Author: subhra-katwa

  • Cricket News: বাংলাদেশ সফর বাতিল হলে, রোহিত-বিরাটকে ফের কবে মাঠে দেখা যাবে?

    Cricket News: বাংলাদেশ সফর বাতিল হলে, রোহিত-বিরাটকে ফের কবে মাঠে দেখা যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। চলতি বছরের মে মাসে রোহিত আরও ঘোষণা করেন যে, তিনি টেস্ট ক্রিকেট (Cricket News) থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছেন। এরই মাঝে আগামী অগাস্ট মাসে ভারতীয় দলের বাংলাদেশ (Bangladesh) সফরের সম্ভাবনার কথা আছে। এই সফরে ভারত ছয়টি সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলতে পারে—যার মধ্যে থাকবে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে সফর এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। এতেই রোহিত ও বিরাটের ভক্তরা ভাবছেন, এই দুই তারকাকে ফের আবার কবে দেখা যাবে ক্রিকেট মাঠে?

    অগাস্ট মাসের ক্রীড়াসূচির কথা আগেই জানিয়েছিল বাংলাদেশ (Cricket News)

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গত এপ্রিল মাসে জানিয়েছিল, ভারতীয় দল ১৭, ২০ এবং ২৩ অগাস্ট তিনটি ওডিআই ম্যাচ খেলবে। এছাড়াও ২৬, ২৯ এবং ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে সফরটি এখনো চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হয়নি (Cricket News)। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সফর নিশ্চিত করেনি। ফলে সফর আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।

    কবে মাঠে দেখা যাবে রোহিত-বিরাটকে?

    এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে—রোহিত ও কোহলিকে আবার কবে দেখা যাবে জাতীয় দলের জার্সিতে (Cricket News)? যদি বাংলাদেশ সফর বাতিল হয়ে যায়, তাহলে হয়তো তাঁদের আবার মাঠে দেখতে অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। কারণ ১৯ অক্টোবর থেকে ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সফর নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে টিম ইন্ডিয়া। তবে, বাংলাদেশ সফর একেবারেই বাতিল হয়ে যাচ্ছে, এমনটাও নয়। সম্প্রতি শের-ই-বাংলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বোর্ড মিটিংয়ের পর বিসিবি (Cricket News) সভাপতি আমিনুল জানান, বিসিসিআই-এর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং সফরসূচি চূড়ান্ত করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।

  • BJP: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, জুলাইতেই ঘোষণা নাড্ডার উত্তরসূরি?

    BJP: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, জুলাইতেই ঘোষণা নাড্ডার উত্তরসূরি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপির (BJP) সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে ত্বরান্বিত হচ্ছে বিজেপির জাতীয় সভাপতির নাম ঘোষণার সম্ভাবনা। নিয়ম অনুযায়ী বা বিজেপির সংবিধান অনুসারে জাতীয় সভাপতির (JP Nadda) নির্বাচন করতে সারা দেশের যে ৩৭টি সাংগঠনিক রাজ্য রয়েছে, তার মধ্যে অন্ততপক্ষে ১৯ সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন করতেই হবে।

    মঙ্গলবারই ১৯টি রাজ্যে সভাপতি নির্বাচন সম্পূর্ণ হতে চলেছে

    মঙ্গলবার ১৯টি রাজ্যে সভাপতি (BJP) নির্বাচন সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এই দিনই আবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচন সংক্রান্ত নোটিশ প্রকাশিত হয়েছে। ওই নোটিশ অনুযায়ী, আগামী ৩ জুলাই দুপুরের পর রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। সোমবারই পুদুচেরি ও মিজোরামে বিজেপির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। পুদুচেরিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ভিপি রামালিঙ্গম, অন্যদিকে মিজোরামে দলের দায়িত্বে এসেছেন কে বেইচুয়া।

    কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে শীঘ্রই

    যে রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে অনেকেই পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নাম ঘোষণা করা হবে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গেছে। তেলেঙ্গানায় বিজেপি নতুন সভাপতি হিসেবে বেছে নিয়েছে রামচন্দ্র রাউকে এবং অন্ধ্রপ্রদেশে নির্বাচিত হয়েছেন পি.ভি.এন. মাধব। জনগণের মাঝে দুজনের পরিচিতি কিছুটা কম হলেও, তাঁরা দক্ষ সংগঠক বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির (BJP) ।

    জুলাই মাসেই জেপি নাড্ডার উত্তরসূরির নাম ঘোষণা?

    অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেখানকার বর্তমান কার্যকরী সভাপতি ও চারবারের বিধায়ক রবীন্দ্র চৌহানের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে। উত্তরাখণ্ডে আবার সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পেয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ মহেন্দ্র সিং ঘাটি। এটি তাঁর দ্বিতীয় দফার কার্যকাল। একের পর এক রাজ্যে বিজেপির সভাপতি (BJP) পদের নাম ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহল মনে করছে, চলতি জুলাই মাসেই জেপি নাড্ডার (JP Nadda) উত্তরসূরির নাম ঘোষণাও শুধু সময়ের অপেক্ষা।

  • Kasba Gangrape: গণধর্ষণ পূর্ব-পরিকল্পিত, আগে থেকেই টার্গেট করা হয় ওই ছাত্রীকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে

    Kasba Gangrape: গণধর্ষণ পূর্ব-পরিকল্পিত, আগে থেকেই টার্গেট করা হয় ওই ছাত্রীকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবায় আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Kasba Gangrape) ঘটনায় ধৃত মনোজিৎ মিশ্র-সহ বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীদের কাছে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে নির্যাতিতাকে দীর্ঘদিন ধরে নজরে রেখেছিল মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র। এদিন মনোজিতের পাশাপাশি ধৃত প্রমিত ও জায়েবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে, মনোজিৎ আগেও একাধিকবার নির্যাতিতার ওপর নজর রেখেছিল (Kasba Gangrape Incident) এবং সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।

    হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে উঠে এসেছে ঘটনার পূর্ব পরিকল্পনার সুস্পষ্ট প্রমাণ

    ঘটনার দিন (Kasba Gangrape) কীভাবে পুরো বিষয়টি ঘটানো হবে, তা নিয়ে মনোজিতের মাথায় একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনাও ছিল। এইসব তথ্য সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, একটি কলেজে এমন এক প্রাক্তন ছাত্র দিনের পর দিন একজন ছাত্রীর ওপর নজর রেখে তাকে টার্গেট করছিল, অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষ বা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেউ তা আঁচ করতে পারলেন না, কীভাবে? তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই ধৃত তিন অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে উঠে এসেছে এই ঘটনায় পূর্ব পরিকল্পনার সুস্পষ্ট প্রমাণ। পুলিশ সূত্রের খবর, মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ১০টিরও বেশি অভিযোগ নথিভুক্ত রয়েছে।

    ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করেছেন তদন্তকারীরা

    এছাড়াও, মনোজিত সহ বাকি দুই অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করেছে তদন্তকারীরা। নির্যাতিতার (Kasba Gangrape) দেওয়া বয়ানের উপর ভিত্তি করেই তাদের জেরা করা হয় এবং সেই সময় গোটা প্রক্রিয়াটিকে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্তে নেমে কসবা থানার পক্ষ থেকে অভিযোগকারিণী ও তিন অভিযুক্তেরই আইন মেনে মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই মেডিক্যাল রিপোর্টগুলি পরবর্তীতে মামলার প্রমাণ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    মনোজিৎ ছাড়া অপর দুই অভিযুক্ত (Kasba Gangrape Incident)

    কসবা কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে (Kasba Gangrape) মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে আরও দুই সহযোগী—প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জায়েব আহমেদ। ‘ম্যাংগো’ নামে পরিচিত মনোজিত অতীতে ভাঙচুর, হুমকি এবং মারধরের মতো অপরাধে জেল খেটেছে, তবে তার দুই সঙ্গীর নামে এর আগে তেমন কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপের রেকর্ড মেলেনি। কসবা কাণ্ডে তাঁদের জড়িয়ে পড়ার খবর সামনে আসতেই বিস্মিত হয়েছেন এলাকার বহু বাসিন্দা ও পরিচিতজনেরা।

    হাওড়ার বাসিন্দা মুখোপাধ্যায়

    হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার অন্তর্গত ১৬/১ হরিনাথ ন্যায়রত্ন লেনের বাসিন্দা প্রমিত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় বিস্মিত তার পরিচিত মহল। পাড়ায় ‘ঋজু’ নামে পরিচিত এই যুবকের নাম এত বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় চমকে গেছেন অনেকেই। এর আগে তার নামে কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য পুলিশের খাতায় নেই। তদন্তকারীদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছে প্রমিত। তবে, তার ভূমিকা শুধুমাত্র সাহায্যকারী নাকি সে নিজেও সমানভাবে অপরাধে যুক্ত, তা জানতে চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। তিন অভিযুক্তই ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক দল যেসব নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট—এই সবকিছু বিশ্লেষণ করেই প্রমিতের প্রকৃত ভূমিকা নির্ধারণ করতে চায় পুলিশ। যেহেতু মনোজিৎ কলেজের প্রাক্তনী এবং কর্মচারী হিসেবে যুক্ত ছিল, তাই সে কীভাবে প্রমিতকে প্রভাবিত করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তিলজলা থানার বাসিন্দা জায়েব আহমেদ (Kasba Gangrape)

    তৃতীয় অভিযুক্ত জায়েব আহমেদ বসবাস করেন তিলজলা থানার অন্তর্গত ৬৪/এ, গুলাম জিলানী খান রোডে। তার নাম এলাকায় আগে কখনও শোনা যায়নি বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আইন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র হলেও সে কলেজ শুরু হওয়ার বহু আগেই প্রতিদিন সকালবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত এবং ফিরত রাতে। বোসপুকুর তালবাগান ক্রসিং এলাকা থেকে পুলিশ জায়েব আহমেদকে গ্রেফতার করে। ওই ছাত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রতিহিংসাবশত এই নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়েছে কি না, তা জানতে জায়েবের মোবাইল ফোন খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করছে তদন্তকারী দল। মনোজিৎ মিশ্র কোনওভাবে জায়েবকে এই অপরাধে প্ররোচিত করেছিলেন কিনা, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    মেয়েটির আবেদনে কর্ণপাত করেনি তিন অভিযুক্ত

    পুলিশকে দেওয়া নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী, কলেজে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই মনোজিৎ তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর একজন প্রেমিক আছেন। এরপর থেকেই মনোজিতের ব্যবহার আচমকা বদলে যায়। অভিযোগ, কলেজের মূল গেট বন্ধ করে দিয়ে তাঁকে বেরোনোর পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ওই ছাত্রীকে গার্ডরুমে নিয়ে গিয়ে চলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। মেয়েটি (Kasba Gangrape) বারবার কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, “আমার শরীরটা ভালো নেই, দয়া করে আমাকে ছেড়ে দাও।” কিন্তু মনোজিৎ ও তার দুই সঙ্গী সেই আবেদন শোনেনি।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির ৩ বিজেপি কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির ৩ বিজেপি কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ২০১৯ সালে তিন বিজেপি কর্মীকে হত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আদালত সিবিআইকে এই মামলার জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে। ২০১৯ সালের ৮ জুন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দা তথা বিজেপি প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডলকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তিনজনই বিজেপি কর্মী ছিলেন। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। প্রথম পর্যায়ে তার নাম চার্জশিটে থাকলেও পরে সিআইডির হাতে তদন্ত যাওয়ার পর তার নাম বাদ পড়ে যা নিয়ে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়।

    ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তায় হাইকোর্টে যায় নিহতদের পরিবার

    প্রদীপ মণ্ডলের পরিবারের অভিযোগ, সেদিন একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে গুলি করে খুন করে। তার তুতো ভাই সুকান্ত এবং প্রতিবেশী দেবদাস মণ্ডলকেও একই কায়দায় হত্যা করা হয়। ঘটনায় দু’টি পৃথক এফআইআর দায়ের করেছিলেন সুপ্রিয়া মণ্ডল এবং পদ্মা মণ্ডল। দুই মামলাতেই মূল অভিযুক্ত ছিল শেখ শাহজাহান (Sandeshkhali)। একটি মামলায় ২৮ জন এবং অন্যটিতে ২৪ জন অভিযুক্ত ছিল। কিন্তু রহস্যজনকভাবে, দুই মামলার চার্জশিট থেকেই বাদ যায় শেখ শাহজাহানের (Sandeshkhali) নাম। এরপর ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তায় নিহতদের পরিবার ফের হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি জানায়।

    তদন্তকারী আধিকারিককে ভর্ৎসনা বিচারপতির (Calcutta High Court)

    মামলার শুনানির সময় তদন্তকারী আধিকারিককে প্রশ্ন করেন বিচারপতি, ‘‘সাক্ষীর গোপন জবানবন্দিতে শেখ শাহজাহানকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন তার নাম চার্জশিটে নেই?’’ উত্তরে আধিকারিক (Sandeshkhali) বলেন, ‘‘সাক্ষীকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি।’’ তখন বিচারপতি পাল্টা বলেন, ‘‘আপনি ঠিক করবেন কে বিশ্বাসযোগ্য আর কে নয়?’’ বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, তদন্ত যথাযথভাবে হয়নি, সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদেও গাফিলতি রয়েছে। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “যখন বছরের পর বছর মূল অভিযুক্তের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তখন হঠাৎ এখন অতিরিক্ত চার্জশিট দেওয়ার তোড়জোড় কেন? চার-পাঁচ বছর ধরে চুপ ছিলেন, আর এখন সক্রিয়তা মানুষ এসব বুঝতে পারে।”

  • RSS: শতবর্ষে আরএসএস, দেশজুড়ে দেড় হাজারেরও বেশি হিন্দু সম্মেলন করার পরিকল্পনা সংঘের

    RSS: শতবর্ষে আরএসএস, দেশজুড়ে দেড় হাজারেরও বেশি হিন্দু সম্মেলন করার পরিকল্পনা সংঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে শততম বছরে পা দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। এই আবহে সংগঠনের এই ঐতিহাসিক যাত্রাপথকে স্মরণীয় করে রাখতে সারা দেশজুড়ে হিন্দু সম্মেলন করার কথা ভাবছে আরএসএস। প্রসঙ্গত, ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীর দিন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আরএসএস। চলতি বছরে বিজয়া দশমী উৎসব পড়েছে ২ অক্টোবর। আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, শততম বর্ষের আনুষ্ঠানিক উৎসব শুরু হয়ে যাবে ২৬ অগাস্ট থেকেই। ওই দিন থেকে তিন দিন ধরে চলবে বিভিন্ন বিষয়ে সর সংঘচালক মোহন ভাগবতের বক্তব্য।

    দেশের চার মহানগরে বক্তব্য রাখবেন সংঘ প্রধান (RSS)

    দেশের চার মহানগর দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু ও কলকাতায় বক্তব্য রাখবেন মোহন ভাগবত। এইভাবেই শতবর্ষে আরএসএস-এর যাত্রাপথ, দেশের প্রতি অবদান, সমাজ গঠনে ভূমিকা, এই সমস্ত কিছুই তিনি তুলে ধরবেন। প্রসঙ্গত, আরএসএস-এর (RSS) নীতিই হল প্রথমে দেশ, মাঝখানে সংস্কৃতি এবং নিঃস্বার্থ সেবাভাব সবার উপরে (Hindu Conferences)।

    ১,৫০০-১,৬০০ সম্মেলন করবে আরএসএস (RSS)

    শততম বর্ষে আরএসএস-এর পক্ষ থেকে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে যে দেশের প্রতিটি ব্লকে যেন সংঘের কাজ পৌঁছে যায়। আরএসএস-এর আদর্শ, নিঃস্বার্থ সেবাভাব এই সমস্ত কিছু দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দিতে চায় সংঘ। দিল্লির প্রান্ত কার্যবাহ অনিল গুপ্ত এনিয়ে বলেন, “আমরা লক্ষ্য রেখেছি যে সারাদেশে এক লাখেরও বেশি শাখা চালু করব।” প্রসঙ্গত, শাখাই হল আরএসএস-এর সংগঠনের ভিত্তি। আরএসএস (Hindu Conferences) চলতি বছরে ১৫০০ থেকে ১৬০০ হিন্দু সম্মেলন করার কথা ঘোষণা করেছে। এই সম্মেলনগুলির প্রতিটিই হবে স্বয়ংসেবক, সমাজের নেতা, সাধু-সন্ত, গবেষক, যুব, মহিলা এবং শিল্পীদের নিয়ে। আরএসএস নেতার বক্তব্য অনুযায়ী, “এটা শুধুমাত্র কোনও সম্মেলন হবে না বরং এটা হবে এক সভ্যতার মিশন।”

    হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করে আরএসএস (RSS)

    সম্প্রতি পুনেতে বক্তব্য রাখেন সরসংঘচালক (RSS) মোহন ভাগবত। সেখানে আয়ুর্বেদ আচার্য দাদা খাদিওয়ালে-র জীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। সেখানে মোহন ভাগবত বলেন, “যদি কেউ এক কথায় জিজ্ঞেস করে যে আরএসএস কী করে, তার উত্তর হবে , হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করে।” তিনি আরও বলেন, “প্রকৃতপক্ষে ঐক্য তখনই সামনে আসে, যখন আমরা দেখি যে মানুষ নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে।”

  • Daily Horoscope 01 July 2025: মান-সম্মান বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 01 July 2025: মান-সম্মান বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনে ধনবৃদ্ধি হবে।

    ২) কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    ৩) পরিবারের সদস্যদের তরফে সুসংবাদ শুনতে পাবেন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি প্রাণশক্তিতে ভরপুর থাকবে।

    ২) মান-সম্মান বাড়বে।

    ৩) অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে।

    মিথুন

    ১) আজ মিশ্র পরিণাম লাভ করবেন।

    ২) সহযোগিতার মনোভব বাড়বে।

    ৩) কোনও বিষয়ে বয়স্কদের পরামর্শ নিন।

    কর্কট

    ১) আর্থির সুযোগের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারেন, এর ফলে বড়সড় সিদ্ধান্ত হাতছাড়া হবে।

    ২) পরিবারের সকল সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

    ৩) ব্যবসায়িক কাজের জন্য অন্য কোনও ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল থাকবেন, যার ফলে তা পূরণ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি উন্নতিদায়ক।

    ২) ব্যবসায়িক প্রস্তাব নিয়ে বহিরাগত ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তাঁরা আপনার কথা বুঝতে পারবেন।

    ৩) চাকরিজীবীরা একই ভুল বার বার করবেন না।

    কন্যা

    ১) আজ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সুনাম অর্জন করবেন।

    ২) চিন্তাভাবনা না-করেই যে কোনও কাজ করে ফেলবেন, এ কারণে পড়ে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।

    ৩) সামাজিক সম্মান বাড়বে।

    তুলা

    ১) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা ও সান্নিধ্য লাভ করবেন।

    ২) পরিবারের কোনও সদস্য ব্যবসা শুরু করতে পারে।

    ৩) বিদেশি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে লাভান্বিত হবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য জীবনে মাধুর্য আসবে।

    ২) কোনও সমস্যার বিষয়ে বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।

    ৩) অংশীদারীর কাজের দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    ধনু

    ১)  চাকরিজীবী জাতকদের জন্য আজকের দিনটি ভালো।

    ২) ইতিবাচক চিন্তাভাবনার সুফল পাবেন।

    ৩) কেরিয়ারে ভালো প্রস্তাব পেতে পারেন।

    মকর

    ১) কর্মক্ষেত্রে ভালো প্রদর্শন করবেন।

    ২) ব্যবসায়ে নতুন কিছু অন্তর্ভূক্ত করবেন।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরার সময়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) আজ ধৈর্য ধরে রাখুন।

    ২) বাড়ি বা বাইরে তাড়াহুড়োয় কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না।

    ৩) সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদে জয়ী হবেন।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি শুভ পরিণাম নিয়ে আসবে।

    ২)  ব্যবসায়ে কারও সাহায্য চাইলে তা সহজে পেয়ে যাবেন।

    ৩) ভাই-বোনের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 396: আপনা আপনি ভক্তি আসা—সংস্কার না থাকলে হয় না

    Ramakrishna 396: আপনা আপনি ভক্তি আসা—সংস্কার না থাকলে হয় না

    ঠাকুর ছোট নরেনকে একদৃষ্টে দেখিতেছেন। দেখিতে দেখিতে সমাধিস্ত হইলেন। শুদ্ধার্থ ভক্তের ভিতর ঠাকুর কি নারায়ণ দর্শন করিতেছেন!

    ভক্তেরা এক দৃষ্টে সেই সমাধি চিত্র দেখিতেছেন।

    কিয়ৎ পরে সমাধি ভঙ্গ হইল, ঠাকুরের বায়ু স্থির হইয়া গিয়েছিল। এইবার দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিলেন। ক্রমে বহির্জগতে মন আসিতেছে। ভক্তদের দিকে দৃষ্টিপাত করিতেছেন।

    এখনও ভাবস্থ হইয়া রহিয়াছেন। এবার প্রত্যেক ভক্তকে সম্বোধন করিয়া কাহার কী হইবে ও কাহার কীরূপ অবস্থা, কিছু কিছু বলিতেছেন।

    ছোট নরেনের প্রতি —
    “তোকে দেখবার জন্য ব্যাকুল হচ্ছিলাম। তোর হবে, এক একবার। আচ্ছা, তুই কী ভালোবাসিস—জ্ঞান না ভক্তি?”
    ছোট নরেন: “শুধু ভক্তি।”
    শ্রীরামকৃষ্ণ: “আমাকে না জানলে ভক্তি কাকে করবি?”
    (মাস্টারকে দেখাইয়া সহাস্যে)
    “তবে শ্রদ্ধার! তা যে কালে বলেছে—শুধু ভক্তি চাই, এর অবশ্য মানে আছে।
    আপনা আপনি ভক্তি আসা—সংস্কার না থাকলে হয় না। এইটি প্রেমভক্তির লক্ষণ।
    জ্ঞানভক্তি—বিচার করা ভক্তি।”

    ছোট নরেনের প্রতি: “দেখি তোর শরীর, জামা খোল দেখি। বেশ বুকের আয়তন! তোর হবে। মাঝে মাঝে আসিস।”

    ঠাকুর এখনও ভাবস্থ। অন্য ভক্তদের সস্নেহে এক একজনকে সম্বোধন করিয়া আবার বলিতেছেন—

    পল্টুর প্রতি: “তোরও হবে, তবে একটু দেরিতে হবে।”

    বাবুরামের প্রতি: “তোকে টানছি না কেন? শেষে কী একটা হাঙ্গামা হবে!”

    মোহিনী মোহনের প্রতি:
    “তুমি তো আছই—একটু বাকি আছে, সেটুকু গেলে কর্মকাজ, সংসার—কিছু থাকে না। সব কাজ যাওয়া কি ভালো?”

    (এই বলিয়া তাহার দিকে একদৃষ্টে সর্বদা তাকাইয়া রহিলেন, যেন তাহার হৃদয়ের অন্তরতম প্রদেশের সমস্ত ভাব দেখিতেছেন। মোহিনী মোহন কী ভাবিতেছিলেন—‘ঈশ্বরের জন্য সব যাওয়াই ভালো।’)

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর আবার বলিতেছেন—

    “ভাগবত পণ্ডিতকে একটি পাশ দিয়ে ঈশ্বর রেখে দেন—তা না হলে ভাগবত কে শুনাবে? রেখে দেন লোক শিক্ষার জন্য। মা সেইজন্য সংসারে রেখেছেন।”

  • Kasba Gangrape: বিকৃত কামনায় আসক্ত মনোজিৎ, রয়েছে অতীত অপরাধের ভয়ঙ্কর রেকর্ড, আগেও হয়েছে গ্রেফতার

    Kasba Gangrape: বিকৃত কামনায় আসক্ত মনোজিৎ, রয়েছে অতীত অপরাধের ভয়ঙ্কর রেকর্ড, আগেও হয়েছে গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবার (Kasba Gangrape) আইন কলেজের ক্যাম্পাসেই ছাত্রীকে ধর্ষণে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা মনোজিৎ মিশ্র (Monojit Mishra) গ্রেফতার হতেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক কুকীর্তির অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, বিয়ের প্রস্তার দিয়ে একাধিক বার মেয়েদের যৌন হেনস্থা ও শ্লীলতাহানি করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা মনোজিৎ। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাঁকে মারধরও করত মনোজিৎ। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ প্রায়ই মেয়েদের উদ্দেশ্য করে বলত, ‘তুই কি আমায় বিয়ে করবি?’ সহপাঠী ও কলেজের ছাত্রীরা জানিয়েছেন, এই কথাটি তার মুখ থেকে বারবার শোনা যেত। যদিও সব অভিযোগ লিখিত আকারে দায়ের করা হয়নি, তবু অনেকেই তার হাতে নির্যাতিত হয়েছেন।

    গুণধর মনোজিতের একাধিক কীর্তি- ভাঙচুর, মারধর, শ্লীলতাহানি, অশ্লীল ছবি তোলা

    মনোজিৎ ২০১৩ সালে কলেজে ভর্তি হয় (Kasba Gangrape)। কিন্তু তার খারাপ আচরণের কারণে ২০১৪ সালে তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর প্রভাব ব্যবহার করে ২০১৭ সালে পুনরায় কলেজে ভর্তি হয় মনোজিৎ। যদিও ২০২২ সালে তার পড়াশোনা শেষ হয়ে যায়, তবুও বহিরাগত হিসেবে নিয়মিত কলেজে উপস্থিত থাকত সে। তার বিরুদ্ধে নানা সময়ে গুন্ডাদের দিয়ে মারধরের হুমকির অভিযোগ ওঠে। চেতলা থানায় তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে। বেআইনি অস্ত্র রাখার জন্য একবার তাকে গ্রেফতারও করা হয়। অনেক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলে সে তাদের বাবা-মাকে গ্রেফতার করানোর হুমকি দিত। কলেজের কয়েকজন জুনিয়র ও সহপাঠী জানিয়েছেন, মনোজিৎ দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের প্রতি অশালীন মন্তব্য করত। মেয়েদের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে ছড়াত। ২০১৬ সালে গুন্ডাদের সঙ্গে নিয়ে কলেজে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। কলেজে শ্লীলতাহানি এবং মদের আসর বসানো তার কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ কেউই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি।

    বিকৃত কামনার প্রতি আসক্ত ছিল মনোজিত (Kasba Gangrape)

    কসবার গণধর্ষণকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার (Kasba Gangrape) পরেই পুলিশ মনোজিৎ এবং তার সঙ্গীদের গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মনোজিতের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজ্যে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছে। পুলিশও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে। এর ফলে মনোজিত ও তার সঙ্গীদের শাস্তি পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের একাধিক কুকীর্তি ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে তার প্রভাব ও দাপটের কথা বহু ছাত্রছাত্রী স্বীকার করেছেন। এবার তার বিকৃত মানসিকতার কিছু দৃষ্টান্তও সামনে এসেছে। মনোজিতের বন্ধু, জুনিয়র এবং ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সে বিকৃত কামনার প্রতি আসক্ত ছিল এবং তাঁরা এ সংক্রান্ত নানা উদাহরণও তারা উপস্থাপন করেছেন।

    কসবা কাণ্ডের অভিযুক্ত মনোজিতের আরও নানান কুকীর্তি (Kasba Gangrape)

    দক্ষিণ কলকাতার ওই ল’কলেজের ক্যাম্পাসে খুবই দাপট ছিল গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিতের। ঘটনা সামনে আসতেই তার তৃণমূল যোগ সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ছবিও। সেই সঙ্গেই রাজ্যজুড়ে শোরগোল ফেলেছে তার একাধিক কুকীর্তি। মনোজিতের বন্ধুবান্ধব, জুনিয়র থেকে শুরু করে ঘনিষ্ঠমহল বলছে, কসবা কাণ্ডের অভিযুক্তের বিকৃত চাহিদা মেটাতে অনেকেই নিজেদের মহিলা সহপাঠীর শরীরের নানান অংশের আপত্তিকর ছবি তুলতে বাধ্য হতেন ও সেগুলি মনোজিতকে দেখানো হত। শুধু তাই নয়, মনোজিৎ নিজেও তাঁর ফোনে মহিলাদের শরীরের নানান অঙ্গের ছবি তুলে রাখত বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, ওই ছবি ও ভিডিওগুলি মনোজিৎ তার ঘনিষ্ঠ মহলে শেয়ার করত। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে, অতীতেও মনোজিতের হাতে একাধিক ছাত্রী হেনস্তার শিকার হয়েছেন। সেই ঘটনাগুলিও সে নিজেই ক্যামেরায় ধারণ করত (Kasba Gangrape)। পরে সেগুলি শুধু নিজে দেখেই সন্তুষ্ট থাকত না, তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদেরও তা দেখাত বলে অভিযোগ।

    একাধিক মহিলা তার বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হয়েছেন (Kasba Gangrape)

    ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, কসবা কাণ্ডের নির্যাতিতাকে মনোজিৎ বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। অভিযোগ, ক্যাম্পাসে কোনও নতুন ছাত্রীকে পছন্দ হলেই সে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিত। আর সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে শুরু হত হুমকি, হয়রানি ও নানা ধরনের নির্যাতন। জানা যাচ্ছে, কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ বিভিন্ন সময়ে বহু নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছে। অভিযোগ, একাধিক মহিলা তার বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হয়েছেন। পরে মনোজিৎ সেই মুহূর্তগুলির ভিডিও বা ছবি অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে নিজের ‘সফলতা’ হিসেবে প্রচার করত। এমনকি, কতজনের সঙ্গে সে ঘনিষ্ঠ হয়েছে, তার তালিকাও নাকি সে রাখত।

    কলেজ ট্রিপে গিয়েও মনোজিৎ তার ‘শিকার’ খুঁজে বেড়াত

    শোনা যায়, কলেজ ট্রিপে গিয়েও মনোজিৎ তার ‘শিকার’ খুঁজে বেড়াত। সেই পরিস্থিতিতে একবার এক ছাত্রীকে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই ছাত্রীর দাবি, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে মনোজিৎ তাকে খুঁজে বেরিয়েছিল। কলেজের এক ছাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, মনোজিৎ মারধর ও যন্ত্রণার ভিডিও দেখতে বেশি আগ্রহী ছিল। শুধু নিজে দেখেই থেমে থাকত না, সেগুলি অন্যদেরও দেখাতে সে বিশেষভাবে পছন্দ করত। ‘বিকৃত যৌনতা’ ভীষণভাবে পছন্দ ছিল তার। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের (Monojit Mishra) বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। সময় যত গড়াচ্ছে, তার কুকর্মের তালিকাও ততই দীর্ঘ হচ্ছে। কীভাবে কলেজের ছাত্রীদের ‘শিকার’ বানাত সে, এবার তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, উঠে এসেছে তার বিকৃত মানসিকতার একাধিক দৃষ্টান্তও।

  • Hul Diwas: ৩০ জুন ‘হুল’ দিবস, ১৮৫৫ সালের এই দিনেই শুরু হয় সাঁওতাল বিদ্রোহ, জানুন সেই ইতিহাস

    Hul Diwas: ৩০ জুন ‘হুল’ দিবস, ১৮৫৫ সালের এই দিনেই শুরু হয় সাঁওতাল বিদ্রোহ, জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন ব্রিটিশ শক্তির ভিত কেঁপে উঠেছিল সাঁওতাল বিদ্রোহে। এই আন্দোলনের (Santhal Rebellion) ধ্বনি ছিল ‘হুল’ (Hul Diwas), যার আক্ষরিক অর্থ বিদ্রোহ। ফি বছর ৩০ জুন পালিত হয় ‘হুল দিবস’। একই পরিবারের ছয় ভাইবোনের (সিধু, কানু, বিরসা, চাঁদ, ভৈরব, আর দুই বোন ফুলমণি এবং ঝানু মুর্মু ) নেতৃত্বে এই জনজাতি আন্দোলন শুধুমাত্র ভারত নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’ এক দৃষ্টান্তও বটে। শাসকের শোষণ, অত্যাচার, বঞ্চনার বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে অধিকার চাওয়ার এই সংগ্রাম আজও প্রেরণার স্রোত। সিপাহী বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল ১৮৫৭ সালে। তার আগে ১৮৫৫ তে এই বিদ্রোহ ব্রিটিশ ভারতের প্রথম সশস্ত্র সংগ্রাম বলে মনে করেন অনেক ঐতিহাসিক।

    কেন অস্ত্র হাতে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন সহজ, সরল সাঁওতালরা?

    সহজ, সরল জনজাতিদের জল-জঙ্গলের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে থাকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (Hul Diwas)। ভূমির ওপর কর চাপায় তারা। যা আদায় করত কোম্পানির লেঠেল বাহিনী। এছাড়া সাঁওতাল রমণীদেরও খারাপ নজরে দেখা হত। যা কখনও মেনে নিতে পারেনি সাঁওতালরা। বঞ্চিত ক্ষোভ পূঞ্জীভূত হতে হতে তা বিদ্রোহের আকার নেয়। বর্তমান ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার ভাগনাদিহির মাঠে শুরু হয় জমায়েত। গবেষকদের মতে, আশপাশের চারশোর বেশি গ্রামের সাঁওতাল সেদিন জড়ো হয়েছিলেন অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে। সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। ঐতিহাসিকদের মতে, সেদিন জমায়েত হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি জনজাতি সমাজের মানুষজন। শুধুমাত্র ইংরেজ নয়, পাশাপাশি স্থানীয় জমিদার ও মহাজনরাও সাঁওতালিদের ওপর জোর-জুলুম ও অত্যাচার চালাত। সেখানেই প্রাপ্য দাবি ছিনিয়ে নিতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন জনজাতির বীর সন্তানরা। এরপরেই শুরু হয় যুদ্ধ। বিদ্রোহের (Hul Diwas) থেকে যুদ্ধ বলাই ভালো। কারণ ব্রিটিশ সেনাকে সেদিন নামতে হয়েছিল বীর জনজাতিদের বিরুদ্ধে লড়তে। ‘হুল’ ‘হুল’ ধ্বনিতে সেদিন আকাশ-বাতাস কেঁপে উঠেছিল বর্তমান ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, বাংলার পুরুলিয়া প্রভৃতি এলাকার।

    ভাগনাদিহি থেকে কলকাতার অভিমুখে সশস্ত্র পদযাত্রা

    সিধু-কানুর (Hul Diwas) নেতৃত্বে ভাগনাদিহি থেকে কলকাতার অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে প্রায় ৩০ হাজার সাঁওতাল। পরবর্তীকালে দেশ অনেক গণপদযাত্রার সাক্ষী থেকেছে। কিন্তু আজ থেকে ১৬৮ বছর আগে অধিকারের দাবিতে এমন পদযাত্রা যে কোনও স্বাধীনতাকামী মানুষের মনকে নাড়া দেয়। ঐতিহাসিকদের মতে, পদযাত্রার সময় অত্যাচারী দারোগা মহেশাল দত্ত ছয়-সাতজন সাঁওতাল নেতাকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করে। এরপর ব্রিটিশ পুলিশ সিধু ও কানুকে গ্রেফতার করতে উদ্যত হলে বিক্ষুব্ধ সাঁওতাল বিপ্লবীরা ৭ জুলাই পাঁচকাঠিয়া নামক স্থানে মহাজন কেনারাম ভগত, মহেশাল দত্ত সহ ইংরেজ পক্ষের ১৯ জনকে হত্যা করেন এবং সেখানেই সাঁওতাল বিদ্রোহের আগুন প্রজ্বলিত হয়। গবেষকরা বলছেন, এরপর টানা আট মাস ধরে চলে সাঁওতাল বিদ্রোহ। দাপট, শৌর্য, বীরত্বে তখন ওই অঞ্চলগুলিতে শেষ হয় ব্রিটিশ আধিপত্য। ২১ জুলাই কাতনা গ্রামে ইংরেজ বাহিনী বিপ্লবীদের কাছে পরাজয় স্বীকার করে। রণে ভঙ্গ দেয় ব্রিটিশরা।

    বীরভূম জেলার তৎকালীন জনপদ নাগপুর বাজার ধ্বংস করে বিদ্রোহীরা

    জুলাই মাসেই বীরভূম জেলার (Santhal Rebellion) তৎকালীন জনপদ নাগপুর বাজার ধ্বংস করে বিদ্রোহীরা। অভিযোগ, সেখানে সাঁওতাল জনগণকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দেওয়ার পরিবর্তে অত্যাচার করা হত। ১৮৫৫ সালের অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সিধু-কানুর বিরুদ্ধে ইংরেজ সরকার ‘অস্বা সামরিক আইন’ (অস্ত্রশস্ত্র বহনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা) জারি করে। কিন্তু আন্দোলনের সামনে এখানেও পিছু হঠতে হয় ব্রিটিশদের। ১৮৫৬ সালের ৩ জানুয়ারি সামরিক আইন প্রত্যাহার করে তারা। বিদ্রোহের অন্যতম বীরাঙ্গনা ফুলমণি মুর্মুকে ব্রিটিশ সেপাইরা নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করে তাঁর লাশ রেললাইনে ফেলে রেখে যায়, এমনটাই মত কোনও কোনও গবেষকদের। আজও এই বীরাঙ্গনা জনজাতি সমাজে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

    ফাঁসির মঞ্চে কানুর ঘোষণা

    ইংরেজ আমলে স্থানীয় মহাজন ও দাদন ব্যবসায়ীদের শোষণ ও নিপীড়ন এবং ব্রিটিশদের অত্যাচারের শিকার হয়ে তা থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই এই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বাস ভঙ্গ করেন কয়েকজন। ব্যক্তিস্বার্থে ভেসে গিয়ে ইংরেজদের ফাঁদে পা দেন কয়েকজন সাঁওতাল। ব্যর্থ হয় বিপ্লব। ব্রিটিশের হাতে গ্রেফতার হন সিধু। পরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে ১৮৫৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভগনডিহির সন্নিকটে পাঁচকাঠিয়া বটবৃক্ষে ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয় কানুকে। ফাঁসির মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “আমি আবার আসব, আবার সারা দেশে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে তুলব।” ব্যর্থ হলেও পরোক্ষে সাঁওতাল বিদ্রোহই সিপাহী বিদ্রোহের ভিত গড়ে দেয়। অত্যাচারিত মানুষ বুঝতে পারে লড়াই করে বড় শক্তিকেও নাড়িয়ে দেওয়া যায়। অধিকার চাইলে পাওয়া যায় না, ছিনিয়ে নিতে হয়।

  • Kasba Gangrape: গণধর্ষণকাণ্ডে শহরে বিজেপির তথ্যানুসন্ধানী দল, বুধে কসবা অভিযানের ডাক শুভেন্দুর

    Kasba Gangrape: গণধর্ষণকাণ্ডে শহরে বিজেপির তথ্যানুসন্ধানী দল, বুধে কসবা অভিযানের ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা (Kasba Gangrape) সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা চার সদস্যের একটি তথ্যানুসন্ধানী দল গঠন করেছেন। এই দল সরেজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করবে। সোমবারই সেই দলের সদস্যরা একে একে কলকাতায় পৌঁছতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে শহরে এসে গিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান সাংসদ বিপ্লব দেব। দলের বাকি সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিং ও মীনাক্ষী লেখী এবং রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্র। তাঁদের স্বাগত জানানোর দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। অন্যদিকে গণধর্ষণকাণ্ডে আগামী ২ জুলাই কসবা অভিযানের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    পুলিশকে তোপ শুভেন্দুর (Kasba Gangrape)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এই দল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন এবং তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর করবেন। মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে নির্যাতিতা (Kasba Gangrape) ও তাঁর পরিবারকে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেছে দিয়েছে। এনিয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে নিশানা করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “নির্যাতিতাকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন? বাবা-মায়ের সঙ্গেও দেখা করতে দিচ্ছেন না। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

    ২ জুলাই বুধবার যুব মোর্চার নেতৃত্বে ‘কসবা অভিযান’-এর ডাক শুভেন্দুর

    অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ২ জুলাই বুধবার যুব মোর্চার নেতৃত্বে ‘কসবা অভিযান’-এর ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “যদি পুলিশ অনুমতি না দেয়, তবে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। আমরা কসবায় ঢুকবই, হাজার হাজার মানুষ নিয়ে যাবো।” তিনি আরও বলেন, “কোনও শক্তি আমাদের আটকাতে পারবে না। যেমন মহেশতলা বা ধুলিয়ানে ঢুকেছি, এখানেও ঢুকব। সত্য প্রকাশ করেই ছাড়ব।” কসবা-কাণ্ডের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ ও ধরনা।

    গণধর্ষণকাণ্ডে প্রথম থেকেই রাস্তায় বিজেপি (BJP)

    প্রসঙ্গত কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। শনিবার রাতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে গ্রেফতার হন। গড়িয়াহাটে পুলিশের সঙ্গে চলে ব্যাপক ধস্তাধস্তি। এই প্রেক্ষিতে রবিবারই, কসবা কাণ্ডের প্রতিবাদে মশাল মিছিল সংগঠিত করে বিজেপি। গোলপার্ক থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত এই মিছিলে দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী অংশ নেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজ্যজুড়ে ‘কন্যাসুরক্ষা যাত্রা’র ডাক বিরোধী দলনেতার

    কসবা ল’ কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী অন্তত এক সপ্তাহ অন্য কোনও ইস্যুতে না গিয়ে কেবল কসবা-কাণ্ডকে ঘিরেই চলবে তাদের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি। রাজ্যজুড়ে এই ইস্যুকে সামনে রেখে আন্দোলনে গতি আনতেই এই কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। সোমবার সকালেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেন, আইন কলেজের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে তিনি একটি নতুন কর্মসূচি শুরু করছেন, ‘কন্যাসুরক্ষা যাত্রা’। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে সোমবার বিকেলে তিনি গোলপার্ক থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। এনিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আর বাড়িতে বসে থাকলে হবে না। পার্ক স্ট্রিট, কামদুনি, হাঁসখালি, আরজি কর এবং কসবার ঘটনার প্রতিবাদে কন্যাসুরক্ষা যাত্রা চলতে থাকবে।”

    ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিতে অভয়ার বাবা-মাকে আর্জি শুভেন্দুর

    উল্লেখযোগ্যভাবে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রীর উপর নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে গত বছর ‘ছাত্র সমাজ’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে নবান্ন অভিযান সংগঠিত হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু এদিন ফের বলেন, “আরজি করের নির্যাতিতার বাড়িতে আমি যাব কিছু দিন বাদে। তখন নির্যাতিতার বাবা-মাকে বলব, আগামী ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিন। সব নাগরিক সেখানে সামিল হবেন। রাজনীতি সরিয়ে রেখে আমিও যোগ দেব।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। কসবাকাণ্ডে এমনিতেই দলীয় যোগ উঠে আসায় বেশ কোণঠাসা তৃণমূল। এই আবহে মমতা সরকারকে চাপে ফেলতে এই ইস্যুতে লাগাতার কর্মসূচি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির (BJP)।

    আইনজীবীদের জনস্বার্থ মামলা

    এদিকে, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে কসবা কাণ্ডে (Kasba Gangrape) দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। তিন আইনজীবী, সৌম্যশুভ্র রায়, সায়ন দে এবং বিজয় কুমার সিংহল, বিচারপতি সৌমেন সেনের এজলাসে মামলার অনুমতি চান। তাঁরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মূলত দুইটি বিষয়ে—এক, ঘটনার তদন্তের স্বচ্ছতা বজায় রাখা; দুই, রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিচারপতি সেন তাঁদের মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলাগুলির পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

LinkedIn
Share