Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Terror funding case: জঙ্গি দমনে কঠোর এনআইএ, উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি 

    Terror funding case: জঙ্গি দমনে কঠোর এনআইএ, উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমনে উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। উত্তর কাশ্মীরে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাস ঠেকাতেই এদিন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং এনআইএ শ্রীনগরের বেশ কিছু অঞ্চলে যৌথ অভিযান চালায়।  সন্ত্রাসে অর্থ যোগানো মামলার জেরেই এই তল্লাশি চলছে বলে আধিকারিক সূত্রে খবর।

    এদিন এনআইএ  শ্রীনগরের ৩টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। বুধবারও তল্লাশি অভিযান চলেছিল বারামুলা ও হান্দওয়াড়ায়। তল্লাশি অভিযানে প্রচুর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বলে সূত্রের খবর। বেশ কিছু মোবাইল ফোন, ল্যাপটপও আটক করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযানে এনআইএ-এর সঙ্গে ছিল সিআরপিএফ (CRPF) এবং রাজ্য পুলিশ। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (Pakistan Occupied Kashmir) সঙ্গে ব্যবসায়ী যোগ রয়েছে, এমন অনেক জায়গায়  তল্লাশি চালানো হয়।

    আরও পড়ুন: জেএমবি জঙ্গি-যোগের খোঁজে ৩ রাজ্যে হানা এনআইএ-র

    অভিযোগ, সীমান্ত পেরিয়ে অস্ত্র তো ঢুকছেই, উপত্যকার জঙ্গিদের কাছে আর্থিক সাহায্যও পৌঁছে যাচ্ছে সঠিক সময়। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দিচ্ছে কারা বা কোন সংগঠন, খোঁজ করতেই এদিন সকালে জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। গোয়েন্দাদের অনুমান, উপত্যকায় অশান্তি জিইয়ে রাখতে টাকা পাঠাচ্ছে পাক জঙ্গিরা। বিশেষত, লস্কর-ই-তৈইবা। ২০০৮ সাল থেকেই এই অভিযোগের তদন্তে নেমেছে এনআইএ।  জম্মু-কাশ্মীরের পাশাপাশি দিল্লি,হরিয়ানা-সহ বিভিন্ন রাজ্যেও  তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ। 

    সূত্রের খবর, উপত্যকা জুড়ে জঙ্গি নিকেশ অভিযানে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে চলছে কেন্দ্র সরকার। জানুয়ারি থেকে জুন। ২০২২-এর প্রথম ছ’মাসেই জম্মু ও কাশ্মীরে শতাধিক জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। তার মধ্যে অন্তত ৩০ জন পাকিস্তানি জঙ্গি। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, এখনও কাশ্মীর উপত্যকায় অন্তত ১৫৮ জন জঙ্গি লুকিয়ে আছে। তাদের সন্ধানে চলছে চিরুনি তল্লাশি। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে অধিকাংশই লস্কর-ই-তৈবার। তাদের মতে ৮৩ জন লস্কর জঙ্গি উপত্যকায় লুকিয়ে। আসন্ন অমরনাথ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটানোই জঙ্গিদের লক্ষ্য বলেও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে।

  • KS Eshwarappa: দুর্নীতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ,ইস্তফা দিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী

    KS Eshwarappa: দুর্নীতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ,ইস্তফা দিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি এবং আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় শেষমেশ পদত্যাগ করলেন কর্নাটকের (Karnataka) মন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) বিধায়ক কে এস ঈশ্বরাপ্পা (KS Eshwarappa)। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাইয়ের (Basavaraj Bommai) সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আসার আগে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র শিবমোগ্গায় (Shivamogga) সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন,”আবার ফিরে আসব।”

    সন্তোষ পাটিল (Santosh Patil) নামে এক ঠিকাদারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে বিপাকে পড়েছিলেন ঈশ্বরাপ্পা। তিনি আর মন্ত্রী থাকবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরাপ্পা নিজের বাড়ি থেকে বেরনোর পরেই সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, এই দাবি তুলে প্রতিবাদও করেন অনেকে। তাঁদের উদ্দেশে ঈশ্বরাপ্পার বার্তা,”আমি দলের ক্ষতি করতে চাই না। তাই,মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আজই পদত্যাগপত্র জমা দেব। আমি নিশ্চিত, সমস্ত অভিযোগ থেকেই মুক্ত হব আমি। এ রাজ্যের বহু দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে নেতা-বিধায়কেরা আমায় সমর্থন করছেন।”

    ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে ৪০ শতাংশ কমিশন (40 per cent commission) চাওয়ার অভিযোগ তুলে কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক প্রিয়ঙ্ক খড়্গে বলেছেন, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের দুর্নীতি-কাণ্ডে আরও অনেকেই জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তুলেছেন প্রিয়ঙ্ক। 

    কর্নাটকের উদুপির একটি লজে বুধবার আত্মহত্যা করেন ৩৭ বছরের সন্তোষ। মৃত্যুর আগে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর বন্ধু ও পরিজনকে জানান, তাঁর মৃত্যুর জন্য মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পাই দায়ী। মৃত ঠিকাদারের অভিযোগ, তিনি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কাজ করেছিলেন। বিল হয়েছিল চার কোটি টাকা। তার ৪০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন ঈশ্বরাপ্পা। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সন্তোষ। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্তোষের মৃত্যুর পর তাঁর ভাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে প্রথম অভিযুক্তের নাম ঈশ্বরাপ্পা। যদিও প্রাক্তন মন্ত্রীর বক্তব্য, “ওই সুইসাইড নোট মিথ্যে। তার কোনও ভিত্তি নেই। হোয়াটসঅ্যাপকে সুইসাইড নোট হিসাবে ধরা হয় নাকি? অন্য কেউ তো টাইপ করে দিতে পারে।”

     

  • Post Covid syndrom:করোনা সেরে গেলও ক্লান্তি, দূর করতে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম

    Post Covid syndrom:করোনা সেরে গেলও ক্লান্তি, দূর করতে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্লান্তি শব্দটি সকলের কাছেই আলাদা। অর্থাৎ, অনেকেই মনে করেন ক্লান্তি মানে পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়া। আবার অনেকের ক্ষেত্রেই ক্লান্তি অর্থাৎ মানসিক চাপ, কিংবা কোনও একধরনের অস্বস্তি। অনেক সময় বহুদিন নড়াচড়া না করলেও শরীরে ক্লান্তি অনুভূত হয়।  যে কোনও ভাইরাল ইনফেকশনের পর ক্লান্ত লাগা খুবই সাধারণ সমস্যা। আর করোনা পরবর্তী সময়ে (Post covid syndrom)প্রায় সকলেই ক্লান্তি অনুভব করেছেন। ভাইরাসের বিরুদ্ধে যখন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (immunity) লড়াই করতে থাকে, তখন থেকেই শরীরে ক্লান্তি দেখা দেয়। শরীরে ভাইরাসের প্রভাব কমে গেলে বেশি দুর্বল লাগে। প্যান্ডামিকের (pandemic)শুরু থেকেই মানুষ ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছেন এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কম করে ৮৫% মানুষ ক্লান্তির সমস্যায় ভুগছেন। এটি কিন্তু দীর্ঘ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরে দীর্ঘদিন ক্লান্তিভাব থাকলে তা চিন্তা বাড়িয়ে তোলে। মনে হতেই পারে, হাজার বিশ্রাম নিয়েও শরীর ভাল হচ্ছে না তাহলে করণীয়। মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম। সেরে উঠবেন সহজেই। 

    বেশি করে জলপান করুন
    করোনায় শরীর শুকিয়ে যায়। তাই বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল পান করুন। সঙ্গে ফলের রস, দইয়ের ঘোল জাতীয় পানীয়ও গ্রহণ করতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে যাতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। 

    প্রোটিন জাতীয় খাবার খান
    ক্লান্তি দূর করতে প্রোটিন (protin) জাতীয় খাবার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার খাদ্য তালিকায় উদ্ভিজ ও প্রাণীজ, দু’ ধরনের প্রোটিনই রাখুন। প্রাতঃরাশের সময় ডিম খান। মাছ, কিংবা মাংস খান একবেলা। লাঞ্চ ও ডিনারে ১ বাটি করে ডাল খেতে পারেন। সঙ্গে সয়াবিন, পনির, দুধ থাকুক খাদ্যতালিকায়। 

    নিয়মিত ফল খান
    ভিটামিন সি-যুক্ত ফল লেবু, আপেল, কলা, বাদাম  প্রতিদিন খান। মরসুমি ফল খুবই উপকারী। ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ-ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

    বিশ্রাম নিন
    করোনা নেগেটিভ মানেই আপনি পুরোপুরি সুস্থ এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং, সেরে উঠতে অনেকেরই মাসখানেক লেগে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিন। পারলে বাড়ি থেকে কাজ করুন। নিজের যত্ন নিন। এই সময় খুব বেশি শরীরচর্চা না করাই ভালো।  হালকা যোগাসন (yoga), ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে পারেন।  ঘুমের দিকে অবশ্যই নজর দেওয়া দরকার। একেবারে ক্লান্ত লাগলে ঘুম নিয়ে কার্পণ্য করবেন না। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সমস্যা বাড়তে পারে। তবে আবার দীর্ঘদিন নিজেকে অসুস্থ ভেবে ভয় পাবেন না। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করুন। নিজের গতিশীলতা বাড়ান। অল্প অল্প করে বাইরে যান। সকলের সঙ্গে মিশুন। দ্রুত সরে উঠবেন। 

    মন ভালো রাখুন
    অনেকেই করোনা থেকে সেরে উঠে অবসাদে ভুগছেন। আসলে অনেকের মনে করোনা নিয়ে একটা নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে।  তাই এসময়ে মন ভালো রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। গান শোনা, বই পড়া, সিনেমা দেখা যা ভাল লাগে করুন।

  • Concentration on Study: পড়াশোনায় শিশুর মনোযোগ বাড়ানোর সহজ উপায়

    Concentration on Study: পড়াশোনায় শিশুর মনোযোগ বাড়ানোর সহজ উপায়

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিশু মাত্রই চঞ্চল। তাদের এক জায়গায় বসানোই মুশকিল। কিন্তু পড়াশোনার ক্ষেত্রে মনোযোগ তো বাড়াতেই হবে। ছোটদের পড়ায় মন বসানোর জন্য রইল সহজ কয়েকটি উপায়

    খেলতে দিন: খালি পড়তে বসার কথা না বলে, শিশুকে রোজ অন্তত এক ঘণ্টা ছোটাছুটি করে খেলার সময় দিন। এতে তার ঘাম ঝরবে। ফলে শরীরে এনডরফিন বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হবে। এরপর বাচ্চাকে পড়াতে বসালে প্রথম ঘণ্টাখানেক সে মন দিয়ে পড়বে। 

    অ্যকটিভিটি বই, পাজ়ল দিন: এখন প্রচুর ইন্ডোর গেমস, বই পাওয়া যায়, যা বাচ্চার কগনিটিভ স্কিল বাড়ায়— যেমন নানা ধরনের অ্যাকটিভিটি বুক, বিল্ডিং ব্লকস, পাজ়লস ইত্যাদি। স্মার্টফোনের বদলে এই ধরনের খেলা বা বই ওর হাতে তুলে দিলে মনোযোগের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। সন্ধেবেলা পড়ার মাঝে একটু বিরতি নিয়ে কিছুটা পাজ়ল সলভ করলে বা বিল্ডিং ব্লকস নিয়ে খেললে কখনও মনোযোগে ঘাটতি পড়বে না আবার পড়াশোনার একঘেয়েমিও কাটবে।

    মিউজ়িকে মন ঠাণ্ডা হয়: ছোট থেকে শিশুকে মিউজ়িক ইনস্ট্রুমেন্টে তালিম দিতে পারেন। বিদেশে অনেক জায়গায় আড়াই বছর বয়স থেকে পিয়ানো শেখানো হয়। অতটা সম্ভব না হলে তবলা, মাউথ অর্গ্যান, সিন্থেসাইজ়ার— যে কোনও একটি বাজনা শেখাতে পারেন। নোট ধরে সুর তোলার মধ্য দিয়ে কনসেনট্রেশন লেভেল অনেকটাই বাড়ে।

    গল্প শোনান: শোওয়ার আগে কিছুটা সময় বাচ্চাকে গল্প বলুন। অভিনয় করে গল্প বললে ওরা আগ্রহী হবে। গল্পের মাঝে ওকে প্রশ্ন করার সুযোগ দিতে হবে। এতে খুদে শ্রোতাটির ধৈর্য ধরে শোনার প্রবণতাও তৈরি হবে। মনোযোগ বাড়াতে গল্প শোনানোর ভূমিকা বিরাট। সে গল্প শুনছে কি না, তা বুঝতে আপনিও পরে গল্পের মধ্য থেকে প্রশ্ন করে যাচাই করে নিতে পারেন।

    ছোট নির্দেশ: লেখার সময়ে ওকে ছোট ছোট নির্দেশ দিন। প্রথমে তিনটে দিয়ে শুরু— যেমন ছবি আঁকার ক্ষেত্রে ‘পয়েন্টগুলোকে জুড়ে দাও, রং দিয়ে আউটলাইন টানো, ভিতরটা রং করো।’ আস্তে আস্তে নির্দেশের সংখ্যা বাড়াতে থাকুন আর দেখুন ও কতটা মনে রাখতে পারছে। বাড়িতে নির্দেশ মতো ঠিকঠাক কাজ করার অভ্যেস গড়ে তুললে স্কুলেও শিক্ষকদের নির্দেশ মানার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না।

  • Open Classroom at Ganga Ghat: গঙ্গার ঘাটে মুক্ত পাঠশালা, বিনামূল্যে প্রস্তুতি চলছে চাকরির জন্য  

    Open Classroom at Ganga Ghat: গঙ্গার ঘাটে মুক্ত পাঠশালা, বিনামূল্যে প্রস্তুতি চলছে চাকরির জন্য  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের কোলাহল থেকে একটু দূরে, বিহারের (Bihar) রাজধানী পাটনায় (Patna) গঙ্গার ঘাটে (Ganga Ghat) কয়েক মাস ধরে শনি ও রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সমাগম ঘটছে পড়ুয়াদের। ঘাটের সিঁড়িতে একরকম ঠাসাঠাসি করে বসেই চলছে ক্লাস (Open classroom)। কারুর কোলে খাতা তো কারুর  চাতালের উপর।  একটানা লিখে যাচ্ছে শয়ে শয়ে ছেলে-মেয়ে।

    গঙ্গার ঘাটে পড়ুয়াদের এই সমাগমের নেপথ্যে রয়েছেন শিক্ষক এস কে ঝা (S K Jha)। নিজের অর্জিত শিক্ষাই অকাতরে বিলিয়ে চলেছেন ৩০ বছরের এই যুবক। আর শুধু নিজে নন, সমমনস্ক জনা তিরিশের একটি দলও জুটিয়ে ফেলেছেন তিনি। সকলে মিলে গঙ্গার ঘাটেই খুলে বসেছেন পাঠশালা।

    অনলাইন শিক্ষার যুগে সেই পাঠশালায় ভিড়ও করছেন শয়ে শয়ে ছেলেমেয়ে। শুধু পাটনা বা বিহার নয়, সীমান্ত লাগোয়া উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড তো বটেই, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ এমনকি রাজস্থান থেকেও সেই পাঠশালায় নাম লিখিয়েছেন অনেকে। ক্লাস শুরু হয় সকাল ৬টা নাগাদ। কিন্তু ভোর ৪ টেতেও পৌঁছে যান অনেকে। গোল হয়ে বসে চলে গ্রুপ স্টাডি। স্কুল বা কলেজের পড়াশোনা নয়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় (Competitive Exams) পাশ করে চাকরি জোটানোর পড়াশোনাই (study for govt jobs) করে তারা। পরস্পরকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করার তাগিদ রয়েছে এই পড়ুয়াদের মধ্যে।

    দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা ছেলেমেয়েদেরই এই পাঠশালার কৃতিত্ব দিচ্ছেন শিক্ষক এস কে ঝা। তিনি জানিয়েছেন, ক্লাস করতে যাঁরা আসেন, অধিকাংশই হয় রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (RRB) অথবা স্টাফ সিলেকশন কমিশনে (SSC) চাকরি প্রার্থী (job aspirants)। নন টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরি (NTPC) পরীক্ষায় প্রথম ধাপ উতরে গিয়েছেন। পরের ধাপের পরীক্ষার কোনও হাল-হদিশ নেই। তাই বলে প্রস্তুতিতেও ফাঁক রাখা যায় না। কিন্তু পয়সা খরচ করে কোচিং নেওয়ার সাধ্য নেই কারও। তাই দূরে হলেও, বিনে পয়সার পাঠশালাতেই ভিড় করেন সকলে।

    শনি-রবি, সপ্তাহে এই দু’দিন ক্লাস বসে। ৩০-৩৫ জনের একটি দল রয়েছে। সপ্তাহভর পরিশ্রম করে প্রশ্নপত্র তৈরি করেন তাঁরা। ৯০ মিনিটের পরীক্ষা। ১২০টি প্রশ্ন। তা লিখতেই সপ্তাহে দু’দিন ১২০০-১৪০০ ছেলেমেয়ে ভিড় করেন। তাতে পরীক্ষার প্রস্তুতিও যেমন সারা হয়, আবার কোথাও আটকে গেলে জেনে নেওয়া হয় সমাধানও। 

     

  • CBSE Board Exams: আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পরীক্ষা ব্যবস্থায় ফের বড় বদল আনছে CBSE

    CBSE Board Exams: আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পরীক্ষা ব্যবস্থায় ফের বড় বদল আনছে CBSE

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বড় বদল আনতে চলেছে পরীক্ষা (CBSE Exam) ব্যবস্থায়। এর প্রভাব পড়বে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির কয়েক লক্ষ পড়ুয়ার উপর।

    করোনা (Covid) মহামারীর আগে সিবিএসই একটি পরীক্ষার মাধ্যমেই পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করত। তবে বিদায়ী শিক্ষাবর্ষে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দুটি ভাগে হয়।

    ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সিবিএসই দুটি ভাগে বোর্ড পরীক্ষা (Board Exam) চালু করেছিল সেই মতো গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল টার্ম ১ পরীক্ষা। টার্ম ২ পরীক্ষা ২৬ এপ্রিল থেকে হওয়ার কথা।

    এর আগে কোভিড মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। তারপরই দুই ভাগে বোর্ড পরীক্ষা করানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিকে পরীক্ষা বাতিলের জেরে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হয়েছিল অসাইনমেন্ট, প্র্যাক্টিকাল মার্কসের উপর ভিত্তি করে। 

    তবে এবছর কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড পূর্ববর্তী একটি পরীক্ষার নিয়ম ফেরাতে চলেছে সিবিএসই। আগামী শিক্ষবর্ষ থেকেই ফের একটি বোর্ড পরীক্ষা হতে পারে।

    এই বিষয়ে বোর্ডের এক কর্তার বক্তব্য, সিবিএসই কখনই ঘোষণা করেনি যে দুই ভাগের পরীক্ষা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। এটা এককালীন ফর্মুলা ছিল। এখন যেহেতু স্কুলগুলি পুরোপুরি খুলে গিয়েছে, তাই আমরা ফের পুরোনো পদ্ধতিতে ফিরতে পারি। 

  • Visa Suspension: চিনা নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল করল ভারত, ২০ এপ্রিল থেকে নির্দেশ কার্যকর

    Visa Suspension: চিনা নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল করল ভারত, ২০ এপ্রিল থেকে নির্দেশ কার্যকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিসা না মেলায় চিনে (China) যেতে না পারার ফলে সেদেশে  আগে থেকে পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়াদের (Indian students) ক্ষতি হচ্ছে। তাঁদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। এই নিয়ে চিনকে বারবার বলেও লাভ হয়নি। এবার পাল্টা পদক্ষেপ করল ভারত (India)। চিনা নাগরিকদের (Chinese Citizens) পর্যটক ভিসা (Tourist Visa) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি (New Delhi)। 

    আগামী ২০ এপ্রিল থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। সবকটি সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে ভারতের এই সিদ্ধান্তর কথা জানিয়ে দিয়েছে অসামরিক বিমান চলাচলের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইএটিএ (‌‌IATA)।
     
    চিনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে (chinese university) পড়াশোনা করে প্রায় ২২ হাজার ভারতীয় ছাত্র। ২০২০ সালের প্রথমে কোভিড সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ওই পড়ুয়াদের ভারতে পাঠিয়ে দেয় চিন। এর পর থেকে তাঁদের আর সেদেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। ফলে এই পড়ুয়াদের শিক্ষা থমকে যাচ্ছে। তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় ঘেরা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আইএটিএ একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, ‘‌চিনের নাগরিকদের যে পর্যটন ভিসা ইস্যু করা হয়েছে, তা বাতিল করা হয়েছে।’‌ তাই এখন থেকে নেপাল, ভুটান, ভারত, মলদ্বীপের নাগরিকরাই শুধু ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। ভারত যাঁদের রেসিডেনশিয়াল পারমিট দিয়েছে,নয়তো ভিসা বা ই–ভিসা দিয়েছে, যাঁদের ওভারসিজ সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া কার্ড (‌OCI card)‌ রয়েছে বা ভারতীয় বংশোদ্ভুত (PIO) বা কূটনৈতিক ছাড়পত্র রয়েছে,তাঁরাই ভারতগামী বিমান চাপতে পারবেন।

    আইএটিএ এ-ও বলেছে, যেসব চিনা নাগরিককে ১০ বছরের পর্যটন ভিসা দিয়েছিল ভারত,তাঁদের ভিসাও বাতিল করা হয়েছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি চিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ভারতীয় পড়ুয়াদের সে দেশ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখছে তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও সদুত্তর দেয়নি। ভারত এখনও আর্জি জানাচ্ছে, পড়ুয়াদের কথা ভেবে যেন সুযোগ দেওয়া হয়। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বরে দুশানবেতে একটি বৈঠকের সময় এই নিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 

    সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সম্মেলনের ফাঁকে তাজিকস্তানের রাজধানী শহরে দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু, তারপরও সমস্যা একচুলও মেটেনি। আর, সেই কারণেই যে বাধ্য হয়ে এই কঠোর সিদ্ধান্ত, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত। তবে, চিন বাদে নতুন করে অন্য কোনও দেশের নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল করা হয়নি।

     

  • Modi-Nordic meet: নর্ডিক সম্মেলনে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে জোর মোদির

    Modi-Nordic meet: নর্ডিক সম্মেলনে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে জোর মোদির

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মানি থেকে বুধবার ডেনমার্কে (Denmark) যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইউরোপ সফরের শেষ দিনে ওই মহাদেশের উত্তরাংশের এবং উত্তর অতলান্তিকের রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করেন মোদি। ডেনমার্কে দ্বিতীয় ভারত-নর্ডিক সম্মেলনে (Nordic Meet) যোগ দেওয়ার পাশাপাশি, তিনি পৃথক পৃথক ভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করছেন ফিনল্যান্ড, সুইডেন, আইসল্যান্ড, নরওয়ের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে। ওই বৈঠকগুলিতে অর্থনীতির পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। অবিলম্বে ইউক্রেনে যুদ্ধ (Ukraine-Russia War) বন্ধ করার আর্জিও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শান্তি আলোচনারও ডাক দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, দু’দেশের চলামন সংকট নিয়ে ভারত অনেক আগেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এই মুহূর্তে ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করা, সংকট নিরসনে আলোচনা ও কূটনীতির পথ বেছে নেওয়া উচিত বলে মনে করে দিল্লি। এই যুদ্ধে কোনও পক্ষই বিজয়ী হবে না, সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই ভারত শান্তির পক্ষে, বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

    [tw]


    [/tw]

    ডেনমার্ক ছেড়ে এদিন সন্ধ্যায় ফ্রান্স পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ডেনমার্ক ছাড়ার আগে তিনি বলেন, ‘‘এই অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জোরদার করতে ভারত-নর্ডিক সম্মেলন বহুদূর পর্যন্ত যাবে। সকলে একত্রিত হলে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পারি, আন্তর্জাতিক সমৃদ্ধি এবং সর্বাঙ্গীন বিকাশে অবদান রাখতেও পারব।’’ ফিনল্যান্ড, সুইডেন, আইসল্যান্ড, নরওয়ের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে অতিমারি পরবর্তী বিশ্বে অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সহযোগিতা, দূষণ মোকাবিলা, কার্বন নিঃসরণ কমানো, সমুদ্রপথে সহযোগিতার মতো বিষয়গুলি নিয়ে মোদি আলোচনা করেছেন। উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কথাও।

    [tw]


    > and @SwedishPM Magdalena Andersson held extensive talks on further diversifying the India-Sweden friendship. pic.twitter.com/d1bXP5JW5u— PMO India (@PMOIndia) May 4, 2022

    [/tw]

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সমুদ্রপথে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য নর্ডিক সংস্থাগুলিকে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মোদি। বিশেষ করে ভারতের ‘সাগরমালা প্রকল্প’ নিয়ে কথা হয়েছে নর্ডিক গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে। আজ নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস স্টোর-এর সঙ্গে বৈঠকে বিকল্প শক্তি, সমুদ্র অর্থনীতি, মহাকাশ গবেষণাক্ষেত্রে সহযোগিতা
    বাড়ানো এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলি আলোচনায় জায়গা পেয়েছে। নরওয়ে এবং ভারত দু’টি দেশই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। তাই বৈঠকে উঠেছে, ইউক্রেন, আফগানিস্তান-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গও। ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আধুনিক প্রযুক্তিক্ষেত্রে সমন্বয়ের কথা হয়েছে।

     
     
  • Redmi 10A: 13 MP ক্যামেরা সহ নতুন ফোন নিয়ে এল Redmi, দাম মধ্যবিত্তের আয়ত্ত্বের মধ্যে

    Redmi 10A: 13 MP ক্যামেরা সহ নতুন ফোন নিয়ে এল Redmi, দাম মধ্যবিত্তের আয়ত্ত্বের মধ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:ভারতে আবার নতুন স্মার্টফোন নিয়ে হাজির হল রেডমি (Redmi)। বুধবার বাজারে এসেছে কোম্পানির নয়া ফোন Redmi 10A। এই ফোনের দাম খুব একটা বেশি নয়। তবে দাম কম হলেও এই ফোনে ফিচারে কোনও আপোষ করেনি চিনের কোম্পানিটি। রয়েছে MediaTek Helio G25 , 13 MP রিয়ার ক্যামেরার মতো দুর্দান্ত সব ফিচার। মাত্র 8,499 টাকা থেকে এই ফোনের দাম শুরু হচ্ছে। Tecno Pova Neo, Realme C11 (2021) ও Samsung Galaxy M02 এর মতো বাজেট ফোনগুলিকে সরাসরি কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল এই ফোন।

    Redmi 10A এর মূল্য: Redmi 10A এর দাম শুরু হচ্ছে ৮,৪৪৯ টাকা থেকে। বেস ভেরিয়েন্টে থাকছে 3GB RAM + 32GB স্টোরেজ। তবে 4GB RAM + 64GB স্টোরেজে এই ফোনের দাম ৯,৪৯৯ টাকা। ২৬ এপ্রিল থেকে এই ফোন বিক্রি শুরু হচ্ছে। চারকোল ব্ল্যাক, সি ব্লু, স্লেট গ্রে রঙে পাওয়া যবে এই ফোন। কোম্পানির দাবি, এই ফোনের পিছনে কখনওই আঙুলের ছাপ দেখা যাবে না।

    Redmi 10A স্পেসিফিকেশন: ডুয়াল সিম Redmi 10A তে Android অপারেটিং সিস্টেমের উপরে চলবে কোম্পানির MIUI 12.5 স্ক্রিন। এই ফোনে রয়েছে 6.53 ইঞ্চি HD+ (720 x 1600 পিক্সেলস) IPS ডিসপ্লে। থাকছে ওয়াটার ড্রপ স্টাইল নচ। ফোনের ভিতরে শক্তিশালী MediaTek Helio G25 চিপসেট ব্যবহার করেছে Redmi। সঙ্গে মিলবে 4 GB পর্যন্ত RAM।
    Redmi 10A এর পিছনে একটি মাত্র ক্যামেরা ব্যবহার হয়েছে। ক্যামেরায় ব্যবহার হয়েছে 13 MP সেন্সর। f/2.2 অ্যাপারচারের এই ক্যামেরার সঙ্গে LED ফ্ল্যাশ মিলবে। এছাড়াও সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য ফোনের ওয়াটার ড্রপ নচে থাকছে একটি 5 MP ক্যামেরা।
    Redmi 10A তে 64 GB পর্যন্ত স্টোরেজ পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে থাকছে 512 GB পর্যন্ত microSD সাপোর্ট থাকছে। কানেক্টিভিটির জন্য এই ফোনে রয়েছে 4G LTE, Wi-Fi 802.11 b/g/n, Bluetooth 5, GPS/ A-GPS Micro-USB পোর্ট ও একটি 3.5 mm হেডফোন জ্যাক। ফোনের পিছনে থাকছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
    Redmi 10A তে 5,000 mAh ব্যাটারি দিয়েছে শাওমি। সঙ্গে রয়েছে 10W চার্জার। এই ফোনের ওজন 194 গ্রাম।
    বুধবার Redmi 10A এর সঙ্গেই বাজারে এসেছে Redmi 10 Power। সেই ফোনে ব্যবহার হয়েছে Qualcomm Snapdragon 680 চিপসেট, 6,000 mAh ব্যাটারি। নতুন এই ফোন লঞ্চ করে সকলকে চমকে দিয়েছে বেজিংয়ের কোম্পানিটি। Redmi 10 Power এর দাম ১৪,৯৯৯ টাকা থেকে শুরু।

  • Venus, Mars, Jupiter, Saturn: প্রায় হাজার বছর পর, এক সরলরেখায় শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি

    Venus, Mars, Jupiter, Saturn: প্রায় হাজার বছর পর, এক সরলরেখায় শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : আনুমানিক এক হাজার বছর পর আবার চারটি গ্রহ একসঙ্গে , একই লাইনে রয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার ২৬ ও ২৭ এপ্রিল সূর্যোদয়ের আগে, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি-সহ চারটি গ্রহ পূর্ব দিগন্ত থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে সরল রেখায় দৃশ্যমান ছিল। আগামী ৩০ এপ্রিল তথা শনিবার আবার এই ঘটনা ঘটবে। গ্রহগুলি পৃথিবীর কাছে থাকায় আকাশ পরিষ্কার থাকলে খালি চোখেই দেখা যাবে এই মহাজাগতিক দৃশ্য।
    সূর্যোদয়ের ঠিক আগে শনিবার দিগন্ত রেখা বরাবর  আকাশে চোখ রাখলে শুক্র এবং বৃহস্পতি গ্রহকে একসঙ্গে খুব কাছাকাছি দেখা যাবে। শুক্র বৃহস্পতির ০.২ ডিগ্রি দক্ষিণে থাকবে। এর আগে ২৬ এবং ২৭ এপ্রিল দূরবীন বা টেলিস্কোপ ছাড়াই বৃহস্পতি, শুক্র, মঙ্গল এবং  শনিকে এক লাইনে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ভুবনেশ্বরের পাঠানি সামন্ত প্ল্যানেটোরিয়ামের ডেপুটি ডিরেক্টর শুভেন্দু পট্টনায়েক বলেন, এই ধরনের ঘটনা প্রায় ১,০০০ পর ঘটল। বেশ বিরল। এর আগে ৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে শেষবার এমন হয়েছিল। এই ধরণের ঘটনা ‘প্ল্যানেট প্যারেড’ নামে পরিচিত। সৌরজগতের গ্রহগুলি আকাশের একই অঞ্চলে এক সরলরেক্ষায় সারিবদ্ধ হলে এমনটা বলা হয়। 
    জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতি নীচে বামদিকে সবার প্রথমে থাকবে। এর পরে শুক্র, তারপর মঙ্গল এবং তারপর শনি থাকবে। এই সময়ে, বৃহস্পতিকে দেখা সবচেয়ে কঠিন হতে পারে কারণ এটি দিগন্ত রেখার ঠিক উপরে থাকবে এবং সেখানে সাধারণত গ্রহের আলো কমে যায়। 
    শুভেন্দু পট্টনায়েক বলেন, “সাধারণত তিন ধরনের প্ল্যানেট প্যারেড হয় ৷ সূর্যের একপাশে একাধিক গ্রহ সাধারণত তিনটি গ্রহ একটি রেখাতেই থাকে ৷ এই মহাজাগতিক সমাবেশ প্রায়শই হয়ে থাকে ৷ বছরের অনেক দিন এমনটা দেখা যায় ৷” তিনি জানান, চারটি গ্রহের একই লাইনে থাকাটা হয় বছরে একবার ৷ পাঁচটি গ্রহের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে প্রতি ১৯ বছরে একবার ৷ আটটি গ্রহ একটি সারিতে অবস্থান করার বিরল ঘটনা ১৭০ বছরে একবার হয়ে থাকে ৷ এ বিষয়ে পট্টনায়ক বলেন, “দ্বিতীয়ত প্ল্যানেট প্যারেড, একই সময়ে আকাশের একটি ছোট্ট অংশে একাধিক গ্রহ জমায়েত করে ৷ পৃথিবী থেকে তাদের দেখা যাক বা না যাক, আমরা একেও প্ল্যানেট প্যারেড বলি ৷ এরকমটা শেষবার হয়েছিল ২০০২ সালের ১৮ এপ্রিল এবং ২০২০ সালের জুলাইতে ৷ সেবার সৌরজগতের সবক’টি গ্রহ একটি সারিতে অবস্থান করছিল ৷ সন্ধ্যার আকাশে খালি চোখেই তা দেখা গিয়েছিল ৷”
    তৃতীয় প্ল্যানেট প্যারেড প্রসঙ্গে পট্টনায়ক বলেন, “এক্ষেত্রে চারটি গ্রহ খুব কাছাকাছি একই জায়গায়, এক রেখায় থাকে। এর ফলে গ্রহগুলি উজ্জ্বল দেখায়। ২০২২-র এপ্রিলে শুক্র,মঙ্গল,বৃহস্পতি এবং শনির এক সারিতে অবস্থানটি তৃতীয় ধরনের প্ল্যানেট প্যারেড ৷ এরকমটা হয়েছিল ৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে, প্রায় এক হাজার বছর আগে ৷”

     

LinkedIn
Share