Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Venus Orbit: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    Venus Orbit: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্র গ্রহে অভিযান (Venus Orbiter Mission) চালাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। শুক্রকে প্রদক্ষিণ করার জন্য একটি মহাকাশযান (Spacecraft) প্রস্তুত করছে ইসরো। সৌরজগতের উষ্ণতম গ্রহের পৃষ্ঠের নীচে কী রয়েছে এবং এটিকে ঘিরে থাকা সালফিউরিক অ্যাসিড মেঘের রহস্য উদঘাটন করবে মহাকাশযান। এছাড়াও পরিকল্পিত পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে শুক্রের পৃষ্ঠে ঘটে চলা প্রক্রিয়াগুলির সন্ধান, সক্রিয় আগ্নেয়গিরির হটস্পট এবং লাভা প্রবাহ সহ অগভীর উপ-পৃষ্ঠের স্তরবিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের গঠন এবং গতিশীলতা অধ্যয়ন। এছাড়াও ভেনুসিয়ান আয়োনোস্ফিয়ারের সঙ্গে সৌর বায়ুর মিথস্ক্রিয়াও পর্যবেক্ষণ করা হবে।

    এক বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে ইসরো-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somnath) বলেছেন, “শুক্র মিশনটি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে, একটি প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এর জন্য় তহবিলের বিষয়টিও ঠিক করা হয়েছে।” সোমনাথ উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, “শুক্র গ্রহের জন্য একটি মিশন তৈরি করা এবং স্থাপন করা ভারতের পক্ষে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সম্ভব। ভারতের কাছে এখন সেই সামর্থ্য আছে।”

    তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শুক্র গ্রহের জন্য মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হতে পারে। ওই সময় পৃথিবী এবং শুক্র এতটাই কাছাকাছি আসবে যে মহাকাশযানটিকে ন্যূনতম পরিমাণ প্রপেলান্ট ব্যবহার করে কক্ষপথে রাখা যেতে পারে। ২০২৪ সালের পর আবার এই ধরনের সুযোগ আসবে ২০৩১ সালে। শুক্রগ্রহে অভিযান নিয়ে আশাবাদী ইসরো। মার্স বা চাঁদে যেরকম সফল অভিযান চালানো হয়েছিল শুক্রের ক্ষত্রেও তেমনই হবে, বলে বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের। একসময় পৃথিবীর মতোই ছিল এই গ্রহ। অনেক বিজ্ঞানী একে পৃথিবীর যমজ গ্রহও বলে থাকেন। কিন্তু আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখানে প্রাণীরা বাস করতে পারে না এমনটাই মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তাই এই গ্রহকে নিয়ে মানুষের এত আকর্ষণ।

  • CIA News: মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা CIA-র শীর্ষ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন্দ মুলচন্দানি

    CIA News: মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা CIA-র শীর্ষ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন্দ মুলচন্দানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টালিজেন্স এজেন্সি বা সিআইএ (Central Intelligence Agency)-এর  শীর্ষ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নন্দ মুলচন্দানি (Nand Mulchandani)। সদ্য সিআইএ মুখ্য প্রযুক্তি আধিকারিক (Chief Technology Officer) নামে একটি নতুন পদ তৈরি করেছে। সেই পদেই সর্বপ্রথম দায়িত্ব পেলেন দিল্লির স্কুলে পড়াশোনা করা নন্দ। CIA-এর সংশ্লিষ্ট পদে তাঁর নিয়োগের বিষয়টি দিন কয়েক আগেই ঘোষণা করা হয়। একটি ব্লগে সংস্থার এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আনেন ডিরেক্টর উইলিয়াম জে বার্নস (William J Burns)। পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সিলিকন ভ্যালিতে প্রতিরক্ষা বিভাগের (Department of Defense) গুরুত্বপূর্ণ পদে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে নন্দর। CIA-এর পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

    অন্যদিকে, ডিরেক্টর উইলিয়াম জে বার্নস জানিয়েছেন, “আমি যেদিন থেকে সংস্থার দায়িত্ব পেয়েছি, সেদিন থেকেই প্রযুক্তিগত দিকটিকে আরও উন্নত করার বিষয়ে মনোনিবেশ করেছি। আমাদের নতুন এই CTO পদটি তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নন্দ যে আমাদের সঙ্গে যোগদান করেছেন, তাতে আমি ভীষণ খুশি। ওঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আমাদের সংস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
    CIA-এর ওই বিবৃতিতেই বলা হয়েছে, নবনিযুক্ত CTO-কে প্রধানত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করতে হবে। গোটা বিশ্বে নিত্যনতুন যা কিছু আবিষ্কার করা হচ্ছে (প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত) সেই সমস্ত বিষয়গুলি কাজে লাগিয়ে কীভাবে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার কর্মপদ্ধতি আরও ভালো করা যায়, সেদিকেই নজর দিতে হবে নন্দকে। নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে নন্দ জানিয়েছেন, মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা যাতে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারে, তা নিশ্চিত করবেন তিনি। CIA-তে যোগ দেওয়াটা তাঁর কাছে অত্যন্ত সম্মানের বলে জানিয়েছেন নন্দ মুলচন্দানি।

    প্রসঙ্গত, দিল্লির স্কুলে প্রাথমিক পর্যায়ের পড়াশোনা করার পর কম্পিউটার সায়েন্স এবং অঙ্ক নিয়ে স্নাতকস্তরের পাঠ শেষ করেন নন্দ। পরবর্তীতে স্ট্যানফোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি লাভ করেন। পাশাপাশি, হার্ভার্ড থেকেও পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার ডিগ্রি করেন নন্দ। CIA-তে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত DoD (Department of Defense)-এর CTO পদেই ছিলেন তিনি। ফলে অভিজ্ঞ এই ব্যক্তির হাতে দায়িত্ব দিয়ে লাভবান হবে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা, এমনটাই অনুমান।

  • Covid 19: বাড়ছে সংক্রমণ, চতুর্থ ওয়েভের শঙ্কা, মাস্ক বাধ্যতামূলক দিল্লিতে, ৫ রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের

    Covid 19: বাড়ছে সংক্রমণ, চতুর্থ ওয়েভের শঙ্কা, মাস্ক বাধ্যতামূলক দিল্লিতে, ৫ রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টায় দেশে আবার বাড়ল কোভিডের দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। ভারতে নতুন করে একদিনে করোনা আক্রান্ত হলেন দু’হাজার ৬৭ জন। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,২৪৭ জন। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৬৬ শতাংশ বাড়ল করোনা রোগীর সংখ্যা। দিল্লিতে এক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে ৬৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

    সংক্রমণের জেরেই আবার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে মাস্ক। বুধবার দিল্লিতে জানিয়ে দেওয়া হল এই কথা। বলা হল, আবার মাস্ক পরতেই হবে। শুধু প্রাপ্তবয়স্কদেরই নয়, শিশু, কিশোর-কিশোরীদেরও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হল দিল্লিতে। এভাবেই আপাতত চতুর্থ ঢেউ আটকানোর কথা ভাবছে সরকার। তার সঙ্গে জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণেও।

    তবে এর মধ্যে একটি প্রশ্ন উঠেছে। স্কুল কি আবার বন্ধ হবে?

    এখনই তার কোনও আশঙ্কা নেই। এমনই বলা হয়েছে। স্কুল খোলাই থাকবে। ক্লাসও হবে নিয়ম করে। আগামী সময়ে পরিস্থিতি বিচার করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। তবে রাস্তায় বেরোতে গেলে তো বটেই স্কুল পড়ুয়াদের স্কুলেও পরে থাকতে হবে মাস্ক। নতুবা জরিমানা দিতে হবে। মাস্ক না পরা অবস্থায় কাউকে দেখা গেলেই ৫০০টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

    ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে আশঙ্কার মাঝেই, দেশের পাঁচ রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান, এই রাজ্যগুলি থেকেই ভারতের মোট কেসলোড এবং উচ্চ হারে সংক্রমণের খবর আসছে। এই পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মিজোরাম, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত রাজ্যকে সংক্রমণের বিস্তারের উপর নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার এবং কোভিড -১৯ সংক্রমণ রোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাজকর্মের উপর বিধি নিষেধ তুলে দেওয়ার আগে ঝুঁকির মূল্যায়ন করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। 

    রাজ্যগুলিকে কোভিডের টিকাকরণের উপর জোড় দিতে বলা হয়েছে।  ভিড় জায়গায় মাস্ক পরার উপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে ভূষণ আরও বলেন, যে রাজ্যগুলিকে অবশ্যই কঠোর নজরদারি বজায় রাখতেই হবে এবং সংক্রমণের যে কোনও বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অগ্রিম পদক্ষেপ নিতে হবে। উদ্বেগজনক ক্ষেত্রগুলিতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং তাৎক্ষনিক ফলোআপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি । উদ্বেগ বেড়েছে কেরলকে নিয়েও। কেরলেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশো ছুঁইছুঁই। সে রাজ্যে এক দিনে ৪৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

  • iPod: আর নয় আইপড জানাল অ্যাপেল, স্মৃতিমেদুর নেটপাড়া

    iPod: আর নয় আইপড জানাল অ্যাপেল, স্মৃতিমেদুর নেটপাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দশক আগে আইপড ছিল স্টেটাস আইকন। এক দশক আগেও এর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। কলেজ ছাত্র-ছাত্রীর কাছে আইপড ছিল স্বপ্ন। পকেটে আইপড থাকলে বন্ধুদের কাছে গুরত্বও বেড়ে যেত অনেক। একটি ছোট যন্ত্রে ভরা থাকত রবীন্দ্রসংগীত থেকে রক মিউজিক। একগুচ্ছ গান শুনতে শুনতে পথ চলা শুরু। “দিনের শেষে,ঘুমের দেশে” হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গীও ছিল আইপড। কিন্তু এখন স্মার্ট ফোনের যাদুতে ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসছে আইপডের আধিপত্য। মুঠোফোনে গান শোনা থেকে সিনেমা দেখা সবই হয়ে যাচ্ছে। তাই আকর্ষণ হারাচ্ছে আইপড। তাই আইফোন নির্মাতা সংস্থা অ্যাপেল ঘোষণা করেছে যে,আর আইপড টাচ তৈরি করবে না তারা। বন্ধ করা হচ্ছে আইপডের বিক্রি। এটিই লেটেস্ট আইপড ছিল। 

    প্রথম আইপড লঞ্চ হয়েছিল ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর। আইপড প্রথম বাজারে এনেছিলেন  স্টিভ জোবস। সেসময় বিশ্বের বাজারে অ্যাপল কোম্পানির অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। সেই দুর্দশার মাঝে অ্যাপলের হাল ফিরিয়েছিল আইপড। iPod অ্যাপলকে একটা প্রায় দেউলিয়া সংস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বের অন্যতম বড় সংস্থায় পরিণত করেছিল। তবে সে দিন আর নেই। অ্যাপলের আইফোন বাজার দখল করে নিয়েছে। তাই কোম্পানি জানিয়েছে আপাতত যে টুকু স্টক আছে, তা থেকেই আইপড টাচ বিক্রি হবে। স্টক ফুরিয়ে গেলেই বিক্রি শেষ।

    ২১ বছরের ব্যবধানে, অ্যাপল আইপডের বেশ কয়েকটি নতুন নতুন ভার্সান এনেছে। কিন্তু ধীরে ধীরে আইপডের সমস্ত কাজ স্মার্টফোনেই উপলব্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে আর আলাদা করে আইপডের চাহিদা নেই। ক্লিক হুইল-সহ আইপড ক্লাসিক ২০১৪ সালেই বন্ধ করে দিয়েছে অ্যাপেল। এরপর ২০১৭ সালে, অ্যাপেল iPod Nano এবং iPod শাফল তৈরি বন্ধ করে দেয়।

    অ্যাপলের আইপডের শেষ মডেলটি ২০০৭ সালে বেরিয়েছিল। সেই মডেলের নাম ছিল ‘আইপড টাচ’। টাচ স্ক্রিনের সেই আইপডে শুধু গান নয়, থাকত ভিডিও, ছবি ও বিভিন্ন অ্যাপের বন্দোবস্ত। ৬৪ গিগাবাইট জায়গা ছিল সেই আইপডে। আইপড টাচ বেশ কয়েক বছর ধরে বাজারে রেখেছিল অ্যাপেল। শখের কারণে অনেকে এখনও আইপড কিনতেন। তবে ধীরে ধীরে তার সংখ্যা কমেছে। তাই এবার বিদায়ের পালা।
     

  • Water in Moon: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    Water in Moon: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হত চাঁদে (Moon)জল নেই, চাঁদ শুষ্ক উপগ্রহ। কিন্তু ২০০৮ সালে অ্যাপোলো ১৫ আর ১৭-র চন্দ্রাভিযানের পর সেই ধারণা বদলায়। জানা যায় চাঁদে জল আছে। তবে ভারতের চন্দ্রযান (Chandrayaan)অভিযানের পর ধারণাটা আরও খানিকটা বদলায়।  বিজ্ঞানীরা দেখেন, চাঁদের যে অংশে জলের উপস্থিতি অনুমান করা হয়েছিল সেখানে ছাড়াও জল আছে অন্য জায়গাতেও। এবার নয়া গবেষণার ফেল জানা গেল চাঁদে যে জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তার বেশিরভাগেরই উৎস পৃথিবী। 

    এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস জিওফিজিক্যাল ইনস্টিটিউট  (Alaska Fairbanks Geophysical Institute)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে,পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্তর থেকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়ন বের হচ্ছে। সেখান থেকেই চাঁদে জল আসছে। এবিষয়ে একটি রিপোর্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন ওই সংস্থার গবেষকেরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে এবং সেক্ষেত্রে পৃথিবীর সঙ্গে একটি চুম্বকীয় আকর্ষণ রয়েছে চাঁদের। সেখানেই রয়েছে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের স্তর। যার মাধ্যমে চাঁদে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। 

    সম্প্রতি রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী,চাঁদের এক মেরু অঞ্চলে ৩৫০০ কিউবিক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের যুক্তি,হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়নগুলি যখন চৌম্বকীয় তরঙ্গের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন তা জলকনা সৃষ্টি করছে। এবং সেখান থেকেই চাঁদে জলস্তর তৈরি হয়েছে।

    চাঁদে জলের সন্ধান করার জন্য চলতি দশকেই একাধিক মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নাসা (NASA)। চাঁদে সত্যিই জল রয়েছে কিনা এবং তার উৎস সন্ধানই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। এছড়াও আরও কিছু বিষয় নিয়ে খোঁজখবর করবে ওই মহাকাশচারীরা। 

  • Dhaakad: অ্যাকশনে ভরপুর ‘ধাকড়’ ছবির ট্রেলার, রণংদেহী মেজাজে কঙ্গনা, সঙ্গী শাশ্বত

    Dhaakad: অ্যাকশনে ভরপুর ‘ধাকড়’ ছবির ট্রেলার, রণংদেহী মেজাজে কঙ্গনা, সঙ্গী শাশ্বত

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রিং মাস্টার’ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে নারী পাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন এজেন্ট অগ্নি, কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut।  ‘ধাকড়’(Dhaakad) সিনেমার  ট্রেলারেই বাজিমাত কঙ্গনার। কয়লা মাফিয়া,মানুষ পাচারের বিরুদ্ধে এজেন্ট অগ্নি কীভাবে রুখে দাঁড়াচ্ছে, তাই প্রকাশ্যে আসছে ধাকড়-এর ট্রেলারের মাধ্যমে। এই ছবিতে রয়েছেন দিব্যা দত্ত এবং অর্জুন রামপালও ছবির টিজার আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল। শুক্রবার প্রকাশিত হল ট্রেলার। আগামী ২০ মে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘ধাকড়’।

    অ্যাকশন প্যাকড সিনেমা হতে চলেছে ‘ধাকড়’। রজনীশ ঘাই পরিচালিত ছবিতে স্পেশ্যাল এজেন্ট অগ্নির চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। শত্রুকে নিমেষে খুন করে ফেলতে পারে অগ্নি। প্রতিপক্ষের রক্ত ঝরানোর আগে দ্বিতীয়বার ভাবে না। যা কাজ দেওয়া হয়, তা করতে লাশের পাহাড় পেরিয়ে যেতে পারে সে। মিশন ইম্পসিবল বলে তাঁর জীবনে কিছুই নেই। একেবারে হলিউডের স্টাইলে তৈরি হয়েছে এই ছবি।
    এই অগ্নিকেই নারী পাচার সমস্যার সমাধান করার দায়িত্ব দেয় রিংমাস্টার ওরফে হ্য়ান্ডলার। গুরুত্বপূর্ণ এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee)। 

    অর্জুন রামপাল (Arjun Rampal) অভিনয় করেছেন খলনায়ক রুদ্রবীরের ভূমিকায়। আগে ভিলেনের চরিত্রে অর্জুনকে দেখা গেলেও এবার একটু অন্যরকমভাবেই ধরা দেবেন তিনি।  তাঁর সঙ্গে রোহিনী হিসেবে দেখা যাচ্ছে দিব্যা দত্তকে। আদ্যোপান্ত এই অ্যাকশন সিনেমার জন্য বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে কঙ্গনাকে। তার ফল দেখাও যাচ্ছে সদ্য প্রকাশিত হওয়া ট্রেলারে। 

    ২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘থালাইভি’ ছবিতে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কঙ্গনা। সেই চরিত্রের জন্য বেশ কিছুটা ওজন বাড়িয়েছিলেন। তবে ‘ধাকড়’ ছবির জন্য আবার ওজন কমিয়ে নিয়েছেন অভিনেত্রী। ছিপছিপে চেহারায় ধরা দিয়েছেন ক্যামেরার সামনে। 

  • Inteligent Child: বাচ্চাকে বুদ্ধিমান করতে চান? জেনে নিন নানা কৌশল

    Inteligent Child: বাচ্চাকে বুদ্ধিমান করতে চান? জেনে নিন নানা কৌশল

     

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব বাবা-মায়েরাই চান তাঁদের সন্তান হোক শ্রেষ্ঠ। কিন্তু প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে একটি শিশুকে ছেড়ে দিলে তা তার পক্ষে ভাল হবে না। শিক্ষাবিদরা বহুবার সাবধান করেছেন,শিশুদের জোড় করে প্রতিভাবান করতে চাইলে হিতে বিপরীত হয়। তাদের নানারকম সামাজিক এবং মানসিক সমস্যা তৈরি হয়।
    কিন্তু আপনি যদি আপনার বুদ্ধিমান বাচ্চাকে কোনও চাপে না ফেলে তার বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করতে চান, তাহলে তাতে সে অনেক দূর এগোতে পারবে। 

    ১.শিশুর নানা ধরণের  অভিজ্ঞতা: মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, দিনের পর দিন একইরকম গতানুগতিক জীবন আলস্য,স্থবিরতা ডেকে আনে। তাই শিশুকে নিত্য নতুন বিষয়ে আগ্রহী করে তুলুন।

    ২. শিশুকে উৎসাহিত করা:খেলাধুলো হোক বা সঙ্গীত হোক বা নাটকের ক্লাস, এসব নিয়ে আপনার শিশুর আগ্রহ থাকলে অল্প বয়স থেকে সুযোগ দিতে হবে। তাহলেই প্রতিভা বিকাশের সম্ভাবনা বাড়বে। তবে ‘কিছু হওয়ার জন্য’ তাদের ওপর চাপ তৈরি করা হিতে বিপরীত হবে। সে যা নয়, তা বানানোর চেষ্টা করলে ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না।

    ৩. শিশুর জানার চেষ্টার প্রশংসা করুন: তার ক্ষমতাকে নয়, শিশুর শিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিন। নতুন কোনও ভাষা শেখার জন্য তার চেষ্টা, এমনকি সাইকেল চালানোর জন্য তার চেষ্টাকেও উৎসাহিত করুন। জানার চেষ্টা, শেখার চেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেখার উৎসাহই পরবর্তী জীবনে তাকে সাফল্যের দরজায় নিয়ে যাবে।

    ৪.ভুল করলে ভয় দেখাবেন না: শিশুর ভুলগুলোকে তার শিক্ষার অংশ হিসাবে দেখতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণই আসল শিক্ষা। ভুল করলে বাচ্চাদের ভবিষ্যতে সঙ্কট মোকাবিলার ক্ষমতা বাড়ে। তার গায়ে ব্যার্থতার তকমা সেটে দিলে আপনার বাচ্চা অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। ভবিষ্যতে কোনো ব্যর্থতার ভয়ে সারাজীবন সে কুঁকড়ে থাততে পারে।

    ৫. শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ: প্রতিভাবান শিশুরা নতুন নতুন জিনিস শিখতে চায়। তাদের নিজের গতিতে শিখতে দিন। চলতি শিক্ষা ব্যবস্থার মাঝে তাদের সেই বিশেষ চাহিদা পূরণে বাবা-মা- শিক্ষকদের সচেতন হতে হবে।

  • Swasthya Sathi scheme: স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প পর্যালোচনার দায়িত্ব এক বেসরকারি সংস্থার হাতে

    Swasthya Sathi scheme: স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প পর্যালোচনার দায়িত্ব এক বেসরকারি সংস্থার হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প পর্যালোচনার দায়িত্ব এবার একটি গ্লোবাল কনসালটেন্সি ( global consultancy)সংস্থার হাতে তুলে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ই ওয়াই (আর্নাস্ট অ্যান্ড ইয়াঙ্গ) নামে ওই সংস্থা এই প্রকল্পটির ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো খুঁজে বের করবে বলে জানানো হয়েছে। কীভাবে এই প্রকপ্লের পরিমার্জন সম্ভব তা-ও জানাবে তারা। 
    স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পরেও, বেসরকারি হাসপাতালগুলির (private hospital)বিল মেটাচ্ছে না রাজ্য সরকার বলে সম্প্রতি স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে চিঠি দিয়েছিল পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠন। দ্রুত বিল মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসচিব (health secretery)। অন্যদিকে এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল রোগী ভর্তি নিতে চাইছে না বলে অভিযোগ আসছিল রাজ্য সরকারের কাছে। সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্য পড়ে নাভিশ্বাস উঠছিল রোগী এবং তার পরিবারের।  স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প ঘিরে দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তার মেঘ। তা দূর করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছ। 
    স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi scheme )কার্ড থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা প্রভাবশালীর হস্তক্ষেপে হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়, বলে দাবি করে বহু রোগীর পরিবার। অনেকে আবার তা-ও পায় না। হাসপাতালে ঘুরে ঘুরেই দিন কেটে যায়। হাসপাতালগুলির তরফে দাবি করা হয়,  এই প্রকল্পে রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সরকারের সঙ্গ চুক্তি অনুযায়ী, হাসপাতালে শয্যাসংখ্যার ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় থাকে। কিন্তু রোগীর সংখ্যা থাকে তার তুলনায় অনেক বেশি। ফলে সবসময় বেড (beds at hospital) পাওয়া যায় না। 
     জনসাধারণের সুবিধার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে সরকার। কোনও রোগের চিকিৎসায় ৫ লক্ষ টাকা অবধি ক্যাশলেস পরিষেবা পাওয়া যায় এই প্রকল্পে। অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার তরফে সম্প্রতি জানানো হয়,  করোনা পরিস্থিতির পরে চিকিৎসার খরচ অনেকাংশে বেড়েছে। তাই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার খরচ পুনর্বিবেচনা করুক রাজ্য সরকার। না হলে, বর্তমান চিকিৎসার খরচে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। ৩ বছর আগে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার খরচের পুনর্মূল্যায়ন করেছিল রাজ্য সরকার। ১৫ মাস আগে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার খরচ বাড়ানো হয়। কিন্তু এখন ফের খরচের পুনর্মূল্যায়ন জরুরি।

      

     

  • H1B Visa: এইচওয়ানবি ভিসা হোল্ডারদের স্ত্রীদের ‘কাজের অধিকার’ নিয়ে বিল পেশ আমেরিকায়

    H1B Visa: এইচওয়ানবি ভিসা হোল্ডারদের স্ত্রীদের ‘কাজের অধিকার’ নিয়ে বিল পেশ আমেরিকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিসা নীতি সরলীকরণ করতে চলেছে আমেরিকা। এইচওয়ানবি ভিসা হোল্ডারদের স্ত্রীদের ‘কাজের অধিকার’ নিয়ে মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিভস (House of Representatives)-এ পেশ হয়েছে নতুন এক বিল। যেখানে বলা হয়েছে, এইচ ফোর (H-4) ভিসা হোল্ডারদের কাজের অধিকারের কথা। এই ভিসা হোল্ডাররা এইচওয়ান বি (H-1B visa), এইচ টু এ (H-2A), এইচ টু বি (H-2B), এইচ থ্রি (H-3 visa) ভিসা হোল্ডারদের ওপর নির্ভর করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখেন। অর্থাৎ ভিন দেশ থেকে আসা এই ভিসা হোল্ডারদের (visa holder)সন্তান ও স্ত্রীরা যাতে মার্কিন মুলুকে গিয়ে কাজের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, তার পক্ষে সওয়াল করেছে এই বিল।
    মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিভে এই বিল পেশ করেছেন দুই কংগ্রেসের প্রতিনিধি মহিলা। উল্লেখ্য, বর্তমানে  এইচওয়ান ফোর ভিসা হোল্ডারদের মধ্যে কয়েকটি ক্যাটোগোরির ভিসা প্রাপকরাই কেবল এম্প্লয়মেন্ট অথরাইজেশন ডক্যুমেন্ট পেতে পারেন। H-4 Work Authorization Act নামাঙ্কিত এই বিল বর্তমান নিয়মকে কিছুটা পাল্টে দেওয়ার কথা বলেছে। যাতে এইচওয়ান বি ভিসার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের স্ত্রী বা স্বামীরা এইচফোর ভিসা পেয়ে মার্কিন মুলুকে চাকরি করার ‘স্বয়ংক্রিয়’ অধিকার পেয়ে যান, তার পক্ষে সওয়াল করছে এই নতুন আইনের প্রস্তাব। এই প্রস্তাব পাশ হলে, Form I-765 এর জন্য আবেদন এইচওয়ান বি ভিসা হোল্ডারদের স্ত্রী বা স্বামীকে না করলেও চলবে।

     

  • Petrol Issues: দাম কমবে পেট্রলের? তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে ব্যাঙ্কের চুক্তি

    Petrol Issues: দাম কমবে পেট্রলের? তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে ব্যাঙ্কের চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে পেট্রলের (Petrol) দাম ঊর্ধ্বমূখী। তাই পেট্রলের দামে লাগাম টানতে এবার ইথানলের (Ethanol) উপর ভরসা রাখল দেশের বড় তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থা। এ নিয়ে রাষ্ট্রাত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে চুক্তিও করল তারা। বুধবার, ভারত পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন (BPC), ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (IOC),হিন্দুস্থান পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন (HPC)ইথানল কেনা নিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI), ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক (IOB) এবং ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের (IB) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হল। 

    ২০২৫ সালের মধ্যে পেট্রলে ২০% ইথানল মেশানোর কথা ভাবছে তেল সংস্থাগুলি। তাতে পেট্রলের চাহিদা কমবে। লিটার প্রতি ১০ টাকা কমতে পারে পেট্রলের দাম। সেই সূত্রে কমবে বিদেশ থেকে অশোধিত তেল আমদানির খরচও। তাই পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশানোর কথা ভাবছে তেল সংস্থাগুলি। তাই ইথানল আমদানি করার জন্য ব্যঙ্কগুলির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সংস্থাগুলি।

    ব্রাজিল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলিতে পেট্রলের বিকল্প হিসেবে ইথানলকে ব্যবহার করা হয়। এই দুই দেশের পেট্রলের সঙ্গে খুব বেশি মাত্রায় ইথানল মেশানো হয়। এই মুহূর্তে ভারতে পেট্রলের সঙ্গে ৮.৫শতাংশ ইথানল মেশানো হয়। ভারতীয় বাজারে ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ইথানল সহ পেট্রল  আসতে পারে।

    ইথানল কী?
    ইথানল হল একটি জৈব জ্বালানি যা আখ এবং ভুট্টার গাঁজন থেকে তৈরি হয়। মূলত গুড় থেকে তৈরি, ইথানল প্রচলিত পেট্রল এবং ডিজেলের বিকল্প জ্বালানি হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও ইথানল পোড়ালে কোনও কণা বাতাসে নির্গত হয় না। পোড়া ইথানল কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, জল এবং ফরমালডিহাইড নির্গত করে। এই জ্বালানি ফসিল ফুয়েলের তুলনায় নাইট্রোজেন অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস করে। এইভাবে, ইথানল পরিষ্কার এবং একটি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি হিসেবে কাজ করে।

    ভারতের জন্য  ইথানল ব্লেন্ড করা পেট্রল উপকারী হতে পারে কারণ বিশ্বের অন্যতম প্রধান আঁখ প্রস্তুতকারী দেশ ভারত। আঁখ উৎপাদনে ব্রাজিলের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।  এই বিপুল পরিমাণ আঁখের কিছু পরিমাণ ইথানল প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হতে পারে। যা আঁখ চাষকেও চাঙ্গা করবে, বলে মনে করে বিশেষজ্ঞ মহল।

    পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশালে একই সঙ্গে কমবে দূষণও। ইথানল পোড়ালে কম দূষণ ছড়ায়, এছাড়াও সহজেই সুরক্ষিত ভাবে এই জ্বালানি এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব। পেট্রল ও ডিজেলের তুলনায় অনেক কম দূষণ ছড়ায় ইথানল।

    ইথানল মেশানো পেট্রল ভারতীয় বাজারে এলে সবদিক থেকেই দেশের মঙ্গল। এক্ষেত্রে বাধা একটাই, ইথানলের জোগান। ২০২৫ সালের লক্ষ্য পূরণের জন্য ১,০১৬ কোটি লিটার ইথানল প্রয়োজন। এখন দেশে আখের রস, গুড় থেকে যা তৈরি হয় প্রায় ৪০০ কোটি লিটার। ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি লিটারের বেশি। এই ঘাটতি পূরণের জন্যই তাই নানা পন্থার কথা ভাবা হচ্ছে। 

LinkedIn
Share