Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Congress President Poll: দল নয় রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীত্বই পছন্দ গেহলটের! ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড, কংগ্রেস সভাপতি পদে কে?

    Congress President Poll: দল নয় রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীত্বই পছন্দ গেহলটের! ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড, কংগ্রেস সভাপতি পদে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সভাপতি নির্বাচন থেকে সরতে চলেছেন অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। রাজস্থানের (Rajasthan) মুখ্যমন্ত্রীর উপর ক্ষুব্ধ কংগ্রেস হাইকমান্ড (congress highcomand)। দলের সভাপতি হয়ে ঐক্যবদ্ধ কংগ্রেস গঠন করাই ছিল গেলটের প্রাথমিক দায়িত্ব। কিন্তু দ্বায়িত্ব পালন তো দূর উল্টে তাঁরই নেতৃত্বে মরুরাজ্যে বিদ্রোহ দানা বেঁধেছে কংগ্রেসের (Congress crisis)মধ্যে। স্বভাবতই খুশি নন সনিয়ারাহুলরা। রাজস্থানের অবস্থা নিয়ে দলীয় পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও অজয় মাকেনের কাছে লিখিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সনিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটও। 

    আরও পড়ুন: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    কংগ্রেস নেতৃত্বের আশা ছিল, অশোক গেহলটকে দলের সভাপতি করে এক ঢিলে দুই পাখি মারার৷ কারণ গেহলট সভাপতি হলে সচিন পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দীর্ঘদিনের টানাপড়েনে ইতি টানা যেত। কিন্তু গেহলট সেই ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই গেহলটের অনুগামী বিধায়করা জানিয়ে দিয়েছেন, অশোক কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেও কোনওভাবেই তাঁরা সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মানবেন না। এমনকী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতেও অস্বীকার করেন তাঁরা। রাজস্থানের পরিস্থিতির জন্য গেহলট ‘ক্ষমা’চাইলেও ক্ষুব্ধ নেতৃত্ব। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে,গেহলটের যুক্তি কোনওভাবে মানতে রাজি নন হাইকমান্ড। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনওভাবেই এমনটা হতে পারে না, বলে অনুমান শীর্ষ নেতাদের।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    গান্ধী পরিবারের অনুগামীদের কথায়, এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিয়েছে দলের শীর্ষ পদে গান্ধী পরিবারের কেউ না বসলে দলের পরিণতি কী হবে৷ এই পরিস্থিতিতে ফের রাহুল গান্ধীর নাম সভাপতির পদে ভেসে উঠেছে৷ কারণ রাহুলকে নিয়ে দলের মধ্যে বিরোধিতার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ উঠছে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর নামও। অন্যদিকে সভাপতি নির্বাচনের অন্য আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী কমলনাথ সোমবারই দিল্লি পৌঁছে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথাও হাওয়ায় ভাসছে। তবে সভাপতি নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা অস্বীকার করে কমলনাথ জানিয়েছেন,“কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াইয়ের জন্য আমার কোনও আগ্রহ নেই। নবরাত্রির শুভেচ্ছা জানাতেই আমি এখানে এসেছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Malviya: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    Amit Malviya: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ককংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Congress President Polls) আসলে একটা প্রহসন। অভিমত বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্যর (Amit Malviya)। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত এ নিয়ে কড়া ভাষায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ‘রাজস্থানের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, মনোনয়ন দেওয়ার আগেই কংগ্রেস সভাপতি হয়ে গিয়েছেন অশোক গেহলট। না হলে তাড়াহুড়ো করে রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করার কী প্রয়োজন? আসলে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন মূলত লোক দেখানো। অশোক গেহলটকেই যে কংগ্রেস সভাপতি করা হবে, সেটা আগে থেকেই ঠিক হয়ে গিয়েছে। তাই এই নির্বাচনের কোনও মূল্য নেই। কেউ হয়তো শশী থারুরের কথা। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে কংগ্রেসের নতুন ‘রাজা’ গেহলেট, থারুরকে অহেতুক বলির পাঁঠা বানানো হল।’

    প্রসঙ্গত, ১৭ অক্টোবর হতে চলেছে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ও শশী থারুরের (Shashi Tharoor) সঙ্গে। এই দু জনের মধ্যে যিনিই জয়ী হোন না কেন, দীর্ঘ দিন পরে তা হবে ইতিহাস। কারণ গান্ধী পরিবার বাইরের কারও হাতে যেতে চলেছে কংগ্রেস সভাপতির রাশ।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে ৮২ জন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা! আজ কি সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক অশোক, সচিনের?

    ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। তাঁর লড়াইটা হতে চলেছে মূলত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যিনি গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই পরিচিত। যদিও গেহলট এখনও মনোনয়ন জমা দেননি। তার আগেই রাজস্থান রাজনীতিতে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ প্রকাশ্যে চলে এল। অনেকে ধরে নিচ্ছেন, অশোক গেহলটই হবেন কংগ্রেসের নতুন সভাপতি। আর সেই কারণেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেবেন। রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে গেহলট বনাম পাইলট শিবিরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এই প্রসঙ্গ টেনেই বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য কড়া ভাষায় কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Subiresh Bhattacharya: ১০ দিনের জেল হেফাজত সুবীরেশের! তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ সিবিআইয়ের

    Subiresh Bhattacharya: ১০ দিনের জেল হেফাজত সুবীরেশের! তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতদিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের মেয়াদ শেষ। সোমবার ফের আলিপুর কোর্টে (Alipur Court) তোলা হয় প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya)। এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের হেফাজতে চায় সিবিআই। কিন্তু উপাচার্যের আইনজীবীরা বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর তাঁদের মক্কেলকে গ্রেফতার করার পর থেকে আজ পর্যন্ত একবারের জন্যও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই আধিকারিকেরা জানান, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সুবীরেশ। পাল্টা সুবীরেশের আইনজীবীরা বলেন, যাঁকে জিজ্ঞাসবাদই করা হল না, তাঁর ক্ষেত্রে সহযোগিতা, অসহযোগিতার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? সমস্ত সওয়াল-জবাব শুনে সুবীরশকে ১০ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের বিচারক। 

    আরও পড়ুন: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তিপ্রসাদ সিনহা। সুবীরেশের সময়েই প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী ২০১৬ সালে চাকরি পান। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের রায়ে অঙ্কিতা চাকরি খুইয়েছেন। শুধু তাই নয়, সুবীরেশের আমলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি চরম আকার নিয়েছিল বলে ধারণা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তাঁর সময়কালেই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সিবিআই সেই নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি তদন্ত করছে। সুবীরেশকে তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চায় সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ, পজিটিভিটি রেট বেড়ে ৫.৩১%

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) অভিযোগে দলের প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ভিতরেই ৷ প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, একের পর এক নেতাদের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাওয়ায় হতাশ দলের নিচুতলার কর্মীরাও৷ তাদের বক্তব্য, এই ঘটনা বাংলার ঐতিহ্যকেই কলুষিত করছে ৷ সরব হয়েছেন দলের প্রথম সারির এক নেতাও ৷ ওই নেতার প্রশ্ন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডাব্লিউবিএসএসসি-এর চেয়ারম্যান এবং শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন কীভাবে ! কোনও ব্যক্তির প্রতি সুবীরেশের একান্ত আনুগত্যই তাঁকে এই তিনটি পদে একসঙ্গে আসীন রেখেছিল ৷ এই ঘটনা জনসমক্ষে যে সরকার এবং দলের মুখ পুড়িয়েছে, তাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন ওই নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Virat Kohli: সামনে এবার শুধুই ক্রিকেটের ঈশ্বর! সচিনকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করতে পারবেন বিরাট?

    Virat Kohli: সামনে এবার শুধুই ক্রিকেটের ঈশ্বর! সচিনকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করতে পারবেন বিরাট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত মিলেছিল এশিয়া কাপের (Asia Cup) মঞ্চে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সমালোচকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি টি-২০ ম্যাচে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স মেলে ধরতে না পারায় ফের তিনি সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলেন। কিন্তু চাপের মুখে জ্বলে ওঠাই নেশা কোহলির। হায়দরাবাদে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে ভারতের জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি বিরাট। ৪৮ বলে করলেন অনবদ্য ৬৩। সূর্যকুমার যাদরে সঙ্গে জুটিতে যোগ করেন ১০৪ রান। যার সুবাদে ১৮৬ রান করতে নেমে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয় ভারত। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিততে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় ঝুলনের

    বিরাট শুধু হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তাই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (International Cricket) সবচেয়ে বেশি রান করার তালিকায় ভারতীয় হিসেবে তিনি উঠে এলেন দ্বিতীয় স্থানে। পিছনে ফেললেন ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে (Rahul Dravid)। কোহলির সামনে এখন শুধু মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। এখন দ্রাবিড়ের থেকে ১৪ রান বেশি বিরাট কোহলির। ৪৭১টি ম্যাচে ২৪০৭৮ রান করে ফেলেছেন কোহলি। গড় ৫৩.৬২। হাঁকিয়েছেন ৭১টি শতরানও। অন্যদিকে ৫০৪টি ম্যাচ খেলে রাহুল দ্রাবিড়ের ঝুলিতে ২৪০৬৪ রান। তাঁর ব্যাটিং গড় ৪৫.৫৭। আন্তর্জাতিক ক্রকেটে ৪৮টি শতরান রয়েছে দ্রাবিড়ের। তালিকায় সচিন তেন্ডুলকর অনেকটাই এগিয়ে। ৬৬৪টি ম্যাচে মাস্টার ব্লাস্টার করেছেন ৩৪৩৫৭ রান। ১০০টি শতরানের মালিক তিনি। ব্যাটিং গড় ৪৮.৫২। তালিকায় চতুর্থ স্থানে বিসিসিআই সভাপতি তথা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। ৪২১টি ম্যাচে ৪১.৪২ গড়ে ১৮৪৩৩ রান করেছেন। ৩৮টি শতরানও রয়েছেন সৌরভের। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি (Dhoni) রয়েছেন পঞ্চম স্থানে। ৫৩৫টি ম্যাচ খেলে মাহির সংগ্রহ ১৭০৯২ রান। ব্যাটিং গড় ৪৪.৭৪। ১৫টি শতরানও তাঁর নামের পাশে লেখা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি-মার্চেই দেশের মাটিতে মহিলাদের আইপিএল! ইঙ্গিত বিসিসিআই সভাপতির

    এখন প্রশ্ন হল, বিরাট কোহলি কি পারবেন সচিন তেন্ডুলকরকে টপকে শীর্ষ স্থান দখল করতে? কথায় বলে, রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্যই। তবে এটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট যে, সচিনকে টপকাতে হলে কোহলিকে আগামী কয়েক বছর জীবনের সেরা ফর্মে ব্যাট করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Congress President Poll: দল নয় রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীত্বই পছন্দ গেহলটের! ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড, কংগ্রেস সভাপতি পদে কে?

    Congress President Poll: দল নয় রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীত্বই পছন্দ গেহলটের! ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড, কংগ্রেস সভাপতি পদে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সভাপতি নির্বাচন থেকে সরতে চলেছেন অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। রাজস্থানের (Rajasthan) মুখ্যমন্ত্রীর উপর ক্ষুব্ধ কংগ্রেস হাইকমান্ড (congress highcomand)। দলের সভাপতি হয়ে ঐক্যবদ্ধ কংগ্রেস গঠন করাই ছিল গেলটের প্রাথমিক দায়িত্ব। কিন্তু দ্বায়িত্ব পালন তো দূর উল্টে তাঁরই নেতৃত্বে মরুরাজ্যে বিদ্রোহ দানা বেঁধেছে কংগ্রেসের (Congress crisis)মধ্যে। স্বভাবতই খুশি নন সনিয়ারাহুলরা। রাজস্থানের অবস্থা নিয়ে দলীয় পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও অজয় মাকেনের কাছে লিখিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সনিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটও। 

    আরও পড়ুন: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    কংগ্রেস নেতৃত্বের আশা ছিল, অশোক গেহলটকে দলের সভাপতি করে এক ঢিলে দুই পাখি মারার৷ কারণ গেহলট সভাপতি হলে সচিন পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দীর্ঘদিনের টানাপড়েনে ইতি টানা যেত। কিন্তু গেহলট সেই ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই গেহলটের অনুগামী বিধায়করা জানিয়ে দিয়েছেন, অশোক কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেও কোনওভাবেই তাঁরা সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মানবেন না। এমনকী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতেও অস্বীকার করেন তাঁরা। রাজস্থানের পরিস্থিতির জন্য গেহলট ‘ক্ষমা’চাইলেও ক্ষুব্ধ নেতৃত্ব। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে,গেহলটের যুক্তি কোনওভাবে মানতে রাজি নন হাইকমান্ড। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনওভাবেই এমনটা হতে পারে না, বলে অনুমান শীর্ষ নেতাদের।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    গান্ধী পরিবারের অনুগামীদের কথায়, এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিয়েছে দলের শীর্ষ পদে গান্ধী পরিবারের কেউ না বসলে দলের পরিণতি কী হবে৷ এই পরিস্থিতিতে ফের রাহুল গান্ধীর নাম সভাপতির পদে ভেসে উঠেছে৷ কারণ রাহুলকে নিয়ে দলের মধ্যে বিরোধিতার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ উঠছে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর নামও। অন্যদিকে সভাপতি নির্বাচনের অন্য আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী কমলনাথ সোমবারই দিল্লি পৌঁছে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথাও হাওয়ায় ভাসছে। তবে সভাপতি নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা অস্বীকার করে কমলনাথ জানিয়েছেন,“কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াইয়ের জন্য আমার কোনও আগ্রহ নেই। নবরাত্রির শুভেচ্ছা জানাতেই আমি এখানে এসেছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Malviya: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    Amit Malviya: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ককংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Congress President Polls) আসলে একটা প্রহসন। অভিমত বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্যর (Amit Malviya)। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত এ নিয়ে কড়া ভাষায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ‘রাজস্থানের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, মনোনয়ন দেওয়ার আগেই কংগ্রেস সভাপতি হয়ে গিয়েছেন অশোক গেহলট। না হলে তাড়াহুড়ো করে রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করার কী প্রয়োজন? আসলে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন মূলত লোক দেখানো। অশোক গেহলটকেই যে কংগ্রেস সভাপতি করা হবে, সেটা আগে থেকেই ঠিক হয়ে গিয়েছে। তাই এই নির্বাচনের কোনও মূল্য নেই। কেউ হয়তো শশী থারুরের কথা। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে কংগ্রেসের নতুন ‘রাজা’ গেহলেট, থারুরকে অহেতুক বলির পাঁঠা বানানো হল।’

    প্রসঙ্গত, ১৭ অক্টোবর হতে চলেছে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ও শশী থারুরের (Shashi Tharoor) সঙ্গে। এই দু জনের মধ্যে যিনিই জয়ী হোন না কেন, দীর্ঘ দিন পরে তা হবে ইতিহাস। কারণ গান্ধী পরিবার বাইরের কারও হাতে যেতে চলেছে কংগ্রেস সভাপতির রাশ।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে ৮২ জন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা! আজ কি সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক অশোক, সচিনের?

    ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। তাঁর লড়াইটা হতে চলেছে মূলত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যিনি গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই পরিচিত। যদিও গেহলট এখনও মনোনয়ন জমা দেননি। তার আগেই রাজস্থান রাজনীতিতে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ প্রকাশ্যে চলে এল। অনেকে ধরে নিচ্ছেন, অশোক গেহলটই হবেন কংগ্রেসের নতুন সভাপতি। আর সেই কারণেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেবেন। রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে গেহলট বনাম পাইলট শিবিরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এই প্রসঙ্গ টেনেই বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য কড়া ভাষায় কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Durga Puja: আজ নবরাত্রির তৃতীয় দিনে পূজিতা হন মাতা চন্দ্রঘন্টা, জানুন তাঁর পৌরাণিক কাহিনী

    Durga Puja: আজ নবরাত্রির তৃতীয় দিনে পূজিতা হন মাতা চন্দ্রঘন্টা, জানুন তাঁর পৌরাণিক কাহিনী

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: মহিষাসুর এর দখলে তখন সম্পূর্ণ স্বর্গ রাজ্য। দেবতা, মুনি, ঋষি কেউই রম্ভা পুত্রের ভয়ঙ্কর বীভৎস অত্যাচারে টিকতে পারছেন না। দেবতারা পরাস্ত এবং বিতাড়িত। ব্রহ্মার বরদানে মহিষাসুর কে প্রতিহত করার কেউ নেই। মহিষাসুর জানতো ব্রহ্মার আশীর্বাদে কোনো পুরুষ তাঁকে হত্যা করতে পারবে না। বিতাড়িত দেবতা , মুনি, ঋষিরা শরণাপন্ন হলেন ব্রহ্মা , বিষ্ণু, মহেশ্বর এর কাছে । মহিষাসুরের অত্যাচারের কাহিনী শোনার পর ক্রোধান্বিত হলেন ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর। ক্রোধাগ্নির প্রচন্ড তেজ সম্মিলিত হয়ে মহর্ষি কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে সৃষ্টি হলো এক নারীর। তিনি মা দুর্গা।

    নবরাত্রির ন’দিনে মা দুর্গা নয়টি রূপ ধারণ করে অসুরদের সাথে প্রচন্ড যুদ্ধ করেছিলেন। নবরাত্রির তৃতীয় দিনে পূজিতা হন মাতা চন্দ্রঘন্টা। পৌরাণিক সাহিত্যের ভাষায়-
    পিণ্ডজপ্রবরারূঢা চন্দকোপাস্ত্রকৈর্য়ুতা ।
    প্রসাদং তনুতে মহ্য়ং চন্দ্রঘণ্টেতি বিশ্রুতা ।।

    প্রবল তেজ সম্পন্ন এই দেবী মাতা চন্দ্রঘন্টা , ঘন্টা বাজিয়ে অসুরদের সতর্ক করেন। এখনকার ভাষায় ওয়ার্নিঙ বলা যেতে পারে । তাই দেবীর নাম চন্দ্রঘন্টা। কালিকাপুরাণে দেবীর এমন নামকরণের উল্লেখ পাওয়া যায়। কাত্যায়ন মুনির আশ্রমে , ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তেজ থেকে সৃষ্ট নারী মূর্তিকে যখন সমস্ত দেবতা একে একে অস্ত্র দ্বারা সজ্জিত করছিলেন তখন দেবতাদের রাজা ইন্দ্র “দদৌ তস্যৈ সহস্রাক্ষোঘণ্টাম ঐরাবতং গজাৎ” তাঁর বাহন ঐরাবৎ হাতির গলার ঘণ্টা থেকে একটি ঘণ্টা নিয়ে দেবীর একটি হাতে দিলেন।

    আরও পড়ুন: নবরাত্রি কেন পালন করা হয়? এর তাৎপর্য জানেন?

    যুদ্ধে ঘন্টা ধ্বনি, শঙ্খ ধ্বনির রীতি ছিল। কুরুক্ষেত্রের ময়দানেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে পাঞ্চজন্য নামক শঙ্খ এবং অর্জুনকে দেবদত্ত নামক শঙ্খের প্রবল ধ্বনির দ্বারা বিপক্ষ শিবিরে ত্রাস সৃষ্টি করতে দেখা  গেছে। যা গীতার প্রথম অধ্যায়ে উল্লেখিত রয়েছে।

    পুরাণে উল্লেখ রয়েছে – অসুরদের সাথে প্রবল যুদ্ধ চলাকালীন মাতা চন্দ্রঘন্টার এই তীব্র ঘণ্টানাদ বিকট শব্দ সৃষ্টি করেছিল “হিরস্তি দৈত্য তেজাংসি স্বনেনাপূর্য্য যা জগৎ”। সেই ঘণ্টার শব্দেই দৈত্যদের প্রাণ ভয়ে খাঁচাছাড়া অবস্থা হয়েছিল। অসুরদের অশুভ শক্তি কে হরণ করার জন্যই মাতা চন্দ্রঘন্টা ঘন্টা বাজিয়েছিলেন। পৌরাণিক কাহিনী তে এও দেখা যাচ্ছে যে, যুদ্ধ শেষে মাতার এই ঘন্টার শরণাপন্ন হচ্ছেন দেবতা, মুনি, ঋষিরা। তাঁরা বলছেন – “সা ঘণ্টা পাতু নো দেবি পাপেভ্যো নঃ সুতাম্ইব ”। যার অর্থ বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায়- ” হে মা, তোমার এই প্রবল ঘন্টা ধ্বনি যেভাবে অসুরদের শক্তি ক্ষয় করে, তাদের দুর্বল করেছিল, ঠিক সেভাবেই এই ঘন্টা যেন আমাদের ভিতরে থাকা সমস্ত পাপবোধ কে হরণ করে নেয়”। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে কল্যাণকারী মাতা তাঁদের জীবন থেকে সমস্ত পাপবোধ, ভয়, শত্রুতা, বাধা বিঘ্ন হরণ করে নেন।

    আরও পড়ুন: মহালয়া শুভ না অশুভ? জানুন এই বিশেষ অমাবস্যা তিথির তাৎপর্য

    পৌরাণিক কাহিনী তে আরও উল্লেখ রয়েছে –
    দেবী চন্দ্রঘন্টা আসলে হিমালয় কন্যা ও শিবের স্ত্রী মাতা পার্বতী। শিব পার্বতীর বিবাহ পন্ড করতে তারকাসুর দৈত্য, দানবদের মিলিত এক বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করে। এই অবস্থায় বিবাহকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে দেবী পার্বতী, মাতা চন্দ্রঘন্টার রূপ ধারণ করেন। তিনি ছিলেন বাঘের পিঠে সওয়ার । চন্দ্রের মতো বিশালাকার ঘন্টা তিনি বাজাতে থাকেন। ঘন্টার  তীব্র আওয়াজে ভীতগ্রস্ত হয়ে দানবরা রণেভঙ্গ দেয়। একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী – দেবী পার্বতী এক্ষেত্রে কোনো উগ্র ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেননি।কারণ জন্মের পর যখন দশম মহাবিদ্যা ও বিশ্বরূপ দেবী পার্বতী তাঁর পিতা এবং মাতাকে দর্শন করিয়েছিলেন তখন দেবী পার্বতীকে  তাঁর মাতা মেনকা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ বা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করিয়ে নিয়েছিলেন যে যখন দেবী পার্বতী নিজ পিতৃগৃহে অবস্থান করবে তখন কোনো অবস্থাতেই তিনি উগ্র রূপ ধারণ করবেন না এবং তৃতীয় চক্ষুকে লুকিয়ে রাখবেন। অর্থাৎ মাতা পার্বতী পিতৃগৃহে থাকলে শান্ত হিমালয় কন্যা হিসাবেই থাকবেন।

    অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী , শিব পার্বতীর বিবাহ কালে , শিব চন্ড এবং উগ্র মূর্তি ধারণ করলে , পার্বতীর মাতা মেনকা মূর্ছা যান। তখন পাল্টা হিসেবে দেবী পার্বতী মাতা চন্দ্রঘন্টার রূপ ধারণ করলে শিব শান্ত হন।

    আরও পড়ুন: মেয়েরাও কি করতে পারে তর্পণ? কী বলছে শাস্ত্র?

    শিবপুরাণ অনুযায়ী – চন্দ্রের শোভায় মুগ্ধ হয়ে শিব “চন্দ্র” কে নিজ মাথায় স্থাপন করেন। তাই তিনি চন্দ্রশেখর। শিবের এইরকম সাজ দেখে মাতা পার্বতী চন্দ্রঘন্টা রূপ ধারণ করেন। তাই মাতা চন্দ্রঘন্টা লাবণ্যময়ী। তাঁর হাত বিভিন্ন অস্ত্র দ্বারা সাজানো রয়েছে‌। যেমন – ত্রিশূল, গদা, তলোয়ার,তীর, ধনুক। এছাড়াও তাঁর হাতে রয়েছে পদ্মফুল ও মন্ডল। মাতা চন্দ্রঘন্টার একটি হাত সর্বদাই বরদা মুদ্রায় থাকে । যে মুদ্রায় তিনি তাঁর ভক্তদের সর্বদাই আশীর্বাদ করেন, তাঁদের নৈরাশ্য দূরীভূত করেন বলেই ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে। কল্যাণ প্রদান কারী মাতা চন্দ্রঘন্টার বাহন বাঘ অথবা সিংহ। তিনি ত্রিনয়নী এবং কপালে ঘন্টার আকৃতির অর্ধচন্দ্রের অবস্থান। মাতা চন্দ্রঘন্টা আসুরিক শক্তিকে ধ্বংস করতে বা বিনাশ করতে সদা প্রস্তুত। তাঁর ভক্তদের বিশ্বাস মাতা চন্দ্রঘন্টা জীবনের সকল বাধাবিঘ্ন দূর করে চলার পথকে সুগম করে তোলেন। এই দেবীর পছন্দের রঙ কমলা বলেই মনে করেন ভক্তরা ‌, তাই এই নির্দিষ্ট রঙের পোশাক পরিধান করে মাতা চন্দ্রঘন্টার আরাধনা করলে সুফল বা শুভফল মেলে বলে ভক্তদের ধারণা। মাতার উদ্দেশ্যে তাঁর ভক্তরা সাধারণত দুগ্ধ জাত ভোগ নিবেদন করেন মায়ের নৈবেদ্য তে, এটা সাধারণত মিষ্টি, ক্ষীর বা রাবড়ি হয়। ভক্তদের বিশ্বাস এতে মাতা চন্দ্রঘন্টা প্রসন্ন হন।

     

  • Bhagwant Mann: সত্যিই মদ্যপ ভগবন্তকে নামিয়ে দেওয়া হয় বিমান থেকে? তদন্তের নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর

    Bhagwant Mann: সত্যিই মদ্যপ ভগবন্তকে নামিয়ে দেওয়া হয় বিমান থেকে? তদন্তের নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তর্মুখী বিমান চলাচল এবং বিমান পরিবর্তনের জন্য আসল সময়ের থেকে দেরিতে ছেড়েছিল ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে দিল্লিগামী বিমান। এর সঙ্গে পাঞ্জাবের (Punjab) মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের(Bhagwant Mann) কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে লুফথানসা কর্তৃপক্ষ। বিমান দেরিতে ছাড়ার কারণ জানতে চাওয়া এক নেটিজেনের প্রশ্নের উত্তরে ট্যুইটারে বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, বিমানের ট্র্যাফিক সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে দিল্লিগামী বিমানটি ছাড়তে বিলম্ব হয়। অন্য কোনও কারণ নেই।

    উল্লেখ্য, পাঞ্জাবের বিরোধী দলনেতা সুখবীর সিং বাদল অভিযোগ করেছিলেন, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে রবিবার যখন পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান তখন তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। সহযাত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁর পা টলছিল। অশান্তিও করছিলেন। সেই কারণে লুফথানসা কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিমান থেকে নামিয়ে দিতে বাধ্য় হয়। তাঁর মালপত্র বিমানে থেকে যাওয়ায় তা নামাতে দেরি হয়। সেজন্য বিমান ছাড়তেও বিলম্ব হয়।

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে বিদেশি বিনিয়োগ আনার উদ্দেশে আট দিনের জার্মানি সফরে গিয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে বিমান ধরে দিল্লি ফেরার কথা ছিল তাঁর। দুপুর ১.৪০ মিনিটে বিমান ছাড়ার কথা থাকলেও তা আসলে ছাড়ে বিকাল ৫.৩৪ মিনিটে। এরপরেই সেই দেরির কারণ হিসেবে মানকে দায়ী করে ট্যুইট করেন শিরোমনি আকালি দল নেতা সুখবীর সিং।

    আরও পড়ুন: মিলল সোনিয়ার সম্মতি, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদে অশোক-শশী লড়াই?

    বিমান দেরিতে ছাড়ার কারণ দর্শালেও ভগবন্ত মান মদ্যপ অবস্থায় বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন কিনা সেকথা জানতে চাওয়া হলে অবশ্য লুফথানসার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তথ্যসুরক্ষার কারণে কোনও নির্দিষ্ট যাত্রী সম্পর্কে তথ্য দিতে তারা রাজি নয়। আপ যদিও আগেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বলা হয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। এর কোনও ভিত্তি নেই। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে, বলে জানিয়েছেন  বিমানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukhoi-30: নারীশক্তির জয়! চিন সীমান্তে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছেন এই বীর কন্যা…

    Sukhoi-30: নারীশক্তির জয়! চিন সীমান্তে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছেন এই বীর কন্যা…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটু দূরেই চিন সীমান্ত। এখানকার আকাশে প্রতিনিয়ত পাহারা দিচ্ছে চিনা সেনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) লড়াকু বিমান। তাতে ভয় কী? এরা তো মহিষাসুরমর্দিনী। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনই তো ভারতীয় মেয়েদের চিরায়ত বৈশিষ্ট্য। তাই চিনের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর অসমের (Assam) তেজপুর  স্থিত ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটি (Tezpur Airbase) থেকে সুখই-৩০ (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছেন বীর কন্যা। 

    আরও পড়ুন: ভারতে রকেট লঞ্চার তৈরি করবে স্যাব! কী বলছে সুইডেনের সংস্থা?

    সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তেজপুর থেকে একটি সুখোই-৩০ চক্কর কেটেছে চিন সীমান্তের আকাশে। সেই বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তেজস্বী রঙ্গা রাও জানান, এই সুখোই-৩০ সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। বিমানের নীচের অংশে লাগানো সেন্সর ধরে ফেলবে প্রতিপক্ষ অস্ত্র নিক্ষেপ করছে কিনা! সেই সঙ্কেত দেখেই অভ্যর্থ লক্ষ্যে আঘাত হানবে সুখোই। তাঁর কথায়, ‘আমরা উড়ছি আকাশ ছোঁয়ার স্পর্ধা নিয়েই। টাচ দ্য স্কাই উইথ গ্লোরি!’ তিনি  এও বলছেন, “দেশের স্বার্থে আমরা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। যে কোনও পরিস্থিতি মানে যে কোনও পরিস্থিতিই!” তেজস্বী হলেন সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের একমাত্র মহিলা ওয়েপন সিস্টেম অপারেটর বা ‘উইজ়ো’। এঁরা মূলত কো-পাইলট। যুদ্ধবিমান চালানো নয় ওই বিমান থেকে শত্রুর উপর আঘাত হানার কাজ করেন তেজস্বী। বিমানের পিছনে বসে পুরো যুদ্ধ পরিচালনা করেন। শত্রুর উপর কত দূর থেকে কী ধরনের মিসাইল নিক্ষেপ করা হবে বা কীভাবে আক্রমণ চালানো হবে তা ঠিক করেন ‘উইজ়ো’।

    আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারতে আস্থা! আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাইল সেনা

    বায়ুসেনার হেলি-পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাক্ষ্য বাজপেয়ীর কথায়, “এখানকার ভৌগলিক পরিবেশ অত্যন্ত কঠিন। পাহাড়ের আড়ালে ঢেকে থাকে আকাশ। সেখানে এই যুদ্ধবিমান ওড়ানো যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। সেই চ্যালেঞ্জটার মুখোমুখি হয়েছি আমরা। এবং আরও বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার রসদ পেয়েছি এখান থেকে।” বরাবরই দেশের নারীশক্তিকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে বায়ুসেনা। ‘মেয়েরা সব পারে’ এই আদর্শকে স্বীকার করে  চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর হেলিকপ্টার, ফাইটার জেট নিয়ে টহল দিচ্ছেন মহিলারা। এই কাজে খুশি স্বয়ং বায়ুসেনার কর্তারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Durga Puja : দেবী বরণের পর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু মহিলারা! জানেন এর তাৎপর্য?

    Durga Puja : দেবী বরণের পর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু মহিলারা! জানেন এর তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমী মানেই বিদায়। দশমী মানেই বিজয়া । দশমী মানেই মন খারাপের বেলা। এবার মাকে বিদায় দিতে হবে। সিঁদুরে রাঙা মায়ের মুখখানি যে বড়ই প্রিয় আম বাঙালির। মিষ্টিমুখ করিয়ে ঘরের মেয়ে উমাকে এবার কৈলাসে পাঠাতে হবে।

    দশমী’ কথাটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বাঙালির আবেগ ও মনখারাপ মিশ্রিত একটি অনুভূতি। দশমী এলেই বাঙালির মনে আসে মায়ের ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা। অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটা বছর। সাধারনত দুর্গাপুজোর শেষদিনই হল দশমী। এই দিনেই মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে এই দিনটিকে বিজয়া দশমী বলার সঠিক অর্থ আজও জানেন না অনেকেই। পুরাণ মতে, ৯ দিন ৯ রাত্রি মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ হয় দশভূজা দুর্গার। দশমীর দিনে মহিষাসুর বধ করেন দুর্গা। অধর্মের ওপর ধর্ম ও অসত্যের ওপর সত্যের জয়ের দিন এটি। সেই জয়কে চিহ্নিত করতেই দশমীর আগে বিজয়া শব্দটি ব্যবহৃত হয়। দশমীর দিনে এই জয়লাভ বলে দিনটিকে বিজয়া দশমী বলা হয়।

    বিজয়া দশমীর একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল সিঁদুর খেলা। হিন্দু বিবাহ রীতিতে সিঁদুরদান একট লৌকিক আচার। স্বামীর মঙ্গলকামনায় সিঁদূর পরেন বিবাহিত মহিলারা। দুর্গা বিবাহিত হওয়ায় তাঁকে সিঁদুর লাগিয়ে, মিষ্টি মুখ করিয়ে বিদায় জানানো হয়। 

    ভবিষ্য পুরাণ অনুযায়ী সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক। বিবাহিত মহিলারা সিঁথিতে সিঁদুর পরে পরম ব্রহ্মের সামনে স্বামী ও নিজের মঙ্গল এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন। ব্রহ্ম সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর করে সুখ দান করেন। তাই দশমীর দিন সিঁদূর দান ও সিঁদূর খেলাকে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করা হয়। এ ছাড়াও শ্রীমদ্ভগবতে কাত্যায়নী ব্রত উপলক্ষে গোপীনিদের সিঁদুর খেলার বিবরণ পাওয়া যায়। তবে এটি কৃষ্ণের মঙ্গল কামনার জন্য করা হত। 

    বাংলায় সিঁদুর খেলার ঐতিহ্য ৪০০ বছরের পুরনো। নিছক খেলার ছলেই এই প্রথার চল হয়। মায়ের বিসর্জনের দিন সকলের মনই ভারাক্রান্ত থাকে। তাই ওই দিন একটু আনন্দ উল্লাসের জন্যই সিঁদুর খেলার প্রবর্তন হয়, বলে মনে করা হয়।

LinkedIn
Share