Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • IMD on isolated rain: স্থানীয়স্তরে ব্যাপক বৃষ্টি মাপার প্রযুক্তি দেশে নেই জানাল আইএমডি

    IMD on isolated rain: স্থানীয়স্তরে ব্যাপক বৃষ্টি মাপার প্রযুক্তি দেশে নেই জানাল আইএমডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া দফতরের (India Meteorological Department) কাছে বর্তমানে স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্ন চরম বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়ার মতো প্রযুক্তি এখনও দেশে নেই বলে জানালেন  আর্থ সায়েন্সেস মন্ত্রকের সচিব, ডক্টর এম রবিচন্দ্রন (Dr M Ravichandran)। এ জন্যই অমরনাথে দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়েছে তীর্থযাত্রীদের। গত 8 জুলাই জম্মু ও কাশ্মীরের গান্ডারবাল জেলার অমরনাথ গুহা মন্দিরের কাছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটেনি। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন,এটা স্থানীয়স্তরে ব্যাপক বৃষ্টির ফল। তাতেই হড়পা বানে ভেসেছে অমরনাথের একাংশ। পণ্ড হয়েছে এই তীর্থযাত্রার স্বাভাবিক ছন্দ। প্রাণহানি ঘটেছে তীর্থযাত্রীদের। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের (IMD) তরফে বলা হয়েছে, অমরনাথ গুহামন্দিরের কাছেই পর্বতের শিখরে মেঘ পুঞ্জীভূত হয়েছিল। সেখান থেকে বৃষ্টি নেমেছে। 

    আরও পড়ুন: গুহার উপরেই জমাট বাঁধা মেঘ! অমরনাথে আতঙ্ক

    সোমবার আর্থ সায়েন্সেস মন্ত্রকের সচিব (Secretary, Ministry of Earth Sciences), ডক্টর এম রবিচন্দ্রন বলেছেন যে এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টির ঘটনার পূর্বাভাস দেওয়ার বিজ্ঞান “এই মুহূর্তে দেশে বিদ্যমান নেই”। তিনি বলেন, “যেমন ভূমিকম্পের ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো কোনও বিজ্ঞান নেই, তেমনই বিচ্ছিন্নভাবে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আগাম জানানোর মতো কোনও প্রযুক্তি নেই। আমাদের এই ধরনের আবহাওয়ার ঘটনাগুলির প্রক্রিয়াটি বুঝতে হবে, কোনও দেশেরই এই ধরনের পূর্বাভাস দেওয়ার বিজ্ঞান নেই।” সচিব বলেন, মন্ত্রণালয় বর্তমানে ড্রোন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য সেগুলোকে স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া স্টেশন (AWS) হিসেবে ব্যবহার করা হবে। AWS ড্রোনটি  ২ কিমি পর্যন্ত এলাকার তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সঠিকভাবে বলতে পারবে বলে ধারণা। 

    আরও পড়ুন: ভোট চাইতে রাজ্যে এসে বিবেকানন্দের ভিটে ঘুরে গেলেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু

    মৌসম ভবনের তরফে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, অমরনাথে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়নি। স্থানীয়ভাবে ভারী বৃষ্টির জেরেই হড়পা বান এসেছে। এখনও নিখোঁজ বহু ভক্ত। ইতিমধ্যে সোমবার থেকে আবার শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা ৷ পহলগাঁও রুটে প্রথম বেসক্যাম্প নুনওয়ান এবং পবিত্র গুহার আগে শেষ বেসক্যাম্প পঞ্চতারনি থেকে এগিয়েছে পুণ্যার্থীদের যাত্রা ৷ অন্তত ৫ হাজার পুণ্যার্থী সোমবার দর্শন করেছেন পবিত্র গুহায় ৷ এই নিয়ে এ বার পবিত্র গুহায় পৌঁছলেন অন্তত ১ লক্ষ ২০ হজার পুণ্যার্থী ৷

  • BJP worker Killed: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় বাতিল সরকারি অনুষ্ঠান! শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

    BJP worker Killed: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় বাতিল সরকারি অনুষ্ঠান! শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (Yuva Morcha)  নেতাকে খুনের ঘটনায় শোকাহত কর্নাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই। নিহত নেতার স্মরণে বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেশকিছু সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বাসভরাজ বোম্মাই তাঁর সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। তার মধ্যে মূল ছিল ‘জনোৎসব কনভেনশন’। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার। সেই অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে।  

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায় কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতি বাইকে চড়ে পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী প্রবীণ নেত্তারুকে ( Praveen Nettaru)। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেলারে গ্রামে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ব্যাঙ্গালুরু এবং উদুপি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও পাঠানো হয়েছে। এদিকে বিজেপি নেতার হত্যার ঘটনা সামনে আসতেই দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতা কর্মীদের বচসা বাঁধে। দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচীতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। কয়েকটি জায়গায় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। অভিযুক্তদের ধরতে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    বিজেপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে  মুখ্যমন্ত্রী জানান, যত দ্রুত সম্ভব দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হবে। তিনি আজ নিহত বিজেপি যুবকর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে এই ঘটনায় রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি। উত্তেজনা না ছড়িয়ে তদন্তে সাহায্য করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, বিজেপি নেতার খুনের সঙ্গে গত ১৯ জুলাই রাজ্যের অপর একটি খুনের ঘটনার যোগ থাকতে পারে। কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেছেন, সন্দেহভাজনরা কেরালা থেকে এসেছেন। “আমরা এসপির নেতৃত্বে পাঁচটি দল গঠন করেছি এবং তদন্ত চলছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১০ জনকে হেফাজতে নিয়েছে  তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দোষীরা শাস্তি পাবেই।”

     

  • Shinzo Abe: সূর্যোদয়ের দেশে শূন্যতা! শিনজোকে হত্যা কেন? জানুন কী বলল আততায়ী

    Shinzo Abe: সূর্যোদয়ের দেশে শূন্যতা! শিনজোকে হত্যা কেন? জানুন কী বলল আততায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্ত জাপান শুক্রবার হয়ে উঠেছিল অশান্ত। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে নারা শহরে আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান  জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। গুলি করার পরই এলাকা থেকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করছিল তেতসুয়া ইয়াগমি। তবে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। জাপান পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ৯০ সদস্যের একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। যাঁরা এই ঘটনার তদন্ত করছে।

    আরও পড়ুন: খুনের লক্ষ্যেই বন্দুক বানানো! অকপট স্বীকারোক্তি আবের আততায়ীর

    বাড়িতে তৈরি শটগান দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালানো তেতসুয়া পুলিশি জেরার মুখে জানিয়েছে, সে শিনজো আবেকে হত্যা করেছে তবে, হামলা করতে চেয়েছিল অন্য একজনকে। যে ব্যক্তি তেতসুয়ার নিশানায় ছিলেন তিনি একজন ধর্মগুরু। তিনি তেতসুয়ার মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ তেতসুয়ার। সেই ধর্মগুরুকে হত্যা করতে চেয়ে শিনজো আবের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে তেতসুয়া। প্রয়াত শিনজো আবে ওই ধর্মগুরু ও তাঁর সংগঠনকে আরও প্রচারে নিয়ে আসেন তাঁর শাসনকালে। এমনই অভিযোগ তেতসুয়ার। আর সেই রাগ থেকেই সে শিনজোর ওপর গুলি চালায় সে। জাপানের নারা শহরে তেতসুয়ার বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ বহু অস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে।

    [tw]


    [/tw]

    উল্লেখ্য, জাপানে সব থেকে বেশি দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আবে। এক সময়ে জাপানি অর্থনীতিকে মন্দা থেকে টেনে তোলার জন্য বিশ্বে জনপ্রিয় হয়েছিল তাঁর— ‘আবেনমিক্স’। অথচ, তাঁকে ঘোর অপছন্দ বলেই হত্যা করেছে আততায়ী! শারীরিক অসুস্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ২০২০ সালে সরে দাঁড়ান শিনজো। তবে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি। প্রিয় নেতার শোকে মুহ্যমান জাপান। ‘সূর্যোদয়ের দেশে’ শনিবার ছিল বিষণ্ণতার ছাপ। শোকের ছায়া ভারতেও। প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে গভীরভাবে ব্যথিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবারই জাতীয় শোক ঘোষণা করে নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয়, শনিবার অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। দেশজুড়ে পালিত হবে রাষ্ট্রীয় শোক। সেই মতোই এদিন দেশের সমস্ত অফিস ও সরকারি কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বাতিল করা হয় বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান।

  • Nupur Sharma case: নূপুরকে ভর্ৎসনা! সুপ্রিম পর্যবেক্ষণের সমালোচনায় আদালত অবমাননা হয়নি, মত অ্যাটর্নি জেনারেলের

    Nupur Sharma case: নূপুরকে ভর্ৎসনা! সুপ্রিম পর্যবেক্ষণের সমালোচনায় আদালত অবমাননা হয়নি, মত অ্যাটর্নি জেনারেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণের সমালোচনার মামলায় প্রাক্তন বিচারক ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার অনুমতি দিলেন না দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল (Attorney General KK Venugopal)।

    আদালত অবমাননা আইনের ১৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টে কোনও ব্যক্তি যদি আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করতে চান, তা হলে অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্মতি প্রয়োজন হয়। তাই আইনজীবী সিআর জয় সুকিন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালের কাছে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি এসএন ধিংড়ার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অবমাননার মামলা শুরু করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। বেণুগোপালকে পাঠানো আবেদনে ওই আইনজীবী লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট নূপুর মামলায় যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন, বেআইনি এবং অনৈতিক বলে অভিহিত করেছেন বিচারপতি ধিংড়া।’ পাশাপাশি সুকিন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কড়া সমালোচনার অভিযোগে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আমন লেখি ও প্রবীণ আইনজীবী কে রামকুমারের বিরুদ্ধেও অবমাননার মামলা শুরু করার আবেদন জানান বেণুগোপালের কাছে। এই দু’জনের বিরুদ্ধেও সুপ্রিম কোর্টের নূপুর পর্যবেক্ষণের সমালোচনার অভিযোগ করেছেন সুকিন।

    আরও পড়ুন: ৩৩ কোটি হিন্দু দেব দেবীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন! দুঃখিত আজমীর শরিফের ধর্মগুরু আদিল চিস্তি

    যদিও অ্যাটর্নি জেনারেল সুকিনের আবেদনে সাড়া দেননি। বেণুগোপাল জানিয়েছেন, নীতিগত এবং যুক্তিসঙ্গত সমালোচনা আদালত অবমাননার আওতায় পড়ে না।  তাই নতুন করে মামলা শুরু করার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত, পয়গম্বরকে নিয়ে নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সারা দেশে বিভিন্ন থানায়  তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়র করা হয়। নূপুর সেই সমস্ত অভিযোগকে এক সঙ্গে দিল্লিতে স্থানান্তরের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নূপুরকে ভর্ৎসনা করে এবং বলে, দেশে যে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য একা নূপুর দায়ী। সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণে আপত্তি জানান দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ধিংড়া-সহ কয়েক জন। 

  • RBI: “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! সম্মতি আরবিআইয়ের

    RBI: “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! সম্মতি আরবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ান কারেন্সি রুবেলকে এদেশের মুদ্রা রুপিতে রূপান্তরিত করে চলবে ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা চলছিল। এবার তাতে সম্মতি দিল আরবিআই (RBI)। এটা করতে গেলে রুশ ব্যাংকগুলিকে ভারতীয় ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুপি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একইভাবে ভারতীয় ব্যাংকগুলিও রাশিয়ার ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুবল অ্যাকাউন্ট খুলবে। দুই দেশই অ্যাকাউন্টে একশো কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের রুপি এবং রুবল জমা রাখবে। এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলেই ডলার এড়িয়েই দিব্যি বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবে পুতিনের রাশিয়া এবং মোদির (Modi) ভারত। শুধু রাশিয়া নয় রুপির সঙ্গে যে কোনও দেশই এই বিনিময় করতে পারবে। এর ফলে ইরান-সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের লেনদেন সহজ হবে।

    রাশিয়া ইউক্রেনে (Russia Ukraine) সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই রুবেলের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে থাকে পশ্চিমী দেশগুলি। এমতাবস্থায় ভারত স্থানীয় মুদ্রা (রুপি বা রুবেল) ব্যবহার করে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সহজতর করার জন্য ভাবনা চিন্তা করে ভারত। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১০.৮ বিলিয়ন ডলার। যা কিনা দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির মোট বাণিজ্যের থেকে ১.৫ শতাংশ কম। রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপায় পশ্চিমের দেশগুলি। যা ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সরবরাহকে ব্যহত করে ও ফলে দাম বৃদ্ধি পায় নানা আমদানি করা পণ্যের। যা ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের পরিস্থিতিকে ঘোরালো করে তুলেছে। তাই নয়া এই নীতি গ্রহণ করা হল, বলে মনে করছে অর্থনৈতিক মহল। 

    ভারতীয় টাকা বা রুপির (Rupee) পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন ডলারের (US Dollar) সাপেক্ষে সর্বকালের সর্বনিম্নস্তরে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় টাকা (Indian Rupee)। দেখা যায়, ৭৯.৫৫-র স্তরে চলে গিয়েছে রুপি (Rupee)। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, বাণিজ্যে ঘাটতি বৃদ্ধি, ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভে পতন, ফরেন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরস বা এফআইআই (FII)-এর বহির্গমন এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভারতীয় টাকা বেশ চাপের মধ্যেই রয়েছে। তাই আরবিআইয়ের এই প্রয়াস বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

  • India steps up vigil: ভারত-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে তৎপর উপকূল রক্ষী বাহিনী

    India steps up vigil: ভারত-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে তৎপর উপকূল রক্ষী বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে তৎপর দেশের উপকূল রক্ষী বাহিনী। রাজনৈতিক সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে সেখান থেকে দেশে অনুপ্রবেশ রুখতে সক্রিয় ভারত। তাই সামুদ্রিক সীমান্তে হোভারক্রাফ্ট, বিমান এবং টহলদারি নৌকা মোতায়েন করা হয়েছে। এর ফলে দেশে অনুপ্রবেশ রোখা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তামিলনাড়ু উপকূল থেকে কেরালা উপকূলের কিছু অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, উপকূলরক্ষী মোতায়েন রয়েছে। তারা সর্বদা সচেতন। 

    আরও পড়ুন: রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা
     
    দ্বীপরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক সংকট শুরু হওয়ার পরপরই নজরদারি ক্রমে বাড়ানো হয়। গণবিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা (Srilanka)। বিক্ষোভকারীদের জন্যে ঘর-ছাড়া খোদ শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি। অন্যদিকে প্রবল গণ-আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রনিল বিক্রমসিংঘে (Ranil Wickremesinghe)। পদ ছেড়েও স্বস্তিতে নেই প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে লোক ঢুকে গিয়েছে।  খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। ১৯৪৮ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের (Economic Crisis) মধ্যে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ। সূত্রের খবর, সেখান থেকে অনেকেই তামিলনাড়ু ও কেরল উপকূল দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে। তবে সেই সংখ্যাটা খুব বেশি নয়, বলেই স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। কিন্তু যেকোনও অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রেই সদা সতর্ক ভারত। তামিলনাড়ু উপকূলীয় পুলিশ কঠোরভাবে পাহাড়া দিচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের

    তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষায় সমুদ্র উত্ত্বাল হয়ে উঠবে। তাই এই অবস্থায় ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের জন্য সমুদ্রপথ ব্যবহার করার চেষ্টা করলে খুব একটা সুবিধে হবে না। অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে প্রকৃতি প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। উপকূল রক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে,  ডর্নিয়ার সার্ভিল্যান্স এয়ারক্রাফ্ট সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারির জন্য সর্বদা সক্রিয়। মায়ানমারের মান্দালেতে মোতায়েন করা হোভারক্রাফ্ট ইউনিটগুলিও নজরদারি চালাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • Kaali poster row: কালী পোস্টার বিতর্কে আদালতের সমন লীনাকে! নিজের মন্তব্যে অনড় পরিচালক

    Kaali poster row: কালী পোস্টার বিতর্কে আদালতের সমন লীনাকে! নিজের মন্তব্যে অনড় পরিচালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পোস্টার বিতর্কে আরও সমস্যায় লীনা মণিমাকেলাই (Kaali filmmaker Leena Manimekalai)। কালী তথ্যচিত্রের নির্দেশক লীনার বিরুদ্ধে এবার সমন জারি করল দিল্লির এক আদালত। হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার জেরে এ বার পরিচালককে তলব করল দিল্লির তিস হাজারি আদালত। সমন গিয়েছে লীনা মণিমেকলাইয়ের নামে। পাশাপাশি অবিলম্বে এই ছবি বন্ধের নির্দেশ মিলেছে উপরমহল থেকে। তবে বিচারক অভিষেক কুমার জানান, আদালত এ নিয়ে কোনও আদেশ দেওয়ার আগে শুনানি হওয়া প্রয়োজন। তাই আগামী ৬ অগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

    হিন্দু দেবী মা কালীর অপমানের অভিযোগ উঠেছে Kaali তথ্যচিত্রের পরিচালকের উপর। ছবির পোস্টারে দেখা গিয়েছে কালীর (Kaali Movie Row) বেশে এক তরুণী, তাঁর হাতে জ্বলন্ত সিগারেট। এই তথ্যচিত্রের পোস্টার নজরে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে। এই পোস্টারের বিরুদ্ধে দিল্লি কোর্টের দ্বারস্থ আইনজীবী রাজ গৌরব। তাঁর দাবি, কালী তথ্যচিত্রের পোস্টারে কালী বেশী অভিনেত্রীর ধূমপানের ছবি হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: পোস্টার বিতর্কের মধ্যেই মোদির মুখে কালীকথা, তৃণমূলকে জবাব?

    হিন্দু দেবীকে অশালীন ভাবে চিত্রিত করার অভিযোগে লীনার তৈরি তথ্যচিত্রের পোস্টার এবং প্রচার ভিডিয়োর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনও। পোস্টারে ঠোঁটে জ্বলন্ত সিগারেট, হাতে এলজিবিটি-র সাতরঙা পতাকাধারী ‘কালী’কে মেনে নিতে পারেননি ভারতীয় হিন্দু সমাজ। তাঁরা ভক্তিরসে সিক্ত এবং অসুর নিধনে ব্যস্ত দেবী কালীরই আরাধনা করেন। 

    গত ২ জুন ট্যুইটারে নিজের ডকুমেন্টারির এই পোস্টার ট্যুইট করেছিলেন লীনা। বিতর্কের মধ্যেও নিজের মন্তব্যে অনড় তিনি। প্রতিদিন এই বিতর্কের জেরে অন্তত ২ লাখ অ্যাকাউন্ট থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি পাচ্ছেন বলে দাবি করেন কানাডা নিবাসী চিত্র পরিচালক। লীনা ট্যুইটে দাবি করেন, “আমার কালী ভিন্ন। তিনি একজন মুক্ত চিন্তাধারার মানুষ। তিনি সকলকে কাছে টেনে নিতে জানেন।” 

  • Indian Army: দেশীয় প্রযুক্তিতে ভরসা! ভারতীয় সেনার হাতে টাটার নয়া সামরিক যান

    Indian Army: দেশীয় প্রযুক্তিতে ভরসা! ভারতীয় সেনার হাতে টাটার নয়া সামরিক যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় প্রযুক্তির দ্বারা সামরিক বাহিনীকে সাজাতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তাঁর মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে দেশ। তারই এক ধাপ হিসেবে ভারতীয় সেনার হাতে কুইক রিঅ্যাকশন ফাইটিং ভেইকেল (QRFV) তুলে দিল টাটারা। দেশীয় প্রযুক্তিতে এই যুদ্ধ যান তৈরি করেছে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম লিমিটেড (Tata Advanced Systems Limited)। সম্প্রতি এক ট্যুইট বার্তায় কোম্পানির তরফে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।

    মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইটে ভিডিও পোস্ট করে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম লিমিটেড (TASL) লিখেছে, “ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে সফলভাবে QRFV তুলে দেওয়া হয়েছে।” কোম্পানির তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে ভবিষ্যতে যে কোন রকমের সংঘর্ষের সময় এই যান ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারবে।

    [tw]


    [/tw]

    সম্প্রতি প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট বলেছিলেন  কেন্দ্র সরকার গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি নীতিগত উদ্যোগ নিয়েছে। মূলত দেশীয় প্রযুক্তি ও ডিজাইন ব্যবহার করে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে উৎসাহিত করার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উৎপাদন সম্প্রসারণকেই পাখির চোখ করেছে মোদি সরকার।সম্প্রতি রাজ্যসভায় লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত গত চার বছরে দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য কেন্দ্রের উদ্যোগে বিদেশ থেকে প্রতিরক্ষা আমদানি ৪৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৬ শতাংশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৮ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কিনছে সেনা! অনুমতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের

    এপ্রিল মাসে, সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে QRFV-এর প্রথম সেট অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলে আসছে কেন্দ্র। সেই পথে নতুন দিশা দেখাবে টাটা অ্যাডভ্যান্সড  সিস্টেমের ডেলিভারি, বলে আশা প্রতিরক্ষা মহলে।

  • Goa Crisis: গোয়ার পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ক গেলেন কোথায়? ভাঙন রুখতে সক্রিয় সোনিয়া

    Goa Crisis: গোয়ার পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ক গেলেন কোথায়? ভাঙন রুখতে সক্রিয় সোনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোয়ায় এখন কংগ্রেস (Goa Congress) দুভাগে বিভক্ত। পাঁচজন বিধায়কের দল বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার জন্য় একেবারে তৈরি হয়ে রয়েছে। অন্য শিবিরে রয়েছে ৬জন কংগ্রেস বিধায়ক (Congress MLA)। তাঁরা বিদ্রোহী বিধায়কদের আটকাতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি মুকুল ওয়াসনিককে গোয়ায় পাঠিয়েছেন  কংগ্রেস সভানেত্রী (অন্তর্বর্তীকালীন) সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। রবিবার গোয়ায় কংগ্রেস (Goa Politics) পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছিলেন এআইসিসির (AICC) সাধারণ সম্পাদক দীনেশ গুণ্ডুরাও। তাতে ১১ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ৬ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গেই কথা বলেছেন ওয়াসনিকরা। কংগ্রেসের দাবি, অন্তত এই ছ’জন বিধায়কের দলত্যাগ রোখা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিজয় মালিয়াকে ৪ মাসের সাজা শোনালো শীর্ষ আদালত, সঙ্গে জরিমানা

    কংগ্রেসেরর মুখ্য সচেতক কার্লোস ফেরাইরা জানিয়েছেন, “যখন একটি গুজব ছড়িয়েছে তখনই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।  আমরা একসঙ্গে বসতে চেয়েছিলাম। বাস্তব পরিস্থিতিটা কী সেটাই আমরা জানতে চেয়েছি। কিন্তু অন্য শিবির তাতে সায় দেয়নি। এর পিছনে অন্য কারুর মদত রয়েছে।” সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ‌্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত-সহ ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। দলত্যাগের পরিকল্পনাও তিনিই করেছেন বলে দাবি কংগ্রেসের।  এই কামাত এক সময় গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ছিলেন। গোয়া কংগ্রেসের চরম দুঃসময়েও দলের সঙ্গে ছিলেন। ক্ষমতায় ফিরলে গোয়ায় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদারও তিনিই হতে পারতেন।  কিন্তু তাঁর মন বদলের জবাব পাচ্ছে না কংগ্রেস। যড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার জন‌্য রবিবার কংগ্রেস বিরোধী দলনেতার পদ থেকে মাইকেল লোবোকে সরিয়ে দিয়েছে।

    কংগ্রেস নেতা দীনেশ গুন্ডু রাও জানিয়েছেন, “আমাদের দলকে দুর্বল করার জন্য দুজন নেতা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চক্রান্ত করছে। আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। আমরা দুজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিজেপির কাছ থেকে ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার জন্য় কামাত এই চক্রান্ত করছেন বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। লোবোকেও বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরানো হচ্ছে।” বিজেপির রাজ‌্য সভাপতি সদানন্দ তানাভড়ে অবশ‌্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।

  • India Vs World XI Cricket Match: বিরাট-রোহিতদের সামনে বাবর-ওয়ার্নাররা! ভারত বনাম বিশ্ব একাদশ ম্যাচ চাইছে কেন্দ্র

    India Vs World XI Cricket Match: বিরাট-রোহিতদের সামনে বাবর-ওয়ার্নাররা! ভারত বনাম বিশ্ব একাদশ ম্যাচ চাইছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে বছরভর ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ (Azadi ka Amrit Mahotsav) পালন করছে কেন্দ্র। সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসাবে আগামী ২২ আগস্ট ভারত বনাম বিশ্ব একাদশের ম্যাচ চাইছে সংস্কৃতি মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই বিসিসিআইকে (BCCI) এই ধরনের ম্যাচ আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।

    বোর্ডের তরফে জানা গিয়েছে, গোটা বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আয়োজন এবং যাতায়াতই মূল সমস্যা। বোর্ডের এক সূত্রের খবর, “ভারত সরকারের থেকে এ রকম প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। ভারত একাদশ তৈরি করা যাবে। কিন্তু বিশ্ব একাদশের ক্ষেত্রে অন্তত ১৩-১৪ ক্রিকেটারকে তৈরি রাখতে হবে এবং তাঁদের পাওয়া যাবে কি না, সেটা দেখতে হবে।” সেই সময়ে ইংল্যান্ডে ঘরোয়া ক্রিকেট (English County)চলবে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগও (CPL)শুরু হয়ে যাচ্ছে। সব ক্রিকেটারকে পাওয়া যাবে কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দেশ ছাড়লেও ক্রিকেটাররা ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ব্যস্ত থাকতে পারেন। সেদিকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। ক্রিকেটারদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কিনা সেটাও একটা ব্যাপার। বোর্ড সূত্রের খবর, আগামী ২২ থেকে ২৬ জুলাই আইসিসির (ICC) বার্ষিক কনফারেন্স আছে। বোর্ড কর্তারা সেই কনফারেন্সে থাকবেন। সেখানেই অন্যান্য বোর্ডের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন। বিদেশি ক্রিকেটারদের পেলে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে বিসিসিআই। দেশের স্বাধীনতা উদযাপনের জন্য দেশীয় ক্রিকেটার সর্বদাই খেলতে প্রস্তুত বলে বোর্ড সূত্রে খবর। এমনিতেই ভারতের বিরুদ্ধে জিম্বাবোয়ের সিরিজ শেষ হচ্ছে ২০ অগস্ট। সেই সিরিজের ক্রিকেটারদের হয়তো পাওয়া যাবে না। তবে আশার কথা, ওই সিরিজে ভারতের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা কেউই হয়তো খেলবেন না। সে ক্ষেত্রে কোহলি-রোহিতদের পাওয়া যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: আইএসএসএফ শুটিং বিশ্বকাপে স্বর্ণপদক পেয়ে জয়ী ভারতের অর্জুন বাবুতা

    ভারত বনাম বিশ্ব একাদশ বা এশিয়া একাদশ ম্যাচ সচরাচর হয় না। তবে এই ধরনের ম্যাচ ঘিরে দর্শকদের উদ্দীপনা থাকে প্রচুর। তাই স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ভারত বনাম বিশ্ব একাদশের ম্যাচ চাইছে কেন্দ্র।  কেন্দ্রের তরফে বিসিসিআইকে এই ম্যাচ আয়োজনের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে, কোথায় খেলা হবে এবং কোন ফরম্যাটে খেলা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। প্রাথমিকভাবে খবর, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দিল্লির ফিরোজ শা কোটলা মাঠে খেলার সম্ভাবনা বেশি। 

LinkedIn
Share