Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Weather Update: দহন বেলায় নাজেহাল ছোট থেকে বড়, চলছে তাপপ্রবাহ, দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি

    Weather Update: দহন বেলায় নাজেহাল ছোট থেকে বড়, চলছে তাপপ্রবাহ, দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখ পড়তেই প্রতিদিনই বাড়ছে গরমের দাপট (Weather Update)। দারুণ অগ্নিবাণে রাম নবমীতেও অতিষ্ট বঙ্গবাসী। বুধবার সকাল থেকে কাঠ ফাটা রোদেই চলছে পুজো অর্চনা। বুধবার শহর কলকাতার তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৯ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাপপ্রবাহের (Heat Wave) পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। আপাতত স্বস্তির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। বরং এই সপ্তাহে রাজ্যের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    মঙ্গলবার কোথায় কত তাপমাত্রা ছিল

    মঙ্গলবারে রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার (Weather Update) রেকর্ড গড়েছে পানাগড়। সেখানে দুপুরের তাপমাত্রা ছিল ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতা সল্টলেক এবং দমদমে দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। মগরা এবং মেদিনীপুরে তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪০ এবং ৪১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পিছিয়ে নেই বাঁকুড়াও। সেখানে মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলাইকুণ্ডায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে দিনের তাপমাত্রা ৪১, সিউড়িতে ৪১, পুরুলিয়ায় ৪০.৩, বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার সল্টলেকে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪.৪ ডিগ্রি বেশি। দমদমে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুব পিছিয়ে নেই কলকাতা। সেখানে মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরবঙ্গেও গরম বাড়ছে। মালদহে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩.৪ ডিগ্রি বেশি। জলপাইগুড়িতে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বালুরঘাটে ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.৮ ডিগ্রি বেশি। একমাত্র স্বস্তি রয়েছে পাহাড়ে।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    শহরের তাপমাত্রা, তাপপ্রবাহের শঙ্কা

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) ছিল ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৮৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩৪ শতাংশ। বুধবার কলকাতায় বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। গরম এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। শুক্রবার পর্যন্ত গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। পশ্চিমের শুকনো হাওয়ায় গরম ও অস্বস্তি আরো বাড়বে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে লু বইবার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায় তাপপ্রবাহের (Heat Wave) মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

    গরমে সুস্থ থাকার পরামর্শ

    গরমে সুস্থ থাকার জন্য প্রচুর জলপানের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত প্রয়োজন না পড়লে বাড়ির বাইরে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। গরমে রাস্তায় বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। জেলায় জেলায় বেলা বাড়তেই রাস্তা প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে। যানবাহনও কমে যাচ্ছে। ফলে স্কুল, কলেজ, অফিসে যাতায়াত করার সময় সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা স্কুল ফেরতা  ছোট ছোট শিশুদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh Encounter: ভোটের আগেই বড় সাফল্য বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে খতম শীর্ষনেতা-সহ ২৯ মাওবাদী

    Chhattisgarh Encounter: ভোটের আগেই বড় সাফল্য বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে খতম শীর্ষনেতা-সহ ২৯ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়রে লোকসভা ভোট। তার আগেই ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমনে (Chhattisgarh Encounter) বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। ১৯ এপ্রিল লোকসভা ভোটের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে বস্তার জেলায়। তারই দুই দিন আগে সেখানে নাশকতার বড় পরিকল্পনা বানচাল করল সরকার। ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত অন্তত ২৯ জন মাওবাদী। শীর্ষ স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক আইকে এলেসেলা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মাওবাদীদের শীর্ষনেতা শঙ্কর রাও, যাঁর মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন তিন জন জওয়ান। তবে তাঁরা এখন বিপদ মুক্ত।

    গত ১০ বছরে সবচেয়ে বড় অভিযান

    বস্তারের আইজি সুন্দররাজ পি জানিয়েছেন, গোটা জেলায় ৬০ হাজারের বেশি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ছত্তীসগঢ়ে সংঘর্ষ (Chhattisgarh Encounter)। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ অভিযান শুরু হয়। শামিল ছিল জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে ছোটেবেটিয়া থানার অন্তর্গত এলাকায় যৌথ অভিযানে নেমেছিল ডিআরজি এবং বিএসএফ। জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুটে আসে। পাল্টা গুলি ছোড়েন জওয়ানেরা। এখন পর্যন্ত ২৯ জন মাওবাদীর দেহ মিলেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কাঙ্কের জেলায় সংঘর্ষ এখনও চলছে। নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে অসংখ্য একে-৪৭, তিনটি লাইট মেশিন গান-সহ একাধিক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

    অতীতেও সফল অভিযান

    এই বছরে আরও এনকাউন্টার (Chhattisgarh Encounter) গতমাসেও এই জেলায় হওয়া এনকাউন্টারে এক মাওবাদী এবং এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়। ফেব্রুয়ারিতে কাঙ্কেরে আরও একটি এনকাউন্টারে তিন মাওবাদীর মৃত্যু হয়। গত নভেম্বরে সেখানে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষ হয়। তবে একসঙ্গে এতজন মাওবাদীর মৃত্যু অনেক দিন পরে হল। আধিকারিকদের মতে, এই বছর এখনও পর্যন্ত কাঙ্কের সহ সাতটি জেলা নিয়ে গঠিত বস্তার অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৭৯ জন নকশাল নিহত হয়েছে। এদিনের অভিযানে নিহত মাওবাদীর সংখ্যা যদি ৩০ অতিক্রম করে, তবে এটি হবে বিগত ১০ বছরে বাহিনীর সবচেয়ে বড় অভিযান। এর আগে, গ্রেহাউন্ড কমান্ডোরা ২০১৬ সালে একটি অপারেশনে ৩০ জন নকশালকে খতম করেছিল। ২০২১ সালে অন্য একটি অপারেশনে, শীর্ষ নকশাল নেতা মিলিন্দ তেলতুম্বে সহ ২৫ জন নিহত হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: “মঙ্গল ভবন অমঙ্গল হারি”-অধর্মকে দূরে সরিয়ে ধর্মের স্থাপনাই হল রাম নবমী

    কড়া বার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মাওবাদীদের পুরোপুরি নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান (Anti Naxal Ops) চালিয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘নকশালেরাই উন্নয়ন এবং শান্তির পথে সবচেয়ে বড় শত্রু। তারা যুবকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তাঁদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে।’’

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সফল অভিযানের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে এক্সে লিখেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদি সরকারের আক্রমণাত্মক নীতি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টার কারণে নকশালপন্থা এখন একটি ছোট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই ছত্তিশগড়-সহ গোটা দেশ সম্পূর্ণ নকশাল মুক্ত হবে। আজ, ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে বিপুল সংখ্যক নকশাল নিহত হয়েছে। আমি সমস্ত নিরাপত্তাকর্মীদের অভিনন্দন জানাই যাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে এই অপারেশন সফল করেছেন। যাঁরা আহত হয়েছেন সেই সাহসী পুলিশকর্মীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Update: ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’! তীব্র গরমে বর্ষা নিয়ে সুখবর দিল মৌসম ভবন

    Monsoon Update: ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’! তীব্র গরমে বর্ষা নিয়ে সুখবর দিল মৌসম ভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখের কাঠফাটা রোদ, অসহ্য গরমের মধ্যেই বর্ষা (Monsoon Update) নিয়ে সুখবর দিল মৌসম ভবন। বর্ষায় দেশে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। সোমবার আইএমডি-র তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে গোটা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ছ’শতাংশ বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হতে পারে ৮৭ শতাংশ। দীর্ঘ হবে বর্ষাকাল।

    কী বলল মৌসম ভবন

    মৌসম ভবন জানাচ্ছে, এই মরশুমে বৃষ্টিপাত (Monsoon Update) স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বেশি হবে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সামগ্রিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই বৃষ্টি স্বাভাবিক বা তার কিছু বেশি হবে। তবে, দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলাতে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি হবে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতর মনে করছে, ‘এল নিনো’র প্রভাবে বর্ষার প্রথম ভাগে তাপমাত্রা বাড়বে। যা মোটামুটি জুলাই অবধি চলবে। এরপর বৃষ্টি বাড়বে। দুর্যোগ বাড়বে সারা দেশেই। আমাদের দেশে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ বর্ষা ঢোকে। এবারও তার পরিবর্তন হচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত এবছর দেশে  বর্ষা আসার দিনক্ষণ জানায়নি আবহাওয়া অফিস। কেরলে বর্ষা তাড়াতাড়ি এলে সারা দেশেই বর্ষা আসবে সময়ের আগে। আবহবিদদের ধারণা, এল নিনোর প্রভাবে এবারও সময়ের আগেই দেশে বর্ষা আসতে পারে।   

    আরও পড়ুন: অভিষেকের পর অযোধ্যায় প্রথম রাম নবমীতে পূজিত হবেন রামলালা, চলছে বিশেষ প্রস্তুতি

    কেন বেশি বৃষ্টি

    সোমবার আইএমডি-র তরফে জানানো হয়েছে, বসন্তকালে এ বার উত্তর মেরুতে অন্য বারের তুলনায় কম তুষারপাত হয়েছে। এর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে। সব মিলিয়ে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এ বার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি (Monsoon Update) পাবে দেশ। ১০৬ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে দেশে, বলছে মৌসম ভবন। মৌসম ভবনের ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, ‘এল নিনো’ থাকলে সামগ্রিক ভাবে দেশে যেমন বেশি বৃষ্টি হয়, তেমনই ওড়িশা, দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম বৃষ্টি হয়। আসল কথা, ১৫ জুলাই থেকে ১৫ অগস্টের মধ্যে কতটা বৃষ্টি হচ্ছে তার উপর বেশি খেয়াল রাখা হয়। ওই সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে মুখে হাসি ফোটে কৃষকদের। কারণ, ওই সময়ই আমন ধান রোপণের কাজ চলে। ওই পর্বে স্বাভাবিক পরিমাণে বৃষ্টি হলে বাংলার চাষিরা কিছুটা হলেও নিশ্চিন্তে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IPL 2024: ৪০ ওভারে প্রায় ৫৫০ রান! আইপিএলে রেকর্ড রান তুলে জয় হায়দরাবাদের, হার বেঙ্গালুরুর

    IPL 2024: ৪০ ওভারে প্রায় ৫৫০ রান! আইপিএলে রেকর্ড রান তুলে জয় হায়দরাবাদের, হার বেঙ্গালুরুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চরিত্র বদলাচ্ছে ২২ গজের। দশ বছর আগেও টেস্ট ক্রিকেটে ২দিন ব্যাট করে সাড়ে পাঁচশো রান তুলত কোনও দল। এখন ঝোড়ো ক্রিকেটের যুগে ৪০ ওভারে প্রায় ৫৫০ রান উঠল! সোমবার চলতি আইপিএল-এ (IPL 2024) হায়দরাবাদ বনাম বেঙ্গালুরুর ম্যাচে রানের বন্যা বয়ে গেলো। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (RCB vs SRH)  তোলা রেকর্ড ২৮৭ রানের জবাবে বেঙ্গালুরুর ইনিংস শেষ হল ৭ উইকেটে ২৬২ রানে। সেটাও রেকর্ড। খেলা কোথায় যাচ্ছে। খুব দেরি নেই, যখন টি-২০ ম্যাচের একটি ইনিংসে ৩০০ রান এবং একদিনের ম্যাচে ৫০০ রান উঠবে, ম্যাচ শেষে এমনই অভিমত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।

    রানের বন্যা

    আইপিএলে (IPL 2024) ফের রেকর্ড রান তুলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২৫ রানে হারাল আরসিবিকে। এদিন ট্র্যাভিস হেডের ১০২ ও হেনরিখ ক্লাসেনের ৬৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করেই আইপিএলের সর্বকালের সর্বোচ্চ ২৮৭ রান তুলেছিল সানরাইজার্স। নিজেদের তিন ম্যাচে আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ২৭৭ রান তুলে যে রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স, তা কামিন্সরা নিজেরাই ভেঙে ফেলেন।  চিন্নাস্বামী ফের দেখল ব্যাটারদের তাণ্ডব কাকে বলে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচে দুই দল ৪০ ওভারে করল ৫৪৯ রান। যা আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা রেকর্ড। তবে শেষ হাসি হাসল কামিন্সরাই। এই নিয়ে আইপিএলের সাতটি ম্যাচ খেলে ছ’টিতেই হারল বেঙ্গালুরু। দীনেশ কার্তিকের লড়াইও বেঙ্গালুরুর হার বাঁচাতে পারল না। অন্য দিকে, ছ’টি ম্যাচ খেলে চারটিতে জয় পেল হায়দরাবাদ।

    লড়াই বেঙ্গালুরুর

    বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন কোহলিরাও (RCB vs SRH)। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারলেন না তাঁরা। ওপেন করতে নেমে কোহলি করলেন ২০ বলে ৪২। ৬টি চার এবং ২টি ছয় মারলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। অপর ওপেনার ডুপ্লেসি ছিলেন বেশি আগ্রাসী। তাঁর ব্যাট থেকে এল ২৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস। বেঙ্গালুরু অধিনায়ক নিজের ইনিংস সাজালেন ৭টি চার এবং ৪টি ছক্কা দিয়ে। শুরুর ভালটা ধরে রাখতে পারলেন না বেঙ্গালুরুর পরের ব্যাটারেরা। পর পর আউট হলেন উইল জ্যাকস (৭), রজত পাটীদার (৯) এবং সৌরভ চৌহান (শূন্য)। ফলে বিনা উইকেটে ৮০ থেকে ৫ উইকেটে ১২২ হয়ে যায় বেঙ্গালুরু। এই চাপ আর সামলাতে পারেনি ডুপ্লেসির দল। শেষ দিকে ব্যাট হাতে লড়াই করলেন কার্তিক। কিন্তু উইকেটের অন্য প্রান্তে সঙ্গীর অভাবে দলকে জয়ের চৌকাঠ পার করে দিতে পারলেন না। ২৩ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কার্তিকের ব্যাট থেকে এল ৩৫ বলে ৮৩ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস। মারলেন ৫টি চার এবং ৭টি ছক্কা। রানের ফোয়ারার মাঝেও তিন উইকেট নিয়ে বল হাতে বেশ প্রভাবিত করলেন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • KKR vs RR: নববর্ষে রাজকীয় জয়ের পর রাজস্থানকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান দখলই লক্ষ্য নাইটদের

    KKR vs RR: নববর্ষে রাজকীয় জয়ের পর রাজস্থানকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান দখলই লক্ষ্য নাইটদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজকীয় জয় দিয়ে বর্ষবরণ করেছে নাইটরা। নববর্ষের দিন ইডেনে লখনউ সুপার জায়েন্টকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে কেকেআর। করবো, লড়বো, জিতব…এই ছন্দে বারবার দুলে উঠেছে ক্রিকেটের নন্দনকান। এবার ঘরের মাঠে সিংহাসন দখলের লড়াই নাইটদের সামনে। মঙ্গলবার কলকাতার মুখোমুখি রাজস্থান রয়্যালস। এই ম্যাচে মরুঝড় আটকাতে পারলেই কেল্লাফতে। ফের পয়ন্ট তালিকার শীর্ষে চলে যাবে নাইটরা। 

    প্রথম ও দ্বিতীয়ের লড়াই

    সিএসকের বিরুদ্ধে হারের ধাক্কা থেকে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে একতরফা ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বর্তমানে ৫টির মধ্যে ৪টি ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে নাইটরা। বর্তমানে লিগ টেবিলে ৬ ম্যাচে ৫ জয়, ১ হার, ১০ পয়েন্ট ও +০.৭৬৭ নেটরানরেট নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে সঞ্জু স্যামসনের দল রাজস্থান। আর ৫ ম্যাচে ৪ জয়, ১ হার, ৮ পয়েন্ট, + ১.৬৮৮ নেট রানরেট রয়েছে কেকোরের। তারপর প্রথম চারে রয়েছে সিএসকে ও এসআরএইচ। ১৪ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ইডেনে পরপর পাঁচটি ম্যাচ খেলবে কেকেআর। এলএসজিকে হারানোর পর মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল কলকাতা নাইট রাইডার্স মুখোমুখি হবে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের। এই ম্যাচে জিতলেই নাইটরা উঠে আসবে ১ নম্বরে। ঘরের মাঠে কেকেআরের যে টানা পাঁচটি ম্যাচ রয়েছে সেগুলি সবকটি জিততে পারলে কেকেআর-এর পয়েন্ট হবে ১৬। ফলে শুধু লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান দখল নয়, ৫ ম্যাচ জিতলে প্লে অফের টিকিও পাকা হয়ে যাবে নাইটদের।

    ঐতিহাসিক জয়

    এর আগে আইপিএলে (IPL) লখনউকে কখনওই হারাতে পারেনি নাইটরা। ৩টি সাক্ষাতের প্রতিটিই হেরেছে। গত মরশুমে প্লে অফে উঠতে হলে শেষ ম্যাচে লখনউয়ের বিরুদ্ধে জিততেই হত রাসেলদের। কিন্তু মাত্র ১ রানে হেরে যায় তারা। সেই সমস্ত হিসেব নিকেশ পয়লা বৈশাখেই মিটিয়ে নিল নাইটরা। 

    ছন্দে স্টার্ক

    নববর্ষের দিনে যেন ‘কল্পতরু’ হয়ে উঠলেন মিচেল স্টার্ক (২৮/৩)। ২৫ কোটির ক্রিকেটারের ফর্ম নিয়ে নানা মন্তব্য ধেয়ে এসেছে। এমনকী তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার দাবিও উঠেছিল। কিন্তু মেন্টর গম্ভীরের মগজাস্ত্রে অন্যরকম পরিকল্পনা ছিল। সঠিক দিনে, সঠিক সময়ে জ্বলে উঠলেন স্টার্ক। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা পুরানকে ফেরালেন। দুর্ধর্ষ ডেলিভারিতে বোল্ড করলেন আর্শাদ খানকে। শাহরুখ খানও উঠে দাঁড়ালেন দলের সবচেয়ে দামী বোলারের প্রশংসায়। ম্যাচ শেষে স্টার্ক বললেন, “গত কয়েক বছরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট একটু কম খেলেছি। তাই ছন্দটা পেতে সময় লাগছিল। কীভাবে ফিরতে হয় তা এতদিনে জেনে গিয়েছি। আমার কাজ ব্যাটারের কাছে বল ফেলে সুইং করানো। সেই কারণে শুরুতে ব্যাটারের কাছে বল ফেলছিলাম। কিন্তু দেখলাম এই পিচে সে রকম সুইং নেই। কিছু বল থমকে আসছে। সেই কারণে বল ব্যাটারের থেকে দূরে রাখতে শুরু করি। বাকি কাজ উইকেট করে। “

    শাহরুখের ভোকাল টনিক

    বাংলা নববর্ষের দিনে ক্রিকেটের নন্দন কানন মাতিয়ে দিলেন কিং খান। কেকেআরের জয়ের সঙ্গে ইডেনের দর্শকদের জন্য বাড়তি পাওনা ছিল বাদশাহী চমক। শুধু মাঠেই নয় একইসঙ্গে সাজঘরে দলের ক্রিকেটারদের ভোকাল টনিক দিলেন পাঠান। নাইট রাইডার্সের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সেখানে শোনা যাচ্ছে জাওয়ানের ভাষণ। চক দে ইন্ডিয়া সিনেমার বিখ্যাত ৭০ মিনিটের সংলাপের অনুকরনেই এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।

    তবে ২৪ সেকেন্ডের বক্তব্যেই দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের একটি দায়িত্ব দিয়েছেন কিং খান। নাইট কর্ণধার বলেছেন, ‘দলের সিনিয়ার ক্রিকেটার এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাদের কাছে আমার আবেদন, আমাদের দলেি অনেক তরুণ ক্রিকেটার আছে কিন্তু তাদের তোমাদের মতো অভিজ্ঞতা নেই। আমি আশা করব তোমরা তাদের গাইড করবে, তোমাদের মতো হয়ে উঠতে সব রকম সাহায্য করবে। সমস্ত তরুণ ক্রিকেটারদের অনেক ধন্যবাদ।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohun Bagan: ঘরের মাঠে লিগ শিল্ড জয় পাখির চোখ মোহনবাগানের! কখন, কোথায় দেখবেন ম্যাচ?

    Mohun Bagan: ঘরের মাঠে লিগ শিল্ড জয় পাখির চোখ মোহনবাগানের! কখন, কোথায় দেখবেন ম্যাচ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুবভারতীতে সবুজ-মেরুনের দর্শক সমর্থন চিন্তায় রেখেছে মুম্বই সিটি এফসি-কে। ঘরের মাঠে আজ মোহনবাগান জিততে পারলেই কেল্লাফতে। আইএসএল-এ লিগ শিল্ড জিতবে সবুজ-মেরুন। রবিবার আইপিএলে ইডেনে কেকেআর বনাম লখনউ-এর ম্যাচে সবুজ-মেরুন সমর্থকের অভাব ছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই কলকাতা কিন্তু গলা ফাটাবে সবুজ-মেরুনের হয়েই। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। এ বারও দুর্দান্ত শুরু হয়েছিল। মাঝ পথে খেই হারিয়েছিল সবুজ মেরুন। কোচও বদল হয়েছে। দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মোহনবাগান। এখন জোড়া লক্ষ্য মোহনবাগানের সামনে। প্রথমত, লিগ শিল্ড জয়, দ্বিতীয়ত ট্রফি ধরে রাখা। 

    মোহনবাগানের ভরসা

    মোহনবাগান বনাম মুম্বই ম্যাচকে লিগ শিল্ডের ‘ভার্চুয়াল’ ফাইনাল বলাই যায়। তবে মোহনবাগানের কাছে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। জিতলেই লিগ শিল্ড। পরবর্তী লক্ষ্য দাঁড়াবে আইএসএল খেতাব ধরে রাখা। সেই লক্ষ্যে ঘুঁটি সাজিয়ে চলেছেন বাগান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। শরীরটা একটু সুস্থ হতেই প্র্যাকটিসে নেমে পড়েছেন তিনি। অনুশীলন করানোর পাশাপাশি ফুটবলারদের হাতে ধরে ভুল শুধরে দিলেন। সোমবার ডাগ আউটেও বসবেন তিনি। আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের উপস্থিতি বদলে দিতে পারে একটা গোটা ম্যাচের ছবি। তাঁর মগজাস্ত্র বড় ভরসা সবুজ-মেরুনের।  

    কী ভাবছে কোচ

    সোমবার মুম্বই সিটি এফসি’র বিরুদ্ধে ম্যাচ ইতিহাসে স্থান করে নেওয়ার ম্যাচ। স্বপ্নপূরণের ম্যাচ। হাবাসের ডেপুটি ম্যানুয়েল বলেন, ” হাবাস ডাগ আউটে থাকুন কি না থাকুন, তাঁর মস্তিষ্ক সব সময় সঙ্গে থাকে। ওনার ট্যাকটিক্সেই খেলা হবে। ঘরের মাঠে পঞ্চাশ হাজার দর্শকের সামনে আমরাই সেরা।” বিপক্ষ দলের বিপিন, ছাংতেদের নিয়ে ভাবছেন না তিনি। তার বদলে তিনি ভাবছেন কীভাবে মুম্বইয়ের দুর্ভেদ্য রক্ষণে ফাটল ধরানো যায়। “ওদের কাছে ম্যাচটা অনেক সহজ। কারণ ওদের দরকার মাত্র এক পয়েন্ট। তবে ঘরের মাঠে আমাদের হারানো সহজ হবে না। আমাদের কাছে মাস্ট উইন ম্যাচ,” বলছেন ম্যানুয়েল। তাঁর পাশে বসে জনি কাউকো বলেন, “হেড কোচ হাবাসের জন্যই আমরা এই ম্যাচটা জিততে চাই। আমরা নিজেদের সেরাটা ছাপিয়ে যেতে প্রস্তুত।”

    আরও পড়ুন: বৈশাখ পড়তেই বাড়ছে গরম, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    বিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসি-র কোচ ক্রাতকি বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি খুবই উত্তেজক। আমি আত্মবিশ্বাসী। কারণ, আমাদের দল খুব ভাল। আমাদের ফুটবলারদের এই পরীক্ষায় পাশ করার ক্ষমতা রয়েছে। ম্যাচটা বেশ কঠিন হবে জানি। আমাদের পরিশ্রম করতে হবে। এই ম্যাচ অনেকটা মানসিক শক্তির লড়াই। মোহনবাগানও যথেষ্ট ভাল দল। তার উপর ঘরের মাঠে খেলবে। সব রকম সুবিধা ওরা পাবে। তাই আমাদের প্রথম থেকে শেষ মিনিট পর্যন্ত সংঘবদ্ধ ভাবে লড়াই করতে হবে।’’

    কখন ও কোথায় ম্যাচ দেখবেন

    স্পোর্টস ১৮ ১ HD (ইংরেজি), স্পোর্টস১৮ ৩ (বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি), স্পোর্টস১৮ খেল (হিন্দি) এবং ডিডি বাংলায় সরাসরি আইএসএলের ম্যাচ সম্প্রচারিত হবে। আর অনলাইনে জিয়ো সিনেমায় মোহনবাগান বনাম মুম্বই ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং হবে। অনলাইনে জিয়ো সিনেমায় বিনামূল্যে সেই ম্যাচ দেখতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: বৈশাখ পড়তেই বাড়ছে গরম, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: বৈশাখ পড়তেই বাড়ছে গরম, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখ পড়তেই “রজনী নিদ্রাহীন, দীর্ঘ দগ্ধ দিন”! নববর্ষের প্রথম দিনেই এক ডিগ্রি করে বাড়ল শহরের দিন ও রাতের তাপমাত্রা। প্রায় ৩৮ ডিগ্রিতে পৌঁছে গেল কলকাতার পারদ। পশ্চিমের জেলায় পারদ ছুঁল ৪০ ডিগ্রি। দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আপাতত দক্ষিণের কোথাও বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই।

    বাড়ছে তাপমাত্রা

    হাওয়া অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার রাজ্যের তিনটি জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। বাঁকুড়া (৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস), বিষ্ণুপুর (৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং পানাগড়ে (৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল। বাকি এলাকায় তাপমাত্রা এখনও ৪০ ডিগ্রির গণ্ডি না ছুঁলেও হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দু’তিন দিনে আরও চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে সর্বত্র। সে ক্ষেত্রে অনেক জেলায় তাপমাত্রা ৪০-এর গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে। রবিবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও রবিবার  সকালে অনেকটা বেড়ে ৯০ শতাংশ হয়ে যায়। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তা-ও স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি বেশি। 

    অস্বস্তিকর আবহাওয়া 

    সোমবার সকাল থেকে শহরে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়ার জন্য বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত সরাসরি রোদে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বেলা বাড়লে আপেক্ষিক আর্দ্রতা কমে যায় এবং লু -এর মতো শুষ্ক গরম বাতাস বইতে শুরু করে কলকাতায়। কষ্টের মধ্যে পড়েছে স্কুল ফেরতারা। ১৭ বা ১৮ এপ্রিলের মধ্যে কলকাতার পারদ ৩৯ এর ঘরে পৌঁছে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। 

    আরও পড়ুন: ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্বের জের, অনির্দিষ্টকালের জন্য উড়ান পরিষেবা বন্ধ করল এয়ার ইন্ডিয়া

    বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে

    উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। ১৬ এবং ১৯ এ এপ্রিল বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। আগামী চার দিনে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। মঙ্গলবার ১৬ই এপ্রিল বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের ৮ জেলাতেই ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলাতে বজবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি এবং সঙ্গে ৪০/৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝড়ের সতর্কবার্তা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই আবহাওয়া মূলত শুকনো থাকবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IPL 2024: নববর্ষে ইডেনে নতুন ভূমিকায় নারিন, নয়া রঙ লখনউয়ের! সবুজ-মেরুনের বিপক্ষে কেকেআর

    IPL 2024: নববর্ষে ইডেনে নতুন ভূমিকায় নারিন, নয়া রঙ লখনউয়ের! সবুজ-মেরুনের বিপক্ষে কেকেআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষবরণের বিকেলে ফের রাজকীয় মেলবন্ধনের সাক্ষী হতে চলেছে শহর কলকাতা। ইডেনে রবিবার লখনউয়ের বিপক্ষে খেলতে নামবে কেকেআর। নাইটদের ম্যাচ দেখতে আসছেন কিং খান। আইপিএলে (IPL 2024) চলতি মরশুমের শুরুটা দারুণ করেছে কেকেআর। প্রথমবার প্রথম তিন ম্যাচেই জয়ের মুখ দেখেছে শ্রেয়স আইয়ার ব্রিগেড। মেন্টর হিসেবে গৌতম গম্ভীরের উপস্থিতি এবার কেকেআর শিবিরে বাড়তি প্রাণশক্তি সঞ্চার করেছে। তাই শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে বিশ্রী হারকেও বিশেষ আমল দিচ্ছে না নাইট শিবির। অন্যদিকে গম্ভীরের প্রাক্তন দল লখনউ এবার চেনা ছন্দে নেই। তাই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি দু পয়েন্ট তুলতে মরিয়া কেকেআর।

    নতুন ভূমিকায়  নারিন

    লখনউ ম্যাচের আগে কেকেআরের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে পেস বোলিং করছেন নারিন। নেটে স্পিন বোলিং ছেড়ে মিডিয়াম পেসারের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে কেকেআরের তারকা ক্রিকেটারকে। এই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে মিস্ট্রি পেসার। রবিবার ইডেনে লখনউয়ের বিরুদ্ধে নতুন আঙ্গিকে নারিনের ভল দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বল হাতে এবারে এখনও পর্যন্ত সেভাবে সাফল্য না পেলেও এবার কিন্তু সুপারহিট ওপেনার নারিন। এখনও পর্যন্ত দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন নারিন। গত বছর ওপেনার নারিনের উপর সে ভাবে আস্থাই দেখানো হয়নি। ওপেনিংয়ে নেমে তিনি যে নেমেই মারমার করার ক্ষমতা এখনও রাখেন, তা কেউ বিশ্বাস করেনি। কিন্তু গম্ভীর এবার নারিনকে ওপেনিংয়ে ফিরিয়ে এনেছেন।

    সবুজ-মেরুনে লখনউ

    রবিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) বিরুদ্ধে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে মাঠে নামবে লখনউ সুপার জায়েন্ট (Lucknow Super Ginats)।  সোমবারই আইএসএল-এর (ISL) লিগ শিল্ড জেতার লক্ষ্য নিয়ে মুম্বই সিটি এফসি-র (Mumbai City FC) বিরুদ্ধে খেলতে নামছে মোহনবাগান। তার একদিন আগে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মোহনবাগান সমর্থকরা বেশ খুশি। আগে শোনা গিয়েছিল, মোহনবাগানের ম্যাচে নাকি কেএল রাহুলরা আসতে পারেন। গত মরসুমে মোহনবাগান আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে সেই দলকে সম্মান জানতে প্রথমবার সবুজ-মেরুন জার্সি পরে নেমেছিল লখনউ। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল সেবার ১ রানে হারিয়ে দিয়েছিল কেকেআর-কে। শনিবার নিজেদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে জার্সিবদল করার কথা জানিয়েছে লখনউ। সেখানে লেখা, ‘‘বড় ম্যাচের জন্য নতুন রং।’’ সঙ্গে বাংলা হরফে লেখা, ‘‘কাল দেখা হবে।” বেশ কয়েক জন ক্রিকেটারের একটি কোলাজ দেওয়া হয়েছে পোস্টের সঙ্গে। 

    থাকছেন না মায়াঙ্ক

    একদিন আগে ঘরের মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে খেলানো হয়নি চলতি আইপিএল-এর আবিষ্কার মায়াঙ্ক যাদবকে। এক্সপ্রেস গতির এই পেসারকে সুপার সানডে-তে ইডেনেও পাওয়া যাবে না। লখনউয়ের মেন্টর থাকাকালীন মায়াঙ্ককে খুঁজে বের করেছিলেন গম্ভীরই। তিনি এখন কেকেআরের মেন্টর। ফিট থাকলে রবিবারের ম্যাচের আগে মায়াঙ্ককে নিয়েও আলাদা পরিকল্পনা করতে হত। এ বারের আইপিএলে ১৫৬.৭ কিমি/ঘণ্টা গতি তোলা মায়াঙ্কের না থাকাটা কি কেকেআরের কাছে স্বস্তির? কেকেআর মেন্টর গৌতম গম্ভীর বলেন, ‘একেবারেই না। আমাদের কাছে স্বস্তি হবে? চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে এসব ভাবলে চলবে না। আমরা নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী খেলব। বরং আমি চাইব, প্রতিপক্ষর সকলেই ফিট থাকবে, আমাদের চ্যালেঞ্জ করবে, সেটা আমরা কাউন্টার করব। ক্রিকেট কেরিয়ারে আমি এ ভাবেই ভেবে এসেছি। আমি চাই প্রতিপক্ষ সেরা টিম নামাবে। আমরাও সেই অনুযায়ীই খেলব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bengaluru Cafe Blast: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ!  কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়? 

    Bengaluru Cafe Blast: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ! কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে (Bengaluru Cafe Blast) জড়িত ২ আইএস জঙ্গি ২৮ দিন ধরে আস্তানা গেড়েছিল এ রাজ্যেই। এমনটাই জানা গিয়েছে এনআইএ সূত্রে। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য থেকে জঙ্গিদের খোঁজ মেলায় তৃণমূল সরকারকে  তুলোধনা করেছে বিজেপি। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো জঙ্গিরা নাকি দুই দিন, বাংলার অতিথি য়ে এসেছিলেন। প্রশ্ন একটাই অতিথি-ই বটে! বাংলা এখন জঙ্গিদের ঘোরার জায়গা। তাদের মুক্তাঞ্চল। এই প্রথম নয়। এর আগেও, একাধিকবার বাংলা থেকে ধরা পড়েছে বহু জঙ্গি। তৃণমূল সরকারের আমলে বাংলা যেন জঙ্গিদের সেফ-আস্তানা হয়ে উঠেছে বাংলা।

    জঙ্গিদের সেফ হেভেন

    বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণকাণ্ডের (Bengaluru Cafe Blast)  মূল ২ অভিযুক্ত আস্তানা গেড়েছিল কলকাতাতেই। ২ জনকে দিঘা থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের মূল চক্রীদের বাংলা থেকে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর তার কারণ সন্দেহভাজন জঙ্গিরা বাংলায় ২৮ দিন ধরে ছিল! এই শহরের বুকে একের পর একে হোটেলে আত্মগোপন করে ছিল! নাম ভাঁড়িয়ে কলকাতায় একের পর এক হোটেলে আস্তানা বদলেছে তারা। পুলিশ-গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে জঙ্গিরা সোজা পাড়ি দিয়েছে বাঙালিদের অন্যতম পছন্দের উইক এন্ড ডেস্টিনেশন দিঘা। ভোটের আগে এই জঙ্গিরা ধরা পড়ায় ফের প্রশ্ন উঠেছে, বাংলা কি সন্ত্রাসবাসীদের ‘সেফ হেভেন’? জঙ্গিদের ‘স্লিপার সেল’গুলির আস্তানা? কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়? 

    কবে, কোথায় কারা ধরা পড়েছে 

    কখনও লস্কর-ই-তৈবা তো কখনও আইএস। বাংলায় কেন সক্রিয় জঙ্গি কার্যকলাপ? এরাজ্যকে কি নিরাপদ মনে করছে তারা? অতীতেও, বাংলা থেকে ধরা পড়েছে একাধিক জঙ্গি। ২০০৭ সালে বেঙ্গালুরু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় নাশকাত হামলার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি সংগঠন ‘আল বদর’-এর সদস্য ধৃত ফৈয়াজ স্বীকার করে, সে দীর্ঘদিন কলকাতায় ছিল। লালবাজারের কাছেই বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের একটি ঠিকানায় পাসপোর্টও বানিয়েছিল সে। পুণের জার্মান বেকারি বিস্ফোরণে অভিযুক্ত জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম)-এর প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য ইয়াসিন ভটকল শুধু লুকিয়েই থাকেনি, কলকাতা থেকে বিস্ফোরকও নিয়ে গিয়েছিল। লস্কর-ই-তৈবার বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ আবদুল করিম টুন্ডাকে এ রাজ্য থেকেই ২০১৩-তে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ কাণ্ডে জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ’ (জেএমবি)-র সদস্য কওসর ওরফে বোমা মিজান, হাবিবুর এবং জেএমবির চিফ সালাউদ্দিন সালে এ রাজ্যে দীর্ঘদিন থেকে সংগঠন তৈরির পাশাপাশি বিস্ফোরক তৈরিও করছিল। ২০২১ সালে কলকাতার হরিদেবপুর থেকে তিন জেএমবি নেতা ধরা পড়ে। আল কায়দার উপমহাদেশীয় শীর্ষ নেতা আবু তালহা বহু দিন কোচবিহারে লুকিয়ে ছিল। সেখানে ভোটার কার্ড-সহ অন্য পরিচয়পত্রও বানিয়ে নিয়েছিল সে। ২০১৭-য় বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদেরও এ রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে আশ্রয় নেওয়া মুফাক্কির নামে এক বাংলাদেশি জঙ্গিকে ২০২৩-এ গ্রেফতার করে এনআইএ। ২০২১ সালে নিউটাউনে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা যায় পাঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার এবং যশপ্রীত জসসি।

    শুভেন্দুর দাবি

    পশ্চিমবঙ্গ আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ আন্তর্জাতিক অপরাধীর মুক্তাঞ্চল, এটা আগেও প্রমাণিত। পঞ্জাব পুলিশ চপারে করে এখানে এসে পাঞ্জাবের দুষ্কৃতীদের এনকাউন্টার করেছে। মুজিবর রহমান খুনের দু’জন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত খুনির একজন হাওড়ায় হোমিওপ্যাথ ডাক্তার হিসেবে ছিল। পরে পার্ক সার্কাস থেকে মাজেদকেও ধরা হয়। পার্ক সার্কাস মানে শহরের প্রাণকেন্দ্র। মমতা নিজে দেশবিরোধী কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। দিল্লিতে জাহাঙ্গীরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর দিন যে ঘটনা ঘটেছিল, তার মূল অভিযুক্ত ফিরোজ৷ যে আমাকে হলদিয়ায় পাথর ছোড়ায় অভিযুক্ত, তার বাড়ি তমলুকের একটি গ্রামে। লাল্টু শেখ, আবদুল মান্নান ফেক আই কার্ড তৈরি করত। তারা গত বছর সোনারপুর থেকে গ্রেফতার হয়।”

    দিলীপের অভিমত

    বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, “জঙ্গিরা এখানে গা-ঢাকা মোটেই দেয়নি, ওরা জানে এখানে কেউ গায়ে হাত দেবে না। শেখ শাহজাহান তো দু’মাস ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। পুলিশ কি জানত না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানতেন শাহজাহান কোথায় আছে। কেন ধরেননি? ওরাই এই ধরনের লোককে আশ্রয় দিয়ে সাহায্য করছে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলা হচ্ছে জঙ্গিদের সেফ করিডর। আজ পর্যন্ত যত জঙ্গি সব এখানেই ধরা পড়েছে। কারণটা হল কোন ভয় নেই। এছাড়া এখান থেকে আধার কার্ড, রেশন কার্ড করে তারা বাংলাদেশ থেকে আসছে। এখানে এসে ট্রেনিং নিয়ে সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে গিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ ঘটাচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: ২ ঘণ্টা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! দার্জিলিং থেকে দিঘা, ২৮ দিন রাজ্যে ছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা, পাল্টা এনআইএ

    দিলীপের সংযোজন, “হুজি থেকে শুরু করে করে আল-কায়দা, আইএস জঙ্গিরা, ভিনরাজ্যের গ্যাংস্টাররা এখানে ধরা পড়েছে। মাসের পর মাস ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর যখন উপর থেকে ডান্ডা দিয়েছে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’ঘণ্টার মধ্যে জঙ্গিদের ধরে ফেললেন। অথচ তারা দু’মাস ধরে ঘুরছিল। তখন কী করছিলেন। এটা কি মামার বাড়ি পেয়েছে। জঙ্গিরা ঘুরে বেড়াবে আর আপনি তাদের খাওয়াবেন, পুষবেন, সুরক্ষা দেবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohun Bagan: ভার্চুয়াল ফাইনাল! লিগ শিল্ডের লড়াইয়ে মোহনবাগান-মুম্বই ম্যাচের টিকিটের হাহাকার

    Mohun Bagan: ভার্চুয়াল ফাইনাল! লিগ শিল্ডের লড়াইয়ে মোহনবাগান-মুম্বই ম্যাচের টিকিটের হাহাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিগ শিল্ডের লড়াইয়ে ঘরের মাঠে মুম্বইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে  মোহনবাগান (Mohun Bagan)। নববর্ষের পরদিনই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে আইএসএলের (ISL 2023-24) শিল্ড নির্ধারণী ম্যাচে নামছে সবুজ-মেরুন। যুবভারতীতে দর্শক সংখ্যা বাড়িয়ে নিজেদের পালে হাওয়া লাগাতে চাইছে মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ। টিকিটের চাহিদাও তুঙ্গে। প্রিয় দলকে মাঠে থেকে সমর্থন জানাতে মরিয়া অনুরাগীরা।

    কত টিকিট, কী দাম

    সমর্থকদের জন্য বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan) ম্যানেজমেন্ট। ডার্বির মতো মুম্বই ম্যাচেও ৬০ হাজার টিকিট ছাপাচ্ছে মোহনবাগান। ৬০ হাজার টিকিটের মধ্যে ইতিমধ্যেই ২২ হাজার বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি মোহনবাগানের। উপচে পড়া জনতার সমর্থন নিয়েই মুম্বই বধ করতে চায় সবুজ-মেরুন। টিকিটের ন্যুনতম দাম রাখা হয়েছে ৫০ টাকা আর ১০০ টাকা। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও পাওয়া যাবে টিকিট। শনিবার থেকে মোহনবাগান মাঠ আর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পাওয়া যাবে অফলাইন টিকিট। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত টিকিট পাওয়া যাবে। রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএলের ম্যাচ থাকায় ওদিন মোহনবাগান মাঠে সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হবে।

    প্রস্তুতি শুরু মোহনবাগানের

    মোহনবাগানের (Mohun Bagan) লিগ-শিল্ড (ISL 2023-24) জয়ের স্বপ্ন দু’বছর আগে ভেঙে গিয়েছিল জামশেদপুর এফসি-র কাছে হেরে। এ বার দিমিত্রিদের স্বপ্নপূরণের মাঝখানে রয়েছে মুম্বই। পয়েন্ট টেবলের শীর্ষ স্থানে শেষ করা দল আইএসএলে শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়। ২১ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে রয়েছে মুম্বই। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহনবাগানের সংগ্রহে ৪৫ পয়েন্ট। প্রথমবার শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হতে হলে সোমবার মুম্বইকে হারাতেই হবে জনি কাউকো-দের। বৃহস্পতিবার সুনীল ছেত্রীদের বেঙ্গালুরু এফসি-কে তাদের ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে চূর্ণ করলেও সতর্ক আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের সহকারী ম্যানুয়েল কাসকালানা। শেষ পাঁচটি ম্যাচে জয়ী মুম্বইকেই এগিয়ে রাখছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘মুম্বইয়ের তুলনায় আমরাই বেশি চাপে থাকব। কারণ, আমাদের জেতা ছাড়া সামনে আর কোনও রাস্তা নেই। মুম্বই ড্র করলেই লিগ-শিল্ড জিতবে।’’ বেঙ্গালুরু থেকে শুক্রবারই কলকাতায় ফিরেছে মোহনবাগান। আজ, শনিবার থেকে মনবীর-রা প্রস্তুতি শুরু করবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share