Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Jammu Kashmir: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর! কুলগামে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, হত এক জওয়ান

    Jammu Kashmir: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর! কুলগামে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, হত এক জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) কুলগামে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে (Jammu Kashmir) শহিদ হলেন এক সেনা জওয়ান। শনিবার কুলগাম (Kulgam) জেলার মদেরগাম গ্রামে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে যৌথ অভিযান শুরু করেছিল সিআরপিএফ জওয়ান এবং স্থানীয় পুলিশ। গ্রামে বাহিনী ঢোকার খবর পেয়েই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। সেই সময় এক সেনা জওয়ান গুরুতর জখম হন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি নিহত হন। 

    চলছে তল্লাশি অভিযান (Kulgam)

    পুলিশ সূত্রে খবর, কুলগাম জেলায় মোদারগাও গ্রামে দুই, তিনজন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পায় গোয়েন্দা বিভাগ। এরপর সিআরপিএফ, সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ একসঙ্গে অভিযান চালায়। জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কাশ্মীর (Jammu Kashmir) জোন পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানান হয় যে, ‘‘কুলগামে গুলি চলেছে। পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত।’’ সেনা সূত্রে খবর, সাময়িকভাবে গুলির লড়াই বন্ধ থাকলেও জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে সেনা।

    আরও পড়ুন: তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ ২৩ জুলাই

    জঙ্গি দমনে অভিযান (Jammu Kashmir)

    সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) জঙ্গিদের দাপট বেড়েছে। গত জুন মাসেও ডোডা জেলায় সেনা ও জঙ্গিদের গুলির লড়াই হয়। আর তাতে ৩ সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, কুলগাম-সহ (Kulgam) দক্ষিণ কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশে সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই অঞ্চলকে জঙ্গিদের প্রভাবমুক্ত করতে একের পর এক অভিযানে নামছে সেনাও। গত মাসেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ‘রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর দু’জন কম্যান্ডার সেনার সঙ্গে গুলির লড়াই চলার সময়ে পুলওয়ামা জেলার একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • The Good Gift: পুরনো কাপড় দিয়ে নতুন পুতুল!  লক্ষাধিক টাকা উপার্জনের নয়া পন্থা তামিলনাড়ুর দম্পতির

    The Good Gift: পুরনো কাপড় দিয়ে নতুন পুতুল! লক্ষাধিক টাকা উপার্জনের নয়া পন্থা তামিলনাড়ুর দম্পতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশির দশকে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গেই। দিদার কাছে শিখেছিলেন পুরনো কাপড় দিয়ে পুতুল তৈরি করতে। সেই পুতুলই ছিল তাঁর খেলার সঙ্গী। পরে বড় হয়ে পড়াশোনা করে বেঙ্গালুরু পাড়ি। সেখানে আইটি কোম্পানিতে চাকরি। সেখানেই জীবনসঙ্গী সুহাস রামগৌড়ার সঙ্গে ঘর বেঁধছিলেন সুনীতা। কিন্তু কিছুতেই ওই যান্ত্রিক কাজে নিজেদের মন বসাতে পারছিলেন না সুনীতা ও সুহাস। মন টানছিল প্রকৃতি। রাঙা মাটির পথে পাড়ি জমাতে চাইলেন দুজনে। চলে গেলেন নীলগিড়ির পাদদেশে তামিলনাড়ুর একটি গ্রামে। গড়ে তুললেন স্বপ্নের কুঁড়ে ঘর। শুরু করলেন পুতুল (Rag Dolls) তৈরি করতে। তৈরি করেছেন ‘দ্য গুড গিফট’ (The Good Gift)।

    পুরনো কাপড় দিয়েই নতুন পুতুল (The Good Gift)

    ২০১৭ সাল থেকে তামিলনাড়ু নীলগিড়ি অঞ্চলে এরকম পুতুল তৈরি করছেন সুনীতা। সঙ্গে নিয়েছেন গ্রামের আদিবাসী মহিলাদের। তৈরি করেছেন ‘দ্য গুড গিফট’ (The Good Gift)। সুনীতা বলেন,”আমার মনে আছে আমার দাদি তার পুরনো কাপড় দিয়ে আমার জন্য পুতুল তৈরি করত। সেই কথা মাথায় রেখে আমি এই গ্রামে এসে প্রথমে শখে সময় কাটানোর জন্য পুতুল তৈরি করতে থাকি। অনেকে এই পুতুল পছন্দ করে। এরপরেই মনে অন্য ভাবনা আসে। গ্রামের মেয়েরাও এই পুতুল তৈরি করে নিজেরা কিছু রোজগার করতে পারে। এই ভাবনা থেকেই নতুন ভাবে পুতুল তৈরি করি।”  আদিবাসী সম্প্রদায়ের ২৩০ জন এখন সুনীতার সংস্থায় কাজ করে। তাঁরা প্রত্যেকে এই পুতুল তৈরি করে মাসে ৪ থেকে ৮ হাজার টাকা রোজগার করে। পুতুল বিক্রি করে সুনীতারা মাসে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা আয় করেন। যা সকলের মধ্যে ভাগ করা হয়।

    আরও পড়ুন: অ্যাপলের পর গুগল! ভারতেই তৈরি হবে পিক্সেল ফোন, যাবে ইউরোপ-আমেরিকায়

    পুতুলের নতুন রূপ (The Good Gift)

    সুনীতা ও সুহাসদের তৈরি পুতুল সকলের পছন্দের। পুতুলগুলির (Rag Dolls) পোশাক পরিবর্তন করা যায়। পুরনো কাপড় ও কম্বলকে সেলাই করে তার উপর এমব্রয়ডারি করে পুতুল তৈরি করা হয়। করা হয় ফেব্রিকের কাজ। সুহাস বলেন, “আমরা বেঙ্গালুরুতে প্রায় ১৫ বছর কাজ করেছি। আমাদের জীবন তখন অনেক স্বচ্ছল ছিল। কিন্তু এখানে এসে মনে হয়ে আমরা নতুন কিছু করছি। সমাজের জন্য কিছু করতে পারছি। আমরা যখন এখানে আসি তখন এখানকার মেয়েদের সে অর্থে কোনও কাজ ছিল না। এখন এরা নিজেরা কিছু করছে।” সুনীতা জানান, প্রথমে তাঁরা সংস্থা (The Good Gift) তৈরি করেনি। ২০২৩ সালে ‘দ্য গুড গিফট’তৈরি করে তাঁরা। তাঁদের তৈরি পণ্যের মার্কেটিং-এর জন্য ওয়েবসাইটও তৈরি করেছে সুহাস। আরও ভাল কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন সুনীতা-সুহাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Budget 2023-24: তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ ২৩ জুলাই

    Union Budget 2023-24: তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ ২৩ জুলাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষিত হল ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Union Budget 2023-24) পেশের দিন। ২৩ জুলাই সংসদে বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তার এক দিন আগে শুরু হবে অধিবেশন। শনিবার ঘোষণা করলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। সরকার গঠন হওয়ার পরেই কবে পরবর্তী বাজেট পেশ হবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠা ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে।

    কী বললেন রিজিজু (Union Budget 2023-24) 

    শনিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। সেখানে জানিয়েছেন, ২২ জুলাই সংসদে বাজেট (Union Budget 2023-24) অধিবেশন শুরু হচ্ছে। চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট অধিবেশন ডাকার সুপারিশে ছাড়পত্র দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট ২৩ জুলাই পড়া হবে সংসদে। মোদি সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হতে চলেছে। চলতি বছর লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। সে কারণে গত ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়েছিল সংসদে।

    বিরল কৃতিত্ব নির্মলার (Union Budget 2023-24) 

    এই নিয়ে টানা সাত বার নির্মলা বাজেট (Union Budget 2023-24) পেশ করতে চলেছেন। এর আগে দুনিয়ায় কোনও অর্থমন্ত্রীর এই কৃতিত্ব নেই। এর আগে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের এই রেকর্ড ছিল। তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন নির্মলা (Nirmala Sitharaman)। এই বাজেট নিয়ে দেশবাসীর উৎসাহ তুঙ্গে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সংসদে প্রারম্ভিক ভাষণে জানিয়েছিলেন,  ‘‘সরকারে নীতি এবং দূরদর্শিতা প্রকাশ পাবে এই বাজেটে। গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সিদ্ধান্তের পাশাপাশি ঐতিহাসিক পদক্ষেপও দেখা যাবে এই বাজেটে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: ফের বিপাকে মহুয়া! তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্পিকারকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের 

    Mahua Moitra: ফের বিপাকে মহুয়া! তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্পিকারকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্ক তাঁর ছায়া সঙ্গী। আবারও অস্বস্তিকর মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra)। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে সরব হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন(NCW)। লোকসভার স্পিকারকে এই নিয়ে চিঠি লিখেছে তারা। মহুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আবেদন জানিয়েছে দিল্লি পুলিশের কাছে।

    মহুয়ার মন্তব্য (Mahua Moitra)

    সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে হাথরসে পদপিষ্টের ঘটনাস্থল নিজের চোখে দেখতে গিয়েছিলেন এনসিডব্লিউ-র চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা ৷ সেই ঘটনায় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে উদ্দেশ্য করে মহুয়া (Mahua Moitra) কটাক্ষ করে লেখেন, “তিনি তাঁর বসের পাজামা ধরে রাখতেই ব্যস্ত ৷” তাঁর এই মন্তব্যের নিন্দা করে সরব হয়েছে কমিশন (National Commission for Women)। তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্য একজন মহিলার মর্যাদা লঙ্ঘন করেছে বলে জাতীয় মহিলা কমিশনের অভিযোগ। এমনকী চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা নিজে এবিষয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছেন ৷ পাশাপাশি দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরাকেও বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি ৷

    কমিশনের অভিযোগ (National Commission for Women)

    শুক্রবার এনসিডব্লিউ তাদের সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, “জাতীয় মহিলা কমিশন সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করছে ৷ তিনি এনসিডব্লিউ চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন ৷ বিকৃত মন্তব্যটি মহিলাদের সম্ভ্রম অধিকারকে খর্ব করে ৷ কমিশনের পর্যবেক্ষণ এই মন্তব্যটি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ নম্বর ধারার আওতায় পড়ে ৷ এধরনের মানহানিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছে এনসিডব্লিউ এবং মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে ৷ আগামী তিন দিনের মধ্যে কী হয়, সেই বিস্তারিত রিপোর্ট কমিশনের হাতে আসবে ৷” জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Commission for Women) চেয়ারপার্সনকে নিয়ে মহুয়ার (Mahua Moitra) মন্তব্যের নিন্দা করেছে বিজেপিও। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা মহুয়ার মন্তব্যকে লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, মহুয়ার এই মন্তব্য তৃণমূল ও ইন্ডিয়া জোটের আসল মুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohun Bagan: মোহনবাগানে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রদরিগেস, দু’বছরের চুক্তি

    Mohun Bagan: মোহনবাগানে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রদরিগেস, দু’বছরের চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্প্যানিশ ডিফেন্ডার অ্যালবার্তো রদরিগেসকে সই করালো মোহনবাগান (Mohun Bagan)। কোচ হোসে মোলিনার পরামর্শেই সই করানো হয় অ্যালবার্তোকে (Alberto Rodriguez)। তাঁর সঙ্গে দু’বছরের চুক্তি করল সবুজ-মেরুন শিবির। গত মরসুমে তিনি খেলেছেন ইন্দোনেশিয়ার চ্যাম্পিয়ন ক্লাব পার্সিব ব্যানডুংয়ে। রদরিগেস যোগ দেওয়ায় দলের রক্ষণ আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদী কোচ হোসে মোলিনা। সর্বোচ্চ আট বিদেশি ফুটবলার নেওয়ার সুযোগ রয়েছে আইএসএলের ক্লাবগুলির। মোহনবাগান তাদের চতুর্থ বিদেশিকে সই করালো।

    রক্ষণ শক্তিশালী  (Mohun Bagan)

    শুক্রবার দুপুরে রদরিগেসের (Alberto Rodriguez) নাম সরকারিভাবে ঘোষণা করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এদিন এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার চ্যাম্পিয়ন ক্লাব পার্সিব ব্যানডুং থেকে দু’বছরের চুক্তিতে এই সেন্ট্রাল ব্যাককে সই করানো হয়েছে। এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার শুধু দলের রক্ষণ নয়, পাশাপাশি সেটপিস থেকে গোলও করতে পারেন। অতীতে সেই ঝলক দেখিয়েছেন। ছয় ফুটের এই দীর্ঘকায় ডিফেন্ডার গোলের পাস বাড়াতেও সিদ্ধহস্ত। স্প্যানিস ডিফেন্ডারকে পেয়ে খুশি মোহনবাগান (Mohun Bagan) কোচ মোলিনা বলেছেন, ‘‘রদরিগেস অত্যন্ত শক্তিশালী ফুটবলার। আগ্রাসী মানসিকতার খেলোয়াড়। দু’পা সমান চলে। ওর সব থেকে বড় গুণ হল, দক্ষতার সঙ্গে রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণও তৈরি করতে পারে। গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় নিজের ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। আমি খুশি, ও একটা সেরা ক্লাবের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়।’’

    আপ্লুত অ্যালবার্তো (Alberto Rodriguez)

    শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব মোহনবাগানে (Mohun Bagan) যোগ দিয়ে খুশি অ্যালবার্তো রদরিগেস (Alberto Rodriguez)। তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ দেখছি। জানি গত বছর মোহনবাগান কতটা আধিপত্য নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তবে দলের অসংখ্য আবেগপ্রবণ সমর্থকের জন্যই এই ক্লাবে সই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মাঠ ভর্তি দর্শকদের সামনে খেলার সুযোগ পেলে আমার সেরা খেলাটা বেরিয়ে আসে। ভারতে মোহনবাগানের বিকল্প নেই। আবেগ এবং সমর্থনের ব্যাপারে সবুজ-মেরুন সমর্থকেরাই সেরা। আমার লক্ষ্য থাকবে গত মরসুমের সাফল্য বজায় রাখা এবং যে প্রতিযোগিতাগুলিতে খেলব, সেগুলিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: সংবিধান অমান্য করেছেন বিধানসভার স্পিকার, রাষ্ট্রপতিকে নালিশ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: সংবিধান অমান্য করেছেন বিধানসভার স্পিকার, রাষ্ট্রপতিকে নালিশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান অমান্য করে তৃণমূলের দুই বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন, এই মর্মে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে নালিশ জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। শুক্রবারই তৃণমূলের দুই বিধায়ক বরাহনগরের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলার রেয়াত হোসেন সরকারকে বিধানসভায় শপথ গ্রহণ করিয়েছেন বিমান।

    কী বললেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)

    বৃহস্পতিবার রাজভবনের তরফে বিধায়কদের শপথগ্রহণের জন্য ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশেরই উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া রিপোর্টে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজভবনের তরফে। কিন্তু স্পিকার সেই নির্দেশ অমান্য করে সংবিধানকেও অমান্য করেছেন। এদিনই রাজভবনের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে বিষয়টি পোস্ট করে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন রাজ্যপাল বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্যপাল বলেছেন, ‘‘স্পিকারের সংবিধান অমান্য করা নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।’’ রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে এরপরের পদক্ষেপও জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল।

    রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত (CV Ananda Bose)

    ৪ জুন সারা দেশের লোকসভা ভোটের ফলাফলের সঙ্গে রাজ্যের দুই বিধানসভা উপ নির্বাচনের ফলও প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু শপথ ঘিরে রাজভবন বনাম বিধানসভার মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বিধায়কদের শপথগ্রহনের দায়িত্ব দেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও এদিন ডেপুটি স্পিকার নন, স্পিকারই শপথবাক্য পাঠ করান। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে এই বিষয়টির উল্লেখ করে রাজ্যপাল লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার সাংবিধানিক রীতি নীতিও মানছেন না। সম্প্রতি নবান্নের একটি সরকারি বৈঠক থেকে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা। রাজ্যের দুই হবু বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্যের যে টানাপড়েন চলছে, সে ব্যাপারে সরব হন মমতা। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন রাজ্যপাল। এবার বিষয়টি রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত গড়াল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী চিন

    India-China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন (India-China Relation) সুস্থ সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা দু’দেশকেই মেনে চলতে হবে।  চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই কে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিদশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানের রাজধানী অস্তানায় আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর এক সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Wang Yi)। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীর এই আলোচনায় সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।

    সীমান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান (India-China Relation)

    বৈঠকের পরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ‘‘তিনটি নীতি ভারত এবং চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এই তিন নীতি হল পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতা এবং স্বার্থ বজায় রাখা।’’ চিনা (India-China Relation) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরকারের বিদেশমন্ত্রী তথা একদলীয় চিনের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ওয়াংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে সীমান্তের বকেয়া সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। গালওয়ান পরবর্তী পর্বে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোয় এসসিও বৈঠকের সময়েই এলএসি-তে উত্তেজনা কমাতে আলোচনায় বসেছিলেন দুই বিদেশমন্ত্রী। সেই সময়ে পাঁচ দফা পরিকল্পনা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সেই পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে পর্যালোচনাও করেন জয়শঙ্কর-ওয়াং।

    জয়শঙ্কর যা বললেন (India-China Relation)

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এক্সে লিখেছেন, “আস্তানায় সিপিসি পলিটব্যুরো সদস্য এবং বিদেশমন্ত্রী ওয়াংয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অবশিষ্ট সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। সেই লক্ষ্যে কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতেও দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে৷” ভারত বরাবরই বলে আসছে, সীমান্ত এলাকায় শান্তি না-থাকলে চিনের (India-China Relation) সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কোনওভাবেই স্বাভাবিক হতে পারে না। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “দুই মন্ত্রী উভয় পক্ষের কূটনৈতিক এবং সামরিক আধিকারিকদের বৈঠক চালিয়ে যেতে এবং দ্রুত সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য তাদের আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন। ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য ওয়ার্কিং মেকানিজমের (ডব্লিউএমসিসি) একটি প্রাথমিক বৈঠক করা উচিত বলেও তারা সম্মত হয়েছে ৷”বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, দুই মন্ত্রী একমত হয়েছেন যে, সীমান্ত এলাকায় বর্তমান পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত করা দুই দেশের জন্যই ভালো নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup 2024: দেশবাসীকে বিশ্বকাপ উৎসর্গ, মুম্বইয়ে জনসমুদ্রে ভাসলেন রোহিত-বিরাটরা 

    T20 World Cup 2024: দেশবাসীকে বিশ্বকাপ উৎসর্গ, মুম্বইয়ে জনসমুদ্রে ভাসলেন রোহিত-বিরাটরা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকে রাত বৃহস্পতিবার ক্রিকেট আবেগে ভাসল দেশ। দিল্লি থেকে মুম্বই চলল বিশ্বজয়ের (T20 World Cup 2024) বন্দনা। রাজধানীর রাজপথে চলল ভাঙরা। মেরিন-ড্রাইভে জনসমুদ্রে ভাসলেন রোহিত, কোহলি,  হার্দিক, বুমরারা। সকাল ৬.০৭ মিনিটে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে রোহিত শর্মাদের বিশেষ বিমান। সেখান থেকে হোটেলে যেতেই সময় লাগে প্রায় দেড় ঘণ্টা। একটু বিশ্রাম নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে যায় ভারতীয় দল (Team India)। মোদি-সাক্ষাতের পর মুম্বই চলে যায় তারা। সেখানে হুডখোলা বাসে রোড শো এবং ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশেষ অনুষ্ঠান। গোটা একটা দিন কার্যত ঘোরের মধ্যে কাটে ক্রিকেটারদের। দেশবাসীর অফুরান ভালবাসায় ভরে গেল তাঁদের মন। 

    বিশেষ বিমানে রোহিত-কোহলিকে সম্মান

    দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষ করেই বিমান সংস্থা ভিস্তারার বিমানে দিল্লি থেকে মুম্বই রওনা দেন রোহিতেরা। সেই বিমানের ‘কল সাইন’ রাখা হয় ‘ভিটিআই ১৮৪৫’। বিমানের ‘ফ্লাইট নম্বর’ ছিল ‘ইউকে১৮৪৫’। কোহলি ১৮ নম্বর জার্সি পরে খেলেন। রোহিতের জার্সি নম্বর ৪৫। দুই ক্রিকেটারকেই সম্মান জানানো হয়।

    মেরিন-ড্রাইভে সারি সারি মাথা

    ভারতীয় (Team India) ক্রিকেটারদের বিমান নামার অনেক আগে থেকে রাস্তার দখল নিয়েছিলেন ক্রিকেট ভক্তরা। ভারত অধিনায়কের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অসংখ্য মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন।  জনসমুদ্র পেরিয়ে হুডখোলা বাসে ওঠেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। রাস্তা জুড়ে ছিল প্রচুর মানুষ। তাঁদের সরিয়ে রাস্তা ফাঁকা করার চেষ্টা করতে থাকে পুলিশ। জনসমুদ্রের মধ্যে দিয়ে রোহিতদের হুডখোলা বাসের এগোতে সমস্যা হচ্ছিল। ধীর গতিতে বাস এগোচ্ছিল। বাসের মাথায় ট্রফি নিয়ে উল্লাস করছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। রোহিতদের দেখতে রাস্তার ধারে গাছের উপরেও লোক উঠে পড়েছিলেন।

    উদ্বেলিত ওয়াংখেড়ে

    ফিরে এসেছিল ২০১১-এর সেই রাত। এখানেই বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) জিতেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। এবার রোহিত-ব্রিগেড। থিকথিক করছিল ভিড়। বন্দেমাতরমের সুরের মূর্চ্ছনায় আরবসাগরের পাড় তখন উদ্বেলিত। মাঠের মাঝে একটি মঞ্চ করা হয়েছিল। তার সামনে চেয়ারে বসে ক্রিকেটারেরা। ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আধিকারিকেরা। ট্রফি রেখে জাতীয় সঙ্গীত গান তাঁরা। তাতে গলা মেলান দর্শকেরা। এর পর একে একে রোহিত, রাহুল দ্রাবিড়, বিরাট কোহলি এবং যশপ্রীত বুমরাকে ডেকে নেন সঞ্চালক। প্রত্যেকে বিশ্বজয়ের মুহূর্তের কথা তুলে ধরেন। শেষে ট্রফি নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করে গোটা দল। র‌্যাকেটে করে বল ছুড়ে দেওয়া হয় দর্শকদের দিকে। এদিনই বিশ্বজয়ের পুরস্কার স্বরূপ ১২৫ কোটি টাকার চেক ভারতীয় দলের হাতে তুলে দেয় বিসিসিআই। এই টাকা দলের ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। 

    ট্রফি দেশবাসীর

    বিশ্বকাপ ট্রফি (T20 World Cup 2024) দেশবাসীকে উৎসর্গ করেলেন রোহিত। তিনি বলেন, “আমরা যেমন ১১ বছর অপেক্ষা করেছি তেমন দেশবাসীও করেছে। ওরা আমাদের হাতে ট্রফি দেখতে চেয়েছিল। সেই প্রত্যাশা পূর্ণ হয়েছে। এই জয় শুধু আমাদের নয়, দেশবাসীর জয়।” মুম্বই যে কখনও তাঁকে খালি হাতে পাঠায়নি সে কথাও জানিয়েছেন রোহিত। ট্রফি জিতে তাই মুম্বইয়ে ফিরে উচ্ছ্বসিত তিনি। প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন হার্দিক, সূর্যকুমার, বুমরা, কোহলি-সহ পুরো দলকে। বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। সেই অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়ে রোহিত বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ওঁর খেলায় খুব আগ্রহ। ওঁর সঙ্গে কথা বলে খুব ভাল লাগল।”

    কেন কাঁদলেন কোহলি

    এবার বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) জিতে চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি কোহলি। গত শনিবারের কথা বলতে গিয়ে কোহলি বলেন, ‘‘২০১১ সালে এই মাঠে যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, খুব আনন্দ হয়েছিল। তখন আমার বয়স ২১ কী ২২। তখন দলের সিনিয়রদের চোখে জল দেখেছিলাম। তাঁদের কান্নার গুরুত্ব বুঝতে পারিনি। মনে আছে সচিন তেন্ডুলকরকে কাঁধে নিয়ে ঘুরেছিলাম আমরা। তাও মনে হয়েছিল, আমরা তো সহজেই বিশ্বকাপ জিতলাম। এ বার উপলব্ধি করলাম একটা বিশ্বকাপ জেতা কত কঠিন। নিজে কেঁদে বুঝলাম ২০১১ সালে সিনিয়রেরা কেন কেঁদে ছিল। আমি আর রোহিত শর্মা ১৫ বছর ধরে এক সঙ্গে খেলছি। আমরা দু’জনেই এক বার করে বিশ্বকাপ জিতেছি। দেশকে আরও একটা বিশ্বকাপ দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা করেছি। পারিনি। এ বার জেতার পর দু’জনেই কাঁদছিলাম। কাঁদতে কাঁদতেই আমরা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরলাম। সেই মুহূর্তটা আমার ক্রিকেটজীবনের অন্যতম সেরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: সন্ত্রাস দমনে সক্রিয় সরকার, জম্মু-কাশ্মীরে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৯৬০ জন পুলিশ নিয়োগ

    Jammu Kashmir: সন্ত্রাস দমনে সক্রিয় সরকার, জম্মু-কাশ্মীরে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৯৬০ জন পুলিশ নিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) সীমান্ত সুরক্ষার জন্য ৯৬০ জন বিশেষ প্রশিক্ষিত পুলিশ নিয়োগ করল সরকার। এদের মার্কিন মেরিনদের মতো করে তৌরি করা হয়েছে। সেভাবেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এদের মধ্যে ৫৬০জনকে জম্মুর সীমান্ত বরাবর ও বাকিদের উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্ত পাঠানো হবে। এই দলটি শুধুমাত্র অনুপ্রবেশ রোধে এবং সন্ত্রাস দমনে (Combat Terror) কাজ করবে। এদের পুলিশের অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

    এই দলের বৈশিষ্ট্য (Jammu Kashmir)

    জম্মু কাশ্মীর (Jammu Kashmir) পুলিশের ডিজিপি আর আর সোয়াইন জানান, এই দলে জম্মুর বিভিন্ন তহসিল থেকে খুব অল্পবয়সী ছেলেদের নেওয়া হয়েছে। এঁরা একেবারে স্থানীয় হওয়ায় নিজের নিজের এলাকা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রয়েছে। স্থানীয়স্তরে কোনও রকম অসাধু পদক্ষেপ শুরু হলেই তা এদের নজরে পড়বে। এই কর্মীরা “সীমান্ত গ্রামের” “খুব অল্পবয়সী” লোক বলে উল্লেখ করে, সোয়াইন বলেন, “এই ছেলেরা এলাকাটি ভালভাবে জানেন এবং শত্রুর কৌশলও বোঝেন। এরা আমাদের নিজের ছেলে। জম্মু ও কাশ্মীরের বাইরের জায়গা থেকে আসেনি। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট সীমান্ত তহসিল থেকে এদের নেওয়া হয়েছে।” এই দলটি শুধুমাত্র পাক অনুপ্রবেশ রুখতে কাজ করবে। সন্ত্রাস দমনে নিরাপত্তারক্ষী ও সেনাদের সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ স্মার্টফোন, রাম মন্দিরের পুরোহিতদের পোশাকের রং গেরুয়া থেকে হলুদ

    সন্ত্রাস দমন শেষ পর্যায় (Jammu Kashmir)

    রাজ্যসভার ভাষণে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, যে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের (Combat Terror) বিরুদ্ধে লড়াই প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেখানে অবশিষ্ট সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক নির্মূল করতে সরকার বহুমুখী কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পুলিশ নিয়োগ তারই এক ধাপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, গত জুন মাসে একই সপ্তাহে পর পর একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনায় তপ্ত ছিল ভূস্বর্গ। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ফের শপথ নিয়েই অমিত শাহ ওই হামলা প্রসঙ্গে হাইভোল্টেজ বৈঠক ডাকেন। ‘মিশন মোডে’ কাজ করতে নানান নির্দেশ দেওয়া হয় সেনা ও গোয়েন্দা বিভাগকে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup 2024: প্রধানমন্ত্রীর হাতে বিশ্বকাপ তুলে দিলেন রোহিত, ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাসি-মজায় মোদি

    T20 World Cup 2024: প্রধানমন্ত্রীর হাতে বিশ্বকাপ তুলে দিলেন রোহিত, ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাসি-মজায় মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে গত নভেম্বরে বিশ্বকাপে চুম্বন করতে পারেননি রোহিতরা। তবে সেদিনও তাঁদের পাশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভরসা জুগিয়েছিলেন, লড়াই করার প্রেরণা দিয়েছিলেন। আজ সেই লড়াইয়ে সাফল্য মিলেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) জিতে দেশে ফিরে তাই সবার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। বৃহস্পতিবার  সকালে দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি-সহ পুরো ভারতীয় দল (Team India)। মোদির হাতে ট্রফি তুলে দেন রোহিত শর্মা ও কোচ রাহুল দ্রাবিড়।

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ (T20 World Cup 2024) 

    দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পরে হোটেলে গিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। সেখান থেকে দু’টি বাসে চেপে ৭ নম্বর লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান তাঁরা। সেখানে তাঁদের জন্য প্রাতরাশের ব্যবস্থা ছিল। ট্রফি হাতে পুরো দলের সঙ্গে ছবি তোলেন মোদি। ক্রিকেটারদের সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই আলাপচারিতার ভিডিয়ো প্রকাশ পেয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ডান দিকে বসে রোহিত। বাঁ দিকে দ্রাবিড়। রোহিতের পাশে হার্দিক ও দ্রাবিড়ের পাশে বসে বিরাট। ক্রিকেটারেরা ছাড়াও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রজার বিনি ও সচিব জয় শাহও ছিলেন সেখানে।

    মোদির বার্তা (PM Modi)

    ভারতীয় দল বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) জেতার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। পোস্ট করে তিনি শুভেচ্ছা জানান দলকে (Team India)। এরপর অর্থাৎ, বিশ্বকাপ জয়ের পরের দিন ভারতীয় সময় সকালে তিনি টিম ইন্ডিয়াকে ফোন করেন। বার্বাডোজে ফোন করে তিনি কথা বলেন রাহুল দ্রাবিড়, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে। এদিনও প্রধানমন্ত্রীকে সবার সঙ্গে বেশ হাল্কা চালে কথা বলতে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেটারদের জানিয়েছেন, তিনি তাঁদের সব রকমের শট জানেন। বিশ্বকাপ চলাকালীন ক্রিকেটারদের কী কী চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে সে কথাও শোনেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী দিনে ভারতের প্রতিটা প্রান্তে ক্রিকেট-সহ সব খেলা কী ভাবে আরও ছড়িয়ে দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কী নীতি রয়েছে, তা নিয়েও ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share