Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Amit Shah: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অমিত শাহ! জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক কর্মসূচী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    Amit Shah: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অমিত শাহ! জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক কর্মসূচী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে পুজো দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার সকালে কাটরার বৈষ্ণোদেবী দর্শনে যান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম মাতা বৈষ্ণোদেবীর দর্শনে গেলেন তিনি। এদিন মন্দিরে প্রার্থনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। করেন মাতার আরতিও। তাঁর সফর ঘিরে কাটরা ও রাজৌরিি বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিন সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।

    তিন দিনের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah in Jammu and Kashmir) ৷ সোমবার রাতে তিনি শ্রীনগরে পৌঁছান ৷ এখানে তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে ৷ অমিত শাহের সফরের জন্যই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে ৷ সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানান বিজেপির জম্মু ও কাশ্মীরের সভাপতি রবিন্দর রানা, বিজেপি নেতা কবিন্দর গুপ্ত ও অন্য সিনিয়র নেতারা ৷ বিমান বন্দর থেকে সোজা রাজভবনে চলে যান তিনি ৷ সেখানে জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন বলে খবর।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য সন্ত্রাসমুক্ত উপত্যকা, কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ অমিত শাহের

    আজও তাঁর রাজভবনে বৈঠক রয়েছে। উপত্যকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গর্ভনর মনোজ সিনহা, সেনা বাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী, রাজ্য পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এই দিনই শ্রীনগরের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তবে তার আগে বারামুল্লায় একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন  অমিত শাহ। রাজৌরির কাছেও তাঁর একটি সভা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • National emblem: নয়া সংসদ ভবনের উপরে স্থাপিত জাতীয় প্রতীক কোনও আইন লঙ্ঘন করেনি! জানুন কী বলল আদালত?

    National emblem: নয়া সংসদ ভবনের উপরে স্থাপিত জাতীয় প্রতীক কোনও আইন লঙ্ঘন করেনি! জানুন কী বলল আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল ভিস্তার জাতীয় প্রতীক সংশোধন করার আর্জি খারিজ করল শীর্ষ আদালত।  সেন্ট্রাল ভিস্তা ভবনের উপরে স্থাপিত জাতীয় প্রতীকের নয়া স্থাপত্যে যে সিংহগুলি রয়েছে, সেগুলি “হিংস্র এবং আগ্রাসী” বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী আলদানিশ রাইন এবং রমেশ কুমার মিশ্র। কিন্তু শুক্রবার এ প্রসঙ্গে অ্যাপেক্স কোর্টে বিচারপতি এমআর শাহ এবং কৃষ্ণ মূর্তির এক বেঞ্চ বলেছে, “ব্যক্তিবিশেষের মনের উপর নির্ভর করছে প্রতীকটি তাঁর মনে কী ছাপ ফেলবে। প্রতীকটি আইন লঙ্ঘন করেছে, তা বলা যাবে না।” 

    আরও পড়ুন: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা

    গত ১২ জুলাই নতুন অশোক স্তম্ভের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ব্রোঞ্জের তৈরি এই অশোক স্তম্ভ বসানো ঘিরেই শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা । উদ্বোধনের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলছেন বিরোধীরা ৷ বলা হয়েছিল, দেশের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের সিংহগুলি অনেক শান্ত। তবে নতুন সংসদ ভবনের উপর থাকা অশোক স্তম্ভের সিংহগুলি হিংস্র। এই আবহে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এদিন সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এই অভিমত ব্যক্ত করে আদালত।

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে ফাইভ জি পরিষেবার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, জেনে নিন এই বিষয়ে কিছু তথ্য

    প্রসঙ্গত, নতুন এই জাতীয় প্রতীক সম্পর্কে সব অভিযোগ আগেই উড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। বলা হয়েছিল, জাতীয় প্রতীক নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেই এই নয়া স্থাপত্যটি তৈরি করা হয়েছে। আয়তনে নয়া স্থাপত্যটি অনেক বড় বলেই, সিংহগুলিকে আগ্রাসী বলে মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছিল সরকার। সংসদ ভবনের মাথার উপর বসতে চলা নয়া অশোক স্তম্ভটি গড়েছেন সুনীল দেওয়া ও রোমিল মোসেস। তাঁদের দাবি, মূল স্তম্ভ থেকে কোথাও আলাদা নয় নয়া স্তম্ভের আকৃতি। এদিন সেই দাবিকেই মান্যতা দিল আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Durga Puja: এই রাজাই বাংলাতে প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন! জানেন তিনি কে?

    Durga Puja: এই রাজাই বাংলাতে প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন! জানেন তিনি কে?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: প্রতিবছর ধুমধাম করে সাড়ম্বরে পালিত হয় দুর্গাপুজো (Durga Puja)। শরৎ কালের শিউলি ফুলের গন্ধ বাতাসে বার্তা ভাসিয়ে দেয় মা আসছে। পুজো মানে নতুন পোশাক, পুজো মানে নাড়কেলের তৈরী নাড়ু, প্রতিমা দর্শন, অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি, খাওয়াদাওয়া, বন্ধুদের সাথে আড্ডা। বছরের বাকি ৩৬১টা দিন বাঙালিরা অপেক্ষা করে থাকে পুজোর চারটে দিনের জন্য। দেশ বিদেশের আপামর বাঙালির এই প্রধান উৎসব আজ স্থান পেয়েছে ইউনেস্কোর হেরিটেজ লিস্টে (Unesco)। তবে জানেন কি বাংলাতে এই দুর্গাপুজো কে শুরু করেছিলেন ?

    পুরাণ মতে, বলিপুরের  রাজা সুরথ বাংলাতে প্রথম দুর্গাপুজোর শুরু করেন। বলিপুর মানে বর্তমানে বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের কথাই বলা হয়েছে , পুরাণে। এই বলিপুর বা বোলপুর ছিল রাজা সুরথের রাজধানী‌‌। মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী, মর্ত্যলোকের এই  রাজা মর্ত্যবাসীদের মধ্যে দেবী মাহাত্ম্য তথা দেবীর লীলা  প্রচার করেছিলেন। তিনিই ছিলেন বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর প্রথম উদ্যোক্তা এবং প্রথম সংগঠক। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন পরিস্থিতিতে, কেন রাজা সুরথ দুর্গা পুজো শুরু করেন? এবং কোথায় শুরু করেন ? 

    দেবী মাহাত্ম্যে এবং মার্কন্ডেয় পুরাণে রাজা সুরথ কে চিত্রগুপ্ত বংশীয় রাজা অর্থাৎ চিত্রগুপ্তের বংশধর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি তাঁর রাজত্ব, সম্পত্তি সবকিছুই হারিয়েছিলেন। দাস দাসী, আত্মীয় স্বজন, তাঁর পোষ্য জন্তু জানোয়ারদের কাছেও তিনি মর্যাদা হারিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরা কেউ তাঁর কথা শুনতো না। অসহায় রাজা মনের দুঃখে রাজ্য ছাড়েন। যদুবংশীয় এই রাজা বৈরাগী হয়েছিলেন। রাজ্য ছাড়ার পর তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হয় এক বণিকের । ওই বণিকও ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, একেবারে দেউলিয়া ছিলেন তিনি। বণিকের নাম ছিল সমাধি বৈশ্য। তাঁর নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজনের প্রতারণার জন্যই তিনি দেউলিয়া হয়েছিলেন বলে পুরাণে জানা যায়। একদিকে এক ভাগ্যহীন রাজা অন্যদিকে এক ভাগ্যহীন বণিক। দুজনের সাক্ষাৎ যেন দৈব নির্ধারিত ছিল। তাঁদের সাথে যোগাযোগ হয় মেধস মুনির। এই মেধস মুনির আশ্রম অবশ্য প্রকৃত পক্ষে কোথায়, সেটা নিয়ে বিভিন্ন পন্ডিতের বিভিন্ন মত রয়েছে।

    আরও পড়ুন: মহা ষষ্ঠীতে পূজিতা হন দেবী কাত্যায়নী! জানেন ঋষি কাত্যায়ন কন্যার ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ হয়ে ওঠার কাহিনী?

    একটি মত অনুযায়ী, মেধস মুনির আশ্রম বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার করলডাঙা পাহাড়ে অবস্থিত। বাংলাদেশের হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান হলো এই পাহাড়ের উপর অবস্থিত মেধস মুনির আশ্রম । প্রতিবছর দুর্গাপুজো তে ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা থাকে এই আশ্রম। শিব মন্দির, চন্ডী মন্দির সমেত অনেক গুলি মন্দির রয়েছে এখানে। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা এই আশ্রম কে ভেঙে দেয়। পরবর্তীকালে এই আশ্রম পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশে হিন্দুদের অন্যতম বড়ো এই তীর্থস্থান থেকেই বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল বলে স্থানীয়দের বিশ্বাস। অপর একটি মত অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর শহরের কাছে গড় জঙ্গল নামক স্থানে ছিল মেধস মুনির আশ্রম‌। আশ্রমের অবস্থান নিয়ে পন্ডিতদের মধ্যে দ্বিমত আছে তবে এই মেধস মুনির আশ্রমেই যে দুর্গা পুজো প্রথম শুরু হয়েছিল এতে পন্ডিত থেকে ঐতিহাসিক সকলেই একমত।

    আরও পড়ুন: মহা পঞ্চমীর মাহাত্ম্য: জানুন তারকাসুর বধ ও স্কন্দমাতার আখ্যান

    রাজা সুরথ এবং বণিক সমাধি বৈশ্য দুজনে মেধস মুনির শরণাপন্ন হয়ে নিজেদের ভাগ্য বিপর্যয়ের কথা মুনিকে শোনাতে থাকেন। মেধস মুনি তাঁদের দেবী মাহাত্ম্য শোনান। মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব করে শোনান। মুনি পরামর্শ দেন, একমাত্র দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গার আরাধনা এবং পুজো করলেই তাঁদের ভাগ্য ফিরবে। মুনির পরামর্শ মতো রাজা সুরথ ও বণিক সমাধি বৈশ্য মাটির প্রতিমা নির্মাণ করে ওই আশ্রমেই দুর্গাপুজো করেন। কথিত আছে মাতৃ আরাধনার পর রাজা সুরথ তাঁর রাজত্ব পুনরায় ফেরত পেয়েছিলেন, পরিবার পরিজনের কাছে তাঁর মর্যাদা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অপরদিকে বণিক সমাধি বৈশ্যও একই ভাবে সৌভাগ্যের অধিকারী হয়ে, হারানো সমস্ত কিছু ফেরত পেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার মেধস মুনির আশ্রমে এই পুজো বসন্ত কালে সংঘটিত হয়েছিল। শরৎকালের দুর্গাপুজো শ্রী রামচন্দ্রের অকাল বোধনের কারণে হয়।

  • Durga Puja: মহা ষষ্ঠীতে পূজিতা হন দেবী কাত্যায়নী! জানেন ঋষি কাত্যায়ন কন্যার ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ হয়ে ওঠার কাহিনী? 

    Durga Puja: মহা ষষ্ঠীতে পূজিতা হন দেবী কাত্যায়নী! জানেন ঋষি কাত্যায়ন কন্যার ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ হয়ে ওঠার কাহিনী? 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: হিমালয়ের কোলে ঘন অরণ্য ঘেরা এক ঋষির আশ্রম। কাত্য গোত্র ধারী ঐ ঋষির নাম কাত্যায়ন। দীর্ঘদিন তিনি মাতা অম্বিকাকে নিজের কন্যা রূপে পাওয়ার জন্য তপস্যায় রত ছিলেন। পুরাণে কথিত আছে, দেবী তাঁর এই তপস্যায় প্রসন্ন হয়েছিলেন এবং তাঁকে এরূপ বর দিয়েছিলেন যে-  “যখন দেবতাদের প্রয়োজন হবে তখন তিনি তাঁর কন্যা রূপে অবতীর্ণ হবেন”। বামন পুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুরের কাছে স্বর্গ রাজ্য হারিয়ে বিতাড়িত দেবতারা শরণাপন্ন হয়েছিলেন ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের কাছে। মহর্ষি কাত্যায়ন এর আশ্রমে এই ত্রিদেবের তেজ থেকে উদ্ভব হয়  অষ্টাদশ ভূজা এক নারী মূর্তির, ইনিই মাতা কাত্যায়নী।  নবরাত্রির মহাষষ্ঠীর দিন আরাধিতা হন দেবী কাত্যায়নী। মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে সমস্ত দেবগণ নিজেদের অস্ত্র দ্বারা সাজাতে শুরু করলেন মাতা কাত্যায়ানীকে। শিব দিলেন তাঁর ত্রিশূল, ভগবান বিষ্ণু প্রদান করলেন তাঁর সুদর্শন চক্র,অগ্নি দিলেন শক্তি, বায়ু দিলেন ধনুক, সূর্য দিলেন তীরভরা তূণীর, ইন্দ্র দিলেন বজ্র, কুবের দিলেন গদা, ব্রহ্মা দিলেন অক্ষমালা ও কমণ্ডলু, কাল দিলেন খড়্গ ও ঢাল এবং বিশ্বকর্মা দিলেন কুঠার ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। এইভাবে সমস্ত দেবতা তাঁদের অস্ত্র তুলে দিলেন দেবীর হাতে মহিষাসুর বধের নিমিত্তে।

    পুরাণে কথিত আছে, এরপর দেবী গেলেন মহিষাসুরের সাথে যুদ্ধ করতে। মহিষাসুরের দুইজন চর দেবীকে দেখে ,মহিষাসুরের নিকটে গিয়ে তাঁর রূপ বর্ণনা করলেন। দেবীর রূপে মুগ্ধ  মহিষাসুর,দেবীকে লাভ করতে চাইলেন। মাতা কাত্যায়নী তখন শর্ত দিলেন যে, তাঁকে লাভ করার পূর্বে , যুদ্ধে পরাস্ত করতে হবে। শুরু হলো মহিষাসুরের সাথে মাতা কাত্যায়নীর এক প্রবল যুদ্ধ। মাতা কাত্যায়নী ছিলেন তাঁর বাহন সিংহের উপর সওয়ার, অন্যদিকে মহিষাসুর ছিলেন মহিষের রূপে। পুরাণে আরও উল্লেখ রয়েছে, যুদ্ধ চলাকালীন মাতা কাত্যায়নী পা দিয়ে তীব্র আঘাত করেন ওই ছদ্মবেশী মহিষকে। আঘাতে মহিষাসুর ধরাতলে পতিত হলে, মাতা কাত্যায়নী তাকে ত্রিশূল দ্বারা বধ করেন। এভাবেই মাতা কাত্যায়নী হয়ে ওঠেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। যে মহিষাসুরমর্দিনীকে কেন্দ্র করেই প্রতিবছর সম্পন্ন হয় দুর্গাপুজো। যে মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব প্রত্যহ মহালয়ার ভোরবেলায় বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে আমরা শুনতে পাই। পুরাণ অনুযায়ী , দেবতারা যুদ্ধ শেষে মাতার কাত্যায়নীর উদ্দেশ্যে পুষ্প বৃষ্টি করেন। রম্ভা পুত্র মহিষাসুরের অত্যাচারে যে দেবতারা স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন তাঁরাই আবার স্বর্গরাজ্যের অধিকার ফিরে পেলেন মাতা কাত্যায়নীর কৃপায়।

    আরও পড়ুন: মহা পঞ্চমীর মাহাত্ম্য: জানুন তারকাসুর বধ ও স্কন্দমাতার আখ্যান

    বামন পুরাণে উল্লেখিত এই আখ্যান বরাহ পুরাণ এবং দেবী ভাগবত পুরাণেও একইভাবে উল্লেখ করা আছে। অন্যদিকে কালিকা পুরাণ অনুযায়ী ,দেবী কাত্যায়নী তিনবার মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। আদি সৃষ্টি কল্পে অষ্টাদশভূজা উগ্রচণ্ডী রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। দ্বিতীয় সৃষ্টি কল্পে ষোড়শভুজা ভদ্রকালী রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। আবার তৃতীয় সৃষ্টি কল্পে দশভূজা দেবী দুর্গা রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। মহিষাসুর তৃতীয়বার বধ হওয়ার পর দেবীর আশীর্বাদে তিনি চিরতরে দেবীর পদতলে স্থান পান।

    বেদের অন্য একটি আখ্যান অনুযায়ী, কাত্যায়নী ও মৈত্রেয়ী ছিলেন শতপথ ব্রাহ্মণের রচয়িতা ঋষি যাজ্ঞবল্ক্যের দুই স্ত্রীর নাম। শাক্তরা মনে করেন, মাতা কাত্যায়নী যোদ্ধা দেবী ঠিক মাতা চন্ডী বা ভদ্রকালীর মতোই। মহর্ষি পতঞ্জলি রচিত ‘মহাভাষ্য’ গ্রন্থে মাতা কাত্যায়নীকে সৃষ্টির আদি শক্তিরূপে বর্ণনা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জানুন মাতা কুষ্মান্ডার কাহিনী, মহাচতুর্থীর দিন আরাধিতা হন দেবী

    দেবী কাত্যায়নীর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় তৈত্তিরীয় আরণ্যক গ্রন্থে। মার্কন্ডেয় রচিত ‘দেবী মাহাত্ম্যে’ মাতা কাত্যায়নীর দিব্য লীলার বর্ণনা রয়েছে, এর সাথে সাথে দেবী ভাগবত পুরাণেও মাতা কাত্যায়নীর লীলা বর্ণিত হয়েছে। আবার বৈষ্ণবদের ভাগবত পুরাণেও মাতা কাত্যায়নীর  পূজার উল্লেখ পাওয়া যায়। ভাগবত পুরাণে এটি কাত্যায়নী ব্রত নামেই পরিচিত। ব্রজের গোপীরা শ্রী কৃষ্ণকে পতি রুপে পেতে এই ব্রত উদযাপন করতো। মাঘ মাস জুড়ে এই ব্রত চলতো। যমুনা নদীর তীরে মাতা কাত্যায়নীর মাটির মূর্তি তৈরী করে দীপ, ফল, চন্দন, ধূপ দ্বারা মাতার আরাধনা করার পরম্পরা ছিল উত্তর ভারতে। আবার একই ভাবে মকর সংক্রান্তি তে, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল উৎসবে মাতা কাত্যায়নীর পুজো চালু রয়েছে।

    তন্ত্রে বর্ণিত ধ্যানমন্ত্রে মাতা কাত্যায়নীকে দশভূজা মহিষাসুরমর্দিনীর রূপেই বর্ণনা করা হয়েছে:
    সব্যপাদসরোজেনালঙ্কৃতোরুমৃগাধিপাম্।
    বামপাদাগ্রদলিতমহিষাসুরনির্ভরাম্।।
    সুপ্রসন্নাং সুবদনাং চারুনেত্রত্রয়ান্বিতাম্।
    হারনূপুরকেয়ূরজটামুকুটমণ্ডিতাম্।
    বিচিত্রপট্টবাসামর্ধচন্দ্রবিভূষিতাম্।।
    খড়্গখেটকবজ্রাণি ত্রিশূলং বিশিখং তথা।
    ধারয়ন্তীং ধনুঃ পাশং শঙ্খং ঘণ্টাং সরোরুহাম্।
    বাহুভির্ললিতৈর্দেবীং কোটিচন্দ্রসমপ্রভাম্।।

    মাতা কাত্যায়নীর এই স্বরূপ শৌর্য ,তেজ এবং পরাক্রমের প্রতীক বলেই বিবেচিত হয়। পুরাকালে মাতা কাত্যায়নী যেমন মহিষাসুরকে বধ করে আসুরিক শক্তি তথা অশুভ শক্তির বিনাশ করেছিলেন ঠিক একইভাবে ভক্তদের জীবন থেকে সমস্ত অশুভ শক্তিকে তিনি বিনষ্ট করেন এবং আসুরিক যা কিছু প্রবৃত্তি সেটাও তিনি ধ্বংস করেন বলেই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। মাতার এই রূপের উপাসনা করলে সমস্ত অশুভ প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করা যায়, জীবনের সমস্ত বাধা বিঘ্ন দূর হয়, রোগ, ভয়, ব্যাধি সমস্ত কিছু মাতা হরণ করে নেন বলেই ভক্তদের ধারণা। মাতা কাত্যায়নীর ভক্তরা নৈবেদ্যতে মায়ের উদ্দেশ্যে মধু নিবেদন করেন। এতে মা সন্তুষ্ট হন ‌।

  • Sunil Chhetri: সুনীল ছেত্রীকে নিয়ে তথ্যচিত্র ফিফার, ভারত অধিনায়ককে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Sunil Chhetri: সুনীল ছেত্রীকে নিয়ে তথ্যচিত্র ফিফার, ভারত অধিনায়ককে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ফুটবল দলের (Indian Football captain) অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর (Sunil Chetri) মুকুটে যোগ হল আরও একটি পালক। তাঁকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করল ফিফা (FIFA)। যা নিঃসন্দেহে বিরাট এক সম্মান। ফিফার তথ্যচিত্রে জায়গা করে নেওয়ার জন্য সুনীলকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।

    দীর্ঘ ফুটবল জীবনে বহু সাফল্য অর্জন করেছেন সুনীল ছেত্রী। পেয়েছেন বহু সম্নান ও পুরস্কারও। আন্তর্জাতিক আঙিনায় একের পর এক রেকর্ড যোগ হয়েছে তাঁর নামের পাশে। কিন্তু তা যেন বিশ্ববাসীর কাছে অজানাই থেকে গিয়েছে। আসলে ভারতীয় ফুটবল নিয়ে কখনওই তেমন আগ্রহ ছিল না বিশ্বফুটবলের প্রথম সারির দেশগুলির। ফলে সুনীলকেও অনেকেই চেনে না। তাই এগিয়ে এল ফিফা। সুনীলকে নিয়ে তৈরি হয়েছে তিন পর্বের তথ্যচিত্র। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্যাপ্টেন ফ্যানটাস্টিক’। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুনীলের তথ্যচিত্র প্রকাশের খবর জানানোর সময় ফিফা লিখেছে, ‘সবাই রোনাল্ডো, মেসির ব্যাপারে অনেক কিছু জানেন। পুরুষদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে তৃতীয় সর্বাধিক গোলদাতার কাহিনী জানতে পারবেন। সুনীল ছেত্রী, ক্যাপ্টেন ফ্যানটাস্টিক এখন দেখতে পাবেন ফিফা প্লাসে।

    আন্তর্জাতিক ফুটবলে সুনীল গোল করেছেন ৮৪টি। রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। আর তাঁর সামনে শুধু রোনাল্ডো (১১৭) ও মেসি (৯০)। সুনীলকে ফিফার এই সম্মান ভারতীয় ফুটবলকে দারুণভাবে গর্বিত করেছে। শুভেচ্ছা বন্যায় ভেসে বেড়াচ্ছেন ভারত অধিনায়ক। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন, ‘অনবদ্য সুনীল ছেত্রী। তোমার এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আরও জনপ্রিয় করতে সাহায্য করবে।’

  • Jasprit Bumrah: বুমরাহকে নিয়ে আশার আলো দেখালেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

    Jasprit Bumrah: বুমরাহকে নিয়ে আশার আলো দেখালেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সত্যি কি চোট পেয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ (T-20 World Cup) থেকে ছিটকে গিয়েছেন যশপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah), নাকি তিনি সুস্থ হয়ে আইসিসি’র (ICC) মেগা ইভেন্টে মাঠে নামবেন? এই প্রশ্নটাই এখন উঁকি দিচ্ছে ভারতীয় সমর্থকদের মনে। কারণ, কয়েকদিন আগে বিসিসিআইয়ের (BCCI) এক কর্তা দাবি করেছিলেন, পিঠের পুরনো চোট মাথা চাড়া দেওয়ায় ছ’মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে বুমরাহকে। যার অর্থ আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে তাঁর খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মুখ খুললেন বুমরাহকে নিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘বুমরাহ এখনও টি-২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রয়েছে। এখনও ছিটকে যায়নি। পিঠের চোট ওকে ভোগাচ্ছে। দলের চিকিৎসকরা নজর রেখেছে বুমরাহর উপর। বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও কিছুটা সময় বাকি। তাই আমরা এখনই ওকে নিয়ে হাল ছাড়ছি না।’

    আরও পড়ুন: টি২০ বিশ্বকাপ খেলছেন না বুমরাহ, ‘খলনায়ক’ স্ট্রেস ফ্র্যাকচার

    বুমরাহর চোট নতুন নয়। গত চার বছর ধরে এই সমস্যায় ভুগছেন তিনি। দীর্ঘদিন দলের বাইরেও তাঁকে থাকতে হয়। সম্প্রতি ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধ টি-২০ সিরিজের শেষ দু’টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচের আগে আচমকা তাঁর চোট-সমস্যা সামনে আসে। পরে জানা যায়, শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা সিরজ নয়, বুমরাহকে নাকি টি-২০ বিশ্বকাপেও পাবে না ভারতীয় দল। আর সেই বক্তব্য এক বিসিসিআই কর্তার হওয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। কারণ, অস্ট্রলিয়ার মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় পেস আক্রমণের রিমোট থাকার কথা বুমরাহর হাতেই। কিন্তু তিনি না খেলতে পারলে সেই দায়িত্ব কে সামলাবেন?

    আরও পড়ুন: ১৪ বছর পর ভারত বনাম পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ! ইসিবি-র প্রস্তাবে কী জানাল বিসিসিআই?

    একেবারেই ফর্মে নেই ভুবনেশ্বর কুমার, আর এক সিনিয়র পেসার মহম্মদ সামিকে নিয়েও টিম ম্যানেজমেন্ট দোটানায়। সেখানে অর্শদীপ সিং, হার্শল প্যাটেল, দীপক চাহারদের মতো অনভিজ্ঞ পেসারদের কাঁধে চড়ে বিশ্বকাপ বৈতরণী পার করা সহজ হবে না ভারতের। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে সৌরভের বক্তব্যে ভারতীয় সমর্থকরা আঁধারে আলো খোঁজার চেষ্টা করছেন। বিসিসিআই সভাপতি বলেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত বুমরাহ অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবে কিনা সেটা হয়তো তিন-চার দিনেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মাস্টারমাইন্ড পার্থই, কী বলছে সিবিআই চার্জশিট?

    Partha Chatterjee: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মাস্টারমাইন্ড পার্থই, কী বলছে সিবিআই চার্জশিট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) তদন্ত এগোচ্ছে দ্রুত গতিতে। ৫১ দিনের মধ্যেই আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। চার্জশিটে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ ১৬ জনের নাম রয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সমরজিৎ আচার্য, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার, অশোক কুমার সাহা, অ্যাডহক কমিটির সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
    এই মামলায় আগেই আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। যেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতির মূল পাণ্ডা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সিবিআইয়ের চার্জশিটেও স্পষ্ট, এই কেলেঙ্কারির মূল হোতা পার্থই।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে এমনই সব তথ্য, যা রোমহর্ষক গল্পকেও হার মানাবে। সুচারুভাবে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতির জাল বিছানো হয়েছিল। সেই ফাঁদে পা দিয়ে অনেক ছাত্র-ছাত্রী সর্বসান্ত হয়েছেন। যাঁরা অর্থের বিনিময়ে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা আরও বিপাকে। সিবিআইয়ের দাবি, কোন কাজ কে কীভাবে করবে, কীভাবে একজন বৈধ চাকরিপ্রার্থীর জায়গায় বেআইনিভাবে অন্যজনকে অর্থের বিনিময়ে মেরিট লিস্টে জায়গা করে দেওয়া হবে, কীভাবে বদলে ফেলা হবে প্রাপ্ত নম্বর, কীভাবে এজেন্টের মাধ্যমে টাকা তোলা হবে, সব কিছুই নাকি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মস্তষ্কপ্রসূত। আর এই দুর্নীতির সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে পড়েছিল এসএসসির উপদেষ্টা কমিটিও।

    আরও পড়ুন: বোনকে চাকরি, স্ত্রীর নামের শেয়ারও অর্পিতাকে দেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২৩ জুলাই নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ইডি (ED)। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তারপর একে একে গ্রেফতার হন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়রা। আপাতত প্রত্যেকেই জেলে রয়েছেন। বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। কিন্তু আদালত সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থ-অর্পিতাদের জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই ইডি জানিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্ক ১৫০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohan Bhagwat: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    Mohan Bhagwat: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরার অনুষ্ঠানে নাগপুরে আরও একবার ‘অখণ্ড ভারত’ ও ‘হিন্দুরাষ্ট্রের’ কথা শোনা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের  (Rashtriya Swayamsevak Sangh) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)।   গলায়। বুধবারের অনুষ্ঠানে সংঘ প্রধান বলেন, “হিন্দু রাষ্ট্রের কথা সর্বত্র আলোচনা করা হয়। অনেকে এর সঙ্গে সহমত। অনেকে আবার এর বিরোধিতা করেন। হিন্দু শব্দটি নিয়েও অনেকের আপত্তি রয়েছে। কেউ যদি হিন্দু শব্দের পরিবর্তে সমার্থক অন্য শব্দ ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে ধারণার স্বচ্ছতার জন্য আমরা আগেও যেমন হিন্দু শব্দের ওপর জোর দিয়েছি, এখনও হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব।”

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়েও এদিন সরব হন মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িক হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ স্বাধীন ভারতেও পুরোদমে চলছে। এই সমস্ত মানুষরা নিজেদের স্বার্থের জন্য আমাদের কাছে আসে। এদের বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। সংঘ কোনওদিন অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়াতে বলে না।” এদিন সংঘ প্রধান সমাজে ঐক্যের কথাও তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে সবাইকে জেগে উঠতে হবে। তিনি দাবি করেন, শিশুদের শুধু চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, বরং ভালো সংষ্কার এবং উন্নত মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। তিনি বলেন,”সাধারণ মানুষের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, ভালো কেরিয়ারের জন্য ইংরেজি জানা প্রয়োজন। তবে এটা একটা মিথের বাইরে কিছু নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    এদিন বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের অবস্থান নিয়েও কথা বলেন ভাগবত। শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট, ইউক্রেন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ টেনে আনেন সংঘ প্রধান। তিনি বলেন,”বিশ্বে আমাদের মর্যাদা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়েছে। আমরা শ্রীলঙ্কাকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছি। ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাতে ভারতের মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে শোনা হচ্ছে।” মোহন ভাগবত বলেছেন, করোনায় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়েছে। কিন্তু ভারত সেই প্রভাব বর্তমানে কাটিয়ে উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন অর্থনীতিবিদরা ভবিষ্যদ্বানী করেছেন, ভারতের অর্থনীতির আরও উন্নতি হবে। ভারত বর্তমানে ব্রিটেনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে ভারতের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। খেলোয়াড়রা দেশকে গর্বিত করেছে।

  • Durga Puja: নবরাত্রির পরেই যুদ্ধে যেতেন রাজারা, কেন জানেন?

    Durga Puja: নবরাত্রির পরেই যুদ্ধে যেতেন রাজারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার একটা গোটা বছরের অপেক্ষা। সকাল সকাল তাই একটা ক্ষণও বৃথা যেতে দিইনা আমরা। স্নান সেরে এক্কেবারে মন্ডপে, বাড়ির পুজো হলে তো আবেগ আর একটু বেশী থাকে। সিঁদুর খেলা, মন্ত্রপাঠ , ঘট বিসর্জনের সাথেই আর একটি রীতি নিশ্চয়ই আমাদের দৃষ্টি এড়ায় না। ছোট্ট অনুষ্ঠানটি হলো অপরাজিতা গাছের পুজো। পুজো শেষে অপরাজিতা লতা হাতে জড়িয়ে নিই আমরা। জানেন কি বিজয়া দশমীতে এই অপরাজিতা গাছের পুজো কেন হয়? কেনই বা অপরাজিতা লতা আমরা ধাগা হিসেবে বাঁধি নিজেদের হাতে।  বিজয়লাভের সঙ্কল্প বা প্রতিজ্ঞা নিয়ে হয় অপরাজিতা পুজো। জনশ্রুতি হলো ,আগেকার দিনে নবরাত্রির পরই রাজারা যুদ্ধযাত্রা করতেন। দিনটা হত বিজয়া দশমী। যুদ্ধের জন্য এই সময়টাকেই বেছে নিতেন রাজারা। তার অবশ্য কিছু কারণ ছিল। আচার্য চাণক্য বা কৌটিল্য  তাঁর ‘অর্থশাস্ত্র’তে লিখেছেন এই সময়টাই যুদ্ধযাত্রার শ্রেষ্ঠ সময়। পণ্ডিত রঘুনন্দন তাঁর ‘তিথিতত্ত্ব’ গ্রন্থেও একই কথা বলেছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজা যদি দশমী তিথির  পর যুদ্ধ যাত্রার  সূচনা করেন, তাহলে তার পরাজয় কখনো হয় না। তাই যুদ্ধে অপরাজেয় থাকতে এদিন যাত্রা করতেন রাজারা।  বিজয়কে বরণ বা আলিঙ্গনের প্রত্যাশা নিয়েই করা হত অপরাজিতা পুজো। যে ধারা আজও প্রবহমান।

    সাদা অপরাজিতা গাছকে বিজয়া দশমীর পুণ্য তিথিতে পুজো করা হয়। গাছটিকে দেবীরূপে কল্পনা হয় , ঠিক যেমনটা মহাসপ্তমীতে নবপত্রিকাকে স্নান করানোর সময় কল্পনা করা হয়ে থাকে। নবপত্রিকা যেমন নব দুর্গার প্রতীক, মা দুর্গার বৃক্ষরূপ ভেবে পুজো করা হয় একই ভাবে অপরাজিতা গাছ কে দেবীর বিজয়ের প্রতীক মেনে পুজো করা হয়। অশুভ শক্তির উপর শুভ শক্তির জয়ের প্রতীক, আসুরিক সমস্ত শক্তিকে বিনাশের প্রতীক।  ফুল, বেলপাতা দিয়ে পুজো হয় অপরাজিতা গাছের। অনেকে আবার ঘটস্থাপন করেও পুজো করেন। পুজোর ফল লাভের জন্য হাতে অপরাজিতা লতা বাঁধার রীতির কথা তো আগেই বলা হয়েছে। পুজোর সময় দেবীর উদ্দেশ্যে প্রার্থনা জানানো হয়, ‘‘হে অপরাজিতা দেবী, তুমি সর্বদা আমার বিজয় যাত্রা কে অক্ষুণ্ন রাখো। শত্রু পক্ষকে  বিনাশ করার মতো পর্যাপ্ত শক্তি ও ক্ষমতা আমাকে প্রদান করো। অশুভ সমস্ত শক্তি যেন পরাভূত হয় আমার কাছে। আমাকে তুমি অপ্রতিরোধ্য করে তোলো। আমার সমস্ত আত্মীয়, পরিবার, পরিজন , মিত্রদের  মঙ্গল করো । শত্রু পক্ষকে ধ্বংস করে বিজয় লাভের জন্য আমি তোমাকে দক্ষিণ হাতে  ধারণ করছি। তুমি শত্রু নাশ করে নানা সমৃদ্ধির সাথে আমাকে বিজয় দান কর। আমার জীবন যেন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, সমৃদ্ধি তে পরিপূর্ণ হয়। রামচন্দ্র যেমন অত্যাচারী  রাবণের উপর বিজয় লাভ করেছিলেন, আমিও যেন সেইরূপ জয় লাভ করতে পারি”। এমনিতেই দশমী তিথির মাহাত্ম্য অনেক বেশী। এই তিথিতেই রাবণ বধ, আবার এই তিথিতেই মহিষাসুর বধ, মহাভারতে এই তিথিতেই পান্ডবরা অজ্ঞাত বাস শেষে শমী বৃক্ষের কোটর থেকে তাঁদের লুকিয়ে রেখে যাওয়া অস্ত্র বের করেন। দশমীতে অস্ত্রপূজনও হয় তাই। আবার এই তিথিতেই কুবের অযোধ্যায় স্বর্ণবৃষ্টি করেছিলেন বলেই পৌরাণিক মত রয়েছে। বিজয়, সমৃদ্ধির এই পুণ্য তিথিতে মাতৃ আরাধনা করেই যুদ্ধ যাত্রার রীতি ছিল প্রাচীন ভারতীয় রাজাদের মধ্যে।

  • Durga Puja: দশমীতে কৈলাসে গিয়ে উমা আসার বার্তা দেয় কে? জানুন নীলকন্ঠ পাখির গল্প

    Durga Puja: দশমীতে কৈলাসে গিয়ে উমা আসার বার্তা দেয় কে? জানুন নীলকন্ঠ পাখির গল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যখন মোবাইল ফোন ছিল না, হোয়াটসঅ্যাপ ছিল না, ডাকঘরের পিওন ছিল না তখন বার্তা পাঠানোর উপায় কি ছিল জানেন? রূপকথার গল্পে রাজকুমারী তার প্রেমিককে চিঠি লিখলে পৌঁছে দিত কে? বার্তাবাহক পাখির ভূমিকায় সবথেকে জনপ্রিয় পাখির নাম পায়রা। প্রাচীন যুগের পটভূমিকায় রচিত চলচ্চিত্রগুলিতে আমরা দেখেছি পায়রার গলায় বার্তা বেঁধে তাকে উড়িয়ে দেওয়া হতো এবং নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে সেই বার্তা পায়রা পৌঁছে দিত। কোথাও হ্যাক হতো না সেই বার্তা। এরকমই একটি পাখির কাহিনী প্রচলিত আছে জানেন কি? যে পাখিকে পৌরাণিক মতে স্বয়ং মহাদেবের সঙ্গী মনে করা হয়। মহাদেবের বার্তাবাহক রূপে কাজ করে এই পাখি। আজকের দিনে বলতে পারেন নীলকন্ঠ পাখি হলো দেবাদিদেব মহাদেবের মোবাইল ফোন। এই পাখিই কৈলাসে গিয়ে শিবকে খবর দেয় বাপের বাড়ি থেকে উমা আসছে। বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম ইন্ডিয়ান রোলার।

    আরও পড়ুন: জানেন বিজয়া দশমী কেন বলা হয়?

    বিজয়া দশমীর দিন নীলকন্ঠ পাখির দেখা পাওয়াকে শুভ এবং সৌভাগ্যদায়ী  বলে মনে করা হয়। কথিত আছে এই পাখিটি দেখা গেলে সম্পদ বৃদ্ধি পায় , জীবনের সমস্ত অশুভ প্রভাব বিনষ্ট হয়। ফলস্বরূপ, বাড়িতে নিত্য শুভ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতে থাকে। নীল কন্ঠ পাখি দেখার বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। নীল কন্ঠ পাখি উড়ে যাও, সেই কৈলাসে যাও, খবর দাও, উমা আসছে তখন নীলকন্ঠ পাখি আগমনের বার্তা নিয়ে মহাদেবের কাছে এসেছিল। আরেকটি জনপ্রিয় বিশ্বাস হলো, মনে করা হয়, রাবণবধের ঠিক আগে এই পাখিটির দেখা পান রামচন্দ্র। আবার অন্য একটি পৌরাণিক মতে  রাবণবধের আগেও, সেতুবন্ধনের সময় হাজির হয়েছিল নীলকণ্ঠ পাখি। পথ দেখিয়ে রাম-সেনাকে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল সে। এরকম পৌরাণিক কাহিনি থেকেই এই পাখির মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত জায়গায়। তখন থেকেই মনে করা হয়, এই পাখির দর্শন অত্যন্ত শুভ।

    আরও একটি মত রয়েছে এবিষয়ে। লঙ্কা বিজয়ে রাম ব্রাহ্মণ হত্যার পাপ করেছিলেন। কারণ দশানন রাবণ ছিলেন ব্রাহ্মণ। তখন লক্ষ্মণ সহ রামচন্দ্র শিবের পুজো করেছিলেন এবং ব্রাহ্মণকে বধ করার পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই সময় শিব নীলকন্ঠ পাখির রূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন বলে অনেকের বিশ্বাস রয়েছে। নীলকণ্ঠ অর্থ, যার গলা নীল। দেবাদিদেব মহাদেব সমুদ্র মন্থন করার সময় বিষ পান করেছিলেন। কণ্ঠে সেই বিষকে ধারণ করার ফলে মহাদেবের কণ্ঠ নীল হয়ে যায়। তাই শিবের আর একটি নাম হলো নীলকণ্ঠ। নীলকণ্ঠ পাখিকে মর্ত্যলোকে শিবের প্রতিনিধি মানা হয় এবং দেবাদিদেব মহাদেবের রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জনশ্রুতি অনুসারে, শিব পৃথিবীতে নীলকণ্ঠ পাখি রূপেই ঘোরাফেরা করেন। এই পাখিটিকে কৃষকদের মিত্রও বলা হয়। কারণ নীলকণ্ঠ পাখি জমিতে ফসলের সাথে জড়িত পোকামাকড় খেয়ে কৃষকদের উপকার করে থাকে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, একসময় দুর্গাপুজোর পর এই পাখিকে উড়িয়ে দেওয়া বনেদী ও জমিদার পরিবারগুলির ঐতিহ্য ছিল। যেমন কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়িতে আগে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হতো বিজয়া দশমীর দিনে। এখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের দ্বারা এটা সম্ভব হয় না। তবে কাঠের বা মাটির নীলকন্ঠ পাখি তৈরী করে সেটি প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে জলে দেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share