ্যে অন্যান্য প্রাণীকে তাদের শিকারে পরিণত করে। আবার, জলে বসবাসকারী প্রাণীদের মধ্যে কুমিরকে হিংস্র শিকারী হিসাবে ধরা হয়। কুমির, জল এবং তার বাইরে উভয় জায়গাতেই শিকার করতে পারে। কিন্তু, বাঘ আর কুমিরের মধ্যে লড়াই হলে? সম্প্রতি একটি জাগুয়ার ও কুমিরের ভিডিও ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, জঙ্গলের দুই হিংস্র শিকারী কীভাবে সংঘর্ষ করে চলেছে। তবে জিতল কে ? 

    ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, গভীর অরণ্যের মাঝে শান্ত এক নদী, রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া। আর নদীতেই রয়েছে একটি কুমির। অন্যদিকে এক জাগুয়ার তার শিকার করার জন্য সময়ের অপেক্ষা করছিল এবং সময় বুঝেই হঠাৎ নদীর ভিতরে কুমিরটিকে আক্রমণ করে ফেলে। তারপরই দেখা গেল মরা-বাঁচার লড়াই। 

    কথায় আছে না, ‘জোড় যার, মুলুক তার’। একথারই বাস্তব উদাহরণ হল এই ঘটনাটি। আসলে গায়ে জোড় থাকলে যে খাদকও শিকার হয়ে যেতে পারে, সেই ঘটনারই সাক্ষী হল গোটা বিশ্ব। ঝোপঝােড়ে লুকিয়ে থাকা জাগুয়ারটি ধীরে ধীরে কুমিরটিকে লক্ষ করে এগিয়ে যাচ্ছে। এরপর হঠাৎ একটা বিশাল লাফ দিয়ে কুমিরের ঘাড়ে দিল এক কামড়। নিজেকে বাঁচানোর খুব একটা সুযোগই পেল না কুমিরটি। এই ভিডিওর শেষে আপনি দেখতে পাবেন এই রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে কে জিতেছে। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আতঙ্ক তৈরি করছে এবং এই ভিডিওটি দেখে মানুষ বেশ অবাক হয়েছে। এর পাশাপাশি মানুষ নানা ধরনের প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দুটি হিংস্র বন্য প্রাণীকে বেঁচে থাকার জন্য ভয়ানক যুদ্ধ করতে দেখা যায়। সোমবার ফিগেন নামে একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। তবে ভিডিওটি মূলত দুই বছর আগে ভাসি হায়াতলার নামে অন্য একজন ইউজার টুইটারে পোস্ট করেছিলেন, তবে এখন এটি ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিওটি শেয়ার করার পর থেকে ২.৬ মিলিয়ন ভিউ এবং ২৭০০০- এর বেশি লাইক পেয়েছে। প্রায় ৪৮০০ ব্যবহারকারী টুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Artemis 1 Mission: মানুষ তো খেলনা নয়! জানেন কি আর্টেমিস-১ রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে ‘খেলনা-মানুষ’?

    Artemis 1 Mission: মানুষ তো খেলনা নয়! জানেন কি আর্টেমিস-১ রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে ‘খেলনা-মানুষ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েকটা দিনেরই অপেক্ষা। কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে নাসা-র (NASA) আর্টেমিস ১ প্রোগ্রাম (Artemis 1 Programme)। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ২৯ অগাস্টেই মহাকাশের পথে যাত্রা করবে আর্টেমিস ওয়ানের ওরিয়ন স্পেসক্রাফট (Orion Spacecraft)। নাসা-র (NASA) স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (Space Launch System) (SLS) রকেটটিকে ২৯ অগাস্ট লঞ্চ করা হবে। গত বুধবার রকেটটিকে লঞ্চ প্যাডের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং একে লঞ্চ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে কোনও মহাকাশচারী ছাড়াই একে চাঁদে পাঠানো হবে।

    সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, ওরিয়ন স্পেসক্রাফ্টে কোনও মানুষ না থাকলেও, থাকবে তিনটি ম্যানেকিন অর্থাৎ মানুষের মত পুতুল, কিছু খেলনা এবং সঙ্গে অ্যামাজন অ্যালেক্সা। এছাড়াও এমন কিছু জিনিস যার সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগতমূলক গুরুত্ব আছে।

    মুনিকিন ক্যাম্পোস (Moonikin Campos) নামে ম্যানেকিনটি ওরিয়নের ভেতরে কমান্ডারের জায়গায় থাকবে। লঞ্চের সময় এটিকে ওরিয়ন সারভাইভাল সিস্টেম স্যুট (Orion Survival System suit) পরানো হবে। এই স্যুটটি মহাকাশচারীদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এই ম্যানিকুইনটি সেন্সরের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ড করবে। কমান্ডারের সিটটি সেন্সর দিয়ে তৈরি করা আছে যা মিশনের সময় গতিবেগ ও ভাইব্রেশনকে ট্র্যাক করবে।

    আরও পড়ুন: মহাকাশচারী ছাড়াই চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার তৈরি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট

    হেলগা ও জোহার (Helga & Zohar) নামের অন্য দুটি ম্যানিকুইনের কাছে ৫৬০০টি সেন্সর ও ৩৪ টি রেডিয়েশন ডিটেক্টর রয়েছে যার মাধ্যমে তারা মিশনের রেডিয়েশন এক্সপোজার লেভেল (mission’s radiation exposure level) রেকর্ড করবে।

    আবার অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিসেন্ট অ্যালেক্সাও (Alexa) এই মিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অ্যালেক্সার অন্য ভার্সন ক্যালিস্টো (Callisto) নামের ডিভাইসের মাধ্যমে দেখা হবে যে মহাকাশে এই ধরনের ডিভাইসের কাজ করার কতটা দক্ষতা রয়েছে। মহাকাশচারী এবং ফ্লাইট কন্ট্রোলাররা কীভাবে তাদের কাজকে আরও দক্ষতার সঙ্গে এবং নিরাপদে করতে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করতে পারে তা দেখাই এর লক্ষ্য।

    এই স্পেসক্রাফটে স্নুপি (Snoopy) নামের একটি খেলনাও পাঠানো হবে। আমেরিকান কার্টুনিস্ট চার্লস এম শ্লুজ (Charles M. Schulz) এই খেলনাটিকে একেছিলেন। তিনি এটি প্রথম নাসা-এর অ্যাপোলো প্রোগ্রামের সময় একেছিলেন এবং তারপর থেকেই স্নুপি মহাকাশ সংস্থার মিশনের সাথে যুক্ত। এদিকে স্নুপি খেলনাটি স্পেসক্র্যাফটের ভেতরে জিরো গ্র্যাভিটি ইন্ডিকেটর (Zero Gravity Indicator) হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

    প্রসঙ্গত, চাঁদে শেষবার মানুষ পাড়ি দিয়েছিলেন ১৯৭২ সালের অ্যাপোলো মিশনে। পাঁচ দশকের পর আবার চাঁদে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে নাসা (NASA)। সে পরিকল্পনায় প্রথম বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে আর্টেমিস ১ মিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tomato Flu: করোনা, মাঙ্কি পক্সের পরে এবারে নতুন আতঙ্ক টোম্যাটো ফ্লু, নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র

    Tomato Flu: করোনা, মাঙ্কি পক্সের পরে এবারে নতুন আতঙ্ক টোম্যাটো ফ্লু, নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Corona), মাঙ্কি পক্সের (Monkey Pox) পর নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে টোম্যাটো ফ্লু (Tomato Flu)। ‘হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’ (HFMD) বা টোম্যাটো ফ্লু (Tomato Flu) নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। এবার ক্রমবর্ধমান এই উদ্বেগের মধ্য়েই কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা পাঠানো হল দেশের সমস্ত রাজ্যে। টোম্য়াটো ফ্লু নিয়ে সমস্ত রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র। কারণ এখনও পর্যন্ত এর কোনও ওষুধ নেই। 

    এই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, এই রোগ সাধারণত ১-১০ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে হচ্ছে এবং কিছু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও দেখা গিয়েছে। সাধারণত ফ্লু-এর মতই এই রোগের লক্ষণ যেমন- জ্বর, গা হাত পা ব্যথা, ক্লান্তি, ত্বকে র‌্যাশ হওয়া ইত্যাদি।  কিন্তু এটির সঙ্গে সারস কোভ-২, মাঙ্কিপক্স, ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এই রোগ থেকে মুক্তির প্রথম উপায় হল চারপাশে স্যানিটাইজ করা ও পরিস্কার রাখা। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীকে কমপক্ষে ৫-৭ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে। এই নির্দেশিকাতে আরও বলা হয়েছে, সংক্রমিত শিশুর সংস্পর্শে আসা উচিত নয়। জ্বর হয়েছে এবং ব়্যাশ দেখা গিয়েছে এরকম শিশুদের আলিঙ্গন করতে বারণ করুন নিজের সন্তানকে। এই রোগের জন্য এখনও কোনও ওষুধ, ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: কোভিড এবং টোম্যাটো জ্বরের উপসর্গে অনেকটাই মিল, পার্থক্য বুঝবেন কীভাবে?

    গত ৬মে ২০২২- এ প্রথম এই রোগটি কেরলার কোল্লামে দেখা যায়। পাঁচ বছরের নীচের বয়সের ৮২টি শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এছাড়া ওড়িশাতেও ২৬ জনের শরীরে এই রোগের জীবাণু পাওয়া যায়। তবে কেরালা, তামিলনাড়ু, ওড়িশা ছাড়া আর কোনও রাজ্যে এই রোগটি মেলেনি।

    কী এই টোম্যাটো ফ্লু

    এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ। এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় টোম্যাটো আকৃতির লাল ফোসকা। এর সঙ্গে ত্বকে জ্বালাও অনুভূত হয়। অন্যান্য ফ্লুয়ের মতই এই রোগের লক্ষণ। জ্বর, গায়ে হাত পায়ে ব্যথা, ত্বকের ওপর র‌্যাশ ইত্যাদি। এছাড়া ক্লান্তি, বমিভাব, দুর্বলতা, ডায়েরিয়া, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি। প্রথমে জ্বর, মুখের ভিতর জ্বালা এবং ত্বকের ওপর র‌্যাশ দিয়ে শুরু হয়। অনেকসময় হাল্কা জ্বর, খিদে না থাকা এবং গলা ব্যাথাও হতে পারে। জ্বর হওয়ার দু-তিন দিনের মধ্যেই ফোসকা পরে এবং তারপর সেগুলি বড় হয় এবং ঘা হয়ে যায়। এগুলি সাধারণত জিভে, মাড়িতে, গালের ভেতর এবং হাতের তালুতে হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amitabh Bachchan: ফের করোনায় আক্রান্ত ‘বিগ বি’, নিজেই জানালেন ট্যুইটারে

    Amitabh Bachchan: ফের করোনায় আক্রান্ত ‘বিগ বি’, নিজেই জানালেন ট্যুইটারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হলেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। মঙ্গলবার রাতে ট্যুইট করে নিজেই অনুরাগীদের জানান এই খবর। গত কয়েক দিনের মধ্যে যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের পরীক্ষা করে নেওয়ার অনুরোধ করছেন তিনি।

    গতকাল রাতে ১১ টা ২৫ মিনিট টুইটারে ‘বিগ বি’লেখেন, “আমি করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলাম। তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যাঁরা সম্প্রতি আমার সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁরা দয়া করে কোভিড টেস্ট করিয়ে নেবেন।”

    আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনে আক্রান্ত ১২ হাজারের বেশি

    তবে তিনি বাড়িতেই আইসোলেশনে নাকি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এছাডৃাও করোনার কোনও উপসর্গ দেখা গিয়েছে কিনা, শারীরিক অবস্থা কেমন আছে, সে বিষয়েও বিস্তারিতভাবে কিছু জানাননি বলিউডের বিগ বি।

    এর আগেও ২০২০ সালের করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এরপর অমিতাভের ছেলে অভিষেকের বচ্চনেরও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। তারপর অভিষেকের স্ত্রী ঐশ্বর্য ও তাঁদের মেয়ে আরাধ্যাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেসময় বিগ বি-এর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তারপর তিনি আক্রান্ত হওয়ার তিন সপ্তাহ পরে সুস্থ হয়ে অগাস্টে বাড়ি ফিরেছিলেন। প্রসঙ্গত, সামনেই অনেকগুলো কাজ রয়েছে তাঁর। বলিউড শেহানশাহকে অয়ন মুখার্জী পরিচালিত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিতে দেখা যাবে। এছাড়াও ‘গুডবাই’, ‘উনচাই’ ছবিতে দেখা যাবে। এই খবর পাওয়ার পর থেকেই তাঁর অনুরাগীরা চিন্তিত। বর্ষীয়ান অভিনেতার দ্রুত আরোগ্য করেছেন সকলেই। 

    অন্যদিকে দেশে ফের করোনায় আক্রান্তের গ্রাফ ঊর্ধমুখী। কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার মুম্বই-এ ৮৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মুম্বই-এ সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬২৬৯। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • 30 years of Roja: ৩০ বছরে পা ‘রোজা’-র, এখনও ভাটা পড়েনি জনপ্রিয়তায়

    30 years of Roja: ৩০ বছরে পা ‘রোজা’-র, এখনও ভাটা পড়েনি জনপ্রিয়তায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলের সেরা দেশাত্মবোধক সিনেমাগুলোর মধ্যে একটি ছিল ‘রোজা’ (Roja)। চলতি বছরেই এই ছবি ৩০ বছর পূর্ণ করল। ১৯৯২ সালের ১৫ অগাস্ট ছবিটি বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটি একটি রোমান্টিক থ্রিলার এবং এতে অরবিন্দ স্বামী এবং মধু প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সে বছর স্বাধীনতা দিবসে এটি মুক্তি পেয়েছিল। মণি রত্নম পরিচালিত ‘রোজা’ ছবিটি দর্শকদের মনে এক অন্য জায়গা করে নিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে দেখে নিন বলিউডের ৫টি দেশাত্মবোধক ছবি

    এই সিনেমায় দেখানো প্রতিটি গল্প এখনও প্রাসঙ্গিক। তাই তো সিনেমা মুক্তির এত বছর কেটে গেলেও এর রেশ এখনও বর্তমান। ছবির গল্প, সিনেমাটোগ্রাফি, অরবিন্দ স্বামী ও মধুর অভিনয়ের পাশাপাশি কাশ্মীরের প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। পরিচালক খুব সুন্দরভাবে কাশ্মীরের রূপকে তাঁর ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। শুধু তাই নয়, এই ছবির গানগুলোও সুপারহিট। সঙ্গীত রচয়িতা এ আর রহমান এই ছবির জন্য গানগুলোতে সুর দিয়েছিলেন। এইসব ছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে মণি রত্নম যেভাবে কাশ্মীরের পরিস্থিতি সাধারণ গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তা অসাধারণ। আর এই সিনেমা বিশেষ করে দেশপ্রেমকে ফোকাস করেই তৈরি করা হয়েছিল, তাই আজও দর্শকের কাছে এই সিনেমা অতুলনীয়।

    ‘রোজা’ ছিল প্রথম তামিল সিনেমা, যার মধ্যে দেশের রাজনীতি সম্পর্কে দেখানো হয়েছিল। আর এই ছবি থেকে অনুপ্রানিত হয়েই ‘বোম্বে’ এবং ‘দিল সে’ -এর মত  রাজনৈতিক সিনেমা তৈরি করা হয়। ছবিটি সমগ্র ভারতে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছিল। ছবিটি শুধুমাত্র তামিলনাড়ুতে নয়, উত্তর ভারতেও ব্যাপকভাবে হিট হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের দিন অবশ্যই দেখুন এই সিনেমাগুলি

    সিনেমাটি একাধিক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। সেরা পরিচালক হিসেবে মণি রত্নম পাঁচটি রাজ্য থেকে পুরস্কার পেয়েছেন।  সঙ্গীত রচয়িতা এ আর রহমানও পুরস্কার পেয়েছেন। ‘চিন্না চিন্না আসাই’- গানের জন্য শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে মিনমিনি ও অভিনেত্রী মধু এই ছবির জন্য বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন। সেই বছর এই সিনেমাকে সেরা সিনেমা হিসেবেও পুরস্কৃত করা হয়।  

     

  • Bilkis Bano Case: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় মুক্তি পেল দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন

    Bilkis Bano Case: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় মুক্তি পেল দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে (Bilkis Bano Gang Rape) এগারো জন দোষীকে জেল থেকে মুক্তি দিল গুজরাট সরকার। স্বাধীনতা দিবসের দিন গোধরা জেলের বাইরে বের হল গত ১৫ বছর ধরে জেলে থাকা বন্দিরা৷ গোধরা পরবর্তী হিংসায় (Gujarat Riots 2002) বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাদের। ২০০৮ সালে তাদের সকলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত।। কিন্তু গুজরাট সরকারের শাস্তি মকুবের নিয়ম (remission policy) অনুযায়ী, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার আবেদন করে দোষীদের একজন। এবং তারই ভিত্তিতে ওই ১১ জন দোষীকে গতকাল মুক্তি দেওয়া হল।

    সূত্রের খবর, দোষীদের মধ্যে এক জন সুপ্রিম কোর্টের কাছে মুক্তির আবেদন করে। তার ভিত্তিতে গুজরাট সরকারকে বিষয়টি দেখতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর কোর্টের নির্দেশ মতো গঠন করা হয় একটি কমিটি৷ তারপরেই গুজরাট সরকারের তরফে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। গুজরাট সরকারের ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্চমহলের জেলাশাসক সুজল মায়াত্রা। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারপরেই গুজরাট সরকারের তরফে রবিবার জানিয়ে দেওয়া হয়, দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে কাজ করাই জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, বললেন রাষ্ট্রপতি

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৭ ফ্রেবুয়ারি, গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের পর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় গোটা গুজরাট জুড়ে। এরপর ৩ মার্চ বারিয়া নামক গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। সেসময় গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানো-সহ তাঁর মা-বোনকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর বাকি সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এর পর তাঁর পরিবারের ১৪ জন-সহ ওই গ্রামের মোট ১৭ জনকে খুনও করা হয়। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালান ছয়জন। এই ঘটনার পরেও দীর্ঘদিন এর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরপর এই ঘটনায় ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তারপর ২০০৪ সালে ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। আমদাবাদে শুরু হয় শুনানি। কিন্তু সেখানে তদন্ত হলে, প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন বিলকিস। ফলে মামলাটি আমদাবাদ থেকে মুম্বইয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপর সিবিআই আদালত ২০০৮ সালে ওই ১১ জনকে যাবজ্জীবনের কারাদন্ডের দেয়। গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণ, হত্যা এবং বেআইনি জমায়েত ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয় অন্য সাত জনকে। আর শুনানি চলাকালীনই মৃত্যু হয় এক জনের। এরপর ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ক্ষতিপূরণবাবদ বিলকিসকে ৫০ লক্ষ টাকা, চাকরি এবং বাড়ি দিতে হবে বলে গুজরাট সরকারকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। 

  • Indian Army: ৩৮ বছর আগে নিখোঁজ! সিয়াচেনে বরফের নীচ থেকে উদ্ধার শহিদ জওয়ানের দেহ

    Indian Army: ৩৮ বছর আগে নিখোঁজ! সিয়াচেনে বরফের নীচ থেকে উদ্ধার শহিদ জওয়ানের দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৮ বছর পর সিয়াচেনে (Siachen) বরফের মাঝখান থেকে উদ্ধার হল হারিয়ে যাওয়া ভারতীয় জওয়ানের দেহ! ১৯৮৪ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন (Siachen) থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন এই জওয়ান। জানা গেছে, জওয়ানের নাম চন্দ্রশেখর হারবোলা (Chandrashekhar Harbola)। ১৯ কুমায়ুন রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন তিনি। রবিবার রানিক্ষেতের সৈনিক গ্রুপ সেন্টার মৃতদেহটিকে সনাক্ত করেছে।

    সূত্রের খবর, ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ২০ জন সদস্যের জওয়ানদের একটি দল পাঠানো হয়েছিল সিয়াচেনে। তিনি সেই দলেরই সদস্য ছিলেন ও অপারেশন মেঘদূত (Operation Meghdoot) নামে সেনার একটি বিশেষ অপারেশনের অংশ ছিলেন। সেনাসূত্রে খবর সিয়াচেনে টহলদারি করার সময় তুষারঝড়ের কবলে পড়ে ২০ জনের এই দলটি। বরফঢাকা সিয়াচেনের প্রতিকূল পরিবেশে তুষারঝড় থেকে প্রাণে বেঁচে ফেরেননি ২০ জনের কেউই। অতিকষ্টে ১৫ জন জওয়ানের দেহ উদ্ধার করা হলেও,  বাকি পাঁচজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে চন্দ্রশেখর হারবোলা ছিলেন একজন। এরপর ৩৮ বছর কেটে গেছে ও এরপর হঠাৎ একদিন বরফে ঢাকা একটি পুরনো বাঙ্কারে মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে আরও একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু সেই জওয়ানকে এখনও সনাক্ত করা যায় নি।

    চন্দ্রশেখর হারবোলার স্ত্রী শান্তি দেবী জানিয়েছেন, ১৯৮৪ সালের জানুয়ারিতে শেষবার বাড়ি এসেছিলেন। তিনি আরও জানান, চন্দ্রশেখর হারবোল যখন নিখোঁজ হয়েছিল তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর। বিয়ের নয় বছরের মাথায় তিনি স্বামীকে হারান। ১৯৮৪ সালে চন্দ্রশেখর হারবোলের নিখোঁজ হওয়ার সময় দুই মেয়েও ছিল খুব ছোট। একটির বয়স ছিল চার, আরেকটির দেড় বছর। শান্তি দেবী আর বিয়ে করেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন তাঁর স্বামীর আত্মত্যাগের জন্য তিনি গর্বিত।

    শান্তি দেবী বর্তমানে সরস্বতী বিহার কলোনিতে থাকেন। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার চন্দ্রশেখর হারবোলের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। হালদওয়ানির সাব-কালেক্টর মনীশ কুমার এবং তহসিলদার সঞ্জয় কুমা জানিয়েছেন, মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছনোর পর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।

     

  • Independence Day 2022: ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে ভারতের সংগ্রামী যোদ্ধাদের সেরা কিছু উক্তি একনজরে দেখে নিন

    Independence Day 2022: ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে ভারতের সংগ্রামী যোদ্ধাদের সেরা কিছু উক্তি একনজরে দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত জুড়ে পালিত হচ্ছে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। দেশের সব প্রান্তে তেরঙা পতাকা উড়িয়ে এই বিশেষ দিনটি আড়ম্বরের সাথে পালন করে সাধারণ মানুষ। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে চলছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। তারই একটি হল আজাদি কা অমৃত মহোৎসব (Azadi Ka Amrit Mahotsav)। এই অনুষ্ঠান পালন করতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

    অনেক সংগ্রাম, রক্তক্ষয় ও অশ্রুজলের মধ্যে দিয়ে প্রায় দুশো বছরের পর পরাধীনতার হাত থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। বহু ভারতীয়ের দীর্ঘ এবং কঠিন সংগ্রামের পর ১৯৪৭ সালের ১৫ ই অগাস্ট আমাদের দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ব্রিটিশদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। সেই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান কখনও ভোলার নয়। স্বাধীনতা দিবসের মত এই বিশেষ দিনে এমনই কিছু বীরের উক্তি মনে করা যাক একনজরে।

    “নির্দয় সমালোচনা এবং স্বাধীন চিন্তা, বিপ্লবী চিন্তার দুটি প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য।” – ভগৎ সিং

    “চোখের বদলে চোখ সমগ্র বিশ্বকে অন্ধ করে দেবে।” – মহাত্মা গান্ধী

    “পুঁজিবাদী সমাজের শক্তিগুলিকে যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে ধনীরা আরও ধনী এবং দরিদ্ররা আরও দারিদ্রতার স্বীকার হবে।” – জওহরলাল নেহরু

    “কোনো সম্প্রদায়ের অগ্রগতি আমি সেই সম্প্রদায়ের নারীর অগ্রগতির নিরিখে পরিমাপ করি।” – ভীম রাও আম্বেদকর

    “অন্যায় ও অন্যায়ের সাথে আপস করাটাই যে সবচেয়ে বড় অপরাধ, একথা ভুললে চলবে না। এই চিরন্তন সত্যি মনে রাখবে: কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবেই।” – সুভাষ চন্দ্র বসু

    “শত্রুর গুলির সম্মুখীন আমরাই হব, স্বাধীন ছিলাম, স্বাধীনই থাকবো” – চন্দ্র শেখর আজাদ

    “আমাদের হৃদয় ত্যাগের আবেগে পূর্ণ, খুনীদের বাহুতে কতটা জোড়, সেটাই দেখার বিষয়” – রামপ্রসাদ বিশমিল

    “স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার এবং আমি সেটা অর্জন করবই” – বাল গঙ্গাধর তিলক

    “আমরা গভীর আন্তরিকতা, বক্তৃতায় আরও সাহস এবং কর্মে আন্তরিকতা চাই।” – সরোজিনী নাইডু

    “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
        জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
        আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী
        বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি,
        যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে
        উচ্ছ্বসিয়া উঠে, যেথা নির্বারিত স্রোতে
        দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায়
        অজস্র সহস্রবিধ চরিতার্থতায়,
        যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি
        বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি,
        পৌরুষেরে করে নি শতধা, নিত্য যেথা
        তুমি সর্ব কর্ম চিন্তা আনন্দের নেতা,
        নিজ হস্তে নির্দয় আঘাত করি, পিতঃ;
        ভারতেরে সেই স্বর্গে করো জাগরিত॥” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

LinkedIn
Share