Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Durga Puja: মহানবমীর মাহাত্ম্য! জানুন মাতা সিদ্ধিদাত্রীর পৌরাণিক আখ্যান

    Durga Puja: মহানবমীর মাহাত্ম্য! জানুন মাতা সিদ্ধিদাত্রীর পৌরাণিক আখ্যান

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: নবরাত্রির শেষ দিনে পূজিতা হন মাতা সিদ্ধিদাত্রী। এই দেবী মা দুর্গার নবম রূপ বলে পরিগণিত হন। ভক্তদের বিশ্বাস মতে , মাতা সিদ্ধিদাত্রী  দেবাদিদেব মহাদেবের শরীরের অংশ। তাই তিনি অর্ধনারীশ্বর নামেও প্রসিদ্ধ। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মহাবিশ্ব যখন তৈরী হয়নি, চারিদিকে যখন ঘন অন্ধকার ছিল, প্রাণের চিহ্ন যখন কোথাও ছিল না তখন একটি দৈব আলোকরশ্মি নারী মূর্তির আকার ধারণ করতে থাকে। ইনিই দেবী মহামায়া, মহাশক্তি। এই আদিদেবীর থেকেই জন্ম হয়েছিল ত্রি শক্তির ব্রহ্মা, বিষ্ণু ,
    এবং মহেশ্বর। বিশ্ব বা জগত সংসার পরিচালনার জন্য এই আদিমাতা ত্রিদেব কে দায়িত্ব দেন। এরপরে মহাসাগরের তীরে বসে বহু বছর ধরে  মহামায়ার তপস্যায় রত ছিলেন ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর। তপস্যায় প্রসন্না হয়ে দেবী  তাঁদের সামনে ‘সিদ্ধিদাত্রী’ রূপে প্রকট হন।

    মাতা সিদ্ধিদাত্রী ভগবান ব্রহ্মাকে বিশ্বস্রষ্টার স্রষ্টা, ভগবান বিষ্ণু কে সৃষ্টি ও জগৎ রক্ষার ভূমিকা এবং দেবাদিদেব মহাদেব কে প্রয়োজন হলে জগৎ ধ্বংস করার ভূমিকা প্রদান করেন। ভক্তদের আরো বিশ্বাস , দেবী সিদ্ধিদাত্রী পরবর্তীতে সরস্বতী,লক্ষী, এবং মাতা পার্বতী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সিদ্ধিদাত্রী মাতা সর্বদাই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের সাথে শক্তি হিসেবে আছেন , এটা বোঝাতেই তিনি এই ত্রিদেবের পত্নী রূপে অবস্থান করেন‌। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী , দেবী সিদ্ধিদাত্রী জগৎ পরিচালনা, পালন এবং সংহারের জন্য অলৌকিক ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন এই ত্রিদেবকে। অতিপ্রাকৃত এই আটটি শক্তিকে মার্কণ্ডেয় পুরাণে অষ্টসিদ্ধি  বলা হয়েছে যা দেবী সিদ্ধিদাত্রী দেন।

    সিদ্ধি আট প্রকারের- 

    অণিমা : এই শক্তির দ্বারা দেহ কে আকারে ছোট করা যায়। 

    মহিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে অসীম প্রসারিত করা যায় ।

    গরিমা : এই শক্তির দ্বারা দেহকে অকল্পনীয় ভারী করা যায়।

    লঘিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহ ভারহীন হয়ে যায়।

    প্রাপ্তি: এই শক্তির দ্বারা সর্বভূতে বিরাজ করা যায়।

    প্রাকাম্য: এই শক্তির দ্বারা সমস্ত মনের কামনা পূর্ণ করা যায়।

    ঈশিত্ব : এই শক্তির দ্বারা প্রভুত্ব স্থাপন করা যায়।

    বশিত্ব: এই শক্তির দ্বারা সকলকে পরাধীন রাখা যায়।

    ভক্তদের বিশ্বাস, মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুসারে যে ৮ প্রকার সিদ্ধি ,মাতা সিদ্ধিদাত্রী ব্রহ্মা-বিষ্ণু মহেশ্বর কে প্রদান করেছিলেন,মহানবমীর দিন মাতা সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনা করলে ভক্তদের মধ্যে এই সকল শক্তির প্রবেশ ঘটে।

    অন্য একটি পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, শিব মাতা অম্বিকার সাধনা করেছিলেন এবং মাতা তখন সিদ্ধিদাত্রী হয়ে দেবাদিদেব মহাদেব কে বরপ্রদান করেছিলেন। সর্ব সিদ্ধির অধীশ্বর হওয়ার বর, দেবাদিদেব মহাদেব পেয়েছিলেন, মাতা অম্বিকার কাছ থেকে । তাই ভগবান শিবকে সিদ্ধিনাথ বা সিদ্ধেশ্বর বলা হয়।

    অষ্টমীর সন্ধিপূজার সময়ই  দুর্গা মাতা মহিষাসুরকে  বধ করেছিলেন বলে অনেক পন্ডিতের মত রয়েছে।  আবার সন্ধিপুজোর সময়ই দেবী দুর্গার অন্য রূপ চামুন্ডা মাতা চন্ড ও মুন্ড কে বধ করেছিলেন বলে অনেক ভক্তের ধারণা রয়েছে।  অসুরবধের আনন্দে নবমী তিথিতে কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে দেবীর বন্দনায় মেতে উঠেছিলেন দেবতারা। এখানেই নবমী পুজোর মাহাত্ম্য বা গুরুত্ব বলে পন্ডিত দের ধারণা রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এদিন তাই দেবীর সম্পূর্ণ পুজো সম্পন্ন হয়। এই তিথিতেই  বলি, হোম, কুমারী পূজা এবং ষোড়শ উপাচারের বিধান আছে। দেবীকে প্রসন্ন করতে নৈবেদ্য তে তিল নিবেদন করার রীতি দেখা যায় । ভক্তদের বিশ্বাস ,মাতা সিদ্ধিদাত্রীর কৃপায় জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় এবং সফলতা আসে জীবনে‌।

  • India on Russia: আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    India on Russia: আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukrain war) যুদ্ধে মধ্যপন্থা অবস্থানের কারণে পশ্চিমী দেশগুলির তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকে (India)। তাতে অবশ্য খুব একটা কর্ণপাত করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। কারণ, ভারতের বিদেশ নীতির মূল মন্ত্র মেনেই তিনি রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তবে সব বিষয়ে ভারত যে পুতিনকে সমর্থন করবে না, তা কিন্তু হাবেভাবে ফের বুঝিয়ে দিয়েছে দিল্লি। সম্প্রতি গণভোটের নাম করে ইউক্রেনের চারটি এলাকা নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। যা একেবারেই না পসন্দ ভারতের। সেই কারণেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এই সংক্রান্ত বিষয়ে ভোটাভুটিতে বিরত থাকল দিল্লি। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ভীষণই বিচলিত। আলোচনার মাধ্যমেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব। সেই বার্তা মস্কোকে বার বার দেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারত।’

    আরও পড়ুন: নয়া সংসদ ভবনের উপরে স্থাপিত জাতীয় প্রতীক কোনও আইন লঙ্ঘন করেনি! জানুন কী বলল আদালত?

    আমেরিকার পক্ষ থেকে রাশিয়ার আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধ নিন্দাপ্রস্তাব আনা হয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে। সদস্য দেশগুলিকে ইউক্রেনের কোনও পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে স্বীকৃতি না দেওয়ার আহ্বান জানান হয়। নিরাপত্ত পরিষদের দশটি সদস্য আমেরিকার আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে চিন, গ্যাবন ব্রাজিল এবং ভারত ভোটদান থেকে বিরত থাকে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বন্ধু দেশ হিসেবেই পরিচিত ভারত, চিন। কিন্তু অবৈধ গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের এলাকা দখলের রুশ প্রয়াসকে ভারত একেবারেই সমর্থন করছে না, তা স্পষ্ট। রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘ভোটদানে বিরত থাকা মানে রাশিয়াকে সমর্থন নয়। একটি দেশও রাশিয়াকে ভোট দেয়নি।’

    আরও পড়ুন: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা

    রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনের যে অঞ্চলগুলি রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেখানে এখনও লড়াই চলছে। সেখানকার মানুষ গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার অংশ হতে চেয়েছে।’ তবে এই যুক্তি মানতে রাজি নয় ইউক্রেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amit Shah: আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    Amit Shah: আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের বারামুলায় এক জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই সময় পাশের এক মসজিদ থেকে আজানের সুর কানে আসতেই বক্তব্য থামিয়ে দেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সৌজন্যতা উপতক্যার মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। সভায় থেকে তাঁর নামে ওঠে জয়োধ্বনি। অতীতে একই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi) বেশ কয়েকবার আজানের সময় বক্তব্য থামিয়ে দিয়েছিলেন।

    বিশাল জনসভায় অমিত শাহ বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি প্রতিষ্ঠায় কেন্দ্রীয় সরকার বদ্ধপরিকর। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে উপত্যকার মানুষের সুরক্ষা আরও শক্তপোক্ত করা হবে।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ একেবারে নির্মুল করাই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু বিরোধীরা সেটা চায় না। তাই তারা বার বার পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার কথা বলছে। ৭০ বছর যারা দেশ শাসন করল, তারা জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে? তারাই কিনা বলছে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করতে। কেন আমরা পাকিস্তানের সঙ্গ কথা বলব? তার কোনও সম্ভাবনা নেই। আমরা বারামুলাবাসীদের সঙ্গে কথা বলব, কথা বলব জম্মু ও কাশ্মীরের জনতার সঙ্গে।’

    অমিত শাহর তিন দিনের জম্মু ও কাশ্মীর সফর বুধবারই শেষ হয়েছে। শ্রীনগরের নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি দফায় দফায় বৈঠক করেন। উপতক্যার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।

  • Poll Panel: শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, জানাতে হবে অর্থ কোথা থেকে আসবে! জানেন কী বললেন নির্বাচন কমিশন

    Poll Panel: শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, জানাতে হবে অর্থ কোথা থেকে আসবে! জানেন কী বললেন নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন এলেই প্রতিশ্রুতির প্যান্ডোরা বাক্স খুলে জনসভা মাতিয়ে তোলেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কিন্তু ভোট ফুরোলেই ভোকাট্টা। পরে অনেক কিছুই আর বাস্তবায়িত হয় না। এবার তাই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ELECTION COMMISSION)। রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচন কমিশন লিখেছে, ভোটারদের শুধু প্রতিশ্রুতি দিলে হবে না, জানাতে হবে তা পূরণের জন্য অর্থ সংস্থান কীভাবে হবে। দলগুলিকে স্পষ্ট করতে হবে, তারা কত টাকা ভর্তুকি কোন খাতে দেবে। যদি কৃষি ঋণ মকুবের ব্যাপার হয়, তবে কি এতে সমস্ত কৃষকরা উপকৃত হবেন, নাকি শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধা দেওয়া হবে সেগুলো স্পষ্ট করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে উল্লেখ করতে হবে। দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য অর্থ কোথা থেকে আসবে, সেটাও জানাতে হবে। যদি এটা রাজ্য এবং কেন্দ্রের যৌথ বিষয় হয়, তবে প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য গোটা খরচটা কি যৌথভাবেই বহন করা হবে,  নাকি রাজ্য বা কেন্দ্র পৃথকভাবে বহন করবে, সেসবও বিস্তারিত জানাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। কারণ, অনেক রাজ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিকে ঘুরিয়ে নিজেদের বলে চালানোর চেষ্টা করে। গত কয়েক বছরে এই ট্রেন্ড চলছে। নির্বাচন কমিশন যদি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও ভর্তুকি মামলায় কড়া আইন আনে, তাহলে সেগুলি বন্ধ হবে। জনগণ পুরো বিষয়টি জানতে পারবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন: আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী ইস্তোহর কিংবা প্রতিশ্রুতি কিংবা ভর্তুকি প্রদানের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছ্বতা প্রয়োজন। কারণ, ভোটারদের জানার অধিকার রয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলি যে সব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তার সারবত্তা কতটা। ভর্তুকি প্রদানের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যের ভূমিকা কতখানি। স্পষ্ট ছবি সামনে এলে ভোটাররা সহজেই বিচার করতে পারবে, কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিশ্রুতি ভালো, কোনটা খারাপ। তা প্রভাব ফেলবে নির্বাচনেও।

    আপাতত বিষয়টি প্রস্তাব আকারেই রাজনৈতিক দলগুলির কাছে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তবে পরবর্তীকালে রাজনৈতিক দলগুলির এই ধরনের বক্তব্য যাতে আদর্শ আচরণবিধির আওতায় আসে, সেই ব্যবস্থা করতে চায় নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত জানা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।

  • Telangana: দলের নাম পরিবর্তন চন্দ্রশেখর রাওয়ের! জাতীয় রাজনীতিই কি লক্ষ্য?

    Telangana: দলের নাম পরিবর্তন চন্দ্রশেখর রাওয়ের! জাতীয় রাজনীতিই কি লক্ষ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন (Parliament Election 2024)। রাজ্যের গণ্ডি টপকে জাতীয় রাজনীতিতে নতুন আঙ্গিকে পথ চলা শুরু করল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (Telangana Rashtra Samithi)। বদলে ফেলা হল দলের নাম। তেলেঙ্গানা মুছে এখন শুধুই ‘ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সমিতি’ (BRS)। দশেরার দিনে দলের নতুন নাম ঘোষণা করলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (K Chandrashekar Rao)। আত্মপ্রকাশ করল ‘ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সমিতি’(BRS)।

    বিজেপি (BJP) বিরোধী লড়াইয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুর চড়িয়েছিলেন কে চন্দ্রশেখর রাও। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে অ-বিজেপি ও অ-কংগ্রেসী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার পরিকল্পনাও নিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে নীতীশ কুমার, এমকে স্ট্যালিনের মতো বিরোধী শিবিরের তাবড় তাবড় নেতাদের সঙ্গে। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট গঠন নিয়ে বৈঠক করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও। বিজেপি (BJP) বিরোধী লড়াইয়ে তিনি যে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগতে চাইছেন, অ-কংগ্রেসী ও অ-BJP নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কেসিআর তা স্পষ্ট করেছেন। তাঁর এই মিশনে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদনও জানান তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। মিশন ২০২৪-এর অঙ্গ হিসেবে এরপরেই জাতীয় স্তরে নিজের দলকে প্রতিষ্ঠিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন রাও। প্রথমে ঠিক ছিল টিআরএস ব্যানারেই জাতীয় স্তরে লড়বে তাঁর দল। কিন্তু তা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলে আশঙ্কা করেন কে চন্দ্রশেখর রাও। তাই তিনি জাতীয় স্তরে নতুন একটি দল গঠন করার পরিকল্পনা নেন।

    আরও পড়ুন: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    তবে প্রশ্ন উঠছে, আঞ্চলিক দলের তকমা ঝেড়ে ফেলে সর্বভারতীয় মর্যাদা পাওয়ার এই ভাবনা কতটা ফলপ্রুসু হবে টিআরএসের?  এমনকী দলের অন্দরে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে বলেও খবর। মুখ্যমন্ত্রীর এটা খামখেয়ালি ভাবনা বলে মনে করছেন অনেকে। এতে দল বিপদে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, টিআরএসের এই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে। মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে তেলেঙ্গানার জনগণ।

  • Mohan Bhagwat: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরার অনুষ্ঠানে নারী স্বাধীনতার পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বুধবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সংগঠনের বার্ষিক দশেরা তথা বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা প্রয়োজন। প্রাপ্য সমানাধিকারও। পুরুষদের থেকে নারীরা কোনও অংশে কম নয়।’ আরএসএস শুরু থেকেই মহিলাদের অধিকার স্থাপন নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে এসেছে। অতীতের উদাহরণ টেনে মোহন ভাগবত বলেন, ‘ডক্টর সাবের (ডাঃ কে বি হেডগেওয়ার) সময়কালে সমাজে কৃতিত্বপূর্ণ, বদ্ধিজীবী বলে পরিচিত মহিলাদের আরএসএস নিজেদের সংগঠনের কার্যাবলীতে অনুপ্রেরণার উৎস বলে স্বীকৃতি জানিয়েছে। অতীতে আমাদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন আনুসিয়াবাই কালে, ভারতীয় মহিলা সম্মেলনের প্রধান রাজকুমারী অমৃত কৌরও। ১৯৩৪ সালের ডিসেম্বরে সংগঠনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একজন মহিলা। আমি তখন সেখানকার প্রচারক ছিলাম। ঔরঙ্গবাদের কুমুদতাই রাংনেকার সেবার বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।’

    আরও পড়ুন: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    সমাজে নারী ও পুরুষ—দু’জনেরই গুরুত্ব সমান বলে মনে করেন মোহন ভাগবত। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি একে অপরকে ছাড়া একটা সুন্দর সমাজ কখনও গড়ে উঠবে না। তাই কে শক্তিশালী, সেটা বিচার্য নয়। বরং পুরুষদের মতো নারীদেরও সব ক্ষেত্রে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সর্বক্ষেত্রে দিতে হবে স্বাধীনতাও। কারণ, একজন পুরুষের থেকে একজন নারী কোনও অংশে কম নয়। দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বড় ভূমিকা রয়েছে।’

    আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    সংঘ প্রধানের কথায়, ‘নারীদের ‘জগৎ জননী’ বলা হয়। অথচ ঘরে তাদের ‘দাসী’ হিসাবে গণ্য করা হয়।’ তিনি মনে করেন, এই ভাবনা চিন্তা পরিবর্তনের সময় এসেছে। নারীর ক্ষমতায়ন ঘর থেকে শুরু হওয়া উচিত। ভারতের ‘বিশ্ব গুরু’ দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে নারীর ভূমিকার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ‘বিশ্বগুরু’ (বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়া) ভারত গড়তে চাই তাহলে মহিলাদের সমান অংশগ্রহণও প্রয়োজন। এর জন্য অবশ্যই মহিলাদের ক্ষমতায়নের দিকে জোর দিতে হবে। নারী ছাড়া সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না।’

  • Durga Puja: আজ দশেরায় মেতেছে দেশবাসী! জানেন দশমী তিথিতে কেন পালিত হয় দশেরা উৎসব?

    Durga Puja: আজ দশেরায় মেতেছে দেশবাসী! জানেন দশমী তিথিতে কেন পালিত হয় দশেরা উৎসব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতে বাংলার ঘরের মেয়ে উমা বাপের বাড়ি থেকে স্বামী গৃহে রওনা দেন, মন আমাদের ভারাক্রান্ত হয়, ঠিক তখনই দেশের অন্যান্য প্রান্তে ধুমধাম করে পালিত হয় দশেরা উৎসব। দশটি মাথার বড় প্রতীকী অসুরকে অগ্নিসংযোগের দ্বারা জ্বালানোর নামই দশেরা। পোশাকি একটা নাম অবশ্য রয়েছে রামলীলা। দিল্লির রামলীলা ময়দান তো আমাদের অতি পরিচিত। দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও রামলীলা ময়দানে দশেরা উৎসব পালন করতে দেখা যায়। তিনিই তীর নিক্ষেপ করে দশ মাথার প্রতীকী অসুরকে অগ্নিসংযোগ দ্বারা দহন করেন। দশমাথার অসুর বললে নিশ্চিত ভাবে আমাদের আর বুঝতে অসুবিধা হয় না যে সেটি দশানন রাবণ। রাবণকে বধ করতেই আশ্বিন মাসে মা দুর্গার অকাল বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। বিল্ববৃক্ষ তলায় মা দুর্গার পুজো করেছিলেন, তারপরেই রাবণ বধ করেছিলেন দশমী তিথিতে। অন্য একটি বিশ্বাস মতে, ন’দিন ন’ রাত্রি ব্যাপী যুদ্ধের পর মহিষাসুরকে দশমী তিথিতে বধ করেন দেবী দুর্গা। মহিষাসুর এবং রাবণ দুই অসুর-ই অত্যাচার, অধর্ম,পাপ, অশুভ শক্তির প্রতীক। দশমী তিথি তাই পবিত্র, পুণ্য এক তিথি যেদিন আসুরিক শক্তির বিনাশ হয়েছিল। অশুভ শক্তি পরাস্ত হয়েছিল শুভ শক্তির কাছে। দেবতারা সেদিন পুষ্প বৃষ্টি করেছিল মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার উপর এবং রাবণ বধের জন্য ভগবান রামচন্দ্রের উপর।

    আরও পড়ুন: মন্ডপ হোক বা বাড়ি দশমীতে সিঁদুর খেলাই রীতি! জানেন এদিন কেন সিঁদুর খেলা হয়?

    অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী দশেরার সাথে পান্ডবরাও সম্পর্কিত। দশেরার দিন দেশের নানা প্রান্তে অস্ত্র পূজন দেখতে পাই আমরা। দশমী তিথির এই অস্ত্র পূজন পান্ডবদের সাথেই সম্পর্কিত বলে অনেকে মনে করেন। পৌরাণিক আখ্যানটি জেনে নেওয়া যাক। পাশাখেলায় পরাজিত হয়ে পাণ্ডবরা ১২ বছর বনবাস ও এক বছরের অজ্ঞাতবাসে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। বনবাসের পর অজ্ঞাতবাস শুরু করার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তাঁরা বিরাট রাজ্যে প্রবেশ করার আগে একটি শমীবৃক্ষের কোটরে তাঁদের সঙ্গে থাকা সমস্ত অস্ত্র লুকিয়ে রেখে যান। আবার ঠিক একবছর পরে এই বিজয়া দশমীর দিনটিতে ওই কোটর থেকে অস্ত্র বের করে নিজেদের আসল পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁরা। তাই তারপর থেকে দেশের সমস্ত  প্রান্তে দশমীর  দিনটিতে অস্ত্রের পুজো প্রচলিত আছে। এদিন অনেক জায়গায় পরস্পরকে শমীবৃক্ষের পাতা দিয়ে দুষ্টের উপর বিজয়ের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার চলও রয়েছে।

    আবার অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, রামের জন্মের বহু আগে থেকেই নাকি রঘু বংশে পালিত হয় দশেরা। রামের পূর্বপুরুষ রাজা রঘুর আমলের একটি ঘটনা এক্ষেত্রে প্রচলিত রয়েছে। রঘুর রাজ্যে ছিলেন দেবদত্ত নামে এক ঋষি, যাঁর পুত্র কৌৎস শিক্ষালাভ গিয়েছিলেন ঋষি বরতনুর কাছে। শিক্ষা শেষে ১৪টি বিষয়ে সুশিক্ষিত কৌৎস যখন গুরুকে জিজ্ঞেস করেন যে, গুরুদক্ষিণা হিসেবে কী চান তিনি, বরতনু তখন উত্তর দেন, তাঁর কিছুই চাই না, ছাত্রের সুশিক্ষাই তাঁর কাছে গুরুদক্ষিণার সমান! কিন্তু কৌৎস গুরুদক্ষিণা না দিয়ে যাবে না। বাধ্য হয়ে একটি অসম্ভব ইচ্ছে প্রকাশ করেন বরতনু। তিনি বলেন, ১৪টি বিষয়ে শিক্ষার দক্ষিণা হিসেবে তিনি ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চান। গুরুর ইচ্ছে পূর্ণ করতে কৌৎস যান অযোধ্যার রাজা রঘুর কাছে। কিন্তু সেদিনই ব্রাহ্মণদের দানে সব সোনা দিয়ে দেওয়ার কারণে রঘু কৌৎসর কাছে তিন দিন সময় চান। কৌৎস সেই কথা শুনে বিদায় নেওয়ার পর রঘু চলে যান দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে। ইন্দ্র সব শুনে ডেকে পাঠান ধনের দেবতা কুবেরকে। ইন্দ্রের কথামতো কুবের অযোধ্যা রাজ্যে সেদিন ধনবৃষ্টি শুরু করেন। শোনু এবং আপতি গাছের পাতাগুলি থেকে ঝরতে থাকে সোনার মোহর! সেই মোহর একত্রিত করে কৌৎসকে দেন রাজা রঘু। ছাত্রের কাছ থেকে শুধু ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চেয়েছিলেন বরতনু, বাকিটা তিনি ফিরিয়ে দেন কৌৎসকে। কৌৎস তা আবার ফিরিয়ে দেন রঘুকে। দানবীর রঘু তা বিলিয়ে দেন তাঁর প্রজাদের মধ্যে। সেই দিনটি ছিল বিজয়া দশমীর দিন। অর্থাৎ দেবী মাহাত্ম্য, রামায়ণ, মহাভারত সহ সমস্ত পৌরাণিক আখ্যানে পাওয়া যায় দশেরার মাহাত্ম্য, বাংলায় দশমীর মাহাত্ম্য।

  • Durga Puja: কুমারী পুজো কেন হয় জানেন? 

    Durga Puja: কুমারী পুজো কেন হয় জানেন? 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: দেখতে দেখতে পুজো নবমীতে চলে এলো। মাইকেল মধুসূদন দত্ত লিখছেন- “যেয়ো না রজনী আজি লয়ে, তারাদলে ” এ যেন প্রতিটি হিন্দু বাঙালির অন্তরের শব্দ ধ্বনি। নবমী নিশি গত হলেই যে বিসর্জন! মহানবমীর গুরুত্ব তাই অনেক খানি‌। উৎসবমুখর বাঙালির আনন্দের দিক থেকে তো বটেই আবার এই বিশেষ তিথিতে সম্পূর্ণ ভাবে মা দুর্গার পুজো সম্পন্ন হয়। পৌরাণিক মতে , অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে চন্ড ও মুন্ডকে বধ করেছিলেন মাতা চামুণ্ডা আবার অন্য একটি মতে, মহিষাসুরের বধ হয়েছিল সন্ধিক্ষণে। তাই সমস্ত দেবতারা মহর্ষি কাত্যায়ন এর আশ্রমে সমবেত হয়ে নবমী তিথিতে মাতৃ আরাধনা বা বন্দনা শুরু করেছিলেন।  এই দিন সকাল থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় অঞ্জলি দেওয়ার জন্য। এই দিনেই সম্পন্ন হয় হোম এবং কুমারী পুজো। এই পুজো নিয়ে বহু মানুষের মনের নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খায়।

    কুমারী পুজোকে ঘিরে আগ্রহের শেষ নেই। কেন করা হয় কুমারী পুজো? জানেন কি? সেই ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর বেলুড় মঠে মহা ধুমধাম করে এই পুজোর নিয়ম রয়েছে, শুরু করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এছাড়াও বহু বাড়ির পুজোয়, মন্দির কিংবা বারোয়ারী ক্লাবগুলিতে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। কুমারী পুজোর জন্য বেছে নেওয়া হয় ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী কন্যাদের। বয়স অনুযায়ী প্রত্যেক কুমারীর নাম আলাদা হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী কুমারী পূজায় কোন জাতি, ধর্ম বা বর্ণভেদ নেই। দেবীজ্ঞানে যে-কোন কুমারীই পূজনীয় ।

     এক্ষেত্রে এক থেকে ষোলো বছর বয়সী যে কোনো কুমারী মেয়ের পূজা করা যায়। বয়স অনুসারে কুমারীদের নাম গুলি হলো –
    এক বছরের কন্যা: সন্ধ্যা
    দুই বছরের কন্যা: সরস্বতী
    তিন বছরের কন্যা : ত্রিধামূর্তি
    চার বছরের কন্যা : কালীকা
    পাঁচ বছরের কন্যা : সুভগা
    ছয় বছরের কন্যা :উমা
    সাত বছরের কন্যা : মালিনী
    আট বছরের কন্যা : কুব্জিকা
    নয় বছরের কন্যা:কালসন্দর্ভা
    দশ বছরের কন্যা: অপরাজিতা
    এগারো বছরের কন্যা:রূদ্রাণী
    বারো বছরের কন্যা:ভৈরবী
    তেরো বছরের কন্যা:মহালক্ষ্মী
    চৌদ্দ বছরের কন্যা:পীঠনায়িকা
    পনেরো বছরের কন্যা:ক্ষেত্রজ্ঞা
    ষোলো বছরের কন্যা:অন্নদা বা অম্বিকা

     হিন্দু ধর্মে নারীদের প্রকৃতির সমান মানা হয়। কুমারী পুজোর মধ্য দিয়ে প্রকৃতিকে আরাধনা বা পুজো করা হয়। ভারতীয় সভ্যতায় প্রকৃতি পূজার রীতি প্রথম থেকেই রয়েছে। এদেশে মনে করা হয়  দেবতাদের বাস রয়েছে মানবের মধ্যেই এবং দেবত্বের বিকাশের দ্বারাই মানুষ দেবতা হয়।  তাই কুমারীদের দেবী রূপে আরাধনা করা হয়। ফুলের মালা, মুকুট, পায়ে আলতা, নতুন বস্ত্র, তিলক দিয়ে সাজানো হয় কুমারীদের।

    বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কুমারী পুজোর জন্য নির্বাচিত করা হয় ৫ থেকে ৭ বছর বয়সী কুমারীদের। বিভিন্ন পুরাণে এই পুজোর উল্লেখ রয়েছে। শাস্ত্র অনুযায়ী ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী যে বালিকারা ঋতুমতী হবে না, তাদের কুমারী রূপে পুজো করা যাবে।  শুধুমাত্র দুর্গাপুজো নয়, অন্নপূর্ণা পুজো, কালীপুজো এমনকি জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষেও বহু জায়গায় কুমারী পুজো আমরা দেখতে পাই।

    কুমারী পুজোর নেপথ্যে যে পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে সেটি জেনে নেওয়া যাক। একসময় কোলাসুর নামের এক অসুর রাজা স্বর্গ এবং মর্ত্য দখল করে নিয়েছিল। অত্যাচারী এই অসুরের কারনে মুনি ঋষিরা তপস্যা করতে পারতো না, দেবতারা স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত ছিল। যার কারণে দেবতাগণ অসহায় হয়ে শরণাপন্ন হন মা কালীর। দেবতাদের উদ্ধারে দেবী কুমারী রূপে কোলাসুরকে বধ করেছিলেন। তারপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পুজোর প্রচলন শুরু হয়। অন্য একটি পৌরাণিক কথা অনুযায়ী, বাণাসুর কে মাতা কালি, কুমারী রূপে বধ করেছিলেন । সেই থেকেই কুমারী পুজোর রীতি বলে শোনা যায়।  শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নিজের স্ত্রীকে কুমারী জ্ঞানে পুজো করেছিলেন বলেও জানা যায়।

  • Nobel Prize: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন ফ্রান্স, আমেরিকা, অস্ট্রিয়ার তিন বিজ্ঞানী

    Nobel Prize: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন ফ্রান্স, আমেরিকা, অস্ট্রিয়ার তিন বিজ্ঞানী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন তিন দেশের তিন বিজ্ঞনী— ফ্রান্সের অ্যালেন অ্যাসপেক্ট,আমেরিকার জন এফ ক্লজার এবং অস্ট্রিয়ার অ্যান্টন জিলিঙ্গার। মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে। এই তিন বিজ্ঞানীর পরীক্ষাগুলি কোয়ান্টাম তথ্যের উপর ভিত্তি করে নতুন প্রযুক্তির পথ তৈরি করেছে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স’ নিয়ে কাজের জন্য এই তিন বিজ্ঞানীকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। 

    ২০২১ সালেও পদার্থ বিজ্ঞানে  তিনজন বিজ্ঞানী, সিউকুরো মানেবে, ক্লাউস হাসেলম্যান এবং জর্জিও প্যারিসি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। প্রকৃতির জটিল শক্তি বোঝার জন্য কাজ করছিলেন তাঁরা। গতবারের মতো এবারও এই সম্মান পেলেন তিনজন। এবারের নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীর মধ্যে ক্লজার বরিষ্ঠতম। তাঁর বয়স ৮০।  জিলিঙ্গার এবং অ্যাসপেক্টের বয়স যথাক্রমে ৭৭ এবং ৭৫ বছর। এই তিনজনের মধ্যেই পুরস্কারের অর্থমূল্য এক কোটি সুইডিশ ক্রোনর ভাগ করে দেওয়া হবে। এঁদের মধ্যে অ্যাসপেক্ট বর্তমানে ইউনিভার্সিটি প্যারিস-স্যাকলে এবং প্যালেইসুর ইকোলে পলিটেকনিকের অধ্যাপক, জন এফ ক্লাজার তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আমেরিকার জে এফ ক্লাজার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের গবেষক হিসেবে কর্মরত এবং জিলিঙ্গার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    কোয়ান্টাম ফিজিক্স (Quantam Physics) বিশেষত ফোটন কণার উপর এই তিনজনের যুগান্তকারী আবিষ্কারের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি। পুরস্কারদাতাদের পক্ষে আরও জানানো হয়েছে, কোয়ান্টাম ফিজিক্সের যেটুকু প্রয়োগ ছিল, তিনজনের গবেষণা সেই ক্ষেত্রকে আরও বিস্তার করল। এবার কোয়ান্টাম কম্পিউটার, কোয়ান্টাম নেটওয়ার্ক ও সর্বোপরি কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন নিয়েও কাজ করা যাবে।  চলতি সপ্তাহে,  বুধবার রসায়নে নোবেল এবং বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে। নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে শুক্রবার এবং অর্থনীতি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে ১০ ইঅক্টোবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share