Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Swarm Drone: শয়ে শয়ে ড্রোন আছড়ে পড়বে শত্রুর ওপর! ভারতীয় সেনার নয়া অস্ত্র ‘সোয়ার্ম ড্রোন’

    Swarm Drone: শয়ে শয়ে ড্রোন আছড়ে পড়বে শত্রুর ওপর! ভারতীয় সেনার নয়া অস্ত্র ‘সোয়ার্ম ড্রোন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে আসতে চলেছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত সোয়ার্ম ড্রোন সিস্টেম। এটি ব্যবহার করবে ভারতীয় সেনার মেকানাইজড ডিভিশন। লক্ষ্যবস্তু নির্দিষ্ট করে তার উপর নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম এই ড্রোন। একদিকে পাকিস্তান, অন্যদিকে চিন। জোড়া শত্রুর মোকাবিলা ভারতীয় সেনার কাছে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের।

    সোয়ার্ম ড্রোনগুলি একই স্টেশন থেকে নিয়ন্ত্রিত বেশ কয়েকটি ড্রোন নিয়ে গঠিত। নজরদারি চালানো, শত্রু দমন -সহ বিভিন্ন কাজে পারদর্শী এই ড্রোন। একটি বিশেষ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে এর প্রোগ্রাম নির্ধারিত করা হয়। ভবিষ্যতে সীমান্ত প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনার বড় ভরসা হয়ে উঠবে এই ড্রোন, এমনটাই দাবি সেনার। শুক্রবার এই ড্রোন নিয়ে ট্যুইটও করে ভারতীয় সেনা। এই ড্রোন আত্মনির্ভর ভারত তৈরির ক্ষেত্রেও এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে, বলে মনে করছে সেনা। শুধুমাত্র নজরদারি নয়, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সশস্ত্র ড্রোন শত্রুর উপর দ্রুত আঘাত হানতে পারবে। অনেক উঁচুতে দীর্ঘক্ষণ ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এর।

    আরও পড়ুন: বন্ধ করে দিন সমস্ত বেআইনি ধর্মীয় স্থান, ‘মসজিদ’ মামলায় রায় কেরল হাইকোর্টের

    এই ড্রোন হাতে পেলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের কর্তৃত্ব অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। সেনা সূত্রে খবর, ছোট্ট অথচ শক্তিশালী এই ড্রোনগুলি যে কোনও জায়গায় অত্যন্ত সুক্ষতার সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারবে। আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই ড্রোন ভারতকে অনেকটা এগিয়ে দেবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এখনও এই ড্রোন সেনাবাহিনী ব্যবহার শুরু করেনি। তবে তাদের জন্যই এটি তৈরি করা হয়েছে। ভারতীয় সেনা নানা দুর্গম এলাকায় কাজ করে। এই ড্রোন সেনার কাজ সহজ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Asia Cup 2022: ‘বিরাট’ ব্যাটে ভরসা! শততম ম্যাচে শতরানের আশায় নয়া হাতিয়ার কোহলির

    Asia Cup 2022: ‘বিরাট’ ব্যাটে ভরসা! শততম ম্যাচে শতরানের আশায় নয়া হাতিয়ার কোহলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভাগ্য বদলানোর আশায় ব্যাটটাই পাল্টে ফেললেন বিরাট। এশিয়া কাপে রানমেশিনের নয়া হাতিয়ার গোল্ড উইজার্ড ব্যাট।আগামী রবিবার দুবাইয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের (India vs Pakistan) মুখোমুখি ভারত। এই ম্যাচ দিয়েই এশিয়া কাপে (2022 Asia Cup) অভিযান শুরু করতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। বিরাটের কেরিয়ারে এটি শততম আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ। শততম ম্যাচে শতরানের আশাতেই ব্যাট বদল বিরাটের (Virat Kohli)।

    বিশেষভাবে তৈরি এই ব্যাটের দাম কমপক্ষে ২২ হাজার টাকা। বিরাট যে ব্যাট বর্তমানে ব্যবহার করেন তার থেকে সামান্য ভারী নতুন ব্যাটটি। ওজন ১.১৫ কিলোগ্রাম। এখনকার ব্যাটের ওজন ১.১ কিলোগ্রাম। শেষ মুহূর্তে শটের গতিপথ পরিবর্তনে সাহায্য করে হালকা ওজনের ব্যাট। কবজি ঘুরিয়ে শট খেলা প্রতিভাধর ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন কোহলি। ব্যাটের ওজনের সামান্য তারতম্য বিপক্ষের বোলারদের ডেলিভারি দূরে আছড়ে ফেলতে সাহায্য করতে পারে বিরাটকে।

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Saurav Yaduvanshi (@sports.launchpad)

     

    সচিন তেন্ডুলকর এবং বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, দু’জনেই প্রায় ১.৩৫ কেজি ওজনের ভারী ব্যাট ব্যবহার করতেন।  ভারী ব্যাট ব্যবহারের জন্য জিমে গিয়ে পেশি শক্তি বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছেন বিরাট। কোহলি এখন এমআরএফের ব্যাট ব্যবহার করেন। তবে এবার তাঁর ব্যাটে লেখা থাকবে এমআরএফ গোল্ড উইজার্ড। এতদিন অবধি বিরাট খেলছিলেন এমআরএফ জিনিয়াস ব্যাট নিয়ে।

    আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহকারী পাঁচ ব্যাটসম্যান

    ইতিমধ্যেই বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team)  সঙ্গে দুবাইয়ে (Dubai) অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই প্রাক্তন অধিনায়ককে নেটে দুর্দান্ত ফর্মে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। নেটে রবীন্দ্র জাদেজা, যুজবেন্দ্র চাহাল এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে তিনি নির্বিচারে ব্যাট হাতে ঠেঙিয়ে যাচ্ছেন।

    এশিয়া কাপেই ভারতীয় ক্রিকেট দলে প্রত্যাবর্তন করেছেন কোহলি। গত জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতে তাঁকে শেষবার দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।  বিগত কয়েকবছর ধরেই বিরাটের ব্যাটে রানের খরা অব্যাহত। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর কোনও শতরান করতে পারেননি কিং কোহলি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India-China-US: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি

    India-China-US: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই হিমালয় পর্বতে যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা (US) ও ভারত (India)। এতে আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং। কিন্তু তাকে আমল দিতে নারাজ দিল্লি। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে চিনের সমালোচনা করে বলা হয়,   ভারত স্বাভাবিক ভাবে অবৈধ, অনুচিত কোনও কাজ করে না। সেনা প্রশিক্ষণের স্বার্থে এই মহড়া জরুরি।  

    আগামী ১৪ থেকে ৩১ অক্টোবর ভারত-চিন সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে মহড়া চালাবে আমেরিকা ও ভারতের সেনা। উত্তরাখণ্ডের আউলিতে অনুষ্ঠিত এই মহড়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিল চিন।  হিমালয় পর্বতের দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় আউলিতে মহড়া চালাবে দিল্লি ও ওয়াশিংটন। তাতেই বাধা দিয়েছিল বেজিং। চিনের দাবি, সীমান্তে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চায় না তারা। যদিও ভারতের তরফে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেওয়া হয়, মহড়া চলবে। এটা সীমান্ত সমস্যা মোকাবিলা নয় একটা আনুষ্ঠানিক মহড়া, বলে জানান ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী (arindam bagchi)। তিনি বলেন, “এই মহড়াকে অন্য রং দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা কোনও চুক্তিকেই আঘাত করবে না। ভারত শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। দিল্লি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না।”

    আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    আউলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে প্রায় ৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি ভারত ও চিনকে বিভক্ত করেছে। ১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের পর থেকে দুই দেশ এই এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে।  

    চিন-তাইওয়ান দ্বন্দ্ব নিয়েও মুখ খোলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তিনি দুপক্ষকেই সংযত হতে বললেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা যাতে বজায় থাকে তার জন্য নজর রাখার কথা বললেন দুই দেশকেই। প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবারও তাইওয়ান প্রণালীতে চিনা নৌবাহিনীর ৬ টি জাহাজ ঢুকে পড়েছে। এমনকি ২১ টি চিনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর ওপর ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিন তাইওয়ান যুদ্ধ আবহে ইতিমধ্যেই ব্যাপক উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rajnath Singh: আত্মনির্ভর ভারত! বিদেশ থেকে আমদানি নয়, আরও ৭৮০টি যুদ্ধসামগ্রী তৈরি হবে দেশেই

    Rajnath Singh: আত্মনির্ভর ভারত! বিদেশ থেকে আমদানি নয়, আরও ৭৮০টি যুদ্ধসামগ্রী তৈরি হবে দেশেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের দিনই শোনা গিয়েছিল অত্যাধুনিক দেশীয় কামানের গর্জন। এবার আত্মনির্ভর ভারত তৈরিতে আর একটি পদক্ষেপ করল ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minstry) রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) দেশে আরও নতুন যুদ্ধ সামগ্রী তৈরির তালিকা প্রকাশ করলেন। এই নিয়ে তৃতীয়বার তালিকা প্রকাশ করা হল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই তালিকায় বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে রফতানি নয় আরও ৭৮০টি যুদ্ধসামগ্রী দেশেই তৈরি হবে। কিছুদিন আগেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি একাধিক অত্যাধুনিক অস্ত্র। 

    গত ১৫ অগাস্ট প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশেই নয়া যুদ্ধ সমাগ্রী তৈরির উদাহরণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তাঁর স্বপ্নের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India)’প্রকল্প প্রসারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সমস্ত অস্ত্রের স্বদেশীকরণের জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ করে আসছে ভারত সরকার। নেওয়া হয়েছে একাধিক নীতিও।’

    আরও পড়ুন: কালীপুজোর সময়েই আসতে চলেছে জিও ৫জি! আগামী বছরেই সারা দেশে, জানুন কী বললেন মুকেশ আম্বানি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত তিনটি তালিকায় মোট ২,৫০০ যুদ্ধ সামগ্রী দেশে তৈরি হওয়ার কথা। শীঘ্রই দেশের পদাতিক সেনায় যান্ত্রিক সরঞ্জামের সংযুক্তিকরণ ঘটবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেনাকে ভবিষ্যতমুখী বানাতেই এই পদক্ষেপ করা হবে। যানবাহন, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং রাত্রিকালীন যুদ্ধের গিয়ার থেকে শুরু করে অ্যান্টি-ড্রোন ব্যবস্থায় এই নয়া সংযুক্তিকরণ ঘটবে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করেই সেনাকে আধুনিকতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। গোয়েন্দাগিরি থেকে নজরদারির ক্ষেত্রে এই আধুনিকীকরণ খুব কার্যকরী হবে বলে আশা সেনার। দ্রুত গতিতেই এই নয়া যান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাজিয়ে ফেলা হবে সেনাকে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে,স্বদেশী পদ্ধতিতে তৈরি একাধিক অস্ত্র আসছে সেনা বাহিনীতে। এর মধ্যে ল্যান্ড মাইন্স, পার্সোনাল ওয়েপেন্স এবং ইনফেন্ট্রী কমব্যাট যানও রয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে জুন মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রক ৭৬৩৯০ কোটি টাকার দেশীয় সেনা উপকরণ কেনার জন্য সম্মতি দেয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Modi on 6G: উৎসবের মরশুমে ৫জি, চলতি দশকের শেষে ৬জি! জানুন দেশে প্রযুক্তি বিপ্লব নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi on 6G: উৎসবের মরশুমে ৫জি, চলতি দশকের শেষে ৬জি! জানুন দেশে প্রযুক্তি বিপ্লব নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের লক্ষ্য চলতি দশক শেষ হওয়ার আগে ৬জি (6G) প্রযুক্তির টেলিকম পরিষেবা চালু করে দেওয়া।  বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এই কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। পুজোর সময়েই কলকাতা-সহ দেশের ১৩টি শহরে চালু হতে চলেছে ৫জি পরিষেবা৷ তার আগেই ৬জি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা। মোদি বলেন, “যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির উপরেই এই শতকের অগ্রগতি নির্ভর করছে। তাই চলতি দশকের মধ্যে ৬জি আনতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স।”

    এদিন দেশের টেলিকম ক্ষেত্রের ভূয়সী প্রশংসাও করতে দেখা যায় মোদিকে। তাঁর মতে, আত্মনির্ভরতা ও স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার এক সেরা নিদর্শন এই ক্ষেত্রের উত্তরণ। এরপরই তিনি জানান, ২০৩০ সালের মধ্যেই যাতে ৬জি পরিষেবা শুরু করা যায়, সেবিষয়ে পদক্ষেপ ইতিমধ্য়েই করেছে কেন্দ্র। মোদি বলেন, “আজ দেশের প্রতিটি গ্রামকে যুক্ত করা যাচ্ছে অপটিক্যাল ফাইবারের সাহায্যে। ২০১৪ সালের আগে ১০০টি গ্রাম পঞ্চায়েতেও অপটিক্যাল ফাইবার ছিল না। অথচ আজ ১ কোটি ৭৫ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্রন্ডব্যান্ড সংযোগ রয়েছে। আর এর ফলে গ্রামে গ্রামে সরকারি পরিষেবা পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে। এই ভাবে প্রযুক্তি আজ আর কেবল একটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নেই। তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে।”

    আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শিখরে মোদি! ইউটিউবে ট্রেন্ডিং লালকেল্লার ভাষণ

    সব কিছু ঠিক থাকলে ১২ অক্টোবর থেকেই হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা পাবে কলকাতা-সহ ১৩টি শহর৷ সেপ্টেম্বরের শেষে ‘ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই হয়তো ৫জি’র যাত্রাপথের শুভ সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী ৷ কলকাতা ছাড়াও প্রথম পর্যায়ে ৫জি পরিষেবা চালু করা হবে দিল্লি, আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, গান্ধীনগর, গুরুগ্রাম, লখনউ, হায়দরাবাদ, জামনগর, মুম্বই ও পুণেতে। ইতিমধ্যেই সার্ভিস প্রোভাইডারদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব৷ ৫জি স্পেকট্রামের নিলামে জয়ী হয়েছে ভারতী এয়ারটেল, রিলায়েন্স জিও, ভোডাফোন আইডিয়া ও আদানি ডেটা নেটওয়ার্কস৷ এই সংস্থাগুলির কাছে ইতিমধ্যেই সরকারি চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। যাতে তারা  প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পরিষেবা শুরু করার জন্য তৈরি থাকতে পারে৷ প্রধানমন্ত্রী জানান, “৫জির ফলে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো ও লজিস্টিক্সের মতো বহু ক্ষেত্রেরই উন্নতি হবে। এর ফলে অনেক নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Supreme Court: অসাংবিধানিক! ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন আইনের একটি ধারা বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: অসাংবিধানিক! ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন আইনের একটি ধারা বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের আগে বেনামি সম্পত্তির লেনদেন (Benami Transaction) করলে, আর কোনও শাস্তি পাবেন না অপরাধী। এমনকি কোনও জরিমানাও করা যাবে না তাঁকে। মঙ্গলবার এমনই নিদান দিল দেশের শীর্ষ আদালত। বেনামি লেনদেনের সাজা দেওয়ার জন্য ভারতীয় আইনের যে ধারা লাগু করা হত, তাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে ঘোষণা করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ভারতীয় সংবিধানে বেনামি লেনদেন সংক্রান্ত আইন তৈরি হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন (প্রতিরোধ) আইনের ৩(২) ধারায় এই ধরনের অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হত। এদিন সম্পূর্ণ ধারাটিকেই ‘অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    আরও পড়ুন: শিন্ডে বনাম উদ্ধবের লড়াই পৌঁছল সাংবিধানিক বেঞ্চে

    ১৯৮৮ সালের আইনের (Benami Law) ৩(২) ধারা অনুযায়ী, বেনামি লেনদেনকারীকে সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা জেল ও জরিমানা উভয় শাস্তি দেওয়ার বিধান ছিল। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এমভি রামানার নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, আইনটি ভারতীয় সংবিধানের ২০(১) অনুচ্ছেদের বিরোধী এবং অযৌক্তিক। ২০১৬ সংশোধন করা হয় এই আইন। কিন্তু ২০১৬ সালের আগের কোনও মামলায় সংশোধনী আইনকে ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের আবেদন মেনে ফিফার নিয়মকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের! সিওএ বাতিলের নির্দেশ

    কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে এই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের ৩ বিচারপতির বেঞ্চ। একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের বেনামি লেনদেন প্রতিরোধ সংশোধনী আইনটিকে প্রয়োগ না করার নির্দেশ দেয়। কারণ মামলাটি ২০১১ সালে কেনা সম্পত্তির ওপর ভিত্তি করে ছিল। হাইকোর্টের বক্তব্য ছিল, ২০১১ সালের কেনা সম্পত্তির মামলার ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের সংশোধনী আইন প্রয়োগ করা যাবে না।  হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রমনা, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে। শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ কলকাতা হাই কোর্টের পক্ষেই রায় দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Kathua: জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! খুন নাকি আত্মহত্যা, বাড়ছে রহস্য

    Kathua: জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! খুন নাকি আত্মহত্যা, বাড়ছে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাছ থেকে ঝুলছে বিজেপি (BJP) নেতার দেহ। চাঞ্চল্য ছড়াল জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কাঠুয়া জেলার হীরানগর এলাকায়। গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন কাঠুয়ার বিজেপি নেতা সোম রাজ। মঙ্গলবার সোম রাজের ঝুলন্ত দেহ মেলে। তাঁর পরিবার ও বিজেপির দাবি, খুন করা হয়েছে সোম রাজকে।

    এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, হীরানগর শহরের এক গ্রামবাসী ওইদিন সকালে বিজেপি নেতার দেহ গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। এরপর তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন। তাঁর দেহে দাগ ছিল পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশের তরফে তদন্তও শুরু হয়েছে, বলে জানানো হয়।  

    আরও পড়ুন: ভুল করেই পাক ভূখণ্ডে ব্রহ্মোস! বরখাস্ত বায়ুসেনার তিন অফিসার

    মৃত বিজেপি নেতার পরিবারের অভিযোগ, এটা আত্মহত্যা নয়। খুন করে তারপর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর দেহটি। খবর পেয়ে সোম রাজের বাড়ি পৌঁছন বহু বিজেপি নেতা। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ট্যুইট করেছেন, “কাঠুয়া জেলার হীরানগরে আমাদের পুরানো সহকর্মী এবং প্রবীণ বিজেপি নেতা শ্রী সোম রাজ (সোমা) এর মৃত্যুর কথা শুনে গভীরভাবে দুঃখিত। ঈশ্বর তাঁর আত্মাকে শান্তি দিন।” এরপরই এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানায় বিজেপি।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে কাশ্মীরে শুরু হয়েছে ‘টার্গেট কিলিং’। জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে প্রাণ দিতে হয়েছে। নিরাপত্তার খাতিরে উপত্যকা ছাড়তে চেয়েছে তাঁরা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। জঙ্গিদের গুলির শিকার হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরাও। এরই মধ্যে বিজেপি নেতা সোম রাজের রহস্য মৃত্যুতে  উপত্যকায় নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cow Smuggling Case:  অনুব্রত-কন্যার নামে জমির হদিশ!  বোলপুরের বিএলআরও অফিসে কী পেল সিবিআই?

    Cow Smuggling Case: অনুব্রত-কন্যার নামে জমির হদিশ! বোলপুরের বিএলআরও অফিসে কী পেল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার নামে জমির হদিশ পেল সিবিআই। মঙ্গলবার সকালে সিবিআইয়ের (CBI)দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল বোলপুরে অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সাব রেজিস্ট্রার অফিস হানা দেয়। একেবারে অফিস খোলার সঙ্গে সঙ্গেই আসেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-কাণ্ডে এবার উঠে এল এক ব্যাঙ্ক দম্পতির নাম! কালো টাকা সাদা করতে এরাই কি সাহায্য করত ?

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অফিসের যেখানে দলিল সহ বাড়ি-জমির কাগজপত্র সার্চিং করা হয়, সেখানেই যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অনুব্রত মণ্ডল সহ তাঁর কয়েকজন আত্মীয়ের যে সমস্ত বাড়ি-জমির নথি গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে, সেগুলি কবে কেনা হয়েছে বা মালিকানা হস্তান্তর হয়েছে, সেটাই গোয়েন্দারা সার্চিং করে দেখেন। একেবার সার্চিং দফতরে কর্মীকে কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে কোন সম্পত্তি কবে, কার থেকে, কত দামে কেনা হয়েছিল এবং বর্তমান মালিক কে তার খোঁজ নেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুন: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে একাধিক নথি আধিকারিকরা পেয়েছেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত ছ’ঘণ্টা ধরে তাঁরা বিভিন্ন নথিপত্র খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। এর পর তাঁরা ওই দফতর থেকে বেরিয়ে যান। বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে নথিপত্র ঘেঁটে দেখার সময় সুকন্যার জমি ও সম্পত্তির হদিশ মেলে। অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা ছাড়াও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের স্থাবর সম্পত্তি ঠিক কত, সে সম্পর্কে তথ্য  খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা।

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরের বল্লভপুর এলাকায় ০.৬২ একর জমির সন্ধান মিলেছে সুকন্যার নামে। সিবিআই আধিকারিকরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের নামেও কোনও জমি আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সহগল এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। পাশাপাশি বীরভূমের একাধিক চালকলের লিজের কাগজপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Achinta Sheuli Exclusive: ‘জেরেমি না আমি, সময়ই বলবে! যে যোগ্য সেই যাবে প্যারিস,’ অকপট অচিন্ত্য

    Achinta Sheuli Exclusive: ‘জেরেমি না আমি, সময়ই বলবে! যে যোগ্য সেই যাবে প্যারিস,’ অকপট অচিন্ত্য

    ঈষিকা বন্দ্যোপাধ্যায়: ফিনিশিং লাইন এখনও অনেকটা দূরে। সাফল্যের শেষ স্টপেজ কমনওয়েলথ গেমসের (Commonwealth Games 2022) সোনার পোডিয়াম নয়। সেটা অতীত। চাঁদের পাহাড় অলিম্পিক্স। আসন্ন প্যারিস অলিম্পিক গেমস (Paris Olympics) এরিনায় দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাই এখন আশু লক্ষ্য বাংলার ভারোত্তলক অচিন্ত্য শিউলির (Achinta Sheuli)। মাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন বাংলার সফল ভারোত্তলক।

    চরম দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা অচিন্ত্য জীবনে ধীরে-চলো নীতিতেই বিশ্বাসী। তাঁর কথায়, “Slow and Steady wins the race: সোনা তো দূর-অস্ত, আগে তো যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। ২০২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিক গেমসে (2024 Paris Olympic Games) খেলতে গেলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে (World Championship) ভালো ফল করতে হবে। সেখানেই মিলবে অলিম্পিক্সের ছাড়পত্র।”

    বিশ্ব ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়নশিপে তাহলে প্রধান প্রতিপক্ষ কে? বন্ধু জেরেমি? মানতে নারাজ ২০ বছর বয়সি হাওড়ার ছেলে। তাঁর কথায়, “এটা কোনও সমস্যা নয়। বরং এই লড়াই দুজনকে আরও ভালো খেলতে উৎসাহ দেবে। বেশ মজাও হবে। আমরা একসঙ্গে অনুশীলন করব। আবার একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করব। দুজনেই জিততে চাই। যে ভালো পারফরম্যান্স করবে সেই অলিম্পিক্সে সুযোগ পাবে। যোগ্যতম জায়গা করে নেবে। আমাদের বন্ধুত্ব একরকমই থাকবে।”

    এক ফ্রেমে জেরেমি ও অচিন্ত্য

    কমনওয়েলথের আসর থেকে দুজনেই সোনা এনে দিয়েছেন। দুই বন্ধুরই পাখির চোখ প্যারিস অলিম্পিক গেমস। কিন্তু নিয়মের ফাঁদে যে কোনও একজনই অলিম্পিক্সে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। জেরেমি (Jeremy Lalrinnunga) কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয় করেন পুরুষদের ৬৭ কিলোগ্রাম ওজন বিভাগে। আর অচিন্ত্য ৭৩ কিলোগ্রাম ভারোত্তলন বিভাগে।  প্রসঙ্গত যে ৬৭ কেজি বিভাগে লড়াই করেন জেরেমি সেই বিভাগটি তুলে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ওয়েটলিফটিং ফেডারেশন। ফলে ১৯ বছর বয়সি জেরেমিকে এবার থেকে লড়তে হবে ৭৩ কেজি বিভাগে। ফলে অলিম্পিক গেমসের জন্য ‘সম্মুখ সমরে’ দুই বন্ধু।

    নিজের লক্ষ্যে অবিচল অচিন্ত্য বলেন, “প্রতিপক্ষ যে-ই হোক আমি নিজের সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করব। সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। কমনওয়েলথে মোট ৩১৩ কেজি ওজন তুলেছিলাম। এবার টার্গেট ৩৪০ কেজি ওজন তোলা। সে জন্যই আমেরিকায় প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছি। সেখানে আমার সঙ্গে দিদি মীরাবাঈ (Mirabai Chanu), জেরেমি সকলে থাকবে। নিজের ভুল-ত্রুটিগুলি শুধরে নেওয়া যাবে।”

    আরও পড়ুন: অচিন্ত্য না জেরেমি! জানেন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধি কে

    বুধবারই ভারতের সিনিয়র ভারোত্তলকদের বিশেষ অনুশীলনের জন্য আমেরিকা পাঠানো হচ্ছে। প্রায় এক মাসের মতো স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচের তত্ত্বাবধানে শিবির হবে তাঁদের। আমেরিকার সেইন্ট লুইসে তাঁদের বিশেষ ট্রেনিং দেবেন ড.অ্যারন হরশিগ। ২০২০ থেকে তাঁর অধীনে ট্রেনিং নিয়েছেন মীরাবাঈ চানু। সেখানেই এবার নিজেদের ঝালিয়ে নেবেন অচিন্ত্য, জেরেমিরা। তাই এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নামছেন না তাঁরা।

    হাওড়ার দেউলপুরে মাটির বাড়িতে বেড়ে ওঠা। মা জরির কাজ করে সংসার চালান কোনওক্রমে। সাপ্তাহিক রোজগার পাঁচশো টাকা। তা-ও নিয়মিত নয় সেই কাজ। দাদা এখন দমকল দফতরের অস্থায়ী কর্মী। ছোট থেকেই লড়াই করে বড় হয়েছেন অচিন্ত্য। তাঁর লড়াই সকলকে প্রেরণা যোগাবে বলে ট্যুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। অচিন্ত্য বললেন, “মোদিজি অসাধারণ। কমনওয়েলথ গেমসে নামার আগে তাঁর ফোন মনের জোর অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেনার চাকরি আমাকে সাহস জুগিয়েছে। পুষ্টিকর খাবার খেতে সাহায্য করেছে। সাফল্যের জন্য পরিশ্রম যেমন জরুরি, তেমন দরকার ধৈর্যও । শুধু পরিশ্রম করলে হবে না, তার সঙ্গে ধৈর্য না থাকলে সাফল্য পাওয়া কঠিন।”

  • Assam’s New Rules: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম

    Assam’s New Rules: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম এবং মাদ্রাসা ও মসজিদের শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন (Police Verification) ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক করা হবে। জানিয়ে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আল কায়দার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে অসম থেকে গত চারমাসে অন্তত ২৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও রয়েছে।

    গত কয়েকদিনে অসমের একাধিক জায়গায় থেকে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। এদের অনেকেই সেখানের ইমাম এবং মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে কাজ করছিলেন। তারা বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন  আনসারুল্লা বাংলা টিমের (Ansarullah Bangla Team) সঙ্গে যুক্ত বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে ধৃতরা জিহাদি কাজ এবং আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের (Al Qaida in Indian Subcontinent) সঙ্গেও যুক্ত বলে দাবি অসম পুলিশের। একের পর এক জঙ্গি ধরা পড়ার জেরেই নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম প্রশাসন।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sarma)  আবেদন, গ্রামের লোকজন যদি তাঁদের এলাকায় অপরিচিত ইমামদের দেখেন তাহলে তাঁরা যেন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান।  তিনি বলেন, “রাজ্যে একের পর এক জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার পরে এখানে নতুন একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল (Standard Operating Protocol) চালু করা হচ্ছে। এরই অঙ্গ হিসাবে যারা রাজ্যের বাইরে থেকে মাদ্রাসায় আসছেন তাঁদের সম্পর্কে একটি ‘পোর্টাল’ করা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: আল কায়দা যোগ, অসমে গ্রেফতার দুই ইমাম! কী মিলল তাদের কাছ থেকে?

    প্রসঙ্গত, গত শনিবার জঙ্গি যোগের অভিযোগে গোয়ালপাড়া থেকে দুজন ইমামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরই একেবারে তাৎপর্যপূর্ণ ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে পোর্টাল খোলা হবে, তার  মাধ্যমে ইমাম ও বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষক যারা অসমের বাইরে থেকে আসছেন তাদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে কবে থেকে এই পোর্টাল চালু হবে তা নিয়ে তিনি কিছু জানাননি।

    এদিকে গোয়ালপাড়ার পুলিশ সুপার ভিভি রাকেশ রেড্ডি জানিয়েছেন, ওই ইমামরা জেহাদি স্লিপার সেল তৈরির কাজ করত। তল্লাশি চালিয়ে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে বেশ কিছু বই, পোস্টার, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে অসম পুলিশ। এ ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন, সিম কার্ড ও পরিচয় পত্র।

LinkedIn
Share