Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Agnipath Scheme: আরও বাড়ল বয়সের ঊর্ধ্বসীমা! ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীতে

    Agnipath Scheme: আরও বাড়ল বয়সের ঊর্ধ্বসীমা! ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:অগ্নিপথ প্রকল্প’ (Agnipath Scheme) ঘোষণার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়ম শিথিল করল কেন্দ্র। অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেও অগ্নিবীরদের (Agniveers) জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বাড়ছে নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমাও।

    [tw]


    [/tw]

    শনিবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা আরও ৫ বছর বাড়ানো হল। গত দুবছর করোনা মহামারীর কারণে সেনায় নিয়োগ বন্ধ ছিল। তাই প্রথম বছরে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রথমে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ছিল ২১ বছর, পরে তা ২৩ বছর করা হয়। এ বার আরও বাড়ল নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা। তবে এটা শুধু প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের জন্য। তা ছাড়াও, অগ্নিবীররা অবসরের পর কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, সিআরপিএফে ‘অগ্নিবীর’দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তার পর দিনই সামনে এল এই ঘোষণা। এর ফলে চার দিন ধরে চলা বিক্ষোভের প্রশমন হবে বলে আশা করছে ওয়কিবহাল মহল।

    আরও পড়ুন: পরিস্থিতি এমন হবে বুঝিনি! একথা কেন বললেন নৌসেনা প্রধান?

    এখন আধাসামরিক বাহিনীর পাঁচটি শাখায় ৭৩ হাজারের বেশি পদ খালি রয়েছে। এগুলি হল বিএসএফ, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ, ইন্দো তিব্বত বর্ডার পুলিশ (আইটিবিএফ), সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি এবং সিআইএসএফ। পাশাপাশি, ৭৩,২১৯টি পদ খালি রয়েছে সিএপিএফ এবং অসম রাইফেলসে।

    [tw]


    [/tw]

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে কাজের ক্ষেত্রেও অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা জানানো হয় এদিন। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেছেন, “নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের উর্ধ্বসীমা শিথিলকরণের মাধ্যমে আমরা যুবকদের প্রতি যত্নশীল মনোভাব পোষণ করেছি। তাঁদের জন্য সংরক্ষণের কথাও ভাবা হচ্ছে।” 

  • Biggest-ever loan fraud: দেশে সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! অভিযুক্ত ওয়াধওয়ান ভাতৃদ্বয়

    Biggest-ever loan fraud: দেশে সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! অভিযুক্ত ওয়াধওয়ান ভাতৃদ্বয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার দেশে বড়সড় ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে এল। জানা গিয়েছে, এই কেলেঙ্কারিতে ১৭টি ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৩৪ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) দেওয়ান হাউজিং ফাইন্যান্স লিমিটেডের (DHFL) প্রাক্তন চেয়ারম্যান কপিল ওয়াধওয়ান  (Kapil Wadhawan ), পরিচালক ধীরাজ ওয়াধওয়ান (Dheeraj Wadhawan) এবং ছয়টি রিয়েলটি সেক্টর (সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছে। এটিই এখন পর্যন্ত সিবিআইয়ের নথিভুক্ত সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতির (biggest-ever loan fraud) মামলা। এর আগে, এবিজি শিপইয়ার্ডে (ABG Shipyard loan fraud) ২৩ হাজার কোটি টাকার মামলাটি ছিল সবচেয়ে বড় জালিয়াতির মামলা।

    আরও পড়ুন: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

    তাদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ( UBI) নেতৃত্বাধীন ১৭টি ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়ামকে (consortium) ৩৪ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে পাওয়া একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই পদক্ষেপ নেয়। ওই মামলায় ওয়াধওয়ান ভাইরা স্ক্যানারে রয়েছেন। মামলা দায়েরের পর সিবিআই-এর ৫০ জনেরও বেশি অফিসারের একটি দল সারা দেশের  ১১টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। ওই জায়গাগুলি অভিযুক্তদের সঙ্গে জড়িত। তাই ওখানে তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে বলে আশাবাদী সিবিআইের অফিসারেরা। ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার অভিযোগ, সংস্থাটি ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থায় ব্যাঙ্কগুলির একটি কনসোর্টিয়ামের কাছ থেকে ৪২,৮৭১ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ঋণ খেলাপি হতে শুরু করে। 

    অডিট রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে যে ডিএইচএফএল প্রোমোটারদের সাথে সমতা রয়েছে এমন ৬৬ টি সংস্থাকে ২৯,১০০.৩৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া অর্থ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি জমি ও সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

  • Rahul Gandhi: কেউ রানি ভিক্টোরিয়া বা যুবরাজ নয়! সোমবার রাহুলের জেরা প্রসঙ্গে বিজেপি

    Rahul Gandhi: কেউ রানি ভিক্টোরিয়া বা যুবরাজ নয়! সোমবার রাহুলের জেরা প্রসঙ্গে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় সোমবার আবারও ইডির (ED) জেরার মুখে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এদিন সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে পৌঁছন রাহুল। 

    গত সপ্তাহে টানা তিনদিন ৩০ ঘণ্টা রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। গত শুক্রবারই চতুর্থবার জেরার জন্য কংগ্রেস সাংসদকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু মা সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখার করার জন্য তা পিছনোর আর্জি জানিয়ে ইডিকে চিঠি লিখেছিলেন রাহুল। তা মেনে নিয়ে ২০ জুন হাজিরার নির্দেশ দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেইমতোই এদিন ইডির দফতরে পৌঁছন রাহুল। চলে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।

    এদিকে, রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে কংগ্রেস। দিল্লির যন্তর মন্তরে সত্যাগ্রহ শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, সলমন খুরশিদ, ভি নারায়ণ স্বামীরা। কংগ্রেসের বিক্ষোভ আটকাতে দিল্লিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইডি দফতরের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। 

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুলকে ইডির (Enforcement Directorate) জেরা নিয়ে কড়া ভাষায় কংগ্রেসের সমালোচনা করে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, “এ দেশে না কেউ রানি ভিক্টোরিয়া (Queen Victoria ), না কেউ যুবরাজ চার্লস (Prince Charles)। যে তাঁকে জেরা করা যাবে না। এদেশে আইনের চোখে সবাই সমান। কারও বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে বা উঠলে তদন্তকারী সংস্থা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে।” তাঁর দাবি, জনগণ জানে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গান্ধী পরিবার এবং রাহুল গান্ধীর ভূমিকার কথা। সুতরাং,এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মনে করলে গান্ধী পরিবারের যে কোনও সদস্যকে ডেকে জেরা করতেই পারে। এই জেরার অধিকার তাদের রয়েছে। সম্বিত আরও বলেন, “ইডি কথার অর্থ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, এন্টাইটেলমেন্ট ডিরেক্টরেট নয়। এটা যেন কংগ্রেস বা রাহুল গান্ধী ভুলে না যান।”

    আরও পড়ুন: কেন রাহুল গান্ধীকে জেরা, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা কী?

    এর আগে রাহুলকে তলব নিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র অজয় মাকেন বলেন, “আমার জানা নেই যে কংগ্রেসকে (Congress) যেভাবে দিনের পর দিন হেনস্থা করা হচ্ছে, সেভাবে অন্য কোনও দলকে হেনস্থা করা হয়েছে কি না। আর এই হেনস্থার একমাত্র উদ্দেশ্য হল রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের মুখ বন্ধ করা। এভাবে কোনও একটি রাজনৈতিক দলের মুখ বন্ধ করা যায় না।”

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় শুধু রাহুল নয় সনিয়া গান্ধীকেও ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি৷ কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর নির্ধারিত দিনে ইডি অফিসে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেস সভানেত্রী৷ এই মুহূর্তে তিনি ভর্তি গঙ্গারাম হাসপাতালে৷ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে ইডি দফতরে তিনি যাবেন বলে জানিয়েছে কংগ্রেস৷

  • Sri Lanka Crisis: কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    Sri Lanka Crisis: কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বালানি তেলের সংকটে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য। আর্থিক সংকটে জর্জরিত দেশ। জ্বালানি তেলেরও আকাল। আগেই জানানো হয়েছিল চাইলেই মিলবে জ্বালানি তেল (fuel crisis)। এবার জ্বালানি তেলের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল শ্রীলঙ্কা সরকার (Sri Lanka government)। শুধু আপৎকালীন পরিষেবায় যুক্ত গাড়িগুলি একমাত্র পেট্রল, ডিজেল পাবে। সে কারণেই সমস্ত বেসরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সরকারি মুখপাত্র বান্দুলা গুনাওয়ারদানা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরী পরিষেবা ছাড়া কাউকে জ্বালানি তেল বিক্রি করা হবে না। কারন যেটুকু তেল রয়েছে তা বাঁচিয়ে রাখতে চাইছে সরকার। দেশবাসীর অসুবিধার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছে সরকার।

    এদিকে বিভিন্ন পেট্রল পাম্পের সামনে ইতিমধ্যেই গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে।  দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা।  গত সপ্তাহেই সমস্ত সরকারি স্কুল বন্ধের নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। কিছু অফিস স্বল্প সংখ্যক কর্মী দিয়ে চলছিল। এবার সকল সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকেই কাজ করার কথা বলা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    দেশে জ্বালানির ভাণ্ডার বাড়ন্ত। এমন অবস্থায় রাশিয়া থেকে কম দামে তেল (Russian Crude Oil) কিনে অবস্থা সামাল দিতে চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কা। ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের সঙ্গে তেল কেনার বিষয়ে আলোচনা করতে রাশিয়া (Russia) রওনা দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই মন্ত্রী। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে রুশ তেলের দাম অনেকটাই কমেছে। সেই কারণেই সস্তায় তেল কিনতে তৎপর ঋণের বোঝায় জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র। বিদেশি মুদ্রাও শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের। 

    আরও পড়ুন: আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) আবহে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে তেলের দাম। এদিকে জ্বালানি না থাকার ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। পেট্রল কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ অবস্থা ভয়াবহ। শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka Crisis) বিদ্যুৎ মন্ত্রী কাঞ্চনা বিজেসেকারা জানিয়েছেন, দু’জন মন্ত্রী রাশিয়ায় যাচ্ছেন। তেল কেনা নিয়ে সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তাঁরা।

  • Presidential Polls: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা

    Presidential Polls: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Polls) বিরোধী জোটের (opposition) সর্বসম্মত প্রার্থী হচ্ছেন যশবন্ত সিনহা। মঙ্গলবার দুপুরে দিল্লিতে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাড়িতে ১৮টি জোটের বৈঠকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের পর পাওয়ার, কংগ্রেস  (Congress) নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে-সহ বিরোধী নেতারা সাংবাদিক সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। পাওয়ার বলেন, ‘‘বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ শিবিরের সর্বসম্মত প্রার্থী হবেন যশবন্ত।” 

    এদিন ১৮টি বিরোধী দলের বৈঠকে যোগ দেয় ওয়েইসির ‘মিম’, কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপি, সিপিএম, সিপিআই, আরজেডি, এসপি, ডিএমকে, আরএসপি। শরদ পাওয়ার জানান, যশবন্ত সিন্হাকে সমর্থন করেছে আম আদমি পার্টি (AAP) ও TRS। এর আগেই তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেছেন যশবন্ত।  তারপরই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রার্থীপদে সিলমোহর দেয় বিরোধীরা। ২৭ জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন পেশ করবেন যশবন্ত। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। যদিও এই নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী কে, তা এখনও দলের তরফে ঘোষণা করা হয়নি।

    [tw]


    [/tw]

    প্রাক্তন আমলা যশবন্ত ১৯৮৪ সালে জনতা দলের হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। এর পর তাঁর সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। তিনি বিজেপি-র মুখপাত্রও ছিলেন এক সময়। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে অর্থ এবং বিদেশমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামলেছেন। কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের হাতে দলের রাশ ওঠার পর থেকেই বিজেপি-র সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে।  ২০১৮ সালে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। 

    আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় বৈঠকে বিজেপি, মঙ্গলেই চূড়ান্ত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম?

    এদিন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ট্যুইট করেন,“আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আমরা একজন সাধারণ প্রার্থী নির্বাচন করার এবং মোদি সরকারকে আরও ক্ষতি করা থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমরা যশবন্ত সিনহাকে সাধারণ প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছি। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলকে যশবন্ত সিনহাকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করছি।”  

  • Agnipath: অগ্নিপথ প্রকল্পে বায়ুসেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু ২৪ জুন, সেনায় ডিসেম্বরে

    Agnipath: অগ্নিপথ প্রকল্পে বায়ুসেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু ২৪ জুন, সেনায় ডিসেম্বরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:অগ্নিপথ’ (Agnipath) নিয়ে কালক্ষেপ করতে চাইছে না সরকার (government)। আগামী ২৪ জুন থেকেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে বায়ুসেনায় (Indian Air Force) নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানালেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী। শুক্রবার, তিনি জানান, এই প্রকল্প দেশের যুবসমাজকে আরও বেশি করে দেশসেবায় উদ্বুদ্ধ করবে। তাই সময় নষ্ট না করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে উভয়েই আবেদন করতে পারবেন। বয়স হতে হবে ১৭ বছর ৬ মাস থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। নূন্যতম দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে।

    আরও পড়ুন: নিয়ম শিথিল! অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে ২৩

    সেনা প্রধান জেনারেল (Army Chief) মনোজ পাণ্ডে (Manoj Pande) এদিন ঘোষণা করেছেন, দিন-দুয়েকের মধ্যে সেনার ওয়েবসাইটে নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। নিয়োগ সংক্রান্ত বাছাই প্রক্রিয়ার বিশদ তথ্য দেওয়া থাকবে সেখানে। সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তারা প্রথম দফার নিয়োগ সেরে ফেলতে চান। আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ অগ্নিবীরেরা সেনাবাহিনীতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে শুরু করবেন। প্রসঙ্গত, অগ্নিপথে চার বছরের চুক্তির চাকরিতে প্রথম ছয় মাস প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকবে।

    আরও পড়ুন: ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প কী? কীভাবে করতে হবে আবেদন? জেনে নিন সব খুঁটিনাটি

    গত মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন বিভাগের প্রধান অর্থাৎ জেনারেল মনোজ পান্ডে, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার, এবং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই অগ্নিপথ স্কিমের ঘোষণা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেনা প্রধানের মতে, ভারতীয় সেনায় এত বড় সংস্কার এর আগে কখনও হয়নি। চার বছরের চুক্তির চাকরি শেষে ৭৫ শতাংশকে সেনা থেকে অবসর দেওয়া হবে। পাকা চাকরির জন্য বিবেচিত হবেন বাকি ২৫ শতাংশ। প্রথম বছর ৪৬ হাজার পদে লোক নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

  • Ambubachi Mela: দু’বছর পর আবার কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী মেলা

    Ambubachi Mela: দু’বছর পর আবার কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী মেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেজে উঠছে নীলাচল পাহাড়। দীর্ঘ দুই বছর পর কোভিড (covid) পরবর্তী সময়ে আবার কামাখ্যা মন্দির চত্বরে বসতে চলেছে অম্বুবাচী মেলা (Ambubachi Mela)। জুন মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে অম্বুবাচী। চলবে ২৬ জুন পর্যন্ত। চারদিন ব্যাপী আসামর গুয়াহাটির কাছে নীলাচল পাহাড়ে কামাখ্যা মন্দির চত্বরে এই মেলার আয়োজন করা হবে। এর জন্য চলছে শেষ পর্বের প্রস্তুতি। 

    হিন্দু ধর্মের একটি বিশেষ উৎসব হল এই অম্বুবাচী। লোককথা অনুসারে আষাঢ় মাসের মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় চরণ শেষ হলে সেই সময় মা বসুন্ধরা ঋতুমতী হয় আর এই সময়েই পালন করা হয় অম্বুবাচী। এইসময় মাটিকাটা লাঙ্গল চালানো নিষেধ থাকে। এই সময় সমস্ত মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। 

    কামাখ্যায় এই সময় বিশেষভাবে অম্বুবাচীর উৎসব পালিত হয়। অম্বুবচীর প্রথম দিন থেকে কামাখ্যা দেবীর মন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকে। চতুর্থদিনের স্নান ও পূজা সম্পন্ন হওয়ার পর কামাখ্যা মায়ের দর্শন করার অনুমতি দেওয়া হয়। এই সময় ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় কামাখ্যায়। গত দুই বছর করোনার জন্য এই মেলা ও উৎসব বন্ধ ছিল। করোনা পরবর্তী সময়ে চলতি বছরে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে আসাম সরকার। তাই এবছর মেলা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা তুঙ্গে।

    আরও পড়ুন: এবছর অম্বুবাচী শুরু কবে? জেনে নিন এই বিশেষ উৎসবের মাহাত্ম্য

    মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমান, দীর্ঘ দু’বছর পর এই মেলা বসছে। এবছর প্রচুর ভক্তসমাগম হবে। যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে ভিড় সামলানো দায় হয়ে যাবে বলে ভয় মন্দির কর্তৃপক্ষের। যে কোনও দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে তাই সদা সতর্ক কর্তৃপক্ষ। 

    শেষবার ২০১৯ সালে কামরূপ-কামখ্যায় এই মেলায় ২৫ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে। দূর-দূরান্ত থেকে সাধু-সন্নাসীরা যোগ দেন এখানে। এবছরও ভিড় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। করোনা এখনও সম্পূর্ণরূপে চলে যায়নি। এর মধ্যে এই বিশাল জনসমাগম নিয়ে চিন্তায় রয়েছে প্রশাসনও। চলতি সপ্তাহে দফায় দফায় মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছে তারা। এ সময় বিভিন্ন সংগঠন মন্দির চত্বরে পাহাড়ের পাদদেশে দরিদ্রসেবায় খাবার-বস্ত্র দান করেন। এ নিয়েও সতর্ক প্রশাসন।

  • Muslim Girls Marriage: ১৫ বছরেই মেয়ের বিয়ে! মুসলিম আইন অনুযায়ী সম্মতি আদালতের

    Muslim Girls Marriage: ১৫ বছরেই মেয়ের বিয়ে! মুসলিম আইন অনুযায়ী সম্মতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়ের বয়স সদ্য ১৫ পেরিয়েছে। বিয়ে দিতে চাইছেন? অথচ,নাবালিকা আইনে বিয়ে (Minor Marriage) আটকে যাচ্ছে? চিন্তা নেই, ১৫ পেরোলেই এবার মেয়ের বিয়ে দিতে পারবেন। রইল না কোনও আইনি বাধা। কারণ, সম্প্রতি, এমনই রায় দিয়েছে দেশের একটি হাইকোর্ট। তবে, কেবলমাত্র মুসলিম মেয়েরা এই ছাড় পাবেন। ১৫ বছর বয়স পার করলে কোনও মুসলমান মেয়ে তাঁর পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে পারেন। সোমবার একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই রায় দিল পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট ( Punjab and Haryana High Court)।

    সম্প্রতি, পাঠানকোটে ২১ বছরের এক মুসলিম যুবক এবং ১৬ বছরের একটি মুসলিম মেয়েকে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। কিন্তু পরিবার তাঁদের আলাদা করতে চাইছে, এই অভিযোগ এনে নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই দম্পতি। সোমবার মামলার শুনানি হয় পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টে। বিচারপতি যশজিৎ সিং বেদী বলেন, ‘‘আবেদনকারীরা (দম্পতি) শুধু মাত্র তাঁদের পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করেছেন বলে ভারতীয় সংবিধান বর্ণিত মৌলিক অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা যায় না।’’

    আরও পড়ুন: ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ’‌ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দিল্লি হাইকোর্ট, মামলা যেতে পারে শীর্ষ আদালতে

    আদালতে আবেদনপত্রে ওই যুগল জানায়, তারা কিছুদিন আগে প্রেমে পড়ে। তারপর বিয়ে করতে চায়। গত ৮ জুন, মুসলিম আচার ও অনুষ্ঠান মেনে তাঁদের বিয়েও হয়ে যায়। কারণ, মুসলিম আইন অনুযায়ী ১৫ বছর বয়স হলেই সে বিবাহযোগ্য। আর, বিবাহযোগ্য মুসলিম ছেলে বা মেয়ে যে কোনও পছন্দের কাউকে বিয়ে করতে পারে। সেই স্বাধীনতায় কারও হস্তক্ষেপেরও অধিকার নেই। আদালতে ওই দম্পতির আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, নিরাপত্তার জন্য তাঁর মক্কেলরা পাঠানকোটের পুলিশ সুপারেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও নিরাপত্তা পাননি। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আদালত এই রায় দেয়।

    বিচারপতি বেদী শরিয়ত আইন উল্লেখ করে বলেন, এক জন মুসলমান মেয়ের বিয়ে ‘মুসলমান ব্যক্তিগত আইন’ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বিচারপতি জানান, স্যর দিনশাহ ফারদুনজি মোল্লার ‘প্রিন্সিপলস্‌ অব মহামেডান ল’ বইয়ের ১৯৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে, ১৬ বছরের বেশি বয়সি মেয়ে তাঁর পছন্দের ব্যক্তিকে বিয়ে করতে পারে। আর পাত্রের বয়সও যেহেতু ২১ বছরের বেশি, তাই এই বিয়েতে কোনও বাধা থাকতে পারে না। এই বিয়ে বৈধ। একইসঙ্গে আদালত পাঠানকোটের পুলিশ সুপারকে ওই দম্পতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছে। আবেদনকারীদের পরিবার যেন ওই দম্পতির সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করতে না-পারে, তা দেখতে বলেছেন বিচারপতি।

  • R Ashwin: করোনা আক্রান্ত অশ্বিন! সংশয়ে ইংল্যান্ড সফর

    R Ashwin: করোনা আক্রান্ত অশ্বিন! সংশয়ে ইংল্যান্ড সফর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid-19 Positive) আক্রান্ত ভারতীয় অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। ভারতীয় টেস্ট দলের সঙ্গে তিনি ইংল্যান্ডে যেতে পারেননি। দলীয় সূত্রে খবর, নিভৃতবাসে রয়েছেন ভারতীয় স্পিনার। না-ও খেলতে পারেন অনুশীলন ম্যাচে।

    দু’দফায় ইংল‌্যান্ড সফরের উদ্দেশ‌্যে রওনা হয়েছে ভারতীয় দল। প্রথমে বিরাট কোহলি, মহম্মদ সিরাজ, মহম্মদ শামিরা চলে যান। রোহিত শর্মা যান দু’একদিন পর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করে কোচ রাহুল দ্রাবিড়,ঋষভ পন্থ এবং শ্রেয়স আয়ার সোমবার ইংল্যান্ড উড়ে গিয়েছেন।  কিন্তু অশ্বিন এখনও যাননি। খবর যা, তাতে ভারতীয় অফস্পিনার এখন নিভৃতবাসে । কোভিড প্রোটোকল মেনে চলছেন। তবে ভারত বনাম ইংল‌্যান্ড একমাত্র টেস্টের আগে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা অশ্বিনের। তত দিনে তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন, বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: গুজরাটকে আইপিএল জেতানোর পুরষ্কার? আয়ারল্যান্ড সফরে অধিনায়ক হার্দিক

    রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু ভারতেই থেকে যেতে হয়েছে অশ্বিনকে। ২৪ জুন থেকে লিস্টারশায়ারের বিরুদ্ধে অনুশীলন ম্যাচ খেলার কথা ভারতের। সেই ম্যাচে অশ্বিনের না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট। অশ্বিন ইংল্যান্ড যাবেন, তার আগে সব রকমের নিয়ম মেনে করোনামুক্ত হতে হবে তাঁকে। বিসিসিআই সূত্রে জানানো হয়েছে, “করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ইংল্যান্ড যেতে পারেননি অশ্বিন। আমরা আশাবাদী, টেস্ট শুরু হওয়ার আগে সুস্থ হয়ে যাবেন তিনি। অনুশীলন ম্যাচে তাঁর খেলার সম্ভাবনা কম।” গত বছর শুরু হওয়া এই টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলেনি ভারত। সে সময় ভারতীয় দলের একাধিক সদস্যের করোনা হওয়ায় সিরিজের শেষ ম্যাচ না খেলেই ইংল্যান্ড ছেড়েছিল ভারত। গত বছর করোনায় ইংল‌্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ যখন অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় বন্ধ হয়, সিরিজে ২-১ এগিয়ে ছিল ভারত। 

    আইপিএল শেষ হলে তামিলনাড়ুর ক্লাব ক্রিকেটে খেলেন অশ্বিন। লাল বলের ক্রিকেটে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ক্লাবের হয়ে খেলতে নেমে পড়েন তিনি। প্রসঙ্গত,ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত বছর টেস্ট সিরিজে একটি ম্যাচেও খেলেননি অশ্বিন।

  • Commonwealth Games: হতাশ সৌরভ! কমনওয়েলথ ক্রিকেটে রুপো হরমনপ্রীতদের, সোনার স্বাদ পেলেন নিখাত, শরথ-সৃজারা

    Commonwealth Games: হতাশ সৌরভ! কমনওয়েলথ ক্রিকেটে রুপো হরমনপ্রীতদের, সোনার স্বাদ পেলেন নিখাত, শরথ-সৃজারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) সোনার আশা জাগিয়েও রুপো নিয়ে দেশে ফিরছেন হরমনপ্রীত কৌররা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে ভারতের এই হার মেনে নিতে পারছেন না প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মতে, খেলা হরমনপ্রীতদের হাতে ছিল। সেখান থেকে হারায় হতাশা আরও বেশি হবে ভারতীয় দলের। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হারের পরে ট্যুইট করেন সৌরভ। রুপো জয়ের জন্য ভারতীয় মহিলা দলকে শুভেচ্ছা জানালেও নিজের হতাশা লুকিয়ে রাখতে পারেননি তিনি। সৌরভ লেখেন, ‘রুপো জেতার জন্য ভারতীয় মহিলা দলকে শুভেচ্ছা। কিন্তু ওরা হতাশ হয়ে দেশে ফিরবে। কারণ খেলা ওদের হাতে ছিল।’

    কমনওয়েলথ গেমসের আসর থেকে ভারতকে ১৭তম সোনা  এনে দিলেন নিখাত জারিন। মহিলাদের বক্সিংয়ের লাইট ফ্লাইওয়েট বিভাগে (৪৮-৫০ কেজি) সোনা জিতলেন নিখাত। ফাইনালে হারালেন নর্দান আয়ারল্যান্ডের কার্লি এমসি নাউলকে। ইস্তানবুলে আয়োজিত গত বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে মহিলাদের ফ্লাইওয়েট বিভাগে সোনা জিতেছিলেন নিখাত। সেই থেকেই স্বপ্ন দেখা শুরু। এদিন নর্দান আয়ারল্যান্ডের প্রতিযোগীকে একের পর এক শক্তিশালী ঘুসিতে ঘায়েল করে দেন নিখাত। ফাইনালের পাঁচ বিচারকই ভারতীয় মহিলা বক্সারের পক্ষে রায় দিয়েছেন। রবিবার নিখাতের হাত ধরে এল বক্সিংয়ে ভারতের তৃতীয় সোনা। 

    আরও পড়ুন: আজ পাঁচটি সোনার হাতছানি! কমনওয়েলথের শেষ দিনে ভারতের বাজি সিন্ধু, শরথ কমলরা

    টেবিস টেনিসের ডাবলসে সোনা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হল না অচিন্ত্য শরথ কমল-সাথিয়ান জ্ঞানশেখরন জুটির। ফাইনালে উঠলেও সোনা অধরা থাকল। রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল শরথ-সাথিয়ান জুটিকে। ফাইনালে তাঁরা দুরন্ত লড়াই করেও ২-৩ গেমে হেরে গেলেন ইংল্যান্ডের পল ড্রিঙ্কহল-লিয়াম পিচফোর্ড জুটির কাছে। 

    তবে ডাবলসের খিদে মিক্সড ডাবলসে মেটালেন শরথ। সৃজা আকুলাকে নিয়ে শরথ কমল দেশকে এনে দিলেন এবারের গেমসের অষ্টাদশ সোনাটি। মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে তাঁদের প্রতিপক্ষ ছিল মালয়েশিয়ার জুটি। জাভেন চুং ও কারেন লিনের বিরুদ্ধে আগাগোড়া দাপট বজায় রাখলেন শরথ ও সৃজা। ভারতীয় জুটির জয় এলো ১১-৪, ৯-১১, ১১-৫, ১১-৬ ব্যবধানে।

    অন্যদিকে, ২০০৬ সালে মেলবোর্নে রুপো জয়ের ১৬ বছর পর ভারতীয় মহিলা হকি (Indian women hockey team) দল আবারও কমনওয়েলথ গেমসে পদক জিতল। রবিবার ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে টাই ব্রেকারে ২-১ হারাল ভারতীয় দল। গত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টাই ব্রেকারে হেরেই সোনা জেতার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ভারতীয় মহিলা হকি দলের। ভারতের হয়ে অসাধারণ পারফর্ম করলেন দলের গোলকিপার তথা অধিনায়িকা সবিতা পুনিয়া (Savita Punia)। 

LinkedIn
Share