Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Kolkata Knight Riders: কেকেআর শিবিরে বদল! থাকছেন না বিশ্বকাপ খেলা তিন ক্রিকেটার 

    Kolkata Knight Riders: কেকেআর শিবিরে বদল! থাকছেন না বিশ্বকাপ খেলা তিন ক্রিকেটার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ খেলা তিন ক্রিকেটারকে রাখছে না কলকাতা নাইট রাইডার্স। আগামী ১৯ ডিসেম্বরের নিলামের আগে তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেকেআর কর্তৃপক্ষ। ভারতের শার্দূল ঠাকুর এবং নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসন ও টিম সাউদিকে দলে রাখতে ইচ্ছুক নয় নাইট শিবির। শোনা যাচ্ছে, গুজরাট টাইটান্স ছেড়ে পুরনো দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফিরছেন হার্দিক পান্ডিয়া। হার্দিক গুজরাট ছাড়লে সেখানে কারা নেতা হবেন বা মুম্বইয়ে ভারত অধিনায়ক রোহিতের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

    বোলিং বিভাগ বদলাচ্ছে কেকেআর 

    কোন কোন ক্রিকেটারকে ধরে রাখা হবে, তা ২৬ নভেম্বরের মধ্যে জানিয়ে দিতে হবে আইপিএলের ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। শোনা যাচ্ছিল আন্দ্রে রাসেলকে আর রাখবে না কেকেআর। কিন্তু সূত্রের খবর, এ বারও তাঁকে রেখে দেওয়া হবে। বরং দলের জোরে বোলিং আক্রমণের খোলনলচে বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দীর্ঘ দিন জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া উমেশ যাদবকে রেখে দিলেও বিশ্বকাপ খেলা তিন জোরে বোলারকে রাখছে না কেকেআর। গত বছর নিলামে শার্দূলকে ১০ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল কেকেআর। ১১টি ম্যাচে ৭টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে করেছিলেন ১৬৮ রান। অলরাউন্ডার হিসাবে দলকে হতাশ করেছিলেন তিনি। আইপিএলের মঞ্চে দলকে সাফল্য দিতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসন ও টিম সাউদিও। নাইট শিবির সূত্রে খবর, এবার দলের মেন্টর হিসাবে যোগ দিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। দু’বার আইপিএল ট্রফি দেওয়া প্রাক্তন অধিনায়কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকছে দল গঠনের ক্ষেত্রে।

    হার্দিক-রোহিত মুম্বইয়ের নেতা কে

    গুজরাটকে দু’বছর সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়া হার্দিক পান্ডিয়াকে দলে ফেরাচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। হার্দিক দলে ফিরলে রোহিতের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে। প্রসঙ্গত, আইপিএলের ইতিহাসে রোহিত শর্মা অন্যতম সফল অধিনায়ক। ২০১৩, ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২০ সালে মুম্বইকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন রোহিত। এমএস ধোনি ও রোহিত শর্মাই অধিনায়ক হিসেবে ৫বার করে আইপিএল জেতার রেকর্ড রয়েছে। আর প্লেয়ার হিসেবে সবথেকে বেশি ৬ বার আইপিএল জিতেছেন রোহিত। আগামী নিলামের আগেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে হার্দিকের চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। ১৫ কোটি টাকা দিয়ে বরোদার অলরাউন্ডারকে দলে ফেরাচ্ছে মুম্বই। সূত্রের খবর, নেতৃত্বের দাবি করেননি হার্দিক। রোহিতের নেতৃত্বে খেলতে আপত্তি নেই তাঁর। কারণ ভারতীয় দলেও তিনি খেলেন রোহিতের নেতৃত্বেই।

    আরও পড়ুন: হারল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা! টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচেই জয় ভারতের

    গুজরাটের নেতা কে

    পর পর দু’বার আইপিএলে গুজরাটকে ফাইনালে তোলা অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া তাঁর পুরনো দল মুম্বইয়ে যোগ দিলে টাইটান্সদের নেতা কে হবে তা ভাবাচ্ছে ক্রীড়া মহলকে। শোনা যাচ্ছে, অধিনায়কের দৌড়ে রয়েছেন ভারতের তারকা ওপেনার শুভমন গিল। ২০২৩ সালের আইপিএলে গুজরাটের হয়ে  ১৭টি ম্যাচে ৮৯০ রান করেছিলেন ২৪ বছরের ক্রিকেটার। দৌড়ে রয়েছেন আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার গুজরাটের প্রথম একাদশের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রশিদ খানও। জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সতীর্থদের মধ্যে জনপ্রিয়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adani-Hindenburg Case: সেবিকে ছাড়! আদানি-হিন্ডেনবার্গকাণ্ডের রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    Adani-Hindenburg Case: সেবিকে ছাড়! আদানি-হিন্ডেনবার্গকাণ্ডের রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে আপাতত স্বস্তি আদানিদের। আদানি-হিন্ডেনবার্গ (Adani-Hindenburg Case) মামলার রায় আপতত সংরক্ষিত রাখল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের মতো একটি বাজার সমীক্ষা সংস্থায় প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি আদানিদের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করবে এমনটা ভেবে নেওয়া ঠিক নয়। 

    কী বলছে শীর্ষ আদালত

    আদানি গোষ্ঠীর (Adani-Hindenburg Case) বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি অভিযোগে তদন্ত করছে সেবি। সেই সংক্রান্ত একটি মামলায় শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, তদন্তকারী সংস্থাগুলোর উপর আস্থা রাখতে হবে। পাশাপাশি, শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বাজার নিয়ন্ত্রকের ‘দুর্নাম’ করার কারণ নেই। আগামী দিনে বাজারে অস্থিরতার কারণে লগ্নিকারীদের যাতে সম্পদ খোয়াতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে সেবি কী করার কথা ভাবছে তা-ও জানতে চেয়েছে আদালত। দুই বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, তাদের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়তে বলা ঠিক হবে না। কারণ সেই নির্দেশ দেওয়ার মতো কোনও তথ্য আদালতের কাছে নেই। রায় ঘোষণার আগে সুপ্রিম কোর্টের এই মত কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে আদানি গোষ্ঠীকে।

    কোন মামলার শুনানি

    এই বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন শেয়ার বিশ্লেষক সংস্থা হিন্ডেনবার্গ অভিযোগ করে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কারচুপি করে নিজেদের নথিভুক্ত সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। সেবির বিধিকে ফাঁকি দিতে ভুঁইফোঁড় বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের সংস্থার শেয়ার কিনিয়েছে তারা। যার ভিত্তিতে দুটি মামলা গৃহিত হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিনিয়োগকারীদের আস্থার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য গত মার্চে একটি কমিটি গঠন করে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, শেয়ার বাজারে ‘অনিয়মের’ অভিযোগটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয় সেবিকে। তবে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে না পারায় আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলারই শুনানি ছিল এদিন।

    আরও পড়ুন: ১৯৯টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৭০ হাজার নিরাপত্তা রক্ষী! শুরু রাজস্থানে ভোটগ্রহণ

    সেবিকে ছাড় 

    শুনানি চলাকালীন এক মামলাকারীর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ অভিযোগ করেছিলেন, আদালত নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির দুই সদস্যের ‘স্বার্থের সংঘাত’ রয়েছে। এই আবহে আদালত বলে, ‘আপনাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। অভিযোগ করা খুবই সহজ। আমরা এখানে চরিত্রের সার্টিফিকেট দিচ্ছি না। কিন্তু সমানভাবে আমাদের ন্যায়ের মৌলিক নীতি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।’ এদিকে সেবি কমিটিতে থাকা আইনজীবী সোমশেখর সুন্দরেসন আদানির আইনজীবী বলে অভিযোগ করেছিলেন আবেদনকারীরা। সেই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানায়, ২০০৬ সালে একটি মামলায় সোমশেখর আদানির হয়ে সওয়াল করেছিলেন। তিনি আদানির ইন-হাউজ আইনজীবী নন। এই আবহে সোমশেখর নিয়ে ওঠা আপত্তি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। এরপরই এদিন রায়দান স্থগিত রাখে আদালত (Supreme Court)। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hamas-Israel Conflict: সাময়িক যুদ্ধবিরতি! প্রায় দু-মাস পর ২৫ পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস

    Hamas-Israel Conflict: সাময়িক যুদ্ধবিরতি! প্রায় দু-মাস পর ২৫ পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় সাময়িক (Gaza Temporary Ceasefire) যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ২৫ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস (Hamas) বাহিনী। প্রায় দু-মাস পর অবশেষে মুক্তি পেলেন ১২ জন থাইল্যান্ডের ও ১৩ জন ইজরায়েলের নাগরিক। প্রথমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের (Red Cross) তরফে খবরটি জানানো হয়। পরে ট্যুইট করে খবরটি নিশ্চিত করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। মুক্ত পণবন্দিদের ফিরিয়ে আনতে দূতাবাসের আধিকারিকেরা যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাল্টা হিসাবে ইজরায়েলের (Hamas-Israel Conflict) জেলে বন্দি প্যালেস্টাইনিদেরও একটি অংশকে মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবছে তেল আভিভ।

    রেড ক্রসের সদস্যদের হাতে পণবন্দিরা

    রেড ক্রসের যে কনভয়ে মুক্ত পণবন্দিদের আনা হচ্ছে, তাতে খানচারেক গাড়ি রয়েছে বলে খবর। এক একটি গাড়িতে অন্তত ছ’জন রয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। সদ্যমুক্তদের  ইজরায়েলের (Hamas-Israel Conflict) একটি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা করা হতে পারে। সেই মতো তৈরি হচ্ছে হাসপাতালটি। পণবন্দিদের মধ্যে কোনও শিশু থাকলে, কী ভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে সে ব্যাপারে আইডিএফ সদস্যদের আগেই বিশদ নির্দেশিকা দিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু প্রশাসন। বিনা শর্তেই পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে হামাস। তারপর রেড ক্রসের সদস্যরা পণবন্দিদের নিয়ে গাজা-মিশর সীমান্ত বরাবর রাফার দিকে রওনা দেন। অন্যদিকে, দু-মাস টানা পণবন্দি থাকার ফলে অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৭ সপ্তাহের বন্দিদশা কাটিয়ে মিশরে পৌঁছেও গিয়েছেন ১৩ জন ইজরায়েলি। 

    আরও পড়ুন: ‘সব রকম পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত’! চিনে নয়া সংক্রমণ প্রসঙ্গে বিবৃতি কেন্দ্রের

    যুদ্ধ বিরতির নানা শর্ত

    প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েল ও হামাস বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে। হামাস (Hamas-Israel Conflict) বাহিনীকে শিক্ষা দিতে নানা দিক থেকে হামলা চালানোর পাশাপাশি গাজা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে দেয় ইজরায়েল সরকার। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বিরতির অঙ্গ হিসেবে ইতিমধ্যেই অবরুদ্ধ গাজা স্ট্রিপে জ্বালানি এবং রসদ সরবরাহের পথও খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইজরায়েল। জানা গিয়েছে, ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে আগামী চার দিন ধরে ১৫০ জন প্যালেস্টাইনিকে জেল থেকে মুক্তি দেবে। আর হামাস মুক্তি দেবে ৫০ জন পণবন্দিকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajasthan Assembly Election 2023: ১৯৯টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৭০ হাজার নিরাপত্তা রক্ষী! শুরু রাজস্থানে ভোটগ্রহণ

    Rajasthan Assembly Election 2023: ১৯৯টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৭০ হাজার নিরাপত্তা রক্ষী! শুরু রাজস্থানে ভোটগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে (Rajasthan Assembly Election 2023) ভোটগ্রহণ পর্ব। শনিবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে কড়া নিরাপত্তায় ঢাকা রয়েছে জয়পুর, জয়সলমীর, যোধপুর-সহ রাজস্থানের বিভিন্ন প্রান্ত। জানা গিয়েছে, মরুরাজ্যে মোট ১.৭০ লাখেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। রাজস্থানে মোট ১৯৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রতিটি বুথেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এদিন সকালেই ভোটারদের শান্তিপূর্ণ ভোটদানের আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  

    কী বলছে জনমত সমীক্ষা

    কয়েকটি জনমত সমীক্ষা বলছে, পাঁচ বছর অন্তত সরকার বদলের প্রথা মেনেই এ বার কংগ্রেসকে হারিয়ে জয়পুরের কুর্সি (Rajasthan Assembly Election 2023) দখল করতে পারে বিজেপি। ১১৪ থেকে ১২৪টি আসনে জিতে সরকার গড়তে পারে পদ্ম শিবির। কংগ্রেস পেতে পারে ৬৭ থেকে ৭৭টি আসন। নির্দল এবং অন্য দলগুলির ঝুলিতে যেতে পারে ৫ থেকে ১৩টি আসন। বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে (ঝালারাপাটন) এবং প্রাক্তন দুই রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া (অম্বর)। বিধানসভা ভোটে সাত জন লোকসভা সাংসদকেও প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অলিম্পিক পদকজয়ী প্রাক্তন শুটার তথা জয়পুর গ্রামীণ কেন্দ্রের সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌর, রাজসমন্দের সাংসদ দিয়া কুমারী, ঝুনঝুনুর সাংসদ নরেন্দ্র কুমার, জালৌরের বিজেপি সাংসদ দেবজী পটেল, অজমেরের ভগীরথ চৌধুরি এবং অলওয়ারের সাংসদ মহন্ত বালকনাথ। এ বার বিজেপি তাদের প্রচারে জোর দিয়েছে গত কয়েক বছরে ক্রমবর্ধমান হিংসা এবং অপরাধের ঘটনার উপর। গহলৌত সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে বিভিন্ন সরকারি কাজে দুর্নীতির ঢালাও প্রচার করা হয়েছে।

    কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    নির্বাচন কমিশন (Rajasthan Assembly Election 2023) জানিয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ৭০ হাজারের বেশি রাজস্থান পুলিশ, ১৮ হাজার রাজস্থান হোম গার্ড, ২ হাজার রাজস্থান বর্ডার হোম গার্ড, ১৫ হাজার অন্যান্য রাজ্যে পুলিশ (উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ), ১২০ কোম্পানি আরএসি মোতায়েন করা হয়েছে। এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী (সিআরপিএফ, বিএসএফ, আইটিবিপি, সিআইএসএফ, এসএসবি, আরপিএফ ইত্যাদি) থেকে সশস্ত্র বাহিনী সহ সব মিলিয়ে মোট ১,৭০,০০০ এরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্যের মোট ৫২,১৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোট হবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মিড ডে মিল দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্ত! কী বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মিড ডে মিল দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্ত! কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে মিড ডে মিল দুর্নীতির (Mid Day Meal Scam) তদন্তে সিবিআইয়ের সুপারিশ করেছে কেন্দ্র। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সিবিআই তদন্তের কথা জানান বলে সোশ্যাল সাইটে লিখেছেন শুভেন্দু। ইতিমধ্যেই  রাজ্যে মিড ডে মিলে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠি দেন শুভেন্দু।

    কী বলেছেন শুভেন্দু

    ২০০৮ সালে চালু হয়েছিল ‘পিএম পোষণ’ বা ‘পিএম পোষণ শক্তি নির্মাণ’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় সরকারি এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চলা স্কুলগুলির প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একবেলা করে রান্না করা খাবার (Mid Day Meal Scam) দেওয়া হয়। শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী সিবিআই হেড কোয়ার্টারে অনুরোধ করেছেন পিএম পোষণ ফান্ডের অপব্যবহার হয়েছে।’ গত ৫ জানুয়ারি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধানকে।  সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতেই রাজ্যে আসে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদল। মোট ২৬টি বিষয়ের ওপর মিড ডে মিলের মান যাচাই করেন তাঁরা। এর পর দিল্লি ফিরে রিপোর্ট দেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, সেই রিপোর্টে রাজ্যে মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। তার পরই পশ্চিমবঙ্গে মিড ডে মিল দুর্নীতিতে (Mid Day Meal Scam) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তারা। এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূলের শুধু গরিব মানুষের মুখের গ্রাস চুরি করেনি। তারা শিশুদের খাবারও চুরি করেছে। কেন্দ্রের এই নির্দেশে আমাদের একটা সাফল্য। স্বচ্ছভাবে তদন্ত করে দ্রুত সত্য প্রকাশ্যে আনা হবে বলে আশা করছি। অপরাধীদের শাস্তি চাই।’ এ প্রসঙ্গে সিবিআই তদন্ত হলে গ্রেফতার হতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুক্রবার কৃষ্ণনগরের জনসভায় এই দাবি করেন শুভেন্দু।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China Outbreak: ‘সব রকম পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত’! চিনে নয়া সংক্রমণ প্রসঙ্গে বিবৃতি কেন্দ্রের

    China Outbreak: ‘সব রকম পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত’! চিনে নয়া সংক্রমণ প্রসঙ্গে বিবৃতি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পর চিনে মহামারীর রূপ নিচ্ছে অজানা নিউমোনিয়া (Pneumonia)। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে এই নিউমোনিয়ায়। পাশাপাশি বাড়ছে এইচ৯এন২ সংক্রমণও। পড়শি দেশে এই সংক্রমণে  উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, “যেকোনো ধরনের জরুরি অবস্থার জন্য ভারত প্রস্তুত। আমার খুব ঘনিষ্ঠভাবে এই রোগের কেসগুলি পর্যবেক্ষণ করছি। ভারতে এই অসুস্থতার ঝুঁকি খুব কম রয়েছে।”

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতি

    চিনের এই অজানা নিউমোনিয়া নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। এই সংক্রমণ নিয়ে ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে একটি বিবৃতি জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, “কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার এবং কিছু পরিচিত রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ফলেই এই রোগের বাড়বাড়ন্ত। এমনটাই দাবি করছেন চিনা কর্তৃপক্ষ। আর এই রোগজীবাণু বা প্যাথোজেনের মধ্যে অন্যতম হল ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া (একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ, যা ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যেই বেশি হয়), রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) এবং এসএআইএস-সিওভি-২ (এটাই সেই ভাইরাস, যা কোভিড ১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী)।” উত্তর চিনে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিউমোনিয়া সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তবে এখনও অবধি অজানা কোনও প্যাথোজেনের হদিস পাওয়া যায়নি। 

    কী বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

    এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফেও চিনের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হল। এ দিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, চিনে শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ফুসফুসের সংক্রমণ ও এইচ৯এন২ সংক্রমণের উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়, ভারত যে কোনও জনস্বাস্থ্য ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। কেন্দ্র স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ও উন্নয়ন করেছে, বিশেষ করে করোনাকালের পর থেকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে পিএম আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য প্রকল্পও সমস্ত স্বাস্থ্য ক্ষেত্র ও প্রতিষ্ঠানকে একছাতার নীচে আনতে ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Delhi High Court: ইচ্ছে করে কাজ করেন না! খোরপোশ চাইতে পারেন না সেই স্ত্রী, অভিমত আদালতের

    Delhi High Court: ইচ্ছে করে কাজ করেন না! খোরপোশ চাইতে পারেন না সেই স্ত্রী, অভিমত আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবিধ কারণেই বৈবাহিক জীবনে অশান্তি নেমে আসে। অনেক সময় তা গড়িয়ে যায় বিচ্ছেদ পর্যন্ত। এরপরই চলে আসে ভরণ-পোষণের দায়িত্ব। মহিসারা খরপোশের দাবি জানায়। এবার সেই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ করল দিল্লি হাইকোর্ট। আয় করতে পারেন। তাঁর সেই যোগ্যতা আছে অথচ কোনও চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমন স্ত্রীরা বিচ্ছেদের পর স্বামীর কাছে খোরপোশ দাবি করতে পারেন না, বলে জানাল আদালত।

    কোন প্রেক্ষিতে এই পর্যবেক্ষণ

    একটি মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট বলে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কোনও স্বামী বা স্ত্রীর আর্থিক বিষয়ে সঙ্গীর বোঝা হওয়া উচিত নয়। কিছুদিন আগে, দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক যুবক। তিনি জানান, পরিবার আদালতে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন, মামলার নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত স্বামীকে খোরপোশ দিতে হবে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান যুবক। তাঁর যুক্তি, তাঁর স্ত্রী উচ্চশিক্ষিতা। তিনি আগে চাকরি করতেন। কিন্তু এখন কোনও কাজ করেন না। ইচ্ছে করলে তিনি নিজেই আয় করতে পারেন। তা ছাড়া যে পরিমাণ অর্থ খোরপোশ হিসাবে তাঁকে দিতে বলা হচ্ছে, সেটা তাঁর পক্ষে যথেষ্ট বেশি।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে শীত! কলকাতায় ১৮-র ঘরে পারদ, ডিসেম্বরের শুরুতে ফের ঘূর্ণিঝড়

    কী বলল আদালত

    মামলাকারীর আইনজীবী জানান, মাসিক ৩০ হাজার টাকা করে তাঁর মক্কেলকে খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ তাঁর স্ত্রী উচ্চশিক্ষিত এবং একটি হাসপাতালের রিসেপশনে কাজ করতেন। বেতন পেতেন ২৫ হাজার টাকার আশপাশে। অন্য দিকে, তাঁর মক্কেলের মাসিক বেতন ৫৬,৪৯২ টাকা। তাঁর বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন। বোনেরা রয়েছেন। তাঁদের সবার দায়িত্ব নিতে হয়। তা ছাড়া, একটি ঋণ রয়েছে। মাসে মাসে তার সুদ গুনতে হয়। অন্য দিকে, মহিলার পক্ষের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল সমাজকর্মী হিসাবে কাজ করেন। কিছু দিন যে হাসপাতালে কাজ করতেন, সেখান থেকে কোনও পারিশ্রমিক তিনি নেননি। এর পর হাইকোর্ট বলে, ‘‘স্বামী বা স্ত্রী উপার্জনে সক্ষম। কিন্তু তিনি চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং বিচ্ছেদের পর প্রাক্তন সঙ্গীর কাছে খোরপোশ চাইছেন, এটা সমীচীন নয়।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Weather Update: দুয়ারে শীত! কলকাতায় ১৮-র ঘরে পারদ, ডিসেম্বরের শুরুতে ফের ঘূর্ণিঝড়

    Weather Update: দুয়ারে শীত! কলকাতায় ১৮-র ঘরে পারদ, ডিসেম্বরের শুরুতে ফের ঘূর্ণিঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহর থেকে জেলা সর্বত্র ঠান্ডার মেজাজ। সপ্তাহান্তে আরও নামবে পারদ। বিশেষ করে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ঠান্ডার দাপট থাকবে। এরই মধ্য়ে ডিসেম্বরের শুরুতে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করছেন আবহবিদরা। আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। 

    ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

    আলিপুর হাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ২৬-২৭ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্ত অচিরেই পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। এর পর যদি সেই নিম্নচাপ আরও শক্তি বৃদ্ধি করে, তা হলে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে অচিরেই পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়েও। ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে তা বঙ্গোপসাগর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে মিগজাউম( ‘Michaung’ pronunciation – Migjaum)। মায়ানমারের দেওয়া এই নাম। ঘূর্ণিঝড় হলে চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে এটি চতুর্থ ঘূর্ণিঝড় হবে।

    দক্ষিণবঙ্গের জেলায় ঠান্ডার আমেজ

    উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই শীতের আমেজ বহাল রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঠান্ডার আমেজ আরও বেড়েছে। আগামী কয়েকদিনে পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঠান্ডার আমেজ আরও তীব্র হতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করতে পারে তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূমে শীতের দাপট থাকবে বেশি। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও আপাতত তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না।

    আরও পড়ুন: আদালত অবমাননা! হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা

    কলকাতায় ঠান্ডার ব্যাটিং 

    এক ধাক্কায় কলকাতায় ১৮-র ঘরে নেমেছে পারদ। ধীরে ধীরে কমছে রাতের তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার কলকাতার বেশ কিছু এলাকার তাপমাত্রা ছিল এই মরশুমে সবচেয়ে কম। বৃহস্পতিবার প্রথম কলকাতার তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। শুক্রবারও তা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচেই রয়েছে। শুক্রবার দমদম এবং আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৯ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে কম। এ ছাড়া বর্ধমান এবং বাঁকুড়াতে তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রির নীচে। নদিয়া-মুর্শিদাবাদেও ২০ ডিগ্রির নীচে ছিল তাপমাত্রা।

    উত্তরে ঠান্ডার দাপট

    দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে থাকা শীত শীত ভাব নভেম্বরের বাকি দিনগুলিতেও থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছে হাওয়া অফিস।  আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আর দু’তিন দিনের মধ্যেই উত্তুরে হিমেল হাওয়া দক্ষিণবঙ্গে ঢুকতে শুরু করবে। ফলে আরও কমবে তাপমাত্রা। উত্তরবঙ্গে আপাতত মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়বে। আগামী তিন চার দিনে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকলেও শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়বে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে পার্বত্য এলাকায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: আদালত অবমাননা! হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা

    Calcutta High Court: আদালত অবমাননা! হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে আদালত অবমাননার মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উপস্থিত হলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আদালত অবমাননার রুলের উত্তর দিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে রাজীবকে। তবে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এ-ও জানান যে, আদালত প্রয়োজন মনে করলে আবার ডেকে পাঠাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে। ৮ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    কী বলল আদালত

    পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলায় গত শুনানিতে হাইকোর্ট রাজীবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে। শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন রাজীব। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ আদালতে পৌঁছে যান তিনি। এদিন, তাঁকে রুলের উত্তর দিতে সময় দিয়েছে আদালত। 

    কেন রুল জারি করে আদালত

    কোনওপ্রকার অসাংবিধানিক বা বেআইনি ঘটনা ঘটলে হাইকোর্ট নিজে অথবা কারও দায়ের করা মামলায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাখ্যা চাইতে পারে। একেই রুল জারি বলা হয়। রাজীবা সিনহার ক্ষেত্রে আজ শুক্রবার সেই রুলের শুনানি ছিল। রুল অনুযায়ী, জবাব দেওয়ার জন্য ১৫-২০ দিন সময় দেওয়া হোক, শুক্রবার সেই আর্জি জানান কমিশনার। এরপর প্রধান বিচারপতি রুলের শুনানির দিন স্থির করেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছ রাজীবা সিনহাকে। তার মধ্যে উত্তর দিতে হবে তাঁকে। ৮ জানুয়ারির মধ্যে শুনানি শেষ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: ‘সংসদীয় পোর্টাল গোপনীয়’, মহুয়া-বিতর্কের মধ্যেই নয়া নির্দেশ লোকসভার

    পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে গত ডিসেম্বরে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন শুভেন্দু। শুধু তা-ই নয়, অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর আর্জি জানান তিনি। বিভিন্ন প্রচারসভা থেকেই শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমেই অশান্তি ছড়াচ্ছে। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ দেয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra row: ‘সংসদীয় পোর্টাল গোপনীয়’, মহুয়া-বিতর্কের মধ্যেই নয়া নির্দেশ লোকসভার

    Mahua Moitra row: ‘সংসদীয় পোর্টাল গোপনীয়’, মহুয়া-বিতর্কের মধ্যেই নয়া নির্দেশ লোকসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহুয়া বিতর্কের মধ্যেই সংসদীয় পোর্টালের গোপনীয়তা নিয়ে সচিবালয় থেকে দেওয়া হল একটি নয়া নির্দেশিকা। গত ১০ নভেম্বর জারি করা নির্দেশিকাটি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংসদরা বিভিন্ন বিষয়ে সরকারকে প্রশ্ন করতে পারেন। এর জন্য, তাঁদের আগে থেকে সংসদীয় ওয়েবসাইটে প্রশ্নগুলি আপলোড করতে হয়। এই প্রশ্নগুলি সংসদে করা এবং সেগুলির উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত, এই প্রশ্নগুলির উত্তর ‘অত্যন্ত গোপনীয়’। এমনই মত লোকসভার সচিবালয়ের।

    কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়

    সংসদের নানা নিয়ম নিয়ে  ১০ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে লোকসভা সচিবালয়। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকসভা সচিবালয়ের সেই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যদি বরাদ্দ সময়ে কোনও প্রশ্ন সংসদের অভ্যন্তরে জিজ্ঞাসা না করা হয় বা তার উত্তর না দেওয়া হয়, তাহলে প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত, সেই প্রশ্নের উত্তরও প্রকাশ করা উচিত নয়। সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, সাংসদরা দুই ধরনের প্রশ্ন করতে পারেন। কয়েকটি প্রশ্ন থাকে স্টার মার্ক দেওয়া, আর কতগুলি নয়। স্টার মার্ক দেওয়া প্রশ্নগুলির মৌখিক উত্তর দেওয়া হয়। আর যেগুলি নয়, সেগুলি লিখিত আকারে দেওয়া হয়ে থাকে। জানা গেছে, স্টার মার্ক করা প্রশ্নের উত্তর প্রশ্নোত্তর পর্বের দিন সকাল ৯টার মধ্যে আপলোড করা হয়ে থাকে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে যে উত্তরের প্রেক্ষিতে আরও প্রশ্ন যাতে সংশ্লিষ্ট সাংসদ করতে পারেন, তারজন্য এই ব্যবস্থা। আর এই উত্তরগুলি সংশ্লিষ্ট সাংসদের অ্যাকাউন্টেই করা হয় পোস্ট। 

    আরও পড়ুন: চলতি অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসেই ৮০০ কোটি ডলারের মোবাইল রফতানি ভারতের

    কেন এই নির্দেশিকা

    লোকসভার সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এই উত্তরগুলি যাতে শুধুমাত্র সাংসদরাই ব্যবহার করতে পারেন, তার জন্য এগুলি লগইন এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে সংসদীয় পোর্টালে সুরক্ষিত রাখা হয়। তাই, সাংসদদের এই উত্তরগুলির গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্যদের সঙ্গে সেগুলি ভাগ না করে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। মৌখিক এবং লিখিত দুই ধরণের প্রশ্নের উত্তরই একটি নির্দিষ্ট দিনের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত গোপনীয় বলে বিবেচনা করতে হবে।” তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে সংসদে সরকার বিরোধী প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে তাঁকে। মহুয়া মৈত্র সংসদের ওয়েবসাইটে তাঁর অ্যাকাউন্টের লগ-ইন সংক্রান্ত তথ্য হিরানন্দানিকে দেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share