Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Saurav Ganguly: সরে দাঁড়ালেন সৌরভ, সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, আর কে কে কোন পদে?

    Saurav Ganguly: সরে দাঁড়ালেন সৌরভ, সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, আর কে কে কোন পদে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। সিএবির (CAB Election) নির্বাচনে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিলেন না তিনি। পরিবর্তে তাঁর দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehasish Ganguly) বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বঙ্গীয় ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার শীর্ষস্থানে বসবেন।

    বিসিসিআই (BCCI) সভাপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার সৌরভ ঘোষণা করেছিলেন, তিনি সিএবি’র নির্বাচনে লড়বেন। শনিবারই তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি দেননি। তার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে ঘিরে। তাহলে কি সৌরভ সিএবি সভাপতি পদে লড়বেন না? সেটাই সত্যি হল। রবিবার সিএবিতে এসে নিজের ঘরে ডেকে নেন সংস্থার বাকি সদস্যদের। সেখানেই তিনি মনোনয়ন জমা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।

    আরও পড়ুন: বিরাট-ব্যাটে মুগ্ধ ক্রিকেট বিশ্ব! পাক-বধে কোহলির ইনিংসে আপ্লুত শচীন থেকে যুবি

    সৌরভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম সিএবি’র সভাপতি পদে ভোটে লড়ব। কিন্তু ভোট হচেছ না। বিরোধীরা কোনও প্রার্থী দেননি। তাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বতায় সবাই জয়ী হবে। আমি চাইলেই সিএবি সভাপতি পদে বসতে পারতাম। কিন্তু সেটা ঠিক হত না। অন্যদেরও কাজের সুযোগ দেওয়া উচিত। আপাতত তিন বছর আমি ক্রকেট প্রশাসন থেকে দূরে থাকব। দেখা যাক তার পর কী হয়।’

    সৌরভ দ্বিতীয়বার বিসিসিআই সভাপতি না হওয়ার পর তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে ফেসবুকে তাঁকে খোঁচা দিয়ে একটি লেখা পোস্ট করেছিলেন। শুধু তাই নয়, বিশ্বরূপবাবু লিখেছিলেন, সৌরভ সিএবি কিংবা বিসিসিআই সভাপতি হয়েছেন ভোটে না লড়ে। তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য আঘাত করেছিল মহারাজকে। তাই হয়তো তিনি আবেগের সঙ্গে সিএবি’র সভাপতি পদে লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বলে মত তাঁর ঘনিষ্ঠদের। তবে যখন তিনি বুঝতে পেরেছেন, সিএবিতে এখন বিরোধী বলে কিছু নেই, তাই সরে এলেন সৌরভ। বরং পদে না থেকেও রিমোট থাকবে তাঁরই হাতে। কারণ, সিএবি যাঁরা আগামী তিন বছর পরিচালনা করবেন, তাঁরা প্রত্যেকেই সৌরভ অনুগামী।

    আরও পড়ুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন রজার বিনি! জানেন তিনি কে?

    দেখে নেওয়া যাক সিএবিতে কে কোন পদে বসছেন—
    সভাপতি-স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
    সহ-সভাপতি-অমলেন্দু বিশ্বাস
    সচিব-নরেশ ওঝা
    কোষাধ্যক্ষ-প্রবীর চক্রবর্তী
    যুগ্নসচিব-দেবব্রত দাস

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T20 World Cup: বিরাট-ব্যাটে মুগ্ধ ক্রিকেট বিশ্ব! পাক-বধে কোহলির ইনিংসে আপ্লুত শচীন থেকে যুবি

    T20 World Cup: বিরাট-ব্যাটে মুগ্ধ ক্রিকেট বিশ্ব! পাক-বধে কোহলির ইনিংসে আপ্লুত শচীন থেকে যুবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেলবোর্নে টি-২০ বিশ্বকাপে (T-20 World Cup) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের (India vs Pakistan) অবিশ্বাস্য জয়ের নায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ৫৩ বলে তাঁর সংগ্রহ অপরাজিত ৮২ রান। অতীতেও অনেক ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন কোহলি। তবে চাপের মুখে পাকিস্তানের মতো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে যেভাবে তিনি একা ম্যাচটা বের করেছেন, তা দেখে বিস্মিত ক্রিকেট মহল। শচীন তেন্ডুলকর, থেকে সুনীল গাভাসকর, সৌরভ  গঙ্গোপাধ্যায় থেকে ইয়ান বিশপ, প্রত্যেকেই কোহলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার মার্ক ও ট্যুইটে জানান,

    দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান এবি ডি’ভিলিয়ার্সের সঙ্গে বিরাটের বন্ধুত্ব সকলেরই জানা। তাঁরা একসঙ্গে খেলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কঠিন সময়ে বার বার কোহলির পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে এবি’কে।

    সুদিনেও বন্ধুর জয়গান শোনা গেল ডিভিলিয়ার্সের কণ্ঠে।

    কোহলিতে মুগ্ধ শচীন তেন্ডুলকর ট্যুইটবার্তায় জানান, ‘প্রশ্নাতীতভাবে এটাই যে তোমার জীবনের সেরা ইনিংস, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ১৯তম ওভারে রউফের বলে ব্যাকফুটে গিয়ে লং অন দিয়ে তোমার ছক্কা মারা দেখে আমি অভিভূত। তুমি এগিয়ে চলো।’

    হার্দিক পান্ডিয়া বলেন, ‘আমি বাকরুদ্ধ। বিরাট ভাইয়ের এই মহাকাব্যিক ইনিংসের বর্ণনা দেওয়ার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা আমার জীবনের অন্যতম একটি সেরা ম্যাচ।’

    যশপ্রীত বুমরাহের কথায়, ‘এই ম্যাচ ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। দুর্দান্ত খেলেছে ভারত। অনবদ্য ব্যাটিং বিরাট কোহলির।’

    ওয়েস্টইন্ডিজের প্রাক্তন বোলার ইয়ান বিশপ 

    অসি তারকা ব্র্যাড হগ জানান, 

     অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার মারনাস লাবুসানেও আপ্লুত কিং কোহলিকে দেখে


    দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন ট্যুইট করে জানিয়েছেন

  • Dhanteras: ধনতেরাসের পিছনে রয়েছে নানান কাহিনী! জানেন এই টুকরো গল্পগুলি?

    Dhanteras: ধনতেরাসের পিছনে রয়েছে নানান কাহিনী! জানেন এই টুকরো গল্পগুলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। বিশেষত এই সময়টা অর্থাৎ শরৎকাল এবং হেমন্তকাল যেন পুজোর ঋতু। মহালয়া থেকে শুরু, দুর্গাপূজা ,লক্ষ্মী পুজো, কালীপুজো। পরপরই চলতে থাকে। কিন্তু কালীপুজোর ঠিক একদিন আগে পালন করা হয় আরো একটি উত্‍সব, যার নাম ধনতেরাস। দীপাবলীর দিন অর্থাৎ কালীপুজোর আগে অলক্ষীকে বিদায় করে লক্ষ্মী পুজোর রীতি রয়েছে। এই লক্ষ্মী পুজোর আগে পালিত হয় ধনতেরাস।  ধন শব্দের অর্থ সম্পদ, এবং তেরাস  শব্দের অর্থ ত্রয়োদশী। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্তিক মাসের ১৩ তম দিনে কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে এই উত্‍সব পালিত হয়। আলোর ঝরনায় যখন মেতে ওঠে সম্পূর্ণ বিশ্ব ,তখন আত্মীয় স্বজন, পরিবারের মঙ্গল কামনায় এবং ধন-সম্পদের আশায় বহু মানুষ দেবতা কুবেরের আরাধনা করেন। কুবের হলো ধন দেবতা‌। বিশ্বাস মতে, এই দিন কোন না কোন মূল্যবান ধাতু, বাসনপত্র অথবা নতুন পোশাক কিনলে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন। আশীর্বাদ করেন তাঁর ভক্তদের।  ধনতেরাসকে ঘিরে রয়েছে অজস্র পৌরাণিক কাহিনী। তারই মধ্যে একটি জনপ্রিয় কাহিনী হলো, প্রাচীন কালে হিম নামে এক রাজা ছিলেন। তাঁর পুত্রের একটি অভিশাপ ছিল যে বিয়ের চার দিনের মাথায় তাঁর সর্প দংশনে মৃত্যু হবে। এই দিনের কথা সকলেই জানতেন। তাই স্বামীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য নববধূ সারারাত স্বামীকে ঘুমাতে দেননি, নানা কৌশলে জাগিয়ে রেখেছিলেন তাঁর স্বামীকে।

    তাঁদের শয্যা কক্ষের বাইরে প্রচুর ধন-সম্পদ, সোনা রুপোর গয়না, বাসনপত্র সাজিয়ে রেখেছিল নববধূ। ঘরের সর্বত্র প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছিলেন। এতো ভালো, উজ্জ্বল ,আলোকময় পরিবেশের জন্য সারারাত সেই ঘরে কোনো সাপ প্রবেশ করতে পারেনি। স্বামীকে জাগিয়ে রাখার জন্য সারারাত নববধূ গল্প এবং গান করে কাটিয়ে ছিলেন।

    পরদিন মৃত্যুর দেবতা যমরাজ সেখানে আসেন। ঘরের দরজায় গয়নার জৌলুস এবং প্রদীপের আলোতে চোখ ধাঁধিয়ে যায় তাঁর। তিনি রাজপুত্রের কাছে পৌঁছাতে পারলেন না। রাজপুত্রের ঘরের বাইরে  সারারাত ওই গয়নার ওপর শুয়ে শুয়ে রানীর গান এবং গল্প শুনে বিভোর হয়ে পরের দিন তিনি ফিরে যান‌। এই ঘটনার পর থেকে প্রতিবছর রাজ পরিবারে সোনার এবং রুপোর তিথি ধনতেরাস উত্‍সব পালন করা শুরু হয়ে যায়। কুবেরের সাথে এই দিন লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয়, একথা পূর্বেই বলা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিন ধনদেবী লক্ষ্মীরও আরাধনা করা হয়‌ । অর্থাৎ একই মাসে দুবার লক্ষ্মী পুজোর রীতি হিন্দু ধর্মে দেখা যায়‌। ধনতেরাস বা ধন ত্রয়োদশীর দিন লক্ষ্মী পুজোর কারণ কি?  পুরাণে বলা হয়েছে যে, একসময় দুর্বাসা মুনির অভিশাপে সৌভাগ্যের দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে চলে যান এবং মহাসাগরে বসবাস শুরু করেন। লক্ষ্মী চলে যাওয়াতে স্বর্গলোক শ্রীহীন হয়ে পড়ে। এরপর দেবতারা অসুরের সঙ্গে ব্যাপক যুদ্ধ করে সমুদ্র মন্থনে ফিরিয়ে এনেছিলেন লক্ষ্মীকে। এই দিনটি ছিল ধনতেরাসের দিন মানে কার্তিক মাসের কৃষ্ণা পক্ষের ত্রয়োদশী তিথি। তাই তখন থেকেই দেবী লক্ষ্মীর উদ্দেশ্যে সূচনা করা হয়েছিল দীপাবলি উত্‍সব এবং তার আগে ধনদেবীর আরাধনা করা হয়।

    আরও পড়ুন: ধনতেরাসে দুর্ভাগ্য এড়াতে কী করবেন? জেনে নিন সৌভাগ্য ফেরানোর উপায়ও

    আবার অন্য একটি মতে, ধনতেরাসের এই দিনটি আবার ধন্বন্তরি ত্রয়োদশী নামেও পরিচিত। ধন্বন্তরি হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক । এই বিশেষ দিনে  দেবতা ধন্বন্তরি সকলকে আরোগ্য থাকার আশীর্বাদ প্রদান করেন। ধন্বন্তরি দুধের মহাসাগর থেকে উত্থিত হয়েছিলেন বলেই পৌরাণিক মত রয়েছে। ভাগবত পুরাণে বর্ণিত আখ্যান অনুযায়ী সমুদ্র মন্থন কালে অমৃতের পাত্রের সাথে ধন্বন্তরি উঠেছিলেন। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে ধন্বন্তরি আয়ুর্বেদ প্রথা চালু করেছিলেন। এই কারণের জন্য, ২৮ শে অক্টোবর ২০১৬ থেকে কার্তিক মাসের কৃষ্ণা পক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে ভারত সরকার ধনতেরাসের দিনটি জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।

    অন্য একটি পৌরাণিক কাহিনী হলো, একসময় বিষ্ণু মৃত্যু লোকে বিচরণ করতে এলে লক্ষ্মী ও তার সঙ্গে যান। তখন বিষ্ণু বলেন তার কথা মেনে চললে মা লক্ষ্মী তার সঙ্গে যেতে পারেন। তার কথা মান্য করে মা লক্ষ্মী বিষ্ণুর সঙ্গে পৃথিবীতে আসেন। একটি জায়গায় এসে বিষ্ণু মা লক্ষীকে অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি বলেন যে, তিনি দক্ষিণ দিকে যাচ্ছেন এবং তার না আসা পর্যন্ত লক্ষ্মী যেন সেখান থেকে কোথাও না যায়। লক্ষ্মীর মনে দক্ষিণ দিকে বিষ্ণুর যাওয়ার কারণ জানার কৌতুহল জেগে ওঠে। এরপর তিনি বিষ্ণুর পিছু নেন। কিছু দূর এগোনোর পর সর্ষের ক্ষেতে ফুল ফুটে থাকতে দেখে সেই ফুল দিয়ে লক্ষ্মী নিজেকে সাজানোর জন্য সেই দিকে অগ্রসর হন। কিছুদূর যাওয়ার পর আখের ক্ষেত থেকে আখ তুলে তার রস পান করেন। সেই সময় বিষ্ণু সেখানে আসেন এবং  লক্ষ্মী কে  দেখে ভীষণ রেগে যান। এরপর বিষ্ণু মা লক্ষ্মী কে অভিশাপ দেন, বলেন যে বারণ সত্বেও লক্ষ্মী তার পিছু নেন ও দরিদ্র কৃষকের ক্ষেত থেকে চুরির অপবাদ করে বসেন।  লক্ষ্মী কে ১২ বছর পর্যন্ত কৃষকের সেবা করতে বলে ক্ষীর সাগরের উদ্দেশ্যে প্রস্থান করেন বিষ্ণু। সেই কৃষকের বাড়িতে কৃষকের স্ত্রীকে স্নান করে লক্ষ্মীপুজো ও তারপর রান্না করার কথা বলেন। পুজোর পর কৃষক এর স্ত্রীর সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে যায়। ফলে দ্বিতীয় দিন থেকেই কৃষকের ঘর অন্ন, বস্ত্র, রত্ন, তে ভরে যায়। এভাবে বারো বছর পর্যন্ত খুব আনন্দে কাটে কৃষকের। ১২ বছর পর বিষ্ণু লক্ষীকে নিতে এলে কৃষকের স্ত্রী তাকে যেতে দেন না। তখন বিষ্ণু জানান, লক্ষ্মী কে কেউ যেতে দিতে চায় না। লক্ষ্মী চঞ্চলা, কোথাও টিকতে পারেন না। তখন লক্ষ্মী কৃষককে জানান তার কথা মত চললে পরিবারে কখনো অর্থাভাব থাকবে না। ধনতেরাসের দিনে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করার কথা বলেন লক্ষ্মী, এরপর রাতে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখে সন্ধ্যাকালে পুজো করতে বলেন, একটি রূপোর ঘটে তার জন্য টাকা ভরে রাখার কথাও বলেন তিনি।

  • TET Scam: দুর্নীতির দোসর! টেট নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে দীর্ঘ জেরা ইডির, কী বললেন তিনি?

    TET Scam: দুর্নীতির দোসর! টেট নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে দীর্ঘ জেরা ইডির, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় (TET Scam), মানিক ভট্টচার্য (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mandal) দীর্ঘ জেরা করল ইডি (ED)। ম্য়ারাথন জেরায় তাপসের দেওয়া যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। ইডি আধিকারিকদের দাবি, জেরায় তাপস জানিয়েছেন, করোনার সময় বিএড পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করতে অনলাইনে ক্লাস করানো হয়েছিল। মাথাপিছু নেওয়া হয়েছিল ৫০০ টাকা। তাঁর সঙ্গে অন্য কোনও বেসরকারি সংস্থার চুক্তি নেই বলেও জেরায় দাবি করেছেন তাপস। ইডির সন্দেহ এই তাপস মণ্ডলের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের সংস্থার চুক্তি থাকতে পারে।

    আরও পড়ুন: কামদুনির মৌসুমীও কাজ করতেন তাপসের সংস্থায়! মহিষবাথানের অফিস নিয়ে কী জানালেন তিনি?

    ইডি সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে ইডি তাপসের সঙ্গে সম্পর্কিত ২০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে কত টাকার লেনদেন হয়েছে এবং কাদের সঙ্গে হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখতে চাইছেন ইডির আধিকারিকরা। তাপসের সংস্থা চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র পাইয়ে দেওয়ার পিছনে রয়েছে বলে মনে করছে ইডি। এই সূত্রেই মানিকের সঙ্গে তাপসের ‘ঘনিষ্ঠতা’র বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবারই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন তাপস। প্রথমে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজির হতে পারবেন না বলে ইডিকে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাঁকে অতিরিক্ত সময় না দেওয়ায় অগত্যা বৃহস্পতিবারই তাঁকে হাজিরা দিতে হয়।

    আরও পড়ুন: শিবরাজের ‘গীতা-জিহাদ’ সম্পর্কের কথা কংগ্রেসের হিন্দু বিরোধী মানসিকতারই প্রকাশ, সাফ কথা বিজেপির

    ইডি সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে তাপস স্বীকার করেছেন, মানিকের ছেলের সংস্থাকে কনসালটেন্সি ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবে করোনা ও লকডাউনের জন্য সেই কাজ হয়নি। সেইসঙ্গেই তাপস জানান, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে মানিকের ছেলের সংস্থাকে অনলাইন ক্লাস করানোর জন্য ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য ছাত্রপিছু ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয় বলে জানান তাপস। ইডি সূত্রে খবর, তাপসের বয়ান নিয়ে ফের মানিককে জেরা করা হবে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • FATF Pakistan: এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান! ক্ষুব্ধ ভারত, জানেন তার কারণ?

    FATF Pakistan: এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান! ক্ষুব্ধ ভারত, জানেন তার কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দান প্রতিরোধের জন্য নজরদারি সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ধূসর তালিকা থেকে বাদ গেল পাকিস্তান। এর ফলে ক্ষুব্ধ ভারত। ২০১৮ থেকে এই আন্তর্জাতিক সংস্থার ধূসর তালিকায় থাকার পর এ বার মুক্তি পেল প্রতিবেশী দেশ। কিন্তু দিল্লির দাবি, সন্ত্রাসের আকড়ভূমি পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদে সবরকম সাহায্য করে পাকিস্তান। তারা যে নিরন্তর আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস চালাচ্ছে তার প্রমাণ রয়েছে ভারতের কাছে। উল্লেখ্য, গত ৪ বছর ধরে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়া ও জঙ্গি কার্যকলাপে অর্থ যোগানের অভিযোগে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রেখেছিল এফএটিএফ। এফএটিএফ জানিয়েছে, পাকিস্তান জঙ্গি কার্যকলাপে অর্থ যোগান কমিয়েছে পাশাপাশি এই সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত জটিলতাও ক্রমশ কাটিয়ে ওঠার লক্ষণ দেখিয়েছে।

    আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ডে বিপত্তি বাড়ল অনুব্রতের! আজই দিল্লিতে ইডির হাতে সায়গল

    শুধু পাকিস্তানই নয়, নিকারাগুয়াও এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে এসেছে। অন্য দিকে মায়নমারের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। তারা ধূসর থেকে কালো তালিকায় পৌঁছেছে। তবে ধূসর তালিকা থেকে পাকিস্তান বেরিয়ে এলেও দিল্লির যুক্তি, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের মূল কেন্দ্র পাকিস্তান। এখনও তারা ভারত-সহ বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস ছড়ানোর মূল উৎস। সন্ত্রাসবাদে সর্বদাই পুঁজির জোগান দেয় পাকিস্তান। শুক্রবার এফএটিএফের প্রেসিডেন্ট টি রাজা কুমার বলেন, “পাকিস্তানকে ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও তাদের অনেক কিছুই (সন্ত্রাসবাদ দমন) করতে হবে। তবে তারা সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে। আমরা সন্তুষ্ট। আমরা চাই জঙ্গিদের অর্থ জোগান ঠেকাতে এশিয়া-প্যাসিফিক এই সংগঠনটির সঙ্গে কাজ করুক পাকিস্তান।” 

    আরও পড়ুন: অরুণাচল প্রদেশে আচমকাই ভেঙে পড়ল সেনা বাহিনীর কপ্টার, শুরু উদ্ধারকাজ

    সূত্রের খবর, সন্ত্রাসবাদে আর্থিক ও অন্যান্য মদত বন্ধ করতে এফএটিএফ পাকিস্তানকে (Pakistan) ৩৪টি শর্ত দিয়েছিল। সেই অ্যাকশন প্ল্যানের সব ক’টি শর্তই নাকি ইসলামাবাদ পূরণ করেছে! ওই শর্তের মধ্যে ২৭টি ছিল সন্ত্রাসে আর্থিক মদত সংক্রান্ত এবং সাতটি বেআইনি অর্থ পাচারের বিষয়ে। ২৯ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান সফর করে এফএটিএফ-এর ১৫ সদস্যের একটি দল। ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইইউ, এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ (এপিজি) এবং অন্যান্যদের প্রতিনিধিরা পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন চলাকালীন রিপোর্ট জমা দেন এবং আলোচনা করেন। তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, সারা বিশ্বে সন্ত্রাস দমনের স্বার্থে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • SSC Scam: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের! জানেন তালিকায় রয়েছেন কারা?

    SSC Scam: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের! জানেন তালিকায় রয়েছেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিবিআইএসএসসি নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম চার্জেশিট দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা । হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই চলতি বছরের এপ্রিলে এই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে। ওই চার্জশিটে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহ, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ মোট ১২ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ জন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: দৈনিক ৫ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোচ্ছেন? নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো! 

    সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিটে শান্তিপ্রসাদ, সুবীরেশ, কল্যাণময় ছাড়াও নাম রয়েছে এসএসসির সহকারী সচিব অশোককুমার সাহা, প্রাক্তন প্রোগ্রাম অফিসার পর্ণা বসু এবং সমরজিৎ আচার্যের নামও। অশোককুমার বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। এছাড়া চার্জেশিটে উল্লেখ রয়েছে  ৬ জন ‘প্রাইভেট পার্সন’-এর নাম। এই তালিকায় রয়েছেন প্রসন্ন কুমার রায়,  প্রদীপ সিংহ, জুঁই দাস, আজাদ আলি মির্জা , ইমন মোমিন ও রোহিত কুমার ঝা। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, অযোগ্য প্রাথীদের মোটা টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করেছিল ধৃত ও চার্জশিটে নাম-থাকা অভিযুক্তরা। পর্ষদের  পদাধিকারীদের সঙ্গে  প্রাইভেট পার্সনরা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করে নিয়োগ দুর্নীতি করেছে বলে চার্জেশিটে উল্লেখ  সিবিআইয়ের। 

    আরও পড়ুন:উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম

    প্রসঙ্গত, এর আগেই তদন্তে সিবিআই জানিয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতির আসল কাজটা হয়েছে সফটওয়্যার প্রোগ্রামিংয়েই। সেখানেই দিনকে রাত করা হয়েছে। তাই চার্জশিটে প্রোগ্রামিং অফিসার সমরজিৎ আচার্য, পর্ণা বসুর নাম রয়েছে। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগেই জানিয়েছিল, এই দুর্নীতির জাল বোনা হয়েছিল সংগঠিতভাবে। ধরা পড়লে কীভাবে নিজেদের বাঁচানো যাবে তারও ছক কষে রেখেছিলেন অভিযুক্তেরা, দাবি সিবিআইয়ের। অভিযোগ, কল্যাণময়, শান্তিপ্রসাদদের আগে যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাঁদের কাছ থেকে এঁরা আগে থেকেই জেনে নিতেন, সিবিআই কী কী প্রশ্ন করছে, কী তথ্য চাইছে। সেই মতো আগে থেকে বাঁচার রাস্তা তৈরি করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা পড়তেই হল, কারণ অপরাধ কাউকেউ ছাড়ে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T20 World Cup 2022: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টির ভ্রূকুটি! খেলা কি হবে অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

    T20 World Cup 2022: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টির ভ্রূকুটি! খেলা কি হবে অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) মহারণ। রবিবারের ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। লক্ষাধিক আসনের মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে প্রিয় দলের হয়ে গালা ফাটাতে হাজির হবেন সমর্থকরা। তবে সেই উন্মাদনায় জল ঢালতে পারে অসুর বৃষ্টি। অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রবিবার মেলবোর্নে (Melbourne) প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। ফলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। শনিবারও সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রবিবার তা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা।

    একদিকে কনকনে ঠান্ডা, তার সঙ্গে বৃষ্টি, সাঁড়াশি আক্রমণে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনা কিছুটা ফিকে হওয়ার কথা। তা না হয়ে উন্মাদনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। কারণ, এটা আর সাধারণ ম্যাচ নয়। যেখানে জড়িয়ে রয়েছে দুই দলের কূটনৈতিক সম্পর্ক। তার উপর ২০২৩ সালে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে যাবে না বলেছে ভারতীয় বোর্ড। তা নিয়েও জোর লড়াই শুরু হয়েছে দুই বোর্ডের মধ্যে। যা প্রভাব ফেলেছে এই ম্যাচেও।

    আরও পড়ুন: ২৭ বছর পর দুদিন ধনতেরাসের যোগ! জানুন কখন ঘরে আনবেন সোনা-রুপো

    একটা সময় বিশ্বকাপে ভারতেরই প্রাধান্য ছিল। তবে বিগত কয়েক বছরে ছবি অনেকটাই বদলেছে। গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়েছিল পাকিস্তান। সম্প্রতি এশিয়া কাপের আসরে সুপার ফোরের লড়াইয়ে পাক বাধা টপকাতে ব্যর্থ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তাই ডনের দেশে রোহিতরা এবার বদলার সুযোগ খুঁজছেন। দারুণ ছন্দে আছে বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদবরা। প্রস্তুতি ম্যাচে বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন বুমরাহর পরিবর্ত হিসেবে শেষ মুহূর্তে দলে আসা মহম্মদ শামিও। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধ ভারতকেই এগিয়ে রেখেছেন। তাঁর যুক্তি, মেলবোর্নের মাঠ অনেক বড়। ক্রিকেটারদের বেশি করে লোড নিতে হবে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস ভালো। তাই রোহিতরা এগিয়ে।’

    অস্ট্রেলিয়ার পিচে সাধারণত পেসাররা সুবিধা পায়। মেলবোর্নে কিন্তু পেসারদের পাশাপাশি স্পিনারদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই ভারতের প্রথম এগারজনের দলে দু’জন স্পিনার থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পাকিস্তানের পেস আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। শাহিন আফ্রিদিদের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুলরা সাফল্য পান কিনা, সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chinese Monk:  বৌদ্ধ সাধুর বেশে চিনা গুপ্তচর! জানেন দিল্লি পুলিশের কাছে কী বললেন ওই মহিলা?

    Chinese Monk: বৌদ্ধ সাধুর বেশে চিনা গুপ্তচর! জানেন দিল্লি পুলিশের কাছে কী বললেন ওই মহিলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর পরনে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মতো পোশাক। মাথায় চুল ছোট করে কাটা। দেখে মনে হবে যেন সন্ন্যাসিনী। সাধনাই তাঁর পথ। বোঝার উপায় নেই এই সহজ জীবনযাত্রার আড়ালে গত তিন বছর ধরে তিনি চিনের হয়ে গুপ্তচরের (China Spy)কাজ করছেন। পরিচয় দিচ্ছেন তিনি নেপালি ভিক্ষুক। দিল্লি পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, তিব্বতের রিফিউজিদের মধ্যে বসবাস করছিলেন এক চিনা মহিলা। গত তিন বছর ধরে সন্ন্যাসিনীর বেশ ধরে কাজ করছিলেন তিনি। গত সোমবার তাঁকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তদন্ত শুরু করতেই জানা যায়, বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশ ধরে ভারতে থাকতেন ওই মহিলা। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু ভুয়ো পরিচয়পত্রও পাওয়া গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: কেদারনাথ মন্দিরে পুজো করলেন মোদি, শিলান্যাস করলেন রোপওয়ের

    পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর দিল্লির মজনু কা টিলা এলাকায় তিব্বতিদের শরণার্থী শিবির থেকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মহিলার পরিচয়পত্র ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর নাম দোলমা লামা। তিনি প্রথমে নিজেকে নেপালের নাগরিক বলে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কাঠমান্ডুতে বাড়ি তাঁর। তবে পুলিশের দাবি, আদতে ওই মহিলার নাম কাই রুয়ো। ‘ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’ (এফআরআরও) সূত্রে দাবি করা হয়েছে, চিনা পাসপোর্ট নিয়ে ২০১৯ সালে ভারতে এসেছিলেন কাই রুয়ো। তার পর নেপালি সন্ন্যাসিনী পরিচয় নিয়ে উত্তর দিল্লিতে থাকা শুরু করেন ওই মহিলা। ওই চিনা নাগরিককে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, তিনটি ভাষা জানেন তিনি। ইংরাজি, নেপালি ও ম্যান্ডারিন ভাষায় কথা বলতে ও বুঝতে পারেন ওই মহিলা। 

    আরও পড়ুন: দীপাবলির উপহার! ২২ অক্টোবর ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    জেরায়, দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) কাছে তিনি জানান, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা তাঁকে খুন করতে চেয়েছিল। তবে সেই জন্যই তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন কিনা, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি ওই চিনা মহিলা। ভারতে কি চরবৃত্তির জন্যই এসেছিলেন ওই মহিলা? কেনই বা সাধু সেজে নিজেকে নেপালের বাসিন্দা বলে দাবি করলেন তিনি? ঠিক কী উদ্দেশ্যে? এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা। তাঁদের দাবি, ভারত বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন ওই মহিলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shibpur cash recovered case: ওড়িশা ও গুজরাট থেকে গ্রেফতার পাণ্ডে ভাইয়েরা! শিবপুর-কাণ্ডে ধৃতদের থেকে কী জানতে চায় পুলিশ?

    Shibpur cash recovered case: ওড়িশা ও গুজরাট থেকে গ্রেফতার পাণ্ডে ভাইয়েরা! শিবপুর-কাণ্ডে ধৃতদের থেকে কী জানতে চায় পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবপুরে টাকা উদ্ধার কাণ্ডে (Shibpur cash recovered case) অবশেষে ধরা পড়লেন পাণ্ডে ভাইয়েরা। গুজরাট (Gujrat) এবং ওড়িশায় (Odisha) একযোগে অভিযান চালিয়ে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শৈলেশ পাণ্ডে, তাঁর দুই ভাই অরবিন্দ ও রোহিত পাণ্ডেকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের আরও এক সহযোগীকে। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে আজ, শুক্রবার কলকাতায়  নিয়ে আসা হচ্ছে ।  প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত অনলাইন কোর্সের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা ট্রান্সফার করা হত।

    আরও পড়ুন: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে 

    হাওড়ায় ব্যবসায়ী ও পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শৈলেশ পাণ্ডের ফ্ল্যাট, গাড়ি ও অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, পুলিশের অভিযানের কিছুক্ষণ আগে কয়েকটি ব্যাগ গাড়িতে তুলে পালিয়ে যাচ্ছেন শৈলেশের ভাই অরবিন্দ ও তাঁর মা। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশি অভিযানের খবর কি তাঁরা আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন? তদন্তকারীদের অনুমান, এই বিপুল পরিমাণ টাকা এসেছিল বিদেশ থেকেই। তাঁদের ধারণা, কালো টাকা সাদা করতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। আর শৈলেশ পাণ্ডেই ছিলেন সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টের ইনট্রোডিউসার। মূলত তাঁর মাধ্যমেই চলত কালো টাকা সাদা করার কারবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে (Kolkata Police), হাওড়ায় ব্যবসায়ীর ১৭টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৭ কোটির লেনদেন হয়েছে। আরও অজস্র অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটির লেনদেনের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই ৭৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সময় ঘনিয়ে এলেই স্বৈরাচারীদের বলপ্রয়োগ বৃদ্ধি পায়…’’, রাজ্য সরকারকে নিশানা সুকান্তর

    তদন্ত শুরু হতেই পাণ্ডেরা গা ঢাকা দেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তাঁদের গ্রেফতার করে। তাঁরা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেকারণে লালবাজার পাণ্ডে ভাইদের নামে লুক আউট নোটিস জারি করেছিল। ওড়িশা এবং গুজরাতে পালিয়ে গিয়েছিল তাঁরা। দু’জনকে গুজরাটের আমেদাবাদ থেকে এবং বাকিদের রাউরকেল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জেরা করে এই মামলার গভীরে পৌঁছতে চায় পুলিশ। কীভাবে এই প্রতারণা-কাণ্ড চলত। এই বিপুল টাকা লেনদেনে যে অ্যাপের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল কে তা তৈরি করেছে তার খোঁজও করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Congress President: খাড়্গে হাতের পুতুল! রিমোট কন্ট্রোল থাকবে গান্ধী পরিবারের হাতে, দাবি বিজেপির

    Congress President: খাড়্গে হাতের পুতুল! রিমোট কন্ট্রোল থাকবে গান্ধী পরিবারের হাতে, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবটাই আগে থেকে ঠিক করা থাকে। গান্ধীরাই ঠিক করেন। খাড়্গে গান্ধী পরিবারের হাতের পুতুল ছাড়া আর কিছুই নয়, এমনই দাবি করল বিজেপি।  যে কোনও দল তাদের নেতা ঠিক করতেই পারে তাতে বিজেপির কিছু আসে যায় না মত বিজেপি নেতাদের। কংগ্রেস একটা মৃতপ্রায় দল। তাকে জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন দেওয়া সম্ভব নয়। অধিকাংশ প্রবীণ, অভিজ্ঞ নেতারা দল ছাড়ছেন। গান্ধী পরিবার ছাড়া দলে আর কিছুই নেই।

    আড়াই দশক পর এই প্রথম কোনও অ-গান্ধী ব্যক্তি কংগ্রেসের সভাপতি হলেন। জয়ের পরই দলের নেতাদের থেকে খাড়গে ক্রমাগত শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, দলের অন্যতম নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পর্যন্ত খাড়গে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার মধ্যেই ভেসে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছা বার্তাও। যদিও  বিজেপি নেতাদের দাবি, সভাপতি যে-ই হোন, দলের নিয়ন্ত্রণের রাশ থাকবে গান্ধী পরিবারের হাতেই। মনমোহন সিংয়ের মতোই খাড়্গে গান্ধী পরিবারের রিমোট-কন্ট্রোল দ্বারা চালিত হবে বলেই অভিমত বিজেপির। দলের আইটি সেলের ভারপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্যের বক্তব্য, ‘‘গান্ধী পরিবার যদি মনমোহন সিংয়ের মতো প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নাক গলাতে পারে, সেখানে খড়্গে তো নিছক কংগ্রেস সভাপতি।’’ 

    ২৬ অক্টোবর থেকে দলের সভাপতি পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন খাড়গে। তিনি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর স্থলাভিষিক্ত হবেন।  বিজেপি নেতাদের কথায়, খাড়্গের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার কোটি টাকার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগ রয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলাতেও ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বিজেপি নেতা  রাজ্যবর্ধন রাঠৌর বলেছেন, ‘শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী অত্যন্ত দরকার। দীর্ঘসময় পর কংগ্রেস একটি পরিবারের বাইরে তাকাল। কিন্তু, তারা স্রেফ রবার স্ট্যাম্প খুঁজে নিয়েছে। তাদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন স্রেফ ভাঁওতাবাজি ও নাটক ছাড়া কিছুই না।’ খাড়্গেকে পুতুল খাড়া করে কাজ করবেন সনিয়া-রাহুল-প্রিয়ঙ্কারাই, মনে করছে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share