Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Akhilesh Yadav: উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে হারের ধাক্কা! দলীয় সব সংগঠন ভাঙলেন অখিলেশ

    Akhilesh Yadav: উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে হারের ধাক্কা! দলীয় সব সংগঠন ভাঙলেন অখিলেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) গড় হিসেবে পরিচিত, রামপুর এবং আজমগড়ে  (Rampur and Azamgarh) লোকসভা উপনির্বাচনে (Lok Sabha bypoll) পরাজিত হয়েছে সমাজবাদি পার্টি। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই রবিবার দলের সমস্ত শাখা ভেঙে দিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। এদিন যুব ও মহিলা শাখা সহ দলের জাতীয়, রাজ্য ও জেলা কার্যনির্বাহী সমস্ত পদ ভেঙে দেওয়া হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    রবিবার সমাজবাদী পার্টির করা ট্যুইট অনুসারে, রাজ্য ও জাতীয় পার্টি সংগঠনগুলি ভেঙে দেওয়ার কথা জানানো হয়। সমস্ত শাখা সংগঠন, মহিলা শাখাগুলিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র দলের রাজ্য সভাপতি পদে নরেশ উত্তমকে বহাল রাখা হয়েছে। তবে কেন অখিলেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,সেই বিষয়ে দলের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর দলকে পুনর্গঠন করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুন: ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন! ভেঙে যাবে শিন্ডে সরকার দাবি পাওয়ারের

    রামপুর ও আজমগড় লোকসভা কেন্দ্র সমাজবাদী পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব আজমগড়ের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। কিন্তু উপনির্বাচনে আজমগড় সমাজবাদী পার্টির হাতছাড়া হয়ে যায়। বিজেপি প্রার্থী দীনেশ লালা যাদব নিরহুয়া জয়ী হন। সামজবাদী পার্টির হাতছাড়া হয়ে যায় আজম খানের শক্ত দুর্গ রামগড়। জয়ী হন সমাজবাদী পার্টিরই প্রাক্তন কর্মী ঘনশ্যাম লোধি। তিনি কয়েকমাস আগেই সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশে ক্রমেই সমাজবাদী পার্টির দ্বন্দ্ব এবং বেহাল অবস্থা প্রকট হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে দলকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত পার্টি সুপ্রিমোর, দাবি বিশেষজ্ঞদের। দলীয় সূত্র অনুসারে খবর, অখিলেশ শীঘ্রই বিভিন্ন দলীয় সংগঠন পুনর্গঠন করবেন এবং সেখানে নতুন কিছু মুখ নিয়ে আসা হবে।

  • Independent Tamil Nadu: স্বাধীন তামিলনাড়ু চাইতে বাধ্য করবেন না, কেন্দ্রকে বার্তা ডিএমকে-র

    Independent Tamil Nadu: স্বাধীন তামিলনাড়ু চাইতে বাধ্য করবেন না, কেন্দ্রকে বার্তা ডিএমকে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিচ্ছিন্নতাবাদ! স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি তুললেন ডিএমকের (DMK) নেতা এ রাজা (A Raja)। তামিলনাড়ুকে (Tamil Nadu) স্বায়ত্ত্বশাসন দেওয়া না হলে তাঁরা স্বাধীন রাষ্ট্রের (Independent State) দাবিতে পথে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিলেন এই বর্ষীয়ান নেতা। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 

    রবিবার পশ্চিম তামিলনাড়ুর নমক্কলে (Namakkal, TN) দলের গ্রামীণ জনপ্রতিনিধিদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এ রাজা। হাজির ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (M K Stalin)। তাঁর উপস্থিতিতেই কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের স্বায়ত্বশাসন দাবি করেন এ রাজা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, “দ্রাবিড় আন্দোলনের আইকন পেরিয়ার আমৃত্যু পৃথক রাষ্ট্রের দাবি করে এসেছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী (এম কে স্ট্যালিন) আন্নাদুরাইয়ের (ডিএমকের প্রতিষ্ঠাতা) পথে চলেন। আমাদের পেরিয়ারের পথে হাঁটতে বাধ্য করবেন না। আলাদা রাজ্যের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না। আমরা অনুরোধ করছি, আমাদের স্বায়ত্বশাসন দিয়ে দিন।” 

    [tw]


    [/tw]

    রাজ্যের শাসক দলের বর্ষীয়ান নেতা এ রাজা আরও বলেন, “আমরা অহংকার করে বলছি না। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আবেদন করছি। আমরা পৃথক রাষ্ট্রের দাবি থেকে সরে এসেছি। কিন্তু আমরা স্বায়ত্বশাসন চাইছি। এটা আমাদের ন্যায্য দাবি।” 

    আরও পড়ুন: করাচিতে জরুরি অবতরণ, কী হল দুবাইগামী স্পাইসজেটের বিমানে?

    স্বাভাবিকভাবেই ডিএমকে নেতার এই হুঁশিয়ারি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ছে। সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি।  এ রাজাকে পালটা দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি। তামিলনাড়ুতে গেরুয়া শিবিরের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। রবির কথায়, “পাঁচ দশক ধরে তামিলনাড়ুতে রাজনীতি করার পরও ওরা এই কথা বলছেন। তাতে এটাই প্রমাণ হচ্ছে যে এ রাজ্যে বিজেপির উত্থান ডিএমকেকে চাপে ফেলছে। তাদের আদর্শ ব্যর্থ হয়েছে। তাই ওরা ভয় পেয়ে এ ধরনের কথা বলছে।”

    তবে এ রাজার মন্তব্য় নিয়ে শোরগোল শুরু হওয়ার পর তা মোকাবিলা করতে আসরে নামেন দলীয় সাংসদ টিকেএস এলংগোবন। তিনি বলেন, হতাশা থেকে এমন মন্তব্য করেছেন রাজা। পৃথক রাষ্ট্রের দাবি তোলার মতো কোনও নীতি কোনও দিনই ছিল না ডিএমকের। তবে রাজ্যের হাতে অধিক ক্ষমতা তুলে দেওয়ার দাবি থেকেই রাজার এমন মন্তব্য বলে সাফাই দিয়েছেন তিনি। 

  • 2002 Gujarat riots case:  মোদিকেও প্রশ্ন করেছিল সিট, কেউ ধর্না দেয়নি, কংগ্রেসের বিক্ষোভকে কটাক্ষ শাহের

    2002 Gujarat riots case: মোদিকেও প্রশ্ন করেছিল সিট, কেউ ধর্না দেয়নি, কংগ্রেসের বিক্ষোভকে কটাক্ষ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল গান্ধীকে সমন জারি করে জেরা করেছে ইডি। এর প্রতিবাদে ইডির দফতরের বাইরে তুমুল প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। এই নিয়েই রাহুলকে বিঁধছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর উদাহরণ দিয়ে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘সিটের সামনে হাজিরা দিতে মোদিজি কোনও নাটক করেননি। গণতন্ত্রে সংবিধানকে কীভাবে সম্মান করা উচিত, সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে তার একটি আদর্শ উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মোদিজিকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল, কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করেনি, সারা দেশের কর্মীরা মোদিজির সাথে সংহতি প্রকাশ করেনি। আমরা আইনের সাথে সহযোগিতা করেছি। আমাকেও গ্রেফতার করা হয়। আমরা প্রতিবাদ করিনি। ’

    গুজরাট হিংসার ঘটনায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দিয়েছিল সিট। সিটের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিটের রায় দেয় গুজরাট হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করেছিলেন জাকিয়া জাফরি। শুক্রবার তাঁর সেই মামলা খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এরপরই বিরোধীদের একহাত নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাহুল গান্ধীর নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করে অমিত বলেন, “মোদিজি নাটক করেননি।” শাহ জানান, বিশেষ তদন্তকারী দলের জিজ্ঞাসাবাদে বসতে মোদি কখনও না বলেননি। সত্যের জন্য অপেক্ষা করেছেন। তাঁকে জেরা করা হয়েছিল কিন্তু কেউ ধর্না দেয়নি। কোনও  দলীয় কর্মী তাঁর পাশে দাঁড়াতে আসেনি। তিনি কাউকে সে কথা বলেনওনি। 

    আরও পড়ুন: ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    বিজেপির ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’র জেরে ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীদের ‘হেনস্থা’ করা হচ্ছে, এই অভিযোগে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চালায় কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেস জমানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সামনে বিভিন্ন মামলায় হাজিরা দিতে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে। তাঁরা কিন্তু কোনও প্রতিবাদ ছাড়াই তদন্তে সাহায্য করেছিলেন। কোনও নাটক হয়নি বলে দাবি রাজনৈতিক মহলেরও। 

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি রাহুল গান্ধী। টানা কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তা নিয়ে প্রথম দিনে থেকেই রাস্তায় নেমেছে কংগ্রেস। দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রায় সব রাজ্যেই একই ছবি। বিহারের পাটনা, ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে রাস্তায় নামেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বারবার পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। উত্তরপ্রদেশের লখনউতে বিক্ষোভ আন্দোলনে ডাক দেয় হাতশিবির। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, চণ্ডীগড়, আগরতলায়  রাস্তায় নেমেছিলেন কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা। কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হয় প্রায় সব জায়গাতেই। হায়দরাবাদে আন্দোলন ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে। গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির

    উত্তরপ্রদেশের লখনউ তেতে ওঠে কংগ্রেসের বিক্ষোভে। কর্ণাটকে বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। রাজস্থানের জয়পুরেও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। রাহুল গান্ধীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে দিল্লির রাজপথে বিরোধিতা করেছেন অধীর চৌধুরী, কেসি বেণুগোপাল, ভূপেশ বাঘেল, অজয় মাকেন, গৌরব গগৈয়ের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে বারবার প্রশ্ন উঠেছে একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতার দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তদন্তে সাহায্য করলেই হল। নির্দোষ হলে তো যে কেউ ছাড়া পাবেন, তাহলে এত নাটক কেন? কিসের ভয়?

    প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের জমানাতে গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে ১২ বছর আগে সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। বিজেপি তো তখন এত বিরোধিতা করেনি! 

    আরও পড়ুন: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    ৯ ঘণ্টা জেরা ও ১০০ টি পর পর প্রশ্ন। প্রসঙ্গ ছিল গুজরাতের বুকে ২০০২ সালের বিধ্বংসী হিংসার ঘটনা। যে ঘটনা নিয়ে খোদ সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদি পড়েছিলেন সিবিআই জেরার মুখে। একের পর এক প্রশ্ন। অথচ ধৈর্য্য হারাননি। এড়াননি একটা প্রশ্নও। ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরায় এক কাপ চা-ও পর্যন্ত নেননি নরেন্দ্র মোদি। গুজরাট দাঙ্গায় মোদিকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে এমন সব তথ্য উঠে এসেছিল তদন্তকারী দলের প্রধান আরকে রাঘবনের লেখা বইয়েও।   গান্ধীনগরে সিটের অফিসে জেরার জন্য হাজিরা দিতেও সম্মত হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সে নিয়ে ‘আ রোড ওয়েল ট্রাভেলড’ বইয়ে রাঘবন লিখেছেন,”মুখ্যমন্ত্রীর কর্মীদের আমরা বলেছিলাম, সিটের অফিসে তাঁকে আসতে হবে। অন্য কোথাও হলে তা তদন্তে প্রভাবিত করতে পারে। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন। সিটের অফিসে আসতে সম্মত হন।” সিটের অফিসে ৯ ঘণ্টার জেরায় ১০০টির কাছাকাছি প্রশ্ন করা হয়েছিল তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কোনও প্রশ্নই এড়িয়ে যাননি তিনি। এমনকি উত্তর সাজানোর চেষ্টা করেছেন বলেও মনে হয়নি।’ ২০১০ সালে মোদিকে টানা ১৩ ঘণ্টা জেরা করেছিল সিট। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাট দাঙ্গার তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দেয় সিট। ক্লিনচিট পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রিপোর্টে বলা হয়, দোষী সাব্যস্ত করার মতো কোনও প্রমাণই মেলেনি।  

    সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায়  রাজ্যছাড়া ছিলেন অমিত শাহ। গুজরাতে প্রবেশ করতে পারতেন না। তার আগে তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল সিবিআই। গ্রেফতারির ঠিক আগে আমদাবাদের বিজেপি দফতরে গিয়ে শাহ বলে এসেছিলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। কিন্তু কোনও দলীয় কর্মীদের নিয়ে জমায়েত করতে যায়নি বিজেপি। পরে আদালতে নিষ্কৃতি পান অমিত। তাহলে সেসময় কি কংগ্রেস তদন্ত সাজিয়েছিল? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।

  • Udaipur killing: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে  খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক

    Udaipur killing: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেশায় দর্জি উদয়পুরের কানহাইয়া লাল তেলিকে হত্যার (Udaipur Murder Case)ঘটনায় এবার  সরাসরি পাক-যোগের প্রমাণ পেল তদন্তকারী অফিসারেরা। একই সঙ্গে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হল, সাম্প্রদায়িক হিংসা নয়, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে জঙ্গিযোগ ৷ মিলছে ISIS যোগের প্রমাণ। পুলিশ সূত্রে খবর, ইসলামিক স্টেটের স্লিপার সেলের উদয়পুর শাখার প্রধান ছিল ধৃত মহম্মদ রিয়াজ। জয়পুরের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও তার যোগ রয়েছে। রিয়াজের ‘লোন উলফ’ হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারী সংস্থা।

    এই ঘটনায় দুই আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত গাউস মহম্মদ ২০১৪-১৫ সালে ৪৫ দিনের জন্য পাকিস্তানের করাচিতে যায়। সে দাওয়াত-ই- ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন রাজস্থান পুলিশের ডিজিপি। সেখানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেয় গাউস৷ কয়েকদিন আরব এবং নেপালেও জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে ৷  জানা গিয়েছে হত্যাকারীরা খুনের আগে এবং পরে পাকিস্তানের এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। পাকিস্তানের অন্তত আটটি  মোবাইল নম্বরের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রাখত। পুলিশ সূত্রে খবর, গাউস মহম্মদ ২০১৩ এবং২০১৯ সালে সৌদি আরব যায়।  তবে সেখানে সে অস্ত্র প্রশিক্ষণ কিংবা ধর্মীয় কোনও প্রশিক্ষণ নিয়েছিল কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

    তবে খুনিদের সঙ্গে কোনওভাবেই পাকিস্তানের যোগাযোগ নেই বলে জানিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রকের এক আধিকারিক। এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ পাকিস্তান কখনও সমর্থন করে না। ভারত কেন বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে এই ধরনের নৃশংস অপরাধ দণ্ডনীয়। ওই আধিকারিকের দাবি, ওই খুনিদের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা ভারতের মিথ্যে রটনা বলেও দাবি করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে, উদয়পুরকাণ্ডে সচিন পাইলট

    তদন্তকারীদের দাবি, পাকিস্তানের চরম মৌলবাদী সংগঠন দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat-i-Islami) মাধ্যমে আইসিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত আরেক ধৃত রিয়াজ। ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনটি ভারতেও জাল বিছিয়েছে বলে খবর। তাদের স্লিপার সেল (Sleeper Cell) অর্থাৎ আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনটির গোপন শাখার উদয়পুরের প্রধান ছিল রিয়াজ। গত পাঁচ বছর ধরে সঙ্গী মহম্মদ গাউসকে নিয়ে ধর্মীয় উসকানিমূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিল রিয়াজ। তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে রিয়াজের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবিও। সেখানে সে আঙুলের মাধ্যমে একটি বিশেষ ভঙ্গি করে রয়েছে যা সাধারণত ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের চিহ্ন। তাদের আরও এক সঙ্গীর হদিশ মিলেছে। রাজস্থানের টঙ্ক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুজেবকে। যার সঙ্গে সরাসরি আইসিসের যোগের প্রমাণ মিলেছে। জেরায় ধৃতরা আরও জানিয়েছে, শুধু উদয়পুরের কানহাইয়া লাল-ই নয়, তাদের হিটলিস্টে ছিল জয়পুরের এক ব্যবসায়ী। এমনকী, জয়পুরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।

  • Maharashtra political crisis: দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    Maharashtra political crisis: দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একনাথ শিন্ডের সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhab Thackrey)। শিবসেনার (Shibsena) মুখপাত্র প্রবীণ নেতা সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) জানান, মহা বিকাশ আগাড়ি অর্থাত্‍ শিবসেনা কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট (Alliance) ত্যাগ করতে প্রস্তুত। তবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুয়াহাটি থেকে বিধায়কদের মুম্বই (Mumbai) ফিরে আসতে হবে।

    মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রধান দাবিই হল, কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে উদ্ধবকে। তাঁরা চান উদ্ধবই মুখ্যমন্ত্রী থাকুন। ফিরুক পুরনো জোটে। অর্থাত্‍ বিজেপির সমর্থনে সরকার চালান উদ্ধব। সম্পর্ক ছিন্ন করুন কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সঙ্গে। তবে, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ইস্তফার আশ্বাসে তাঁর ভরসা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী শিবিরের নেতা একনাথ শিন্ডে। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির হোটেল থেকে তিনি জানিয়েছেন, আগে কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হবে উদ্ধবকে। তার পরেই সমঝোতার প্রশ্ন।

    [tw]


    [/tw]

    এরপরই শিবসেনার তরফে সঞ্জয় রাউত জানান, একনাথকে শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের মুম্বই ফেরার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। জানিয়েছেন আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিদ্রোহীরা মুম্বই ফিরে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসুক। জোট ছাড়তে উদ্ধব বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবেন না। কিন্তু গুয়াহাটি (Guwahati) বসে এই নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না। আলোচনা করতে হলে মুম্বই এসে করতে হবে, বলে দাবি উদ্ধবের।

    তবে এর পাল্টা হিসেবে শিন্ডে জানিয়ে দেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে  সমস্ত ধরনের সমঝোতার দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শিন্ডে বলেন, “৪০ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে আছেন। কে বলছে আমরা ফিরে যাব? আমাদের ফিরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। গাড়ি অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। আমরা সবকিছুই চেষ্টা করেছি কিন্তু কিছুই হয়নি। আমরা সবাই একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব কী করা যায়। সবার মতামত চাওয়া হবে তারপর আমরা এগোব। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়, সবার সিদ্ধান্ত।”

    আরও পড়ুন: দেশে সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! অভিযুক্ত ওয়াধওয়ান ভাতৃদ্বয়

    শিবসেনার জোট ছাড়া প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, “অনৈতিক ও অসাংবিধানিক ভাবে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজ্যের এই পরিস্থিতির জন্য বিজেপি দায়ী। তারা পিছন থেকে এই কাজ করাচ্ছে। এভাবেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও করাবে বিজেপি।” এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাতিল বলেন,”শিবসেনার তরফে সরকারিভাবে এমন কোনও কথা এখনও জানানো হয়নি। তারা সরকারিভাবে কিছু জানালে তবেই ভাবনা-চিন্তা করা হবে।” এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল বলেন,”যে কোনও দল নিজেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে জোট ছাড়লে শিবসেনা তা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে জানাত। এখনও সেরকম কোনও খবর নেই।”

  • Presidential Election: দিল্লি পৌঁছলেন দ্রৌপদী, শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন

    Presidential Election: দিল্লি পৌঁছলেন দ্রৌপদী, শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা এনডিএ-র (NDA) রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বর থেকে রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছেছেন। তাঁকে দিল্লি (Delhi) বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বিজেপি নেতারা। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা (File Nomination) দেবেন তিনি। তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)  এবং বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। থাকবেন  বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও।

    [tw]


    [/tw]

    এদিন ভুবনেশ্বরের এমসিএল গেস্ট হাউস থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হন দ্রৌপদী। এই প্রথম কোনও দলিত আদিবাসী মহিলা দেশের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হলেন। ফলে তাঁকে নিয়ে দেশের আদিবাসী সমাজ রীতিমতো উল্লসিত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে দ্রৌপদীর নাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়। এখবর শুনে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি দ্রৌপদী এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা। তাই বুধবার সকালেই দ্রৌপদী চলে যান গ্রামের মন্দিরে। নিজের হাতে ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার করলেন ঠাকুরদালান। তারপর মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম। সেখান থেকেই শুরু রাইসিনা হিলের দৌড়।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    বছর চৌষট্টির দ্রৌপদী মুর্মু দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক জীবন অন্তত আড়াই দশকের। দল থেকে আইনসভা, সর্বত্র বিভিন্ন পদে নানা দায়িত্ব সামলেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। ২০০০ ও ২০০৪ সালে ওড়িশার রাইরংপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে জিতে বিধায়ক হন দ্রৌপদী মুর্মু। ওড়িশার বিজেপি-বিজেডি জোট সরকারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ অবধি ওড়িশার সেচ ও বিদ্যুৎ দফতরে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন দ্রৌপদী মুর্মু। তারপর ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ অবধি ছিলেন সাম্মানিক সহকারী শিক্ষক।১৯৯৭ সালে পুরভোটে জিতে কাউন্সিলর হন দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সঙ্গে রাইরংপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের দায়িত্বও পান তিনি।  দ্রৌপদী মুর্মু ২০১৫ থেকে ২০২১ অবধি ঝাড়খণ্ডের  রাজ্যপাল ছিলেন। রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করলেই তিনি হয়ে যাবেন ভারতের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি।

  • Udaipur Tailor Killing: উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    Udaipur Tailor Killing: উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) কানহাইয়া লাল তেলির (Kanhaiya Lal Teli) নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার গেল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (National Investigation Agency)কাছে। বুধবার এনআইএ -কে  তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (HMO India)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকর তরফে জানানো হয়, এই ঘটনায় কোনও সংগঠন বা আন্তর্জাতিক জঙ্গি-গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বক্তব্য সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন পেশায় দরজি রাজস্থানের (Rajasthan) যুবক কানহাইয়া লাল তেলি। মঙ্গলবার দুপুরে উদয়পুরের ওই দর্জির দোকানে ঢুকে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এই ঘটনায় বুধবারও উদয়পুর–সহ রাজস্থানে উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সন্দেহ এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারে জঙ্গি সংগঠন। ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই যুবককে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের পিছনে জঙ্গি যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে এনআইএ। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করছে সিটও। উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে বুধবার আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হল । 

    আরও পড়ুন: “রাজস্থান সরকারের তোষণের রাজনীতিই সাম্প্রদায়িক উসকানির মূলে”, শিরোশ্ছেদ প্রসঙ্গে বসুন্ধরা রাজে

    উদয়পুরে উত্তেজনা ছড়ানোর পিছনে রয়েছে হত্যাকাণ্ডের ভিডিও এবং দুই অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজ আখতার ও মহম্মদ গোশের ভিডিও বার্তা। সেখানে তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ও বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকেও হত্যার হুমকি দেয়। রাজস্থান পুলিশের তরফে ওই ভিডিওটি সাধারণ মানুষকে দেখতে বারণ করা হয়েছে। পুলিশের তরফে বলা হয়, “এই ভিডিওটি খুনিরা আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য করেছে। এতে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। এটি দেখতে খুব ভয়ঙ্কর, ভিডিওটি দেখবেন না।” রাজস্থানের এডিজি  আইন – শৃঙ্খলা হাওয়া সিং ঝুমারিয়াও গণমাধ্যমে ভিডিওটি প্রচার না করার জন্য অনুরোধ করেন। 

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে শিরোশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট

     মঙ্গলবারই রাজস্থান পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল, কানহাইয়াকে যেভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে অনুমান করা হচ্ছে, এই ঘটনা ব্যক্তি বিশেষের নয়, বরং এর সঙ্গে কোনও সংগঠন জড়িত রয়েছে। জঙ্গি যোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই ঘটনায় আইসিস যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান এনআইএ-র। আইসিসের মতোই খুনের ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় খুনিরা। এই ঘটনায় জড়িতদের সঙ্গে পাকিস্তানের (Pakistan) চরমপন্থী সংগঠন দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ রয়েছে বলেও খবর। অশান্তি এড়াতে গোটা রাজ্যে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। উদয়পুর শহরের একটা বড় অংশে কারফিউ জারি রয়েছে। একমাসের জন্য রাজস্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

  • Presidential Election: রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    Presidential Election: রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আগামী ১৮ জুলাই দেশের ১৬ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election)। রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপি (BJP) প্রার্থী ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। অন্যদিকে বিরোধীদের পছন্দ অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহাকে (Yashwant Sinha)। ২১ জুলাই ভোটগণনা। শেষ পর্যন্ত কে হবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, তার জন্য অপেক্ষা করত হবে গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত।  তবে, সংখ্যাতত্বের হিসেবে বা রাজনৈতিক মহলের মতে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু। 

    [tw]


    [/tw]

    রাষ্ট্রপতি ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে বিজেপির প্রয়োজন ছিল ১২ হাজারের কাছাকাছি ভোট। রাষ্ট্রপতি পদে ওড়িশার ভূমিকন্যা তথা জনজাতি সমাজের প্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মুকে দাঁড় করিয়ে সে রাজ্যের শাসক দল বিজেডির (BJD) ৩২ হাজার ভোট নিশ্চিত করে ফেলে বিজেপি। বুধবার দুপুরে ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik) ট্যুইট করে দলীয় সাংসদ, বিধায়কদের নির্দেশ দেন, পার্টি লাইনের উর্ধ্বে উঠে ওড়িশার কন্যা দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদে সমর্থন করতে। নবীন পট্টনায়েকের মন্ত্রিসভায় একটা সময় সদস্য ছিলেন তৎকালীন বিজেপি নেত্রী দ্রৌপদী। নবীন বলেন, ওড়িশা থেকে এই প্রথম কেউ রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। তাই রাজ্যে বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হলেও, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ঘরের মেয়ের দিকেই সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেবে বিজু জনতা দল।

    অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডিও জানিয়েছেন তাঁর দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস দ্রৌপদীকেই সমর্থন করবে। এরপর এবার বিজু জনতা দল। এনডিএ-র বাইরে থাকা দুই রাজ্যের দুই শাসক দলের সমর্থন পেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিশ্চিত জয়ের পথে এগিয়ে গেলেন দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৪৯ শতাংশ ভোট আছে এনডিএ-র কাছে।  ফলে দ্রৌপদীর জয় নিশ্চিত করতে আরও অন্তত দু  শতাংস এনডিএ-র বাইরের দলের সমর্থন প্রয়োজন ছিল দ্রৌপদী-র। এবার এনডিএ-র বাইরের দুই দলের সমর্থন পেয়ে আরও ৫ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করলেন দ্রৌপদী মুর্মু।  

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষে দেশের প্রথম নাগরিক সাঁওতালি কন্যা?

    কংগ্রেসের শরিক ঝাড়খণ্ডের শাসক দল জেএমএম-ও রাজ্যের জনজাতি সমাজের কথা মাথায় রেখে দ্রৌপদীকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রৌপদীর সমর্থনে সরব হয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস তামাং-ও।  বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় নীতীশ কুমারের প্রাক্তন সতীর্থ ছিলেন বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। কিন্তু তাঁর দল জেডিইউ এনডিএ পদপ্রার্থীকেই সমর্থন করবে বলে জানিয়েছেন নীতীশ।  টিআরএস, আম আদমি পার্টি, অকালি দল, বিএসপি এখনও জানায়নি তারা আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কাকে সমর্থন করছে। তবে এই দলগুলির অবস্থান যা-ই হোক সংখ্যাতত্বের হিসেবে এখনই রাইসিনা হিলসের দৌড়ে অ্যাডভান্টেজ দ্রৌপদী মুর্মু।

  • India-China: দেশের উপর নজরদারি! প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান

    India-China: দেশের উপর নজরদারি! প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের সামরিক তোড়জোড় নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সীমান্তে। ভারতের সঙ্গে চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে দুই দেশের কমান্ডার পর্যায়ে ক্রমাগত আলোচনা চলছে। তার পরেও প্রায়শই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) কাছ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান। এভাবেই ভারতীয় সেনা ও দেশের নিরাপত্তার উপর নজরদারি চালাচ্ছে চিন বলে অনুমান প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। সেনা সূত্রে খবর, চিনা বাহিনী বহুবার পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) মোতায়েন ভারতীয় সেনাদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে।

    বায়ুসেনা (IAF) সূত্রে খবর, গত তিন থেকে চার সপ্তাহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবার চিনের বিমান ওড়ানোর ঘটনা বেড়েছে। বায়ুসেনা পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছে। এই ঘটনা কোনওভাবেই তারা বাড়তে দেবে না বলে বায়ুসেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন যে, এই এলাকায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেমন রয়েছে তা দেখার উদ্দেশ্যেই এটা করা হচ্ছে।

    সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, “জে-১১ সহ চিনা ফাইটার জেটগুলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি উড়ে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে ১০ কিলোমিটার কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার (সিবিএম) লাইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এই উস্কানিগুলির একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া হিসাবে, ভারতীয় বিমান বাহিনী মিগ-২৯ এবং মিরাজ ২০০০ সহ সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধ বিমানগুলিকে উন্নত ঘাঁটিতে স্থানান্তরিত করেছে যেখান থেকে তারা কয়েক মিনিটের মধ্যে চিনা কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।”

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) সীমান্তের ওপারে চিনের হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তৎপরতা নজরে এসেছে। সেখানে ২৫টি অত্যাধুনিক জে-১১ ও জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে লালফৌজ। আগে ওই এয়ারবেসে মিগ-২১-এর মতো বিমান রাখত চিন। কিন্তু এবার আধুনিক ও জটিল যুদ্ধে সক্ষম জে-১১ এর মতো বিমান মোতায়েন চিন্তার বিষয়। তবে ভারতও ছেড়ে কথা বলবে না বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। সীমান্তের কাছে চিনা যুদ্ধবিমান দেখতে পেলেই তার যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি থাকে ভারতীয় বায়ুসেনা। আঘাত হলে তার প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে বলে দাবি বায়ুসেনার।

  • Modi on Agnipath: রাজনীতির রঙে থমকে যায় ভাল কাজ ! অগ্নিপথ-বিরোধিতা প্রসঙ্গে মোদি

    Modi on Agnipath: রাজনীতির রঙে থমকে যায় ভাল কাজ ! অগ্নিপথ-বিরোধিতা প্রসঙ্গে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির রং ভাল কাজকেও নষ্ট করে দেয়। দেশের অগ্রগতিতে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে সারা দেশে বিরোধিতার প্রেক্ষিতে রবিবার একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য যে ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে করা অনেক কিছুই রাজনীতির রঙে দেখা হয়।”

    [tw]


    [/tw]

    অগ্নিপথ (Agnipath)-বিক্ষোভের জেরে দেশ (India)-জুড়ে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ (Protest)। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেন (Train)। জাতীয় সড়কেও অবরোধ চলছে। সেই অগ্নিপথ আন্দোলনের আবহে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বেশ কিছুটা ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। দিল্লিতে প্রগতি ময়দানের মূল টানেল উদ্বোধনের পরে রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ভাষণে অগ্নিপথের কথা উল্লেখ না করেই আক্ষেপের সুরে বলেন, “দেশের ভালর জন্য যা করা হয়, তাতেই রাজনীতির রঙ লেগে যায়! ১০০ টাকা দিলে খবর হয়, কিন্তু ২০০ টাকা সঞ্চয়ের কথা বললে সমালোচনা হয়। দেশের নাগরিকদের ভালোর জন্য সরকার নানা প্রকল্পের পরিকল্পনা করে। তাতে রাজনীতির রং লেগে গেলে আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।”

    আরও পড়ুন: মায়ের জন্মদিনে মাতৃপূজায় মোদি

    এদিন নয়াদিল্লিতে প্রগতি ময়দান ইন্টিগ্রেটেড ট্রানজিট করিডোর প্রকল্পের মূল টানেল এবং আন্ডারপাস উদ্বোধন করেন মোদি। দিল্লি-এনসিআর-এর সমস্যা সমাধানের জন্য তাঁর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলির বিশদ বিবরণ দিয়ে, মোদি বলেন,”গত আট বছরে মেট্রো পরিষেবা ১৯৩ কিলোমিটার থেকে বেড়ে ৪০০ কিলোমিটার হয়েছে। কয়েক দশক আগে ভারতীয় ঐতিহ্য প্রদর্শনের জন্য তৈরি হওয়া প্রগতি ময়দানের খুব বেশি ‘প্রগতি’ হয়নি। কাগজে কলমে উন্নয়নের একটি পরিকল্পনা ছিল। তখনকার সরকার সংবাদপত্রের শিরোনামে এটিকে নিয়ে আসার জন্য এমনিই ঘোষণা করে দিয়েছিল এবং তারপরে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল।”

LinkedIn
Share