Author: subhra-katwa

  • Daily Horoscope 20 April 2025: বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 20 April 2025: বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি ও বিপুল অর্থপ্রাপ্তির যোগ।

    ২) গুরুজনের শরীর নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) দাম্পত্য কলহের কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় ফল নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) বাড়িতে অশান্তির সম্ভাবনা ও সেই কারণে আপনার মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদন্নোতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Daily Horoscope 19 April 2025: পেটের রোগ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 19 April 2025: পেটের রোগ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) শেয়ার বাজারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের রোগ বাড়তে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেখা দেবে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় সমস্যা ও খরচ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • UNESCO: ইউনেস্কোর রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ হল গীতা ও নাট্যশাস্ত্র, ‘গর্বের মুহূর্ত’ বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    UNESCO: ইউনেস্কোর রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ হল গীতা ও নাট্যশাস্ত্র, ‘গর্বের মুহূর্ত’ বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনেস্কোর (UNESCO) মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে (Memory of World Register) লিপিবদ্ধ করা হল হিন্দুদের অন্যতম ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবত গীতা এবং ভরত মুনি রচিত নাট্যশাস্ত্র। এই ঘটনাকে গর্বের মুহূর্ত বলে আখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, গতকালই ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ হয় ৭৪টি নতুন বিষয়। ইউনেস্কো জানিয়েছে, নতুন খোদাই করা সংগ্রহগুলির মধ্যে ১৪টি বৈজ্ঞানিক তথ্যচিত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই প্রাচীন বিষয়গুলির মধ্যে ছিল ভারতের এই দুই প্রাচীন শাস্ত্র। এর ফলে ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে মোট লিপিবদ্ধ সংগ্রহের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭০।

    এক্স মাধ্যমের পোস্টে কী লিখলেন নরেন্দ্র মোদি?

    নিজের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘‘সারা বিশ্বের ভারতীয়দের পক্ষে এটা একটা খুব গর্বের মুহূর্ত। গীতা এবং নাট্যশাস্ত্র ইউনেস্কোর (UNESCO) মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান পেয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের প্রাচীন ভারতের জ্ঞান এবং সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতিকে বহন করছে গীতা এবং নাট্যশাস্ত্র। এই দুটোই ভারতীয় সভ্যতাকে লালন-পালন করে আসছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। এখনও পর্যন্ত এই দুই গ্রন্থ বিশ্বকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে।’’ ইউনেস্কোর ডিরেক্টর জেনারেল অড্রে আজোলে ৭৪টি নতুন বিষয় ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান পাওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

    কী জানালেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি এবং পর্যটনমন্ত্রী গজেন্দর সিং শেখাওয়াত

    গীতা এবং নাট্যশাস্ত্রের এমন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির (UNESCO) বিষয়ে মতামত জানিয়েছেন দেশের সংস্কৃতি এবং পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। নিজের এক্স মাধ্যমের পোস্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এটি আমাদের দেশবাসীর জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন গীতা এবং নাট্যশাস্ত্র ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড রেকর্ড রেজিস্টারের স্থান পাওয়াতে এদেশের মোট ১৪টি প্রাচীন লিপি স্থান পেল সেখানে। তিনি বলেন, ‘‘এটি ভারতের সভ্যতা এবং ঐতিহ্যের জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। যে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা এবং ভারত মুনির লেখা নাট্যশাস্ত্র বর্তমানে ইউনেস্কোর মেমোরিয়াল অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান পেয়েছে। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সম্মান জানাল প্রাচীন ভারতের শাশ্বত-সনাতন সংস্কৃতিকে। প্রাচীন ভারতের এই দুই গ্রন্থ আক্ষরিক অর্থে একটি জ্ঞান এবং জীবন দর্শনের ভাণ্ডার। এই দুই গ্রন্থের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে বিশ্বের কাছে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি। আমাদের অনুভূতি, আমাদের ভাবনা, আমাদের জীবন শৈলী- এই সমস্ত কিছুই প্রতিফলিত হয়েছে এই দুই গ্রন্থে। এর ফলে আমাদের দেশ থেকে ১৪টি ধরনের লিপি বর্তমানে আন্তর্জাতিক রেজিস্টারে স্থান পেয়েছে।’’

    ১৯৯২ সালে শুরু হয় ইউনেস্কোর (UNESCO) মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারের পথ চলা

    আন্তর্জাতিক প্রাচীন ঐতিহ্যশালী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংরক্ষণের কথা রাষ্ট্রসংঘের বেশ কয়েকটি অধিবেশনে আলোচিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সুইৎজারল্যান্ডে জেনেভা কনভেনশন উল্লেখযোগ্য। এক্ষেত্রে বলা দরকার ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে তৈরি হয়েছিল ১৯৯২ সালে। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে বহু অসামান্য মূল্যবান প্রামাণ্য নথি এবং ঐতিহ্য এখানে তালিকাভুক্ত হয়ে রয়েছে। ইউনেস্কোতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রয়েছেন বিশাল শর্মা। তিনি এই ঘটনাকে দেশবাসীর জন্য একটা অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত বলে জানিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘‘ভারতীয়দের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত এবং ভারতীয় চিন্তা ভাবনার প্রতিফল ঘটায় ভগবত গীতা। এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী। অন্যদিকে, ভারত মুনির নাট্যশাস্ত্রের পান্ডুলিপি হল অন্যতম মৌলিক পাঠ।’’

    ভারতের আর কী কী তালিকাভুক্ত হয়েছে এই গ্রন্থে?

    অন্যান্য ভারতীয় লিপির মধ্যে ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান পেয়েছে পুনের ভান্ডারকর ওরিয়েন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের আর্কাইভ থেকে সংগ্রহ করা ঋগ্বেদের ৩০টি পাণ্ডুলিপি, ২০০৫ সালে পন্ডিচেরি থেকে শৈব পাণ্ডুলিপিকে ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান দেওয়া হয়। ঠিক ৮ বছর আগে ২০১৭ সালে ইউনেস্কোতে স্থান পায় গিলগিট পাণ্ডুলিপি এবং ২০২৩ সালে মৈত্রেয়বরকরণ তালিকাভুক্ত হয় ইউনেস্কোতে।

    গীতা এবং ভরত মুনি রচিত নাট্যশাস্ত্র

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৮টি অধ্যায়ে ৭০০টি শ্লোক রয়েছে গীতায়। গীতা হল মহাভারতের অংশ। প্রাচীন এই গ্রন্থের ভীষ্মপর্বে (অধ্যায় ২৩-৪০) পাওয়া যায় গীতা। গীতায় মূল বিষয় হল জ্ঞান যোগ, কর্ম যোগ, ভক্তি যোগ। অন্যদিকে, ভরত মুনির নাট্যশাস্ত্র ভান্ডারকর ওরিয়েন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে সংরক্ষিত ছিল। গবেষকরা জানাচ্ছেন, খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর কাছাকাছিতে সংকলিত হয় এই শাস্ত্রটি। এটি গন্ধর্ববেদ নামে পরিচিত। ৩৬,০০০ শ্লোক নিয়ে তৈরি এই শাস্ত্রে নাট্য (নাটক), রসবোধ, ভাব (আবেগ) এবং সঙ্গীত রয়েছে।

  • Karnataka: পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপত্তার নামে পৈতা ছেঁড়া হল ব্রাহ্মণ ছাত্রের, শোরগোল কর্নাটকে

    Karnataka: পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপত্তার নামে পৈতা ছেঁড়া হল ব্রাহ্মণ ছাত্রের, শোরগোল কর্নাটকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তার নামে কর্নাটকে (karnataka) এক ব্রাহ্মণ পরীক্ষার্থীর যজ্ঞোপবীত বা পৈতা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে এমন অভিযোগ সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পড়ুয়াদের মধ্যে দেখা দেয় ব্যাপক ক্ষোভ। জানা গিয়েছে, শিবমোগগার আদিচুঞ্চনগিরি সিইটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার নামে হিন্দু ধর্মের অবমাননা করার অভিযোগও আনা হয়েছে এক্ষেত্রে। বলা দরকার, হিন্দু ধর্মে ব্রাহ্মণদের মধ্যে পৈতা পরার একটি রীতি রয়েছে। হিন্দু ধর্মে ব্রাহ্মণদের কাছে পৈতা হল ধর্ম এবং আস্থার প্রতীক। কিন্তু সেই পবিত্র পৈতা ছিড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র নিরাপত্তার অজুহাতে। এক্ষেত্রে শাসক দল কংগ্রেসের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি না আসায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

    ছাত্র অরাজি ছিল পৈতা খুলতে, তাও জোরপূর্বক খোলা হয় পৈতা

    কর্নাটকের (karnataka) আঞ্চলিক ভাষায় প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা ওই পড়ুয়াকে তাঁর কব্জির ধাগা খুলে ফেলার কথা বলে। একই সঙ্গে তাঁকে বলা হয়, পৈতাও খুলতে হবে। কিন্তু ওই ছাত্র দৃঢ়ভাবে একথার প্রতিবাদ জানায়। নিরাপত্তা আধিকারিকদের সামনে ওই পরীক্ষার্থী প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন, কেন এগুলোকে খোলা হবে? এরপর ওই ছাত্র জানায়, যা ইচ্ছা আপনারা করতে পারেন আমি কোনওভাবেই আমার পৈতা খুলব না। এরপরেই তাঁর পৈতে কেটে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে পড়ুয়া মহলে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁরা নিজেদের অভিভাবকদেরও বিষয়টি জানিয়েছেন।

    ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছে বিভিন্ন ব্রাহ্মণ সংগঠন

    ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছে বিভিন্ন ব্রাহ্মণ সংগঠন। রঘুরাম নামের ব্রাহ্মণ সমাজ নামের এক প্রতিনিধি, ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক কেবি সহ ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের নেতা প্রসন্নকুমার ও দত্তাত্রেয়-এই চারজনের প্রতিনিধি দল ওই পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসেন। কেন ওই ছাত্রের সঙ্গে এমন আচরণ করা হল তা কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা জানতে চান। একইসঙ্গে জেলা শাসকের কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

    এ ধরনের ঘটনা ধর্মীয় অধিকারকে আঘাত হেনেছে (karnataka)

    প্রতিনিধি দলটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরিদর্শন করার পরে এধরনের কাজের তীব্র নিন্দা করেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। পৈতা খুলে নেওয়া এবং তা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়াকে চরম অবমাননাকর উল্লেখ করেছেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এ ধরনের ঘটনা ধর্মীয় অধিকারকে আঘাত হেনেছে বলেও দাবি করে ওই প্রতিনিধি দল। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে ওই ছাত্রের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতিনিধি দলের অভিযোগ, সংবিধানে যেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করা আছে। সেখানে এভাবে একটি হিন্দু ঐতিহ্যকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে কোন স্বার্থে? অনেকেরই প্রশ্ন, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যেখানে সংখ্যালঘুদের রীতিনীতিগুলিকে সুরক্ষিত রাখা হয়, সেখানে হিন্দুদের রীতিনীতিকে এইভাবে অপমান কেন করা হল?

    নীরব থেকেছে ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রেস

    বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মুসলিম পড়ুয়ারা যখন স্কুলের ভিতরে হিজাব পরার জন্য জোর করে আন্দোলন শুরু করে তখন কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দলগুলি ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য চিৎকার করে আওয়াজ তোলে, গলা ফাটায়। তবে হিন্দু পড়ুয়াদের পৈতা যখন জোর করে খুলে দেওয়া হয়, হাতের ধাগা কেটে দেওয়া হয়, তখন ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রেস হিন্দু ঐতিহ্যকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য কোনও আন্দোলনেই নামে না। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার পৈতা কোনও বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য পরা হয় না। বরং তা হিন্দু ধর্মের এক গভীর আধ্যাত্মিক এবং ধর্মীয়ভাবের প্রতীক হয়ে উঠেছে। ব্রাহ্মণ সমাজ এই পৈতা ধারণ করে।

    এর আগে কর্নাটকে মঙ্গলসূত্র খোলার অভিযোগও এসেছে

    অন্যদিকে, কংগ্রেস এবং তাদের সহযোগী রাজনৈতিক সংগঠনগুলি হিন্দু বিরোধী অবস্থান প্রথম থেকেই নেয়। হিন্দুদের ধর্মীয় ঐতিহ্যকে যে কোনও সময় আঘাত করলে তারা রাজনৈতিকভাবে নীরব থাকে। কিন্তু যখন উগ্র মৌলবাদীরা যে কোনও ধরনের দেশদ্রোহি কাজ করে তখনও নীরব থাকে কংগ্রেস সমেত অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি। এখানেই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন! কংগ্রেস দলের ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা কি কেবল সংখ্যালঘু তোষণেই সীমাবদ্ধ? দেখা যায় যে হিন্দু ধর্মের সঙ্গে একটা দূরত্ব তারা বজায় রেখেই চলে। যেখানে যে কোনও মন্দিরকেন্দ্রিক (Yajnopavita) ঘটনা হোক পৈতা খুলে নেওয়া হোক- সবকিছুতেই তারা অদ্ভুতভাবে নীরব থাকে। একি কেবলই তোষণের জন্য? এমন প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে অনেকে উদাহরণ দিচ্ছেন এক বছর আগের একটি ঘটনা। কর্নাটক রাজ্যেই ঘটেছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থীকে মঙ্গলসূত্র খুলতে বাধ্য করা হয়। এখানেও কংগ্রেস নীরব (karnataka) ছিল। কারণ মঙ্গলসূত্র হিন্দু ধর্মের প্রতীক।

    চাপে পড়ে জেলা প্রশাসন রিপোর্ট তলব করেছে

    এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পরেই চাপে পড়ে যায় জেলা প্রশাসন। সরকারের এক আধিকারিক গুরুদত্ত হেগড়ে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে ধর্মীয় অনুভূতিতে যে কোনও ধরনের আঘাতের ঘটনা কখনও সহ্য করা হবে না। এই ঘটনায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যায় যদি প্রমাণিত হয় তাহলে দায়ী কর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন ওই জেলা প্রশাসনের আধিকারিক। প্রসঙ্গত, অনেকে বলছেন এই ঘটনাতে প্রতিবাদ হওয়া দরকার। তার কারণ পৈতা খুলে নেওয়ার এই ধরনের ঘটনাগুলির মাধ্যমে হিন্দু প্রতীকগুলিতে অত্যন্ত সুক্ষভাবে আঘাত আনা হচ্ছে। তাই এগুলি কেবলমাত্র কোনও ব্যক্তির উপর আক্রমণ নয়, একটি সমাজকে (karnataka) লক্ষ্যবস্তু বানানোর প্রচেষ্টা। এই পরিস্থিতিতে ওই ব্রাহ্মণ সংগঠন সমগ্র হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছে।

  • The Hindu Manifesto: প্রাচীনের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন, স্বামী বিজ্ঞানানন্দের লেখা ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ প্রকাশ করবেন ভাগবত

    The Hindu Manifesto: প্রাচীনের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন, স্বামী বিজ্ঞানানন্দের লেখা ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ প্রকাশ করবেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৬ এপ্রিল দিল্লিতে ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ (The Hindu Manifesto) নামের একটি বই প্রকাশ করবেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। জানা গিয়েছে, ওই বইটি লিখেছেন আইআইটির প্রাক্তনী তথা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বর্তমানে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিজ্ঞানানন্দ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই সাধারণ সম্পাদক অর্থাৎ স্বামী বিজ্ঞানানন্দ হলেন বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা। এর পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠনের তিনি আন্তর্জাতিক চেয়ারম্যান।

    সভ্যতা নির্মাণে ৮ নির্দেশিকা (The Hindu Manifesto)

    জানা গিয়েছে, এই বইটি যা প্রকাশ করতে চলেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক সেখানে আটটি নির্দেশিকার নীতি বা সূত্রের কথা বলা হয়েছে। এই নির্দেশিকা নীতির উপরে ভিত্তি করেই একটি সুসভ্যতার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। বইটিতে আটটি নির্দেশিকা নীতি বা সূত্রের উপর ভিত্তি করে একটি সভ্যতা নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। এগুলি হল- সকলের জন্য সমৃদ্ধি, জাতীয় নিরাপত্তা, মানসম্মত শিক্ষা, দায়িত্বশীল গণতন্ত্র, নারীর প্রতি শ্রদ্ধা, সামাজিক সম্প্রীতি, প্রকৃতির পবিত্রতা এবং ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা।

    ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ বইটি প্রকাশ করছে ব্লুওয়ান ইঙ্ক নামের প্রকাশনী সংস্থা

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা অর্থাৎ স্বামী বিজ্ঞানানন্দ আইআইটি খড়্গপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। তিনি সংস্কৃত ব্যাকরণ এবং আচার্য ডিগ্রি প্রাপ্ত। একইসঙ্গে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন পূর্ব দর্শনের ওপরে। হিন্দু সভ্যতা, সাহিত্য, ধর্মগ্রন্থ- এই বিষয়গুলিতে তাঁর বিশেষ অধ্যয়ন রয়েছে। ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ (The Hindu Manifesto) বইটি প্রকাশ করছে ব্লুওয়ান ইঙ্ক নামের প্রকাশনী সংস্থা। বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভারতে শাসন, সভ্যতাগত মূল্যবোধ সম্পর্কিত বিষয়গুলির ওপর আলোকপাত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    প্রাচীনের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন (The Hindu Manifesto)

    প্রসঙ্গত, বেদ, রামায়ণ, মহাভারত, কৌটিল্যের লেখা অর্থশাস্ত্র- এই সমস্ত গ্রন্থগুলির উপর ভিত্তি করেই লেখা হয়েছে ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ (Mohan Bhagwat)। এখানে শাসন পদ্ধতি, সামাজিক কাঠামো, শিক্ষা সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ- এ সমস্ত কিছু আলোচনা করা হয়েছে। এই বইতেই রাম রাজ্যকে একটি মডেল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন বর্ণ জাতি সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়েও উল্লেখ করা হয়েছে। মর্যাদা, সাম্য ও বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে। এই বইটিতে দেখানো হয়েছে যে কীভাবে হিন্দু সভ্যতা ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধি লাভ করেছে। হিন্দু সভ্যতা কীভাবে ন্যায় বিচারকে প্রতিষ্ঠা করেছে এবং জনকল্যাণকে সর্বদাই রক্ষা করে এসেছে। হিন্দু সমাজের বৌদ্ধিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে এই বইতে। প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন করে বইটিকে তৈরি করা হয়েছে।

    বিশ্বের সভ্যতাকেন্দ্রিক যেকোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব

    বিশ্লেষকদের মতে, দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো বইটি (The Hindu Manifesto)  কেবলমাত্র একটি বই নয়। গবেষকরা বলছেন, এটি ভারতবর্ষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিলও বটে। সাম্প্রতিক কালে বিশ্বজুড়ে যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সভ্যতার ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলি গুরুতর হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সেই প্রত্যেকটি সমস্যার এবং চ্যালেঞ্জের সমাধান রয়েছে এই বইটিতে। জ্ঞানের সঙ্গে কর্মের অভূতপূর্ব মিশ্রণ দেখা যায় বইটিতে। স্বামী বিজ্ঞানানন্দ নতুনভাবে একটি দৃষ্টিভঙ্গি রেখেছেন বইটিতে। সভ্যতা এবং সুশাসনের ওপর লেখা হয়েছে বইটি। বইটির গুরুত্ব কতটা বোঝাই যাচ্ছে! কারণ এটি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘচালক উদ্বোধন করছেন।

    ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ বইটি কেন পড়া উচিত?

    বিশ্লেষকরা বলছেন যে কোন ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারক শিক্ষাবিদ আধ্যাত্মিক চিন্তাবিদ এবং ভারতবর্ষের যে কোন নাগরিক যিনি জাতীয়তাবোধে বিশ্বাস রাখেন তাদের পক্ষে এই দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো (The Hindu Manifesto) পড়া খুবই প্রয়োজন কারণ এখানেই আধুনিক সুশাসনকে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে এখানে শিক্ষা অর্থনীতি নারী অধিকার এই সমস্ত বিষয়গুলির উপরেই আলোকপাত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ হল সভ্যতার নবজাগরণের একটি রূপরেখা। ভারতীয় নাগরিক ও জাতিকে এই বইয়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধশালী সভ্যতা গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে ।

  • Daily Horoscope 18 April 2025: ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 18 April 2025: ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুচক্রে পড়ে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সুবক্তা হিসাবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রতারিত হওয়ার যোগ।

    ৩) মোটামুটি কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) পড়াশোনার খুব ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) উপার্জন নিয়ে মনে প্রচুর ক্ষোভ থাকবে।

    ২) ভ্রাতৃস্থানীয় কারও সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভালো।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ২) সন্তানদের নিয়ে একটু চিন্তা থাকবে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়তি ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির প্রতি অনুগত থাকলে লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় নাক গলাতে যাবেন না।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Indian Railway: এবার চলন্ত ট্রেনেই মিলবে ক্যাশ টাকা, এটিএম চালু হল পঞ্চবটি এক্সপ্রেসে

    Indian Railway: এবার চলন্ত ট্রেনেই মিলবে ক্যাশ টাকা, এটিএম চালু হল পঞ্চবটি এক্সপ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ইতিহাসে প্রথমবার! চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই তোলা যাবে টাকা! এটিএম বসল ট্রেনে (Indian Railway)। আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে একটি এটিএম বসানো হয়েছে পঞ্চবটী এক্সপ্রেসে। জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের মানমাড় থেকে মুম্বই পর্যন্ত প্রতিদিন চলাচল করে এই ট্রেনটি। রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই প্রথম এটিএম বসিয়ে পরীক্ষামূলক চালানো হয়েছে ট্রেনটিকে। ট্রেনে এটিএম বসানোর এই ভিডিও নিজের এক্স মাধ্যমে শেয়ার করেছেন রেলমন্ত্রী (Indian Railway) অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    ২৫ মার্চ বৈঠকে বসেছিলেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা

    রেলকে ভারতের লাইফ লাইন বলা হয়ে থাকে। কারণ প্রতিদিনই লক্ষাধিক মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করে। ভারতে রেল (Indian Railway) পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে অনেক সময়ই তাড়াহুড়োয় টাকা নিয়ে বেরনো হয় না অনেক যাত্রীর কিংবা দূরপাল্লার ট্রেনে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যাওয়াকে অনেকে নিরাপদ বলেও মনে করেন অনেকে। এবার সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল। এরফলে যাত্রী সুবিধা অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ট্রেনে এটিএম (ATM) বসানোর এমন সিদ্ধান্ত নিতে গত ২৫ মার্চই বৈঠকে বসেছিলেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্রের তরফে বসানো হয়েছে এটিএম

    ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্রের তরফে ট্রেনের (Indian Railway) এই এটিএম বসানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে শাটার দরজাও বসানো হয়েছে সুরক্ষার জন্য। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শুধু এটিএম পরিষেবাই নয়, যাত্রীরা চেক বই অর্ডার করতে এবং অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট পেতেও এই এটিএম ব্যবহার করতে পারবেন। সম্প্রতি আরও কয়েকটি ট্রেনে এই ধরনের এটিএম পরিষেবা চালু হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এটিএম এর সুরক্ষার জন্য সেখানে একটি সিসিটিভি ক্যামেরাও রাখা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন অসংখ্য রেলযাত্রী। রেলের এমন সিদ্ধান্তে তাঁরা উপকৃত হবেন বলেই জানিয়েছেন। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে যাত্রীদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে, বাকি ট্রেনেও এই পরিষেবা (ATM) চালু করা হবে।

  • Mithun Chakraborty: ‘‘হিন্দু সমাজের জন্য হুমকি মমতা’’, ওয়াকফ-হিংসা নিয়ে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: ‘‘হিন্দু সমাজের জন্য হুমকি মমতা’’, ওয়াকফ-হিংসা নিয়ে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে হিংসা-বিতর্ক ইস্যুতেই এমন মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা। মমতা দাবি করেছিলেন, বাংলায় ওয়াকফ আইন কার্যকর করতে দেবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে ব্যঙ্গের সুরে মিঠুন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কি সংবিধানের ঊর্ধ্বে, এই অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে?’’ একইসঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবিও জানিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুন চক্রবর্তী ওই সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, বাংলায় এখন হিন্দু সম্প্রদায় একজোট হচ্ছে।

    কোনও কিছুই বাঁচাতে পারবে না মমতাকে, তোপ মিঠুনের

    এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বলেন, ‘‘রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তারা সম্প্রদায়কে বিভক্ত করার জন্য কাজ করছে। বাঙালি হিন্দুরা এখন গৃহহীন, ত্রাণ শিবিরে খিচুড়ি খাচ্ছে। তাদের দোষ কী?’’ ওই সাক্ষাৎকারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পরিকল্পনাকেও নিশানা করে মিঠুন বলেন, ‘‘এখন কিছুই তাদের বাঁচাতে পারবে না, হিন্দুরা তাদের খেলা বুঝতে পেরেছে।’’

    মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছেন

    মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে দাবি করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, বিএসএফ, কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং বিজেপি এই হিংসার সঙ্গে জড়িত ছিল। মমতা অভিযোগ করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীদের অনুপ্রবেশ করতে নাকি সাহায্য করেছিল বিএসএফ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এমন দাবি নিয়ে তোপ দাগেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। মমতার এমন বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করে মিঠুন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছেন। ভারতের সংসদে পাস হওয়া আইন কার্যকর না করার ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে দিয়েছে? তিনি শুধু মুখ্যমন্ত্রী, সংবিধানের ঊর্ধ্বে নন।’’

  • JNUSU Elections: জেএনইউ-র ভোট ২৫ এপ্রিল, প্রচার শুরু এবিভিপির, মিলছে অভূতপূর্ব সাড়া

    JNUSU Elections: জেএনইউ-র ভোট ২৫ এপ্রিল, প্রচার শুরু এবিভিপির, মিলছে অভূতপূর্ব সাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (JNUSU Elections) নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল হতে চলেছে ভোট। এই আবহে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) শুরু করেছে প্রচার। ক্যাম্পাসে এবিভিপির প্রচারে ব্যাপক সাড়া মিলছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যার্থী পরিষদের নেতৃত্ব। সমস্ত বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরাই এবিভিপির প্রচারে অংশগ্রহণ করছেন বলেও জানানো হয়েছে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠ-অবাধ-স্বচ্ছ হয় সে দাবিও রেখেছে এবিভিপি। বিদ্যার্থী পরিষদ এই নির্বাচনে প্রচার অভিযান চালাচ্ছে দুটি থিমের ওপর একটি হল, ‘রুম-টু-রুম’ এবং অপরটি হচ্ছে ‘ক্লাস-টু-ক্লাস’। এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে ক্লাসরুম, ক্যান্টিন থেকে কমনরুম- সমস্ত জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে এবিভিপি।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা উঠে আসছে এবিভিপির প্রচারে (JNUSU Elections)

    বিগত বছরগুলিতে বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে উন্নত হয়েছে, সে নিয়েও প্রচার চালাচ্ছে এবিভিপি। প্রচারে উঠে আসছে র‍্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাসের কথা। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNUSU Elections) নানা বিভাগের সংস্কারের কথাও বলছে এবিভিপি। বিদ্যার্থী পরিষদের নেতৃত্ব জানাচ্ছে, ভর্তির পদ্ধতিও আগের থেকে অনেক সহজ হয়েছে। একইসঙ্গে, সময় মতো পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়া এবং হস্টেলগুলিতে জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন, নতুন ফেলোশিপ, স্কলারশিপ চালু হওয়ার কথাও নিজেদের প্রচারে তুলে এনেছে এবিভিপি।

    কী বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি (ABVP) নেতৃত্ব?

    জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNUSU Elections) এবিভিপির তরফ থেকে প্রচার প্রমুখের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অর্জুন আনন্দকে। অর্জুন আনন্দ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা প্রচার চালাচ্ছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনকে (JNUSU Elections) সামনে রেখে। প্রচারের কাজে আমরা টিম তৈরি করেছি। এই টিম প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করছে। তাঁদের মতামত শুনছে এবং কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়ন আরও ভালোভাবে করা যায় সে নিয়েও তাঁরা কথা বলছেন।’’ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ-সম্পাদক হলেন এবিভিপির বিকাশ প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের মধ্যে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’’

  • Murshidabad: তাড়া করছে আতঙ্ক! ভয়ে নিহতদের শ্রাদ্ধে অরাজি নাপিত-ব্রাহ্মণ, মমতাকে তুলোধনা করে ক্ষতিপূরণে না পরিবারের

    Murshidabad: তাড়া করছে আতঙ্ক! ভয়ে নিহতদের শ্রাদ্ধে অরাজি নাপিত-ব্রাহ্মণ, মমতাকে তুলোধনা করে ক্ষতিপূরণে না পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শৈষ চৈত্রতেই শুরু হয় তাণ্ডব। নববর্ষের মাত্র ৪ দিন আগেই। লুট, হত্যা, ভাঙচুর চলতে থাকে। তছনছ হয়ে যায় বাড়ি-দোকান। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় ওয়াকফ ইস্যুতে প্রতিবাদের নামে গুণ্ডামি, তাণ্ডব, হিংসা দেখল গোটা দেশ। এমন নৈরাজ্য অনেক প্রশ্নই তুলল। নববর্ষেও থমথমে মুর্শিদাবাদ। খুশি নেই ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের মনে। নতুন বছরেও তাঁদের মনে ঘিরে ধরেছে একরাশ ভয় ও হতাশা। ওয়াকফ বিক্ষোভের মাঝেই গত ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে খুন হন বাবা-ছেলে। হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে নৃশংসভাবে খুন করে মৌলবাদীরা। পরিবার তো বটেই, এমন বিভীষিকা কোনওভাবেই ভুলতে পারছেন না স্থানীয় গ্রামবাসীরাও। ঘরে ঢুকে আচমকাই কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল বাবা-ছেলেকে। হরগোবিন্দর বয়স ছিল ৭০ বছর, চন্দনের বয়স ছিল ৪০। ভয়ের পরিবেশে পিতা-পুত্রের শ্রাদ্ধের দিনেও জুটল না কোনও নাপিত বা ব্রাহ্মণ। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলির ভরসা সেই বিএসএফ। বিএসএফের বিরুদ্ধে মমতা যতই অভিযোগ, যাই দাবি করুক না কেন, মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়া হিন্দুরা কিন্তু বিএসএফকেই ত্রাতার চোখে দেখছেন। তাঁরা বিলক্ষণ জানেন, বিএসএফ আছে বলেই তাঁরা প্রাণে বেঁচে রয়েছেন। তাই, বিএসএফ চলে গেলে, তাঁদের ওপর কী ত্রাস নেমে আসবে, তা ভেবেই আতঙ্কিত সকলে।

    তিন জন নাপিত এবং দু’জন ব্রাহ্মণ রয়েছেন, আসতে চাননি কেউই

    প্রসঙ্গত, বুধবারই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে নিহত বাবা এবং ছেলের আদ্যশ্রাদ্ধ ছিল। অভিযোগ, পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের জন্য কোনও নাপিত বা ব্রাহ্মণকে পায়নি তাঁদের পরিবার। এরফলে নিজেদের মতো করেই কোনও রকমে কাজ সেরেছে নিহতের পরিবার। নিহতের পরিবারের দাবি, ভয়ে তাঁদের বাড়িতে কেউ আসতে চাইছেন না। তবে এগিয়ে আসেন কীর্তনের দলের সদস্যরা। কীর্তনের মধ্যে দিয়েই শ্রাদ্ধ সম্পন্ন করেন পরিবারের সদস্যরা। তাই কেউ এগিয়ে আসেনি। নিহতদের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের এলাকায় তিন জন নাপিত এবং দু’জন ব্রাহ্মণ রয়েছেন। শ্রাদ্ধের কাজের জন্য তাঁদের কাছেও গিয়েছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতেই। ক্ষৌরকারদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সংক্রান্ত কাজের জন্য যে জিনিসপত্র লাগে, তা তাঁদের কাছে এই মুহূর্তে নেই। তাই পারলৌকিক কাজ করা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে, দুই ব্রাহ্মণই জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়ে থানা-পুলিশ হয়েছে এবং বর্তমানে মামলা চলছে। তাই তাঁরা এই সংক্রান্ত কাজ করতে পারবেন না।

    ফের যেন দেশভাগের ছবি ফিরে এসেছে

    জেলার হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে পুড়ে গিয়েছে ঘরবাড়ি। হিংসার আগুন শেষ করে দিয়েছে রুজিরুটিও। দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পুড়ে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন হিন্দুরা (Murshidabad)। ফের যেন দেশভাগের ছবি ফিরে এসেছে। ভিটে মাটি হারিয়ে ভয়ে কেউ গিয়েছেন ঝাড়খণ্ড, কেউ আবার বীরভূমে। বেশিরভাগ জন প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে মালদায়। তবে এখানেই শেষ নয়, উদ্বাস্তু হওয়া হিন্দু পরিবারগুলি বলছে, প্রাণভয়ে পালানোর সময়ও উগ্রপন্থীরা ট্রাকের পিছনে ধাওয়া করেছে। আতঙ্কে আবার অনেকেই মুখ খুলতেই চাইছেন না। প্রসঙ্গত, অশান্তি শুরু হয় গত শুক্রবার ১১ এপ্রিল। জুম্মা নমাজের দিনই অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল মুর্শিদাবাদে। নমাজ শেষেই বেরিয়েছিল বিরাট মিছিল।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে কে বাঁচাবে?- এমনই হুমকি দিচ্ছে মৌলবাদীরা

    কিন্তু পুলিশ-কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকতে কীসের ভয়? মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশে তাঁদের আস্থা আগেই চলে গিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর ভরসা আছে বলে জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে আরও বড় হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের দাবি। বাহিনী চলে গেলে কে বাঁচাবে?- এমনই হুমকি মৌলবাদীরা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করছেন। একজোট হয়ে বসে তাঁরা দাবি জানাচ্ছেন, গ্রামে গ্রামে স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প চাই। নাহলে অবস্থা আরও খারাপ হবে হিন্দুদের। যদিও, এলাকার বাসিন্দারা এখনও আতঙ্কিত নিরাপত্তা নিয়ে। তাঁদের দাবি, প্রশাসন খাবার দিচ্ছে, ত্রিপল দিচ্ছে। নিরাপত্তার করতে হবে। এক মহিলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে আবার আমরা গ্রাম ছাড়া হব। রাতে আমাদের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তার (Murshidabad) ব্যবস্থা করতে হবে। এই ঘটনা বারবার করে ঘটতে থাকবে। আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করলে, আমরা বাঁচবো কিভাবে?’’

    নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে স্বামী-সন্তানের প্রাণ টিকিয়ে রাখা? ভয়ঙ্কর অভিযোগ

    ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ সামনে এসেছে। কোথাও নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে স্বামী-সন্তানের প্রাণ টিকিয়ে রাখা হয়েছে, কোথাও আবার প্রকাশ্যেই দেওয়া হচ্ছে ধর্ষণ-খুনের হুমকি। একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে, সারি সারি দোকানের রয়েছে তবে তারই মাঝে বেছে বেছে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হিন্দু মালিকদের দোকান। ঘরের মজুত চাল থেকে শুরু করে নগদ টাকা, গয়না এ সব কিছুই লুটে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদের অছিলায় হামলার সেই বিভীষিকার দৃশ্য কিছুতেই কোনওভাবই ভুলতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। যারা পালিয়ে বেঁচেছেন, তাঁরা কবে ফিরবেন? এই প্রশ্নের উত্তরও নেই কারও কাছে।

    ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখান, বাবা-ভাইকে ফিরিয়ে দেবে মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন নিহতেদর দিদির

    প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Violence) ঘটনায় মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। তবে নিহত হরগোবিন্দ এবং চন্দনের পরিবার জানিয়েছে, তাঁরা ক্ষতিপূরণ নিতে চান না কোনওভাবেই। দোষীদের কঠোর শাস্তি চান তাঁরা। নিহত চন্দন দাসের দিদি বলেন, ‘‘আমার ভাই, আমার বাবাকে কেটে খুন করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ফিরিয়ে দেবে?’’ নিহত চন্দন দাসের স্ত্রীও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘সাহায্য নেব না। যে মেরেছে তার শাস্তি চাই।’’

    সময়মতো পুলিশ এলে বাঁচানো যেত বাবা-ভাইকে, আক্ষেপ নিহতের দিদির

    এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ ঘোষণা প্রসঙ্গে হরগোবিন্দ দাসের মেয়ে বলেন, ‘‘আমরা ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ (Murshidabad Violence) চাই না। যে চলে গিয়েছে তাঁকে ফিরিয়ে দিতে পারবে না এই সরকার।’’ এর পাশাপাশি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন হরগোবিন্দ-চন্দনের বাড়ির লোক। পুলিশ সেদিন সময়মতো এলে বাবা ও ভাইকে হারাতে হত না বলে দাবি হরগোবিন্দর মেয়ের। গ্রামের একাধিক বাড়ি-ঘরও ধ্বংস হত না বলেও জানিয়েছেন চন্দনের দিদি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ফোন করেছি। পুলিশ এগিয়ে আসেনি। পুলিশের অসহযোগিতার কারণে চোখের সামনে আমাদের পরিবারের দুজনকে চলে যেতে হল। বাবাকে ও ভাইকে হারিয়েছি। গ্রামে একাধিক বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভাঙচুর করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ আসেনি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী নিয়ে পুলিশ যখন আসে ততক্ষণে সব শেষ। আর আজকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমরা এই ক্ষতিপূরণ চাই না।’’

LinkedIn
Share