Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Panchayat Elections 2023: ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চাইল হাইকোর্ট 

    Panchayat Elections 2023: ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চাইল হাইকোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চর্চায় থেকেছে ভাঙর। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ব্যাপক অশান্তি হয় ওই এলাকায়। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও ঘটনা ঘটেছে ভাঙড়ে। গুলি-বোমাবাজি এমনকী মনোনয়ন জমা নিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলাতেই ভাঙড়ের বিডিও অফিস, ভাঙড় ও কাশীপুর থানার ভিতর ও বাইরের সিসি ক্যামেরার যাবতীয় ফুটেজ বৃহস্পতিবারের মধ্যেই মামলাকারীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    নির্বাচনের পর ফের শুনানি

    বিরোধীদের অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত রাজ্যের থেকে হলফনামা চেয়েছিল। বুধবার সেই হলফনামা আদালতে জমা দেয় রাজ্য।অন্যদিকে, ক্যানিংয়ের এক বিরোধী দলের সমর্থক নিখোঁজ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় ২৬ জুন আদালত পুলিশকে নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে তাঁকে খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু এখনও কেন তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া গেল না, তা রিপোর্ট দিয়ে পরবর্তী শুনানিতে পুলিশকে জানাতে বলেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর আগামী ১৮ জুলাই সব মামলার একসঙ্গে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। 

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় এবারও জিতবে বিজেপি, মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে চান সিংহভাগ ভোটার, বলছে সমীক্ষা

    ক্যানিংয়ে ঘটনায় এফআইআর-এর নির্দেশ খারিজ

    অন্যদিকে, ক্যানিংয়ে হিংসার ঘটনায় এসডিপিও-র বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ এদিন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন ঘিরে হাটুপুখুরিয়া এলাকায় হিংসার অভিযোগ ওঠে। তাতে ক্যানিং থানার আইসি, এসডিপিও ও স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সিরাজুল ইসলাম ঘরামি নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আইসি, এসডিপিও ও স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে বিচারপতি মান্থা হিংসার ঘটনার যে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন সেটা বজায় রেখেছেন। সেই সঙ্গে মামলাকারির আর্জি মেনে তাঁর বাড়ির সামনে ১৫ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ পিকেট, ২ জন কনস্টেবল মোতায়েন রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Haryana Government: অবিবাহিতদের জন্য পেনশন প্রকল্প চালুর ভাবনা হরিয়ানা সরকারের

    Haryana Government: অবিবাহিতদের জন্য পেনশন প্রকল্প চালুর ভাবনা হরিয়ানা সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ে না করার জন্যও এবার মিলবে ভাতা। অবিবাহিত পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য পেনশন (Pension for Unmarried) প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা করছে হরিয়ানা সরকার (Haryana Government)। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর (Manohar Lal Khattar) জানান, তাঁর সরকার রাজ্যে ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি অবিবাহিতদের জন্য একটি পেনশন প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা করছে।

    বিয়ে না করলে ভাতা প্রদান

    সম্প্রতি হরিয়ানার (Haryana Government) করনাল জেলার কমলপুরা গ্রামে ‘জন সংবাদ’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন খট্টর (Manohar Lal Khattar)। সেখানে ৬০ বছর বয়সি অবিবাহিতদের পেনশন প্রকল্প চালু নিয়ে জনগণের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তারই প্রতিক্রিয়া স্বরূপ খট্টর বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার শীঘ্রই অবিবাহিতদের জন্য পেনশন প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা করছে।’’ সরকার এক মাসের মধ্যে সেই প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কর্মীকে ছাদ থেকে ফেলেছে তৃণমূল, দাবি আইএসএফ-এর

    ওই অনুষ্ঠান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, বয়স্কদের জন্য পেনশন প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। এবার থেকে ২৭৫০ টাকার বদলে প্রবীণ নাগরিকরা মাসে ৩ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। অবিবাহিতদের জন্য পেনশন প্রকল্প চালু করা হলে, তার ভাতার অঙ্কও বয়স্কদের জন্য ভাতার সমান হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনও সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। অবিবাহিত পেনশনের মাপকাঠিই বা কী, তা ও এখনও পরিষ্কার নয়। হরিয়ানা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই পেনশন প্রকল্প চালু হলে রাজ্যের প্রায় ২ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। হরিয়ানা সরকার (Haryana Government) ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রবীণ নাগরিক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, বামন এবং রূপান্তরকামীদের জন্য পেনশন প্রকল্প চালু করেছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া প্রস্তুত! মোদি-শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ ধামির

    Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া প্রস্তুত! মোদি-শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ ধামির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (Uniform Civil Code) খসড়া তৈরি , তা জানাতেই কী দিল্লিতে হাজির উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। রাজধানীতে এনিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন ধামি। যদিও পরে সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও আলোচনা হয়নি।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে জল্পনা

    উত্তরাখণ্ডে ইতিমধ্যেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) আনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। যদিও এখনও রিপোর্টার খসরা আসেনি বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি জানান, আমরা দেরি না করে খুব দ্রুতই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি রাজ্যে চালু করতে চাই। তবে আমরা তাড়াহুড়ো করে সেটা করব না, যাতে কোনও খামতি তৈরি না হয়।” অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে উত্তরাখণ্ডের তৈরি খসড়া, সারা ভারতের মূল ভিত্তি হতে পারে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। যদি উত্তরাখণ্ডের খসড়াটি গ্রহণ করা হয়, সেক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে প্রয়োজনে সামান্য কিছু অদলবদল করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ধামি। সেখানে উত্তরাখণ্ডের জন্য তৈরি খসড়াটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল উপরাষ্ট্রপতির

    অন্যদিকে অসমের গুয়াহাটি আইআইটির সমাবর্তনে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (Uniform Civil Code) পক্ষে সওয়াল করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তাঁর মতে, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করায় কোনওরকতম দেরি করা আমাদের মূল্যবোধের জন্য ক্ষয়কারক হবে।” উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “এটা ছিল সংবিধান প্রণেতার চিন্তাভাবনা। এবার সেটা কার্যকর করার সময় এসেছে। আর কোনও দেরি হওয়া উচিত নয়।” ধনখড় বলছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে কিছু মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে তিনি স্তম্ভিত। উপরাষ্ট্রপতির বক্তব্য, “রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। কিন্তু রাজনীতির জন্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কাজে বাধা দেওয়া উচিত নয়।” 

    আরও পড়ুন: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    উল্লেখ্য সংসদের বাদল অধিবেশনেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বিল আনতে চায় কেন্দ্র। আগামী ২০ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। মাসব্যাপী সেই অধিবেশনে অভিন্ন দেওয়ালি বিলের খসড়াটি পেশ করতে পারে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে বিলটি নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক ও আইন কমিশনের মতামত সংসদীয় কমিটি জানতে চেয়ে বলে খবর। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকবে,বলে বিশ্বাস কেন্দ্রের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SAAF Championship 2023: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    SAAF Championship 2023: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাফ কাপ (SAFF championships) জিতে মণিপুরের পতাকা জড়িয়ে পদক নেওয়ায় বিতর্কে জড়ালেন ভারতীয় ফুটবলার জিকসন সিং। ফাইনালের পর তখন ভারতীয় ফুটবলাররা পদক গ্রহণ করছেন। জিকসনকে দেখা গেল জার্সির ওপর একটা রঙিন পতাকা জড়িয়ে নিয়েছেন। যা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করল। পরে জিকসন জানান, ওটা মণিপুরের পতাকা। যা তিনি জার্সির ওপর পরেছেন রাজ্যে শান্তি ফেরানোর প্রত্যাশায়। কঠিন সময় সংহতির বার্তা দিয়ে। জিকসন বলেন, ‘এটা আমার মণিপুরের পতাকা। আমি ভারতের এবং মণিপুরের সকলকে বলতে চাই, লড়াই নয়। শান্তি চাই। আমি শান্তি চাই।’  

    ভারতীয় ফুটবলে সাপ্লাই লাইন মণিপুর

    কুয়েতকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (SAFF championships) জিতে ট্রফি জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে ভারতীয় ফুটবলাররা। সাফ জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম তিন সদস্য জিকসন সিং (Jeakson Singh), মহেশ সিং (Naorem Mahesh Singh) ও উদান্তা সিং (Udanta Singh) মণিপুরের বাসিন্দা। গত ২ মাস ধরে হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। মেইতেই ও কুকিদের জাতিদাঙ্গায় উত্তাল হয়ে আছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। এই অশান্তিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১২০ জন মানুষ। আহত ৩ হাজারের উপর। ঘরছাড়া লক্ষাধিক। 

    আরও পড়ুন: সাডেন ডেথে কুয়েতকে হারিয়ে সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

    শান্তির বার্তা দেওয়াই উদ্দেশ্য

    জাতীয় পতাকার বদলে বিশেষ জনগোষ্ঠীর পতাকা গায়ে দেওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছেন জিকসন। কিন্তু তাঁর দাবি, কারও ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না। বরং গত দু’মাস ধরে মণিপুরে যে হিংসা চলছে, তা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর বেঙ্গালুরুর মাঠে মেইতেই পতাকা নিয়ে পদক নিতে যান। 

    মঙ্গলবার ম্যাচের পর মিক্সড জোনে জিকসন বলেন, ‘এটা আমার মণিপুরি পতাকা ছিল। আমি মণিপুর এবং পুরো ভারতকে স্রেফ এটা বলতে চাইছিলাম শান্তি বজায় রাখতে হবে এবং মণিপুরকে বাঁচাতে হবে। আমি শান্তির পক্ষে সওয়াল করছি। দু’মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও লড়াই চলছে। শান্তি ফিরিয়ে আনতে আমি স্রেফ সরকার এবং বাকি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছিলাম। (আমার) পরিবার সুরক্ষিত আছে। কিন্তু প্রচুর পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, নিজেদের ভিটেমাটি হারিয়েছে।’

    পরে গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্যাকসন লেখেন, ‘প্রিয় সমর্থকরা, এই পতাকা নিয়ে (সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ) জয়ের উচ্ছ্বাস প্রকাশ আমি কারও ভাবাবেগে করতে চাইনি। আমার রাজ্য মণিপুরে এখন যে পরিস্থিতি চলছে, তা নিয়ে (সকলের) দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছিলাম। এই জয়টা প্রত্যেক ভারতীয়কে উৎসর্গ করছি।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি যে আমার রাজ্য মণিপুরে শান্তি ফিরে আসবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • SAFF Championship: সাডেন ডেথে কুয়েতকে হারিয়ে সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

    SAFF Championship: সাডেন ডেথে কুয়েতকে হারিয়ে সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (SAFF Championship) ফাইনাল। উত্তেজনার ম্যাচ হবে এমনটাই প্রত্যাশিত। লড়াই হল সমানে সমানে। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকল ম্যাচ। এরপর অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত গোল করতে পারল না কোনও দলই। ফলে খেলা গড়াল টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত জয় পেল ভারত। ম্যাচের নায়ক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। ইম্ফলে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের পর সাফ কাপ জিতে ট্রফি জয়ের হ্যাটট্রিক করল সুনীলরা।

    ছাংতের গোলে সমতা ফেরায় ভারত

    এদিন খেলার শুরুটা ভাল হয়নি সুনীলদের। সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের (SAFF Championship) ফাইনালেও সুনীল ছেত্রীদের আগ্রাসী খেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন কোচ ইগর স্টিমাচ। কিন্তু ভারত শুরু করেছিল মন্থর গতিতে। ১৫ মিনিটে কুয়েত গোল করার পর ধীরে ধীরে খেলায় ফেরেন সুনীলেরা। ৩৮ মিনিটে ভারত সমতায় ফেরে লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের গোলে। ফাইনালে প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল ভারত। ম্যাচের ৪ মিনিটে সুনীলের হেড সরাসরি কুয়েতের গোলরক্ষকের হাতে যায়। এর মিনিট ২ পরেই কর্নার পায় ভারত। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। খেলার ১৫ মিনিটে সুপরিকল্পিত আক্রমণ থেকে গোল করেন আলখালদি। পিছিয়ে পড়ে খেলার দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন ভারতীয় ফুটবলারেরা। ১৯ মিনিটে সুনীলের শট আটকে দেন কুয়েতের গোলরক্ষক। ৩৮ মিনিটে সাহাল সামাদ একা বল নিয়ে অনেকটা উঠে পাশ দেন সুনীলকে। তিনি আবার বল ফিরিয়ে দেন সাহালকে। তিনি বল সাজিয়ে দেন ফাঁকায় থাকা ছাঙতেকে। মঙ্গলবারই বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়া ২৫ বছরের মণিপুরের ফুটবলার গোল করতে ভুল করেননি।

    আরও পড়ুন: জন্ম সাল রেখেই প্রকাশিত নতুন লোগো! আজ, মোহনবাগানে মার্টিনেজ

    টাইব্রেকারে দুরন্ত ভারত

    ভারত সমতায় ফেরার পর পেশির ফুটবল শুরু করে কুয়েত। মাঠে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথম থেকেই কড়া হাতে ম্যাচ করেছেন রেফারি। প্রয়োজনে কার্ড দেখাতে দ্বিধা করেননি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে কুয়েতের কোচকেও হলুদ কার্ড দেখান তিনি। ১-১ ফলেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দু’দলই কিছুটা সতর্ক ভাবে শুরু করেন। আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ নির্ভর খেলা হলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল করতে পারেনি কোনও দলই। যদিও গোল করার মতো একাধিক পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন দু’দলের ফুটবলারেরাই। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। গোল হয়নি অতিরিক্ত সময়েও।

    শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা থেকে নবমবার সাফ (SAFF Championship) ঘরে তুললেন সুনীলরা। আর সেমিফাইনালের মত ফাইনালেও নায়ক গুরপ্রীত। টাইব্রেকারে আটকে দিলেন কুয়েতকে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আটকে দলকে জিতিয়ে দিলেন। নির্ধারিত সময়ে ১-১ থাকার পর পেনাল্টিতে ভারত জিতল ৫-৪ গোলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: বাংলার হিংসা ‘ছোট ঘটনা’! ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, রাজ্য পুলিশের ডিজি-র দাবিতে বিতর্ক

    Panchayat Elections 2023: বাংলার হিংসা ‘ছোট ঘটনা’! ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, রাজ্য পুলিশের ডিজি-র দাবিতে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১ মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) ঘোষণার পর রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে ১৫ জনের। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তারপরও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে, বলে দাবি করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। তাঁর কথায়, “হিংসার ঘটনা এখন অনেকটাই কমেছে। বড় করে দেখানো হচ্ছে যে কোনও ছোট ঘটনাকে।”

    রাজ্য পুলিশের ডিজির দাবি

    মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে মনোজ মালব্য বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত কয়েকটি অশান্তি ছাড়া রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওপর মহল থেকে নির্দেশ রয়েছে যে কোনও গন্ডগোলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিতে হবে। আমরা সেই গাইডলাইন মেনে কাজ করছি।’রাজ্যে নিত্যদিন অশান্তির খবর আসছে। বাসন্তীতে গত শনিবারই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে শাসকদলের এক কর্মীর। রবি ও সোমবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, নিত্য রাজ্যের কোনও কোনও প্রান্ত থেকে বোমাবাজি, গুলিচালনার খবর মিলছে। তার নেপথ্যে গোষ্ঠীকোন্দলই থাক কিংবা শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ। তারপরও রাজ্য পুলিশের ডিজির বক্তব্য, “রাজ্যের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এখানে অনেক বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। কিছু ঘটনা ঘটতেই পারে। আপনার কী সত্যিই মনে হয়, বাংলায় হিংসা হচ্ছে? বাংলায় ২-৩ টি ঘটনা ঘটেছে, তাতে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূল না করলে চলে যাবে সিভিকের চাকরি’! হুঁশিয়ারি ব্লক সভাপতির

    ডিজিকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মনোজ মালব্যের মন্তব্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “ওনাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তম কুমার বলেন। একজন ডিজির কোনও ভূমিকা আমরা ওনার মধ্যে দেখতে পাই না। উনি এক ধরনের মেরুদণ্ডহীন সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষ্য। তার মুখ থেকে এর থেকে ভালো কথা বেরোতে পারে না।” বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বক্তব্য, “১৩টা পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে, তারপরও তিনি কীভাবে বলতে পারলেন এটা ছোট ঘটনা? পুলিশ সম্বন্ধে মানুষের কী ধারণা হবে? বোমা পড়েছে, আর পুলিশ বলছে কোথায় বোমা পড়ছে? ওই যে মন্ত্রী বলে দিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: বুধবার থেকে স্কুল খুলছে মণিপুরে! পরিস্থিতি আগের থেকে শান্ত, দাবি মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের

    Manipur Violence: বুধবার থেকে স্কুল খুলছে মণিপুরে! পরিস্থিতি আগের থেকে শান্ত, দাবি মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে মণিপুর (Manipur)। দু’মাস পর আগামী কাল, ৫ জুলাই থেকে স্কুল খুলছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। তিনি জানান, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা ৫ তারিখ থেকে স্কুলে যেতে পারবে। একইসঙ্গে  সরকারের কাছে মণিপুর (Manipur Violence) নিয়ে বিশদ স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১০ তারিখে মণিপুরের মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগেই ওই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। 

    মণিপুরে স্কুল খোলার ঘোষণা

    গত দু’মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। বিশেষ করে রাজধানী ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, চূড়াচন্দ্রপুর একাধিক জায়গায় সরাসরি সংঘর্ষে্ জড়িয়ে পড়ে কুকি ও মেইতেই জনগোষ্ঠী। পরবর্তী সময়ে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে সেনা। সরকারি হিসেবে ১১৫ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মণিপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। হিংসার জেরে ঘর বন্দি সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে বুধবার থেকে স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেছেন বীরেন। তবে মণিপুরে এর আগেও স্কুল খোলার চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রশাসনের তরফে স্কুল খোলার দিন ঘোষণা হওয়ার পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পিছিয়ে দিতে হয় স্কুল খোলার দিন।

    শান্তির পথে মণিপুর

    মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সোমবার জানিয়েছেন, রাজ্যের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের কৃষকদের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। পাহাড় এবং উপত্যকা এলাকায় জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে। মণিপুরের (Manipur Violence) এনএইচ-২ বা ইম্ফল-ডিমাপুর জাতীয় সড়ক থেকে দু’মাসব্যাপী অবরোধ তুলে নিয়েছে কুকিরা। তারা জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরে শান্তি স্থাপনের আর্জি জানানোর পর অবরোধ তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে জাতীয় সড়কে আবার স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচল। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৈরি করা অন্তত দু ডজন বাঙ্কারও ইতিমধ্যেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে মণিপুরে। এবার মেইতেই এবং কুকি উপজাতির লোকজন যে বাঙ্কার তৈরি করেছে সেগুলিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। সেখানে শান্তি এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মণিপুর সরকার। 

    আরও পড়ুন: সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত কালো টাকা! অনিলের পর এবার ইডির দফতরে টিনা আম্বানি

    সুপ্রিম কোর্টের রিপোর্ট তলব

    অন্যদিকে, সোমবারই একটি মামলার শুনানির সময়ে মণিপুর (Manipur Violence) নিয়ে বিশেষ স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি এবং পুনর্বাসন নিশ্চিত করা নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে ‘আপডেটেড স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মণিপুর সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী সোমবার মণিপুর মামলা নিয়ে শুনানি হবে। ৭ তারিখের মধ্যেই ওই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Tina Ambani : সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত কালো টাকা! অনিলের পর এবার ইডির দফতরে টিনা আম্বানি

    Tina Ambani : সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত কালো টাকা! অনিলের পর এবার ইডির দফতরে টিনা আম্বানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন (FEMA) লঙ্ঘনের মামলায় মঙ্গলবার মুম্বইয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন অনিল আম্বানির স্ত্রী তথা প্রাক্তন অভিনেত্রী টিনা আম্বানি (Tina Ambani)। রিলায়্যান্স এডিএ গ্রুপের কর্ণধার অনিল আম্বানিকে সোমবারই জিজ্ঞাসবাদ করে ইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা অনিলের বয়ান রেকর্ড করেন। আজ, মঙ্গলবার টিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ইডির দফতরে টিনা

    ইডি সূত্রে খবর, অনিলের সংস্থার কিছু বিনিয়োগ এবং বিদেশে গচ্ছিত কিছু গোপন সম্পদ সংক্রান্ত নতুন একটি মামলায়  (Foreign Exchange Violation Case) টিনা (Tina Ambani) হাজিরা দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ‘প্যান্ডোরা পেপার্স কেস’-এর সঙ্গে অভিযোগ সম্পর্কযুক্ত। গত বছরের অগস্ট মাসে আয়কর বিভাগ কালো টাকা বিরোধী আইনে অনিলকে নোটিস পাঠিয়েছিল। সুইস ব্যাঙ্কের দু’টি অ্যাকাউন্টে ‘অঘোষিত’ ৮১৪ কোটি টাকা রাখার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আয়কর দফতর নোটিসে অনিলের বিরুদ্ধে ৪২০ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ এনেছিল। ইয়েস ব্যাঙ্ককাণ্ডে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে ২০২০ সালেও অনিলকে তলব করেছিল ইডি। 

    আরও পড়ুন: এসসিও সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন মোদি, যোগ দিচ্ছেন শরিফ, জিনপিং

    ইডির দফতরে অনিল

    নতুন করে ইডি অনিল আম্বানিকে তলব করা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, সোমবার সকালেই মুম্বইয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দেন অনিল। সকাল ১০টা নাগাদ তিনি তদন্তকারী সংস্থার অফিসে পৌঁছন। ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।  অভিযোগ, ২০০৭ সাল নাগাদ বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা দেশে এনেছিলেন অনিল। বিদেশি (Foreign Exchange Violation Case) বিনিয়োগ হিসেবে উল্লেখ করা হয় ওই বিপুল পরিমাণ টাকাকে। বিদেশ থেকে ঋণে টাকা তুলে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আইনের আওতায় ব্যাঙ্ক মারফত ওই বিপুল পরিমাণ টাকা তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয় বলে সেই সময় দাবি করেন অনিল এবং তাঁর সহযোগীরা। ঠিক কত টাকা আনা হয়েছিল, তা যদিও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে ইডি সূত্রে দাবি, টাকার অঙ্ক প্রায় ২০০০ কোটি। সত্যিই অনিল ঋণ নিয়েছিলেন, নাকি ঘুরপথে বিদেশে নিয়ে যাওয়া টাকাকেই ফিরিয়ে এনেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তরই এড়িয়ে গিয়েছেন অনিল। তাই আবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। তবে তার আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে টিনাকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NCP Crisis: তিন বিধায়ককে দল থেকে বহিষ্কার করলেন এনসিপি প্রধান

    NCP Crisis: তিন বিধায়ককে দল থেকে বহিষ্কার করলেন এনসিপি প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা ‘ঘনিষ্ঠ সাংসদ প্রফুল্ল প্যাটেলকে দল থেকে বহিষ্কার করে দিলেন এনসিপি (NCP Crisis) প্রধান শরদ পাওয়ার। গত মাসেই প্রফুল্লকে দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি পদে নিযুক্ত করেছিলেন পাওয়ার। প্যাটেলের পাশাপাশি দল থেকে সরানো হয়েছে লোকসভার সাংসদ সুনীল তৎকরেকেও। ওই দুই এনসিপি নেতাকে অবিলম্বে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছিলেন পাওয়ার-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। ‘গোপনে’ দলের মধ্যে বিদ্রোহের পরিকল্পনা’ করার অভিযোগে, তাঁদের অযোগ্য বলে ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলেন শরদ-কন্যা তথা এনসিপির কার্যকরী সভাপতি সুপ্রিয়া সুলে।

    ট্যুইট বার্তা শরদের

    সোমবার ট্যুইটারে পাওয়ার লিখেছেন, ‘‘ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) সভাপতি হিসাবে দলবিরোধী কাজের জন্য সুনীল তৎকরে এবং প্রফুল্ল প্যাটেলকে দল থেকে সরানো হল।’’

    সোমবার এনসিপির মহারাষ্ট্র শাখার প্রধান জয়ন্ত পাটিল জানিয়েছেন, ওই বিধায়কদের দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতেও নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও, তাঁরা যদি দলের প্রতীক ব্যবহার করেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘আসল এনসিপি’ কে? শরদের পাল্টা চালে মহারাষ্ট্রে অগ্নিপরীক্ষার মুখে অজিত

    পাল্টা চাল অজিতের

    প্রফুল্লদের সরানোর আগে আরও তিন দলীয় নেতাকে বহিষ্কার করেছে এনসিপি (NCP Crisis)। তাঁরা হলেন, মুম্বই ডিভিশনালের এনসিপি প্রধান নরেন্দ্র রাঠৌর, দলের আকোলা সিটি জেলা প্রধান বিজয় দেশমুখ এবং শিবাজীরাও গারজে। তাঁরা সকলেই বিধায়ক। শরদ পাওয়ার আগেই জানিয়েছিলেন, কারোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো মানসিকতা তাঁর নেই। এই বিষয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ করছেন জয়ন্ত পাটিল। তারই পাল্টা হিসেবে প্রফুল্ল প্যাটেল ঘোষণা করেছেন, জয়ন্ত পাটিলকে সরিয়ে এনসিপির রাজ্য সভাপতি করা হচ্ছে তৎকরেকে। তাঁকে অজিত পাওয়ার নিয়োগ করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। যদিও শরদ পাওয়ারই এনসিপির সভাপতি বলে সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন অজিত পাওয়ার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজীব সিনহার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা খারিজ হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: রাজীব সিনহার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা খারিজ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সোমবার তা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একইসঙ্গে এদিন পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন বাতিল করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের করা জনস্বার্থ মামলাও খারিজ হয়ে গেল।

    রাজীব সিনহার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ

    রাজীবের নিয়োগের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছিলেন নব্যেন্দুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলকারীর বক্তব্য, ‘‘গত ৭ জুন রাজীবকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। রাজ্য সঠিক পদ্ধতিতে এই নিয়োগ করেনি।’’ এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি খারিজ করে দেয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীবের নাম প্রথম প্রস্তাব করেছিল নবান্ন। তবে সেই প্রস্তাবে প্রথমে সিলমোহর দেয়নি রাজভবন। আরও দু’টি নাম পাঠায় রাজ্য। পরে অবশ্য রাজীবকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগে সম্মতি দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    আরও পড়ুন: ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি’, কেন বললেন সুকান্ত?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধের আবেদন

    অপর একটি মামলায় এদিন মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীধর চন্দ্র বাগাড়িয়া জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্র করে অনেক প্রাণহানি হয়েছে। তাই ভোট অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া উচিত। রাজ্যের পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাষ্ট্রপতি শাসনও জারি করা উচিত। এ প্রসঙ্গে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় এর আগে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) রায় দিয়েছে। এমনকি, সুপ্রিম কোর্টেও এই সংক্রান্ত মামলা উঠেছিল। রায় শুনিয়েছে শীর্ষ আদালতও। সুপ্রিম কোর্ট থেকে নির্বাচন কমিশনকেও পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভোট বাতিল করতে চেয়ে মামলা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে না আদালত। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জন্য কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট চাওয়ার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি জানান, এ বিষয়ে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কারণ সংবিধানের ৩৫৬ ধারাটি রাষ্ট্রপতির বিষয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share