Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Chetan Sharma: বেফাঁস মন্তব্যের জের! মুখ্য নির্বাচক পদ থেকে সরে গেলেন চেতন শর্মা

    Chetan Sharma: বেফাঁস মন্তব্যের জের! মুখ্য নির্বাচক পদ থেকে সরে গেলেন চেতন শর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করলেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের মুখ্য নির্বাচক চেতন শর্মা। রঞ্জি ফাইনালের প্রথম দিন ইডেনে উপস্থিত ছিলেন চেতন। কলকাতায় বসেই বিসিসিআই সচিব জয় শাহকে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। সেটা গৃহীত হয়েছে। রঞ্জি ট্রফি ফাইনালের প্রথম দিনের খেলা পুরোটাই দেখেন সদ্য প্রাক্তন হওয়া বোর্ডের মুখ্য নির্বাচক। তারপরই পদত্যাগ করেন। শুক্রবার রঞ্জি ফাইনালের দ্বিতীয় দিন আর চেতনকে ইডেনে দেখা যায়নি। 

    বেফাঁস মন্তব্য

    সম্প্রতি স্টিং অপারেশেনে চেতন শর্মার বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল বিসিসিআই। এরপর তাঁর চাকরি যাওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা এমনই ধারণা ক্রিকেট মহলের। যদিও বিসিসিআইয়ের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই জাতীয় নির্বাচকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন চেতন শর্মা। স্টিং অপারেশনে ভারতীয় ক্রিকেটের বিতর্কিত অধ্যায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিরাট কোহলির দ্বন্দ্ব নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন চেতন। সেখানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিরাট কোহলির মধ্যে ইগোর লড়াইয়ের কারণেই অধিনায়কত্ব হারিয়েছিলেন বিরাট বলে মন্তব্য করেছিলেন চেতন। এছাড়া জসপ্রীত বুমরাহকে ব্যাথা কমানোর ইঞ্জেকশন দিয়ে জোর করে খেলানো হয়েছিল বলে দাবি করেন চেতন শর্মা।

    শিবসুন্দরের হাতে দায়িত্ব!

    চেতন শর্মা ইস্তফা দেওয়ায় বোর্ডের নির্বাচন কমিটির সদস্য সংখ্যা নেমে এল চারে। সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সলিল আঙ্কোলা, এস শরথ এবং এসএস দাসকে গত জানুয়ারি মাসে বিসিসিআইয়ের নির্বাচন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। টি-২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পুরো সিলেকশন কমিটিকেই বদলে ফেলার পরিকল্পনা ছিল বোর্ডের। তবে মুখ্য নির্বাচক পদে তেমন কাউকে না পাওয়ায় চেতন শর্মাকেই ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। দ্বিতীয়বার তাঁর মেয়াদ রইল মাসখানেকের মতো।

    আরও পড়ুন: সৌরভের সঙ্গে ইগোর লড়াই, নেতৃত্ব ছাড়েন বিরাট! গোপন ক্যামেরায় আর কী কী বললেন চেতন শর্মা?

    বোর্ড সূত্রে খবর, চেতনের জায়গায় নির্বাচক প্রধানের দায়িত্ব সামলাতে চলেছেন শিবসুন্দর দাস। আগামী দিনে তাঁর হাতেই মুখ্য নির্বাচকের ব্যাটন তুলে দিতে পারে বিসিসিআই। ভারতের হয়ে ২৩টি টেস্ট খেলা শিবসুন্দর কিছু দিন আগেই নির্বাচক কমিটিতে সুযোগ পান। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালীন আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলেন শিব। ওড়িশার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলতেন তিনি। ভারতের হয়ে চারটি এক দিনের ম্যাচও খেলেছিলেন শিবসুন্দর। টেস্টে দু’টি শতরান-সহ ১৩২৬ রান করেছিলেন তিনি। নির্বাচক কমিটিতে থাকা বাকি সদস্যদের থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা কিছুটা বেশি শিবসুন্দরের। সেই কারণেই তাঁর উপর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে, বলে অনুমান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ITBP: চিন সীমান্তে মোতায়েনের লক্ষ্যে আরও ৯ হাজার আইটিবিপি জওয়ান নিয়োগে সম্মতি কেন্দ্রের

    ITBP: চিন সীমান্তে মোতায়েনের লক্ষ্যে আরও ৯ হাজার আইটিবিপি জওয়ান নিয়োগে সম্মতি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ৯ হাজার ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (ITBP) মোতায়েন করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ সাল থেকেই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব ছিল। সেটাই কার্যকর হতে চলেছে। কিন্তু হঠাতই এই সেনা মোতায়েন করা নিয়ে জল্পনা নানা মহলে। কেন হঠাৎ এই সেনা মোতায়েনের ভাবনা? কোনও আসন্ন বিপদের গোপন সংকেত কি পেয়েছে কেন্দ্র?

    মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জানান, ভারত-চিন সীমান্তে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (ITBP) জন্য একটি নতুন অপারেশনাল ঘাঁটি এবং সাতটি নতুন সীমান্ত ব্যাটালিয়ন তৈরির জন্য ৯৪০০ জন জওয়ান (soldiers) নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।  চিন সীমান্তে ভারতীয় প্রতিরক্ষার প্রথম দেওয়াল আইটিবিপি জওয়ানরা। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে সীমান্তে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছেন ভারত ও চিনের জওয়ানরা। বারবার চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত।

    আরও পড়ুন: তিনদিন পর বিবিসির অফিস ছাড়লেন আয়কর আধিকারিকরা! কী মিলল দফতর থেকে? 

    আগাম সতর্কতা

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত-চিন সীমান্তে সব সময় নিরাপত্তার অভাব থাকে। ডোকালাম, পূর্ব লাদাখ, তাওয়াং ইত্যাদি এলাকায় গত কয়েক বছর ধরেই চিনা সেনার সঙ্গে মুখোমুখি হতে হয়েছে ভারতীয় সেনাকে। ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে বারবার। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গত কয়েক বছরে সেনা মোতায়েন অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে চিনও। উপগ্রহ চিত্রে চিনের সেনাদের ছাউনি ও অস্ত্র মোতায়েনের ছবি দেখা গিয়েছে। সেটা ভারতের পক্ষে সুখবর নয়। তাই ভারতকেও তৈরি থাকতে হবে। এটা তারই প্রস্তুতি বলে অনুমান। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, সীমান্ত চৌকি তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ এবং অফিস ও আবাসিক ভবন তৈরি এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদের জন্য ১৮০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪৭টি সীমান্ত চৌকি তৈরির ফলে আইটিবিপি’র ক্ষমতা ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BBC: তিনদিন পর বিবিসির অফিস ছাড়লেন আয়কর আধিকারিকরা! কী মিলল দফতর থেকে?

    BBC: তিনদিন পর বিবিসির অফিস ছাড়লেন আয়কর আধিকারিকরা! কী মিলল দফতর থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা তিনদিন! প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি)-এর দিল্লি এবং মুম্বইয়ের অফিসে ‘সমীক্ষা’ শেষ করে বেরোলেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে সার্ভে শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে অবশেষে বিবিসির অফিস থেকে বের হলেন আয়কর বিভাগের কর্তারা। এই অভিযানকে তল্লাশি বলতে নারাজ আয়কর বিভাগ, তাদের দাবি, এটা রুটিন আর্থিক সমীক্ষা। অফিসের যাবতীয় ডিজিটাল নথি, ফাইল পরীক্ষা করা হয়েছে এই বিগত তিনদিনে।  বিবিসির অফিসে ১০ জন শীর্ষকর্তাও এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার এই ‘সমীক্ষা’র ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানাবে আয়কর বিভাগ।

    বিবিসি-র ট্যুইট

    আয়কর বিভাগের ‘সমীক্ষা’ শেষের বিবিসি-র তরফে একটি ট্যুইট করা হয়। ট্যুইটে বিবিসি জানিয়েছে, ‘‘আয়কর বিভাগের কর্তারা দিল্লি এবং মুম্বইয়ের অফিস থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করে যাব। আশা করছি দ্রুত এর নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।’’

    ট্যুইট বার্তায় আরও লেখা হয়েছে, ‘‘আমাদের কর্মী, যাঁরা এত ক্ষণ অফিসে রয়েছেন বা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন, তাঁদের খেয়াল রাখা আমাদের অগ্রাধিকারে রয়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। আমরা ভারত এবং ভারতের বাইরের দর্শক-শ্রোতাদের খবর পরিবেশন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ সেখানে আরও লেখা রয়েছে, ‘‘বিবিসি একটি বিশ্বস্ত, স্বাধীন সংবাদমাধ্যম। আমরা আমাদের সহকর্মী এবং সাংবাদিকদের পাশে আছি, যাঁরা ভয় এবং পক্ষপাত ছাড়াই খবর পরিবেশন করেন।’’

    আরও পড়ুন: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    আয়কর দফতর সূত্রে খবর, মূলত করফাঁকি ও ট্রান্সফার প্রাইসিং সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখতেই ওই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। আয়কর আধিকারিকেরা সংস্থার কম্পিউটার ও ল্যাপটপে ‘শেল কোম্পানি’, ‘ফান্ড ট্রান্সফার’, ‘ফরেন ট্রান্সফার’-এর মতো শব্দগুলি খুঁজেছেন। পাশাপাশি, বিবিসির আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত বিভিন্ন বৈদ্যুতিন এবং কাগুজে নথির প্রতিলিপি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বিবিসির ব্যবসায় বিদেশি মুদ্রার অনিয়মিত ট্রান্সফার ও লাভের হিসাবে গরমিল সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে এই সমীক্ষা করা হয়। তবে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য পাওয়া গিয়েছে কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tripura: ত্রিপুরায় উৎসবের মেজাজে ভোটের লাইনে আমজনতা! ভোট পড়ল ৮১ শতাংশ

    Tripura: ত্রিপুরায় উৎসবের মেজাজে ভোটের লাইনে আমজনতা! ভোট পড়ল ৮১ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পড়ল ৮১ শতাংশ। বিক্ষিপ্ত দু-একটা ঘটনা ছাড়া মোটের উপর ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ। এদিন ত্রিপুরায় ভোটের লাইনে দেখা গেল বহু বয়স্ক ভোটারকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এবার শতায়ু ভোটারের সংখ্যা ৭৬৬। ৮০ ঊর্ধ্ব ভোটার রয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার। নতুন ভোটারের সংখ্যা ৯৪ হাজার, যাদের বয়স ১৮-১৯-এর মধ্যে। নতুনদের পাশাপাশি, বয়স্ক ভোটাররাও এবার ত্রিপুরায় অন্যতম ভোট ফ্যাক্টর। 

    বাধা-বিপত্তি

    ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৩৬টি আসনে জিতে গরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল বিজেপি। জোটসঙ্গী আইপিএফটি পেয়েছিল ৮টি আসন। মাত্র ১৬টি আসনে জয়ী হয়েছিল বামেরা। এবারের নির্বাচনে ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৬টিতে লড়ছে বামেরা। জোটসঙ্গী কংগ্রেস লড়ছে ১৩টি আসনে। একটি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে নির্দল প্রার্থীর জন্য। মোট ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।বিজেপির শাসনে বিজেপি প্রার্থীকেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তিপ্রা মোথার বিরুদ্ধে। গোলাঘাটি বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী হিমানী দেববর্মা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

    ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন বলেন, “খুব ভাল উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় মোথা (তিপ্রা মোথা) অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা করছে।  আদিবাসী জায়গায় বুথগুলিতে ওরা জোর জবরদস্তি করার চেষ্টা করছে। তবে এতে তাঁরা সফল হবেন না। কোনও লাভ হবে না। সমাজ বিরোধীদের ওঁরা পোলিং এজেন্ট বানিয়েছেন।” বাম-কংগ্রেস জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “ওদের জোটটা মানুষ খায়নি। ওরা কেন জোট করেছে তা ব্যাখ্যা করতে করতেই নির্বাচন এসে গিয়েছে।” তিনি আরও বলেছেন, “আমরা তো উন্নয়নের বার্তা নিয়ে, মোদির কথা নিয়ে মানুষের কাছে গিয়েছি। তবে ওঁরা মানুষের কাছে গিয়েছে, এই জোটটা কেন হল তা বোঝাতে।” 

    আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তায় ভোট শুরু ত্রিপুরায়! ২৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে

    এদিন সকালেই সকলকে দ্রুত ভোট দেওয়ার আবেদন জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, “আমি ত্রিপুরার সকলকে ভোটারকে গণতন্ত্রের এই উৎসবে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করছি। আপনাদের প্রত্যেকটি ভোট সুশাসন, উন্নয়ন ও দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kuntal Ghosh: কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ইডির আধিকারিকরা! কী জানতে চাইলেন অফিসাররা?

    Kuntal Ghosh: কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ইডির আধিকারিকরা! কী জানতে চাইলেন অফিসাররা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে গেলেন ইডির আধিকারিকরা। নিয়োগে বেনিয়ম ও কোটি কোটি টাকার লেনদেনে কুন্তলের যোগ স্পষ্ট বলেই দাবি ইডির। তাই  আদালতের নির্দেশ মতো জেলে গিয়ে কুন্তলকে (Kuntal Ghosh) জেরা করা শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কুন্তলকে জেরা

    বৃহস্পতিবার আলিপুরে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে কুন্তল ঘোষকে জেরা করেন ইডির দুই আধিকারিক। ইডি সূত্রে খবর, এর আগে কুন্তল যখন ইডির হেফাজতে ছিল, সেই সময় তাঁর কাছ থেকে একাধিক প্রশ্নের উত্তর ইডি পায়নি। এরপরই গত ৩ ফেব্রুয়ারি কুন্তলকে আদালতে তোলা হলে ইডির আধিকারিকরা এ বিষয়ে বিচারককে জানান। তাঁরা আবেদন করেন, জেলে গিয়ে জেরার যেন অনুমতি দেওয়া হয়। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর এদিন কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যান ইডির আধিকারিকরা। গোপাল দলপতির বক্তব্যকে সামনে রেখে কুন্তলকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে সূত্রের খবর। সেটা রেকর্ডও করা হবে। পাশাপাশি নিয়োগ সংক্রান্ত বেনিয়মের টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের কাছে গেলে তা কীভাবে যেত তাও কুন্তলকে জেরা করেই এদিন ইডি জানতে চাইতে পারে বলেই সূত্রের দাবি।

    আরও পড়ুুন: জেলে গিয়ে সিবিআই জেরা অনুব্রতকে! কী জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা?

    ইডির দাবি

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কুন্তলের একটি ডায়েরি তাদের হাতে এসেছে। যে ডায়েরির পাতায় পাতায় সাঙ্কেতিক অক্ষরমালা। টাকার হিসাবের পাশে নাম ও পদবির আদ্যাক্ষর লেখা বলেও দাবি সূত্রের। শুধু তাই নয়, প্রচুর গানের প্যারোডিও লেখা রয়েছে সেই ডায়েরিতে। সেই ডায়েরির রহস্য ভেদ করতেও কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। পাশাপাশি কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে চাকরি চুরির টাকা যেত সেটাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ইডির জেরার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত কুন্তল আর কার নাম বলেন সেটাই এখন দেখার। শাসকদলের আর কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত সেটাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tripura Assembly Election: কড়া নিরাপত্তায় ভোট শুরু ত্রিপুরায়! ২৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে

    Tripura Assembly Election: কড়া নিরাপত্তায় ভোট শুরু ত্রিপুরায়! ২৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন (Assembly election)। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে। এই ভোটে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ২৫৯ জন প্রার্থীর, তাঁদের মধ্যে ২০ জন মহিলা। এবার ভোট ময়দানে রয়েছে বিজেপি, তৃণমূল, বাম-কংগ্রেস জোট ও তিপরা মোথা। দীর্ঘ ২৫ বছরের বাম শাসনকে সরিয়ে ২০১৮ সালে এই রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। সেই ক্ষমতা ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির।

    কড়া নিরাপত্তা

    ত্রিপুরা নির্বাচনকে, ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল হিসেবেই দেখছে বিজেপি। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৮ লক্ষ। মোট বুথের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৩৭। যার মধ্যে ১১০০ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর এবং ২৮টিকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন৷ একদফাতেই ভোট হবে। সেহেতু ওই রাজ্যের প্রতিটি বুথে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে তৎপর রয়েছে কমিশন। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে সে রাজ্যে। এর পাশাপাশি আরও ১৬টি রাজ্য থেকে পুলিশকর্মীও আনা হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী।

    আরও পড়ুন: ভারতেই রয়েছে চোখ জুড়ানো বহু মন্দির, দেখুন তারই কয়েকটি  

    বাম-বিজেপি লড়াই

    ত্রিপুরার এবারের নির্বাচনে যে সকল প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে তাঁদের মধ্যে অন্যতম, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সিপিএম নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন। ত্রিপুরার ৬০ টি আসনের মধ্যে ৫৫টি-তেই প্রার্থী দিয়েছে গেরুয়া শিবির। পাঁচটি আসন ছেড়েছে জোটসঙ্গী আইপিএফটি-কে। অন্যদিকে, রাজ্যপাট ফিরে পেতে কোমর বেঁধে লড়াইয়ে নেমেছে সিপিএম’ও। তাই বাংলার পর ত্রিপুরাতেও এবার তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। জোটের তরফে সিপিএম ৪৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। কংগ্রেসের প্রার্থী রয়েছে ১৩টিতে এবং বাকি চারটি আসনে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য বাম দলের প্রার্থীরা। দেশের এই অংশের আরও দুই রাজ্য মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ভোট গণনা ২ মার্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Drone Delivery: আকাশপথেই পৌঁছে যাবে ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের নমুনা! শহরে এবার ড্রোন পরিষেবা

    Drone Delivery: আকাশপথেই পৌঁছে যাবে ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের নমুনা! শহরে এবার ড্রোন পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের অনেক উন্নত শহরের মতো কলকাতাতেও এবার আকাশপথেই ড্রোনে করে পৌঁছে যাবে ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের নমুনা এবং রিপোর্ট এমনকি রেস্তোরাঁর খাবারও। প্রাথমিকভাবে ১৫টি কেন্দ্র থেকে ১৪টি রুটে ড্রোন পরিচালনা করা হবে। এর মাধ্যমে কলকাতা ও হাওড়ার ১৪টি স্থানে ড্রোনে ওষুধ, ল্যাব নমুনা ও রিপোর্ট ও খাবার ডেলিভারি করা হবে। এর জন্য এগিয়ে এসেছে দিল্লির এক স্টার্ট-আপ সংস্থা টিএসএডব্লু টেকনিট স্পেস অ্যান্ড অ্যারো ওয়ার্কস (TSAW Technit Space and Aero Works)।

    কেমন হবে পরিষেবা

    সপ্তাহখানেক আগেই ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে।  হাওড়ার কদমতলা থেকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত একটি ড্রোন পাঠায় দিল্লির সংস্থা। মালবাহী ড্রোনের বাক্সে ভরা ছিল প্যাথলজিকাল ল্যাবের সংগ্রহ করা নমুনা। গাড়ি বা মোটরসাইকেলে সাধারণত এমন নমুনা পাঠানো হয়। সেক্ষেত্রে সড়কপথে দূরত্ব পড়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার। সময় লাগে প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা। সেখানে ড্রোনে সরাসরি আকাশপথে দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। স্রেফ ১৫ মিনিটের মধ্যেই সেই পথ অতিক্রম করে মালবাহী ড্রোন। নির্বিঘ্নে পৌঁছে যায় নমুনা। শুধু তাই নয়। রিপোর্ট নিয়ে ফের হাওড়া কদমতলায় ফিরেও আসে। ১৫ মিনিটেই। 

    আপাতত কলকাতায় ৬০ মিটার এবং হাওড়ায় ১২০ মিটার উচ্চতায় ড্রোন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে এটিসি। শুধুমাত্র ড্রোন পরিষেবা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আলাদা সেল তৈরি করা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরে। ড্রোন ওড়ানোর সময় আগে থেকে তাদের জানাতে হবে। বিমান চলাচলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাঁরা সময় ও রুট স্থির করে দেবেন। তবে ফোর্ট উইলিয়াম, নবান্নের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে নো ফ্লাইয়িং জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘কোনও একজন ব্যক্তি বা কোনও এক চিন্তাধারা দেশকে গড়তে বা ভাঙতে পারে না’’, বললেন ভাগবত

    রাজ্যের সব প্রান্তেই পরিষেবা! 

    টিএসএডব্লু-র ভাইস প্রেসিডেন্ট অর্পিত শর্মা জানিয়েছেন, “শুধুমাত্র ওষুধ সরবরাহের জন্য একটি নির্দিষ্ট ড্রোন পরিষেবা চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। কলকাতা এবং হাওড়ার তীব্র যানজটের কথা মাথায় রেখেই আমরা আকাশপথে ওষুধ সরবরাহের সুবিধার কথা ভেবেছি।” প্রাথমিকভাবে এই পরিষেবা হাওড়া থেকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত চালু করা হয়েছে। তবে অদূর ভবিষ্যত গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই এই পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা করেছে এই সংস্থা। এর জন্য ইতিমধ্যেই আরও আটটি জায়গা চিহ্নিত করেছে তারা।অর্পিত শর্মা বলেছেন, “একমাসের মধ্যেই আমরা দক্ষিণ কলকাতার কালিকাপুরে ড্রোন ডেলিভারি সার্ভিস চালু করব। আমরা মূলত ড্রোন প্রস্তুতকারক সংস্থা। ড্রোন মারফৎ ওষুধ সরবরাহের এই পরিষেবা সফল হলে আগামী দিনে এফএমসিজি (ভোগ্যপণ্য) এবং ই-কমার্স ক্ষেত্রেও ড্রোন পরিষেবা চালু করতে পারি। আমরা খুব তাড়াতাড়ি একটি উচ্চ-পাল্লার ড্রোন চালু করব, যা কাছের শহরগুলি পর্যন্ত পরিষেবা দিতে পারবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকছেন না শুভেন্দু! কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকছেন না শুভেন্দু! কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হল! বুধবার রাজ্যের মুখ্য তথ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে বৈঠকের কিছু ক্ষণ আগে সেখানে যাচ্ছেন না বলে জানিয়ে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট করে এদিন শুভেন্দু জানান, আগেই নির্ধারণ করা হয়েছে, কে ওই চেয়ারে বসবেন। এখন নামমাত্র বৈঠক ডাকা হয়েছে। তাই তিনি থাকছেন না।

    কেন থাকছেন না শুভেন্দু

    ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘আমি রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের জন্য কমিটির বৈঠকে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, সংশ্লিষ্ট আবেদনগুলি সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে। ইতিমধ্যে পূর্বনির্ধারিত প্রার্থীকে অনুমোদন করে দেওয়া হয়েছে।’’ এখন এই বৈঠক ‘প্রহসনমূলক প্রক্রিয়া’ বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। এ নিয়ে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তার ছবিও ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন: শীতের বিদায় বেলায় ফের পতন তাপমাত্রায়, জানুন আবহাওয়া আপডেট   

    প্রোটোকল অনুযায়ী, রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং পরিষদীয় মন্ত্রী বৈঠকে বসবেন। সেই প্রোটোকল মেনে বুধবার বিধানসভায় এই বৈঠক হচ্ছে। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনারের পদ খালি ছিল। চলতি বছর ১৫ জন এই পদের জন্য আবেদন করেন। তাঁদের মধ্যে চার জন বয়সজনিত কারণে বাদ গিয়েছেন। এর পর ১১ জনের মধ্যে এক জনকে বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন প্রাক্তন আমলা এবং পুলিশ কর্তারা। খাদ্যভবনেও রয়েছে মুখ্য তথ্য কমিশনারের দফতর। নিয়োগের পর সেখানেই বসবেন নতুন কমিশনার। গত বছরও মুখ্য তথ্য কমিশনার বাছাইয়ের জন্য নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কিন্তু সে বারও বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: সব টাকা, সোনার গয়না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডিকে জানালেন অর্পিতা

    Partha Chatterjee: সব টাকা, সোনার গয়না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডিকে জানালেন অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব টাকা, সোনার গয়নার মালিক রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পাহাড়, ড্রয়্যার ভর্তি সোনার গয়না কোনও কিছুই তাঁর নয় বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের (ED) জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)।

    চার্জশিটে ইডির দাবি

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে অর্পিতা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর নয়, পার্থর (SSC Case)। আদালতে ইডি (ED) জানিয়েছে, অর্পিতার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতেন পার্থ। কেনা হয়েছিল প্রচুর বেনামি সম্পত্তি। ভুয়ো সংস্থার নামে চাকরি বিক্রির কালো টাকা সাদা করা হতো। অর্পিতার নামে থাকা ৩২টি জীবনবিমার নমিনি ছিলেন পার্থ। অর্পিতার জোড়া ফ্ল্যাট থেকে যে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছিল, তাও নাকি ছিল পার্থর, জানিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুন: শীতের বিদায় বেলায় ফের পতন তাপমাত্রায়, জানুন আবহাওয়া আপডেট   

    গত বছরের ২৩ জুলাই টালিগঞ্জ এবং ২৭ জুলাই বেলঘরিয়ায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা এবং ৫ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সোনা ও গহনা উদ্ধার করা হয়। চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, প্রথমে একাধিক বার এই টাকা ও গহনা তাঁর নয় বলে দাবি করেন অর্পিতা। ২০২২-এর ৪ অগাস্টের বয়ানে তিনি দাবি করেন, নিজের এবং মায়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রথমে তিনি সত্যি কথাটা বলেননি। অর্পিতা এরপর দাবি করেন, তাঁর দু’টি ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল নগদ ও সোনা-গহনা উদ্ধার হয়েছে, তার মালিক পার্থ। তাই পার্থই বলতে পারবেন, বিপুল এই টাকা কোথা থেকে এসেছে।

    জেলেই পার্থ

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবারও আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আর্থিক দুর্নীতিতে  যুক্ত থাকার প্রমাণ আছে কেস ডায়েরিতে,জানায়  আদালত। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, গ্রেফতারির সময় নিজের  প্রভাব বোঝাতে পার্থ বলেছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ কাছের। আদালতে দাঁড়িয়ে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এতটাই প্রভাবশালী যে, গ্রেফতারির সময় ইডি’র কাছে নিজেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের nearest ও dearest বলে দাবি করেছিলেন। এমনকী, নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে ইডির আধিকারিকদের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন!ED সূত্রে দাবি, চারবার তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেকথা অ্য়ারেস্ট মেমোতেও উল্লেখ করে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chetan Sharma: সৌরভের সঙ্গে ইগোর লড়াই, নেতৃত্ব ছাড়েন বিরাট! গোপন ক্যামেরায় আর কী কী বললেন চেতন শর্মা?

    Chetan Sharma: সৌরভের সঙ্গে ইগোর লড়াই, নেতৃত্ব ছাড়েন বিরাট! গোপন ক্যামেরায় আর কী কী বললেন চেতন শর্মা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর খানেক পর ফের একবার বিরাট-সৌরভ বিতর্ক উসকে দিলেন বিসিসিআই-এর প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। গোপন ক্যামেরায় বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা যায় চেতনকে। একটি স্টিং অপারেশনে চেতন শর্মাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”বিরাট এবং সৌরভের মধ্যে ইগোর লড়াই ছিল। সেই কারণেই বিরাটের নেতৃত্ব চলে যায়।”

    বিরাট-সৌরভ দ্বন্দ্ব

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেই ২০ ওভারের ক্রিকেটে নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিরাট। পরে এক দিনের ক্রিকেটে তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে সিরিজ হারার পর নিজেই টেস্ট ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলতে যাওয়ার আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট বলেছিলেন যে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নেতৃত্ব ছাড়ার সময় তাঁকে কেউ বাধা দেননি। যদিও তার কিছু দিন আগেই সৌরভ জানিয়েছিলেন, তিনি নিজে বিরাটকে অনুরোধ করেছিলেন নেতৃত্ব না-ছাড়ার জন্য।  এ প্রসঙ্গে চেতন বলেন, ”সৌরভ নেতৃত্ব না ছাড়ার কথা বিরাটকে বলেছিল। কিন্তু সৌরভ এবং বিরাটের মধ্যে একটা ইগোর লড়াই ছিল। সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি থাকার সময় বিরাট দলের অধিনায়ক ছিলেন। কে বড় তা নিয়ে একটা লড়াই চলছিল।”

    আরও পড়ুন: সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান

    বিরাট-রোহিত সম্পর্ক

    চেতন শর্মা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে এই দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। ২০২২ সালের নভেম্বরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চেতনকে তাঁর পদ থেকে বরখাস্ত করে। কিন্তু এই বছর তাঁকেই আবার বোর্ডের প্রধান নির্বাচক পদে নির্বাচিত করে বিসিসিআই। বিরাট-রোহিত সম্পর্ক প্রসঙ্গে চেতন বলেন, ”দেখুন পুরো ব্যাপারটা মিডিয়ার তৈরি করা। আমি যতদূর জানি বিরাট ও রোহিতের মধ্যে ইগোর লড়াই থাকলেও, কেউ কাউকে পছন্দ করেন না, এটা সঠিক নয়। বরং বিরাট ও রোহিত একে অপরকে সম্মান করে।” 

    বুমরার চোট

    ওই ভিডিওয় চেতন আরও দাবি করেন, জাতীয় দলে জায়গা হারানোর ভয় থেকেই ক্রিকেটাররা সম্পূর্ণ সুস্থ না হয়েই মাঠে নেমে পড়ছেন। গোপন ক্যামেরায় চেতনের করা দাবি অনুযায়ী, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে চোট পুরোপুরি না সারিয়েই খেলেছিলেন ভারতের তারকা পেসার জশপ্রীত বুমরা। তিনি একটি ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন। ছোটখাটো চোটের ক্ষেত্রে খেলোয়াড়রা অনেক সময় এ রকম ইঞ্জেকশন নেন। বুমরা ব্যথা কমিয়ে খেলতে গিয়ে নিজের চোট আরও বাড়িয়ে ফেলেছেন। যে কারণে এখনও ভুগছেন তিনি, বলে দাবি চেতনের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share