Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Hindu Temple Attacked in UK: ইংল্যান্ডে ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা! এবার স্মেথউইকে মন্দিরের সামনে উঠল ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি

    Hindu Temple Attacked in UK: ইংল্যান্ডে ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা! এবার স্মেথউইকে মন্দিরের সামনে উঠল ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেস্টারে (Leicester) পর এবার স্মেথউইক। ইংল্যান্ডে বারবার ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দু-মন্দির। মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের স্মেথউইক (Smethwick) শহরে একটি দুর্গা মন্দিরের সামনে সমবেত হয় আনুমানিক ২০০ জন মুসলিম। হিন্দু মন্দিরের সামনে “আল্লাহু-আকবর” ধ্বনি তুলে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।

    ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, স্মেথউইকের স্পন লেনে অবস্থিত দুর্গা ভবন হিন্দু মন্দিরের সামনে “আল্লাহু-আকবর” ধ্বনি তুলে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন কয়েকশো মুসলিম। দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান এশিয়া কাপের ম্যাচের পর থেকেই ইংল্যান্ডের একাধিক শহরে হিন্দু-মুসলিম বিবাদের সূত্রপাত ঘটেছে। লেস্টারে একটি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয়। মন্দিরের গেরুয়া পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়।

    এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন (Indian High Commission)।  ক্রিকেট ম্যাচ ঘিরে এরকম উত্তেজনা আগে খুব কমই দেখেছে ইংল্যান্ড।  ভারত হোক বা পাকিস্তান, হিন্দু হোক অথবা মুসলিম, ক্রিকেট ম্যাচ প্রত্যেকের কাছেই আবেগের। কিন্তু ময়দানের হার-জিত নিয়ে দাঙ্গা, আক্রমণ, প্রতিবাদ (Protest) হওয়ায় চিন্তায় পড়েছে ব্রিটিশ প্রশাসন। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সদা সক্রিয় রয়েছে প্রশাসন।

    আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ভারতীয় দূতাবাসের

    প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মন্দির ভাঙচুর ও সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর দায়ে এখনও পর্যন্ত ৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হিন্দু এবং মুসলিম নেতারা একত্রিত হয়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার মুচলেখায় স্বাক্ষরও করেছেন। দুই সম্প্রদায়ের তরফেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Make in India: ভারতে রকেট লঞ্চার তৈরি করবে স্যাব! কী বলছে সুইডেনের সংস্থা?

    Make in India: ভারতে রকেট লঞ্চার তৈরি করবে স্যাব! কী বলছে সুইডেনের সংস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে সাফল্যের ছোঁয়া। এবার ভারতে অস্ত্র তৈরি করতে চলেছে সুইডেনের বিশ্বখ্যাত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা স্যাব ( Swedish defence company Saab)। সুইডিশ প্রতিরক্ষা সংস্থা স্যাব (SAAB)-এর তরফে জানানো হয়েছে, তারা খুব শীঘ্রই ভারতে অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে তুলবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make in India) প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে তারা।  তবে কোথায় এই কারখানা গড়ে তোলা হবে তা এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারতে আস্থা! আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাইল সেনা

    সুইডেনের এই সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারতে যে কারখানা গড়ে তোলা হবে, তাতে সংস্থার নির্মীত অন্যতম সফল অস্ত্র ‘কার্ল গুস্তাভ এম৪’ (Carl Gustaf M4) যুদ্ধট্যাঙ্ক বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার তৈরি করা হবে। প্রসঙ্গত, সুইডেনের বাইরে এই প্রথম অন্য কোনও দেশে এই শোল্ডার মাউন্টেড অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রকেট লঞ্চার সিস্টেম উৎপাদন করা হবে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এর জন্য ‘স্যাব এফএফভি ইন্ডিয়া’ নামে একটি নতুন সংস্থা ২০২৪ সাল থেকে কার্ল গুস্তাভের রকেট লঞ্চার তৈরি করা শুরু করবে ভারতে।

    ভারতীয় সেনার জন্যই এই অস্ত্র তৈরি করা হবে। ১৯৭৬ সাল থেকেই স্যাবের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করছে ভারতীয় সেনা। সাম্প্রতিককালে, ভারতীয় সেনার আধুনীকিকরণের ওপর জোর দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেই প্রেক্ষিতে গত বছর স্যাবের সঙ্গে বিপুল অঙ্কের এই বিশেষ ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার সিস্টেমের বরাত সংক্রান্ত চুক্তি করে ভারতীয় সেনা। সেখানেই মেক ইন ইন্ডিয়া শর্তেই রাজি হয় স্যাব। সুইডিশ সংস্থাটি জানিয়েছে, এই কারখানা থেকে উৎপাদিত অস্ত্রর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাই প্রাধান্য পাবে। পরবর্তীকালে, তা ভিন্ন দেশে রফতানিও করা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! দাবি ইডির, জানেন আর কী বলা হয়েছে চার্জশিটে?

    সংস্থার আধিকারিক গর্জেন জোহানসন বলেন, ‘‘ভারতে কার্ল গুস্তাভ এম৪-এর কারখানার খোলার সিদ্ধান্ত খুবই সাধারণ পদক্ষেপ। কারণ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক দিনের।’’ তিনি আরও বলেন, “ভারত চাইছে একেবারে বিশ্বমানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গঠন করতে। আমরা ভারত সরকারের সেই লক্ষ্যে সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত।” তবে যেহেতু এটাই সুইডেনের বাইরে স্যাবের প্রথম অস্ত্র প্রস্তুতকারক ইউনিট, তাই এক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ করতে চায় তারা। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে ভারতীয় কোনও অংশীদারের খোঁজ করা হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India-Pakistan: ভারতকে নিশানা করে মিথ্যা অভিযোগ! নিরাপত্তা পরিষদে ফাঁস হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    India-Pakistan: ভারতকে নিশানা করে মিথ্যা অভিযোগ! নিরাপত্তা পরিষদে ফাঁস হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) পাকিস্তানের (Pakistan) দ্বিচারিতা আরও একবার সামনে এল। ভারতে নাকি সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়। এমনই অভিযোগ করেন পাকিস্তানের নবনিযুক্ত বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। তবে মিথ্যা অভিযোগে ভারতকে নিশানা করতে গিয়ে নিজের জালেই জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।

    পাক বিদেশমন্ত্রী যে পাঁচটি মিথ্যা তথ্য পেশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে—
    ১) পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুরক্ষিত ও তারা ভীষণভাবে নিরাপদ (minority rights)। 
    ২) তাঁর দেশে ধর্মীয় দিক থেকে সবাই নাকি স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারেন। 
    ৩) ভারত নাকি মুসলিম বিরোধী। 
    ৪) ভারতে নাকি সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। 
    ৫) ভারত নাকি হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

    পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী যে ডাহা মিথ্যা বলছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, গোটা বিশ্ব জানে, পাকিস্তান হল জঙ্গি কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর। পাকিস্তানের মাটিতে সংখ্যালঘুদের স্বাধীনতা তো দূরঅস্ত, কোনও নিরাপত্তা নেই। তার বড় উদাহরণ, দিন দিন পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমছে। স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৭৭ শতাংশ ছিল মুসলিম। আর ১৪ শতাংশ হিন্দু। তা কমতে কমতে আজ দাঁড়িয়েছে ১.৬ শতাংশে। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৬.২ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে ছবিটা একেবারেই উল্টো। ১৯৫১ সালের সেন্সাস রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে ৮৪.১ শতাংশ হিন্দু বসবাস করতেন। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ৯.৮ শতাংশ। ২০১১ সালের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, হিন্দু জনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৯.৮ শতাংশ। কিন্তু মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪.২ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানেই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট, নিরাপত্তা পরিষদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরছে পাকিস্তান এবং বাকিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালচ্ছ।  শুধু তাই নয়, ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর রাইটস অ্যান্ড সিকিউরিটির (IFFRAS) তথ্য অনুযায়ী, বিগত কয়েক বছরে পাকিস্তানে মুসলিমদের আধিপত্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ফলে হিন্দু, খ্রীষ্টান সহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা বেশ শোচনীয়। বিশেষ করে মহিলাদের। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েদের জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছ। প্রশাসন কিংবা সরকারের কাছে গিয়ে কোনও সুরাহা হচ্ছ না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI: নিষিদ্ধ হচ্ছে পিএফআই?  দেশ জুড়ে এনআইএর দ্বিতীয় দফার অভিযানের পর বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    PFI: নিষিদ্ধ হচ্ছে পিএফআই? দেশ জুড়ে এনআইএর দ্বিতীয় দফার অভিযানের পর বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিএফআই নিয়ে শীর্ষ স্তরের বৈঠকে বসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সূত্রের খবর, এবার পিএফআই-কে ইউএপিএ আইনের আওতায় দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করার জন্য জোরকদমে আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে এই শীর্ষ স্তরের বৈঠকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা। এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন এনআইএ ডিজি, ইডির প্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। এই বৈঠকে পিএফআই-কে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। 

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে রমরমা পিএফআইয়ের

    সোমবার রাত থেকেই পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে এনআইএর দ্বিতীয় দফার অভিযান শুরু হয়। দেশের আটটি রাজ্যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)-এর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফার অভিযান চালায় এনআইএ (NIA) এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা।  প্রথম দফার অভিযানের পর দ্বিতীয় দফাতে এখনও পর্যন্ত ২৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানী দিল্লির রোহিনী, নিজামুদ্দিন, জামিয়া মিলিয়া চত্বরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা, শাহিনবাগে নেমেছে আধাসেনা।  রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লি, অসম, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দেশের ১৩টি রাজ্যে অভিযান চালিয়েছিল এনআইএ। সেই অভিযানে ধৃত ১০৬ জন পিএফআই নেতার থেকে যে তথ্য মিলেছে, তার ভিত্তিতেই মঙ্গলবার আবার অভিযানে নামেন তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে পিএফআই যোগসূত্র ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের

    প্রসঙ্গত, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন ১৯৬৭ এর ৩৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, দেশে ৪২ টি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই আইনের ৩৫ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, যদি কোনও সংগঠন সন্ত্রাসবাদের প্রচার করে, বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে তাহলে সেই সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে গণ্য় করা হবে। এবার সেই আইনের আওতায় ধর্মীয় সামাজিক সংগঠন পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে প্রস্তাব করতে পারে ইডি ও গোয়েন্দা সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DA Case: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    DA Case: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ডিএ (DA) মামলায় রাজ্যের আর্জি খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt)। সরকারি কর্মীদের পক্ষেই রায় দিল আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের পূর্ব নির্দেশই বহাল রাখল। 

    বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, মহার্ঘ ভাতা (DA Case) সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। এটা সরকারের তরফে দেওয়া কোনও অনুদান নয়। তাই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল,সেটাই বহাল রাখছে আদালত। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সরকারি কর্মীদের। প্রায় ৬ বছর ধরে সরকারি কর্মী এবং সরকারের মধ্যে এই মামলা চলছে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি লড়াই চালিয়ে আসছে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হওয়ার পর চলতি বছরের ২০ মে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। কিন্ত সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে অগাস্ট মাসে। তবু ডিএ না মেলায় হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। এরপর রাজ্যের তরফে আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়।

    আরও পড়ুন: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে রায় দিতে গিয়ে আদালত জানায়, রাজ্য সরকারের আবেদনের কোনও  যুক্তি নেই। তাই আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ করা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে আগেই রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছিল মহার্ঘ্য ভাতা সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য অধিকার। তাই তহবিলে টাকা নেই বলে উঁচু হারে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যের এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য। ডিএ দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা আপাতত বিচারাধীন রেখেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৭ নভেম্বর আদালত অবমাননার মামলাটির শুনানি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SCO Summit: আগামী বছর এসসিও সম্মেলন আয়োজনে ভারতকে সাহায্যের বার্তা চিনের

    SCO Summit: আগামী বছর এসসিও সম্মেলন আয়োজনে ভারতকে সাহায্যের বার্তা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও  চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। এসসিও বৈঠকের (SCO summit) মঞ্চে দু’জনের দেখা হয়। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সম্মেলনের শুরুতেই যে গ্রুপ ফোটো তোলা হয়,তাতেও একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন দু’জনে। এই সমেমলনেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন জিনপিং। ২০২৩ সালের এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) আয়োজন করবে ভারত। সেখানে ভারতকে সবরকমের সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন জিনপিং।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর ভারত এবং চিনের সংঘাত শুরু হয়। তারপর এই প্রথম পাশাপাশি দেখা গেল মোদি এবং জিনপিংকে।  বৃহস্পতিবার রাতে উজবেজকিস্তানের সমরখন্দে এসসিও-এর নৈশাহার এড়িয়ে গিয়েছিলেন দুই নেতাই। নৈশাহারের যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মোদি বা জিনপিংকে কাউকে দেখা যায়নি। তবে শুক্রবার সকালে এসসিওভুক্ত অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে গ্রুপ ফোটোয়  ছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতাই।

    সীমান্ত-সমস্যার আবহে সমরখন্দে এসসিও সামিটের পার্শ্ব বৈঠক হিসেবে মোদি-জিনপিং আলাদা করে কথা বলবেন কি না তা নিয়ে চর্চা চলছিল। এর মধ্যেই এসসিও-র বৈঠকেই ভারতকে আগাম শুভেচ্ছা জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট। আগামী বছর ভারতেই হবে এই বৈঠক। তার জন্য নয়াদিল্লিকে সাহায্য করার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, চাপে পড়েই এমন মন্তব্য করেছেন শি জিনপিং। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সংঘর্ষ বিন্দু থেকে কোনও অবস্থাই যে ভারত পিছু হটবে না,এটা বুঝেই মাথা নোয়ালেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: “১০০-র বেশি ইউনিকর্ন এবং ৭০ হাজারের বেশি স্টার্ট-আপ রয়েছে ভারতে”, এসসিও সম্মেলনে বললেন মোদি

    চলতি মাসে পূর্ব লাদাখের অন্যতম সংঘাতপূর্ণ এলাকা গোগরা-হটস্প্রিংয়ের প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে পিছু হটেছে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। তাই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে গেলে এবার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে হবে তা ভালুই বুঝেছে বেজিং। তাই সৌহার্দ্যের বার্তা। তবে এখনই দুই রাষ্ট্রনেতার মুখোমুখি বৈঠক হচ্ছে না বলেই অনুমান কূটনীতিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gyanvapi Mosque Case: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় হিন্দুপক্ষের আর্জি নিয়ে শুনানি শুরু

    Gyanvapi Mosque Case: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় হিন্দুপক্ষের আর্জি নিয়ে শুনানি শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (Gyanvapi Masjid Row) চত্বরে হিন্দুপক্ষের পুজার অনুমতি চেয়ে মামলার শুনানির আর্জি মঞ্জুর করেছিল বারাণসী (Varanasi) জেলা আদালত। আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই সেই মামলার শুনানি শুরু হল।

    ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’র পুজোর অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন পাঁচ হিন্দু মহিলা। এই মামলাটির যাতে শুনানিই না হয়, তার জন্যে পাল্টা আবেদন জানায় জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি। মসজিত কমিটির সেই আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়ে দেয়, এই মামলা শুনানিযোগ্য (Gyanvapi Masjid Verdict)। বিচারক জানান, এক্ষেত্রে ১৯৯১ সালের ধর্মরক্ষা আইন প্রযোজ্য নয়। সেই সূত্র ধরেই আজ থেকে ওই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। আদালতে চলছে মামলা।

    আরও পড়ুন: ঐক্যের লক্ষ্যে! মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে বৈঠক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের

    ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে পাঁচ হিন্দু মহিলা দাবি করেন, জ্ঞানবাপী মসজিদে রয়েছে ‘শৃঙ্গার গৌরী’। যা আপাতত ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত। সেখানে পুজো-অর্চনার অধিকার চেয়ে মামলা করেন তাঁরা। মামলাকারীরা আরও দাবি করেন, মসজিদের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। এরপরেই বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকরের নির্দেশে এই সংক্রান্ত একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। তারা মসজিদের ভিতরে তদন্ত চালায়। ভিডিওগ্রাফিও করা হয়। যদিও তার রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী, হিজাব বিতর্কের আবহেই মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক আরএসএস প্রধানের

    জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি শুরু হলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে, বলে অনুমান পুলিশের। তাই আগে থেকেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে ওই মসজিদ এলাকায়। এমনকি, জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে হোটেল এবং গেস্ট হাউসে কারা আসছেন এবং যাচ্ছেন সেদিকেও কড়া নজর রাখছে পুলিশ। নেটমাধ্যমে এ নিয়ে কোনও লেখালেখি হচ্ছে কি না সেদিকেও সজাগ প্রশাসন।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Army: আত্মনির্ভর ভারতে আস্থা! আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাইল সেনা

    Indian Army: আত্মনির্ভর ভারতে আস্থা! আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাইল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরি ভিত্তিতে সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চলেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। তার জন্য দরপত্রও চেয়েছে তারা। ড্রোন, মিসাইল, অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম, আগ্নেয়াস্ত্র, সাঁজোয়া গাড়ি সবই রয়েছে সেই তালিকায়। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি টেন্ডার ডেকেছে ভারতীয় সেনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পের ওপর ভরসা করে দেশীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারী  সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চেয়েছে সেনা। 

    প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর থেকেই বিদেশ থেকে বহু প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি। পাশাপাশি, দেশেই সামরিক সরঞ্জাম তৈরির ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে সরকার নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র কারখানার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় সেনা সেই মতোই আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দরপত্র চেয়েছে বিভিন্ন সংস্থার কাছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই টেন্ডার চূড়ান্ত করা হবে। 

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! দাবি ইডির, জানেন আর কী বলা হয়েছে চার্জশিটে?

    সেনা সূত্রে খবর, যে সংস্থাগুলি সামরিক সরঞ্জাম তৈরির বরাত পাবে, তাদের এক বছরের মধ্যে নির্দিষ্ট সরঞ্জামগুলি সরবরাহ করতে হবে। সেনাবাহিনীর ভাইস চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিএস রাজু কিছুদিনআগে হায়দরাবাদ গিয়েছিলেন, সেখানে বিভিন্ন গবেষণাগার ও অস্ত্র তৈরির কারখানা ঘুরে দেখেন তিনি। মিসাইল স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস, ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট ল্যাব, সেন্টার ফর হাই এনার্জি সিস্টেমস অ্যান্ড সায়েন্সেস, ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড প্রভৃতি জায়গা ঘুরে দেখেন তিনি। তাঁর মতে, এই সংস্থাগুলি ভাল কাজ করছে। তাই ওপেন টেন্ডার ডেকে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও ভাল করার জন্য সেনা দ্রুত সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Karnataka Hijab Row: হিজাব-বিতর্ক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ! সুপ্রিম কোর্টে কী বলল কর্নাটক সরকার?

    Karnataka Hijab Row: হিজাব-বিতর্ক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ! সুপ্রিম কোর্টে কী বলল কর্নাটক সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজাব (Hijab) কখনও বাধ্যতামূলক নয়। কোরানে উল্লেখ থাকলেই যে সেই প্রথা জরুরি হবে এমন নয়। ইসলামিক দেশগুলিতেই হিজাব পরা নিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন মেয়েরা। ইরানের (Iran) রাজপথে হিজাব না পরার পক্ষে সওয়াল করেছেন সেখানকার স্বাধীনচেতা মেয়েরা। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কর্নাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court) রায়ের পক্ষে সওয়াল করে একথাই জানালেন আইনজীবী তুষার মেহতা। ভারতের সলিসিটর জেনারেল তথা কর্নাটক সরকারের আইনজীবী তুষার মেহতা জানিয়েছেন, দেশে হিজাব-বিতর্ক তৈরি করা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)-এর চক্রান্ত।

    আরও পড়ুন: খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজে লাগানো হবে বেসরকারি সংস্থাকেও, কেন জানেন?

    তুষার মেহতা দাবি করেন, কর্নাটকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করেছে যে ছাত্রছাত্রীরা তাঁরা চরমপন্থী সংগঠন পিএফআই দ্বারা প্রভাবিত। এটা একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করার জন্য এই চক্রান্ত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে  বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে মঙ্গলবার সওয়াল করেন তুষার। তিনি  বলেছেন যে ২৯ মার্চ, ২০১৩ উদুপিতে সরকারি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় গার্লস কলেজ একটি রেজোলিউশন পাস করেছিল যে একটি নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরা হবে। ইউনিফর্মে হিজাব অন্তর্ভুক্ত ছিল না এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থী ইউনিফর্মই পড়ত। যারা ২০২১ সালে পিইউ কলেজে ভর্তি হয়েছিল, তারা প্রাথমিকভাবে ইউনিফর্মের নিয়ম মেনে নিয়েছিল। 

    আরও পড়ুন :কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার মন্তব্যে মমতাকে মোক্ষম জবাব মালব্যর

    মেহতা বলেন, হিজাব নিয়ে কর্নাটক হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তা ধর্মনিরপেক্ষ। গেরুয়া উত্তরীয় হোক বা হিজাব -কোনওটাই স্কুলে পরে আসার অনুমতি ছিল না। তিনি  দাবি করেন, যে পড়ুয়ারা পিটিশন দাখিল করেছেন, তাঁরা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজ্যে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। সুপ্রিম কোর্ট আগে জানিয়েছিল, জরুরি ধর্মীয় প্রথার বিষয়ে যাওয়া উচিত হয়নি কর্নাটক হাইকোর্টের। এর বিপক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে সলিসিটার জেনারেল জানান, ‘এটা আমার কাছে একেবারেই ধর্মীয় বিষয় নয়, বরং এটা পড়ুয়াদের ইউনিফর্মের বিষয়।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal Weather Update: মুখভার আকাশের! বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি বিঘ্নিত সকাল, কবে থেকে রোদের দেখা?

    Bengal Weather Update: মুখভার আকাশের! বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি বিঘ্নিত সকাল, কবে থেকে রোদের দেখা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে বর্ষার বৃষ্টি! আবহাওয়া দফতরের কথায়, নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। শহরের প্রবীণদের মত অবশ্য ভিন্ন। বর্ষায় সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। তাই পুজোর আগে ভাসছে কলকাতা। তবে, কারণ যাই হোক, বৃহস্পতিবার সকালেও বৃষ্টি পিছু ছাড়ল না শহরবাসীর। সকাল থেকেই কলকাতার আকাশে মেঘের ঘনঘটা।

    আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ সকাল থেকে কলকাতা এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১০টা-১১টা পর্যন্ত তিন জেলায়  হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, পুজোর মুখেই ঘোষণা হতে পারে ডিএ?

    কবে থেকে মিলবে রোদের দেখা? সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু না বললেও আবহাওয়াবিদদের মতে, বৃহস্পতিবার সারা দিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। দুপুরের দিকে বৃষ্টি ধরতে পারে। বিকেলের দিকে আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হওয়ার কথা। তবে, মৎস্যজীবীদের এখনই সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    আরও পড়ুন : বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর নিম্নচাপের অক্ষরেখা এমন ভাবে ছড়িয়ে রয়েছে, যে তার প্রভাবে এখনই বদল হচ্ছে না আবহাওয়ার। নিম্নচাপের অক্ষরেখা এখনও বিস্তৃত রয়েছে ছত্তীসগঢ় থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত। যা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়েই গিয়েছে। যার জেরে দফায় দফায় বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। আজ ও কাল ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলায়। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে রবিবার পর্যন্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share