Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Kanwar Yatra: কানোয়ার যাত্রা-পথে প্রকাশ্যে মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ, নয়া নির্দেশিকা যোগীর

    Kanwar Yatra: কানোয়ার যাত্রা-পথে প্রকাশ্যে মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ, নয়া নির্দেশিকা যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৪ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কানোয়ার যাত্রা (Kanwar Yatra)। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে সারা দেশের হাজার হাজার ভক্ত কানোয়ার যাত্রায় যান। গত দু’বছর করোনার কারণে এই যাত্রা বন্ধ ছিল। এ বছর পুনরায় শুরু হচ্ছে কানোয়ার-যাত্রা। এই যাত্রা পথে ভক্তদের সবরকম সুবিধা দিতে প্রস্তুত উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকার। কানোয়ার যাত্রার পথে কোথাও প্রকাশ্যে মাংস বিক্রি করা যাবে না। সম্প্রতি এই নির্দেশিকা জারি করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Chief Minister Yogi Adityanath)। ইতিমধ্যে স্থানীয় এবং জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খবর পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মাংস বিক্রেতাদের কাছ।

    আরও পড়ুন: চতুর্থ সি-ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর, ছবি প্রকাশ নৌসেনার

     গোবলয়ের অতিরিক্ত স্বরাষ্ট্র মুখ্যসচিব অবনীশ অবস্তি (Additional Chief Secretary-Home- Awanish Awasthi) জানিয়েছেন কানোয়ার যাত্রা শান্তিপূর্ন ভাবে সম্পন্ন করার জন্য সবরকম পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে যে পথ ধরে তীর্থযাত্রীরা যাবেন, সেই পথ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কানোয়ার যাত্রীরা যাতে নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণ ভাবে যাত্রা সম্পন্ন করতে পারেন তার জন্য বদ্ধপরিকর সরকার। বরেলির পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট (Senior Superintendent of Police, Bareilly) সত্যার্থ অনিরুদ্ধ পঙ্কজ (Satyarth Aniruddha Pankaj)জানিয়েছেন, “আমরা সমস্ত মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই ক’দিন প্রকাশ্যে ওই পথে কোথাও যেন মাংস বিক্রি না করা হয়। ব্য়বসায়ীরা আমাদের কথাও দিয়েছেন তাঁরা এই নির্দেশ মেনে চলবেন।”

    আরও পড়ুন: গোয়ার পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ক গেলেন কোথায়? ভাঙন রুখতে সক্রিয় সোনিয়া

    প্রসঙ্গত,কানোয়ার যাত্রায় প্রতিবছর সমিল হন হাজার হাজার তীর্থযাত্রী। হরিদ্বার, গোমুখ, গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাজ‌ল নেওয়াই কানোয়ার যাত্রার উদ্দেশ্য। এরপর সেই জল ভগবান শিবের মাথায় ঢালা হয়। আটের দশকে কানোয়ার যাত্রা বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। তার আগে অল্প সংখ্যক মানুষ এবং সন্ন্যাসী এই যাত্রায় যেতেন। কিন্তু আটের দশকের পর থেকে সারা ভারত থেকে শিবভক্তরা গঙ্গা জল সংগ্রহের জন্য প্রতি বছর এই যাত্রা করে থাকেন।  গত দু’বছর অতিমারীর কবলে পড়ে বন্ধ থেকেছে এই যাত্রা। এবার তাই উৎসাহ-উদ্দীপনা আরও বেশি। 

  • Medha Patkar: প্রতারণা করেছেন মেধা পাটকর! এফআইআর দায়ের

    Medha Patkar: প্রতারণা করেছেন মেধা পাটকর! এফআইআর দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর নেতৃত্বেই শুরু হয়েছিল ‘নর্মদা বাঁচাও’ (Narmada Bachao movement) আন্দোলন। এবার সেই সমাজকর্মী (Social Activist) মেধা পাটকর (Medha Patkar)-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সংগৃহীত তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠল। তাঁর  বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতারণা ও দেশ বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগও। মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি থানায় (Barwani Police Station) এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, আদিবাসী শিশুদের (Tribal children) মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের নামে ১৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় (IPC section 420) মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বিজেপি শাসিত শিবরাজ সরকারের পুলিশ। মেধা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনার নয়া রণকৌশল, চিনকে কুপোকাত করতে মান্দারিন ভাষা শিক্ষা

    ২০০৪-এ আদিবাসী শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে ‘নর্মদা নবনির্মাণ অভিযান’ (Narmada Navnirman Abhiyan) নামে একটি অলাভজনক সংগঠন তৈরি করা হয়। এই সংগঠনেরই ট্রাস্টি বোর্ডের (Trustee Board) অন্যতম সদস্য মেধা পাটকর। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারী প্রীতম রাজের (Pritam Raj) দাবি, ১৩.৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন মেধা সহ ১২ জন। সংস্থার ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে ১৪ বছরের ওই সংগৃহীত অর্থের কোনও হিসেব নেই। দেশবিরোধী প্রচারে ওই অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। শনিবার দায়ের হওয়া এফআইআরে মেধা ছাড়াও নাম রয়েছে পারভিন রুমি জাহাঙ্গির, বিজয়া চৌহান ও প্রমুখের। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে মেধা পাটকরের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। ইডি ছাড়াও মেধা ও তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে একই অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স ও আয়কর দপ্তর।

    মেধা পাটেকর অবশ্য সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। সমাজকর্মী জানিয়েছেন, ‘প্রত্যেকটি আর্থিক বিষয় নিয়ে আমাদের কাছে অডিট রিপোর্ট রয়েছে। আমরা দিল্লির উপরাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলাতেও জিতেছি। কারণ আমরা বিদেশ থেকে অনুদান গ্রহণ করি না। ভবিষ্যতেও সব প্রশ্নের জবাব দেব, প্রমাণও পেশ করব।’

     

  • FIFA 2022: কাতারে নতুন বিয়ার পলিসি! না কি ফুটবল বিশ্বকাপের আসরে স্টেডিয়ামে মদ্যপান নিষিদ্ধ

    FIFA 2022: কাতারে নতুন বিয়ার পলিসি! না কি ফুটবল বিশ্বকাপের আসরে স্টেডিয়ামে মদ্যপান নিষিদ্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের নভেম্বরে কাতারে বসছে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। ৯২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মুসলিম অধ্যুষিত দেশে হবে ফিফা বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022)। কাতারে (Qatar) মদ বিক্রি হয়। তবে প্রকাশ্যে মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা (Beer Policy) রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফিফা ও বিশ্বকাপের আয়োজকদের ভেবেচিন্তে পা ফেলতে হচ্ছে। বিশ্বের বেশিরভাগ ফুটবল দর্শক বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ও লাতিন আমেরিকান দর্শকরা বিয়ার পান করতে করতে ফুটবল দেখায় অভ্যস্ত। কিন্তু কাতারে স্টেডিয়ামের ভিতরে বিয়ার নিষিদ্ধ। পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থা বুডউইজার আবার বিশ্বকাপের অন্যতম স্পনসর। 

    ফিফা ও আয়োজকদের আশা, ফুটবল মহাযুদ্ধের সাক্ষী থাকতে ১২ লক্ষ দর্শক কাতারে যাবেন। ফিফার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ওই পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থা এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ফিফা বিশ্বকাপে দর্শকাসনে বসে ফুটবলপ্রেমীরা বুডউইজার জিরো ও বুডউইজার পান করতে পারবেন। এতেই মনে করা হচ্ছে, দর্শকাসনে নন-অ্যালকোহলিক পানীয় পান করতে হবে ফুটবলপ্রেমীদের। তবে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। রক্ষনশীল কাতারে বান্ধবী নিয়ে এসে বিশ্বকাপ দেখার সম্ভবনায় দাঁড়ি টেনেছে উদ্যোক্তা দেশ।  কাতারের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হোটেলে  স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও নারীর সঙ্গে চেক ইন করায় নিষেধাজ্ঞা আছে।  সেই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বিশ্বকাপ এর সময়েও। এবার বিয়ারে কোপ পড়লে দর্শকদের মনোরঞ্জনে খামতি থেকে যাবে বলে মনে করছে ক্রীড়া ট্যুরিজম সংস্থাগুলি। তাই নিয়মে কিছু বদল আনতে চাইছে ফিফা। আর্থিক চুক্তি ও স্পনসরদের কথাও ভাবতে হচ্ছে তাদের।

    কাতারে বিভিন্ন ক্রীড়াক্ষেত্রের বড় বড় ইভেন্ট হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ। তখনও বিশেষ অ্যালকোহল পলিসি তৈরি করা হয়েছিল। ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের সময় সুরাপ্রেমীদের জন্য ড্রিঙ্কিং জোন তৈরি করা হয়েছিল দোহার কাছেই একটি গল্ফ ক্লাবে। সেখানে বিয়ার মিলেছিল শহরের নামী হোটেলগুলির তুলনায় অনেকটাই কম দামে। এবার সেরকম কিছু করার কথাই ভাবা হচ্ছে। 

    উল্লেখ্য, ২৯টি দল নিয়ে গত ২ এপ্রিল কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র। বাকি ৩ দলকে সম্ভাব্য তালিকায় রেখে এই ড্র অনুষ্ঠান সাজানো হয়। শেষ দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে কোস্টারিকা। ৩২টি দল নিয়ে ফুটবল বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে ২১ নভেম্বর, চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। 

  • RSS On Udaipur Incident : উদয়পুর-কাণ্ডে মুসলিমরাও স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে সামিল হোন! আর্জি আরএসএসের

    RSS On Udaipur Incident : উদয়পুর-কাণ্ডে মুসলিমরাও স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে সামিল হোন! আর্জি আরএসএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুরে  (Udaipur) হিন্দু দর্জি কানাহাইয়া লালকে (Hindu Tailor Kanhaiya Lal) নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানো থেকে বিরত থাকতে মুসলিম সম্প্রদায়ের (Muslim Community) প্রতি আবেদন জানাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। সেই সঙ্গে ওই ঘটনার নিন্দা করার জন্য মুসলিমদের কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। উদয়পুরে হিন্দু দর্জি খুনের ঘটনায় দেশ উত্তাল হলেও এই প্রথম প্রতিক্রিয়া জানাল আরএসএস (RSS)। 

    সাসপেন্ডেড বিজেপি (BJP) নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট (Facebook Post) করার দায়ে খুন করা হয়েছিল উদয়পুরের বাসিন্দা হিন্দু দর্জি কানহাইয়া লালকে। হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ এবং সাংবিধানিক পথে এই ঘটনার প্রতিবাদ করছে ৷ মুসলিমদেরও উচিৎ সেই বিক্ষোভে সামিল হওয়া ৷ উদয়পুর-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতেই এই অভিমত জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। আরএসএস মুখপাত্র সুনীল আম্বেদকর (RSS Spokeperson Sunil Ambekar) বলেন, “আমাদের সকলের একসঙ্গে প্রতিবাদ করা উচিত”। তিনি বলেন, “ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। কোনও কিছু না পছন্দ হলে সবার অধিকার আছে প্রতিবাদ জানানোর। কিন্তু তা গণতান্ত্রিকভাবেই করতে হবে। সভ্য সমাজে কখোনই এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। হিন্দুরা যেমন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তেমনই উদয়পুরের মতো ঘটনা থেকে বিরত থাকতে হবে মুসলিম সম্প্রদায়কেও।”

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট

    সম্প্রতি রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রান্ত প্রচারকদের নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিল আরএসএস। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সঙ্ঘের প্রধান তথা সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat), সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসবোলে (Dattatreya Hosbole) সহ সঙ্ঘের শীর্ষ নেতারা। অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারকদের নিয়ে তিন দিন ধরে বৈঠক চলে ৷ শিবিরের শেষ দিনে মুখপাত্র জানান, এখন দেশে আরএসএস-এর শাখার সংখ্যা ৫৬ হাজার ৮২৪। ২০২৫-এ সংঘের একশো বছর ৷ ২০২৪-এ তার আগে সংঘের শাখা এক লক্ষে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে সংগঠন। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করবে আরএসএস, এমনটাই জানানো হয় সংঘের তরফে ৷

  • Recession: দেশে এখনই মন্দার সম্ভাবনা নেই! জানুন কী বলছেন অর্থনীতিবিদরা

    Recession: দেশে এখনই মন্দার সম্ভাবনা নেই! জানুন কী বলছেন অর্থনীতিবিদরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু ভারত (India) নয়, গোটা বিশ্বই মুদ্রাস্ফীতির এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই মন্দা (recession) অত্যন্ত ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে। বেশ কিছু বড় দেশে এই মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক মন্দার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়তে চলেছে। তবে বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ এখনও খোলা রয়েছে ভারতের সামনে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে এক সমীক্ষায়।

    আরও পড়ুন: ফের ৫টি ভারতীয় জলাভূমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হল রামসার সাইটে

    সম্প্রতি সারা বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা একটি সমীক্ষা করে দেখেছেন, বহু দেশের অর্থনীতি আগামী এক বছরের মধ্যে মন্দার সম্মুখীন হতে পারে। কিন্তু ভারতে সেই সংকটের সম্ভাবনা শূন্য। শ্রীলঙ্কা বর্তমানে আর্থিক সংকটের মুখে। সেখানে আগামী এক বছরে মন্দায় পড়ার সম্ভাবনা ৮৫ শতাংশ। কিন্তু ভারতের উপর বিশ্বব্যপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব হবে মাঝারি এবং স্বল্পমেয়াদী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার প্রভাব দেশে পরোক্ষভাবে পড়বে। মার্কিন মন্দা ভারতের রপ্তানিকে মন্থর করতে পারে তবে সেক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দামও কমে যাবে যা ইতিবাচক। রপ্তানি বাজার হিসাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর প্রচুর নির্ভরতার কারণে ভারতের রপ্তানি নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হবে এবং বিশ্ব বাণিজ্য ধীর হয়ে যাবে, বলে দাবি অর্থনীতিবিদদের।

    আরও পড়ুন: ২৩ তম কার্গিল বিজয় দিবসে বীর শহীদদের শ্রদ্ধার্ঘ্য বলিউড তারকাদের

    সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (RBI) তরফে স্টেট অব ইকোনমি রিপোর্টে জানানো হয়েছিল যে, বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছতে চলেছে। এর প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতেও পড়তে চলেছে। তবে এই মুদ্রাস্ফীতি থেকে মুক্তি পাওয়ার  উপায় রয়েছে ভারতের কাছে। রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের তরফে জানানো হয়, যদি নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম কমানো হয় এবং সরবরাহ চেইনের উপরে তৈরি চাপ কমানো হয়,তবে মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। এই নীতি অনুসরণ করা হলে যদি দেশের অর্থনীতির উপরে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়ে,তবুও সেই প্রভাব খুব একটা গুরুতর হবে না।

  • India-China conflict: পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের যুদ্ধবিমান

    India-China conflict: পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের যুদ্ধবিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার লাদাখ সীমান্তে চিন সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশের চেষ্টা। জুনের শেষ সপ্তাহেই পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার(LAC) খুব কাছে চলে আসে চিনা যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) রাডারে তা ধরা পড়তেই সতর্কতা জারি হয় সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সরকারি স্তরে আলোচনা হয়েছে। এই ধরনের কোনও ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে তা নিয়েও চিনকে সতর্ক করেছে ভারত।

    সূত্রের খবর, বিভিন্ন সময় চিনের সেনাবাহিনীর তরফে ভারতীয় সেনাকে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকমাসে সরাসরি আকাশসীমা লঙ্ঘনের এরকম ঘটনা এই প্রথম বলেই জানা গেছে। এমনিতে পূর্ব লাদাখে (Ladakh) নিজেদের দখলে থাকা এলাকায় চিনা বিমানবাহিনী বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের সক্রিয়তা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। মহড়া চলাকালীন বিমানবাহিনীর তরফে বেশ কিছু সমরাস্ত্রেরও ব্যাপক ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালেও ভারত চিনের আগ্রাসনের কড়া জবাদ দিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, এই বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কথা হয়েছে।  তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের বৈঠকে আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরে আলোচনা করেছে দুপক্ষের আধিকারিকেরা। যদিও তার পর থেকে চিনের তরফে ভারত সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটানো হয়নি বলেই জানা গেছে।

    আরও পড়ুন: শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না, সাফ জানালেন উদ্ধব

    সীমান্ত বিবাদ নিয়ে এখনও নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দুই দেশ। তার মধ্যেই এই চিনা সক্রিয়তার কথা সামনে আসতে নড়েচড়ে বসেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। দফায় দফায় আলোচনার পর কিছু জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে সাময়িক ভাবে স্থিতাবস্থা ফেরানো হলেও মাঝে মাঝে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা তৈরি হয়। সম্প্রতি বালিতে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বৈঠকে অংশ নিতে গিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখতে চায় ভারত। তবে, আগ্রাসনের চেষ্টা হলে ভারত তার যোগ্য জবাব দেবে।

  • Maharashtra Political Crisis:  বিধায়কদের পর এবার সেনা সাংসদের হুঁশিয়ারি উদ্ধবকে ! দ্রৌপদীকে সমর্থনের আর্জি

    Maharashtra Political Crisis: বিধায়কদের পর এবার সেনা সাংসদের হুঁশিয়ারি উদ্ধবকে ! দ্রৌপদীকে সমর্থনের আর্জি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়করা তো বিদ্রোহ করেইছেন এবার সাংসদ হারানোর আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে শিবসেনার (Shiv Sena) অন্দরে। শিন্ডে শিবির ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে দলের অধিকাংশ সাংসদ তাদের সঙ্গে রয়েছেন। তবে এখনও খাতায় কলমে শিবসেনা প্রধান উদ্বব ঠাকরে। তাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির (BJP) মনোনীত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) সমর্থনের আর্জি জানিয়ে উদ্ধবকে চিঠি লিখলেন শিবসেনা সাংসদ রাহুল শেওয়াল (Rahul Shewale)।

    প্রসঙ্গত, উদ্ধবের শিবসেনা শিবির এখনও কংগ্রেস, এনসিপির সঙ্গে সখ্যতা বজায় রেখেছে। সেই অর্থে তারা বিরোধীদের সঙ্গে আছে। এই আবহে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকেই সমর্থন জানাতে পারে উদ্ধব গোষ্ঠী। তবে রাহুল বলেন, ‘দ্রৌপদী মুর্মু আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে এসেছেন এবং সামাজিক জীবনে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তাই সেনাপ্রধানকে তাঁকে সমর্থন করার কথা বলেছি।’ অবশ্য, রাজনৈতিক মহলের মতে এই আবেদন নিছক রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে নয়। এটা আদতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার পরীক্ষা। 

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে এবার অটো-মার্সিডিজ লড়াই! উদ্ধব-শিন্ডে বাকযুদ্ধে সরগরম শিবাজির দেশ

    প্রতিদিনই শিবির বদলাচ্ছে সেনাকর্মী, বিধায়ক, সাংসদরা। রাজ্যে পালাবদলের পুরো পর্বে উদ্ধব ঠাকরের সমর্থনে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের কালামনুড়ির বিধায়ক সন্তোষ বাঙ্গারকে। অথচ সোমবার  আস্থা ভোটে একনাথ শিন্ডের পক্ষে চলে যান তিনি। সূত্রের খবর,আস্থা ভোটে উদ্ধব শিবিরের হার বুঝেই শিন্ডের হাত ধরেন সন্তোষ। এতদিন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের সমালোচনা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে নিয়মিতভাবে ঠাকরে পরিবারের হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গত সপ্তাহে নিজের এলাকায় একটি প্রচারসভায় তাঁকে হাত জোড় করে চোখের জল ফেলতেও দেখা যায়। সেখানে বালাসাহেব ঠাকরে ও উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) নামে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি ঠাকরে পরিবারের পাশে থাকার বার্তাও দেন সন্তোষ। ওই সভা থেকে শিন্ডে (Eknath Shinde) শিবিরের বিধায়কদের বিশ্বাসঘাতক বলে দাবি করেন সন্তোষ বাঙ্গার (Santosh Bangar)। তবে গত রবিবার সকালে স্পিকার ভোটের পরই বদলে যায় ছবিটা। সূত্রের খবর, রাতেই একনাথ শিন্ডের হোটেলে যান সন্তোষ বাঙ্গার। মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর (Maharashtra Chief Minister) সঙ্গে কথা বলেই শিবির বদল করেন এই বিধায়ক।

  • Maharashtra Crisis: নিজের লোকই বিশ্বাসঘতক! লড়াই চালিয়ে যাবেন জানালেন উদ্ধব

    Maharashtra Crisis: নিজের লোকই বিশ্বাসঘতক! লড়াই চালিয়ে যাবেন জানালেন উদ্ধব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভয় পেয়ে তিনি পিছিয়ে যাবেন না। লড়াইও চালিয়ে যাবেন। আপনজনেরাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। অভিমান বালসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধবের। বৃহস্পতিবার আস্থাভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই  বুধবার মহারাষ্ট্রের ( Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়লেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ফেসবুক লাইভে এসে একথা ঘোষণা করেন তিনি। এদিন রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ FB Live -এ এসে ‘ওয়াকওভার’ দেওয়ার কথা জানান ঠাকরে।

    লাইভে এসে উদ্ধব বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। আমি ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাওয়ার মানুষ নই। কিন্তু, রাস্তাঘাটে শিব সৈনিকদের (Shivsena) রক্ত ঝরুক সেটা আমি চাই না। সেই কারণেই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” 

    [tw]


    [/tw]

    নাম না নিয়ে বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডেকে  (Eknath Shinde) কটাক্ষ করে উদ্ধব বলেন, “যারা অটোরিকশা, ঠেলাগাড়ি চালাত, আমরা তাঁদের সাংসদ, বিধায়ক বানিয়েছি। আমি যাদের সবকিছু দিয়েছি, তাঁরাই এমন করেছে।”  তাঁর কথায়, শিবসেনা যাঁদের তুলে এনে কাউন্সিলর এবং মন্ত্রী করেছে, তাঁরাই বিশ্বাসঘাতকতা করছে। 

    এদিন আবেগঘন বক্তৃতায় উদ্ধব জানান, তিনি চিরতরে চলে যাচ্ছেন না।  সভায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে  উদ্ধব বলেন, “আমি যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কাউকে আঘাত করে থাকি তবে আমিও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি এখানে থাকব আবার শিবসেনা ভবনে বসব। আমি আমার সমস্ত মানুষকে একত্র করব।”

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?

    এনসিপি (NCP) এবং কংগ্রেসকে (Congress)  ধন্যবাদ জানিয়ে উদ্ধব বলেন,“আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুশোচনা করছি না। আমার কোনও দুঃখ বা আক্ষেপ নেই। আমি এনসিপি এবং কংগ্রেসের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই যে তাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন। যাঁদের নিজে হাতে গড়লাম, তাঁরাই ক্ষমতা পেয়ে অতীত ভুলে গেল। আমি হঠাতই ক্ষমতায় এসেছিলাম আবার একইভাবে ক্ষমতা থেকে সরে যাচ্ছি। তবে শিবসেনা একটা পরিবার, একে আমি ভাঙতে দেব না। আমি কোথাও যাচ্ছি না। সমস্ত সমর্থকদের একজোট করে আমরা আবার ক্ষমতা দখল করব।”

  • Reliance Story: বাবার মতো ভুল করতে চান না মুকেশ আম্বানি! দায়িত্ব দিচ্ছেন সন্তানদের হাতে

    Reliance Story: বাবার মতো ভুল করতে চান না মুকেশ আম্বানি! দায়িত্ব দিচ্ছেন সন্তানদের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে ভুল বাবা করেছিলেন সে ভুল করতে নারাজ ছেলে। ২০০২ সালে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যুর পরই তিক্ত হতে শুরু করে তাঁর দুই ছেলে মুকেশ ও অনিলের সম্পর্ক। সম্পত্তির বিবাদ নিয়ে মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। একসময়ে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর ব্যবসার দায়িত্ব নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন মুকেশ ও অনিল আম্বানি। অনিল আম্বানি বিদ্যুৎ ও টেলিকম ব্যবসা সামলানোর দায়িত্ব নেন। তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসার দায়িত্ব নেন মুকেশ আম্বানি। ২০১০ সালের মে মাসে তাঁদের মা কোকিলাবেন আম্বানি দুইজনের মধ্যেকার দ্বন্দ্বে শান্তি ফেরাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। পরে অবশ্য ২০১৯ সালে ভাইয়ের বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ান মুকেশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রিলায়েন্সের সহযোগী সংস্থা এরিকসনের বকেয়া টাকা না মেটাতে পারলে জেলে যেতে হত অনিল আম্বানিকে। এক-দু’ লাখ নয়, বকেয়ার অঙ্ক ছিল ৫৫০ কোটি। সেই বিপুল আর্থিক বকেয়ার পুরোটাই ভাইকে দেন মুকেশ আম্বানি। ভাই অনিলও দাদার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে ত্রুটি রাখেন না। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিক্ততা দূর হয়। নিজের সন্তানদের মধ্যে সেই সমস্যার বীজ বপন করতে চান না মুকেশ, এমনই অভিমত শিল্প-বাণিজ্য মহলে। তাই নিজে দায়িত্ব নিয়েই পরবর্তী  প্রজন্মের হাতে ধীরে ধীরে রিলায়েন্স গ্রুপের ব্যাটন তুলে দিচ্ছেন মুকেশ অম্বানি। বড় ছেলে আকাশ আম্বানির হাতে রিলায়েন্স জিওর দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। সূত্রের খবর, এবার কোম্পানির খুচরো ব্যবসা রিলায়েন্স রিটেইলের (Reliance Retail) দায়িত্ব যেতে পারে মুকেশের কন্যা ইশা আম্বানির হাতে।

    আরও পড়ুন: আকাশের পর ইশা! রিলায়েন্স রিটেইলের দায়িত্ব পেতে চলেছেন মুকেশ-কন্যা? 

    মুকেশ আম্বানির তিন সন্তান। যমজ আকাশ এবং ইশা এবং অপর একজন অনন্ত। ইতিমধ্যেই রিলায়েন্সের বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে সামলাচ্ছেন তাঁরা। কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে মুকেশ বলেন, “আমাদের উচিত ওদের গাইড করা, আরও ক্ষমতা দেওয়া এবং উৎসাহিত করা। ওরা আমাদের চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করলে ওদের পিছনে বসে সাধুবাদ জানাতে হবে, আর ভুল হলে তা শুধরে দিতে হবে।” সেই মতোই দেশের অন্যতম বৃহত্তম কর্পোরেট হাউস রিলায়েন্স গ্রুপে বড়সড় বদল ঘটান মুকেশ। গত মঙ্গলবার থেকেই আকাশ আম্বানি হয়েছেন রিলায়েন্স জিও-র বোর্ডের চেয়ারম্যান। সোমবার রিলায়েন্স জিও-র বোর্ড কমিটির বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পদ ছাড়েন মুকেশ আম্বানি, তাঁর স্থানে বসেন পুত্র আকাশ আম্বানি।

    আরও পড়ুন: ইস্তফা মুকেশ আম্বানির! রিলায়েন্স জিও-এর ডিরেক্টর পদে পুত্র আকাশ

    ব্যবসায়িক মহলে জল্পনা, ইশা অম্বানিকে রিলায়েন্স রিটেলের চেয়ারপার্সন করা হতে পারে। রিলায়েন্স রিটেলের বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে। রিলায়েন্স গ্রুপের খুচরো ব্যবসা ইশা আম্বানির হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কোম্পানি ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, উত্তরসূরিদের জন্য একটি নীলনকশা তৈরি করেছেন মুকেশ আম্বানি। সেই কারণেই কোম্পানির ডিরেক্টর পদ থেকে সরে গিয়েছেন তিনি।

    দাদার মতোই মুকেশের ছোট পুত্র অনন্ত আম্বানিও পড়াশোনা করেছেন, আমেরিকার ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে। Reliance New Energy, Reliance New Solar Energy, Reliance O2C, Jio প্ল্যাটফর্মের বোর্ডে রয়েছেন তিনিও। তাঁর জন্যও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে বাবা মুকেশ আম্বানির। নিজের ছেলেমেয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক ধরে রাখতেই কী এই সিদ্ধান্ত অভিজ্ঞ মুকেশের, জল্পনা চলছে ব্যবসায়িক মহলে।

  • India on PoK: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    India on PoK: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ,তা সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এবার এই ভূখণ্ডে কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মীয়মাণ চিনপাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে (CPEC) তৃতীয় কোনও দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়াসের তীব্র নিন্দা করল বিদেশ মন্ত্রক। মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক চিন ও পাকিস্তানের কড়া নিন্দা করে এই ধরনের গতিবিধিকে ‘স্বাভাবিক ভাবে অবৈধ, অনুচিত এবং গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে অভিহিত করেছে।

    [tw]


    [/tw]

    শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় সিপিইসি-র আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সমন্বয় সম্পর্কিত বৈঠক। ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী চিন ও পাকিস্তান এই অর্থনৈতিক করিডোরের অংশ হতে অন্য দেশগুলোকেও  আমন্ত্রণ জানায়। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (External Affairs Ministry Spokesperson Arindam Bagchi বলেন, ”ওই করিডোরে যা হচ্ছে তা একেবারেই বেআইনি, অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য। ভারত এর বিরুদ্ধে যথাযোগ্য পদক্ষেপ করবে।”

    আরও পড়ুন: একদা কাশ্মীর ছিল শারদা দেশ! জানেন কি এই শক্তি পীঠের মাহাত্ম্য?

    ২০১৩-য় শুরু হওয়া এই অর্থনৈতিক করিডোর পাকিস্তানের গদর বন্দরের সঙ্গে চিনের শিনঝিয়াং প্রদেশকে যুক্ত করেছে। এই করিডোর পাক অধিকৃত কাশ্মীর হয়ে যাওয়ায়, তা নিয়ে স্বভাবতই শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। দিল্লির বিরোধিতা সত্ত্বেও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে অর্থনৈতিক করিডর বানাচ্ছে চিন। করিডোর তাঁদের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে মন্তব্য করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পাকিস্তানের রাস্তা, রেলপথ ও শক্তি পরিবহন পরিকাঠামো গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে বেজিং। 

    আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘‘সিপিইসি-তে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তির আমন্ত্রণ সংক্রান্ত খবর আমরা দেখেছি। যে কোনও দেশের তরফে এই সংক্রান্ত পদক্ষেপ ভারতের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব সরাসরি লঙ্ঘনের প্রয়াস হিসাবেই দেখা হবে।’’

LinkedIn
Share