Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Earthquake in Sikkim: সকাল সকাল ভূমিকম্প সিকিমে! কম্পনের মাত্রা ৪.৩

    Earthquake in Sikkim: সকাল সকাল ভূমিকম্প সিকিমে! কম্পনের মাত্রা ৪.৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম।  সোমবার ভোর ৪টে ১৫ মিনিট নাগাদ সিকিমের ইউকসাম শহরে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। ভূমিকম্পে এখনও অবধি কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। তবে রবিবারই অসমে ভূমিকম্প হওয়ার ঠিক পরেই এ দিন ভোরে এবার সিকিমেও ভূমিকম্প হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

    জাতীয় ভূকম্পনকেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সিকিমে ভূমিকম্পের উৎস ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ইউকসাম শহরের ৭০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে মাটির গভীরে ভূমিকম্প হয়। তার জেরে কেঁপে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকা।

    ভূমিকম্পের তীব্রতা

    সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে ইউকসাম শহরে বেড়াতে যান পর্যটকেরা। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এ দিন সকালের ভূমিকম্পে বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে পার্বত্য এলাকা হওয়ায় আফটারশক ও তার জেরে বাড়িঘরে ফাটলের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে গোটা এলাকা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে। সপ্তাহ খানেক আগেই তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। ৭.৮ মাত্রার সেই কম্পনের পর অন্তত ১০০ বার আফটার শক অনুভূত হয়। পর পর কম্পনে বিধ্বস্ত পশ্চিম এশিয়ার দুই দেশে এখনও পর্যন্ত ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

    আরও পড়ুুন: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    রবিবারই ভূমিকম্প হয় অসমে। বিকেল ৪টে ১৮ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয় অসমের নওগাঁওয়ে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নওগাঁও এলাকায়, ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। কম্পনের মাত্রা কম থাকায় কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও ঘটনা ঘটেনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India vs Australia: দেড় বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে শতরান রোহিতের! জাদেজা-অক্ষরের ব্যাটে ভর করে বড় রানের লিড ভারতের

    India vs Australia: দেড় বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে শতরান রোহিতের! জাদেজা-অক্ষরের ব্যাটে ভর করে বড় রানের লিড ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে (IND vs AUS 1st Test) নাগপুরের চ্যালেঞ্জিং পিচে শতরান করলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। মূলত তাঁর ইনিংসে ভর করে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে বড় রানের লিড পেতে চলেছে ভারত। তবে দ্বিতীয় দিনের শেষে শুধু রোহিত নন প্রথম দিনের নায়ক রবীন্দ্র জাদেজাও উঠে এসেছেন শিরোনামে। বৃহস্পতিবার বল হাতে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন জাদেজা। দ্বিতীয় দিনে জাদেজা অপরাজিত ৬৬ রানে। দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৭ উইকেটে ৩২১। প্রথম ইনিংসে এখনও পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার থেকে ১৪৪ রানে এগিয়ে রয়েছে ভারত।

    রোহিতের রেকর্ড

    প্রায় দেড় বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে শতরান করলেন রোহিত। টেস্ট কেরিয়ারের এটি রোহিতের নবম শতরান। তবে অধিনায়ক হিসাবেই এটিই তাঁর প্রথম টেস্ট শতরান। রোহিতই প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক যিনি টেস্ট, টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ান ডে, তিন ফর্ম্যাটেই ভারতের হয়ে শতরান করলেন। চলতি টেস্টে দুরন্ত বোলিং করা টড মার্ফির বিরুদ্ধে চার মেরেই শতরানের গণ্ডি পার করেন রোহিত। ১২০ রান করে আউট হওয়ার আগেই এদিন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পাশে বসে পড়েন তিনি। ঘরের মাঠে সবচেয়ে বেশি গড়ের ক্ষেত্রে ব্র্যাডম্যানের পরেই রয়েছেন রোহিত। অস্ট্রেলিয়ার কোনও বোলারই এদিন তাঁকে সমস্যায় ফেলতে পারেননি। যে ভাবে স্পিনারদের খেলেছেন,সে ভাবেই জোরে বোলারদের সামলেছেন।

    রোহিত শতরান করলেও, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলিরা কিন্তু এদিন বড় রান করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হন। পূজারা সাত ও কোহলি মাত্র ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন। নাইট ওয়াচ ম্যান হিসাবে মাঠে নামা অশ্বিনও ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি। এই ম্যাচেই টেস্ট অভিষেক ঘটানো সূর্যকুমার যাদবও ব্যার্থ। তাঁর রান আট।

    আরও পড়ুন: স্পিন-মন্ত্রেই বশ মানলেন কামিন্সরা! প্রথম দিনে মাত্র ১৭৭ রানেই শেষ অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস

    রোহিত ১২০ ছাড়া শেষবেলায় এদিন ভেলকি দেখালেন জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেল। জাদেজা এবং অক্ষর ৮১ রানের জুটি গড়েন। দিনের শেষে ৫২ রানে অপরাজিত রয়েছেন অক্ষর। জাদেজা ক্রিজে রয়েছেন ৬৬ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মারফি অভিষেক ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন প্যাট কামিন্স এবং নাথান লায়ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Teachers Transfer: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের রাজ্যের যে কোনও জায়গায় বদলি করা যেতে পারে! আসছে নয়া গাইড লাইন

    Teachers Transfer: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের রাজ্যের যে কোনও জায়গায় বদলি করা যেতে পারে! আসছে নয়া গাইড লাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের পরামর্শ মেনে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে আজ, শুক্রবারই নতুন গাইডলাইন জারি করতে পারে রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানালেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে তিনি এদিন এই কথা জানান।

    নয়া নির্দেশিকা

    এরপরেই শিক্ষা দফতরের আইনজীবীকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পরামর্শ দেন, “নতুন নির্দেশিকা আসলেই জেলা স্কুল পরিদর্শকদের দ্রুত সেই নীতি বাস্তবায়নের জন্য তৈরি থাকতে বলুন।” রাজ্যের সরকারি স্কুলে শিক্ষক বদলি নীতি নিয়ে বারবার উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। যেখানে ছাত্র নেই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক আছে সেখান থেকে শিক্ষক অন্যত্র বদলি করার পক্ষে মতামত প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি।  অপেক্ষাকৃত কম ছাত্র থাকা স্কুলগুলি থেকে অন্য স্কুল যেখানে শিক্ষকদের প্রয়োজনিয়তা রয়েছে সেখানে বদলি করা হলে কেউ বিরোধিতা করলে তাঁকে বরখাস্ত করার পক্ষেও  মত ছিল তাঁর। বিচারপতি রাজ্যকে বলেছিলেন, “যেখানে ছাত্র নেই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক আছে সেখান থেকে শিক্ষক অন্যত্র বদলি করুন।” বদলি চেয়ে শিক্ষকদের আবেদনের হিড়িক দেখে বিচারপতি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “সবাই বাড়ির পাশের স্কুলে বদলি চাইলে স্কুল চলবে কী করে ?”

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে শিক্ষক বদলি নিয়ে একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন আনার কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কোন স্কুলে কত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে বদলি হোক, এমনটাই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এদিন রাজ্যের তরফে জানান হয়, আজই এই সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রকাশ করা হতে পারে। নতুন গাইডলাইন আনা হলে এবার থেকে প্রয়োজনে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের রাজ্যের যে কোনও জায়গায় বদলি করা যেতে পারে। এর ফলে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলির পরিস্থিতি উন্নত হতে পারে বলে অনুমান শিক্ষা মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • JP Nadda: শনিবার বঙ্গ সফরে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি! কাটোয়া ও কাঁথিতে সভা করবেন নাড্ডা

    JP Nadda: শনিবার বঙ্গ সফরে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি! কাটোয়া ও কাঁথিতে সভা করবেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফের রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা। রবিবার একদিনের ঝটিকা সফরে এলেও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক থেকে দুটি জনসভা করারও কথা রয়েছে বিজেপি সভাপতির। সেদিন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে জনসভা করার কথা রয়েছে তাঁর। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রত্যেক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বাংলায় ১২টি করে জনসভা করার কর্মসূচি স্থির হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে। সেই সূচি অনুসারেই নাড্ডার বঙ্গ সফর।

    নাড্ডার সফর-সূচি

    বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবার রাত ৮টায় তাঁর বিমানে করে কলকাতায় আসার কথা রয়েছে। নিউটাউনের একটি হোটেলে রাত কাটাবেন নাড্ডা। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার সকালে তিনি পূর্বস্থলির উদ্দেশে রওনা দেবেন। বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে গন্তব্যে পৌঁছবেন। প্রথমে কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে সেখান থেকে সভাস্থলে যাবেন। পূর্বস্থলি থানা ময়দানে সকাল ১১টায় প্রথম জনসভা করার কথা জেপি নাড্ডার। এরপর, জেলা কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে সর্বভারতীয় সভাপতির। তা শেষে তিনি হেলিকপ্টারে করে কাঁথির উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে রামনগরে আরএসএ ময়দানে তাঁর জনসভা রয়েছে দুপুর ৩টে নাগাদ। জনসভা শেষে  সেখানেও দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তারপর তিনি কলকাতায় ফিরে আসবেন এবং দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন।

    আরও পড়ুন: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    রামনগরে সভার প্রস্তুতি

    বৃহস্পতিবার থেকে সভার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা ও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব রামনগরে সভার মাঠ ঘুরে দেখেন। সেখানে বিজেপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) অমিতাভ চক্রবর্তী, বিভাগ ইনচার্জ মনোজ পান্ডে, রাজ্য সহ-সভাপতি শমিত দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জেলা বিজেপি সূত্রের খবর, যে মাঠে নাড্ডার জনসভা, সেটির অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। হেলিকপ্টারেই নাড্ডার রামনগরের সভায় আসার কথা। সে জন্য দিঘার হেলি প্যাড ব্যবহার করা হবে। তারপর সড়কপথে কয়েক কিলোমিটার গাড়িতে চেপে তিনি রামনগরের জনসভায় যোগ দেবেন। সেই সভায় চল্লিশ হাজার লোকের জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জনসভায় নাড্ডা ছাড়াও রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সাংসদ দিলীপ ঘোষের মতন প্রথম সারির নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Weather Update: ফের হালকা ঠান্ডা! আগামী সপ্তাহেই বিদায়ের পথে শীত?

    Weather Update: ফের হালকা ঠান্ডা! আগামী সপ্তাহেই বিদায়ের পথে শীত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হালকা শীতের আমেজ। শুক্রবার ভোর রাতে এক ধাক্কায় চার ডিগ্রি নামল কলকাতার তাপমাত্রা। কলকাতায় (Kolkata) বৃহস্পতিবার ২০ ডিগ্রির ওপর ছিল পারদ। সেদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Lowest Temperature) ছিল ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। কিন্তু হঠাতই এক রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যায় ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে।   শুক্রবার সকাল শুরু হয় কুয়াশা দিয়ে। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এদিনের সর্বোচ্চ (Highest Temperature) ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে যথাক্রমে ৩০ ডিগ্রি ও ১৮ ডিগ্রির আশেপাশে। 

    সকালের দিকে কুয়াশা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার কলকাতা-সহ রাজ্যের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমলেও এই পারদ পতন স্থায়ী হবে না। ২৪ ঘণ্টা পর থেকেই রাজ্যে কমবে উত্তুরে হাওয়া দাপট। বাড়বে তাপমাত্রা। রবিবার থেকে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রাতের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা নামলেও, সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।

    আরও পড়ুন: দেশে প্রথমবার! জম্মু ও কাশ্মীরে মিলল লিথিয়ামের বিপুল ভাণ্ডার

    উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ২৪ ঘণ্টা  পর দার্জিলিং, কালিম্পং ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গে হালকা ও মাঝারি কুয়াশা থাকবে। সকালের দিকে যান চলাচল ব্যাহত হতে পারে। ঘন কুয়াশা হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং , জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার কিছু অংশে। দক্ষিণবঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে হালকা কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার তাপমাত্রা হালকা নামলেও বুধবারের পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। আগামী সপ্তাহেই কার্যত দক্ষিণবঙ্গ থেকে বিদায় নেবে শীত। উত্তরে হালকা ঠান্ডার আমেজ থাকবে আরও কিছুদিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Lithium Deposits: দেশে প্রথমবার! জম্মু ও কাশ্মীরে মিলল লিথিয়ামের বিপুল ভাণ্ডার

    Lithium Deposits: দেশে প্রথমবার! জম্মু ও কাশ্মীরে মিলল লিথিয়ামের বিপুল ভাণ্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় মিলল লিথিয়ামের ভাণ্ডার। বৃহস্পতিবার ভারতের জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, রিয়াসির সালাল-হাইমানা এলাকায় ৫.৯ মিলিয়ন টন লিথিয়াম ইনফার্ড রিসোর্স (G3) পাওয়া গেছে। এই প্রথম দেশে এত বড় লিথিয়াম খনির সন্ধান মিলল। এই খবর সামনে আসতেই দেশজুড়ে খুশির হওয়া বইতে শুরু করেছে। এর কারণ লিথিয়াম ব্যাটারি তৈরির জন্য ব্যাবহৃত হয়। ভারত এই সমস্ত ব্যাটারি চিন থেকে আমদানি করে। খনি মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, লিথিয়ামের পাশাপাশি ৫টি সোনার খনির হদিস পাওয়া গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়, গুজরাত, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানাতেও খনিজ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পটাশ, মলিবডেনামের মতো খনিজ।

    লিথিয়ামের প্রয়োজনীয়তা

    লিথিয়াম ব্যাটারি তৈরিতে চিনের উপর নির্ভরশীলতা ঝেড়ে ফেলতে চাইছে ভারত। তার তোড়জোড় শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের ফোকাসে রয়েছে লিওনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনা। সেখানে রয়েছে খনিজ পদার্থ লিথিয়ামের খনি।  আগামী দিনগুলিতে দেশে যে লিথিয়াম ব্যাটারির চাহিদা আরও বাড়বে তা জানে কেন্দ্র। কারণ, এই মুহূর্তে সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে উৎসাহ দিচ্ছে। এই বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি তৈরিতে লিথিয়াম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ফলে ভারতেরও যে আগের তুলনায় বিপুল পরিমাণে লিথিয়ামের চাহিদা বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। বর্তমানে লিথিয়াম ব্যাটারির যে চাহিদা রয়েছে 3GWh তা ২০২৬ সাল নাগাদ বেড়ে হতে পারে 20GWh এবং সব শেষে ২০৩০ সাল নাগাদ বেড়ে হতে পারে 70GWh। এই সময়ে দেশে লিথিয়ামের ভাণ্ডারের সন্ধান মেলায় স্বভাবতই খুশির হাওয়া কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী।

    আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের রফতানি ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি! রাজ্যসভায় জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    কাশ্মীরের খনিজ সম্পদের অধিকর্তা রিয়াসি শফিক আহমেদ জানিয়েছেন, সালাল-হাইমানা অঞ্চলে যৌগিক আকারে বক্সাইটের খনি ছিল। সেখানেই খননের সময় লিথিয়ামের সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া পরীক্ষা করে দেখেছে লিথিয়ামের বৃহৎ উপস্থিতি।  এবার ওই অঞ্চলকে নিলামের জন্য দেওয়া হবে। যে দেশীয় সংস্থা ওখানে উত্তোলনের দায়িত্ব পাবে, তাদের তত্ত্বাবধানেই কাজ শুরু হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India Defence Export: প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের রফতানি ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি! রাজ্যসভায় জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    India Defence Export: প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের রফতানি ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি! রাজ্যসভায় জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে বিজেপি সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে নানান প্রসঙ্গ তুলছেন বিরোধীরা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) দেড় ঘন্টার ভাষণের মধ্যেও স্লোগানের ঝড় তোলে বিরোধী পক্ষ। পুরো ঘটনায় বেজায় চটেছেন নমোও। বিপক্ষকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গরীব মানুষের রুটি-রুজির জন্য কাজ করেছি আমরা।’ বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় সরকারের মেয়াদের নয় বছরে যে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রতিরক্ষায় স্বনির্ভর

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন সেক্টরে ‘আত্মনির্ভরতা’র উপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের রফতানি এখন ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।” প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে সরকার এই সেক্টরে খুব ভাল কাজ করেছে। সবুজ অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তার সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সবুজ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়ছে। 

    কর্মসংস্থানের সুযোগ

    প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “গত নয় বছরে, অর্থনীতির প্রসারের সাথে, নতুন খাতে নতুন সুযোগ এসেছে। দেশ যেভাবে সবুজ অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে সবুজ চাকরির সম্ভাবনা বাড়ছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া পরিষেবা ক্ষেত্রে এক নতুন উচ্চতায়। ৯০,০০০ নিবন্ধিত স্টার্টআপগুলিও কর্মসংস্থানের জন্য নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত যোজনা থেকে ৬০ লক্ষেরও বেশি নতুন কর্মচারী উপকৃত হয়েছেন। আমরা এই যোজনার মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টর খুলেছি।”

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচারের অর্থে ‘প্রপার্টি-ডিল’! ১.৪ কোটি টাকা ছিল ‘পার্ট-পেমেন্ট’! বাকি টাকার খোঁজে ইডি

    রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শুরু করতেই বিরোধীদের স্লোগান শুরু হয়। হট্টগোলের মধ্যেই নিজের বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সংসদে কিছু মানুষের ব্যবহার দেশের মানুষের কাছে হতাশাজনক। যতই আমাকে কাদা ছোঁড়া হবে পদ্ম ততই প্রস্ফুটিত হবে’। এরপরই কংগ্রেসকে নিশানা করে নমো বলেন, ‘আমাদের বিরোধীরা বলেছেন বুনিয়াদ তাঁরা তৈরি করেছেন। কংগ্রেস বলছে ৬০ বছর ধরে তাঁরা দেশের বুনিয়াদ তৈরি করেছে। কিন্তু ২০১৪-এ এসে আমরা দেখলাম শুধু বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Earthquake: তুরস্ক থেকে বহু দূরে ভারতে ভূমিকম্পের শঙ্কা কতটা জানেন?

    Earthquake: তুরস্ক থেকে বহু দূরে ভারতে ভূমিকম্পের শঙ্কা কতটা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়া-তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণ ছিল আনাতোলিয়া চ্যুতি। তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১৫,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আহতের সংখ্যার কোনও হিসেব নেই। এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন তুরস্ক থেকে বহু দূরে অবস্থিত ভারত কতটা নিরাপদ। সম্প্রতি দিল্লি, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে একাধিকবার কম্পণ অনুভূত হয়েছে। তবে সেই কম্পণের মাত্রা খুব বেশি ছিল না। কিন্তু বারবার ভূমিকম্পের কম্পণে কেঁপে ওঠায় স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তার আশঙ্কা থাকছে। 

    ভারতে ভূ-কম্পনের শঙ্কা

    সারা বিশ্ব অনেকগুলো টেকটোনিক প্লেটের মাধ্যমে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। যখন এসব প্লেট নড়াচড়া করে, যেসব দেশ বা এলাকা সেই প্লেটগুলোর ওপরে অবস্থিত, সেখানে ভূমিকম্প দেখা যায়। বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী ভূমিকম্প কবলিত এলাকা হিসাবে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যকে ৫টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে জোন ৫-এ। জম্মু, কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশের পশ্চিম এলাকা, উত্তরাখণ্ডের উত্তর অংশ, গুজরাটের কচ্ছ উপকূল, বিহারের উত্তর অংশ, উত্তর-পূর্বের সমস্ত রাজ্য, আন্দামান এবং নিকোবার দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে জোন-৫-এ। বাংলা রয়েছে জোন-৪-এ। রাজধানী দিল্লিও রয়েছে জোন-৪-এ।

    আরও পড়ুন: প্রবল ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল! কঠিন সময়ে তুরস্ক ও সিরািয়ার পাশে ভারত

    হিমালয়ের পাদদেশে নেপাল যে টেকটোনিক প্লেটের ওপরে বসে রয়েছে, সেটার ওপরেই রয়েছে ভারতের উত্তর অংশ। ব্রিটিশ জিওলজিক্যাল সার্ভের কর্মকর্তা রজার মুসন বিবিসিকে জানিয়েছেন, সেখানে কোন ভূমিকম্প হলে শনিবারের তুরস্কের ভূমিকম্পের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে। বিশেষ করে কাঠমান্ডুর মতো শহরগুলো বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ এই শহরটি নরম শিলা পাথরের পুরু স্তরের ওপরে তৈরি হয়েছে। ফলে ভূমিকম্প হলে সেখানে কম্পন বেশি অনুভূত হবে। ২০১৫ সালে ইন্ডিয়ান প্লেট এবং তিব্বত প্লেটের সংঘর্ষে নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই ভূমিকম্পে ৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু আর এক লাখের বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Coal Scam ED: কোভিডকালে নির্মাণ-শিল্পে উল্কাবেগে উত্থান শিকারিয়ার! কীভাবে সম্ভব? খোঁজ করছে ইডি

    Coal Scam ED: কোভিডকালে নির্মাণ-শিল্পে উল্কাবেগে উত্থান শিকারিয়ার! কীভাবে সম্ভব? খোঁজ করছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলার তদন্তে গতকাল দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার অফিস ও কর্ণধারের দফতরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হানা দেওয়ার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর এক ‘পলাতক’ সহযোগীর সঙ্গে এরাজ্যের এক ‘অতি-প্রভাবশালী’ রাজনৈতিক পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের কথা এখন লোকের মুখে মুখে ফিরছে। কয়লা পাচারের কালো টাকা যে ওই সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হত, সেই তত্ত্বও উঠে আসছে তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে।

    কে এই বিক্রম শিকারিয়া?

    তবে এ সবের মধ্য থেকে জনমানসের মনে অনেক প্রশ্নও উঠে আসছে। তা হল, কে এই বিক্রম শিকারিয়া, যার দফতরে হানা দিয়ে গতকাল প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। কীভাবে কয়লা পাচারের টাকা আসত ওই সংস্থায়? সবচেয়ে বড় কথা, এই শিকারিয়ার খোঁজ কীভাবে পেল ইডি?

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচারের অর্থে ‘প্রপার্টি-ডিল’! ১.৪ কোটি টাকা ছিল ‘পার্ট-পেমেন্ট’! বাকি টাকার খোঁজে ইডি

    দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত ম্যাডক্স স্কোয়ার সংলগ্ন ৫এ আর্ল স্ট্রিটে শিকারিয়ার বাড়ি ও লাগোয়া তাঁর সংস্থা গজরাজ গ্রুপের দফতর। গজরাজ গ্রুপের মালিক এই বিক্রম শিকারিয়া। মোট তিরিশটি কোম্পানি এই গ্রুপের অন্তর্গত। ধৃতের নির্মাণ ব্যবসার পাশাপাশি আরও একাধিক ব্যবসা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রয়েছে ফুড চেন ও ধাবা। বিক্রম নিজে বেশ কয়েকটি সংস্থার ডিরেক্টর। বাকিগুলির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। 

    শিকারিয়ার উত্থান শুনলে চোখ কপালে উঠবে

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গজরাজ গ্রুপের উত্থান হয়েছিল কোভিড পরিস্থিতিতে। সেসময় বাকি সমস্ত জায়গায় যেখানে নির্মাণ ব্যবসার মন্দা চলছিল, সেই কোভিডকালের মধ্যে কীভাবে গজরাজ গ্রুপ এতটা ফুলে ফেঁপে উঠল, সেটাই ইডি-র স্ক্যানারে। ইডি জানতে পেরেছে, গজরাজ গ্রুপ মূলত নির্মাণ ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করত। বেশিরভাগ প্রজেক্টই দক্ষিণ কলকাতার। জানা গিয়েছে, গত চার বছরে ৪২টি নির্মাণ করেছে এই গ্রুপ। 

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে উঠে আসছে হরিশ মুখার্জি রোডের একটি রেস্তোরাঁর নাম! মালিক কে? তদন্তে ইডি

    এখানেই সাদা করা হত কয়লা পাচারের কালো টাকা?

    গোয়েন্দা আধিকারিকদের অনুমান, কয়লা পাচারের কালো টাকা এই বাড়ি নির্মাণের মাধ্যমেই সাদা করা হয়েছে। এর আগেই ইডি আধিকারিকরা এই সংক্রান্ত বেশ কিছু সূত্র পেয়েছিলেন। তদন্ত করে ইডি জানতে পারে যে, কয়লা পাচারের বিপুল পরিমাণ টাকা দফায় দফায় ওই প্রোমোটিং সংস্থাটির হাতে পৌঁছয়। ইডির সন্দেহ, এই কোম্পানিগুলিতে কয়লা পাচারের টাকা ঘুর পথে এসেছে। জানা যায়, আসানসোল এবং পুরুলিয়া থেকে কয়লা পাচারকারীদের টাকা হাত বদল হয়ে এই নির্মাণকারী সংস্থার মাধ্যমে বাজারে খাটানোর চেষ্টা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, কয়লা কাণ্ডে যে কালো টাকা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছেছিল সেই টাকাই গিয়েছিল এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। 

    কীভাবে শিকারিয়ার ‘শিকার’?

    তদন্তের সূত্রেই কয়লা পাচারকাণ্ডের এই বেসরকারি সংস্থার নাম সামনে আসে। কয়লা পাচারের টাকা কোথায় কোথায় গিয়েছে, ‘মানি ট্রেল লিঙ্ক’-এর সূত্রে ধরেই ইডি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায়। ইডি জানতে পারে, এই বেসরকারি সংস্থাটির মাধ্যমে কয়লা পাচারকাণ্ডের টাকা বিনিয়োগ করা হত। কয়লাকাণ্ডের তদন্তে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হয়। বয়ান নেওয়া হয় সাক্ষীদের। কয়লা পাচারের কিংপিন অনুপ মাঝি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রত্নেশ ভার্মাকে জেরা করে বেশ কিছু নির্দিষ্ট সূত্র পায় ইডি। 

    আরও পড়ুন: কে এই মনজিৎ জিট্টা ও তাঁর ‘অতি-প্রভাবশালী’ পার্টনার? কয়লাকাণ্ডে হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি

    এছাড়া, লালার লাল ডায়রিতেও ছিল এই শিকারিয়া ও গজরাজের নাম। সেখানে এই সংস্থায় টাকা দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। ইসিএলের খনি থেকে পাচার হওয়া কয়লা কোথায় যাবে, কোন গাড়ি কোন গন্তব্যে যাবে, তা পুরোটাই দেখত রত্নেশ। তাকে জেরা করে এই পাচারকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চালান তদন্তকারীরা। তা থেকে এই ‘গজরাজ গ্রুপ’ সম্পর্কে নিশ্চিত হয় ইডি। এরপর থেকেই ইডির রেডারে চলে আসেন শিকারিয়া। চলে তার ওপর নজর রাখার কাজ। অবশেষে বুধবার সেখানে হানা দেয় ইডি।

  • Border Gavaskar: স্পিন-মন্ত্রেই বশ মানলেন কামিন্সরা! প্রথম দিনে মাত্র ১৭৭ রানেই শেষ অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস

    Border Gavaskar: স্পিন-মন্ত্রেই বশ মানলেন কামিন্সরা! প্রথম দিনে মাত্র ১৭৭ রানেই শেষ অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ডার গাভাস্কার সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই স্পিন-মন্ত্রে অস্ট্রেলিয়াকে ঘায়েল করল টিম ইন্ডিয়া। মাত্র ১৭৭ রানে শেষ হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। দিনের শেষে ভারতের রান এক উইকেটে ৭৭। দিনের খেলার মাত্র সাত বল বাকি থাকতে লোকেশ রাহুলের উইকেট হারায় ভারত। অভিষেক টেস্টে নামা টড মার্ফির বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে ২০ রানে আউট হন রাহুল। রোহিত অপরাজিত রয়েছেন ৫৬ রানে। 

    শামির ম্যাজিক ডেলিভারি

    এদিন প্রথমে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। খেলাটা ভালই শুরু করেছিলেন ওয়ার্নাররা। কিন্তু শামির দুরন্ত ডেলিভারিতে দিশেহারা হয়ে যান ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নারকে ‘ম্যাজিক ডেলিভারি’তে ক্লিন বোল্ড করেন শামি। অনেকেই বলছেন, শামির এই ডেলিভারি গত একশো বছরের মধ্যে সেরা। মহম্মদ শামির সেই ডেলিভারির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ডেভিড ওয়ার্নার ৫ বলে এক রান করে আউট হন। অপর ওপেনার উসমান খাওয়াজাকে ফেরত পাঠিয়ে ম্যাচে ভারতকে এগিয়ে দেন সিরাজ। এরপর শুরু হয় অশ্বিন-জাদেজা ভেলকি।

    অশ্বিনের ভেলকি

    ভারতের মাটিতে পা রেখেই অস্ট্রেলিয়া শিবির বুঝে গিয়েছিল বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে (Border Gavaskar Trophy) তাদের আসল ‘শত্রু’  রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। ই টিম ইন্ডিয়ার সেই অন্যতম সেরা অস্ত্রের প্রতিষেধক হিসেবে স্টিভ স্মিথ-প্যাট কামিন্সরা বেছে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শহরের এক তরুণকে। যাকে অশ্বিন বলে ডাকা হয়। কথা হচ্ছে গুজরাটের মহেশ পিথিয়াকে নিয়ে। কিন্তু আসল-নকলে ফারাক থেকেইন যায়। তাই এদিন অশ্বিনের বিপক্ষে খেলতেই পারলেন না কামিন্সরা। । প্রথমে ক্যারি (৩৬) এবং তারপর অজি অধিনায়ক কামিন্সকে (৬) ফিরিয়ে দেন অশ্বিন। এদিন ৩ উইকেট নিয়ে টেস্টে ৪৫০ উইকেটের মাইলস্টোন পেরিয়ে গেলেন ভারতের অভিজ্ঞ অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিন দ্বিতীয় সেশনে অ্যালেক্স কেরিকে আউট করে ৮৯ ম্যাচে ৪৫০ উইকেট পূর্ণ করেন অশ্বিন।

    আরও পড়ুন: বর্ডার গাভাসকার সিরিজে নজির গড়তে পারেন কোহলি-পুজারা, ভেঙে যেতে পারে সচিন- দ্রাবিড়-কুম্বলেদের রেকর্ড

    জাদেজার জাদু

    অজি-দের দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যাবর্তনের আশা জাগিয়ে তোলেন তাদের দুই তারকা ব‍্যাটার স্টিভ স্মিথ ও লাবুশানে। তাদের মধ্যে একটি ৮২ রানের পার্টনারশিপ হয়। দুজনকেই ছন্দে দেখাচ্ছিল। কিন্তু এরপরই শুরু হয়ে জাদেজা ঝড়। তার বলে লাবুশানে ৪৯ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে স্টাম্পড করেন শ্রীকর ভরত। পরের বলেই রেনেশকে এলবিডব্লিউ করেন তারকা ভারতীয় অলরাউন্ডার। এরপর স্টিভ স্মিথকে কিছুটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছিল। অক্ষর প্যাটেলের বলে আক্রমণ শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর তার ডিফেন্স ভেদ করে তাকেও বোল্ড করে ৩৭ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠান সেই জাদেজা। এদিন ৫ উইকেট নেন জাদেজা।

LinkedIn
Share