Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • India-China: প্যাংগং লেকের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে সামরিক মহড়া চিনের! কী ভাবছে বেজিং

    India-China: প্যাংগং লেকের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে সামরিক মহড়া চিনের! কী ভাবছে বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে (East Ladakh) অব্য়াহত চিনা উস্কানি। গত মাসেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (Line of Actual Control) কাছে যুদ্ধ বিমান (Fighter Aircraft) উড়িয়েছে লালফৌজ (Red Army)। এই আবহেই সামরিক স্তরে ১৬ রাউন্ডের বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছে ভারত (India) ও চিন (China)। সেই বৈঠকের এক সপ্তাহই পেরোয়নি আবার প্যাংগং লেকের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে সামরিক মহড়া চালাল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)।

    চিনের সংবাদ মাধ্যমে এই সেনা মহড়ার একটি ৩৩ সেকেণ্ডের ভিডিও দেখানো হয়। ভিডিওয় দেখা যায়, বিশ্বের সর্বোচ্চ লবণাক্ত জলের হ্রদ প্যাংগংয়ের উপর চিনা ফৌজের জিনজিয়াং শাখার কমান্ডাররা মহড়া চালাচ্ছে। জেড-১০ আক্রমণকারী হেলিকপ্টারগুলি এই প্রথমবার সামরিক মহড়ায় যোগ দিয়েছে। আগে এই হেলিকপ্টারগুলি শুধু সেনা নিয়ে নানা প্রান্তে যাতায়াত করত।

    ভারতচিন (India China Relation) সম্পর্ক বরাবরই নাতিশীতোষ্ণ। পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) কাছে উত্তেজনা কমাতে  সেনাস্তরের ১৬তম বৈঠকেও স্থায়ী সমাধানসূত্রে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশ। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরাতে ঐক্যমত ভারতীয় এবং চিনা সেনা। বিবৃতিতে ভারত-চিনের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সমস্যা মেটাতে দুই দেশই উদ্যোগী। পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্র খুঁজতে দু’পক্ষই সামরিক ও কূটনৈতিক ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে অগ্রসর হবে। কিন্তু সেই বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই চিনা ফৌজের এই পদক্ষেপ ভালভাবে নিচ্ছে না দিল্লি।

    আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নতুন হাইওয়ে চিনের! জানুন কোথা দিয়ে যাবে সেই রাস্তা

    ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সেনা অবস্থান নিয়ে যে বিরোধ তৈরি হয়েছিল, তা দুই বছর কাটার পরও মেটেনি। এর আগেও একাধিকবার সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনায় বসেছিল ভারত ও চিন। কিন্তু বৈঠকের পরই চিনের তরফে উল্টো ছবি ধরা পড়েছে। লাদাখের ডেমচক, গোগরা, দেপ সাং-সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার আশেপাশে যেসমস্ত জায়গায় এখনও চিনা সেনা মোতায়েন রয়েছে, সেখান থেকে দ্রুত সেনা সরানোর জন্য ভারতীয় সেনার তরফে চিনকে চাপ দেওয়া হয়। যদিও চিন কোনওভাবেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথে হাঁটতে চায়নি। তবে ভারতও যে আর চিনের কাছে শান্তি ভিক্ষা করবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় সেনা প্রধান। নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা যুদ্ধবিমানের কার্যকলাপ নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরি (Air Chief Marshal VR Chaudhari)। চিনা যুদ্ধবিমান ভারতের সীমায় এলেই, তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

  • Defence Recruitment “Agnipath”: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    Defence Recruitment “Agnipath”: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর অগ্নিপথে দেশের তরুণরা। সেনার (Army) তিন বিভাগে চাকরি নিয়ে মঙ্গলবার “অগ্নিপথ প্রকল্পের” ঘোষণা করলেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগাতে এবং কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক অ্যাখ্যা দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minister)। এই প্রকল্পের আওতায় ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সী তরুণরা দেশের সেনাবাহিনীতে সাময়িকভাবে ” অগ্নিবীর” (Agniveer) হিসেবে কাজে যোগ দিতে পারবেন। ৪ বছরের চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগে মিলবে আকর্ষণীয় বেতন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা।

    [tw]


    [/tw]

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্যই হল বেতন, পেনশন বিল কমানো এবং অস্ত্রের জরুরি সংগ্রহের জন্য তহবিল খালি করা। এই প্রকল্পের অধীনে চার বছরের জন্য সেনাতে লোক নিয়োগ করা হবে। এই চার বছরের কাজের মধ্যে চাকরি প্রার্থীদের প্রথম ছয় মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নিয়োগের প্রথম কিস্তিতে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন শাখায় ৪৫,০০০ এর বেশি নিয়োগ হবে। সরকারি তরফে তাঁদের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বেতন বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসা, বিমা সহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবেন তাঁরা। 

    চার বছর পর এই সৈন্যদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশকে স্থায়ীভাবে কাজে বহাল রাখা হবে। তাঁরা ক্যাডারে নিযুক্ত হয়ে আরও ১৫ বছর নন-অফিসার পদে চাকরি করতে পারবেন।জানা গিয়েছে, চার বছরের মেয়াদে চাকরি চলে যাওয়ার আনুমানিক ৩০ দিনের মধ্যে ২৫ শতাংশ সেনাকে চাকরিতে ফিরিয়ে আনা হবে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার নয়া তারিখ ধরে তাঁদের নিয়োগ করা হবে। সেই তারিখের ভিত্তিতেই বেতন এবং পেনশন পাবেন সেনারা। এই পদ্ধতিতে নিয়োগ চালু হলে সেনাদের প্রথম চার বছরের পেনশনের ভার বহন করতে হবে না কেন্দ্রকে। তার ফলে প্রচুর ৫.২ কোটি টাকা বাঁচবে সরকারের।

    [tw]


    [/tw]

    চার বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে থাকবেন যাঁরা ‘সেবা নিধি প্যাকেজ’ এর অন্তর্ভুক্ত হবেন সৈনিকরা। তাঁদের বেতনের ৩০ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য কাটা হবে তাতে সরকারও সমান অবদান রাখবে। এর ফলে সৈন্যরা চার বছরের চাকরির পরে তাদের অবসর গ্রহণের সময় এককালীন ১০ লাখ টাকা পাবে। যদিও চাকরি ছাড়ার পর তাঁরা আর পেনশন যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।  

    দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সঙ্গে স্বল্পমেয়াদী নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে বসেছিল দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। এবার পরিকল্পনাটি সামরিক বিষয়ক বিভাগ দ্বারা বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এবার থেকে সামরিক বাহিনীতে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে নিয়োগ চলবে। এই প্রকল্পের ফলে প্রতিরক্ষা খাতে সরকারের ব্যায়ও কিছুটা কমবে। আর্থিক সাশ্রয়ের জন‌্যই জওয়ান ও অফিসার নিয়োগে এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ভাবনা কেন্দ্রের। 

    এই প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন বিভাগের প্রধানেরা। সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে জানান, এই প্রকল্পের ফলে সেনাবাহিনীতে তরুণ এবং অভিজ্ঞ সেনাদের যথোপযুক্ত সংমিশ্রণ ঘটবে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী বলেন, বিমানবাহিনীতে আধুনিক-প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটাতে তরুণ সম্প্রদায় বড় ভূমিকা নেবে। নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানান, মহিলারাও এই প্রকল্পে সমান সুবিধা পাবেন। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের নিয়োগ সম্পূর্ণ হবে। প্রশিক্ষণের পর ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রথম দফায় কাজ শুরু করবে ‘অগ্নিবীর’রা।

     

  • Telangana: কেসিআর-এর পতনের শুরু দাবি অমিতের! তেলঙ্গনা নিয়ে কী ভাবছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Telangana: কেসিআর-এর পতনের শুরু দাবি অমিতের! তেলঙ্গনা নিয়ে কী ভাবছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে আসা তেলঙ্গানার বিধায়ক কে রাজাগোপাল রেড্ডির বিজেপিতে যোগদানের মধ্য দিয়েই সে রাজ্যে কেসিআর জমানার শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে, দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। রবিবার, তেলঙ্গানার মুনুগোড়ে বিধানসভা উপনির্বাচনের জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় এই দাবি করেন অমিত। রাজাগোপাল কংগ্রেস ত্যাগ করার ফলেই ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে নালগোন্ডা জেলার মুনুগোড়েরই বিধায়ক ছিলেন তিনি। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই উপনির্বাচনে রাজাগোপাল রেড্ডিকে জেতান। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, কেসিআরের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার বিদায় নেবে!’’

    আরও পড়ুন: কেষ্ট যোগ! ভোলে ব্যোমের পর শিবশম্ভু রাইস মিলে হানা সিবিআইয়ের, কী মিলল?

    প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা থেকে রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চিত রেখে ‘পাপ’ করেছে টিআরএস সরকার এদিন এমনই অভিযোগ তোলেন অমিত। তাঁর কথায়, কেন্দ্রের দু’লক্ষ কোটি টাকা সাহায্য সত্ত্বেও তেলঙ্গানা ঋণে ডুবে গিয়েছে। কোনও দলিতকে মুখ্যমন্ত্রী করার আশ্বাসের পাশাপাশি দলিত, বেকার ও জনজাতিদের দেওয়া বহু প্রতিশ্রুতিই রাখেননি কেসিআর। জ্বালানি তেলে ভ্যাট কমাননি। এমআইএম-এর ভয়ে তেলঙ্গানার মুক্তি দিবসও পালন করেননি। শাহের আশ্বাস, আগামী নির্বাচনে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পাবে তেলঙ্গানা, যিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কাজ করবেন। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কৃষকদের প্রতিটি ধানের দানা কেনা হবে, বলে জানান তিনি।

    রাতে ‘আরআরআর’ খ্যাত অভিনেতা এন টি রাম রাও (এনটিআর) জুনিয়রের সঙ্গে হায়দরাবাদে নৈশভোজ সেরেছেন শাহ। তাঁকে ‘তেলুগু ছবির রত্ন’ বলে দু’জনের ছবি টুইট করেছেন। শাহকে ধন্যবাদ দিয়েছেন জুনিয়রও। এনটিআর জুনিয়র তেলুগু দেশম (টিডিপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা এন টি রাম রাওয়ের নাতি। এ দিন মিডিয়া টাইফুন রামোজি রাওয়ের আমন্ত্রণে রামোজি ফিল্ম সিটিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

  • Asia Cup: মরুশহরে হবে এশিয়া কাপ! ভারত সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া

    Asia Cup: মরুশহরে হবে এশিয়া কাপ! ভারত সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri lanka) পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। তাই আগামী মাসে শ্রীলঙ্কা নয়, এশিয়া কাপ (Asia Cup) হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে (UAE)।  বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে বিসিসিআইয়ের (BCCI) অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকের শেষে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) একথা জানান।  সৌরভ বলেন, ‘‘আসন্ন এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কায় হচ্ছে না। খেলা হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। কারণ, ওই সময় একমাত্র সেখানেই বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।’’

    এশিয়া কাপের আয়োজন করা যে সম্ভব নয় তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। তার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, তা হলে কোন দেশে হবে প্রতিযোগিতা। বুধবার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (এসিসি) শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের বক্তব্য জানায়। এসিসি-র তরফে জানানো হয়, ‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড আমাদের জানিয়েছে, তাদের দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি চলছে তার মধ্যে এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভব নয়। ওদের বিদেশি মুদ্রারও সঙ্কট রয়েছে। এই অবস্থায় ছয়টি দেশকে নিয়ে শ্রীলঙ্কায় বড় প্রতিযোগিতা ওরা আয়োজন করতে পারবে না।’ 

    আরও পড়ুন: আবারও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নীরজ! বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রোহিত যাদবও

    ২৭ অগস্ট থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপ। চলবে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ বারের প্রতিযোগিতা হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এই এশিয়া কাপ নিয়ে টানাপড়েন দীর্ঘদিনের। করোনার জন্য দফায় দফায় এশিয়া কাপের সময় পিছিয়েছে। প্রায় দেড় বছর ধরে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা চলছে। তাই এবারে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC)এই টুর্নামেন্ট করতে বদ্ধপরিকর।

    এদিন বোর্ডের মিটিংয়ের পর ভারতীয় দলের দুটো হোম সিরিজের সূচিও জানিয়ে দেওয়া হয়। ভারত সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এখানে তিনটে টি-টোয়েন্টি আর তিনটে একদিনের ম্যাচ খেলবে ডেভিড মিলাররা। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটে ম্যাচ হবে, মোহালি, নাগপুর আর হায়দরাবাদে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে। এর বাইরে ভারতীয় বোর্ড (BCCI) কর্তারা আসন্ন ঘরোয়া মরশুম নিয়েও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। করোনার জন্য শেষ দু’বছর কাঁটছাঁট করে ঘরোয়া ক্রিকেট করতে হয়েছিল। এবার অবশ্য পুরোদমে তা আয়োজন করা যাবে। ফিরতে চলেছে দলীপ আর ইরানি ট্রফি। দলীপ হতে পারে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে। ইরানি হয়তো ১-৫ অক্টোবর। টি-টোয়েন্টি শুরু হতে পারে ১১ অক্টোবর, বিজয় হাজারে ১২ নভেম্বর আর রনজি সম্ভবত ১৩ ডিসেম্বর থেকে।

  • Achinta Sheuli: মায়ের ছেঁড়া শাড়িতেই নিরাপদ সোনাজয়ীর পদক! জানেন অচিন্ত্যকে কী বললেন মা

    Achinta Sheuli: মায়ের ছেঁড়া শাড়িতেই নিরাপদ সোনাজয়ীর পদক! জানেন অচিন্ত্যকে কী বললেন মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games) ৭৩ কেজি ভারোত্তলন (Weaight Lifting) বিভাগে সোনার পদক (gold) জিতেছেন বাংলার ভারোত্তোলক অচিন্ত্য শিউলি (Achinta Sheuli)। তাঁকে নিয়ে সারা দেশে চর্চা চলছে। দারিদ্র্যকেদূরে ঠেলে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। আজ প্রচারের লাইমলাইটে হাওড়ার দেউলপুরের ছেলে। ছেলের সাফল্য মায়ের আনন্দ। কিন্তু গ্রামের ভাঙা বাড়িতে ছেলের অর্জিত পদক ও ট্রফি রাখার ভাল জায়গা নেই। তাই নিজের ছেঁড়া শাড়িতেই ছেলের মহামূল্যবান পদক ও ট্রফিগুলি রেখেছেন অচিন্ত্য শিউলির মা পূর্ণিমা শিউলি। বাড়িতে আলমারি নেই, ট্রফি সাজানোর মতো জায়গাও নেই। তাই মা ছেলেকে একটি আলমারি কিনতে বলেছেন। সেখানে তিনি ছেলের পদক ও ট্রফিগুলি রাখবেন। অচিন্ত্যর  বাড়ি কলকাতা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। অচিন্ত্যর মা জানান, বাড়িতে খাটের নিচে শাড়িতে জড়িয়ে অচিন্ত্যর ট্রফি ও মেডেলগুলি রাখা আছে। সেখানেই ওগুলো সব থেকে বেশি নিরাপদ বলেও জানান তিনি। 

    আরও পড়ুন: ঘরে ফিরলেন সোনার ছেলে! জানেন বাড়ি এসে কী করলেন অচিন্ত্য

    এখনও বাড়িতে ট্রফি রাখার আলাদা জায়গা করতে পারেননি সোনার ছেলে অচিন্ত্য। তবে ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই করবেন। কমনওয়েলথ গেমসে (CWG 2022) সোনা জয়ের পর সেনাবাহিনীতেও এবার পদোন্নতির পথে বাংলার ভারোত্তোলক। সম্প্রতি দিল্লিতে সেনাবাহিনীতে কর্মরত পদকজয়ীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। বাহিনীতে কর্মরত কমনওয়েলথে পদকজয়ীদের হাতে স্মারক ও নগদ পুরস্কারমূল্য তুলে দেন সেনাপ্রধান। সেখানে ছিলেন অচিন্ত্যও। কমনওয়েলথ গেমসে প্রত্যেকের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন সেনাপ্রধান। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, সেনাবাহিনীর প্রথা মেনে সকলেরই পদোন্নতি হবে। তাই আপাতত দিনবদলের আশায় বাংলার ভারোত্তোলক। 

    আরও পড়ুন: জরিশিল্পীর কমনওয়েলথ সোনা উৎসর্গ দাদা ও কোচকে

    তবে যতদিন না পর্যন্ত ছেলে নিজের ঘর নতুন করে সাজাতে পারছে ততদিন তাঁর মা পূর্ণিমা শিউলি ছেলের মূল্যবান জিনিসগুলিকে রেখেছেন নিজের জিম্মায়। পূর্ণিমা বলেছেন, “আমি জানতাম অচিন্ত্য যখন আসবে তখন সবাই বাড়িতে ভিড় করবে। সেই জন্য আমি এই মেডেল-ট্রফিগুলো একটা টুলের ওপর সাজিয়ে রাখি, যাতে সবাই বুঝতে পারে আমার ছেলে কতটা প্রতিভাবান। আমি স্বপ্নেও ভাবিনি ও দেশের জন্য  সোনার পদক জিতবে। ও স্বপ্ন পূরণ করেছে।”
  • Praggnanandhaa: নরওয়েতে অপ্রতিরোধ্য ভারতের কিশোর দাবাড়ু প্রজ্ঞানন্দ

    Praggnanandhaa: নরওয়েতে অপ্রতিরোধ্য ভারতের কিশোর দাবাড়ু প্রজ্ঞানন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবায় ভারতের বিষ্ময় বালক প্রজ্ঞানন্দ রমেশবাবু-র ঘরে এল বড় খেতাব। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তথা দুনিয়ার এক নম্বর দাবাড়ু নরওয়ের ম্যাগনাস কার্লসেন-কে চলতি বছর পরপর দু বার হারিয়ে শোরগোল ফেলে দেওয়া ১৬ বছরের প্রজ্ঞানন্দ (Praggnanandhaa) নরওয়েতে খেতাব (Norway title) জিতল। এই টুর্নামেন্টে শীর্ষ বাছাই হিসেবেই খেলতে নেমেছিল প্রজ্ঞানন্দ।

    ভারতের অপর প্রতিশ্রুতবান দাবাড়ু ভি প্রনীথকে হারিয়েই খেতাব জয় নিশ্চিত করে প্রজ্ঞানন্দ। এই টুর্নামেন্টে রানার্স হলেন ইজরায়েল মার্সেল এফরোস্কি আর তৃতীয় স্থানে শেষ করলেন সুইডেন জুং মিন সিও।

    নরওয়ে চেজ গ্রুপ এ ওপেন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল আর প্রজ্ঞানন্দ। নয় রাউন্ডের প্রতিযোগিতায় ভারতের ১৬ বছরের গ্র্যান্ডমাস্টারের সংগ্রহ ৭.৫ পয়েন্ট। প্রতিযোগিতায় কোনও ম্যাচ হারেনি প্রজ্ঞানন্দ। যদিও চ্যাম্পিয়ন হতে পারা নিয়ে শেষ রাউন্ড পর্যন্ত কিছুটা সংশয় ছিল। শেষ রাউন্ডে ভারতের আন্তর্জাতিক মাস্টার ভি প্রনীথকে হারিয়ে খেতার নিশ্চিত করে প্রজ্ঞানন্দ। 

    আরও পড়ুন: ডাচ গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়ে অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতার ফাইনালে ভারতের ‘বিস্ময় বালক’ প্রজ্ঞানন্দ

    চ্যাম্পিয়ন হয়ে খুশি প্রজ্ঞানন্দ। এই প্রতিশ্রুতবান দাবাড়ুর কথায়, ‘‘এই প্রতিযোগিতায় বেশ উঁচু মানের খেলা হয়েছে। প্রতিটা ম্যাচে পরিকল্পনা অনুযায়ী চাল দিতে পেরেছি। নিজের খেলায় আমি খুশি।’’

    একাদশ শ্রেণির ছাত্র প্রজ্ঞানন্দ কয়েক মাস ধরেই বেশ ভাল ছন্দে রয়েছে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনকেও হারিয়েছে সে। ফলে আত্মবিশ্বাসও রয়েছে যথেষ্ট। প্রজ্ঞানন্দের এই সাফল্যে তাই অবাক নয় ভারতের দাবা মহল। এর পর ভারতের ‘বি’ দলের হয়ে চেন্নাইয়ে দাবা অলিম্পিয়াড খেলবে প্রজ্ঞানন্দ। কয়েক দিন পরেই যোগ দেবে ভারতীয় দলের শিবিরে।

    বিশ্বনাথন আনন্দের প্রিয় ছাত্র প্রজ্ঞানন্দ জানায়, খেলার আগে বা খেলা চলাকালীন কোনও চাপ নেয় না সে।  লক্ষ্য থাকে একটাই— দাবার বোর্ডে সেরাটা দেওয়ার। ফলের কথা সেই মুহূর্তে মাথায় ঢুকতে দেয় না ১৬ বছরের এই বিস্ময় বালক। বড় প্রতিযোগিতায় বা বড় প্রতিপক্ষের সামনে মাথা ঠান্ডা রাখাটাই শ্রেয় বলে মনে করে সে। তাই এ ভাবেই খেলা চালিয়ে যেতে চায় প্রজ্ঞানন্দ।  

  • Airlines Updates: ওয়েব চেক-ইনে অতিরিক্ত টাকা আর নয়, নয়া সিদ্ধান্ত অসামরিক বিমান মন্ত্রকের

    Airlines Updates: ওয়েব চেক-ইনে অতিরিক্ত টাকা আর নয়, নয়া সিদ্ধান্ত অসামরিক বিমান মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রীদের স্বার্থে সক্রিয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। এবার থেকে বিমানবন্দরে ওয়েব চেক-ইন করার জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে না যাত্রীদের। বৃহস্পতিবার বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (Ministry) থেকে এয়ারলাইন্সগুলিকে এই অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগে এই পরিষেবার জন্য প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ২০০ টাকা ফি নিত এয়ারলাইন্স (Airlines) কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: শপথ নিলেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী, জানেন কি দীনেশ গুণবর্ধনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক

    বিমানের জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে একধাক্কায় বিমানের টিকিটের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি দাম কমেছে জ্বালানির। ফলে বিমানে যাতায়াতে খরচ কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চেক-ইন কাউন্টারে বোর্ডিং পাস দেওয়ার সময় অতিরিক্ত কোনও চার্জ বসানো যাবে না। বর্তমানে ভারতের সর্ববৃহৎ এয়ারলাইন ইন্ডিগো চেক-ইন কাউন্টারে বোর্ডিং পাস ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চার্জ নেয়। এদিন মন্ত্রকের তরফে ট্যুইটে জানানো হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রকের নজরে এসেছে যে, কিছু এয়ারলাইন যাত্রীদের বোর্ডিং পাস দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা চার্জ করছে।’

    আরও পড়ুন: ১৩টি বিয়ে করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের যুবক! এরপর যা হল…

    ট্যুইটে আরও জানানো হয়,এয়ারক্রাফ্ট নিয়ম, ১৯৩৭ অনুযায়ী এই চার্জ নেওয়া যায় না। উল্লেখ্য, বিমানে কোনও জায়গায় যাত্রা করার আগে টিকিট করার পরে ওয়েব চেক-ইন করাতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু সেই ওয়েব চেক-ইন করা না থাকলে কিছু এয়ারলাইন অতিরিক্ত ২০০ টাকা চার্জ করছে।কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, ওয়েব চেক ইন করা না থাকলে বিমান বন্দরের মধ্যে চেক-ইন কাউন্টারে বোর্ডিং পাস ইস্যু করার ক্ষেত্রে কোনও চার্জ নেওয়া যাবে না। তবে, এই সুবিধা কেবল অর্ন্তদেশীয় বিমান পরিষেবায় মিলবে বলে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের এই নির্দেশে খুশির হাওয়া বিমান যাত্রীদের মধ্যে। এই নির্দেশে বিমান সংস্থাগুলি সতর্ক হতে পারে, বলে আশা করছেন সাধারণ যাত্রীরা। 

  • Sharad Pawar: দলের সমস্ত শাখা ভেঙে দিলেন এনসিপি প্রধান! কী ভাবছেন শরদ পাওয়ার

    Sharad Pawar: দলের সমস্ত শাখা ভেঙে দিলেন এনসিপি প্রধান! কী ভাবছেন শরদ পাওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে ফের নতুন মোড়। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (NCP)-র জাতীয় স্তরে সমস্ত কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন প্রবীণ নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল (Praful Patel)। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি, সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।

    এনসিপির জাতীয় সম্পাদক প্রফুল্ল প্যাটেল বুধবার রাতে ট্যুইট করে লেখেন, “জাতীয় সভাপতি শরদ পওয়ারের অনুমতি অনুসারে জাতীয় স্তরের যাবতীয় বিভাগ ও শাখার অবিলম্বে অবলুপ্তি করা হচ্ছে। কেবল ন্যাশনালিস্ট উইমেনস উয়ং, ন্যাশনালিস্ট ইয়ুথ কংগ্রেস ও ন্যাশনালিস্ট স্টুডেন্টস কংগ্রেস থাকবে”। পরবর্তী আরেকটি ট্যুইটে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্র বা অন্য কোনও রাজ্য শাখার উপরে কার্যকরী হবে না। 

    [tw]


    [/tw]

    মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আগাড়ি  (MVA) জোট সরকারের পতনের তিন সপ্তাহের মধ্যে এনসিপি তাদের পার্টির সমস্ত পদ ও সেল বিলুপ্ত করা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। দলের সংগঠন ঢেলে সাজাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে এনসিপি (NCP) সূত্রে খবর। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, দলের ভাঙন রুখতেই শরদ পাওয়ারের এই সিদ্ধান্ত। কেননা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনসিপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল।
     
     
    প্রশ্ন উঠছে, শিবসেনার পর কি এবার অন্তর্দ্বন্দ্বের আগুন ছড়াল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির অন্দরেও? এক্ষেত্রে ২০১৯-এর স্মৃতি এনসিপি সুপ্রিমোকে উস্কে দিয়েছে বলে দলের একাংশের মত। ওই বছর দলকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের সঙ্গে উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন অজিত পাওয়ার। এবারও কী সেরকম কিছু ঘটতে চলেছে? সেই আশঙ্কাতেই দল ভেঙে দিলেন এনসিপি প্রধান? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।
  • Air pollution: বায়ুদূষণের ফলে ভারতীয়দের আয়ু কমবে ৫ বছর! দাবি গবেষণায়

    Air pollution: বায়ুদূষণের ফলে ভারতীয়দের আয়ু কমবে ৫ বছর! দাবি গবেষণায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুদূষণের জেরে দেশবাসীর প্রত্যাশিত আয়ু কমতে পারে প্রায় পাঁচ বছর। এমনই দাবি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের (Energy Policy Institute at the University of Chicago)এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্সের (একিউএলআই) নবতম রিপোর্টে এই কথা বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে দূষিত শহর দিল্লি। দূষণের জেরে সেখানে আয়ু কমতে পারে ১০.১ বছর। অন্য দিকে,বিশ্বে বায়ুদূষণের জেরে ৯৭.৩ শতাংশ নাগরিকের জীবনই ঝুঁকির মুখে।

    ২০২০ সালে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ওই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৬৩ শতাংশ ভারতীয় দেশের এমন অঞ্চলে বাস করেন, যেখানে বায়ুদূষণ জাতীয় মানের (প্রতি ঘনমিটারে ৪০ মাইক্রোগ্রাম)উপরে। তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বায়ুদূষিত দেশগুলির তালিকায় বাংলাদেশের (৭৫.৮ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার, নাগরিকদের আয়ু কমতে পারে ৬.৯ বছর) পরেই রয়েছে ভারত। দেশে বায়ুদূষণের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে সপ্তম স্থানে। এ রাজ্যে দূষণের পরিমাণ ৬৫.৪ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার। তার ফলে রাজ্যবাসীর আয়ু কমতে পারে ৫.৯ বছর।

    আরও পড়ুন: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জেনে নিন এই দিনের তাৎপর্য

    শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই রিপোর্ট বলছে, বিশ্বে বায়ুদূষণের জেরে মানুষের আয়ু কমতে পারে ২.২ বছর। অন্য দিকে ধূমপানে ১.৯ বছর, মদ্যপানে আট মাস, অসুরক্ষিত জলের মাধ্যমে সাত মাস, এইচআইভি ৪ মাস, ম্যালেরিয়া ৩ মাস এবং সন্ত্রাসের জেরে আয়ু কমতে পারে ৯ দিন। এই গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে পৃথিবীতে দূষণবৃদ্ধির হারের ৪৪ শতাংশের জন্য দায়ী ভারত। ২০১৩ সালে যেখানে প্রতি ঘনমিটারে ৫৩ মাইক্রোগ্রাম দূষণ ছিল, সেটাই বর্তমানে বেড়ে হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ৫৫.৭ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র বেঁধে দেওয়া সীমার (প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রাম) চেয়ে যা ১১ গুণ বেশি! গত বছর দূষণ বিধির ক্ষেত্রে পরিবর্তন করেছিল হু। আগে বছরে প্রতি ঘনমিটারে ১০ মাইক্রোগ্রাম দূষণ সহনশীল হিসাবে বিবেচিত হত। তা কমিয়ে করা হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রাম। দূষণবৃদ্ধির কারণ হিসাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কলকারখানা বৃদ্ধি, গাছ কেটে শহরাঞ্চলের প্রসারকে দায়ী করা হয়েছে। প্রতিবছরই শীতকালে প্রায় ধোঁয়াশায় ঢেকে যায় রাজধানী দিল্লি। এ বিষয়ে বারবার সতর্ক হওয়ার কথা বলেছেন পরিবেশবিদরা।

  • BJP to Rahul Gandhi: কংগ্রেসে কি গণতন্ত্র রয়েছে? পরিবারতন্ত্রই সম্বল, রাহুলকে তোপ বিজেপির

    BJP to Rahul Gandhi: কংগ্রেসে কি গণতন্ত্র রয়েছে? পরিবারতন্ত্রই সম্বল, রাহুলকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেকে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় সংস্থা-প্রতিষ্ঠানগুলিকে অপমান করা বন্ধ করুন, রাহুল গান্ধীর উদ্দেশে কড়া বার্তা বিজেপির। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শুক্রবার বিজেপির আমলে দেশে গণতন্ত্র নষ্ট হওয়ার অভিযোগ তোলেন। তারই প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, রাহুল গান্ধী গণতন্ত্রের কথা বলছেন কিন্তু দেশে পরিবারতন্ত্র চালায় কংগ্রেস। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী একদা দেশে ‘ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করে গণতন্ত্রের পরিবেশ নষ্ট করেছিলেন বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    শুক্রবার সংসদ ভবনের বাইরে রাহুল গান্ধী-সহ একাধিক কংগ্রেস সাংসদকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং খাদ্যপণ্যের উপর জিএসটি বসানোর প্রতিবাদে রাজধানীতে তুমুল বিক্ষোভ আন্দোলনের  ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। সাংসদদের একটি মিছিল নিয়ে সংসদ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যাচ্ছিলেন রাহুল। বিজয় চক পৌঁছনোর আগেই তাঁকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। এ দিন সংসদ ভবন চত্বরে সনিয়া গান্ধীকেও বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায়। শুক্রবার পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে কংগ্রেস সংসদ সদস্যরা বিক্ষোভ করতে থাকে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিক্ষোভের কারণে দিল্লির কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বাধা পায়। তাই রাজপথে শান্তি বজায় রাখতে আটক করতে হয় রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, শশী তারুর-সহ কংগ্রেস নেতাদের। 

    আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে উদ্ধার ৭০০ কেজি নিষিদ্ধ মাদক, গ্রেফতার স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ যুবক সহ ৫

    এদিন রাহুল গান্ধী বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের মৃত্যু দেখছি। সাত দশক ধরে আমরা এক একটা ইট জুড়ে গণতন্ত্র তৈরি করেছিলাম, তা পাঁচ বছরেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের চোখের সামনে গণতন্ত্রকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। যারাই একনায়কতন্ত্রের চিন্তাধারার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে, তাদের উপরই নৃশংসভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, জেলে ভরা হচ্ছে এবং মারধর করা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় কাশ্মীরে হত পরিযায়ী শ্রমিক, জখম ২

    রাহুল গান্ধীর এই আক্রমণের পাল্টা জবাব দেয় বিজেপিও। বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া বলেন, “২০১৫ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা জামিন পেয়েছিলেন সনিয়া ও রাহুল গান্ধী। এই মামলা বহু পুরনো, তখন ওনারা অভিযোগ করেননি যে ইডিকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নিজেরা ধরা পড়ে গিয়েছেন, এই বিষয় থেকে সাধারণের নজর ঘোরাতেই এইসব প্রচেষ্টা করছে কংগ্রেস।”

LinkedIn
Share