Author: subhra-katwa

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কোনও অনুমতি নেবেন না, রামনবমীতে পথে নামবে ১ কোটি হিন্দু’’, হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘কোনও অনুমতি নেবেন না, রামনবমীতে পথে নামবে ১ কোটি হিন্দু’’, হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীকে (Ram Navamai) কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে চড়ছে পারদ। বিগত কয়েক বছর ধরেই রামনবমীকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা গিয়েছে। লাখে লাখে রামভক্তরা নেমেছেন রাজপথে। এই আবহে চলতি বছরের রামনবমীতে ১ কোটি হিন্দু রাস্তায় থাকবেন বলে হুঙ্কার দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা এদিন সাফ বললেন, ‘‘রামনবমীতে ২০০০ মিছিল হবে। ১ কোটি হিন্দু রাস্তায় থাকবেন। কোনও অনুমতি নেবেন না।’’  ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, রাজ্যে রামনবমীকে কেন্দ্র করেই জনজাগরণ করতে চাইছে বিজেপি।

    হুঙ্কার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari), পথে থাকবে ১ কোটি হিন্দু

    এদিন কার্যত হুঙ্কারের সুরেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘ভালো করে রাম নবমী করবেন। আমিও থাকব মাঠে। গতবার ৫০ লক্ষ হিন্দু নেমেছিল, একহাজার মিছিল হয়েছিল। এবার ২ হাজার মিছিল হবে, ১ কোটি হিন্দু রাস্তায় থাকবে। কোনও অনুমতি নেবেন না। কোনও অনুমতির প্রয়োজন নেই।’’

    গতকালই বিরোধী দলনেতা হাজির ছিলেন শহিদ দিবসে

    গতকাল শুক্রবার নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে রাম মন্দির তৈরির এমনই ঘোষণা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ৬ এপ্রিল রাম নবমীর (Ram Navamai) দিন নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে শুক্রবার ঘোষণা করলেন তিনি। একইসঙ্গে শুক্রবার সোনাচূড়া গ্রামে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির শহিদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপণও করেন তিনি।

    সাড়ে তিন বিঘা জমির ওপর নির্মাণ হবে রাম মন্দির

    জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া গ্রামে প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমির ওপর রাম মন্দির তৈরি হতে চলেছে। এক বছরের মধ্যে সেই নির্মাণ শেষ হবে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামে শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর মঞ্চ থেকে সেই কথা ঘোষণা করলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘রাম নবমীর দিন মন্দির নির্মাণ শুরু হবে। নন্দীগ্রামের দক্ষিণপ্রান্তে সোনাচূড়াতে মন্দিরের নির্মাণ শুরু হবে। এখানে অয্যোধার রাম মন্দিরের আদলে মন্দির তৈরি হবে।’’

  • ISIS: ইরাকের বাহিনীর অভিযানে সিরিয়াতে খতম আইসিস প্রধান আবু খাদিজা

    ISIS: ইরাকের বাহিনীর অভিযানে সিরিয়াতে খতম আইসিস প্রধান আবু খাদিজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খতম বিশ্বের কুখ্যাত জঙ্গি আবদাল্লা মাকি মোসলেহ আল-রিয়াফি ওরফে আবু খাদিজা। ইসলামিক স্টেট (ISIS) জঙ্গি সংগঠনের প্রধান ছিলেন তিনি। ইসলামিক স্টেট-এর প্রধানের নিকেশের খবরটি ইতিমধ্যে নিশ্চিত করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শিয়া আল-সুদানি। জানা গিয়েছে, পশ্চিম ইরাকে (Iraq) আনবার প্রদেশের ওপর আকাশ পথে অভিযান চালানো হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে এই অভিযান হয়। আবু খাদিজা’র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয় শুক্রবার।

    কী বললেন ইরাকের (Iraq) প্রধানমন্ত্রী?

    শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘অন্ধকার ও সন্ত্রাবাদের শক্তিকে পরাজিত করে লাগাতার জয়ী হয়ে চলেছে ইরাক৷’’ একইসঙ্গে নিজের পোস্টে আইএস (ISIS) জঙ্গি সংগঠনের নেতা আবদাল্লা মাকি মোসলেহ আল-রিয়াফিকে ইরাক ও বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর জঙ্গি হিসাবে উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শিয়া আল-সুদানি তাঁর পোস্টে ইরাকের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীদের প্রশংসা করে লেখেন, ‘‘ইরাকি ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের হিরোদের সঙ্গে জয়েন্ট অপারেশনস কমান্ড এবং ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন ফোর্সেস একসঙ্গে কাজ করে। সকলের সক্রিয় সহযোগিতায় জঙ্গি (ISIS) আবদাল্লা মাকি মোসলেহ আল-রিয়াফি ওরফে আবু খাদিজাকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি তথাকথিত ডেপুটি কালিফ ছিল। ইরাক ও সিরিয়ার তথাকথিত গভর্নরের পদে ছিল।’’ আবু খাদিজাকে ইরাক ও বিশ্বের অন্যতম নৃশংস জঙ্গি বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

    কী বললেন ইরাকের বিদেশমন্ত্রী?

    অন্যদিকে, ইরাকের বিদেশমন্ত্রী ফৌয়াদ হুসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সিরিয়া ও ইরাক একই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশেষত আইএস জঙ্গিদের বিষয়ে।’’ ইরাকের বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘জঙ্গি মোকাবিলায় জর্ডনের রাজধানী আম্মানে একটি বৈঠক করেছে সিরিয়া, ইরাক, তুরস্ক, জর্ডন এবং লেবানন। এই দেশগুলি একসঙ্গে একটি অভিযান চালানোর কথা ভাবনাচিন্তা করেছে। খুব শীঘ্রই তারা কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।’’ ঘটনাচক্রে শুক্রবারই সিরিয়ার শীর্ষস্তরীয় এক কূটনীতিক ইরাক সফরে আসেন। দু’দেশ জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার সংকল্প গ্রহণ করে। তখনই ইরাক-সিরিয়ার আইএস প্রধান আবদাল্লা মাকি মোসলেহ আল-রিয়াফির মৃত্যুর খবরটিও প্রকাশ্যে আনা হয়।

  • Daily Horoscope 14 March 2025: ব্যবসা নিয়ে চিন্তা থাকবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 14 March 2025: ব্যবসা নিয়ে চিন্তা থাকবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদোন্নতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মে উন্নতি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় দারুণ অর্থপ্রাপ্তির যোগ রয়েছে।

    ২) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় সহকর্মীর দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য সমস্যার কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসা নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) বাড়িতে অশান্তির  সম্ভাবনা ও সেই কারণে মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Holi: দোল পূর্ণিমায় এই দেবতাদের পুজোয় জীবনে আসে সাফল্য

    Holi: দোল পূর্ণিমায় এই দেবতাদের পুজোয় জীবনে আসে সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে যেকোনও অনুষ্ঠানে তিথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়। দোলের তিথি দেখেই বাঙালি গৃহস্থ বাড়িতে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। দোল পূর্ণিমা হিন্দুদের কাছে এক অত্যন্ত পবিত্র তিথি হওয়াতে, শাস্ত্র মতে এই তিথিতে বিশেষ কিছু নিয়ম-কার্য পালন করলে মানুষের আর্থিক, পরমাত্মিক এবং সাংসারিক শ্রীবৃদ্ধি লাভ সম্ভব হয়। বহু বাড়িতেই দোলের দিন শ্রীরাধাগোবিন্দের পুজো হয়। আবার শালগ্রাম শিলার পুজোও দেখা যায় এই দিন। পূর্ণিমার পুজো সকাল থেকেই চলে বাঙালি হিন্দু বাড়িতে। এই বিশেষ তিথিতে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে গোপাল পূজা করলে ঈশ্বরের বিশেষ কৃপা লাভ করা যায়। নিম্নে গোপাল পুজোর নিয়ম কারণ সম্পর্কে জানানো হল। এছাড়া আপনারা নিজেদের আরাধ্য দেবতাদেরও পূজা করতে পারেন এই দিন।

    দোল পূর্ণিমার দিন গোপাল পুজোর রীতি (Dol Purnima)

    শাস্ত্রমতে, মনে করা হয় এই তিথিতে বিশেষ কিছু নিয়ম পালন করলে সংসারের সার্বিক সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এই দিনে বিশেষ কিছু নিয়ম পেলে গোপালের পুজো করলে ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি বজায় থাকে। শাস্ত্র অনুযায়ী, এই দিনেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গোপীদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে উঠেছিলেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই তিথি অত্যন্ত পবিত্র একটি তিথি। তাই এই দিনে কিছু নিয়ম মেনে চললে ঈশ্বরের কৃপা দৃষ্টি সর্বদা বজায় থাকবে আপনার উপর। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে সংসারের সমৃদ্ধিও।

    জেনে নেওয়া যাক আজ ঠিক কোন নিয়মে পুজো সারবেন

    পণ্ডিতরা বলছেন, আগের দিনেই বাড়ি-ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিন। রান্না ঘরে মজুত রাখা খাবারের কৌট বা জায়গা কখনও একদম ফাঁকা করে রাখবেন না। কিছু না কিছু ভরে রাখবেন। এই দিনে সকালে স্নান সেরে নিন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে বাড়ির প্রধান দরজার সামনে এক বালতি জল রেখে দিন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই দরজার সামনে সেই জল ঢেলে ধুয়ে দিন। স্নানের জলে একটা বা দুটো তুলসী পাতা দিয়ে স্নান করুন। স্নানের পর ইষ্ট দেবতার স্মরণ করে পুজো সেরে নিন। গোপাল পুজো আপনি যেভাবে করেন সেই ভাবেই সারুন সঙ্গে শুধু উল্লিখিত নিয়মগুলো মেনে চলুন। এরপর ঠাকুরের পায়ে আবির দিয়ে প্রণাম সেরে নিন। ফুল মিষ্টি দিয়ে পুজো সেরে নিন। এই দিনে খাদ্য শষ্য দান অত্যন্ত পুণ্যের বলে মনে করা হয়। দুঃস্থকে খাদ্য এবং বস্ত্র বা সামর্থ অনুযায়ী এই দিনে দান করলে সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয়। সেই সঙ্গে মনের ইচ্ছাও পূরণ হয়।

  • Holi 2025: সাত ভারত বিখ্যাত মন্দির, এখানে ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি

    Holi 2025: সাত ভারত বিখ্যাত মন্দির, এখানে ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোলি (Holi 2025) ভারতের এক প্রাণবন্ত উৎসব। পাড়ায় পাড়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেন এই উৎসবে মেতে ওঠেন তেমনই অনেক মন্দির এই উৎসবকে আধ্যাত্মিক রীতিনীতি, ভজন ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে উদযাপন করে থাকে। মথুরা হল ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মস্থান। এর পাশাপাশি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও (Indian Temples) ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি। জেনে নেওয়া যাক, ভারত বিখ্যাত কতগুলি মন্দিরের হোলি উদযাপনের কথা।

    ১. শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির, মথুরা (Holi 2025)

    ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরাতে ধুমধাম করে হোলি উৎসব পালন করা হয়। কৃষ্ণ মন্দিরে ভক্তিমূলক ভজন, ধর্মীয় রীতি এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়, যা সমগ্র নগরকে মাতিয়ে রাখে এই সময়ে।

    ২. দ্বারকা ইস্কন মন্দির, দিল্লি (Holi 2025)

    দিল্লির অন্যতম বিখ্যাত মন্দির হিসেবে পরিচয় রয়েছে দ্বারকা ইস্কনের। ভক্তি ও আধ্যাত্মিক উচ্ছ্বাসের সঙ্গে এখানে হোলি উদযাপন করা হয়। এই উৎসব গুলি হল- ভগবান কৃষ্ণের উদ্দেশে ভজন ও কীর্তন। আরতি এবং হোলির তাৎপর্য নিয়ে ধর্মী আলোচনাও হয় এখানে। এছাড়া, মন্দির প্রাঙ্গণে আবির খেলাও হয়।

    ৩. দ্বারকাধীশ মন্দির, দ্বারকা

    দ্বারকার রাজা হিসেবে পরিচিত রয়েছেন হিন্দু ধর্মের ভগবান শ্রী কৃষ্ণ। তাঁর প্রতি উৎসর্গীকৃত এই মন্দিরে ভজন, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং একটি বিশাল আরতির মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী হোলি উদযাপন করা হয়।প্রতি বছরই চলে এই উৎসব। ভক্তরা কীর্তন করেন। একইসঙ্গে শ্রী কৃষ্ণের ঐশ্বরিক লীলার মাহাত্ম্যকে স্মরণ করেন।

    ৪. রাধা রমণ মন্দির, বৃন্দাবন

    বৃন্দাবনের এই মন্দির ভারত বিখ্যাত (Holi 2025)। কৃষ্ণ মূর্তির জন্য বিখ্যাত এই মন্দির। এখানে হোলি উদযাপন করা হয় ভক্তি ও শান্তির সঙ্গে। রঙ খেলার পরিবর্তে ভক্তরা ফুলের হোলি খেলেন এখানে, সুমধুর কীর্তন এবং কৃষ্ণ লীলায় অংশগ্রহণ করেন প্রত্যেকে। শান্তিপূর্ণ হলেও উৎসব মুখরিত করে রাখে চারপাশ।

    ৫. গোবিন্দ দেব জি মন্দির, জয়পুর

    রাজস্থানের জয়পুরের এই বৃহৎ মন্দিরটি ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানি আড়ম্বরের সঙ্গে হোলি (Holi 2025) উদযাপন করে। মন্দিরকে রঙিনভাবে সাজানো হয়। শ্রী কৃষ্ণের জীবনের উপর ভিত্তি করে লোকনাট্য পরিবেশন করেন ভক্তরা। একইসঙ্গে ভক্তিমূলক গান ও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে আবির খেলা হয়।

    ৬. শ্রীনাথজি মন্দির, নাথদ্বারা

    শ্রীনাথজি মন্দিরের হোলি (Holi 2025) উদযাপন অত্যন্ত ধুমধাম করে হয়। রাধারমণ মন্দিরের মতো এখানেও রঙের পরিবর্তে ফুল দিয়ে হোলি খেলা হয়। এর পাশপাশি ছাড়ি হোলি, যেখানে পুরোহিতরা সুন্দরভাবে সজ্জিত লাঠি ব্যবহার করে রীতি পালন করেন। হোলির দিনে অন্নকূট উৎসব পালিত হয়, যা হোলির অংশ হিসেবে ভগবান কৃষ্ণকে নিবেদিত একটি বৃহৎ ভোজ।

    ৭. জগন্নাথ মন্দির, পুরী

    ওড়িশায় হোলি বাংলার মতোই দোল পূর্ণিমা হিসেবে পালিত হয়। এদিন জগন্নাথ মন্দিরে দেবতাদের সুন্দরভাবে সজ্জিত রথে স্থাপন করা হয়। হিন্দু ধর্মের মানুষজন রঙ দিয়ে হোলি খেলেন ও ভজন গেয়ে ভক্তি প্রদর্শন করেন।

  • Holi: আজ দোল, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কোন কোন পৌরাণিক কাহিনী? উৎসবের ইতিহাসই বা কী?

    Holi: আজ দোল, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কোন কোন পৌরাণিক কাহিনী? উৎসবের ইতিহাসই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে দোল (Holi)। হলুদ শাড়ি এবং পাঞ্জাবিতে সাজবে মেয়ে এবং ছেলেরা। বসন্ত এসে গেছে গানের তালে তালে পালিত হবে দোল। শান্তিনিকেতনের দোল (Holi) আবার বিশেষ জনপ্রিয়। সারা রাজ্য থেকেই মানুষের ভিড় দেখা যাবে ওইদিন শান্তিনিকেতনে। রবি ঠাকুরের গানে, বসন্তের আগমনে এক আলাদা মাত্রা পায় শান্তিনিকেতনের দোল। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী দোল পূর্ণিমার দিন শ্রীকৃষ্ণ রং এবং আবির দিয়ে রাধা ও অন্যান্য গোপিনীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতে উঠেছিলেন। বিশ্বাস মতে দোল খেলার উৎপত্তি সেখান থেকেই শুরু। যা আজও সমানভাবে এগিয়ে চলেছে।

    বাংলায় শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু দোলযাত্রার (Holi) শুভ সূচনা করেন

    হিন্দু শাস্ত্রবিদরা বলছেন এই দোল (Holi) পূর্ণিমার দিনটিকে গৌড় পূর্ণিমাও বলা হয়। তার কারণ ১৪৮৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দোল পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম হয়েছিল। পাশাপাশি এই বাংলাতে দোল উৎসবের সূচনাও শ্রীচৈতন্যদেবের হাত ধরে হয়েছিল। ১৫১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি গৃহত্যাগ করে অর্থাৎ নবদ্বীপ ত্যাগ করে বৃন্দাবনে গিয়ে সেখানে রং খেলা দেখে অভিভূত হয়েছিলেন তখন থেকেই নাকি বাংলাতে দোল (Holi) উৎসবের সূচনা হয় ভক্তদের বিশ্বাস এই দোল খেলায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণও হাজির হতেন মহাপ্রভুর সঙ্গে দোল খেলতে। আবার কোনও কোনও গবেষক মনে করেন, প্রায় ২০০০ বছর আগে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন প্রচলন করেছিলেন দোল উৎসব। সপ্তম শতাব্দীতে সম্রাট হর্ষবর্ধনের লেখা রত্নাবলী নাটকেও হোলি (Holi) খেলার উল্লেখ রয়েছে। শুধু উত্তর ভারত নয় দক্ষিণ ভারতের বিজয়নগরের একটি মন্দিরের গায়ে এক রাজকুমার রাজকুমারীর রং খেলার চিত্রকলা রয়েছে। এখান থেকে বলা হয় যে দোল সারা ভারতবর্ষ ব্যাপী প্রচলিত ছিল (Dol Purnima)।

    পৌরাণিক কাহিনীগুলি জানা যাক

    ভক্ত প্রহ্লাদের আখ্যান এবং হোলিকা দহন

    অন্যদিকে পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণুর পরমভক্ত ছিলেন অসুর রাজ হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ।  নিজেকে ঈশ্বর ঘোষণা করেছিলেন রাক্ষসরাজা। অহংকারী রাজার ওপর ব্রহ্মার বরদান ছিল দিন বা রাত, গৃহের ভিতর বা বাইরে, মানুষ বা পশু কেউই হিরণ্যকশিপুকে বধ করতে পারবেনা। এরপর নিজের পুত্র প্রহ্লাদকে হত্যার পরিকল্পনা নেন রাক্ষসরাজা। নিজের বোন হোলিকার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। হোলিকার ওপর আবার ব্রহ্মার বরদান স্বরুপ একটি চাদর ছিল, যেটি ছিল একধরনের রক্ষা কবচ। এই চাদর গায়ে জড়িয়ে প্রহ্লাদকে নিয়ে অগ্নিকুণ্ডে বসেন হোলিকা। ঠিক তখনই ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় চাদর উড়ে গিয়ে পড়ে প্রহ্লাদের গায়ে। অগ্নিকুণ্ডে দগ্ধ হয়ে যান হোলিকা। এই কারণে দোল উৎসবের আগের দিন হয় হোলিকা দহন। বাংলাতে এটাই প্রচলিত ন্যাড়াপোড়া নামে। ভক্তদের বিশ্বাস, এইদিনে সকল অশুভ শক্তির নাশ হয়। ভগবান বিষ্ণু তথা কৃষ্ণের পূজা করলে জীবনে সমৃদ্ধি নেমে আসে ভক্তদের।

    পুতনা রাক্ষসী বধ

    পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, দোল (Holi) পূর্ণিমার দিনে শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করার কথা কোথাও কোথাও বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে হোলিকাকে পুতনার ভূমিকায় রাখা হয় এবং পুতানার বিষ দুধে শ্রীকৃষ্ণ পান করেনি বরং তার রক্ত পান করেন, এইভাবেই ভগবান বধ করেন পুতনাকে। এরফলে শ্রীকৃষ্ণের গায়ের রং নীল হয়ে যায়। বিশ্বাসমতে দোল পূর্ণিমা হল পুতনা বধের পর উৎসব। বিবাহিত নারীরা তাদের পরিবারের কল্যাণ এবং মঙ্গল কামনায় দোল উৎসবে মাতেন এদিন। ভারতের বাইরেও দোল উৎসব ব্যাপকভাবে পালিত হয়। বৈষ্ণব ধর্ম ছাড়াও শাক্ত-শৈবরাও এই উৎসব পালন করেন। পরিবারিক, বৃহত্তর সমাজ জীবনের ক্ষেত্রে দোল পূর্ণিমার গুরুত্ব অনেক।

     

     

  • Holi 2025: রঙ খেলার পরে ফের কীভাবে ঝকঝকে হবেন? ত্বকের যত্ন নিতে কী করবেন?

    Holi 2025: রঙ খেলার পরে ফের কীভাবে ঝকঝকে হবেন? ত্বকের যত্ন নিতে কী করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসন্ত উৎসব বা হোলিতে (Holi 2024) অনেকেই চুটিয়ে রঙ খেলেন। বসন্তের আবির এবং পলাশ রঙে মেতে ওঠেন সকলে। কিন্তু এই আবহে চুল এবং ত্বকের যত্ন নেওয়া দরকার। রঙ খেলার পর নানা ভাবে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বকে জ্বালা, ক্ষয় ইত্যাদি সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। কীভাবে যত্ন নেবেন একবার জেনে নিন। দেখে নিন, কীভাবে হয়ে উঠবেন সেই আগের মতো।

    কেন রঙ ক্ষতিকারক? (Holi 2024)

    উত্তরাখণ্ডের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশা সাকলানি বলেছেন, “হোলিতে (Holi 2024) আবিরের সঙ্গে অনেক পরিমাণে শুকনো রঙ, পেইন্ট এবং ভেজা রঙ ব্যবহার করা হয়। আবির বা রঙে প্রচুর কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দাম কম হওয়ায় বেশি পরিমাণে ব্যবহার হয় এগুলি। কিন্তু এতে বেশি পরিমাণে ক্ষতিকারক রাসায়নিক দেওয়া থাকে। ত্বক ও চুলের জন্য অনেক ক্ষতি করে।” তাই বসন্তের দোল উৎসবে (Holi 2024) রঙ খেলার সময় খুব সর্তকতা এবং নিয়ম মানলে ত্বককে ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা যায়। তবে কোনও বিশেষ রোগ থাকলে রঙ না খেলাই ভালো। ভেষজ রং বা আবির ব্যবহারের দিকে নিজর রাখতে হবে।

    ময়েশ্চারাইজার মাখুন

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির ছোট থেকে বড় সকলের ময়েশ্চারাইজার মেখে দোলে (Holi 2024) রঙ খেলা উচিত। শুধু মুখে নয়, সারা শরীরে এটি মেখে রঙ খেলুন। ফলে ত্বকের মধ্যে রঙ বসে যাবে না এবং ক্ষতি কম করবে। তাড়াতাড়ি রঙ ওঠার ক্ষেত্রে ভীষণ সুবিধাজনক হবে। তবে স্টেরয়েড ধর্মী কোনও ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো।

    নারকেল তেল মাখুন

    দোলে (Holi 2024) রঙ খেলার আগে কোনও রকম শ্যাম্পু ব্যবহার করার দরকার নেই। এতে মাথার তালু শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। নারকেল তেল, জোজোবা অয়েল এক সঙ্গে মিশিয়ে দোলের আগের দিন রাতে চুলে ভালো করে মাখতে হবে। শুষ্ক ভাব থাকবে না এবং চুলের ক্ষতি কম হবে। এতে রঙ চুলের ক্ষতি কম করবে। হোলির দিনে রঙ মাখার আগে শরীরে সানস্ক্রিন ভালো করে মেখে নিন। রঙ খেলার অন্তত দু’দিন আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

    কীভাবে রঙ তুলবেন?

    হোলিতে রঙ খেলার (Holi 2024) পর চুল থেকে তা সঠিক ভাবে পরিষ্কার করতে প্রথমে একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে চুলগুলিকে পরিষ্কার করুন। এতে লেগে থাকা শুষ্ক রঙ পড়ে যাবে। তারপর শুধুমাত্র হালকা গরম জল দিয়ে ভালো করে চুলগুলিকে ধুয়ে ফেলতে হবে। ফলে চুলে আটকে থাকা অতিরিক্ত রঙ ও ময়লা ঝরে যাবে। এরপর হালকা বা হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুতে হবে। আর সম্ভব হলে চুল ধোয়ার পর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এই ভাবে আপনার চুলে ক্ষতি কম হবে।

    দোল উৎসবে ত্বকের যত্ন নিতে কী কী উপায় নেবেন

    ওটমিলের মিশ্রণ: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন টেবিল চামচ ওটসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এবং মধু মেশাতে হবে। হোলির ঠিক পরেই এই ফেস প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। সামান্য শুকিয়ে এলে অল্প জল দিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। ৪০ মিনিট মুখে রেখে উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

    বেসন ও দুধের মিশ্রণ– বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো দুধ মিশিয়ে মুখে মাখুন। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।  সামান্য গরম জল দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। দুধে আছে ভিটামিন-এ। যা ব্রণর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

    নারকেল তেল– এখন দোলের সময় বেশিরভাগ রঙই ভেষজভাবে তৈরি হয় যাতে তা ক্ষতিকারক না হয় ত্বকের জন্য। ভেষজ উপায়ে বানানো রঙ ছাড়া দোলের সময় যে রঙ সাধারণত ব্যবহার করা হয়, তাতে থাকে রাসায়নিক পদার্থ। তা থেকেই মুখে অ্যালার্জি বা অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। যেখানে মনে হচ্ছে সমস্যা হচ্ছে, সেই সব জায়গায় সামান্য পরিমাণে নারকেল তেল দিতে পারেন। এতে সাময়িকভাবে স্বস্তি মিলতে পারে।

    দই ও লেবুর রসের মিশ্রণ– সামান্য পরিমাণে লেবুর রস, দই এবং এক চিমটে চন্দন কাঠ ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এই মিশ্রণ ত্বক থেকে রঙের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকে আনে জেল্লা। দোলের রঙ থেকে ত্বক রক্ষা করতে এই মিশ্রণের জুড়ি মেলা ভার।

    অ্যালোভেরা– অ্যালোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা আপনার ত্বককে অ্যালার্জি এবং ফুসকুড়ি থেকে রক্ষা করে। দোলে রঙ মাখার আগে অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বককে হাইড্রেট করতে পারেন।

    এগুলো সবই ঘরোয়াভাবে উপলব্ধ। পাশাপাশি আরও যে উপাদানগুলো ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করবে হোলিতে সেগুলি হল, বডি অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার, নন-কমেডোজেনিক এসপিএফ ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ঘাড়, মুখ ও কানে সানস্ক্রিন যত ঘন হবে তত ভালো।

  • Holi: দোলের আরেক নাম বসন্ত মহোৎসব, কেন জানেন?

    Holi: দোলের আরেক নাম বসন্ত মহোৎসব, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোলকে রঙের উৎসব বলা হয়, যা ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। এই বছর দোল পালিত হচ্ছে আজ অর্থাৎ ১৪ মার্চ। দোল হল অশুভ শক্তির ওপর শুভ শক্তির জয়। হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন পৌরাণিক আখ্যান তাই বলছে। কিন্তু আপনি কি জানেন দোল বা হোলির ইতিহাস কী এবং কেন একে বসন্ত মহোৎসব বা কাম মহোৎসবও বলা হয়।

    দোল (Holi) বা হোলির ইতিহাস

    প্রাচীন ধর্মীয় গ্রন্থগুলিতে হোলি বা দোলের উল্লেখ পাওয়া যায়। জৈমিনীর পূর্ব মীমাংসা সূত্র এবং কথা গড়্য-সূত্র, নারদ পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ এবং বহু গ্রন্থে এর বর্ণনা পাওয়া যায়। ঐতিহাসিক দিক থেকেও হোলির গুরুত্ব কম কিছু নয়। সম্রাট হর্ষবর্ধন রচিত রত্নাবলী নাটকে এর উল্লেখ মেলে। আবার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন নামটির সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে প্রাচীন ভারতের হোলি খেলা। দোল একটি প্রাচীন উৎসব হিসাবে বিবেচিত হয়।

    পৌরাণিক আখ্যান

    পুরাণ মতে, বিষ্ণুর ভক্ত প্রহ্লাদকে হত্যা করতে হিরণ্যকশিপুর পরামর্শ মতো তার বোন হোলিকা অগ্নিকুণ্ডে বসেন। হোলিকার শরীর ছিল ব্রহ্মার বরে প্রাপ্ত চাদর দিয়ে ঢাকা। এই রক্ষাকবচের ফলে হোলিকা অগ্নিদগ্ধ হবেনা কিন্তু প্রহ্লাদ জ্বলে যাবে এই ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু শেষে ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় চাদর উড়ে গিয়ে পড়ে প্রহ্লাদের গায়ে এবং অগ্নিদগ্ধ হন হোলিকা। তাই দোলের আগেরদিন অশুভ শক্তির পরাজয়ের প্রতীক হিসেবে হোলিকা দহনের রীতি সারা ভারতজুড়ে দেখা যায়।

    কেন দোল (Holi) পূর্ণিমাকে বসন্ত মহোৎসব বলা হয় 

    দোল উৎসব বসন্ত কালে পালিত হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে বসন্তে পালিত হওয়ার কারণে এটিকে বসন্ত মহোৎসব এবং কাম মহোৎসব বলা হয়েছে। কামদেব সম্পর্কিত কাহিনী অনুসারে, সত্যযুগে এই দিনে, ভগবান শিব কামদেবকে ধ্বংস করার পর, রতিকে শ্রীকৃষ্ণের স্থানে কামদেব রূপে জন্মগ্রহণ করার বর দিয়েছিলেন। তাই দোলকে ‘বসন্ত মহোৎসব’ বা ‘কাম মহোৎসব’ও (Dol Purnima) বলা হয়।

  • Dolyatra: শান্তিনিকেতন-নবদ্বীপ সমেত বাংলায় আর কোথায় দোল উৎসব জনপ্রিয়?

    Dolyatra: শান্তিনিকেতন-নবদ্বীপ সমেত বাংলায় আর কোথায় দোল উৎসব জনপ্রিয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবাদ রয়েছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ! এরই মধ্যে অন্যতম হল দোল বা হোলি (Dolyatra)। আমাদের রাজ্যে যা দোল, বাইরের রাজ্যে তাই হোলি। ভারতবর্ষের প্রতিটা রাজ্যেই রঙের উৎসব পালন করা হয় মহা সমারোহে। মাঝখানে করোনা মহামারী আসায় বেশ কিছুটা ছন্দ পতন ঘটেছিল। পরে আবার সবকিছুই ঠিকঠাক হয়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই দোলের মাহাত্ম্য একেবারেই অন্যরকম। দোল পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মের জন্যে খুব শুভ বলে মানা হয়। বঙ্গে কোথাও পালন হয় বসন্ত উৎসব, তো কোথাও হয় আবার রাধা- কৃষ্ণের বিশেষ পুজো (Holi)। জেনে নেওয়া যায় বাংলার কোন স্থানগুলি এই উৎসবের জন্যে বিশেষভাবে পরিচিত।

    শান্তিনিকেতনের দোলযাত্রা (Dolyatra)

    শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব (Dolyatra) শুরু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিগুরুর শুরু করা সেই উৎসব আজও সমানভাবে জনপ্রিয়। তাই রঙিন এই উৎসবের দিকে মুখিয়ে থাকেন অনেক বাঙালিই। দোল খেলতে চলে যান শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা কাঠি নাচ ও গানে-নাচে উদযাপন করেন বসন্তকে। মেয়েদের পরনে থাকে হলুদ শাড়ি। ছেলেরা সাদা পাজামা-পঞ্জাবি। গলায় থাকে উত্তরীয়। আবিরের রঙে ভাসে গোটা শান্তিনিকেতন। প্রতি বছর এই বসন্ত উৎসবের টানে এখানে ভিড় জমান লক্ষাধিক ট্যুরিস্ট।

    নবদ্বীপ ও মায়াপুরের দোলযাত্রা (Dolyatra)

    দোল পূর্ণিমাই হল শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মতিথি বলে জানা যায়। এদিনই বিশেষ উৎসব পালিত হয় হিন্দু বঙ্গ সমাজে। সর্বত্র শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও রাধা- কৃষ্ণের পুজো করা হয় বিশেষ রীতিতে। ভক্তদের বিশ্বাস, দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীনীদের সঙ্গে রঙ খেলায় মেতেছিলেন। একইভাবে নবদ্বীপেও আয়োজন করা হয় বিশেষ দোল উৎসবের। আবির খেলায় মেতে ওঠেন সকলে। নদীয়া জেলার এই পবিত্র স্থানেও ট্যুরিস্ট ও পুণ্যার্থীরা হাজির হন। পবিত্র মায়াপুরের ইস্কনের মন্দিরে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসেন দোল উৎসবে। প্রায় একমাস আগে থেকেই এখানে চলে প্রস্তুতি। কৃষ্ণপ্রেমী বিদেশীরাও রঙের উৎসবে সামিল হল আনন্দ ও নিষ্ঠার সঙ্গে।

    মদন মোহন মন্দিরের দোলযাত্রা (Dolyatra)

    বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে মদনমোহন মন্দিরেও বড় করে দোল উৎসব হয়। ১,৬০০ খ্রীস্টাব্দের শেষ দিকে রাজা দুর্জান সিং দেব এই মন্দিরের নির্মাণ করেছিলেন বলে জানা যায়। হিন্দু ধর্মীয় বই, রামায়ণ এবং মহাভারত ইত্যাদি মন্দিরের দেয়ালগুলিতে খোদাই করা রয়েছে আজও। শ্রীকৃষ্ণ ও রাধাকে সম্মান জানাতে এই মন্দির তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাই প্রতি বছর দোলযাত্রায় এখানে বিশেষ উৎসব পালিত হয়।

    নিমদিহির দোলযাত্রা (Dolyatra)

    পুরুলিয়া জেলার নিমদিহিতে দোলের সময়ে বিশেষ লোক উৎসবের আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে আগত পর্যটকরা লোকশিল্প উপভোগ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ছৌ নাচ, দরবারি ঝুমুর, নাটুয়া নাচ, বাউল গান ইত্যাদি। মূলত বসন্তকেই উদযাপন করা হয় এই সময়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দোল উপলক্ষ্যে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব হয় মথুরা-বৃন্দাবনে। ১৬ দিন ধরে চলে এই উৎসব।

  • Holi 2025: শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের এই সব দেশেও মহা উৎসাহে পালিত হয় হোলি

    Holi 2025: শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের এই সব দেশেও মহা উৎসাহে পালিত হয় হোলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে হোলি (Holi 2025)। রঙের এই উৎসবে দেশবাসী মেতে ওঠেন। সঙ্গে থাকে নানা রকমের সুস্বাদু মিষ্টি। হোলি উৎসবের উদযাপন শুধুমাত্র রঙের উৎসব নয় বরং  এটি প্রেম ও ঐক্যেরও প্রতীক বলেও মানা হয়। পশ্চিমবঙ্গে পালিত হয় দোল। বাকি দেশে এর নাম হোলি। তবে দেশের বাইরেও হোলি উৎসব পালন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ভারত (India) ছাড়াও যে দেশগুলিতে হোলি উৎসব (Holi 2025) সাড়ম্বরে পালিত হয়, সে নিয়েই আজকের আলোচনা।

    ১. নেপাল

    ভারতের প্রতিবেশী দেশ হল নেপাল। হিন্দু ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এই দেশটির। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী এই দেশেই বিবাহ হয়েছিল রামচন্দ্রের। নেপালে হোলির পরিচয় ফাগু পূর্ণিমা নামে। নেপাল জুড়ে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এই উৎসব উদযাপিত হয়। কাঠমাণ্ডু এবং পোখরার মতো শহরে, মানুষ রাস্তায় জড়ো হয়ে রঙ নিয়ে মেতে ওঠেন উৎসবে। গানের তালে তালে নাচ এবং উৎসবের পরিবেশে চলে হোলি উদযাপন। রঙ মেশানো জলের বেলুন এবং রঙিন আবির নিয়ে হোলি উৎসবে (Holi 2025) মেতে ওঠেন নেপালের বাসিন্দারা।

    ২. মরিশাস

    মরিশাসেও প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী ভারতীয় রয়েছেন। মূলত উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের বাসিন্দারাই এখানে বসতি গড়েছিলেন। এই দেশেও ধুমধাম করে চলে উৎসবের পালন। ভজন-কীর্তন, হোলিকা দহন এবং রঙ খেলায় মেতে ওঠেন মরিশাসের হিন্দুরা (Holi 2025)। হিন্দু প্রধান মরিশাসে হোলির গুরুত্ব এতটাই যে এই দিনটিকে সরকার জাতীয় ছুটি বলে ঘোষণা করেছে।

    ৩. ফিজি

    ফিজিতেও বিরাট সংখ্যায় প্রবাসী ভারতীয়রা থাকেন। মূলত উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার থেকে আসা প্রবাসী ভারতীয়রাই থাকেন এখানে। ফিজিতে হোলি একটি জাতীয় উৎসব। এখানে ঐতিহ্যবাহী গান, নাচ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয় হোলি। তবে কেবল ভারতীয় সম্প্রদায়ই নয়, স্থানীয় ফিজিয়ান জনগোষ্ঠীও হোলিতে অংশগ্রহণ করে।

    ৪. পাকিস্তান

    দেশভাগের পরে ইসলামিক দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে পাকিস্তান। তারপরে আজও এই দেশ থেকে হিন্দু নির্যাতনের খবর সামনে আসে। তবে এসব ভীতিকে উপেক্ষা করেই পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ, করাচি, লাহোর এবং অন্যান্য অঞ্চলে অনেক হিন্দুরা হোলি উদযাপন করেন। হিন্দু মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় কেন্দ্রগুলিতে জমকালো হোলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে মানুষজন রঙিন আবির নিয়ে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, এই উদযাপন আরও বেশি জনপ্রিয়তা।

    ৫. বাংলাদেশ

    সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এখানকার হিন্দুরা হোলিতে মেতে ওঠেন অত্যন্ত সাড়ম্বরে। তবে চলতি বছরে ইউনূস জমানায় হোলি কতটা শান্তিপূর্ণ হবে হোলি, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে! বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের মতো শহরে, হিন্দুরা সাড়ম্বরে পালন করে হোলি। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও হোলি উদযাপিত হয়। এটি দোল পূর্ণিমা বা বসন্ত উৎসব নামেও পরিচিত, এখানে মানুষজন রঙ নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। বিশেষ পুজোয় আয়োজন করা হয় এখানে। মন্দিরগুলিতে হোম-যজ্ঞ করা হয়।

    ৬. ইন্দোনেশিয়া

    এই দেশে হোলি নয় বরং ‘প্রোহিয়ন’ নামে পালন হয় হোলি উৎসব। ইন্দোনেশিয়ার মানুষজন রঙ নিয়ে নাচে। নাচ-গানের মাধ্যে দিয়ে একে অপরকে রাঙিয়ে তোলেন ইন্দোনেশিয়ার মানুষ।

    ৭. আফ্রিকা মহাদেশ

    ইন্দোনেশিয়ার পর হোলি খেলার তালিকায় রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে। এই দেশে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের মাধ্যমে হোলি উদযাপন করা হয়। বিশেষত মরিশাস, মোজাম্বিক এবং দক্ষিণ আফ্রিকার লোকেরা সব থেকে বেশি হোলি খেলায় যোগ দেন।

    ৮. আমেরিকা

    আমেরিকার বেশ কয়েকটি শহরেও হোলি উদযাপন করা হয়। বিশেষত আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় নাচের দলগুলি এদিন নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে হোলি উদযাপন করা হয়।

    ৯. ইউরোপ মহাদেশ

    ইউরোপের বেশ কিছু দেশে পালন করা হয় হোলি। বিশেষ করে ব্রিটেনে হোলি খুবই জনপ্রিয়। ব্রিটেনে প্রবাসী ভারতীয়রা হোলিতে অংশ নেন।

    ১০. ফাগওয়া

    সাদা পোশাক পরে এই দেশের মানুষজন আনন্দে মেতে ওঠেন হোলি উৎসবে। এই উৎসব বসন্তের আগমনকে চিহ্নিত করে এবং এটি ওই দেশে একটি জাতীয় ছুটির দিন।

    ১১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো

    ঐতিহ্যবাহী গান এবং নাচের মাধ্যমে উদযাপিত এই হোলি। হোলিকা দহনের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণও করা হয় এই দেশে।

    ১২. গায়ানা

    এই দেশের হিন্দু মন্দিরগুলিতে ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি। এই উৎসবে সকল জাতি ও ধর্মের মানুষ সামিল হন।

LinkedIn
Share