Author: subhra-katwa

  • Operation Sindhu: মোদি সরকারের অপারেশন সিন্ধু! ইরান থেকে দেশে ফিরলেন ১১০ পড়ুয়া

    Operation Sindhu: মোদি সরকারের অপারেশন সিন্ধু! ইরান থেকে দেশে ফিরলেন ১১০ পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিন্ধুর (Operation Sindhu) মাধ্যমে ইরান থেকে ১১০ ভারতীয় পড়ুকে নিয়ে আসা বিমান সফলভাবে অবতরণ করল দিল্লিতে। এর মাধ্যমে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করা পরিবারগুলির মুখে ফুটে উঠল এক স্বস্তির হাসি। জানা যাচ্ছে, ইরান থেকে যে ১১০ জন পড়ুয়াকে উড়িয়ে আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৯০ জনই জম্মু-কাশ্মীরের ছাত্র-ছাত্রী।

    কী বলছেন পড়ুয়া আমন আজাহার

    ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার আবহে ইরানের আকাশপথ বন্ধ (Operation Sindhu)। সে কারণেই পড়ুয়াদের আর্মেনিয়া সীমান্ত দিয়ে পার করানো হয়েছে। ওই পড়ুয়াদের মধ্যে অন্যতম হলেন আমন আজাহার। দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পরে তিনি নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি খুবই খুশি। আমি কতটা খুশি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। অবশেষে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারলাম। ইরানের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সেখানকার বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরাও খুব কষ্টের মধ্যে আছে। যুদ্ধ কখনও কোনও কিছুর সমাধান হতে পারে না, এটা মানবতাকেই ধ্বংস করে।”

    কী বলছেন এক অভিভাবক?

    ওই পড়ুয়াদের পরিবারের সদস্যরা (Operation Sindhu) দিল্লি বিমানবন্দরে, সরকারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং প্রশংসা করেন। কোটা থেকে আসা এক অভিভাবক, যিনি তাঁর ছেলেকে নিতে এসেছিলেন, সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমার ছেলে সেখানে এমবিবিএস পড়ছে। আর্মেনিয়া সীমান্ত দিয়ে এসে ফিরতে পেরেছে। ভারত সরকার বিশেষ বিমান পাঠিয়েছিল। আমি খুবই খুশি যে আমার ছেলে বাড়ি ফিরতে পেরেছে। আমি এজন্য ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।” একই সঙ্গে ওই অভিভাবক ভারতীয় দূতাবাসের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে ইরানে যে সমস্ত পড়ুয়া এখনও রয়ে গেছেন, তাঁদের যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। জানা যাচ্ছে ইরানে বর্তমানে ১৩ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছেন।

    ইরানে থাকা নাগরিকদের জন্য দিল্লির নির্দেশ (Operation Sindhu)

    প্রসঙ্গত, ইজরায়েল এবং ইরানের (Iran) মধ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ভারত সরকার ইরানে থাকা নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং একাধিক নির্দেশ জারি করেছে। ভারত সরকার অনুরোধ করেছে, ইরানে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিক, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং ছাত্র-ছাত্রীরা যেন ভারতীয় দূতাবাসের সামাজিক মাধ্যম চ্যানেলে দেওয়া আপডেটগুলি নিয়মিতভাবে অনুসরণ করেন।নয়া দিল্লির এই অনুরোধ ও উদ্যোগের ফলেই ইরান (Iran) থেকে নিরাপদভাবে ১১০ জন পড়ুয়া দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন।

  • Ramakrishna 384: শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রকে বলিলেন, বাবা কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ না হলে হবে না

    Ramakrishna 384: শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রকে বলিলেন, বাবা কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ না হলে হবে না

    (পূর্বকথা- হৃদয় মুখুজ্জের হাঁকডাক- ঠাকুরের সত্ত্বগুণের অবস্থা)

    নরেন্দ্র- গিরিশ ঘোষ এখন কেবল এইসব চিন্তাই করে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- সে খুব ভালো। তবে এত গালাগাল, মুখ খারাপ করে কেন? সে অবস্থা আমার নয়। বাজ পড়লে ঘরের মোটা জিনিস তত নড়ে না কিন্তু সারসি ঘটঘট করে। আমার সেই অবস্থা নয়, সত্ত্ব গুণের অবস্থায় হৈচৈ হয় না। হৃদয় তাই চলে গেল। মা রাখলেন না শেষা শেষি। আমায় গালাগালি দিত। হাঁকডাক করত।

    নরেন্দ্র- আমি কিছু বলি নাই, তিনিই বলেন, তাঁর অবতার বলে বিশ্বাস। আমি আর কিছু বললাম না।

    শ্রী রামকৃষ্ণ- কিন্তু খুব বিশ্বাস দেখেছিস।

    ভক্তেরা এক দৃষ্টি দেখিতেছেন। ঠাকুর নিচেই মাদুরের উপর বসিয়া আছেন। কাছে মাস্টার, সম্মুখে নরেন্দ্র, চতুর্দিকে ভক্তগণ। ঠাকুর একটু চুপ করিয়া নরেন্দ্রকে সস্নেহে দেখিতেছেন। পরে নরেন্দ্র কে বলিলেন, বাবা কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ না হলে হবে না। বলিতে বলিতে ভাব পূর্ণ হইয়া উঠিলেন। সেই করুনামাখা সস্নেহ দৃষ্টি তাহার সঙ্গে ভাবন্মোত্ত হইয়া গান ধরিলেন-

    কথা বলতে ডরাই না বললেও ডরাই
    মনের সন্দেহ হয় পাছে তোমাধনে হারাই হারাই।।
    আমরা জানি যে মন-তোর দিলাম তোকে
    সেই মন্তর এখন মন্তর
    আমরা যে মন্ত্রে বিপদে তরি ডরাই।।

    শ্রীরামকৃষ্ণের ভয়, বুঝি নরেন্দ্র আর কাহারও হইল। আমার বুঝি হল না। নরেন্দ্র অশ্রুপূর্ণ লোচনে চাহিয়া আছেন। বাইরের একটি ভক্ত ঠাকুরকে দর্শন করিয়া আসিয়াছিলেন। তিনিও কাছে বসে সমস্ত দেখিতেছিলেন।

    ভক্ত- মহাশয় কামিনী কাঞ্চন যদি ত্যাগ করতে হবে। তবে গৃহস্থ কি করবে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ- তা তুমি করো না, আমাদের অমনি একটা কথা হয়ে গেল।

  • Daily Horoscope 19 June 2025: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 19 June 2025: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কর্কট

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    সিংহ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    কন্যা

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মকর

    ১) দূর দেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    ২) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল মধ্যে যুদ্ধ ক্রমশই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। এই আবহে দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম পথ হরমুজ প্রণালি নিয়ে আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ইরান বন্ধ করে দিতে পারে হরমুজ প্রণালি। এই হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) উত্তরে রয়েছে ইরান, দক্ষিণে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।

    ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত হল হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz)

    হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর সংযুক্ত হয় এবং পরে এর মাধ্যমে তা আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়। হরমুজ প্রণালি মাত্র ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত, তবে জাহাজের জন্য প্রকৃত নাব্য চ্যানেলটি মাত্র কয়েক কিলোমিটারই প্রশস্ত রয়েছে। এই কারণেই এই অঞ্চল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। হরমুজ প্রণালির কাছে অবস্থিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর রয়েছে। এগুলি হল—ইরানের আব্বাস বন্দর, এই বন্দর মূলত একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ কেন্দ্র। হরমুজ প্রণালির কাছাকাছি রয়েছে ওমানের সোহার বন্দর, এই বন্দর বাণিজ্য তথা জাহাজের রুট বদলের জন্য ব্যবহৃত হয়। হরমুজ প্রণালিতে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ফুজাইরা বন্দর, এই বন্দরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ এবং জাহাজ বন্দর হিসেবে পরিচিত।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন যায় বিশ্বের পাঁচ ভাগের একভাগ তেল

    হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) মাধ্যমেই আশেপাশের বেশিরভাগ উপসাগরীয় দেশ তেল ও গ্যাস রফতানি করে। এই কারণে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রণালি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ তেল প্রতিদিন (১ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি) এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো উৎপাদক দেশগুলি থেকে জ্বালানির রফতানির অন্যতম প্রধান জাহাজপথ হল এই প্রণালি।

    ভারতের ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন (EIA) যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২০.৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল এই সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালির জলপথ দিয়েই যায়। এর ৮৩ শতাংশই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারের জন্য নির্ধারিত। ভারতের (India) ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই। তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে তা দেশের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ। বিপুলভাবে বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম। এই হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) বন্ধ হলে ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর ফলে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে তেলের দামে। শুধু তেল নয়, এই পথেই কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে ভারত। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানিও বন্ধ হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে ভারতের রফতানি (Strait of Hormuz)

    অন্যদিকে, এই পথ (Strait of Hormuz) দিয়ে ভারত রফতানিও করে অনেক কিছু। যেমন যন্ত্রপাতি, বস্ত্র, গয়না, রাসায়নিক ইত্যাদি। যার ফলে এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হতে পারে। একইসঙ্গে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয় এবং তার সঙ্গে তেলের দাম বাড়ে, তাহলে বিমান সংস্থা ও টায়ার শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতের টাকাও ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়বে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে তখন আর্থিক নীতি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হতে হবে, বিশেষ করে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। অর্থাৎ, হরমুজ প্রণালি যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী এর প্রভাব অনুভব করতে পারবে। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি মাসে সাংসারিক খরচও প্রতিটি পরিবারকে বেঁধে দিতে হবে, বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও।

    বিকল্প কী রয়েছে ভারতের কাছে?

    মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকেও তেল কেনে ভারত, তাই এগুলোই বিকল্প হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা অনেকটাই কম। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত এপ্রিল মাসে ভারত আফ্রিকার দেশগুলি থেকে ১২ শতাংশ তেল আমদানি করেছিল, গত মে মাসে সেটা কমে দাঁড়ায় ৫ শতাংশে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সংঘাত শুরু হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যদি হরমুজ প্রণালি সত্যিই বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে আফ্রিকার দেশগুলি থেকে তেল কেনার কথা ভারত (India) ভাববে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এখান থেকে তেল নিয়ে তেলের ঘাটতি কতটা মেটানো যাবে, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে সারাদেশে বর্তমানে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে এবং কৌশলগত মজুতও রয়েছে ৯.৫ দিনের তেল। তবে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে তেল নিয়ে ভাবতে হবে ভারতকে।

  • Cyber Suraksha: লক্ষ্য দেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার সুরক্ষা! একশোর বেশি সাইবার বিশেষজ্ঞকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের

    Cyber Suraksha: লক্ষ্য দেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার সুরক্ষা! একশোর বেশি সাইবার বিশেষজ্ঞকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার হুমকির মোকাবিলায় আরও প্রস্তুত হতে এবং দেশের সাইবার ইকোসিস্টেমকে (Digital Ecosystem) সুরক্ষিত ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এক বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ চলবে ১০ দিন, যার দায়িত্বে রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ ডিফেন্স সাইবার এজেন্সি। এই কর্মসূচির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘সাইবার সুরক্ষা’ (Cyber Suraksha)।

    কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য কী? (Cyber Suraksha)

    এমন কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল জাতীয় স্তরের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাইবার হুমকি প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানো। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের একশোরও বেশি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, যাঁরা প্রত্যেকেই সরাসরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।

    কী শেখানো হয় এই প্রশিক্ষণে? (Cyber Suraksha)

    এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণকারীদের (Digital Ecosystem) আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সাইবার হুমকি কীভাবে সনাক্ত ও প্রতিহত করতে হয়, তা হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে। এছাড়া জটিল সাইবার হুমকিগুলোর মোকাবিলা কীভাবে করতে হয়, তার ওপর জোর দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উন্নত প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার ব্যবহার নিয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

    দক্ষতা বৃদ্ধি পেল অংশগ্রহণকারীদের (Cyber Suraksha)

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রশিক্ষণের ফলে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যতে যে কোনও ধরনের সাইবার হামলার সময় আরও দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন। মনে করা হচ্ছে এমন প্রশিক্ষণের (Cyber Suraksha) ফলে দেশের সামরিক ও অসামরিক দুই ক্ষেত্রের ডিজিটাল ব্যবস্থা আরও বেশি সুরক্ষিত হবে।

    বাড়ছে সাইবার অপরাধ

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিয়মিতভাবেই আয়োজন করা হবে। কারণ বর্তমান বিশ্বের সাইবার পরিকাঠামো যত উন্নত হচ্ছে, ততই বাড়ছে সাইবার অপরাধ ও হুমকির সম্ভাবনা। ভারতের ক্ষেত্রেও সাইবার সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এমন কর্মসূচি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Daily Horoscope 18 June 2025: চাকরিতে সুখবর আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 18 June 2025: চাকরিতে সুখবর আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) কোনও ভয় আপনাকে হতবুদ্ধি করে ফেলতে পারে।

    ২) আবেগের বশে কাজ করলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ২) মাত্রাছাড়া রাগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে বিরোধে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ২) আপনার রসিকতা অপরের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ২) ইচ্ছাপূরণ হওয়ার দিন।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ২) বাড়তি খরচের জন্য সংসারে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

     

     

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) শরীর খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 383: ঈশ্বরের জন্য গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে মরেছিস একথা বরং শুনব তবু কারও দাসত্ব করিস একথা যেন না শুনি

    Ramakrishna 383: ঈশ্বরের জন্য গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে মরেছিস একথা বরং শুনব তবু কারও দাসত্ব করিস একথা যেন না শুনি

    রাবণকে একজন বলেছিল, তুমি সব রূপ ধরে সীতার কাছে যাও। রামরূপ ধরো না কেন? রাবণ বললে, রামরূপ হৃদয় একবার দেখলে রম্ভা তিলোত্তমা এদের চিতার ভস্ম বলে বোধ হয়। ব্রহ্মপদ তুচ্ছ হয়। পরস্ত্রীর কথা তো দূরে থাক (Ramakrishna)।

    সব কলাইয়ের ডালের খদ্দের। শুদ্ধ আধার না হলে ঈশ্বরের শুদ্ধাভক্তি হয় না। এক লক্ষ্য হয় না, নানাদিকে মন থাকে।

    (নেপালি মেয়ে- ঈশ্বরের দাসী সংসারির দাসত্ব)

    শ্রী রামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মনমোহনের প্রতি)- তুমি রাগই করো আর যাই করো। রাখালকে বললাম ঈশ্বরের জন্য গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে মরেছিস একথা বরং শুনব তবু কারও দাসত্ব করিস একথা যেন না শুনি।

    নেপালের একটি মেয়ে এসেছিল। বেশ এসরাজ বাজিয়ে গান করলে হরিনাম গান। কেউ জিজ্ঞাসা করলে, তোমার বিবাহ হয়েছে? তা বললে আবার কার দাসী হব! এক ভগবানের দাসী আমি। কামিনী কাঞ্চনের ভিতর থেকে কী করে হবে। অনাসক্ত হওয়া বড় কঠিন (Ramakrishna)। একদিকে মেগের দাস, একদিকে টাকার দাস আর একদিকে মনিবের দাস। তাদের চাকরি করতে হয়।

    এক ফকির বনে কুটির করে থাকত। তখন আকবর শা দিল্লির বাদশা। ফকিরটির কাছে অনেকে আসত। অতিথি সৎকার করতে তার বড় ইচ্ছা হয়। একদিন ভাবলে যে টাকা কড়ি না হলে কেমন করে অতিথি সৎকার হয়। তবে যাই একবার আকবর শার কাছে (Ramakrishna)। সাধু ফকিরের অবারিত দ্বার। আকবর তখন নামাজ পড়ছিলেন। ফকির নামাজ ঘরে গিয়ে বসল। দেখলে আকবর শা নামাজের শেষে বলছে হে আল্লা ধন-দৌলত দাও! আরও কত কী! এই সময় নামাজের ঘর থেকে চলে যাবার উদ্যোগ করতে লাগল ফকির। আকবর শা ইশারা করে বসতে বললেন। নামাজ শেষ হলে বাদশা জিজ্ঞাসা করলেন আপনি এসে বসলেন, চলে যাচ্ছেন কেন? ফকির বললে সে আর মহারাজের জেনে কাজ নেই। আমি চললুম (Kathamrita)। বাদশা অনেক জিদ করাতে ফকির বললে, আমার ওখানে অনেকে আসে, তাই কিছু টাকা প্রার্থনা করতে এসেছিলাম। একবার বললে (Kathamrita) তবে যাচ্ছিলেন কেন? ফকির বলে যখন দেখলাম তুমিও ধন দৌলতের ভিখারি। তখন মনে করলাম যে ভিখারির কাছে চেয়ে আর কী হবে? চাইতে হয়ত আল্লার কাছে চাইব।

  • Indian Railway: বাঁধা হল ‘ওয়েটিং লিস্ট’-এর সংখ্যা, জালিয়াতি রুখতে নয়া পদক্ষেপ রেলের, চালু ১ জুলাই থেকে

    Indian Railway: বাঁধা হল ‘ওয়েটিং লিস্ট’-এর সংখ্যা, জালিয়াতি রুখতে নয়া পদক্ষেপ রেলের, চালু ১ জুলাই থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর লম্বা হবে না ট্রেনের (Indian Railway) ওয়েটিং লিস্ট। এবার ভারতীয় রেল বেঁধে দিল এই বিষয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যা। সাধারণত দূরপাল্লা বা মাঝারি দূরত্বে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা অনেক আগেই টিকিট কাটেন। রেলের (Railway) নিয়ম অনুযায়ী, দুই মাস আগে থেকেই সংরক্ষিত টিকিট কাটার সুযোগ পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, বুকিং শুরুর কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনের মধ্যেই টিকিট একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়।

    কত টিকিট কাটা যাবে?

    এবার আর ইচ্ছেমতো টিকিট কাটা যাবে না (Indian Railway)। নির্দিষ্ট করে দিয়েছে ভারতীয় রেল, ওয়েটিং লিস্টে কত টিকিট কাটা যাবে। ভারতীয় রেলের তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, যে কোনও শ্রেণির কামরায়, সে স্লিপার হোক বা এসি মোট আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ টিকিট ওয়েটিং লিস্টে কাটা যাবে। তৎকাল টিকিটের (Indian Railway) ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম চালু হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। রেলসূত্রের খবর, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে।

    দালাল চক্র রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত

    তবে কেন এই নিয়ম চালু করা হচ্ছে? এ বিষয়ে ভারতীয় রেল জানিয়েছে, ট্রেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেক এজেন্ট মোটা টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের জন্য ওয়েটিং লিস্টের টিকিট কেটে দেন। আবার অনেক সময় দেখা যায়, সেই টিকিট নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনাই প্রায় থাকে না। এই দালালচক্রের মোকাবিলা করতেই এবার ওয়েটিং লিস্ট সীমিত করা হচ্ছে। সাধারণত অতীতে ওয়েটিং লিস্টে কত টিকিট কাটা যেতে পারে, এই নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা ছিল না। কোথাও ৩০০, কোথাও আবার ৪০০ পর্যন্ত ওয়েটিং লিস্টে টিকিট কাটা যেত। তবে এবার তা আর সম্ভব হবে না। জালিয়াতি ঠেকাতে আরও কিছু পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)।

    তৎকাল টিকিটে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক

    তৎকাল টিকিট কাটার নিয়মেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। রেলের অধীনস্থ সংস্থা আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে তৎকাল টিকিট কাটতে হলে যাত্রীদের আধার কার্ড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ তৎকাল টিকিট (Railway) কাটতে গেলে এবার আধার কার্ড লাগবেই। আগামী ১ জুলাই থেকেই চালু হচ্ছে এই নতুন নিয়ম। শুধু অনলাইনের ক্ষেত্রেই নয়, স্টেশনের কাউন্টারে গিয়েও যাঁরা তৎকাল টিকিট কাটবেন, তাঁদেরও আধার কার্ড দেখাতে হবে।

  • Netanyahu: ‘‘আয়াতুল্লা খতম হলে তবেই থামবে যুদ্ধ’’, হুঙ্কার নেতানিয়াহুর, ইহুদি দেশের ভয়ে কাঁপছে ইরান

    Netanyahu: ‘‘আয়াতুল্লা খতম হলে তবেই থামবে যুদ্ধ’’, হুঙ্কার নেতানিয়াহুর, ইহুদি দেশের ভয়ে কাঁপছে ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান (Iran) ও ইজরায়েলের মধ্যে  যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। টানা চার দিন ধরে চলছে হামলা ও পাল্টা হামলা। এই সংঘাতের আবহে রবিবার ইজরায়েলের হামলায় নিহত হন ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের গোয়েন্দা প্রধান মহম্মদ কাজেম। এর মধ্যেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Netanyahu) হুঁশিয়ারির মধ্য দিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি সরাসরি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনেইকে হত্যার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর মতে, আয়াতুল্লা আলি খামেনেইকে হত্যা করা হলেই যুদ্ধ শেষ হবে। সূত্রের খবর, বর্তমানে খামেনেই কোনও এক অজানা জায়গায় নিরাপদ বাঙ্কারে লুকিয়ে রয়েছেন।

    খামেনেই হচ্ছেন ইরানের উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু

    মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘এবিসি’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, ইজরায়েল কি খামেনেইকে নিশানা করতে পারে? জবাবে তিনি (Netanyahu) বলেন, ‘‘যা করতে হবে, আমরা তাই করছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘খামেনেই হচ্ছেন ইরানের উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু। তাঁকে সরাতে পারলে এই সংঘাত শেষ হবে।’’

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

    জানা যাচ্ছে, ইজরায়েল আগেও ইরানের (Iran) সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনেইকে টার্গেট করতে চেয়েছিল কিন্তু সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই পরিকল্পনায় বাধা দেন। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে ট্রাম্প প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছিলেন, “ইরান কি এখনও কোনও আমেরিকানকে হত্যা করেছে? এর উত্তর হল, না। তাই, যতক্ষণ না তারা এধরনের কাজ করছে, আমরা ইরানের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিশানা করার কথাও ভাবছি না।”

    মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি ছড়িয়ে আসছে ইরান

    নেতানিয়াহুর (Netanyahu) মতে, ইরান দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি ছড়িয়ে আসছে। তাঁর কথায়, “গত পঞ্চাশ বছর ধরে এই শাসনব্যবস্থা গোটা অঞ্চলে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে। এরা সবাইকে ভয় দেখায়। এরা সৌদি আরবের আরামকো তেলক্ষেত্রে হামলা চালিয়েছে। এরা সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র আর ধ্বংসযজ্ঞ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিকে।” ইরানের হাতে পারমাণবিক বোমা গোটা বিশ্বের জন্য বিপদ বলে উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু। আমেরিকাকে বার্তা দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা শুধু আমাদের শত্রুর সঙ্গে নয়, আপনাদের শত্রুর সঙ্গেও লড়ছি। ওরা প্রকাশ্যে স্লোগান দেয়, ইজরায়েল ধ্বংস হোক, আমেরিকা ধ্বংস হোক। এই বিপদ খুব তাড়াতাড়ি আমেরিকাতেও পৌঁছাতে পারে।”

    নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি, চড়ছে উত্তেজনার পারদ

    নেতানিয়াহুর (Netanyahu) এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলেও বাড়ছে উদ্বেগ বাড়ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি ইজরায়েল সত্যিই খামেনেইকে লক্ষ্যবস্তু করে, তাহলে তা মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে। এতে শুধু ইরান ও ইজরায়েল নয়, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং মুসলিম দেশগুলিও জড়িয়ে পড়তে পারে। প্রসঙ্গত, আয়াতুল্লা খামেনেই ইরানের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর ওপর হামলা হলে সেটি শুধু একজন নেতার বিরুদ্ধে নয় পুরো ইরান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা বলে বিবেচিত হবে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর

    অন্যদিকে, ইজরায়েল লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইরানের উপর। ইহুদিদের চালানো এয়ারস্ট্রাইকে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় সরকারি সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে সরাসরি সম্প্রচার চলছিল। প্রসঙ্গত, ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সদর দফতরে হামলা চালানো হবে, এই হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। ইজরায়েল সরকারের তরফ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে যে, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সদর দফতর ধ্বংস হয়েছে। এর জেরে গোটা ইরানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ, এক ভিডিও বার্তায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তেহরানের নাগরিকদের উদ্দেশে আবেদন জানান, তাঁরা যেন দ্রুত শহর ছেড়ে দেন। এরপর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, তেহরানে লাগাতার এয়ারস্ট্রাইক চলবে।

    আতঙ্কিত ইরানবাসী

    হামলার ফলে তেহরানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, জরুরি অবস্থা জারির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সমস্ত বিদেশি দূতাবাসের দফতরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইরানে অবস্থানকারী ভারতীয় ছাত্রদের আর্মেনিয়া সীমান্ত দিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরানের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    ইরানের ১২০টিরও বেশি মিসাইল লঞ্চার ধ্বংস

    বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্র অনুযায়ী, ইজরায়েল এখন পর্যন্ত ইরানের ১২০টিরও বেশি মিসাইল লঞ্চার ধ্বংস করেছে। এই সংখ্যা ইরানের মোট মিসাইল লঞ্চারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইরান দাবি করেছে যে, তারা ইজরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়, বিশেষ করে তেল শোধনাগার ও বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর উপর হামলা চালিয়েছে। ইরান ও ইজরায়েলের এই সংঘাতের আবহে আকাশে বিস্ফোরণের ধোঁয়া পর্যন্ত দেখা গেছে। দুই দেশের এই যুদ্ধে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের হামলায় ইজরায়েলের ২৪ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর ইজরায়েলের হামলায় ইরানের ২২৪ জন নাগরিক মারা গেছেন।

  • PM Modi: ইজরায়েল-ইরান উত্তেজনার আবহে কানাডায় পা রাখলেন মোদি, যোগ দেবেন জি৭ সম্মেলনে

    PM Modi: ইজরায়েল-ইরান উত্তেজনার আবহে কানাডায় পা রাখলেন মোদি, যোগ দেবেন জি৭ সম্মেলনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) কানাডায় পৌঁছালেন। মঙ্গলবার সকালে ক্যালগারিতে অবতরণ করে তাঁর বিশেষ বিমান। ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিন দেশের সফরের অংশ হিসেবে রবিবার মোদি প্রথমে সাইপ্রাসে যান। সেখান থেকে এ দিন তিনি কানাডায় আসেন। এরপর তাঁর ক্রোয়েশিয়া সফর রয়েছে।

    আলবার্টার কানানাস্কিসে শুরু হচ্ছে জি৭ শীর্ষ সম্মেলন (G7 Summit)

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আলবার্টার কানানাস্কিসে শুরু হচ্ছে জি৭ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলন এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সংঘাত চলছে। বিশেষ করে ইজরায়েল-ইরান ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও অতিথি নেতা হিসেবে অংশ নিচ্ছেন এই সম্মেলনে।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর পরে প্রথম বিদেশ সফর

    এই সম্মেলন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সম্প্রতি মে মাসে পাকিস্তানে প্রয়োগ করা হয় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’। এর পর এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম আন্তর্জাতিক বৈঠক। কানাডায় থাকাকালীন মোদি (PM Modi) কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি-সহ জি৭ (G7 Summit) দেশের ও অন্যান্য আমন্ত্রিত দেশের নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    কোন কোন বিষয়ে আলোচনা

    মঙ্গলবার বিকেলে শুরু হতে চলা জি৭ সম্মেলনে তিনটি মূল বিষয়ে আলোচনা হবে—

    ১. মানবজাতির ও সমাজের নিরাপত্তা বজায় রাখা,
    ২. জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের গতি আনা
    ৩. শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গড়ে তোলা

    মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারাও এই সম্মেলনে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন। সম্মেলন শেষে, মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর আন্তর্জাতিক সফরের সেখানেই শেষ হবে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদি বর্তমানে চার দিনের বিদেশ সফরে রয়েছেন।

LinkedIn
Share