Author: শুভদীপ কর্মকার

  • Atk Mohun Bagan vs East Bengal: ফের ২-০ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল, ডার্বি জয়ের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়লেন সবুজমেরুন সমর্থকরা

    Atk Mohun Bagan vs East Bengal: ফের ২-০ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল, ডার্বি জয়ের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়লেন সবুজমেরুন সমর্থকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই নিয়ে টানা সপ্তম ডার্বি ম্যাচ (Derby match) হারলেন ইস্টবেঙ্গল দল। ২-০ গোলে জিতল মোহনবাগান (Mohun Bagan), এ বারও ভাগ্য ফিরল না ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। এবারের ডার্বি যে একতরফা হবে না তা নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিফেন। কিন্তু  তা সত্ত্বেও অনেক বিশেষজ্ঞ এবছরের আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানকেই এগিয়ে রেখেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা যে ভুল ছিল না, প্রমাণ করে দিল সবুজমেরুণ ফুটবলাররা।
    দু’মাস আগেও অল্পের জন্য হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলের ডার্বি ম্যাচে (Derby match) কিছুতেই ভাগ্য বদল হচ্ছে না লাল হলুদের।
    প্রথম ম্যাচে মোহনবাগানের হার দেখে অনেক সমর্থকই শাপশাপান্ত করছিলেন কোচ জুয়ান ফেরান্দোকে। কেন তিনি রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামসকে ছেড়ে দিলেন? গোল করবেন কে? শনিবারের পর থেকে মনে হয় না সেই আওয়াজ আর উঠবে। ফেরান্দো বার বার বলেছেন, তাঁর দলে গোল করার লোক অনেক।
    আজকের ম্যাচের শুরু থেকে দাপট ছিল মোহনবাগানের (East Bengal Vs MohunBagan)। প্রথম ১৫ মিনিট আক্রমণে ঝড় তুলেছিলেন হুগো বুমোসরা। ৫ মিনিটে প্রথম গোল করার সুযোগ এসেছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে। বাঁদিক থেকে ঢুকে মাপা মাইনাস করেছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।ওভারল্যাপে উঠে আসা শুভাশিসের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর রক্ষণাত্মক মানসিকতা ঝেড়ে ফেলে আক্রমণে উঠে আসে ইস্টবেঙ্গল। ১৫ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত লালহলুদ। বাঁদিক থেকে মহেশ সিং বাঁদিক থেকে মাপা সেন্টার করেন। শরীর বাঁকিয়ে দুরন্ত হেড করেন সেমবই হাওকিপ। বল গোলে ঢোকার মুখে ঝাঁপিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচান এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। ২৩ মিনিটে জর্ডনকে নিজেদের বক্সের মধ্যে ফেলে দেন এটিকে মোহনবাগানের আশিস রাই। পেনাল্টির আবেদন করেছিলেন জর্ডন। রেফারি শ্রীকৃষ্ণ কর্ণপাত করেননি।
    ম্যাচের ৩১ মিনিটে গোল করার সুযোগ এসেছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে (East Bengal Vs MohunBagan)। হুগো বুমোস বক্সের মধ্যে তিনজনকে ড্রিবল করেও গোলে রাখতে পারেননি। ৪২ মিনিটে বক্সের মধ্যে ক্লেইটন সিলভাকে ফেলে দেন প্রীতম কোটাল। ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি পেতে পারত। রেফারি আবার এড়িয়ে যান। ৪৫ মিনিটে হুগো বুমোস একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দুর্বল শট ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কমলজিতের হাতে চলে যায়। গোলের জন্য জুয়ান ফেরান্দোর অন্যতম ভরসা ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। প্রথমার্ধে একেবারেই নিস্প্রভ ছিলেন সবুজমেরুণের এই স্ট্রাইকার। তাঁকে বল ধরার সুযোগ দিচ্ছিলেন না জর্ডন ডোহার্টি। ফলে সবুজমেরুণের গোলও আসেনি।

    [tw]


    [/tw]

    দ্বিতীয়ার্ধে পুরো অন্য ছবি। শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এটিকে মোহনবাগান (East Bengal Vs MohunBagan)। হুগো বুমোসের নেতৃত্বে একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল। এরই মাঝে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কমলজিতের ভুলে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। ৫৬ মিনিটে অবশেষে সেই কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে অনেকটা এগিয়ে যান হুগো বুমোস। কিরিয়াকু বাধা দিতে এগিয়ে যাননি। ফলে বিনা বাধায় এগিয়ে গিয়ে শট নেন হুগো বুমো। বল কমলজিতের সামনে ড্রপ খেয়ে হাতে লেগে গোলে ঢুকে যায়।

    এগিয়ে গিয়ে মনোবল বেড়ে যায় এটিকে মোহবাগান ফুটবলারদের। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় (East Bengal Vs MohunBagan)। ৬৫ মিনিটে পেত্রাতোসের সঙ্গে ওয়াল খেলে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন হুগো বুমোস। একজন লালহলুদ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে মনবীরের কাছে যায়। তাঁর শট আর এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। পরের দিকে অ্যালেক্স লিমা, এলিয়ান্দ্রোকে নামিয়েও কাজের কাজ হয়নি। ইস্টবেঙ্গলের কাছে একটাই সান্তনা ম্যাচের ইনজুরি সময়ে তুহিন দাসের একটা শট পোস্টে লাগা। যা এটিকে মোহনবাগানে গোলকিপার বিশাল কাইথের হাতে লেগে বল পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়।

    এ দিন ইস্টবেঙ্গল বনাম এটিকে মোহনবাগান ম্যাচ (East Bengal Vs MohunBagan) শুরু হয় সন্ধে ৭.৫০ মিনিটে। ২০ মিনিট পিছিয়ে যায় ম্যাচ। হায়দরাবাদ বনাম গোয়া ম্যাচে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ার কারণে ম্যাচটি বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল। এই ম্যাচে দেরিতে শেষ হওয়ায় ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগানের ডার্বিও শুরু হতে কিছুটা বেশি সময় লাগে। সম্প্রচারের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • India beat Netherlands: ফের দুর্দান্ত ইনিংস কোহলির, ৫৬ রানে নেদারল্যান্ডকে হারাল ভারত

    India beat Netherlands: ফের দুর্দান্ত ইনিংস কোহলির, ৫৬ রানে নেদারল্যান্ডকে হারাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়ের মাধ্যমে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) শুরু করার পর আজ নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে জয়ের ধারা অব্যহত রাখল মেন ইন ব্লু। যদিও এই ম্যাচের ফলাফল সম্পর্কে সকলেই প্রায় নিশ্চিত ছিল। নেদারল্যান্ডকে এই ম্যাচ হারানোর ফলে গ্রুপ ২ এর শীর্ষ স্থানে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় দল আর দুটি ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পারবে। আজ ম্যাচের শুরুতেই ভারত টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।

    সিডনির একই মাঠে পরপর দুটো ম্যাচ।ফলে ২০ ওভারের ক্রিকেটের প্রত্যাশিত ছন্দে শুরু করতে পারেননি রোহিত, লোকেশ রাহুলরা। তার উপর রাহুল আউট হলেন ৯ রানে। ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক অবশ্য আউট ছিলেন না। আম্পায়ার আউট দিলেও অধিনায়ক রোহিতের পরামর্শে রিভিউ না নিয়েই সাজঘরে ফিরে যান রাহুল। পরে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পের বাইরে ছিল।ভারতীয় ইনিংসের প্রথম কয়েক ওভার তেমন রান ওঠেনি। আট-নয় ওভার থেকে হাত খুলতে শুরু করেন ভারতীয় ব্যাটাররা। মন্থর উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে পারলেন না নেদারল্যান্ডসের বোলাররা।

    [tw]


    [/tw]

    রোহিত, কোহলিরা চেনা মেজাজে ব্যাট করলেন। তাঁরা দু’জন ছাড়াও অর্ধশতরান এল সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট থেকেও। রোহিত করলেন ৩৯ বলে ৫৩ রান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে চারটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি। মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে মেজাজে ছিলেন, সিডনিতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও সেই মেজাজে দেখা গেল প্রাক্তন অধিনায়ককে। এই ম্যাচেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন কোহলি। ৪৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলার পথে মারলেন তিনটি চার এবং দু’টি ছক্কা। প্রতিপক্ষ তুলনায় দুর্বল হলেও কোহলির চোখে-মুখে ছিল চেনা সংকল্পের ছাপ।

    রোহিত আউট হওয়ার পর চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সূর্যকুমার যাদব। প্রত্যাশা মতো প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করলেন সূর্যকুমার। তিনি নামার পর বেশ খানিকটা বাড়ল ভারতের রান তোলার গতিও। সূর্যকুমারও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ২৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে।ভারতীয় ব্যাটারদের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের বোলারদের কেউই তেমন সুবিধা করতে পারলেন না। নেদারল্যান্ডসের সফলতম বোলার পল ভ্যান মিকিরেন ৩২ রানে ১ উইকেট নিলেন। ফ্রেড ক্লাসেন ১ উইকেট পেলেন ৩৩ রান দিয়ে।

    [tw]


    [/tw] 

    জয়ের জন্য ১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাধ্য মতো লড়াই করল স্কট এডওয়ার্ডসের দল।তবে, প্রথমে অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের দাপটে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ডাচরা। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস করলেন ৫ রান। সর্বোচ্চ ২০ রান টিম প্রিঙ্গলের। ১৭তম ওভারে পরপর দুই বলে উইকেট নেন অর্শদীপ সিং। দুটি করে উইকেট ভাগ করে নিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল, ভুবনেশ্বর কুমার, অর্শদীপ সিং। একটি উইকেট নেন মহম্মদ সামির। অবশেষে ভারতের দেওয়া ১৭৯ রান তাড়া করতে নেমে ১২৩ রানেই গুটিয়ে গেল ডাচরা।

    গত মঙ্গলবার অনুশীলনের পর খাবার ‘অযোগ্য’ এবং ‘অপর্যাপ্ত’ মধ্যহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল সিডনির আয়োজকদের পক্ষে। না খেয়েই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন রোহিত, কোহলিরা। তাতেও যে ভারতকে দমানো যায় না, তা মাঠে নেমে প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

    তুলনায় দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও কোনও পরীক্ষা নিরীক্ষার পথে যায়নি ভারতীয় দল। পাকিস্তান ম্যাচের প্রথম একাদশে কোনও পরিবর্তন করেনি। উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাননি কোচ রাহুল দ্রাবিড়। ভারতের পরবর্তী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Akshata Murty: রোজগেরে স্বামীর থেকে পিছিয়ে নেই সুনক-পত্নী! তিনটি কোম্পানির দায়িত্ব তাঁর কাঁধে

    Akshata Murty: রোজগেরে স্বামীর থেকে পিছিয়ে নেই সুনক-পত্নী! তিনটি কোম্পানির দায়িত্ব তাঁর কাঁধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (UK) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। চলতি মাসের ২৮ তারিখ অর্থাৎ আগামীকালই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিনি। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) এবং তাঁর স্ত্রী অক্ষত মূর্তির সম্মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সম্পত্তির পরিমাণকেও। তবে আরও জানা গিয়েছে যে, ঋষি সুনকের স্ত্রী অক্ষত-এর একারই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তাঁর কাঁধে রয়েছে তিনটি কোম্পানির দায়িত্ব।

    অক্ষত মূর্তি-র LinkedIn-এ লেখা রয়েছে, The capital and private equity firm Catamaran Ventures, The gym chain Digme Fitness ও The gentlemen’s outfitters New & Lingwood – এই তিনটি কোম্পানিরই ডিরেক্টর অক্ষত মূর্তি। এছাড়াও ইনফোসিসেও তাঁর শেয়ার রয়েছে। অক্ষত মূর্তির বাবা এনআর নারায়ণ মূর্তি ছিলেন Infosys -এর কো-ফাউন্ডার। ফলে ইনফোসিসে অক্ষত মূর্তির শেয়ার রয়েছে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার যা কিনা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৭৯৩ কোটি।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ রাজা-রানির থেকেও বেশি!

    Catamaran Ventures

    অক্ষত মূর্তির (Akshata Murty) মূল ব্যবসা হল Catamaran Ventures। এটিও পারিবারিক ব্যবসা। এটি মূলত বেঙ্গালুরুভিত্তিক একটি কোম্পানি। ২০১৩ সালের মে মাস থেকেই এই কোম্পানির ডিরেক্টর তিনি। তিনি ব্রিটিশ শাখার একমাত্র পরিচালক এবং শেয়ারহোল্ডার৷ ভারতে এই সংস্থার প্রায় ১৫ জন কর্মী রয়েছেন। ক্যাটামারানের মাধ্যমে মূর্তির অন্তত ছয়টি ব্রিটিশ কোম্পানিতে সরাসরি মালিকানা রয়েছে – ডিগমে ফিটনেস, জেমি’স ইতালিয়ান, জেমি’স পিজারিয়া, নিউ অ্যান্ড লিংউড, সোরোকো এবং ওয়েন্ডি’স। ডিগমে ফিটনেস এবং নিউ অ্যান্ড লিংউড কোম্পানিরও তিনি পরিচালক।

    Digme Fitness

    ২০১৭ সালে মূর্তি লন্ডন-ভিত্তিক ফিটনেস কোম্পানি ডিগমেতেও একজন পরিচালক মূর্তি এবং তিনি ৪.৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক (Akshata Murty)। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুসারে, এটি হোম প্রোগ্রাম ছাড়াও ব্যাংক, কভেন্ট গার্ডেন, মুরগেট এবং রিচমন্ডের স্টুডিওতে ফিটনেস প্রোগ্রাম অফার করে।

    New & Lingwood

    ২০১৭ সাল থেকে নিউ অ্যান্ড লিংউডের পরিচালক তিনি (Akshata Murty)। কোম্পানির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে, নিউ অ্যান্ড লিংউড হল একটি ব্রিটিশ হেরিটেজ ব্র্যান্ড যার চারটি স্টোর আমেরিকা এবং নিউইয়র্কে এবং একটি পপ-আপ মেরিলেবোনে রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, একটি সংবাদ মাধ্যমের তরফে করা সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের ভাবী প্রধানমন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ১.৩ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার। ব্রিটেনের ২২২তম ধনীতম বাসিন্দার তালিকায় রয়েছেন সুনক দম্পতিও (Rishi Sunak) (Akshata Murty)। সেই তুলনায় প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সম্পত্তির পরিমাণ কম। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৬৬ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার।

  • Sukumar Ray: ‘হ য ব র ল’ এর রচয়িতার জন্মদিন আজ, জানুন তাঁর জীবন কথা

    Sukumar Ray: ‘হ য ব র ল’ এর রচয়িতার জন্মদিন আজ, জানুন তাঁর জীবন কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানের শৈশব আটকে রয়েছে স্মার্টফোনের (Smart Phone) গেম এবং ইউটিউবের (Youtube) কার্টুনে। কিন্তু যখন স্মার্টফোন ছিল না, ইউটিউবের এত চল ছিল না, তখনকার শৈশবে বেশ কিছু বন্ধু ছিল। কিছু বন্ধু আমাদের সঙ্গে স্কুলে যেত, কিছু বন্ধু একসঙ্গে ডাংগুলি, লুকোচুরি, ক্রিকেট খেলতো। আর কিছু বন্ধু ছিল কাল্পনিক। শৈশবের এক বন্ধু ৪১ নম্বর গেছোবাজার কাগেয়াপট্টি-র বাসিন্দা।

    শ্রী কাকেশ্বর কুচকুচের কথা আমাদের নিশ্চয়ই এখনও মনে আছে। আমরা ভুলিনি সেই চন্দ্রবিন্দু নামের অদ্ভুত মোটাসোটা লাল টকটকে বিড়ালটাকে। যে কথায় কথায় এক চোখ বন্ধ করে বিশ্রী রকমের হাসি হাসতো ফ্যাচফ্যাচ করে। কিংবা ধরুন ওই হিজিবিজবিজ-এর কথা।  বিদঘুটে দেখতে এই জন্তুটি যা খুশি কল্পনা করে আর সেগুলো ভেবে ভেবে হেসে গড়িয়ে পড়ে। পাগলা দাশুর কথা শুনতে শুনতে তো হেসে লুটিয়ে পড়ে না এমন মানুষ খুব কম আছেন। বিশেষত নাটকের স্ক্রিপ্টের বাইরে গিয়ে যখন দাশু বলে ‘আবার সে আসিয়াছে ফিরে’। নন্দলাল কে তো আজও ভুলিনি আমরা। বেচারার কপালটা সত্যিই মন্দ। এদের নিয়েই অনেকের শৈশব কেটেছে। স্রষ্টার নাম নিশ্চয়ই আলাদা ভাবে মনে করাতে হবে না। আজ তাঁর জন্মদিন। আবোলতাবোল, হযবরল-র রচয়িতা বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায় (Sukumar Ray) ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায় ও বিধুমুখী দেবীর পুত্র। তাঁরা ছিলেন পাঁচ ভাই-বোন। সুখলতা, পুণ্যলতা ও শান্তিলতা নামের তিন বোন এবং সুবিনয় রায় ও সুবিমল রায় নামের দুই ভাই।

    সুকুমার রায়ের (Sukumar Ray) জন্ম ১৮৮৭ সালের ৩০শে অক্টোবর কলকাতার এক দক্ষিণ রাঢ়ীয় কায়স্থ বংশীয় ব্রাহ্ম পরিবারে। পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায় ছিলেন বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক‌। এই অসামান্য প্রতিভার যোগ্য উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ‘পাগলা দাশু’ চরিত্রের স্রষ্টা। সুকুমার রায়ের মা বিধুমুখী দেবী ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা। সুকুমার রায়ের আদিনিবাস বর্তমান বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলা) কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামে। মসূয়াতে বসবাসের আগে তাঁর পূর্বপুরুষের আদিনিবাস ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার অন্তর্গত চাকদহে৷ চিত্রশিল্পী হিসেবেও তিনি অসাধারণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। শিশু সাহিত্যের বইগুলির চিত্র তিনি নিজেই আঁকতেন। ছাত্রাবস্থায় অসাধারণ মেধাবী এই ছাত্র কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯০৬ সালে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় বি.এস.সি. (অনার্স) করার পর মুদ্রণবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য ১৯১১ সালে বিলেতে যান। সেখানে তিনি আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন এবং ভারতের অগ্রগামী আলোকচিত্রী ও লিথোগ্রাফার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ভারতে ফিরে আসেন ১৯১৩ সালে। উপেন্দ্রকিশোর রায় ছোটদের মাসিক পত্রিকা ‘সন্দেশ’ চালাতেন। সুকুমার রায় দেশে ফেরার কিছুদিনের মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর রায় প্রয়াত হলে, ‘সন্দেশ’ পত্রিকার দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নেন সুকুমার রায়। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াকালীন তিনি ‘ননসেন্স সংঘ’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যার মুখপত্রের নাম ছিল ‘সাড়ে বত্রিশ ভাজা’।

    সুকুমার রায় (Sukumar Ray) ‘অতীতের কথা’ নামক একটি কাব্য রচনা করেছিলেন, যা ব্রাহ্ম সমাজের ইতিহাসকে সরল ভাষায় উপস্থাপন করেছিল – ছোটদের মধ্যে ব্রাহ্ম সমাজের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এই কাব্যটি একটি পুস্তিকার আকারে প্রকাশ করা হয়। ১৯২৩ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে এই বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক পরলোক গমন করেন। কালাজ্বর রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। দুঃখের কথা তখনও অবধি কালাজ্বর রোগের টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। পিতা সুকুমার রায়ের মৃত্যুর ঠিক দু বছর আগে ১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সুযোগ্য সন্তান সত্যজিৎ রায় যিনি পরবর্তীকালে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা বাঙালি হয়েছিলেন এবং জিতেছিলেন অস্কার।

    আরও পড়ুন: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • RSS: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ  

    RSS: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজে বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না আরএসএস (RSS)। এ কথা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar)। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু (Minority-Majority) এই বিভাজনে বিশ্বাস করে না সংঘ। এই দেশের নাগরিকরা সবাই সমান। আমাদের পূর্বপুরুষরা যে এক সেকথা সরসংঘচালকজি (মোহন ভাগবত) বহু বার বলেছেন। তিনি এও বলেছেন, আমাদের ডিএনএ এক, ইতিহাসও এক। সুনীল বলেন, সেই কারণে আমরা প্রত্যেককেই নিজের বলে মনে করি। তাই আমরা প্রত্যেকের জন্য এবং প্রত্যেকের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে প্রস্তুত।

    সন্ত্রাসবাদ যে দেশের পক্ষে বড় বিপদ, এদিন তাও জানিয়ে দেন সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ। তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তারা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। আমাদের দেশকে এদের সঙ্গেই যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এই শক্তিকে পরাস্ত করতে আমাদের পুলিশ ও সশস্ত্র নেতা প্রতিটি পদক্ষেপ নিচ্ছে। এটা সন্ত্রাসবাদ এবং আইনশৃঙ্খলার ব্যাপার। আমাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনা এদের সঙ্গে লড়ছে।

    আরএসএসের (RSS) এই নেতা বলেন, সংঘ সমতা ও ঐক্যের জন্য কাজ করে। এজন্য আমরা অবিরাম কাজ করে চলেছি। সমাজের সর্বস্তরের মানুষই স্বয়ংসেবক হচ্ছেন। আর এই স্বয়ংসেবকরা পৌঁছে যাচ্ছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে। তিনি বলেন, সর্ব প্রথম তাঁদের সমান সুযোগ দিতে হবে। এটা করতে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রত্যেকে যাতে পরস্পরকে চেনেন, জানেন, সেজন্যও আমরা অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি জেলায় সামাজিক সদ্ভাব বৈঠকের আয়োজন করে চলেছি। আমাদের স্বয়ংসেবকরা সমাজের সঙ্গে কাজ করছে। অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যাতে কেউ নিজেকে অসহায় মনে না করেন অথবা কারও কোনও অভাব না থাকে। তিনি বলেন, স্বয়ংসেবকরা বহুমুখী কাজ করছেন যাতে করে সাম্যের পরিবেশ গড়ে ওঠে, সবাই সমান সুযোগ পান।  

    আরও পড়ুন: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    ২০২৫ সালে শতবর্ষপূ্র্তি পালন করবে সংঘ (RSS)। সে প্রসঙ্গে সুনীল আম্বেকর বলেন, সবার কল্যাণার্থে সংঘ যেসব কাজ করছে, তার সুফল যাতে সবাই ভোগ করতে পারেন, সেজন্য দেশের সর্বত্র আমাদের উপস্থিতি প্রয়োজন। ২০২৪ সালের মধ্যে তা করাই আমাদের লক্ষ্য। তার আগে পর্যন্ত আমাদের স্বয়ংসেবকরা দ্রুত সেই সব জায়গায় পৌঁছে যাবেন, যেখানে আমাদের উপস্থিতি নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CTET 2022: কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির জন্য ‘সি-টেট’ এর দরখাস্ত নেওয়া শুরু ৩১ শে অক্টোবর থেকে

    CTET 2022: কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির জন্য ‘সি-টেট’ এর দরখাস্ত নেওয়া শুরু ৩১ শে অক্টোবর থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ তম সেন্ট্রাল টেট পরীক্ষার দরখাস্ত নেওয়া শুরু হবে ৩১ শে  অক্টোবর ২০২২ থেকে। চলবে ২৪ শে নভেম্বর অবধি। এই পরীক্ষার দ্বারা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয় ও তিব্বতী স্কুল গুলিতে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর স্তর অবধি শিক্ষক- শিক্ষিকা হওয়া যাবে। কয়েক শো’ শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে এই পরীক্ষার দ্বারা।

    যোগ্যতা

    নিম্নলিখিত গুলির মধ্যে যে কোনো একটি যোগ্যতা থাকলেই এই পরীক্ষায় বসা যাবে।

    প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ক্ষেত্রে

    ১) মোট অন্তত ৫০% ( তপশিলি , ওবিসি দের জন্য ৪৫%) নম্বর পেয়ে যেকোন শাখার উচ্চমাধ্যমিক পাশরা  ২ বছরের ডি এল এড   কোর্স পাশ হলে।

    ২) মোট ৫০ শতাংশ নম্বর সহ ( তপশিলি , ওবিসি দের জন্য ৪৫%) যে কোন শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাশরা ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ( স্পেশাল এডুকেশন) এর ২ বছরের কোর্স পাশ হলে অথবা পাঠরত থাকলে।

    ৩) যে কোন শাখার গ্রাজুয়েটরা বিএড কোর্স পাশ হলে বা পাঠরত থাকলে।

     ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর ক্ষেত্রে 

    ১) ডিগ্রি কোর্স পাশরা ,এলিমেন্টারি এডুকেশন এর উপর ২ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স পাশ বা এ বছরের ফাইনাল পরীক্ষার্থী হলে।
    ২) মোট অন্তত ৫০% ( তপশিলি , ওবিসি দের জন্য ৪৫%) নম্বর সহ ডিগ্রি কোর্স পাশরা ১ বছরের বিএড কোর্স পাশ হলে।

    ৩) মোট অন্তত ৫০% নম্বর সহ  উচ্চমাধ্যমিক পাশরা চারবছরের বিএ/বিএসসি (এড)/ করে থাকলে।

    এবছরের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার্থীরাও এই পরীক্ষার জন্য যোগ্য হবে। যদি ঐ একই শতাংশ নম্বর পাওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত থাকেন।

    পরীক্ষা হবে কলকাতা, দুর্গাপুর, আগরতলা ,গ্যাংটক, সম্বলপুর, ভুবনেশ্বর, রাঁচি, ধানবাদ, বোকারো, শিলচর, গুয়াহাটি ,পাটনা এবং গয়া তে। প্রশ্ন হবে বাংলা ,ইংরেজি, হিন্দি ,অসমীয়া সহ দেশের কুড়িটি আঞ্চলিক ভাষায়। যেকোনো দুটি ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। আড়াই ঘন্টার এই পরীক্ষা হবে সকাল সাড়ে নটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত। দ্বিতীয় পেপারে আবার আড়াই ঘন্টার পরীক্ষা হবে। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। নেগেটিভ মার্কিং নেই। এমসিকিউ প্রশ্ন আসবে। পরীক্ষা হবে দেড়শো নম্বরের। বিস্তারিত তথ্য পেতে ক্লিক করুন এই ওয়েবসাইটে www.ctet.nic.in

  • Saradha Scam: ৯ নভেম্বর নিলামে সারদা-র সম্পত্তি, আপনার টাকা আছে?

    Saradha Scam: ৯ নভেম্বর নিলামে সারদা-র সম্পত্তি, আপনার টাকা আছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে সারদাকাণ্ড (Saradha scam)। চিটফান্ড সংস্থা সারদার বেআইনিভাবে তোলা অর্থ উদ্ধার করতে সম্পত্তি নিলাম করা হবে, তা আগেই জানা গিয়েছিল, তবে এই নিলামের দিন আরও বাড়িয়ে দেওয়া হল। এর আগে জানা গিয়েছিল, ১ নভেম্বর সারদার সম্পত্তির নিলাম করা হবে। কিন্তু পরে বাজার নিয়ামক সংস্থা সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া-র (সেবি) তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, চলতি বছরের ৯ নভেম্বর সম্পত্তির ই-নিলাম করা হবে।

    এই নিয়ে দুবার নিলামের দিন পিছিয়ে দেওয়া হল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবার উৎসবের মরশুম এবং আগের নির্ধারিত নিলামের দিনে ব্যাংক ছুটির কারণে অগ্রিম (আর্নেস্ট মানি ডিপোজিট) জমা দেওয়ার জন্য আরও সময় চেয়ে বিডারদের স্বার্থ বিবেচনা করে, দিন  বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ই-নিলামের (Saradha scam) শেষ তারিখ ৯ নভেম্বর, সেবি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, নিলামের ডাকে অংশ নিতে অগ্রিম জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩ নভেম্বর।

    সারদা মামলায় (Saradha scam) এখনও বহু আমানতকারী টাকা ফেরত পায়নি। সেই সমস্ত আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট সারদা মামলা পাঠায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শৈলেন্দ্রপ্রসাদ তালুকদারের কমিটির কাছে। সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পরেই তদন্ত করেছে সিবিআই, ইডি এবং রাজ্যের একাধিক তদন্তকারী সংস্থা। এই সমস্ত তদন্তকারী সংস্থার হাতে সারদার টাকা এবং সম্পত্তি আছে। সেই সমস্ত অর্থ এবং সম্পত্তি তালুকদার কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আবেদনকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, বিচারপতি আইপি মুখার্জি এবং বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে এই সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজার নিয়ামক সংস্থা সেবির মাধ্যমে বিক্রি করবে তালুকদার কমিটি। এরপর সেই টাকা আমানতকারীদের ফেরাতে পদক্ষেপ নেবে কমিটি।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সারদা গ্রুপ অফ কোম্পানির (Saradha scam) ৬৯টি সম্পত্তি নিলাম করা হবে। সবমিলিয়ে এগুলির সর্বনিম্ন দাম ৩০ কোটি টাকা। এই সম্পত্তিগুলি পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে ছড়িয়ে আছে। বেআইনি প্রকল্পের মাধ্যমে সারদা জনগণের কাছ থেকে যে অর্থ সংগ্রহ করেছে, তা উদ্ধার করতেই সেবি-র এই উদ্যোগ। এছাড়াও সেবি C1 ইন্ডিয়াকে ই-নিলাম প্রদানকারী হিসাবে নিয়োগ করেছে ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং ই-নিলাম Quikr Realty-র মাধ্যমে পরিচালিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আবার বিডারদের তাদের বিড জমা দেওয়ার আগে নিলামে রাখা সম্পত্তির দায়বদ্ধতা, মামলা, সংযুক্তি, অধিগ্রহণের দায় সম্পর্কে তাদের নিজস্ব তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে।  

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের আগে পর্যন্ত সক্রিয় ছিল এই চিটফান্ড  সংস্থা (Saradha scam)। সারদা গ্রুপ অফ কোম্পানি, ২৩৯ টিরও বেশি বেসরকারী সংস্থার একটি কনসোর্টিয়াম, খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় ১৭ লাখ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সারদা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল এই সংস্থা। ঘটনায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির নামও জড়ায়। তদন্তভার হাতে নিয়ে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

     

  • Akash Pradip: “আকাশ প্রদীপ জ্বলে…”, জানেন কার্তিক মাসে কেন জ্বালানো হয় এই প্রদীপ?

    Akash Pradip: “আকাশ প্রদীপ জ্বলে…”, জানেন কার্তিক মাসে কেন জ্বালানো হয় এই প্রদীপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে গাওয়া, ‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরের তারার পানে চেয়ে’ গানটি বাঙালির এক নস্টালজিয়া। এই ‘আকাশ প্রদীপ’ (akash Pradip) কয়েক বছর  আগেও কার্তিক মাসে বাংলার ঘরে ঘরে জ্বলে উঠত। এখন অবশ্য আধুনিকতার ছোঁয়ায় লোকাচার যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও গ্রাম বাংলায় কার্তিক মাসের হালকা শীতের চাদর মোড়ানো সন্ধ্যায় সন্ধান পাওয়া যায় ‘আকাশ প্রদীপ’ এর। পুরাণ মতে , দীর্ঘ চার মাসের যোগনিদ্রা শেষে, কার্তিক (Kartik) মাসে জেগে ওঠেন ভগবান বিষ্ণু। তাঁকে প্রসন্ন রাখতে, ভক্তরা কার্তিক মাসের প্রথম দিন থেকে সংক্রান্তির দিন পর্যন্ত, প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় মাটির প্রদীপ ঘি বা তেল দিয়ে জ্বালিয়ে রাখেন। বাড়ির সব থেকে উঁচু স্থানে উত্তর অথবা পূর্ব দিকে মুখ করে রেখে এই প্রদীপ জ্বালানো হয়। লাঠির ডগায় ছাদের উপরেও এই প্রদীপ দিতে দেখা যায়। বর্তমান সময়ে প্রদীপের বদলে বৈদ্যুতিক বাতিও দেন অনেকে। বিশ্বাস, ভক্তদের আকাশ প্রদীপ অর্পণে সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণু তাঁদের মনস্কামনা পূরণ করেন। সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে ভক্তদের জীবন। আরোগ্য ও আশীর্বাদ প্রদান করেন ভগবান বিষ্ণু।

    অন্য একটি কিংবদন্তি মতে, আশ্বিন মাসের মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়। তার পরের একটি মাস তাঁরা আনন্দ উৎসবে সামিল হন এবং পরলোকের উদ্দেশ্যে গমন করেন কালী পূজার অমাবস্যায়। এই প্রদীপ (akash Pradip) জ্বেলে আবাহন করা হয় পিতৃলোকে, প্রেতলোকে অবস্থান করা পূর্বপুরুষদেরও। যাতে তাঁরা আকাশ প্রদীপের আলোয় পথ চিনে আশীর্বাদ দিতে আসতে পারেন উত্তরসূরীদের।

    প্রদীপ হিন্দু ধর্মের যে কোনও অনুষ্ঠানের সব থেকে অপরিহার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ধর্মীয় আচার, রীতি সবকিছুই সম্পন্ন হয় প্রদীপের দ্বারা। ভগবান বিষ্ণুর বন্দনা করতে তাই বেছে নেওয়া হয়েছে ‘আকাশ প্রদীপ’ (akash Pradip)। ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে সমর্পিত এই প্রদীপের ধরন আলাদা আলাদা হয় এবং তা ভক্তদের নানা মনোবাসনা পূরণের লক্ষ্যে জ্বালানো হয়। একনজরে আমরা দেখে নিই আকাশ প্রদীপের ধরন গুলি।

    ১. দ্বিমুখী প্রদীপ: ভগবানের অসীম কৃপা লাভ, আশীর্বাদ লাভ এবং দীর্ঘজীবনের অধিকারী হওয়া যায় দ্বিমুখী প্রদীপ জ্বালালে। এটাই ভক্তদের বিশ্বাস।

    ২. ত্রিমুখী প্রদীপ: লোকবিশ্বাস, এই প্রদীপ জ্বালালে শত্রুর কু-নজর থেকে ভগবান বিষ্ণু ভক্তদের রক্ষা করেন।

    ৩. চতুর্মুখী প্রদীপ: সন্তানের দীর্ঘজীবন কামনা করে মা-বাবারা এই প্রদীপ জ্বালেন।

    আরও পড়ুন: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প?

    কার্তিক মাসব্যাপী সন্ধ্যার সময় অনেক গৃহে তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে‌।পুকুরে বা নদীতেও অনেক সময় প্রদীপ ভাসানো হয় ভগবানের আশীর্বাদ এবং কৃপা লাভের উদ্দেশ্যে। আকাশপ্রদীপ দেওয়ার মন্ত্রটি হলো- “আকাশে সলক্ষ্মীক বিষ্ণোস্তোষার্থং দীয়মানে প্রদীপঃ শাকব তৎ।”আকাশে লক্ষ্মীর সঙ্গে অবস্থান করছেন যে বিষ্ণু, তাঁর উদ্দেশে দেওয়া হল এই প্রদীপ। ঘটের মতো প্রদীপকেও অনেক পণ্ডিত দেহেরই প্রতীক বলে মনে করেন। আকাশ-প্রদীপও (akash Pradip) নশ্বর শরীরের মতো ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম- এই পঞ্চভূতে তৈরি।

    ক্ষিতি অর্থাৎ মাটি, কায়া তৈরি করে। অপ অর্থাৎ জলে আকার পায়। তেজ অর্থাৎ আগুন, আত্মার মতোই স্থিত হয় তার অন্তরে। মরুৎ অর্থাৎ হাওয়া আগুনকে জ্বলতে সাহায্য করে। আর ব্যোম অর্থাৎ অনন্ত শূন্য জেগে থাকে প্রদীপের গর্ভে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Metro Rail: চলতি বছরেই মেট্রো ছুটবে দুই পথে, জেনে নিন রুট

    Metro Rail: চলতি বছরেই মেট্রো ছুটবে দুই পথে, জেনে নিন রুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে জোকা-তারাতলা (Joka-Taratala) রুটের বাসিন্দাদের। স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে নিউ গড়িয়া-রুবি (New Garia Ruby) রুটের বাসিন্দাদেরও। এতদিন এই দুই এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল বাস। এবার ব্যবস্থা হতে চলেছে তাঁদের যাতায়াতের আরও একটি মাধ্যমের। সেটি হল, মেট্রো রেল (Metro Rail)। সূত্রের খবর, আগামী বছর নয়, চলতি বছরেই জোকা-তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া-রুবি রুটে ছুটবে মেট্রো। উপকৃত হবেন ওই দুই রুটের কয়েক হাজার নিত্যযাত্রী। জানা গিয়েছে, মেট্রো রেল (Metro Rail) কর্তৃপক্ষ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির কাছে ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেছেন। জোকা তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া রুবি রুটে কমর্সিয়াল মেট্রো চালু করার ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। ছাড়পত্র মিললে চলতি বছরেই শুরু হয়ে যাবে ওই দুই রুটে মেট্রো পরিষেবা।

    রেলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও পথে ট্রেন চালাতে গেলে বেশ কিছুদিন ট্রায়াল রান দিতে হয়। ট্রায়াল রান সফল হলেই আবেদন করতে হয় ট্রেন চলাচলে ছাড়পত্রের জন্য। জানা গিয়েছে, জোকা-তারাতলা এবং নিউ গড়িয়া-রুবি দুই রুটেই বর্তমানে চলছে ট্রায়াল রান। আধিকারিকদের মতে, যেহেতু এই মুহূর্তে সিগন্যাল পরীক্ষার কোনও প্রয়োজন নেই, তাই বিশেষজ্ঞদের লাইন পরীক্ষার পর ট্রেন চলাচলে ছাড়পত্র পেতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। প্রসঙ্গত, একটি লাইনে একটি মাত্র ট্রেন চললে সিগন্যাল টেস্টের প্রয়োজন হয় না। আপাতত এই দুই রুটে  একটি লাইনে একটি করেই ট্রেন চলবে বলে জানা গিয়েছে। জোকা-তারাতলা মেট্রো লাইনে চারটি স্টেশন রয়েছে। এগুলি হল, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা এবং বেহালা বাজার। এখনই ওই রুটে একটিই মাত্র ট্রেন চলবে। পুরো দূরত্ব অতিক্রম করতে মেট্রোর সময় লাগবে মাত্র ১৮ মিনিট।

    আরও পড়ুন: জম্মু এবং কাশ্মীরকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাব, রোজগার মেলায় ঘোষণা মোদির

    এর আগে মেট্রোরেলের (Metro Rail) জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা বলেছিলেন, ২৪ অক্টোবর কালীপুজোর দিন চালু হতে পারে মেট্রো পরিষেবা। তবে তা হয়নি। তাই চলতি বছরেই যাতে ওই দুই রুটে মেট্রো পরিষেবা চালু করা যায়, জোরকদমে তার চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, জোকা-তারাতলা রুটের মোট দৈর্ঘ ৬ কিলোমিটার। আর নিউ গড়িয়া-রুবি স্টেশনের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Elon Musk: ট্যুইটার কিনেই ৭৫% কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ইলন মাস্ক-এর!

    Elon Musk: ট্যুইটার কিনেই ৭৫% কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ইলন মাস্ক-এর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ জটিলতার পর ট্যুইটার অধিগ্রহণ করেছেন টেসলা সিইও ইলন মাস্ক (Tesla CEO Elon Musk)। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি ট্যুইটারের পুরনো শীর্ষ কর্তাদের ছেঁটে ফেলার পাশাপাশি এখন ট্যুইটারের পুরনো কর্মীদের ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করেছেন। কয়েকদিন আগেই ছাঁটাই করা হয়েছে সংস্থার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও পরাগ আগরওয়ালকে (Twitter CEO Parag Agarwal)। পরাগ সহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্তাকে বরখাস্ত করেছেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। পরাগের পাশাপাশি এই জনপ্রিয় মাইক্রো-ব্লগিং সাইটের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার বা সিএফও নেদ সিগালকেও (Ned Segal) ছাঁটাই করা হয়েছে। এছাড়াও বরখাস্ত করেছেন আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত কর্তা বিজয়া গাড্ডেকে।

    আরও পড়ুন: ট্যুইটার অধিগ্রহণ করলেন ইলন মাস্ক, প্রথমেই ছাঁটলেন পরাগ আগরওয়ালকে

    আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল। কারণ ইলনের (Elon Musk) ট্যুইটার অধিগ্রহণের আগে থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে, তিনি ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই কর্মীদের ছাঁটাই করবেন, আর সেটিই এখন সত্যি হতে চলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগের থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়ছিল যে, ইলন ট্যুইটার কেনার পরেই তিনি প্রায় ৭৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করবেন। আর এখনও এটিই বাস্তবে হতে চলেছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে যে, গতকাল, শনিবার থেকেই ইলন মাস্ক ট্যুইটারের কর্মীদের ছাঁটাই শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন।

    শুধুমাত্র পরিকল্পনাই নয়, ম্যানেজারদের কাছে যেসব কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে তাঁদের তালিকা বানানোর কথাও বলা হয়েছে। আর জানা গিয়েছে যে, ট্যুইটারের ৭৫শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করা অর্থাৎ প্রায় ৭৫০০ জন কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১ নভেম্বরের মধ্যেই ছাঁটাই করা কর্মীদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে স্টক অনুদান দেওয়ার কথা ছিল। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মাস্ক (Elon Musk) বিবৃতি দিয়ে জানান যে, তিনি ট্যুইটার অধিগ্রহণ করছেন। ‘মানবতার স্বার্থেই’ তাঁর এই পদক্ষেপ বলে বার্তা দেন তিনি। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘আরও অর্থ উপার্জনের জন্য কিনিনি। মানবতার জন্য কিনেছি। মানবতার ভবিষ্যৎ এমন হওয়া উচিত যেখানে সমস্ত পক্ষের স্বাধীন মতামত প্রকাশের একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থাকবে। সুস্থ পরিবেশে বিতর্ক হবে।’’

LinkedIn
Share