Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Holi Milan: আরএসএস-এর হোলি মিলন উদযাপনে এই প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের অংশগ্রহণ

    Holi Milan: আরএসএস-এর হোলি মিলন উদযাপনে এই প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের অংশগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এর সহযোগী সেবা ভারতীর বার্ষিক হোলি (Holi Milan) উদযাপনে এই প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের ৬ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় দিল্লি সদর দফতরে রবিবারের ঐতিহ্যবাহী ‘হোলি মিলন’ (Holi Milan) উদযাপনে আরএসএস এবং সেবা ভারতীর পক্ষ থেকে ছয়জন ট্রান্সজেন্ডারের একটি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁদেরকে “হামারে শিখন্ডি ভাই এবং বেহেনে” বলে মঞ্চে স্বাগত জানানো হয়।

    ট্রান্সজেন্ডাররা সমাজের অঙ্গ

    পুরুষ ও নারী— এই দুই চেনা পরিসরের বাইরে একটি পরিসর আছে। সেই ‘তৃতীয় পরিসর’ আজ সমাজের একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য। কিন্তু সমাজের মূলস্রোত এখনও ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ বিষয়টিকে অচ্ছুত করে রেখেছে। তাই বহু মানুষ তাঁদের সঠিক সত্তাকে প্রকাশ করতে সাহস পান না, বলে সম্প্রতি মত প্রকাশ করেছিলেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত। আরএসএস সমাজের এই শ্রেণির পাশে রয়েছে, বলে জানিয়েছিলেন তিনি। ভাগবত বলেছিলেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরও আলাদা ব্যক্তিগত পরিসরের প্রয়োজন। যেদিন থেকে মানুষ পৃথিবীতে এসেছে, সেদিন থেকেই এই ধরনের প্রবৃত্তি দেখা গিয়েছে। এটা জৈবিক বিষয়। জীবনেরই একটা অংশ। বিষয়টা খুবই সাধারণ। এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রচার দরকার। নাহলে অন্য পদক্ষেপগুলি নিরর্থক হয়েই থেকে যাবে। এরপরই এবছর আরএসএস-এর এই অভাবনীয় পদক্ষেপ।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে হোলি পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু ছাত্ররা, জখম অন্তত ১৫

    এদিনের অনুষ্ঠানে (Holi Milan) মহাভারতের শিখণ্ডীর উদাহরণ তুলে ধরা হয়। সংগঠনের তরফে বলা হয়, আরএসএস দেখেছে যে অনেক ট্রান্সজেন্ডার সামাজিক এবং ধর্মীয় গ্রহণযোগ্যতার জন্য ইসলামে ধর্মান্তরিত হচ্ছেন, যা কাম্য নয়। “কেন তারা বিচ্ছিন্ন বোধ করবে? তারা বরাবরই হিন্দু ধর্মের অংশ। আমাদের সমস্ত আচার-অনুষ্ঠানে সমাজের এই শ্রেণিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তাদের বোঝাতে হবে যে তারা সনাতন ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল।” অভিমত, সংগঠনের এক শীর্ষকর্তার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nagaland: পঞ্চমবারের জন্য নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফু রিও! অভিনন্দন মোদি-শাহের

    Nagaland: পঞ্চমবারের জন্য নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফু রিও! অভিনন্দন মোদি-শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন এনডিপিপি নেতা নেফু রিও (Neiphiu Rio)। দোলের দিন, মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চমবারের জন্য নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Nagaland CM) হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন তিনি। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উপস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন রিও। উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নড্ডা এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। 

    শপথ অনুষ্ঠান

    এদিন ৭২-এর রিওকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল লা গণেশন। উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করেন টিআর জেলিং ও ওয়াই প্যাটন। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুসারেই এদিন দুপুর ২টো নাগাদ কোহিমায় রাজভবনে নাগাল্যান্ডের (Nagaland) নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। রিও মন্ত্রিসভার অন্যান্যরাও শপথ নেন। সম্প্রতি ৬০ আসন বিশিষ্ট নাগাল্যান্ড বিধানসভায় ৩৭টি আসনে জয়লাভ করে এনডিপিপি-বিজেপি জোট। এর পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দলও রিও-নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে চিঠি লিখে তাদের সমর্থন জানিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি! অর্থনৈতিক লেনদেনে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহার করতে চলেছে শ্রীলঙ্কা

    পঞ্চমবারের জন্য নাগাল্যান্ডের (Nagaland) দায়িত্বভার গ্রহণের পর করমর্দন করে রিও-কে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রসঙ্গত, বিরোধীদের প্রচার উপেক্ষা করে অভাবনীয় ফল করেছে BJP ও NDPP জোট। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে ফের নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন NDPP বিধায়ক নিইফিউ রিও। এর আগে চারটি পর্যায়ের মধ্যে তিনবারই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পূর্ণ সময়ের মেয়াদ সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। কেবল ২০০৮ সালে নাগাল্যান্ডে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ায় তিনি ৫ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারেননি। তবে পরের বছর বিধানসভা নির্বাচনে NDPP জোট জয়ী হয়ে সরকার গড়ে এবং পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হন রিও।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India-Sri Lanka: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি! অর্থনৈতিক লেনদেনে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহার করতে চলেছে শ্রীলঙ্কা

    India-Sri Lanka: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি! অর্থনৈতিক লেনদেনে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহার করতে চলেছে শ্রীলঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহার করবে শ্রীলঙ্কা (India-Sri Lanka)। বিষয়টি এখন চূড়ান্ত হওয়ার পথে। শ্রীলঙ্কায় থাকা ভারতীয় হাইকমিশন থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের মুদ্রা দিয়ে কীভাবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হবে তা নিয়ে ভারত ও শ্রীলঙ্কার ব্যাংকগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই প্রস্তাবের পক্ষে মত দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী শেহান সেমাসিংহে। 

    প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ভারত

    প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাহায্যে ভারত চিরকাল এগিয়ে এসেছে। গত বছর যখন শ্রীলঙ্কা চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ছিল তখন ভারত খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানীর জরুরি ক্রয়ের জন্য মুদ্রার অদলবদল এবং ক্রেডিট লাইন সহ প্রায় 4 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক সহায়তা করে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে কলম্বোকে 2.9 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেলআউট প্যাকেজ পেতেও সাহয্য করে নয়া দিল্লি। এই প্যাকেজের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-কে গ্যারান্টি প্রদান করে ভারত। এবার নতুন করে শক্তিশালী ও ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্ব গড়ে তোলার কথা ভাবছে দুদেশ।

    হাইকমিশনের তরফে জানানো হয়, ভারত ও শ্রীলঙ্কার (India-Sri Lanka) মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারতীয় রুপির ব্যবহার নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে দুই দেশ। বাণিজ্য ও বিনিয়োগনির্ভর এই পদক্ষেপ দুদেশের মাঝে শক্তিশালী ও ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন উভয় দেশের কর্মকর্তারা। 

    আরও পড়ুুন: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    শ্রীলঙ্কার ভারতীয় হাইকমিশন (India-Sri Lanka) এক বিবৃতিতে জানায়, ব্যাংক অব সিলন, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান ব্যাংকের প্রতিনিধিরা এক বৈঠকে নিজেদের মধ্যে ভারতীয় রুপি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছেন। বৈঠকে ভারতীয় রুপি ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত সময়ে লেনদেন, তুলনামূলক কম বিনিময় ব্যয় ও বাণিজ্যিক ঋণ প্রাপ্তির মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। এ বিষয়ে দুদেশের কর্মকর্তারা আরও জানান, উভয় দেশের (India-Sri Lanka) মধ্যে ভারতীয় রুপির ব্যবহার শুরু হলে তা পর্যটন শিল্পের ওপর গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক ভূমিকা নেবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: প্রাপ্য ডিএ দিতেই হবে! ধর্নামঞ্চে গিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাশে থাকার বার্তা শুভেন্দুর

    DA Protest: প্রাপ্য ডিএ দিতেই হবে! ধর্নামঞ্চে গিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাশে থাকার বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ্যভাতা ফেরানোর আন্দোলন আরও জোরদার হল। সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ দিতেই হবে। সোমবার বিধানসভা থেকে বেরিয়ে ধর্মতলায় অনশনরত কর্মচারীদের ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’-এ গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিনই আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানাতে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে হাজির হলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। 

    ডিএ- নিয়ে শুভেন্দুর বার্তা

    সোমবার বিধানসভা অধিবেশন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়করা হেঁটেই চলে যান ধর্মতলার শহিদ মিনারের কাছে অনশন মঞ্চে। সেখানে আন্দোলনরত কর্মচারীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, ‘‘অনেকের মতো আমরাও আপনাদের পাশে আছি। হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে আপনারা মামলা জিতেছেন। আজ না হোক, কাল প্রাপ্য ডিএ দিতে হবে। শর্ত ছাড়া আমরা আপনাদের পাশেই রয়েছি।’’শুভেন্দু এ-ও বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল। আন্দোলনকারীদের ন্যায্য অধিকারের লড়াই জয়যুক্ত হোক। সেটাই চাই। আমাদের নৈতিক সমর্থন ওঁদের সঙ্গে থাকবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের কর্মচারি এবং শিক্ষক সংগঠনও এঁদের সঙ্গে যুক্ত আছেন। রাজনীতির বাইরে থেকে এই আন্দোলনকে আমরা সমর্থন জানাচ্ছি।’’

    আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    ডিএ আন্দোলন ছড়ানোর কথা নওশাদের মুখে

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি জানিয়ে শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ৩৯ দিনে পড়েছে ধর্মতলায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অনশন। এদিন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও গেলেন সেখানে।  আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন তিনি। জানান, এই আন্দোলন কলকাতা থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁরা শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত। ওঁদের পরামর্শ দেওয়ার মতো কিছুই নেই। তবে বলব, নিজেদের দাবি বুঝে নিতে হবে। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ভাবে এবং গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করুন।’’নওশাদ আরও বলেন, ‘‘এখন শুধু কলকাতায় এই আন্দোলন চলছে। আগামিদিনে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। বৃহত্তর আন্দোলন করতে হবে। তবে সেটা কোন উপায়ে হবে, সেটা আমার থেকে ভাল মাস্টারমশাইরা জানেন। আন্দোলনরত সরকারী কর্মচারীরা ভালই জানবেন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Holi: দোল মানেই দেদার খাওয়া সঙ্গে ভাঙের নেশা! জানুন এরপর নিজেকে ঠিক রাখতে কী কী করবেন?

    Holi: দোল মানেই দেদার খাওয়া সঙ্গে ভাঙের নেশা! জানুন এরপর নিজেকে ঠিক রাখতে কী কী করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোল মানেই রঙের বাহার। বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়দের সঙ্গে হইচই আর ভূরিভোজ। আবার অনেকের কাছে ভাঙের নেশা ছাড়া দোলের রঙ ফিকে। কিন্তু সাবধান দু-একদিনের ছুটির পরই ফিরতে হবে কাজে। তাই উৎসবের আনন্দে শরীরের যত্ন নিতে ভুলবেন না। হ্যাংওভার কাটিয়ে পরের দিন অফিস যেতে যআতে ঝামেলায় পড়তে না হয় তার জন্য রইল কয়েকটি টিপস 

    প্রচুর জল পান

    দোলের দিন নানা উল্টো পাল্টা খাওয়ার পর শরীরে প্রচুর জলের প্রয়োজন হয় এবং মানুষ অনেক সময় কম জল পান করে তাদের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। জল আপনার শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। এমন অবস্থায় যেন জলের অভাব না হয়। তবে একসঙ্গে অনেকটা জল খাবেন না। বারেবারে অল্প করে জল খান। যাঁরা ভাঙ খাবেন, তাঁরা সম্ভব হলে হালকা গরম জলতে লেবু মিশিয়ে পান করুন। 

    দই 

    দোলের দিন মিষ্টি, গুজিয়া, লাড্ডু থেকে নমকিন, ফুচকা সবই চলে তাই এরপর পেটে গোলমাল হলে, আমাদের বোঝা উচিত পেটের কিছুটা বিশ্রাম দরকার। এমন অবস্থায় হালকা ও হজমযোগ্য খাবার খাওয়া উচিত। এমন অবস্থায় মুগ ডালের খিচড়ি ও দই খাওয়া যেতে পারে। এতে পেটে আরাম মিলবে। তাহলে বদহজম বা গ্যাসের মতো সমস্যায় উপশম হবে।

    আদা চা

    আদার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। পেটে গ্যাস ও বদহজমের সমস্যা দূর করতে এটি কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। এমন অবস্থায় আদা চা পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে এই চায়ে দুধ ব্যবহার করতে হবে না। জলতে আদা সিদ্ধ করার পর সামান্য লেবু ও মধু মিশিয়ে এই চা পান করুন। এটি দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। এতে শরীরও গরম থাকবে।

    ভাজা জিরা

    পেট খারাপের ক্ষেত্রেও ভাজা জিরা খুব উপকারী। কুসুম গরম জলতে ভাজা জিরা খেলে খুব উপশম হয়। আপনি চাইলে জিরা জল ফুটিয়ে পান করতে পারেন। এটিও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়।

    কলা

    লুজ মোশনের সমস্যা থাকলে কলা খাওয়া উচিত। কলাতে পেকটিন নামক উপাদান পাওয়া যায়। এটি লুজ মোশনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও আপনার বাড়িতে যদি তুলসী গাছ থাকে তবে এর তাজা পাতার নির্যাস নিন। তুলসী পাতার নির্যাস খেলে পাকস্থলী ভালো হয়। 

    লেবু জল-জোয়ান জল

    যাঁরা অ্যালকোহল খেয়েছেন বা ভাঙ খেয়েছেন, নেশা কাটাতে তাঁদের জন্য অব্যর্থ লেবুজল। সামান্য বিটনুন মিশিয়ে নিতে পারলে আরও ভাল। খুব আইঢাই অবস্থা হলে বা অস্বস্তি হলে সামান্য জোয়ান মুখে দিতে পারেন। এতে গা গোলানো বা বমি ভাব হবে না।

    ভাজাভুজি এড়িয়ে যান

    ভাঙ খেলে ভাজাভুজি খাবেন না।  ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। মশলাদার খাবার একেবারেই খাবেন না। পরিমিত জল খান। একটু জোলো বা রসালো ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। সাধারণ বাড়ির খাবার খান লাঞ্চ এবং ডিনারে। 

    আরও পড়ুন: হার্ট ভাল রাখে সঙ্গে স্ট্রেসও কমায়! জানুন ডার্ক চকোলেটের ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

    খালি পেটে ভাঙ না

    খালি পেটে ভাঙ খাবেন না। ভাঙ খাওয়ার আগে ওট্‌স খেতে পারেন। পেট ভরা থাকলে পানীয়ের প্রভাব শরীরে ততটাও পড়ে না। ওট্‌সের কুকিজ়, গ্র্যানোলা বার, স্মুদি খেয়ে নিতে পারেন। এই দুই ধরনের খাবারের পাশাপাশি একমুঠো চিনাবাদাম বা আমন্ড খেয়ে নিলেও ঝরঝরে থাকে শরীর। 

    স্নান করুন

    শরীর অতিরিক্ত খারাপ লাগলে ভাল করে স্নান করুন। তারপর কোনও এসেন্সিয়াল অয়েল বা বাম লাগিয়ে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করুন। নজর দিন ঘুমের সময়ের উপর। পরিমিত ঘুম খুবই প্রয়োজন। শরীর ঠিকভাবে বিশ্রাম পেলেই চাঙ্গা হয়ে উঠবেন আপনি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Liverpool vs Manchester United: ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে ৭-০ গোলে হারিয়ে নয়া নজির লিভারপুলের

    Liverpool vs Manchester United: ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে ৭-০ গোলে হারিয়ে নয়া নজির লিভারপুলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোলের বন্যা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেতাবি দৌড়ে ঢুকে পড়া ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে ৭-০ গোলে হারিয়ে দিল লিভারপুল (Man Utd vs Liverpool)। খেতাবি দৌড় থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়া লিভারপুলের কাছে এই ম্যাচ ছিল নিজেদের পায়ের নীচে মাটি ফিরে পাওয়ার। সেই লক্ষ্যে ম্যাচের শুরু থেকে প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবলেই ম্যান ইউ রক্ষণকে প্রবল চাপে ফেলে দিলেন সালাহরা। এক আধটা গোল নয়, একেবারে হাফ ডজনেরও বেশি গোল। রবিবার অ্যানফিল্ডে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে(Man Utd vs Liverpool) নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করল লিভারপুল। 

    লিভারপুলের জয়ের নজির

    দুটি করে গোল কোডি গ্যাকপো, ডারউইন নুনেজ ও মহম্মদ সালার। এক গোল রবার্তো ফিরমিনোর। র্গেন ক্লপের দলের অভূতপূর্ব সাফল্য সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে। এরিক টেন হ্যাগের দল ১১ ম্য়াচ অপরাজিত থেকে এই ম্যাচে নেমেছিল। সেই সঙ্গে ৬ বছরের ট্রফি খরাও কাটিয়েছে ম্যান ইউ। আর সেই দলই কি না দ্বিতীয়ার্ধে ৬ গোল খেয়ে বসল!অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। এর আগে ১৮৯৫ সালে দ্বিতীয় ডিভিশনের ম্যাচে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে তারা ৭-১ জয় পেয়েছিল। কিন্তু এদিন লিভারপুল কোনও গোল হজম করেনি। ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে এই জয় লিভারপুলের সবচেয়ে বড় জয়ের নজির।  

    আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবলে ইতিহাস! সন্তোষ ট্রফিতে ব্যবহার করা হল ‘ভার’ প্রযুক্তি

    চলতি ইপিএল আরম্ভ হওয়ার পর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে লিভারপুলের মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। লিগের প্রথম দুই ম্যাচে হারার পর লিভারপুলকে হারিয়ে ছন্দে ফেরা শুরু করেছিল তারা। এরপরের লিগ যত এগিয়েছে ততো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের উন্নতি এবং লিভারপুলের অবনতি ঘটেছে। তাই কাল লিভারপুলের ঘরের মাঠ ‘এনফিল্ডে’ও খাতায়-কলমে এগিয়েছিল রেড ডেভিলসরাই। ।

    ম্যাচের ৪৩ মিনিট পর্যন্ত রেড ডেভিলসরা কিন্তু লিভারপুলের চোখে চোখ রেখেই খেলেছে। এগিয়েও যেতে পারত তারা। কাসেমিরো লিভারপুলের জালে বলও জড়িয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। আর ইউনাইটেডের গোল বাতিল হওয়ার পরপরই গ্যাকপোর ১-০ এগিয়ে দেন লিভারপুলকে। ৪৭ মিনিটের মাথায় ২-০ করেন নুনেজ। এর ঠিক মিনিট তিনেক পরেই নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে ৩-০ করেন গ্যাকপো। এরপর ৬৬ মিনিটে লিভারপুলের হয়ে চার নম্বর গোলটি করেন সালাহ। ৭৫ মিনিটে ফের গোল করেন নুনেজ। ৮৩ মিনিটে ৬-০ করেন সালাহ। ৮৮ মিনিটে ব্রাজিলীয় ফিরমিনো ৭-০ করেন।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Neeraj Chopra: চলতি বছরেই ৯০ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুড়তে মরিয়া নীরজ

    Neeraj Chopra: চলতি বছরেই ৯০ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুড়তে মরিয়া নীরজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্র্য়াক অ্য়ান্ড ফিল্ডে অলিম্পিক্সে ভারতের হয়ে প্রথম সোনা জিতেছিলেন জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। দেশের প্রথম জ্যাভলিন থ্রোয়ার হিসেবে টোকিও অলিম্পিক্সে (Tokyo Olympics 2023) পদক জেতেন তিনি। তবে অলিম্পিক্সে সোনা জিতলেও এখনও লক্ষ্যপূরণ হয়নি নীরজের। তাঁর লক্ষ্য ৯০ মিটার দূরত্বে জ্য়াভলিন ছোড়া। এবার নিজের লক্ষ্য পূরণ করতে মরিয়া পানিপথের তরুণ।

    দূরত্ব বাড়ানোই লক্ষ্য

    গত ২ বছর ধরে ৯০ মিটার দূরত্বে জ্য়াভলিন ছোড়ার চেষ্টা করছেন নীরজ। চলতি বছরেই সেই লক্ষ্যপূরণের বিষয়ে আশাবাদী পানিপথের ছেলে। গত বছর জুনে স্টকহোমে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের কেরিয়ারের সেরা ৮৯.৯৪ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছিলেন নীরজ চোপড়া। টোকিও অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ার বলেন, ”৯০ মিটার দূরত্ব করে অতিক্রম করতে পারব, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অনেক প্রশ্ন উঠছিল। আশা করি চলতি বছরেই সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।” প্রসঙ্গত, টোকিও অলিম্পিক্সে ৮৭.৫৮ মিটার ছুঁড়ে জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন নীরজ। 

    আরও পড়ুন: “স্বপ্ন পূরণের মুহূর্ত”, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয়ে উচ্ছ্বসিত হরমনপ্রীত

    অলিম্পিকে আরও সোনা চাই

    শহর কলকাতায় রবিবার রেভ স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারচুয়ালি উপস্থিত ছিলেন টোকিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী নীরজ। আপাতত বিদেশে পুরোদমে ট্রেনিংয়ে ব্যস্ত তিনি। নীরজের কথায়, প্রস্তুতি সঠিক ভাবে না হলে কোনও কিছুতেই মন বসে না তাঁর। বাড়ি গিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালেও মাথায় ঘোরে অনুশীলনের কথাই। নীরজের সাফল্যের চাবিকাঠিই হলো তাঁর এই একাগ্রতা। সাফল্যের শিখরে ডানা মেলে উড়লেও পা দুটো মাটিতে রাখতেই ভালবাসেন তিনি। তাই এখনও জয়ের খিদে এতটুকু কমেনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জ্যাভলিন থ্রোয়ের দূরত্বকে আরও বাড়াতে চান নীরজ। ৯০ মিটার, ৯৫ মিটার- এভাবেই এগোতে চান তিনি। আর একটি সোনা নয়, মাইকেল ফেল্পস, উসেইন বোল্টের মতো অলিম্পিকের মঞ্চ থেকে ভারতকে আরও সোনা এনে দেওয়াই লক্ষ্য তাঁর। ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের জন্য তাই ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন নীরজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adeno Virus: ফের শিশুমৃত্যু! অ্যাডিনো সংক্রমণ রুখতে এবার বড়দের পরামর্শ স্বাস্থ্য দফতরের

    Adeno Virus: ফের শিশুমৃত্যু! অ্যাডিনো সংক্রমণ রুখতে এবার বড়দের পরামর্শ স্বাস্থ্য দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বি সি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) আরও এক শিশুর মৃত্যু হল। অ্যাডিনো-আতঙ্কের (Adeno Virus) মধ্যেই জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত রবিবার থেকে হাসপাতালের (ICU) আইসিইউ-তে ভর্তি ছিল বিরাটির বাসিন্দা ৮ মাসের ওই শিশুটি। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে (Death Certificate) ‘নিউমোনিয়া’ (Pneumonia) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়ে ২ মাসে রাজ্যে ৫৯ জন শিশুর মৃত্যু (Death) হয়েছে।  

    অ্যাডিনো-আতঙ্কে (Adeno Virus) ফের নয়া নির্দেশিকা

    ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ভয়াবহ আকার নিয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus) । শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এই ভাইরাসে। এবার অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় আরও এক নতুন নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় বড়দের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

    বাড়ির বড়দের উদ্দেশে চিকিৎসকদের পরামর্শ: 

    ১) বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোবেন এবং শিশুদেরও এটা অভ্যাস করান।

    ২) বাইরে থেকে এসে জামা-কাপড় বদল করে এবং হাত ধুয়ে তবে শিশুদের কাছে যাবেন।

    ৩) সংক্রমণ ঠেকাতে শিশুদের ভিড় থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে মাস্ক পরানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।  

    ৪) কাশি বা হাঁচির সময় রুমাল অথবা নিজের কনুই দিয়ে মুখ ঢাকা দিন। যেখানে সেখানে কফ বা থুতু ফেলবেন না।

    ৫) যে সব শিশুদের কোনও গুরুতর জন্মগত অসুখ বা অপুষ্টিজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের বিশেষ সাবধানে রাখতে হবে।

    ৬) প্রতিদিন হালকা গরম নুন-জলে গার্গল করুন। ছোট বাচ্চাদের হালকা গরম জল বা অন্য যে কোনও গরম পানীয় বারে বারে খেতে দিন।

    ৭) বাসক, আদা, তুলসি, লবঙ্গ কাশি কমায় এবং কফ পাতলা হতে সাহায্য করে।  তাই কাশি হলে এগুলি খাওয়া যেতে পারে।

    ৮) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক বা কাফ সিরাপ দেবেন না। 

    আরও পড়ুন: ঋতু পরিবর্তনের সময় বাড়ছে ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ! কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    পরিস্থিতি সামাল দিতে সমস্ত শিশু বিভাগে PADEATRIC HIGH FLOW NASAL OXYGEN SUPPLY ব্যবস্থা চালু করছে স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে এরকম ১০ টি মেশিন চালু হয়েছে। এতে ভেন্টিলেটর নির্ভরশীলতা কমবে। কোভিডের সময় বড়দের জন্য এই পদ্ধতি কার্যকরী হয়েছিল বলে, দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। পাশাপাশি, শিশুদের চিকিৎসায় জেলা থেকে রেফার কমাতে, টেলি মেডিসিন ব্যবস্থায় আরও বেশি করে শিশু চিকিৎসককে যুক্ত করতে মেডিক্য়াল কলেজগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।  রোগের বিপজ্জনক লক্ষ্মণ সম্পর্কে আশাকর্মীদের সচেতন করা হচ্ছে। তাঁরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adeno Virus) সংক্রমণ এবং উপসর্গ সম্পর্কে জানাচ্ছেন শিশুর আত্মীয় পরিজনদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sasthipada Chattopadhyay:  প্রয়াত ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

    Sasthipada Chattopadhyay: প্রয়াত ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyay)। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।  বৃহস্পতিবার রাত থেকে পরিস্থিতি আচমকা বিগড়ে যায়, চিকিৎকরা সবরকম চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যে একটা যুগের অবসান হল।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার বাড়িতেই স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। তারপরই অশীতিপর ষষ্ঠীপদকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুপুর ৩টের সময় হাসপাতাল থেকে প্রয়াত সাহিত্যিকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়ার জগাছা এলাকার ধারসায়, তাঁর নিজ বাসভবনে। হাওড়ার শিবপুর বার্নিং ঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এর আগে জানুয়ারি মাসেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyay)। ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছিলেন, কিন্তু ফের ধাক্কা। এবার আর সামলাতে পারলেন না তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়

    ষষ্ঠীপদের সৃষ্টি

    ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’বাঙালির কাছে এক আবেগের ছোঁয়া। ষষ্ঠীপদের (Sasthipada Chattopadhyay) লেখনিতেই বাবলু, বাচ্চু , বিলু, ভোম্বল, বিচ্চু এবং পঞ্চু —এই পঞ্চ পাণ্ডব জটিল রহস্যের সমাধান করেছে বইয়ের পাতায়। প্রতিটা চরিত্রই যেন জীবন্ত। তাঁর এই কাহিনি অবলম্বনে তৈরি হয়েছে একাধিক কমিক স্ট্রিপ, টেলিভিশন ধারাবাহিকও। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৯ মার্চ হাওড়া জেলার খুরুট ষষ্ঠীতলায় জন্মগ্রহণ করেন ষষ্ঠীপদ। কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্যসাধনা শুরু হয় তাঁর। ছোটবেলা থেকে রোমাঞ্চের প্রতি ছিল তাঁর অমোঘ টান। তাঁর গল্প, উপন্যাসে ভ্রমণের ছাপ পাওয়া যায়। ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র পাশাপাশি ‘প্রাইভেট ডিটেকটিভ অম্বর চ্যাটার্জী’, ‘কিশোর গোয়েন্দা তাতার-এর অভিযান’ ইত্যাদি জনপ্রিয় গোয়েন্দা গল্প রচনা করেছেন ষষ্ঠীপদ। ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyay) প্রকাশিত জনপ্রিয় গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে ‘চতুর্থ তদন্ত’, ‘সোনার গণপতি হীরের চোখ’, ‘কাকাহিগড় অভিযান’, ‘সেরা রহস্য পঁচিশ’, ‘সেরা গোয়েন্দা পঁচিশ’, ‘রহস্য রজনীগন্ধার’, ‘দেবদাসী তীর্থ’, ‘কিংবদন্তীর বিক্রমাদিত্য’, ‘পুণ্যতীর্থে ভ্রমণ’, ‘কেদারনাথ’, ‘হিমালয়ের নয় দেবী’। ২০১৭ সালে শিশুসাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয় এই সাহিত্যিককে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির টাকাও গোপালের চিটফান্ডে! তদন্ত শুরু করল সিবিআই

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির টাকাও গোপালের চিটফান্ডে! তদন্ত শুরু করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC Scam) নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত গোপাল দলপতির চিটফান্ড কারবারের খোঁজখবর শুরু করল সিবিআই। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। তার পর বেশ কিছুদিন তিহাড় জেলে বন্দিও ছিলেন গোপাল। চিটফান্ড দুর্নীতিতে জড়িয়েই গোপালের যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে যায়। নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে নাম বদলে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় হন তিনি। 

    প্রথমে চিটফান্ড তারপর এসএসসিতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন

    সিবিআই সূত্রে খবর, ৪৭ মাসে ১৫ শতাংশ সুদে লক্ষ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হবে এই টোপ দেখিয়ে চিটফান্ড ব্যবসা শুরু করেন গোপাল। ২০১২ সালে জি নেট নামে এই চিটফান্ড চালু করেন তিনি। জেলায় জেলায় প্রচুর এজেন্ট নিয়োগ করেন। কিন্তু প্রথমে তিনি তেমন সাড়া পাননি। এর পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় জমি কিনতে শুরু করেন গোপাল। বলেন, কোনও সমস‌্যা হলে জমি বিক্রি করে টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে এই শর্তে টাকা তোলেন গোপাল। তাঁকে সাহায্য করতেন স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ‌্যায়। গ্রামের জমিতে শিল্পে প্রকল্প গড়ে তোলার আশ্বাস দিতেন গোপাল ও তাঁর এজেন্টরা। সেই প্রকল্পে আমানতকারীদের পরিবারের সদস্যরা চাকরি পেতে পারেন বলেও স্বপ্ন দেখাতেন তিনি। স্বপ্ন ফেরি করতে বেশ পটু গোপাল ও তাঁর মডেল স্ত্রী এমনই ধারণা গোয়েন্দাদের। প্রথমে চিটফান্ড তারপর এসএসসিতে (SSC Scam) চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা তোলেন গোপাল, অনুমান অফিসারদের।

    আরও পড়ুুন: ত্রিপুরায় জয়ী বিজেপি, নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়ে মুখ পোড়াল তৃণমূল

    গোপালের চিটফান্ড মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি জেলায় জনপ্রিয়তা পায়। লোকে লক্ষ লক্ষ টাকা দেয়। তবে, লগ্নিকারীদের কাছ থেকে খবর নিয়ে সিবিআই জেনেছে, কেউই প্রায় টাকা ফেরত পাননি। এদিকে, এমন খবরও তদন্তকারীদের কাছে এসেছে যে, জমিগুলি সবার অলক্ষ্যে স্থানীয় এজেন্টদের সাহায‌্য নিয়ে  বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে পড়েন গোপাল। শেষ পর্যন্ত ভোলবদলে গোপাল হন আরমান গঙ্গোপাধ‌্যায়। সিবিআইয়ের অনুমান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকা গোপালের চিটফান্ডে গিয়ে থাকতে পারে। এব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান গোয়েন্দারা। গোপাল দিল্লি থেকে ফিরলেই সিবিআই তাঁকে জেরা করতে চায় বলে খবর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share