Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Centre Procures Onions: আর বাড়বে না পেঁয়াজের দাম! রেকর্ড মজুত কেন্দ্রের

    Centre Procures Onions: আর বাড়বে না পেঁয়াজের দাম! রেকর্ড মজুত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর যোগানের অভাবে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি চিন্তায় ফেলে মধ্যবিত্তদের। তবে এই বছর থেকে কেন্দ্র সরকারের নতুন নীতির জন্য আর পেঁয়াজের মূল্যস্ফীতি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না দেশের মানুষকে। জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০২২-২৩ এ পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার আগে থাকতেই ২.৫ লাখ টন পেঁয়াজের মজুদ বা বাফার স্টক তৈরি করছে। উৎসবের সময় বা বাজারে যখন পেঁয়াজের পর্যাপ্ত যোগান থাকবে না তখন এই মজুদ থেকে পেঁয়াজ ছাড়বে কেন্দ্র সরকার। এত বেশি পরিমাণ পেঁয়াজের মজুদ এখনও পর্যন্ত রেকর্ড।  ২০২১-২২ সালে দুলাখ টন পেঁয়াজ মজুত করা হয়েছিল। এবছর তার পরিমাণ বাড়ল বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়।

    বিশেষ করে বছরের আগস্ট মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ খুব কম পরিমাণে উৎপন্ন হয় । তাই সেইসময় বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতির কারণে দাম হঠাতই খুব বেড়ে যায়। উৎসবের সময় বিশেষ করে পিঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়। এই নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে সমস্যা চলছিল। এবার কেন্দ্র সরকারের নতুন পদক্ষেপ অনুযায়ী তারা ২.৫ লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ করে রেখেছে। মূল্যবৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি হলেই সরকার মজুদ থেকে পেঁয়াজ ছাড়বে।

    আরও পড়ুন: আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশেই মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিস্তা! দাবি সিটের

    এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশের মতো বৃহৎ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্যগুলির কৃষকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করবে। দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনের ৬৫ শতাংশ এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে বপন করা হয় এবং অক্টোবর মাসে কাটা হয়। এরপরে কৃষকদের থেকে পিঁয়াজ কিনে সরকার তা মজুদ করবে। তাহলে বর্ষার দিনেও আর কখনো দেশে পেঁয়াজের অভাব হবে না। এছাড়াও এক আধিকারিকের কথায়, “মজুদ পেঁয়াজ এই সমস্ত শহরে পাঠানো হবে যেখানে আগের মাসের তুলনায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী আগস্ট মাস থেকে এই কাজ শুরু হয়ে যাবে।”

  • Kupwara Encounter: কুপওয়ারায় গুলির লড়াইয়ে খতম তিন লস্কর জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    Kupwara Encounter: কুপওয়ারায় গুলির লড়াইয়ে খতম তিন লস্কর জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাশকতার বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) কুপওয়ারায় (Kupwara) খতম তিন লস্কর জঙ্গি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। গোটা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। 

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের উত্তপ্ত জম্মু–কাশ্মীর। উপত্যকার বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। এদিন গোপনসূত্রে খবর পেয়ে কাশ্মীরের কুপওয়ারায় যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ ও সেনা।

    আচমকাই জওয়ানদের উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে পাক সমর্থিত লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেন জওয়ানরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে দুপক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় চলে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ভারতীয় সেনার গুলিতে খতম হয়েছে তিনি লস্কর জঙ্গি। এখনও বেশ কিছু জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সেনা সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: দেশের প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসাবে আর্মি অ্যাভিয়েশন যোগ দিলেন অভিলাশা বারাক

    নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে, বলে জানান কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা এদেশে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা ক্রমাগত চালিয়ে যাচ্ছে বলে আগেই সতর্ক করেছিল গোয়েন্দা বাহিনী। এদিনের এনকাউন্টারে তেমনই একটি ছক বানচাল হল বলে মনে করছে কাশ্মীর পুলিশ।

    প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে বদগাম এলাকায় নিজের বাড়িতে লস্কর জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন অমরীন ভট্ট (Amreen Bhat) নামে কাশ্মীরের এক অভিনেত্রী। হামলায় গুরুতর জখম হয়েছে অভিনেত্রীর নাবালক ভাইপো। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।  এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা-সহ উপত্যকার বহু রাজনৈতিক নেতা।

    পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ বদগামের চদোরা এলাকায় অমরীনের বাড়িতে ঢুকে পড়ে তিন সশস্ত্র জঙ্গি। জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে গুরুতর জখম হন ৩৫ বছরের অমরীন। তাঁর ঘাড়ে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অমরীনের ১০ বছরের ভাইপোর হাতেও গুলি লেগেছে। রাতেই দু’জনকেই আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অমরীনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। অভিনেত্রীর ভাইপোর সেখানে চিকিৎসা চলছে। 

    কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, টেলিভিশনে অভিনয়ের পাশাপাশি নেটমাধ্যমেও নিজের গানের ভিডিও আপলোড করতেন অমরীন। বদগামের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শোকপ্রকাশ করেছেন উপত্যকার বহু রাজনৈতিক নেতা।  এই হামলার নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা আলতাফ ঠাকুর। একে ‘বর্বরোচিত’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

    এর একদিন আগেই শ্রীনগরে নিজের বাড়ির বাইরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন এক পুলিশকর্মী। হামলায় জখম হয়েছিল তাঁর সাত বছরের এক শিশুকন্যা। নিহত পুলিশ কর্মীর নাম সইফুল্লা কাদরি। শ্রীনগরের সৌরা এলাকায় তাঁর বাড়ি।

  • Shinzo Abe: ব্যথিত মোদি! এভাবে ছেড়ে গেলেন বন্ধু আবে, শোকাহত প্রধানমন্ত্রী

    Shinzo Abe: ব্যথিত মোদি! এভাবে ছেড়ে গেলেন বন্ধু আবে, শোকাহত প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বন্ধুর’ মৃত্যুতে ‘শোকাহত’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার আবের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে মোদির ট্যুইট, “আমি গভীরভাবে ব্যথিত। চলে গেলেন আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবে। দুঃখপ্রকাশের কোনও ভাষা নেই। জাপানকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে সারা জীবন দিয়ে দিলেন শিনজো। পৃথিবীতে জাপানকে একটি বিশেষ স্থানে উন্নীত করেছেন আবে।”  মোদি আরও জানান, “প্রাক্তন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে আগামিকাল ভারত একদিনের জাতীয় শোক পালন করবে।” শুক্রবার সকালে গুলিবিদ্ধ হন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আগেই ট্যুইট করেন মোদি। ট্যুইট বার্তায় মোদি লিখেছেন, “আবের পরিবারের পাশে আছি। জাপানের মানুষের সঙ্গে আছি।’’  

    [tw]


    [/tw]

    এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক, বলে ট্যুইট করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। দুঃখপ্রকাশ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা।

    এই ঘটনাকে ‘জঘন্য’ আখ্যা দিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, “এই ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। এ ধরনের হামলা সহ্য করা হবে না।” আবের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তা পাঠিয়েছেন আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। 

    আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, আততায়ীর পরিচয় প্রকাশ

    শিনজো আবের আমলে ভারত-জাপান সম্পর্ক নয়া উচ্চতা পায়। এরই স্বীকৃতিস্বরুপ তাঁকে গতবছর পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ভারত সরকার। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি জয় পাওয়ার পর প্রথম রাষ্ট্রনেতা হিসেবে শিনজো আবেই  মোদিকে অভিনন্দন জানান। চলতি বছরের মে মাসে মোদি জাপান সফরে গেলে আবের সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়  প্রধানমন্ত্রীর। অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ভারত ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উপর বরাবরই জোর দিয়েছিলেন আবে।

  • Nupur Sharma: সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের আর্জি! নূপুরকে সমর্থন অনুপম খেরের

    Nupur Sharma: সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের আর্জি! নূপুরকে সমর্থন অনুপম খেরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার সমর্থনে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক ব্যক্তি। নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (SC)পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে গেলেন অজয় গৌতম নামে এক ব্যক্তি।   গত এক মাস ধরেই পয়গম্বরকে নিয়ে নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্য ঝড় তুলেছে গোটা দেশে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই অশান্তি থিতু হলেও শুক্রবার প্রাক্তন বিজেপি (BJP) মুখপাত্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তাঁর মন্তব্যে যেভাবে আগুন জ্বলে উঠেছে, তা স্মরণ করিয়ে নূপুরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। 

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চান নূপুর! তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে এক টেলিভিশন চ্যানেলে হজরত মহম্মদকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে বসেন নূপুর শর্মা। যে ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। দেশের একাধিক রাজ্যে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা পথে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। চলে ভাঙচুরও। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই প্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালতের কাছে নূপুর আর্জি জানিয়েছিলেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত এফআইআর যেন দিল্লিতে সরিয়ে আনা হয়। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। উল্টে যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য দায়ী করা হয় নূপুরকে।

    [tw]


    [/tw]

    নূপুর শর্মার হয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা অনুপম খের। উল্লেখ্য, নূপুরের উদ্দেশে এদিন সুপ্রিম রায়ের পরই ট্যুইট করে বিচারপতির উদ্দেশে অনুপমের মন্তব্য, “মাননীয় ধর্মাবতার, আপনি এমন কিছু করুন, যা প্রকৃত অর্থেই সম্মানজনক।” যদিও সেই ট্যুইটে কোথাও নূপুরের নামোল্লেখ করেননি প্রবীণ অভিনেতা। তবে তাঁর মন্তব্যের ধরন ও সময় দেখে নেটপাড়ার আর বুঝতে বাকি থাকেনি যে, এটা নূপুর শর্মাকে নিয়ে সুপ্রিম রায়কে বিঁধেই লেখা।

    [tw]


    [/tw]

    নেদারল্যান্ডসের চরম দক্ষিণপন্থী নেতা হিসাবে খ্যাত সাংসদ গ্রিট উইল্ডার্সও নূপুর শর্মার সমর্থনে এগিয়ে এলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতেই এই ডাচ সাংসদ বলেন, নূপুর শর্মার ‘ কখনওই ক্ষমা চাওয়া উচিত নয় সত্যিটা বলার জন্য…, তিনি উদয়পুর কাণ্ডের জন্য দায়ী নন।’ এ প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই গত ১৮ জুন পুলিশের কাছে এসে নিজের বয়ান রেকর্ড করেছেন নূপুর। তিনি তাঁর মন্তব্য ফিরিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছেন।

  • Iron Age: তামিলদের হাত ধরে ৪২০০ বছর আগে ভারতে শুরু হয় লৌহ যুগ

    Iron Age: তামিলদের হাত ধরে ৪২০০ বছর আগে ভারতে শুরু হয় লৌহ যুগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভারতে সবচেয়ে আগে লোহার (Iron) ব্যাবহার শুরু হয়েছিল তামিলনাড়ুর একটি ছোট্ট গ্রামে। মায়িলাদুমপারাই (Mayiladumparai)l নামক একটি ছোট গ্রামে খননকার্য চালিয়ে প্রাপ্ত লোহার সরঞ্জামগুলি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তামিলনাড়ুতে লৌহ যুগ শুরু হয়েছিল ৪২০০ বছর আগে। যা সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন লোহার ব্যাবহারের স্থান বলা যেতে পারে। দক্ষিণ তামিলনাড়ুর আদিচানাল্লুরের লৌহ যুগের সমাধিস্থলটি লোহার সরঞ্জামের একটি চিত্তাকর্ষক সংগ্রহ প্রকাশ করেছিল, যা বর্তমানে চেন্নাইয়ের এগমোর মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে, যা ১০০০ খৃষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৬০০ খৃষ্টপূর্বাব্দ এর মধ্যে ছিল তবে এটি প্রায় তার ৪ গুন বেশি পুরনো বলে জানা যাচ্ছে।

    মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন (M K Stalin),  তামিলনাড়ু বিধানসভায় বলেন: “এটি জানা গিয়েছে যে মায়িলাদুমপারাই থেকে প্রাপ্ত লোহার প্রত্নবস্তুর তারিখ ২১৭২ খৃষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১৬১৫ খৃষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। ফলাফলগুলি এই সত্যটিকে পুনর্ব্যক্ত করেছে যে তামিলনাড়ুর লৌহ যুগ ৪২০০ বছর পুরনো, যা ভারতের প্রাচীনতম।”

    অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধানগুলির মধ্যে প্রমাণ রয়েছে যে তামিলনাড়ুর শেষ নিওলিথিক পর্বটি ২২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের আগে শুরু হয়েছিল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সময়ের ২৫ সেন্টিমিটার নীচে একটি সাংস্কৃতিক জমার উপর ভিত্তি করে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা আরও দেখেছেন যে কালো এবং লাল মৃৎপাত্রের প্রচলন হয়েছিল নিওলিথিক পর্বের শেষের দিকে। আগে মনে করা হত এটি লৌহ যুগে ঘটেছিল।

    তামিলনাড়ু স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ আর্কিওলজি (TNSDA) এর একটি সূত্র বলেছে যে মায়িলদুমপারাই ছোট গ্রামটি ভারতে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রাচীনতম লৌহ যুগের স্থান। বারাণসী, উত্তর প্রদেশের কাছে মালহার এবং উত্তর কর্ণাটকের ব্রহ্মগিরির মতো জায়গায় আগে যে খনন করা হয়েছিল, সেই তারিখটিকে কেবল খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের কাছাকাছি পৌঁছেছিল বলে ওই সূত্রে  উল্লেখ করা হয়েছে। 

  • Shahi Idgah mosque: ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান, নমাজ পড়া বন্ধের দাবি উঠল মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে

    Shahi Idgah mosque: ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান, নমাজ পড়া বন্ধের দাবি উঠল মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (Gyanvapi mosque) নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মন্দিরনগরী মথুরার (Mathura) শাহি ইদগাহ (Shahi Idgah Mosque) মসজিদে নমাজ পড়া বন্ধের আর্জি জানাল আইনজীবী এবং আইন পাঠরত ছাত্রদের একাংশ। আদালতে তাঁদের আবেদন, অতি সত্বর যেন শাহি ইদগাহ মসজিদে নমাজ পড়তে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। হিন্দুত্বের প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে এই আশঙ্কায় মসজিদ চত্বর সিল করে দেওয়ার দাবিও তোলা হয়।

    আবেদনকারীদের দাবি শাহি ইদগাহ মসজিদ আসলে কৃষ্ণের জন্মস্থান। ওই স্থানে একটি প্রাচীন মন্দির ছিল। আবেদনকারী এক আইনজীবী শৈলেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘মসজিদের এই কাঠামো একটি হিন্দু মন্দিরের অবশিষ্টাংশের উপর তৈরি হয়েছে। এটি একটি মন্দির এবং এই কাঠামোর উপর মসজিদ হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।’’হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠনের দাবি, ইদগাহের ১৩.৩৭ একর জমি মন্দিরের।

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি অনেক দিন ধরেই  দাবি জানিয়ে আসছে, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কৃষ্ণ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে তৈরি করেছিলেন ওই মসজিদ। ফলে ওই মসজিদ সরিয়ে দিতে হবে। এর আগেও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মথুরার আদালতে মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি পিটিশন দাখিল করেছিল। এই মসজিদ লাগোয়া কৃষ্ণের একটি মন্দিরও রয়েছে। মন্দিরের নাম কাটরা কেশব দেব মন্দির।

    শুধু নমাজ বন্ধ নয়, মঙ্গলবার হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকে মথুরা আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে, জ্ঞানবাপী মসজিদের মতোই শাহী ঈদগাহেও রয়েছে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’। সেগুলোর সমীক্ষা এবং ভিডিওগ্রাফির দাবিতে ইতোমধ্যেই একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় ঘোষণার আগেই ঈদগাহ থেকে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। তাই অবিলম্বে পুরো চত্বরটি সিল করারও আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মহেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ বলেন, “কাশীর তথাকথিত জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা এবং ভিডিওগ্রাফির প্রাথমিক রিপোর্ট দেখার পরে সোমবার আদালত ‘মা শৃঙ্গার গৌরিস্থল’ (মসজিদের ওজুখানা এবং তহখানা এলাকা) সিল করার নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে প্রাচীন শিবলিঙ্গের সন্ধান মিলেছে। আমাদের আশঙ্কা, মথুরার শাহী ঈদগাহ থেকে এবার এমন ঐতিহাসিক প্রমাণগুলো নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা হবে। “এই মামলায় পরবর্তী শুনানি জুলাই মাসের ১ তারিখ।

  • Assam floods: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম, ২০টি জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    Assam floods: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম, ২০টি জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বর্ষণে আসামে (Assam)বন্যা (Flood)পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার নিয়েছে। টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি (Heavy Rain) চলছে। আসামে ৬ মে থেকে ৫৪৫.৬৬ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জাতীয়সড়ক এবং পাঁচটি রাজ্যসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত। বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও মোবাইল সংযোগ নেই। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রামের পর গ্রাম। আসামের ২০টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত লাখ দুয়েক বাসিন্দা। প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরগুলিতে (Relief Camps) আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিটি এলাকা এক-একটা দ্বীপের চেহারা নিয়েছে। জেলাসদর হাফলঙের সঙ্গে মাইবাঙের যোগাযোগ নেই। কারণ ধসের পর ধস নেমেছে আসামের ওই পাহাড়ি জেলায়। এমনকি শহরতলি জাটিঙ্গায়ও যাওয়া-আসা বন্ধ। বহু জায়গায় রেল ট্র্যাক মাটির তলায়,সড়কের ওপর দিয়ে বইছে জলস্রোত।

    জেলার প্রতিটি রেলস্টেশনের চেহারা বদলে গিয়েছে। হাফলঙ স্টেশনে হাঁটুসমান কাদা। একটি ফাঁকা ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে। পাহাড় ভেঙে জল-কাদা গড়িয়ে যাওয়ার সময় এর পাঁচ-ছয়টি কামরাকে সরিয়ে দিয়েছে। সেগুলি কাত হয়ে দূরে পড়ে আছে। সেখানে অনেকটা জায়গা জুড়ে ট্র্যাক নিশ্চিহ্ন। আরও বহু জায়গায় ট্র্যাকের নীচে থেকে মাটি সরে গিয়েছে। দাওতুহাজা ও ফাইডিংয়ের মধ্যবর্তী তিনশো মিটার এলাকা রেললাইন ঝুলন্ত সেতুর চেহারা নিয়েছে। নিউ হাফলঙে টানা বর্ষণের রেললাইনে ধসের জেরে ট্রেনের মধ্যেই আটকে পড়েছিলেন প্রায় ২৮০০ যাত্রী। কোনওরকমে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। বায়ুসেনার কপ্টারে করে অধিকাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দিমা হাসাও জেলায় লুমডিং শাখায় দুটি ট্রেন আটকে পড়েছিল। ওই দুটি ট্রেনের মধ্যে ছিলেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। বন্যা পরিস্থিতি ও ধসের জেরে প্রাণ হাতে নিয়ে কার্যত আতঙ্কের প্রহর গুনছিলেন তাঁরা। শেষমেশ তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

     এই পরিস্থিতিতে ২৫ জোড়া ট্রেন বাতিল করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। আসামের Dima Hasao এলাকায় ভূমিধসের কারণে ত্রিপুরা, মিজোরাম ও দক্ষিণ অসমের এলাকায় চলাচলকারী ওই ট্রেনগুলিকে বাতিল করেছে Northeast Frontier Railway। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে রেললাইন মেরামতির কাজ। যে সমস্ত ট্রেন বাতিল ও আংশিক বাতিল করা হয়েছে সেগুলির মধ্যে আছে Agartala–Anand Vihar Tejas Rajdhani এক্সপ্রেস, Bangalore Cant –Agartala এক্সপ্রেস, Agartala – Secunderabad এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-আগরতলা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। 

    [tw]


    damaged because of the heavy-rain induced flash flood and landslide.#AssamFloods #AssamFloodUpdates #AssamNews #haflongflood @RailNf @RailMinIndia pic.twitter.com/PatgR9U0eC— Farhan Ahmed (@farhan_assam) May 16, 2022

    [/tw]

    আসামের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের (Assam Disaster Management Department) তরফে জানানো হয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছে কাছাড় (Kachar) এলাকা। ওই জেলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ। কাছাড়ের সাড়ে ছ’শোরও বেশি গ্রাম বন্যার কবলে। বাড়ছে বন্যার জলে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা। করিমগঞ্জ জেলায়ও নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।  বন্যা পরিস্থিতিতে অসমে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কয়েকজন নিখোঁজ বলেও জানা গিয়েছে। প্রায় ৬৬ হাজার ৬৭১ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১৬ হাজার হেক্টর জমি জলে ডুবে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। জলের তোড়ে তমালপুর জেলায় বোরোলিয়া নদীতে ভেসে গিয়েছে বাঁশের সেতু। অসমের জোরহাট (Jorhat), নওগাঁ (Naugaon ) জেলার পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগের। নগাঁও জেলায় কপিলি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ব্রহ্মপুত্রের জলও বিপদসীমার উপরে। এর মধ্যে জেলা জুড়ে বিদ্যুৎ নেই। বিঘ্নিত হচ্ছে জল সরবরাহ। মিলছে না ইন্টারনেট পরিষেবাও।

    আরও পড়ুন : সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকল আন্দামানে, রাজ্যেও বৃষ্টির পূর্বাভাস

  • Dam On Brahmaputra: ব্রহ্মপুত্রের উপর হতে চলেছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ

    Dam On Brahmaputra: ব্রহ্মপুত্রের উপর হতে চলেছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মপুত্র (Brahmaputra)নদের উপর ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ তৈরির করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) ইংকিয়ং (Yingkiong)য়ে ওই বৃহৎ বাঁধ তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৫০ হাজার কোটি টাকা। এই অরুণাচল সীমান্তের কাছাকাছি তিব্বতের মেডগ কাউন্টিতে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদীর উপর বাঁধ তৈরি করেছে বেজিং। এবার তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের বুকে চিনা ‘মেগা ড্যাম’ প্রকল্পের পালটা অরুণাচল প্রদেশে এই বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি।

    চিন অধিকৃত তিব্বত অঞ্চলের উৎসস্থল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদী। অরুণাচলে পৌঁছে এর নাম হয়েছে সিয়াং। আর অসমে প্রবেশ করার পরে এই সিয়াংই পরিচিত হয় ব্রহ্মপুত্র নামে এবং এর পর ফের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র। বর্ষার সময় এই নদের জল উপচে পড়লেও বছরের অন্য সময়ে তিব্বতের বরফ গলা জলই এই নদে জলপ্রবাহ ধরে রাখে।   

    প্রসঙ্গত, নদীর অবস্থানের সুবাদে ভারতের (India) চেয়ে অনেক সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে চিন। বিশেষ করে তিব্বত অঞ্চল নিজেদের দখলে রাখার পরে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম নদীগুলির উৎস রয়েছে বেজিংয়ের কবজায়। এর মধ্যে ৪৮% নদীর জলই ভারতের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলে। চিনের ওই নয়া প্রকল্পের কারণে স্বভাবতই জল কমে যাবে ব্রহ্মপুত্রের। আবার বর্ষার সময় চিন বাঁধের জল ছাড়লে অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল,বাংলাদেশের একাধিক জায়গা জলের তলায় চলে যেতে পারে, বলে আশঙ্কা ছিল ভারতের। তাই চিনকে আটকাতে ভারত এই নতুন প্রকল্প হাতে নিতে চলেছে বলে অনুমান।
     
    দেশের জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, “চিনা বাঁধ থেকে তৈরি হওয়া সমস্যা ও কুপ্রভাব কাটাতে এই মুহূর্তে অরুণাচল প্রদেশে ব্রহ্মপুত্রের বুকে একটি বাঁধ তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ স্তরে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, বাঁধের মাধ্যমে জল ধরে রাখার জন্য বিশাল জলাধার তৈরি করবে ভারত। এর ফলে তিব্বতে চিনা বাঁধ থেকে আচমকা জল ছাড়লে হড়পা বানের আশঙ্কা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যাবে। পাশাপাশি, এর ফলে বর্ষার সময় ছাড়া বছরের অন্য দিনে  উত্তর-পূর্ব ভারতে জলসংকটের মোকাবিলাও করা যাবে।

  • Oil Import: রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে  ছয় মাসের চুক্তি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলির

    Oil Import: রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে  ছয় মাসের চুক্তি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মস্কো থেকে তেল আমদানি নিয়ে  ছয় মাসের চুক্তি করতে চলেছে ভারতের প্রথম সারির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর,ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (IOc), হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (HPCL), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL) একযোগে রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় তেল সংস্থা রসনেফ্টের সঙ্গে তেল আমদানি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

    এক মাসে ছয় মিলিয়ন ব্যারল অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে পারে আইওসি।  এছড়াও অতিরিক্ত তিন মিলিয়ন ব্যারল তেলও আমদানি করার কথা রয়েছে তাদের। একইসঙ্গে এইচপিসিএল এবং বিপিসিএল যথাক্রমে যথাক্রমে মাসে তিন এবং চার মিলিয়ন ব্যারল তেল আমদানি করতে পারে। দাম এবং ছাড়ের ভিত্তিতে তেলের পরিমাণ পরিবর্তন করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    উল্লেখ্য, ইউক্রেনের (Ukraine) উপর রুশ (Russia) সেনা অভিযান চালানোর পর ওয়াশিংটনের বার্তা ছিল, রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত রকমের অসহযোগিতার করার। কিন্তু যুদ্ধের প্রায় আড়াই মাস পর দেখা যাচ্ছে এই সময়ের মধ্যে ভারত যে পরিমাণ তেল আমদানি করেছে রাশিয়া থেকে, তার চেয়ে অনেক এগিয়ে ইউরোপের দেশগুলি। এমনকী আমেরিকাও এই আমদানির তালিকায় অনেকটা উপরের দিকেই রয়েছে। তাই তেল আমদানি করার ক্ষেত্রে কোনওরকম সমঝোতা করতে রাজি নয় ভারত। অবশ‌্য শুরু থেকেই যুদ্ধের বিরোধিতা করলেও তেল আমদানি নিয়ে অনড় ছিল ভারত। মার্কিন চাপ সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি মোদি সরকার।

    ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে লাগাতার বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের দাম। আর রাজকোষে বিশাল চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে মোদি সরকারকে। এহেন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে সস্তায় তেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। বন্ধু দেশগুলিকে পাশে পেতেই অনেক কম দামে তেল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। বলা হয়েছিল, যুদ্ধ শুরুর আগের চেয়েও কম দরে তেল রপ্তানি করবে রাশিয়া। তাতে সাড়াও দিয়েছিল ভারত। এই মুহূর্তে দেশের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে রুশ তেল আমদানি করা লাভজনক হবে বলেই মত অর্থনৈতিক মহলের। 

  • Indian Railways: ট্রেন যাত্রার সময় রাতে ভুলেও যে কাজগুলি করবেন না… নয়া নিয়ম রেলের

    Indian Railways: ট্রেন যাত্রার সময় রাতে ভুলেও যে কাজগুলি করবেন না… নয়া নিয়ম রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরপাল্লার ভ্রমণের ক্ষেত্রে দেশে এখনও সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় মাধ্যম ট্রেন (train)। বহু কোটি মানুষ ট্রেনে সফর করেন। কিন্তু বহুক্ষেত্রে আমরা সহযাত্রীদের কথা না ভেবেই অনেক কিছু করে থাকি। এই পরিস্থিতিতে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে নয়া নিয়ম জারি করা হল। যাত্রী সুবিধার জন্য ভারতীয় রেলওয়ে  একটি নিয়মের বড় পরিবর্তন করেছে। এই নিয়মের কথা সাধারণভাবে ট্রেনে ভ্রমণ করা সকলের জানা উচিত। রাতে যাত্রীদের স্বচ্ছন্দ ভ্রমণ নিশ্চিত করতেই এই নয়া নিয়ম। এই নিয়ম ভঙ্গের ক্ষেত্রে বড় জরিমানা দিতে হতে পারে যাত্রীকে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, রাতে ট্রেনে যাত্রীরা মোবাইলে উচ্চস্বরে কথা বলতে পারবে না। কিংবা কেউ উচ্চকণ্ঠে গান শুনতে পারবেন না। যাত্রীদের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে এই ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এদিকে নাইট ল্যাম্প বাদে কামরার সব আলো বন্ধ রাখতে রাত ১০টার পর। তাছাড়া গ্রুপে ভ্রমণ করা ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে জোরে কথা বলতে পারবেন না। নতুন নিয়মে, কোনও যাত্রী কোনও সমস্যার বিষয়ে অভিযোগ করলে, রেল কর্মীদের ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে। কোনও সমাধান না হলে পুরো দায় বর্তাবে ট্রেনের কর্মীদের ওপর। রেলওয়ে বোর্ডের পক্ষ থেকে সব জোনের মহাব্যবস্থাপকদের এ বিষয়ে আদেশ জারি করে নিয়ম বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। 
    উল্লেখ্য, রাতে মোবাইলে উচ্চস্বরে কথা বলা বা গান শোনার অভিযোগ প্রায়ই ওঠে দূরপাল্লার ট্রেনে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে যাত্রীরা নিজেদের মধ্যে উচ্চস্বরে কথা বলে,যাতে অন্য যাত্রীদের ঘুমের অসুবিধা হয়। অনেক সময় রাতে আলো জ্বালানো নিয়েও বচসা হয় দু’পক্ষের মধ্যে। এই আবহে এখন রেলের কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ ধরনের সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়েছে। চেকিং স্টাফ,আরপিএফ, ইলেকট্রিশিয়ান, ক্যাটারিং স্টাফ এবং রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা রাতে কাজ করবেন ট্রেনে। তাদের কাছে অভিযোগ জানানো যেতে পারে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে আইআরসিটিসি।

LinkedIn
Share