Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • FIFA ban on AIFF: কেন্দ্রের আবেদন মেনে ফিফার নিয়মকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের! সিওএ বাতিলের নির্দেশ

    FIFA ban on AIFF: কেন্দ্রের আবেদন মেনে ফিফার নিয়মকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের! সিওএ বাতিলের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের আবেদন মেনে নিয়ে ফিফার নিয়মকেই মান্যতা দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। যে তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপে নির্বাসনের মুখে পড়তে হয়েছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে,  সেই তিন সদস্যের প্রশাসক কমিটির (সিওএ) আর কোনও ক্ষমতা থাকবে না, বলে সোমবার জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রশাসক কমিটির ক্ষমতা কেড়ে সর্বোচ্চ আদালতের আশা, এবার হয়তো বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা (FIFA), ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) এর উপর থেকে নির্বাসন তুলে নেবে।

    সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) নির্বাচনও এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগে অগাস্টের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সেই নির্বাচন হবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। নির্বাচন পরিচালনা করবেন ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সচিব। ৩৬ সদস্যের ভোটার তালিকা তৈরি হবে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের হস্তক্ষেপে উঠতে পারে ফিফার নির্বাসন! জানুন কী বলল শীর্ষ আদালত

    রবিবার কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন নিয়ে যায়। তাতে বলা ছিল, সরকার ফিফার সমস্ত দাবি মেনে নিয়েছে এবং তাদের দাবি অনুসারে প্রশাসক কমিটির (সিওএ) শেষ চাইছে। সর্বোচ্চ আদালতের কাছে কেন্দ্রের আবেদন, সরিয়ে দেওয়া হোক সিওএ-কে। এর পাশাপাশি প্রাক্তন ফুটবলারদের ভোটাধিকার না দেওয়ার দাবিও জানায় কেন্দ্র। ক্ষমতাচ্যুত প্রফুল পটেল ও তার দলবলকে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন থেকে বাদ দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়। এদিন সরকারের সেই আবেদন মেনে নেয় শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: আর বাড়ি ফেরা হল না! প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়

    অন্যদিকে এদিন সকালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া। প্রশাসক কমিটির তৈরি করা খসড়া সংবিধানকেই মান্যতা দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। কিন্তু প্রশাসক কমিটিরই অস্তিত্ব না থাকায় ভাইচুংয়ের আর্জির কোনও ভিত্তি রইল না। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভাইচুং ভারতীয় ফুটবলের আইকন। তাঁকে আরও বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবহার করা হবে।

    গত ১৬ অগস্ট ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসনে পাঠায় ফিফা। এর ফলে অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ ভারতে না হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু নির্বাসনের জেরে বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার হারাতে নারাজ ক্রীড়ামন্ত্রক। তাই সক্রিয় কেন্দ্র। ফিফার সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছে তারা। 

  • Jasprit Bumrah: বিশ্বকাপে অনিশ্চিত বুমরা! ভারতীয় তারকা পেসারের চোট নিয়ে গুঞ্জন

    Jasprit Bumrah: বিশ্বকাপে অনিশ্চিত বুমরা! ভারতীয় তারকা পেসারের চোট নিয়ে গুঞ্জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিঠের চোটে কাবু ভারতের তারকা পেসার যশপ্রীত বুমরা। বাদ পড়েছেন এশিয়া কাপ থেকেও। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাঁকে পাওয়া যাবে কি না তাঁর নিশ্চয়তা নেই। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে বুমরা এখন রয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। সেখানে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (NCA) চোট সারাচ্ছেন তিনি। চিকিৎসক ও ফিজিওদের সামনেই চলছে অনুশীলন। বুমরার চোট নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)। 

    ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের ক্রিকেটে শেষ খেলেছিলেন বুমরা। তার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবোয়ে সফর থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয় তাঁকে। মধ্যে আমেরিকায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেও যান ভারতীয় পেসার। দেশে ফিরেই বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন তিনি। দেশের মাটিতে সেপ্টেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজের আগে সুস্থ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন বুমরা। কিন্তু এক বোর্ড আধিকারিকের কথায়, বুমরার চোট নিয়ে শঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। তিনি জানান , বুমরার পিঠে চোট রয়েছে। সেই কারণেই এশিয়া কাপের দলে রাখা হয়নি তাঁকে। এই পিঠের চোটের কারণেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে খেলতে পারেননি বুমরা। তাঁর এই চোট পুরনো। সারতে সময় লাগবে।

    আরও পড়ুন: সামি বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ শ্রীকান্ত! বিশ্বকাপের দলে সামি ফিরলে অবাক হবেন না মোরে

    এর আগে ২০১৯ সালে চোটের জন্য দল থেকে ছিটকে যান বুমরা। তারপর থেকেই পিঠের চোট ভোগাচ্ছে তাঁকে। আশা করা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সুস্থ হয়ে উঠবেন বুমরা। কিন্তু তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ওই আধিকারিকের কথায়, “বুমরা আমাদের সেরা বোলার। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ওকে সম্পূর্ণ সুস্থ দেখতে চাই।”  তবে, একান্ত বুমরাকে না পাওয়া গেলে বিশ্বকাপে ভারতের পেস আক্রমণকে ভরসা করতে হবে ভুবনেশ্বর কুমার এবং অর্শদীপ সিংহের উপর।

  • Afghanistan: ফের রক্তাক্ত কাবুল! মসজিদে বিস্ফোরণ, ইমাম-সহ নিহত ২০

    Afghanistan: ফের রক্তাক্ত কাবুল! মসজিদে বিস্ফোরণ, ইমাম-সহ নিহত ২০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপল আফগানিস্তান (Afghanistan)। বুধবার রাজধানী কাবুলের (mosque in Kabul) একটি মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় জেহাদিরা। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২০ জনের। আহত অন্তত ৪০। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে এই হামলার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেটের (IS) হাত রয়েছে বলে অনুমান।

    কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় প্রার্থনা চলাকালীন খইর খানা এলাকার একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। সূত্রের খবর, হামলায় সিদ্দিকি মসজিদের ইমাম আমির মহম্মদ কাবুলিরও মৃত্যু হয়েছে।  তিনি একজন বিশিষ্ট তালিবান ধর্মীয় পণ্ডিত। তালিবানের (Taliban) এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানিয়েছেন, সিদ্দিকি মসজিদে হওয়া হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। ঘটনার তদন্ত করছে তালিবানি গোয়েন্দারা। 

    কাবুলের ইমার্জেন্সি হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের পর ৫ শিশুসহ ২৭ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক শিশুর বয়স মাত্র ৭। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উত্তর কাবুলের আশেপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে, আশেপাশের ভবনের জানালার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণের পর তোলা ছবি ও ভিডিয়োতে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়িকে ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘লজ্জাজনক ঘটনা’, কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার নিন্দায় সরব অনুপম খের

    এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে তালিবান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত সপ্তাহে কাবুলে ইসলামিক স্টেটের (IS) হামলায় মৃত্যু হয় তালিবানপন্থী মুসলিম ধর্মগুরু শেখ রহিমুল্লা হাক্কানির। ফলে আফগানিস্তান দখল করলেও দেশে শান্তি ফেরাতে তালিবান যে অক্ষম তা স্পষ্ট।  গত অগাস্টে তালিবানরা ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকেই, আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট খোরাসান বা আইএসকেপি জঙ্গি গোষ্ঠী একাধিক হামলা চালিয়েছে। এর পাশাপাশি ক্রমে শক্তি বাড়াচ্ছে নর্দান রেসিস্ট্যান্স ফোর্সের মতো তালিবান বিরোধী আফগান যোদ্ধা গোষ্ঠীগুলিও।

     

  • SSC Scam: জামিনের আর্জি খারিজ! এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে  শান্তিপ্রসাদ ও অশোকের আরও ৬দিন সিবিআই হেফাজত

    SSC Scam: জামিনের আর্জি খারিজ! এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে শান্তিপ্রসাদ ও অশোকের আরও ৬দিন সিবিআই হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই তদন্তে মিলেছে বেশ কিছু প্রমাণ। আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে। জানা যাবে অনেক নতুন তথ্য। সিবিআইয়ের এই যুক্তি মেনে নিয়েই এসএসসির দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা (S P Sinha) এবং অশোক সাহার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। তাঁদের আরও ৬ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  ফলে ২২ অগস্ট পর্যন্ত শান্তিপ্রসাদ এবং অশোককে সিবিআই হেফাজতেই থাকতে হবে। বুধবার, আলিপুর কোর্টের বিশেষ আদালতে শুনানি হয়। গত ৭ দিনের জেরায় নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে বলে এদিন আলিপুর আদালতে জানিয়েছে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। তাঁদের আরও দাবি, এই দুর্নীতির সঙ্গে অনেক প্রভাবশালী যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের হদিশ পেতে উপদেষ্টা কমিটির দুই সদস্যকে আরও জেরা প্রয়োজন। 

    আজ, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এসপি সিনহা এবং অশোক সাহাকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ কোন এক্তিয়ারে চাকরির সুপারিশ করতেন?’ তিনি আরও প্রশ্ন করেন ‘তাঁকে এই ক্ষমতা কে দিয়েছিল?’ সুপারিশের চিঠির হস্তাক্ষর আর শান্তিপ্রসাদ সিনহার হাতের লেখার নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। কার নির্দেশে এই সুপারিশ তারা করত, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: যৌথ ব্যবসার সত্যতা স্বীকার অর্পিতার! জেলে গিয়ে পার্থকে দেড় ঘণ্টা জেরা ইডি-র

    ইতিমধ্যে এসএসসি ভবনের এক কর্মীকে তলব করে সিবিআই। এসপি সিনহার সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরাও করা হয়। সেখান থেকেই শান্তিপ্রসাদের প্রভাবের কথা জানা যায়। ফলে এই দুই উপদেষ্টাকে জেরা করে আরও তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। 

    গত বুধবার সকালেই শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেখানেই জেরা করা হচ্ছিল তাঁদের। অভিযোগ, জেরায় একাধিক তথ্য গোপন করেন এসএসসির প্রাক্তন দুই উপদেষ্টা। এরপরই তাদের গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের দু’জনকে নিজাম প্যালেসে রাখা হয়েছে।

  • Modi: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    Modi: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা (Red Fort) থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সোমবার সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে লালকেল্লায় ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণের শেষলগ্নে দুর্নীতি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন তিনি।  প্রধানমন্ত্রীর সাফ বার্তা, দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে। দেশের প্রভূত ক্ষতি করছে দুর্নীতিও। দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে দুর্নীতি দূর করার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। তাঁর কথায়, “অনেকে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় জেলে রয়েছে। তাও তাদের আলোচনা চলছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রতি কড়া মনোভাব দেখাতে হবে। দেশের টাকা লুঠ করে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। তাই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।” স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “প্রভাবশালীরাও বাঁচতে পারবেন না। যারা ব্যাংকের সম্পত্তি নিয়ে পালিয়েছিল তারা জেলে। যারা লুট করেছে তাদের সমস্ত সম্পদ ফেরাতে হবে।”

    প্রধানমন্ত্রীর কথায়, দেশে গরিবরা থাকার জায়গা পাচ্ছেন না, আর এক শ্রেণির মানুষের চুরি করা টাকা রাখার জায়গা কুলোচ্ছে না। মোদি বলেন, ‘‘দেশের পরিস্থিতি ভাল নয়। ভারতের মতো গণতন্ত্রে যেখানে মানুষ প্রত্যেক মুহূর্তে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করছে, যেখানে একদল মানুষের থাকারই জায়গা নেই, সেখানে আর একটি দল চুরি করা মাল রাখার জায়গা পাচ্ছে না।’’ মোদি অবশ্য তাঁর বক্তৃতায় কোনও বিশেষ রাজ্য, বা নেতা বা মন্ত্রীর নাম করেননি।

    আরও পড়ুন: ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের পূর্ণশক্তি দিয়ে লড়াই করতে হবে। গত আট বছরে আমরা সে কাজে সফলও হয়েছি।’’ মোদির কথায়, ‘‘‘ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার’-এর সাহায্যে আধার-মোবাইল এবং অন্য আধুনিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করে লক্ষ কোটি টাকা ভুল হাতে যাওয়া থেকে বাঁচানো গিয়েছে। এমনকি, সেই টাকা দেশের ভাল কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’’

    মোদি বলেছেন, ‘‘যারা আগের সরকারে ব্যাঙ্ক লুট করে পালিয়ে গিয়েছে, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে করে টাকা ফেরানোর চেষ্টা করছে সরকার। যাঁরা দেশের টাকা চুরি করেছেন, তাঁদের টাকা ফেরাতে বাধ্য করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারত কড়া অবস্থান নিচ্ছে। দেখে ভাল লাগছে, এখন দেশে দুর্নীতি-বিরোধী একটা মনোভাবও তৈরি হয়েছে।’’ কিন্তু তাঁর অনুযোগ, অনেকে দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেও কেউ কেউ দুর্নীতিবাজদের ‘সমর্থন’ও করছেন। যা কোনও দেশে শোভা পায় না।

  • Anubrata Mondal: সকালে গ্রেফতার, সন্ধ্যায় হেফাজত,  রাতেই  নিজাম প্যালেস! বৃহস্পতিবার অনুব্রতর সারা দিন

    Anubrata Mondal: সকালে গ্রেফতার, সন্ধ্যায় হেফাজত, রাতেই নিজাম প্যালেস! বৃহস্পতিবার অনুব্রতর সারা দিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সকালে গ্রেফতার। সন্ধ্যায় সিবিআই হেফাজত। আপাতত দশ দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ অনুব্রত মণ্ডলকে। রাত পৌনে তিনটে নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই নিয়ে এল কলকাতায় নিজাম প্যালেসে। এই নিজাম প্যালেসেই বারবার তলব করা হয়েছিল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। কিন্তু ৯ বার এই ডাক এড়িয়ে যান তিনি। তাই বৃহষ্পতিবার সকালেই অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে সিবিআই। গেট বন্ধ থাকায় প্রায় আধ ঘণ্টার ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে হয় গোয়েন্দাদের। তারপর গেট খুলিয়ে ঢুকতে হয়। গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। বিকেল পাঁচটায় হাজির করানো হয় আসানসোলের বিশেষ আদালতে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শেষ হয় শুনানি। তারপর বিচারক জানান, ২০ আগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই সঙ্গেই আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, হেফাজতে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্য কোথাও নয়, অনুব্রতকে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। 

    হাসপাতাল নয়, গেস্ট হাউসেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সোজা আসানসোলে (Asansol)। আসানসোলের কুলটিতে ECL-এর গেস্ট হাউসে থামে সিবিআইয়ের গাড়ি। সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। শীতলপুর গেস্ট হাউসে অনুব্রতের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন স্থানীয় কোলিয়ারির সাঁকতরিয়া হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। তাঁর রক্তচাপ মাপা হয় এবং বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেওয়া হয় বলেও সূত্রের খবর। গেস্ট হাউসের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকে। অক্সিজেন সিলিন্ডারও মোতায়েন রাখা হয়। বীরভূমের এই দাপুটে নেতার (Anubrata Mondal) শারীরিক যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা করতে যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা প্রস্তুত তা এই আগাম প্রস্তুতি থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

    ওই গেস্ট হাউসে অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পরই তাঁকে আসানসোল আদালতে তোলা হয়। অনুব্রতর বিরুদ্ধে ৪১ পাতার চার্জশিট তৈরি করা হয়। তবে, হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ECL-এর গেস্ট হাউসে কেন অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সঙ্গে ওই গেস্ট হাউসে মোতায়েন ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। কেন্দ্রীয় জওয়ানরা পুরো গেস্ট হাউস বাইরে থেকে ঘিরে রাখেন। গ্রেফতারি মেমোতে কেষ্টকে সই করিয়ে বৃহস্পতিবারই সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে আদালতে তোলেন।

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার হতে না হতেই কেষ্টকে ঝেড়ে ফেলল তৃণমূল!

    অনুব্রতকে আটক করা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। তবে অনুব্রতের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ বলেন, ‘‘অনুব্রতবাবুকে ৪১-এ ধারায় নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই নোটিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। গ্রেফতার নয়। ওঁকে আটক করা হয়েছে। আমার মক্কেল তদন্তে সহযোগিতা করবেন। তাতে সিবিআই সন্তুষ্ট হবে আশা রাখি।’’

  • Anubrata Mondal: ১০ দিনের সিবিআই হেফাজত অনুব্রতের! জানেন কী বলল আদালত

    Anubrata Mondal: ১০ দিনের সিবিআই হেফাজত অনুব্রতের! জানেন কী বলল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) গ্রেফতার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই রায় শোনান বিচারক। এদিন আদালতে অনুব্রতর জামিনের আবেদনই করেননি তাঁরা আইনজীবী। সিবিআই তাঁকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চায়। সূত্রের খবর, আজ রাতেই অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে আসতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

    বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারির পর বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে বিকেল ৫টা নাগাদ আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে তোলা হয়। বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী ধৃত জেলা তৃণমূল সভাপতিকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠান। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশ, কোনও কারণে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন পড়লে, অনুব্রতকে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে দেখাতে হবে। ওই সময় তাঁর দু’জন আইনজীবীকে সঙ্গে রাখতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ধারা এবং আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের ৭,১০,১১ এবং ১২ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর মতো দুষ্কৃতীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন মমতা, তোপ অমিত মালব্যর

    অনুব্রতকে আদালতে নিয়ে পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়ায়। আদালত চত্বরে ‘চোর’, ‘গরুচোর’ বলে চিৎকার করে ওঠে উপস্থিত জনতা। অনেকে চটি হাতে তেড়ে যায়। বিক্ষোভ হয় আদালত ভবনের ভিতরেও। এর পর কোনওক্রমে অনুব্রতকে কোর্ট লকআপে ঢোকায় সিবিআই। অনুব্রতর আইনজীবী জানান, অনুব্রত অসুস্থ। তা সত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তখন অনুব্রতর কাছে তাঁর অসুস্থতার ব্যাপারে জানতে চান বিচারক। বিচারককে অনুব্রত বলেন, তাঁর শ্বাসকষ্ট রয়েছে। বুকে ব্লকেজ, ব্যথা রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ, ফিসচুলা, কিডনিক সমস্যা এবং পা ফুলে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি।

    পালটা সওয়ালে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তাঁদের কাছে একাধিক প্রমাণ রয়েছে। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে তাতে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে। অনুব্রতকে জেরা করলে অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তাই তাঁকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চায় সিবিআই। দুপক্ষের বক্তব্য শুনে অনুব্রত মণ্ডলকে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ২০ অগাস্ট ফের তাঁকে আদালতে পেশ করতে হবে।

  • Bihar Politics: পাটনায় পালাবদলের পট তৈরি করেন সনিয়া! কবে জানেন

    Bihar Politics: পাটনায় পালাবদলের পট তৈরি করেন সনিয়া! কবে জানেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাটনায় পালাবদলের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন বহুদিন আগে থেকেই। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী যখন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখনই তাঁকে ফোন করেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। সনিয়াকে ফোন করে নীতীশ দাবি করেন, বিজেপি তাঁর দল ভাঙার চেষ্টা করছে। তাঁকে যদি কংগ্রেস সাহায্যের আশ্বাস দেয় তাহলে তিনি বিকল্প ভাবতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন নীতীশ। সূত্রের খবর, তখনই তাঁকে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন সনিয়া। সেই মতোই তেজস্বী যাদবের সাহায্য নিয়ে রাহুলের সঙ্গে কথা বলেন নীতীশ। তৈরি হয় পালাবদলের পট।

    বিজেপির সঙ্গে বিরোধ-দূরত্বের মাঝেই কয়েকদিন আগেও কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে ফোন করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। জেডিইউ নেতার হঠাৎ এই ফোনেই বিহারে নতুন জোট ও সরকার গঠনের জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরসিপি সিং আনুষ্ঠানিকভাবে জেডিইউ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই বিজেপি-জেডিইউ জোটের অন্দরে বিরোধ আরও বাড়ে। বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নীতীশ। বুধবার কংগ্রেস, আরজেডির সঙ্গে মিলে নতুন সরকার গঠন করে জেডিইউ।

    আরও পড়ুন: ‘পল্টুরাম’ হলেন ‘কাল্টুরাম’, নীতীশকে বেনজির আক্রমণ গিরিরাজের

    ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের সময় থেকেই নীতীশ কুমার যে বিজেপির উপরে অসন্তুষ্ট ছিলেন, তা ঘনিষ্ট সূত্রেই জানা গিয়েছিল। সম্প্রতি নানা অনুষ্ঠানে তেজস্বী যাদব ও নীতীশ কুমরকে এক মঞ্চে দেখা যাওয়ায় এবং ইফতারের নিমন্ত্রণ রক্ষায় দুই নেতাই একে অপরের বাড়ি যাওয়ায় ফের একবার আরজেডি-জেডিইউয়ের কাছাকাছি আসার জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরমধ্যে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথোপকথন অগ্নিতে ঘৃতহুতির কাজ করে। ২০২০ সালের ভোটের ফল অনুযায়ী বিহারের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি। যদি জেডিইউ ফের একবার আরজেডির সঙ্গে হাত মেলায় এবং কংগ্রেসও সেই জোটে যোগ দেয়, তবে এনডিএ সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারের মতো বিপুল জনসংখ্যা ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সরকার বদল হলে তা মোদি সরকারের কাছে বড় ধাক্কা হবে।

     

  • Lok Sabha Polls: লোকসভায় ৩৫টি আসন! জানুন কী ঠিক হল বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে

    Lok Sabha Polls: লোকসভায় ৩৫টি আসন! জানুন কী ঠিক হল বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেডিইউ-এর (JDU) সঙ্গে জোট ভেঙেছে। পতন হয়েছে সরকারের। যদিও তা নিয়ে খুব একটা বিচলিত নয় বিহার বিজেপি (Bihar BJP)। পাখির চোখ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন (2024 Lok Sabha Polls)। গতবার জে ডি ইউর সঙ্গে জোট বেঁধে ৩৩টি সিট জিতেছিল এন ডি এ। এবার একক ভাবে লড়াই করে ৩৫টি লোকসভা সিট জেতার টার্গেট ঠিক করলেন বিহার বিজেপির নেতারা।

    মঙ্গলবার রাজধানীতে বিজেপির সদর দফতরে বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ছিলেন, বিহার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল, বি এল সন্তোষ, রবিশঙ্কর প্রসাদ, শাহনাওয়াজ হোসেন, মঙ্গল পান্ডে, জনক রাম, নন্দ কিশোর যাদব ও অনেকে। বৈঠক শেষে জয়সওয়াল বলেন, “জনমতের বিপক্ষে গিয়ে বিহারে মহা গঠবন্ধন হয়েছে। আমরা বিধানসভার পাশাপাশি রাস্তায় নেমে এই অসাধু জোটের বিরুদ্ধে লড়াই করবো। একই সঙ্গে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৩৫টি আসন জেতার টার্গেট দিয়েছে। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লক্ষ্য পূরণের জন্য ঝাঁপাবো।”

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! সেনার উপর গ্রেনেড হামলা

    বৈঠকে বিহারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিহার বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমরা জোট করে বিধানসভায় লড়াই করেছিলাম। বেশি সিট জেতার পরেও মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতিশ কুমারকে সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু জেডিইউ গাদ্দারি করলো। এর জবাব বিহারের মানুষ দেবে। কারণ কেউ চায় না রাজ্যে ফের লালু রাজ ফিরে আসুক।” বিহারের ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপির দখলে ১৭, জেডিইউ পেয়েছে ১৬, লোক জনশক্তি পার্টি ৬টি ও কংগ্রেস জিতেছিল একটি আসনে। তবে আরজেডি এবং জেডিইউ যদি একসঙ্গে লোকসভায় লড়ে, তাহলে চিত্রটা অন্য রকম হতে পারে। তাই আগে থেকেই কোমর বেঁধে ভোট ময়দানে নেমে পড়লেন বিহার বিজেপির কর্তারা।

  • Samar ‘Badru’ Banerjee: আর বাড়ি ফেরা হল না! প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়

    Samar ‘Badru’ Banerjee: আর বাড়ি ফেরা হল না! প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় একমাস অসুস্থ ছিলেন। এসএসকেএম-এ চিকিৎসা চলছিল। তবে সুস্থ হয়ে আর ফেরা হল না কিংবদন্তি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রয়াত হলেন প্রাক্তন অলিম্পিয়ান সমর বন্দ্যোপাধ্যায়। ময়দানে যিনি বদ্রু নামেই পরিচিত ছিলেন। শুক্রবার রাত ২টো ১০ মিনিটে এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি। ফুটবলারের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। 

    স্বাস্থ্যের ক্রমশ অবনতি হওয়ার জন্য গত ২৭ জুলাই বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বদ্রু। অ্যালঝাইমার্স, উচ্চ রক্তচাপ এবং অ্যাজোটেমিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গত কয়েক দিনে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছিল। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে।

    হাওড়ার বালিতে জন্ম। সেখানেই ফুটবলের প্রাথমিক পাঠ। ফুটবলে হাতেখড়ি বালি হিন্দু স্পোর্টিং ক্লাব এবং বালি ওয়েলিংটন ক্লাবে। ১৯৪৮-এ বালি প্রতিভা স্পোর্টিং ক্লাব কলকাতা ফুটবল লিগের তৃতীয় ডিভিশনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এরপর বিএনআর হয়ে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে তোলেন কিংবদন্তী এই ফুটবলার। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত সাত বছর মোহনবাগান ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন বদ্রু। মোহনবাগানের হয়ে ট্রফির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। ডুরান্ড কাপ জিতেছেন ১৯৫৩-এ। কলকাতা ফুটবল লিগ জিতেছেন চারবার (১৯৫৪, ১৯৫৫, ১৯৫৬, ১৯৫৯)। তার নামের পাশে আইএফএ শিল্ড তিনবার (১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৫৬)। রোভার্স কাপ জিতেছেন ১৯৫৬-এ।

    আরও পড়ুন: বাইশ গজকে বাই বাই! লর্ডসেই কি শেষ ম্যাচ ঝুলনের?

    ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। ১৯৫৬ মেলবোর্ন অলিম্পিকে ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ঘোষিত হন তিনি। দেশের হয়ে জিতেছেন কলম্বো কাপ-ও। বদ্রুর প্রয়াণে ক্রীড়ামহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাঁর প্রয়াণে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোক জ্ঞাপন করা হয়েছে মোহনবাগান ক্লাবের তরফেও।

LinkedIn
Share