Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • 100 Days Job Corruption: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, বোনকে নিয়ে ইডি দফতরে রথীন্দ্রকুমার দে

    100 Days Job Corruption: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, বোনকে নিয়ে ইডি দফতরে রথীন্দ্রকুমার দে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি অফিসে হাজিরা দিলেন একশো দিনের কাজে ‘দুর্নীতি’র দায়ে অভিযুক্ত প্রাক্তন পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্রকুমার দে। ইডির তলবে সাড়া দিয়ে বোন ইতি চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন রথীন্দ্রকুমার। একশো দিনের কাজের টাকা নয়ছয় করার মামলা দায়ের হয়েছে মুর্শিদাবাদের দুই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে এক জন প্রাক্তন পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্রকুমার এবং অন্য জন, মুর্শিদাবাদ জেলার মনরেগা প্রকল্পের বর্তমান নোডাল অফিসার সঞ্চয়ন পান। 

    ইডির জিজ্ঞাসাবাদ

    শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ ইডি দফতরে যান মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাক্তন নির্বাহী সহায়ক রথীন্দ্রকুমার দে ও তাঁর বোন ইতি চট্টোপাধ্যায় ৷ এদিন তাঁরা ইডি অধিকারিকদের হাতে কিছু নথি তুলে দেন। রথীন্দ্রকুমার দে-র আইনজীবীর অভিযোগ, সেই নথিতেই প্রমাণ রয়েছে যে, দুর্নীতি হয়েছে বুঝতে পেরে উপরমহলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন রথীন্দ্র ৷ তবে তাঁর কথায় আমলই দেওয়া হয়নি ৷ ইডি সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    দুর্নীতির অভিযোগ

    মঙ্গলবার সকালে একশো দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্তে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের মধুপুরের কালীবাড়ি এলাকায় দুই সরকারি কর্মীর বাড়িতে ইডি কর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসেন। তাঁদের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালানোর পর বুধবার ইডি দফতরে হাজিরার নোটিস দেওয়া হয় রথীন্দ্রকে। তাঁর বোনকেও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়। সেই নির্দেশ মেনেই কলকাতার ইডি দফতরের হাজিরা দিলেন রথীন্দ্র এবং তাঁর বোন। ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বেলডাঙা ১ ব্লকের বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র এই পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তখন রথীন্দ্র বেলডাঙা ১ এর সুজাপুর-কুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এগ্‌‌জিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত। সেই অভিযোগের তদন্ত শেষে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয় রথীন্দ্রকে। এমনটাই দাবি ইডি কর্তাদের। 

    আরও পড়ুুন: ব্যালটের পর এবার বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খেলেন তৃণমূল কর্মী!

    রথীন্দ্রকুমারের দাবি

    প্রাক্তন পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্রকুমারের দাবি, চাকরি করার সময় তিনি বেশ কিছু দুর্নীতি হতে দেখেন। এই নিয়ে জেলা প্রশাসন ও রাজ্যের আমলাকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হলেও তৎকালীন জেলা প্রশাসন এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি । উলটে দুর্নীতিগ্রস্ত জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৎকালীন এডিএম, জেলা পরিষদ ক্ষমতার অপব্যবহার করেন ৷ নওদা ও বেলডাঙা এক ব্লকের বিডিও এবং পুলিশের সহায়তায় গ্রামের মানুষকে ভয় দেখিয়ে সই নকল করে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিয়ে নেওয়া হয় ৷ কোনও শোকজ ছাড়াই মিথ্যা মামলায় তাঁকে অভিযুক্ত করে চাকরি থেকে বিতাড়িত করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India-Maldives Relationship: সেনার বদলে মলদ্বীপে পাঠানো হবে ‘যোগ্য’-দের, জানাল দিল্লি

    India-Maldives Relationship: সেনার বদলে মলদ্বীপে পাঠানো হবে ‘যোগ্য’-দের, জানাল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপ থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি। তবে, এখনই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হচ্ছে না। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মলদ্বীপের (India-Maldives Relationship) বিমানক্ষেত্রগুলি থেকে ভারতীয় সেনা সরিয়ে পরিবর্তে সেখানে মোতায়েন করা হবে ‘যোগ্য ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ’। 

    কী বলছে বিদেশ মন্ত্রক

    চিকিৎসার জন্য রোগী উড়িয়ে আনা-সহ উচ্ছেদ বিভিন্ন মানবিক কাজে ব্যবহারের জন্য, মলদ্বীপকে (India-Maldives Relationship) দুটি অ্যাডভান্স্ড লাইট ‘ধ্রুব’ হেলিকপ্টার এবং একটি ডর্নিয়ার বিমান দিয়েছিল ভারত সরকার। এতদিন ভারতীয় সেনাকর্মীরাই এই তিনটি এয়ারক্র্যাফ্ট চালাতেন। কিন্তু, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট, মহম্মদ মুইজ্জু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতীয় সেনা রাখা যাবে না তাদের দ্বীপরাষ্ট্রে। কাজেই, ওই তিনটি এয়ারক্র্যাফ্ট চালানোর জন্য সেনার বদলে ‘দক্ষ ভারতীয় প্রযুক্তি কর্মীদের’ পাটানোর সিদ্ধান্ত নিল নয়া দিল্লি। এখন মলদ্বীপে ৭০ জন জওয়ান, সমুদ্রে টহলের জন্য ডর্নিয়ের ২২৮ বিমান, দু’টি এইচএএল হেলিকপ্টার রয়েছে। সে দেশের সমুদ্রে টহলের পাশাপাশি অসুস্থ নাগরিকদের এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে আকাশপথে পৌঁছে দেয় ভারতীয় সেনা। প্রয়োজনে ত্রাণ-সহ মানবিক সাহায্য করে। বৃহস্পতিবার, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “ওই এয়ারক্র্যাফ্টগুলি মলদ্বীপেই থাকবে। সেনাকর্মীদের জায়গায় ওই বিমানগুলি পরিচালনার জন্য দক্ষ ভারতীয় প্রযুক্তিকর্মীদের পাঠানো হবে।” 

    আরও পড়ুন: চিন-প্রেমই হল কাল! মলদ্বীপে দেখা দিতে পারে ঋণ সঙ্কট, বলছে আইএমএফ

    ক্ষমতায় আসার পরেই মলদ্বীপ (India-Maldives Relationship) থেকে সেনা সরানোর জন্য সরকারি ভাবে আর্জি জানিয়েছিল মুইজ্জু সরকার। দিন কয়েক আগে বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছিল, তাদের নির্ধারিত দিনের মধ্যেই ভারত পদক্ষেপ করতে রাজি হয়েছে। এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দুটি বৈঠকও হয়। তৃতীয় বৈঠকটি হবে চলতি মাসের শেষে।  এদিন, রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, মলদ্বীপের উন্নয়নে সহায়তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। ২০২৪-২৫ সালের বাজেটেও ভারত সরকার মালদ্বীপের জন্য ৭৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: হেমন্তের দিল্লির বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত গাড়ির মালিক কংগ্রেস সাংসদ, দাবি ইডির

    Hemant Soren: হেমন্তের দিল্লির বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত গাড়ির মালিক কংগ্রেস সাংসদ, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি জালিয়াতি মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দিল্লির বাসভবন থেকে বাজেয়াপ্ত  দামি গাড়িটি আসলে কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ শাহুর। ইডি সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গত বছর রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ ধীরজের বাড়ি থেকে বিপুল নগদ উদ্ধার করা হয়েছিল। ধীরজকে ওই গাড়ি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি।

    গাড়ি আসলে কার

    ঘটনাচক্রে ধীরজ শাহুর বাড়ি, অফিস-সহ একাধিক জায়গা থেকে মাস দুয়েক আগেই সাড়ে তিনশো কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ডিসেম্বরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল অর্থ উদ্ধার করেছিল ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট। যদিও তিনি দাবি করেছিলেন, ওই বিপুল অর্থের সঙ্গে কোনও যোগ নেই কংগ্রেসের। সমগ্র টাকা উদ্ধারে ১০ দিন সময় লেগেছিল। ইডি সূত্রের দাবি, গাড়িটি কংগ্রেস সাংসদ শাহুর নামে নথিভুক্ত। কিন্তু হেমন্তের দিল্লির বাসভবনে সেই গাড়ি ছিল কেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেজন্যই জেরা করা হতে পারে ধীরজকে।

    আরও পড়ুন: ‘ভোটের গিমিক, দিশাহীন’! রাজ্য বাজেট নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বাজেয়াপ্ত গাড়ির বঙ্গ যোগ

    জমি জালিয়াতি মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি ইডির হাতে গ্রেফতার হন হেমন্ত। ৬০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। নিজের রক্ষাকবচের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন হেমন্ত। কিন্তু শীর্ষ আদালতে গিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।তাঁর দিল্লির বাসভবন থেকে বাজেয়াপ্ত গাড়ির সঙ্গে বঙ্গ যোগও রয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যে গাড়ি রয়েছে, তার রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিল কলকাতার এক ব্যবসায়ী যোগেশ আগরওয়াল। রিয়েল এস্টেট এবং মোটর প্রশিক্ষণ স্কুলের ব্যবসা রয়েছে যোগেশের। ফলে, মোটর ট্রেনিং স্কুলের আড়ালে দুর্নীতির চক্র রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সন্দেহ এবং সেটা কী ধরনের দুর্নীতি, ইডি তা খতিয়ে দেখতে চাইছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • State Budget 2024: ‘ভোটের গিমিক, দিশাহীন’! রাজ্য বাজেট নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    State Budget 2024: ‘ভোটের গিমিক, দিশাহীন’! রাজ্য বাজেট নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিশা দেখাতে পারেনি রাজ্য বাজেট। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট (West Bengal Budget 2024) পেশ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তা শেষ হতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বাজেটকে ভোটের গিমক, বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখন তাঁর পাশে ছিলেন অর্থনীতিবিদ তথা বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি। 

    বাজেটে রাজ্যের অগ্রগতির দিশা নেই

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই বাজেট ভোটের প্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। এতে বেকারদের কর্মসংস্থান, বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগ, শিল্প বাণিজ্যের পরিবেশ নিয়ে রাজ্যের অগ্রগতির কোনও দিশা নেই।’’ তাঁর মতে, ‘‘রাজ্য সরকার বাজেটের মাধ্যমে কিছু কিছু জায়গায় অর্থ বিলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু অসমে মহিলারা আড়াই হাজার টাকা করে পান। মধ্যপ্রদেশেও অনেক বেশি টাকা মহিলাদের দেওয়া হয়। এখানে মহিলাদের ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ১০০০ করা হচ্ছে মাত্র।’’ উল্লেখ্য, বাজেটে রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাসে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা। সেই ঘোষণাকেই কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এ তফসিলি জাতি উপজাতির মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত। বাজেটে তাঁদের ১২০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। শুভেন্দু বলেন, ‘‘এটা ওঁদের অপমান। সাধারণ ক্যাটাগরির মহিলাদের তুলনায় ওঁদের দ্বিগুণ টাকা পাওয়ার কথা। ২০০ টাকা বাড়িয়ে ওঁদের অপমান করা হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    বাজেটে উপেক্ষিত সব স্তরের মানুষ

    বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘এই বাজেটে সরকারের আয়ের উৎসের নির্দিষ্টভাবে কোনও উল্লেখ নেই। এই বাজেটে দার্জিলিংয়ের পাহাড়, জঙ্গলমহল, সুন্দরবন, কৃষক উপেক্ষিত। আমরা আশা করেছিলাম রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৫ হাজারের বদলে ১০ হাজার টাকা করবেন। আমরা আশা করেছিলাম উত্তরপ্রদেশের মতো পিএম কিষাণ সম্মান নিধি আরও ছ হাজার রাজ্য দিয়ে ১২ হাজার করবে রাজ্য। তাই কৃষকদের জন্য এই সরকার এই বাজেটে কিছু রাখেনি। শেষে ডিএ নামক বস্তুটিকে রেখে আবার রাজনীতি করার চেষ্টা হয়েছে। এই বাজেটে ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়ার পরেও কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক ৪০ শতাংশ। তাছাড়া ডিএ পাওয়া যাবে মে মাস থেকে। মানে ভোট গণনার পর। বাজেটে ৫ লক্ষ চাকরির কথা ঘোষণা করা হলেও কবে কোন দফতরে কত নিয়োগ হবে তার কোনও উল্লেখ নেই। ’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India vs England: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের দুই টেস্টেও নেই কোহলি! ফিরতে পারেন রাহুল ও জাদেজা

    India vs England: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের দুই টেস্টেও নেই কোহলি! ফিরতে পারেন রাহুল ও জাদেজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টেও টিমে থাকছেন না বিরাট কোহলি। রাজকোট তো বটেই রাঁচিতেও হয়তো ফিরবেন না কিং কোহলি। সিরিজের শেষ ম্যাচে  ধর্মশালায় পঞ্চম টেস্টের জন্য ফিরতে পারেন বিরাট। তবে কোহলি না ফিরলেও দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন লোকেশ রাহুল ও রবীন্দ্র  জাদেজা। ভাইজ্যাগ টেস্টে মহম্মদ সিরাজকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। তবে রাজকোট টেস্টে তাঁর ফিরে আসা কার্যত নিশ্চিত। বিসিসিআই সূত্রে খবর, নির্বাচকেরা শেষ তিন টেস্টের জন্য ভারতীয় দল সম্ভবত এই সপ্তাহেই বাছাই করবেন।

    অনিশ্চিত কোহলি

    ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর তিন দিন আগে, বিসিসিআই ঘোষণা করেছিল যে, কোহলি ‘ব্যক্তিগত কারণে’ প্রথম দু’টি টেস্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।  দ্বিতীয়বার বাবা হতে চলেছেন বিরাট। যে কারণে জাতীয় টিম থেকে ছুটি নিয়েছেন, এমনই শোনা যাচ্ছে। তৃতীয় টেস্টে তাঁর ফেরার কথা ছিল। কিন্তু জানা গিয়েছে, আরও দুই টেস্টে সম্ভবত কোহলিকে পাওয়া যাবে না। ভারতের সিনিয়র তারকা ব্যাটসম্যান রাজকোট এবং রাঁচিতে অনুষ্ঠিত যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্ট মিস করতে পারেন। ৬ মার্চ ধর্মশালায় শেষ টেস্টে দলে ফিরতে পারেন কোহলি। তাই আপাতত তাঁকে বাইরে রেখেই রাজকোটে সিরিজ ২-১ করার পরিকল্পনা শুরু করেছেন অধিনায়ক রোহিত। হায়দ্রাবাদ টেস্ট হারের পর ভারতীয় টিমকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেন্সি নিয়েও উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন। সে সব মিটিয়ে বিশাখাপত্তনমে ভারত দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেছে। সিরিজ ১-১ করেছে রোহিত ব্রিগেড। খুশি অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এখন সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা তাঁর মাথায়।

    ফিরছেন সিরাজ, জাদেজা, রাহুল

    চোটের কারমে দ্বিতীয় টেস্ট মিস করেছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং কেএল রাহুল। কেএল রাহুল, যিনি কোয়াড স্ট্রেনের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন। এবং জাদেজা প্রথম টেস্টের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন। তিনি এখন বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এনসিএ-র ফিজিয়োর কাছ থেকে চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্য এখনও অপেক্ষা করা হচ্ছে। তবে রাহুল এবং জাদেজা-দুই খেলোয়াড়ের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। তৃতীয় টেস্টের আগে আরও এক সপ্তাহ বাকি। জাদেজা তৃতীয় টেস্টে ফিরতে না পারলেও, রাহুলের প্রত্যাবর্তনের আশা প্রবল। ফিরছেন মহম্মদ সিরাজও। সিরাজের প্রত্যাবর্তন বোলিং লাইন-আপের শক্তি বাড়াবে।

  • Narendra Modi: ‘স্টার্টআপ নন-স্টার্টার হয়ে গেলেন’, রাহুলকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Narendra Modi: ‘স্টার্টআপ নন-স্টার্টার হয়ে গেলেন’, রাহুলকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবারতন্ত্র নিয়ে রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও কটাক্ষ করেন তিনি। সরাসরি নাম না করলেও, কংগ্রেসের ‘যুবরাজ’ বলে এদিন রাহুলকে কটাক্ষ করেন মোদি। আগেও একাধিক বার রাহুলকে ‘যুবরাজ’, ‘শাহজাদা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। ‘যুবরাজ’কে ‘স্টার্ট-আপ’ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিল কংগ্রেস, কিন্তু রাহুল ‘নন-স্টার্টার’ হয়ে রয়ে গেলেন বলে এদিন দাবি করেন মোদি (Narendra Modi)। 

    রাহুলকে খোঁচা

    বুধবার রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে মোদি বলেন, “একই পরিবারের একাধিক সদস্য নিজের ক্ষমতায় রাজনীতি ক্ষেত্রে এগিয়ে চলে, তাহলে তো কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কোনও পরিবার যখন রাজনৈতিক দল চালায় তখন সেটা পরিবারতন্ত্র। এর ফল ভুগছে দেশ।”  নাম না করে তিনি বলেন, “যুবরাজকে স্টার্ট-আপ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নন-স্টার্টার হয়েই রয়ে গেলেন। উনি না কিছু তুলতে পারেন, না কিছু ছুড়তে।” ভারত জোড়ো যাত্রা’য় যে ‘মহব্বত কি দুকান’ স্লোগান শুরু করেন রাহুল, সেই নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন মোদি। তাঁর কথায়, “কংগ্রেসের ‘দুকান’ বন্ধ হওয়ার জোগাড়। বার বার একই পণ্য ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাজারে আনার চেষ্টা চলছে। কিন্তু চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে বার বার।”

    আরও পড়ুন: ‘সরকারি শিক্ষকরা বেতন নিয়ে মাথা ঘামান, ছাত্রদের পড়ানো নিয়ে নয়’, উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    পরিবারতন্ত্রের পুজো

    গত সোমবারই সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “অধীরবাবুকে (অধীর চৌধুরী) দেখে আমার কষ্ট হয়। পরিবারতন্ত্রের পুজো করতে হয় তাঁকে। কংগ্রেসে কোনও প্রতিভাবানদের স্থান নেই। একটা পরিবার দলের সব সিদ্ধান্ত নেয়।” এই প্রসঙ্গে তিনি নিশানা করেন রাহুল গান্ধীকেও। লোকসভায় দাঁড়িয়ে নাম না করে মোদির খোঁচা, “একই প্রোডাক্ট বার বার লঞ্চ করতে গিয়ে কংগ্রেসের দোকানে তালা ঝোলার পরিস্থিতি এসে গিয়েছে।” এদিন কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে ৪০টি আসনও পার করতে পারবে না কংগ্রেস।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘সরকারি শিক্ষকরা বেতন নিয়ে মাথা ঘামান, ছাত্রদের পড়ানো নিয়ে নয়’, উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘সরকারি শিক্ষকরা বেতন নিয়ে মাথা ঘামান, ছাত্রদের পড়ানো নিয়ে নয়’, উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো, তাঁদের গঠন নয় নিজেদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তিত সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা। নিজেদের বেতন নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন রাজ্যের শিক্ষক সমাজের একাংশ, এমনই অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বুধবার উদ্বেগ প্রকাশ করে একথা বলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

    কী বললেন বিচারপতি

    বুধবার রাজ্য সরকারের সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেখানেই অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত প্রার্থীদের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, “এই পদগুলো তৈরি হয়েছে যাদের চাকরি চলে গিয়েছে তাদের চাকরি দেওয়ার জন্য। তারা রোজ কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করছে। ওদিকে এই টানাপোড়েনে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”  বিচারপতি বসুর কথায়, যারা এখন চাকরির জন্য কাকুতি মিনতি করছে চাকরি পেলেই তাদের ভোল বদলে যাবে। বাড়ির কাছে বদলি করে দেওয়ার আবেদন জানাবে। উৎসশ্রী, শুভশ্রী প্রকল্পে আবেদন করবে। বেতন সহ পাঁচটা জিনিস নিয়ে মগজমারি করবে। কিন্তু মন দিয়ে পড়াবে না।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    নিয়োগ দুর্নীতির মামলা চলাকালীন শুধুমাত্র দুর্নীতি নিয়ে নয়, প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। স্কুলগুলির বেহাল অবস্থা, ছাত্র সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিচারপতি বসুর এজলাসে। এবার শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর মন্তব্য, “ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি শিক্ষকদের জন্য চিন্তিত নই।” ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা সরকারের থেকে বেতন নিয়ে নিজেদের সন্তানদের বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করছেন। নিজেদের পছন্দ মতো স্কুলে বদলিও নিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে অতটা চিন্তা করা হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: বেআইনি নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে, প্রাথমিক মামলায় জানালেন বিচারপতি

    Recruitment Scam: বেআইনি নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে, প্রাথমিক মামলায় জানালেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে, বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) শুনানি চলাকালীন মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দিয়েছেন,  খুব শীঘ্রই বেআইনি চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই সঙ্গেই তদন্তে কেন গতি আসছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। একই সঙ্গে সিবিআই-কে তদন্তে গতি আনার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘এখানে আমার সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত সোনার কেল্লার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেখানেও গোয়েন্দারা যখন সোনার কেল্লায় যাচ্ছেন, তখন তাঁদের কাঁটা বিছানো পথ পেরিয়ে যেতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তাঁরা সত্য অনুসন্ধান করতে পেরেছিলেন। এখানেও আমরা আশাবাদী।’’

    আদালতের নির্দেশ 

    ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্ত করে আদালতকে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে প্রাথমিকে ৯৪ জন বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন। গত অক্টোবরে ওই ৯৪ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সিনহা। প্যানেল প্রকাশের নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। প্যানেল প্রকাশের উপর উচ্চ আদালত পরে স্থগিতাদেশ দেয়। এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, আদালত ঠিক করেছে বেআইনি যে সমস্ত চাকরি রয়েছে তা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

    আরও পড়ুন: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    আইনজীবীদের দাবি 

    প্রাথমিকে চাকরি নিয়ে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে মোটা টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। দিনের পর দিন ধরে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা বসে রয়েছেন রাস্তা। চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ৯৪জনের জায়গায় যারা যোগ্য তাদের চাকরি দেওয়া হোক। কিন্তু বেআইনি বলে উল্লেখ করা চাকুরিরতদের আইনজীবীদের দাবি, প্যানেল যদি বেআইনি হয় তবে সেই প্যানেল থেকে নতুন করে নিয়োগ করা যায় না। সেক্ষেত্রে নতুন করে প্যানেল করা হোক। অর্থাৎ শুরু করতে হবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া। আর তা করা হলে তাতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন সকলেই। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India vs England: মধুর প্রতিশোধ রোহিতদের, ইংল্যান্ডকে ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল  ভারত

    India vs England: মধুর প্রতিশোধ রোহিতদের, ইংল্যান্ডকে ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতেই  গিয়েই এবার ডুবল ইংল্যান্ড।  প্রথম টেস্টের বদলা দ্বিতীয় টেস্টে সহজেই নিয়ে নিল ভারত। একদিন বাকি থাকতেই ১০৬ রানে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা ফেরালেন রোহিতরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয়ের জন্য রোহিতদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।

    ব্যাটে বলে দুরন্ত ভারত

    বিশাখাপত্তনমে ভারতের ৩৯৯ রান তাড়া করতে নেমে ২৯২ রানেই দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় স্টোকসদের। যশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah) এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন (R Ashwin) তিনটি করে উইকেট নেন। ম্যাচে বুমরার ১০ উইকেটের পাশাপাশি যশস্বী জয়সওয়ালের (Yashasvi Jaiswal) দ্বিশতরান ও শুভমন গিলের সেঞ্চুরি দলের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। এক উইকেটের বিনিময়ে ৬৭ রানে দিনের খেলা শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। ক্রিজে উপস্থিত ছিলেন জ্যাক ক্রলি ও  রেহান আহমেদ।  ইংল্যান্ডকে দিনের প্রথম ধাক্কা দেন অক্ষর। ২৩ রান করে আউট হন রেহান। অক্ষরকে সঙ্গ দেয় ভাগ্য। রেহানের বলটি নিচু হয়ে যাওয়ায় ব্যাটে লাগাতে পারেননি তিনি। 

    অনবদ্য অশ্বিন

    গত ম্যাচের নায়ক ওলি পোপ ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সুইপ, রিভার্স সুইপ খেলতে শুরু করেন। তাঁকে আটকান অশ্বিন। ২১ বলে ২৩ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হন পোপ। স্লিপে ভাল ক্যাচ ধরেন অধিনায়ক রোহিত। শুরুটা ভাল করলেও অশ্বিনের বলেই বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন রুট। এই ম্যাচে অনবদ্য এক ব্যক্তিগত নজর গড়লেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এক্ষেত্রে তিনি টপকে যান ভাগবত চন্দ্রশেখরকে। কিংবদন্তি স্পিনারকে পিছনে ফেলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি টেস্ট উইকেট নেওয়া ভারতীয় বোলারে পরিণত হন অশ্বিন। চন্দ্রশেখর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে ৯৫টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অশ্বিনের টেস্ট উইকেট দাঁড়ায় ৯৭টি। 

    ইংল্যান্ডের ইনিংস এক দিকে ধরেছিলেন ক্রলি। অর্ধশতরান করেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগে দু’টি বড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। প্রথমে ৭৩ রানে ব্যাট করা ক্রলিকে ফেরান কুলদীপ যাদব। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে সফল হন রোহিত। তার পরে বুমরার ভিতরে ঢুকে আসা বল বুঝতে না পেরে ২৬ রানের মাথায় এলবিডব্লিউ হন জনি বেয়ারস্টো। শ্রেয়স আয়ারের থ্রো সরাসরি উইকেটে লেগে রান আউট হন স্টোকস। আর দাঁড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। শেষে আবারও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন বুমরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • East Bengal vs Mohun Bagan: আবেগের কাছ হার মানলেন রেফারি! আইএসএল ডার্বি ড্র, কী বলছেন দুই কোচ?

    East Bengal vs Mohun Bagan: আবেগের কাছ হার মানলেন রেফারি! আইএসএল ডার্বি ড্র, কী বলছেন দুই কোচ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু-বার পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেছে সবুজ মেরুন। ড্র করেই মাঠ ছেড়েছে মোহনবাগান। খুশি কোচ আন্তোনিও হাবাস। অন্যদিকে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে প্রথম বার ডার্বি থেকে পয়েন্ট ঘরে তুলেছে ইস্টবেঙ্গল। শনিবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত বড় ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি দুই দলই ২-২ গোলে ড্র করে। 

    কোচ কুয়াদ্রাতের আস্থা

    শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে তিন পয়েন্ট হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু যে গোলে সমতা ফিরিয়েছে মোহনবাগান তা নিয়ে একেবারেই খুশি হতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ইস্টবেঙ্গলের খেলা নিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, “আমাদের কাছে গোলের কয়েকটা পরিষ্কার সুযোগ এসেছিল। আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। নন্দকুমারের সুযোগটা গোল করা উচিত ছিল। আমরাই তিন পয়েন্ট পাওয়ার যোগ্য ছিলাম।”  বলেছেন, “আমরা তিন পয়েন্টের জন্যই খেলছিলাম। প্রথম থেকেই গোল করার চেষ্টা করছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত সাউল চোট পেয়ে গেল। একটা বিদেশিকে হারালে তার প্রভাব ম্যাচে পড়েই। কিন্তু বাকি ফুটবলারেরা দারুণ খেলেছে। আমরা ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করেছি অনেকটা সময়।”

    না-পসন্দ হাবাসের

    রেফারিং নিয়ে ক্ষুব্ধ মোহনবাগানও। সবুজ মেরুন কোচ বলেন, ‘এত সময় নষ্টের পর মাত্র ৭ মিনিট অতিরিক্ত দেওয়া হল। অন্তত ১২-১৪ মিনিট দেওয়া উচিত ছিল। আর ইস্টবেঙ্গলকে যেটা পেনাল্টি দেওয়া হল, ওটা মোটেও পেনাল্টি ছিল না।’ দলের ড্রয়ে শুরুর ধাক্কাও ভুলছেন না হাবাস। বলছেন, ‘চোটের জন্য শুরুতেই আনোয়ারকে তুলে নিতে হল। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রেন্ডন হ্যামিলকেও পরিবর্তন করতে হল।’ 

    শনিবাসরীয় কলকাতা ডার্বিতে দুই দলের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গেল। ম্যাচের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন অজয় ছেত্রী। তবে মাত্র ১৭ মিনিটে সেই গোল শোধ করলেন মোহনবাগানের আলবেনিয়ান স্ট্রাইকার আর্মান্দো সাদিকু। ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনও দলই আর গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ইস্টবেঙ্গল অ্যাডভান্টেজ পজিশনে চলে যায়। দীপক টাংরির ভুলে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। আর ৫৫ মিনিটে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন লাল-হলুদ অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা। তবে শেষ মুহূর্তে দিমি পেত্রাতোসের গোলে মুখ রক্ষা হয় মোহনবাগানের।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share