Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Manik Bhattacharya: সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষা মিলল না! আগামী কয়েকদিন ইডির হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য

    Manik Bhattacharya: সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষা মিলল না! আগামী কয়েকদিন ইডির হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জোর ধাক্কা খেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টচার্য  (Manik Bhattacharya)। আপাতত তাঁকে ইডির (ED) হেফাজতেই থাকতে হবে। মঙ্গলবার তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকালই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদলতে তোলা হয়েছিল। ইডির গ্রেফতারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিকের আইনজীবী। কিন্তু আবেদেন সাড়া দিল না দেশের সর্বোচ্চ আগালত। মানিকের আইনজীবী মুকুল রোহতগি মামলার দ্রুত শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিসন বেঞ্চ তাতে সাড়া দেয়নি। ইডিকে এই মামলায় নোটিস দিতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। আগামী সোমবার শুনানি হতে পারে।

    আরও পড়ুন: মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যের গোপন অফিসের খোঁজ! কী হত সেখানে?

    রাজ্যে শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যাতে তাঁকে এই মামলায় গ্রেফতার করতে না পারে, তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিকের আইনজীবী। রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন তিনি। যা বহাল ছিল পুজো পর্যন্ত। কিন্তু ইডির ক্ষেত্রে এই নির্দেশ বলবত হয়নি। তাই মঙ্গলবার ম্যারাথন জেরায় মানিক ভট্টাচার্য তদন্তে অসহযোগিতা করছে, এই অভিযোগ তুলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করে ইডি। তখন মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁর মক্কেলকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করেছে। মানা হয়নি সুপ্রম কোর্টের রায়। এই যুক্তি সামনে রেখেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও জোর ধাক্কা খেলেন মানিক ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুন: কিংপিন মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

    তদন্তে ইতিমধ্যেই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধ আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার বহু প্রমাণ পেয়েছে ইডি। তাঁর ছেলেও এই কুকর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। কারণ, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার সময় ইডি আধিকারিকরা বিপুল পরিমাণ টাকার বেশি হদিশ পেয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জাল মানিক ভট্টাচার্যের মাধ্যমেই বিছানো হয়েছিল বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। কারণ, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে পাঁচশোর বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গ যুক্ত ছিলেন। যার বিনিময়ে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • mominpur-ekbalpur-clash: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার

    mominpur-ekbalpur-clash: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জামানায় বাংলার মাটিতে কোনও মানুষই সুরক্ষিত নন। তার আরও একটা প্রমাণ মিলল রবিবার লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ কলকাতার মোমিনপুরের (mominpur) ঘটনায়। সাম্প্রদায়িক হিংসার (ekbalpur-clash) আগুনে ছারখার হল বহু দোকান। জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাইক। যা শিউরে ওঠার মতোই ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব বিজেপি নেতারা। সুকান্ত মজুমদার থেকে শুভেন্দু অধিকারি, দিলীপ ঘোষ সকলেই ট্যুইটারে তীব্র নিন্দা করেছেন। একই সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অবিলম্বে মোমিনপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিও তুলেছেন তিনি।

    শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে লেখেন, ‘ইকবালপুর থানা দখল হয়ে গিয়েছে। ভয়ে থানা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে মমতার পুলিশ। কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও রাজ্যের মুখ্যসচিব কোনও কাজের না। তাই অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা দরকার। সেই আবেদনই আমরা করেছি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে।।’

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে অনুব্রত! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই, কী রায় দেবে আদালত?

    সোমবার সকালে শুভেন্দু ফের ট্যুইট করেন। তিনি বলেন, আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পাশাপাশি চিঠি লিখেছি রাজ্যপাল লা গণেশনকে। পুরো পরিস্থিতি তুলে ধরেছি। মোমিনপুরের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। ইকবালপুর থানায় লুটপাট ঠেকাতে ব্যর্থ পুলিশ। তারা কীভাবে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেবে। তাই কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করা ছাড়া কোনও উপায় নিয়ে। পরিস্থিতি হাতে বাইরে চলে যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাকি উপাচার্যরাও পদত্যাগ করুন! সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের পর বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাকি উপাচার্যরাও পদত্যাগ করুন! সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের পর বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University VC) পুনর্নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনেই  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত হবেন সোনালী চক্রবর্তী (Sonali Chakraborty)। এই রায়ের পরই রাজ্য সরকারকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া রাজ্যের অন্যান্য উপাচার্যদের অবিলম্বে পদত্যাগের কথা বলেন। 

    ট্যুইটবার্তায় শুভেন্দু জানান, ‘সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অরসারণের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে। তাই, এই রাজ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সমস্ত উপাচার্যদের অবিলম্বে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা জরুরি। এটা ওই উপাচার্যদের নৈতিক দায়িত্ব।’ তিনি তাঁর ট্যুইটে  ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, যেভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে সেইভাবেই যেসব উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের আদালতের কোপে পড়ার আগেই মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে সরে আসার পথ বেছে নেওয়া উচিৎ।

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    গত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনরায় নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকার জারি করেছিল সেপ্টেম্বর মাসে সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতও সেই রায় বহাল রাখল। মঙ্গলবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যপালের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোনালী চক্রবর্তীকে পুনর্নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়েছে। তাই কলকাতা হাইকোর্টের রায় একদম সঠিক ছিল। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি  হয়। গত বছর তৎকালীন রাজ্যপাল ও আচার্য জগদীপ ধনকড় কোনওরকম বাছাই ছাড়াই সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগকে স্বজনপোষণের অনন্য নজির বলে উল্লেখ করেছিলেন। রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বেআইনি ভাবে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন ধনকড়। এবার সেই উপাচার্যদেরই সময় থাকতে সসম্মানে সরে যাওয়ার কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sonali Chakraborty: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Sonali Chakraborty: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University VC) পদে সোনালি চক্রবর্তীর (Sonali Chakraborty) পুনর্নিয়োগ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ থেকে তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে আদালত জানায়, রাজ্যপালের এক্তিয়ারে হাত দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। যা সংবিধান মান্যতা দেয় না। তাই এটা কখনওই করতে দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন সোনালি চক্রবর্তী ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। ওই মামলার শুনানির পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর রায় দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলি। চূড়ান্ত রায়ে তাঁরা বলেন, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ‘ডিফিকাল্টি ক্লজ’-এর অপব্যবহার করতে পারে না। সরকারের এহেন পদক্ষেপ মেনে নেওয়া মানে আইনবিরুদ্ধ কাজ করা। তাই শীর্ষ আদালত সোনালি চক্রবর্তীর অপসারণকেই মান্যতা দিচ্ছে।

    আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগেও বেনিয়ম? শিক্ষার সর্বস্তরের লজ্জা প্রকট আদালতে!

    ২০১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন অস্থায়ী উপাচার্য সুরঞ্জন দাস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে যোগ দেন। ফলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে শূন্যস্থান তৈরি হয়। সেই শূন্যপদেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা সোনালি চক্রবর্তীকে স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করে রাজ্য। এরপর ২০২১ সালে তাঁকে ফের উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ করে সরকার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর নিয়োগে আচার্য তথা রাজ্যপালের কোনও সই ছিল না। সেই থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। তৎকালীন রাজ্যপাল ও আচার্য জগদীপ ধনকড় কোনওরকম বাছাই ছাড়াই সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগকে স্বজনপোষণের অনন্য নজির বলে উল্লেখ করেন। রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াই বেআইনি ভাবে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ তুলে সরব হন ধনকড়।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Defence Production: ডেট লাইনের অনেক আগেই প্রস্তুত ৭২টি সামরিক সরঞ্জাম! মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য

    Defence Production: ডেট লাইনের অনেক আগেই প্রস্তুত ৭২টি সামরিক সরঞ্জাম! মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনায় আরও জোর দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকে সামনে রেখেই পিআইএল তালিকায় উল্লিখিত ২১৪টি সামরিক সরঞ্জাম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল ২০২৩ থেকে ২০২৪ -এর মধ্যে। এই সামরিক সরঞ্জামগুলি তৈরির জন্য ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ডিফেন্স পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংসকে (ডিপিএসইউস) বরাত দিয়েছিল। কিন্তু ডেট লাইনের অনেক আগেই ৭২টি সরঞ্জাম তৈরি হয়ে গেল। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ১৪২টি সরঞ্জামও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে আশাবাদী ডিফেন্স পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস।

    আরও পড়ুন: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল সেনার চিতা হেলিকপ্টার, মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার

    দেশীয় কিছু প্রধান সাব-সিস্টেম/লাইন রিপ্লেসমেন্ট ইউনিট (LRUs) এর মধ্যে রয়েছে জাহাজের জন্য ম্যাগাজিন ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, স্টিয়ারিং গিয়ার সিস্টেম এবং ফ্রিগেটগুলির জন্য নিয়ন্ত্রণ সহ ফিন স্টেবিলাইজার।  আকাশ মিসাইলের জন্য চাপযুক্ত পাত্র, কনকুরস ক্ষেপণাস্ত্র এবং বৈদ্যুতিক মোটরের জন্য KOE চার্জ, ডিকনটামিনেশন সেট এবং ব্যাটল ট্যাঙ্কের জন্য প্রিজম অপটিক্যাল যন্ত্র। এই সরঞ্জামগুলির পাশাপাশি, হেলিকপ্টারের জন্য মধ্যবর্তী কাস্টিং, সাবমেরিনগুলির জন্য পলিক্রোপিন রাবার ব্যান্ড এবং যুদ্ধ জাহাজগুলির জন্য উচ্চ চাপ নিয়ন্ত্রণকারী ভালভ। দেশীয় প্রযুক্ততে তৈরি যাবতীয় সামরিক সরঞ্জাম বিশদ বিবরণ সহকারে “শ্রীজন পোর্টালে (srijandefence.gov.in)” পাওয়া যাবে।  আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে কাটছাঁট করতে কয়েক বছর আগেই সক্রিয় হয়েছিল মোদি সরকার। ‘অস্ত্র আমদানিকারক দেশ’ থেকে ভারতকে ‘অস্ত্র রফতানিকারক দেশ’-এ পরিণত করার উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনা শুরু হয়। এই সাফল্য তারই ফল।

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় ‘টক্কর’ পাকিস্তানকে, আটারিতে উড়বে ভারতের উচ্চতম তেরঙা

    প্রতিরক্ষা উত্পাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’-এর অধীনে ডিপিএসইউগুলির আমদানি কমানোর জন্য, প্রতিরক্ষা উত্পাদন বিভাগ (ডিডিপি), প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এলআরইউ/সাব-সিস্টেম/এর তিনটি ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। প্রথম পিআইএল-এ ৩৫১টি সরঞ্জাম, দ্বিতীয় পিআইএল-এ ১০৭টি আইটেম এবং তৃতীয় পিআইএল-এ দেশীয়করণের জন্য ৭৮০টি আইটেম রয়েছে। পরবর্তীকালে, ডিডিপি ৭২টি দেশীয় আইটেমের সংশোধিত টাইমলাইন (পিআইএল-1:67 এবং পিআইএল-2:5) বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এখন, এই আইটেমগুলি শুধুমাত্র ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলি থেকে সংগ্রহ করা হবে। যা একদিকে দেশের শিল্পকে অক্সিজেন জোগাবে, একাধারে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় করবে। এটি সশস্ত্র বাহিনীর চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক মানের সামগ্রী সরবরাহের জন্য দেশীয় শিল্পের সক্ষমতার প্রতি সরকারের ক্রমবর্ধমান আস্থাকেও শক্তিশালী করে। এই কর্মকাণ্ডকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে  ‘বড় পদক্ষেপ’ বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Arindam Bagchi: গত ৯ মাসে পাক জেলে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয়ের, ক্ষুব্ধ বিদেশমন্ত্রক

    Arindam Bagchi: গত ৯ মাসে পাক জেলে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয়ের, ক্ষুব্ধ বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত নয় মাসে পাকিস্তানের জেলে থাকতে থাকতে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয় বন্দির। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন মৎস্যজীবী। তাঁদেরকে অবৈধভাবে পক জেলে আটকে রাখা হয়েছিল, বলে দাবি ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তানের (Pakistan) জেলগুলিতে বন্দি ভারতীয়দের (Indian Prisoners) মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘‘সম্প্রতি মৎস্যজীবীদের মৃত্যু বেড়েছে। পাক হেফাজতে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনই মৎস্যজীবী। সাজা শেষ হওয়ার পরেও তাঁদের বেআইনি ভাবে আটক করে রেখেছিল পাকিস্তান।’’ তাঁর কথায়,‘‘এই ঘটনা উদ্বেগজনক। ইসলামাবাদে আমাদের হাইকমিশন এই বিষয়টি তুলেছে। ভারতীয় বন্দিদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে বাধ্য পাকিস্তান।’’

    আরও পড়ুন: মোদির সফল নেতৃত্বের দৌলতেই আজ বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, বললেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, এর আগে সদ্য পাকিস্তান কয়েকজন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচানোর কথা জানায়। তারা জানিয়েছে, ভারত পাকিস্তানের সীমান্তের মাঝে জলপথে কয়েকজন ভারতীয় মৎস্যজীবী ডুবে যাচ্ছিলেন, তাঁদের রক্ষা করেন পাকিস্তানের সেনা জাওয়ানরা। এরপরই দিল্লি,পাকিস্তানের জেলে বন্দি ভারতীয়দের প্রসঙ্গে মুখ খোলে। কার্যত সেদেশে ভারতীয় বন্দিদের নিয়ে কী ঘটছে তা নিয়েই মুখ খুলেছে দিল্লি।

    আরও পড়ুন: ‘হু’-র সতর্কবার্তার জের! দেশে তৈরি ৪ কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র

    মৎস্যজীবীদের আটক করা নিয়ে প্রায়ই একে অপরের দিকে আঙুল তোলে প্রতিবেশী দুই দেশ। সীমান্ত পেরিয়ে আসার কারণেই আটক করা হয় মৎস্যজীবীদের, এমন যুক্তিও দেয় দুই পক্ষ।  গত জানুয়ারি মাসে গুজরাতের ৫০ বছরের এক মৎস্যজীবীর পাকিস্তানের জেলে মৃত্যু হয়। তাঁর নাম জয়ন্তী সোলাঙ্কি। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। গত জুলাইয়ে গির সোমনাথ জেলার আর এক মৎস্যজীবী কালু সিয়ালের মৃত্যু হয় পাকিস্তানের জেলে। ২০১৮ সালের জুনে আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘনের জন্য আটক করা হয়েছিল তাঁকে। সাজার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরও মুক্তি মেলেনি। এরকম আরও বহু নজির রয়েছে, বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়।  উল্লেখ্য, গত ২০ জুন আটারি ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ২০ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে (Indian Fishermen) মুক্ত করেছিল পাকিস্তান তা-ও অনেক চাপের পর। এবার নানান তথ্যপ্রমাণ দিয়ে  যে সকল বন্দিদের  সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BCCI President: বিসিসিআই সভাপতি থাকছেন না মহারাজ! পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন রজার বিনি

    BCCI President: বিসিসিআই সভাপতি থাকছেন না মহারাজ! পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন রজার বিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৮ অক্টোবর বিসিসিআইয়ের নির্বাচন (BCCI Election)। সেদিকেই চোখ গোটা ক্রিকেট দুনিয়ার (Cricket World)। আসলে, ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে কে বসবেন, এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। বোর্ড সভাপতি (BCCI President) পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পুনর্নিবাচিত হবেন না অন্য কেউ তাঁর জুতোয় পা গলাবেন, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে ক্রিকেট মহলে।

    নিয়ম অনুযায়ী আরও তিন বছর বিসিসিআই সভাপতি ( BCCI President) থাকতে পারবেন মহারাজ। তবে তাঁকে নির্বাচনে জিতে আসতে হবে। বিসিসিআই সূত্রের খবর, সৌরভ নাকি এবার বিসিসিআই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তাই তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি খোঁজার কাজও শুরু করে দিয়েছে শাসকগোষ্ঠী। শোনা যাচ্ছে, তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য রজার বিনি (Roger Binny) দৌড়ে এগিয়ে। তাঁর নামে বোর্ডের শীর্ষকর্তারা সহমত পোষণ করেছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপের পরেই অবসর নেবেন লিওনেল মেসি! কী বললেন তিনি?

    কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কেন হঠাৎ করে বিসিসিআই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন? এই ব্যাপারে তেমন সদুত্তর মেলেনি। মুখ খোলেননি মহারাজও। তবে বোর্ড সূত্রের খবর, সৌরভকে নাকি আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট (ICC President) নির্বাচনে দাঁড় করাতে চাইছে বিসিসিআইয়ের একাংশ। এক্ষেত্রে সৌরভের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি ও জনপ্রিয়তা কাজে লাগতে পারে। গত বৃহস্পতিবার বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের একটি বৈঠক হয়। সেখানেই নাকি সৌরভ বলেছেন, তিনি পুনরায় বিসিসিআই সভাপতি হতে রাজি নন। তখন তাঁকে আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে সৌরভ এখনও সিদ্ধান্ত নেননি বলেই ঘনিষ্ঠ মহলের খবর। সচিব পদে ফের মনোনয়ন দিতে পারেন জয় শাহ (Jay Shah), কোষাধ্যক্ষ হতে পারেন অরুণ ধুমাল। আইপিএল (IPL) গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে আছেন রাজীব শুক্লা।

    আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড! পদপিষ্ট হয়ে মৃত কমপক্ষে ১৭৪

    ১২ অক্টোবর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ১৩ অক্টোবর হবে স্ক্রুটিনি। মনোনয়ন প্রত্যাহার ১৪ অক্টোবর। সেদিনই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে বিসিসিআই নির্বাচনে চমক থাকে শেষ পর্যন্ত। সময় যত এগোবে, টি-২০ ক্রিকেটের মতোই উত্তেজনার পারদ চড়বে বোর্ড নির্বাচন ঘিরে। গতবারও তাই হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Avalanche: উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে মৃত অন্তত ১০, আটকে তিন বাঙালি পর্বতারোহী

    Avalanche: উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে মৃত অন্তত ১০, আটকে তিন বাঙালি পর্বতারোহী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ তুষারধসে অন্তত দশজনের মৃত্যু হয়েছে। আটকে রয়েছেন তিন বাঙালি পর্বতারোহী। উত্তরাখণ্ডের পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিংয়ের (NIM ) তরফে জানানো হয়েছে,মঙ্গলবার নবমীর সকালে উত্তরকাশীতে দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২ পর্বত শৃঙ্গে তুষারধসে আটকে পড়েছিল ৪১ সদস্যের একটি পর্বতারোহী দল। এদের মধ্যে মঙ্গলবার রাতেই ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।  বাকিরা আটকে রয়েছেন। এঁদের মধ্যে তিনজন বাঙালি। ৩ বাঙালি পর্বতারোহীর নাম হল সৌরভ বিশ্বাস,অমিত কুমার সাউ এবং সন্দীপ সরকার।

    এনআইএম-এর অধ্যক্ষ কর্নেল অমিত বিষ্ট বলেন,  তুষারধসের খবর পেয়ে উদ্ধার কাজে নামে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী ও ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। ১০টি মৃতদেহ দেখা গিয়েছে। যার মধ্যে ৪ টি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, বলে আশঙ্কা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করে উত্তরাখণ্ডের তুষার ধস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যাঁরা মারা গিয়েছেন দুর্ঘটনায় তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। 

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    উদ্ধারকাজে ইতিমধ্যেই আইটিবিপি জওয়ানরা রয়েছেন। রাতে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হয়। এনডিআরএফ এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও তল্লাশি চালাচ্ছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি নিজে উদ্ধারকাজের খোঁজ নিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পুস্কর সিং ধামিকে ফোন করে জানিয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনাকে উদ্ধার কাজে লাগানো হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার চিতা হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বায়ুসেনার কপ্টারে করে আহতদের উদ্ধার করে দেরাদুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Durga Puja: আজ বিদায়ের পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমীর অর্থ 

    Durga Puja: আজ বিদায়ের পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমীর অর্থ 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: দশমী’ মানেই দুর্গা পুজোর শেষ। বন্ধুদের সাথে রেষ্টুরেন্টে খাওয়া, রাত পর্যন্ত মন্ডপের চেয়ারে বসে আড্ডা, অষ্টমীর সন্ধিক্ষণের উপবাস, মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা দর্শন, নবমীর পুষ্পাঞ্জলি সব কিছুতে ইতি টানে দশমী তিথি‌।  অপেক্ষায় থাকতে হয় আরও একটা বছর। বেশীরভাগ দুর্গাপুজো শেষ হয় দশমীতেই। এই দিনেই মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়, কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকে , যেমন বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবারে হলে সাধারণত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে পিতৃগৃহ মানে সোজা কথায় বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে পাড়ি দেন দেবী উমা। সেই কারণেই এই তিথিকে ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়। মা উমা সকলকে কাঁদিয়ে নিজের চার সন্তানকে সঙ্গে করে কৈলাসে ফিরে যান।

    দশমী প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একটি কাহিনী উল্লেখযোগ্য। রানী রাসমণীর জামাতা মথুরবাবু একসময় আবেগপ্রবন হয়ে দশমীর দিনেও মা দুর্গাকে বিসর্জন দেবেন না বলে জেদ ধরে বসেন। তখন রামকৃষ্ণদেব তাঁকে বোঝান, বিজয়ার অর্থ দেবীমা ও সন্তানের বিচ্ছেদ নয়। তিনি আরও বলেন যে, মা কখনও তার সন্তানের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেন না। এতদিন মা দালানে বসে পুজো নিয়েছেন এরপর মা মনের মন্দিরে বসে পুজো নেবেন। এরপরেই মথুর শান্ত হন এবং বিসর্জন দেওয়া হয় মা দুর্গার প্রতিমা।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    দশমী ঘিরে একটি পৌরাণিক কাহিনীও রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী, মা দুর্গা ন’দিন ন’ রাত্রি ব্যাপী প্রবল যুদ্ধ করেন মহিষাসুরের বিরুদ্ধে। অবশেষে দশমী তিথিতে মায়ের হাতে বধ হয় রম্ভা পুত্র মহিষাসুর। মহিষাসুরমর্দিনী হয়ে ওঠেন মা দুর্গা। ঋষি কাত্যায়নের আশ্রমে এই মহিষাসুর বধের জন্যই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তেজ থেকে সৃষ্ট হয়েছিল এক নারী মূর্তি। মহিষাসুরের ওপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে কোন পুরুষ তাকে বধ করতে পারবে না। এই কাহিনী আমরা সকলেই শুনেছি। সমস্ত আসুরিক শক্তির ওপর বিজয় প্রাপ্তি হয়েছিল অত্যাচারী মহিষাসুর বধের মধ্যে দিয়ে। সমস্ত দেবতা কূল বিজয় উৎসবে মেতেছিল। তাই এই একে বিজয়া দশমী বলা হয়।

    অন্য একটি কাহিনী অনুযায়ী, দেবী দুর্গার দক্ষকন্যা সতী হয়ে জন্মগ্রহণ এবং স্বামী নিন্দা সইতে না পেরে মৃত্যুবরণের গল্প আমাদের সকলেরই জানা। এরপর  ৫১টি অংশে সতীর মৃত দেহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার পর শিব যখন তাণ্ডব থামালেন, তখন বিষ্ণু তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন দক্ষরাজকে ক্ষমা করে দিতে। শিব সেই অনুরোধ ফেলতে পারেননি। উপরন্তু সন্তানহারা বাবার দুঃখ ঘোচানোর জন্য তিনি বলেন, এর পরের জন্মে সতী জন্ম নেবেন হিমালয়রাজ হিমাবত কন্যা পার্বতী রূপে। তখন প্রতি বছর বিজয়া দশমীর দিন পার্বতী আসবেন দক্ষপুরীতে। সতীর বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি দিনের জন্য দেখা করতে! তাই আজ পার্বতীর ঘরে ফেরার দিনও বটে বলে পৌরাণিক মত রয়েছে‌। এছাড়াও আজকের তিথিতেই রাক্ষসরাজ রাবণের উপর ভগবান রামচন্দ্র বিজয় প্রাপ্ত করেছিলেনবলে মনে করা হয়। তাই এটা বিজয়া দশমী। এদিন ছোটরা বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে, মিষ্টি মুখ করানো হয় মা উমার। মহিলা দের মধ্যে সিঁদুর খেলার রীতি দেখা যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amit Shah: গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলি আসবে সংরক্ষণের আওতায়! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    Amit Shah: গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলি আসবে সংরক্ষণের আওতায়! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলিকে সংরক্ষণের আওতায় আনা হবে। জম্মু-কাশ্মীর সফরে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাজৌরির সভায় তিনি বলেন, “বিচারপতি শর্মা কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়ে গিয়েছে। ওই রিপোর্টে গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলিকে সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশ মেনে ওই জন-জাতিগুলিকে দ্রুতই সংরক্ষণের আওতায় আনা হবে।”

    আরও পড়ুন: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অমিত শাহ! জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক কর্মসূচী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে পুজো দিয়ে এই সফরের নানা কর্মসূচীর সূচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন সকালে প্রথম কাটরার বৈষ্ণোদেবী দর্শনে যান তিনি। এদিন মন্দিরে প্রার্থনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। করেন মাতার আরতিও। তাঁর সফর ঘিরে কাটরা ও রাজৌরিি বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিন সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য সন্ত্রাসমুক্ত উপত্যকা, কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ অমিত শাহের

    রাজৌরির সভায়  জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন অমিত শাহ। “সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ (ক) ধারা বাতিল না করলে উপত্যকার জনজাতিদের কি আদৌ সংরক্ষণের আওতায় আনা যেত?” রাজৌরির সভায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তবে কবে থেকে এই সংরক্ষণ দেওয়া হবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৯-এ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। ওই সময় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ (ক) ধারা বিলোপ করা হয়। শুধু তাই নয়, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। মঙ্গলবারের রাজৌরির সভায় বারবার সেই প্রসঙ্গ তোলেন অমিত। তিনি বলেন, “যাঁরা বলতেন ৩৭০ ধারা তুলে দিলে কাশ্মীরে রক্তগঙ্গা বইবে, তাঁরাই এখন মোদি-মোদি চিৎকার শুনতে পাচ্ছেন। সংবিধানের এই ধারা সরিয়ে দেওয়ার ফলে সংখ্যালঘু, দলিত ও পার্বত্য এলাকার জনজাতি ভুক্ত মানুষরা তাঁদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

LinkedIn
Share