Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথমবার! আজ দুদিনের জন্য রাজ্য সফরে আসছেন দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথমবার! আজ দুদিনের জন্য রাজ্য সফরে আসছেন দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন তিনি।  সোমবার-মঙ্গলবার দু’দিনের সফরে আসছেন রাষ্ট্রপতি। দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রেসকোর্স পৌঁছবেন তিনি।

    রাষ্ট্রপতির সারাদিন

    নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলেই রাজ্য সরকারের তরফে রাষ্ট্রপতিকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার কথা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।

    আজ প্রথমে রাজভবনে পৌঁছবেন দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানে কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়ার পরে তাঁর এলগিন রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাসভবনে যাওয়ার কথা। সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে সেখান থেকে  জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি যাবেন রাষ্ট্রপতি। ঘুরে দেখতে পারেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান। এর পর কলকাতায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাজভবনেই রাত্রিবাস করবেন রাষ্ট্রপতি। পর দিন ২৮ মার্চ সকালে তাঁর বেলুড়মঠে যাওয়ার কথা। সেখান থেকে দ্রৌপদীর সম্ভাব্য গন্তব্য বীরভূমের শান্তিনিকেতন।

    আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে উপবাস রাখছেন? সুস্থ, সতেজ থাকতে কী করবেন আর কী করবেন না

    কড়া নিরাপত্তা

    রাষ্ট্রপতির সফরের জন্য ইতিমধ্যেই শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার থেকেই মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় জোরদার পুলিশি টলহদারি চলছে। রাষ্ট্রপতির দুই দিনের রাজ্য সফরের জন্য যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। সোমবার এবং মঙ্গলবার দুই দিনই দমদম বিমানবন্দর,কলকাতা, বেলুড় মঠ এবং বীরভূমের বোলপুর শান্তিনিকেতনে যান চলাচল ব্যবস্থা প্রভূত পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

    বোলপুরে রাষ্ট্রপতি

    কলকাতা সফর সেরে রাষ্ট্রপতির যাওয়ার কথা শান্তিনিকেতনে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনের বিনয় ভবন সংলগ্ন কুমিরডাঙা মাঠে রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার অবতরণ করার কথা। সেখান থেকে বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র ভবন, কলা ভবন, আশ্রম প্রাঙ্গণ ঘুরে দুপুরে আম্রকুঞ্জের জহরবেদিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা দ্রৌপদীর। সেই অনুষ্ঠানে থাকার কথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসেরও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: শোকজের জবাব সন্তোষজনক নয়! ধর্মঘটীদের এক দিনের বেতন কাটার নির্দেশ

    DA Protest: শোকজের জবাব সন্তোষজনক নয়! ধর্মঘটীদের এক দিনের বেতন কাটার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শোকজ লেটার নিয়ে গর্বিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের দাবি, নিজেদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে (DA Protest) তাঁরা শিরদাঁড়া সোজা রেখেছেন। নিজেদের বিক্রি করেননি। প্রাপ্য ডিএ-র দাবিতে গত ১০ মার্চ যাঁরা কাজে যোগ দেননি, তাঁদের শোকজ করেছিল সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, যাঁদের শোকজের জবাব সন্তোষজনক নয়, তাঁদের মার্চ মাসের স্যালারি থেকে একদিনের বেতন কাটা যাবে। এমন একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে উচ্চ শিক্ষা দফতর।

    সরকারকে সতর্কবার্তা

    রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের (Govt Employees Agitation) যৌথ মঞ্চের ডাকে গত ১০ মার্চ বকেয়া মহার্ঘভাতার (DA Protest) দাবিতে ধর্মঘটের (DA Strike) ডাক দেওয়া হয়েছিল। পাল্টা রাজ্য সরকারের তরফেও নির্দেশিকা জারি করে অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ১০ মার্চ ব্যতিক্রমী কারণ ছাড়া অফিসে হাজিরা না দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সরকারের হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করেই, ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন বহু সরকারি কর্মচারী। সরকারি নোটিশের তোয়াক্কা না করে অনেক ধর্মঘটীদের জবাব, ‘ঠিক করেছি।’

    উল্লেখ্য, ডিএ ধর্মঘটে (DA Protest) অংশ নিয়ে যে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিস থেকে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই পদক্ষেপের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সার্ভিস রুলেই বলা আছে, তাঁদের ‘রাইট টু স্ট্রাইক’ বা ‘ধর্মঘটের অধিকার’ আছে।

    ভয় পেয়েছে সরকার

    রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে প্রতিহিংসা হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলছেন, ‘আমরা সরকারি কর্মচারীরা অতীতেও ধর্মঘট করে শাস্তিমূলক অবস্থার মধ্যে পড়েছি, মাইনে কাটা গিয়েছে। কিন্তু এই আন্দোলন অত্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। মানুষের প্রতিবাদের মুখ খুলে গিয়েছে। সরকারী কর্মচারীরা সব জেনেই এতে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু তাঁরা এই ঐতিহাসিক আন্দোলনের ডাক থেকে তাঁরা দূরে থাকতে চাননি। এতে কর্মচারীরা আরও উজ্জীবিত হচ্ছেন।’

    আরও পড়ুন: ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিলেন অয়ন! টাকা লগ্নি করেছিলেন আবাসন শিল্পে?

    সরকারের পদক্ষেপে ভয় পাওয়ার পরিবর্তে – ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কর্মচারীরা। অনেকের কথায়, ‘জীবনে প্রথম বার শোকজ নোটিস হাতে পেয়ে গর্বিত বোধ করছি। অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পেয়ে এতটা গর্ব হয়নি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যে এতটা আনন্দ আগে বুঝতে পারিনি।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ লিখেছেন,‘আমার স্কুলের একুশ জন শিক্ষিকার মধ্যে আমি একাই ছিলাম ধর্মঘটে (DA Protest) অংশগ্রহণকারী। তাই এই সার্টিফিকেট একাই পেলাম। সুস্থ-সবল শিরদাঁড়ার সার্টিফিকেট।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: ভারতীয় সেনার সামরিক প্রশিক্ষণের সময়ে ভুলবশত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রে বিস্ফোরণ

    Indian Army: ভারতীয় সেনার সামরিক প্রশিক্ষণের সময়ে ভুলবশত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রে বিস্ফোরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক প্রশিক্ষণের সময়ে ভুলবশত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র (Missile Misfired) ছুঁড়ল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়সালমীরে। শুক্রবার পোখরান ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে মহড়া চলাকালীন প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে তিনটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ‘ভুলবশত’ নিক্ষেপ করা হয় বলে সেনাসূত্রে খবর। 

    যান্ত্রিক ত্রুটিই দায়ী!

    সেনা (Indian Army) সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুলবশত উৎক্ষেপণ হওয়া ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির পাল্লা ১০ থেকে ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে। তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রই পাল্লার বাইরে গিয়ে বিভিন্ন গ্রামের ক্ষেতে আঘাত হেনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটায়। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহত বা কারও আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। হঠাৎ মিসাইল আছড়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতেই পোখরানের ফায়ারিং রেঞ্জ থেকে ওই মিসাইলের টেস্ট ফায়ারিং করা হচ্ছিল, কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা ভুলবশত উৎক্ষেপণ হয়।

    আরও পড়ুন: সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের উদ্যোগে আয়োজিত হল বায়ুসেনা এবং স্থলসেনার যৌথ মহড়া

    তদন্ত চলছে

    প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল অমিতাভ শর্মা জানান, কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা জানার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে। এদিকে প্রশাসন সূত্রে জাানা গিয়েছে, ভুলবশত উৎক্ষেপণ হওয়া তিনটি মিসাইলের মধ্যে দুটি উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও, তৃতীয় মিসাইলটির হদিস মেলেনি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী (Indian Army) মিলিতভাবে ওই ‘নিখোঁজ’ তৃতীয় মিসাইল খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। প্রতিবেশী দেশে ভুলবশত ওই মিসাইল পড়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাচনার ডিএসপি কৈলাশ বিষ্ণোই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আজাসার গ্রামের একটি ক্ষেতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি পাওয়া গিয়েছে অন্য একটি ক্ষেতে। ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণের কারণে ক্ষেত দু’টিতে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bogtui: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    Bogtui: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের বগটুইয়ের (Bogtui) ঘটনা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। বগটুইয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘শাসক দল খুন করল, আবার তারাই শহিদদের স্মরণ করল। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুইয়ের (Bogtui) নিহত সংখ্যালঘুদের নিয়ে নীরব থাকলেন।’’ বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের পরই আক্ষেপ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কী করিনি ওদের জন্য। চাকরি দিয়েছি, ক্ষতিপূরণ দিয়েছি, সমাজিক প্রকল্পের সুযোগ দিয়েছি। তারপরেও ওরা অন্য দলের সংস্পর্শে যাচ্ছে।”

    শুভেন্দুর দাবি

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের বগটুইয়ে (Bogtui) গত বছরের ২১ মার্চ আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ১০ জনের। ঘটনায় বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। তার এক বছর পার। নিহতদের স্মরণ করতেও রাজনৈতিক টানাপোড়েন। প্রথমে শহিদ বেদি তৈরি করে বিজেপি। তার কাছেই আবার রাতারাতি শহিদ বেদি তৈরি করে তৃণমূলও। পরে সেখানে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাজনীতি করতে এখানে আসিনি। বগটুইয়ে (Bogtui) আমরা বিগত নির্বাচনে মাত্র ১৭টি ভোট পেয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি যে আগামী দিনেও নিঃস্বার্থভাবে আপনাদের পাশে থাকব। আপনাদের পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব আমার।’’ সেদিনই বগটুই গ্রামের শহিদ বেদি সংলগ্ন মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা যায় অন্যান্য শহিদ পরিবারের সদস্যদেরও। এমনকী নিহতদের পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখকেও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির মঞ্চে দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না! নয়া নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের

    মমতার আক্ষেপ

    বীরভূম নিয়ে শুক্রবার কালীঘাটে দলীয় বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা জানান বগটুই (Bogtui) নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন মমতা। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বগটুইয়ের বাসিন্দারা এখন বিজেপির সঙ্গে রয়েছে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাগের কারণ। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে যদি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় তাহলে বীরভূমের বাসিন্দারা এখনই জবাব দিয়ে দেবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Civic Volunteers: দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না! নয়া নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের

    Civic Volunteers: দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না! নয়া নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে এবার রাজ্য পুলিশের তরফে সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteers) নিয়ে সার্কুলার জারি করা হল। এই সার্কুলারে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না (West Bengal Police)। ২৯ মার্চের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।  সেই মতো শুক্রবার সার্কুলার জারি করে রাজ্য পুলিশ। তাতে হাইকোর্টের নির্দেশ মাফিক কোন কোন কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteers) ব্যবহার করা যাবে, সেই সম্পর্কিত তথ্য স্পষ্টভাবে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। 

    কেন নির্দেশিকা

    সম্প্রতি জেলায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteers) দিয়ে স্কুলে পড়ানোর বিষয়টি সামনে আসতেই বিতর্ক তৈরি হয়। শিক্ষক হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। আবার তাঁদের কাজ কী? সেই প্রশ্নও ওঠে। এরপরই আদালত নির্দেশ দেয় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে। সেই অনুযায়ী, নয়া গাইডলাইন তৈরি করা হল।

    নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছে

    ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা (Civic Volunteers)। পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসবে ভিড় সামলাতে, বেআইনি পার্কিং রুখতে এবং মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশকে সাহায্যকারীর ভূমিকায় থাকবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। তবে নির্দেশিকায় যে বিষয়টি সবচেয়ে নজর কেড়েছে, তা হল, আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না। একেবারে স্পষ্ট ভাষায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের ৪ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা কেন্দ্রের! আন্দোলন আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    রাজ্য পুলিশে বর্তমানে ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৫ জন সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteers) রয়েছেন। কলকাতা পুলিশ এলাকায় রয়েছেন ৬ হাজার ৯৩২ জন। ২০১২ সালে চুক্তিভিত্তিক এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ন্যূনতম শিক্ষা যোগ্যতা আগে ছিল মাধ্যমিক উত্তীর্ণ। পরে তা আরও কমিয়ে অষ্টম শ্রেণি করা হয়। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে নেওয়া হয় না কোনও পরীক্ষাও। সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতন ৯ হাজার টাকা। আর কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান আছে এমন সিভিক ভলান্টিয়াররা থানায় ডেটা এন্ট্রির কাজ করেন। আবার রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ, লাইন সামলানো এবং যান নিয়ন্ত্রণের কাজ করেন সিভিক ভলান্টিয়ারা। থানাতেও মোতায়েন রাখা থাকে। তাঁরা পুলিশ অফিসারদের সহযোগিতা করেন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাছে কোনও অস্ত্র থাকে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chaitali Tiwari: সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি! কম্বলকাণ্ডে রক্ষাকবচ জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে

    Chaitali Tiwari: সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি! কম্বলকাণ্ডে রক্ষাকবচ জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সাময়িক স্বস্তি পেলেন কম্বলকাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি (Chaitali Tiwari)। আসানসোলের বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালিকে আপাতত গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। শুক্রবার তাঁর গ্রেফতারিতে সাময়িক ভাবে স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

    কী ঘটেছিল

    ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারির (Chaitali Tiwari) উদ্যোগে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি–সহ বিজেপির একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী বেরিয়ে যেতেই কম্বল নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তখনই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। তার মধ্যে একজন শিশু ছিল। এই ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়নি।  ওই ঘটনায় অভিযুক্ত জিতেন্দ্রকে গত শনিবার নয়ডা থেকে গ্রেফতার করে এনেছিল আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। এর পর আসানসোলের আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। জিতেন্দ্রকে রবিবার ৮ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছিল আসানসোল আদালত।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির উদ্যোগে রমজান মাসেই বেরোবে মোদির ‘মন কি বাত’-এর উর্দু সংকলন

     সুপ্রিম কোর্টে সুরক্ষাকবচের আবেদন

    শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, আসানসোলে কম্বল বিতরণী কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতারি এড়াতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সুরক্ষাকবচের আবেদন করেন চৈতালি (Chaitali Tiwari)। সেই আবেদনের সাড়া দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছেন, আগামী ৭ মে পর্যন্ত চৈতালিকে গ্রেফতার করা যাবে না। ৮ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানির হওয়ার কথা। ওই দিন জিতেন-সহ এই মামলায় আরও দুই অভিযুক্ত আসানসোলের বিজেপি কাউন্সিলর গৌরব গুপ্ত এবং দলের যুবনেতা তেজপ্রতাপ সিংয়েরও শুনানি রয়েছে। আগেই সাময়িক ভাবে সুরক্ষাবচ পেয়েছেন গৌরব ও তেজপ্রতাপ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: এসএসসি গ্রুপ সি-র কাউন্সেলিং-এর উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: এসএসসি গ্রুপ সি-র কাউন্সেলিং-এর উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি গ্রুপ সি-র (Group C) কাউন্সেলিং-এর উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের এজলাসে এসএসসি গ্রুপ সি (Group C) সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। একইসঙ্গে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের এজলাসে নবম-দশম মামলার শুনানিও ছিল। সেই মামলাতেও বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আপাতত শূন্যপদ পূরণ করা যাবে না। এখন ৭ দিনের জন্য ওই শূন্যপদগুলিতে কোনও নিয়োগ করতে পারবে না এসএসসি।

    শীর্ষ আদালতের মত

    চাকরি বাতিল সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিচ্যুতরা। চাকরি বাতিলের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে চাকরিচ্যুতরা জানান, হাইকোর্ট তাঁদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। তাই তাঁদের বক্তব্য শোনা হোক। নবম-দশমে ৬১৮ জন এবং গ্রুপ সি-র ৮৪২টি শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করেছিল এসএসসি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং সুধাংশু ধুলিয়া এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই স্থগিতাদেশ দেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ পদে কীভাবে নিয়োগ হতে পারে? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

    হাইকোর্টের মত

    উল্লেখ্য, গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে কাউন্সেলিং-এর প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার প্রথম দফার কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকাও হয়েছিল ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের। এরই মধ্যে এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কাউন্সেলিংয়ের উপর স্থগিতাদেশ। প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি চাকরিহারাদের আইনজীবী পার্থদেব বর্মণ জানাচ্ছেন, “আগামী দিনে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, শিক্ষক-অশিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যত মামলা রয়েছে, সেই সব মামলা আমরা শীর্ষ আদালতে নিয়ে যাব।”

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইলেন! হাইকোর্টে ‘ভুল’ স্বীকার করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান

    গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি নবম-দশমে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করে। এই চাকরিপ্রাপকদের বিরুদ্ধে উত্তরপত্রে কারচুপি করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এসএসসি-র তরফে এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়। তারপরই হাইকোর্ট তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ক্ষমা চাইলেন! হাইকোর্টে ‘ভুল’ স্বীকার করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান

    Calcutta High Court: ক্ষমা চাইলেন! হাইকোর্টে ‘ভুল’ স্বীকার করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত অবমাননার মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান (SSC Chairman) সিদ্ধার্থ মজুমদার। ‘ভুল’-এর জন্য হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন তিনি। সিদ্ধার্থবাবু বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের ব্যাখ্যা করতে আমাদের ভুল হয়েছে।’

    যা বললেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান

    নম্বর বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ অমান্য করার জন্য গত ১৭ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আদালতের নির্দেশমতো শুক্রবার হাজিরা দিয়ে এসএসসি-র চেয়ারম্যান জানান, আদালতের নির্দেশ বুঝতে তাঁদের ‘ভুল’ হয়েছিল। মামলাটি পুরনো বলে গোটা পদ্ধতিতে কোনও ভুল রয়েছে কি না, তা এসএসসিকে খতিয়ে দেখতে বলে আদালত। পদ্ধতিগত ত্রুটি দূর করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার কাজ কত দূর এগোল, তা আগামী শুক্রবার জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত। সূত্রের খবর, নির্দেশ না থাকলেও ওই দিন আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে দিতে পারেন এসএসসির চেয়ারম্যান। 

    আরও পড়ুুন: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    ২০১১ সালে উচ্চ প্রাথমিক টেটের পরীক্ষাকে কেন্দ্রে করে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর না দেওয়া সংক্রান্ত একটি মামলা চলছিল হাইকোর্টে। মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। গত বছর জুন মাসে মামলাকারীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এসএসসি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে আদালতে জানান সিদ্ধার্থবাবু। এসএসসি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের ভিত্তিতে, সবটা খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত মামলা স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে এসএসসি খতিয়ে দেখবে এক্সপার্টদের রিপোর্ট। তারপর হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দেবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pradeep Sarkar: চলে গেলেন ‘পরিণীতা’র পরিচালক প্রদীপ সরকার! শোকস্তব্ধ বলিউড-টলিউড

    Pradeep Sarkar: চলে গেলেন ‘পরিণীতা’র পরিচালক প্রদীপ সরকার! শোকস্তব্ধ বলিউড-টলিউড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউডে আবার ইন্দ্রপতন। শুক্রবার ভোর রাতে চলে গেলেন পরিচালক প্রদীপ সরকার (Pradeep Sarkar)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। রাত ৩.৩০ মিনিট নাগাদ প্রয়াত হন ‘পরিণীতা’-র পরিচালক। তাঁর পরিচালিত উল্লেখযোগ্য অন্যান্য ছবির মধ্যে অন্যতম লগা চুনরি মেঁ দাগ, মর্দানী, হেলিকপ্টার ইলা, লাফাঙ্গে পরিন্দে। সূত্রের খবর, আজ বিকেল ৪টেয় সান্তাক্রুজে দাহ করা হবে তাঁকে। পরিচালকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টিনসেল টাউন।

    ট্যুইটারে শোকজ্ঞাপন

    আজ ট্যুইটারে চিত্রপরিচালকের প্রয়াণের খবর শেয়ার করেন হংসল মেটা (Hansal Mehta)। খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যেই। শোকস্তদ্ধ টলিউড থেকে শুরু করে বলিউড। বাঙালি পরিচালক (Pradeep Sarkar) বলিউডে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন ভীষণ সফলভাবে।

    অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পরিচালক। জানা গিয়েছে তাঁর ডায়লাসিস চলছিল। শরীরে মাত্রাতিরিক্তভাবে কমে গিয়েছিল পটাশিয়ামের পরিমাণ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাত তিনটে নাগাদ। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

    ২০০৫ সালে বিদ্যা বালন (Vidya Balan), সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) অভিনীত ‘পরিণীতা’ ছবির হাত ধরে পরিচালনার জগতে পা রাখেন প্রদীপ (Pradeep Sarkar)। প্রথম ছবিতেই তাঁর কাজ মন ছুঁয়ে গিয়েছিল টলিউড ও বলিউডের দর্শকদের। এরপর রানি মুখোপাধ্যায় (Rani Mukherji), কঙ্গনা সেনশর্মা (Kankana Sensharma), অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bacchan) অভিনীত ছবি ‘লগা চুনরি মে দাগ’ তিনি উপহার দিয়েছিলেন দর্শকদের। অন্যধারার এই ছবিও বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।

    এরপর লাফাংগে পরিন্দে’ (Lafange Pharinde), ‘হেলিকপ্টার এলা’ (Helicopter Eela)-র মত ছবিও উপহার দেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে ট্যুইটারে শোকজ্ঞাপন করেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।

    আরও পড়ুন: ‘আরআরআর’-র হাত ধরে ভারতে এল অস্কার, ‘বেস্ট অরিজিন্যাল সং’ বিভাগে সেরা ‘নাটু নাটু’

    ক্রিয়েটিভ আর্ট-ডিরেক্টর হিসাবে মূলধারার বিজ্ঞাপনে ১৭ বছর কাটিয়েছিলেন প্রদীপ (Pradeep Sarkar)। জনপ্রিয় এই চলচ্চিত্র নির্মাতা ১৯৭৯ সালে দিল্লি কলেজ অফ আর্ট থেকে স্বর্ণপদক নিয়ে স্নাতক হন। ছবি পরিচালনা শুরুর আগে তিনি অসংখ্য় জনপ্রিয় মিউজিক ভিডিয়োর পরিচালক ছিলেন। লেখক ও পরিচালক হিসেবে তিনি সম্মানজনক অ্যাবি পুরস্কার, রাপা পুরস্কার এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার পর পুলিশের দায়ের করা মামলায় ২৩ জন বিজেপি কর্মীকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দিনহাটার বুড়িরহাটে  ওই ঘটনায় ৪৮ জন বিজেপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। তার মধ্যে ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বিজেপির দাবি নিশীথের কনভয়ে হামলা চালিয়েছিল তৃণমূল।

    কী বলল আদালত

    নিশীথের কনভয়ে আক্রমণ নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের করা হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন ডিভিশন বেঞ্চ জনস্বার্থ মামলার রায় না দেওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। এর পাশাপাশি বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীরাও দিনহাটা মহকুমার বাইরে বেরোতে পারবেন না। ২৯ মার্চ পর্যন্ত ২৩ জন বিজেপি কর্মীর এই রক্ষাকবচ থাকবে। আগামী ৩০ মার্চ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    কী ঘটেছিল

     গত ২৬  ফেব্রুয়ারি নিশীথ প্রামাণিকের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে দিনহাটায়। তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে বোমা, গুলি ছোড়া হয়। দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায় তাঁর কনভয়ে পৌঁছতেই তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা বাধে৷ সেখান থেকে শুরু হয় হাতাহাতি৷ তবে অভিযোগ ওঠে, বিজেপি সমর্থকদের হেনস্থা করেছে পুলিশ। পাল্টা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয় বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু, বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি দীপা চক্রবর্তী, মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি অর্পিতা নারায়ণ, দিনহাটার বিজেপি নেতা অজয় রায়, জয়দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: দুই বছরের জেল রাহুল গান্ধীর! ‘মোদি’ পদবী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত

    এই ঘটনায় মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলার শুনানিতে হলফনামা তলব করেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share