Author: subhra-katwa

  • Indian Railways: তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি রুখতে আধার যাচাইকরণ! বড় পদক্ষেপের পথে রেল

    Indian Railways: তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি রুখতে আধার যাচাইকরণ! বড় পদক্ষেপের পথে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকিট জালিয়াতি রোধ করতে বড় পদক্ষেপ করছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এবার থেকে সমস্ত তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে ই-আধার যাচাইকরণ। নয়া এই নিয়ম চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে ২০২৫ সালের জুনের শেষ দিকে চালু হতে পারে এই প্রক্রিয়া। শেষ মুহূর্তের ট্রেন টিকিট বুকিং প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতেই (Tatkal Tickets) এমন উদ্যোগ রেল। বিগত ২৭ মে এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ভারতীয় রেল।

    সমাজমাধ্যমে পোস্ট রেলমন্ত্রীর (Indian Railways)

    ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ঘোষণাও সামনে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য শীঘ্রই ই-আধার যাচাই ব্যবস্থা চালু করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় রেল শীঘ্রই তৎকাল টিকিট বুক করার জন্য ই-আধার ব্যবহার শুরু করবে। এটি প্রকৃত ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনের সময় নিশ্চিত টিকিট পেতে সহায়তা করবে।’’ রেলের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটে ১৩ কোটিরও বেশি সক্রিয় রেল গ্রাহক রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে মাত্র ১ কোটি ২০ লক্ষ আধার-যাচাইকৃত। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, টিকিট কাউন্টার থেকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে টিকিট কিনেছেন এমন যাত্রীরা আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট থেকে অথবা ১৩৯-এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট বাতিল করতে পারবেন। তবে টাকা রিফান্ডের জন্য তাঁদের রিজার্ভেশন সেন্টারেই যেতে হবে।

    তৎকাল টিকিটে দালালদের রমরমা

    প্রসঙ্গত, জরুরি ভিত্তিতে যাত্রীদের স্বল্প সময়ের নোটিশে টিকিট বুক করতে সাহায্য করতেই রয়েছে তৎকাল স্কিম। কিন্তু এখানে দালালদের রমরমা বাড়তেই থাকে বলে অভিযোগ। ব্যাপক বাড়তে থাকে এর অপব্যবহার। এই কারণে প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়েছে তৎকাল স্কিম (Tatkal Tickets)। যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তৎকালে টিকিটই মিলছে না। যখনই বুকিং করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন ওয়েবসাইটের সার্ভার ডাউন হয়ে যাচ্ছে। সার্ভার ঠিক হতেই এক নিমেষে সব টিকিট সোল্ড আউট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে এজেন্টরা ঠিক তৎকালের টিকিট জোগাড় করে ফেলছেন। এতেই জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এবার দালালদের তৎকাল টিকিট কালোবাজারির দুর্নীতি টেনে ধরা সহজ হবে মনে করা হচ্ছে। রেলের কর্মকর্তারা এনিয়ে জানিয়েছেন, দালালরা জাল পরিচয়পত্র এবং স্বয়ংক্রিয় বট ব্যবহার করে বুকিং প্রোটোকল এড়িয়ে সিস্টেমটিকে কাজে লাগায়। এর ফলে প্রকৃত ভ্রমণকারীদের তৎকাল টিকিট পেতে খুবই সমস্যা হয়।

    ৫ মাসে আড়াই কোটি ভুয়ো ইউজার আইডি ব্লক

    এর পাশাপাশি, টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা আনতে আরও পদক্ষেপ করেছে রেল। আগাম বুকিংয়ের ক্ষেত্রে যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে রেল।  দেখা যায় যে, একটি সাইবার প্রতারণা চক্র ভুয়ো আইডি এবং স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে সাধারণ বুকিং প্রোটোকলগুলিকে বাইপাস করছিল। এই চক্রটি ভুয়ো ইউজার আইডি এবং বটের মাধ্যমে দ্রুত টিকিট বুক করত, যা আসল যাত্রীদের বঞ্চিত করছিল। গত পাঁচ মাসে প্রায় ২০ লক্ষ অন্যান্য অ্যাকাউন্ট সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আড়াই কোটি ভুয়ো ইউজার আইডি ব্লক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই জালিয়াতি রুখতে রেল কর্তৃপক্ষ এখন একটি “অ্যান্টি-বট” অ্যাপ্লিকেশন মোতায়েন করেছে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি স্বয়ংক্রিয় টিকিট বুকিং শনাক্ত এবং ব্লক করতে সাহায্য করছে। এর ফলে সিস্টেমটি আসল ব্যবহারকারীদের জন্য ন্যায্য এবং সহজলভ্য থাকবে। রেল কর্তারা জানিয়েছেন, এই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    এমন পদক্ষেপ স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে (Indian Railways)

    রেলমন্ত্রী এনিয়ে আরও জানিয়েছেন, এমন পদক্ষেপ স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে। একইসঙ্গে জালিয়াতি কমাবে (Indian Railways)। প্রকৃত ভ্রমণকারীরা আরও সহজেই টিকিট পাবে। রেলকর্তাদের মতে, আধার যাচাইকরণ কেবল তৎকাল টিকিটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, নিয়মিত বুকিংয়ে নয় ক্ষেত্রে যা নিয়ম আছে তাই থাকছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য টিকিট ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করা এবং সামগ্রিক ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করা।

  • Mohan Bhagwat: ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে দ্বিজাতি তত্ত্বের বিপদ বোঝালেন আরএসএস প্রধান

    Mohan Bhagwat: ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে দ্বিজাতি তত্ত্বের বিপদ বোঝালেন আরএসএস প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ জুন বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) উপস্থিত ছিলেন নাগপুরে। সেখানে চলছে আরএসএস-এর কার্যকর্তা বিকাশ বর্গ। এখানেই নিজের বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান বলেন, ‘‘যতক্ষণ না পর্যন্ত দ্বিজাতি তত্ত্বের চিন্তা ভাবনা আমাদের দেশ থেকে যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই দেশ অনেক হুমকির মুখে থাকবে।’’

    বলপূর্বক ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে সরব ভাগবত

    এদিনের বক্তব্যে তিনি আধুনিক যুদ্ধ পদ্ধতি, সন্ত্রাসবাদ থেকে শুরু করে দেশের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে বলপূর্বক ধর্মান্তকরণের কথাও। বলপূর্বক ধর্মান্তকরণ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, “আমাদের প্রশ্ন—ধর্মান্তকরণ হচ্ছে কেন? যদি এর মধ্যে স্বার্থপরতা এবং লোভ না থাকে, তাহলে সবকিছুই একই পথে পরিচালিত হয়। যে কোনওভাবে উপাসনা করা বৈধ। কিন্তু কাউকে জোর করা এবং বলা যে তোমার পথ ভুল এবং ধর্মান্তরিত করা হিংস্রতা। অতএব, যারা লোভ করে ধর্ম পরিবর্তন করেছেন বা যাদের জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করানো হয়েছে এবং এখন ফিরে আসতে চান, তাদের গ্রহণ করা উচিত।

    আমরা কাউকে আমাদের শত্রু বলে মনে করি না

    নিজের বক্তব্যে আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘আদর্শগত বিভাজনের কারণেই ভারতের সামাজিক কাঠামো প্রতিমুহূর্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধের পদ্ধতি পরিবর্তিত হয়েছে। প্রযুক্তি পরিবর্তিত হয়েছে। এর সঙ্গে সত্যও সামনে এসেছে দেশের পক্ষে কারা দাঁড়িয়েছে।’’ এদিন নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত সাইবার যুদ্ধ এবং প্রক্সি যুদ্ধেরও উল্লেখ করেন। নিজের ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের এ নিয়ে নিজস্ব সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।’’ নিজের বক্তব্যে আরএসএস (RSS) প্রধান বলেন, ‘‘আমরা কাউকে আমাদের শত্রু বলে মনে করি না। কিন্তু আমাদের সর্বদাই প্রস্তুত থাকতে হবে। আত্মনির্ভরতাই তাই হল একমাত্র এগিয়ে যাওয়ার উপায়।’’ নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ‘‘দেশের আসল শক্তি কেবলমাত্র সেনাবাহিনী বা প্রশাসনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দেশের আসল শক্তি হল জনগণের মনোবল। এখানেই রয়েছে শক্তি।’’

    সারা ভারত ঐক্যবদ্ধ হয় পহেলগাঁওয়ের ঘটনায়

    পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক যে সন্ত্রাসী হামলা হয় এই হামলায় সারা দেশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়,শোকের পরিস্থিতি তৈরি হয় সেটাও তিনি উল্লেখ করেন নিজের বক্তব্যে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সারা ভারত ঐক্যবদ্ধ হয় পহেলগাঁওয়ের ঘটনায়।’’ যেভাবে পাল্টা প্রত্যাঘাত করা গিয়েছে পাকিস্তানকে, সেটারও উল্লেখ করেন তিনি। প্রশংসা করেন ভারত সরকারের। নিজের বক্তব্যে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) জানিয়েছেন যে দেশের আভ্যন্তরীণ যে ইস্যুগুলি রয়েছে সেখানে যেন নাগরিকরা কখনও উস্কানি না দেন অথবা হিংসার শিকার না হন। নিজের বক্তব্য তিনি বলেন, ‘‘সহিংসতা কোনও পথ নয়, সমাজের কোনও অংশই কখনও অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে না।’’

  • Daily Horoscope 06 June 2025: মানসিক অশান্তি ও দুশ্চিন্তা বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 06 June 2025: মানসিক অশান্তি ও দুশ্চিন্তা বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কর্ম ও আর্থিক ক্ষেত্র পূর্বের তুলনায় আশাপ্রদ।

    ২) সমস্ত কাজেই একটা অযথা উৎকণ্ঠা বিব্রত করে রাখবে।

    ৩) নতুন কোনও পরিকল্পনা মাথায় আসতে পারে।

    বৃষ

    ১) দিনের অধিকাংশ সময় শারীরিক অস্বস্তিবোধ করবেন।

    ২) দিনভর থাকবে মানসিক উদ্বেগ ও অশান্তি।

    ৩) দুশ্চিন্তার মধ্যে সামান্য আর্থিক উন্নতি ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পেলেও কর্মক্ষেত্র থাকবে হতাশাপূর্ণ।

    মিথুন

    ১) নিঃসন্দেহে কমবেশি আয় বৃদ্ধি পাবে, তবে মানসিক দুশ্চিন্তা কমবে না।

    ২) কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ বাধামুক্ত।

    ৩) অপ্রত্যাশিত কোনও সহযোগিতা কিংবা অর্থলাভ।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উৎসাহবর্দ্ধক কোনও যোগাযোগ আসবে।

    ২) আয় বৃদ্ধি এবং সামান্য আর্থিক উন্নতি হবে।

    ৩) কোনও কাজের ব্যাপারে প্রশংসিত হবেন।

    সিংহ

    ১) দিনটা আনন্দদায়ক হলেও মধ্যভাগে মানসিক শান্তি ব্যাহত হবে।

    ২) কেউ অকারণে দোষারোপ করবে ও ভুল বুঝবে।

    ৩) মানসিক অশান্তি ও দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে দুশ্চিন্তা দেখা দিলেও আয়ের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

    ২) শরীর ও মনের উপর একটানা চাপ থেকে যাবে।

    ৩) চিত্ত চঞ্চলতা বাড়বে প্রবল।

    তুলা

    ১) মানসিক চাপ ও চঞ্চলতা বাড়লেও কর্ম ও আর্থিক ক্ষেত্র কিছুটা আশার আলো দেখাবে।

    ২) নতুন যোগাযোগ ও পূর্বের তুলনায় সামান্য আয় বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সামান্য কথা নিয়ে বচসা ও ঝগড়া সৃষ্টি হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) দেহ ও মন উভয়ই অস্বস্তিসূচক।

    ২) কর্ম ও আর্থিক ক্ষেত্র দুশ্চিন্তায় ফেলবে।

    ৩) সামান্য অর্থ হাতে এলেও কোনও দ্রব্য বা অর্থক্ষতির যোগ বর্তমান।

    ধনু

    ১) দেহ ও মন উভয়ই অস্বস্তিসূচক।

    ২) কর্ম ও আর্থিক ক্ষেত্র দুশ্চিন্তায় ফেলবে।

    ৩) সামান্য অর্থ হাতে এলেও কোনও দ্রব্য বা অর্থক্ষতির যোগ বর্তমান।

    মকর

    ১)  মনকে কর্ম ও আর্থিক বিষয়ে একটা উদ্বেগ অধিকাংশ সময় বিষাদাচ্ছন্ন করে তুলবে।

    ২) কারও অপ্রীতিভাজন ও অন্যের ভুল বুঝে দোষারোপ করতে পারে।

    ৩) গৃহে অতিথির আগমন হতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটা আপনার ধৈর্য ও অধ্যবসায় প্রত্যাশা করে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে নতুন সামান্য ঝঞ্ঝাট দেখা দিতে পারে।

    ৩) নতুন যোগাযোগের পক্ষে অনুকূল দিনটা।

    মীন

    ১) দিনটা আনন্দের মধ্যে কাটবে।

    ২) দিনের মধ্যভাগে মানসিক প্রফুল্লতা নষ্ট হবে।

    ৩) কেউ অকারণ দোষারোপ করবে ও ভুল বুঝবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 372: শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি) মাকে তাই বলেছিলাম, মা ওকে শান্ত করে দাও

    Ramakrishna 372: শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি) মাকে তাই বলেছিলাম, মা ওকে শান্ত করে দাও

    গিরিশের শান্ত ভাব কলিতে শূদ্রের ভক্তি ও মুক্তি

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- আর আছে স্বপ্নসিদ্ধ আর কৃপাসিদ্ধ।

    এই বলিয়া ঠাকুর ভাবে বিভোর হইয়া গান গাহিতেছেন-

    শ্যামা ধন কি সবাই পায়,
    অবোধ মন বোঝেনা একি দায়। (Kathamrita)
    শিবেরই অসাধ্য সাধন মন মজানো রাঙা পায়।।
    ইন্দ্রাদি সম্পদ সুখ তুচ্ছ হয় যে ভাবে মায়।
    সদানন্দ সুখে ভাসে শ্যামা যদি ফিরে চায়।।
    যোগীন্দ্র মুনীন্দ্র ইন্দ্র যে চরণ ধ্যানে না পায় ।
    নির্গুণে কমলাকান্ত তবু সে চরণ চায়।।

    ঠাকুর কিয়ৎতক্ষণ ভাবাবিষ্ট হইয়া রহিয়াছেন।

    কিছুদিন পূর্বে ষ্টার থিয়েটারে গিরিশ অনেক কথা বলিয়াছিলেন এখন শান্ত ভাব।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)- তোমার এই ভাব বেশ ভালো, শান্ত ভাব। মাকে তাই বলেছিলাম, মা ওকে শান্ত করে দাও। যা তা আমায় না বলে।

    গিরিশ (মাস্টারের প্রতি) আমার জিব কে যেন চেপে ধরেছে। আমায় কথা কইতে দিচ্ছে না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- এখনও ভাবস্থ। বাহিরের ব্যক্তি বস্তু ক্রমে ক্রমে সব ভুলে যাচ্ছেন। একটু প্রকৃতিস্থ হইয়া মনকে নাবাচ্ছেন। ভক্তদের আবার দেখিতেছেন। (মাস্টার দৃষ্টে) এরা সব সেখানে যায়। তা যায় তো যায়, মা সব জানে।

    (প্রতিবেশী ছোকরার প্রতি) কি গো তোমার কি বোধ হয়? মানুষের কি কর্তব্য?

    সকলে চুপ করিয়া আছেন (Ramakrishna)। ঠাকুরকে বলিতেছেন, ঈশ্বর লাভই জীবনের উদ্দেশ্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (নারায়ণের প্রতি) তুই পাস করবি নি, ওরে পাশমুক্ত শিব পাশবদ্ধ জীব (Kathamrita)।

    ঠাকুর এখন ভাবাবস্থায় আছেন। কাছে গ্লাস করা জল ছিল, পান করিলেন। তিনি আপনা আপনি বলিতেছেন, ওইভাবে তো জল খেয়ে নিলুম।

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে খতম মাওবাদী নেতা সুধাকর, মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে খতম মাওবাদী নেতা সুধাকর, মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নকশাল দমনে ফের বড়সড় সাফল্য। বৃহস্পতিবারই নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় খতম হল মাওবাদী কমান্ডার তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুধাকর। জানা গিয়েছে এই নেতার মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা। বহুদিন ধরেই সুধাকরের খোঁজ চলছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার খতম করা গেল এই মাওবাদী নেতাকে। এর পাশাপাশি, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রসস্ত্র এবং বিস্ফোরক (Top Maoist Leader)।

    তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় এবং মহারাষ্ট্রে সক্রিয় ছিলেন সুধাকর

    তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) এবং মহারাষ্ট্রে সক্রিয় ছিলেন সুধাকর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালেই ছত্তিশগড়ের বিজাপুরের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। সঙ্গে ছিল জঙ্গলযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডোবাহিনী ‘কোবরা’। জঙ্গলে ওই অভিযানের সময়ই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় মাওবাদীদের।

    মে মাসে খতম হয় ২৯ মাওবাদী (Chhattisgarh)

    প্রসঙ্গত, গত মে মাসেই অপর এক শীর্ষ মাওবাদী নেতা তথা সিপিআই (মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুকে খতম করে বাহিনী। তাঁর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুরের অবুঝমাঢ়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন তিনি। ওই অভিযানে ব্যাপক সাফল্য পায় নিরাপত্তা বাহিনী। বাসবরাজের পাশাপাশি আরও ২৯ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল (Top Maoist Leader)।

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ ছিল মে মাসের অভিযান (Chhattisgarh)

    মে মাসের ওই অভিযানটি নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কারণ, তিন দশকের লড়াইয়ে প্রথম কোনও অভিযানে সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদার মাওবাদী নেতাকে খতম করতে সমর্থ হয় নিরাপত্তা বাহিনী। এনিয়ে নিজেদের সমাজমাধ্যমের পাতায় নিরাপত্তাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত মাসে মাওবাদী দমন অভিযানে ওই সাফল্যের পর বৃহস্পতিবার আরও এক শীর্ষ মাওবাদী নেতাকে খতম করতে সমর্থ হল নিরাপত্তাবাহিনী।প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী নিশ্চিহ্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

  • Rafale Fuselages: দেশেই তৈরি হবে রাফাল যুদ্ধ বিমান! দাসোলের সঙ্গে বড় চুক্তি টাটার

    Rafale Fuselages: দেশেই তৈরি হবে রাফাল যুদ্ধ বিমান! দাসোলের সঙ্গে বড় চুক্তি টাটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাফাল যুদ্ধবিমান (Rafale Fuselages) তৈরি করে দাসোল অ্যাভিয়েশন (Dassault)। তারাই এবার ভারতের টাটা গ্রুপের সঙ্গে একটি বড় চুক্তি করল। এর মাধ্যমে এবার ওই কোম্পানি ভারতের হায়দরাবাদে রাফাল যুদ্ধবিমানের বডি তৈরি করবে। জানা গিয়েছে, দাসোল অ্যাভিয়েশন এবং টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড ভারতে রাফাল যুদ্ধবিমানের ফিউসেলাজ (মূল মাঝের অংশ) তৈরির জন্য ৪টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের বিমান উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়বে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, প্রথমবারের মতো ফ্রান্সের বাইরে ফিউসেলাজ উৎপাদন করছে দাসোল অ্যাভিয়েশন। এই খাতে ভারতেও বিপুল বিনিয়োগ হবে। যার ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ২০২৮ সালের মধ্যেই রাফালের প্রথম ফিউজেলেজ উৎপাদিত হবে

    এই চুক্তি দেশের কৌশলগত এবং সামরিক বিমান তৈরির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে মনে করছেন অনেকে। ভারতেই এবার রাফাল যুদ্ধবিমানের (Rafale Fuselages) গুরুত্বপূর্ণ অংশ তৈরি করা হবে। বিমানের ফিউসেলাজ, পুরো পিছনের অংশ, সেন্ট্রাল ফিউসেলাজ এবং সামনের অংশ এবার সবই তৈরি হবে দেশে। সময় কতদিন লাগবে? মনে করা হচ্ছে যে ২০২৮ সালের মধ্যেই রাফালের প্রথম ফিউসেলাজ, এই উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসবে। কারখানাটি সম্পূর্ণরূপে নির্মিত হলে প্রতি মাসে ২টি ফিউসেলাজ তৈরি করা হবে।

    রাফাল জেটের ফিউসেলাজ কী?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাফালের ফিউসেলাজ (Rafale Fuselages) হল বিমানের প্রধান কাঠামো। এর মাধ্যমেই পাইলট ককপিট, ইঞ্জিন, ইলেকট্রনিক সিস্টেম এবং অস্ত্রের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হয়। এর পাশাপাশি বিমানের ডানা এবং লেজকে সাপোর্ট দেয় এই ফিউসেলাজ। দাসোল অ্যাভিয়েশন জানিয়েছে, রাফালের ফিউসেলাজ হালকা এবং শক্তিশালী যৌগিক পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়। এ বিষয়ে দাসোল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘প্রথমবার রাফালের ফিউসেলাজ ফ্রান্সের বাইরে তৈরি করা হবে। ভারতে আমাদের সরবরাহ শৃঙ্খলকে (Rafale Fuselages) শক্তিশালী করার দিকে এটি একটি নির্ধারক পদক্ষেপ। ভারতের বিমান শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা TASL (Tata Advanced Systems limited)-কে ধন্যবাদ।’’

  • Ayodhya: রামলালার পরে রাজা রাম! যোগীর উপস্থিতিতে অযোধ্যায় ৮ মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    Ayodhya: রামলালার পরে রাজা রাম! যোগীর উপস্থিতিতে অযোধ্যায় ৮ মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন অর্থাৎ ৫ জুন অযোধ্যার রাম মন্দিরে ফের হল প্রাণ প্রতিষ্ঠা। গর্ভগৃহের পর এবার রাম দরবারে ৮টি মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল (Ayodhya)। এদিনের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    কোন কোন দেবতার মূর্তি বসল (Ayodhya)

    বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকেই অনুষ্ঠান শুরু হয় রাম মন্দিরে। তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, তিনদিন ধরে হয়েছে এই অনুষ্ঠান। এদিন তিথি মেনে সকাল ১১ টা ২৫ মিনিট থেকে শুরু হয় প্রাণ প্রতিষ্ঠা। চলে ১১ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। এরই মধ্যে রাম দরবারে আট দেব-দেবীর মূর্তির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। বৈদিক রীতি মেনে যজ্ঞ, পঞ্চ গব্য ও মন্ত্রোচারণের মাধ্যমে দেবতাদের অভিষেক করা হয়। ২০২৪ সালে গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রামলালা বালক রামের মূর্তি (Ayodhya)। এবার রাম দরবারে পূর্ণবয়স্ক রাজা রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল। শ্রীরামের পাশাপাশি মা সীতা, সূর্য দেবতা, দেবী দুর্গা, হনুমানজী, সপ্ত ঋষি, অন্নপূর্ণা দেবী সহ একাধিক দেব-দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠাও করা হয় এদিন।

    কী বলছেন রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক?

    রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই এনিয়ে বলেন, “মন্দিরের ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে (Ayodhya)। কলসও বসানো হয়ে গিয়েছে। দেবতাদের মূর্তি স্থাপিত হয়েছে মন্দিরে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে যাবতীয় রীতি-নীতি ও আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। আজ প্রাণ প্রতিষ্ঠার শেষ দিন।” সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরও জানিয়েছেন, মন্দিরে আগের মতোই দর্শন করতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা। তবে মন্দিরের দ্বিতীয় তলের মন্দির অর্থাৎ রাম দরবারে দর্শন আপাতত বন্ধ থাকবে। প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ হাজার পুণ্যার্থী রাম মন্দিরে আসছেন বলে জানান চম্পত রাই।

    গঙ্গা দশেরা উপলক্ষে রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণে চলছিল উৎসব, এদিন সম্পন্ন হল

    রাম দরবারে রাজা রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠার এই উৎসবে গোটা অযোধ্যায় এক আলাদা পরিবেশ তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, গঙ্গা দশেরা উপলক্ষে রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণ বিগত তিন দিন ধরেই চলছিল ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এদিন তা সমাপ্ত হয়। আর এই দিনে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হল রাম দরবারের আটটি মূর্তির। বৈদিক মন্ত্র, শঙ্খধ্বনিতে মেতে ওঠে গোটা অযোধ্যা। ৫ জুন সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ মূল পুজো শুরু হয় বৈদিক রীতি মেনে। সকালেই যজ্ঞ বেদীতে দেবতাদের উদ্দেশ্যে আহুতি প্রদান করা হয় (Ayodhya)। এরপরে সকাল ন’টা নাগাদ অনুষ্ঠিত হয় হোম। প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময়ে এক বিশেষ আরতিরও ব্যবস্থা করা হয় এদিন অযোধ্যায়। একেবারে শেষে প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রসাদ গ্রহণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সাধু-সন্ত বৈদিক পণ্ডিত, রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। এছাড়াও দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত হাজির ছিলেন এদিন।

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান সাধু-সন্তরা

    উল্লেখযোগ্যভাবে এই দিনই হল আবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্মদিন (Yogi Adityanath)। সেই উপলক্ষে তিনি ভগবান রামের কাছে আশীর্বাদও চান। আবার এই দিনটি হল সরযূ নদীর ত্রয়োদশী জন্মোৎসব। অর্থাৎ এদিনের তিথির আধ্যাত্মিকতার তাৎপর্যকে অনেক বেশি। রাম দরবারে রাজা রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যে সমস্ত সাধুসন্তরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অযোধ্যার প্রাচীন গৌরবকে পুনরুদ্ধারের জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করেন।

    অযোধ্যার উন্নয়ন যজ্ঞ

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) হন যোগী আদিত্যনাথ। বিগত আট বছর তিনি উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। অযোধ্যার উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছে তাঁর সরকার। অযোধ্যায় ৩২ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রকল্প বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এর মধ্যে রয়েছে রাস্তাঘাট, রেলপথের উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর, সরযূ নদীর তীরের সৌন্দর্যায়ন এবং উন্নত পর্যটন ব্যবস্থা। প্রসঙ্গত, অযোধ্যা নগরীতে বর্তমানে রাম কথা পার্ক, সরযূ ঘাটের উন্নয়ন বেশ চোখে পড়ে। প্রতিদিন জাঁকজমকপূর্ণভাবে সরযূ মাতার আরতিতে অংশ নেন হাজার হাজার ভক্ত। সারা বিশ্বের হিন্দুদের কাছে আধ্যাত্মিকতার মানচিত্রে অযোধ্যা এক বিশেষ স্থান দখল করেছে।

    এদিন জোরদার ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    প্রসঙ্গত, এদিনের অনুষ্ঠানটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বেশ জোরদার করা হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অযোধ্যার রাম মন্দির এবং আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক নজরদারি চালানো হয়। সেখানে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সন্ত্রাস দমন শাখা, সিআরপিএফ, স্থানীয় পুলিশ মোতায়ন করা ছিল। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, ব্যাপক নজরদারির মাধ্যমে অযোধ্যাকে এদিন দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করা হয়েছিল।

  • Noor Khan Airbase: ভারতের হামলায় পর্যুদস্ত নূর খান বিমান ঘাঁটি এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে, পাক সেনার প্রবেশও নিষেধ!

    Noor Khan Airbase: ভারতের হামলায় পর্যুদস্ত নূর খান বিমান ঘাঁটি এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে, পাক সেনার প্রবেশও নিষেধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের (Pakistan) নূর খান বিমান ঘাঁটিতে ব্যাপক আক্রমণ চালায় ভারত। এর ফলে, পাকিস্তানের এই অন্যতম বিমান ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এসেছে। একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে পাকিস্তানের ওই বিমান ঘাঁটিটি আদতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইন্টারনেটে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ গুল দাবি করছেন যে বিমান ঘাঁটিটি (Noor Khan Airbase) সম্পূর্ণ মার্কিন নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কোনও পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের ওই বিমান ঘাঁটিতে হস্তক্ষেপ করার অনুমতিও নেই।

    আমেরিকার বিমান ওঠানামা করছে সেখানে! (Noor Khan Airbase)

    ওই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আরও দাবি করছেন, নূর খান বিমান ঘাঁটিতে প্রতিমুহূর্তেই আমেরিকার বিভিন্ন বিমান দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেই বিমানের মধ্যে কী রয়েছে তার সম্পর্কে কোনও স্পষ্টতা কিছু নেই। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন ওই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। একটি ভিডিওয় ওই বিশেষজ্ঞ আরও দাবি করেন যে, একদিন যখন মালপত্র নামানো হচ্ছিল, পাক বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক, মার্কিন মেরিনকে প্রশ্ন করেন যে কার্গোর ভিতরে কী রয়েছে। মার্কিন নৌসেনা সাফ জানায়, তারা কিছু জানাতে পারবে না। জোরাজুরি করতেই, সঙ্গে সঙ্গে তার মাথায় পিস্তল তাক করে ওই মার্কিন সেনা।

    একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, পাকিস্তানের (Pakistan) বিশেষজ্ঞের এমন দাবি লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেদেশে। প্রসঙ্গত পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডের চাকলালায় অবস্থিত হল এই নূর খান বিমান ঘাঁটি। এটি পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান বিমান ঘাঁটি।

    ভারতের কাছে মার খাওয়ার পরেও ফিল্ড মার্শাল মুনির

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের (Noor Khan Airbase) সেনাপ্রধান জেনারেল আসিফ মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়েছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে। ষাট বছর পরে একজন জেনারেলকে এই পদে উন্নীত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সামরিক দিক থেকে ভারতের কাছে প্রত্যাঘাত খাওয়ার পরে এমন এমন সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। এক্ষেত্র উল্লেখ করা দরকার ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানে তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসক জেনারেল আয়ুব খান নিজেই নিজেকে ফিল্ড মার্শাল পদে নিযুক্ত করেছিলেন। এটি একটি পদ যা অসাধারণ নেতৃত্ব এবং যুদ্ধকালীন কৃতিত্বের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতের কাছে মার খাওয়ার পরে মুনির কী ধরনের কৃতিত্ব দেখালেন (Noor Khan Airbase)! সে প্রশ্ন উঠছে।

  • UPI: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বিরাট সাফল্য! ভিসাকে ছাপিয়ে দৈনিক লেনদেনে বিশ্বের শীর্ষে ভারতের ইউপিআই

    UPI: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বিরাট সাফল্য! ভিসাকে ছাপিয়ে দৈনিক লেনদেনে বিশ্বের শীর্ষে ভারতের ইউপিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস বা ইউপিআই ব্যবস্থা (UPI) উল্লেখযোগ্য মাইলফলকে পৌঁছেছে। প্রসঙ্গত, নয় বছর আগেই শুরু হয় এই ডিজিটাল পেমেন্ট প্লাটফর্ম। নগদহীন ইউপিআই প্লাটফর্ম বর্তমানে লেনদেনের পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম এবং বড় ডিজিটাল পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ভিসাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। ইউপিআইয়ের (UPI) সাফল্য ভারতের বাইরেও ব্যাপকভাবে নজরে পড়ছে। বিশ্বব্যাপী অনেক দেশেই এই প্ল্যাটফর্ম বর্তমানে কাজ চালাচ্ছে। মোদি সরকারের আমলে তৈরি ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচির অন্যতম অংশ ছিল এই ইউপিআই ব্যবস্থা। আজ তা সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছল।

    ইউপিআই ছাপিয়ে গিয়েছে ভিসাকেও

    ইতিমধ্যে যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জুন ইউপিআই-এর (UPI) মাধ্যমে ৬৪.৪ কোটি লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ২ জুন ইউপিআই লেনদেনের সংখ্যা পার করে ৬৫ কোটির গণ্ডী, যা ছাপিয়ে গেছে গিয়েছে ভিসার লেনদেনকে। ২০২৪ সালের আর্থিক বছরে ভিসার গড় দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৩.৯ কোটি। অর্থাৎ যে পরিসংখ্যার সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের জনপ্রিয়তম ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা ভিসাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারতের ইউপিআই। ভারতের ইউপিআইয়ের (UPI) দৈনিক লেনদেন বর্তমানে ভিসার চেয়ে অনেকটাই বেশি।

    ভিসার (Visa) পরেই রয়েছে মাস্টারকার্ড

    ভিসার পরে স্থান রয়েছে মাস্টার কার্ডের। প্রতিদিন প্রায় ৪৫ কোটি লেনদেন হয় এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। ইতিমধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যে সর্বশেষ তথ্য সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে ডিজিটাল পেমেন্টে ভারতের অংশ ৪৮.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। যা মূলত ইউপিআই-এর (UPI) মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে।

    ডিজিটাল পেমেন্টের ৮৫ শতাংশই ইউপিআইয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে

    যে তথ্য সামনে এসেছে সেখানে আরও দেখা যাচ্ছে, টাকার অঙ্কে ভিসা (Visa) এবং মাস্টারকার্ড- এই দুটোকেই ছাপিয়ে গিয়েছে ইউপিআই। ২০২৫ সালের মে মাসে ইউপিআই-এর লেনদেনের মূল্য অন্যান্য সমস্ত কার্ড লেনদেনের থেকে ১২ গুণ বেশি ছিল। পরিসংখ্যান বলছে এই সময়কালে ২৫ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন ইউপিআই-এর মাধ্যমে করা হয়েছিল। ভারতের সমস্ত ডিজিটাল লেনদেনের ৮৫ শতাংশ বর্তমানে ইউপিআইয়ের মাধ্যমেই পরিচালিত হয় বলে জানা গিয়েছে।

  • Amarnath Yatra: আশঙ্কা জঙ্গি হামলার, অমরনাথ পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় এবার ‘অপারেশন শিব’

    Amarnath Yatra: আশঙ্কা জঙ্গি হামলার, অমরনাথ পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় এবার ‘অপারেশন শিব’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরে চলতি বছরের অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দিয়েছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, এনিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি নিরাপত্তা বৈঠকও করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের অমরনাথ যাত্রায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কারণে জম্মু-কাশ্মীরে ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের অমরনাথ যাত্রা শুরু হচ্ছে ৩ জুলাই থেকে। এই যাত্রা চলবে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত। সূত্রের খবর, ৩ জুলাই পুণ্যার্থীদের প্রথম বাসটি ছাড়া হবে শ্রীনগর থেকে (Terror Threat)। একারণেই তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না সরকার। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন শিব’।

    সর্বক্ষণের নজরদারি (Amarnath Yatra)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, দিনকয়েক আগেই (Amarnath Yatra) গত ২৯ মে জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহের সঙ্গে বৈঠক সম্পন্ন হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অমরনাথের যাত্রাপথের থ্রিডি ম্যাপিং তৈরি করে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনী। জানা যাচ্ছে, যাত্রাপথ, বেসক্যাম্প সহ সব ক’টি স্পর্শকাতর এলাকাতেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেনা মোতায়েন থাকবে পুণ্যার্থীদের আবাসস্থলগুলিতেও। নজরদারির জন্য সর্বক্ষণ ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে (Terror Threat) বলে জানিয়েছে সেনা। এ ছাড়াও ব্যবহার করা হবে বডি স্ক্যানার এবং সিসিটিভি ক্যামেরা।

    পহেলগাঁওয়ের পরে অপারেশন সিঁদুর

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হয়। হিন্দু পর্যটকদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনার পর ভারত পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারত। ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারত। তার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহও তৈরি হয়। পাকিস্তানের একাধিক সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। পরে দুই দেশের সংঘর্ষবিরতি হয়।

LinkedIn
Share