Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Suvendu Adhikari: ‘নবজোয়ার’-এ পুলিশের খরচ মেটাচ্ছে কে? হাইকোর্টে মামলা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘নবজোয়ার’-এ পুলিশের খরচ মেটাচ্ছে কে? হাইকোর্টে মামলা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে যে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে, তার খরচ কারা দিচ্ছে? কেনই বা দলীয় ভোটে রাজ্য পুলিশকে (Police) ব্যবহার করা হচ্ছে? এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    শুভেন্দুর প্রশ্ন

    শুভেন্দুর প্রশ্ন একটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব ভোটে কীভাবে সরকারি সাহায্য যেতে পারে? পঞ্চায়েতে কাকে প্রার্থী দেখতে চান, জানতে চেয়ে ভোটের আয়োজন করেছে একটি আঞ্চলিক দল। নাম না করে তৃণমূলকে (TMC) নিশানা করেন শুভেন্দু। পুলিশ ব্যবহারের জন্য সরকারি খাতে ওই দল টাকা জমা করেছে কিনা সেই প্রশ্নের জবাব চান বিরোধী দলনেতা। এই নিয়ে ডিজিকে চিঠি দিয়ে উত্তর মেলেনি। এবার তাই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    মামলার শুনানি

    আগামী ৭ জুন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞনমের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারী জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন গত ১৯ মে। ডিজিপি কে চিঠি দিয়ে কোনও উত্তর না পাওয়ার ১৮ দিন পরে আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি। বিরোধী দলনেতার আইনজীবী সূর্যনীল দাস জানান, মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে ৭ জুন মামলাটি প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞনম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য আসতে পারে। ওইদিন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ইটাহার ও মালদহে মিছিলের অনুমতি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলাটিরও শুনানি হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি পেলেন না অভিষেক! জেরা করতে পারবে সিবিআই

    গত ২৫ এপ্রিল কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি। ভোটাভুটি শুরুর দিনেই গণ্ডগোল দেখা যায় সেখানে। ব্যালট বক্স চুরি থেকে হাতাহাতি কোনওটাই বাদ যায়নি। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই অশান্তির ছবি চোখে পড়েছে।  সেই সময় শক্ত হাতে পরিস্থিতির সামাল দেয় পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Parliament Building: রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    New Parliament Building: রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দিয়ে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করানোর আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। নয়া সংসদ ভবনের (New Parliament Building) উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (President Draupadi Murmu) কেন আমন্ত্রণ করা হল না, এই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলা এদিন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

    সুপ্রিম নির্দেশ

    এদিন  বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং পিএস নরসিংহ মামলার আবেদনকারী আইনজীবী জয়া সুকিনকে বলে, ‘‘কেন এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট তা বুঝতে পারছে না! সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ মেনে এই আবেদনের শুনানি হতে পারে না।’’ দেশের রাষ্ট্রপতিকে এই ভবন উদ্বোধন করতে আমন্ত্রণ না করে কেন দেশের প্রধামমন্ত্রীকে দিয়ে এই উদ্বোধন করানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যে আর্জি নিয়ে মামলাকারী এসেছেন তার ভিত্তি নেই। কোর্টের সময় নষ্ট করার জন্য কোর্ট যে তাঁকে জরিমানা করেনি, এই বিষয়েও সতর্ক করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। কোর্ট জানিয়েছে, আর্টিক্যাল ৩২ এর মধ্যে নাক গলাতে যাচ্ছে না কোর্ট। তখনই আইনজীবী তাঁর মামলা তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। সেই আর্জি খারিজ করে দেয় কোর্ট। কোর্ট বলে, মামলা তুলে নিলে, সেই মামলা যাবে হাইকোর্টে। ফলে সেটা যুক্তিযুক্ত হবে না। আর তার জেরেই এই মামলা খারিজ করে দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট।  

    আরও পড়ুুন: “৩০০-র বেশি আসনে জিতে ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদি”, আত্মবিশ্বাসী শাহ

    দেশের নয়া সংসদভবন (New Parliament Building) উদ্বোধন হতে চলেছে ২৮ মে। কেন্দ্রের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল আগামী রবিবার ঐতিহাসিক ভবনটির (New Parliament Building) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখনও পর্যন্ত অন্তত ২০টি বিরোধী রাজনৈতিক দল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ বিরোধীরা করছে, তারই প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ-স্বরূপ এই বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী দলগুলি। তবে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠান বয়কটের এই সিদ্ধান্তকে ‘গণতন্ত্রের অবমাননা’ হিসেবেই দেখছে বিজেপি ও তার বন্ধু দলগুলি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protester: ৮ ডিএ আন্দোলনকারীকে আগাম জামিন কলকাতা হাইকোর্টের! কেন জানেন?

    DA Protester: ৮ ডিএ আন্দোলনকারীকে আগাম জামিন কলকাতা হাইকোর্টের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ আন্দোলনকারী (DA Protester) সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আট নেতাকে আগাম জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন দেবপ্রসাদ হালদার। তিনি একটা সময়ে ডিএ আন্দোলনে ছিলেন। কিন্তু এখন আর তিনি যৌথমঞ্চে নেই। পুরোটাই ষড়যন্ত্র বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলায় তাঁদের আগাম জামিন দিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে ওই ৮ ডিএ আন্দোলনকারীকে। 

    আন্দোলনকারীদের দাবি

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, যে হেতু তাঁরা সরকারি কর্মচারী, তাই আন্দোলনকারীদের (DA Protester) ক্ষেত্রে কোনও শর্ত দেয়নি আদালত। তবে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে তাঁদের। ডিএ আন্দোলনকারীরা ২ কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন দেবপ্রসাদ হালদার নামে এক ব্যক্তি। আন্দোলনকারীদের দাবি, অডিট করে দেখা গিয়েছে, এক কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা উঠেছে। সবটাই হিসেবের মধ্যে রয়েছে। ডিএ আন্দোলনকারী ভাস্কর ঘোষ, নির্ঝর কুণ্ডু, রাজীব দত্ত, চন্দন চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ ঘোষ, ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, শৈবাল সরকারের নামে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। 

    আরও পড়ুন: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই!

    আগাম জামিন পাওয়া বড় জয়

    আদালতের রায়ে আগাম জামিন পাওয়া বড় জয় বলেই মনে করছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা (DA Protester)। এদিন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে ডিএ আন্দোলনকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন,দেবপ্রসাদ হালদার আগে আন্দোলন তুলে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই পরামর্শ না মানার পর টাকা নয়ছয়ের মিথ্যে অভিযোগ করা হয়। শুনানির পর আদালত এদিন আন্দোলনকারীদের জামিন মঞ্জুর করেছে। গোটা ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তাদের আন্দোলন ভাঙার জন্য সরকারের তরফে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করতে থাকে আন্দোলনকারীরা। কোনওভাবেই তাদের আন্দোলন ভাঙা যাবে না বলে দাবি করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: উত্তপ্ত বিকাশ ভবন চত্বর!  ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ

    DA Protest: উত্তপ্ত বিকাশ ভবন চত্বর! ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা সরাসরি অমান্য করলেন কর্মীরা। ডিএ আন্দোলনকারীদের (DA Protest) ঠেকানোর জন্য সম্প্রতি জোড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল নবান্ন। তাকে অমান্য করে মঙ্গলবার মহাকরণ ভবন, খাদ্য ভবন, পঞ্চায়েত দফতরে টিফিনের সময়ে ব্যানার হাতে প্রতিবাদ দেখান সরকারি কর্মীরা। এদিকে আজ সল্টলেকের করুণাময়ীতেও বিক্ষোভ দেখানোর কথা সরকারি কর্মীদের একাংশ। ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশি হস্তক্ষেপের পর বিকাশ ভবনের সামনে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সল্টলেকের বিকাশ ভবন চত্বর।

    সরকারি নির্দেশ অমান্য

    উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সরকারের তরফে দু’টি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, মধ্যাহ্নভোজের সময় খাওয়া দাওয়া ছাড়া আর অন্য কোনও কাজ করা যাবে না এবং আন্দোলনের জন্য ছুটি নেওয়া যাবে না। তাছাড়া টিফিন বিরতির সময়েও অফিসের বাইরে যাওয়া যাবে না। সরকারি অফিসের কর্মসংস্কৃতি ফেরাতেই এই নির্দেশিকা বলে জানানো হয় নবান্নর তরফে। এদিকে সরকারি কর্মীরা এই নির্দেশিকা অমান্য করলে কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়।তবে এই কঠোর নির্দেশিকা জারির পরই ক্ষুব্ধ হন সরকারি কর্মীরা। এই নির্দেশিকা মানতে নারাজ ডিএ আন্দোলনকারীরা (DA Protest)। 

    আরও পড়ুুন: “মোদিজির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে নবান্নে”, বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ

    ‘অন্যায্য’ বদলির প্রতিবাদেই বুধবার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারী (DA Protest) সরকারি কর্মচারীদের মূল অভিযোগ, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের বেছে বেছে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। বাসস্থান থেকে অনেক দূরে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই বদলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ডিএ-র (DA Protest) দাবিতে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার কারণেই সরকার এ ভাবে পাল্টা শোধ তুলছে, দাবি বিক্ষোভকারীদের। এদিন বিনা প্ররোচনায় মিছিলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে বলে অভিযোগ। মিছিল এগিয়ে নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়। তার পরেই গোলমাল শুরু হয়। রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। বাসের তলায় শুয়ে পড়েও প্রতিবাদ জানাতে দেখা গিয়েছে। প্ল্যাকার্ড হাতে পুলিশের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে অন্তত ৬০ জনকে আটক করা হয়। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর দক্ষিণ থানায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: ৭ দফা দাবি নিয়ে বিজেপির শিক্ষক সেলের বিকাশ ভবন অভিযান

    DA Protest: ৭ দফা দাবি নিয়ে বিজেপির শিক্ষক সেলের বিকাশ ভবন অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে ৭ দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় নামল বিজেপির শিক্ষক সেল (BJP Teachers Cell)। মঙ্গলবার দুপুরে বিকাশ ভবন অভিযান করেন তাঁরা। মিছিলের শুরুতেই করুণাময়ী মোড়ে আন্দোলনকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। গার্ড রেল ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা (DA Protest)। পুলিশ প্রাণপণে বাধা দেয় তাদের। তাতেই পুলিশের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় আন্দোলনকারীদের।

    বিজেপির অভিযান

    নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ-সহ ৭ দফা দাবিতে মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির শিক্ষক সেলের বিকাশ ভবন অভিযান শুরু করে দুপুরে। করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে বিকাশ ভবনের দিকে মিছিল এগোতে শুরু করে। নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ ছাড়াও, স্বচ্ছ নিয়োগ ও বকেয়া ডিএ-র দাবি জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, অন্যায্য ভাবে যোগ্যরা বঞ্চিত হচ্ছে। দুর্নীতির পথ ধরে যাদের নিয়োগ হয়েছে, সেইরকম ৩২ হাজার জনের চাকরি অবৈধ হয়ে গিয়েছে। তার বদলে যোগ্যদের নিয়োগ করতে হবে। আর এই ৩২ হাজারের মধ্যে যদি কেউ কেউ যোগ্য থাকে, তাদের নিয়োগ করতে হবে। শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের হেলথ স্কিম চালু করতে হবে, শিক্ষকদের বকেয়া ডিএ দিতে হবে, ইত্যাদি দাবি নিয়ে পথে নামে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: “অপদার্থ সরকারের নিজে থেকে পদত্যাগ করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আন্দোলন

    আগামী কাল, ২৪ মে-ও সল্টলেক করুণাময়ীতে এক কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা (DA Protest)। সেদিন বেলা ১টায় সংগ্রামী যৌথমঞ্চের এক সমাবেশ হওয়ার কথা। সংগঠনের তরফে জানানো হয়,  বিকাশ ভবনে ২৪ মে ডেপুটেশন দেবেন তাঁরা। প্রয়োজনে আইনের পথে হাঁটবেন বলেও এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। শনিবার নবান্নের তরফে সরকারি কর্মচারিদের অফিসে হাজিরা সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, অফিসে কর্মসংস্কৃতি ঠিক রাখতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে আগেভাগে না জানিয়ে কেউ ছুটি নিতে পারবে না। সরকারি হুঁশিয়ারি থাকলেও তাতে দমতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। সরকারি নির্দেশিকা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রয়োজনে টিফিন পিরিয়ডে তাঁরা আন্দোলনে বসবেন, বলে জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Omega-3 In Fish: ‘মাছ খান, হৃদরোগের ঝুঁকি কমান’! দাবি গবেষকদের

    Omega-3 In Fish: ‘মাছ খান, হৃদরোগের ঝুঁকি কমান’! দাবি গবেষকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথাতেই আছে মাছে-ভাতে বাঙলি। বাঙালি হেঁশেলে মাছ-ভাত নিত্যদিনের খাবার। তবে বর্তমান প্রজন্ম কর্মব্যস্ততায় মাছের চেয়ে চিকেন বা ডিমেই স্বচ্ছন্দ। তবে জানেন মাছে রয়েছে প্রভুত পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন মাছ খেলে ত্বক ভাল থাকে, চুল পড়া বন্ধ হয়, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে, কমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। প্রতিদিন মাছ খেলে পাঁচ বছর আয়ু বেড়ে যাবে দাবি গবেষকদের।

    গবেষণায় দাবি

    আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ’-এর এক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, মাছের মধ্যে যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, তা মস্তিষ্ক-সহ শরীরের বিভিন্ন কোষের প্রাচীর গঠনে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও মাছের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ফসফরাস-সহ নানা পুষ্টি পাওয়া যায়। এগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এগুলো সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সাহায্য করে। 

    হার্ট ভাল রাখে

    হার্ট ভাল রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। মাছ স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। মাছের মধ্যে বেশ ভাল পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। হার্টের যে কোনও রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। অন্যদিকে, মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাঁধাকে প্রতিরোধ করে। মাছের তেল হার্টের জন্য খুব ভাল বলে মনে করা হয়। এটা রক্ত ​​জমাট বাঁধার সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবারে ৮ শতাংশ বা তার বেশি ওমেগা-৩ থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এর সূচকের মাত্রা চারের নিচে হওয়া উচিত নয়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমে

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা সপ্তাহে এক দিন মাছ খান, তাঁদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় ১৫% কম। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। সপ্তাহে ৭০-৭৫ গ্রাম মাছ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। পাশাপাশি বাড়বে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং উন্নত হবে স্মৃতিশক্তি। কারণ, মাছের মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এতে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও কমে।

    আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল কমায়, রক্ত চলাচল বাড়ায়! আর কী কী গুণ রয়েছে রসুনের?

    ক্যান্সারের প্রবণতা কমে

    যাঁরা নিয়মিত মাছ খান, তাঁদের ক্যান্সারের প্রবণতা কম। মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়, যা ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে। এটি খেলে স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়। আপনি যদি নন-ভেজ খেতে পছন্দ করেন, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় মাছ ব্যবহার করা আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে। 

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

    উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এখনই অন্যান্য আমিষ খাবার ত্যাগ করে মাছ খাওয়া শুরু করুন। মাছে চর্বি কম থাকে, যার কারণে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ে না।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WTC final : বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতি নিতে লন্ডন যাচ্ছেন বিরাট-সহ ৯ জন

    WTC final : বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতি নিতে লন্ডন যাচ্ছেন বিরাট-সহ ৯ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরে আইপিএল থেকে রবিবারই বিদায় নিয়েছে আরসিবি। শতরান করেও দলকে বাঁচাতে পারেননি কোহলি। তাই মন ভেঙেছে। এবারও আইপিএল ট্রফির স্বাদ অধরাই থেকে গেল। কিন্তু দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন কিং কোহলি। তাই এবার দেশের হয়ে খেলতে ইংল্যান্ড পাড়ি দিচ্ছেন বিরাট। পরের মাস থেকে শুরু বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল (WTC final)। তাই বিশ্রাম না নিয়ে প্রস্তুতি সারতে আগেভাগেই ইংল্যান্ডে চলে যাচ্ছেন বিরাট-সহ আরও ৯ জন ভারতীয় ক্রিকেটার।

    আজ ভোরেই বিমান

    বোর্ড সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরবেলায় ইংল্যান্ডের বিমান ধরবেন কোহলি। তিনি একা নন, একই বিমানে মহম্মদ সিরাজ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর পটেল এবং শার্দূল ঠাকুর যাচ্ছেন। কোচ রাহুল দ্রাবিড়েরও মঙ্গলবার ভোরে একই বিমানে ইংল্যান্ডে রওনা হওয়ার কথা। ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর, বোলিং কোচ পরশ মামব্রে, ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ এবং দলের ম্যানেজারও ওই বিমানেই যাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: পাখির চোখ প্যারিস অলিম্পিক! জ্যাভলিনে বিশ্বের ১ নম্বর নীরজ

    বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই থেকে তিনটি ভাগে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবেন ক্রিকেটাররা। প্রথম দল মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বেরোচ্ছে। রোহিত শর্মা, ঈশান কিশন, শুভমন গিল, মহম্মদ শামি, কেএস ভরত এবং অজিঙ্ক রাহানে দেশে থেকে যাচ্ছেন নিজের দলের হয়ে প্লে-অফ খেলার জন্যে। চেতেশ্বর পুজারা আগে থেকেই ইংল্যান্ডে রয়েছেন। সামনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC final)। ৭ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নামবে ভারত। দু’মাসের আইপিএল খেলেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC final) খেলতে নামবে অধিকাংশ ভারতীয় ক্রিকেটার। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলে থাকা মাত্র তিনজন অজি ক্রিকেটার আইপিএলে খেলেছে। গত সপ্তাহে রিকি পন্টিং জানান, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি ভাল থাকবে অজিদের। তবে ভারতীয়দের কাছে থাকবে মূল্যবান গেম টাইম। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G 20 Meeting: কাশ্মীরে বৈঠক, তাই জি২০-তে অংশ নেবে না চিন! কড়া জবাব ভারতের

    G 20 Meeting: কাশ্মীরে বৈঠক, তাই জি২০-তে অংশ নেবে না চিন! কড়া জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলনের (G 20 Meeting) বৈঠকে অংশ নেবে না চিন। কাশ্মীরের (Kashmir) জমি ‘বিতর্কিত’ এমনই অভিমত পড়শি দেশের। এ বিষয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল তুরস্কও। আগামী ২২ মে থেকে ২৪ মে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে জি-২০ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলল ভারত। নয়াদিল্লি জানিয়ে দিল, নিজস্ব ভূখণ্ডে কোথায় তারা বৈঠক আয়োজন করবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দেশেরই প্রশাসন। অন্য দেশের ‘পরামর্শ’ যে, এ ক্ষেত্রে গ্রহণ করা হবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    কড়া মনোভাব ভারতের

    বিতর্কিত কাশ্মীরে (Kashmir) জি-২০ বৈঠকের (G 20 Meeting) আয়োজন কেন করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চিন। এদিকে, তুরস্ক ও সৌদি আরবও জি-২০ বৈঠকে যোগ দেবে না বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবারই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনলবিন বলেন, “যে কোনও বিতর্কিত এলাকায় জি-২০ বৈঠকের আয়োজনের তীব্র বিরোধিতা করছে চিন এবং আমরা এই ধরনের কোনও বৈঠকে যোগ দেব না”। অন্যদিকে, ভারতের তরফেও চিনের এই আপত্তির কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ভারত নিজের জমিতে যে কোনও জায়গায় বৈঠক করতে পারে। চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা অত্যন্ত জরুরি, এই কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিনের এই অবস্থানের পিছনে পাকিস্তানের প্রভাব দেখছে নয়া দিল্লি। 

    আরও পড়ুন: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    কাশ্মীরে জি২০ বৈঠকের শেষ পর্বের প্রস্তুতি

    জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত (G 20 Meeting) দেশগুলির পর্যটন সংক্রান্ত বৈঠকটি এ বার আয়োজিত হবে কাশ্মীরে। ২২ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত উপত্যকার এই বৈঠকে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধির যোগ দেওয়ার কথা। এই বৈঠকের জন্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরকে। সেনা বাহিনী থেকে শুরু করে মেরিন কম্যান্ডো ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডও মোতায়েন করা হয়েছে। ডাল লেক সংলগ্ন শের-ই-কাশ্মীর কনভেনশন সেন্টারে এই বৈঠক হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্য়াহারের পর এই প্রথম উপত্যকায় এত বড় মাপের কোনও আন্তর্জাতিক বৈঠক হতে চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Assembly Election: কর্নাটকের কুর্সিতে সিদ্দারামাইয়া! উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ শিবকুমারের

    Karnataka Assembly Election: কর্নাটকের কুর্সিতে সিদ্দারামাইয়া! উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ শিবকুমারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে রফাসূত্র বার করে কর্নাটকের (Karnataka Assembly Election) কুর্সিতে বসলেন সিদ্দারামাইয়া। শনিবার দুপুরে বেঙ্গালুরুতে উপচে পড়া কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি। এদিন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাবরচন্দ গহলৌতের কাছে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমারও। শপথগ্রহণের মঞ্চে সিদ্দা-শিবের হাত ধরিয়ে ঐক্যের ফ্রেম তৈরি করে দেন রাহুল গান্ধী। এই ছবি কত দিন এক ফ্রেমে থাকা তা অবশ্য সময় বলবে!

    কারা শপথ নিলেন

    সিদ্দা এবং শিবকুমারের পাশাপাশি, শনিবার শপথ নিয়েছেন একাধিক পূর্ণমন্ত্রী। মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের ছেলে প্রিয়ঙ্ক খাড়্গে। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রভাবশালী দলিত নেতা জি পরমেশ্বর।  বাল্মিকী জনগোষ্ঠীর নেতা সতীশ ঝারখিয়োলিও মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। তাঁর দাদা, বিজেপির নেতা রমেশ বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। পাঁচ বারের বিধায়ক তথা প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা এমবি পাতিল, মনমোহন সিংয়ের জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেএইচ মুনিয়াপ্পা, দলের সংখ্যালঘু নেতা জামির আহমেদ খান এবং কেজে জর্জও মন্ত্রিপদে শপথ নিয়েছেন শনিবার।

    আরও পড়ুন: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    শপথ অনুষ্ঠানে কারা ছিলেন

    বেঙ্গালুরুতে কর্নাটক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে (Karnataka Assembly Election) এদিন উপস্থিত ছিলেন নীতীশ কুমার, ভূপেশ বাঘেল, অশোক গেহলটের মতো কংগ্রেসি ও অবিজেপি দলের মুখ্যমন্ত্রীরা। ছিলেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ছেলে তথা নীতীশ মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা এবং কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী— ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা এবং পিডিপির মেহবুবা মুফতি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাননি। দূত হিসাবে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে পাঠিয়েছেন মমতা। প্রখ্যাত দক্ষিণী অভিনেতা কমল হাসানও ছিলেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে। তাঁকে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাতেও দেখা গিয়েছিল। কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গের পাশাপাশি, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ছিলেন। তবে শারীরিক কারণে ছিলেন না সনিয়া গান্ধী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    Narendra Modi: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে স্বাভাবিক পড়শিসুলভ সম্পর্কই চায় ভারত। কিন্তু উভয় দেশকেই একইভাবে সহনশীল, শান্তিপূর্ণ মনোভাব ধরে রাখতে হবে। জি-৭ বৈঠকে অংশ নিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার জাপান পৌঁছেছেন তিনি। শনিবার তিনি জি-৭ বৈঠকে অংশ নেন। জি-৭-এর মঞ্চেই নিজের কথা জানান মোদি।

    পাকিস্তানকে বার্তা মোদির

    ভারত বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক ও প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা চলিয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের আবহ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। আর এই ব্যাপারে যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করাটা অবশ্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব। সম্মেলন শুরুর প্রাক্কালে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সীমান্তপারের সন্ত্রাস দমনে ইসলামাবাদের সহযোগিতা চেয়ে আগেও একাধিক বার বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। সন্ত্রাস ও শান্তি আলোচনা যে সমান্তরাল ভাবে চলতে পারে না, সরাসরি তা-ও বলেছে ভারত।

    চিনকে বার্তা মোদির

    চিনকেও এক হাত নিয়ে মোদি বলেন, ভারত তার সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষায় সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মোদির (Narendra Modi) কথায়, “চিনের সঙ্গে সাধারণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে গেলে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখাটা আগে দরকার। চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পারস্পরিক সম্মান, পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার উপরে।” ইন্দো-চিন সীমান্ত বরাবর শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা। আবার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্ত বরাবর কোনও অংশ দখলে নেওয়ার মত আচরণও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক সুস্থ ও স্বাভাবিক হলে তাতে শুধু ভারত বা চিনের নয়, গোটা বিশ্বেরই উপকার হবে, বলে জানান মোদি।

    আরও পড়ুন: ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক! ২৮ মে উদ্বোধন নতুন সংসদ ভবনের

    গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান মোদির

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার আমন্ত্রণে তিন দিনের জি সেভেন বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবার জাপানে পৌছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার হিরোসিমাতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদানও করেন তিনি। তাঁর কথায়,”হিরোসিমার নাম শুনলে আজও পৃথিবী যেন আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। জাপানে জি সেভেন বৈঠকে যোগ দিতে এসে আমি মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন করার সুযোগ পেয়েছি। হিরোসিমাতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি স্থাপন অহিংসার বার্তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।” প্রধানমন্ত্রীর হিরোসিমাতে আসার পর থেকেই সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন প্রবাসী ভারতীয়রা।

    জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাত মোদির

    ২০০৩ থেকে জি-৭ বৈঠকে অংশগ্রহণ করছে ভারত। সূত্রের খবর, এবারের বৈঠকের শেষ দু’দিন নিজের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পেতে পারে ভারত। বৈঠকের ফাঁকে বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi)। শনিবারই রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পরে এই প্রথমবার মোদির সঙ্গে হিরোশিমাতেই সামনা-সামনি দেখা হল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি জেলেনস্কির। এর আগে একাধিক বার ফোনে কথা হয়েছে দু’জনের। 

    যুদ্ধ শুরুর পর থেকে, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ইউক্রেন বা রাশিয়ার পক্ষ বেছে নিলেও, ভারত বরাবর নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারত। একই সঙ্গে মাসখানেক আগে অতিরিক্ত ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম চেয়ে মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখেছিলেন জেলেনস্কি। সদর্থক সাড়া দিয়েছিল ভারত। এই আবহে জেলেনস্কির সঙ্গে মোদির মুখোমুখি বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share