Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Aryan Khan: মাদক-মামলায় বেকসুর খালাস, আমেরিকার পথে  শাহরুখ পুত্র আরিয়ান

    Aryan Khan: মাদক-মামলায় বেকসুর খালাস, আমেরিকার পথে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রমোদতরী কর্ডেলিয়া ক্রুজ (Cordelia Cruise) কাণ্ডে আরিয়ান খানকে (Aryan Khan) বেকসুর খালাস দিল কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনসিবি (NCB)। সংস্থার চার্জশিটে বলা হয়েছে শাহরুখ-তনয়ের কাছে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি।

    নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau) ছ’হাজার পৃষ্ঠার চার্জশিটে নাম ছিল না আরিয়ান খান সহ ছয় জনের। এরপরেই এনসিবি-র তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে আরিয়ানের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি। এমনকী গ্রেফতারির দিন আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, তিনি মাদক সেবন করেছেন এমন প্রমাণও মেলেনি। তাই আরিয়ানকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

    বলি-পাড়ার খবর, মাদক মামলা (Drug case) থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই আমেরিকা যাওয়ার কথা ভাবছেন শাহরুখ-তনয়। এতদিন মামলা চলার জন্য তাঁর দেশের  বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। এখন নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় সেই বাধা কেটে গেল। পাসপোর্ট-সহ সমস্ত কাগজপত্র হাতে পেলেই নিজের পরবর্তী কাজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দেবেন আরিয়ান। ইতিমধ্যেই কয়েকটি ওয়েব সিরিজ পরিচালনার চিন্তাভাবনা করছেন আরিয়ান।

    আরও পড়ুন: নির্দোষ আরিয়ান, এনসিবি-র প্রাক্তন আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ

    সাত মাস আগে ক্রুজ কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরিয়ান খান। গ্রেফতার করা হয় তাঁর দুই বন্ধু মুনমুন ধমেচা, আরবাজ মার্চেন্ট-সহ অন্যদের।  প্রায় একমাস জেলে কাটানোর পর অবশেষে গত বছর ৩০ অক্টোবর শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন শাহরুখ-পুত্র। এতদিন তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে এনসিবি। একাধিকবার আদালতে বাড়তি সময়ও চাওয়া হয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর পক্ষ থেকে। তা-ও শাহরুখ তনয়ের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি এই তদন্তকারী সংস্থা।

    সূত্রের খবর, বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টের বয়ানই আরিয়ানকে নির্দোষ প্রমাণ করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয়। ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আরবাজ বারবার NCB আধিকারিকদের জানিয়েছেন যে আরিয়ান নির্দোষ। তিনি নিজে জুতোর নীচে চরস নিয়ে গিয়েছিলেন সে কথাও কবুল করেন আরবাজ। তবে আরিয়ান বিষয়টি জানার পরেই তাঁকে সাবধান করেছিলেন এবং ওই কাজ করতে বারণ করেছিলেন, এ কথাও জানান আরবাজ।

    এদিন এনসিবির পেশ করা চার্জশিটে নাম ছিল না আরিয়ান-সহ ৬ জনের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রমোদতরীর অনুষ্ঠানের ৪ আয়োজকও। এঁদের কারও বিরুদ্ধেই তেমন কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছে সংস্থা। এনডিপিএস (NDPS) আইনের বিভিন্ন ধারায় বাকি ১৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। শুক্রবার আরিয়ান খানের আইনজীবী মুকুল রোহত্গি (Mukul Rohatgi) জানান, ছেলে ক্লিন চিট পাওয়ায় অবশেষে চিন্তামুক্ত হয়েছেন শাহরুখ (Shah Rukh Khan)। তাঁর কথায়, “আমার ক্লায়েন্ট নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। এতে আমি তো চিন্তামুক্ত হয়েছি ঠিকই। শাহরুখ খানও আজ চিন্তামুক্ত হলেন।” 

  • Japanese man become a dog : এ কেমন শখ! মানুষ থেকে কুকুর হল জাপানি যুবক

    Japanese man become a dog : এ কেমন শখ! মানুষ থেকে কুকুর হল জাপানি যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক- মানুষ স্বপ্নপূরণের জন্য জীবনে কি কি না করে থাকেন। কেউ বেশি সুন্দর হওয়ার জন্য মুখে বা শরীরে প্লাস্টিক সার্জারি করান। আবার কারোর শখ থাকে পুরো শরীর জুড়ে ট্যাটু করানোর। তবে কখনও কি এমন শখের কথা শুনেছেন যে, মানুষ কুকুর হতে চায়! সম্প্রতি এমনটা ঘটেছে জাপানের টোকিও শহরে। টোকো নামে এক জাপানি যুবক স্বপ্ন দেখতেন তিনি কুকুর হবেন। অবশেষে স্বপ্নপূরণ। 

    হুবহু কুকুরের মতো দেখাবার জন্য জেপেট (Zeppet) নামক পোশাক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তাঁদের দিয়ে বানানো হয় একটি কস্টিউম। যার দাম ১২লক্ষ টাকা।  টোকোর শর্ত ছিল, দাম যাই হোক, পোশাকটি এমন হতে হবে যাতে, খুব ভাল করে দেখলেও কেউ বুঝতে না পারে এটি কুকুর না মানুষ। তিনি নিজেকে কুকুরের একটি প্রজাতি ‘কলি’র (Collie) মতো ভাবে দেখতে চান।

    জাপানের বিনোদন হাউসগুলোর জন্য পোশাক তৈরি করে জেপেট ( Zeppet)। বহু  মূর্তিও তৈরি করেছে তারা।  জাপানের বিখ্যাত ম্যাসকট চরিত্রের পোশাকও তাদেরই তৈরি। তাই এই সংস্থার সঙ্গেই যোগাযোগ করেন টোকো। এই নতুন ধরনের কুকুরের পোশাক তৈরির জন্য তাদের সময় লাগে ৪০ দিন।

     কলি নামক এই প্রজাতি বেছে নিয়েছেন কেন?  এই প্রশ্নের জবাবে টোকো বলেন, “আমার প্রিয় পোষ্য হল কুকুর। আমি বরাবরই কুকুর ভালবাসি। কলি হল লম্বা লোমওয়ালা কুকুর। এই কুকুরটির পোশাক পরলে বিভ্রান্তি হতে পারে। লম্বা লোম থাকায় কুকুর না মানুষ সহজে বোঝা যাবে না। তাই আমি কলি নামক এই প্রজাতিটাই বেছে নিই।”

    কুকুরের পোশাক পরে ট্যুইটারে নিজের ছবিও শেয়ার করেছেন টোকো।  সেই ছবি এখন ভাইরাল। তাঁকে নিয়ে চর্চা নেটিজেনদের মধ্যে। তাঁর এই নতুন অবতার দেখে অবাক বিশ্ববাসী। এরকম আজব কাণ্ড দেখে সবার মনে একটাই প্রশ্ন এরকম শখও থাকে মানুষের? 

     

  • Parliament Monsoon Session: শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন, শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    Parliament Monsoon Session: শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন, শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চলছে। তার মধ্যেই শুরু হল সংসদের বাদল অধিবেশন (Monsoon Session 2022)। আজ থেকে শুরু হয়ে অধিবেশন চলবে আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত। এবারের অধিবেশন চলাকালীন ক্যান্টনমেন্ট বিল, মাল্টি-স্টেট কো-অপারেটিভ সোসাইটি বিল সহ মোট ৩২টি বিল নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বাদল অধিবেশনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) সাংবাদিক সম্মেলন করে, শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানান।  তবে অগ্নিপথ (Agnipath), মুদ্রাস্ফিতির মতো একাধিক ইস্যুতে বিরোধীরা যে সংসদে সুর চড়াবে,তার ইঙ্গিত মিলেছে। 

    এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন  “এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়, আজাদি কা অমৃত মহোৎসব চলছে, আগামী ২৫ বছরে আমরা কী অর্জন করতে চাই তার শপথ নেওয়ার সময় এটি।” তিনি আরও বলেন,”এটি এমন একটি সময় যখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হচ্ছে। এই সময়ে আমাদের নতুন রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি আসতে চলেছে। এই সময়ে সংসদে আলোচনা, বিতর্ক ও সমালোচনা সবই চলবে। তবে বিষয়ের বিশদ বিশ্লেষণও করতে হবে।”

    আরও পড়ুন: চলছে নির্বাচন, জানুন রাইসিনা হিলের দৌড়ে অঙ্কের হিসেবে এগিয়ে কে?

    সূত্রের খবর, এবারের অধিবেশন চলাকালীন ক্যান্টনমেন্ট বিল, মাল্টি-স্টেট কো-অপারেটিভ সোসাইটি বিল সহ মোট ২৪টি নতুন বিল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে। এছাড়া সংসদে ছত্তিশগড় এবং তামিলনাড়ুর জন্য তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি তালিকা সংশোধন বিলও উত্থাপন করা হতে পারে বলে জানা গেছে। যে নতুন ২৪টি বিল পেশ করা হতে চলেছে সেই তালিকায় আছে কফি (প্রমোশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট), দ্য ডেভলপমেন্ট অফ এন্টারপ্রাইজেস অ্যান্ড সার্ভিসেস হাবস, জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেসন অফ গুডস (নিবন্ধন) সংশধোনের মতো বিলগুলি। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে সুরক্ষা (সংশোধন), গুদামজাতকরণ(উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) এবং প্রতিযোগিতা (সংশোধন) বিল। সংসদের গত শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হয়েছিল, কিন্তু আলোচনা হয়নি এমন আটটি বিলও এবারের অধিবেশনে পেশ করা হবে।

    বাদল অধিবেশনের দিনগুলিতে সভার কাজ সুষ্ঠভাবে যাতে পরিচলনা করা যায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষের কাছে আবেদন করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। কিন্তু অগ্নিপথ, মুদ্রাস্ফিতির মতো একাধিক ইস্যুতে বিরোধীরা যে সংসদে সুর চড়াবে, তার ইঙ্গিত মিলেছে। এছাড়া নূপুর শর্মা বিতর্ক, লোকসভা সচিবালয় থেকে প্রকাশিত অসংসদীয় ভাষার তালিকা, সংসদ চত্ত্বরে ধর্না, বিক্ষোভের মতো কর্মসূচির উপর সেন্সর নিয়েও সরব হতে পারে বিরোধীপক্ষ।

  • Narendra Modi: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তিই ব্যবহার করুন, আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তিই ব্যবহার করুন, আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আত্মনির্ভরতা’র (Atmanirbhar Bharat) ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।নেভাল ইনোভেশন অ্যান্ড ইনডিজেনাইজেশন অর্গানাইজেশন (NIIO) সেমিনার ‘স্বাবলম্বন’-এ আবার সেই কথাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, দেশীয় প্রযুক্তিকে সামনে রেখে শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা। স্বাধীনতার ৭৫ তম বছর উদযাপনের জন্য, নৌবাহিনী আগামী বছরে অন্তত ৭৫টি নতুন দেশীয় প্রযুক্তি এবং পণ্য অন্তর্ভুক্ত করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ৭.৫ লক্ষ আবেদন! অগ্নিপথে আগ্রহী তরুণ সমাজ, জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতা অর্জনের বিষয়ে নৌসেনার এক আধিকারিক জানান, এই সেমিনারের উদ্দেশ্য হল দেশীয় শিল্পকে তরান্বিত করা। নৌবাহিনী আত্মনির্ভর ভারত চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে।  গত বছর প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে ৭৪ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের রাস্তা খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পরনির্ভরশীল না থেকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বদেশেই বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করা আর তার মধ্যে দিয়ে দেশকে আত্মনির্ভরতার পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য কেন্দ্রের। চলতি বছরে ভারত প্রতিরক্ষা আমদানি ২১ শতাংশ কমিয়েছে। রেকর্ড ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার গত আট বছরে শুধু প্রতিরক্ষা বাজেটই বাড়ায়নি, বরং স্থানীয় স্তরে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের উপরেও জোড় দিয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    দেশীয় প্রযুক্তির সংখ্যা বাড়াতে ক্রমাগত কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত যে ভারত যখন তার স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন আমাদের নৌবাহিনী একটি অভূতপূর্ব উচ্চতায় যাবে। দেশীয় প্রযুক্তি দ্বারাই দেশের নিরাপত্তা মজবুত করা হবে।” প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতার প্রচেষ্টা ভারতের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে বলে জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

  • India’s population: আগামী ৭৮ বছরে জনসংখ্যা  হ্রাস পাবে ৪১ কোটি ! জানুন কী বলছে সমীক্ষা

    India’s population: আগামী ৭৮ বছরে জনসংখ্যা হ্রাস পাবে ৪১ কোটি ! জানুন কী বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭৮ বছরে অর্থাৎ ২১০০ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা কমতে পারে ৪১ কোটি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা বিষয়ক প্রজেক্টে বলা হয়েছে, বর্তমানের ১৪১.২ কোটি থেকে ২১০০ সালে ভারতের জনসংখ্যা ১০০.৩ কোটি হতে পারে। 

    ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় জনবহুল দেশ। বিশ্বে একমাত্র চিনের সংখ্যা ভারতের থেকে বেশি। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের জনসংখ্যা বিভাগের তরফে একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতের জনসংখ্যা আগামী কয়েক বছরে দ্রুত কমবে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতে আগামী ৭৮ বছরে জনসংখ্যা প্রায় ৪১ কোটি হ্রাস পাবে। ভারতের জনসংখ্যার হ্রাস বিশ্বের জনসংখ্যার ওপর প্রভাব পড়বে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।

    ভারতের জনসংখ্যা হ্রাসের কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, দেশে প্রজনন হ্রাস হবে। স্ট্যানফোর্ডের গবেষণার দেখা গিয়েছে, কোনও দেশের জনসংখ্যা হ্রাসের জন্য একদিকে যেমন প্রজনন হার হ্রাস দায়ী তেমনি মৃত্যু ও অভিভাবসন অন্যতম কারণ। তবে ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নালের একটি সমীক্ষাতে বলা হয়েছে, ২০৪৮ সাল পর্যন্ত ভারতের জনসংখ্যা দ্রুত হারে বাড়তে থাকবে। এই সময় ভারতের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ হবে। তারপর দেশের জনসংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। ২০৪৮ সালের তুলনায় ২১০০ সালে ভারতের জনসংখ্যা ৩২ শতাংশ কমে যাবে।

    আরও পড়ুন: চলতি বছরে ২৭টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে, দেশে সর্বাধিক

    অধিক জনসংখ্যার ফলে একজন ব্যক্তির জন্য রসদ কমে যায় এটা ঠিক, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতামত বলছে, জনসংখ্যা কমায় আদৌ কোনও লাভ হবে না দেশের। যখন জনসংখ্যা বৃদ্ধি নেতিবাচক হয়ে যায়, জ্ঞান এবং জীবনযাত্রার মান থমকে যায় এবং সেই জনসংখ্যা ক্রমশ শূন্যের দিকে এগোতে থাকে, যা অবশ্যই উদ্বেগজনক। 

    গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ভারতের জনঘনত্ব ক্রমশ কমে যাচ্ছে। বর্তমানে ভারত এবং চিনের জনসংখ্যা অনেকটা একরকম দেখালেও ঘনত্বের দিক থেকে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ভারতে প্রতি বর্গকিমি এলাকায় গড়ে ৪৭৬ জন বাস করে, সেখানে চিনে বাস করে মাত্র ১৪৮ জন। ২১০০ সালের মধ্যে প্রতি বর্গকিমিতে ৩৩৫ জন করে কমে যামে। গোটা বিশ্বে জনঘনত্ব যতটা কমবে বলে ধারণা তার থেকে অনেক বেশি কমবে ভারতে।

  • UNSC Meet in India: দিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক, কবে জানেন?

    UNSC Meet in India: দিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্বেই শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসবাদ (Terrorism)। এহেন আবহে চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতে (India) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক (UNSC Meet)। এই বিশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে দিল্লিতে (Delhi)। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন এই সংঘের স্থায়ী সদস্য। এই স্থায়ী সদস্যরা নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এই নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। আয়োজক দেশ ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম সদস্য।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?

    নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসদমন শাখার ওয়েবসাইটে এই বৈঠকের খবর দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাসবাদের কম বেশি শিকার বিশ্বের সব দেশই। নিরাপত্তা পরিষদ মনে করছে, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ দমনে একযোগে কাজ করতে হবে প্রতিটি দেশকে। এবার কমিটির বৈঠক বসবে ভারতে, ২৯ অক্টোবর। নিরাপত্তা পরিষদের এটি বিশেষ বৈঠক।

    নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক সচরাচর হয় আমেরিকায়ই। অন্যান্য দেশেও হয় মাঝে মধ্যে। তবে ভারতে এই প্রথম নয়, এনিয়ে সাতবার নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসদমন শাখার বৈঠক বসতে চলেছে ভারতে। এর আগে সন্ত্রাসদমনের বিশেষ বৈঠক হয়েছিল স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে, ২০১৫ সালের জুলাইয়ে। তার পর এবার ভারতে বসতে চলেছে এই বিশেষ বৈঠক। আয়োজক দেশ ভারতের কাছে নিরাপত্তা পরিষদের এই বিশেষ বৈঠক নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি। আলোচনার বিষয় যেহেতু সন্ত্রাসবাদ, তাই দিল্লির সুর যে সপ্তমে চড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

    আরও পড়ুন : মালদ্বীপে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেন আদতে মিথ্যে প্রচারের ফল, মত ভারতের বিদেশমন্ত্রকের

    এদিকে, পরিষদের তরফে জারি করা এক ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই বিশেষ বৈঠকে বিশেষত তিনটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হবে। এগুলি হল, সদস্য দেশগুলি যেভাবে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি করছে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সেই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে। একই সঙ্গে আলোচনা হবে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়াকে কীভাবে সন্ত্রাসবাদের হাতিয়ার করা হচ্ছে, তা নিয়েও। প্রসঙ্গত, এবার ভারতে হচ্ছে স্বাধীনতার পঁচাত্তর বর্ষপূর্তি উৎসব। সেই আবহেই হতে চলেছে নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠক।

     

  • Commonwealth Games 2022: কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের প্রথম পদক! ভারোত্তলনে রুপো সংকেতের, শুভেচ্ছা মোদির

    Commonwealth Games 2022: কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের প্রথম পদক! ভারোত্তলনে রুপো সংকেতের, শুভেচ্ছা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারোত্তলনে রুপো ভারতের। অল্পের জন্য সোনা হাতছাড়া হল। চোটের কারণে আটকে গেলেন সংকেত মহাদেব সরগর। তবে সংকেতের হাত ধরেই বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসের প্রথম পদক ঘরে তুলল ভারত। রুপো দিয়ে পদক জয়ের যাত্রা শুরু করল টিম ইন্ডিয়া। ভারতকে প্রতিযোগিতার প্রথম পদক এনে দিলেন সংকেত। পুরুষদের ৫৫ কেজি বিভাগের স্ন্যাচে সর্বোচ্চ ১১৩ কেজি ভার তোলেন তিনি। ক্লিন অ্যান্ড জার্কে তিনি ১৩৫ কেজি ভার তোলেন। সব মিলিয়ে ২৪৮ কোজি ভার তুলে রুপো জেতেন সংকেত। রুপো পাওয়ার পর সংকেত বলেন, “আমি আমার রুপোর পদক স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উৎসর্গ করতে চাই। যাঁরা ভারতের স্বাধনতার জন্য নিজেদের জীবন দিয়েছেন।” দেশকে প্রথম পদক এনে দেওয়ার জন্য সংকেতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।

    [tw]


    [/tw]

    এদিন ফাইনাল চলাকালীনই চোট পান সংকেত। সম্ভবত সেকারণেই সোনা হাতছাড়া হয়ে গেল তাঁর। সোনা পেলেন  মালয়েশিয়ার বিন কাসদান মহম্মদ আনিক। দু’বারের চেষ্টায় সব মিলিয়ে ২৪৯ কেজি ভার উত্তোলন করেছেন তিনি। মাত্র ১ কেজি কম ওজন তুলে রুপো পেয়েছেন ভারতের সংকেত। এটিই এবারের গেমসে ভারতের জেতা প্রথম পদক। চোটের জন্য সোনা জেতা হয়নি ভারতীয় ভারোত্তলকের। সেই সুযোগে ক্লিন অ্যান্ড জার্কে গেমস রেকর্ড গড়ে সঙ্কেতের কাছ থেকে গোল্ড মেডেল ছিনিয়ে নেন মালয়েশিয়ার প্রতিযোগী। 

    আরও পড়ুন: কমনওয়লথ গেমসে ভারতের হয়ে নজরকাড়া সাফল্য

    আসলে ফাইনালের দ্বিতীয় বার ভারোত্তলন করতে গিয়েই কনুইয়ে চোট পেয়ে যান সংকেত। কিন্তু সেই যন্ত্রণা নিয়েও ৫৫ কেজি ক্লিন এন্ড জার্ক বিভাগে দ্বিতীয় চেষ্টায় ১৩৮ কেজি ওজন তোলেন সংকেত। তৃতীয়বার তিনি ১৪১ কেজি ওজন তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু চোটের জন্য সেটা সম্ভব হয়নি। নাহলে সোনার পদক তার খাতাতেই আসত। তবে চোট পাওয়ার পরও জেভাতে তিনি তৃতীয়বার বেশি ওজন তোলার চেষ্টা করলেন, সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ২০২০ সালে খেলো ইন্ডিয়া যুব গেমস থেকে উত্থান সংকেতের। তার ঠিক আগেই অবশ্য সিনিয়র ওয়েটলিফ্টিং ন্যাশনালেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কোলাপুরের শিবাজী ইউনিভার্সিটির ছাত্রের লক্ষ্য ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে নামা। আর সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য দিনে ১২ ঘণ্টা প্র্যাক্টিস করেন। তারই সুফল পেলেন বার্মিংহ্যাম গেমসের দ্বিতীয় দিনেই।

     
  • COVID vaccine: কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন টিকাপ্রাপকেরা বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন কর্বেভ্যাক্স

    COVID vaccine: কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন টিকাপ্রাপকেরা বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন কর্বেভ্যাক্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিশিল্ড (Covishield) অথবা কোভ্যাক্সিন (Covaxin) টিকাপ্রাপকদের বায়োলজিক্যাল ই-র তৈরি কর্বেভ্যাক্সের (Corbevax) বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে বলে জানাল, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI)। কেন্দ্র নিযুক্ত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই কমিটি জানিয়েছে, যে সব ১৮ ঊর্ধ্ব ইতিমধ্যেই কোভিশিল্ড অথবা কোভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের কর্বেভ্যাক্সের বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে।

    এ ব্যাপারে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল এনটিএজিআই। সেখানেই বুস্টার ডোজ হিসেবে অন্য ভ্যাকসিন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI) কর্বেভ্যাক্সকে ছাড়পত্র দিয়েছিল গত ৪ জুন। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সিদের বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করার অনুমোদন পেয়েছিল বায়োলজিক্যাল ই-র তৈরি ভারতের প্রথম আরবিডি প্রোটিন সাব-ইউনিট ভ্যাকসিন। বর্তমানে এই ভ্যাকসিন ১২-১৪ বছর বয়সিদের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জানেন কি, কয়েকটি সহজ পদ্ধতি মেনেই আপনি হারাতে পারেন ফুসফুসের ক্যান্সারকে?

    ভিন্নধর্মী বুস্টার (Heterologous Booster) হিসেবে আগেই ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) এর অনুমোদন পেয়েছিল বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেডের (Biological E Ltd) তৈরি কোভিড টিকা কর্বেভ্যাক্স (Corbevax)। কর্বেভ্যাক্সই ভারতের প্রথম কোভিড টিকা, যা ভিন্নধর্মী বুস্টার ডোজ হিসেবে অনুমোদন পেল। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরে কর্বেভ্যাক্স বুস্টার নেওয়া যেতে পারে। কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন (Covaxin)-র সম্পূর্ণভাবে টিকা পাওয়া প্রাপ্তবয়স্করা তাদের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ হিসেবে কর্বেভ্যাক্স নিতে পারেন।

    এনটিএজিআইয়ের এক আধিকারিকের মতে, বিশেষজ্ঞরা ছাড়পত্র দিয়েছে। এখন যদি কেন্দ্র কোভিশিল্ড অথবা কোভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ হিসেবে কর্বেভ্যাক্সকে ব্যবহার করার অনুমতি দেয় তাহলে টিকাকরণ নয়া দিশা পাবে। উল্লেখ্য, ১৮-৫৯ বছর বয়সিদের বিনামূল্যে সতর্কতামূলক কোভিড টিকার ডোজ (বুস্টার ডোজ) দেওয়া শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। ১৫ জুলাই থেকে পরবর্তী ৭৫ দিন কোভিডের বুস্টার ডোজ পাওয়া যাবে বিনামূল্যে। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজাদি কী অমৃত মহোৎসব কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৭৫ দিন ধরে চলবে এই বিনামূল্যের বুস্টার ডোজ টিকাকরণ।

  • Dark Times: বকেয়া বিল, অন্ধকারে ডুববে ১৩টি রাজ্য! জানুন তালিকায় কোন কোন জায়গা

    Dark Times: বকেয়া বিল, অন্ধকারে ডুববে ১৩টি রাজ্য! জানুন তালিকায় কোন কোন জায়গা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনটা এ দেশে অতীতে হয়েছে কি না তা বলা মুশকিল। তবে বিদ্যুৎ ঘাটতি এবং বকেয়া বিল না মেটানোর জন্য শীঘ্রই অন্ধকারে ডুবতে চলেছে দেশের   ১৩টি রাজ্য। ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে। পাওয়ার এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে বিদ্যুৎ কেনা-বেচার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, ঝাড়খণ্ড, বিহার, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং ছত্তিশগড় সহ মোট ১৩টি রাজ্যের উপর।

    যে সব রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে, সেখানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেখানকার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে বকেয়া টাকা শোধ করেনি রাজ্য। তাই সেখানে নেমে আসতে পারে অন্ধকারের ঘনঘটা। তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম, ঝাড়খণ্ড, বিহার, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং ছত্তিশগড়- এই ১৩টি রাজ্য শীঘ্রই অন্ধকারে ডুবতে পারে বলে অনুমান।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের হাজার কোটির উপহার ওষুধ সংস্থার ! শীর্ষ আদালতে জানাল মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংস্থা

    পাওয়ার সিস্টেম অপারেশন কর্পোরেশন লিমিটেড (POSOCO) তিনটি পাওয়ার এক্সচেঞ্জকে এ নিয়ে বার্তা দিয়েছে। ১৩টি রাজ্যের ২৭টি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে অচিরেই এই ১৩টি সংস্থায় বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা যেতে পারে। আর তার ফল ভুগতে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। ১৩টি রাজ্যের মোট ৫,০৮৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে থাকা POSOCO সারা দেশে বিদ্যুৎ বন্টনের প্রতিটি দিক দেখাশোনা করে। এই প্রথম ভারতে একসঙ্গে এতগুলো রাজ্যের বিদ্যুৎ কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল এই সংস্থা। অতীতে কিছু রাজ্যর উপর এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে একসঙ্গে ১৩টি রাজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘটনা এই প্রথম। ১৩টি রাজ্যের সংস্থাগুলিকে লেট পেমেন্ট করারও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই মেয়াদও পূর্ণ হয়েছে। তাই এই ১৩টি রাজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     
  • Abdul Rauf Azhar: আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

    Abdul Rauf Azhar: আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের মূল চক্রী আব্দুল রউফ আজহারকে (Abdul Rauf Azhar) রাষ্ট্রসংঘে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করল চিন। জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষনেতা মাসুদ আজহারের (Masood Azhar) ভাইকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিল ভারত ও আমেরিকা। রাষ্ট্রসংঘে (UN) ভারত ও আমেরিকার এই যৌথ প্রস্তাবে বাধ সাধে বেজিং। 

    ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান ছিনতাই কাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিল সে। দাদা মাসুদ আজহারকে ভারতের কারাগার থেকে ছাড়াতেই এই অপহরণের পরিকল্পনা করে রউফ। ২০০১-এর সংসদ হামলা এবং ২০১৬-য় পাকিস্তানের পাঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলাতেও নাম জড়িয়েছে তার। তালিবান, আল-কায়দা, লস্কর-ই-তইবা এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রউফ আজহারের। ২০১০ সালের ২ ডিসেম্বর রউফ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৪৮ বছর বয়সি রউফের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের বেশ কয়েকটি রেডকর্নার নোটিশ মুলতুবি রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    রাষ্ট্রসঙ্ঘে সম্প্রতি ভারত ও আমেরিকার তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, মাসুদ আজহারের ভাইকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তার গতিবিধির উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক। রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিরাপত্তা পরিষদের সমস্ত সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে সায় দিলেও ভেটো প্রদানের ক্ষমতাধারী চিন (China) বাধা দেয়। চিনের আপত্তিতেই আপাতত প্রস্তাবটি মুলতুবি রাখা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদের শ্যালক মক্কিকে নিষিদ্ধ করতে পদক্ষেপ করেছিল ভারত। কিন্তু সেবারও বাধা দেয় চিন। মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী হাফিজ সইদের সঙ্গে জেহাদি কাজে যুক্ত রয়েছে মক্কি। কাশ্মীর উপত্যকায় পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র পাচারে জড়িত রয়েছে সে। তাকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে প্রস্তাব পেশ করেছিল নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিনের ভেটোয় সেই প্রস্তাবও পাশ হয়নি।

LinkedIn
Share