Author: subhra-katwa

  • Australia: অস্ট্রেলিয়াতে স্বাধীনতা দিবস পালনে বাধা খালিস্তানপন্থীদের, পিছু হটল ভারতীয়দের দাপটে

    Australia: অস্ট্রেলিয়াতে স্বাধীনতা দিবস পালনে বাধা খালিস্তানপন্থীদের, পিছু হটল ভারতীয়দের দাপটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার (Australia) মেলবোর্নে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেটে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনের সময় খালিস্তানপন্থীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। শুক্রবার সকালে মেলবোর্নের প্রবাসী ভারতীয়রা কনস্যুলেটের সামনে জড়ো হয়েছিলেন স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য। কিন্তু সেই সময় আচমকাই বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানপন্থীরা সেখানে জড়ো হয়। তবে তাদের দেখে ভারতীয়রা স্লোগান তোলেন এবং দেশাত্মবোধক গান গাইতে থাকেন এবং সুশৃঙ্খলভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন।

    পিছু হটে খালিস্তানপন্থীরা (Australia)

    একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতীয়রা যখন দেশাত্মবোধক গান গাইছেন, তখন খালিস্তানপন্থীরা হট্টগোল সৃষ্টি করছে। একটি অস্ট্রেলিয়ান (Australia) সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে, মেলবোর্নে ভারতীয় কনস্যুলেটের বাইরে খালিস্তানি গুন্ডারা গোলমাল সৃষ্টি করে। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ভারতবিরোধী স্লোগান তুলতে থাকে। কিন্তু খালি গলায় তাদের সেই স্লোগান শোনা যায়নি, কারণ লাউডস্পিকারে ভারতীয়রা দেশাত্মবোধক গান গাইতে থাকেন। এরপরে এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পিছু হটে এবং শেষে সঠিকভাবে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করা হয়।

    ভারত মাতা কি জয় স্লোগান প্রবাসী ভারতীয়দের

    তিরঙ্গা উত্তোলনের সময় উপস্থিত ভারতীয়রা (Australia) “ভারত মাতা কি জয়”, “বন্দেমাতরম” প্রভৃতি ধ্বনি দেন। প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমাগত বাড়ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানপন্থীদের (Khalistani) প্রভাব এবং তাদের কার্যকলাপ। সম্প্রতি মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁতে ঘৃণামূলক গ্রাফিতি দেখা গেছে। অন্যদিকে সম্প্রতি অ্যাডিলেডে সামান্য গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ২৩ বছর বয়সি এক ভারতীয় যুবককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে।

    অস্ট্রেলিয়াতে বাড়ছে খালিস্তানি কার্যকলাপ (Australia)

    শুধু তাই নয়, গত বছর যখন ভারতীয় ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল, সেই সময় ডিসেম্বর মাসে চলছিল চতুর্থ টেস্ট। তখনই খালিস্তানপন্থীরা ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং তাদের গালিগালাজ করে। জানা যায়, ওই খালিস্তান সমর্থকরা তখন টিকিট ছাড়াই স্টেডিয়ামে ঢুকে ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়। ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসেও তারা একইরকম প্রয়াস চালায়। তবে উপস্থিত ভারতীয়দের সামনে তারা টিকতে পারেনি (Khalistani)।

  • PM Modi: ‘‘আত্মনির্ভর ভারত গড়তে অর্জন করতে হবে জ্বালানি স্বাধীনতা’’, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    PM Modi: ‘‘আত্মনির্ভর ভারত গড়তে অর্জন করতে হবে জ্বালানি স্বাধীনতা’’, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানান, ভারতকে সত্যিকারের আত্মনির্ভরশীল দেশ হতে হলে আগে জ্বালানি স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, “আমরা জানি, আমাদের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে অনেক দেশের উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে গেলে, সর্বপ্রথম আমাদের জ্বালানি স্বাধীনতা (Energy Independence) অর্জন করতে হবে।” প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির জমানায় আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচি ব্যাপক সফল হয়েছে। দেশের তৈরি জিনিসপত্রের বিদেশে রফতানির পরিমাণ আগের থেকে বেড়েছে অনেক কিছুই। এবার লালকেল্লা থেকে মোদি বললেন জ্বালানি স্বাধীনতার কথা। সেই লক্ষ্যে ঘোষণা করলেন ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশনের।

    ১১ বছরে ভারতের সৌরশক্তির ক্ষমতা ৩০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে

    ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) উল্লেখ করেন, বিগত ১১ বছরে তাঁর শাসনকালে ভারতের সৌরশক্তির ক্ষমতা ৩০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা নতুন বাঁধ নির্মাণ করছি এবং ভারত এখন পারমাণবিক শক্তির ওপর সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এই দিকটিতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দশটি নতুন পারমাণবিক চুল্লি চালু হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন আমাদের লক্ষ্য হবে পারমাণবিক শক্তির ক্ষমতা ১০ গুণ বৃদ্ধি করা।

    ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশন

    এদিন লালকেল্লার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশন-এর কথাও ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “এই মিশনের মাধ্যমে ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। সমুদ্রের গভীরে খনন ও অনুসন্ধান প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে।” এই মিশন মূলত বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের গভীর জলে পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে সরকারি ও বেসরকারি—উভয় ক্ষেত্রের সংস্থাগুলি অংশ নেবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে ভারত যে পরিমাণ তেল বাইরে থেকে আমদানি করে, সেই নির্ভরতা অনেকটাই কমবে এবং আগামী দশকে দেশের নিজস্ব উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে (PM Modi)।

  • Operation Sindoor: “অপারেশন সিঁদুর ঐতিহাসিক”, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বললেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    Operation Sindoor: “অপারেশন সিঁদুর ঐতিহাসিক”, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বললেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu) ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের এক ‘ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত’ হিসেবে বর্ণনা করলেন। তিনি বলেন, এই অপারেশন (Operation Sindoor) প্রমাণ করেছে যে দেশের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনও পরিস্থিতিতে দেশের সুরক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। রাষ্ট্রপতি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, গত এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে যে নৃশংস সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিরীহ ভারতীয় প্রাণ হারান, তা ছিল এক কাপুরুষোচিত আঘাত। সেই ঘটনার পর ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল ‘দৃঢ় ও সঠিক’—এমনটাই মন্তব্য করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি মানবতার পক্ষে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক স্পষ্ট ও দৃঢ় বার্তা। এই অভিযান ইতিহাসে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

    অপারেশন সিঁদুর আসলে আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর গোটা দেশ একসঙ্গে দাঁড়িয়ে যে ঐক্য দেখিয়েছে, তা ভারতের শক্তির প্রমাণ। যারা আমাদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করেছিল, তাদের এটাই ছিল উপযুক্ত উত্তর।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব এখন বুঝতে পেরেছে যে ভারত কখনও আগ্রাসী নয়, তবে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষায় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না।” রাষ্ট্রপতির মতে, “অপারেশন সিঁদুর আসলে আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক (Operation Sindoor)।” তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, “এই অভিযানের সাফল্য দেখিয়ে দিয়েছে, আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি।”

    পহেলগাঁওয়ে হামলা

    প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ঘটে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ৭ মে ভারত চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’। অভিযানে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে চালানো হয় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা (Operation Sindoor)। ভারতীয় বায়ুসেনার নিখুঁত স্ট্রাইকে নিহত হয় একশোরও বেশি জঙ্গি। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান জম্মু-কাশ্মীরের নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালায় ড্রোন ও মিসাইল হামলা, কিন্তু ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তা সফলভাবে প্রতিহত করে। শুধু তাই নয়, ভারত পাল্টা আঘাত হানে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বিমান ঘাঁটিতে। এই অভিযানে ভারতের স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির কার্যকারিতা বিশ্বের সামনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ‘ব্রহ্মোস’-এর মতো অস্ত্র ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা এই অভিযান (Operation Sindoor) সম্পন্ন করে।

  • Cloudburst: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভূ-স্বর্গে হড়পা বান, উদ্ধার ৪৬ দেহ, আরও প্রাণহানির আশঙ্কা

    Cloudburst: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভূ-স্বর্গে হড়পা বান, উদ্ধার ৪৬ দেহ, আরও প্রাণহানির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে (Cloudburst) ভয়াবহ হড়পা বানের ছবি দেখা গিয়েছিল। এবার সেই একই ধারা দেখা গেল জম্মু ও কাশ্মীরেও। কিস্তওয়ার জেলায় প্রবল বৃষ্টির ফলে হড়পা বান নেমে এসেছে, যার ফলে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দুই সিআইএসএফ জওয়ানও। আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা, পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কিস্তওয়ারের (Kishtwar) পুলিশ কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৪৬টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।

    শোক প্রকাশ মোদির (Cloudburst)

    প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডলে তিনি জানিয়েছেন, গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ইতিমধ্যেই আগামীকাল স্বাধীনতা দিবসের নির্ধারিত সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে, পতাকা উত্তোলন, মার্চ পাস্ট ও ভাষণের মতো কর্মসূচি নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই হবে বলে জানিয়েছেন তিনি (Cloudburst)।

    হড়পা বানের সময় চলছিল উৎসব

    লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা উদ্ধার কাজে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছেন এবং দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তিনি। কিস্তওয়ারের ডেপুটি কমিশনার পঙ্কজ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, চাসোতি গ্রামে হড়পা বান নেমে আসে। এই গ্রাম থেকেই ‘মচৈল মাতা যাত্রা’ শুরু হয়। হড়পা বানের সময় বহু পুণ্যার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে যাত্রাটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে (Cloudburst) ।

    কী বলছেন স্থানীয় বিধায়ক সুনীল কুমার শর্মা

    স্থানীয় বিধায়ক সুনীল কুমার শর্মা জানিয়েছেন, একাধিক প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা সেনা, পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে (Kishtwar) দ্রুত ও সমন্বিতভাবে উদ্ধার কার্য পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে, ৫ অগাস্ট উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর ধরালী ও হর্ষিল গ্রামেও ভয়াবহ হড়পা বান নেমেছিল। সেই দুর্যোগে ধরালীর অধিকাংশ অংশ পাথর ও কাদার নিচে চাপা পড়ে যায়। উত্তরাখণ্ডের ওই ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে (Cloudburst) ।

  • PM Modi: “বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও হল আরএসএস”, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও হল আরএসএস”, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর ভাষণে উঠে আসে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর ভূয়সী প্রশংসা (RSS)। তিনি বলেন, “আজ অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করতে চাই—১০০ বছর আগে যে সংগঠনের জন্ম হয়েছিল, সেটি হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। বিগত ১০০ বছর ধরে এই সংগঠন সেবামূলক কাজ করে চলেছে। এটি ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবময় ও সোনালি অধ্যায়। চরিত্র গঠনের মাধ্যমে জাতি গঠনের সংকল্প নিয়েই পরিচালিত হয় এই সংগঠন।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনিয়ে লালকেল্লায় ১২ বার ভাষণ দিলেন। তিনি নিজেও একজন আরএসএস প্রচারক। ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীতে ১০০ বছরে পা দিচ্ছে আরএসএস। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ১০ লক্ষেরও বেশি স্বয়ংসেবক নিজেদের সমর্পণ করেছেন (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, “মাতৃভূমির সেবার লক্ষ্যে ১০ লক্ষেরও বেশি স্বয়ংসেবক সম্পূর্ণভাবে নিজেদের সমর্পণ করেছেন। দেশের উন্নতি ও মাতৃভূমির কল্যাণের জন্য তাঁরা আত্মনিবেদিত।” তিনি বলেন, “সেবা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অন্যতম বড় বৈশিষ্ট্য। এক অর্থে বলা যায়, আরএসএস বিশ্বের বৃহত্তম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর ইতিহাস নিঃস্বার্থ সেবার এক শতাব্দীর সাক্ষ্য বহন করে।”

    সরকার গঠন করলেই জাতি গঠিত হয় না

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কথায়, “কেবলমাত্র সরকার গঠন করলেই জাতি গড়ে ওঠে না। এর পেছনে থাকে লক্ষ লক্ষ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা—ঋষি, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, কৃষক, যুবক, সৈনিক, শ্রমিক—সবার অবদানে গড়ে ওঠে এক শক্তিশালী দেশ। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, উভয়ের অবদানেই নির্মিত হয় জাতির ভিত্তি।”  প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “আজ লালকেল্লা থেকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেই সব নিঃস্বার্থ স্বয়ংসেবকদের, যারা গত এক শতকে দেশের সেবায় নিজেদের নিবেদিত করেছেন। দেশ গর্বিত এই শতবর্ষীয় আরএসএসের যাত্রাপথে এবং তাদের অবদানে।”

  • Ramakrishna 441: আত্মীয় হতে যিনি পরম আত্মীয়, তাঁর উপর অভিমান না করলে আর কাদের উপর করবেন?

    Ramakrishna 441: আত্মীয় হতে যিনি পরম আত্মীয়, তাঁর উপর অভিমান না করলে আর কাদের উপর করবেন?

    লোকের খোসামোদ করে বেড়ান কলকাতা থেকে। তাদের গাড়ি করে আনতে গৃহস্থ ভক্তদের সর্বদা বলেন— ‘ওদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়াও, তাহলে তোমাদের ভালো হবে।’ একে মায়া নয়, স্নেহ নয়— বিশুদ্ধ ঈশ্বরপ্রেম। মাটির প্রতিমাতে যতভাবে ষোড়শ উপাচারে ঈশ্বরের পূজা ও সেবা হয়, আর শুদ্ধ নরদেহে কি হতে পারে না? তাছাড়া এরাই ভগবানের প্রত্যেক লীলার সহায়, জন্মে জন্মে সাঙ্গোপাঙ্গ।
    নরেন্দ্রকে দেখতে দেখতে বাহ্যজগৎ ভুলে গেলেন, ক্রমে ‘দেহী’ নরেন্দ্রকে ভুলে গেলেন। বাহ্যিক মানুষকে ভুলে, ‘প্রকৃত মানুষ’-কে দর্শন করিতে লাগলেন।
    অখণ্ড সচ্চিদানন্দে মন লীন হইলো। যাকে দর্শন করে কখনো অবাক, স্পন্দনহীন হয়ে চুপ করে থাকেন, কখনো বা ‘ওম ওম’ বলেন, কখনো বা ‘মা মা’ করে পালকের মতো ডাকেন।
    নরেন্দ্রর ভিতর তাঁকে (ঈশ্বরকে) বেশি প্রকাশ পেতে দেখেন। ‘নরেন্দ্র নরেন্দ্র’ করে পাগল!
    নরেন্দ্র অবতার মানেন নাই— তাঁর আর কী হয়েছে? ঠাকুরের দিব্য চক্ষু! তিনি দেখলেন যে এ অভিমান হতে পারে, তিনি যে বড় আপনার লোক! তিনি যে আপনার মা পাতানো, মাথানত— তিনি কেন বুঝিয়ে দেন না? তিনি দপ করে আলো জ্বেলে দেন না!

    তাই বুঝি ঠাকুর বলেছিলেন—
    “মান কয়েলই তো কয়েলি, আমরাও তোর মানে আছি।”
    আত্মীয় হতে যিনি পরম আত্মীয়, তাঁর উপর অভিমান না করলে আর কাদের উপর করবেন?

    ধন্য নরেন্দ্রনাথ!
    তোমার উপর এই পুরুষোত্তমের (ঠাকুরের) এত ভালোবাসা!
    তোমাকে দেখেই এত সহজে ঈশ্বরচিন্তার উদ্দীপনা জাগে।

    এইরূপ ভাবনাচিন্তা করতে করতে গভীর রাত্রে, শ্রীরামকৃষ্ণকে স্মরণ করতে করতে ভক্তেরা গৃহে প্রত্যাবর্তন করছিলেন।

    ১৮৮৫ সালের ৬ এপ্রিল।
    স্থান: বলরাম মন্দির। সময়: দুপুর তিনটে।
    চৈত্র মাসের তীব্র রৌদ্র।

    শ্রীরামকৃষ্ণ বলরামের বৈঠকখানায় কয়েকজন অন্তরঙ্গ ভক্তের সঙ্গে বসিয়া আছেন।
    মাস্টারমশাই উপস্থিত। কথোপকথন চলছে। ভক্তির কথা ঘিরে। এই দিনটি—সোমবার, ১৮৮৫ সালের ৬ এপ্রিল, বাংলা ১২৯১ সালের চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথি।
    ঠাকুর তখন কলকাতার ভক্তমন্দিরে এসেছেন।
    সেখান থেকে পরে যাবেন ফণি গোস্বামীর গলির দেবেন্দ্রর বাড়িতে।

  • Daily Horoscope 15 August 2025: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 15 August 2025: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Daily Horoscope 14 August 2025: বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 14 August 2025: বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    বৃষ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণা জন্মাতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ সংযত রাখুন।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই খরচ বার বার হবে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) রক্তাল্পতায় ভুগতে পারেন।

    ২) কোনও মহিলার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    ধনু

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 440: গৃহস্থ ভক্তদের সর্বদা বলেন— ওদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়াও, তাহলে তোমাদের ভালো হবে

    Ramakrishna 440: গৃহস্থ ভক্তদের সর্বদা বলেন— ওদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়াও, তাহলে তোমাদের ভালো হবে

    “পরিত্রাণায় সাধুনাং, বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম, ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবানি যুগে যুগে। কি ভালোবাসা! নরেন্দ্রর জন্য পাগল, নারায়ণের জন্য ক্রন্দন। বলতেন, “এরা ও অন্যান্য ছেলেরা—রাখাল, ভবনাথ, পূর্ণ, বাবু—মিথ্যে নয়, এরা সাক্ষাৎ নারায়ণ। আমার জন্য দেহধারণ করে এসেছে।” এই প্রেম তো মানুষের জ্ঞানের নয়, এ প্রেম ঈশ্বরপ্রেম।

    ছেলেরা শুদ্ধ আত্মা। স্ত্রীলোক অন্যভাবে স্পর্শ করেনি, বিষয়কর্ম করেনি। এদের লোভ, অহংকার, হিংসা ইত্যাদির স্ফূর্তি হয়নি। তাই ছেলেদের ভিতর ঈশ্বরের বেশি প্রকাশ। কিন্তু এ দৃষ্টি কার ছিল? ঠাকুরের। অন্তর্দৃষ্টি। সমস্ত দেখেছেন, দেখছেন। এ বিষয়ে সত্য, সরল, উদার, ঈশ্বরভক্ত। তাই এরূপ ভক্ত দেখলে—“এই সাক্ষাৎ নারায়ণ” বলে সেবা করেন। তাদের নাম, তাদের দেখিবার জন্য কাঁদেন। কলকাতায় ছুটে ছুটে যান।

    লোকের খোসামোদ করে বেড়ান কলকাতা থেকে। তাদের গাড়ি করে আনতে গৃহস্থ ভক্তদের সর্বদা বলেন— ‘ওদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়াও, তাহলে তোমাদের ভালো হবে।’ একে মায়া নয়, স্নেহ নয়— বিশুদ্ধ ঈশ্বরপ্রেম। মাটির প্রতিমাতে যতভাবে ষোড়শ উপাচারে ঈশ্বরের পূজা ও সেবা হয়, আর শুদ্ধ নরদেহে কি হতে পারে না? তাছাড়া এরাই ভগবানের প্রত্যেক লীলার সহায়, জন্মে জন্মে সাঙ্গোপাঙ্গ।
    নরেন্দ্রকে দেখতে দেখতে বাহ্যজগৎ ভুলে গেলেন, ক্রমে ‘দেহী’ নরেন্দ্রকে ভুলে গেলেন। বাহ্যিক মানুষকে ভুলে, ‘প্রকৃত মানুষ’-কে দর্শন করিতে লাগলেন।
    অখণ্ড সচ্চিদানন্দে মন লীন হইলো। যাকে দর্শন করে কখনো অবাক, স্পন্দনহীন হয়ে চুপ করে থাকেন, কখনো বা ‘ওম ওম’ বলেন, কখনো বা ‘মা মা’ করে পালকের মতো ডাকেন।
    নরেন্দ্রর ভিতর তাঁকে (ঈশ্বরকে) বেশি প্রকাশ পেতে দেখেন। ‘নরেন্দ্র নরেন্দ্র’ করে পাগল!
    নরেন্দ্র অবতার মানেন নাই— তাঁর আর কী হয়েছে? ঠাকুরের দিব্য চক্ষু! তিনি দেখলেন যে এ অভিমান হতে পারে, তিনি যে বড় আপনার লোক! তিনি যে আপনার মা পাতানো, মাথানত— তিনি কেন বুঝিয়ে দেন না? তিনি দপ করে আলো জ্বেলে দেন না!

  • Sonia Gandhi: নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন সোনিয়া, বিস্ফোরক দাবি অমিত মালব্যর

    Sonia Gandhi: নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন সোনিয়া, বিস্ফোরক দাবি অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে মিথ্যাচার করছেন রাহুল গান্ধীরা। এই প্রেক্ষাপটে বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তিনি সরাসরি কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন—সোনিয়া গান্ধী নাগরিকত্ব না পাওয়ার আগেই কারচুপি করে নিজের নাম দু’বার ভারতের ভোটার তালিকায় নিবন্ধন করেছিলেন। নিজের এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি আরও দাবি করেন, এ ধরনের কাজ জনগণ ও গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতারণা।

    নাগরিক না হয়েও ভারতের ভোটার হন সোনিয়া (Sonia Gandhi)

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ১৯৮০ সালের ভোটার তালিকার একটি প্রতিলিপি পোস্ট করেন, যা তিনি গান্ধী পরিবারের সদস্যদের নাম-সহ পুরনো ভোটার তালিকা বলে দাবি করেন। ওই তালিকায় সোনিয়া গান্ধীর নামও দেখা যায়। অমিত মালব্য লেখেন, “ভারতের ভোটার তালিকায় সোনিয়া গাঁধীর নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়া ছিল সম্পূর্ণ বেআইনি ও নির্বাচনী বিধির পরিপন্থী। আজ রাহুল গাঁধী যে ভাবে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন, তার পেছনে হয়তো সেই পুরনো ঘটনা জড়িত।”

    ১৯৮০ সালে নাম তোলা হয় সোনিয়ার, তখনও তিনি নাগরিক নন

    অমিতের অভিযোগ, ১৯৮০ সালে প্রথমবার ভারতের ভোটার তালিকায় সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) নাম তোলা হয়, অথচ তিনি তখনও ভারতের নাগরিক ছিলেন না। তিন বছর পরে, ১৯৮৩ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। মালব্যর বক্তব্য, ওই সময় সোনিয়া গান্ধী ইতালির নাগরিক ছিলেন এবং নাগরিকত্ব না থাকা সত্ত্বেও তাঁর নাম ভোটার তালিকায় তোলা আইন লঙ্ঘনের শামিল। এমনকি ১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রকাশিত সংশোধিত ভোটার তালিকাতেও তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে দাবি করেন তিনি।

    একই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও

    রাজীব গান্ধীর সঙ্গে বিয়ের ১৫ বছর পর সোনিয়া গান্ধী কেন ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অমিত মালব্য। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। একইসঙ্গে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেছেন যে সোনিয়া গান্ধী ১৯৪৬ সালে ইতালিতে জন্মগ্রহণকারী সোনিয়া মাইনো, ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত, ভারতীয় নাগরিক হওয়ার এক বছর আগেই তালিকায় তাঁর নাম যুক্ত করা হয়েছিল।

    ১৯৪৬ সালে সোনিয়া গান্ধীর জন্ম হয় ইটালিতে

    মালব্যর পোস্টে সফদরজং রোডের ১৪৫ নম্বর বুথের তালিকার ছবি দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সঞ্জয় গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং মানেকা গান্ধীর নাম রয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালে সোনিয়া গান্ধীর জন্ম হয় ইটালিতে। ১৯৬৮ সালে রাজীব গান্ধীকে বিয়ে করে ভারতে আসেন। ভারতের রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্ট ১৯৫০ অনুযায়ী ভারতের নাগরিক নন এমন কারোর নাম ভোটার তালিকায় থাকতে পারবে না। সেই আইন ভাঙা হয়েছে।

    ১৯৮২ সালে নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়

    বিজেপির দাবি, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর শাসনকালে, যখন গোটা গান্ধী পরিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বসবাস করছিল, সেই সময়েই সোনিয়া গান্ধীর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে ১৯৮২ সালে সেই নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়। পরে, ১৯৮৩ সালে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার পর ফের তাঁর নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হয়।

    বেআইনিভাবেই নাম তোলা হয় সোনিয়ার (Sonia Gandhi)

    তবে অমিত মালব্যর অভিযোগ, তখনও জালিয়াতি হয়েছিল। তাঁর দাবি অনুযায়ী, ১৯৮৩ সালের সংশোধিত ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির শেষ তারিখ ছিল ১ জানুয়ারি, অথচ সোনিয়া গান্ধী নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন ওই বছরের ৩০ এপ্রিল। ফলে, নাগরিক না হয়েও তাঁর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে দাবি বিজেপি নেতার।

    রাহুলদের মিথ্যাচারের মধ্যেই বিস্ফোরক দাবি বিজেপির

    নির্বাচন কমিশনের “বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা” (Special Intense Revision) দেশজুড়ে চালু করার ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যেই তা বাস্তবায়িত হয়েছে বিহারেও। এই প্রেক্ষাপটে, বিরোধী দলগুলিকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে। তারা একাধিক অভিযোগ তুলছেন। যার বেশিরভাগই ভিত্তিহীন। ইন্ডি জোটের রাহুলরা একদিকে যেমন ভোট চুরির অভিযোগ করছেন, আবার অন্যদিকে এই এসআইআর-এর (SIR) বিরোধিতাও করছেন। প্রশ্ন উঠছে—যদি সত্যিই ভোট চুরি হয়ে থাকে, তবে তার প্রতিকার তো এসআইআরই, সেটারই বিরোধিতা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন তারা। একই সঙ্গে, যদি তারা ভোট কারচুপির প্রকৃত অভিযোগ করেন, তাহলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না কেন? এই আবহে সোনিয়ার ভোটার তালিকায় নাম তোলায় কারচুপি সামনে আসায় বেশ অস্বস্তিতে কংগ্রেস।

    বড় ধাক্কা ইন্ডি জোটের

    প্রসঙ্গত, সোনিয়া গান্ধী দীর্ঘদিন ধরে ইউপিএ সরকারের চেয়ারপার্সন ছিলেন। তাঁকে কংগ্রেসের ‘অন্তরাত্মা’ কিংবা ‘সর্বেসর্বা’ বলেও অভিহিত করা হতো। সেই প্রেক্ষাপটে, যখন তাঁর বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় নাম কারচুপি করে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে, তখন ওয়াকিবহাল মহলে প্রশ্ন উঠেছে—তাঁদের আন্দোলনের নৈতিকতা আদৌ কি বজায় থাকল?সোনিয়া গান্ধীর নাম নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় তোলা হয়েছে—এই অভিযোগ সামনে আসায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের জন্য এটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

LinkedIn
Share